#পাকিস্তানের কি চলছে
Explore tagged Tumblr posts
Text
Assalamualaikum. Do you like politics? Do you want to know anything about world politics? If you want to know updated news about world politics then you can watch my videos
. This video is currently available on youtube. –https://youtu.be/FOnbQAXEHIg
This video is currently available on Facebook. - https://fb.watch/moEZdjFxey/
My YouTube Link- https://www.youtube.com/channel/UCCoZdXa-oajWPCllQLulP0g
My facebook link- https://www.facebook.com/Newsbela23
#InShot#পাকিস্তানের খবর।#পাকিস্তানের অন্তবর্তী কালীন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার।#বিশ্ব রাজনীতির খবর#বিশ্বের আপডেট খবর#আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবর#সারাবিশ্বে ঘটে যাওয়ার খবর#পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমরান খান#ইমরান খান কারাগারে#পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর নেয়াজশরীফ#পাকিস্তানের কি চলছে#সামরিক শাসন#পাকিস্তানের সেনা আইন#পাকিস্তানের রাজনীতি#ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব#পাকিস্থানে অভ্যন্তরীণ কোন্দল#পাকিস্তানের কে হবে প্রধানমন্ত্রী#আন্তর্জাতিক খবর#beauty#funny#health & fitness#illustration#lol#succession#technology#https://sites.google.com/view/gift-care-750/হম#আজকের আপডেট খবর
0 notes
Text
পাকিস্তানের নির্বাচন কি এবার ইমরান ছাড়া.. আর কয়েকমাস পরেই হতে চলছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। কিন্ত নির্বাচনের ঠিক আগেই তোষাখানা মামলায় ইমরান খানকে জেলেবন্দী করল পাকিস্তান পুলিশ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি পাকিস্তানের আইন অমান্য করে বিদেশী বহুমুল্য উপহার নিজের জিম্মায় রেখেছেন।
0 notes
Text
আজ ICC World Cup 2019 ইংল্যান্ডে প্রথম ম্যচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। আসুন দেখি দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে Zia: The Patriot - দ্যা প্যাট্রিয়ট এর ভূমিকা।
আজ অনেক ইতিহাস হারিয়ে গেছে। বইয়ের তাকে পাতাতে ধুলো জমেছে, মাকড়সা জাল বিছিয়েছে। বলতে দ্বিধা নেই BNP বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সব অনবদ্য কীর্তি সংরক্ষণ ও প্রচারের ব্যর্থ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে 'বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল' বাংলাদেশের প্রতিনিধি। Bangladesh Cricket : The Tigers নামেও পরিচিত। গত ৪ যুগে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তগুলো ক্রিকেটের হাত ধরে এসেছে। বিশ্ব প্রান্তরে লাল সবুজ পতাকা যখন উড়ে তখন একজন বাংলাদেশী হিসাবে আমরা গর্বিত হই। সেই ক্রিকেটের লুকানো অধ্যায় শুনবো আজ।
রবিন মিলার, লন্ডনের Sunday Times ক্রিকেট প্রতিবেদক ১৯৭৬ সালে লেখেনঃ
বিশ্বের যেকোন টেষ্ট ভ্যানু থেকে ঢাকা স্টেডিয়াম ভ্যানু হতে পারে আদর্শ ভ্যেনু।
১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান ব্যাক্তি উৎসাহে তৎকালীন Bangladesh Cricket Council - BCC এর সাধারন সম্পাদক রেজা ই করিম বাংলাদেশকে ICC - International Cricket Council এ সদস্য করার আবেদন করেন।
তখন সমস্যা দেখা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত তা প্রমান করার। যেহেতু আমরা ICC এর সদস্য না তাই কোন দেশ এদেশে ক্রিকেট খেলতে রাজি হচ্ছিল না। তখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দ্বারস্থ হন সাংবাদিক রবিন মিলারের। জিয়া আস্বস্ত করেন যেকোন দেশ বাংলাদেশে খেলতে আসলে তাদের রাষ্ট্রীয় গেষ্ট গণ্য করে নিজ দায়িত্বে তদারকি করবেন।
এরপর ১৯৭৬ এর মাঝামাঝি হঠাৎ মিলারের চিঠি এল। ইংল্যান্ডের Marlebone Cricket Club #MCC বাংলাদেশে আসতে রাজি তবে তাদের সব খরচ বাংলাদেশকে বহন করতে হবে। বিচক্ষণ রাষ্ট্রপতি জিয়া বিনা বাক্যে রাজি হন। ক্রিকেট তখনো বাংলাদেশে অজনপ্রিয় খেলা, মুষ্টিমেয় মানুষ ছাড়া এই খেলাতে আগ্রহ নাই।
সিধান্ত হল বহুল প্রাচারের এবং জিয়াউর রহমান নিজে মাঠে উপস্থিত থেকে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। ICC সহ সারা বিশ্ব ক্রিকেটের চোখ পড়লো ঢাকাতে।
২৭ শে ডিসেম্বর ১৯৭৬ এ MCC ৪টি ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশে আসলে তাদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্মান ও লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
২৯ শে ডিসেম্বর তারা রাজশাহী চলে যায় বাংলাদেশ উত্তর জোনের সাথে খেলতে।
৩১শে ডিসেম্বর – ১ জানুয়ারি দুই দিনের বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটি সৌভাগ্য ক্রমে ড্র হয়। MCC ব্যাট করে ১ উইকেটে ১২৩ রানে ডিক্লার দেয় এবং বাংলাদেশকে ব্যাটিং আমন্ত্রণ করে। বাংলাদেশ উত্তর জোন ১১৯ ও সাত উইকেটে ১৮৫ রান করে ডিক্লার দেয় এবং দুদিন শেষে খেলার ফলাফল ড্র।
৩ ও ৪ জানুয়ারি চট্রগ্রামে বাংলাদেশ পশ্চিম জোনের সাথে দ্বিতীয় ম্যাচ এবং ১১ ও ১২ জানুয়ারি যশোরে বাংলাদেশ দক্ষিন জোনের সাথে খেলা হয়।
এর মাঝে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ঐতিহাসিক অভিষেক ঘটে ৭-৯ জানুয়ারি ১৯৭৭ এ।
জিয়াউর রহমান জাতীয় দলের খেলার আগে খেলোয়াড়ের সাথে পরিচিত হয়ে খেলা উদ্বোধন করেন। কিছু সময় উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগও করেন। ৩ দিন শেষে এই খেলার ফলাফল ড্র। ঐ খেলায় ঢাকার মাঠে তৎকালীন প্রায় ৪০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিল।
ঐতিহাসিক ম্যাচে শামীম কবির নেতৃত্বদেন বাংলাদেশের এবং খেলোয়াড় ছিলেন রাকিবুল হাসান, মাইনুল হক, আশরাফুল হক, ওমর খালেদ রুমি, এসএম ফারুক, শফিকউল হক হিরা(WC) ইউসুফ বাবু , দৌলতুজ্জামান দীপু রায় চৌধুরী ও নজরুল কাদের লিন্টু।
সফল সমাপ্তি এবং MCC রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ২৬শে জুলাই ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ #ICC তে সহযোগী সদস্য হয়।
এবার দরকার একজন কোচ। জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ অনুরোধে MCC, রবার্ট জোন্স নামে একজন বিদেশী কোচ ঠিক করে দেয় বাংলাদেশের জন্য।
জানুয়ারি ১৯৭৮ এ প্রথম বিদেশী দল শ্রীলংকা বাংলাদেশে খেলতে আসে। আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলা সামনে তাই ১৪ জানুয়ারি ১৯৭৯ তে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিচার করতে আবার সেই MCC ঢাকা আসে।
পরবর্তীতে রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ICC Trophy তে অংশ নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।
৪ ম্যাচের ২টা হেরে অন্য দু'টি তে ফিজি ও মালোয়েসিয়াকে হারিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় হয়।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু'র নেতৃত্বে ৩১ মার্চ ১৯৮৬, Asia Cup এ বাংলাদেশ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করে।
ক্ষমতার দাম্ভিকতায় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ছোট করার চেষ্টা চলছে বহু কাল। তারা কি আদ��ও এই কর্মবীরের কর্ম��জ্ঞ বিলীন করতে পারবে? সেও কি সম্ভব? নিশিত গনতন্ত্রের দেশের রাজনৈতিক নেতারা কি পারবেন এই মুক্তিযোদ্ধা প্রেসিডেন্টের কর্ম মুছে দিতে??
NT: আমাদের পেজের প্রথমদিকের আর্টিকেল।
1 note
·
View note
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/149700
আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
.
আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনতার উদ্দেশে তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম এবং ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) তিনি এ আগুনঝরা ভাষণ দেন। শোষিত বঞ্চিত মানুষের মনের অব্যক্ত কথা যেন বের হয়ে আসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি উচ্চারণে, প্রতিটি বর্ণে ও শব্দে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি উচ্চারণ ধ্বনিত হতে থাকে লাখো প্রাণে। গগণবিদারী আওয়াজ তুলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমর্থন জানায় উপস্থিত লাখো জনতা। ঐতিহাসিক ওই ভাষণ এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পরিগণিত।
৭ই মার্চের আগের চার-পাঁচ দিনের ঘটনাবলিতে বিক্ষুব্ধ মানুষ ওই দিন নতুন কর্মসূচির অপেক্ষায় ছিল। সকাল থেকেই চার দিক থেকে মানুষের ঢল নামে রেসকোর্স ময়দানে। লাখো মানুষের পদভারে ঢাকা পরিণত হয় উদ্বেলিত এক নগরে। অলিগলি হতে সকাল থেকে দলে দলে মানুষ রাজপথ কাঁপিয়ে রেসকোর্স ময়দানের দিকে আসতে থাকে। ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা’, ‘তোমার দেশ আমার দেশ- বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর- বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ প্রভৃতি স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে আসতে লাগল শোষিত বঞ্চিত জনতা। উত্তাল জনসমুদ্রের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রেসকোর্স ময়দান।
বঙ্গবন্ধু জনসভায় আসতে একটু বিলম্ব করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হবে-কি-হবে না এ নিয়ে তখনো রুদ্ধদ্বার বৈঠক এবং বিতর্ক চলছে ��েতৃবৃন্দের মধ্যে। পরে বঙ্গবন্ধু ২২ মিনিট তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম এবং ঐতিহাসিক ভাষণ শুরু করেন এ��াবে- `আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সকলে জানেন এবং বোঝেন, আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ অধিকার চায়।… আমি বলেছিলাম, জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কিভাবে আমার গরিবের ওপর, আমার বাংলার মানুষের বুকের ওপর গুলি করা হয়েছে। কিভাবে আমার মায়ের বুক খালি করা হয়েছে। কি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আপনি আসুন, আপনি দেখুন।… ২৫ তারিখ অ্যাসেমব্লি ডেকেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। রক্তে পা দিয়ে শহীদের ওপর পাড়া দিয়ে অ্যাসেমব্লি খোলা চলবে না। সামরিক আইন মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে…। ’
এরপর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের আগের কয়েক দিনের ঘটনাবলি, শাসক শ্রেণীর সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া এবং মুক্তির আকাক্সক্ষায় বাংলাদেশীদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘এরপর যদি একটি গুলি চলে, এরপর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়- তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।… আমি যদি তোমাদের হুকুম দিবার না-ও পারি তোমরা সব বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব। সৈন্যরা, তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো তোমাদের কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু আর তোমরা গুলি করার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। …আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ! এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এদিন বঙ্গবন্ধুই ছিলেন একমাত্র বক্তা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পূর্বে আ স ম আব্দুর রব, নুরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে মাইকে নানা ধরনের স্লোগান দিয়ে উপস্থিত জনতাকে উজ্জীবিত রাখেন।
রাষ্ট্রপতির বাণী : রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ গতকাল এক বাণীতে বলেছেন, বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে ��ে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন, তার মধ্যেই নিহিত ছিল বাঙালির মুক্তির ডাক। বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল বাঙালির নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল এক বাণীতে বলেছেন, গত বছর আমরা এই মহাভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। এ বছর আমরা ভাষা-আন্দোলনের ৭০ বছর এবং মুজিববর্ষ উদযাপন করছি। এমনই এক মাহেন্দ্রক্ষণে আমি গভীর শ্রদ্ধায় প্রথমেই স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোন এবং অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে- যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্বস্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গৌরবের স্মারক। ’৭৫ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত এ দেশে এই ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল, যেমনটা করেছিল পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠীÑ তারাও সেদিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ ভাষণ প্রচার করতে দেয়নি। কিন্তু সত্য সর্বদাই অনিরুদ্ধ। তাই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির এই মহামন্ত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়- বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।
কর্মসূচি : দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দেশজুড়ে মাইকে বাজানো হবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। এ উপলক্ষে সরকারিভাবে ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আজ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এ ছাড়াও এদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করবেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে আওয়ামী লীগের সব শাখা কর্মসূচি গ্রহণ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণ ও পালন করবে।
0 notes
Text
কাবুলের ক’মাস
কাবুলের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। মিনি সেই যে ছোটবেলায় ‘কাবুলিওয়ালা’র হাত ধরিয়ে দিয়েছিল!
কিন্তু, বড় হয়ে সেই পাল্টে যাওয়া কাবুলেরই অন্য পরিচয় পেয়েছি খবরের কাগজে। ছোটবেলাটাকে মেলাতে পারিনি। কাবুল যাওয়ার সুপ্ত ইচ্ছেটা যদিও তাতে একফোঁটা চলে যায়নি কোনও ভাবে। অনেকটা বড় হওয়ার পর সেটা ২০০�� সাল। কর্মসূত্রে তখন মুম্বইতে রয়েছি। কাজের সুবাদেই এ দিক ও দিক যেতেও হয়। কয়েক দিন আগেই একটা বিদেশ সফর সেরে ফিরেছি। বেশ জটিল একটা সমস্যা সামলে এসেছি বলে বসও বেশ খুশি। ফিরতেই জানিয়ে দিয়েছেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে ফের যেতে হবে। কিন্তু, কোথায়? সেটা যদিও তখনও বলেলনি। অধীর আগ্রহে বসে রয়েছি।
দিন তিনেক পরে এক দিন বস নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠালেন। যেখানে যেতে হবে বললেন, শুনে প্রথমেই যেন একটা ধাক্কা খেলাম! আফগানিস্তান! এ রকম একটা সময়ে ওখানে আমাকে প্রাণ হাতে নিয়ে পাঠানোর মানেটা কী! বুঝতে পারছিলাম না। জিজ্ঞাসাও করা যায় না এ সব অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে। আমার হতভম্ব মুখটা দেখে বসও আর কিছু বললেন না। নিজের ভেতরে ভয় নিয়েই মুম্বই থেকে রওনা দিলাম। দিল্লি হয়ে যাওয়া। রাঝধানী শহর থেকে সকাল ৮টার বিমানে চড়ে বসলাম। কিছু ক্ষণ পরেই নীচে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম! হিন্দুকুশ রেঞ্জের উপর দিয়ে চলেছি। কোনও বিশেষণই খুঁজে পাচ্ছি না। হাত নিশপিশ করছে! একটা ছবি তোলার জন্য। কিন্তু বিমানে ওঠার পর থেকেই বার বার বলে দেওয়া হয়েছে, পুরো বিমানসফর তো বটেই, বিমান থেকে নামার পরেও ফোটো তোলা এক্কেবারে নিষিদ্ধ। পুরো পথটাই তাই কাচের জানলার বাইরে চোখ রেখে গেলাম। মনোমুদ্ধকর ছবিগুলো ধরে রাখলাম মন-ক্যামেরায়।
