#তছনছ
Explore tagged Tumblr posts
banglakhobor · 1 year ago
Text
সরকারের টাকা তছনছ করে বই, ঘন ঘন বিমানযাত্রা! রাজ্যপালকে আক্রমণ কুণালের
কলকাতা: রাজভবন থেকে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ��াজ্যপাল বিজেপি-র (BJP) ‘দালালি’ করছেন বলে দাবি করলেন তিনি। রাজ্যপালের আবারও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন কুণাল। (Kolkata News) রাজভবনে পিস কন্ট্রোল রুম খোলার পর, রাজ্যে…
View On WordPress
0 notes
2nd-stagnant-bastard · 25 days ago
Video
youtube
ইসরাইলি আগ্রাসনে তছনছ মুসলিম বিশ্ব | তবে কি যুদ্ধের দ্বার প্রান্তে মধ্যপ...
0 notes
banglavisiononline · 1 month ago
Link
শেখ হাসিনা সরকারের আমলের সব সিন্ডিকেট ভে
0 notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা আসর যে শিক্ষা দেয়
Surah Asr teaches that...
সূরা আসর পবিত্র কোরআনের একটি ছোট সূরা। কিন্তু এই সূরাটি এতোটাই অর্থপূর্ণ সূরা যে, ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, মানুষ এ সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা করে পাঠ করলে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে সংশোধনের জন্য যথেষ্ট হযে যায়। সূরায় আল্লাহ তায়ালা সময়ের শপথ করে বলেছেন, মানবজাতি ক্ষতিগ্রস্ত, তবে ক্ষতি থেকে তারাই মুক্ত যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে।
এ বিষয়গুলোর প্রথমটি হলো- আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান।
ঈমানের পরে মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য দ্বিতীয় যে গুণটি অপরিহার্য সেটি হচ্ছে সৎকাজ। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় আমালে সালেহ।
সৎকাজের পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য তৃতীয় গুণটি হচ্ছে- অন্যকে হক বা সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়া।
সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়ার পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার চতুর্থ গুণটি হলো সবর বা ধৈর্য।
সবর’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিজেকে বাধা দেয়া ও অনুবর্তী করা।
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন? কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের ��রিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য��� আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আস��ের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
https://www.youtube.com/watch?v=Qi6PRDapemc&t=1s
সূরা আসরের মূলভাব। 
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর ভয়ংকর সতর্কবাণী 
youtube
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
youtube
youtube
youtube
সুরাতুল আসর তাফসীর | চমৎকার ব্যাখ্যা |
youtube
Bangla Tafseer 103 Surah Al Asr
youtube
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
সূরা আসরের পাঠ
Lessons From Surah Asr
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা আসর যে শিক্ষা দেয়
Surah Asr teaches that...
সূরা আসর পবিত্র কোরআনের একটি ছোট সূরা। কিন্তু এই সূরাটি এতোটাই অর্থপূর্ণ সূরা যে, ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, মানুষ এ সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা করে পাঠ করলে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে সংশোধনের জন্য যথেষ্ট হযে যায়। সূরায় আল্লাহ তায়ালা সময়ের শপথ করে বলেছেন, মানবজাতি ক্ষতিগ্রস্ত, তবে ক্ষতি থেকে তারাই মুক্ত যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে।
এ বিষয়গুলোর প্রথমটি হলো- আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান।
ঈমানের পরে মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য দ্বিতীয় যে গুণটি অপরিহার্য সেটি হচ্ছে সৎকাজ। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় আমালে সালেহ।
সৎকাজের পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য তৃতীয় গুণটি হচ্ছে- অন্যকে হক বা সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়া।
সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়ার পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার চতুর্থ গুণটি হলো সবর বা ধৈর্য।
সবর’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিজেকে বাধা দেয়া ও অনুবর্তী করা।
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন? কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
https://www.youtube.com/watch?v=Qi6PRDapemc&t=1s
সূরা আসরের মূলভাব। 
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর ভয়ংকর সতর্কবাণী 
youtube
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
youtube
youtube
youtube
সুরাতুল আসর তাফসীর | চমৎকার ব্যাখ্যা |
youtube
Bangla Tafseer 103 Surah Al Asr
youtube
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
সূরা আসরের পাঠ
Lessons From Surah Asr
0 notes
ilyforallahswt · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা আসর যে শিক্ষা দেয়
Surah Asr teaches that...
