#ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ
Explore tagged Tumblr posts
Text
ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ
ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ব্যাধি। এই রোগের বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে যা দেখে এই রোগের প্রভাব সম্পর্কে জানা যায়। নিম্নে তা প্রদান করা হলঃ
হঠাৎ ১০৪-১০৫ ডিগ্রি জ্বর সাথে মাথা ব্যথা।
চোখে বা চোখের পিছনে ব্যথা বা আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হওয়া।
মাংসপেশী ও হাড়ের সংযোগস্থলে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া।
শরীরের চামড়ায় লালচে ছোপ বা র্যাশ ওঠা।
বমিভাব, বমি হওয়া ও খাওয়ার অরুচি হওয়া।
ব্রাশ করতে গিয়ে মুখ ও দাঁতের গোড়া এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়া।
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়া।
চার-পাঁচদিনের মধ্যে জ্বর সেরে যাওয়া।
প্ল্যাটিলেট কমে যাওয়া।
তবে এইবারের ডেঙ্গু জ্বরের চিত্রটা অনেকটাই ভিন্ন। দেখা যাচ্ছে, জ্বরের তাপমাত্রা খুব বাড়ছে না, শরীরের ব্যথাও তেমন হচ্ছে না। সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা। অথচ এক দুইদিন পর শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পাল্স পাওয়া যায় না, ব্লাড প্রেসার কমে যায়, প্রভাব হয় না, কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি রোগী অজ্ঞানও হয়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলি সাধারণত তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে দেখা দেয় এবং প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে শিথিল হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর মৃদু বা গুরুতর ফর্ম দেখা যেতে পারে, যা জীবনঘাতীও হ��ে পারে।
Dr. SM Shahidul Islam is one of the best pain specialists in Bangladesh. He practices acupuncture and recently completed his Ph.D. in pain and paralysis treatment. He plays an important role in the rehabilitation of pain management in Bangladesh. With his deep hand, a lot of patients have improved from their pain problems and got long-term wellness as well. Now he is performing as the chief visiting consultant at SUO XI Hospital (Acupuncture). People also called him Dr. Shahidul Islam.
0 notes
Text
#ডেংগু ও #প্রাণ।(২)
ডেংগু রোগের সাধারণ কিছু উপসর্গের মাঝে একটি হল, রোগীর শরীরে জ্বরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশী বেড়ে যাওয়া। জ্বর অনেক ক্ষেত্রে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। তীব্র মাথা ব্যথা, হাড়ের জোড়া ও পেশিতে তীব্র ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, সারা শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া, চোখের পেছনে ও মধ্য খানে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি হচ্ছে ডেঙ্গু রোগের সাধারণ উপসর্গসমূহ। ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস যদি প্রথমবার কাউকে আক্রমণ করে এবং রোগী যদি কম বয়সী হয় বা শিশু হয় তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরে বড় ধরণের কোনো উপসর্গ থাকে না। অনেক সময় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে জ্বর নাও হতে পারে। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু রোগে জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি ইত্যাদি থাকতে পারে। ডেংগু রোগের সংক্রমণের তীব্রতা মোটামুটি তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত হয়ে থাকে, যেমন প্রাথমিক পর্যায়, প্রবল অবস্থা এবং আরোগ্য লাভের সময় কাল।
>>
0 notes
Video
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা | dengue fever treatment | ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি কি
#ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ#ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা#ডেঙ্গু জ্বরের বাহক কোন মশা#ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে#ডেঙ্গু জ্ব��ের প্রতিকার#ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি কি#ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ#ডেঙ্গু জ্বর#ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক চিকিৎসা#ডেঙ্গু জ্বরের হোমিও চিকিৎসা#ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা#ডেঙ্গু জ্বরের ঔষধ#ডেঙ্গু জ্বরের ঔষধ কি#ডেঙ্গু জ্বরের হোমিও ঔষধ#ডেঙ্গু জ্বরের কারণ#ডেঙ্গুর প্রাথমিক চিকিৎসা#ডেঙ্গুর চিকিৎসা#ডেঙ্গুর ঔষধ#ডেঙ্গুর লক্ষণ#dengue fever treatment#dengue fever rash
1 note
·
View note
Text
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ও চিকিৎসা - রোগব্যধি
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ও চিকিৎসা – রোগব্যধি
রোগব্যধি – ডেঙ্গু লক্ষণ ডেঙ্গুর হালকা উপসর্গগুলি অন্যান্য অসুস্থতার সাথে বিভ্রান্ত হতে পারে যা জ্বর, ব্যথা এবং ব্যথা বা ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। মানবদেহের গ্রাফিক যা ডেঙ্গুর সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ দেখাচ্ছে তা হল নিম্নোক্ত যেকোনো একটির সাথে জ্বর: চোখের ব্যথা, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, ফুসকুড়ি, হাড়ের ব্যথা, বমি বমি ভাব/বমি, জয়েন্টে ব্যথা ডেঙ্গুর সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হল নিম্নোক্ত যেকোনো একটির সাথে…
View On WordPress
0 notes
Text
শিশুর জ্বর হলে কী করবেন? করোনার জ্বর? ডেঙ্গু জ্বর? সাধারণ জ্বর? জেনে রাখুন-সুস্থ থাকুন (Treatment of child fever)
শিশুর জ্বর হলে কী করবেন? করোনার জ্বর? ডেঙ্গু জ্বর? সাধারণ জ্বর? জেনে রাখুন-সুস্থ থাকুন (Treatment of child fever)
গ্রীষ্ম শেষ হয়ে প্রকৃতিতে এসেছে বর্ষা। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে নানারকম অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বরের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এখন জ্বর হলে দুশ্চিন্তা আরও বেশি বেড়ে যাচ্ছে। কারণটা হলো করোনাভাইরাস। কিন্তু জ্বর মানেই তো করোনাভাইরাস নয়। ডেঙ্গুর ভয়টা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। আবার হতে পারে সাধারণ ভাইরাস জ্বর।
জ্বর রোগের উপসর্গ মাত্র। জীবাণুর সংক্রমণ বা অন্যান্য কারণে…
View On WordPress
0 notes
Text
ডিএনসিসিতে আজ থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা কর্মসূচি শুরু
বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা কর্মসূচি ‘মাস স্ক্রিনিং টেস্ট ফর ডেঙ্গু’ কর্মসূচি শুরু করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ শনিবার (৮ আগস্ট) থেকে শুরু হয়ে এ কর্মসূচি আগস্ট মাস জুড়ে চলবে। কারও ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে তিনি যেন সহজে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে পারেন, সে জন্য এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএনসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে,…
View On WordPress
0 notes
Text
জ্বর কমানোর উপায় : জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া উপায়: Fever Home Remedies in Bengali
New Post has been published on http://healingawerness.com/getting-healthy/getting-healthy-women/%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0/
জ্বর কমানোর উপায় : জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া উপায়: Fever Home Remedies in Bengali
StyleCraze Hyderabd040-395603080 August 2, 2019
জ্বর জ্বর আর জ্বর। হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে ডাক্তারখানা, ওষুধের দোকান সব জায়গাতেই জ্বরের রোগীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। কারোর তাপমাত্রা বেশি, কারও তাপমাত্রা কম। এমনকি হাসপাতালগুলিতেও অধিকাংশ জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়েই রোগীদের ভুগতে দেখা যাচ্ছে। এটিকে মূলতঃ ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাল জ্বর হিসেবে মনে করা হচ্ছে কারণ ভাইরাস জনিত কারণেই এটি হচ্ছে। আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে, শরীরে তাপমাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে অথবা ১০০ হলে জ্বরকে রোগ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তবে জ্বরকে যেকোনো রোগের সূচনা বলে মনে করা হয়। তাই শুরুতেই তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা উচিত। মানব শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রী ফারেনহাইট। এই তাপমাত্রা যখন ১০০ ডিগ্রী পার হয় তখন তাকে জ্বর বলা হয়। এমনকি ১০৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার করলে সে ক্ষেত্রে জ্বরকে খুব সতর্কভাবে দেখতে লাগে এবং সাথে সাথে ডাক্তার বা হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে হয়। কেননা এটি স্বাভাবিক নয়। তবে সামান্য জ্বরেই যে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হবে এমন কোনো ব্যাপার নেই। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেও এই ভাইরাস জ্বরকে আয়ত্তে আনা যায়। ��ূলতঃ ভাইরাসের কারণে জ্বর হলে সে ক্ষেত্রে ওষুধ না খেলেও চলে। কেননা এর মেয়াদ পাঁচ থেকে সাত দিন। ৫-৭ দিন পর এটি এমনিই কমে যাবে। তবে জ্বরে যদি কাবু হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়গুলির মাধ্যমে যদি তা কাজ না করে সে ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাবেন না। এটি আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে জ্বর কমানোর উপায় হিসেবে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।
Table Of Contents
