#তুরস্ক ও সিরিয়ায়
Explore tagged Tumblr posts
crimerepot · 2 years ago
Text
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের কারন কি কিয়ামতের আলামত
0 notes
rajshahirkanthoofficeal · 11 months ago
Text
২০২৩ সালে রেকর্ডসংখ্যক মানবিক বিপর্যয় দেখেছে বিশ্ব
প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে যত মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে— তত সংখ্যক বিপর্যয় বা দুর্যোগ গত এক দশকের মধ্যে ঘটেনি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সদ্য বিদায় নেওয়া বছরটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তত ২৯টি দেশ প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ৪৩ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর। সেই প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের বড় এবং উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের একটি তালিকাও করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। তালিকায় স্থান পেয়েছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্প, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক আএসএফের সংঘাত, মে মাসে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোচা, গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধসহ বিভিন্ন ঘটনা। See more
Tumblr media
0 notes
banglavisiononline · 2 years ago
Link
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত লাখেরও বেশি মানুষ।
0 notes
somoysangbad24 · 2 years ago
Text
বিএনপির পর আ. লীগের শান্তি সমাবেশ স্থগিত, যুবলীগেরও বাতিল
 সময় সংবাদ রিপোর্টঃ ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় বিপুল প্রাণহানির ঘটনায় এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ। এ জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষিত শান্তি সমাবেশ স্থগিত এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের শান্তি সমাবেশ বাতিল করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ‘তুরস্ক ও সিরিয়ায়…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
cvoice24 · 2 years ago
Link
তুরস্ক এবং সিরিয়ায় বিধ্বংসী ভূমিকম্পে আট হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর পর সেখানে আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রচেষ্টা জোরদার ক
0 notes
bangladesh-news-agency · 3 years ago
Text
২০০ ট্রাকভর্তি সামরিক সরঞ্জাম সিরিয়ায় পাঠালো তুরস্ক
২০০ ট্রাকভর্তি সামরিক সরঞ্জাম সিরিয়ায় পাঠালো তুরস্ক
বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : তুরস্কের সামরিক বাহিনী সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে ২০০ ট্রাক সামরিক সরঞ্জাম নিয়েছে। সিরিয়ায় তুর্কি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে দেশটির জনগণ ব্যাপকভাবে বিক্ষোভ করার একদিন পর তুর্কি বাহিনী এই পদক্ষেপ নিয়েছে। লেবাননের আরবি ভাষার টেলি��িশন চ্যানেল আল-মায়াদিন গতকাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিরিয়ার সেনারা ২০০টি ট্রাকে ভরে যুদ্ধ ট্যাংক ও আর্টিলা���ি ব্যাটারি নিয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
paathok · 5 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/104193
সিরিয়ার ইদলিব নিয়ে ভয়ংকর খেলায় তুরস্ক- রাশিয়া
.
সিরিয়ার একমাত্র বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত প্রদেশ ইদলিব নিয়ে তুরস্ক এবং সিরিয়ার মধ্যে এখন কার্যত যুদ্ধ চলছে।
যে কোনো মুহূর্তে রাশিয়া এই যুদ্ধে তুরস্কের প্রতিপক্ষ হয়ে যেতে পারে – এই আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে।
ইদলিবে গত কদিনের হামলা পাল্টা হামলায় সিরিয়া এবং তুরস্ক দুপক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি প্রাণহানি হয়েছে।
বুধবার তুরস্ক তাদের দুজন সৈন্যের নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করেছে। এ নিয়ে ইদলিবে নিহত তুর্কি সৈন্যের সংখ্যা সরকারি হিসাবেই ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে তুরস্ক সিরিয়ার তিনটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে এবং দাবি করেছে তাদের হামলায় ছয়শরও বেশি সিরীয় সৈন্য এবং শিয়া মিলিশিয়া মারা গেছে।
