#জমি
Explore tagged Tumblr posts
Text
#দোয়া ও #বৃষ্টি। (৩)
আরেকটি হাদিসের বনর্না এমন: প্রখ্যাত সাহাবি হযরত আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা মহানবীর (সা.) সঙ্গে থাকাকালে একবার বৃষ্টি নামল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন তার কাপড় প্রসারিত করলেন যাতে পানি তাকে স্পর্শ করতে পারে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কেন এমন করলেন? তিনি বললেন, কারণ বৃষ্টি তার মহান রবের কাছ থেকে এই মাত্রই এসেছে।’ (সহীহ মুসলিম শরীফ)
জেনে নিন, বৃষ্টির অন্যতম ফজিলত হল, বৃষ্টির সময় মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়া কবুল করেন।
রাসুল (সা.) বলেছেন, বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস নং : ২৫৪০)।
বৃষ্টি বর্ষণের বিষয়ে প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন, ‘আমার বান্দারা যদি আমার বিধান যথাযথ মেনে চলত, তবে আমি তাদের রাতের বেলায় বৃষ্টি দিতাম আর সকাল বেলায় সূর্যের (আলো) দিতাম এবং কখনও তাদের বজ্রপাতের আওয়াজ শুনাতাম না।’ (সহীহ মুসনাদে আহমদ)
চলমান.....
0 notes
Text
0 notes
Text
রাজশাহীতে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, নিহত ৩
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়িতে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে এইঘটনা ঘটে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়িতে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে এইঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন– উপজেলার বড়গাছী কানুপাড়া এলাকার নাইমুল (৮০) ও মেহের আলী (৭০)। তারা সম্পর্কে আপন ভাই। আর নিহত সোহেল রানার (৪৫) বাড়ি নগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া এলাকায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চি�� করেছেন।
View On WordPress
#Ajker Rajshahi#Bangla News#Bangla Newspaper#Bangladesh Newspaper#Bd News#Breaking news#Newsrajshahi24#Rajshahir Khobor#Top news#উপজেলা#গোদাগাড়ী#জমি নিয়ে বিরোধ#তিন#নিহত#পাকড়ি#রাজশাহী#সংঘর্ষ
0 notes
Text
শ্রীনগরে জ্বীনের বাদশার ড্রেজার বাণিজ্যে ভরাট হচ্ছে কৃষি জমি ও জলাশয়
শ্রীনগরে জ্বীনের বাদশার ড্রেজার বাণিজ্যে ভরাট হচ্ছে কৃষি জমি ও জলাশয়