জ্বরের কারণ : Causes of Fever in Bengali
জ্বর যেহেতু কোনো না কোনো রোগ বা শারীরিক সমস্যার উপসর্গ তাই জ্বরের নানারকম কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক জ্বরের কারণগুলি কি কি:
১) আবহাওয়ার পরিবর্তন
ভাইরাস জ্বর বর্তমানে একটি প্রচলিত স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকেই নাজেহাল করে ছাড়ে। হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে জ্বর দেখা যেতে পারে। এই সময় জ্বর সাধারণত কাঁপুনি ও শীত শীত অনুভূতির মাধ্যমে আসে। এই সময় শরীরের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। নির্দিষ্ট সময়ের পর ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যায়। এই সময়টিতে শরীর তার বাড়তি তাপমাত্রা হারায়।
২) মশার কামড়
মশার কামড় থেকে নানারকমের মারাত্মক অসুখ যেমন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, ইত্যাদি হতে পারে। এই ধরণের অসুখগুলির প্রথম লক্ষণ হল জ্বর। অর্থাৎ কোনো কারণে যদি কাঁপুনি, গা-হাত-পা ব্যাথা, বমিভাব ও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে দেখেন ও ৪ দিনের ওপরে এই তাপমাত্রা নামতে না দেখা যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ রক্ত পরীক্ষা করে দেখুন।
৩) সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা লাগা
বর্ষাকালে কোনোভাবে বৃষ্টি ভিজলে বা শীতকালের কনকনে শীতের জন্যে অথবা অত্যন্ত গরমের ঘাম থেকে সর্দি, কাশি বা গলা ব্যাথা দেখা দেয়। এর থেকে শুরু হয় জ্বর।
৪) পেটের সমস্যা
পেটের কোনোরকম সমস্যা যেমন বদহজম, পেটখারাত, গ্যাস বা অম্বল যখন অতিরিক্ত পরিমানে বেড়ে যায়, তখন স্বাভাবিক ভাবেই তা শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি করে। এর থেকে জ্বরের সূত্রপাত হয়। এই ক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে তাপমাত্রা না কমলে এন্টি বায়োটিক খাওয়া প্রয়োজন।
হঠাৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে জ্বর হতে দেখা যায়।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে
অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটা মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় জ্বর অর্থাৎ যদি কোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয় তখন শরীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে রক্তে অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান তৈরি করে সেটিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে।
৬) অন্যান্য কারণ
দীর্ঘদিন ধর��� অ্যান্টিবায়োটিক খেতে থাকলেও জ্বর আসতে পারে।
যেকোনো ধ��নের অপারেশনের পর কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতন সমস্যার পরেও জ্বর দেখা যায়।
হঠাৎ গভীর কোনও মানসিক আঘাত পেলে কিংবা ভয় পেলে তার থেকেও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।
হঠাৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে গেলে জ্বরের উৎস হয়।
জ্বরের লক্ষণ : Symptoms of Fever in Bengali
জ্বর আসার আগে থেকেই শরীরটা জানান দিতে থাকে। কেননা তার আগে থেকেই খুসখুসে কাশি এবং শরীরে একটা ম্যাজমেজে ভাব দেখা যায়। এক নজরে জেনে নিন জ্বরের লক্ষণ গুলো :
১) তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি লক্ষ্য করা যায়। ২) হঠাৎ কাঁপুনি এবং শীত শীত ভাব অনুভূত হয়। ৩) সারা শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা এবং হাটু হাত কনুই এর মতন জয়েন্ট অংশ গুলিতে ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। ৪) মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। ৫) হঠাৎ করে অত্যধিক ঘাম হতে দেখা যায়। ৬) হৃদযন্ত্রের পারদ বৃদ্ধি পায়। ৭) শরীর গরম হয়ে ওঠে। ৮) চোখ মুখ লাল হয়ে যায়। ৯) চোখে জ্বালা ভাব লক্ষ্য করা যায়। ১০) শরীর দুর্বল হয়ে ওঠে। ১১) খাদ্যে অনীহা লক্ষ্য করা যায়। ১২) বাচ্চাদের মধ্যে একটা আনছান ভাব লক্ষ্য করা যায়। ১৩) এ ছাড়াও শিশুদের মধ্যে গলা ব্যথা, কাশি, কানে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়ার মতন সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় : Home Remedies for Fever in Bengali
জ্বর হলেই অনেকের স্বভাব থাকে হুটহাট নিজের সিদ্ধান্ত মত ওষুধ খেয়ে ফেলেন বা হঠাৎ করে ওষুধের দোকানে গিয়ে যে কোন এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলেন, যেটা একদমই উচিত নয়। কেননা একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত জ্বর শরীর প্রতিরোধ করতে পারে যা কিনা নিজে থেকেই কমে যায়। তাছাড়া যদি একান্তই বাইরে বেরোতে হয় কিংবা কাজের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হয় সে ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খেতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। তাছাড়া তাপমাত্রা যদি স্বল্প বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া উপায়গুলি অবলম্বন করতে পারেন যা খুব সহজভাবেই আপনার জ্বর কমাতে সাহায্য করবে। এক নজরে জেনে নিন জ্বর কমানোর ঘরোয়া কিছু উপাদান :
১) মাথায় জলপট্টি দেওয়া
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
পরিষ্কার রুমাল – একটি
বাটি – একটি
জল – পরিমাণ মতো
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
জ্বরের তাপমাত্রা যদি বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি হলো জলপট্টি দেওয়া।
একটি পরিষ্কার রুমাল কে ভাঁজ করে নিয়ে এক বাটি জলে সেটি ভিজিয়ে নিন।
এবার রুমালটিকে কপালে দিয়ে দুই মিনিট চেপে রাখুন।
তারপর দুমিনিট বাদে আবার জলে ডুবিয়ে রুমালের উল্টো দিকটা ভিজিয়ে নিন।
এভাবে কয়েকবার করতে থাকলেই দেখা যাবে মাথা দিয়ে যে তাপটা বের হচ্ছিল সেটা রুমাল শুষে নেবে এবং আস্তে আস্তে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর হলে শরীর তার অধিকাংশ তাপমাত্রা মাথা দিয়ে বের করে দিতে চা��়। তাই তাপমাত্রা যদি খুব বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে মাথা ধুয়ে দেওয়া উচিত। তবে সেটা যদি সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে মাথায় জলপট্টি দিতে থাকলে তাপমাত্রা নেমে আসতে সহায়তা করে। জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
২) জ্বরের প্রতিকারে তুলসীর ব্যবহার
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
তুলসী পাতা – ৮ থেকে ১০ টি
গরম জল – অর্ধেক বাটি
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
আট-দশটি তুলসী পাতাকে ভালো করে জলে ধুয়ে নিন।
এবার অর্ধেক বাটি জল নিয়ে তার মধ্যে তুলসী পাতা গুলো দিয়ে দিন এবং ভালো করে ফুটাতে থাকুন।
জলটা ফুঁটিয়ে এক কাপ করে নিন।
রোজ সকালে এক কাপ করে এটি খান।
তুলসী পাতা জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথার মতন বহু রোগের উপশম কারী উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম উপাদান হল তুলসী পাতা। তুলসী পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান গুলি ব্রংকাইটিস, ম্যালেরিয়া, জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথার মতন বহু রোগের উপশমে সহায়তা করে। এর মধ্যে থাকা উপাদান গুলি শরীরকে তাপমাত্রা কমাতে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
৩) জ্বর কমাতে মধুর ব্যবহার
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
মধু – ১ চামচ
পাতিলেবু – অর্ধেক
গরম জল – এক কাপ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
গরম জলের মধ্যে মধু এবং লেবু মিশিয়ে একটি ভাল মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার খান।
মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলি শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করবে যার ফলে ভাইরাস জনিত জ্বর কমতে সহায়তা করবে।
এর ফলে কি হবে?
ভাইরাস জনিত জ্বরের ক্ষেত্রে মধু এবং লেবুর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া উপশমকারী উপাদান হিসেবে পরিচিত। তাই জ্বরের প্রভাব যদি বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দুবার করে খেতে পারেন। এটি শরীরকে ভেতর থেকে গরম করবে এবং তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করবে। জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে মধু অন্যতম।
৪) আদা দিয়েই করুন জ্বরের ঘরোয়া সমাধান
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
আদা বাটা – আধ চা-চামচ
মধু – ১ চা চামচ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ গরম জলে আধ চা চামচ আদা বাটা ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
এবার এর মধ্যে মধু মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চার বার পান করুন।
এছাড়াও আধ চা-চামচ আদার রসের সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চার বার খেলে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকবে, জ্বর নিচের দিকে নামতে থাকবে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম আদার ব্যবহার। আদা এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টি ভাইরাস। যা দেহের তাপকে কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি দেহের ইমিউন সিস্টেমকে যেকোনো ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যার ফলে আদার সাহায্যে দ্রুত শরীরের তাপমাত্রাকে কমানো যায় এবং অতিরিক্ত জ্বর ঘরোয়া উপায়েই কম করা যায়।
৫) তিল তেল দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমান
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
তিল তেল – কয়েক ফোঁটা
গরম জল – এক কাপ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ উষ্ণ গরম জলে কয়েক ফোঁটা তিল তেল মিশিয়ে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি দিনে দু থেকে তিনবার পান করুন।
এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করবে।
এর ফলে কি হবে?