সূরা আসর পবিত্র কোরআনের একটি ছোট সূরা। কিন্তু এই সূরাটি এতোটাই অর্থপূর্ণ সূরা যে, ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, মানুষ এ সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা করে পাঠ করলে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে সংশোধনের জন্য যথেষ্ট হযে যায়। সূরায় আল্লাহ তায়ালা সময়ের শপথ করে বলেছেন, মানবজাতি ক্ষতিগ্রস্ত, তবে ক্ষতি থেকে তারাই মুক্ত যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে।
এ বিষয়গুলোর প্রথমটি হলো- আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান।
ঈমানের পরে মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য দ্বিতীয় যে গুণটি অপরিহার্য সেটি হচ্ছে সৎকাজ। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় আমালে সালেহ।
সৎকাজের পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য তৃতীয় গুণটি হচ্ছে- অন্যকে হক বা সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়া।
সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়ার পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার চতুর্থ গুণটি হলো সবর বা ধৈর্য।
সবর’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিজেকে বাধা দেয়া ও অনুবর্তী করা।
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোন��� সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন? কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
https://www.youtube.com/watch?v=Qi6PRDapemc&t=1s
সূরা আসরের মূলভাব। 
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর ভয়ংকর সতর্কবাণী 
youtube
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
youtube
youtube
youtube
সুরাতুল আসর তাফসীর | চমৎকার ব্যাখ্যা |
youtube
Bangla Tafseer 103 Surah Al Asr
youtube
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
সূরা আসরের পাঠ
Lessons From Surah Asr
0 notes
myreligionislam · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা আসর যে শিক্ষা দেয়
Surah Asr teaches that...
সূরা আসর পবিত্র কোরআনের একটি ছোট সূরা। কিন্তু এই সূরাটি এতোটাই অর্থপূর্ণ সূরা যে, ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, মানুষ এ সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা করে পাঠ করলে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে সংশোধনের জন্য যথেষ্ট হযে যায়। সূরায় আল্লাহ তায়ালা সময়ের শপথ করে বলেছেন, মানবজাতি ক্ষতিগ্রস্ত, তবে ক্ষতি থেকে তারাই মুক্ত যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে।
এ বিষয়গুলোর প্রথমটি হলো- আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান।
ঈমানের পরে মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য দ্বিতীয় যে গুণটি অপরিহার্য সেটি হচ্ছে সৎকাজ। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় আমালে সালেহ।
সৎকাজের পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য তৃতীয় গুণটি হচ্ছে- অন্যকে হক বা সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়া।
সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়ার পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার চতুর্থ গুণটি হলো সবর বা ধৈর্য।
সবর’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিজেকে বাধা দেয়া ও অনুবর্তী করা।
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন? কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
https://www.youtube.com/watch?v=Qi6PRDapemc&t=1s
সূরা আসরের মূলভাব। 
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর ভয়ংকর সতর্কবাণী 
youtube
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
youtube
youtube
youtube
সুরাতুল আসর তাফসীর | চমৎকার ব্যাখ্যা |
youtube
Bangla Tafseer 103 Surah Al Asr
youtube
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
সূরা আসরের পাঠ
Lessons From Surah Asr
0 notes
allahisourrabb · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা আসর যে শিক্ষা দেয়
Surah Asr teaches that...
সূরা আসর পবিত্র কোরআনের একটি ছোট সূরা। কিন্তু এই সূরাটি এতোটাই অর্থপূর্ণ সূরা যে, ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, মানুষ এ সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা করে পাঠ করলে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে সংশোধনের জন্য যথেষ্ট হযে যায়। সূরায় আল্লাহ তায়ালা সময়ের শপথ করে বলেছেন, মানবজাতি ক্ষতিগ্রস্ত, তবে ক্ষতি থেকে তারাই মুক্ত যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে।
এ বিষয়গুলোর প্রথমটি হলো- আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান।
ঈমানের পরে মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য দ্বিতীয় যে গুণটি অপরিহার্য সেটি হচ্ছে সৎকাজ। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় আমালে সালেহ।
সৎকাজের পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য তৃতীয় গুণটি হচ্ছে- অন্যকে হক বা সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়া।
সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়ার পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার চতুর্থ গুণটি হলো সবর বা ধৈর্য।
সবর’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিজেকে বাধা দেয়া ও অনুবর্তী করা।
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন? কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধার���ের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
https://www.youtube.com/watch?v=Qi6PRDapemc&t=1s
সূরা আসরের মূলভাব। 
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর ভয়ংকর সতর্কবাণী 
youtube
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
youtube
youtube
youtube
সুরাতুল আসর তাফসীর | চমৎকার ব্যাখ্যা |
youtube
Bangla Tafseer 103 Surah Al Asr
youtube
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
সূরা আসরের পাঠ
Lessons From Surah Asr
0 notes
mylordisallah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা আসর যে শিক্ষা দেয়
Surah Asr teaches that...