বিমানবন্দরে নেমে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করার পর চার জন ষণ্ডামার্কা ‘হ্যান্ডলার’ অর্থাৎ ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে বেরোলাম। কোনও জায়গায় গেলে যাওয়ার আগে আমি সেখানকার স্থানীয় ভাষায় কয়েকটা শব্দ জেনে যাওয়ার চেষ্টা করি। এটা অচেনা ওই জায়গায় কথাবার্তা চালাতে খুব কাজে দেয়।
আফগানিস্তানের চালু দুটো ভাষা দারি এবং পশতু-তে কিছু শব্দ লিখে রেখেছিলাম। মাঝেমাঝেই চোখ বুলিয়েছি তাতে। ওই শব্দেরই কয়েকটা দিয়ে আলাপ করা শুরু করলাম আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে। অনেক ক্ষণ সিগারেট খাওয়া হয়নি। এয়ারপোর্টে তো লাইটারটা পর্যন্ত জমা রেখে দিয়েছে! আকারে ইঙ্গিতে দু’একটা ওদের পরিচিত শব্দে এটাই বোঝানোর চেষ্টা করলাম। আমার ভুল উচ্চারণ শুনে ওরা খিলখিলিয়ে হেসে উঠল। বাড়িয়ে দিল সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটার। এ বার আমার প্রথম কোনও বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ওঠার পালা। তখনও জানি না ওটা বুলেটপ্রুফ। গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন�� একটা ক্ষতচিহ্ন দেখে জিজ্ঞেস করলাম, ওটা কী? জানা গেল, গুলির দাগ! চমকে গেলাম ভেতরে ভেতরে। মুখের উপর সেই চমকানো ব্যাপারটা ফুটে উঠল কি না কে জানে! এক জন নিরাপত্তারক্ষী বললেন, ‘‘ভয় নেই এটা তো বুলেটপ্রুফ গাড়ি।’’
এয়ারপোর্ট থেকে বেরোনোর ১০ মিনিটের মধ্যে কাবুল হাইওয়েতে ওঠামাত্র মুগ্ধ হয়ে গেলাম। রাস্তা যেন সোজা বরফঢাকা পাহাড়ে উঠে যাচ্ছে। গাড়ি থেকে ছবি তুললাম। ছবিগুলো বাজে আসছিল। কাচ নামিয়ে ছবি নেবো কি না জানতে চাইতে জবাব এল, গাড়িতে থাকলে কাচ নামানোটা এক্সপ্রেসওয়েতে খুব বিপজ্জনক। কারণ, এই রাস্তায় দিনে ২০০ রাউন্ড গুলি চলাটা নাকি খুবই স্বাভাবিক। আমার মনের ভেতরে তত ক্ষণে গুড়গুড় শুরু হয়ে গিয়েছে।
মাঝে মাঝে একটা অদ্ভুত জিনিস লক্ষ করছিলাম। রাস্তার অনেক জায়গায় কোথাও ধারে, কোথাও বা একেবারে মাঝখানে হলুদ মার্ক করা আর ছোট মতো একটা গার্ড দেওয়া। সব গাড়ি ওই জায়গাগুলোকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞাসা করে যা উত্তর পেলাম, তাতে আক্কেলগুড়ুম হয়ে গেল। ওরা বলল যে, ওগুলো ল্যান্ডমাইন কিন্তু তোলা যাবে না। তাই মার্ক করা যাতে সবাই এড়িয়ে চলে। আমার সেলফ মোটিভেশন তত ক্ষণে তলানিতে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ না করলে যে এ শহরে আসতে হত না! তত ক্ষণে নিজের পড়াশোনাকেও শাপশাপান্ত করতে শুরু করেছি মনে মনে। ভয়ের সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে শহরে ঢুকে গেলাম। রাস্তার পাশে অনেক জায়গায় অনেকটা করে জায়গা জুড়ে একে একটা বাড়ির ধ্বংসস্তূপ। এগুলো যে ‘এয়ার বম্বিং’-এর চিহ্ন তত ক্ষণে বুঝে গিয়েছি। দেশে আর হয়তো ফিরতে পারব না। এমন ভাবনাও মনে মনে চলছে। অবশেষে হোটেলে এসে পৌঁছলাম। এই এলাকাটা দেখলাম পুরো পুলিশ আর সামরিক বাহিনীতে ভর্তি। হোটেলের কর্মীরাই জানালেন, এখানেই পর পর বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। সব বাড়িতেই তাই দোতলা সমান উঁচু পাঁচিলের উপর তার লাগানো। আর চারপাশে সিকিউরিটি ঘেরা অফিসিয়াল বাংলো। ওগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির বিদেশি কর্মচারীরা থাকেন। পরের দিন অফিস, তার আগে সিকিউরিটি অফিসার এসে বুঝিয়ে গেলেন, লিফ্টে নীচে নামার আগে সিকিউরিটি অফিসারকে ফোন করতে হবে। তিনি ‘ওকে’ বললে তখনই নীচে যেতে পারব। কম্পাউন্ড ছেড়ে বেরোনোর কথা ভুলেও মনে আনতে বারণ করলেন। এ ছাড়া রাস্তায় যদি আমার সামনে বম্বিং হয়, তা হলে কাকে ফলো করব, কাকে ফোন করব ইত্যাদি নানাবিধ সতর্কতামূলক বাণী।
পর দিন থেকে অফিস গেলাম। দেখে মনে হল, ওটাকে অফিস না বলে দুর্গ বললে মনে হয় ভাল হত। যাই হোক, ডেডলা��ন নিয়ে এসেছি, কাজ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরত যেতে হবে দেশে।
শুরু হয়ে গেল কাজ। রোজ সকাল ৭টার মধ্যে রেডি হয়ে থাকতে হত। এর পর এক বা দু’জন করে গ্রুপ করে গাড়ি করে অফিস। বিকেল ৫টার মধ্যে অফিস থেকে বেরিয়ে ফের হোটেল। মাঝেমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাস থেকে এসএমএস ঢুকত। কিছুই না, সেখানে লেখা থাকত, ওই রাস্তায় অ্যাটাক হয়েছে। ওই রাস্তা অ্যাভয়েড করো। ওই এলাকায় অ্যাটাকের সম্ভাবনা আছে। ওই এলাকা দিয়ে ফিরো না! ইত্যাদি। সন্ধেগুলো কিন্তু বেশ ভাল কাটত ওখানে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লোকজন— ভারত থেকে ৪, পাকিস্তানের ৩, ফিলিপিন্সের ৫, লেবাননের ২ আর আমেরিকার ২ জন— এরাই ছিলাম ওই সময় একই কম্পউন্ডের বাংলোগুলোতে। অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে সবাই অফিসার্স মেসে হাজির হতাম… কয়েক পাত্তরের আড্ডা, স্নুকার বা তাস সঙ্গে বিভিন্ন খাবারদাবার। রান্না করতেন ওখানকার ২ রাঁধুনি। বড় ভাল রাঁধতেন। আফগানিস্তান খাদ্যরসিকদের স্বর্গ হতে পারে যে কোনও দিন। ওখানে গিয়ে দুম্বা খেলাম প্রথম। ভেড়ার মতো দেখতে কিন্তু কোমরের পিছন দিকে একটা অংশ মাংস আর চর্বি মেশানো যেটা কেটে নিলে আবার গজিয়ে যায়। সেই চর্বি-মাংস রান্না হয় মাখন আর লঙ্কা দিয়ে। সঙ্গে দেড় ফুট লম্বা হাতে তৈরি মোটা মোটা আফগান রুটি। উফস! আফগানিস্তান যাওয়ার আগে জানতাম না যে, ওখানকার তাপমাত্রা মাইনাস চার ডিগ্রি পর্যন্ত চলে যায়! আমি থাকাকালীন অতটা যায়নি, কিন্তু ঝোড়ো বৃষ্টি আর কনকনে পাথুরে ঠান্ডা ভালই পেয়েছি। অবশ করে দেওয়া একটা ঠান্ডা। দিনের বেলা ১০টার পর কিন্তু রোদ্দুর খুব চড়া। কিন্তু বেশি গরম পড়লেই দেখি কিছু ক্ষণের মধ্যে শিলাবৃষ্টি শুরু করে যায়। রোদ্দুরের মধ্যে শীল পড়ছে! সঙ্গে হালকা বৃষ্টি! ব্যস চার পাশ সাদা হয়ে গেল আর সেই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা।
ওখানে দেখলাম সবাই টফি দিয়ে চা মানে কাবা খায়। শুকনো চা, সঙ্গে শুকনো আদা কাপে দিয়ে গরম জল দিয়ে দেয়, হালকা সবজে, অনেকটা গ্রিন-টির মতো। কিন্তু গ্রিন-টি নয়। লোকজন সারা দিন ওই কাবা আর টফি খেয়ে চলেছে, সেই টফি আবার গ্রিন আপেলের মতো খেতে। বেশ লাগতো কিন্তু! প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অন্য যে কোনও দেশকে টেক্কা দিতে পারে আফগানিস্তান। রুক্ষ্ম পাথুরে পরিবেশ ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়াতে দারুণ পর্যটনকেন্দ্র হতে পারত। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি যেটা প্রায় দুটো প্রজন্মকে শিক্ষা থেকে দূরে রেখেছে। যারা পেরেছে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর যারা পারেনি, তারা প্রতি দিন টিকে থাকার, বেঁচে থাকার যুদ্ধ করে চলেছে। আমার গাড়ির চালক ছিলেন আহমদ। আমার খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন। ওঁর থেকেই শোনা, এখানকার বাসিন্দাদের রোজকার অনিশ্চয়তার কাহিনি… স্কুল কলেজ বছরের বেশির ভাগ সময়েই বন্ধ থাকে। যখন-তখন গুলি বোমা চলছে, কিন্তু সাধারণ নাগরিক কী করবে, কোনও দেশের সাধারণ নাগরিক কবে যুদ্ধ চেয়েছে! তাঁর কথাগুলো যে কতটা সত্যি, তার সাক্ষ্য দিত রাস্তার পাশে বিমান হানায় উড়ে যাওয়া একটার পর একটা বাড়ি। একটা দেওয়ালও দেখিনি যেখানে বুলেটের দাগ নেই! একটা রাস্তা দিয়েও যাইনি যেখানে কোনওদিন গুলি চলেনি। রাস্তায় রোজ দেখতাম, ট্রাফিক পুলিশ ট্যাঙ্কের সারি কন্ট্রোল করছে।
কিন্তু কথায় বলে না, যাই হয়ে যাক, জীবন চলতে থাকে। ওখানে প্রথম দেখলাম রাস্তার মধ্যে স্টল করে মাছ বিক্রি হয়। আমাদের এখানে যে রকম খবরের কাগজ বিক্রি হয়, সে রকম অনেকটা। এত পরিষ্কার ভাবে ফ্রেশ মাছ আমি কোথাও বিক্রি হতে দেখিনি। রাস্তার মোড়ে দোকানগুলোর সামনে তন্দুরে আফগান রুটি তৈরি হচ্ছে। পাশে তাওয়াতে দুম্বা পেশাওয়ারি বা ভেজা ফ্রা��। খুব ইচ্ছে হত নেমে গিয়ে খাই, কিন্তু ওই যে ‘স্ট্রিক্টলি প্রোহিবিটেড’!
প্রত্যেক সপ্তাহে আমাদের একবার গ্রসারি শপিং যে নিয়ে যাওয়া হত, সেটা একটা অনুষ্ঠান বললেও কম বলা হবে। চার পাশে ৪ জন বন্দুকধারীর পাহারায়! দোকানে ঢুকে নিজের পার্সোনাল ব্যবহার সামগ্রী, সঙ্গে রুমে নিজের কাছে রাখার জল, চকোলেট, সিগারেট ইত্যাদি… অফিস থেকে বাংলোয় ফেরার পথে মাঝে মাঝে এই দোকানে যাওয়াটা একমাত্র সময়, যখন আমরা অফিস বা বাংলো কম্পাউন্ডের বাইরের মাটিতে পা রাখতে পারতাম! ওখানে আর একটা সমস্যা ছিল— চুল কাটানো। দাড়িটা নিজে ম্যানেজ করা গেলেও চুল তো নিজে ম্যানেজ করা যায় না! উইকেন্ডে দু’জন নাপিত আসতেন। যাঁরা এসে চুল কেটে দিতেন। কিন্তু, তাদের কাছে না থাকত কাঁচি, না কিছু! শুধু ট্রিম্মার ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভেতরে আসা বারণ! নিজের লুক দেখে নিজেই অবাক হয়ে যেতাম! উইকেন্ডগুলো বেশ মজায় কাটত! বৃহস্পতিবার সন্ধে মানেই পার্টি। সবাই মিলে গান, হুল্লোড়… সবাই ফোর্সড ব্যাচেলর… আর তো কিছু করার নেই। সবাই মিলে গল্প আড্ডায় বেশ কেটে যেত! সবাই নিজের দেশ, নিজের পরিবার নিয়ে কথা বলত। সকলে বলত, আমার দেশে ঘুরতে এসো। আর আমরাও প্ল্যান বানাতাম। ঘোরার ইচ্ছেটা বাড়ত। শুক্র আর শনিবার সকালে কম্পাউন্ডের ভেতরে ক্রিকেট খেলা হত। আর সেখানেও সব সময় ইন্ডিয়া আর পাকিস্তান— এই দুটো নামেই টিম তৈরি হত। রাঁধুনি থেকে সিকিউরিটি গার্ড— সবাইকে নিয়ে টিম। দারুণ মজা হত। বাড়�� থেকে, প্রিয়জনদের থেকে দূরে থাকা আমরা সবাই এ ভাবেই মজা খুঁজে নিতাম।
মাঝে মাঝে গুলির আওয়াজ বা বম্বিং-এর আওয়াজ হলেই, খেলা বন্ধ, সবাইকেই নিজের রুমে বা মেসে চলে আসতে হত। কখনও পড়ন্ত বিকেলে পাঁচিলের উপরে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে আসা কমলা আলোয় মন খারাপ হত। একা লাগতো। মনে প্রশ্ন জাগত: এত যে যুদ্ধ হচ্ছে, তাতে কাউকে তো খুশি বলে মনে হচ্ছে না, তা হলে যুদ্ধ করে লাভটা কী হচ্ছে? কয়েক সপ্তাহ থাকার পর যখন রোজ রোজ কাবাব, পোলাও খেয়ে খেয়ে মুখ মেরে যাচ্ছে একটু বাঙালি খাবার খেতে ইচ্ছে করছিল। আড্ডায় এক দিন কথায় কথায় জানালাম যে, আমি রান্না করতে ভালবাসি। আর কিছু একটা বানাতে চাই। সবাই দেখলাম বেশ খুশি হল নতুন ডিশ টেস্ট করার আশায়। ওখানে দু’জন কুকের সঙ্গে ঢুকে পড়লাম কিচেনে। বেশ কষিয়ে গোলবাড়ি টাইপ মটন কষা— দেশ বিদেশ নির্বিশেষে সবাই পারলে তখনই আমায় রাঁধুনির চাকরি দিয়ে দেয় আর কি… আরও জানলাম যে ওখানে পোস্ত খুব সস্তা। মানে তিরিশ টাকা কেজি। অথচ ওখানে খাবারে পোস্ত সে রকম ভাবে ব্যবহার হয় না। ব্যস আর পায় কে! বাঙালি পোস্তর স্বাদ পেলে আর থাকে কী করে? ব্যস… প্রথমে আলু পোস্ত বানিয়ে খাওয়ালাম সবাইকে… এর পর হাতের পাতার সাইজের পোস্তর বড়া, টোম্যাটো পোস্ত, চিকেন পোস্ত— কিছুই বাদ দিইনি। সবাইকে মোটামুটি যত টাইপের পোস্তর পদ হয়, সব খাইয়ে ছেড়েছি! মাঝে মাঝে বেশ টুকটাক ডিশ বানাতাম ওখানে। এমনকি, ওখানকার কুকদের এগরোল অব্দি বানানো শিখিয়ে এসেছি!
প্রায় ৫ মাস এ ভাবেই কেটে গেল। অফিসের যে কাজের জন্যে এসেছিলাম, সেটাও প্রায় শেষের মুখে! কিছু দিন পরেই অফিসিয়াল লঞ্চ সেরে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু তখনও পর্যন্ত এক দিনও বাইরের লোকাল খাবার খাওয়া হয়নি। এক দিন একটা দুঃসাহসের কাজ করেই ফেললাম। পরে বুঝেছিলাম যে ওটা করা মোটেই উচিত হয়নি। এক দিন অফিস থেকে ফিরে এসে কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপচাপ বাংলো কম্পাউন্ড থেকে লুকিয়ে বেরোলাম। বুক দুরুদুরু করছে, কিন্তু হাঁটছি। বেরিয়ে যখন পড়েছি কিছুটা না ঘুরে ফিরব না! হাঁটতে হাঁটতে মোড়ের মাথায়, একটা রেস্তরাঁ পেলাম। চুপচাপ ঢুকে পড়লাম। ভেতরে বেশ কিছু লোকজন বসে। সবার চোখ আমার দিকে। থাকব, না বেরিয়ে যাব ভাবছি— কাউন্টারে বসে থাকা বয়স্ক এক জন লোক জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইন্ডিয়ান?’ হ্যাঁ, বলে বললাম যে, এখানকার খাবার রোজ যেতে যেতে দেখি, খেতে ইচ্ছে করছিল তাই চলে এসেছি। বেশ খুশি হলেন। সঙ্গে অবাকও হলেন! জিজ্ঞাসা করলেন, কী করে এলাম? কেউ তো আসে না ভয়ে! আমাকে বললেন, এ ভাবে আসা ঠিক হয়নি। বিপদ এখানে না বলেই আসে। খুব যত্ন নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, কী খাব। আমি কিছুই জানি না। বললাম, যেটা আপনার পছন্দ সেটা দিন। কিছু ক্ষণ পর একটা ডিশ এল। একটা ছোট গামলায় স্যুপের মতো কিছু! মাঝখানে একটা মাংস ভর্তি ঘটি বসানো। আর একটা প্লেটে তিন টুকরো করা গরম আফগান রুটি! জিজ্ঞাসা করলাম, কী করে খাব? উনি নিজেই খাবার প্রক্রিয়াটা বলে দিলেন! রুটিটা আরও টুকরো করে স্যুপে ডুবিয়ে রাখতে হবে। ঘটি থেকে মাংস বার করে স্যুপে ভেজানো রুটির সঙ্গে খেতে হয়।
বেশ ঝাল ঝাল গরম আর অসাধারণ খেতে। খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর টাকা দিতে গেলে কিছুতেই নিলেন না। বললেন, এত বছর হোটেল চালাচ্ছেন কিন্তু আজ অবধি কোনও বিদেশি একা এসে এখানে বসে খাননি। উনি হোটেলের এক কর্মচারীকে আমার সঙ্গে পাঠিয়ে দিলেন বাংলোর গেট অবধি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। অবাক হয়ে গেলাম… এ রকম আতিথেয়তাতে অভ্যস্ত নই তো! আর এটাও বুঝলাম, কিছু ভাল মানুষ সব জায়গাতেই আছেন। আর খুব খারাপ পরিস্থিতিতে তারা ভালই থাকেন!
ভালয় ভালয় অফিসের কাজ শেষ হয়ে গেল। ফেরার তোড়জোড় চলছে। কিন্তু, মনে তখনও একটা ইচ্ছে যে এখনও চার পাশে কিছুই দেখিনি। ভরসা আমার গাড়ির চালক আহমেদ সাহেব। এর আগে অনেক বার বলতেও যিনি রাজি হননি, তাঁকে গিয়ে ধরলাম… একটা দেশে এসে কিছু না ঘুরে যাব না! অনেক অনুনয় বিনয়ের পর কাজ হল… এর পরের কিছু দিন উনি নিজে আমায় সঙ্গে করে ঘুরিয়েছিলেন। আর খাওয়া হোক কি ক্রিকেট খেলার সুবাদে হোক, দু’জন নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে যেতে রাজি হয়েছিলেন। এর পরের কিছু দিনে যা দেখলাম সারা জীবনে ভুলব না! রুক্ষ্ম পাথরের মরুভূমির মাঝে ঘন নীল লেক। জেড পাথরের এত বড় বড় টুকরো হতে পারে সেটা জানতাম না! গিয়েছিলাম হাতে বোনা কার্পেটের কারখানায়। যেখানে সিল্কের সুতো দিয়ে হাতে করে কার্পেট বুনে চলেছেন মহিলারা। যার সব চলে যায় মধ্য প্রাচ্যে! দাম জিজ্ঞাসা করে বুঝতে পারলাম, কার্পেট তো অনেক দূরের কথা, ৩ ফুট লম্বা আর ২ ফুট চওড়া টুকরো যেটা নমাজ পড়ার সময় ব্যবহার হয়, ওটাও আমার আয়ত্তের বাইরে! ফিরে আসার সময় অনেক শুকনো কিসমিস, বাদাম, খেজুর, এপ্রিকট— এ সব কিনেছিলাম আর কিছু টুকিটাকি… ঘুরতে ঘুরতে বার বার মনে হয়েছে, এত সুন্দর একটা দেশ, পরিস্থিতি ভাল থাকলে যেখানে কোনও দিন টুরিস্টের অভাব হত না, সেটা সবার চোখের আড়ালে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতির কারণে!
অনেক স্মৃতি আর অসাধারণ ছ’মাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে এসেছিলাম। আর কোনও দিন যাওয়া হবে কি না জানি না! কিন্তু ওখানে এত প্রতিকুলতার মধ্যে একসঙ্গে থেকে কাজ করে অনেক নতুন বন্ধু হয়েছে! কয়েক জনের সঙ্গে এখনও মাঝে মাঝে কথা হয়, আর যখনই কথা হয় সেই দিনগুলোর কথা আলোচনা করি! কখনও ভুলব না ড্রাইভার সাহেব, কুক আর যারা আমায় সুরক্ষিত রেখেছিলেন তাঁদের কথা। তখন শেখা ওখানকার ভাষার অন্য শব্দগুলো এখন মনে না থাকলেও একটা শব্দ কখনও ভুলব না!‘তাশাখুর’ যা বাংলা করলে দাঁড়ায় ধন্যবাদ! যদি কোনও দিন আবার ওখানে যাই আর সেই দোকানটা যদি থাকে, আর এক বার যাব! ওঁর হাত ধরে বলে আসব, ‘তাশাখুর’! তত দিন পর্যন্ত ‘তা দিদার বাদ’ অর্থাৎ বিদায়!