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগর উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর পাইকশায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কাটা হচ্ছে ফসলী জমি ও ভরাট করা হচ্ছে অসংখ্য কৃষি জমি, জলাশয়। হোগলাগাঁও এলাকার মোতালেব হোসেন ওরফে জ্বীনের বাদশা নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে ড্রেজার বাণিজ্য করে আসছে। অত্র এলাকার অসংখ্য ফসলী জমির মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে ভরাটের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও…
View On WordPress
0 notes
Text
ঠাকুরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে হজমি নিয়ে বিরোধের জেরে সমসের আলী নামে (৮০) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ১ ডিসেম্বর ভোর রাতে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সাদুবান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসিরা জানান, গতকাল বুধবার ওই ইউনিয়নের সাদুবান্দা গ্রামের আব্দুর রহিম ও প্রতিপক্ষ সামসুলের সাথে জমি বিরোধ হয়। এ সময় আব্দুর রহিমের লোকজন…
View On WordPress
0 notes
Text
সাতক্ষীরা 'বরসা' রিসোট এর সমস্থ অবকাঠমসহ বিক্রয় হইবে।
৩৫ বিঘা জমি নিয়ে একটি রিসোট যেখানে চলমান ভ্রমন যাত্রা, ভ্রমনকারীরা উপভোগ করেন। রিসোট টি অতিরিক্ত ৭ বিগা খাস জমি। বর্তমানে এটি এখনো চলমান অবস্থায় আছে বিশেষ কারন বসত রিসোট টি বিক্রয় করার জন্য 'বিক্রয়' কর্তৃপক্ষ উদ্দেগ নিয়েছেন।
রিসোট টিতে রয়েছে ২টি আবাসিক বিল্ডিং তার মধ্যে একটি তিন তলা বিশিষ্ট অন্যটি দুই তলা বিশিষ্ট। রিসোট টি প্রধান দায়িক্ত প্রাপ্ত ব্যক্তি অকাল মৃত্যুর কারনে বিক্রয় করা হচ্ছে এছাড়াও এই রিসোট এর অধিনে অর্থিক ভাবে যৌর্থ অংশিদার হিসেবে বিনিয়োগকারিরা যুক্ত আছেন।
বর্তমান মূল্য অনুসারে রিসোটটির দাম= ৩০ কোটি টাকা, তাই যদি কোন আগ্রহী ব্যক্তিগন কিনতেচান তবে বিশেষ ভাবে যোগাযো করার জন্য অনুরোধ রইল।
রিসোট টির বর্ননা নিচে দেওয়া হল:
১। ৩০টি বেড রুম এসিসহ
২। কনফারেন্স রুম এসিসহ
৩। স্টাফ বিল্ডিং ১টি
৪। ডাইনিং রুম ২টি
৫। অফিস বিল্ডিং ১টি
৬।গাড়ি পাকিং ব্যবস্থা
৭। পানির প্লান্ট
৮। ২টি জেনারেটর সহ জেনারেটর রুম
৯। মাছের খামার
১০। ২টি কাঠের বোড
4 notes
·
View notes
Text
ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি – জসীম উদ্দীন
বাপ মরে গিয়েছে। ঘুঘু আর ফাঁদ দুই ভাই। কি একটা কাজে দুই ভাইয়ের লাগল মারামারি। ফাদ রেগে বলল, “তুই ঘুঘু দেখেছিস। কিন্তু ফাঁদ দেখিস নাই।”
ঘুঘু রাগ করে বাড়ি হতে পালিয়ে গেল। বিদেশে গিয়ে সে এ বাড়ি, সে বাড়ি, কত বাড়ি ঘুরল। সবাইকে বলল, আমি ধান নিড়াইতে পারি-পাট কাটতে পারি-গরুর হেফাজত করতে পারি। কিন্তু কার চাকর কে রাখে! দেশে বড় আকাল। অবশেষে ঘুঘু গিয়ে উপস্থিত হল কিরপন (কৃপণ) মোল্লার বাড়ি। কিরপন মোল্লা চাকর রেখে খেতে দেয় না, খেতে দিলেও তার বেতন দেয় না, তাই কেউই তার বাড়িতে চাকর থাকে না।