সূরা আসর পবিত্র কোরআনের একটি ছোট সূরা। কিন্তু এই সূরাটি এতোটাই অর্থপূর্ণ সূরা যে, ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, মানুষ এ সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা করে পাঠ করলে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে সংশোধনের জন্য যথেষ্ট হযে যায়। সূরায় আল্লাহ তায়ালা সময়ের শপথ করে বলেছেন, মানবজাতি ক্ষতিগ্রস্ত, তবে ক্ষতি থেকে তারাই মুক্ত যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে।
এ বিষয়গুলোর প্রথমটি হলো- আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান।
ঈমানের পরে মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য দ্বিতীয় যে গুণটি অপরিহার্য সেটি হচ্ছে সৎকাজ। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় আমালে সালেহ।
সৎকাজের পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার জন্য তৃতীয় গুণটি হচ্ছে- অন্যকে হক বা সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়া।
সত্যের প্রতি উপদেশ দেওয়ার পর ক্ষতি থেকে বাঁচবার চতুর্থ গুণটি হলো সবর বা ধৈর্য।
সবর’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিজেকে বাধা দেয়া ও অনুবর্তী করা।
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন? কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দা��� প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
https://www.youtube.com/watch?v=Qi6PRDapemc&t=1s
সূরা আসরের মূলভাব। 
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর ভয়ংকর সতর্কবাণী 
youtube
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
youtube
youtube
youtube
সুরাতুল আসর তাফসীর | চমৎকার ব্যাখ্যা |
youtube
সুরা আসরের তাফসীর
youtube
Bangla Tafseer 103 Surah Al Asr
youtube
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
সূরা আসরের পাঠ
Lessons From Surah Asr
0 notes
tajmahalgemsworld · 2 months ago
Text
একটু ভুলে তছনছ হয়ে যেতে পারে আপনার জীবন, এই রত্ন তিনটি ধারণ করার আগে সাবধান
মাহাবিশ্বের ঘর্ণায়মান সমস্ত গ্রহ ও নক্ষত্র আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সেইসব গ্রহণ নক্ষত্র আমাদের জীবন বা মনকে স্বাভাবিক ও সুস্থ রাখতে পারে। কখনও কখনও নক্ষত্র বা গ্রহ দোষ ডেকে আনতে পারে বড়সড় বিপদ। গ্রহ বা নক্ষত্রে দোষ কাটাতে আমরা একাধিক রত্নধারণ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন , এমন দুটি রত্ন রয়েছে যা আপনার জীবনকে আরও ক্ষতবিক্ষত করতে পারে। তাই সেই দুটি রত্ন ধারণ করার আগে একটু সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয়। কারণ ভুল রত্ন ধারণ ডেকে আনতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। যা ধ্বংস করে দিতে পারে আপনার জীবনকে।
See Video
অনেক সময়ই আমরা নিজেদের ইচ্ছেমত রত্ন ধারণ করি। কোনও নির্দেশ বা পরামর্শ না নিয়ে�� ইচ্ছেমত হীরে চূনী পান্না কিনে নিয়ে পরে ফেলি। জানেন কি, এর ফল হতে পারে মারাত্মক। কারণ বেশ কয়েকটি রত্ন রয়েছে যেগুলি এতটাই শক্তিশালী যা শনি, বৃহস্পতি বা মঙ্গলের মত গ্রহকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। তাই এই সেই রত্নগুলি পরার আগে একটি সতর্ক হওয়ায় শ্রেয়। আসুন আমরা আজ দু-টি রত্ন নিয়ে আলোচনা করি। যেগুলি পরলে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে আমাদের।