এখনও তুরস্ক সিরিয়ায় সরাসরি রুশ সৈন্য বা রুশ যুদ্ধ বিমান টার্গেট করেনি, কিন্তু পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে তেমন ঘটনা মাত্র সময়ের ব্যাপার বলে সামরিক বিশ্লেষকদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
ভয়ঙ্কর খেলায় পুতিন ও এরদোযগা��
ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ইন্সটিটিউট অব ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের বিশ্লেষক কোনোর ডিলিন বলছেন, তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি এখন প্রবল। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রকাশনা ‘ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’ সাময়িকীতে মি. ডিলিন লিখেছেন, “রেচেপ তাইয়িপ এরদোযগান এবং ভ্লাদিমির পুতিন ইদলিবে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছেন। দুজনেরই সেখানে ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এবং সেগুলো চরিতার্থ করতে কেউই পিছু হটতে রাজী বলে মনে হচ্ছেনা।”
তুরস্ক নেটো জোটের সদস্য এবং সৈন্য সংখ্যার বিচারে জোটের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি। তবে পারমানবিক শক্তিধর রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে তুরস্ক ওয়াকিবহাল।
সে কারণেই হয়ত প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে মুখোমুখি কথা বলতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোযগান আজ বৃহস্পতিবার মস্কো যাচ্ছেন যাতে ইদলিবের সংঘাত আয়ত্তের বাইরে না চলে যায়।
বুধবার আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির সদস্যদের এক সভার পর মি. এরদোযগান বলেন, মস্কোতে গিয়ে তিনি ইদলিবে দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য চেষ্টা করবেন। চরম নাখোশ রাশিয়া
তবে ইদলিবে তুরস্কের সামরিক তৎপরতায় তারা যে কতটা নাখোশ তা খোলাখুলি জানিয়েছে মস্কো।
মি এরদোযগানের মস্কো সফরের আগের দিন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে খোলাখুলি বলেছে, ইদলিবে তুরস্কের সৈন্যদের সাথে জিহাদি বিদ্রোহীদের সখ্যতা এবং সহযোগিতা আরো দৃঢ় হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর- জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, তাহরির আল শামস বা হুররা আল দিনের মত যে সব গোষ্ঠীকে জাতিসংঘ সন্ত্রাসী হিসাবে বিবেচনা করে, তারাই এখন ইদলিবে তুরস্কের পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে তুর্কি সৈন্যদের সাথে মিলে সামরিক তৎপরতা চালাচেছ। জেনারেল কোনাশেনকভ বলেন, সিরিয়ার হেমেইমে রুশ বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপকহারে কামানের গোলাবর্ষণ এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া বলছে, সিরিয়ার ভেতরে তাদের যান্ত্রিক বহরের বিপুল সমাবেশ ঘটিয়ে তুরস্ক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
তাছাড়া, রাশিয়া বলছে, নেটো জোটের হস্তক্ষেপের লক্ষ্যে ইদলিবে ১০ লাখের মত শরণার্থী তৈরি হয়েছে বলে যে দাবি তুরস্ক করছে তা মিথ্যা প্রচারণা। মস্কোর বক্তব্য – তিন বছর আগে শরণার্থীর ছবি ব্যবহার করেছে তুরস্ক।
এরদোযগান কি রণে ভঙ্গ দেবেন?
বৃহস্পতিবার মস্কোতে মি. এরদোযগানকে এসব অভিযোগের কথায় হয়তো তুলে ধরবেন মি. পুতিন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তাতে কি ভড়কে যাবেন মি.এরদোগান?
আঙ্কারা থেকে যেসব ইঙ্গিত এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, তাতে মনে হয়না তুরস্ক সহজে রণে ভঙ্গ দেবে। বিশেষ করে ইদলিবের সারাকেব শহরে সিরিয়ার এক হামলায় ৩৩ জন তুর্কি সৈন্যের মৃত্যুর ঘটনায় ক্রোধে টগবগ করে ফুটছে তুরস্ক। একটি হামলায় এত প্রাণহানি তুর্কি সেনাবাহিনীতে গত ৩০ বছরে হয়নি।
প্রতিদিনই তুরস্কের সরকার-সমর্থিত মিডিয়াগুলোতে সিরিয়ায় বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এমনকি বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা কেমাল কিলিচদারোগোলু বলেছেন, “যে দেশই আমার সৈন্যের গায়ে হাত দেবে, তারাই শত্রু।” তিনি রাশিয়াকেই ইঙ্গিত করেছেন।
সরকার সমর্থক এমএইচপি দলের নেতা দেভলেত বাচেলি বলেছেন, “এখনই দামেস্ক ঢুকে আসাদের মাথায় টুপি চাপিয়ে দিতে হবে।”
প্রেসিডেন্ট এরদোযগান গত বেশ কিছুদিন ধরে নেটোর সমালোচনা করলেও, এখন তিনি তাদের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আমেরিকান কর্মকর্তারাও দফায় দফায় আঙ্কারায় যাচ্ছেন বলে সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর ইউরোপীয় কম্যান্ডের প্রধান জে টড ডি গত মাসে আঙ্কারায় গিয়ে সিরিয়ায় সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন।