ঘুঘুকে দেখে কিরপন মোল্লা বলল, “আমার বাড়িতে যদি থাকতে চাও তবে প্রতিদিন তিন পাখি করে জমি চাষ করতে হবে, বেগুন ক্ষেত সাফ করতে হবে। আর যখন যে কাজ করতে বলব তাই করতে হবে। তেঁতুল পাতায় যতটা ভাত ধরে তাই খেতে দিব। উহার বেশি চা��লে দিব না। মাসে আট আনা করে বেতন দিব। উহাতে রাজী হলে আমার বাড়ি থাকতে পার।”
আর কোথাও কাজ যখন জোটে না, ঘুঘু তাতেই রাজী হল। কিরপন মোল্লা বলল, “আমার আরও একটি শর্ত আছে। আমার কাজ ছেড়ে যেতে পারবে না। কাজ ছেড়ে গেলে তোমার নাক কেটে নিব।”
ঘুঘু বলল, “আমি এই শর্তেও রাজী আছি।”
কিরপন মোল্লা পাকা লোক। সে গ্রামের লোকজন ডেকে সমস্ত শর্ত একটি কলা পাতায় লিখে নিল। তিন পাখি জমি চাষ করতে ঘুঘুর প্রায় দুপুর গড়িয়ে গেল। তারপর গোছল করে খেতে আসল। কিরপন মোল্লার বউ বলল, “তেঁতুল পাতা নিয়ে আস।”
ঘুঘু একটি তেঁতুল পাতা এনে সামনে বিছিয়ে খেতে বসল। তেঁতুল পাতায় আর কয়টিই বা ভাত ধরে? একে তো সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম! এমন ক্ষুধা পেয়েছে যে সমস্ত দুনিয়া গিলে খেলেও পেট ভরবে না। সেই তেঁতুল পাতার উপরে চারটি ভাত মুখে দিয়ে ঘুঘু কিরপন মোল্লার বৌকে কাকুতি মিনতি করল, “আর কয়টি ভাত দিন।”
কিরপন মোল্লা সাথে সাথেই তার কলা পাতায় লেখা শর্তগুলি পড়ে শুনিয়ে দিল। বেচারা ঘুঘু আস্তে আস্তে উঠে বেগুন ক্ষেত সাফ করতে গেল।
রাতে আবার সেই তেঁতুল পাতায় বাড়া ভাত। সারাদিনের হাড় ভাঙ্গা খাটুনি। তিন চারদিনেই ঘুঘু একেবারে আধমরা হয়ে গেল। তখন চাকরি না ছাড়লে জীবন যায় যায় অবস্থা; কিন্তু যখনই কিরপন মোল্লার কাছে চাকরি ছাড়ার কথা বলেছে তখনি সে তার নাকটা কেটে ফেলল। নেকড়া দিয়ে কোনো রকমে নাক বেঁধে ঘুঘু দেশে ফিরল।
তার ভাই ফাঁদ জিজ্ঞাসা করল, “কিরে! তোর নাকটা কাটা কেন?
”
ঘুঘু কেঁদে সমস্ত ঘটনা খুলে বলল। শুনে ফাঁদ বলল, “ভাই! তুমি বাড়ি থাক। আমি যাব কিরপন মোল্লার বাড়ি চাকরি করতে।”
ঘুঘু কত বারণ করল। ফাঁদ তা কানেও নিল না। সে বলল, “কিরপন মোল্লা ঘুঘু দেখেছে কিন্তু ফঁদ দেখে নাই। আমি তাঁকে ফাঁদ দেখিয়ে আসতেছি।”
ফাঁদ গিয়ে কিরপন মোল্লার বাড়িতে উপস্থিত। জিজ্ঞাসা করল, “আপনারা কোনো চাকর রাখবেন?”
কিরপন মোল্লা বলল, “আমার একজন চাকর ছিল সে অল্প কয় দিন হয় চলে গেছে। তা তুমি যদি থাকতেই চাও, তবে আমার কয়েকটি শর্ত আছে। তা যদি মেনে নাও তবেই তোমাকে রাখতে পারি।”
ফাঁদ জিজ্ঞাসা করল, “কি কি শর্ত?”