নীলা- নীলকান্ত মণি। এটি শনির মূল রত্ন। এটি প্রধানত বায়ু উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। নীলাকে নীলমও বলা হয়। এর অন্যনাম শনিপ্রিয়া বা স্যাফায়ার। এটি কুরুন্দম গোষ্ঠীর পাথর। রুবির সঙ্গে এটি পাওয়া যায়। এই রত্নটি শনি কু-দৃষ্টি থেকে বা শনির রোষ থেকে বাঁচার জন্য পরা হয়। শনি যাদের হালকা তারাই এই রত্নটি পরতে পারেন। কিন্তু এটি পরার আগে অনেক বিচার বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। সঠিক পরামর্শ না নিয়ে এই রত্ন ধারন করলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। নীলার প্রভাব মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পড়তে দেখা যায়।
রাশিফল বা শনির উপাদানগুলি না জেনে নীলকান্ত মণি পরা কখনই উচিৎ নয়। নীলকান্তমণি পরার আগে ভালো করে পরীক্ষা করে নিতে হবে। লোহা বা রুপো দিয়ে এটি ধারণ করলে শুভফল পাওয়া যায়। ভুলেও সোনা দিয়ে নীলকান্ত মণি পরবেন না। শনিবার মধ্যরাতে নীলা পরার সঠিক সময়। বাঁ হাতে নীলকান্ত মণি পরতে হয়। সঙ্গে জলের উপাদনের একটি রত্ন পরা জরুরি। চারকোনা আকারের নীলকান্ত মণি পরা শুভ বলে মনে করা হয়। তবে পরার আগে শিব ও শনি দেবতাকে অবশ্যই নীলা অর্পণ করে তারপর ধারণ করবেন।
হীরা- মূল্যবান রত্নগুলির অন্যতম হীরা। এটি কঠিন রত্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধারণ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য হীরা পরে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে হীরা সবার পরা উচিৎ নয়। শুক্র গ্রহের রত্ন হিসেবে এটি বিবেচিত হয়। এই রত্ন পরিধান অনেকেই সৌন্দর্য, সুখ আর সমৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এই রত্নের কুপ্রভাব সরাসরি সংসারে ও বিবাহিত জীবনে পড়তে পারে। শুক্র গ্রহের উপকার পেতে ও জীবনে গ্ল্যামার বাড়াতে হীরা একটি উপযুক্ত রত্ন।
পরামর্শ ছাড়া শুধুমাত্র ফ্যাশানের জন্য কখনই হীরা পরবেন না। ডায়াবেটিস ও হাইব্লাড প্রেসারের রোগীদের হীরা পরা উচিৎ নয়। এটি ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরাই পরতে পারেন। বিবাহিত জীবনে যদি সমস্যা থাকে তাহলে হীরা একদমই পরবেন না। হীরা সমস্যা আরও বাড়়িয়ে দিতে পারে। হীরা যত সাদা হবে ততই শুভ ফল দেব��। তবে ভাঙা হীরা থেকে সর্বদা সাবধান থাকুন। দূরত্ব বজায় রাখুন। হীরা পরলে আপনি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে পারেষ হীরার সঙ্গে প্রবাল বা গোমেদ কখনই পরবেন না।
পান্না- নবরত্নের অন্যতম হল পন্না। এটি বুধ গ্রহের জন্য পরা হয়। ব্যবসা শিক্ষা আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নিতর জন্য পান্না পরা হয়। পান্না আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কিন্তু যাদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়েছে ��ারা ভুলেও পান্না পরবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। কিন্তু যাদের প্রয়োজন নেই তারা যদি পান্না পরেন তাহলে জীবনের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন।
0 notes
nijerinfobd · 3 months ago
Text
��াংলাদেশের বন্যার আপডেট খবর ২০২৪ । Flood Latest News
বাংলাদেশের বন্যার আপডেট খবর ২০২৪ । Flood Latest News বাংলাদেশের বন্যার আপডেট খবর ২০২৪ । Flood Latest News. ২০২৪ সালের বন্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই বছর বন্যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল তছনছ হয়ে গেছে, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি, ক্ষয়ক্ষতি, এবং সরকারি ও বেসরকারি…
0 notes
2nd-stagnant-bastard · 29 days ago
Video
youtube
ইসরাইলি আগ্রাসনে তছনছ মুসলিম বিশ্ব | তবে কি যুদ্ধের দ্বার প্রান্তে মধ্যপ...
