#চর্ম রোগের চিকিৎসা
Explore tagged Tumblr posts
masud625-blog · 1 year ago
Text
আপুনি কি বিবাহ করতে ভয় পাচ্ছেন?
Tumblr media
�ছোট ও দুর্বল গোপনাঙ্গ নিয়ে চিন্তিত!�বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন?�সহবাসে স্ত্রী কে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারছেন না! �সেক্সের সময় খুব কম পাচ্ছেন!�অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার কারনে গোপন অঙ্গ দাঁড়াচ্ছে না!তাহলে আজই যোগাযোগ করুন অরজিনাল জার্মানি হোমিও ওষুধ তারা স্থায়ীভাবে যৌন রোগের চিকিৎসা নিয়ে গোপন অঙ্গ বড় মোটা ও শক্তিশালী করুন সেই সাথে সেক্সের টাইম 30 থেকে 40 মিনিট পর্যন্ত বৃদ্ধি করুন।যৌন রোগের চিরস্থায়ী সমাধান
ডঃ মোঃ জামান খান (হোমিও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ) চর্ম ও যৌনরোগ � 01717-499374
0 notes
dmharunkhan · 4 years ago
Video
চর্ম রোগের কারণ | চর্ম রোগের চিকিৎসা | urticaria treatment | চর্ম রোগের ...
1 note · View note
bdcanvaslove · 5 years ago
Link
দাদ-হাজা-চুলকানির চোটে জেরবার? এমন রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে এই ঘরোয়া পদ্ধতি!  তবে তার আগে জেনে নেওয়া ভাল যে রিং ওয়ার্ম বা দাদ ঠিক কী জিনিস! চিকিৎসা পরিভাষায় ডার্মাটোফাইটোসিস নামে পরিচিত এই রোগ মূলত কিছু ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে। এমন রোগ সাধারণত শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে - বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন - https://bit.ly/2ItHMDZ
0 notes
ahaduzzaman-sumon · 6 years ago
Photo
Tumblr media
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আয়োজন ‘ভালো থাকুন’ বিভাগে বহু নারী নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান জানতে চেয়ে লিখেন। কিছু সমস্যার কথা নারীরা সংকোচের কারণে কাউকে বলতে পারেন না, এমনকি চিকিৎসককেও। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাঁদের তেমন কিছু বাছাই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। স্ত্রীরোগ প্রশ্ন: ইমার্জেন্সি পিল কি বারবার খাওয়া ক্ষতিকর? কপার-টি পরলে কি পরবর্তী সময়ে জরায়ু ক্যানসার হয়? উত্তর: এক মাসিক চক্রে দু-তিনবারের বেশি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া ঠিক নয়। বরং জন্মনিয়ন্ত্রণ ব��ি, কপার-টি অথবা কনডম ব্যবহার করা বেশি ভালো। কপার-টি একটি নিরাপদ পদ্ধতি, জরায়ু ক্যানসারের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রশ্ন: জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে? আমি মোটা, তাই বড়ি খেতে চাই না। তা ছাড়া পিল খেলে আমার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। কোন পদ্ধতি ভালো হয়? উত্তর: চতুর্থ প্রজন্মের পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম, ওজন বাড়ে না বললেই চলে। তবে পিলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে শুধু প্রজেস্টেরন-সমৃদ্ধ পিল, কনডম, ইনজেকশন, কপার-টি ইত্যাদির যেকোনোটি ব্যবহার করা যায়। প্রশ্ন: স্বামী বিদেশে থাকেন। বছরে দু-তিনবার আসেন। তখন সহবাসে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এটা কি অনভ্যাসের কারণে? উত্তর: অনভ্যাস একটা ছোট কারণ বটে, তবে জরায়ু বা যোনিপথে কোনো সংক্রমণ, এন্ডোমেট্রিওসিস ইত্যাদিসহ আরও কোনো লুক্কায়িত কারণ থাকতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রশ্ন: বয়স ৪৬ বছর। মাসিক অনিয়মিত। আমার কি মেনোপজ হয়ে যাচ্ছে বলে ধরে নেব? কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা দরকার এ সময়ে? উত্তর: মাসিক পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করাই ভালো। তবে ৪৫ বছরের পর সন্তানসম্ভবা হওয়ার হার খুব কম। পুরো এক বছর যদি মাসিক বন্ধ থাকে, তবে মেনোপজ হয়ে গেছে বলে ধরে নিতে হবে। সার্জারি ডা. সামিয়া মুবিন, সহযোগী অধ্যাপক, সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগ, বিএসএমএমইউ প্রশ্ন: বয়স ২২ বছর। স্তনে ছোট ছোট গুটি আছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে ফাইব্রোসিস্টিক ডিজিজ। এটা থেকে কি ক্যানসার হতে পারে? উত্তর: সাধারণত ফাইব্রোসিস্টিক ডিজিজ থেকে ক্যানসার হয় না। যদি এগুলো বড় চাকার আকার ধারণ করে এবং পরীক্ষায় অস্বাভাবিক কোষ পাওয়া গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি সামান্য হলেও থাকতে পারে। প্রশ্ন: সন্তান প্রসবের পর পাইলসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যথা করে, ছোট মাংসপিণ্ডের মতো বেরিয়ে আসে, কখনো রক্তপাতও হয়। স্থায়ী চিকিৎসা কী? উত্তর: গর্ভকালে ও সন্তান প্রসবের পর অনেক নারীরই পাইলস দেখা দেয়। চিকিৎসা নির্ভর করে এটি কোন পর্যায়ে আছে, তার ওপর। প্রশ্ন: মাঝেমধ্যে স্তন ব্যথা করে, টান টান লাগে। অন্তর্বাস পরতে পারি না তখন। এটা কি খারাপ লক্ষণ? উত্তর: স্তনে ব্যথা ও টাটানো, বিশেষ করে মাসিকের সময় বা আগে, খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা হরমোনের ওঠানামার সঙ্গে জড়িত। অতিরিক্ত রাত না জা��া, ক্যাফেইন-সমৃদ্ধ খাবার (কফি, চা, চকলেট, কোল্ড ড্রিংকস) এড়িয়ে চলা, দুশ্চিন্তা না করা, সঠিক মাপের অন্তর্বাস ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ওষুধ সেবন করতে পারেন। প্রশ্ন: আমার মা স্তন ক্যানসারে মারা গেছেন। আমার কি ঝুঁকি আছে? উত্তর: পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। নিজে প্রতি মাসে মাসিক ভালো হয়ে যাওয়ার পর দুই হাতের তালু দিয়ে নিজের দুই স্তন টিপে টিপে পরীক্ষা করবেন। কোনো অস্বাভাবিকতা, চাকা বা গোটা অনুভব করলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না। এ ছাড়া প্রতিবছর ম্যামোগ্রাফি করবেন। ত্বক ডা. আনজিরুন নাহার আসমা, সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌন বিভাগ, পপুলার মেডিকেল কলেজ প্রশ্ন: বয়স ২১ বছর। ঠোঁটের ওপর ও থুতনির নিচে হালকা লোম ছিল, যা দিন দিন বাড়ছে। থ্রেডিং করলে আবার ওঠে। এর সমাধান কী? উত্তর: মুখে অবাঞ্ছিত লোমের নানা কারণ আছে। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, কুশিং সিনড্রোম, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। আগে কারণ দূর করার চিকিৎসা করতে হবে। ওজন কমাতে হবে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক হওয়ার পর হেয়ার রিমুভালের জন্য লেজার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। প্রশ্ন: বয়স ১৬ বছর। মুখে প্রচুর ব্রণ বা পিম্পল হয়। এর কি কোনো সমাধান নেই? উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে ব্রন হওয়া স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত ব্রন হওয়ার পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে। খুব বেশি হলে কিছু মলম বা ওষুধের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রশ্ন: সন্তান হওয়ার পর থেকে প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ছে। ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেলে কি চুল পড়া কমবে? উত্তর: সন্তান হওয়ার পর হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। আয়রন, জিংক, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। থাইরয়েড, খুশকি বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না দেখে নিলে ভালো। প্রশ্ন: তলপেটে প্রেগ��্যান্সির সাদা দাগ ওঠানোর কোনো উপায় আছে কি? উত্তর: প্রেগন্যান্সির দাগ পুরোপুরি ওঠানোর তেমন কার্যকর উপায় নেই। কিছু ক্রিম ব্যবহার করা যায়, যা ৩০ শতাংশের মতো কাজ করে। বর্তমানে কিছু আধুনিক পদ্ধতি, যেমন লেজার, মাইক্রোনিডলিং বা ডারমারোলার মাধ্যমে ওঠানোর চেষ্টা করা হয়, কিন্তু শতভাগ সফলতা নেই। হরমোন ও ডায়াবেটিস ডা. তানজিনা হোসেন সহকারী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ প্রশ্ন: বয়স ২৬। ১৭ বছর বয়স থেকে হাইপোথাইরয়েড ও থাইরক্সিন নিয়মিত খাই। সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে। শুনেছি থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সন্তান বিকলাঙ্গ হয়। আ���ি কি সন্তান নিতে পারব? উত্তর: নিয়মিত ��ষুধ খেয়ে রক্তে থাইরয়েড হরমোন নিরাপদ মাত্রায় রাখতে পারলে এবং গর্ভকালে নিয়মিত মনিটরিংয়ে থাকলে নিশ্চিন্তে সন্তান নিতে পারবেন। প্রশ্ন: গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছিল এবং ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়েছিল। সন্তান হওয়ার পর স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আবার কি ডায়াবেটিস হতে পারে? উত্তর: বেশির ভাগ গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সন্তান প্রসবের পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে সন্তান জন্মের ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে আরেকবার ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া দরকার যে রক্তে শর্করা পুরোপুরি স্বাভাবিক নাকি প্রি-ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিস পর্যায়ে আছে। যদি স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে, তবে প্রতি এক থেকে তিন বছর পরপর ওই টেস্ট করা প্রয়োজন। প্রশ্ন: বয়স ৪৭। জরায়ু ফেলে দেওয়া হয়েছে দেড় বছর আগে। প্রচণ্ড গরম লাগে, ঘাম হয়, হট ফ্লাশে কষ্ট পাই। আমি কি হরমোন থেরাপি নিতে পারব? উত্তর: হট ফ্লাশ বেশি হলে কিছুদিন হরমোন থেরাপি নিতে পারেন। রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি, হৃদ্‌রোগ, পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস বা রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকলে হরমোন থেরাপি বিপজ্জনক। তবে সিনথেটিক ইস্ট্রোজেন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর হরমোন নিন। প্রশ্ন: ডায়াবেটিস হলে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করা যাবে? উত্তর: জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবনে বাধা নেই। কিছু বড়ি ওজন ও রক্তে চর্বি বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস রোগীর হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই যেসব বড়িতে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম, সেগুলো খাওয়া ভালো। সাবেক বিভাগীয় প্রধান, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ http://bit.ly/2IXrmqd
0 notes
dhaka18 · 5 years ago
Text
চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞাত চর্মরোগে আক্রান্ত শতাধিক নারী-পুরুষ
চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞাত চর্মরোগে আক্রান্ত শতাধিক নারী-পুরুষ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের দুটি গ্রামে অজ্ঞাত চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছেন শতাধিক নারী-পুরুষ। চিকিৎসকের কাছে গিয়েও মিলছে না প্রতিকার।
ফলে, আতঙ্কিত আশ-পাশের কয়েক গ্রামের মানুষ। রোগীদের সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের রতিরামপুর ও রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে এ রোগের প্রাদুভার্ব দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, দু’টি গ্রামে…