এছাড়া, গত মাসে ইউক্রেন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ক্রাইমিয়া সহ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে তুরস্ক সবসময় সমর্থন করবে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য তিনি ২০ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন।
মি.এরদোযগানের এসব কথাবার্তায় ক্ষিপ্ত হয়েছে রাশিয়া এবং রুশ রাজনীতিকরা তা প্রকাশ করতে দ্বিধা করছেন না। মস্কো মনে করছে, মি. এরদোয়ান রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন।রাশিয়া লড়াইতে প্রস্তুত’
কিন্তু রাশিয়া কি ইদলিব পুনর্দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পারে? ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ রুশ রাজনীতিক সের্গেই মারকভ রয়টরস বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, “রাশিয়া শক্ত অবস্থান নিয়েছে এবং যে কোনো লড়াইতে তারা প্রস্তুত।”
জানা গেছে, ইদলিবের সারাকেভ শহরে রাশিয়া তাদের সামরিক পুলিশ মোতায়েন করেছে। তারা দেখতে চাইছে তুরস্ক এরপরও সেখানে হামলা করে কিনা।
মি মারকভ বলছেন, “সারাকেবের ওপর যে কোনো হামলা হবে রাশিয়ার ওপর হামলা।” গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে ক্রুজ মিসাইল বহনকারী নতুন যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া।
ইদলিব থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দ্রুত সিরিয়ার যুদ্ধ শেষ করতে উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
কিন্তু তুরস্কের কাছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কৌশলগত মূল্য অনেক। এদেরকে ত���রা কুর্দিদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে চায়।
ফলে বৃহস্পতিবার মি. এরদোগান এবং মি. পুতিনের বৈঠকে ইদলিব নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধান হবে – এমন আশা কেউ করছেন না।
0 notes
sristybarta · 4 years ago
Text
ইউরোপের অভিবাসন নীতি ও তুরস্ক, মরক্কোর নিয়ন্ত্রণ কার্ড
ইউরোপের অভিবাসন নীতি ও তুরস্ক, মরক্কোর নিয়ন্ত্রণ কার্ড
চলতি সপ্তাহে হাজার হাজার অভিবাসীর সাঁতরে বা কাঁটাতার পেরিয়ে স্পেনের ছিটমহল সেওটায় ঢোকার পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে৷ এক্ষেত্রে অন্য দেশের উপর তারা কতটা নির্ভরশীল সে নিয়েও আলোচনা চলছে৷ ২০১৫ সালে সিরিয়ায় ��রণার্থী সংকটের পর ইউরোপে দশ লাখেরও বেশি অভিবাসী এসে পৌঁছেছেন৷ সেই থেকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসীদের বিপজ্জনক পথে ইউরোপে প্রবেশ ঠেকাতে বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ করে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
crimerepot · 2 years ago
Text
তুরস্ক ও সিরিয়ায়
0 notes
gnews71 · 7 years ago
Photo
Tumblr media
ভয়াবহ যুদ্ধে নেমেছে সৌদি প্রিন্স সালমান যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স এর হামলা কে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্কের প্রসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। শনিবার জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির এক সমাবেশে তিনি বলেন ‘সিরিয়ার অসহায় নাগরিকরা দীর্ঘদিন যাবত অত্যাচার সহ্য করছে এর একটা জবাব দেয়ার দরকার ছিল’। এরদোগান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ হামলা এই বার্তা দেয় যে কোনো অপরাধীই শাস্তির উর্দ্ধে নয়’। একই সাথে তিনি বলেন, ‘পৃথীবির সকল রাসায়নিক ও ভয়ঙ্কর অস্ত্র বিলুপ্ত করা উচিত, আমাদের মানবতার সেবার জন্য প্রতিযোগীতা করা উচিত অস্ত্রের জন্য নয়’। খবর আল-জাজিরার হামলার পরপরই তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলেন। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন’ ‘দৌমায় যে গ্যাস হামলা হয়েছিল তা অমানবিক এটা অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে না’ উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল আঙ্কারায় রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক সিরিয়ার শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে মিলিত হয়েছিল যা এ হামলায় পর ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প আমেরিকার জন্য বিপজ্জনক: সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত: ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন সাবেক রাষ্ট্রদূত জোসেফ উইলসন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন