#পাঞ্জাবের প্রধান
Explore tagged Tumblr posts
Link
0 notes
Text
পাঞ্জাবের সিম भगवंत मान के ऑफिस में लगी भगत सिंह के चित्र पर बदलना
পাঞ্জাবের সিম भगवंत मान के ऑफिस में लगी भगत सिंह के चित्र पर बदलना
পঞ্জাব में आम आदमी पार्टी की सरकार बनती है। ভগন্ত মান সিম পদের প্রতিদানও লেলি। প্রতিপালন করার পরে তারা তার ঘোষণা অনুযায়ী, হার সরকারি অফিসে ড. भीमराव आंबेडकर ঔর ভগৎ সিং-এর ছবি লাগানোয় কাজ শুরু করা হয়েছে, কিন্তু তাদের অফিসে লাগিয়েছে ভগৎ সিং-এর প্রতিকৃতি কোঁও ছিড়ছে। লোক এই ফটোর মানিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভগন্ত মানতে চাইছেন। কি হরিষকর দরআসল, সিম ভগন্ত মান নির্বাচনের ফলাফলের পরেই এলান করা…
View On WordPress
#আপনি#এএপি#পাঞ্জাব#পাঞ্জাব কে সিএম#পাঞ্জাব সরকার#পাঞ্জাবের প্রধান#পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী#ভগত সিং#ভগত সিং ছবি নিয়ে বিতর্ক#ভগত সিংহের ছবি#ভগত সিংহের পগড়ি পরপর#ভগবন্ত মান#ভগৎ সিং#ভগৎ সিং পাগড়ি নিয়ে বিতর্ক#ভাগন্ত মান
0 notes
Text
ইমরান খানের লংমার্চ পুনরায় শুরু
#ইমরান #লংমার্চ #Pakistan #cbn #coxsbazarnews #news
আবদুর রহমান খান সত্যিকারের স্বাধীনতার ডাকে পরিচালিত লংমার্চে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ ( পিটি আই) প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক সপ্তাহ পূর্বে যেখানে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, পাঞ্জাবের সেই ওয়াজিরাবাদ চকে লাখো মানুষের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত জমায়েতে ইমরান খান দৃঢ়ভাবে ঘোষনা করেছেন, লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত এ ঐতিহাসিক পদযাত্রা থামবে না। লাহোর থেকে লাইভ ভিডিও ভাষনে ইমরান এক সপ্তাহ বিরতির পর…
View On WordPress
0 notes
Text
লংমার্চে ইমরান খানের পায়ে গুলি, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের লংমার্চে গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। এতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে এ ঘটনা ঘটে।
0 notes
Text
বিক্ষোভের মুখে ফ্লাইওভারে আটকে পড়লেন মোদি
নিউজনাউ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির গাড়িবহর ফ্লাইওভারে আটকা পরার পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করা হলেও তিনি কোনও সাড়া দেননি, অভিযোগ বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডার পাঞ্জাবে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের মুখে ফ্লাইওভারের ওপর প্রায় ২০ মিনিট আটকা থাকার পর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করে দিল্লি ফিরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রীর ‘বড় ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি’ হিসেবে অভিহিত করে…
View On WordPress
0 notes
Text
মহম্মদ আলির কিছু অজানা কথা,এই মহম্মদ আলি মহম্মদ আলি জিন্নাহ না।কলকাতার মহম্মদ আলি পার্ক নামে কুখ্যাত পার্ক যে মহম্মদ আলির নামে তৈরী হয়েছিল সেই মহম্মদ আলির কথা-----
কে এই মহম্মদ আলি?তার নামে ভারতে কোন কোন যায়গার নামকরন করা হয়েছে?কেন করা হয়েছে?আসুন সেসব একটু আলোচনা করি।
এই লোকটি একজন ভারতীয় মুসলিম নেতা, আন্দোলনকারী, মুসলিম স্কলার, সাংবাদিক ও কবি।মহম্মদ আলি খিলাফত আন্দোলনের মূল নেতৃবৃন্দের অন্যতম ছিল,এটাই তার আসল পরিচয়।
মাওলানা মুহাম্মদ আলি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৩৪ তম প্রেসিডেন্ট,তার কাজের মেয়াদ ছিল
1923 সালে কয়েক মাস।কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের পদ পেয়েও কয়েক মাসের বেশী তাতে থাকেনি।কেন?উম্মার প্রতি প্রেমের টানে নয় কি?মুসলিম লীগটা পুরোপুরি ভাবে করার জন্য নয় কি?হিন্দু কাফেরদের প্রতি ঘৃণার জন্য নয় কি?
পূর্বসূরী
চিত্তরঞ্জন দাস,এই মানুষটিও একজন মহা সেকুলার(আসলে মুসলিম প্রেমী)ছিলেন কিন্তু তাও কেন মহম্মদ আলিকে পারলেন না কংগ্রেসে ধরে রাখতে?প্রেসিডেন্টের পদে অধিষ্ঠিত করে রাখা স্বত্তে ও?কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদকে হেলায় লাথি মেরে রাজনীতির গুরু চিত্তরঞ্জন দাসকে হেলায় লাথি মেরে ভারত বিরোধী,দেশদ্রোহী,ভারতের স্বাধীনতা বিরোধী,দেশভাগের দাবীদার,আলাদা দেশ পাকিস্থানের দাবীদার কট্টর জেহাদী মানসিকতা সম্পন্ন মুসলিম নেতা আবুল কালাম আজাদের হাত ধরেছিল কেন মহম্মদ আলি?
উত্তরসূরী
আবুল কালাম আজাদ
মাওলানা মুহাম্মদ আলি জওহর ১০ ডিসেম্বর ১৮৭৮ জন্ম গ্রহন করেছিল বৃটিশ শাষিত রামপুরে আর ৪ জানুয়ারি ১৯৩১ সালের ৪ জানুয়ারি ৫২ বছর বয়সে
ইংল্যান্ডের লন্ডনে মৃত্যু বরন করেছিল।
আচ্ছা ��ারতীয় এই নাগরিকের জন্ম ভারতে,মারা গেল ইল্যান্ডে এই পর্যন্ত নাহয় মেনে নিলাম কিন্তু তার মৃতদেহ টা তার নিজের দেশ ভারতে না এনে কি কারণে প্যালেস্টাইনের জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?হয়েছিল এটাই তার আদেশ ছিল তাই। এরকম আদেশ কেন ছিল?আদেশটা ছিল কারণ সে একজন মুসলমান ছিল আর কোন মুসলমান কোনদিন ভারতকে নিজের দেশ মনে করেনি,করেনা।ভারত হলো তাদের কাছে শুধু একটা জমি যা তারা শুধু দখল করবে।
সমাধিস্থল প্যালেস্টাইনের জেরুজালেমে।
দাম্পত্য সঙ্গী আমজাদী বানো বেগম যার জন্ম ১৯০২ সালে,মৃত্যু ১৯৩১ সালে।
পিতামাতা আব্দুল আলি খান আর আবাদী বানো বেগম।
রাজনৈতিক দল অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ,ইন্ডিয়ান ন্যাশনল কংগ্রেস এই দুটো দল করতো।
একসাথে দুটো দল কেন করতে হয়েছিল এই ব্যাক্তিকে?ইন্ডিয়ান ন্যাশনল কংগ্রেস কি যথেষ্ঠ ছিল না ওর জন্য?না যথেষ্ঠ ছিলনা কারণ মুসলমানরা কখনও হিন্দুদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখে না।সম্পর্ক ততক্ষণ ই রাখে যতক্ষণ হিন্দুদের সহায়তা নিয়ে নিজেদের মজবুত না করা যায়।হিন্দুদের সহায়তা নিয়ে যখনই নিজেদের মজবুত শক্তি বানিয়ে ফেলে তখনই মুসলমানরা হিন্দুদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নিজেদের শক্তি নিয়ে হিন্দুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মুসলিম প্রেসিডেন্টদের মধ্যে এ ষষ্ঠতম ছিল। কয়েকমাস এ পদে ছিলো এছাড়া নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট।
মুহাম্মদ আলির দুই ভাই যথাক্রমে মাওলানা শওকত আলি ও জুলফিকার আলি। পিতার অকালমৃত্যুর পর মহম্মদ আলি দারুল উলুম দেওবন্দ(দারুল উলুম দেওবন্দে কি শিক্ষা নিয়েছিল এই মহামানব?) আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৮৯৮ সালে অক্সফোর্ডের লিঙ্কন কলেজে আধুনিক ইতিহাস অধ্যয়ন করে।
ভারত ফিরে মুহাম্মদ আলি রামপুর রাজ্যের শিক্ষা নির্দেশক হিসেবে দায়িত্বপালন করে(দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষাপ্রাপ্ত কোন মুসলিম কি শিক্ষা নির্দেশনা দিতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়)। পরে আলি বড়োদরা সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয় এবং একজন লেখক ও বক্তা হয়ে উঠে(সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়ে দেশ সেবা করার কথা কিন্তু সুভিল সার্ভিসে যিগ দিয়ে লেখক আর বক্তা কি করে হয়ে ওঠে সেটা বোধগম্য না কিন্তু মহম্মদ আলির সম্পর্কে এইসব ইতিহাস ই পাওয়া যায়)। ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় প্রধান সংবাদপত্রে লেখালেখি করে। ১৯১১ সালে আলি উর্দুতে হামদর্দ ও ইংরেজিতে দ্য কমরেড নামক সাপ্তাহিক চালু করে(এর থেকেই সবাই বুঝে নিন কি মানসিকতা আর কি এজেন্ডা থাকতে পারে)। ১৯১৩ মুহাম্মদ আলি দিল্লী ফিরে আসে।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্র��ারণের জন্য মুহাম্মদ আলি কাজ করে গেছে। এসময় তার নাম ছিল মোহামেডান এংলো-ও���িয়েন্টাল কলেজ।আলি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা।
এই লোকটি জামিয়া-মিলিয়া-ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিল কি হিন্দু মুসলমানের ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য?নাকি শুধু মুসলমানদের জন্য করেছিল?
