#পলিসিস্টিক ওভারি
Explore tagged Tumblr posts
Text
মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ? কি কি খাবার খেলে ডিম্বাণু বড় হয় ?
মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ? কি কি খাবার খেলে ডিম্বাণু বড় হয় ?
মেয়েদের ডিম্বাণু কি ?
ডিম্বানু হচ্ছে মেয়ে প্রজনন কোষ। এগুলো হচ্ছে মানব দেহের বৃহত্তম কোষ এবং এগুলো ডিম্বাশয় এর ভিতরে উৎপাদিত হয়। ডিম্বানু ওভা বা oocytes নামেও পরিচিত। ডিম্বাণু যৌন মিলনের সময় নব মানবজীবন সৃষ্টি করার জন্য এটা শুক্রানুর দ্বারা নিষিক্ত হয়। একজন মহিলার প্রজনন ক্ষমতা প্রধাননত বয়সন্ধিকাল হতে শুরু হয় তার সাথে মনপোজ পর্যন্ত চলতে থাকে। ডিম্বাশয় প্রতিমাসে ১টি পরিপক্ক ডিম্বাণু বের করে যাকে ডিম্বস্ফোটন বলা হয়। অতঃপর নির্গমনকৃত ডিম্বাণু ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্য দিয়ে অগ্রসর থেকে থাকে তার সাথে এটি নিষিক্তকরণের জন্য শুক্রানুর সম্মুখীন হয়। যদি ডিম্বাণু তার সাথে শুক্রাণু পাশাপাশি মিলিত হয় তাহলে নিষিক্ত ডিম জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং গর্ভ সিচুয়েশন চালু হয় অর্থাৎ সন্তান পেটে আসে।
আরও জানুন: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কি ? পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম লক্ষণ ?
একটি বিষয় মাথায় রাখা খুবই চাই যে একজন ভদ্র মহিলা সীমিত সংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং সময়ের সঙ্গে সাথে এর সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে থাকে এবং এর গুণগত মানও হ্রাস পেতে থাকে। মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সঙ্গে তাদের ডিমের গুণগত মান কমতে থাকে।
মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ?
সময় মত সহবাস করা ?
গর্ভধারণের জন্য ��বশ্যই সময়মতো সহবাস করা দরকার। যদি ২৮ দিনের চক্র থাকে ��িন্তু নিশ্চয়ই ডিম্বাণু উর্বর থাকবে ১৪ তম দিনে। এই ১৪ তম দিনে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বহু থাকে। এই কারণে ২৮ দিনের চক্রে ১২-১৪ তার সাথে ১৬ তম দিনে সহবাস করার জন্য হবে। এই সময়গুলোতে ঘনঘন সহবাস করলে গর্ভধারণের সমূহ সম্ভাবনা থাকে। ডিম্বাণু বড় করার উপায় নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
আরও জানুনঃ টেস্ট টিউব বেবি কি ? টেস্ট টিউব বেবি কিভাবে হয় ? এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কাকে বলে এবং এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কেন হয় ?
আবেদনময় সহবাস করুন ?
যেহেতু সহবাস করার দ্বারাই গর্ভধারণ ঘটে সেহেতু অধিক অধিক সহবাস করায় সবচেয়ে ভালো। গবেষণায় করে দেখা যায় যে সময়টাতে উর্বরতা থাকে না সেই সময়ে সহবাস করলে উর্বরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা সবচেয়ে অধিক থাকে। এজন্য আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণ উর্বরতা কে বাড়ানোর জন্য প্রবল নিয়মিত সহবাস করার হ্যাবিট গড়ে তুলুন এবং আপনার স্ত্রীকে যথেষ্ট পরিমাণ রিলাস্ক প্রদান করুন।
ডিম্বাণু বড় করার উপায় বা পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া
গর্ভধারণের উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর অন্ন খুবই জরুরী। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভধারণের উর্বরতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভধারণের উত্তর বৃদ্ধি করার জন্য হাড়ের স্যুপ খাওয়া প্রয়োজন।
আরও জানুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এবং গর্ভবতী মায়ের খাবার ?
youtube
#ওভুলেশন না হওয়ার কারণ#মাসিকের কত দিন পর ডিম্বস্ফোটন হয়#মেয়েদের ডিম্বাণু কতদিন জীবিত থাকে#ওভুলেশন না হলে করনীয়#মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায়#ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষণ#ডিম্বাণু বড় করার উপায়#Youtube
0 notes
Text
বয়ঃসন্ধিকালে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ সম্পর্কে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে কী ধরনের বিপদে পড়তে হয়?