তিল তেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করে। জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এছাড়াও এটি বুকে কফ, সর্দি কাশি, গলা ব্যথার মত সমস্যাগুলির সমাধান করে।
৬) জ্বরের প্রতিকার করুন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার – দু চা-চামচ
মধু – ১ চা চামচ
জল – এক গ্লাস
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক গ্লাস জলে দু চা-চামচ আপেল সিডার ভিন��গার এবং ১ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন।
মিশ্রণটি দিনে একবার পান করুন।
এতে জ্বর কমবে।
এছাড়াও জ্বরের সময় স্নানের জলের মধ্যে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে সেই জল সারা শরীরে ঢালুন।
দেখবেন কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিটের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রা কমে যাবে।
এছাড়াও এক টুকরো পরিষ্কার কাপড় তিন ভাঁজ করে নিন।
তার মধ্যে একভাগে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে বাকি দুই ভাগে জল দিয়ে ভিজিয়ে কপালে এবং পেটে জল পট্টি দিলে খুব তাড়াতাড়ি জ্বর কমতে সাহায্য করে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। ঘরোয়া উপাদান হলেও জ্বরের প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে খুব কার্যকরী। এর মধ্যে থাকা অ্যাসিড ত্বকের ভিতর থেকে তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে উপস্থিত উপাদান গুলি শরীরে জ্বর কমাতে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
৭) রসুন দিয়ে কমান ভাইরাল জ্বর
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
রসুন – এক কোয়া
গরম জল – এক কাপ
অলিভ অয়েল – ২ টেবিল চামচ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ গরম জলে এক কোয়া রসুন কুচি কুচি করে কেটে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
এরপর রসুনের কুচি গুলোকে ছেঁকে তুলে নিয়ে রসুন ভেজানো জল টি চায়ের মত করে খেয়ে নিন।
দিনে দুবার এই জলটি খান।
এছাড়াও দু’কোয়া রসুন ছেচে নিয়ে তার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণটি দুই পায়ের তালুতে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
এবার পাতলা কোনও কাপড় দিয়ে সারারাত পা দুটো পেঁচিয়ে রাখুন।
পরদিন সকালে উঠে দেখবেন জ্বর সম্পূর্ণ সেরে গেছে।
তবে এটি গর্ভবতী কিংবা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
এর ফলে কি হবে?
ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো রসুন। রসুন এমনিতে শরীর গরম করে তোলে, কিন্তু জ্বর হলে সেই রসুনই জ্বর কমানোর উপাদান হিসেবে কাজ করে। রসুনের মধ্যে থাকা উপাদানগুলি শরীরকে ভেতর থেকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে, যার ফলে শরীরে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং ঘাম এর মধ্য দিয়ে জ্বর কমে যায়। এছাড়াও এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলিকে দূর করতে সাহায্য করে। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলি দেহের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এর সাথে যুদ্ধ করে শরীরকে সুস্থ করে তোলে।
৮) পুদিনা পাতা দিয়ে ঘরে বসে জ্বর সারান
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
পুদিনা পাতা বাটা – ১ টেবিল চামচ
মধু – ১ টেবিল চামচ
গরম জল – এক কাপ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ গরম জলের সাথে এক টেবিল চামচ পুদিনাপাতা বাটা ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ১০ মিনিট মিশ্রণটি রেখে দিন।
এরপর এই মিশ্রণটির মধ্যে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে দিন।
এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চার বার পান করুন। এক দিনের মধ্যে জ্বর কমে যাবে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম হলো পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতার মধ্যে জ্বরের প্রাকৃতিক চিকিৎসা করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে পুদিনা পাতার এই মিশ্রণটি খেলে শরীরের ভেতর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে এবং জ্বর ছেড়ে গিয়ে শরীর সুস্থ হয়ে ওঠে।
৯) হলুদ দিয়েই করুন জ্বরের ঘরোয়া সমাধান
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
হলুদ – এক টুকরো
পুদিনা পাতা – ৫-৬ টি
দারচিনি – এক টুকরো
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
প্রথমে হলুদটি ভালো করে বেটে নিন।
উষ্ণ গরম জলে হলুদ পুদিনা পাতা এবং দারচিনি দিয়ে জলটি ১৫ মিনিট ��ুঁটিয়ে নিন।
এবার ছাঁকনি দিয়ে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন।
চা এর মতন হয়ে গেলে দিনে দুবার মিশ্রণটি পান করুন।
এর ফলে কি হবে?
হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলি শরীর থেকে ভাইরাস জনিত জ্বর কমাতে সাহায্য করে। জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম উপাদান হল হলুদ। এছাড়াও পাতা ও দারুচিনি শরীরকে ভেতর থেকে শীতলতা দান করে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
১০) ভাইরাল জ্বর কমাতে গ্রিন টির ব্যবহার
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
গ্রিন টি ব্যাগ – একটি
উষ্ণ গরম জল – এক কাপ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ জল ভালো করে গরম করে নিন।
এবার এর মধ্যে গ্রিন টি ব্যাগটি ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিটের জন্য।
এরপর চা টি খেয়ে নিন।
এছাড়াও এই গ্রিনটি তে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
এতেও শরীরে ভেতর থেকে তাপটা বের হতে সাহায্য করবে। এছাড়াও জ্বর কমাতে সহায়তা করবে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম উপাদান গ্রীন টি। গ্রীন টির মধ্যে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদানসমূহ। যেগুলি শরীরকে ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন কোষ গুলিতে শক্তি সঞ্চয় করে। যেকোনো ধরনের ভাইরাল ফিভার কিংবা ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সে ক্ষেত্রে গ্রিন টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই হঠাৎ করে যদি শরীর দুর্বল কিংবা জ্বর জ্বর ভাব মনে হয় প্রথমেই এক কাপ গ্রিন টি খেয়ে নিন। এতে জ্বর বেড়ে যাওয়ার আগে শরীর তার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারবে।
১১) যষ্টিমধু দিয়ে করুন জ্বরের ঘরোয়া সমাধান
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
যষ্টিমধু – এক টুকরো
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক টুকরো যষ্টিমধু নিয়ে সেটা ভালো করে গা থেকে ছাল গুলো ছাড়িয়ে নিন।
এবার সেই টুকরোটি মুখে নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খান।
এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে এবং জ্বর খুব দ্রুত কমাবে।
এর ফলে কি হবে?
যষ্টিমধুর মধ্যে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং একটি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান সমূহ। এটি শরীরের যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ কে কমাতে সহায়তা করে। মূলত কোন রকম অস্ত্রোপচারের পরে বা কোন রোগ ভোগের পরে যদি জ্বর আসে সে ক্ষেত্রে জ্বর কমানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হলো যষ্টিমধু। এর মধ্যে থাকা পেপাইডাইড নামক উপাদান ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে শরীরে প্রোটিন তৈরি করতে সহায়তা করে। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে প্রতিরক্ষা প্রদান করে। এছাড়াও এটি যে কোন ধরনের শারীরিক ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে। জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
১২) জ্বর কমাতে দারচিনির ভূমিকা
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
দারচিনির গুঁড়ো – ১ চামচ
মধু – ১ টেবিল চামচ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
দারচিনির গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি দিনে দুই থেকে তিনবার খান।
এটি জ্বর এর পাশাপাশি ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা এবং সর্দি কাশি কমাতে সহায়তা করবে।
এর ফলে কি হবে?