এটি পরে দিল্লীতে স্থানান্তর করা হয়।
যে জন্য পরিচিত হয়েছিল তা হলো খিলাফত আন্দোলন।
১৯০৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা বৈঠকে মুহাম্মদ আলি অংশগ্রহণ করে। ১৯১৮ সালে আলি এই দলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালন করে। ১৯২৮ সাল পর্যন্ত আলি লীগে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
১৯১৯ সালে ইংল্যান্ডে মুসলিম প্রতিনিধিদলে আলি প্রতিনিধিত্ব করে। এ দলের উদ্দেশ্য ছিল তুরস্কের সুলতান ও মুসলিমদের খলিফাকে যাতে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ক্ষমতাচ্যুত না করে সে বিষয়ে প্রভাবিত করার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে রাজি করানো। ব্রিটিশরা তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। ফলে খিলাফত কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি ভারতের মুসলিমদের সরকারের প্রতিবাদ ও বয়কটে নেতৃত্ব দেয়।
এসব কে ই ভারতে মুসলমানদের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহন বলে প্রচার করা হয় কিন্তু এগুলোর সাথে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের অংশগ্রহনের কোন সম্পর্ক ই নেই,মুসলমানরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনদিন কোন অংশই গ্রহন করেনি ওরা প্রথম থেকেই খিলাফত নিয়ে দাবী করা এবং আলাদা জমি পাওয়ার জন্যই চ্যাঁচামেচি করেছে।
এসময় মাওলানা মুহাম্মদ আলি ১৯২১ সালে মুসলিম যেসব ব্যাক্তিদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করেছিল তারা হলো জাতীয়তাবাদীদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করে এতে ছিলো মাওলানা শওকত আলি, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, হাকিম আজমল খান, মুখতার আহমেদ আনসারি(এরা কেউ কি জাতীয়তাবাদী বা দেশপ্রেমিক ছিল?)। এছাড়া মহাত্মা গান্ধীও এতে ছিলো। গান্ধী মুসলিমদের সাথে ঐক্যের নিদর্শন হিসেবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও হাজার হাজার হিন্দুর সমর্থন অর্জন করে(হিন্দুদের কি ভাবে বিপথে চালনা করেছিল গদ্দার গান্ধী ভাবলে অবাক হতে হয়!তুরস্কের খলিফার কতৃত্ব বহাল রাখার জন্য ভারতের হিন্দুরা কেন আন্দোলন করবে?কেন তারজন্য বৃটিশের মার খাবে?কেন জেলে যাবে?তুরস্কে খলিফা ক্ষমতায় থাকলে ভারতের হিন্দুরা কিভাবে আর কি লাভবান হতো?)।এই সমর্থনের বিনিময়ে আলি গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনকে সমর্থন করে।এর দ্বারা কি ভাবে মুসলমানদের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ গ্রহন করার মিথ্যা প্রচার মেনে নেওয়া যায়?এটা গান্ধীর সাথে একটা ব্যাক্তিগত সওদা ছিল মাত্র।প্রথম কথা গান্ধীর ওইসব নিরস্ত্র অসহযোগ আন্দোলন স্বাধীনতা আনার কোন কাজেই আসেনি,নিরস্ত্র কোন আন্দোলন কোনদিন ই কোন দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে পারেনা,ভারতে ও বৃটিশদের থেকে স্বাধীনতা ��োনদিনই আনতে পারতো না,যদি না হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী সশস্ত্র সংগ্রামের পথে গিয়ে আত্মবলি না দিত।তা স্বত্তেও গান্ধীর এই মিথ্যা স্বাধীনতা আন্দোলনের নাটকের জন্য গান্ধী হিন্দুদের বাধ্য করেছিল তুরস্কের খিলাফত আন্দোলনকে সমর্থন করে জেল খাটতে,মার খেতে।খিলাফত সমর্থনকারী মুসলমানরা যত টা দেশদ্রোহী গদ্দার গান্ধী ও ততটাই দেশদ্রোহী গদ্দার আর হিন্দুর শত্রু।
১৯২৩ সালে মাওলানা মুহাম্মদ আলি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কিন্তু
খিলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতা ও চৌরি-চৌরা ঘটনার পর মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে মুহাম্মদ আলি মনঃক্ষুণ্ণ হয়। এরপর আলি তার সাপ্তাহিক হামদর্দ পুনরায় চালু করে এবং কংগ্রেস ত্যাগ করে(এই হলো মুসলমানদের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহন।যেই তাদের খিলাফতের আব্দার পূরণ হলোনা অমনি ভারতের স্বাধীনতার ও প্রয়োজন ফুরালো)।
তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে জেরুজালেমে দাফন করা হয়। কুব্বাত আস সাখরার কাছে তার কবরে উৎকীর্ণ রয়েছে, “এখানে শায়িত আছে সাইয়িদ মুহাম্মদ আলি আল হিন্দি”
এরপরেও ভারতে মৌলানা মহম্মদ আলীকে বিশাল বানিয়ে তার নামে গাদাগাদা পথঘাট,বিশ্ববিদ্যালয়,হাসপাতাল,লাইব্রেরী বহুকিছুর নামকরণ করেছে।কেন করেছে?কে করেছে?জানতে খুব ইচ্ছা হয়।ভারতের জন্য এই লোকটির কি এমন অবদান আছে?পাকিস্থান ও একে প্রায় পয়গম্বর বানিয়ে ফেলেছে।তারা তবু বানালে মানা যায় কারণ তাদের জন্য ই একরকম ভাবে কাজ করেছে এই মহম্মদ আলি কিন্তু ভারতে ভগবানের যায়গায় বসানোর অর্থ কি?কলকাতায় এর নামেই তৈরী হয়েছে মহম্মদ আলি পার্ক,না এই পার্কের জমি আলি দান করেছে কলকাতাকে না এখানে তার কোন কৃত্তি আছে তবু ও এই পদলেহন আজও চলছে।এমনকি হিন্দুদের পবিত্র দুর্গা পুজা হয় এর নামে।"মহম্মদ আলী পার্কের দুর্গা পুজা,"
হিন্দু বাঙ্গালীর কাছে আমার প্রশ্ন রইলো কি কারণে এই নামে দুর্গা পুজা চলছে?মহম্মদ আলীর পরিবারের চাঁদার পয়সায় হয় নাকি এই দুর্গা পুজা?এই পুজা মন্ডপ আবার বামপন্থীদের হিন্দু বিরোধী,দেশবিরোধী বই বিক্রির দোকান ও বটে।কি কারণে হিন্দু বাঙ্গালী এগুলো চলতে দিচ্ছে বছরের পর বছর ধরে?
নীচে লিস্ট দিলাম ওই মহামানবের নামাঙ্কিত সবকিছুর।এত প্রচার এর নামে ঠিক কি কি মহানতার জন্য?
বেশ কিছু স্থানের নাম মাওলানা মুহাম্মদ আলির নামে করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে,
মাওলানা মুহাম্মদ আলি (এমএমএ) হোস্টেল, মহসিনুল মুলক হল, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড়, ভারত
মহম্মদ আলী পার্ক, কলকাতা, ভারত
মাওলানা মুহাম্মদ আলি মার্গ, নয়াদিল্লী, ভারত
সাদায়ে জওহর ম্যাগাজিন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, নয়াদিল্লী
মুহাম্মদ আলি রোড, দক্ষিণ মুম্বাই, ভারত
গুলিস্তানে জওহর, করাচির নিকটে, পাকিস্তান
মুহাম্মদ আলি কোঅপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি, করাচি
জওহর টাউন, লাহোর, পাকিস্তান
জওহরাবাদ, পাঞ্জাবের একটি শহর, পাকিস্তান
করাচির জওহরাবাদ এলাকা
মাওলানা মুহাম্মদ আলি মসজিদ, সিঙ্গাপুর
গান্ধী মুহাম্মদ আলি মেমোরিয়াল ইন্টার কলেজ, উত্তর প্রদেশ, ভারত
মুহাম্মদ আলি জওহর বিশ্ববিদ্যালয়
মাওলানা মুহাম্মদ আলি জওহর একাডেমি অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া, নয়াদিল্লী, ভারত
তার ইংরেজি সাংবাদিকতা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামায় একটি পৃথক ইংরেজি গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছে, লখনৌ, ভারত
জওহর হোস্টেল, সিন্ধ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় টানডো জাম, সিন্ধ, পাকিস্তান
মুহাম্মদ আলি জওহর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিকট জেলা, কেরালা, ভারত
মওলানা মুহম্মদ আলি সড়ক, দামপাড়া, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
0 notes
Text
'... eent se eent baja dunga': নবজোত সিধু পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যুদ্ধকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে গেলেন
‘… eent se eent baja dunga’: নবজোত সিধু পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যুদ্ধকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে গেলেন
ছবির সূত্র: ফাইল ছবি/পিটিআই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে পাঞ্জাব কংগ্রেস প্রধান নভজ্যোত সিং সিধু। পাঞ্জাব কংগ্রেস, নবজোত সিধু সর্বশেষ খবর: মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কোনো ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা করতে রাজি না হওয়ায় দলের রাজ্য শাখার সভাপতি নভজোত সিং সিধু দিন দিন পাঞ্জাব কংগ্রেসে ঝগড়া বাড়ছে। অমৃতসরে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিধু বলেছিলেন যে তিনি দিল্লিতে দলীয়…
View On WordPress
#নবজোট সিং সিধু#পাঞ্জাব কংগ্রেসের খবর#পাঞ্জাবের সর্বশেষ খবর#মালবিন্দর সিং মালি#সিধু অমরিন্দর সিং টসলে#সিধু উপদেষ্টা#সিধু ভিডিও#সিধুর ভাষণের ভিডিও আজ#হরিশ রাওয়াত
0 notes
Text
��ন্দরবীর সিং নিজার প্রোটেম স্পিকার, হোলি কে পরে পঞ্জাবের মন্ত্রিও কি ঘোষণা
ইন্দরবীর সিং নিজার প্রোটেম স্পিকার, হোলি কে পরে পঞ্জাবের মন্ত্রিও কি ঘোষণা
পঞ্জাবের রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিত নে আজ রাজভবনে ড. ইন্দ্রবীর সিং নিজ্জার পাঞ্জাবের জন্য প্রচারের জন্য প্রতিশ্রুতি দেয়। ইন্দ্রবীর সিং নিজ্জার পাঞ্জাবের অমৃতসর দক্ষিণ আসন থেকে নির্বাচন করতে পৌঁছাতে পারেন। রিপোর্টের আমীন পুরুষ নে পার্টী তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের জন্য। নিজার চিফ নিম্নসা দীওয়ানের বর্তমান সভাপতি এবং আমীর পার্টির নেতা। वहीं আপনি নেতা ভগন্ত মান নে বুधवार को पंजाब के मुख्यमंत्री के…
View On WordPress
#অরবিন্দ কেজরিওয়াল#ইন্দ্রজিত সিং নিজ্জার#ডাঃ ইন্দ্রবীর সিং নিজ্জার#পাঞ্জাব কি খুব খবর#পাঞ্জাব নিউজ#পাঞ্জাব নির্বাচন 2022#পাঞ্জাব লেটেস্ট নিউজ#পাঞ্জাব হিন্দি খবর#পাঞ্জাবের খবর#পাঞ্জাবের প্রধান#পাঞ্জাবের প্রোটেম স্পিকার#পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী#পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে#প্রোটেম স্পিকার#ব্রেকিং নিউজ#ভগন্ত মান কা প্রতিজ্ঞা গ্রহন#ভগবন্ত মান#ভগবন্ত মান উইকি#ভগবন্ত মান কমেডি#ভগবন্ত মান খবর#ভগবন্ত মান সন্তান#ভগবন্ত মান সিনেমা#ভগবন্ত মান স্ত্রী#সর্বশেষ হিন্দি খবর
0 notes
Text
লংমার্চে বন্দুক হামলা: ইমরান খান সহ সাত নেতা আহত, এক কর্মী নিহত
আবদুর রহমান খান পাকিস্তানের সাবেক প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান তার ঐতিহাসিক লং মার্চের সপ্তম দিনে আজ পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে আল্লাওয়ালা চক- এলাকায় এক বন্দুক হামলায় আহত হয়েছেন। ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ইমরানকে লাহোরে এক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের গনমাধ্যমে পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খানকে বহনকারী কন্টেইনারকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এ টার্গেট হামলায় আরো ছ’ জন দলীয় নেতা আহত এবং…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/95459
পাকিস্তানে দুই 'ভারতীয় গুপ্তচর' আটক
.
পাকিস্তানে দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ব্যক্তিরা ‘ভারতীয় গুপ্তচর’। এমনটাই মনে করছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এ কথা জানিয়েছে।
জিও টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত দুই ভারতীয়ের নাম প্রশান্ত ও দাড়িলাল। প্রশান্তের বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। আর দড়িলাল থাকেন তেলেঙ্গানায়। পাকিস্তানের দাবি, এই দুই ভারতীয়কে পাঞ্জাবের বাহওয়ালপুর থেকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনের কাছেই বৈধ কাগজপত্র ছিল না। গ্রেপ্তারকৃতদের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।
পাকিস্তানের সন্দেহ, ‘অত্যাধুনিক সন্ত্রাসবাদী হামলা’র জন্য��� ওই দুই ভারতীয় নাগরিককে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত আগস্ট মাসেও পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পাকিস্তান দাবি করেছিল। প্রাথমিক জেরার পর ওই ভারতীয়কে দেশের প্রধান গোয়ান্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ সন্দেহে ধৃত ওই ব্যক্তির নাম ছিল রাজু লক্ষ্মণ। বালুচিস্তান শহর থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তানি পুলিশ।
পাকিস্তানের দাবি, বর্তমানে পাকিস্তানের জেলে বন্দি আর এক ভারতীয় কুলভূষণ যাদবও এই বালুচিস্তান থেকেই গ্রেপ্তার হয়।ভারতীয় নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কূলভুষণকে ইতিমধ্যেই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পাকিস্তিানি সেনা আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০১৭ সালের এপ্রিলে দেওয়া পাকিস্তানি সেনা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে, আন্তর্জাতিক আদালতে যায় ভারত।
0 notes
Text
ভারতে মন্দিরে আটকে রেখে দুই নারীকে ধর্ষণ প্রধান পুরোহিতের!