PCOD পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ (Polycystic Ovarian Disease) আসলে কী? কেন হয় এই সমস্যা? বয়ঃসন্ধিকালে(Teenage)PCOD দেখা দিলে যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কী ধরনের বিপদে পড়তে হয়? এই সমস্যা এড়াতে আগাম সর্তকতা হিসেবে লাইফস্টাইলে (Lifestyle) কী কী পরিবর্তন করা উচিত? বিস্তারিত জানালেন এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডায়াবেটোলজিস্ট ডাঃ রচনা মজুমদার (Dr. Rachna Mazumder, Endocrinologist, Dialectologist)
ডাঃ রচনা মজুমদার জানিয়েছেন, যখন থেকে মহিলাদের ঋতুচক্র শুরু হয় তখন থেকে মেনোপজ পর্যন্ত যে কোনও সময় দেখা দিতে পারে PCOD বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ-এর সমস্যা। পিসি ও ডি পলিসিস্টিক ওভারি তে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি দেখা যায়, যা প্রধানত হরমোনাল অসামঞ্জস্যতার জন্য হয়। এই অবস্থায় দুটি ওভারি থেকে প্রচুর অপরিণত এগ নিঃসৃত হয় যা কিছু সময় পর সিস্টে পরিণত হয়
youtube
সংযুক্ত থাকুন এবং এই মতামতের মতো অদ্বিতীয় কনটেন্ট অনুসরণ করে থাকুন! আমরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে সক্রিয়, যেখানে আপনি সংগ্রহে পরিপূর্ণ এবং উৎসাহজনক পোস্ট পাবেন। আমাদের সম্প্রদায়ে যুক্ত হয়ে সংস্কৃতিক অন্বেষণ এবং শিল্প বিস্ময়ে একটি প্রয়াসে যান। আজই আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে আমাদের জীবন্ত অনলাইন উপস্থিতির অংশ হোন!
Facebook : https://www.facebook.com/JiyoBangla
Instagram : https://www.instagram.com/jiyobangla/?hl=en
YouTube : https://www.youtube.com/c/JiyoBangla
0 notes
Text
কিশোরীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম কী, উপসর্গ ও চিকিৎসা
কিশোরীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম কী, উপসর্গ ও চিকিৎসা
টপ নিউজ ডেস্ক : পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম মূলত নারীদেহে এন্ড্রোজেন (পুরুষ যৌন হরমোন)-এর আধিক্যের কারণে সংঘটিত শারীরিক সমস্যা। এক্ষেত্রে নারীদেহে এন্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে বিভিন্ন রকম লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। বন্ধত্য, অনিয়মিত মাসিক, জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায় এ ধরণের সমস্যায়। কিশোরীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের উপসর্গ ও প্রতিকার নিয়ে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব…
View On WordPress
0 notes
Text
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) হল মহিলাদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) এর মাত্রা বেড়ে যাবার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার।
লক্ষণ
পিসিওএস এর লক্ষণ ও উপসর্গের মধ্যে আছে ঋতু চক্র অনিয়মিত হওয়া বা না হওয়া, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, মুখে এবং শরীরে অবাঞ্ছিত লোম, ব্রণ, পেটে ব্যথা, গর্ভধারণে ব্যর্থতা, এবং পুরু, গাঢ়, বেগুনি চামড়া দাগ। সংযুক্ত অবস্থাগুলির মধ্যে আছে টাইপ-২ বহুমূত্র…
View On WordPress
#PCOS#pcos এর চিকিৎসা#pcos এর লক্ষণ#ওভারি সমস্যা#ওভারি সিস্ট#গায়ান ৩৫ কি#জেনে নিন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়#ডিম্বাশয়ের মাঝে অনেক সিস্ট#পলিসিস্টিক ওভারি#পলিসিস্টিক ওভারি কেন হ��়#পলিসিস্টিক ওভারি ঘরোয়া চিকিৎসা#পলিসিস্টিক ওভারি প্রতিকারযোগ্য#পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS)#পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম#পিসিওএস ডায়েট চার্ট#মেয়েদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এবং কার্যকর চিকিত্সা#সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না#হরমোনাল ইম্ব্যালান্স
0 notes
Text
নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের লক্ষণ, কী করবেন?