দারচিনির মধ্যে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান সমূহ রয়েছে।জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে দারচিনি অন্যতম। এর মধ্যে থাকা উপাদান শরীরে ভাইরাস জনিত সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি গলা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি কাশি, কফের সমস্যা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো দারচিনি। এটি ব্যবহারে খুব শীঘ্রই শরীর সুস্থ হয়ে উঠবে।
জ্বর সারানোর আরো কিছু উপায় : Other Tips For Fever in Bengali
বর্তমান সময়ে ভাইরাস জ্বর শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই নাজেহাল করে চলেছে। অধিকাংশ ভাইরাস জ্বরই নিজে থেকেই সেরে যায়। এর মেয়াদ পাঁচ থেকে সাত দিন। এক্ষেত্রে বিশেষ ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যে আমরা এই অল্প জ্বর নিয়ন্ত্রন করতে পারি। ইতিমধ্যেই ঘরোয়া উপাদান গুলি সম্পর্কে আমরা আলোচনা করে নিয়েছি। তবে অবস্থা যদি খুব খারাপ হয় সে ক্ষেত্রে তো ওষুধ খেতেই হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কিছু বিষয় রয়েছে যে গুলো মেনে চললে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করার পাশাপাশি শরীরকে খুব দ্রুত সুস্থ করে তোলা যাবে। আসুন জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর সারানোর আরো কিছু উপায় :
১) শরীর আর্দ্র রাখুন
জ্বর হলে অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীর থেকে জল কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই শরীরকে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন। যদি কোন প্রকার শক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে দিনের অধিকাংশ সময় তরল জাতীয় খাবার খান এবং এর সাথে সাথে জল খাওয়ার পরিমাণটা বাড়িয়ে নিন। কেননা শরীর যদি শুষ্ক হয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রে শরীরের সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে জ্বর হওয়া অবস্থায় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল খাবেন এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা শরীর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না পায় সে ক্ষেত্রে ভাইরাল ইনফেকশনের বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা থাকে। কেননা শরীর তখন ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে পারে না, ফলে শরীর আরো দুর্বল হয়ে ওঠে।
২) নিজে সুরক্ষিত থাকুন
ভাইরাস জ্বর হলে প্রথমেই দেখা যায় রোগী প্রচন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে অন্যান্য রোগের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এই সময় যতটা সম্ভব ঘরে থাকার চেষ্টা করুন। এমন কোনও কাজ করবেন না যাতে আরো গভীরভাবে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিজের সুরক্ষা নিজে বজায় রাখুন এবং নিজেকে সুস্থ করার জন্য চেষ্টা করুন। জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
৩) বিশ্রাম নিন
ভাইরাস জনিত জ্বর হলে বৃদ্ধ থেকে শিশু সকলেরই বিশ্রাম নেওয়া আবশ্যক। কেননা শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে এই সময় আরো দুর্বল হয়ে উঠবে। ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমনের ফলে শরীর এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে ওঠে, যার ফলে যদি যথাযথ বিশ্রাম না নেওয়া হয় শরীর সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কার্যক্রমে পুনরায় ফিরে আসতে সময় নেবে। তাছাড়াও আপনার থেকে জ্বর অপর জনের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যেতে পারে। তাই যথাসম্ভব নিজের ঘরে বিছানায় বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীরও খুব শীঘ্রই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে জ্বর কমাতে সহায়তা করবে।
৪) স্বাস্থ্যকর খাবার খান
জ্বর হলে বা কোনরকম সংক্রমণ জনিত রোগ হলে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাইরের খাবার, প্যাকেটজাত পানীয় থেকে দূরে থাকাই এই সময় ভালো। কেননা ঘরের পুষ্টিকর খাদ্য আপনার শরীরকে ভেতর থেকে পুষ্টি প্রদান করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সৃষ্টি করবে। এছাড়াও এই সময় খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এই ভিটামিনগুলো শরীরকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে এবং এর পাশাপাশি রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলুন
জ্বরের সময় এমন খাবার খান যাতে ভিতর থেকে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি প���বে। খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন জাতীয় খাদ্য রাখার চেষ্টা করুন। যদি সরাসরি খাবার খেতে না প���রেন সেক্ষেত্রে তরল জাতীয় খাদ্য খেয়ে শরীর কে শক্তি সঞ্চয় করুন। যাতে শরীর ভেতর থেকে দুর্বল না হয়ে পড়ে।
৬) ভেষজ চা খান
জ্বরের সময় পানীয় হিসেবে ভেষজ চা খেতে পারেন। এটি আপনি ঘরে নিজের ইচ্ছামত উপকরন দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন, নিজের পছন্দ অনুযায়ী। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন যদি আপনি প্রসূতি হন কিংবা শিশুদের যদি জ্বর হয় সে ক্ষেত্রে ভেষজ চা খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। কেননা সব সময় ভেষজ চা সকলের ক্ষেত্রে সমান কার্যকরী নাও হতে পারে।
৭) স্নান করুন
জ্বর হয়েছে বলে স্নান করবো না এই ধারণাটা আমাদের অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু এটা সর্বোপরি ভুল ধারণা। কেননা শরীরের তাপমাত্রা যখন বৃদ্ধি পায়, সে ক্ষেত্রে আমরা যদি পনেরো-কুড়ি মিনিট ধরে উষ্ণ গরম জলে স্নান করি সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কমতে সহায়তা করে। যদি অবস্থা খুব খারাপ থাকে যে রোগী বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে যেতে পারবেনা, সে ক্ষেত্রে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে গা পন্জ করে দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে শরীর তার ওপর থেকে তাপমাত্রা কমতে সহায়তা করে এবং জ্বরের মাত্রা হ্রাস পায়। যে কারণে জ্বরের সময় অবশ্যই স্নান করবেন। স্নান না করে থাকলে পরে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে।
৮) তরল ও গরম খাবার খান
জ্বর হলে অনেকেই খেতে চান না কিংবা খাওয়া বন্ধ করে দেন কিন্তু এই ধারণাটা আমাদের সকলেরই ভুল। কেননা এই সময় শরীরের আরও অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। তাই যদি শক্ত জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা না করে সে ক্ষেত্রে তরল জাতীয় খাবার খেতে পারেন। যেকোনো ধরনের সুপ তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। তবে খাবারটি যেন অবশ্যই গরম হয়, সেইদিকে মাথায় রাখবেন। কেননা গরম স্যুপ খেলে আমাদের গলা যেরকম আরাম পাবে। সর্দি কাশির সমস্যা হলে সে ক্ষেত্রে যেমন আরাম পাওয়া যাবে, তা ছাড়া শরীর ভেতর থেকে তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করবে।
৯) শুয়ে থাকবেন না
জ্বর হয়েছে বলে সারাদিন চাদর গায়ে চাপা দিয়ে শুয়ে রইলাম এই টি কখনোই করবেন না। কেননা যত শুয়ে থাকবেন তাপমাত্রা তত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই ঘরে অল্প পরিসরের মধ্যে হাঁটাচলা করার চেষ্টা করুন। তা না হলে বেশি শুয়ে থাকলে মাথা ভার হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে নিজেকে আরও দুর্বল বলে মনে হবে। তাই যদি সম্ভব হয় উঠে অল্পবিস্তর হাঁটাচলা করুন এবং আবার এসে খাটে বসে পড়ুন।
১০) রোদে বেরোবেন না
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে অর্থাৎ জলের পরিমাণ যদি একটু বেশি থাকে সে ক্ষেত্রে রোদে না বেরোনো ভালো। কেননা শরীর এমনিতেই গরম। তার মধ্যে যদি বাইরের উত্তাপ শরীরে লাগে সেটি শরীরের ক্ষতি করে এবং ব্যাকটেরিয়া গুলিকে উদ্দীপিত করে তোলে। তাই যথাসম্ভব জ্বর হলে ঘরে থাকার চেষ্টা করুন।
১১) ফ্রিজের খাবার খাবেন না
জ্বর থাকাকালিন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্দি কাশি, বুকে কফ, গলা ব্যথা, নাক বন্ধের সমস্যা লেগেই থাকে। তাই এই সময় ফ্রিজ থেকে বের করে সরাসরি কোন খাবার খাবেন না। চেষ্টা করবেন ফ্রিজে থেকে বের করে গরম করা খাবার না খেতে। কেননা ফ্রিজে যখন আমরা খাবারটি রাখি তখন তার মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়, যেটি জ্বর অবস্থায় খেলে শরীরের ক্ষতি করে। কেননা শরীর এই সময় দুর্বল থাকে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই এক্ষেত্রে অন্য ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমনের সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই জ্বর হলে পরে কিংবা জ্বর কমে যাওয়ার ৪-৫ দিনের মধ্যে ফ্রিজের খাবার না খাওয়াই ভালো।
১২) ধূমপান বন্ধ
জ্বর হলে পরে এই সময় ধূমপান না করাই ভালো। এর পাশাপাশি মদ্যপানও না করাই উচিত। কেননা ধূমপান এবং মদ্যপান শরীরকে আরো উত্তেজিত করে তোলে। জ্বর থাকাকালীন অবস্থায় এগুলি তাই একেবারেই ঠিক নয়। তাই জ্বর হলে ধূমপান এবং মদ্যপানকে কঠোরভাবে বন্ধ করা উচিত।
হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে এখন ঘরে ঘরে ভাইরাল ফিভারের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ করে গা হালকা গরম ভাব, চোখে জ্বালা করে জ্বরটা আসছে। তাই এটির অবহেলা না করে শুরু থেকেই যদি উপরিউক্ত ঘরোয়া বিষয় গুলি মেনে চলতে পারেন তাহলে সহজেই জ্বরের প্রতিকার করা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি ঘরোয়া উপাদান গুলির পাশাপাশি যদি আমরা এই ছোটখাটো বিষয় গুলি মাথায় রাখি সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীর হয়তো খারাপ হবে না কিংবা শরীরের সংক্রমণ থেকেও আমরা দূরে থাকতে পারব। তাই আর অপেক্ষা কিসের যদি নিজেকে কোনরকম অসুস্থ বলে মনে হয় কিংবা জ্বর আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে হয় সেক্ষেত্রে আজ থেকেই তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করুন এবং ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার চেষ্টা করুন। দেখবেন তাহলে খুব বেশি বাড়াবাড়ি হবে না এবং অল্পতেই এর থেকে আপনি নিস্তার পাবেন। এবং নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই এই জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। তাই নিজের খেয়াল রাখার পাশাপাশি নিজের ঘরের আপন লোকজনদেরও খেয়াল রাখুন। নিজে সুস্থ থাকুন, সকলকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন।
আমাদের পোস্ট আশা করি আপনার জন্যে খুব উপকারী হবে। আপনার কি জানা আছে আরো কোনো জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়? জানান আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে।
The following two tabs change content below.