কিরপন মোল্লা কলার পাতায় লেখা আগের চাকরের শর্তগুলি তাঁকে পড়ে শুনাল।
“প্রতিদিন তিন পাখি করে জমি চষিতে হবে। বেগুন ক্ষেত সাফ করতে হবে। আর যখন যে কাজ বলব তা করতে হবে! তেঁতুল পাতায় করে ভাত দিব! মাসে আট আনা (৫০ পয়সা) করে বেতন। চাকরি ছেড়ে গেলে নাক কেটে রাখব।”
ফাঁদ সমস্ত শর্ত মেনে নিয়ে বলল, “আমারও একটি শর্ত আছে। আমাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করতে পারবেন না। বরখাস্ত করলে আমি আপনার নাক কেটে নিব।”
কিরপন মোল্লা বলল, “বেশ, তাতেই আমি রাজী।”
সে পাড়ার আরও দশজনকে ডেকে সাক্ষী মেনে আর একটা কলা পাতায় সমস্ত শর্ত লিখে নিল।
সকালে ফাঁদ চলল ক্ষেতে লাঙল চষিতে। সে তিন পাখি জমির এদিক হতে ওদিকে দিল এক রেখ, আর ��দিক হতে এদিক দিল এক রেখ। এইভাবে সমস্ত জমিতে তিন চারটি রেখ দিয়ে গরু-বাছুর নিয়ে, বেলা দশটা না বাজতেই বাড়ি ফিরে আসল। এসেই বলল, “ক্ষেতে লাঙল দেওয়া শেষ হয়েছে। এখন আমাকে খেতে দাও।”
কিরপন মোল্লার বউ বলল, “আগে তেঁতুল পাতা নিয়ে আস।”
ফাঁদ বলল, “একটি ধামা দাও আর একখানা কুড়াল আমাকে দাও।” ধামা কুড়াল নিয়ে ফাঁদ কিরপন মোল্লার উঠানের তেঁতুল গাছটির বড় ডালটি কুপিয়ে কেটে ফেলল।
কিরপন মোল্লার বউ চেঁচাতে লাগল, “কর কি? কর কি? সমস্ত গাছটা তুমি কেটে ফেললে?” কার কথা কে শোনে। সেই কাটা ডাল হতে মুঠি মুঠি তেঁতুল পাতা এনে অর্ধেক উঠানে বিছিয়ে দিয়ে বলল, “এবার আমাকে ভাত দাও।”
কিরপন মোল্লার বউ সামান্য কয়টি ভাত একটি তেঁতুল পাতার উপর দিতে যাচ্ছিল। ফাঁদ বলল, “আমার সঙ্গে চালাকি করলে চলবে না। শর্তে লেখা আছে তেঁতুল পাতায় করে ভাত দিতে হবে। কয়টা তেঁতুল পাতায় করে ভাত দিতে হবে তা লেখা নাই। সুতরাং তোমাদের উঠানে যতগুলি তেঁতুল পাতা বিছিয়েছি তার সবগুলি ভরে ভাত দিতে হবে।”
কিরপন মোল্লা তার ভাঙ্গা চশমা জোড়া নিয়ে সেই কলার পাতায় লেখা শর্তগুলি বহুক্ষণ পরীক্ষা করল। ফাঁদ যা বলেছে তা সত্য। সে তখন বউকে বলল, “দাও, হাঁড়িতে যত ভাত আছে তেঁতুল পাতার উপর বেড়ে দাও।”
একবার ভাত দেওয়া হলে ফাঁদ বলল, “আরও ভাত এনে দাও। সমস্ত তেঁতুল পাতা ভাতে ঢাকে নাই।”
কিরপন মোল্লার বউ কি আর করে? হাঁড়িতে যত ভাত ছিল সব এনে সেই তেঁতুল পাতায় ঢেলে দিল। ফাঁদ বলল, “ইহাতে আমার পেট ভরবে না। আরও ভাত এনে দাও।”
“আর ভাত হাড়িতে নাই।”
কিরপন মোল্লা বলল, “কাল তোমার জন্য আরো বেশি করে ভাত রান্না করব। আজ এগুলোই খাও।”
ফাঁদ কতক খেল-কতক ছিটিয়ে ফেলল। তারপর ঢেঁকুর তুলতে তুলতে হাত মুখ ধুতে লাগল।
বিকাল হলে কিরপন মোল্লা ফাঁদকে বলল, বেগুন ক্ষেত সাফ করতে। ফাঁদ গিয়ে সব বেগুন গাছ কেটে ফেলল।
কিরপন মোল্লা হায় হায় করে মাথায় হাত দিয়ে বেগুন ক্ষেতের পাশে বসে পড়ল। ফাঁদকে বলল, “ও ফাঁদ! তুই তো আমার সর্বনাশ করেছিস।”
ফাঁদ বলল, “তুমি আমাকে সমস্ত বেগুন ক্ষেত সাফ করতে বলেছ। সমস্ত বেগুন গাছ না কাটিলে ক্ষেত সাফ হবে কেমন করে?”