ভারতে মন্দিরে আটকে রেখে দুই নারীকে ধর্ষণ প্রধান পুরোহিতের!
চারদিকে চলছে করোনা আতঙ্ক। ভারতেও ছড়িয়েছে এই মারণ ভাইরাস। মহামারির এই দুঃসময়ের মধ্যেও দেশটিতে ধর্ষণ যেন থেমে নেই। গতকালই দুই মেয়েকে ধর্ষেণের অভিযোগ পাওয়া যায় এক পাষণ্ড বাবার বিরুদ্ধে। আর এবার জানা গেল মন্দিরে আটকে রেখে দুই নারীকে লাগাতার ধর্ষণের খবর। এই ঘটনায় এক পুরোহিতসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের অমৃতসরে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত ওই দুই নারী…
View On WordPress
0 notes
Text
অমাবস্যায় চাঁদের উদয় দেখছেন লালহলুদ কোচ মারিও
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/east-bengal-east-bengal-vs-punjab-fc-match-preview-new-recruitment/
অমাবস্যায় চাঁদের উদয় দেখছেন লালহলুদ কোচ মারিও
নিজস্ব সংবাদদাতা: কল্যাণী স্টেডিয়ামে আজ বিকেল পাঁচটায় আইলিগের দশম স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গল নামছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে। আজ কোচ মারিওর স্বদেশী রক্ষণ কীভাবে পাঞ্জাব এফসি-র বিদেশি আক্রমণকে সামলায় সেটাও দেখার। তবে লালহলুদ আজ আক্রমণে রাখছে ক্রোমা আর মার্কোসকে। লালহলুদের এই দ্বিফলা কতটা ভাঙতে পারবে পাঞ্জাবের শক্তপোক্ত রক্ষণভাগকে? এ-প্রশ্ন লালহলুদের অনেকের কাছেই। পাঞ্জাবের মাঝমাঠে রয়েছেন লোবো, সঞ্জু প্রধান, থৈবা সিংয়ের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার। শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলে অমাবস্যার অন্ধকার। তারই মধ্যে চাঁদের উদয় দেখছেন কোচ মারিও। তিনি দুই উইং দিয়ে আক্রমণ শানাতে চাইছেন কোলাডো আর হুয়ান মেরাকে দিয়ে। অতীতে লালহলুদ একাধিকবার খাদের ধার থেকে এসে উঠে দাঁড়িয়েছে। তবে সেসব ইতিহাসে লালহলুদ সমর্থকেরা বোধহয় আর আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই হয়তো কুড়িটিরও কম টিকিট বিক্রি হয়েছে গতকাল পর্যন্ত। আসলে লালহলুদ সমর্থকেরা নিজের দলের হার আর দেখতে চাইছেন না। তবে দুই প্রধান শক্তি তো তাদের সমর্থকেরা। এইসব ডামাডোলের মধ্যেই ২০১৮-তে বেঙ্গালুরুর হয়ে আইএসএল খেলা স্পেনীয় ডিফেন্ডার ভিক্টর পেরেজ অলেন্সাকে সই করাবে বলে ঠিক করেছে। কিন্তু তার আগে মার্তি ক্রেসপিকে রিলিজ দিতে হবে। সূত্রের খবর, ওদিকে নাকি ক্রেসপি রিলিজ নিতে চাইছেন না। রিলিজ নিতে পারেন মে পর্যন্ত পাওনাগন্ডা মিটিয়ে দিতে হবে। নইলে ফিফা পর্যন্ত যাবেন বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন ক্রেসপি। জানা গেছে, ক্রেসপি নাকি বলেছেন, সেকেন্ড উইন্ডোর আগে রিলিজ করলে, তিনি ক্লাবে সই করতে পারতেন। এখন দেখার, বিকেল পাঁচটায় খেলা শুরুর আগে লালহলুদের সমর্থকেরা গ্যালারি ভরান কিনা।
আরও পড়ুন: ছাঁটাই হলেও দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস করলেন ক্রেসপি
0 notes
Text
দিল্লিতে AAP-এর রেকর্ড তাদের পাঞ্জাব জিততে সাহায্য করেছে: NCP-এর শরদ পাওয়ার
দিল্লিতে AAP-এর রেকর্ড তাদের পাঞ্জাব জিততে সাহায্য করেছে: NCP-এর শরদ পাওয়ার
পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসের জন্য একটি “ধাক্কা” যেখানে আম আদমি পার্টি দিল্লিতে তার সর���ারের পারফরম্যান্সের কারণে উপকৃত হয়েছিল, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এখানে বলেছেন…. Source by [author_name]
View On WordPress
0 notes
Text
হাফিজ সাঈদের গ্রেফতারে ট্রাম্পের টুইট
হাফিজ সাঈদের গ্রেফতারে ট্রাম্পের টুইট
আগাম বার্তা: পাকিস্তানের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও লস্করে তৈয়্যবা ও জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান মৌলানা হাফিজ সাইদকে গ্রেফতার করল পাক প্রশাসন। গ্রেফতারের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার লাহোর থেকে গুজরানওয়ালা যাওয়ার পথে পাঞ্জাব প্রদেশের কাউন্টার টেররিজম স্কোয়াড তাকে গ্রেফতার করে বলে পাকিস্তানের শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর দিয়েছে।
পাঞ্জাবের সন্ত্রাস দমন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জামিন…
View On WordPress
#Betar#Business#business news#Culture#current News#dhaka#Dhaka News#Education#Family#Foreign Education#garments#Health#Higher Education#hollywood Politics#ICT#IT#lifestyle News#Media#national news#Portal Site#radio#relationship#sports#textile#TV#world news
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/93399
সাকিবকে যেসব প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতীয় জুয়াড়ি দীপক আগারওয়াল
.
তিন অভিযোগে অভিযুক্ত সাকিব আল হাসান। তিনবারই তাকে একই ক্রিকেট জুয়াড়ি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আইসিসি সেই ক্রিকেট জুয়াড়ির নাম জানিয়েছে দীপক আগারওয়াল। ভারতীয় এই ক্রিকেট জুয়াড়ি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) এর কালো তালিকাভুক্ত। তাই তার ফোন কল রেকর্ড থেকে শুরু করে চালচলন, তার থাকা-খাওয়া সবকিছু সম্পর্কে বেশ ভালই খোঁজখবর রাখছিল আকসু।
এই চিহ্নিত ক্রিকেট জুয়াড়ি ২০১৮ সালে তিনবার সাকিবকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। সাকিব যদিও তিনবারই সেই প্রস্তাব বাতিল করে দেন। কিন্তু আইসিসিকে সেই বিষয়ে তিনি কিছুই জানাননি। এমনকি আকসু যখন তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিল তখন তিনি সবকিছু অস্বীকার করেন। কিন্তু তার ফোন কল লিস্ট চেক করে আকসু পুরো ঘটনার সত্যতা তার সামনে ফাঁস করে দেয়। তখন সাকিবের সেটা স্বীকার না করে উপায় ছিল না। কিন্তু ততক্ষণে যে বড় ভুল হয়ে গেছে!
এই জুয়াড়ি তার অপকর্মের জন্য আটকও হয়েছেন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ভারতের রায়গড় শহর থেকে আরও দুই জুয়াড়িসহ আটক হয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে আটককৃতদের কাছ থেকে জুয়ার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়।
তখন ভারতের আইনশ��ঙ্খলা বাহিনী জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্��িতে ছত্তিসগড়ের পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে জুয়াড়ি চক্রের প্রধান দীপক আগারওয়াল ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
ওই সময়ে তাদের কাছ থেকে জুয়ার কাজে ব্যবহৃত তিনটি ল্যাপটপ, বেশ কয়েকটি মোবাইল ও ৮০ হাজার রূপি জব্দ করে পুলিশ। তবে জেল থেকে বেরিয়ে থেমে থাকেননি তিনি। চালিয়ে যান জুয়া। তিনিই সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সাকিব তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও বিষয়টি গোপন রাখায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলো আইসিসি।
আইসিসি চলতি বছর ২৩ জানুয়ারি এবং ২৭ আগস্ট দু’দফায় বাংলাদেশে এসে সাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এই জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব আল হাসানের সামনে এমন কিছু অকাট্য প্রমাণ আকসু হাজির করে যে সাকিবের সেটা অস্বীকার করার কোনও উপায়ই ছিল না। সাকিব মেনে নেন জুয়াড়ি দীপক আগারওয়াল তাকে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটা তিনি আইসিসিকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এটা যে বড় একটা ভুল এবং আকসুর বিধি-বিধানের চরম লঙ্ঘন তাও সাকিব মেনে নেন। ক্রিকেট জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালের সঙ্গে একবার নয়, বেশ কয়েকবার সাকিবের টেলিফোনে কথা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হোয়াইটসঅ্যাপে দুজনের মধ্যে অনেক তথ্য বিনিময় হয়েছে।
আইসিসি’র দুর্নীতি দমন কমিশনকে সাকিব যা নিশ্চিত করেন:
১. ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বিপিএলে ৪ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলেন সাকিব।
২. সাকিবের পরিচিত একজন ব্যক্তি আগারওয়াল নামের একজন জুয়াড়িকে সাকিবের নাম্বার দেয়।
৩. ২০১৭ এর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সাকিব আগারওয়ালের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান প্রদান করেন যেখানে আগারওয়াল তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলে।
৪. ২০১৮ এর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করা হয়। সেই সিরিজ চলাকালীন সময়ে সাকিব ও আগারওয়ালের মাঝে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সখ্যতা বাড়ে।
৫. ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি আগারওয়াল সাকিবকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ায় অভিনন্দন জানায়। তার পরের মেসেজেই বলেন, ‘আমরা কি এবার একসাথে কাজ করব নাকি আইপিএলের জন্য অপেক্ষা করব?’
৬. মেসেজের মাঝে থাকা ‘কাজ’ শব্দটা আগারওয়ালের পক্ষ থেকে সাকিবের জন্য দেওয়া একটা রেফারেন্স হিসেবে দেখা হয় যার বিষয়ে আকসুকে সাকিব কিছু জানায় নি।
৭. ২০১৮ এর ২৩ জানুয়ারি সাকিব আগারওয়ালের কাছ থেকে আরও একটি মেসেজ পায় যেখানে লেখা ছিল ‘ভাই আমরা কি এই সিরিজে কাজ করব?’