Latest posts by StyleCraze (see all)
জ্বর কমানোর উপায় : জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া উপায়: Fever Home Remedies in Bengali – August 2, 2019
ஆலிவ் எண்ணெயின் நன்மைகள், பயன்கள், பக்க விளைவுகள் – Olive Oil Benefits, Uses and Side Effects in Tamil – August 2, 2019
রসুনের উপকারিতা, ব্যবহার এবং অপকারিতা – Garlic (Lahsun) Benefits and Side Effects in Bengali – August 2, 2019
মেথির উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Fenugreek Seeds (Methi) Benefits, Uses and Side Effects in Bengal – August 1, 2019
আলুর ২৫ টি উপকারিতা এবং অপকারিতা – Potato Benefits in Bengali – August 1, 2019
StyleCraze
Source: https://www.stylecraze.com/bengali/jor-komanor-ghoroa-upay-in-bengali/
0 notes
Photo
“পিছু ছাড়ছে না ডেঙ্গু” এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যু আতঙ্ক যেন নগরবাসীর পিছু ছাড়ছে না। গত সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু সংখ্যা। অক্টোবর মাসে মোট ২ হাজার ৩৭৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। অর্থাৎ গত মাসে গড়ে প্রতিদিন ৭৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়। সেপ্টেম্বর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮৭ জন। মৃত্যুবরণ করেন চারজন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আক্রান্ত ও মৃতের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীতে স্বাস্থ্য অধিদফরের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত শতশত বেসরকারি হাসপাতাল থাকলেও অধিদফতর হাতেগোনা ডজন দুয়েক হাসপাতাল থেকে নিয়মিত তথ্য পাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, অধিদফতর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়মিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের তথ্য পাঠাতে চিঠি দেয়া হলেও অনেক হাসপাতাল চিঠির উত্তর দেয়নি। পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে গত তিন মাস যাবত বেশ কিছুসংখ্যক নারী, পুরুষ ও শিশু ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুসহ একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আক্রান্ত কিংবা মৃতের সংখ্যার তথ্য পায়নি অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৬৩৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ তালিকায় শিশু, গৃহবধু, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও চিকিৎসক রয়েছেন। মাসওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা জানুয়ারিতে ২৬ জন, ফেব্রুয়ারি ৭ জন, মার্চ ৯ জন, এপ্রিল ২৯ জন, মে ৫২ জন, জুন ২৯৫ জন, জুলাই ৯৪৬ জন, আগস্ট ১ হাজার ৭৯৬ জন, সেপ্টেম্বর ৩ হাজার ৮৭ জন ও সর্বশেষ অক্টোবরে ২ হাজার ৩৭৬। তাদের মধ্যে জুন মাসে ৩ জন, জুলাইয়ে ৪ জন, আগস্টে ৬ জন, সেপ্টেম্বরে ৪ জন ও অক্টোবরে ৫ জন মারা যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহসহ একাধিক চিকিৎসক আলাপকালে জানান, বিগত বছরের ���ুলনায় এবার ডেঙ্গুর ধরন বদলেছে। আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে রোগীর প্রচণ্ড জ্বর, মাথা ও শরীর ব্যথা হতো। এখন শরীরে জ্বর জ্বর ভাব, সামান্য জ্বরের সঙ্গে হালকা ব্যথা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। হালকা জ্বর দেখে অনেকে মনে করেন এটি সাধারণ জ্বর, তেমন একটা পাত্তা দেন না- অথচ ততদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। একপর্যায়ে রোগীর প্লাটিলেট কমে কমায় চলে যাচ্ছে। কিছু বুঝে উঠার আগে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, এ বছর ডেঙ্গু রোগীর উপসর্গ দেখে বোঝা যায়, ডেঙ্গুর ধরন বদলেছে। একই ব্যক্তি চারবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে হেমোরেজিক ডেঙ্গুতে আক্রান্তই সর্বাধিক। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে হেমোরেজিকের সংখ্যা বেশি। এটাতে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, সামান্য জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কোনো ধরনের এ্যাসপিরিন ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না। প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার না করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
0 notes
Text
ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ
ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ব্যাধি। এই রোগের বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে যা দেখে এই রোগের প্রভাব সম্পর্কে জানা যায়। নিম্নে তা প্রদান করা হলঃ
হঠাৎ ১০৪-১০৫ ডিগ্রি জ্বর সাথে মাথা ব্যথা।
চোখে বা চোখের পিছনে ব্যথা বা আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হওয়া।
মাংসপেশী ও হাড়ের সংযোগস্থলে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া।
শরীরের চামড়ায় লালচে ছোপ বা র্যাশ ওঠা।
বমিভাব, বমি হওয়া ও খাওয়ার অরুচি হওয়া।
ব্রাশ করতে গিয়ে মুখ ও দাঁতের গোড়া এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়া।
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়া।
চার-পাঁচদিনের মধ্যে জ্বর সেরে যাওয়া।
প্ল্যাটিলেট কমে যাওয়া।
তবে এইবারের ডেঙ্গু জ্বরের চিত্রটা অনেকটাই ভিন্ন। দেখা যাচ্ছে, জ্বরের তাপমাত্রা খুব বাড়ছে না, শরীরের ব্যথাও তেমন হচ্ছে না। সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা। অথচ এক দুইদিন পর শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পাল্স পাওয়া যায় না, ব্লাড প্রেসার কমে যায়, প্রভাব হয় না, কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি রোগী অজ্ঞানও হয়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলি সাধারণত তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে দেখা দেয় এবং প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে শিথিল হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর মৃদু বা গুরুতর ফর্ম দেখা যেতে পারে, যা জীবনঘাতীও হতে পারে।
See More: ডেঙ্গু থেকে বাচার উপায় জানুন
বাংলাদেশের অন্যতম আকুপাংচার ও পেইন এন্ড প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম ঔষধ বিহীন চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। বিভিন্ন রকমের ব্যথার চিকিৎসায় ব্যপক সফলতা অর্জন করেছে। তিনি বাংলাদেশের সেরা ব্যথার ডাক্তার (Best Pain Doctor) হিসেবেও পরিচিত। দেশ সহ বিদেশেও ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন Dr. Shahidul Islam। বর্তমানে তিনি শান্তিনগর শশী হাসপাতালে চীফ ভিজিটিং কনসাল্টেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
0 notes
Video
youtube
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরো কিছু সমস্যা দেখা যায় যেমন- শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, মেয়েদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব বা রক্তক্ষরণ, বুকে বা পেটে পানি আসা ইত্যাদি। আবার, লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস, কিডনিতে আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের সবচেয়ে ভয়াভহ রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের সঙ্গে সার্কুলেটরি ফেইলিউর যোগ হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর (১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত) এবং সেই সঙ্গে শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়াও মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ৪ থেকে ৫ দিনের মাথায় সারা শরীরে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে স্কিনর্যাশ বলে। এটা অনেকটা অ্যালার্জি বা ঘামাচির মতো। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব এমনকি বমিও হতে পারে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে এবং খাবারে রুচি কমে যায়। এই অবস্থাটা অত্যন্ত জটিল হতে পারে, যেমন- অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পরা শুরু হতে পারে, যেমন- মাড়ি ও দাঁত থেকে, কফের সঙ্গে, রক্ত বমি, চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে ও চোখের বাইরে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? যেহেতু ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই এবং এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়, তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। তবে কিছু কিছু জতিলতার ক্ষেত্রে যেমন- শ্বাসকষ্ট হলে, পেট ফুলে পানি এলে, শরীরের কোনো অংশে রক্তপাত হলে, প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে, অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর���বলতা দেখা দিলে, প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, জন্ডিস দেখা দিলে ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা দেয়া উচিত।
কী কী পরীক্ষা করা উচিত? অধি��াংশ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন, এতে অযথা অর্থের অপচয় হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে। জ্বরের ৪ থেকে ৫দিন পর সিবিসি এবং প্লাটিলেট টেস্ট করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সাধারণ জ্বরের মতোই। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। এমনকি কোনো চিকিৎসা না করালেও। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি না হয়। নিম্নে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় করনীয় কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলঃ
জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে, দিনে সর্বোচ্চ ৪বার। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। জ্বর কমানোর জন্য বারবার শরীর মুছে দিতে হবে। জ্বরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার, যেমন— ওরাল স্যালাইন, ফলের জুস, শরবত ইত্যাদি পান করতে হবে। বমির কারণে যদি কোন রোগী পানি পান করতে না পারেন সেক্ষেত্রে, শিরাপথে স্যালাইন দিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করনীয় ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের জন্য এডিস মশার বিস্তার রোধ করা এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানিতে এরা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত অথবা ড্রেনের পানিতে এরা ডিম পারে না। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানসমূহকে পরিষ্কার করতে হবে এবং পাশাপাশি মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাড়ির আশপাশের জলাশয়, ঝোপঝাড়, জঙ্গল ইত্যাদি থাকলে তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘরের বাথরুমে বা অন্য কোথাও জমানো পানি যেন ৫ দিনের বেশি না থাকে। আবার ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার বা অ্যাকুয়ারিয়ামের নিচেও যেন পানি জমে না থাকে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন স্থানে ডিম পাড়ে, যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে। তাই ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর : ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয়?