তার পরদিন কিরপন মোল্লা ফাঁদকে পাঠাল ধান ক্ষেত নিড়াতে। ফাঁদ ক্ষেতের সমস্ত ধান গাছ কেটে ঘাসগুলি রেখে আসল।
সেদিন তাকে নদীতে পাঠাল জাল ফেলতে। জাল ফেলতে মানে নদীতে গিয়ে জাল দিয়ে মাছ ধরতে। ফাঁদ সেই কথাটার উল্টা ব্যাখ্যা করল। নদীতে গিয়ে সে কিরপন মোল্লার এত হাউসের খেপলা জালটা ফেলে দিয়ে আসল। কিরপন মোল্লা নদীতে গিয়ে এত খোঁজাখুঁজি করল। অত বড় নদী কোথায় জাল তলিয়ে গেছে! খুঁজে বের করতে পারল না।
সেদিন সন্ধ্যাবেলা তার ছেলেটি ধুলো কাদা গায়ে মেখে নোংরা হয়েছিল। কিরপন মোল্লা বলল “ফাঁদ, যাও তো ছেলেটাকে সাফ করে আন।”
ফাঁদ তার ছেলেটিকে পুকুরের কাছে নিয়ে গিয়ে পানিতে চুবিয়ে ধোপার পাটে দিল তিন চার আছাড়। ছেলের হাত পা শরীর ফেটে গেল। সে চিৎকার করে কেঁদে উঠল। কিরপন মোল্লা তাড়াতাড়ি ফাঁদের হাত ��তে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাঁকে বকতে লাগল।
ফাঁদ বলল, “আমাকে বকলে কি হবে? আপনি ছেলেকে সাফ করে আনতে বলেছেন। ধোপার পাটে না আছড়াইলে (আছাড় দিলে) তাকে সাফ করব কিভাবে?”
রাত্রে কিরপন মোল্লা আর তার বউ মনে মনে ফন্দি আঁটে, কি করে এই দুর্মুখ চাকরকে বিদায় করা যায়, কিন্তু কোনো উপায় নাই। তাকে বরখাস্ত করলেই কলা পাতায় লেখা শর্তানুসারে সে কিরপন মোল্লার নাক কেটে নিবে।
পরদিন সকালে কিরপন মোল্লা ফাঁদকে একটি বড় গাছ ফেড়ে চেলা (চিকন ও লম্বা কাঠের টুকরা) বানাতে হুকুম করল। ফাঁদ গাছটি কেটে অনেক গুলো চেলা বানালো। তারপর চেলার বোঝা মাথায় করে বাড়ি ফিরল।
কিরপন মোল্লার বৃদ্ধ মা বারান্দায় বসে পান চিবাচ্ছিল। ফাঁদ তাঁকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, “খড়ির বোঝা কোথায় নামাব?”
সারা উঠান খালি পড়ে আছে। যেখানে সেখানে নামান যায়। তবুও ফাঁদ এই সামান্য ব্যাপারটির জন্যে বুড়ীকে জিজ্ঞাসা করায় বুড়ি ভীষণ রেগে গেল। সে বলল, “বুঝতে পার না কোথায় নামাতে হবে? আমার ঘাড়ে নামাও।”
যেই বলা অমনি ফাদ খড়ির বোঝা বুড়ীর ঘাড়ের উপর ফেলে দিল। ঘাড়ের উপর এতগুলো কাঠের ভার সইতে না পেড়ে বুড়ী দাঁত কেলিয়ে মরে গেল।
কিরপন মোল্লা ফাঁদকে কিছু বলতেও পারে না। কারণ সে বুড়ীর আদেশ মতোই কাজ করেছে। ফাঁদকে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দিতে গেলেও সে তার নাক কেটে নিবে। ফাঁদকে নিয়া কি করা যায়?
