#টাইটানিক ধ্বংসাবশেষ
Explore tagged Tumblr posts
Text
সমুদ্র আসলে কতটা গভীর?
সমুদ্রের গভীরতা নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনা নতুন কিছু নয়। আসলে সমুদ্র কতটা গভীর, তা ভাবলে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। আমাদের গ্রহের প্রায় ৭১ শতাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে এই বিশাল জলরাশির সমুদ্র। তবে গভীরতার কথা বললে, এর সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত। আজ আমরা আলোচনা করবো, সমুদ্রের গভীরতা সম্পর্কে কিছু মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
youtube
সমুদ্রের স্তরভেদে গভীরতার রহস্য
ধরা যাক, তুমি সমুদ্রের উপকূল থেকে পানির মধ্যে প্রায় ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট গভীরে নেমেছো। এই গভীরতায় পৌঁছানোর পরই তুমি বুঝতে পারবে যে, তোমার চারপাশের পানির চাপ বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিটি ১০ মিটার গভীরতায় পানির চাপ প্রায় দ্বিগুণ হয়। এই স্তরে এসেই অনেক ডাইভাররা অনুভব করেন, সমুদ্রের আসল রহস্যের শুরু এখান থেকেই।
২১৪ মিটার: নো-ইকুইপমেন্ট ডাইভিং রেকর্ড
২১৪ মিটার গভীরতায় পৌঁছাতে পারলে, তুমি বিশ্বের গভীরতম ‘নো-ইকুইপমেন্ট ডাইভিং’ রেকর্ড ভেঙে ফেলবে। এই গভীরতায় কোনো প্রকার অক্সিজেন সিলিন্ডার বা ডাইভিং গিয়ার ছাড়া ডুব দেওয়া বিশ্বের অন্যতম কঠিন কাজ। মানব শরীর এই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা রাখলেও, এর জন্য বহু প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা প্রয়োজন।
৮৩০ মিটার: বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বিল্ডিং এর সমান গভীরতা
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন, বুর্জ খলিফা, এর উচ্চতা হলো প্রায় ৮৩০ মিটার। যদি তুমি এই গভীরতায় ডুব দাও, তবে তুমি সমুদ্রের গভীরতা সম্পর্কে এক ভিন্ন মাত্রার ধারণা পাবে। বুর্জ খলিফার উচ্চতার সমান গভীরতায় সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছানো সত্যিই অবিশ্বাস্য।
১০০০ মিটার: আলোহীন জগতে প্রবেশ
১০০০ মিটার গভীরতায় নেমে গেলে তুমি একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন জগতে প্রবেশ করবে। এখানে সূর্যের কোনো আলো পৌঁছায় না। এই স্তরে এসে মানব জাতি এখনো তেমন সফলভাবে অভিযান চালাতে পারেনি। এই স্তরে সমুদ্রের চাপ এতটাই বেশি যে সাধারণ সাবমেরিনও ভেঙে যেতে পারে।
১২২০ মিটার: সামরিক সাবমেরিনের গভীরতা
সমুদ্রের সামরিক সাবমেরিনগুলো প্রায় ১২২০ মিটার গভীরতায় চলাচল করে। এটি তাদের অপারেশনাল গভীরতা বলে পরিচিত। এই গভীরতায় সমুদ্রের রহস্যময় জগতের একটি ভিন্ন রূপ দেখা যায়, যেখানে প্রাণীরাও বিশেষ অভিযোজনের মাধ্যমে বেঁচে থাকে।
৩৮০০ মিটার: টাইটানিকের আবাসস্থল
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় সমুদ্রের প্রায় ৩৮০০ মিটার গভীরে। এটি পৃথিবীর অন্যতম প্রখ্যাত জাহাজডুবির ঘটনা। এখানে পৌঁছানোটা সহজ নয়, তবে গভীর সমুদ্রের গবেষণার জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান।
১০,৯৮৪ মিটার: পৃথিবীর গভীরতম প্রাকৃতিক স্থান
পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম প্রাকৃতিক স্থানটি হলো চ্যালেঞ্জার ডিপ। এর গভীরতা প্রায় ১০,৯৮৪ মিটার বা ৬.৮ মাইল। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পাহাড় মাউন্ট এভারেস্টকে যদি সমুদ্রের মধ্যে ��ুবিয়ে দেওয়া হয়, তবুও চ্যালেঞ্জার ডিপের তলদেশে পৌঁছাতে আরও এক মাইলের মতো গভীরতা বাকি থাকবে।
সমুদ্রের রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি
সমুদ্রের মাত্র ১০ শতাংশেরও কম অংশ আমরা এখনো অনুসন্ধান করতে পেরেছি। বাকি ৯০ শতাংশ এখনো রহস্যে ঘেরা। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সমুদ্রের মানচিত্র তৈরি করার। তবে এর পূর্ণাঙ্গ রহস্য উদঘাটন করতে এখনও অনেক পথ বাকি।
সমাপনী
সমুদ্রের গভীরতা আমাদের জন্য এক বিস্ময়কর জগৎ খুলে দেয়। এর গভীরতম স্তরে কী লুকিয়ে আছে, তা এখনো আমরা পুরোপুরি জানি না। সমুদ্রের প্রতিটি স্তরে রয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ এবং আশ্চর্যের উৎস। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই রহস্যময় জগতকে উন্মোচিত করার জন্য। একদিন হয়তো আমরা এই বিশাল জলরাশির সব রহস্যই জানতে পারবো।
তবে, এতদিন পর্যন্ত সমুদ্রের গভীরতা আমাদের কল্পনার চেয়েও বেশি রহস্যময় রয়ে গেছে।
আরও দেখুনঃ কিভাবে অতি ক্ষুদ্র কণা দ্বারা পারস্পরিক সংঘর্ষ ঘটানো হয়?