অনলাইন ডেস্কঃ পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) প্রজননক্ষম মহিলাদের একটি হরমোনজনিত রোগ। ১৪-৪৫ বছর বয়সি মহিলাদের ৬-১৪ শতাংশ (গড়ে ১০ শতাংশ) এ সমস্যায় ভুগেন; পিসিওএস এ বয়সি মেয়েদের অন্যতম হরমোনজনিত রোগ। পিসিওএস-এ আক্রান্ত বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে উচ্চমাপের অ্যান্ড্রোজেন অথবা পুরুষ হরমোনগুলোর উপস্থিতি থাকে। মেয়েদের দেহে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন স্বাভাবিকের বেড়ে গেলে এর প্রভাবে ডিম্বাশয়ের আশপাশে ছোট…
View On WordPress
0 notes
Photo
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আয়োজন ‘ভালো থাকুন’ বিভাগে বহু নারী নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান জানতে চেয়ে লিখেন। কিছু সমস্যার কথা নারীরা সংকোচের কারণে কাউকে বলতে পারেন না, এমনকি চিকিৎসককেও। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাঁদের তেমন কিছু বাছাই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। স্ত্রীরোগ প্রশ্ন: ইমার্জেন্সি পিল কি বারবার খাওয়া ক্ষতিকর? কপার-টি পরলে কি পরবর্তী সময়ে জরায়ু ক্যানসার হয়? উত্তর: এক মাসিক চক্রে দু-তিনবারের বেশি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া ঠিক নয়। বরং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, কপার-টি অথবা কনডম ব্যবহার করা বেশি ভালো। কপার-টি একটি নিরাপদ পদ্ধতি, জরায়ু ক্যানসারের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রশ্ন: জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে? আমি মোটা, তাই বড়ি খেতে চাই না। তা ছাড়া পিল খেলে আমার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। কোন পদ্ধতি ভালো হয়? উত্তর: চতুর্থ প্রজন্মের পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম, ওজন বাড়ে না বললেই চলে। তবে পিলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে শুধু প্রজেস্টেরন-সমৃদ্ধ পিল, কনডম, ইনজেকশন, কপার-টি ইত্যাদির যেকোনোটি ব্যবহার করা যায়। প্রশ্ন: স্বামী বিদেশে থাকেন। বছরে দু-তিনবার আসেন। তখন সহবাসে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এটা কি অনভ্যাসের কারণে? উত্তর: অনভ্যাস একটা ছোট কারণ বটে, তবে জরায়ু বা যোনিপথে কোনো সংক্রমণ, এন্ডোমেট্রিওসিস ইত্যাদিসহ আরও কোনো লুক্কায়িত কারণ থাকতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রশ্ন: বয়স ৪৬ বছর। মাসিক অনিয়মিত। আমার কি মেনোপজ হয়ে যাচ্ছে বলে ধরে নেব? কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা দরকার এ সময়ে? উত্তর: মাসিক পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করাই ভালো। তবে ৪৫ বছরের পর সন্তানসম্ভবা হওয়ার হার খুব কম। পুরো এক বছর যদি মাসিক ��ন্ধ থাকে, তবে মেনোপজ হয়ে গেছে বলে ধরে নিতে হবে। সার্জারি ডা. সামিয়া মুবিন, সহযোগী অধ্যাপক, সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগ, বিএসএমএমইউ প্রশ্ন: বয়স ২২ বছর। স্তনে ছোট ছোট গুটি আছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে ফাইব্রোসিস্টিক ডিজিজ। এটা থেকে কি ক্যানসার হতে পারে? উত্তর: সাধারণত ফাইব্রোসিস্টিক ডিজিজ থেকে ক্যানসার হয় না। যদি এগুলো বড় চাকার আকার ধারণ করে এবং পরীক্ষায় অস্বাভাবিক কোষ পাওয়া গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি সামান্য হলেও থাকতে পারে। প্রশ্ন: সন্তান প্রসবের পর পাইলসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যথা করে, ছোট মাংসপিণ্ডের মতো বেরিয়ে আসে, কখনো রক্তপাতও হয়। স্থায়ী চিকিৎসা কী? উত্তর: গর্ভকালে ও সন্তান প্রসবের পর অনেক নারীরই পাইলস দেখা দেয়। চিকিৎসা নির্ভর করে এটি কোন পর্যায়ে আছে, তার ওপর। প্রশ্ন: মাঝেমধ্যে স্তন ব্যথা করে, টান টান লাগে। অন্তর্বাস পরতে পারি না তখন। এটা কি খারাপ লক্ষণ? উত্তর: স্তনে ব্যথা ও টাটানো, বিশেষ করে মাসিকের সময় বা আগে, খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা হরমোনের ওঠানামার সঙ্গে জড়িত। অতিরিক্ত রাত না জাগা, ক্যাফেইন-সমৃদ্ধ খাবার (কফি, চা, চকলেট, কোল্ড ড্রিংকস) এড়িয়ে চলা, দুশ্চিন্তা না করা, সঠিক মাপের অন্তর্বাস ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ওষুধ সেবন করতে পারেন। প্রশ্ন: আমার মা স্তন ক্যানসারে মারা গেছেন। আমার কি ঝুঁকি আছে? উত্তর: পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। নিজে প্রতি মাসে মাসিক ভালো হয়ে যাওয়ার পর দুই হাতের তালু দিয়ে নিজের দুই স্তন টিপে টিপে পরীক্ষা করবেন। কোনো অস্বাভাবিকতা, চাকা বা গোটা অনুভব করলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না। এ ছাড়া প্রতিবছর ম্যামোগ্রাফি করবেন। ত্বক ডা. আনজিরুন নাহার আসমা, সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌন বিভাগ, পপুলার মেডিকেল কলেজ প্রশ্ন: বয়স ২১ বছর। ঠোঁটের ওপর ও থুতনির নিচে হালকা লোম ছিল, যা দিন দিন বাড়ছে। থ্রেডিং করলে আবার ওঠে। এর সমাধান কী? উত্তর: মুখে অবাঞ্ছিত লোমের নানা কারণ আছে। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, কুশিং সিনড্রোম, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। আগে কারণ দূর করার চিকিৎসা করতে হবে। ওজন কমাতে হবে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক হওয়ার পর হেয়ার রিমুভালের জন্য লেজার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। প্রশ্ন: বয়স ১৬ বছর। মুখে প্রচুর ব্রণ বা পিম্পল হয়। এর কি কোনো সমাধান নেই? উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে ব্রন হওয়া স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত ব্রন হওয়ার পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে। খুব বেশি হলে কিছু মলম বা ওষুধের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রশ্ন: সন্তান ��ওয়ার পর থেকে প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ছে। ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেলে কি চুল পড়া কমবে? উত্তর: সন্তান হওয়ার পর হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। আয়রন, জিংক, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। থাইরয়েড, খুশকি বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না দেখে নিলে ভালো। প্রশ্ন: তলপেটে প্রেগন্যান্সির সাদা দাগ ওঠানোর কোনো উপায় আছে কি? উত্তর: প্রেগন্যান্সির দাগ পুরোপুরি ওঠানোর তেমন কার্যকর উপায় নেই। কিছু ক্রিম ব্যবহার করা যায়, যা ৩০ শতাংশের মতো কাজ করে। বর্তমানে কিছু আধুনিক পদ্ধতি, যেমন লেজার, মাইক্রোনিডলিং বা ডারমারোলার মাধ্যমে ওঠানোর চেষ্টা করা হয়, কিন্তু শতভাগ সফলতা নেই। হরমোন ও ডায়াবেটিস ডা. তানজিনা হোসেন সহকারী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ প্রশ্ন: বয়স ২৬। ১৭ বছর বয়স থেকে হাইপোথাইরয়েড ও থাইরক্সিন নিয়মিত খাই। সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে। শুনেছি থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সন্তান বিকলাঙ্গ হয়। আমি কি সন্তান নিতে পারব? উত্তর: নিয়মিত ওষুধ খেয়ে রক্তে থাইরয়েড হরমোন নিরাপদ মাত্রায় রাখতে পারলে এবং গর্ভকালে নিয়মিত মনিটরিংয়ে থাকলে নিশ্চিন্তে সন্তান নিতে পারবেন। প্রশ্ন: গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছিল এবং ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়েছিল। সন্তান হওয়ার পর স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আবার কি ডায়াবেটিস হতে পারে? উত্তর: বেশির ভাগ গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সন্তান প্রসবের পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে সন্তান জন্মের ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে আরেকবার ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া দরকার যে রক্তে শর্করা পুরোপুরি স্বাভাবিক নাকি প্রি-ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিস পর্যায়ে আছে। যদি স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে, তবে প্রতি এক থেকে তিন বছর পরপর ওই টেস্ট করা প্রয়োজন। প্রশ্ন: বয়স ৪৭। জরায়ু ফেলে দেওয়া হয়েছে দেড় বছর আগে। প্রচণ্ড গরম লাগে, ঘাম হয়, হট ফ্লাশে কষ্ট পাই। আমি কি হরমোন থেরাপি নিতে পারব? উত্তর: হট ফ্লাশ বেশি হলে কিছুদিন হরমোন থেরাপি নিতে পারেন। রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি, হৃদ্রোগ, পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস বা রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকলে হরমোন থেরাপি বিপজ্জনক। তবে সিনথেটিক ইস্ট্রোজেন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর হরমোন নিন। প্রশ্ন: ডায়াবেটিস হলে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করা যাবে? উত্তর: জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবনে বাধা নেই। কিছু বড়ি ওজন ও রক্তে চর্বি বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস রোগীর হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই যেসব বড়িতে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম, সেগুলো খাওয়া ভালো। সাবেক বিভাগীয় প্রধান, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ http://bit.ly/2IXrmqd
0 notes
Text
রোদে কত মিনিট থাকলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?
রোদে কত মিনিট থাকলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?
দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। ২০ শতাংশের কম আমরা পেতে পারি খাদ্য উপাদান থেকে, যেমন পোনা, মাগুর, স্যালমন মাছ, দুধ-ডিমে। মূলত ভিটামিন ডি পেতে হলে সূর্যালোকের ওপরই নির্ভরশীল হতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান ভিটামিন ডি ঘাটতিতে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ-স্ট্রোক, প্র��নন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও দৈহিক…
View On WordPress
0 notes
Text
নারীর ডিম্বাশয়ের সিস্ট, নিরবে বাসা বাঁধে যে রোগ
নারীর ডিম্বাশয়ের সিস্ট, নিরবে বাসা বাঁধে যে রোগ
স্বাস্থ্য ডেস্ক : সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব যত উন্নত হচ্ছে, ততই যেন বেড়ে যাচ্ছে অসুখ বিসুখ। দূষিত পরিবেশ, বিশ্বায়নের যুগে কর্মব্যস্ততা আর আধুনিক ও যন্ত্রনির্ভর জীবনযাপনের হাত ধরে বিশেষ করে নানা অসুখ দেখা দিচ্ছে মেয়েদের শর���রে। এমন জীবনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম। এই সবের যোগফলে ডিম্বাশয়ে দেখা দিচ্ছে একাধিক সিস্ট। চিকিৎসার পরিভাষায় এর নাম ‘পলিসিস্টিক ওভারি’ বা ‘পিসিওডি’। পলিসিস্টিক…
View On WordPress
0 notes
Text
রোদ থেকে ভিটামিন ডি পেতে...