View On WordPress
0 notes
Text
শ্বেতী রোগ হলে কী করবেন? – আগাম বার্তা নিউজ
শ্বেতী রোগ হলে কী করবেন? – আগাম বার্তা নিউজ
যে সকল চর্ম রোগের সঙ্গে আমরা পরিচিত তার মধ্যে শ্বেতী রোগ অন্যতম। রোগটির সঙ্গে কমবেশি আমরা সকলেই পরিচিত।
ছোঁয়াচে রোগ না হলেও যে কেউ যেকোন সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। রোগটি মরণব্যাধি কিংবা ঘাতক নয়, তবে একবার শরীরে বাসা বাধলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া দুস্কর।
একবার এ রোগ হলে দ্রুত তা শরীরের অন���য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিকার পাওয়ার খুব একটা উপায়ও থাকেনা। তবে, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার ফলে অনেকটা…
View On WordPress
0 notes
alimdyusuf37-blog · 6 years ago
Text
দারুন সুখবর নবজীবন হারবাল নিয়ে আসছে আপনাদের জন্য এক দারুন সুখবর
দারুন সুখবর নবজীবন হারবাল নিয়ে আসছে আপনাদের জন্য এক দারুন সুখবর
বাংলাদেশে এই প্রথম কুরিয়ার র্সাভীস এর মাধ্যমে  দেশে - বিদেশে ঔষধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
আপনাদের জীবনের যে কোন সমস্যার জন্য আমাদের হারবাল ঔষধ গ্রহন করতে পারেন। যেমন : যৌন সমস্যা চর্ম রোগ সহ নারী ও পুরুষের সকল রোগের সু চিকিৎসা করা হয়।
স্বাস্থ স��েতনতায় হারবাল ঔষধ এখন আপনার পাশে যে কোন রোগের সঠিক সমাধান ও ঔষধ পেতে আমাদের পেজের সাথে থাকুন এবং ফ্রী তে আমাদের হারবাল ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ রাখুন।
https://www.facebook.com/BDNewLifeHerbal
এবং যে কোন ঔষধ তৈরী করা এবং ব্যবহার জানতে আমাদের ইউটিউব এ চোখ রাখুন।
https://www.youtube.com/channel/UC5LUNvPMZIUO2aw24vTM--g?sub_confirmation=1
যোগায্গে : ডাক্তার ইসুপ আলী
ঝিনাইদহ ,পাগলা কানাই মোড়
যোগাযোগ :01712-813045 (IMO)
0 notes
naturalayurvedaltd · 7 years ago
Text
যৌন সংক্রামক রোগ সিফিলিস থেকে সাবধান
আমেরিকা আবিষ্কার��র পর (১৪৯২) কলম্বাসের নাবিকদের মাধ্যমে সিফিলিস রোগটি ইউরোপে আসে বলে জানা যায়।
সংক্রমিত নাবিকেরা নেপলস অবরোধে অংশ নেয়ার সময় (১৪৯৫) ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মার্সিনারিদের সাথে একত্রে থাকে। সৈনিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সারা ইউরোপে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে- ষোল শতকের মাঝামাঝি রোগটি জাপানে পৌঁছে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সিফিলিসের প্রাদুর্ভাব নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। বাংলাদেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, শহর এলাকায় রোগটা সচরাচর বেশি পরিলক্ষিত হয়। বন্দর নগরীতে এবং শিল্প এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ বেশি।
সিফিলিস রোগটি সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, নামটি এসেছে ফ্রাক্যাসটেরো নামক একজন চিকিৎসক, জ্যোতির্বিদ ও কবির (১৪৮৩-১৫৫৩) লেখা একটি কবিতা থেকে। কবিতার নায়কের নাম ছিল সিফিলাস, সে একজন মেষ পালক ছিল। ঈশ্বর ও ধর্ম নিন্দা করার জন্য তাকে একটি নতুন রোগ দিয়ে শাস্তি দেয়া হয়। সেই রোগের নামই হয়ে যায় সিফিলিস।
ট্রেপোনেমা প্যালিডাম নামক জীবাণুর সংক্রমণে সিফিলিস রোগ ঘটে। জীবাণুটি ১৯০৫ সালে আবিষ্কার করেন প্রাণিবিজ্ঞানী এফ শাওডিন এবং চর্ম বিশেষজ্ঞ ই হফম্যান। শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আগে রোগটি ধরা পড়লে সহজে চিকিৎসা করা যায়।
সংক্রমণের উৎস: আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, লালা, বীর্য, যোনি থেকে নিঃসৃত রস ও রক্তে সংক্রমণ ঘটায়।