0 notes
banglavisiononline · 1 month ago
Link
দাবন ঝড় মিল্টনের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লো
0 notes
quransunnahdawah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
মানুষের যাপিতজীবন সুশৃঙ্খল ও গতিময় হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বত্র যেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন তা নিঃস্বার্থ ও পক্ষপাতহীন হবে। নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। কোরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে।
যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিত��-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন চালিত না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাত নেই। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, শাসক-শাসিত, শ্রেণি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার ও বিচার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না। 
। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আর রাষ্ট্র তো এসব সমাজেরই সমষ্টির নাম। তাই একটি দেশকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। তার আগে পারিবারিক ন্যায়বিচার। তারও আগে ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের আদালতে। তাহলেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের প্রতিষ্ঠা হবে। আলো নিভে গেলে যেমন আঁধারে ছেয়ে যায় চারপাশ, তেমনি মানুষের বিবেক ও সমাজ থেকে ন্যায়বিচার উঠে গেলে জুলুম ও অবিচার শুরু হয়। ন্যায়বিচারের স্থানে অবিচার ও অনাচারের অনুপ্রবেশ হয়। সুস্থ ও বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তো বটেই, অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে অপ্রকৃতিস্থ মাতালও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নাড়িছেঁড়া সন্তান যদি লক্ষ করে তার স্নেহময় জননী ন্যায়বিচারক নন কিংবা বাবা তার সব সন্তানকে একই চোখে দেখেন না, তাহলে সন্তানের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। পরিণামে দেখা যায়, একেকটি পরিবারের কাঠামো ও বংশধারা প্রতিশোধের প্রবণতায় একেকভাবে তছনছ হয়ে যায়। সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বন্ধন ও সুসম্পর্ক ভেঙে যায়। এভাবে ভাঙে পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। বলে বিভিন্ন ধর্মের ও দর্শনের জ্ঞানী-স্বল্পজ্ঞানী, সাধারণ-অসাধারণ সবাই। কিন্তু এই পৃথিবী, সভ্যতা ও মহাকাল ইসলামের আগমনে ইনসাফ, ন্যায়বিচার, সাম্য ও সভ্যতার যে অভাবিতপূর্ব ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছে তার দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার গতিধারা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের মশাল জ্বেলে। রাসুল (সা.) শতাব্দীর এমন ক্রান্তিকালে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যখন গোটা দুনিয়ায় অন্যায়, অরাজকতা, বর্ণবৈষম্য, বংশকৌলিন্য ও পাশবিক দম্ভ মানুষকে মানুষ অবয়বের বন্য পশুতে পরিণত করে রেখেছিল। গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এমন সময় ও সমাজে সমাজে রাসুল (সা.) মদিনায় যে ভারসাম্যপূর্ণ সুশৃঙ্খল সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করেন, তার মূলে ছিল ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবজাতির সার্বজনীনতা। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুঘটক হলো মানুষের অন্তরে রোপিত পারলৌকিক জীবনবোধ ও ঐশ্বরিক চেতনা, যা মানুষকে প্রকাশ্য এবং গোপন সবরকম অন্যায় ও অবিচার থেকে বিরত রাখে এ কারণে যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিচারের আদালত স্থাপন করবেন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের অনুপুঙ্খ হিসাব নেবেন এবং প্রত্যেকের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। পার্থিব জীবনের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সুবিচার-অবিচার, নীতি ও নেকি প্রতিটি কাজের প্রতিদান সেদিন সবাইকে পেতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের আদালত স্থাপন করব। কারও প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। ঝরনার পানি যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে নামে তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার বা অবিচার প্রতিষ্ঠা পায় সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের দ্বারা। ধীরে ধীরে তা ক্রমান্বয়ে অধীন ও অধস্তন শ্রেণিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র একটি পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। পরিবারের প্রধান অবিচারী হলে সেখানে আর ন্যায়বিচার থাকে না। তেমনি সমাজের ও রাষ্ট্রের উচ্চশ্রেণি স্বেচ্ছাচারী হলে সেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে। এ জন্য আল্লাহতায়ালা কো��আন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)।  অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইন��াফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)। সমাজের ওপরের শ্রেণিতে যদি ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের সর্বত্র সুবিচারের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবে। 
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
youtube
রাসুল (সঃ) এর ন্যায় বিচার।