৮. সাকিব নিশ্চিত করে বলে যে এই মেসেজটি সেই ত্রিদেশীয় সিরিজের বিষয়ে আগারওয়ালকে জানানোর জন্য বলা হয়।
৯. সাকিব এই মেসেজের বিষয়টিও আকসুর কাছে জানায়নি।
১০. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সাকিব সানরাইজারস হায়দ্রাবাদের পক্ষে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলে।
১১. সেই ম্যাচ চলাকালীন সময়েও আগারওয়ালের কাছ থেকে সাকিব হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পায় যেখানে একজন সুনির্দিষ্ট খেলোয়াড় খেলবে কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল একই সঙ্গে ভেতরের তথ্যও।
১২. পরবর্তীতেও সাকিবের সঙ্গে আগারওয়ালের কথাবার্তা চলতে থাকে। আগারওয়াল সাকিবের বিটকয়েন, ডলার একাউন্টের বিস্তারিত জানাতে বলে। এই সময়ে সাকিব আগারওয়ালের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে যেখানে একটা শব্দ লেখা ছিল ‘প্রথম’।
১৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিলের কিছু ডিলিট করা মেসেজ দেখা যায় যেখানে সাকিব নিশ্চিত করে সেগুলো আগারওয়ালের মেসেজ ছিল দলীয় তথ্য দেওয়ার বিষয়ে।
১৪. সাকিব নিশ্চিত করে যে আগারওয়ালের বিষয়ে সে কিছুটা প্রতারিত বোধ করে নিজেকে এবং বুঝতে পারে যে সে একজন বুকি।
১৫. উপরের কোনো বিষয়ে সাকিব আকসুকে জানায় নি।
১৬. সাকিব আগারওয়ালের কাছে কোনো তথ্য না দেওয়ার বিষয়টিও জানায়। একই সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন না থাকার কথাও জানায়। একই সঙ্গে সে এই বিষয়গুলো আকসুর কাছে না জানানোর কথাও জানায়।
এসব বিষয়ে তথ্য প্রমাণ মেলায় সাকিবের ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। তবে আকসুর কাছে এ সকল দোষ স্বীকার করায় সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে।
0 notes
Text
দুই তারার ঝিকিমিকি
সোপান কর্মকার- নিজের পদবীর মর্যাদা রেখে সোপান যাকে বলে 'হও কর্মেতে বীর' টাইপের - বিদ্যায়, বুদ্ধিতে ওই যাকে বলে 'সরস্বতীর বরপুত্র'। 'ভালো ছাত্র' বলে চিরকাল-ই একটা সুনাম ছিল সোপানের। সেই 'ভালো ছাত্রের' তকমা আজ সোপানের প্রধান অন্তরায়। বছর দুই আগে কলকাতার একটি নামকরা কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে সোপান আপাতত বেকার। কারোর অধীনে চাকর হওয়ার 'স্বাধীনতা' (মোদ্দা কোথায় 'চাকরি') না পেলে আশেপাশের পৃথিবীটা যে এতটা বদলে যেতে পারে সেটা বোঝার জন্য এই দুটো বছর সোপানের কাছে যথেষ্ট। বন্ধু বান্ধবদের কিছু 'সোজা সাপটা মন্তব্য', কলেজের স্যার-দের টুকটাক 'বাঁকানো মন্তব্য' আর বাড়ির লোকেদের 'আপাত সাবধানী কিন্তু ঠেস যুক্ত মন্তব্য' শুনতে শুনতে সোপান সত্যিই এখন 'মেকানিক্যাল' ('ইঞ্জিনিয়ার না 'মানুষ', সেটা মাঝে মাঝে গুলিয়ে যায়')। আপাতত সোপান চলেছে লুধিয়ানা। একটি কোম্পানি-র কন্ট্রাক্ট এর কাজের ইন্টারভিউ। ইন্টারনেট-এর জব সাইট থেকে থেকে কোম্পানিই সোপানকে ফোন করে। সোপান না বলতে গিয়েও পারেনি। কলকাতা থেকে পাঞ্জাবের পথেই নাকি সুভাষচন্দ্র পালিয়েছিলেন......স্বাধীনতার তাগিদে। আজ সোপানও যে পালাচ্ছে কলকাতা ছেড়ে - 'কিছুটা পরাধীনতার দায়েই......... চাকর যে তাকে হতেই হবে।'
পথিকৃৎ চক্রবর্তী - বাংলা আধুনিক সাহিত্যের খ্যাতনামা লেখক। বয়স আনুমানিক পঞ্চাশের ওপরে। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকখানি ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাসের স্রস্টা। প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে উনি কিশোরদের কাছেই বেশি প্রিয় - ওনার ক্রাইম থ্রিলার বইগুলোর জন্য। ওনার সৃষ্ট চরিত্র 'ইন্সপেক্টর সাত্যকি বোস' গত কয়েক বছরে বাংলার কিশোর মহলে যাকে বলে 'হটকেক'। সাত্যকি বোস-- শবর নন ... ফেলুদা বা ব্যোমকেশ তো নন-ই। বরং ওনার সাত্যকি খানিকটা 'সলমন খান' খ্যাত 'চুলবুল পাণ্ডে', কিছুটা 'নবাব' খ্যাত 'রঞ্জিত মল্লিক' আর কিছুটা 'ক্যাপ্টেন আমেরিকার' সংমিশ্রণ। পথিকৃৎ চক্রবর্তীর পদবীটি আসল হলেও 'পথিকৃৎ' নামটি কিন্তু ছদ্মনাম। মানুষ হিসেবে পথিকৃৎবাবু ওই সাত্যকি বোসের ঠিক উল্টো। চিরকালীন প্রচার বিমুখ, স্বল্পভাষী আর ঘরোয়া টাইপের মানুষ। ফি সপ্তাহে দু-তিন বার বাজারে আর ফি মাসে এক বার সম্পাদকের অফিসে, ব্যস এটুকুই। বইমেলাতে নিজের বইয়ের উদ্বোধনে সর্ব সাকুল্যে গেছেন তিন বার - ছিলেন ঘড়ি ধরে মিনিট কুড়ি। ইন ফ্যাক্ট ওনার বইতে নিজের কোনও ছবিও উনি দেন না, বলেন - 'আমি কিরকম দেখতে তার সাথে বই এর কি সম্পর্ক?' গেল রোববারে আনন্দবাজারের পাতায় তাঁর ওপর একটি লেখাতে জানা যায় যে নামকরা প্রযোজক সংস্থা খুব শিগগির এই সাত্যকি বোসকে রুপোলী পরদাতে পেড়ে ফেলতে চায়। তবে পথিকৃৎ বাবু ঘোর আপত্তি জানিয়ে মন্তব্য করেন 'মানিকবাবু হলে না হয় কথা ছিল, কিন্তু এসব খুচরো ব্যাবসায়ী-দের কাছে উনি ওনার চরিত্রগুলিকে বিক্রি করবেন না।' সংবাদপত্র এও জানিয়েছে যে এহেন মানুষটি গত চার বছর আগে স্ত্রী গত হওয়ার পর থেকে অন্ত্র নালীর সমস্যায় ভুগছেন , তাই স্বাভাবিক কারণে লেখার গতি কম এবং সম্পাদকদের তাড়া বেশি। সামনের পুজোতে ওনার তিনটে লেখা বেরোনোর কথা...... যার একটিও এখনও শেষ হয়নি। ভেবেছেন কোথাও একটা নির্ভেজাল মাসখানেকের অজ্ঞাতবাসে গিয়ে লেখা গুলো শেষ করবেন।
*********
অমৃতসর মেল হাওড়া ছেড়েছে প্রায় ঘণ্টাখানেক। স্লিপার ক্লাসের একটি সাইড লোয়ার বার্থে আধশোয়া অবস্থায় জানলার বাইরে 'গতিমান' ট্রেন লাইনগুলোকে দেখছিল সোপান। প্রতি মুহূর্তে অনেক কিছু কেমন যেন পিছিয়ে যাচ্ছে...। খুব রাগ হচ্ছিল ওর নিজের শহরটার ওপর। এত বড় শহরটা সোপানকে আটকে রাখার একটাও কারণ খুঁজে পেল না। চেষ্টার তো কোনও ত্রুটি রাখেনি সে। জানলা থেকে মুখ ফেরাল সোপান। উলটোদিকের ছটা বার্থে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে আট জনের এক অবাঙালী পরিবার......নিজেদের মধ্যে গল্পে মসগুল...... মনে হয় বেড়াতে যাচ্ছে। সোপানের আপার বার্থ খালি ...। সামনের কোনও স্টেশন থেকে লোক উঠবে বোধহয়। ব্যাগ হাতড়ে সমরেশ মজুমদারের 'বৃষ্টিতে ভেজার বয়স' বইটা বার করে একটা ভাঁজ করা জায়গা থেকে পড়তে শুরু করল। বইটা ��োপানের আহামরি কিছু প্রিয় বই নয়। তাড়াহুড়োতে এই বইটাই হাতের কাছে পেয়ে ঢুকিয়ে নিয়েছে। তাই বিরক্তিতে হোক বা ক্লান্তিতে, দু তিন পাতা পড়ার পরই ঘুমিয়ে পড়ল সোপান ।
বই পড়া সোপানের একমাত্র নেশা। মাজে মধ্যে দু এক পিস সিগারেট অবিশ্যি খায় সে তবে 'বই' তার কাছে 'ন্যাওটামির শেষ কথা।' বিখ্যাত, কুখ্যাত, উঠতি, পরতি, ঝরতি -- কারোর বইই বাদ দেয় না সে। এব্যাপারে তার 'লাইব্রেরী' হল পাড়ার রাতুলদা আর মাঝে মধ্যে কলেজ স্ট্রিট......... বইপাড়ার ওই প্লাস্টিক বিছনো পুরনো বই -- সোপানের ভাষায় 'কলকাতার বসন্ত গলি'। এ হেন সোপানকে ওই রাতুলদাই দিয়েছিল একটা বই, সে প্রায় বছর পাঁচেক আগে -- নাম 'ইস্কাপনের গোলাম' , লেখক - পথিকৃৎ চক্রবর্তী। মোটামুটি দেড় দিনে বইটা শেষ করে সোপান বুঝেছিল এ হল গিয়ে বাংলা সাহিত্যের বিশ্বায়ন। লাল বাজারের একজন বাঙ্গালি ইন্সপেক্টর সেখানে মার্ডার মিস্ট্রি সল্ভ করতে গিয়ে একবালপুর থেকে সিঙ্গাপুর ছুটছে, মার্ডার মিস্ট্রির সাথে মিশেছে সাইবার ক্রাইম --- সে এক রমরমা ব্যপার, তবে শেষ অবধি সেই 'ওই থোর বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোর'। তারপরেও ওই লেখকের আরও দুটো বই পড়েছে সোপান --- কিছুটা রাতুলদার কল্যাণেই। রাতুলদা যে ওই 'ইন্সপেক্টর সাত্যকি বোস' এর জম্পেশ ফ্যান। সোপান বুঝেছিল যে চক্রবর্তীবাবু অনেক বিখ্যাত লেখকদেরদের ক্রাইম থ্রিলারগুলোকে নিয়ে বেশ একটা 'সিনেমাটিক ঝালমুড়ি' বানিয়েছেন। পড়তে খারাপ না লাগলেও তারপরে প্রায় বছর তিনেক হয়ে গেল বসন্ত গলিতে গিয়ে চক্রবর্তীবাবুর কোনও বইয়ের খোঁজ আর করেনি সোপান।
'এই যে উঠুন ! 'লোয়ার বার্থটা আমার' ' -- পিঠের কাছে আলতো টোকায় ঘুম ভাঙল সোপানের। ঘুম চোখে তাকিয়ে বছর পঞ্চাশের এক ভদ্রলোককে দেখল সোপান। ঝুফো গোঁফ, ব্যাকব্রাশ করা কাঁচা পাকা চুল, চোখে চশমা, পিঠে ঝোলা ব্যাগ, হাতে একটি সুটকেস।
সরি... বলে পা গুটিয়ে বসল সোপান। সুটকেসটিকে সিটের তলায় চালান করে দিয়ে ভদ্রলোক বসলেন উলটোদিকে।
'ট্রেন কি লেটে ছেড়েছে?'
সোপান বুঝল প্রশ্নটি তাকেই করা হয়েছে। সংক্ষেপে উত্তর দিল 'হ্যাঁ... আধঘণ্টা'।
'আরও ঝোলাবে। এই লাইনের এটাই সমস্যা।' -- ভদ্রলোক বললেন।
ট্রেন আসানসোল স্টেশন না পেরোতেই ভদ্রলোক স্লিপার টিপার বার করে, বাথরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে এলেন। বেশ জুত হয়ে বসে কাঁধের ঝোলা ব্যাগটার থেকে এ��টা খাতা বের করে নোট করার ভঙ্গিতে সোজাসুজি প্রশ্ন করলেন সোপানের দিকে - 'কদ্দুর যাবেন?'
একটু থতমত খেয়ে সোপান বললও - 'মানে? ও মানে লুধিয়ানা...।'
'ওরেব্বাস! বাঙ্গালির পাঞ্জাব ভ্রমণ। আমি যাচ্ছি লখনউ। নবাব ওয়াজিদ আলী শাহের জরুরি তলব...... হা হা'।
'তা আপনি কি বেড়াতে? তা লুধিয়ানা আবার ভ্রমণ স্থল হল কবে থেকে?'
সোপানের বিরক্তিটা বাড়ছিলো। কাঁচা ঘুম থেকে ডেকে তূলে এরকম বাজে প্রশ্নের উত্তর দিতে একেবারেই ভালো লাগছিলো না ওর।' অনিচ্ছাসত্ত্বে বলল 'চাকরীর ইন্টারভিউ আছে।'
'বাব্বা...... কোলকাতায় চাকরী কি কম পড়িয়াছে, যে মহাশয়কে পাঞ্জাব পাড়ি দিতে হচ্ছে'?