আমেরিকার জন্য বিপজ্জনক এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, এটা এখন একেবারেই পরিষ্কার যে, ইরাক যুদ্ধের বিষয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রচারণা চালানোর কারণ ছিল শুধুমাত্র আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পদ দখল করা। ট্রাম্পের উপদেষ্টারা তার মন পাল্টে দিতে পারেন কিনা কিংবা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের মন বদলে দিতে পারেন কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে জোসেফ উইলসন বলেন, আমি মনে করি প্রকৃতপক্ষে তার কোনো মন নেই, মূলত তিনি একজন অর্থলোলুপ ব্যক্তি। তিনি প্রতিটি দিন শুধু এই চিন্তার মধ্যদিয়ে পার করেন যে, তিনি কত বেশি ডলার তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারলেন। সাবেক এ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, আমি মনে করি এই লোকটা আমেরিকার জন্য খুবই বিপজ্জনক ব্যক্তি। রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শনিবার সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্��ুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেন। কিন্তু যে অভিযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরতে পারেন নি ট্রাম্প। সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সফল, মিশন সম্পন্ন বললেন উৎফুল্ল ট্রাম্প: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে সফল বলে দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। শনিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, গত রাতে হামলা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। বিচক্ষণতার জন্য ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে ধন্যবাদ। তাদের চমৎকার সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ। সিরিয়ায় হামলায় এর চেয়ে ভালো ফল হতে পারে না। মিশন সম্পন্ন। খবর সিএনএন। শনিবার সকালে রাসায়নিক অস্ত্রগার লক্ষ্য করে সিরিয়ায় একসঙ্গে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিস্ফোরণের কথা বলেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো নিয়েই এই হামলা বলে জানানো হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সঙ্গে অপারেশন চালিয়েছে আমেরিকা। যতদিন না সিরিয়া তার রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ থামাবে, ততদিন হামলা চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে বিষাক্ত গ্যাসের ফলে সিরিয়ায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়। তারপরেই এই বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নেয় ওই তিনটি দেশ। হোয়াইট হাউস থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ট্রাম্প জানান, ‘কিছুদিন আগেই আমি মার্কিন সেনাকে হামলার কথা বলি। সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাসার আল-আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিমান হামলা একাধিক জায়গায় করা হয়েছে বলে মার্কিন প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। হামলার জন্য তোমাহক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর দাবি, একশ তিনটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ৭১টিই ভূপাতিত করা হয়েছে এবং হামলায় কোনো সিরীয় বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেনি। এদিকে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এটা বর্বর আগ্রাসন। হামলার তীব্র নিন্দাও জানানো হয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোকে এর মোক্ষম জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা আবদুল রহমান মুস্তাফা বলেন, হামলার ঘটনাটি রাশিয়া ও ইরানের জন্য কঠিন বার্তা। হামলার ঘটনায় আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডেকেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সিরিয়ায় পশ্চিমা মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। গাজার দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ ধ্বংস করল ইসরায়েল: জঙ্গিদের ��ৈরি গাজার দীর্ঘতম একটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। গাজা থেকে ইসরায়েল পর্যন্ত অবস্থিত এই সুরঙ্গ ব্যবহার করতো জঙ্গিরা। সরকারি কর্মকর্তাদের বরাদ দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের তৈরি এ পর্যন্ত যত সুড়ঙ্গ ইসরায়েল আবিষ্কার করেছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ ও গভীর। এক সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজার সাথে যুদ্ধ চলাকালীন ২০১৪ সালে সুরঙ্গটি তৈরি করা হয়। সে সময় ইসরায়েল ত্রিশটিরও বেশি ফিলিস্তিনিদের তৈরি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছিল। আক্রমণ চালাতে এসব সুরঙ্গ ব্যবহৃত হতো বলে সামরিক ওই মুখপাত্র জানান। ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের নির্মিত এসব সুড়ঙ্গ ধ্বংসের জন্য ইসরায়েল অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র লে. কর্নেল জোনাথন কনরিকাস জানিয়েছেন, এই সুড়ঙ্গটি হামাস নির্মাণ করেছে এবং গাজার উত্তর দিকে অবস্থিত জাবালিয়া এলাকা থেকে শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এটি নাহাল ওজ থেকে ইসরায়েলের ভেতরের বেশ কয়েক মিটার এলাকা পর্যন্ত প্রবেশ করেছে। তবে এর কোনো বহির্গমন পথ ছিল না বলে জানান তিনি। এটি গাজার অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং অন্যান্য সুড়ঙ্গগুলোর সাথে সংযুক্ত যাতে করে এগুলো দিয়ে সহজেই আক্রমণ করা যায়। সামরিক বাহিনীর তথ্য মতে, এটি গত সপ্তাহের শেষের দিকে অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। কনরিকাস বলেন, আমরা সুড়ঙ্গটি বিভিন্ন পদার্থ দিয়ে ভরাট করে দিয়েছি যাতে করে এটি বহুদিন পর্যন্ত ব্যবহারের অনুপযোগী থাকে। গত কয়েক মাসে ধ্বংস করা সুড়ঙ্গগুলোর মধ্যে এটি পঞ্চম সুরঙ্গ। এসব সুড়ঙ্গে কিছু ফিলিস্তিন জঙ্গি গ্রুপ ইসলামী জিহাদ নির্মাণ করেছে এবং বাকিগুলো গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস নির্মাণ করেছে। গত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েল এসব সুড়ঙ্গগুলোর উপস্থিতি জানতে এবং নতুন করে সুড়ঙ্গ তৈরি বন্ধ করতে গাজা সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহার করছে এবং মাটির নিচে ও উপরে উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রতিবন্ধক নির্মাণ করছে।
0 notes
tatkhonik-blog · 7 years ago
Text
ইরাক ও সিরিয়ার প্রতিটি সন্ত্রাসী ক্যাম্প ধ্বংস করবো: এরদোগান
ইরাক ও সিরিয়ার প্রতিটি সন্ত্রাসী ক্যাম্প ধ্বংস করবো: এরদোগান
ইরাক এবং সিরিয়ায় থাকা প্রতিটি সন্ত্রাসী ক্যাম্প তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী ধ্বংস করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
শুক্রবার তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় মানিসা প্রদেশে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, তুরস্ক তার সীমান্ত এলাকা থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের সহায়তায় ‘ফ্রি সিরিয়ান…
View On WordPress
0 notes
dailymail24-blog · 7 years ago
Text
স্থিতিশীলতা ও উস্কানি বন্ধে সিরিয়ায় সামরিক পুলিশ মোতায়েন
স্থিতিশীলতা ও উস্কানি বন্ধে সিরিয়ায় সামরিক পুলিশ মোতায়েন
স্থিতিশীলতা ও উস্কানি বন্ধে সিরিয়ায় সামরিক পুলিশ মোতায়েন
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের অসামরিকীকরণ জোনে ৫শ’ করে সামরিক পুলিশ মোতায়েনে সম্মত হয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। কাজাখস্তানের আস্তানায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত সিরিয় বিষয়ক সর্বশেষ বৈঠকে অংশ নিয়ে দেশগুলো এ বিষয়ে সম্মত হয়।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি আলেকজান্ডার লেভরেনটিয়েভ বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ…
View On WordPress
0 notes
crimerepot · 2 years ago
Text
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের কারন কি কিয়ামতের আলামত ? নবীজির ভবিষ্যৎ বাণী কি তাহলে সত্যি। জেনে নিন
তুরস্কে ভূমিকম্প কি কিয়ামতের আলামত ? নবীজির ভবিষ্যৎ বানী কি তাহলে সত্যি
প্রিয় দর্শক ‘ আশাকরি ভাল আছেন ‘ সাম্প্রতিক তুরস্ক ও সিরিয়ায় যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছে যে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়েছে । তুরস্কে ও সিরিয়ায় এই দুটি দেশে ভূমিকম্প মানুষকে দুমড়ে-মুচড়ে – বড় বড় দালান কোঠা গুলো ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে গেছে ।
এই তুরস্কের ও সিরিয়ায় মূল রহস্য কি ? নবীজি (সা.) এই ভূমিকম্পের কি ভবিষ্যৎ বাণী দিয়ে গেছিলেন । সে সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো – আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন ।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের কারণ কি 