রোদ থেকে ভিটামিন ডি পেতে…
হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ-স্ট্রোক, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকতে পারে। শীতপ্রধান দেশগুলোর মানুষের শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকার ঝুঁকি বেশি থাকে।
আমাদের দেশে দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। ২০ শতাংশের কম আমরা পেতে পারি খাদ্য উপাদান থেকে, যেমন পোনা, মাগুর, স্যালমন মাছ, দুধ-ডিমে।…
View On WordPress
0 notes
Photo
মাসিক দেরিতে হয় যে ৬ কারণে! সাধারণত প্রতি ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর পর একজন নারীর পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে। ১২ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর নিয়মিত ও সময়মতো মাসিক হওয়াটা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। তা যদি অনিয়মিত হয়ে পড়ে, তার মানে হয়তো শারীরিক কোনো সমস্যা আছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অসুস্থতা শরীরে ভর করেছে কিনা বা জীবনচর্চায় কোনো ক্ষতিকর অভ্যাস যুক্ত হয়েছে কিনা, তার দিকে নজর দেয়া উচিত। পিরিয়ড দেরি হওয়ার পেছনে সাধারণত যে বিষয়গুলো দায়ী তা জেনে রাখুন- মাসিক কতটা দেরি হলে তাকে ‘লেট’ বলা যায়? বেশিরভাগ নারীর মাসিকের চক্র একই থাকে। তবে এক সপ্তাহ দেরি হওয়াটা স্বাভাবিক বলেই ধরা যায়। যেমন একজন নারীর মাসিক হয় ২৫ দিন পর পর। কোনো এক মাসে ৩০ দিন বা ৩১ দিন পর তার মাসিক হতেই পারে। আট দিন বা তার বেশিদিন দেরি হলে তাকে ‘লেট’ বলে গণ্য করতে পারেন। দেরি হওয়ার কারণ বেশ কিছু কারণে পিরিয়ড সাময়িকভাবে বন্ধ থাকতে পারে বা দেরি হতে পারে। যেমন- গর্ভাবস্থা: পিরিয়ড দেরি হলে প্রথমেই নিশ্চিত হোন আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন কিনা। বয়স: টিনেজ বয়সী ও মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পেছনের কারণটি হল হরমোন। স্ট্রেস: লম্বা সময় স্ট্রেসে থাকলে অনেকেরই মাসিক দেরিতে হতে পারে। আর্লি প্রেগন্যান্সি লস: একজন নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু তা জানতেন না। এর পর নিজে থেকেই তার মিসক্যারিজ বা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। এ ঘটনায় সাধারণ পিরিয়ডের তুলনায় কিছু দিন পর ভারী রক্তপাত হতে পারে, যাকে অনেকেই দেরিতে মাসিক হওয়া বলে ধরে নেন। কম ওজন: ওজন কম হলে সময়মতো পিরিয়ড নাও হতে পারে। এমনকি কিছু দিন বন্ধও থাকতে পারে। ফাইব্রয়েডস: জরায়ুতে টিউমার ধরনের এক ধরনের বৃদ্ধি হল ফাইব্রয়েডস। এগুলো পিরিয়ডের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দিতে পারে। হরমনাল বার্থ কন্ট্রোল: জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা। যেমন- পিল, প্যাচ, ইনজেকশন, আইইউডি। এগুলো ব্যবহার করলে পিরিয়ড লেট হওয়া বা পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক। স্বাস্থ্য সমস্যা: মনোনিউক্লিওসিস, ঠাণ্ডা, সর্দি, গলার ইনফেকশন- এ ধরনের সমস্যায় পিরিয়ড লেট হতে পারে। তবে বড় কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন থাইরয়েডের সমস্যা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের কারণেও পিরিয়ড লেট হতে দেখা যায়।সূত্র: হাফিংটন পোস্ট
0 notes
Photo
নারী শরীরে জানেন কীভাবে হরমোনের খেলা চলে? হরমোন কে তো আর চোখে দেখা যায় না। তাই এর ভারসাম্য কতটা বজায় থাকে তা বোঝা খুব মুশকিল। বিভিন্ন কারনে হরমোনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অবশ্য কয়েকটা লক্ষনের দ্বারা ভাল ভাবে বোঝা সম্ভব। কারণ হরমোনের গণ্ডগোলের থেকেই উৎপত্তি হয় বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। প্রতি মাসেরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের শরীরে হরমোনের ক্রিয়াকলাপ বেড়ে যায়। এ সময়ে হরমোন তাদের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার ওপর বেশ বড় প্রভাব রাখে। পিরিয়ডের পর শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও মাঝে মাঝে দেখা যায় অকারণেই অনেক দিন ধরে রয়ে গেছে এসব উপসর্গ। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য এভাবে ব্যহত হবার পেছনে থাকতে পারে গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যা। বিশেষ করে এই কয়েকটি লক্ষণ দেখতে পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই ভাল- অবসাদ অবসাদের অনেক অনেক কারণ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ক্লান্তি মনে করে একে উড়িয়ে দেন অনেকেই। সারা সপ���তাহ কাজ বা পড়াশোনার ��কলের পর ক্লান্ত থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সারাক্ষণই ক্লান্ত থাকা এবং তার পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়া, রুচির পরিবর্তন এবং বদহজমের উপসর্গ থাকলে তা হলে পারে আন্ডারঅ্যাকটিভ থাইরয়েডের লক্ষণ। কোনো কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্ত লাগলে ডাক্তারকে জানান। ত্বকের অবনতি ত্বকে ব্রণ ওঠার ব্যাপারটাকে অনেকেই হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখের নিচের অংশে ব্রণ ওঠার সাথে শরীরে উঁচুমাত্রার টেস্টোস্টেরনের সংযোগ থাকতে পারে। শরীরের গোপন অঙ্গে হঠাৎ করে পশম জন্মাতে শুরু করতে পারে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাবার কারণে। আর টেস্টোস্টেরন এভাবে বেড়ে যেতে পারে যদি শরীরে এক ধরণের টিউমার থেকে থাকে। অনিয়মিত পিরিয়ড অবসাদের মতই অনিয়মিত পিরিয়ডের পেছনেও থাকতে পারে অনেক কারণ। যেমন স্ট্রেস, থাইরয়েডের সমস্যা, ইস্ট্রোজেনের অভাব অথবা পি সি ও এস (পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম)। পি সি ও এস এর লক্ষণ হলো অনিয়মিত পিরিয়ড, অনিয়ন্ত্রিত ওজন বাড়া অথবা শরীরে পশমের আধিক্য। তবে পিরিয়ড অনিয়মিত হবার পেছনে এটাই কি কারণ কিনা তা জেনে নিতে হবে, এরপর বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এর প্রতিকার করা সম্ভব। ঘুমের মাঝে ঘেমে যাওয়া অনেকেই এমন আছেন, যারা ঘুমের মধ্যেই ঘেমে যান। বেডরুমে ইলেক্ট্রিসিটি থাকা সত্ত্বেও ঘেমে যাওয়া মানে, হতে পারে ইস্ট্রোজেনের অভাব এবং অনিয়মিত ডিম্বপাত। এই জটিলতাকে বলা হয় প্রি মেনোপজ। মেনোপজ হবার মতো বয়স হবার আরও বছর দশেক আগেই দেখা দিতে পারে প্রি মেনোপজ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন সমস্যাটি আরও গুরুতর কি না।
0 notes
Photo
সন্তান না হওয়ার অনেক গুলো কারণ ও তার সমাধান ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব এটি একটি গুরুতর সমস্যা। আমাদের দেশে এমন অনেক দম্পতি আছে যাদের ইচ্ছা থাকলেও সন্তান হয় না। বর্তমানে এই রোগের অনেক চিকিৎসা তৈরি হয়েছে এবং বাংলাদেশে এর অনেক ভালো চিকিৎসাও হচ্ছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ১৯৪৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ল্যাবএইড ফার্টিলিটি সেন্টারের সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম এম মোরতায়ে�� আমিন। প্রশ্ন : ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব বিষয়টি কী এবং সেখানে নারীর অবস্থান কোথায়? উত্তর : যদি এক বছর কোনো দম্পতি একসাথে থাকেন এবং কোনোরকম বাধা ছাড়া (প্রোটেকশন) শারীরিক মেলামেশা করে, এরপরও যদি তাদের সন্তান না হয় তাহলে আমরা বলতে পারি তারা ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগছে। প্রশ্ন : এদের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী এবং বিশেষ করে নারী পুরুষ ভেদটা কেমন? উত্তর : নারী-পুরুষ এখন সমানভাবেই এই সমস্যার জন্য দায়ী বা ভুক্তভোগী। ১০০ জন নিঃসন্তান দম্পতির মধ্যে ৫০টি দম্পতির ক্ষেত্রে পুরুষের সমস্যা আর বাকি ৫০টি দম্পতির ক্ষেত্রে নারীর সমস্যা হয়ে থাকে। এর মধ্যে দুজনেরই সমস্যা আছে এমন দম্পতি রয়েছে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। বর্তমানে মানুষের এ ব্যাপারে সচেতনতা বেড়েছে, ডাক্তারের সংখ্যা বেড়েছে, প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে তারপরও বাংলাদেশে সমস্যাটি বাড়ছে দিন দিন। এর কিছু কারণও রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের এখন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশের বাইরে থাকে। এরমধ্যে ৩০ লাখ মানুষ এমন যারা দু-এক বছর পরপর দেশে আসে, থাকে, আবার চলে যায়। তারা এসেই বিয়ে করে, বিয়ে করে কিছুদিন থেকে আবার চলে যায়। অনেকদিন পর এসে এক মাস বা দুই মাস থাকে। আমি যেমন বলেছি, কম করে হলেও এক বছর একসাথে থাকতে হবে এবং বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেটা হয় তো আর হয় না। হয় তো দেখা যাচ্ছে তাদের কোনো সমস্যা নেই। এই দূরে থাকাটাই তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। প্রশ্ন : অনেক সময় পরীক্ষা করে স্বামী-স্ত্রী কারোই সমস্যা পাওয়া যাচ্ছে না কিন্তু সন্তান হচ্ছে না- এর কারণ কী? উত্তর : প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো সমস্যা নেই তারপরও সন্তান হচ্ছে না। পৃথিবীর সব দেশেই এ ধরনের সমস্যার জন্য পরীক্ষা করা হয়। প্রায় একই ধরনের পরীক্ষা থাকে। সেগুলোতে কারোটা ধরা পড়ে আর কারোটা ধরা পড়ে না। এর মধ্যে কোনো কোনো সমস্যার চিকিৎসা করা যায় আবার কোনো কোনো সমস্যার চিকিৎসা করা যায় না। প্রশ্ন : নারীরা প্রধানত কী কারণে বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভোগে থাকে? উত্তর : আমার নিজস্ব একটা মত রয়েছে এ ব্যাপারে। হয় তো অনেকেই আমার কথাটি নাও মানতে পারে। সেটা হলো পলিসিস্টিক ওভারি একটা কারণ হতে পারে। আমি মনে করি, ফলিকুলার সিনড্রম নামে একটি সিনড্রম রয়েছে, যেখানে নারীদের মাসিক নিয়মিতই হচ্ছে, অন্য সবকিছুই স্বাভাবিক, কিন্তু ওই সিন্ড্রমের ফলে যে ডিমটি বের হবে সেই ডিম বের হচ্ছে না এবং এটার হার ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ। যেখানে পলিসিস্টিক ওভারির শতাংশ অনেক কম। তাই সিনড্রম একটা বড় কারণ হতে পারে যা আমরা হয়তো খেয়াল করছি না। আর দ্বিতীয় হচ্ছে পিসিও(পলিসিস্টিক ওভারি) যেখানে অনেক সিস্ট হয় যে সিস্টগুলো পরিণত হয়ে ফেটে ডিম বের হয়। অনেকের এই সিস্ট পরিণত হয়ে ফেটে ডিমে বের হয় না তখনই সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, ইউটেরাস ��েখানে বাচ্চা থাকে বা বড় হয় সেটার দুই পাশে দুটি নল থাকে আমরা সেটাকে ফেডোপেন টিউব বলে থাকি। এই ফেডোপেন টিউব ওভারির কাছাকাছি গিয়ে শেষ হয়। ওভারি থেকে ডিম ফেডোপেন টিউবে আসে। সেখানে স্পার্ম গিয়ে ফার্টিলাইজেশন করে। অনেক সময় এই ফেডোপেন টিউব বন্ধ হয়ে যায় আর এটার প্রধান কারণ হলো ইনফেকশন। মেয়েদের ইনফেকশন বেশি হয় এবং অনেকেই ঠিকমতো এর চিকিৎসা করে না। সে কারণে টিউবটা বন্ধ হয়ে যায়। আর এর ফলে ডিম আসতে পারে না আবার স্পার্মও যেতে পারে না। এর ফলে বন্ধ্যত্ব সমস্যা দেখা দেয়। প্রশ্ন : এই সমস্যার ক্ষেত্রে নারীদের বয়স কোনো প্রভাব ফেলে কি? উত্তর : মেয়েদের প্রতি মাসে একটা করে ডিম বের হয়। বলা হয়ে থাকে ৩৫ বছররের পর নারীদের এই ক্ষমতা কমতে থাকে। কিন্তু আমি বলব ৩২ বছর পর থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়ে থাকে। একটা পরিসংখ্যানের কথা বলি যেখান থেকে সহজেই বুঝে যাবেন বয়সের সাথে ডিমের গুণাগুণ কতটা সম্পর্কযুক্ত। ৩৫ বছর বয়সের মায়েদের ৮০০ সন্তানের মধ্যে ১টা বাচ্চা হবে ডাউন সিনড্রম, যা একটি জেনেটিক রোগ। এই রোগ ভালো হয় না। মায়ের বয়স যদি ৩৮ বছর হয় ডাউন সিনড্রম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রতি ৪০০ জনে একজন, মায়ের বয়স যদি ৪০ হয় ডাউন সিনড্রম প্রতি ২০০ জনে একজন এবং যদি বয়স ৪২ হয় তাহলে প্রতি ১০০টা বাচ্চার মধ্যে একটা ডাউন সিনড্রম হবে। আর যদি বয়স ৪২ এর বেশি হয় তাহলে প্রতি ৫০টা বাচ্চার মধ্যে একটা হবে ডাউন সিনড্রম। আর যাদের সন্তান হয় না তাদের ক্ষেত্রে, ৩৫ বছরের পর প্রথমত ফার্টিলাইজেশন রেট কমে যায়, দ্বিতীয়ত ইনপ্লান্টেশনের রেট কমে যায় অর্থাৎ ভ্রুনটা পাঁচ-ছয়দিন পর এসে ইউটেরাসে জমা হয় তার পরিমাণ কমে যায়। তখন নারীদের বন্ধ্যত্ব সমস্যা দেখা দেয়। প্রশ্ন : ইনফার্টিলিটি সমস্যা যদি নারীদের ক্ষেত্রে হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে কী ধরনের চিকিৎসা রয়েছে? উত্তর : এ ক্ষেত্রে বলব, একেকজনের সমস্যা একেক ধরনের হয়। আর এর চিকিৎসা পদ্ধতিও একেক রকমের হয়ে থাকে। তাই প্রথমেই জেনে নিতে হবে কী কারণে এ সমস্যা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। প্রশ্ন : ''টেস্টটিউব বেবি'' কি বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে সম্ভব? উত্তর : ''টেস্টটিউব বেবি'' বাংলাদেশে সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে বলব, সরকারের উচিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা। এটা খুবই স্পর্শকাতর একটা ব্যাপার। টেস্টটিউব বেবি সেন্টারের মান কেমন হবে, সেখানে প্রশিক্ষিত ডাক্তার কেমন থাকবে তার ওপর নীতিমালা আরোপ করা দরকার। সেটা ঠিকমতো অভিজ্ঞদের হাতে পরিচালিত হচ্ছে কি না সেদিকেও নজর রাখা উচিত। তথ্যসুত্র: এনটিভি