ঘি পড়লো আগুনে।
দপ করে জ্বলে উঠলো সোপান -- 'না কম পড়েনি, ঢেলে রাস্তায় বিকোচ্ছে, আসলে কি জানেন...... আমার কলকাতার রাস্তাঘাট ভালো চেনা নেই তো, তাই খুঁজে পাচ্ছি না' -- এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে থামল সোপান।
'এই রে। মহাশয় কি রেগে গেলেন?'
'দেখুন আমার শরীরটা খারাপ। আমাকে একটু চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে দেবেন প্লিজ। অবিশ্যি আপনার আপত্তি থাকলে আমি ওপরের বার্থে চলে যেতে পারি' -- সোপান বলল।
'আহা তা কেন... তা কেন...! আপনি এখানেই বসুন। আমাদের পরিচয়পর্বটা না হয় কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত থাক। আপনি আছেন... আমিও আছি......। ট্রেন থেকে আর কোথায় যাব...... হে হে!।
মিনিট পাঁচেক ওখানেই বসে থেকে, সোপান ওপরের বার্থে উঠে গিয়ে শুয়ে পড়ল। ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে আটটা।
**************
সোপানের ঘুম যখন ভাঙল তখন ঘড়িতে দশটা পঁয়ত্রিশ। বেশ খিদে পেয়েছে। বাথরুমে গিয়ে মুখে চোখে জল দিয়ে আবার ওপরের বার্থে উঠে গেল সোপান। ব্যাগ থেকে টিফিন বক্স খুলে রাতের খাবার খেয়ে আবার একবার নীচে নামল সে। নীচের বার্থের ভদ্রলোককে কিছুটা উপেক্ষা করেই বাথরুম থেকে ঘুরে এসে ওপরের বার্থে ওঠার সময় মনে পড়ল সমরেশ মজুমদারের বইটার কথা -- যেটা নীচের বার্থেই থাকার কথা। ভদ্রলোক শুয়ে পরেছেন দেখে আর ঘাঁটাল না। উঠে গিয়ে আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ল বটে, কিন্তু অন্ধকার কামরার ওই 'নীল নির্জনে' পরিবেশেও সোপানের ঘুম আসছিল না। কিছুক্ষণ মোবাইল খুলে ঘাঁটাঘাঁটি করে বুঝল যে টাওয়ারের অবস্থা সঙ্গিন। ফেসবুকের পুরনো পোষ্টগুলো ঘাঁটতে ঘাঁটতে একজায়গায় সোপানের দুপুরের বিরক্তিটা তিনগুণ বেড়ে গেল। পোষ্টটি সোপানের কলেজের জনৈক বন্ধু শ্রীমান অনিন্দ্য সরকারের, যিনি বাঙ্গালোরে একটি কোম্পানিতে চাকরি প্রাপ্তি-র খবর ফলাও করে পোস্টিত করেছেন এবং তাতে অভিনন্দনের বন্যা বয়ে গেছে। অনিন্দ্যর সেমেস্টার প্রতি কমপক্ষে দুটি ব্যাক পেপার থাকতো যা সে কোনক্রমে ক্লিয়ার করে ফাইনাল সেমেস্টার-এ। অন্যদিকে সোপান সবমিলিয়ে ওদের ব্যাচের মধ্যে নবম স্থানে ছিল। লুধিয়ানার চাকরিটা আর একবার থাবা বসাল সোপানের মাথায়। 'চাকরিটা তাকে পেতেই হবে'। বুকের মধ্যের ধুকপুকানিটা টের পেল সে। চাকরিটা যদি না হয় তাহলে...? আবার সেই কলকাতায় ফেরা......আর একগুচ্ছ প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া। কামরার নীল আলো গুলো থাকা সত্ত্বেও অন্ধকারটা যেন বেশি লাগতে শুরু করল সোপানের।
কখন ঘুমিয়েছে সোপান তা জানে না। কিছু মানুষের হাঁক ডাকে ঘুমটা ভাঙল। ট্রেনটা থেমে আছে এবং কামরার প্রত্যেকটা আলোই তখন জ্��লছে। আর কিছু লোক উচ্চস্বরে কীসব নিয়ে আলোচনা করছে। উকি মেরে দেখল নীচের বার্থের ভদ্রলোক বসে জানলা দিয়ে বাইরে উঁকি দিচ্ছেন। ঘড়ি বলছে তিনটে বাজতে পাঁচ। নিচে নেমে এলো সোপান। নামতেই নীচের ভদ্রলোক বললেন - 'মনে হচ্ছে ইঞ্জিনটা গেছে। গত দেড় ঘণ্টা ধরে ট্রেনটা এখানেই দাঁড়িয়ে আছে।' বাইরে উঁকি ঝুঁকি মেরে কিছুই বোঝা গেল না।
'কি কাণ্ড... বলুন তো? এখন এই রাতদুপুরে কতক্ষণে ইঞ্জিন আসবে কে জানে?' শুধলেন ভদ্রলোক।
সোপান কোনও উত্তর না দিয়ে উঠে পড়ল টি টি বাবুর সন্ধানে। মিনিট দশেক খোঁজার পর টিটিবাবুর থেকে যা জানা গেল তা সংক্ষেপে হল এই যে 'ট্রেন বক্তিয়ারপুর আর ফাতা নামে কোনও স্টেশনের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। পাটনা জংশনে খবর পাঠানো হয়েছে। ইঞ্জিন আসতে ভোর হয়ে যাবে।' ফিরে এসে ভদ্রলোককে খবরটা দিল সোপান। নীচেই বসল... ওপরে বেশ গরম আর ভদ্রলোক ঘুমোবেন বলে তো মনে হচ্ছে না।
'এই নিন, এটা মনে হয় আপনার?' ভদ্রলোকের হাতে সমরেশের বইটা।
'ওহ থ্যাংকস'
'পড়েছেন বইটা? কেমন লাগলো?' --শুধলেন ভদ্রলোক।
'পুরোটা পড়িনি, যতটা পড়েছি তাতে তো খুব একটা আহামরি মনে হচ্ছে না। -- সোপানের উত্তর।
'পুরোটা পড়ুন । সমরেশদার বই বলে কথা। আমার পড়া বইটা। বেশ ভালো। -- ভদ্রলোক বললেন।
'সমরেশদা?' -- শুনে থমকাল সোপান। এমন ভাবে বলছে যেন পাড়ার দাদা। যতসব আঁতলামি আর কি। সত্যজিৎ রায় কে অনেকে আবার 'মানিকদা' বলে --- বিশেষ করে কিছু আঁতেল সিনেমা পরিচালকেরা। শুনলে গা জ্বলে যায় সোপানের। আর সমরেশবাবুর বই বলেই কি ভালো বলতে হবে নাকি। ভালো লাগা তো ব্যক্তিগত ব্যাপার। মনে মনে ভাবল 'চেপে ধরবে নাকি ভদ্রলোককে...... দেখা যাক কত বই উনি পড়েছেন' ......
ভদ্রলোক বলেই চলেছেন --- 'আর শুধু সমরেশদাই কেন...... সুনীল থেকে ষষ্টিপদ বা শরদিন্দু থেকে সত্যজিৎ ----- কাকে ছেড়ে কার কথা বলি? বাংলা ভাষা তো ক্রাইম থ্রিলারের পীঠস্থান।'
'আলবাত...। তবে যাদের নাম আপনি করলেন কেবল তাদেরকে দিয়ে বা��লা ভাষার ক্রাইম থ্রিলার বিচার করলে কিন্তু ভুল হবে। আপনি ঠিক ই বলেছেন ---- বাংলা ভাষায় সমরেশবাবুর মতো ক্রাইম থ্রিলার আর কজন লিখেছেন? তার মানে এই নয় যে আমি ব্যোমকেশ, কাকাবাবু, ফেলুদা, ঋজুদা, কিরীটী পড়ি না। পড়ি এবং ভীষণ ভাবেই পড়ি। আপনিও মনে হচ্ছে ক্রাইম থ্রিলার বেশ পড়েন। আচ্ছা বাংলা ভাষায় মৌলিক গোয়েন্দা গল্পের জনক কাকে বলা যেতে পারে বলুন তো !'-- সোপান উত্তেজিত।
'শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চয়ই' --- ভদ্রলোক শুধলেন।
'না স্যার। শরদিন্দুবাবু 'সত্যান্বেষী' লেখেন ১৯৩৩-৩৪ এ। আর আমি বলছি ১৮৯১-সালের প্রিয়নাথ মজুমদারের কথা...... যিনি প্রায় ২০০-টির ও বেশি কিস্তিতে লেখেন 'দারোগার দপ্তর'। এছাড়াও তার পরের ২০-৩০ বছরে দীনেন্দ্র কুমার রায়ের 'অজয় সিংহের কুঠি', কালীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়ের 'বাকাউল্লার দপ্তর' কিম্বা পাঁচকড়ি দে........ আর কত বলব। ব্রিটিশ শাসিত বাংলায় বিভিন্ন মাসিক পত্রিকায় রোমান্স-অ্যাডভেঞ্চার-ক্রাইম সবকিছুর ককটেল বানিয়ে রীতিমতো সিরিজ করে বেরত সেসব গল্পগুলো...... অবশ্যই বাংলা ভাষায়।' ---- থেমে থেমে বলল সোপান।
কয়েক সেকেন্ড বিরতির পর ভদ্রলোক গলা খাকড়িয়ে উত্তর দিলেন - 'ও বাবা, তুমি থুড়ি আপনি তো দেখছি ক্রাইম থ্রিলার অমনিবাস।'
'তুমি টাই থাকুক না...। আপনি তো আমার থেকে বেশ অনেকটাই বড়' --- ঈষৎ খোঁচা সোপানের।
'বেশ বেশ । তা এত পড়া হয় কখন? আজকাল তো শুনি সবাই খুব ব্যস্ত...... বই পড়ার সময় নেই। ই-বুক না কি ওসব ডাউনলোড করে রাখে কিন্তু পড়ে না......।" ---- খোঁচাটা বেমালুম হজম করে গেলেন ভদ্রলোক।
'দেখুন মশাই, বই পড়ার জন্য সময়... ইচ্ছে থাকলেই বেরিয়ে আসে। আর আমার কথাই যদি বলেন... মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছি বছর দু আগে। আর এই দু বছর ধরে বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে চাকরি খুঁজছি। কলকাতায় একটা অফার পেয়েছি তাও পাঞ্জাব যাচ্ছি জাস্ট একবার বাজিয়ে দেখতে যে ওরা কত স্যালারি অফার করে' ---- অনেকদিন বাদে এভাবে উত্তর দিতে পেরে সোপানের বেশ ভালো লাগছিল। উত্তেজনার বশে কয়েকটা মিথ্যে কথা গুলোও বেশ জোরের সঙ্গেই বলল সে।
'বাঃ বাঃ খুব ভালো। পড় পড় আরও পড়। তা হালের নতুন লেখকদের লেখাও পড় নিশ্চয়ই।' --- ভদ্রলোকের গলায় ঔৎসুক্য।
'হ্যাঁ ... তাও পড়ি। আর হালের লেখকদের কথাই যদি বলেন, তাহলে বলি ওই দু একজন ছাড়া সবাই সেই 'ওই থোর বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোর'। সে আপনি সুবিনয় বসাক বলুন বা সংযুক্তা মুখোপাধ্যায় বলুন বা পথিকৃৎ চক্রবর্তী? ঝালমুড়ি মশাই ঝালমুড়ি'।
'অ্যাঁ... বল কি হে!' -- ভদ্রলোক চমকালেন।
'তা নয়ত কি? তার মধ্যে এই পথিকৃৎ চক্রবর্তী মহাশয় তো আবার এক কাঠি ওপরে...। ওনার মূল চরিত্র, কি যেন এক ইন্সপেক্টর, সে তো তো আবার হিন্দি ফিল্মের নায়কদের আদলে তৈরি। ভাবা যায়...। মুখরোচক করতে গিয়ে কি না করছেন কে জানে...'। এর চেয়ে লালমোহন বাবু ঢের গুনে ভালো ছিলেন।'