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প কি তাহলে কিয়ামতের আলামত ? এই ব্যাপারে নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষ্যৎবাণী কি ছিলো । ভূমিকম্প কেন হয় – ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয় কি । হঠাৎ করে সোমবার ভোর ৪ .১৭ মিনিটে প্রচন্ড আকারে মাটি কেঁপে উঠলো তুরস্ক ও সিরিয়ায় । পাত্তের রাখা পানি ঢেউয়ের মতো করে উঠতে দেখা গেল –  এই সময় নিশ্চয় পুকুর নদী ও সমুদ্রের পানিতে ও প্রচন্ড ঢেউ উঠ���ছে ।
বড় বড় ভবনগুলোতে বসবাসকারী মানুষের আতঙ্কিত হয়ে কে কার আগে প্রাণ বাঁচাতে বাইরে বেরিয়ে আসবে সেই প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিলো। যারা গভীর নিদ্রায় ছিলেন তাদের আর ঘুম ভাঙা হলো না । সবাই চিৎকার করে বলছিল ভূমিকম্পের কথা । এই সুন্দর বাড়ি , তার ভেতরের আসবাবপত্র , প্রাণাধিক প্রিয় স্ত্রী সন্তান ,তাদের জন্য একটু অপেক্ষা করে তাদেরকে সাথে নিয়ে বের হওয়ার সময় টুকু কেউ বিলম্ব করতে চাইছিনা ।
দুনিয়ার এই সামান্য কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্প যদি মানুষের এমন অবস্থা হয় । তাহলে একবার ভেবে দেখুন কিয়ামতের ভয়াবহতা এদের কি অবস্থা হবে । মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনের  ( সূরা যিলযাল ) এর মধ্যে আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে  , এই ভূমিকম্পের ধরন তুলে ধরেছেন ।
আল্লাহ তাআলা ভূমিকম্পের ব্যাপারে যা বলেছেন
আল্লাহ তা’য়ালা বলেন , যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে । যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে , এবং মানুষ বলবে একি হলো ? ( সূরা যিলযাল আয়াত ১ – ৩ )  আল্লাহতা’লা বলেন , ভূমিকম্পের মাত্রা এমন ভয়াবহ হবে যে , গোটা পৃথিবীর একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে । পৃথিবী তার গর্ভের সকল মানুষ এবং ধন-সম্পদ সহ যাবতীয় জিনিস বের করে দেবে । তাই মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করার জন্য মাঝে মাঝে কিয়ামতের আলামতের সামান্য কিছু নিদর্শন প্রকাশ করেন । তাঁর বান্দাদেরকে পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণের সংকেত প্রদান করেন ।
ভূমিকম্পের অন্যতম আরেকটি কারণ
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি ভূমিকম্পের আরেকটি কারণ হলো – মানুষের অপকর্ম , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , যখন মানুষেরা নিজেদের মধ্যে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের প্রতিযোগিতা করবে , গচ্ছিত সম্পদের আমানতের খেয়ানত করবে , যাকাত দেয়াকে জরিমানা মনে করবে , ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দিয়ে দুনিয়ার বিদ্যা অর্জন করবে ,
পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে , মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে , পিতা কে বাদ দিয়ে বন্ধুকে আপন করে নিবে , মসজিদের ভেতর শোরগোল করবে , অযোগ্য ব্যক্তিরা সমাজের নেতৃত্ব দেবে , নিকৃষ্ট ব্যক্তি জননেতায় পরিণত হবে , মানুষ খারাপ কাজের সুনাম অর্জন করবে , এবং এ খারাপ কাজের ভয়ে ওই ব্যক্তিকে সম্মান করা হবে , বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর অবাধ বিচরণ হবে , মদ পান করা হবে ,
এবং বংশের শেষ প্রজন্মের লোকজন পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে , এ সময় পৃথিবী জুড়ে তীব্র বাতাস প���রবাহিত হবে , যার ফলশ্রুতিতে একটি প্রচন্ড ভূমিকম্প এই ভূমিকা তলিয়ে দেবে , ( সুনান আত তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ ১৪৪৭ )
আল্লাহ তাআলার হুকুম ভূমিকম্পের প্রভাব
এ সম্পর্কে আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রহিমাহুল্লাহ বলেন , মহান আল্লাহতালা মাঝে মাঝে পৃথিবীর জীবন্ত হয়ে ওঠার অনুমতি দেন হলে বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয় । তখন এই ভূমিকম্প মানুষকে ভীত করে ,  যাতে তারা মহান আল্লাহর নিকট তওবা করে , পাপ কর্ম ছেড়ে দেয় , আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় , এবং তাদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে । আগের কার দিনে যখন ভূমিকম্প হতো তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল ব্যক্তিরা এটাই বলতো যে ,মহান আল্লাহ আমাদেরকে সতর্ক করছেন , ভূমিকম্প কিয়ামতের একটি অন্যতম আলামত ।