From Whatsapp - full credit goes to the respected unknown writer. Thank You.
0 notes
Text
বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও সমাজতত্ত্ব
ওবায়দুল করিম
ইতিহাসে ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে গত ঊনবিংশ শতকে এক বিরাট বিতর্ক ছিলো। বিতর্ক তৈরি করে,ঐ সময়কালের রেডিক্যালরা। তাঁদের যুক্তির মোদ্দা কথাটা হলো, ইতিহাসের গতিপথ নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তির কোন ভূমিকা নেই। যতটুকু আছে তা গতিপথের নিয়ন্ত্রণের ফল হিসেবে।ব্যক্তি সমাজ,সংগঠনের নির্ধারিত সামাজিক সম্পর্কের পাত্র-পাত্রী মাত্র। সামাজিক
পরিবর্তন,ইতিহাসের ঘটনাক্রমে মানুষের ইচ্ছামুক্ত। ফলে সামাজিক ঘটনাসমূহের নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তির ভূমিকা গৌণ। এই ছিলো ইতিহাসের বস্তুতান্ত্রিক যান্ত্রিক ব্যাখ্যার ফল।
বাস্তবটা হলো ভিন্ন। পাত্র-পাত্রীর মিথস্ক্রিয়ায় (Interactions) তৈরি হয়-সমাজ, সামাজিক সম্পর্ক। সমাজ তৈরি হয় যখন,তখনই তৈরি হয় ক্ষমতার বিভাজনের।কেউ হোন নেতা, কেউ হোন সাধারণ সভ্য। নেতা আর সভ্য'র ভেতরে ফারাকটা হলো ব্যক্তির ভূমিকা। ভূমিকা নির্ধারিত হয়, ব্যক্তির যোগ্যতা ও সামর্থ্যের ভিত্তিতে।আর এই যোগ্যতা ও সামর্থ্যের পার্থক্য সমাজের সবক্ষেত্রেই স্তরায়িত করেছে। স্তরায়ন যখন বঞ্চনা ও শোষণের উপায় হয় তা কাম্য নয়,কিন্তু যোগ্যতা ও সামর্থ্যের বিবেচনায় সমাজের প্রগতির উপায় হলে তা, অতি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য,কারণ কোন প্রাণী,গাড়ী এক পা বা এক চাকায় চলেনা।সমাজের অগ্রগতি ও কোন এক পেশাজীবীর ভূমিকায় পরিবর্তন হয়না। সব পেশায় থাকে নেতৃত্ব।নেতৃত্ব সমাজ ও সংগঠনের ভিত্তি।
ইতিহাসে ব্যক্তির ভূমিকা নিষ্ক্রিয় নয়,বরং সক্রিয়তাই পরিবর্তনের উৎস। মানুষ সমাজবদ্ধ হয়, উৎপাদন ও বন্টনের ভিত্তিতে। সমাজে উৎপাদন ও বন্টনের বিষয় না থাকলে, সমাজ তৈরি হতোনা। আগুনের আবিষ্কার মানুষকে উৎপাদনের উপায় তৈরিতে সাহায্য করে,সাহায্য করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে। উৎপাদনের উপায়ের উন্নয়ন সামাজিক সম্পর্কের মাত্রাকে নির্ধারণ করে। বলা হয়, উৎপাদনের উপায় উন্নয়নের একটা মুহূর্তে পুরোনো সামাজিক সম্পর্ক বহাল থাকলে আর এগুতে পারেনা। প্রয়োজন হয়, পুরোনো সামাজিক সম্পর্কের পরিবর্তনের। আর এই পরিবর্তনে প্রয়োজন প্রাগ্রসর ব্যক্তিত্বের।
প্রাগ্রসর ব্যক্তিত্ব যখন ,জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে,এবং এর ফলে জনগণের ভূমিকায় এক সামাজিক সম্পর্ক পরিবর্তনের সূচনা করে। ফলে বদলে যায়,উৎপাদন ব্যবস্থা বা ভিত্তিভূমির। আর এই পরিবর্তন নিয়ে আসে মানুষের নয়া চিন্তা,বিশ্বাস,ধ্যান-ধারণার। স্মর্তব্য ব্যক্তির ভূমিকা এখানে অন্যতম এবং অবশ্যম্ভাবী��� যথেষ্ট উদাহরণ নয়,শুধু একটি উদাহরণের উল্লেখই যথেষ্ট।
মধ্যযুগে ইউরোপে ছিলো সামন্তযুগ বা ভূমিদাস ব্যবস্থা। ভূমিদাসরা ছিল ভূমির দাস। দাসদের এবং তাদের উত্তরসূরীদের আজীবন ভূমিতে শ্রম প্রয়োগ নির্ভর জীবন ছিলো। এই ছিলো ,সামাজিক সম্পর্ক। ঐ সময়কালে ইংল্যান্ডে ও ইউরোপের অন্যান্য স্থানে একটি পুঁজি নির্ভর মার্চেন্ট বা ব্যবসায়ী শ্রেণীর আবির্ভাব ঘটে। নয়া প্রযুক্তির উদ্ভাবন বা উৎপাদনের নূতন উপায় নয়া সামাজিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র তৈরি করে। এই সামাজিক সম্পর্ক হলো পুঁজির মালিক ও শ্রমশক্তি বিক্রয় নির্ভর শ্রমিকের সম্পর্ক। কিন্তু ভুমিদাস সামাজিক সম্পর্ক, এই নয়া সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শিল্পনির্ভর নয়া উৎপাদনের উপায় বা শিল্পায়ন বিকশিত হতে পারছিলোনা ভূমিদাস সামাজিক সম্পর্ক বা প্রথার কারণে। একে বদলানো উৎপাদনের নয়া শক্তির বিকাশের জন্য প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু মানুষেরা ভূমিদাস প্রথাকে স্বাভাবিক মনে করছিলেন। তখনকার সামাজিক বিশ্বাস ছিলো, রাজা ঈশ্বরের প্রতিনিধি। রাজা যা করেন ঈশ্বরের নির্দেশেই করেন। সুতরাং রাজনির্দেশের বিরোধিতা , ঈশ্বরের বিরোধীতাকেই বোঝায়। প্রজারা এও বিশ্বাস করতেন যে, রাষ্ট্র ঈশ্বরের সৃষ্টি। এই বিশ্বাসে বুঁদ হয়ে থাকা মানুষকে বুঁদ মুক্ত করা না হলে, নয়া সামাজিক বিপ্লব বা সামাজিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বেরিয়ে এলেন হবস,লক ,রুশোসহ অনেকেই। বললেন, জনগণের ইচ্ছাতেই রাষ্টের সৃষ্টি হয়েছে।জনগণের চুক্তি,রাষ্ট্র নামক কর্তৃত্বের সৃষ্টি করেছে , সুতরাং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন রাষ্ট্রের কাজে না থাকলে, একে পরিবর্তনের সুযোগ দিতে হবে। রাষ্ট্র ঈশ্বরের সৃষ্টি তা ও সঠিক নয়। জনগণ বিশেষ করে ভূমিদাসদের এই নয়া ধারণায় উদ্বুদ্ধ করতে হবস,লক এবং রুশোর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।শুধু উৎপাদিকা শক্তি বা উৎপাদনের উপায়ের উন্নয়নই নয়,সামাজিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব ও উদ্বুদ্ধকরণ বিশেষভাবে প্রয়োজন। পুঁজিবাদী সমাজের উদ্ভবে বাজারের শক্তির (Market Forces) এর স্বাধীনতা দরকার ছিলো, আর এর বাস্তবায়নে দরকার রাজনৈতিক স্বাধীনতার। হবস,লক,রুশ বললেন গণতন্ত্রের কথা। অর্থনীতির প্রতিষ্ঠান,রাজনীতিক প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। এই বিশাল পরিবর্তনে এঁদের ভূমিকা ছাড়া শিল্পসমাজে উল্লম্ফন সম্ভব ছিলো? দাসব্যবস্থার পরিবর্তন হলো,অথচ স্পার্টাকাস নেই, তা কি হয়? রোবসপিয়র নেই,অথচ হলো ফরাসি বিপ্লব? নেই লেনিন,সম্ভব রুশ বিপ্লবের? মাও সে তুং নেই,কল্পনা করা যায় আধুনিক চীনের? চিন্তা করা যায় , হো চি মিন নেই,অথচ দাঁড়িয়ে আছে ,আধুনিক অগ্রসরমান ভিয়েতনাম? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নেই, আধুনিক বাংলাদেশের? অসাধারণ ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি ইতিহাসের প্রতি ঘটনায় দেখা যায়। ব্যক্তি,অসাধারণ ব্যক্তির ভূমিকা তাই ��তিহাসের ঘটনালবলির উৎস। তাই চিন্তার অস্তিত্ব সামাজিক পরিবর্তনের উপায়। অসাধারণ ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিও তাই প্রয়োজনীয়।
সমাজের অনেক ঘটনাই আমাদের ইচ্ছা নিরপেক্ষ। আমাদের ইচ্ছার উপর সামাজিক ঘটনাসমূহ সকল সময়েই নির্ভরশীল নয়। সামাজিক ঘটনা ঘটবার কারণ সমূহ Social Dynamics বুঝবার সামর্থ্যের সাথে জড়িত। তবে ব্যক্তিত্ববান, যোগ্যতা ও সামর্থ্য রাখেন এমন ব্যক্তি তা অনুধাবন করেন ও সামাজিক গতিবিদ্যার ভবিতব্য অনুধাবন করে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এঁরাই হয়ে উঠেন নেতা,বিজ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান দার্শনিক। বিজ্ঞানী না থাকলে, সমাজ বদলায়? নেতৃত্ত্ব না থাকলেও সমাজ বদলায়না।
যে কোন সামাজিক ঘটনা ঘটবার কালের পেছনে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়াকাল থাকে। ইউরোপে ভূমিদাস প্রথা হাজার বছরের উপরে টিকে ছিলো। তবে ম্যাগনাকার্টার সনদের ঘোষণার সাথে সাথেই, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সূচনা করেনি। ignition বা প্রজ্জলনটা তখন শুরু হলেও, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, ভোক্তা অধিকার ইত্যাদির স্বীকৃতির আরো সময় লেগেছিল। সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি, মনে করতেন দ্বাদশ শতকের ঘোষিত ম্যাগনাকার্টার সনদ তখনই বাস্তবায়ন করতেই হবে,তাহলে তা হতো,ঘোড়ার আগে গাড়ী লাগানোর সামিল। লোহা তপ্ত হয়ে প্রচণ্ড লাল রং ধারণ করলেই, তাকে বাঁকানো যায়। তার আগেই বাঁকানোর চেষ্���া, রাজনীতির ভাষায় একে হঠকারিতা বলে।
রেডিক্যাল রাজনীতির পরিভাষায় বলা হতো, "Concrete analysis of concrete situation" বা "বাস্তব অবস্থার বাস্তব বিশ্লেষণ" করতে পারাটাই রাজনীতিতে সফল হওয়ার মাপকাঠি।
এই অবস্থাকেই একাডেমিক ভাষায় বললে,বলতে হয়,. Objective Condition বা বিষয়গত শর্ত ও Subjective Condition বা বিষয়ীগত শর্ত । যখন কোন কিছু পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত তখন তা বিষয়গত শর্ত এবং জনগণও বা বাইরের শর্তসমূহও পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত,কেবল তখনই পরিবর্তনের জন্য মানুষের ক্রিয়া প্রয়োজন। আর প্রয়োজন একে অনুধাবন করতে পারেন এমন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের। এই শর্তগুলোর অনুপস্থিতি, কোন উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করেনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বজাত্যবোধ ১৯৪৭ এ পাকিস্তান সৃষ্টির পর রাজনৈতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ঘটনা প্রবাহ থেকে উৎসারিত। সময় একটি বড় মাত্রা এখানে। ১৯৪৮ থেকে বাংলা ভাষার উপর আঘাত ,এই প্রতীতি জন্মায়, যে সংখ্যা গরিষ্ঠতা এখানে উপেক্ষিত। পরে উপলব্ধিতে আসে, এতদ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অস্তিত্বকে বিলীন করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গণতন্ত্র উপেক্ষিত হবে, তা সৃষ্টিকালের ঘটনাক্রমের পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট। পাকিস্তানের সরকারী চাকুরেদের তৎকালীন দুই অংশের তুলনা করলে ভেদনীতি স্পষ্ট হয়। একটি সংবিধান দিতে পারেনি ১৯��৬ এর আগে তাও পরিত্যক্ত হয় সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এই অল্প সময়কালটা বঙ্গবন্ধুর মানসপট গঠনে ভূমিকা রাখে। এই কথা আমরা বলে থাকি, রবীন্দ্রনাথ যদি এই কালে জন্ম নিতেন,তাহলে তিনি "ঘরে বাইরে", "শেষের কবিতা" লিখতে পারতেননা। কারণ "ঘরে বাইরে" লিখবার সামাজিক কন্টেক্সটটা এখন নেই। হয়তো আরো মহৎ কিছু লিখতেন। রবীন্দ্রনাথ কলম দিয়ে লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক ক্রিয়ার মাধ্যমে এমনকি কলমে, সম্প্রতি যা প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানের একটা দায়িত্ব হলো,প্রকৃতির নিয়মকে জানা এবং সে নিয়মকে প্রয়োগ করে প্রকৃতিকে বদলানো। এইই হলো মানবজাতির সভ্যতার বিকাশের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু সামাজিক ঘটনা প্রবাহকে বোধে আনতেন, এবং সামাজিক ঘটনা প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করতেন। বাস্তব অবস্থার,বাস্তব বিশ্লেষণ বোধ ছিলো তাঁর প্রখর। বাংলাদেশের রেডিক্যাল চিন্তায় যখন ,রণনীতি,রণ-কৌশল, বিষয়গত ও বিষয়ীগত অবস্থা নিয়ে বিতর্ক চলছে, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জার্গণ(Political Jargon) বা political cliche নয়, জনগণের ভাষায় জনগণের সাথে যোগাযোগ করতেন।
এদেশে বাম প্রগতির পক্ষের শক্তিগুলো যখন রুশ-চীন রাজনৈতিক বিভক্তি হয়, এরপরে কিছু চীনাপন্থী পক্ষ, বাংলাদেশ(তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান)পাকিস্তানের উপনিবেশ, আধা-উপনিবেশ, জাতিগত নিপীড়ন, আধা-সামন্তবাদ ইত্যাদি বিতর্কে কালক্ষেপন আর নিজেদের বিভক্তি বাড়াচ্ছেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের ভাষায়, পূব আর পশ্চিমের বৈষম্য বোঝাচ্ছিলেন।বোঝাচ্ছিলেন সাংস্কৃতিক নিপীড়নের কথা। বাম মার্গে এমন সহজ ভাষায় জনগণের সাথে যোগাযোগের উপায় ছিলোনা। প্রধান দ্বন্দ্ব ও অপ্রধান দ্বন্দ্ব নিরুপন করতে গিয়ে Jargon War ছাড়া বামপন্থীরা আর কিছুই করতে পারেননি।অথচ ঐ কালের পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তানের উপনিবেশ কিনা, সমাজকাঠামো আধা-ঔপনিবেশিক কিনা এ বিতর্কে না গিয়েও, সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষার ব্যবহারে জনগণের দোরে পৌঁছুনো যেতো। বঙ্গবন্ধু শুধু শব্দ দিয়ে নয়,কাজের মাধ্যমে জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, তৎকালীন পাকিস্তানের পূর্ব অংশ ,সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে বৈষম্যের শিকার। এই বোধের অনুরণনে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চিন্তার স্ফুরণ ঘটে।
আওয়ামী লীগ ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়। পাকিস্তানের বৈদেশিক নীতির প্রশ্নে, এই ভাঙ্গনের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। একটি সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে নিগৃহীত জনগোষ্ঠীর কাছে, বৈদেশিক নীতির আবেদন জনগণের কাছে প্রধান হয়? পন্থী নির্ভর রাজনীতি, দেশের অভ্যন্তরীণ social dynamics বুঝতে দেয়না। যখন দেশের অভ্যন্তরে জাতীয় নিপীড়ন থেকে মুক্তিলাভ প্রধান তখন গৌণ কারণকে মুখ্য ভূমিকায় নিয়ে আসা সমীচীন?