আলোচনা জমে উঠেছিল। ছেদ পড়ল একটা ঝাঁকুনিতে। ইঞ্জিন লেগেছে। এবার বুঝি ছাড়বে ট্রেন। সোপান আর কথা না বাড়িয়ে ভদ্রলোককে বলল 'ঘুমিয়ে পড়ুন, সকালে কথা হবে'। আর মনে মনে ভাবল 'যা দিয়েছি ওনাকে আর বিরক্ত করার সাহস দেখাবেন বলে তো মনে হয় না।'
ট্রেন ছাড়ল। যুদ্ধ জয়ের তৃপ্তি নিয়ে ঘুমোতে গেল সোপান। ঘড়িতে তখন প্রায় পৌনে পাঁচটা।
**************
রাত্রে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখল সোপান। সে দেখল যে সে কলেজ স্ট্রিটের রাস্তায়। মেডিকেল কলেজের দিকের ফুটপাথে রাতুলদা বসে আছে প্লাস্টিক বিছিয়ে আর হাঁক দিচ্ছে 'চাকরি নিয়ে যান চাকরি...... নতুন চাকরি জলে দরে...... মাত্র একশো টাকা...।' সেই দেখে একদল লোক ছুট লাগাল রাতুলদার দিকে। সোপানও ছুটতে চাইল কিন্তু কিছু পাগড়ি পরা শিখ লোক তাকে শক্ত করে ধরে বলছে 'চল বেটা লুধিয়ানা... বল্লে বল্লে'। সোপানের মরিয়া চিৎকারে কেউ কান দিচ্ছে না। আস্তে আস্তে রাতুলদার থেকে সবাই 'চাকরি' কিনে চলে গেল... দাঁড়িয়ে রইল সোপান একা। কে বা কারা যেন সেই ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে আর তাতে একগুচ্ছ স্মাইলি সহ কমেন্ট পড়েছে ' R.I.P সোপান কর্মকার' এবং সেই লিস্টে প্রথম কমেন্টটাই শ্রীমান অনিন্দ্য সরকারের'।
ঘাম দিয়ে ঘুম ভাঙল সোপানের। কামরায় তখন চা-ওয়ালাদের বিস্তর হাঁক ডাক। ধড়মড় করে উঠে বসল সে। ঘড়িতে তখন প্রায় সওয়া ন টা। কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থেকে আস্তে আস্তে নীচে নামল। বাথরুমে গিয়ে চোখে মুখে জলের ঝাপটা দেওয়াতে অসোয়াস্তিটা কিছুটা কাটল। এক কাপ চা কিনে দরজার সামনে দাঁড়িয়েই খেল সে। একগুচ্ছ লোকের ভিড় সেখানে। তাও সোপান ওখানেই দাঁড়িয়ে রইল, নিজের বার্থে আস্তে ইচ্ছে করছিল না তার। ট্রেন কোনও এক স্টেশনে ঢুকছে। নাম দেখল - দিলদারনগর জংশন। নামা ওঠার ভিড় কমলে স্টেশনে নামল সোপান। মনে পড়ল ওই নীচের বার্থের ভদ্রলোকের কথা। উনি কি নেমে গেলেন? ভাবতেই দরজার পাশে টাঙ্গানো রিসারভেশন চার্টটার দিকে নজর গেল সোপানের। দেখল ভদ্রলোকের নাম মিঃ এস চক্রবর্তী, বয়স ৫২ আর উনি নামবেন লখনউ। ট্রেন নড়ে উঠতেই ...... উঠে পড়ল সোপান। বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে যখন বার্থে ফিরল...... ততক্ষণে ওই ভদ্রলোক উঠে পড়েছেন। উলটোদিকের ওই বেড়াতে যাওয়া পরিবারের একজনের সাথে এক চা-ওয়ালার খুচরো নিয়ে অল্প বিস্তর কথা কাটাকাট�� চলছে। সোপান কে দেখেই ভদ্রলোক শুধলেন 'গুড মর্নিং, রাতে ঘুম হয়েছে? আপাতত ট্রেন চার ঘণ্টা লেট, মানে লখনউ ঢুকতে ঢুকতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে।' প্রত্যুত্তরে সোপান শুধু মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে নিজের বার্থে উঠে ওই সমরেশ বাবুর বইটা খুলে পড়তে সুরু করল। সম্বিত ফিরল ভদ্রলোকের ডাকে। 'এসো ব্রেকফাস্ট টা সেরে ফেলি।'
নিচে নেমে সোপান দেখে যে মিঃ চক্রবর্তী দু প্যাকেট খাবার নিয়ে বসে আছেন। ট্রেনের থেকে ��েনা ব্রেকফাস্ট......
লজ্জা পেয়ে সোপান বলল - 'আরে আপনি আবার এসব......।"
'কী বলছ...। কাল রাতে তোমার যা পড়াশুনো দেখলাম......ধরে নাও তাতে খুশি হয়ে প্রাইজ দিচ্ছি...... হা হা ! নাও শুরু কর। আর হ্যাঁ...... তোমার সাথে কিছু কথা আছে --- সেটাও একটা কারণ বইকি...। চলো ...। খেতে খেতে কথা বলা যাক'।
কথা না বাড়িয়ে প্যাকেটটা খুলল সোপান। খিদে তো পেয়েছে। বলল - 'বলুন কী কথা?'
এক টুকরো পাউরুটি মুখে চালান করে দিয়ে মিঃ চক্রবর্তী বললেন -- 'আমার নামটা তোমায় বলা হয়নি'। বেশ আগে তোমার নামটা শুনি তারপর আমারটা বলছি -----"
থামিয়ে দিয়ে সোপান বলল--- "আমার নাম সোপান কর্মকার। আর আপনার নামটা আমি জানি......... মিঃ এস চক্রবর্তী, বয়স ৫২।"
"ও বাবা তুমি কী গোয়েন্দা নাকি হে? কী করে জানলে ......! ওহ বুঝেছি......... রিসারভেশন চার্ট দেখেছ। তবে আমার ওই নামটা তোমার কাছে চেনা নয়। আমার যে নামটা তুমি চেন সেটা হল গিয়ে পি চক্রবর্তী... ওরফে পথিকৃৎ চক্রবর্তী। পথিকৃৎ আমার ছদ্মনাম...। আমার আসল নাম সুজিত চক্রবর্তী।'
অমলেটের টুকরোটা হাতেই ধরা রইলো সোপানের। নিজের কানকে সে বিশ্বাস করতে পারছে না। ............পথিকৃৎ চক্রবর্তী...... লোকটা বলে কী...।! না জেনেই সে কাল রাতে কত কিছু বলেছে ভদ্রলোকের নামে...। বই অনেক পড়েছে সোপান......। তবে সাহিত্যিক দের সাথে আলাপ প্রায় কোনদিন তার হয়নি। একবার বইমেলায় বুদ্ধদেব গুহ কে দেখেছিল সে......তাও ভিড়ের মধ্যে। এই রকম একজন বিখ্যাত সাহিত্যিকের সাথে বসে ডিম-পাউরুটি খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছে ----- ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি। রাতুলদার থেকে শুনেছিল .পথিকৃৎ চক্রবর্তী.র কথা, তার হট সেলিং বই গুলোর কথা।
সম্বিত ফিরল পথিকৃৎ বাবুর ডাকে। 'কি হল হে...। যাকে কাল রাতে গাল পারলে তাকে সামনে দেখে অস্বস্তি হচ্ছে?'।
'না মানে তা নয় ঠিক' --- সোপান থতমত।
'এবার তুমি আমাকে প্রশ্ন করতে পারো যে আমি তোমাকে আমার পরিচয় দিলাম কেন? এমনিতে আমি কোনও বইতে আমার ছবি দিই না। জানো নিশ্চয়ই। পরিচয় দিলাম...... কারণ পাঠক হিসেবে তোমার কতকগুলো কথা জানা দরকার। বা আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে 'আমার বলা দরকার'। আচ্ছা! আমার কটা বই পড়েছ তুমি?' -- চক্রবর্তীবাবু জিজ্ঞাসা করলেন।
'অ্যাঁ... মা��ে তিনটে...। মানে ওই 'ইস্কাপনের বিবি, জলের তলায় খুন ......... আর একটার নাম ভুলে গেছি --- অনেকদিন আগে পড়েছি ' সোপানের সাবধানী উত্তর।
'হা হা ... একটুকরো অমলেট মুখে ফেলে বললেন চক্রবর্তীবাবু - 'সবে তিনটে...... আর এই নিয়ে তুমি আমাকে তুলোধোনা করছ।' --- ভদ্রলোকের ঠোঁটের কোণায় হাসি।
কি একটা নাম না জানা স্টেশন পেরচ্ছে ট্রেনটা। প্রমাদ গুনল সোপান। এবার ভদ্রলোক কাল রাতের কথার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কিছু বলবেন। কেন ওনার গল্প গুলো লোকে এত পড়ে, সেই নিয়ে একগাদা কথা বলবেন। কি উত্তর দেবে সেটাই ভাবছিল সোপান...।!
ভদ্রলোকই বললেন -- 'আচ্ছা ঠিক কি ভালো লাগে না বল তো আমার লেখাতে? তুমি তো বেশ অনেককিছুই পড়েছ বলে মনে হচ্ছে।'
প্রথমে সোপান ভাবল একটু বিনয় করে ব্যাপারটা এড়িয়ে যাবে। কিন্তু কোথাও গিয়ে রাতের কনফিডেন্স তা ফিরে এলো। বলল - 'দেখুন আপনার লেখা যে একেবারেই পড়া যায় না তা কিন্তু আমি বলিনি। বেশ টাইট লেখা আপনার। দুটো ব্যাপার যা আমার মনে ধরে নি সেটা হল আপনার লেখার চরিত্র গুলো বেশ সিনেম্যাটিক...... '
'তাই? যেমন?' -- একটু যেন ঝাঁঝিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন ভদ্রলোক।
'এই যেমন ধরুন আপনার হিরো...কি যেন নাম... হ্যাঁ...সাত্যকি বোস...ওই ইস্কাপনের বিবি গল্পে একটা লারজার দেন লাইফ চরিত্র। সে কাসিনো তে গিয়ে গ্যাম্বলিং খেলতে পারে, মোটর সাইকেল থেকে লাফিয়ে গাড়িতে উঠতে পারে, আবার পাইপ খেতে খেতে কম্পিউটারে বসে প্রোগ্রাম ডিকোড করে, আবার মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্ব নিয়ে ঝাড়া লেকচার দেয়। পুরো হিন্দি সিনেমার হিরো...।' -- একটু থামল সোপান।
'বলে যাও' -- ভদ্রলোক চা এর ভাঁড়ে একটা চুমুক মেরে বললেন।
'তারপর ধরুন, সাত্যকির ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার, নামটা ভুলে গেছি...। তাকে দিয়ে ওরকম ভাঁড়ামি করার কোনও মানে হয়। কমিক রিলিফ দেবেন দিন ... তাই বলে এরকম? দেখুন অজিত বা লালমোহনের..... নিজ নিজ গল্পে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল...... সত্যজিৎ বা শরদিন্দু এদের কে মোটেই 'কমিক রিলিফ' করে ব্যবহার করেন নি। আসলে এদের চলচিত্রায়ন করতে গিয়েই......... '-- থামল সোপান কারণ ভদ্রলোক বলে উঠেছেন।
'না ঠিক তা নয়। সিনেমার প্রতি আমার আসক্তি চিরকালই কম। ইন ফ্যাক্ট আমি চাইও না যে আমার গল্প গুলো নিয়ে সিনেমা হোক। তবে কি জানো... টিভি আর ইন্টারনেটের যুগে লিখছি তো...... কিছুটা ইম্প্রোভাইসেশন তো দরকার। ছেলেমেয়েরা এমনিতেই তো বই পড়ে না। বেশ...... আর দ্বিতীয় কারণটা?'