ডেঙ্গু অথবা ভাইরাল জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক দরকার নেই বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। কখনো মুষলধারে বৃষ্টি আবার কখনো উজ্জল রোদ কিংবা ভ্যাপসা গরম এরকম অস্বস্তিকর পরিবেশে মূলত আবহাওয়ার তারতম্য এবং বাতাসে আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল জ্বর হয়ে থাকে। আবার থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে পানি জমে ডেঙ্গু মশার প্রজনন বিস্তারের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার লাভ সহজ হয়।
0 notes
Video
youtube
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরো কিছু সমস্যা দেখা যায় যেমন- শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, মেয়েদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব বা রক্তক্ষরণ, বুকে বা পেটে পানি আসা ইত্যাদি। আবার, লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস, কিডনিতে আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের সবচেয়ে ভয়াভহ রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের সঙ্গে সার্কুলেটরি ফেইলিউর যোগ হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর (১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত) এবং সেই সঙ্গে শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়াও মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ৪ থেকে ৫ দিনের মাথায় সারা শরীরে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে স্কিনর্যাশ বলে। এটা অনেকটা অ্যালার্জি বা ঘামাচির মতো। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব এমনকি বমিও হতে পারে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে এবং খাবারে রুচি কমে যায়। এই অবস্থাটা অত্যন্ত জটিল হতে পারে, যেমন- অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পরা শুরু হতে পারে, যেমন- মাড়ি ও দাঁত থেকে, কফের সঙ্গে, রক্ত বমি, চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে ও চোখের বাইরে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? যেহেতু ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই এবং এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়, তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। তবে কিছু কিছু জতিলতার ক্ষেত্রে যেমন- শ্বাসকষ্ট হলে, পেট ফুলে পানি এলে, শরীরের কোনো অংশে রক্তপাত হলে, প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে, অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে, প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, জন্ডিস দেখা দিলে ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা দেয়া উচিত।
কী কী পরীক্ষা করা উচিত? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন, এতে অযথা অর্থের অপচয় হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে। জ্বরের ৪ থেকে ৫দিন পর সিবিসি এবং প্লাটিলেট টেস্ট করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সাধারণ জ্বরের মতোই। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। এমনকি কোনো চিকিৎসা না করালেও। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি না হয়। নিম্নে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় করনীয় কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলঃ
জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে, দিনে সর্বোচ্চ ৪বার। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। জ্বর কমানোর জন্য বারবার শরীর মুছে দিতে হবে। জ্বরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার, যেমন— ওরাল স্যালাইন, ফলের জুস, শরবত ইত্যাদি পান করতে হবে। বমির কারণে যদি কোন রোগী পানি পান করতে না পারেন সেক্ষেত্রে, শিরাপথে স্যালাইন দিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করনীয় ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের জন্য এডিস মশার বিস্তার রোধ করা এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানিতে এরা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত অথবা ড্রেনের পানিতে এরা ডিম পারে না। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানসমূহকে পরিষ্কার করতে হবে এবং পাশাপাশি মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাড়ির আশপাশের জলাশয়, ঝোপঝাড়, জঙ্গল ইত্যাদি থাকলে তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘরের বাথরুমে বা অন্য কোথাও জমানো পানি যেন ৫ দিনের বেশি না থাকে। আবার ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার বা অ্যাকুয়ারিয়ামের নিচেও যেন পানি জমে না থাকে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন স্থানে ডিম পাড়ে, যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে। তাই ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর : ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয়?
ডেঙ্গু অথবা ভাইরাল জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক দরকার নেই বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। কখনো মুষলধারে বৃষ্টি আবার কখনো উজ্জল রোদ কিংবা ভ্যাপসা গরম এরকম অস্বস্তিকর পরিবেশে মূলত আবহাওয়ার তারতম্য এবং বাতাসে আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল জ্বর হয়ে থাকে। আবার থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে পানি জমে ডেঙ্গু মশার প্রজনন বিস্তারের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার লাভ সহজ হয়।
0 notes
Photo
জ্বর চিনবেন কীভাবে? যেন জ্বরের মৌসুম। আশপাশে পরিচিত কারও না কারও জ্বর লেগেই আছে। কারও সাধারণ ফ্লু, কারও ডেঙ্গু, কারও আবার চিকুনগুনিয়া। জ্বর শরীরের যেকোনো সংক্রমণ বা প্রদাহের বিপরীতে প্রথম প্রতিরোধব্যবস্থা। তবে অতিরিক্ত জ্বর শরীরকে দুর্বল করে ফেলে। জ্বরের কারণ অনেক। তবে সাধারণ ভাইরাস জ্বরই বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে ঋতু বা আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে। আবার কিছু কিছু কারণ আছে, যার কারণে যেকোনো সময় জ্বর হতে পারে। যেমন কিছু জটিল রোগে র্যাশসহ জ্বর হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার, মস্তিষ্কের প্রদাহ, টাইফয়েড, রক্তনালির প্রদাহ, একজিমা, সেলুলাইটিস, এসএলই, আইটিপি ইত্যাদি। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, এই সময়ে ভাইরাস জীবাণুর সংক্রমণ বেশি হয়, বিশেষ করে ডেঙ্গু বা ইদানীং চিকুনগুনিয়া বেশি হচ্ছে। ভাইরাস জ্বর সাধারণত ৭-১৪ দিন স্থায়ী হতে পারে। ওষুধ ও পুষ্টিকর খাবার খেলে এই সময়ের মধ্যে জ্বর ভালো হয়ে যায়। সাধারণ ভাইরাল জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা, অরুচি, হালকা সর্দি-কাশি ইত্যদি এসব জ্বরের প্রধান উপসর্গ। কিন্তু জ্বরের সঙ্গে ��দি শরীরে র্যাশ বা ত্বকে ছোট লাল দানা দেখা দেয়, তবে তা ভীতির কারণ হতে পারে। জ্বরের ধরন-ইতিহাস, অন্যান্য উপসর্গ-লক্ষণ বিশ্লেষণ, বিশেষ করে র্যাশের প্রকৃতি সঠিকভাবে চিহ্নিত করে রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। র্যাশ বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন রঙের হতে পারে। রোগ অনুযায়ী জ্বরের সঙ্গে র্যাশ দেখা দেওয়ার সময় এবং স্থানে ভিন্নতা থাকতে পারে। ডেঙ্গু, নাকি চিকুনগুনিয়া বর্ষা মৌসুমে আমাদের দেশে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটোই ভাইরাস জ্বর। এদের জীবাণুবাহী মশাও একই প্রজাতির, এডিস। রোগের লক্ষণ ও উপসর্গেও নানা মিল আছে। ইদানীং জ্বর, গায়ে ব্যথা, র্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দিলে অনেকেরই মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে এটা ডেঙ্গু, নাকি চিকুনগুনিয়া? পাশাপাশি থাকে তীব্র শরীর ব্যথা। তবে পার্থক্য হলো, ডেঙ্গুজ্বরে চোখ ও মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়, মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথাও হয়। তবে গির��� তেমন ফুলে না বা ব্যথাও কম থাকে। কিন্তু চিকুনগুনিয়ার বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে গিরায় ব্যথা। কেউ কেউ খুঁড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য হন। সাধারণ চিকুনগুনিয়ায় জ্বর, ত্বকে র্যাশ, সন্ধি বা হাড়ের