youtube
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয় 
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
Insaf and Justice in the Sight  of Islam
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
মানুষের যাপিতজীবন সুশৃঙ্খল ও গতিময় হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বত্র যেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন তা নিঃস্বার্থ ও পক্ষপাতহীন হবে। নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। কোরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে।
যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন চালিত না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাত নেই। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, শাসক-শাসিত, শ্রেণি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার ও বিচার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না। 
। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আর রাষ্ট্র তো এসব সমাজেরই সমষ্টির নাম। তাই একটি দেশকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। তার আগে পারিবারিক ন্যায়বিচার। তারও আগে ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের আদালতে। তাহলেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের প্রতিষ্ঠা হবে। আলো নিভে গেলে যেমন আঁধারে ছেয়ে যায় চারপাশ, তেমনি মানুষের বিবেক ও সমাজ থেকে ন্যায়বিচার উঠে গেলে জুলুম ও অবিচার ���ুরু হয়। ন্যায়বিচারের স্থানে অবিচার ও অনাচারের অনুপ্রবেশ হয়। সুস্থ ও বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তো বটেই, অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে অপ্রকৃতিস্থ মাতালও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নাড়িছেঁড়া সন্তান যদি লক্ষ করে তার স্নেহময় জননী ন্যায়বিচারক নন কিংবা বাবা তার সব সন্তানকে একই চোখে দেখেন না, তাহলে সন্তানের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। পরিণামে দেখা যায়, একেকটি পরিবারের কাঠামো ও বংশধারা প্রতিশোধের প্রবণতায় একেকভাবে তছনছ হয়ে যায়। সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বন্ধন ও সুসম্পর্ক ভেঙে যায়। এভাবে ভাঙে পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। বলে বিভিন্ন ধর্মের ও দর্শনের জ্ঞানী-স্বল্পজ্ঞানী, সাধারণ-অসাধারণ সবাই। কিন্তু এই পৃথিবী, সভ্যতা ও মহাকাল ইসলামের আগমনে ইনসাফ, ন্যায়বিচার, সাম্য ও সভ্যতার যে অভাবিতপূর্ব ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছে তার দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার গতিধারা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের মশাল জ্বেলে। রাসুল (সা.) শতাব্দীর এমন ক্রান্তিকালে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যখন গোটা দুনিয়ায় অন্যায়, অরাজকতা, বর্ণবৈষম্য, বংশকৌলিন্য ও পাশবিক দম্ভ মানুষকে মানুষ অবয়বের বন্য পশুতে পরিণত করে রেখেছিল। গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এমন সময় ও সমাজে সমাজে রাসুল (সা.) মদিনায় যে ভারসাম্যপূর্ণ সুশৃঙ্খল সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করেন, তার মূলে ছিল ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবজাতির সার্বজনীনতা। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুঘটক হলো মানুষের অন্তরে রোপিত পারলৌকিক জীবনবোধ ও ঐশ্বরিক চেতনা, যা মানুষকে প্রকাশ্য এবং গোপন সবরকম অন্যায় ও অবিচার থেকে বিরত রাখে এ কারণে যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিচারের আদালত স্থাপন করবেন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের অনুপুঙ্খ হিসাব নেবেন এবং প্রত্যেকের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। পার্থিব জীবনের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সুবিচার-অবিচার, নীতি ও নেকি প্রতিটি কাজের প্রতিদান সেদিন সবাইকে পেতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের আদালত স্থাপন করব। কারও প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। ঝরনার পানি যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে নামে তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার বা অবিচার প্রতিষ্ঠা পায় সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের দ্বারা। ধীরে ধীরে তা ক্রমান্বয়ে অধীন ও অধস্তন শ্রেণিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র একটি পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। পরিবারের প্রধান অবিচারী হলে সেখানে আর ন্যায়বিচার থাকে না। তেমনি সমাজের ও রাষ্ট্রের উচ্চশ্রেণি স্বেচ্ছাচারী হলে সেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে। এ জন্য আল্লাহতায়ালা কোরআন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)।  অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)। সমাজের ওপরের শ্রেণিতে যদি ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের সর্বত্র সুবিচারের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবে। 
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
youtube
রাসুল (সঃ) এর ন্যায় বিচার।
youtube
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয় 
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