বঙ্গবন্ধু এইসব বিভ্��ান্তিকে দূরে সরিয়ে বাঙালী জাতীয়তবাদী আন্দোলনের গতিটাকে সচল রাখতে পেরেছিলেন।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ পাকিস্তানের পূর্ব অংশের নিরাপত্তাযে পাকিস্তানী শাসকদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয় তা উপলব্ধিতে আসে,তখনকার এতদ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর কাছে। বঙ্গবন্ধুর ৬দফায় এ বিষয়টিও এসেছে যথার্থ প্রয়োজনে।
লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ গঠনের কথা থাকলেও, পাকিস্তান একটি এককেন্দ্রিক সরকারের স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় পতিত হয়। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিসত্তা নয়, এক ইউনিটের বাতিলের দাবি করে মূলত পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের বালুচ, পাঠান,সিন্ধু জাতিসত্তার উন্মেষ চাইছিলেন। এক ইউনিট প্রথা বাতিলের দাবি তাই প্রমান করে। উগ্র জাতীয়তবাদী বা শভিনিজম নয়, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদের ধারণা যা দেশসমূহের মুক্তি সংগ্রামকে যুক্ত করে ,তাতেই তাঁর বিশ্বাস ছিলো।
৬দফায় ছিলো এক অভাবনীয় ফেডারেশনের প্রস্তাব, যা শিথিল বা কনফেডারেশনেও খুব প্রতিভাত হয়না। প্রাক্তন সোভিয়েট ইউনিয়নে ১৫টি অঙ্গরাজ্যের স্বকীয় পতাকা এবং ফেডারেশন থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার থাকলেও , প্রতি রাজ্যের জন্য পৃথক মুদ্রার ব্যবস্থা বা আলাদা স্টেট ব্যাংকের ধারণা ছিলোনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তাই। এছাড়া এর বিকল্প হিসেবে সহজে বিনিময় যোগ্য মুদ্রা তবে তা কোনভাবেই পাকিস্তানের পূর্ব অংশ থেকে পশ্চিম অংশে পাচার হতে পারবেনা,একটি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থাকলেও ,দুই অঞ্চলে দুইটি স্টেট রিজার্ভ ব্যাংক থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু এমন দাবী মূলত স্বাধীনতাকেই প্রতিষ্ঠা করে।এক ইউনিট প্রথা ও দুই অংশের সংখ্যা সাম্য ছিল অগণতান্ত্রিক। এই ব্যবস্থার রদের দাবী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবারই নামান্তর। পাকিস্তানে যেমন নয় বছর লেগেছিল শুধু একটি সংবিধান প্রণয়নে,ঠিক তেমনি সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রথম নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে। এর পেছনে বঙ্গবন্ধুর ৬দফার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। Universal Suffrage এর ধারণা , বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের ফসল ছিলো, তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
খাজনা আদায়ে স্টেট্ সমূহের হাতে ন্যস্ত করবার বিষয়সহ প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী গঠন মূলত স্বাধীনতার নকশাই ছিল। লাহোর প্রস্তাবের উৎস ধরে স্বাধীনতার এক মহাপরিকল্পনা এই ৬দফাতে বিবৃত ছিলো। গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের ঘটনাবলীর নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিলেন,বঙ্গবন্ধু। এইজন্য একে যে মুক্তির মহাসনদ বলা হতো,তা যথার্থই ছিলো।
বঙ্গবন্ধুর সাথে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ছিলো অত্যন্ত মধুর ও আন্তরিক সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু মাওলানা ভাসানীকে শ্রদ্ধা করতেন, মাওলানা ভাসানীও ��ঙ্গবন্ধুকে স্নেহ করতেন। রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের বিশ্লেষণে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও, এই সম্পর্ক কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
১৯৭০ সালের নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়,গৃহহীন হয়ে পড়ে তার চেয়েও বেশি। এমন অবস্থায় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কোন রাজনৈতিক নেতৃত্বই সহানুভূতি জানাতেও দুর্গত এলাকা ভ্রমণ করেনি। সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান , হেলিকপ্টারে করে একটা এরিয়াল ভিউ দেন মাত্র। সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, ইয়াহিয়ার বাংলার মানুষের সাথে এহেন অমানবিক আচরণের উপর এক অসাধারণ কবিতাও লেখেন।
এই ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে,বিভিন্ন বাম সংগঠনগুলো নির্বাচন বর্জনের ডাক দেয়।" ভোটের আগে ভাত চাই" স্লোগান দিয়ে নির্বাচন বর্জনে�� ডাক ছিলো,এঁদের। বঙ্গবন্ধু জানতেন , বিষয়ীগতভাবে জাতিকে প্রস্তুত করতে নির্বাচনে জনরায় এক মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। ঘূর্ণিঝড় ও এর পরবর্তী পাকিস্তানী শাসকদের এতদ অঞ্চলের মানুষের প্রতি আচরণ ও এর প্রতিক্রিয়া যে নির্বাচনে পড়বে,তা বঙ্গবন্ধু যথার্থভাবেই অনুভব করেছিলেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টা এমন হয়েছিলো যে, "ভাতের জন্য ভোট চাই"। বঙ্গবন্ধু এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছিলো, সময়োপযোগী। একাডেমিক ভাষায় এই সিদ্ধান্ত ছিলো,"Concrete analysis of the concrete situation"; নির্বাচন যদি না হতো, বাঙালির রায় যে, বিষয়ীগতভাবে বা subjectively পরিণত তা জানবার আর কোন উপায়ই ছিলোনা।এছাড়া সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার Legal Framework Order(LFO) মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ অসাধারণ বিচক্ষণতার পরিচায়ক। একটা প্রচলিত কথা আছে, "শৃঙ্খলিত অবস্থায় শৃঙ্খলমুক্তির গান গাইতে হয়"; বঙ্গবন্ধু বাংলার শৃঙ্খলমুক্তির জন্য ,শৃঙ্খলের মাঝেই সংগ্রাম ও বিপ্লবের জন্য জনসাধারণকে প্রস্তুত করলেন। পরবর্তীকালে এই প্রযুক্তির ফল দেখি, মার্চের অসহযোগ আন্দোলনে। তাঁর নির্দেশেই, পুরো প্রশাসন চলেছিল। সত্তুরের নির্বাচন যদি না হতো, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের ঘটনাপঞ্জি হয়তো বিলম্বিত হতো। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে পারা, রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বড় উপায়। জাতীয়তবাদী আন্দোলনের সময়, সমাজতন্ত্রের ইস্যু নয়,বরং জাতিসত্ত্বার মুক্তি সংগ্রামটাই প্রধান। পাকিস্তানের ফেডারেলিজমের দাবি নিয়ে,স্বাধীনতায় পৌঁছে দেয়ার কৃতিত্ব একমাত্র তাঁর। রাজনৈতিক মুক্তি,অর্থনৈতিক মুক্তির সোপান তৈরি করে। তাই রাজনৈতিক সংগ্রামের গুরুত্ব বঙ্গবন্ধু যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন। এবং স্বাধীনতার পরে, গণতন্ত্র,সমাজতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ এর প্রয়োগ ও অর্জনে মুক্তির আকাঙ্খা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার তাঁর মাঝে দেখতে পাই।
প্রতি ব্যক্তিরই থাকে পরিচিতি। জৈবিক পরিচিতি যেমন, পিতা,সন্তান, ইত্যাদি । পিতা পরিচিতির সাথে সাথে সমাজ পিতা ��িসেবে কিছু দায়িত্ব পালন করতে বলে। আবার মানুষের সামাজিক পরিচিতিও থাকে। যেমন,ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ। এগুলো সামাজিকভাবে অর্জিত, জৈবিক নয়। তবে সমাজ এখানেও পরিচিতি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে বলে।যেমন, যদি শিক্ষক হয়,তাহলে ছাত্রদের বিদ্যা বিতরণ করতে হবে। এই ভূমিকা ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপায়। তবে কিছু ব্যক্তিত্ব দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সামাজিক পরিচিতি অর্জন করেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই জাতির জনক পরিচিতি অর্জন করেন। ইতিহাসে ব্যক্তির ভূমিকা শুধুমাত্র, ব্যক্তিকে অসামান্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করে তা নয়,ইতিহাসের গতিপথ,সমাজের আদলকেও নিয়ন্ত্রণ করেন।বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, সমাজতত্ত্বে ব্যক্তির ভূমিকার এক তাত্বিক ধারণার প্রতিষ্ঠায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
Powered by Journey Diary.
0 notes
Text
মুক্তিযুদ্ধ, ভারমির আর লিম্বার্গের রবিনহুড
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিল্পীদের ভূমিকার ব্যাপারে কথা বলতে গেলে আমরা কম বেশি সবাই ‘দ্য কন্সার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর কথা কথা বলবো। বিটলস-এর জর্জ হ্যারিসন এবং রবিশঙ্করের আয়োজিত এই কনসার্টের ব্যাপারে আমরা কে না জানি? এই প্রদর্শনী বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সচেতনতা এবং ত্রাণ তহবিল গঠনের প্রচেষ্টা হিসেবে, মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার বিরুদ্ধে সাহায্যের আবেদন নিয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজন করা হয়েছিলো। কিন্তু আরেকজন আন্তর্জাতিক শিল্পীর শিল্পকর্মের সাথে যে খুব অপ্রত্যাশিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের যোগসূত্র আছে সেটা আমার একদমই জানা ছিল না। আর সেই ঘটনাটা আমি জানতে পারি ২০০৯ সালে শিল্পের ইতিহাস নিয়ে ইন্টারনেট ঘাটতে ঘাটতে। আর তাই নিয়েই আজকের লেখা। শিরোনাম পড়ে এতক্ষণে হয়তো আপনি জেনে গেছেন যে এই চিত্রকর আর কেউ নন বরং জোহানস্ ভারমির (Johannes Vermeer)। সপ্তদশ শতাব্দীর ডাচ চিত্রকর ভারমির তাঁর চিত্রকর্মে অসাধারণ আলোর কারিগরির জন্যে বিশ্ববিখ্যাত। তাঁর চিত্রকর্মে ফুটে উঠেছে সে সময়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপ। চিত্রের এই ফোটোরিয়ালিস্টিক ডিটেইল নিয়ে এখন অব্দি দেশে বিদেশে আর্ট বোদ্ধারা গবেষণা করেন। কিন্তু সপ্তদশ শতকের চিত্রকর ভারমিরের সাথে আমাদের ৭১ এর কি যোগসূত্রই বা থাকতে পারে?
গল্পে এখানটায় আরেকজন চরিত্র চলে আসেন যার নাম মারিয়ো পিয়েরে রয়মান্স (Mario Pierre Roymans)। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্রাসেল্স শহরের ‘ফাইন আর্ট প্যালেস’-এ অনুষ্ঠিত হয় ‘রেমব্রান্ট অ্যান্ড হিস এজ’ নামের একটি প্রদর্শনী যার অংশ হিসেবে প্রদর্শিত হচ্ছিল ভারমিরের অন্যতম চিত্রকর্ম ‘লাভ লেটার’। পর্দার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখছে দর্শক, ১৭ শতকের এক বিশ্বস্ত দাসী মালকিনের হাতে এনে দিল এক প্রেমপত্র! পেইন্টিঙটির মূল বাসস্থান অ্যামস্টারডাম রাইক্স মিউজিয়াম (Rijksmuseum) হলেও এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে তাকে আনা হয় ব্রাসেল্সে (Brussels) । আর এই প্রদর্শনীতেই অপ্রত্যাশিতভাবে চুরি যায় ভারমিরের ‘লাভ লেটার’ (Love Letter) । চুরি করেন আমাদের গল্পের মূল চরিত্র রয়মান্স।
২১ বছর বয়সী রয়মান্স প্রদর্শনী চলাকালে একটি বৈদ্যুতিক বাক্সে লুকিয়ে থাকেন। অতঃপর প্রদর্শনী শেষে ‘লাভ লেটার’ নিয়ে ফাইন আর্ট প্যালেসের একটি জানালা দিয়ে বেরুবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারমিরের মূল পেইন্টিঙটি ছিল জানালার চেয়েও বড়। তখন রয়মান্স তার পকেটে থাকা একটি আলুর খোসা ছাড়ানোর চাকু দিয়ে চিত্রটিকে মূল ফ্রেম থেকে আলাদা করে আনেন। বলা বাহুল্য যে এতে চিত্রকর্মটির অনেক ক্ষতি হয়, কিন্তু এখানেই শেষ নয়, রয়মান্স চিত্রটিকে তার প্যান্টের পেছনে গুঁজে ফেলে প্যালেসের জানালা দিয়ে পালিয়ে যান। চুরির পর রয়মান্স প্রথমে লাভ লেটার লুকিয়ে রাখেন দি সোয়েটেওয়ে হোটেলের ( The Soetewey Hotel) নিজস্ব রুমে। এই হোটেলেরই একজন সাধারণ ওয়েটার ছিলেন রয়মান্স। পরবর্তীতে ছবিটিকে নিজের রুম থেকে সরিয়ে পুঁতে রাখেন জঙ্গলের মাটিতে। ফলশ্রুতিতে ভারমিরের চিত্রকর্মের কি ক্ষয়ক্ষতি হয় পাঠক নিশ্চয়ই ধারণা করতে পারছেন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এর সাথে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কটা কোথায়? হ্যাঁ, বুঝলাম ঘটনাটা ১৯৭১ সালের কিন্তু কোথাও মুক্তিযুদ্ধের কোন যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আমাদের অঞ্চলে চলছে মানব ইতিহাসের এক বর্বরতম গণহত্যা। টেলিভিশনেই এর ব্যাপারে প্রথম জানতে পারেন রয়মান্স। বাংলার মাটিতে ঘটে যাওয়া বর্বর ধর্ষণ, খুন, রক্তপাতের ঘটনা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি রয়মান্স। কিন্তু আরও ভেঙে পরেন যখন দেখতে পান এই বিষয় নিয়ে পশ্চিমে তেমন কোন আলোচনা নেই, কোন পদক্ষেপ নেই, কোন ভাবান্তর নেই! আদর্শবাদী রয়মান্স তখন সিদ্ধান্ত নেন এই মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে তারই কিছু করা দরকার। যার দরুন তিনি চুরি করেন ‘লাভ লেটার’। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ বিশ্বব্যাপী সাড়া তুলুক না তুলুক ভারমিরের পেইন্টিং চুরি বিশ্বব্যাপী একটি বড় ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। তাৎক্ষনিকভাবে এর খোঁজও শুরু হয় তুমুল আকারে। একই বছর অক্টোবরের ৩ তার��খ রয়মান্স “যেল ভ্যান লিমবার্গ” ছদ্মনামে (রবিন হুডের সমতুল্য একজন কাল্পনিক চরিত্র) ব্রাসেল্সের ‘le Soir’ পত্রিকায় যোগাযোগ করেন। কথামতো কুয়াশাচ্ছন্ন এক ভোরে একজন সাংবাদিক রয়মান্স-এর সাথে দেখা করতে আসেন। প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর রয়মান্সের সাথে দেখা মেলে, কিন্তু তার চেহারা ছিল এক প্লাস্টিকের মুখোশে মোড়ানো! সাংবাদিককে প্যাসেঞ্জার সিটে ঠেলে দিয়ে রয়মান্স তাকে চোখ বেঁধে ফেলতে বলেন এবং নিজে প্রায় আধঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ছোট একটি গির্জার সামনে এসে গাড়ি থামান। তারপর সাংবাদিককে অপেক্ষা করতে বলে ভেতরে চলে যান। ফিরে আসেন সাদা কাপড়ে মোড়ানো ‘লাভ লেটার’ নিয়ে । পেইন্টিংটি যে তার কাছেই আছে তার প্রমাণ হিসেবে সে গাড়ির হেডলাইটে সাংবাদিকে কিছু ছবি তোলার সুযোগ করে দেন। ফিরতি পথে আবার চোখ বাঁধা সাংবাদিক আর স্টিয়ারিং হাতে রয়মান্স। তবে এসময় রয়মান্স একটু হাল্কা হয়ে শিল্পের প্রতি তার ভালবাসা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন যে এই পেইন্টিং সংরক্ষণের জন্যে যদি লাগে তবে জীবনের ১০ বছর দিতে রাজি, তবে তা তো আর সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, একজন মানবিক ব্যক্তি হিসেবে তার মনে হয়েছিল ৭১-এর গণহত্যা নিয়ে তার কিছু করা উচিত। সে এই পেইন্টিং ফিরিয়ে দেবে। তবে শুধু তার তিনটি দাবী ছিল পরবর্তীতে যা তার ছবিসহ সে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়–
১। বাংলাদেশের অত্যাচারিত মানুষের জন্য ২০০ মিলিয়ন ফ্রাঙ্ক পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
২। রাইক্সমিউজিয়াম যাতে বিশ্ব দুর্ভিক্ষ উত্তরণের উদ্দেশ্যে নেদারল্যান্ডে একটি অর্থ সংগ্রহের অভিযানে নামে।
৩। পাশাপাশি বেলজিয়ামের প্যালেস অফ আর্টসও যাতে অর্থ সংগ্রহের অভিযান চালায়।
এই তিন দাবী পূরণের জন্যে রয়মান্সের দেয়া শেষ তারিখ ছিল ৬ই অক্টোবর ১৯৭১ ।
প্রবন্ধ প্রকাশের পরদিনই স্থানীয় পুলিশ ‘Le Soir’ এর প্রধান কার্যালয়ে এসে সেই সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে, এবং পুলিশকে আগে এই ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। (এখানে বলে রাখা ভাল যে, আমি অনেক চেষ্টা করেও সেই সাংবাদিকের মূল পরিচয় জানতে পারিনি। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ তা জেনে থাকেন, নির্দ্বিধায় আমাকে জানাবেন) । সাংবাদিকের তোলা ছবিগুলো পুলিশ জব্দ করে আর্ট বিশেষজ্ঞের মতামত নিলে পরে জানা যায় ছবিগুলো আসলে ভারমিরেরই । The original Love Letter by the one and only Vermeer. কিন্তু পরিস্থিতি আরও ��াঞ্চল্যকর হয় যখন এ.ই.এফ শেনডেল একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে এমন একটা দাবী করেন যে Le Soir এর প্রকাশিত আলোকচিত্র যথেষ্ট নয় লাভ লেটারের সত্যতা প্রমাণের জন্যে, এতে অস্থির হয়ে রয়মান্স আরও কয়েকটি পত্রিকা ও রেডিও স্টেশনের সাথে যোগাযোগ করেন। ডাচ আর্ট হিস্টোরিয়ান ও ভারমির বিশেষজ্ঞ ব্লাংকার্ট-এর ভাষ্যমতে, ডাচ জনগণ রয়মান্সের দাবীতে ব্যাপকভাবে সাড়া দেয়। তার নিজের ভাষায়, জনগণ যেভাবে দাবিগুলো গ্রহণ করেছিল তাকে বলা যায় ‘alarmingly well received’ । তার গ্রেপ্তার ও ওয়ারেন্ট মউকুফের দাবীতে সাধারণ জনগণ আবেদন করে এবং তার প্রস্তাবের সম্মতিতে অনেক ছোটো বড় উদ্যোক্তা বাঙালী শরণার্থীদের জন্যে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে। এইদিকে যখন আমাদের অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে, আমাদের দেশ স্বাধীন হতে চলেছে, সেইদিকে আমাদের দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে ব্রাসেল্সের দেয়ালে-ব্রিজে বাংলার মানুষদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে শ্লোগান লিখছে সেদেশের মানুষেরা । কিন্তু পরিস্থিতি তখনো অনেক উত্তেজনাময় সে শহরে, ভারমিরের পেইন্টিং বলে কথা! রয়মান্স টেলিফোন করে এইবার ‘Het Volijk’ পত্রিকা অফিসে, হুমকি দেয় যে ৬ই অক্টোবরের মধ্যে যদি তার দাবী সরাসরি সম্প্রচারে স্বাক্ষর না করা হয় তাহলে সে একজন আমেরিকান আর্ট কালেক্টরের কাছে বিক্রি করে দেবে ‘লাভ লেটার’। কিন্তু ৬ই অক্টোবরই রয়মান্সকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিপি সার্ভিস স্টেশানের যে পাবলিক টেলিফোন বুথ থেকে সে পত্রিকায় টেলিফোন করছিলেন, সেই বুথের মালিকের স্ত্রী অ্যানির (Annie Mommens) কাছে রয়মান্সকে সন্দেহজনক মনে হয়েছিল, তাই সে পুলিশে খবর দেয় । বুথের মালিককে পুলিশের সাথে কথা বলতে দেখে রয়মান্স ঘাবড়ে গিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই। তিনি পার্শ্ববর্তী একটি ফার্মে দৌড়ে দুটো গরুর মাঝখানে লুকোনোর চেষ্টা করেন, কিন্তু এবেলা সে চেষ্টা বিফলে যায়। প্রায় দু’সপ্তাহের আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার পর রয়মান্সকে খুঁজে পায় পুলিশ। রয়মান্স তৎক্ষণাৎ পুলিশের হাতে নিজেকে সমর্পণ করে এবং নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে দেয় পেইন্টিংটি কোথায় লুকোনো আছে ।
দি সোয়েটেওয়ে হোটেল-মালিক মার্কের (Mark Durwael) ভাষ্যমতে, রয়মান্স ছিল খুবই নম্র স্বভাবের একজন আদর্শ কর্মচারী। তবে পাকিস্তানের যুদ্ধ ও বাঙালী শরণার্থীদের কষ্ট তাকে ভাবাতো, সে প্রায়ই এই প্রসঙ্গ আনতো এবং আক্ষেপ করত। মার্ক খেয়াল করত, যে ভারমিরের পেইন্টিং চুরির খবর টেলিভিশনে প্রচার হলেই রয়মান্স খুব সতর্ক হয়ে যেত এবং তা মনোযোগ দিয়ে দেখত। গ্রেপ্তারের পর লিমবার্গের এই রবিনহুড জনগণের তাচ্ছিল্য নয় বরং ভালবাসাটাই বেশি পেয়েছেন। পত্রিকা এবং রেডিও স্টেশনগুলো���ে হাজারো চিঠি জমা হতে থাকে তার সমর্থনে। রয়মান্স-এর বিচার হয় ২০ ডিসেম্বর, এবং ১২ জানুয়ারি থেকে তার দুই বছরের কারাদণ্ড শুরু হয়। যদিও রয়মান্স ৬ মাস জেল খাটার পর ছাড়া পেয়ে যান।
মারিয়ো পিয়েরে রয়মান্স
লিম্বার্গের এই রবিনহুডের জীবনের শেষ পরিণতি সুখকর ছিল না। পৃথিবীর যুদ্ধ, অসামঞ্জস্য তাকে ভাবাতো। তিনি বিয়ে করেছিলেন, তার একটি সন্তানও হয়। কিন্তু এক অমোঘ নিয়তিতে চরম বিষণ্ণতায় ভোগার কারণে তার বিয়ে শেষ পর্যন্ত টেকে না। তার জীবনের শেষ কটা দিন ঘরছাড়া হয়ে নিজের গাড়িতে কাটান। ১৯৭৮ সালের বক্সিং ডেতে তাকে প্রচণ্ড অসুস্থ অবস্থায় তার গাড়িতে পাওয়া যায়। এর ১০ দিন পড় ১৯৭৯ সালের ১০ জানুয়ারি রয়মান্স মৃত্যুবরণ করেন। রয়মান্সের বোনের কথায়, রয়মান্স এমন এক আদর্শবাদী মানুষ ছিলেন, যার জন্যে তার সময় প্রস্তুত ছিলনা (an idealist ahead of his time) । স্যু সমারস (Sue Sommers), রয়মান্সকে নিয়ে একটি বইও লিখেন, তার কথামতে, রয়মান্স মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিল। একসময় সে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনালিসাও চুরি করতে চেয়েছিল!