#১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার উপায়#১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ#Bachcha keno hoi na#Bachcha na hole koronio#Bachcha na howar karon#Bondhatto dur korar upay#এক মাসের বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ#বাচ্চা কেন হয় না#বাচ্চা নষ্ট করার উপায়#বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ#বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ#বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ এর নাম#বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধের নাম#বাচ্চা নষ্ট করার ঘরোয়া উপায়#বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট#বাচ্চা নষ্ট করার নিয়ম#বাচ্চা না হওয়া#বাচ্চা না হওয়ার কারন#বাচ্চা না হলে করনিয়#বাচ্চা নেওয়ার সহজ উপায়#রক্তের গ্রুপ এবং বিয়ে বাচ্চা#সন্তান না হওয়া#সন্তান না হওয়ার কারন
0 notes
Text
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব? ওভারিতে সিস্ট হয়নি তো?
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব? ওভারিতে সিস্ট হয়নি তো?
নারীদের পরিচিত একটি রোগ হল ওভারিয়ান সিস্ট বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট। ওভারি (Ovary) বা ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলেকে সিস্ট বলা হয়। যেকোন বয়সী নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
নারীরা অনেক ধরণের সিস্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন যেমনঃ *ফাংশনাল সিস্ট (Functional Cyst) *পলিসিস্টিক (পিসিওএস) সিস্ট (PCOS – Polycystic Ovarian Syndrom) *এন্ডমেট্রিওটিক সিস্ট (Endometriotic Cyst) *ডারময়েড সিস্ট এবং (Dermoid Cyst) *সিস্ট…
View On WordPress
0 notes
Text
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব? ওভারিতে সিস্ট হয়নি তো?
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব? ওভারিতে সিস্ট হয়নি তো?
নারীদের পরিচিত একটি রোগ হল ওভারিয়ান সিস্ট বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট। ওভারি (Ovary) বা ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলেকে সিস্ট বলা হয়। যেকোন বয়সী নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
নারীরা অনেক ধরণের সিস্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন যেমনঃ *ফাংশনাল সিস্ট (Functional Cyst) *পলিসিস্টিক (পিসিওএস) সিস্ট (PCOS – Polycystic Ovarian Syndrom) *এন্ডমেট্রিওটিক সিস্ট (Endometriotic Cyst) *ডারময়েড সিস্ট এবং (Dermoid Cyst) *সিস্ট…
View On WordPress
0 notes
Text
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব? ওভারিতে সিস্ট হয়নি তো?
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব? ওভারিতে সিস্ট হয়নি তো?
নারীদের পরিচিত একটি রোগ হল ওভারিয়ান সিস্ট বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট। ওভারি (Ovary) বা ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলেকে সিস্ট বলা হয়। যেকোন বয়সী নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
নারীরা অনেক ধরণের সিস্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন যেমনঃ *ফাংশনাল সিস্ট (Functional Cyst) *পলিসিস্টিক (পিসিওএস) সিস্ট (PCOS – Polycystic Ovarian Syndrom) *এন্ডমেট্রিওটিক সিস্ট (Endometriotic Cyst) *ডারময়েড সিস্ট এবং (Dermoid Cyst) *সিস্ট…
View On WordPress
0 notes
Text
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব? ওভারিতে সিস্ট হয়নি তো?
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব? ওভারিতে সিস্ট হয়নি তো?
নারীদের পরিচিত একটি রোগ হল ওভারিয়ান সিস্ট বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট। ওভারি (Ovary) বা ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলেকে সিস্ট বলা হয়। যেকোন বয়সী নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
নারীরা অনেক ধরণের সিস্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন যেমনঃ *ফাংশনাল সিস্ট (Functional Cyst) *পলিসিস্টিক (পিসিওএস) সিস্ট (PCOS – Polycystic Ovarian Syndrom) *এন্ডমেট্রিওটিক সিস্ট (Endometriotic Cyst) *ডারময়েড সিস্ট এবং (Dermoid Cyst) *সিস্ট…
View On WordPress
0 notes