প্রতিদিন সে একটা না একটা অঘটন করে বসে। অনেক ভেবে চিন্তে কিরপন মোল্লা ঠিক করল, সে আর তার বউ তীর্থযাত্রা গিয়ে অন্ততঃ কিছুদিনের জন্য ফাঁদের হাত হতে রক্ষা পাবে। যাওয়ার সময় কিরপন মোল্লা ফাঁদকে বলল, “ফাঁদ! আমরা চললাম। তুই বাড়ি-ঘর দেখিস।”
ফাঁদ জবাব দিল, “আর বলতে হবে না। তোমরা নিশ্চিন্তে চলে যাও। আমি সব দেখব।”
কিরপন মোল্লা চলে গেল। ফাঁদ তার ভাই ঘুঘুকে ডেকে এনে বাড়ির সর্বেসর্বা হয়ে বসল। বাড়িতে আম, জাম, কাঁঠাল, সুপারি, নারিকেল, কত রকমের গাছ। দুই ভাই সেই সব গাছের ফল বিক্রি করে অনেক টাকা জমাল। তার মধ্যে গ্রামে আসল সেটেলমেন্টের আমিন। ফাঁদ কিরপন মোল্লার বাড়ি-ঘর, জমা-জমি সকল নিজের নামে লেখিয়ে নিল।
কিছুদিন পরে তীর্থ থেকে কিরপন মোল্লা আর তার বউ দেশে ফিরল। ফাদ তাদের বাড়িতে ঢুকতে দিল না। সে বলল, “এ বাড়ি তো আমাকে বেচে গিয়েছো। দেখ না গিয়ে সেটেলমেন্টের অফিসে, সেখানে বাড়ি আমার নামে লেখা হয়েছে।”
গচ্ছিত টাকা-পয়সা যা ছিল তা কিরপন মোল্লা তীর্থে গিয়ে খরচ করে এসেছে। ফাঁদের নামে মামলা করার টাকা পাবে কোথায়? আর মামলায় জিতলেই বা কি হবে? কলার পাতায় লেখা যে শর্তে সে ফাঁদের সঙ্গে আটকা পড়েছে তাহা হতে কে তাঁকে রক্ষা করবে?
কিরপন মেল্লার বাড়িতে ফাঁদ আর ঘুঘু সু��ে বাস করতে লাগল। কিরপন মোল্লার উপর কারো কোনো দয়া নাই! কারণ সে বিনা অপরাধে ঘুঘুর নাক কেটেছিল। সে গ্রামের কোন মানুষের কোন উপকার করে নাই বা কাউকেই কোনোদিন আধ পয়সাও দান করে নাই।
3 notes
·
View notes
Video
youtube
ঠাকুরগাঁও হরিপুরে জমি সংক্রান্ত জেরে একাধিক আহত হয়েছে। #youtube #হরিপুর ...