জোড়ায় ব্যথা ও গায়ে ব্যথা করে। এর চেয়ে তীব্র হলে সন্ধি ফুলে যায়, গায়ে তীব্র ব্যথা, চোখে ব্যথা, রক্তচাপ ও প্রস্রাব হ্রাস প্রভৃতি সমস্যা হতে পারে। রোগটি সবচেয়ে জটিল রূপ নিলে উচ্চমাত্রার জ্বর, সন্ধি ব্যথা ও ফোলা, বমি এবং ডায়রিয়ায় রোগী অচেতনও হয়ে যেতে পারে। তবে চিকুনগুনিয়ায় ডেঙ্গুর চেয়ে মৃত্যুঝুঁকি কিছুটা কম। ডেঙ্গু সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে চিকুনগুনিয়ার রোগী ৭ থেকে ১০ দিনে সেরে উঠলেও ব্যথা কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এমনকি জ্বরটা সেরে গিয়ে আবারও হতে পারে। টাইফয়েড জ্বর দূষিত পানি ও খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে একধরনের ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে টাইফয়েড রোগটি ঘটায়। একমাত্র খাওয়ার পানি ও খাদ্যদ্রব্য ছাড়া এই জীবাণু অন্য কোনো মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পায় না। রোগ-জীবাণু দেহে প্রবেশের সাধারণত ১০ থেকে ১৪ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। জ্বরই হলো এ রোগের প্রধান লক্ষণ। প্রথম চার-পাঁচ দিন জ্বর বৃদ্ধি পেতে থাকে। জ্বর কখনো বাড়ে, কখনো কমে; তবে কোনো সময় সম্পূর্ণ ছেড়ে যায় না। জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। কারও কারও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও বমি হয়। দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর পেটে ও পিঠে গোলাপি রঙের দানা দেখা দিতে পারে। কারও কারও জ্বরের সঙ্গে কাশি হয়। বাতজ্বর সাধারণত গলায় ব্যথা হলে তা যদি যথাযথ ও সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এর সংক্রমণের ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে থেকে বাতজ্বর দেখা দিতে পারে। বাতজ্বরের উপসর্গগুলোর মধ্যে কিছু মুখ্য আর কিছু গৌণ উপসর্গ আছে। এসব উপসর্গ যাচাই-বাছাই করে রোগ নির্ণয় করা হয়। সাধারণত মনে করা হয় গিরায় গিরায় কিংবা হাড়ে হাড়ে ব্যথা হলে সেটা বাতজ্বরের লক্ষণ। তবে সবক্ষেত্রেই তা সঠিক নয়। বাতজ্বরের কিছু মুখ্য ও কিছু গৌণ লক্ষণ রয়েছে। দুটি কিংবা একটি মুখ্য লক্ষণের সঙ্গে দুটি গৌণ লক্ষণ নিশ্চিতভাবে মিলে গেলে বাতজ্বর নির্ণয় করা যায়। তার সঙ্গে বিটা হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত সংক্রমণের ইতিহাস বা প্রমাণও থাকতে হবে। হাম ও রুবেলায় জ্বর শিশু ছাড়াও যেকোনো বয়সে হাম হয়। কাশি, চোখের লালচে ভাব, সর্দি ইত্যাদি উপসর্গের পাশাপাশি জ্বর শুরুর তিন-চার দিন পর লালচে ছোপ বা লালচে ছোপ-দানাদার মিশ্র র্যাশ দেখা দেয়, যা মাথা ও গলা থেকে শুরু হয়ে শরীর-হাতে ছড়িয়ে পড়ে এবং চার থেকে ছয় দিন স্থায়ী হতে পারে। আর রুবেলার লক্ষণগুলো হামের মতোই। তবে তীব্রতা মৃদু এবং র্যাশ দু-তিন দিন স্থায়ী হয়। সাধারণত এতে লসিকা গ্রন্থিও ফুলে যায়। আরও কিছু জ্বরজারি ওষুধজনিত কারণে জ্বর বিভিন্ন ওষুধের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় জ্বরসহ দেহে দানা বা র্যাশ দেখা দিতে পারে। স্কারলেট জ্বর জ্বর, গলাব্যথা, বমি এবং স্ট্রেপটোকক্কাস জীবাণুজনিত গলার প্রদাহ পরবর্তী টক্সিন-সৃষ্ট একটি রোগ স্কারলেট জ্বর। এতে সারা দেহে উজ্জ্বল লালচে বর্ণের র্যাশ দেখা দেয়। সাধারণত জ্বর শুরুর দু-তিন দিন পর মুখে ও শরীরে দেখা দেয়। কম বয়সীরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস ভাইরাসজনিত এ রোগ লালা, হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। সব বয়সে দেখা দেয় এবং জ্বরের সঙ্গে বিভিন্ন আকারের লালচে-ছোপ সারা শরীরে পাওয়া যায়। জলবসন্ত জ্বর, গলাব্যথা, মাথা-শরীরব্যথা শুরুর দু-তিন দিন পর লালচে আভার ওপর ফুসকুড়ি দেখা যায়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে আসে। হারপেস জসটার বয়স্কদের বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ভেরিসেলা জসটার নামক ভাইরাস সুপ্তাবস্থা থেকে পুনরায় আক্রমণ করে। শুরুতে স্নায়ুর বিস্তৃতি বরাবর এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বুকে ও মুখের এক পাশে তীব্র জ্বালাপোড়া ও লালচে র্যাশ হয়, পরে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। বেশির ভাগ র্যাশ জ্বর সেরে যায় সঙ্গে সঙ্গে। এ জন্য আলাদা চিকিৎসার দরকার হয় না। তবে অতিরিক্ত চুলকানি থাকলে অ্যান্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যায়। এই সব দানা কখনোই নখ দিয়ে চুলকানো বা আঁচড়ানো উচিত নয়, এতে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ত্বক পরিচ্ছন্ন ও আর্দ্র রাখতে হবে। জ্বরে করণীয় জ্বর হলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ে। তাই বাড়তি ক্যালরির প্রয়োজন হয়। অনেকে জ্বর হলে কিছু খাবেন না বলে ঠিক করেন। এতে নিজেরই ক্ষতি। জ্বরে সাধারণত শরীরের তাপমাত্রাকে ১০০-এর নিচে নামিয়ে আনা, তাপমাত্রাকে কমানো, গা মোছা ছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা হয়। জ্বরের সময় বেশির ভাগ মানুষেরই রুচি কমে যায়। তাই এই সময় রোগীর খাবারের প্রতি অনীহা থাকলেও পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণে রোগীকে সঠিক খাবার-দাবার চালিয়ে যেতে হয়। ১. তরল: জ্বরের সময় যেই খাবারটির চাহিদা সবচেয়ে বৃদ্ধি পায়, সেটি হলো তরলজাতীয় খাবার। রোগীর বিপাকের হার বৃদ্ধি, শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিকে আনা, হজমে ব্যাঘাত না ঘটানো ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে তরল খাবার নির্ধারণ করা হয়। তরল হিসেবে ফলের রস, স্যুপ, লাল চা ইত্যাদি খেতে পারেন। বিশেষ করে ভিটামিন সি-যুক্ত ফল, যেমন কমলা, মাল্টা, লেবু, জাম্বুরা, আনারস ইত্যাদি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে। ২. নরম পথ্য: তরলের পাশাপাশি রোগীকে নরম বা অর্ধতরল খাবার দেওয়া গেলে ভালো। রোগীকে যেন বেশি চাবাতে না হয়, সহজে গেলা যায় এবং সহজে হজম হয়, সে জন্য নরম পথ্য নির্বাচন করতে হবে। যেহেতু তরল খাবারে ক্যালরি কম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কম পাওয়া যায়, তাই তরল খাবারের পাশাপাশি রোগীকে নরম খাবারও দিতে হবে। নরম পাতলা মুগ ডালের খিচুরি, জাউভাত, সুজি, সাগু, পুডিং, নরম কাঁটা ছাড়া মাছ ইত্যাদি খাবার রোগীকে দিতে পারলে ভালো। কী কী খাবার এড়িয়ে চলা ভালো ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত শক্ত খাবার ইত্যাদি। কড়া দুধ চা ও কফি, কোল্ড ড্রিংকস এসব খাবার শুধু হজমেই অসুবিধা করে না, জ্বরে দ্রুত আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে। তাই এ সময়টায় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে গেলেই ভালো হয়।
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/34212
চিকুনগুনিয়া'র লক্ষণ ও প্রতিকার
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ পঞ্চাশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য) বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করার স্থান হল রাজধানীর মহাখালিতে অবস্থিত রোগ তত্ত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর। এই গবেষণা কেন্দ্রে ‘সেলোরজি’ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস সনাক্ত করা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “ভাইরাসটি এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানো মশাটি সুস্থ কাউকে কামড়ালে তার শরীরেও চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ ঘটে।”
রোগের লক্ষণ সম্পর্কে এই চিকিৎসক বলেন, “চিকুনগুনিয়া জ্বরের লক্ষণগুলো অন্যান্য সকল ভাইরাল জ্বরের মতোই। হাড়ের জোড়ায় তীব্র ব্যথাই এই রোগের একমাত্র স্বতন্ত্র উপসর্গ। সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়া, বমিভাব, শ��রীরিক দুর্বলতা, সর্দি-কাশি, র্যাশ ইত্যাদি তো আছেই।”
“বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে জ্বর সেরে যায়। তবে হাড়ের জোড়ের ব্যথা নাছোড়বান্দায় রূপ নেয়। ব্যথার তীব্রতাও প্রচণ্ড। ফলে রোগীর স্বাভাবিক হাঁটাচলা, হাত দিয়ে কিছু ধরা এমনকি হাত মুঠ করতেও বেশ কষ্ট হয়। আর শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে।” বললেন ডা. কামরুল।
পরামর্শ