Insaf and Justice in the Sight  of Islam
0 notes
ilyforallahswt · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
মানুষের যাপিতজীবন সুশৃঙ্খল ও গতিময় হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বত্র যেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন তা নিঃস্বার্থ ও পক্ষপাতহীন হবে। নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। কোরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে।
যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন চালিত না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাত নেই। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, শাসক-শাসিত, শ্রেণি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার ও বিচার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না। 
। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আর রাষ্ট্র তো এসব সমাজেরই সমষ্টির নাম। তাই একটি দেশকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। তার আগে পারিবারিক ন্যায়বিচার। তারও আগে ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের আদালতে। তাহলেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের প্রতিষ্ঠা হবে। আলো নিভে গেলে যেমন আঁধারে ছেয়ে যায় চারপাশ, তেমনি মানুষের বিবেক ও সমাজ থেকে ন্যায়বিচার উঠে গেলে জুলুম ও অবিচার শুরু হয়। ন্যায়বিচারের স্থানে অবিচার ও অনাচারের অনুপ্রবেশ হয়। সুস্থ ও বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তো বটেই, অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে অপ্রকৃতিস্থ মাতালও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নাড়িছেঁড়া সন্তান যদি লক্ষ করে তার স্নেহময় জননী ন্যায়বিচারক নন কিংবা বাবা তার সব সন্তানকে একই চোখে দেখেন না, তাহলে সন্তানের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। পরিণামে দেখা যায়, একেকটি পরিবারের কাঠামো ও বংশধারা প্রতিশোধের প্রবণতায় একেকভাবে তছনছ হয়ে যায়। সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বন্ধন ও সুসম্পর্ক ভেঙে যায়। এভাবে ভাঙে পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। বলে বিভিন্ন ধর্মের ও দর্শনের জ্ঞানী-স্বল্পজ্ঞানী, সাধারণ-অসাধারণ সবাই। কিন্তু এই পৃথিবী, সভ্যতা ও মহাকাল ইসলামের আগমনে ইনসাফ, ন্যায়বিচার, সাম্য ও সভ্যতার যে অভাবিতপূর্ব ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছে তার দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার গতিধারা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের মশাল জ্বেলে। রাসুল (সা.) শতাব্দীর এমন ক্রান্তিকালে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যখন গোটা দুনিয়ায় অন্যায়, অরাজকতা, বর্ণবৈষম্য, বংশকৌলিন্য ও পাশবিক দম্ভ মানুষকে মানুষ অবয়বের বন্য পশুতে পরিণত করে রেখেছিল। গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এমন সময় ও সমাজে সমাজে রাসুল (সা.) মদিনায় যে ভারসাম্যপূর্ণ সুশৃঙ্খল সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করেন, তার মূলে ছিল ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবজাতির সার্বজনীনতা। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুঘটক হলো মানুষের অন্তরে রোপিত পারলৌকিক জীবনবোধ ও ঐশ্বরিক চেতনা, যা মানুষকে প্রকাশ্য এবং গোপন সবরকম অন্যায় ও অবিচার থেকে বিরত রাখে এ কারণে যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিচারের আদালত স্থাপন করবেন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের অনুপুঙ্খ হিসাব নেবেন এবং প্রত্যেকের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। পার্থিব জীবনের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সুবিচার-অবিচার, নীতি ও নেকি প্রতিটি কাজের প্রতিদান সেদিন সবাইকে পেতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের আদালত স্থাপন করব। কারও প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। ঝরনার পানি যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে নামে তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার বা অবিচার প্রতিষ্ঠা পায় সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের দ্বারা। ধীরে ধীরে তা ক্রমান্বয়ে অধীন ও অধস্তন শ্রেণিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র একটি পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। পরিবারের প্রধান অবিচারী হলে সেখানে আর ন্যায়বিচার থাকে না। তেমনি সমাজের ও রাষ্ট্রের উচ্চশ্রেণি স্বেচ্ছাচারী হলে সেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে। এ জন্য আল্লাহতায়ালা কোরআন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)।  অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)। সমাজের ওপরের শ্রেণিতে যদি ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের সর্বত্র সুবিচারের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবে। 
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
youtube
রাসুল (সঃ) এর ন্যায় বিচার।
youtube
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয় 
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
Insaf and Justice in the Sight  of Islam
0 notes