#চেয়ে
Explore tagged Tumblr posts
Text
জয়মন্টপ ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধন
শিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইন্জি: শাহাদাৎ হোসেনের জন্ম সনদ ও মৃত্যু সনদ সহ যাবতীয় নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায়, সীমাহীন দুর্নীতিবাজ ও ভোটচোরের দায়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিচারের দাবীতে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেছে ছাত্রজনতা সহ অত্র জয়মন্টপ ইউনিয়নের সাধারণ নাগরিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণ । বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হেমায়েতপুর শিংগাইর আঞ্চলিক স���কে বৃষ্টিতে…
0 notes
Text
স্বর্গে দাসত্ব করার চেয়ে নরকে রাজত্ব করা অনেক ভাল। ALAMGIR DEWAB AKASH ALAMGIR AKASH DEWAN AKASH AKASH DEWAN আলমগীর দেওয়াব আকাশ আলমগীর আকাশ দেওয়ান আকাশ আকাশ দেওয়ান
#স্বর্গে দাসত্ব করার চেয়ে নরকে রাজত্ব করা অনেক ভাল।#ALAMGIR DEWAB AKASH#ALAMGIR AKASH#DEWAN AKASH#AKASH DEWAN#আলমগীর দেওয়াব আকাশ#আলমগীর আকাশ#দেওয়ান আকাশ#আকাশ দেওয়ান#akash dewan alamgir#alamgir dewan akash#আলমগীর দেওয়ান আকাশ#আলমগীর দেওয়ান আকাশ
3 notes
·
View notes
Text
youtube
#ব্যর্থতা সাফল্যের চেয়ে বেশি শিক্ষা দেয় || তাহলে ভয় কেন? || motivational story#ব্যর্থতা কেবলমাত্র ব্যর্থতা নয়#বরং এটি একটি পূর্ণতার মাধ্যম যা আমাদেরকে নতুন উচ্চতা এবং সফলতার দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।#আমরা সময়ের সাথে সাথে পুরোপুরি নতুন এবং সফল হওয়ার চেষ্টা করতে থাকব।#প্রিয় দর্শক '' monirulislamhridoy'' ইউটিউব চ্যানেলের পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগতম।#আমাদের#monirulislamhridoy চ্যানেল এর ভিডিওগুলো যদি আপনাদের এতটুকু ভালো লাগে তবেই আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক। যদি আ#কমেন্টস্#শেয়ার করুন এবং নতুন ভিডিও সবার আগে দেখতে চ্যানেলটি সাবক্রাইব করে পাশে থাকা বেল আইকনটিতে ক্লি#Youtube
2 notes
·
View notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মা�� হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ��্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্���, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছ��ই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Video
youtube
যৌবনকালে বয়ফ্রেন্ড পাইলাম না। গানের চেয়ে নাচ বেশি দেখলেই বুঝবেন। ডিজে ...
#youtube#যৌবনকালে বয়ফ্রেন্ড পাইলাম না। গানের চেয়ে নাচ বেশি দেখলেই বুঝবেন। ডি��ে মেঘলা। Projapoti Baul Song https://www.youtu
0 notes
Video
youtube
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি । TikTok New Vairal Song । Tumi Sundar Tai Ch...
0 notes
Text
Dengue Fever Paragraph with Bangla Meaning
Most important paragraph for SSC & HSC Exam Dear student friends, today we will know about Dengue Fever Paragraph. This paragraph is very important for all competitive exams. Today’s lesson is going to be the best for those of you who are SSC or HSC candidates. Paragraph writing is a very important part of SSC exam. If you have 10 marks in this part, then if you want to master the paragraphs…
View On WordPress
#dengue fever paragraph#dengue fever paragraph 100 words#dengue fever paragraph 200 words#dengue fever paragraph bangla#dengue fever paragraph class 9#dengue fever paragraph for class 10#dengue fever paragraph for class 11#dengue fever paragraph for class 7#dengue fever paragraph for class 8#dengue fever paragraph pdf#স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন ভাব সম্প্রসারণ
0 notes
Video
youtube
বিমান তৈরির ইতিহাস || উইলবার রাইট এবং অরভিল রাইট প্রথম বিমান আবিষ্কার ||...
#youtube#17 ডিসেম্বর 1933-এ প্রথম নিয়ন্ত্রিত চালিত এবং স্থিতিশীল আকাশের চেয়ে ভারী মানুষ বহনকারী বিমান তৈ
0 notes
Video
youtube
ভাইরাল ডিজে মেঘলার গানের চেয়ে নাচ বেশি। দেখলেই বুঝবেন নাচ কাকে বলে | DJ...
0 notes
Video
youtube
oi cheye dekh puber ।। ঐ চেয়ে দেখ পুবের বেলা ।। ভিডিও পরিচালনায়ঃ রাজবাড়...
0 notes
Text
ন্যায় না চেয়ে অধিকার দখল কর, অধিকার পেলে, ন্যায়ের ভিক্ষা চাইতে হবে না
152 notes
·
View notes