মহানবী ( সা. ) কিয়ামতের যে নির্দেশনা দিয়েছেন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না , যে পর্যন্ত না  ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে । অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে , সময়ের বরকত চলে যাবে , ফিতনা প্রকাশ পাবে , এবং সমাজে খুন খারাবি বারবে , তোমাদের সম্পদ এতো বারবে জা উপচে পড়বে , ( বুখারি ৯৭৯ )
বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প ঘটছে ,  তা মহান আল্লাহর প্রেরিত সতর্ককারী নিদর্শন গুলোর একটি । এগুলো দিয়ে তিনি তাঁর বান্দাদেরকে সাবধান করে থাকেন , এগুলো মানুষের পাপ এবং অপরাধীর ফল , আল্লাহ তাআলা বলেনঃ জলে এবং স্থলে যে বিপর্যয় তোমাদের উপর আসে তা তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই , আর আল্লাহ তোমাদের অনেক অপরাধ এমনিতেই ক্ষমা করে দেন । ( সূরা শুরা আয়াত ৩০ )
ভূমিকম্প হলে কি করনীয় , প্রত্যেক মুসলমানের উচিত আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করা , মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন , আর যদি ও জনপথ সমূহের অধিবাসীরা ঈমান আনতো , এবং তাকওয়া অবলম্বন করতো , তাহলে আমি অবশ্যই আসমান ও জমিন থেকে বরকত সমূহ তাদের উপর খুলে দিতাম , কিন্তু তারা অস্বীকার করলো , অতঃপর তারা যা অর্জন করতো , তার কারণে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম ( সূরা আরাফ আয়াত নাম্বার ৯৬ )
অতএব দুনিয়ার বর্তমান ভূমিকম্প নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তর্কে লিপ্ত না হয়ে কুরআনের বাণীর প্রতি লক্ষ্য করে প্রত্যেকের উচিত তওবা করে , আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া , যেহেতু ভূমিকম্প কিয়ামতের সামান্য নির্দশ মাত্র , তাই কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে , আল্লাহ তা’আলা মানুষকে স্বীয় অপরাধ বোঝার তৌফিক দান করুক আমিন ।
প্রিয় দর্শক ‘ সমস্ত পোষ্টটি আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার প্র��য়জনকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । এবং আমাদের সাথে নিজেকে সংযত করার জন্য ফেসবুকে আমাদের কে ফলো করে রাখুন এবং গুগোল নিউজ থেকে আমাদের ফলো করে রাখুন ধন্যবাদ । 
0 notes
gnews71 · 7 years ago
Photo
Tumblr media
সিরিয়ায় জটিলতা বাড়ছে , সৈন্য ফেরাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের শিগগিরই ফিরিয়ে নেয়ার কথা বললেও সেটা এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সেখানে জঙ্গি সংগঠন আইএস এর ঝুঁকি রয়েছেই। অন্যদিকে রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কের অবস্থানের কারণে সিরিয়ায় নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। সব মিলিয়ে সিরিয়া নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প চাইলেও সিরিয়া থেকে শিগগিরই মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা, সেই প্রশ্ন এখন উঠছে। দেখা গেছে, গত সপ্তাহেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের দ্রুত সরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি তার অবস্থান পাল্টিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প নিরাপত্তা পরিষদ এবং উপদেষ্টাদের সাথে যে বৈঠক করেছেন, সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এর ঝুঁকির বিষয় আলোচনায় এসেছে। আর এই আলোচনায় উপদেষ্টারা আইএস এর ঝুঁকি সম্পর্কে ট্রাম্পকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। সে কারণে তিনি অবস্থান থেকে সরে এসে সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য মার্কিন সেনাদের রাখতে রাজি হয়েছেন বলা হচ্ছে। সিরিয়ায় প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দিস এবং আরব মিলিশিয়াদের সম্মিলিত বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স নাম নিয়ে আইএস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তাদের সমর্থনে কাজ করছে মার্কিন সৈন্যরা। জটিলতা আসলে কোথায়? মার্কিন সেনারা তাদের স্থানীয় মিত্রদের সাথে পূর্ব সিরিয়া দখলে নিয়েছে। কিন্তু আইএস যে নির্মূল হয়েছে, সেটা কেউ বলতে পারছে না। আইএস এর ঝুঁকি থাকছেই। তারা সিরিয়ার অন্য এলাকায় সরে পড়েছে। ফলে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে বলে মি: ট্রাম্প যা বলছেন, মাঠে সেই পরিস্থিতি এখনও হয়নি। সিরিয়ায় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ একটি শক্তি�� তবে যুক্তরাষ্ট্র সে��ানে মুল ভূমিকায় নেই। যদিও তুরস্ক এবং রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে পরস্পর বিরুদ্ধ পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু এই তিন দেশ শীর্ষ বৈঠক করে সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাদের এই অবস্থান নতুন মেরুকরণ বলে বলা হচ্ছে। দেশ তিনটির সৈন্যরা সিরিয়ায় দীর্ঘ সময় থাকবে সেই ইঙ্গিতও তারা দিয়েছে। এ ধরণের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদেরও অনির্দিষ্টকালের জন্য সিরিয়ায় থাকতে হতে পারে।-বিবিসি