রয়মান্স গ্রেপ্তারের পর, ৮ অক্টোবর ‘লাভ লেটার’ ফিরে যায় রাইক্স মিউজিয়ামে (Rijksmuseum), ১১ই অক্টোবর একে প্রেসের সামনে প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর পেইন্টিং-এর ক্ষতির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে একটি আন্তর্জাতিক দল গঠন করা হয় ছবিটি পুনরুদ্ধারের (restoration) জন্য । এই পুনরুদ্ধারের কাজ চলে টানা এক বছর ধরে। ১৯৭৩ সালে তা শেষ হলে রাইক্স মিউজিয়ামের ২৩০ নম্বর কক্ষে (Gallery of Honour) ‘লাভ লেটার’ পুনঃপ্রদর্শিত হয়। দর্শকদের ধারণা দেয়ার জন্য এই প্রদর্শনীতে পুনরুদ্ধার কাজ চলাকালীন অনেক আলোকচিত্রও স্থান পায়। সেই তখন থেকে আজ অব্দি লাভ লেটার রাইক্স মিউজিয়ামেই সংরক্ষিত আছে।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সেই দেশটি এখন স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু এই বাংলাদেশের একটা ছোট্ট ইতিহাস গায়ে মেখে এখনো রাইক্সের দেয়াল আঁকড়ে আছে ১৭ শতকের ‘লাভ লেটার’।
https://arts.bdnews24.com/?p=22149&fbclid=IwAR1tL2OuxPezDdvkg8IqngogWX0sPUBevtF2XY5SrQj_MHJki7TGwcTFRiY
0 notes
Text
৭১-এ ভারতীয়দের বাংলাদেশ হরিলুট!
New Post has been published on https://is.gd/8uNRac
৭১-এ ভারতীয়দের বাংলাদেশ হরিলুট!
অনেকেই অনেক প্রশ্ন করবেন বা করে থাকবেন। যখন একজন বাংলাদেশি বাংলাদেশ নিয়ে ভালো মন্তব্য করে তখনি নানা প্রশ্নের জন্য দেয়। বর্তমানে ভারত আর চীন, দুটি দেশের দহরমমহর চলছে। আর ভারতীয়রা ৭১ এ বাংলাদেশের এই করেছে ঐ করেছে বলে বাংলাদেশের সুবিধা গ্রহণ করতে চাইছে। তেমনি এক ভারতীয় ভাইয়ের প্রশ্ন: ১৯৭১ সালে ১ কোটি বাংলাদেশি শরনার্থীদের জন্য ভারতের দুর্বল অর্থনীতি যে বোঝা টেনেছিল, এবং হাজার হাজার ভারতীয় সেনারা, যারা নিহত হন বাংলাদেশিদের জীবন রক্ষা ও স্বাধীন করতে, সেই ক্ষতিপূরন বাংলাদেশ সরকার কেন দিতে বাধ্য নয়? কিছু তথ্য দিয়ে উত্তরটি দিলাম। ��েষ পর্যন্ত পড়ে যান আশা করি উত্তরটি বুঝতে পারবেন। ১) দূর্বল অর্থনীতি নিয়ে শরণার্থী বোঝা, ২) যুদ্ধে ভারতের প্রাপ্ত লভ্যাংশ, ৩) ভারতীয় সেনাদের বাংলাদেশ লুট ৪) কেন বৈধ নয় তার ব্যাখা করছি। সবশেষে, বাংলাদেশ কি করেছে ভারতের জন্য। [১] দূর্বল অর্থনীতি নিয়ে শরণার্থী বোঝাঃ এটি সত্য। তখন ভারতের অর্থনীতি একদমই ভালো ছিল না। তার উপর প্রায় ১ কোটি শরণার্থী দেখাশোনা,খাওয়া দাওয়া ইত্যাদির বোঝা টানা। অনেক ভারতীয় মনে করেন ভারত নিজে একাই এই মহানুভবতার কাজটি করেছে। যেটি একটি ভুল ধারণা। এই শরণার্থীদের জন্য কিন্ত ভারতকে বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি ডলারের সাহায্যসহ জাতিসংঘের অনেক অনুদান এসেছে। যার অর্থ পরিমাণ নিচে ছবিতে দেওয়া হল। এটা নিতান্তই কম নয়। ৯ মাস হিসেবে যথেষ্ট। তাছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হবার ফলে ভারতের যে বড় একটা ভৌগলিক,অর্থনৈতিক লাভ হয়েছে তার জন্য এইটুকু কষ্ট ভারতকে করতেই হত। প্রমাণ: চিত্রে দেওয়া আছে। [২] ভারতের প্রাপ্ত লভ্যাংশঃ যুদ্ধে পাকিস্থান আত্নসমর্পন করে ভারতের কাছে। এর কারণ ছিল যদি মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্নসমর্পন করে যারা একটি মিলিশিয়া তবে পাকিস্থানি সেনাদের কচুকাটা করতো মুক্তিবাহিনী। তাই পাকিস্থান ভারতের কাছে আত্নসমর্পন করে যেন ভারত জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্থানিদের পাকিস্থানে নিরাপত্তার সাথে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য থাকে।যদিও চুক্তিতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই নাম উল্লেখ ছিল। এসবের বিনিময়ে ভারতকে পাকিস্থান একটি খুবই ভারী অংকের টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়। যা ভারত একাই নিয়ে নেয়। বাংলাদেশকে এর কোন ভাগ দেয়া হয়নি।যদিও বাংলাদেশের এই ক্ষতিপূরণ দরকার ছিল বেশি।বাংলাদেশ দীর্ঘ ৯ মাসের রণক্ষেত্রে ধ্বংসের স্তুপে পরিনত হয়েছিল। যুদ্ধ তো চলছিল পাকিস্থান আর মুক্তিবাহিনী বা বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশ এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেনি যেহেতু মুক্তিবাহিনী কে অস্ত্র ও শরণার্থীদের সাহায্য করেছে ভারত। ভারতীয় অফিসিয়াল হিসেবে মোতাবেক পাকিস্তানের কাছ থেকে ভারত সর্বমোট ৫৪৩ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার দুইশত চুরানব্বই রুপি ক্ষতিপূরণ আদায় করে। প্রমাণ: চিত্রে দেওয়া আছে। উক্ত ছবিটি Official history of the 1971 India Pakistan War নামের নথি থেকে নেয়া হয়েছে। ১৯৯২ তে history Division of the Ministry of Defence of India লেখা। নথিটি পেতে নিম্নের লিংকে গিয়ে appendix অপশন ডাউনলোড করে 822 পেইজে যান। লিঙ্ক: প্রথম কমেন্টে দেওয়া আছে। [৩] ভারতীয় সেনার বাংলাদেশ লুটঃ ভারত পরবর্তীতে পাকিস্তানীদের ফেলে যাওয়া সকল অস্ত্র এবং ৮৭ টি ট্যাংক নিয়ে যায় যার মূল্য ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নিজের চোখে দেখা এসব কর্মকান্ডে খুলনার ডিসি কামাল সি��্দিকি তার বইতে লিখেন ভারতীয় সৈন্যদের লুটপাটে�� মধ্যে অস্ত্র ছাড়াও ছিল :- ১)মজুদকৃত খাদ্য শস্য, ২)কাঁচা পাট, ৩)সুতা, ৪)গাড়ি, ৫)জাহাজ, ৬)শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেশিন ও যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য। কামাল উদ্দিন সিদ্দীকি লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে করা তার পিএইচডি থিসিসে বাংলাদেশের দরিদ্রতার কারণ হিসেবে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তার থিসিসটি পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান থেকে বই আকারে বের হয়। কামাল সিদ্দীকির বই- The political economy of rural poverty in Bangladesh / Kamal Siddiqui (Dacca : National Institute of Local Government, 1982) (1st ed.) Page: 427 প্রমাণ: চিত্রে দেওয়া আছে। কামাল সিদ্দিকীর মতে সব মিলিয়ে কম করে ধরলেও এই লুটপাটের পরিমাণ কেবল খুলনা জেলাতে ছিল তৎকালীন হিসেবে ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সারা বাংলাদেশের ১৯টি জেলা থেকে লুটাপাটের পরিমাণ কেমন হতে পারে সেটা অনুমান অসম্ভব নয়। প্রমাণ: চিত্রে দেওয়া আছে। ২১শে জানুয়ারি ১৯৭২ সালে ব্রিটেনের বিখ্যাত গার্ডিয়ান পত্রিকায় সাংবাদিক মার্টিন ঊলাকট (Martin Woollacott) Indians ‘loot whole factory ‘শিরোনামে লেখায় লিখেন; “Systematic Indian army looting of mills, factories and offices in Khulna area has angered and enraged Bangladesh civil officials here. The looting took place in the first few days after the Indian troops arrived in the city on December 17” (Martin Woollacott, Indians ‘loot whole factory, The Guardian, Jan 22, 1972). প্রমাণ: নিচে চিত্রে দেওয়া আছে। [৪] কেন বৈধ নয়ঃ ১) ভারত বাংলাদেশের কাছে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে না। কারণ দুই দেশের মধ্যে এরকম কোন চুক্তি হয় নি যার ভিত্তিতে ভারত এরকম কিছু দাবি করবে। ২) ভারত পূর্ব-পাকিস্থান এ প্রবেশ করেছিল এবং পাকিস্থানি সেনা দ্বারা প্রতিহতে অনেকে নিহত হয়ে ছিল। তাই ভারতের সেনাদের ক্ষতিপূরণ পাকিস্থান দেবার কথা বাংলাদেশ নয়। ৩) ইতিহাস থেকে এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশ ভারতকে পূর্ব পাকিস্থান হামলার জন্য কোন সুবিধা বা কিছু দিবে বলে অঙ্গীকার করে নি। ৪) পূর্ব-পকিস্থান হামলা ভারতের নিজস্ব সিধান্ত ছিল এবং ভারত বাংলাদেশ হামলা করেছিল কারণ ৩ ডিসেম্বর পাকিস্থান ভারতের ১১ টি বিমান ঘাটিতে একসাথে হামলা চালিয়ে ছিল। তাই ভারত পূর্ব পাকিস্থানে হামলা করতে আন্তর্জাতিক কোন বাধা থাকে নি। ৫) ভারত যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সাথে মিত্রবাহিনী হিসেবে যোগ দিয়েছিল কিন্তু যুদ্ধে জয়ী হবার পর পাকিস্থানের ক্ষতিপূরণ নিজে একা গিলে ফেলে। বাংলাদেশকে কিছুই দেয় নি। তাই বাংলাদেশ উল্টো সেই পাকিস্থান প্রদত্ত অর্থের থেকে নিজে কিছু দাবি করতে পারে। কারণ যুদ্ধ কে��ল আপনি একা লড়েন নি।
0 notes
Text
a k m mozammel haque, will see you
মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সব উন্মাদ পাগল নিজের জীবন দিয়ে দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিল; তারা কেন অবহেলিত? আ ক ম মোজাম্মেল হক? মহান আল্লাহ্র দরবারে আপনাকে জবাব দিহি করতে হবে। ভুলে যাবেন না-জাতিরজনক তাঁর নিজের ৩ সন্তানের চেয়ে কোন মুক্তিযোদ্ধাকে কম ভালো বাসেননি। কাউকে ��ন্মান না দেখাতে পারেন, কোন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অধিকার আপনার নেই; আপনি হোন মন্ত্রী সাংসদ বা কোন ব্রিগেডিয়ার অথবা জেনারেল আব্দুল্লাহ । শেখ হাসিনারও কোন অধিকার নেই কোন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার। mind it. ৭ দিন কি ৮ দিন পায়ে হেটে না খেয়ে মুজিবনগরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নেশায়। এ নেশা সাড়ে সাত কোটি মানুষের রক্তে মাংসে অস্তিত্বে মগজে সেলের মত বিধেছিল ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ “পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে হবে” জাতিরজনকের এই উদাত্ত আহবানে সারা দেয়া কী ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? তাই আমি মুক্তিযোদ্ধা। নামবিহীন অস্তিত্ববিহীন মুক্তিযোদ্ধা! নাম বদলে দিলাম। মোঃ মোকতেল হোসেন থেকে নাম বদলে হয়ে গেলাম মোকতেল হোসেন মুক্তি। পরবর্তীতে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ১৩ই এপ্রিল ১৯৭২ সালে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হলে মাদারীপুরের কৃতি সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক খাদ্যমন্ত্রী প্রয়াত ফনি ভূষন মজুমদারের অনুস্বাক্ষরে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবীল থেকে এক হাজার টাকার অনুমোদন (মাদারীপুর মহকুমা প্রশাসক অফিসে) এবং ৩ বান ঢেউ টিন প্রদান করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের রেকর্ডে একজন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় আমার চাকুরী হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের সচিবালয়ে আমিই ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলাম। আমার ডিউটি ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার ফুফা, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি, সাবেক চীপ হুইপ আলহাজ্ব হাসনাত আব্দুল্লাহ সেরনিয়াবাত এর গর্বিত পিতা, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ভাইয়ের শ্বশুর, সাংসদ ব্যারিষ্ঠার তাপসের নানা সাবেক কৃষক লীগের সভাপতি ভুমি মন্ত্রী ও পরবর্তীতে পানি সম্পদ মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায়।ইতিহাসের ঘৃণ্য কালো অধ্যায় ১৫ই আগস্টের মধ্যযূগীয় বর্বর হত্যাকান্ডের লাশ দেখে আমি পাগল হয়ে যাই। পিজি হাসপাতালে আমার ৩ মাস চিকিৎসা চলে এবং সে তিন মাসের বেতন ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তন করে। এ কথা সকলেই জানেন। আমি ভারতের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমার ঘরের সব কাগজপত্র আমার ভাইদের শিক্ষার সনদ, জমির দলিল দস্তাফেজ সমূহ সব মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ছিড়ে ফেলি। আমার পরিবারের সব আমি ধংস করে ফেলেছিলাম। ভুমি মন্ত্রনালয় তার প্রমান। আমি মন্ত্রীকে এসব কথা বলাতে আমাকে অপমান করতে পারেন না। আমি প্রবাসে থাকি। আমাকে আবেদনের সুযোগ না দিয়ে অপমান করার অধিকার মন্ত্রীর নাই। তিনি আমার দরখাস্ত গ্রহন করা ও না ��রার অধিকার রাখেন কিন্তু মেজর জেনারেল সুবিদ আলীর নির্দেশে আমাকে অপমান করতে পারেন না। তিনি আমার আবেদনে লিখেছেন “যেহেতু আবেদনকারী বহুবার দেশে এসেছিলেন এবং আবেদন করেন নি তাই তার আবেদন গ্রহন করা গেল না” তিনি মেজর জেনারেল সুবিদ আলীর শিখানো কথা মত বললেনঃ ৪৫ বছর পরে মুক্তিযোদ্ধা হতে এসেছে। বের করে দেন”। আমি মুক্তিযোদ্ধাই নই, একজন সক্রিয় আওয়ামি যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আমার জীবনে অন্য কোন বিষয় কাজ করেনি এবং এ মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগই আমার ধ্যান ধারনা চিন্তা চেতনা আদর্শ এ কথা প্রমান করে আমার ৬০ হাজার প্রায় লীফলেটস, ব্যানার ও পোষ্টার এশিয়ায় ইন্টারনেট চালু হবার পর থেকেই কার বিনা প্ররোচনায় করে এসেছি। শুধু তাই নয় আমি ২০০ ওয়েব সাইট ও ব্লগ মেইনটেইন করি যা’শুধু যুদ্ধাপরাধী মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সংক্রান্ত। এ সকল ছবি ও ব্লগ/ওয়েবসাইটগুলোই প্রমান করে যে আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রীতিমত একজন বদ্ধ উন্মাদসম গবেষক। Just write my name on the google search engine where you’ll get real Identity of mine “write Moktel Hossain Mukthi or muktimusician. এ ছাড়াও আমি একজন একনিষ্ঠ অনলাইন আওয়ামী যোদ্ধা। মালদ্বীপের বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, মালদ্বীপের মাটিতে আমিই সর্ব প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু এবং পাকিস্তানের ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য জনসভায় বক্তৃতা প্রদান করে পাকিস্তান হাই কমিশনের মামলা খাওয়া একজন মালদ্বীপ সরকারের শিক্ষক। মন্ত্রী মহোদয় এ সব পরিচয় জানার পরেও বলেন নি যে আপনি বসেন বা কিছু বরং তাঁর আচার ব্যবহার এতই রুঢ় ছিল যা’ শিবির বা জামাতের কারো সাথে করছেন বলে অনুমেয়। আমার সাথে ভদ্র ভাষায় কথাও বলেন নি। এক পর্যায়ে জেনারেল সুবিদ আলীর কথায় তিনি আমাকে ঘাড় ধরে তাঁর কক্ষ থেকে বেড় করে দেয়ার কথা বলেন এবং অতঃপর………।। তিনি মন্ত্রী না হলে হয়তো সেখানেই কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতো। আমি আমার নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে চলে আসি। আমার সহযোদ্ধারা এখনো অনেকেই বেচে আছেন। ড: গোলাপ আমার সাথের একই ক্যাম্পের যোদ্ধা। আওয়ামি যোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী সব সময় প্রচন্ড মিথ্যা কথা বলেন। যা’ মিডিয়া ও বক্তৃতায় বলেন, বাস্তবের সাথে তার কোন মিল নেই; তিনি যা বলেন সব মিথ্যা কথা মিথ্যা তথ্য। এখনো বহু আসল মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত করতে পারেনি অথচ তিনি বক্তৃতায় ঘোষনা করলেন সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা রেকর্ড করা হবে। আসল অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামই সংগ্রহ করতে পারেন নি-তিনি কিভাবে এ ঘোষনা প্রদান করেন? তার দেয়া সব তথ্য জাতিকে বিভক্ত করছে; মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কলঙ্কিত হ��্ছে। নতুন তালিকা প্রণয়নের নামে এগুলো প্রতারণা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। মিডিয়া, দেশবাসী এমন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রতারণা করছেন । দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলা ও জেলাসমূহে যে দুর্নীতি চলছে, যে সনদ ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের নামে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের বিগত বছরগুলোর সকল সফলতা এমন কি মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের যে অবদান সব মলিন হয়ে যাবে এই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীদের মত স্বজনপ্রীতি দুর্নীতি গ্রস্থ নেতা/কমান্ডারদের কারনে। কারন আপনি আদর্শিক কারনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষন ও মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করছেন। সমস্ত মন্ত্রী এম পি দের তৃনমূলের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। ক্ষমতা ও অর্থ সম্পদ শালী মধ্য শ্রেণীর নেতা যার মধ্যে অর্ধেকই প্রায় জামাত শিবির ও বি এন পি, তাদের সাথে তাল মিলিয়ে, হাত মিলিয়ে আমার মত পাগল ছাগল নিবেদিত ত্যাগি সৎ নিষ্ঠাবান অভিজ্ঞ উচিত কথাবলার প্রকৃত মুক্তিসেনাদের এভাবেই তারা অপমান তাচ্ছিল্য করে দূরে সরিয়ে রাখে। যে কারনে ছাত্রলীগের ছেলেদের সেনাবাহিনী নৌ বাহিনী বিমান বাহিনী পুলিশ বিজিবি ও অন্যান্য সরকারী ভালো পদে চাকুরী হয় না। কারন ওরা ত টাকা দিতে পারবে না। দলীয় ছাত্র লীগের ছেলেদের নিকট টাকা চাইতেও পারে না; যদি আবার নেত্রীকে বলে দেয় বা জানিয়ে দেয়। তাই গোপনে আওয়ামী লীগের নেত্রীর বিশ্বাসী নেতাগন গোপনে চাকুরী প্রদান করে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির সুপারিশ ও তদবীর করে জামাত বি এন পির ছেলে মেয়েদের । কারন টাকা পাওয়া যাবে।