''আপনার গল্প গুলোতে আপনি বেশ অনেক রিসেন্ট কনসেপ্ট ঢুকিয়েছেন যেমন ধরুন ওই সাইবার ক্রাইম, বেটিং, মুম্বাইয়ের আন্ডার ওয়ার্ল্ড, সাটেলাইট হ্যাকিং ইত্যাদি। মানে ��ই নীলকণ্ঠ মণি, রানির জড়োয়া হার বা সোনার গণেশ এই সব থেকে আপনার কনসেপ্ট বেশ আধুনিক - সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আপনার চরিত্র গুলো অনেক ক্ষেত্রেই আগে পড়া অনেক ক্রাইম থ্রিলারের চরিত্রর সাথে প্রচুর মিল। যেমন ধরুন 'ওই সাত্যকির যিনি বস...। তিনি তো পুরোমাত্রায় হেমেন মজুমদারের 'সুন্দরবাবু' --- সেই একই রকম খাই খাই বাতিক, টেনশন গ্রস্ত , মোটা ভুঁড়িওয়ালা......। কিমবা ধরুন আপনার ভিলেন মিঃ যোগী যার একটা চোখ পাথরের...তিনি তো সুনীল বাবুর 'আগুণ পাখির রহস্য' গল্পের টোবি দত্ত আর কর্নেল সমর চৌধুরীর মিশেল। আর আপনার যে গল্পের নামটা ভুলে গেছি সেখানে যতদূর মনে পড়ছে একটা চরিত্র যে একজন রিটায়ার্ড কর্নেল, যিনি সাত্যকির ফ্রেন্ড, ফিলোসাফর এন্ড গাইড ---- কি বলব তাকে 'বিমল বাবুর কিকিরা', নাকি কোণাণ ডোয়েলের 'মাইক্রফট' নাকি 'সত্যজিৎ রায়ের সিধুজ্যাঠা'? --- এক দমে কথা গুলো বলে হাঁপাচ্ছিল সোপান। চেয়ে দেখে ভদ্রলোকের ঠোঁটে মুচকি হাসি।
চা এর ভাঁড়টা জানলা দিয়ে বাইরে ফেলে, সোপানকে কিছুটা চমকে দিয়েই চক্রবর্তীবাবু বললেন -- "তোমার এই বক্ত্যবের সাথে আমি অনেকটার একমত। সত্যি বলতে আমার লেখা আমার নিজেরই পড়তে ইচ্ছে করে না। প্রথম প্রথম লিখে যে তৃপ্তিটা হতো সেটা বহুকাল যাবত পাইনা। তবে একটা নাম তো হয়েছে তার সাথে বেড়েছে প্রত্যাশা। প্রত্যেক গল্পে নতুন কিছু চাই...... সম্পাদক থেকে পাঠক সবার একই চাহিদা। এতো নতুন কোত্থেকে পাই বল তো? একটা গল্পের পেছনে যে আরও কতগুলো গল্প থাকে সেকথা কোনদিন ভেবে দেখেছ কি? এইটে শুধু জেনে রাখো যে ক্রাইম থ্রিলার আমার প্রিয়তম বিষয় নয়।'
মানে ? ---- কথা আটকে গেল সোপানের। লোকটা বলে কি???
'মানেটা বুঝতে গেলে যে তোমাকে আরও কয়েকটা জিনিস বুঝতে হবে। দেখো... আমার যখন তোমার মতো বয়স......মানে এই ধর ২৫-২৬...... '
ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালো সোপান।
'তখন আমার বাবার জোরাজুরিতে একটা দপ্তরীর অফিসে কাজ নিই...... উড়িষ্যাতে। ইচ্ছে না থাকলেও নিতে হয় চাকরিটা... বাড়ির অবস্থার কথা ভেবে। বাবা রিটায়ার করেছেন। মা র হার্টের রোগ ধরা পড়েছে। তবে বছর খানেক চাকরি করে কলকাতায় ফিরে আসি। আসানসোলে একটা স্কুলে লাইব্রেরিয়ান এর কাজ পাই। কাজ না হাতি...... । সেখানে সারাদিন বসে থাকাটাই যে কাজ। কিছুটা সময় কাটাতেই শুরু করি 'বই পড়া' । শরৎচন্দ্র বা বঙ্কিমি রচনা না পড়লেও বাকি যা পেয়েছি --- সব পড়তে শুরু করলাম। শরদিন্দু, সুনীল, দুই সমরেশ, বিমল কর, আশাপূর্ণা দে��ী, হেমেন রায়, মুস্তাফা সিরাজ, সঞ্জীব, শিবরাম থেকে শুরু করে ইন্দ্রজাল কমিক্স, টিনটিন, আস্টেরিক্স, বাঁটুল, নন্টে-ফন্টে.........আর কত বলব। পড়তে পড়তে শখ হয় লেখার..... তখন আমার বয়স প্রায় তিরিশের দোরগোড়ায়। টুকটাক লিখতে শুরু করি ...। মাস ছয়েকের মধ্যে একটি লেখা একটি মাস��ক পত্রিকায় ছাপে...... ফলস্বরূপ আমার লেখার উৎসাহ বেড়ে তিনগুণ...।' চক্রবর্তীবাবু বেশ উত্তেজিত।
'ব্যস...... তারপর তো ভিনি ভিডি ভিসি' -- ফুট কাটল সোপান।
'অ্যাঁ...' ভদ্রলোক যেন একটু আনমনা। খেই হারিয়ে বসে রইলেন কয়েক সেকেন্ড। তারপর আবার বলতে শুরু করলেন -- 'না সোপান বাবু ব্যপারটা অতটাও সোজা ছিল না কারণ আমি তো আর জুলিয়াস সিজার নই।'
আবার কয়েক সেকেন্ড বিরতি নিয়ে বলা শুরু করলেন -- 'থাকতুম আসানসোলে। আসানসোল থেকে কলেজ স্ট্রীট করতে করতে জুতোর সুকতলা খুইয়েছি প্রায় বছর দুয়েক। মাথায় তখন পোকা এমন নড়েছে যে লাইব্রেরিয়ানের চাকরিটা অবধি ছেড়ে দিই। কলকাতায় এসে একটা প্রিন্টিং প্রেসে কাজ নিই আর সম্পাদকদের অফিসে ধাওয়া করি...এমন ভাবে চলল বছর তিনেক। টুকটাক এদিক ওদিক লেখা ছাপলেও ঠিক মনের মতো কিছু হচ্ছিল না। শেষমেশ এক প্রেসের মালিককে ধরি। কথা হয় যে উনি আমার লেখা আটটি গল্প ছাপবেন। ছাপানোর খরচ আমাকে দিতে হবে তবে লভ্যাংশের একটা মোটা পরিমাণ প্রেস মালিক নেবেন। মানে সব মিলিয়ে আমার 'হাতে রইলো পেনসিল' গোছের চুক্তি। ছাপানোর খরচ তখনকার দিনে তা প্রায় হাজার বারো। আমার মাথায় তখন এমন রোখ চেপেছে যে চড়া সুদে টাকা ধার করি বড়বাজারের এক মহাজনের থেকে। এখনও মনে আছে দিনটা...... ১৮ই জুন ১৯৯৪... টাকাটা প্রেস মালিকের হাতে তুলে দিয়ে এসে টেনশনে ডালহৌসি অবধি হেঁটে গিয়ে লালদিঘির পাড়ে টানা ঘণ্টা পাঁচেক বসেছিলাম। বইটা ছেপে বেরোয় সেই বছর মহালয়ার দিন। বইটার নাম দিয়েছিলাম - 'দুই তারার ঝিকিমিকি'। সে বছর ওই পুজো থেকে বইমেলা অবধি নিজে হাতে সেই বই নিয়ে ঘুরেছি কলেজ স্ট্রীটের এ দোকান থেকে সে দোকান, শিয়ালদহের খবরের কাগজের দোকান গুলোতে, বইমেলাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেছি। -- একটু থামলেন চক্রবর্তীবাবু।
ট্রেনটা একটা ওভার ব্রিজের ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সোপানের কাছে গল্পটা যেন হটাৎ করেই খুব চেনা হয়ে উঠেছে আর ট্রেনের ঘটাং ঘটাং আওয়াজটা যেন একটু বেশিই কানে লাগছে। বোতল থেকে দু ঢোক জল খেয়ে আবার বলতে লাগলেন চক্রবর্তীবাবু। ট্রেন ততক্ষণে ফিরে এসেছে স্বাভাবিক ছন্দে।
'তখন ওই বইটা আর আমার শখের সাহিত্য চর্চা নয়...। বলতে পারো আমার বেঁচে থাকার শেষ সম্বল। মোট ৩৩ টা কপি বিক্রি হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় হাজার আটেক টাকার লোকসান আর মাথার ওপর মহাজনি দেনার দায়। প্রেসের কাজের মাসমাইনে দিয়ে যা শোধ করা যাকে বলে অসম্ভব। জীবনের গতি তখন প্রায় থেমে যায় আর কি। এভাবে মাস দুয়েক কোনক্রমে কাটল। তারপর একদিন ওই প্রেস মালিকের কাছে আমার একটা ফোন আসে। একজন সাংবাদিক একটা খবরের কাগজের রোববারের কলামের জন্য আমার একটা লেখা চাইছেন - শর্ত একটাই --- ক্রাইম থ্রিলার লিখতে হবে--- কারণ ওটার কাটতি আছে। হাতে সময় বড়জোর দু সপ্তাহ। লিখলাম, জমা দিলাম, লেখা ছাপলও ----- এবং হ্যাঁ তারপর তোমার ওই ভিনি --- ভিডি --- ভিসি। আমি হয়ে গেলাম ক্রাইম থ্রিলার লেখক .........।' শেষের কথাগুলো কেটে কেটে বলে থামলেন ভদ্রলোক।
থামার অবিশ্যি আর একটা কারণ আছে। দুপুরের খাবারের অর্ডার নিতে এসেছে। দু জনের জন্য দুটো ডিম-কারী মিল বলে দিলেন চক্রবর্তীবাবু। সোপান শুধু ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিল... মুখে কিছু বলল না। তার চোখে তখন 'বসন্ত গলি ঘুরছে'।
'আসলে তুমি ঠিক-ই বলেছ। লিখে আনন্দ পেতাম প্রথম দিকে। নিজের মতো লিখতাম --- নিজের ভালো লাগার জন্য লিখতাম। সাত্যকি বোস তখন ছিল না। একটা দুটো বইয়ের কাটতি একটু কম হতেই সম্পাদক মশাইয়ের অনুরোধ এলো 'একটা চরিত্র তৈরি করার'। বাঙ্গালী নায়ক চায়...। চরিত্র চায়...। ঘনাদা, টেনিদা, কিকিরা, ব্যোমকেশ, ফেলুদা, অর্জুন কিমবা গোগোল --- এই নিয়ে বাঙ্গালী আর কতদিন থাকবে। নতুন কিছু চাই...। লালমোহনের ভাষায় যাকে বলে 'হাই ভোল্টেজ স্পার্ক.' ........ হা হা!। সেই তাড়নায় জন্ম হল 'সাত্যকি বোস -এর '...... আর যে রং চড়ানো ইমেজের কথা তুমি বলছ তা আমারই সৃষ্টি...... তবে কতটা সদিচ্ছায় আর কতটা প্রয়োজনে সেটা আমি নিজেও জানিনা। নিজের মতো যে লেখার চেষ্টা করিনা তা নয়, তবে সেগুলো ছাপাই না। ইচ্ছে আছে কোনও একদিন আবার এক প্রেস মালিককে ধরে লেখাগুলো ছাপাবো। কি বুঝলে?' --- চোখ নাচিয়ে ঠোঁটের কোণে একটা হালকা হাসি নিয়ে বললেন ভদ্রলোক।