যেভাবে রোগটি ছড়ায়:
আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌন সঙ্গম করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে পায়ুপথে সঙ্গম কিংবা মুখ মৈথুন করলে অথবা চুম্বন বিনিময় করলে। রক্তসঞ্চালন কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে। গর্ভাবস্থায় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে সন্তানের মধ্যে।
প্রাথমিক গোটা: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সিফিলিস আক্রান্ত পুরুষের লিঙ্গমুণ্ডুতে কিংবা লিঙ্গমুণ্ডুর ত্বকে গোটা ওঠে, নারীর ক্ষেত্রে গোটা ওঠে যোনির ঠোঁট কিংবা ক্লাইটরিসে।
গোটাটি প্রথমে একটি ছোট লাল দানার মতো শুরু হয়, তার পর তা ভেজা ও ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। গোড়ার দিকে তা বোতামের মতো শক্ত অনুভূত হয়। এটা দেখতে খুব ছোট কিংবা আঙুলের নখের মতো হতে পারে।
অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে চিকিৎসা অর্থহীন, কারণ জীবাণু শরীরের গভীরে প্রবেশ করে।
রোগের উপসর্গ
সিফিলিসের প্রাথমিক স্তর:
��রীরে জীবাণু প্রবেশের সাধারণত ১০ থেকে ৪০ দিন পর সরাসরি সংক্রমিত স্থানে ব্যথাহীন গোটা ওঠে। যৌনাঙ্গ ছাড়াও এই গোটা মলদ্বার, ঠোঁট কিংবা স্তনের বোঁটাতে হতে পারে। কাছাকাছি গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠতে পারে। চার থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে গোটা চলে যায়। প্রথম স্তরে রোগ সারানো খুব সহজ হয়।
সিফিলিসের দ্বিতীয় স্তর:
>সংক্রমণের ছয় সপ্তাহ থেকে তিন মাস পর সব শরীরে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। >মাথার চুল পড়ে। >মাথা ব্যথা, >সামান্য জ্বর এবং গ্রন্থিগুলো ফোলা হতে পারে। >আক্রান্ত ব্যক্তি তীব্রভাবে সংক্রমিত হয়, >তার মুখের ত্বক যদি ছিঁড়ে যায় তাহলে চুমুর মাধ্যমে রোগ ছড়াতে পারে।
>প্রায় এক বছরের মধ্যে রোগের চিহ্নগুলো মিলিয়ে যায়।
সিফিলিসের শেষ স্তর:
>স্থিরতার কাল থেকে ৩০ বছর পর (সুপ্ত স্তর) রোগটি শরীরের যেকোনো অংশকে আক্রমণ করতে পারে। সাধারণত হৃৎপিণ্ড, রক্তনা��ী, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুরুজ্জু আক্রান্ত হয়।
>অন্যান্য প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মুখে ঘা, ত্বক, হাড় ও লিগামেন্টের ক্ষয়। বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অন্ধ হয়ে যাওয়া, অঙ্গ অসাড়, উন্মাদনা এবং মৃত্যু।
>শারীরিক ক্ষতি পূরণ করা যায় না।
জন্মগত সিফিলিস:
>গর্ভাবস্থায় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে গর্ভফুলের মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশু সিফিলিসে আক্রান্ত হতে পারে।
>এ ধরনের এক-তৃতীয়াংশেরই গর্ভপাত হয় কিংবা মৃত সন্তান প্রসব ঘটে।
>প্রাথমিক গর্ভাবস্থায় মায়ের চিকিৎসা করালে শিশু রক্ষা পায়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা : সেরোলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে সিফিলিসের জীবাণু ধরা পড়ে। সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার চার সপ্তাহ থেকে সেরোলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো পজিটিভ হয়। মাঝে মধ্যে ভ্রান্তিমূলক পজিটিভ হতে পারে। ভিডিআরএল এবং আরপিআর পরীক্ষা অন্য সংক্রমণ কানেকটিভ ইস্যুর অসুখে পজিটিভ হয়।
ফলাফল বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায়। যদি সিফিলিস সন্দেহ করা হয় তাহলে লাইপয়ডাল অ্যান্টিজেন এবং বিশেষ পরীক্ষাগুলো একত্রে করা হয়। সুপ্তস্তরে স্নায়ুজনিত অসুস্থতা পৃথক কিংবা নিশ্চিত করার জন্য সিএসএফ পরীক্ষা করা হয়।
Continue reading যৌন সংক্রামক রোগ সিফিলিস থেকে সাবধান at Natural Ayurveda LTD.