উত্তরা ও এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় আমার বাস। আমার জানা মতে ঠিক আমারই মত ত্যাগি জীবনবাজী রেখে নৌকার জন্য ভোট সংগ্রহ কারীর একটি মেয়েকে বঙ্গ মাতা স্কুলে ভর্তির জন্য কি না করেছে? মায়া ভাই পর্যন্ত বিষয়টি জানতেন। সে মেয়েটি সুযোগ পায়নি; দেখা গেছে-ঢাকা এয়ারপোর্ট ও বিমানে চাকুরীরত জামাত বি এন পির ছেলে মেয়েরা অজানা রহস্যের কারনে সবাই সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। এর নাম স্বাধীনতা ? মুক্তিযুদ্ধ ? আওয়ামী লীগ ? এত সে বঙ্গবন্ধুর নৌকা ডুবানোর দুরদন্ত শয়তানী মাঝি খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চাষী মাহবুবুল আলম, নূরুল ইসলাম, কে এম ওবায়দুর রহমান তাহের উদ্দিন ঠাকুরদের চেয়ে একটূ কম নয়। আমিই হলাম বাঙ্গালী জাতির মধ্যে সবচেয়ে কুলাঙ্গার। ধিক্রিত অবহেলিত লাঞ্ছিত মূর্খ বেয়াকুপ বেয়াক্কেল আহাম্মদ বোকা গাধা । না পারলাম প্রাণ খুলে হাসতে না পারলাম দুটি কন্যা সন্��ানকে প্রাণ খুলে হাসাতে। কি লাভ হল? এ স্বাধীনতায়? যে স্বাধীনতা আমার অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেয় না; সে স্বাধীনতাকে আমি কেন স্বীকৃতি দেব? রাষ্ট্রই যদি আমাকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়, আমি কেন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবো? কেউ দেবে না। এটাই নিয়ম, এটাই লজিক। জানি আমি এতে হবো রাষ্ট্রদ্রোহী। তাও মন্দ কী? একটা কিছু ত হবো? আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ঘাড় ধরে বেড় করে দেয়?? এ স্বাধীনতার অর্থ কী? কেন পেলাম? কি আশায় স্বাধীন হলাম? কিসের নেশায় নৌকা নৌকা মুজিব মুজিব করে জীবনের শেষ অবস্থানটুকুকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে নির্বাসিত হলাম এই দ্বীপ রাজ্য মালদ্বীপে । ভুল কোথায়? ভুল তো আছেই হয়তো জানিনা জীবনের কোথায় কোন সিদ্ধান্তে বড় রকমের ভুল ছিল। তাই ভুলের মাশুল দিয়ে গেলাম ৬৫ বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধা মোকতেল হোসেন মুক্তি। ভুল তথ্য দিচ্ছেন। এর সমাধান চাই। এর একটি পরিস্কার ব্যাখ্যা চাই; সত্যের জয় হবে; তাই চাই; জাতিরজনকের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের নিয়ে রঙ তামাশা করবে; মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণের নামে ব্যবসা করবে, এর জন্য যুদ্ধে যাইনি, এর জন্য ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী শহীদ হয়নি; এর জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত হারায়নি। আসল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই করতে ব্যর্থ মোজাম্মেল হক। এই মিথ্যাচারের জন্য আল্লাহ্ বিচার করবেন রোজ হাসরের দিন। মহান আল্লাহর বিচারে কারো হাত নেই। আল্লাহর উপরে কোন মন্ত্রী নেই; আল্লাহর উপরে বিচারক নেই; রোজ হাসরের থেকে শক্তিশালী ক্ষমতাবান কোন আদালত নেই। বহু আসল মুক্তিযোদ্ধা এখনো তালিকার বাইরে এবং এ সমস্যা আগামী ১০০ বছরেও কোন সরকার সমাধান করতে পারবে না। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কথা রেকর্ড হবে । মন্ত্রী নিজেও জানে না যে উপজেলা জেলা গুলোতে এই তালিকা নিয়ে কি পরিমান টাকার ছাড়াছড়ি চলছে? কি পরিমান ব্যবসা করছে নব্য থানা কমান্ডারগণ। এমন কোন উপজেলা নেই যেখানে সত্যকারের মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়ে নাই এবং ভূয়া মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী মন্ত্রীর ক্ষমতা বলে নয়তো এম পির ক্ষমতা বলে অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা বলে নতুন তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এমন প্রমান আমার গ্রামে আমার ইউনিয়নে রয়েছে। আমি ত অন্যের ক্কথা শূনে এ সব লিখিনি ভাই।ফুরিয়ে যাচ্ছে ৭১ এর সোনার ছেলে মেয়েরা, বেচে থাকবে শুধু ৭১ এ জন্ম নেয়া নব্য মুক্তিযোদ্ধারা, যারা লক্ষ টাকায় মুক্তিযুদ্ধের সনদ কিনে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। আমরা মুজিবনগরে (ভারতে) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এর চেয়ে বড় পরিচয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ডঃ আব্দুস সোবহান গোলাপ ভারতের চাদপাড়া এবং পরবর্তীতে ব্যারাকপুর মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং আমরাও একই সময়ে একই শিবিরে একই কমান্ডারের অধীন প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। ডঃ আব্দুস সোবহান গোলাপের নাম যদি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তালিকায় থাকতে পারে, তবে আমাদের নাম থাকবে না কেন? শুধু আমরা নই, সারা বাংলাদেশে বহু অখ্যাত অপরিচিত অশিক্ষিত অজো পাড়া গায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি। বহু মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যেই পরলোকগমন করেছেন, কোন স্বীকৃতি ও সুযোগ সুবিধা ভোগ না করেই তারা চলে গেছেন বাঙ্গালী জাতিকে মহান স্বাধীনতা প্রদান করে। তাদের নাম কে তালিকাভুক্ত করবে? কে�� একটি সঠিক তদন্ত কমিটি কর্তৃক সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়নি? এ প্রশ্ন সরকার ও দেশবাসীর কাছে। আমরা মনে করি মহান মুক্তিযুদ্ধের নেত্রিত্বদানকারী দল হিসেবে জাতিরজনক বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের এ মহান দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধাদের জীবদ্ধশায় সম্পন্ন করা উচিত। সবাই শেয়ার করুন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সত্যিকারে শ্রদ্ধা থাকে। আমার সার্টিফিকেট দরকার নাই। কোন ভাতার দরকার নাই। আপনি মুসলমান দাবী করলে আমি কেন করবো না? আমিও তো নামাজ পড়ি? মন্ত্রী আমাকে অপমান করতে পারে না। তার চেয়ে আওয়ামী লীগের জন্য আমার অবদান সেই ৬৯ থেকে অদ্যাবধি তিল পরিমান কম নয়; বঙ্গবন্ধু আমাকে চাকুরী দিয়েছিলেন সচিবালয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। অমুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায় এবং তা আওয়ামী লীগের আমলে এবং আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর স্বাক্ষরে কেন? আমার কি ইচ্ছে করে না যে আমার সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোক। আমার সন্তানের কি ইচ্ছে করে না, তার বাবা মুক্কতিযোদ্ধা এ কথা অন্য দশজনের নিকট বলে গৌরব বোধ করতে? মন্ত্রীর ইচ্ছে মত চলতে পারে না; এ সব তথ্য নেত্রীর জানা দরকার। নিবেদক - মোকতেল হোসেন মুক্তি, কন্ঠশিল্পী মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সময়৭১। মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মালদ্বীপ শাখা সাধারণ সম্পাদক মালদ্বীপস্থ প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশন সুরকার গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক সঙ্গীত শিক্ষক জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু । সমাজের মানুষের সৃষ্ট সকল জঞ্জাল তথা এ ঘুনে ধরা বনাঞ্চল, ডাস্টবিনের ময়লায় কলুষিত নোংড়া নরপৈশাচিক মন মানসিকতায় সিক্ত, ক্ষমতার দাম্ভিকতায় উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসী লুটার সর্বস্ব-ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হলে যা'করতে হবেঃ ********************** “সমাজপতি, ধনপতি, কোটিপতি, পুঁজিপতি, মওজুতদার, মুনাফাখোর, ঘুষখোর, দুর্নীতিপরায়ণ, মিথ্যাচারী, স্বৈরাচারী, ভন্ড, প্রতারক, জোচ্চর, ধূর্ত, কূটকৌশলী, জ্ঞানপাপি, নাপিতদের সার্ফ এক্সেল দিয়ে মগজ ধোলাই” “বঙ্গবন্ধুর গান” আর হলনা মুক্তির গাওয়াঃ ৩ টি এলবামের জন্য ৩০ টি গান রেডী করেছিলাম “বঙ্গবন্ধুর গান” মিউজিক ট্র্যাক সব ঠিক ঠাক-দেশে যাবো অবসর নে��ো মালদ্বীপের সরকারী চাকুরী থেকে আর এই ডিসেম্বরেই প্রকাশ করবো। আর হলনারে সুবিদ আলী ভূইয়া। ভালোভাবে বাচতে দিলিনা।
0 notes
Text
বালাকোটে জইশ ঘাঁটিতে ফের জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলছে
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/balakot-again-reactivated-rawat/
বালাকোটে জইশ ঘাঁটিতে ফের জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলছে
বিশেষ সংবাদদাতা : পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। সেই ঘাঁটিতে ফের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এ মুহূর্তে ১২৯ জন জঙ্গি সেখানে ডেরা করে রয়েছে। পাকিস্তানের সক্রিয় মদত রয়েছে। আজ চেন্নাইয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত এ কথা জানান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন ভারতে হামলা করার জন্য ৫০০ জঙ্গি সীমান্তের ওপারে ওত পেতে রয়েছে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সেক্ষেত্রে ভারত কি ফের বালাকোটে হামলা করবে। রাওয়াত বলেন, সেনাবাহিনী কি একই রকম কৌশল নেয়। পাকিস্তানকে চাপে রাখতে স্ট্র্যাটেজি গোপনে রাখতে হয়। ভারত কি করতে চাইছে তা নিয়ে চিন্তা করুক। প্রধানমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে গতকাল হিউস্টনের হাউডি মোদি অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারত সকলের সাহায্য চায় বলে জানান। একই মঞ্চে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, নিরাপত্তার কারণে ভারতের সীমান্ত সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। আমেরিকাও সীমান্ত সমস্যায় ভুগছে। মোদি আমেরিকা ও ভারতের জঙ্গি হানার কথা ও পাকিস্তানের মদতের কথা উল্লেখ করেন। আমেরিকার সঙ্গে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন তিনি।
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/127922
বঙ্গবন্ধু কখনও ১৭ মার্চ জন্মদিন পালন করেননি: তোফায়েল
.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক রাজনৈতিক সচিব ও সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিন্তা করলেন একদিন বাংলার মানুষকেই এই বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হতে হবে। তিনি সেই লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে তিনি প্রথমে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পরে ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তিনি তার লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছেন। সেই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে তিনি ১৩টি বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন, তবুও আপস করেননি। তিনি ছিলেন আপসহীন নেতা।
আজ বুধবার সকালে ভোলা বাংলাস্কুল মাঠের ভাসানী মঞ্চে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীর জনক ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীকে একত্র করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিচক্ষণ নেতা। তার মতো নেতা বিরল। তিনি যা বিশ্বাস করতেন তাই তিনি করতেন। তিনি তার বিশ্বাসের সাথে কখনো আপস করেননি। পাকিস্তানের যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছিল সেই সরকারই তাকে কারাগারে নিয়েছিল। ১৯৭১ এ পাকিস্তানের মেওন আলী কারাগারে যখন বন্দি তখন তাকে কারাগারের মধ্যে ফাঁসি দেওয়ার জন্য কবরের পাশে দাঁড় করিয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন আমি কবরকে ভয় পাই না। তোমরা আমাকে ফাঁসি দেবে, দাও। আমি জানি যে বাংলার দামাল ছেলেরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে সেই ��াতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না।
বঙ্গবন্ধু কোনোদিন ১৭ মার্চে নিজের জন্মদিন পালন করেননি উল্লেখ করে জাতীর জনকের সাবেক রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহেমদ আরো বলেন, ১৭ মার্চ যে দিন বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের সাথে দেখা করে ধানমন্ডি ফিরেছিলেন তখন সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে ধরে বলেছিলেন আজকে আপনার জন্মদিন। আজকের দিনে আপনার প্রত্যাশা কি। তিনি বলেছিলেন, সামগ্রিকভাবে জাতির মুক্তি। তারপর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি আমার জন্মদিন পালন করি না। আমি আমার জন্মদিনে মোমের বাতি জ্বালাই না। আমি কেক কাটি না। যে দেশের মানুষ ক্ষুধা, অর্ধাহারে, অনাহারে মৃত্যুবরণ করে, কথায় কথায় গুলি করা হয় তাদের নেতা হিসেবে আমার জন্মদিনই কি আমার মৃত্যুদিনই কি! আমি তো আমার জীবন বাঙালি জাতির জন্য উৎসর্গ করেছি। সত্যিই তিনি তার জীবন বাঙালি জাতির জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আজ অনেক বড় বড় নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে অনেক ঐতিহাসিক কথা বলেছেন উল্লেখ করে সাবেক ডাকসুর ভিপি আরো বলেন, তিনি ছিলেন প্রেরণাদানকারী একজন নেতা। বিশ্বে তিনি ছিলেন একজন মর্যাদাশালী নেতা। বঙ্গবন্ধুর স্নেহেধন্য হয়েছেন উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, বিদেশিরা যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করতেন তা কল্পনা করাও যায় না। যেমন সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিলেন যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিনি, সোভিয়েত প্রেসিযেন্ট নিকোলাই পদগর্নির, পরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রেমিকো, রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি লিওনিদ ব্রেজনেভ, এই প্রভাবশালী চার নেতা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
তিনি যুগোস্লাভিয়া গেলে প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো এবং প্রধানমন্ত্রী জামাল বিয়েদিস জাতীর জনককে অভ্যর্থনা জানান। তিনি মিসরে গেলেন, আনোয়ার সাদাত মিসরের প্রেসিডেন্ট, জাকারিয়া মহিউদ্দিন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। অর্থাৎ পাকিস্তানে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ফজলে এলাহি, জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুজনেই বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। তিনি এমন একনেতা ছিলেন যার জন্য কোনো প্রটোকল ছিল না। প্রটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী আসেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও অনেক রাষ্ট্রপতিও বঙ্গবন্ধুকে নেওয়ার জন্য বিমানবন্দর আসতেন। আজ জাতির জনকের যোগ্যকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। এ যাত্রায় বাংলাকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে আসবেন বলে জানান তিনি।
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
0 notes
Text
তবে কি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন আফ্রিদি?
তবে কি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন আফ্রিদি?
পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন দেশটির জনপ্রিয় ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। বর্তমানে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে এমন জল্পনাই চলছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ছবিকে ঘিরে এই জল্পনার সূত্রপাত। এতে দেখা গেছে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের সঙ্গে আফ্রিদিকে কোলাকুলি করতে।
টুইটারে একজন মন্তব্য করেছেন, ইমরানের ক্ষমতা গেলে কি…
View On WordPress
0 notes
Text
মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান মোকতেল হোসেন মুক্তি
মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান মোকতেল হোসেন মুক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি বিশেষ্য বিশেষন দিয়ে তোষামোদি করতে জানিনা। তাই সরাসরি আমার কিছু না বলা কথা এবং কিছু হতভাগা মুক্তিযোদ্ধাদের করুন ইতিহাস আপনার সদয় অবগতির জন্য মিডিয়ার সাহায্য নিতে বাধ্য হলাম। আপা, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুজিবনগরে প্রশিক্ষণ নেয়া যোদ্ধা। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ২রা মার্চ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু/বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজুদ্দিন আহমেদ একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই ১০ মিনিটের নির্দেশে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চাকুরী প্রদান করেছিলেন। ৭ দিন কি ৮ দিন পায়ে হেটে না খেয়ে মুজিবনগরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নেশায়। এ নেশা সাড়ে সাত কোটি মানুষের রক্তে মাংসে অস্তিত্বে মগজে সেলের মত বিধেছিল ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ "পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে হবে" জাতিরজনকের এই উদাত্ত আহবানে সারা দেয়া কী ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? তাই আমি মুক্তিযোদ্ধা। নামবিহীন অস্তিত্ববিহীন মুক্তিযোদ্ধা! নাম বদলে দিলাম। মোঃ মোকতেল হোসেন থেকে নাম বদলে হয়ে গেলাম মোকতেল হোসেন মুক্তি। পরবর্তীতে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ১৩ই এপ্রিল ১৯৭২ সালে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হলে মাদারীপুরের কৃতি সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক খাদ্যমন্ত্রী প্রয়াত ফনি ভূষন মজুমদারের অনুস্বাক্ষরে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবীল থেকে এক হাজার টাকার অনুমোদন (মাদারীপুর মহকুমা প্রশাসক অফিসে) এবং ৩ বান ঢেউ টিন প্রদান করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের রেকর্ডে একজন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় আমার চাকুরী হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের সচিবালয়ে আমিই ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলাম। আমার ডিউটি ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার ফুফা, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি, সাবেক চীপ হুইপ আলহাজ্ব হাসনাত আব্দুল্লাহ সেরনিয়াবাত এর গর্বিত পিতা, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ভাইয়ের শ্বশুর, সাংসদ ব্যারিষ্ঠার তাপসের নানা সাবেক কৃষক লীগের সভাপতি ভুমি মন্ত্রী ও পরবর্তীতে পানি সম্পদ মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায়।ইতিহাসের ঘৃণ্য কালো অধ্যায় ১৫ই আগস্টের মধ্যযূগীয় বর্বর হত্যাকান্ডের লাশ দেখে আমি পাগল হয়ে যাই। পিজি হাসপাতালে আমার ৩ মাস চিকিৎসা চলে এবং সে তিন মাসের বেতন ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তন করে। এ কথা সকলেই জানেন। আমি ভারতের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমার ঘরের সব কাগজপত্র আমার ভাইদের শিক্ষার সনদ, জমির দলিল দস্তাফেজ সমূহ সব মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ছিড়ে ফেলি। আমার পরিবারের সব আমি ধংস করে ফেলেছিলাম। ভুমি মন্ত্রনালয় তার প্রমান। আমি মন্ত্রীকে এসব কথা বলাতে আমাকে অপমান করতে পারেন না। আমি প্রবাসে থাকি। আমাকে আবেদনের সুযোগ না দিয়ে অপমান করার অধিকার মন্ত্রীর নাই। তিনি আমার দরখাস্ত গ্রহন করা ও না করার অধিকার রাখেন কিন্তু মেজর জেনারেল সুবিদ আলীর নির্দেশে আমাকে অপমান করতে পারেন না। তিনি আমার আবেদনে লিখেছেন “যেহেতু আবেদনকারী বহুবার দেশে এসেছিলেন এবং আবেদন করেন নি তাই তার আবেদন গ্রহন করা গেল না” তিনি মেজর জেনারেল সুবিদ আলীর শিখানো কথা মত বললেনঃ ৪৫ বছর পরে মুক্তিযোদ্ধা হতে এসেছে। বের করে দেন”। আমি মুক্তিযোদ্ধাই নই, একজন সক্রিয় আওয়ামি যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আমার জীবনে অন্য কোন বিষয় কাজ করেনি এবং এ মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগই আমার ধ্যান ধারনা চিন্তা চেতনা আদর্শ এ কথা প্রমান করে আমার ৬০ হাজার প্রায় লীফলেটস, ব্যানার ও পোষ্টার এশিয়ায় ইন্টারনেট চালু হবার পর থেকেই কার বিনা প্ররোচনায় করে এসেছি। শুধু তাই নয় আমি ২০০ ওয়েব সাইট ও ব্লগ মেইনটেইন করি যা’শুধু যুদ্ধাপরাধী মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সংক্রান্ত। এ সকল ছবি ও ব্লগ/ওয়েবসাইটগুলোই প্রমান করে যে আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রীতিমত একজন বদ্ধ উন্মাদসম গবেষক। Just write my name on the google search engine where you’ll get real Identity of mine “write Moktel Hossain Mukthi or muktimusician. এ ছাড়াও আমি একজন একনিষ্ঠ অনলাইন আওয়ামী যোদ্ধা। মালদ্বীপের বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, মালদ্বীপের মাটিতে আমিই সর্ব প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু এবং পাকিস্তানের ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য জনসভায় বক্তৃতা প্রদান করে পাকিস্তান হাই কমিশনের মামলা খাওয়া একজন মালদ্বীপ সরকারের শিক্ষক। মন্ত্রী মহোদয় এ সব পরিচয় জানার পরেও বলেন নি যে আপনি বসেন বা কিছু বরং তাঁর আচার ব্যবহার এতই রুঢ় ছিল যা’ শিবির বা জামাতের কারো সাথে করছেন বলে অনুমেয়। আমার সাথে ভদ্র ভাষায় কথাও বলেন নি। এক পর্যায়ে জেনারেল সুবিদ আলীর কথায় তিনি আমাকে ঘাড় ধরে তাঁর কক্ষ থেকে বেড় করে দেয়ার কথা বলেন এবং অতঃপর.........।। তিনি মন্ত্রী না হলে হয়তো সেখানেই কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতো। আমি আমার নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে চলে আসি। আমার সহযোদ্ধারা এখনো অনেকেই বেচে আছেন। ড: গোলাপ আমার সাথের একই ক্যাম্পের যোদ্ধা। আওয়ামি যোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী সব সময় প্রচন্ড মিথ্যা কথা বলেন। যা' মিডিয়া ও বক্তৃতায় বলেন, বাস্তবের সাথে তার কোন মিল নেই; তিনি যা বলেন সব মিথ্যা কথা মিথ্যা তথ্য। এখনো বহু আসল মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত করতে পারেনি অথচ তিনি বক্তৃতায় ঘোষনা করলেন সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা রেকর্ড করা হবে। আসল অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামই সংগ্রহ করতে পারেন নি-তিনি কিভাবে এ ঘোষনা প্রদান করেন? তার দেয়া সব তথ্য জাতিকে বিভক্ত করছে; মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কলঙ্কিত হচ্ছে। নতুন তালিকা প্রণয়নের নামে এগুলো প্রতারণা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। মিডিয়া, দেশবাসী এমন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রতারণা করছেন । দেশ���র প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলা ও জেলাসমূহে যে দুর্নীতি চলছে, যে সনদ ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের নামে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের বিগত বছরগুলোর সকল সফলতা এমন কি মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের যে অবদান সব মলিন হয়ে যাবে এই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীদের মত স্বজনপ্রীতি দুর্নীতি গ্রস্থ নেতা/কমান্ডারদের কারনে। কারন আপনি আদর্শিক কারনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষন ও মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করছেন। সমস্ত মন্ত্রী এম পি দের তৃনমূলের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। ক্ষমতা ও অর্থ সম্পদ শালী মধ্য শ্রেণীর নেতা যার মধ্যে অর্ধেকই প্রায় জামাত শিবির ও বি এন পি, তাদের সাথে তাল মিলিয়ে, হাত মিলিয়ে আমার মত পাগল ছাগল নিবেদিত ত্যাগি সৎ নিষ্ঠাবান অভিজ্ঞ উচিত কথাবলার প্রকৃত মুক্তিসেনাদের এভাবেই তারা অপমান তাচ্ছিল্য করে দূরে সরিয়ে রাখে। যে কারনে ছাত্রলীগের ছেলেদের সেনাবাহিনী নৌ বাহিনী বিমান বাহিনী পুলিশ বিজিবি ও অন্যান্য সরকারী ভালো পদে চাকুরী হয় না। কারন ওরা ত টাকা দিতে পারবে না। দলীয় ছাত্র লীগের ছেলেদের নিকট টাকা চাইতেও পারে না; যদি আবার নেত্রীকে বলে দেয় বা জানিয়ে দেয়। তাই গোপনে আওয়ামী লীগের নেত্রীর বিশ্বাসী নেতাগন গোপনে চাকুরী প্রদান করে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির সুপারিশ ও তদবীর করে জামাত বি এন পির ছেলে মেয়েদের । কারন টাকা পাওয়া যাবে।উত্তরা ও এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় আমার বাস। আমার জানা মতে ঠিক আমারই মত ত্যাগি জীবনবাজী রেখে নৌকার জন্য ভোট সংগ্রহ কারীর একটি মেয়েকে বঙ্গ মাতা স্কুলে ভর্তির জন্য কি না করেছে? মায়া ভাই পর্যন্ত বিষয়টি জানতেন। সে মেয়েটি সুযোগ পায়নি; দেখা গেছে-ঢাকা এয়ারপোর্ট ও বিমানে চাকুরীরত জামাত বি এন পির ছেলে মেয়েরা অজানা রহস্যের কারনে সবাই সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। এর নাম স্বাধীনতা ? মুক্তিযুদ্ধ ? আওয়ামী লীগ ? এত সে বঙ্গবন্ধুর নৌকা ডুবানোর দুরদন্ত শয়তানী মাঝি খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চাষী মাহবুবুল আলম, নূরুল ইসলাম, কে এম ওবায়দুর রহমান তাহের উদ্দিন ঠাকুরদের চেয়ে একটূ কম নয়। আমিই হলাম বাঙ্গালী জাতির মধ্যে সবচেয়ে কুলাঙ্গার। ধিক্রিত অবহেলিত লাঞ্ছিত মূর্খ বেয়াকুপ বেয়াক্কেল আহাম্মদ বোকা গাধা । না পারলাম প্রাণ খুলে হাসতে না পারলাম দুটি কন্যা সন্তানকে প্রাণ খুলে হাসাতে। কি লাভ হল? এ স্বাধীনতায়? যে স্বাধীনতা আমার অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেয় না; সে স্বাধীনতাকে আমি কেন স্বীকৃতি দেব? রাষ্ট্রই যদি আমাকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়, আমি কেন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবো? কেউ দেবে না। এটাই নিয়ম, এটাই লজিক। জানি আমি এতে হবো রাষ্ট্রদ্রোহী। তাও মন্দ কী? একটা কিছু ত হবো? আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ঘাড় ধরে বেড় করে দেয়?? এ স্বাধীনতার অর্থ কী? কেন পেলাম? কি আশায় স্বাধীন হলাম? কিসের নেশায় নৌকা নৌকা মুজিব মুজিব করে জীবনের শেষ অবস্থানটুকুকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে নির্বাসিত হলাম এই দ্বীপ রাজ্য মালদ্বীপে । ভুল কোথায়? ভুল তো আছেই হয়তো জানিনা জীবনের কোথায় কোন সিদ্ধান্তে বড় রকমের ভুল ছিল। তাই ভুলের মাশুল দিয়ে গেলাম ৬৫ বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধা মোকতেল হোসেন মুক্তি। ভুল তথ্য দিচ্ছেন। এর সমাধান চাই। এর একটি পরিস্কার ব্যাখ্যা চাই; সত্যের জয় হবে; তাই চাই; জাতিরজনকের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের নিয়ে রঙ তামাশা করবে; মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণের নামে ব্যবসা করবে, এর জন্য যুদ্ধে যাইনি, এর জন্য ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী শহীদ হয়নি; এর জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত হারায়নি। আসল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই করতে ব্যর্থ মোজাম্মেল হক। এই মিথ্যাচারের জন্য আল্লাহ্ বিচার করবেন রোজ হাসরের দিন। মহান আল্লাহর বিচারে কারো হাত নেই। আল্লাহর উপরে কোন মন্ত্রী নেই; আল্লাহর উপরে বিচারক নেই; রোজ হাসরের থেকে শক্তিশালী ক্ষমতাবান কোন আদালত নেই। বহু আসল মুক্তিযোদ্ধা এখনো তালিকার বাইরে এবং এ সমস্যা আগামী ১০০ বছরেও কোন সরকার সমাধান করতে পারবে না। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কথা রেকর্ড হবে । মন্ত্রী নিজেও জানে না যে উপজেলা জেলা গুলোতে এই তালিকা নিয়ে কি পরিমান টাকার ছাড়াছড়ি চলছে? কি পরিমান ব্যবসা করছে নব্য থানা কমান্ডারগণ। এমন কোন উপজেলা নেই যেখানে সত্যকারের মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়ে নাই এবং ভূয়া মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী মন্ত্রীর ক্ষমতা বলে নয়তো এম পির ক্ষমতা বলে অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা বলে নতুন তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এমন প্রমান আমার গ্রামে আমার ইউনিয়নে রয়েছে। আমি ত অন্যের ক্কথা শূনে এ সব লিখিনি ভাই।ফুরিয়ে যাচ্ছে ৭১ এর সোনার ছেলে মেয়েরা, বেচে থাকবে শুধু ৭১ এ জন্ম নেয়া নব্য মুক্তিযোদ্ধারা, যারা লক্ষ টাকায় মুক্তিযুদ্ধের সনদ কিনে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। আমরা মুজিবনগরে (ভারতে) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এর চেয়ে বড় পরিচয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ডঃ আব্দুস সোবহান গোলাপ ভারতের চাদপাড়া এবং পরবর্তীতে ব্যারাকপুর মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং আমরাও একই সময়ে একই শিবিরে একই কমান্ডারের অধীন প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। ডঃ আব্দুস সোবহান গোলাপের নাম যদি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তালিকায় থাকতে পারে, তবে আমাদের নাম থাকবে না কেন? শুধু আমরা নই, সারা বাংলাদেশে বহু অখ্যাত অপরিচিত অশিক্ষিত অজো পাড়া গায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি। বহু মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যেই পরলোকগমন করেছেন, কোন স্বীকৃতি ও সুযোগ সুবিধা ভোগ না করেই তারা চলে গেছেন বাঙ্গালী জাতিকে মহান স্বাধীনতা প্রদান করে। তাদের নাম কে তালিকাভুক্ত করবে? কেন একটি সঠিক তদন্ত কমিটি কর্তৃক সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়নি? এ প্রশ্ন সরকার ও দেশবাসীর কাছে। আমরা মনে করি মহান মুক্তিযুদ্ধের নেত্রিত্বদানকারী দল হিসেবে জাতিরজনক বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের এ মহান দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধাদের জীবদ্ধশায় সম্পন্ন করা উচিত। সবাই শেয়ার করুন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সত্যিকারে শ্রদ্ধা থাকে। আমার সার্টিফিকেট দরকার নাই। কোন ভাতার দরকার নাই। আপনি মুসলমান দাবী করলে আমি কেন করবো না? আমিও তো নামাজ পড়ি? মন্ত্রী আমাকে অপমান করতে পারে না। তার চেয়ে আওয়ামী লীগের জন্য আমার অবদান সেই ৬৯ থেকে অদ্যাবধি তিল পরিমান কম নয়; বঙ্গবন্ধু আমাকে চাকুরী দিয়েছিলেন সচিবালয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। অমুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায় এবং তা আওয়ামী লীগের আমলে এবং আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর স্বাক্ষরে কেন? আমার কি ইচ্ছে করে না যে আমার সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোক। আমার সন্তানের কি ইচ্ছে করে না, তার বাবা মুক্কতিযোদ্ধা এ কথা অন্য দশজনের নিকট বলে গৌরব বোধ করতে? মন্ত্রীর ইচ্ছে মত চলতে পারে না; এ সব তথ্য নেত্রীর জানা দরকার। নিবেদক - মোকতেল হোসেন মুক্তি, কন্ঠশিল্পী মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সময়৭১। মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মালদ্বীপ শাখা সাধারণ সম্পাদক মালদ্বীপস্থ প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশন সুরকার গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক সঙ্গীত শিক্ষক জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু । সমাজের মানুষের সৃষ্ট সকল জঞ্জাল তথা এ ঘুনে ধরা বনাঞ্চল, ডাস্টবিনের ময়লায় কলুষিত নোংড়া নরপৈশাচিক মন মানসিকতায় সিক্ত, ক্ষমতার দাম্ভিকতায় উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসী লুটার সর্বস্ব-ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হলে যা'করতে হবেঃ ********************** "সমাজপতি, ধনপতি, কোটিপতি, পুঁজিপতি, মওজুতদ��র, মুনাফাখোর, ঘুষখোর, দুর্নীতিপরায়ণ, মিথ্যাচারী, স্বৈরাচারী, ভন্ড, প্রতারক, জোচ্চর, ধূর্ত, কূটকৌশলী, জ্ঞানপাপি, নাপিতদের সার্ফ এক্সেল দিয়ে মগজ ধোলাই" "বঙ্গবন্ধুর গান" আর হলনা মুক্তির গাওয়াঃ ৩ টি এলবামের জন্য ৩০ টি গান রেডী করেছিলাম "বঙ্গবন্ধুর গান" মিউজিক ট্র্যাক সব ঠিক ঠাক-দেশে যাবো অবসর নেবো মালদ্বীপের সরকারী চাকুরী থেকে আর এই ডিসেম্বরেই প্রকাশ করবো। আর হলনারে সুবিদ আলী ভূইয়া। ভালোভাবে বাচতে দিলিনা। যদি মুক্তিযুদ্ধ বল, পাবে সেথায় আমার নাম যদি বঙ্গবন্ধু