1 note
·
View note
Text
গাজীপুরে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা: জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি
মোঃ নাসির উদ্দিন গাজীপুর প্রতিনিধি গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ি গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া ও ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত সাংবাদিকদের নামে কাশিমপুর থানার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের ফাঁসানোয় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর ২০২৪) সকাল ১১টায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে গাজীপুরে কর্মরত সাংবাদিকেরা…
0 notes
Text
খেলার মাঠ আলু চাষের জন্য প্রস্তুত করলেন মাদরাসা সুপার
এবার ভোলার চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জ আইডিয়াল দাখিল মাদরাসার খেলার মাঠে আলু চাষের জন্য ট্রাক্টর দিয়ে জমি প্রস্তুতের অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদরাসার সুপার আব্দুল বাতেন সেই মাঠে আলু চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। খেলার মাঠে আলু চাষের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে। তবে বিষয়টি মিথ্যে বলে দাবি করেছেন মাদরাসা সুপার। মাদরাসাটি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার…
0 notes
Text
আটক-জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছেনা অবৈধ বালু উতত্তোলন
আটক-জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছেনা অবৈধ বালু উতত্তোলন/ শরীয়তপুরে আটক-জরিমানা প্রশাসনে অভিযান থামাতে পারছেনা পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ।চলছে বালু ক্রয়-বিক্রয় এতে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
শরীয়তপুরে আটক-জরিমানা প্রশাসনে অভিযান থামাতে পারছেনা পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ।চলছে বালু ক্রয়-বিক্রয় এতে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ১৫ দিনে নদীর পাড়ের বসতভিটা ও জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন ঘরবাড়ি হারানোর আশঙ্কায় দিন কাটছে প্রায় পাঁচ শতাধিক স্থায়ী বাসিন্দা। জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর, বাবুর চর, বিলাশপুর, নড়ীয়া উপজেলার সুরেশ্বর পয়েন্ট ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা…
0 notes
Text
নওগাঁয় ফসলী জমি কেটে পুকুর খননের হিড়িক!
নওগাঁয় ফসলী জমি কেটে পুকুর খননের হিড়িক!
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে আইন ভেঙ্গে অবৈধ ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলী জমির মাটি কেটে পুকুর খননের হিড়িক পড়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে একের পর এক পুকুর খনন করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনই ব্যবস্থা না নেয়ায় এক শ্রেণীর মাটি ব্যবসায়ীরা দেদারছে পুকুর খননের মহোৎসবে মেতেছে। পুকুর খননের মাটি তারা সরাসরি ইটের ভাটায় সরবরাহ করছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা…
View On WordPress
0 notes
Video
youtube
সত্যি কি তামাদি আইনের ২৮ ধারা অকার্যকর? বেদখল হওয়া জমি ফেরত পেতে কতদিনের...
0 notes
Text
Donald Trump will win. He will focus on the inside issues of USA. He will stop supporting NATO against Russia. Ukraine will be friend-less, and Putin will win. Some European countries may attack Russia, or empower Ukraine. A lot of people will die, but finally Russia will win. Some Countries will lose their land. But there will be no 3rd World War. Leaders of other countries are not stupids like European leaders.
ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতবেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করবেন। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোকে সমর্থন করা বন্ধ করবেন। ইউক্রেন বন্ধুহীন হবে, এবং পুতিন জয়ী হবে। কিছু ইউরোপীয় দেশ রাশিয়াকে আক্রমণ করতে পারে বা ইউক্রেনকে ক্ষমতায়ন করতে পারে। অনেক মানুষ মারা যাবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাশিয়া জিতবে। কিছু দেশ তাদের জমি হারাবে। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে না। অন্যান্য দেশের নেতারা ইউরোপীয় নেতাদের মতো বোকা নন।
0 notes
Link
ভারতের নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘সীমান্তের এক ই
0 notes
Text
বীরগঞ্জে থেকে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরু'র হাল চাষ
বীরগঞ্জে থেকে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরু'র হাল চাষ:- FaceBook-এ আমাদের দিনাজপুর নিউজ পেজটি ফলো করুন।
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ এক সময় গ্রামবাংলার স্বাভাবিক চিত্র ছিল গরু দিয়ে হাল চাষ। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন বিলুপ্তির পথে এই পদ্ধতি। হালচাষের পরিবর্তে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে অল্প সময়ে জমি চাষ করা হয়। অথচ দুই যুগ আগেও নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হালচাষ করে সং��ারের ব্যয়ভার বহন করত দরিদ্র মানুষ। কাক ডাকা ভোরে কৃষক গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। এ দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না।…
0 notes