0 notes
gnews71 · 7 years ago
Photo
Tumblr media
সিরিয়া নিয়ে এবার শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ এখন এমন এক জটিল অবস্থায় পৌঁছেছে যে, বড় শক্তিধর দেশগুলো সেখানকার নানা সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে – তাতে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এবার কি পরাশক্তিগুলোর নিজেদের মধ্যেই যুদ্ধ বেধে যাবে? বিবিসির সেবাস্টিয়ান আশার লিখছেন, সিরিয়ার সরকার এবং তার বিরোধীদের মধ্যে যে সঙ্ঘাত থেকে এই সঙ্কটের সূচনায় হয়েছিল – তা এখন প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। দেশটি এখন পরিণত হয়েছে নানা ��ক্তির পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ক্ষেত্রে। বাইরের যেসব শক্তি আগে কূটনীতির পথে ছিল, তারা এখন সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের পথে নেমে পড়েছে। রাশিয়া আর ইরান হচ্ছে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জড়িত – আর্থিক, সামরিক, রাজনৈতিক সব দিক থেকেই। যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষাকৃত কম জড়িত কিন্তু এ কারণেই তাদের স্পষ্ট বা নিয়ন্ত্রক ক্ষমতা নেই। তুরস্ক আরেকটি জড়িত দেশ কিন্তু তারা বিদ্রোহীদের সমর্থন করলেও কুর্দিদের ঠেকাতে বেশি আগ্রহী। দক্ষিণে আছে ইসরাইল – তারা লেবাননের ১৬ বছরের গৃহযুদ্ধের সময় যেমন, তেমনি সিরিয়ার ক্ষেত্রেও প্রধানত নিরব ভূমিকা রেখে চলেছে। তারা সিরিয়ায় কথিত ইরানি ঘাঁটি এবং হেজবোল্লাহর অস্ত্র সরবরাহের মত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতেই আক্রমণ সীমিত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরান, তুরস্ক, কুর্দি, এমনকি বাশার আসাদ সরকার – এদের প্রত্যেকেরই স্বার্থ অপরের বিপরীত। কিন্তু প্রক্সি বাহিনীর মাধ্যমে তৎপরতা চালানোর কারণেই তাদের সরাসরি সঙ্ঘাত হয় নি। শুধু ইসলামিক স্টেটের মোকাবিলা করার সময়ই তারা তাদের মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখে একসাথে কাজ করেছে। কিন্তু ইসলামিক স্টেটের পরাজয়ের ভেতর দিয়ে পরিস্থিতিতে এক নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে কুর্দিরা আইএসকে তাড়ানোর সময় আরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে – আর তা তুরস্ককে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। রাশিয়া এবং ইরান সিরিয়ার গভীরে তাদের অবস্থান পাকা করে ফেলেছে – যার পাশাপাশি বাশার আসাদের বাহিনী নতুন নতুন এলাকা পুনরুদ্ধার করছে। ইসরাইল দেখছে যে হেজবোল্লাহ এবং ইরান তার সীমান্তের আরো কাছাকাছি চলে এসেছে – যা তাকে সতর্ক এবং অপেক্ষাকৃত সক্রিয় করে তুলেছে। এ অবস্থায় এমন ঝুঁকি আছে যে প্রক্সিদের যুদ্ধ এখন তাদের পেছনে যে শক্তিগুলো পেছন থেকে সুতো নাড়ছে – তাদের সরাসরি যুধে পরিণত হয় কিনা। তা হবে ঘটনাপ্রবাহের এক খুবই বিপজ্জনক মোড় বদল। পেছনের শক্তিগুলো সব সময়ই অতীতে এরকম সম্ভাবনা দেখা দিলে সঙ্ঘাত থেকে পিছিয়ে এসেছে। কিন্তু এ নিয়ে খুব আশ্বস্ত হওয়া যায় না। যদিও এরকম যুদ্ধের কথা শুনতে অদ্ভূত শোনাতে পারে, কিন্তু গত কিছুদিনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। ক’দিন আগেই সিরিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ভুপাতিত হয়েছে। ইসরাইলি আকাশসীমার ভেতরে একটি ইরানি ড্রোন ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে। একটি রিপোর্ট বেরিয়েছে যে মার্কিন-কুর্দি ঘাঁটির দিকে এগুনোর সময় মার্কিনীদের হাতে কয়েকজন রুশ ভাড়াটে সৈন্য নিহত হয়েছেন। তুরস্ক সিরিয়ান কুর্দিদের ওপর হামলা শুরু করেছে – যাতে তারা সরাসরি আমেরিকানদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে, যদিও তারা আবার নেটো মিত্র। এর ফলে সিরিয়ার বাইরের শক্তিদের একটা সর্বগ্রাসী সঙ্ঘাতের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এমন কিছু যদি না-ও হয় – অন্তত সিরিয়া সঙ্কটকে তা আরো দীর্ঘায়িত করতে পারে।
0 notes