একটানা তিন দিন জ্বর ও হাড়ের জোড়ে প্রচণ্ড ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এই রোগের বিশেষ কোনো ওষুধ বা টিকা নেই। প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা পর কিংবা তিনবেলা প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে কোনো ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কোনো উপকার নেই। বরং অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যালাইন, লেবুর সরবত ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইআডিসিআর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, তাদের ওয়েবসাইটে চিকুগুনিয়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।
যা নিচে দেওয়া হল।
চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাস জনিত জ্বর যা আক্রান্ত মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। এ রোগ ডেঙ্গু, জিকা’র মতোই এডিস প্রজাতির মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। রোগটি প্রথম ১৯৫২ সালে আফ্রিকাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন- ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়াতে এর বিস্তার দেখা যায়।
বাংলাদেশে প্রথম ২০০৮ সালে রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জে প্রথম এ ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা যায়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে ঢাকার দোহার উপজেলায় এই রোগ দেখা যায়। তবে এর পরে বিচ্ছিন্ন দুএকটি রোগী ছাড়া এ রোগের বড় ধরনের কোনো বিস্তার আর বাংলাদেশে লক্ষ করা যায়নি।
বর্ষার পর পর যখন মশার উপদ্রব বেশি হয় তখন এ রোগের বিস্তার বেশি দেখা যায়।
চিকুনগুনিয়া ভাইরাস কী? চিকুনগুনিয়া ভাইরাস টোগা ভাইরাস গোত্রের ভাইরাস। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলে। ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাস ও একই মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং প্রায় একই রকম রোগের লক্ষণ দেখা যায়।
রোগের লক্ষণ সমূহ (১) হঠাৎ জ্বর আসা সঙ্গে প্রচণ্ড গিঁটে গিঁটে ব্যথা। অন্যান্য লক্ষণ সমুহের মধ্যে- (২) প্রচণ্ড মাথাব্যথা (৩) শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি (Chill) (৪) বমি বমি ভাব অথবা বমি (৫) চামড়ায় লালচে দানা (Skin Rash) (৬) মাংসপেশিতে ব্যথা (Muscle Pain)
সাধারণত রোগটি এমনি এমনিই সেরে যায়, তবে কখনও কখনও গিঁটের ব্যথা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরের বেশি সময় থাকতে পারে।
বাহক: এডিস ইজিপ্টি ((Ades aegypti) এবং এডিস এলবোপিকটাস (Ades albopictus) মশার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। মশাগুলোর শরীরের ও পায়ের সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ দেখে সহজেই চেনা যায়।
কারা ঝুঁকির মুখে: এ মশাগুলো সাধারণত পরিষ্কার বদ্ধ পানিতে জন্মায় এবং যাদের আশপাশে এ রকম মশা বৃদ্ধির জায়গা আছে, সে সব মানুষেরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
কীভাবে ছড়ায়: প্রাথমিকভাবে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত এডিস ইজিপ্টাই অথবা এডিস অ্যালবুপিক্টাস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ ধরনের মশা সাধারণত দিনের বেলা (ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যার সময়) কামড়ায়। এছাড়াও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস আক্রান্ত রক্তদাতার রক্ত গ্রহণ করলে এবং ল্যাবরেটরীতে নমুনা পরীক্ষার সময়ে অসাবধানতায় এ রোগ ছড়াতে পারে।
সুপ্তিকাল: ৩-৭ দিন (তবে ২-২১ পর্যন্ত হতে পারে)।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ: এ রোগ প্রতিরোধের কোনো টিকা নাই। ব্যক্তিগত সচেতনতাই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
মশার কামড় থেকে সুরক্ষা: মশার কামড় থেকে সুরক্ষাই চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়। শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঢাকা রাখা (ফুল হাতা শার্ট এবং ফুল প্যান্ট পরা), জানালায় নেট লাগানো, প্রয়োজন ছাড়া দরজা জানালা খোলা না রাখা, ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা, শরীরে মশা প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে মশার কামড় থেকে বাঁচা যায়।
শিশু, অসুস্থ রোগী এবং বয়স্কদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
মশার জন্মস্থান ধ্বংস করা: আবাসস্থল ও এর আশপাশে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে। বাসার আশপাশে ফেলে রাখা মাটির পাত্র, কলসী, বালতি, ড্রাম, ডাবের খোলা ইত্যাদি যেসব জায়গায় পানি জমতে পারে, সেখানে এডিস মশা প্রজনন করতে পারে। এসব স্থানে যেন পানি জমতে না পারে সে ব্যাপারে লক্ষ রাখা এবং নিয়মিত বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার করা। সরকারের মশা নিধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা।
যেহেতু এ মশা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত থেকে জীবাণ��� নিয়ে অন্য মানুষকে আক্রান্ত করে, কাজেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে যাতে মশা কামড়াতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া।
রোগ নির্ণয়: উপরোল্লিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে, ওই ব্যক্তির চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণের আশংকা থাকে। উপসর্গগুলো শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যে চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে ভাইরাসটি (Serology Ges এবং RT-PCR) পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়।
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিটিউট (আইইডিসিআর)-এ চিকুনগুনিয়া রোগ নির্ণয়ের সকল পরীক্ষা করা হয়।
চিকিৎসা: চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা মূলত উপসর্গ ভিত্তিক। এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে এবং প্রয়োজনে জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ট্যাবলে�� এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ খেতে হবে।
গিটের ব্যথার জন্য গিঁটের উপরে ঠাণ্ডা পানির স্যাঁক এবং হালকা ব্যায়াম উপকারী হতে পারে। তবে প্রাথমিক উপসর্গ ভালো হওয়ার পর যদি গিঁটের ব্যথা ভালো না হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। কোনো কারণে রোগীর অবস্থা অবনতি হলে দ্রুত নিকটস্থ সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।
0 notes
Text
New Post on BDTodays.com
ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ ও প্রতিরোধ
বর্ষা মানেই ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রধানত এডিস ইজিপ্টাই মশাবাহিত এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গই হলো জ্বর। কিন্তু ইদানিংকালে অনেক সময়ই ডেঙ্গু আক্রান্তের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, জ্বর সেভাবে আসছে না। এদিকে জ্বর না থাকলেও, কমে যাচ্ছে প্লেটলেট কাউন্ট। নিজেদের সাবধানতার জন্য চলুন আরও একবার জ���নে নেওয়া যাক, ডেঙ্গুর...
বিস্তারিত এখানেঃ http://bdtodays.com/news/104077
0 notes
Text
চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে
চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে
সাম্প্রতিক কালে রাজধানী ও বিভিন্ন শহরে চিকুনগুনিয়া নামের ভাইরাস জ্বরের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রোগে জ্বর ও গিরাব্যথার সঙ্গে একটা উল্লেখযোগ্য উপসর্গ হচ্ছে ত্বকে নানা ধরনের র্যাশ ও চুলকানি। ত্বকের কিছু কিছু সমস্যা দীর্ঘস্থা���ী হয় এবং বেশ জটিলতার সৃষ্টি করে।
বর্ষার আরেক সাধারণ ভাইরাস জ্বর ডেঙ্গু জ্বরের সঙ্গেও ত্বকে র্যাশ দেখা দিয়ে থাকে। তবে চিকুনগুনিয়ার সঙ্গে এর কিছু পার্থক্য আছে। ডেঙ্গু…
View On WordPress
0 notes
Text
রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে
রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে
গত কয়েক মাস যাবত্ রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ ভাইরাস জ্বর মনে হলেও রোগটি আসলে চিকুনগুনিয়া। লক্ষণ ডেঙ্গু জ্বরের মতোই।
লক্ষণ সমূহ: ��িকুনগুনিয়ার মূল উপসর্গ হলো জ্বর এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা। জ্বর অনেকটা ডেঙ্গু জ্বরের মতোই। দেহের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে প্রায়ই ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়, তবে কাঁপুনি বা ঘাম দেয় না। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মাথা…
View On WordPress
0 notes