দুপুরে খেতে খেতে টুকটাক কথার বেশী কোনও আলোচনাই বেশিক্ষণ গড়ায় নি। আসলে সোপানের কথা বলার ইচ্ছেটাই চলে গেছিল। সাফল্যের শীর্ষে থাকা একজন মানুষের থেকে এত সহজ স্বীকারোক্তি পাওয়ার পর আর কি-ই বা বলার থাকতে পারে। কেন জানেনা তবে চক্রবর্তীবাবুর সাথে এই কথোপকথনের পর মনের ভেতরের দমবন্ধ ভাবটা অনেকটাই হালকা লাগছিল সোপানের। দুপুরে খাওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ ট্রেনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে চুপ করে বাইরের দিকে তাকিয়ে ভাবছিল সোপান - 'সাফল্য তাহলে কি? পরিশ্রম নাকি আপোষ নাকি চান্স ফ্যাক্টর...... নাকি পুরো ব্যাপারটাই একটা মিথ'। হঠাৎই মনে হল...... ট্রেনটাই তখন যে ��ুধু চলছে ---- আর কিছুই যে আর পিছিয়ে যাচ্ছে না ---- না রেল লাইনগুলো --- না দূরের গাছগুলো। 'তাহলে পুরোটাই কি দেখার ভুল নাকি ভাবার?' আনমনেই একটা সিগারেট ধরাল সোপান।
সন্ধ্যে বেলায় লখনউ স্টেশনে চক্রবর্তীবাবু নেমে যাওয়ার আগে সোপানের ঠিকানাটা নিয়ে বললেন -- 'ঠিকানাটা নিয়ে রাখি। যদি নিজের কোনও লেখা নিজের ভালো লাগে তবেই পাঠাব।' সোপান একটা অটোগ্রাফ চাইতে উনি মুচকি হেসে বললেন 'অটোগ্রাফ তো আমি দিই না ভাই'। তারপরেই কয়েক সেকেন্ড কি যেন ভেবে নিজের নোটবুকে খস খস করে লিখে, কাগজটা ছিঁড়ে সোপানের হাতে দিলেন। তারপর 'আবার দেখা হবে' বলে হাত নেড়ে নেমে গেলেন। কাগজটাতে নীল কালি দিয়ে লেখা ছিল - 'When you have eliminated the impossible, whatever remains, however improbable, must be the truth!' উক্তিটা সোপানের চেনা...... হোমসের উক্তি---- দ্য সাইন অফ ফোর গল্প থেকে। আজ একটু অন্যরকম লাগলো। দুম করে ভদ্রলোক কথাটা কেন লিখলেন সেটা ধোঁয়াশাই থেকে গেল সোপানের কাছে। কাগজটা হাতে নিয়েই বসে ছিল সোপান অনেকক্ষণ - গতকাল থেকে হওয়া ঘটনা গুলো ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথায়। হঠাৎই মাথায় এলো রাতের স্বপ্নটার কথা----বসন্ত গলির কথা---- অনিন্দ্যর কথা। নাহ... বিরক্তিটা আর সেই রকম হচ্ছে না সোপানের। বরং ফেসবুক খুলে অনিন্দ্য-র পোস্টে হালকা আঙ্গুলের চাপে লাইকের সংখ্যা আর একটা বাড়াল সোপান। কমেন্টে একটা ছোট্ট স্মাইলি সহ লিখল শুধু একটা শব্দ - 'সা-বাঁশ'। দু মিনিটের মধ্যে উত্তরও এসে গেল - 'ঠিক বলেছিস'। উত্তরটা দেখে মুচকি হাসল সোপান।
লুধিয়ানার চাকরিটা সোপান পেয়েছিল। আসলে চাকরি না পাওয়ার ভয়টাই যে তার আর ছিল না। নিজেকে বুঝিয়েছিল কিছু না হলে 'ওই বসন্ত গলিতে প্লাস্টিক বিছিয়ে পুরনো বইয়ের দোকান দেবে'। নিজের ভাবনাতে নিজেই হেসে ফেলেছিল সোপান। তারপর কলকাতায় ফিরে গোছগাছ করে আবার লুধিয়ানা। তবে খুব তাড়াহুড়োর মধ্যেও লুধিয়ানা যাওয়ার আগে পথিকৃৎ চক্রবর্তীর না পড়া দুটো বই কিনেছিল সোপান......... হ্যাঁ 'বসন্ত গলির' ওই মেডিক্যাল কলেজের উলটোদিকের ফুটপাথ থেকেই।
************
আজ প্রায় সাড়ে চার মাস বাদে পুজোর ছুটিতে সোপান ফিরেছে কলকাতায়। ফিরেই হাতে পেল খামটা। মাস তিনেক আগেই খামটা এসেছে, প্রেরকের নাম - সুজিত চক্রবর্তী, আসানসোল। নামটা পড়েই এক ঝটকায় অনেক কিছু মনে পড়ে গেল সোপানের। খামটা ছিঁড়তেই বেরোল রুল টানা কাগজে লেখা একটা বড় চিঠি।
প্রিয় সোপান,
আশাকরি আমাকে তোমার মনে আছে। কতকগুলো কথা বলার ছিল বলেই ঠিকানাটা নিয়েছিলাম।
অনেকদিন পর (নাকি প্রথমবার) এমন একজনের সা��ে আমার আলাপ হল যাকে আমার কৈশোর সংস্করণ বলতে পারি নির্দ্বিধায়। তোমার বয়সে আমিও ছিলাম এক বইপোকা। অন্যেরা যে সময়ে ঘুড়ি ওড়াত, ডাংগুলি খেলত, ফুটবল খেলত --- আমি সে সময়ে পড়ে থাকতুম আমাদের গ্রামের লাইব্রেরিতে। যা পেতুম --- পড়���াম। বাবার ঠ্যাঙ্গানি, স্কুলের বলাইবাবুর বেত কিছুই আটকাতে পারেনি আমাকে। সেদিন ট্রেনে যখন তুমি বাংলা ক্রাইম থ্রিলার নিয়ে উত্তেজিত ভাবে কথা বলছিলে --- আমি হাতড়ে বেড়াচ্ছিলাম নিজেকে ...... তোমার মধ্যে। সেদিন ভোর রাতে তুমি ঘুমিয়ে পড়ার পরও আমি জেগেছিলাম। তন্দ্রাটা ভেঙ্গেছিল তোমার গোঙানিতে। মনে হয় তুমি কোনও স্বপ্ন দেখছিলে...আর ঘুমের মধ্যে বিড় বিড় করছিলে 'আমাকে ছেড়ে দাও ...... চাকরিটা আমায় পেতেই হবে...... আমি চাকরি করব......এই রকম কিছু।' তোমাকে ডাকার চেষ্টা করিনি। তোমার বয়স, তোমার পাঞ্জাব যাওয়ার সিদ্ধান্ত আর তোমার সাময়িক উত্তেজনা দেখে- অনুমান করেছিলাম তোমার মনের মধ্যের ঝড়টার কথা। কলকাতায় যে তোমার কোনও চাকরি কল ছিল না সেটা আমার অন্তত না বোঝার কোনও কারণ ছিল না। বছর পঁচিশ আগে এইরকমই একটা ঝড় যে আমার জীবনেও এসেছিল...। তাই তোমার মানসিক অবস্থাটা বুঝতে পারলেও কিভাবে তোমাকে সাহায্য করা যায় বুঝতে পারছিলাম না। উপায়টা তুমি-ই বাতলালে পথিকৃৎ চক্রবর্তীর নাম করে।
এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভালো যে আমার নাম সুজিত চক্রবর্তী...... আর আমি সাহিত্যিকার পথিকৃৎ চক্রবর্তী নই। তিনকুলে আমার সাথে ওনার কোনও সম্পর্কও নেই। আমি আসানসোলের তিমিরবরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান। পথিকৃৎ চক্রবর্তীর বেশ কিছু বই আমার পড়া। আর তোমার কথাতেই কিছুদিন আগে ওনার ওপর আনন্দবাজারের লেখাটার কথাটা মনে পড়ে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি যে আমি নিজে অল্প স্বল্প নাটক করি, স্ক্রিপ্টও লিখি। তাই বাকিটা গুছিয়ে ফেলতে আমার খুব বেশী সময় লাগেনি। যাইহোক তুমি মাত্র তিনটে বই পড়েছ শুনে আশ্বস্ত হয়েছিলাম......না হলে ধরা পরে যেতুম বইকি। ভাগ্য ভালো যে ওই বইগুলি আমারও পড়া ছিল। যাইহোক তোমাকে পরদিন সকালে যে গল্পটা বলেছিলাম তার পুরোটা কিন্তু বানানো নয় -- অনেকটাই আমার নিজের জীবন থেকেই নেওয়া। আমি নিজে লেখক হত্যে চেয়েছিলাম...... আসানসোল থেকে কলেজ স্ট্রীট আমিই জুতোর সুকতলা খুইয়েছি প্রায় বছর দুয়েক। আমিই সেই অধম যে চাকরি ছেড়ে লেখক হত্যে চেয়েছিল এবং এক প্রেস মালিকের কাছে চুক্তিও করে এসেছিল নিজের বই 'দুই তারার ঝিকিমিকি' ছাপানোর জন্য --- বারো হাজার টাকার বিনিময়ে। কিন্তু শেষমেশ আমি পারিনি......... ওই টাকা আমি জোগাড় করতে......। আর সুদে টাকা ধার করার সাহসও আমার ছিল না। আপস করে নিয়েছিলাম নিজের ইচ্ছের সাথে। ফিরে এসেছিলাম আসানসোল...... দিনটা মনে আছে ১৮ই জুন ১৯৯৪। তৎকালীন হেডমাস্টারমশাই-এর বদান্যতায় চাকরিটা ফিরে পাই। বাকিটা বানিয়েছি -- কিছুটা কল্পনা আর কিছুটা আমার 'আপসবিহীন স্বপ্ন' গুলো থেকে। আসলে প্রায় সব সফল মানুষদের জীবনে হয়ত এ রকম একটা অধ্যায় থাকেই -- 'There is nothing new under the sun. It has all been done before' -- আবার কোনান ডয়েল ঝাড়লাম। বলতে বাধা নেই যে 'আমি ভিতু',... একটু সাহস করলে...... হয়ত.........। বলছি না 'পথিকৃৎ চক্রবর্তী' হতাম কিন্তু জীবনে আপসোসটা একটু কম থাকতো। পরে অনেক ভেবেছি...... একজন যদি কেউ পাশে থেকে.........। বলতে পারো......সেই সাহসটাই একটু দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম তোমাকে...... কিছুটা অযাচিত ভাবেই... যেটা 'সুজিত চক্রবর্তী' হয়ে সম্ভব ছিল না......তাই পথিকৃৎ চক্রবর্তীর সাহায্য নিয়েছিলাম। থ্যাংকস টু মাই পেরেন্টাল পদবি.........হা হা!
অবশ্য কতটা সফল হয়েছিলাম জানিনা......এমনও হত্যে পারে যে তোমাকে নিয়ে আমার পুরো অনুমানটাই মিথ্যে। সেক্ষেত্রে আমাদের আলাপটাকে 'রেল কোম্পানির টাইম পাস' বলে ভুলে যেও। তবে তোমার কল্যাণে আমিও যে কয়েক ঘণ্টার জন্য একজন খ্যাতনামা সাহিত্যিক হলাম সেটাই বা কম কি। তবে একটা কথা- তোমাকে যতটুকু দেখলাম তাতে এটুকু বলতে পারি 'তোমার সফল হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা'। 'হাল ছেড়োনা বন্ধু' আর ওই ছেঁড়া কাগজের হোমসবাবুর কথাটা মনে রেখো.........কাজে দেবে। আর যদি সফল নাও হও...... কি যায় আসে...। দেখলে তো একজন ভিতু - অসফল মানুষকে...। মানুষের মতোই তো দেখতে না কি ...... হা হা।
আশাকরি কিছু মনে করোনি। জানিনা যে তুমি এখন লুধিয়ানা-তে না কলকাতায়। তবে যেদিনই চিঠিটা পাবে----- পারলে একটা উত্তর দিও। আমার ঠিকানা দেওয়া আছে নিচে।
শেষে একটা কথাই বলি -- আমার 'দুই তারার ঝিকিমিকি' বইটার ম্যানুস্ক্রিপ্ট টা এখনও আমার কাছে আছে। যদি কোনদিন ছাপতে পারি তোমায় একটা কপি পাঠাব...... ।
ভালো থেকো।
শুভেচ্ছান্তে
সুজিত চক্রবর্তী।
0 notes