Tags: সমুদ্রের গভীরতা, সমুদ্র কতটা গভীর, চ্যালেঞ্জার ডিপ, টাইটানিক ধ্বংসাবশেষ, গভীর সমুদ্র গবেষণা, মাউন্ট এভারেস্ট গভীরতা, সমুদ্রের রহস্য, সমুদ্রের স্তর, সমুদ্রের পানির চাপ, সমুদ্রের মানচিত্র, গভীরতম সমুদ্র স্থান, সমুদ্র অভিযানের তথ্য, সমুদ্রের অন্ধকার জগত, সামরিক সাবমেরিন গভীরতা, বুর্জ খলিফা গভীরতা, নো-ইকুইপমেন্ট ডাইভিং রেকর্ড, ডাইভিং গভীরতা, সমুদ্রের প্রাকৃতিক রহস্য, গভীরতম সমুদ্র অভিযান, সমুদ্রের নিচের জীবন #how #deep #ocean #shorts #reels #highlights
#সমুদ্রের গভীরতা#সমুদ্র কতটা গভীর#চ্যালেঞ্জার ডিপ#টাইটানিক ধ্বংসাবশেষ#গভীর সমুদ্র গবেষণা#মাউন্ট এভারেস্ট গভীরতা#সমুদ্রের রহস্য#সমুদ্রের ��্তর#সমুদ্রের পানির চাপ#সমুদ্রের মানচিত্র#গভীরতম সমুদ্র স্থান#সমুদ্র অভিযানের তথ্য#সমুদ্রের অন্ধকার জগত#সামরিক সাবমেরিন গভীরতা#বুর্জ খলিফা গভীরতা#নো-ইকুইপমেন্ট ডাইভিং রেকর্ড#ডাইভিং গভীরতা#সমুদ্রের প্রাকৃতিক রহস্য#গভীরতম সমুদ্র অভিযান#সমুদ্রের নিচের জীবন#how#deep#ocean#shorts#reels#highlights#Youtube
0 notes
Link
আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাব
0 notes
Link
টাইটানিক দেখতে ডুব দেয়া সাবমেরিনের খোঁজ মিলছে না
0 notes
Text
টাইটানিক দেখতে গিয়ে পাকিস্তানিসহ ৫ পর্যটককে নিয়ে সাবমেরিন নিখোঁজ
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দেওয়া পর্যটকবাহী একটি ক্ষুদ্রাকায় সাবমেরিন নিখোঁজ হয়ে গেছে। দুই পাকিস্তানিসহ পাঁচ পর্যটকবাহী যানটি খুঁজতে ইতিমধ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, টাইটান নামের ওই সাবমেরিনটি রোববার ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় সাবমারসিবলটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাবমেরিনটির ট্যুর অপারেটর ওশানগেট এক্সপেডিশনস জানিয়েছে, টাইটানে থাকা পাঁচ…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/72302
ইতিহাসে ১ সেপ্টেম্বর
১১৫৯ সালের এই দিনে পোপ চতুর্থ অ্যাড্রেইন মৃত্যুবরণ করেন ।
১১৭৪সালের এই দিনে ইতালীর পিসা শহরে বিখ্যাত পিসার হেলান টাওয়ার নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
১৫৫৭ সালের এই দিনে কানাডার অন্যতম আবিষ্কারক হিসেবে বিবেচিত ফরাসি অভিযাত্রী জ্যাকস কার্টিয়ারের মৃত্যু।
১৫৭৪ সালের এই দিনে গুরু অমর দাস তৃতীয় মৃত্যুবরণ করেন ।
১৫৮১ সালের এই দিনে গুরু অমর দাস চতুর্থ মৃত্যুবরণ করেন ।
১৬৪৮ সালের এই দিনে ফরাসি ধর্মযাজক, দার্শনিক, গণিতবিদ ও সঙ্গীতজ্ঞ মারাঁ মের্সেন মৃত্যুবরণ করেন।
১৬৮৭ সালের এই দিনে ইংরেজ দার্শনিক হেনরি মুর মৃত্যুবরণ করেন ।
১৭১৫সালের এই দিনে ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই ৭২ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেণ।
১৮৫৩ সালের এই দিনে উত্তমাশা অন্তরীন থেকে পৃথিবীর প্রথম ত্রিকোণ ডাকটিকিট ইস্যু করা হয়।
১৮৫৬ সালের এই দিনে রুশ অণুজীব বিজ্ঞানী সার্গেই উইনোগার্ডস্কি জন্মগ্রহন করেন।
১৮৭৭ সালের এই দিনে নোবেলজয়ী [১৯২২] ইংরেজ রসায়নবিদ ফ্র্যান্সিস অ্যাস্টনের জন্ম।
১৮৮৪ সালের এই দিনে সুইজাল্যান্ডীয় এন্টোমলজিস্ট হেনরী ফোরেল জন্মগ্রহন করেন।
১৯০৫সালের এই দিনে ব্রিটিশরাজ বঙ্গভঙ্গের নির্দেশ জারি করে।
১৯১৪সালের এই দিনে লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবীর জন্ম।
১৯১৪ সালের এই দিনে রাশিয়ার সেন্ট. পিটার্সবুর্গের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পেট্রোগার্ড়।