বল, পাবে সেথায় আমার নাম ।। যদি স্বাধীন বাংলা বল, পাবে সেথায় আমার নাম যদি বাংলাদেশ কেউ বল পাবে সেথায় আমার নাম .. যদি উন্সত্তুর বল, পাবে সেথায় আমার নাম যদি একাত্তুর কেউ বল, পাবে সেথায় আমার নাম /২ যদি গানের আসর বল পাবে সেথায় আমার নাম যদি মঞ্চের কথা বল, পাবে সেথায় আমার নাম। যদি মুক্তিযুদ্ধ বল, পাবে সেথায় আমার নাম যদি বঙ্গবন্ধু বল, পাবে সেথায় আমার নাম ।। কাউয়া লীগের কারনেই ঘরে ফিরলাম। ছেড়ে দিলাম সব অযাচিত অহেতুক অনাহুত হুমকি ধমকির পথ রাজনীতি। এটা যারা করে, তারাও পচে আর যাদের সাথে করতে হয়, তারাও পচা গান্ধা মন মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে। তাই আর এই শেষ বয়সে বিনা প্রয়োজনে বনের মোষ তাড়ানো থেকে বিরত থাকলাম। আর এটাত বঙ্গবন্ধুর শাসন বা সময়কাল নয়; এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এখানে এনালগিদের স্থান কই? এরা অত্যাধুনিক বেয়াদপ! নেতা মন্ত্রী সব একই শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কথা আলাদা । কারন সে আলাদাভাবে সৃষ্ট বংগবন্ধুকন্যা কিন্তু তিনিও অনেকটা গৃহবন্দী। অকটোপাস তাকে ঘিরে রেখেছে। তার বেশীরভাগ ইচ্ছা নির্দেশ মান্য করা হয়না; কার্যকর করা হয়না; বিশেষ করে সাধারন মানুষের দৈনন্দিন ছোট খাটো সমস্যার ক্ষেত্রে নেত্রীর নিকট যারা আসে। ওরা নিজেকে এক একজন বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনা মনে করে। ওদের একটারও কোন নৈতিক চরিত্র বলে কিছু নেই। আছে লোভ হুংকার ক্ষমতার দম্ভ হিংসা বিদ্বেষ অহমিকা আর দাম্ভিকতায় পরিপূর্ণ । ওরা নিজেরাই বংগবন্ধু-এমন একটা ভাব গোটা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। কাজেই আমরা সামান্য মূর্খ গরীবের ছেলে। একটা ভোটের মালিক। সেটা না দিলেও তারা চালিয়ে নেবে সমস্যা নেই। আমি ছিলাম একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সরবকনিষ্ট ছেলে। সব ভাই আত্মীয় পরিজন থেকে আলাদা বাউন্ডেলে ঘর ছাড়া দুর্বিনীত দূরন্ত একরোখা সাংস্কৃতিক মন মানসিকতা��� যুবক বা কিশোর। স্বাধীনতার অর্থ তেমন করে বোধগম্য না হলেও বুঝতে পারতাম কেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা আর কেন ৬৯ এর গণ অভ্যুন্থান? সে সময় থেকেই উদীপ্ত যৌবনের রক্তে মিশে গেল বিদ্রোহের অগ্নিময় দাবানল। এল ৭০ এর নির্বাচন। তারপরের সবই আপনি জানেন ৭ ই মারচ এবং মুক্তির সংগ্রাম। নামই বদলে দিলাম মোকতেল হোসেন থেকে মুক্তি। এ মুক্তির একটা ভিন্ন অর্থ ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল, যার নাম রাজনৈতিক ও আরথ সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে অস্ফুট সামাজিক অব্যবস্থাকে বিকশিত করে সামাজিক বিপ্লব ঘটানো। নিজের বদান্যতা ও ব্যর্থতার কারনে সংসার আমাকে ঐ জগত থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে ১৯৯১ সালে। অফিস করেছিলাম, অনেকগুলো এন জি ও কথাও দিয়েছিল কিন্তু ক্ষুধার অদম্য অবলীলাক্রমে আমাকে দেশ ছেড়ে পারি দিতে হয় সুদূর প্রাচ্যের স্বর্গরাজ্য জাপানে। আমি স্তব্ধ নির্বাক নিশ্চল নীরব পথভ্রষ্ট প্রবাসী। আর ফিরে পেলাম না ক্ষমতাচ্যুত কর্নেল গাদ্দাফীর সিংহাসন। চূড়ান্ত দন্ড ভারতীয় সমূদ্র বক্ষ মালদ্বীপে ১৫ বছরের জন্য নির্বাসন। মাছ ধরি মাছ খাই, শেখ মুজিবের গান গাই। পিছনে চাহিয়া দেখি আপন কেহ নাই।।
0 notes
Photo
শিয়ালদহ থেকে বাংলাদেশ হয়ে শিলিগুড়ি যাবে ট্রেন কলকাতার শিয়ালদহ থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে ট্রেন। বাংলাদেশের ভেতরে পার্বতীপুর, দর্শনা, সাঈদপুর, নীলফামারী, তোরণবাড়ী, দোমার, চিলাহাটি পেরিয়ে ফের তা গিয়ে উঠবে ভারতের হলদিবাড়িতে। সেখান থেকে গিয়ে পৌঁছাবে শিলিগুড়ি। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ট্রেন চলবে এই দুই শহরের মধ্যে। সীমান্ত পেরিয়ে দুদেশের মধ্যে রেলপথ গড়ে উঠবে খুব শিগগিরই। ভারতের রেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। কাজ শুরু করে দিয়েছে ভারতও। ২০২১ সালের মধ্যে রেললাইন বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা রেল কর্তৃপক্ষের। মূলত দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতেই ওই রেলপথ চালু হচ্ছে। চালু হওয়ার পর আপাতত ওই পথে শুধুমাত্র মালগাড়ি চলবে। তবে ভবিষ্যতে ওই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হতে পারে বলে রেল কর্তৃপক্ষ। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে শেষবার ট্রেন চলেছিল ভারতের হলদিবাড়ি ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চিলাহাটির মধ্যে। সেইসময় শিলিগুড়ির ওপর দিয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত ট্রেন চলত। আবার হলদিবাড়ি হয়ে ট্রেন ঢুকত কলকাতায়। সম্প্রতি ওই রুটটিকে পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। আন��্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ রেলপথে ভারতের খরচ হবে খুব কমই। বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার লাইন বসাতে হবে ভারতের। তার জন্য দুই দফায় মোট ৪২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে ভারতীয় রেল। চিলাহাটি থেকে সাড়ে ৭ কিলোমিটার লাইন বসাতে বাংলাদেশ সরকার মঞ্জুর করেছে ৮০ কোটি ৭০ লাখ টাকা । কুচবিহার জেলার হলদিবাড়ি স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার জানিয়েছেন, এ পারের (ভারত) কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই মুহূর্তে একটি ওভারব্রিজ গড়ার কাজ চলছে। চলছে বৈদ্যুতিক সিগন্যালের কাজও। ৫৬০ মিটার করে দুটি প্ল্যাটফর্মের নির্মাণও প্রায় শেষ। রেললাইনে আগে যে স্লিপার পাতা ছিল, সেগুলো ৬০ কেজি ওজনের ভার সইতে পারত। সেগুলো সরিয়ে নতুন স্লিপার বসানো হচ্ছে, যেগুলো ৯০ কেজি পর্যন্ত ভার সইতে সক্ষম। তবে এই পথে ট্রেন চলাচল চালু হলে আ-দৌ কি কোনো সুবিধা হবে? ঠিক কতটা সময় বাঁচবে?-সে বিষয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু করেছে ভারত। এ বিষয়ে নর্দান ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘১৯৬৫ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল চালু ছিল। তা বন্ধ হয়ে গেলে পরে আমাদের তরফে নতুন রেলপথ গড়ে তোলা হয়। দুই দেশের উদ্যোগে এখন আবার পুরনো রুটটিকে পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে। দুদেশের যৌথ উদ্যোগে নতুন করে রেলপথ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে ওই রেলপথে আপাতত মালগাড়ি-ই চলবে।’ তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সময় খুব একটা বাঁচবে বলে মনে হয় না। তার মতে, শিলিগুড়ি থেকে শিয়ালদহ আসতে শুধু শুধু বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ঘুরপথে আসতে যাবেন কেন মানুষ?’ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মোট ৭টি সীমান্ত চেকপয়েন্ট রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র তিনটি পথে ট্রেন চলাচল করে। আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে তাতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশিই লাভবান হবে। এর ফলে ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গেও রেলপথে যোগাযোগ স্থাপনে পদক্ষেপ করতে পারবে বাংলাদেশ।
0 notes
Video
youtube
সৌদিতে এই আদেশ অমান্য করলেই কঠোর শাস্তি। সৌদিতে জিনের পাহাড় পরিদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা। সৌদি আরব প্রবাসীরা মনযোগ দিয়ে ভিডিওটি দেখুন। সৌদির সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে পাচ বছর জেল ও জরিমানা। সৌদি আরবের সকল প্রবাসী ভাইয়েরা সাবধান থাকুন। সৌদির ৪ শ্রেণীর দোকানে চলছে পুলিশের ভয়াবহ চেকিং। সৌদি আরব থেকে প্রবাসীদের জন্য লাইভ আপডেট। সৌদিকরণের ফলে আতংকিত প্রবাসীদের এখন কি করনীয়। হায় আল্লাহ সৌদি আরবে আমি একি দেখলাম। সৌদির রাস্তায় বোরখা পড়ে তুমুল মারামারি করছে একদল নারী। প্রবাসী ভাইরা সাবধান সৌদিতে চলছে কড়া চেকিং। সিভিল ড্রেসে পুলিশ প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। সৌদির বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনায় পাকিস্থানের মন্ত্রী। ইয়ামেন ইস্যুতে সৌদিকে বয়কটের ঘোষণা পাকিস্তানের। পাল্টে গেল তাসের গুটি বিপাকে সৌদি আরব সরকার। মার্কিন নাগরিকদের সৌদি আরব ভ্রমণে কঠোর সতর্কতা জারি। আমাদের "TGN 24" চ্যানেলটির প্রোগ্রাম যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে, তাহলে আমাদের চ্যানেলটি অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। ❤ ▶ আমাদের সবগুলি ভিডিওর আপডেট সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ✌ ➽ https://goo.gl/PfWqbY 😍 Our Social Media Links: ========================== ❤ ▶ Facebook: https://ift.tt/2zAy9Qq ❤ ▶ Twitter: https://www.twitter.com/tgn247 ❤ ▶ Blogger: https://ift.tt/2zQV7ni ❤ ▶ Google Plus: https://ift.tt/2igINVT ❤ ▶ Tumblr: https://ift.tt/2zAyans ❤ ▶ Pinterest: https://ift.tt/2zQV7Uk ❤ ▶ Wordpress: https://ift.tt/2zBK2pr My Top 10 Video: ================ বাংলাদেশীদের জন্য বিশাল সুখবর !! ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকেই বিদেশীদের ট্যুরিস্ট ভিসা দেবে সৌদি আরব!! https://youtu.be/WRNqWoU1Ux8 সৌদি আরবে প্রকাশিত হলো নতুন আইন !! কাফালা নাকি সৌদিতে দাসত্বের চেয়েও খারাপ, সমাধান চায় প্রবাসীরা !! https://youtu.be/3Qm8xSiB_so সৌদি আরবে প্রবাসী পুরুষদের জন্য সতর্কবার্তা। নারী ট্যাক্সি চালকদের পুরুষ যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা। https://youtu.be/iQvbsKu6XGw বাংলাদেশীদের বিয়ের জন্য নতুন শর্ত দিল সৌদি আরব সরকার। সৌদির নতুন নিয়মে বাংলাদেশীদের বিয়ে সহজ হলো। https://youtu.be/RF-HKSHChGM প্রবাসী ভাইরা শুনুন প্লিজ !! সৌদিতে নির্ধারিত সময়ে আকামা না করলে ৫০০ রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে। https://youtu.be/uaOVvhPZDjw সৌদি আরবের পুলিশ প্রবাসী এরেস্ট করে দেশে পাঠাচ্ছে। গত ৩ দিন সৌদি হতে ১০৪ জন বাংলাদেশী ফেরত পাঠিয়েছে। https://youtu.be/XBsg80rXmhM অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল যুবরাজ বিন সালমানের। সৌদি যুবরাজ সকল রহস্য ভেঙ্গে কথা বললেন তার ঘুম হওয়া নিয়ে। https://youtu.be/kmTVxQo2Qmk সৌদি আরবের উপর আল্লাহ্র গজব শুরু হয়েছে। মক্কায় অতি বৃষ্টির ফলে বেশ কিছু নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। https://youtu.be/hmrX4u-tfIc হায় আল্লাহ সৌদি আরব যুবরাজ একি শুরু করে দিলো !! সৌদি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলায় মসজিদের ইমাম আটক https://youtu.be/pkGwprttCQ4 সৌদিতে আকামা কান্ড:ধরা পড়লেই যে সকল শাস্তি পাচ্ছেন সৌদি প্রবাসীরা। আকামা ছাড়া ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা https://youtu.be/t-DFqDGT7D0 প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবে ফ্রি ভিসায় কর্মরত বা অবৈধ প্রবাসীরা গ্রেফতার এড়াতে যা করবেন। https://youtu.be/NccIuXbFYYk ================================== ANTI-PIRACY WARNING --------------------------------------- This Content's Copyright Is Only For TGN 24. Any Unauthorized Reproduction, Redistribution or Re-upload Is Strictly Prohibited Of This Material. Legal Action With Copyright Strike Will Be Taken Against Those Who Violate The Copyright Of The Material. EVERY BODY PLEASE DO NOT COPY TGN 24 VIDEO. TGN 24 এর কোন অডিও / ভিডিও / থাম্বনেইল চুরি করবেন না। অন্যথায় আমরা লিগাল একশন ও কপিরাইট স্ট্রাইক দিতে বাধ্য হবো। ---------------------------------------------------------------------
0 notes
Photo
গ্রেফতার শহিদুল প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গ্রেফতারের সমালোচনার জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অন্যায় করলে তার বিচার করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার স্মরণে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় অন্যান্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি শহিদুল আলমকে গ্রেফতার নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘তারা শিশুদের ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চায় তাদেরকে কি জবাব দিতে হবে না? আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সেটাই কি অন্যায় হয়ে যাবে? দেশকে রক্ষা করা, দেশের মানুষকে রক্ষা করা এটাই তো আমার কর্তব্য।’ ‘কেউ যদি মনে করেন খুব নামি দামি লেখক, সাংবাদিক, পণ্ডিত হলেই তাদের অপরাধ আর অপরাধ না। তাদের অপরাধ সব ধুয়ে মুছে যাবে, তারা প্রটেকশন পাবে। কিন্তু কেন?’ গত ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীরা যখন রাজপথে তখন ফেসবুকে পরিকল্পিতভাবে এই গুজব ছড়ানো হয়। আর এরপর আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে হামলা হয়, আর তাদেরকে প্রতিহত করার সময় ঘটে সংঘর্ষ। আওয়ামী লীগ অভিযোগ করছে, হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের পোশাক পরে এলেও তারা ছাত্র ছিল না। সেদিন শহিদুল ফেসবুক লাইভে এসে নানা কথা বলার পাশাপাশি কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনে রয়েছে ‘সরকারের অপশাসন’। বর্তমান সরকারের আমলে দেশে লুটপাট চলছে অভিযোগ করে শহিদুল এমনও বলেন যে, সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে টিকে আছে। আর ৬ আগস্ট শহিদুলকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে আনে গোয়েন্দা সংস্থা। পরদিন একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত এই আলোকচিত্রীর গ্রেফতারে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তীব্র সমালোচনা করেছে। দেশের বাইরে থেকেও তার মুক্তির দাবিতে বিবৃতি এসেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে যত বড়ই হোক না, কেউ যদি অন্যায় করে, কেউ যদি উস্কানি দেয়, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ব্যবহার করতে চায় তাদের কোনো উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য।’ ‘কেউ যদি মনে করেন খুব নামিদামি লেখক, সাংবাদিক বলেই তাদের অপরাধ আর অপরাধ না, তাদের অপরাধ সব মুছে যাবে?’ শহিদুল আলমের পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলছেন এই আলোকচিত্রী। ‘অনেক নামিদামি, জ্ঞানী, অনেক বড় আঁতেল, অনেক ইন্টেলেকচুয়াল কিন্তু তাদের রক্তের সূত্রটা কোথায়? বাংলাদেশের বিরোধী খান এ সবুরের (পাকিস্তানের দোসর মুসলিম লীগ নেতা) বোনের ছেলে। ওই ধরনের যারা পাকিস্তানি চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী, তাদেরই বংশধর থেকে শুরু করে অনেকেই এর মধ্যে জড়িত। আবার তাদের ধরলে দেখি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিকভাবে খুব হৈ চৈ।’ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই কেউ কেউ শহিদুলদের সমর্থনে লিখে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কিন্তু যে অন্যায় তারা করতে যাচ্ছিল, দেশটাকে কোন দিকে নিতে যাচ্ছিল, সেটা কি তারা উপলব্ধি করেন? তারা অনেক জ্ঞানী, জনপ্রিয় হতে পারেন কিন্তু তাদের মধ্যে কি একটুও দায়িত্ববোধ থাকবে না?’ ‘আর্ন্তজাতিক সাংবাদিক, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা কি সেগুলো চোখ খুলে দেখবেন না? উস্কানিদাতাকে গ্রেফতারের সাথে সাথে আর্টিকেল লিখতে পারেন, এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখতে পারেন না। কলমের কালি বুঝি ফুরিয়ে গেল?’ ‘কলমের কালি ফুরিয়ে গেল, তাই লিখতে পারছেন না? ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেল বলে লিখতে পারছেন না?- কটাক্ষ করে বলেন প্রধানমন্ত্রী। ওরা কারা? শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেরে সময় স্কুল ড্রেস তৈরির হিড়িক পড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, প্রথম ২/৩ দিন শিশুরা রাস্তায়। …এরপর তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেল। বুড়োরা এসে ঢুকে গেল। দর্জির দোকানে ভিড় লেগে গেল।’ ‘স্কুল ড্রেসের নিচে অন্য জামা। পেছনে ব্যাগ থেকে দা, চাইনিজ কুড়াল বেরুচ্ছে, লাঠিসোটা বেরুচ্ছে। স্কুলে ছেলেমেয়েদের ব্যাগে তো বই থাকবে। তাহলে তারা কারা?’ ‘তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলতে চায়’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমি করে দিয়েছি, সে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, মিডিয়া ব্যবহার করে তারা উসকানি দিয়ে, মিথ্যা কথা বলে, দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তারা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।’ ‘যারা শিশুদের আন্দোলনে উসকানি দিয়েছিল, শিশুদের নিয়ে খেলতে চেয়েছিল, শিশুদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তাদের উদ্দেশ্যে হাসিল করতে চায়; তারা আর যাই হোক বাংলাদেশের জনগণের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়, আলোর পথের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’
0 notes