১৯১৮ সালের এই দিনে মুক্তিযু��্ধের সমড মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর জন্ম।
১৯২৩ সালের এই দিনে জাপানের টোকিও ও ইয়াকোহামায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই লক্ষ লোক নিহত হয়।
১৯২৮ সালের এই দিনে আলবেনিয়া রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৩৯সালের এই দিনে জার্মানীর সেনারা পোল্যান্ড আক্রমণ করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৬১ সালের এই দিনে সাবেক ইউগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে ২৫টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহণে জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর প্রথম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬৯ সালের এই দিনে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কর্ণেল গাদ্দাফি লিবিয়ার ক্ষমতা দখল করেন।
১৯৭০ সালের এই দিনে নোবেলজয়ী [১৯৫২] ফরাসি সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া মরিয়াকের মৃত্যু।
১৯৭১ সালের এই দিনে তুর্কি ফুটবলার হাকান শুকুর জন্মগ্রহন করেন। যিনি স্ট্রাইকার অবস্থানে খেলেন।
১৯৭৮ সালের এই দিনে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল” বা বি.এন.পি. প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
১৯৮২ সালের এই দিনে মার্কিন গনিতবিদ হার্সেল কুরি মৃত্যুবরণ করেন ।
১৯৮৫ সালের এই দিনে ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার।
১৯৯১ সালের এই দিনে উজবেকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৯২সালের এই দিনে জাকার্তায় দশম জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৪ সালের এই দিনে সিরিয়ার গ্রান্ড মুফতি আহমেদ কুফতার মৃত্যুবরণ করেন।
২০০৪ সালের এই দিনে রাশিয়ায় বেলসান স্কুলে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষদের অপহরণ করে।
0 notes
Photo
হিমশৈলের ধাক্কা নয়, অন্য কারণে ডুবেছিল টাইটানিক বিডিলাইভ রিপোর্ট: এতদিন ধরে সবাই জানত হিমশৈলের ধাক্কায় ভেঙে দুই টুকরো হয়ে আটলান্টিকের তলদেশে ঘুমিয়ে রয়েছে টাইটানিকের অবশিষ্টাংশ। তবে নতুন করে জল্পনা উঠেছে টাইটানিকের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে। 'কোনও হিমশৈল নয়, আগুনই নাকি টাইটানিকের ধ্বংসের কারণ।' সম্প্রতি এক আইরিশ সাংবাদিক ম্যালোনি এমনটাই জানিয়েছেন। গত ৩০ বছর ধরে তিনি টাইটানিকের ওপরে গবেষণা চালাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগুনের কারণেই জাহাজটি ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তার মতে, হিমশৈলটি ধাক্কা মারার ফলে জাহাজটির সেভাবে কোনও ক্ষতিই হয়নি। অথচ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই সত্যটি সকলেরই অজানা। 'টাইটানিক: দ্য নিউ এভিডেন্স' নামে একটি তথ্যচিত্রে গোটা বিষয়টি তুলে ��রেছেন ম্যালোনি। প্রসঙ্গত, ১৯১২ সালে বেলফাস্ট থেকে রওনা হওয়ার পরই ��াহাজের নিম্নবর্তী অংশে যে আগুন জ্বলছিল, সেই আগুনই জাহাজের খোলটিকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়। প্রায় ৪ দিন পরে সেই আগুন নেভানো হয়। মূলত ওই হিমশৈলে ধাক্কা লাগার পরেই ভেঙে যায় জাহাজটি। এ ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০০ মানুষের। ১৯১২ থেকেই লোকমুখে শোনা যেত, ৩০০ ফুটের একটি গভীর ক্ষতের কারণে জাহাজটি ভেঙে যায়। যদিও ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষার পর অনেক কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি।
0 notes