from যৌন সংক্রামক রোগ সিফিলিস থেকে সাবধান
0 notes
dmharunkhan · 4 years ago
Video
লিভার রোগের লক্ষণ | লিভার রোগের চিকিৎসা | liver disease treatment | live...
1 note · View note
bdcanvaslove · 5 years ago
Text
দাদ বা দাউদ চর্ম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা | আপাং গাছের উপকারিতা | বাংলা স্বাস্থ্য টিপস | Bangla Health Tips | BD Canvas
দাদ-হাজা-চুলকানির চোটে জেরবার? এমন রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে এই ঘরোয়া পদ্ধতি!  তবে তার আগে জেনে নেওয়া ভাল যে রিং ওয়ার্ম বা দাদ ঠিক কী জিনিস! চিকিৎসা পরিভাষায় ডার্মাটোফাইটোসিস নামে পরিচিত এই রোগ মূলত কিছু ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে। এমন রোগ সাধারণত শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে - বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন - দাদ বা দাউদ চর্ম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা | আপাং গাছের উপকারিতা
0 notes
paathok · 7 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/34020
থাইরয়েড হরমোনের রোগ
Tumblr media
শরীরের অন্যতম প্রধান নালিবিহীন গ্রন্থি তথা এন্ডোক্রাইন গ্লান্ড হচ্ছে থাইরয়েড গ্রন্থি যা সাধারণত গলার সামনের অংশে অবস্থিত । স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক লোকের থাইরয়েড গ্লান্ড শরীরের প্রধান বিপাকীয় হরমোন তৈরিকারী গ্লান্ড। থাইরয়েড গ্লান্ড থেকে নিঃসৃত প্রধান হরমোনগুলো হচ্ছে ঞ৩ ও  ঞ৪ । থাইরয়েড হরমোনের অন্যতম কাজ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন কোষে, কলায় শর্করা এবং স্নেহজাতীয় খাদ্যের তৈরি বাড়িয়ে দেওয়া। এসব ক্রিয়ার ফলাফল হচ্ছে শরীরের বিপাকীয় হার বা বি এম আর বাড়ানো। থাইরয়েড হরমোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে স্নায়ুর পরিপক্বতা। এজন্য গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতায় গর্ভের বাচ্চা বোকা হয় এবং বুদ্ধিদীপ্ত হয় না। বিভিন্ন উদ্দীপনা যেমন, যৌবনপ্রাপ্তি, গর্ভাবস্থা, শরীরবৃত্তীয় কোনো চাপ ইত্যাদি কারণে থাইরয়েড গ্লান্ডের আকারগত বা কার্যকারিতায় পরিবর্তন হতে পারে।
থাইরয়েড গ্রন্থির রোগগুলোকে মোটামুটি পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়:
ক) থাইরয়েড গ্লান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতা বা হাইপারথাইরয়েডিজম খ) থাইরয়েড গ্লান্ডের কম কার্যকারিতা বা হাইপোথায়রয়েডিজম গ) গলগণ্ড রোগ বা ঘ্যাগ ঘ) থাইরয়েড গ্লান্ডের প্রদাহ বা থাইরয়েডাইটিস ঙ) থাইরয়েড গ্লান্ডের ক্যান্সার
হাইপারথাইরয়েডিজমের কারণ
(ক) গ্রেভস ডিজিজ (এক ধরনের অটোইমিউন প্রসেস); (খ) মাল্টিনডিউলার গয়টার; (গ) অটোনমাসলি ফ্যাংশনিং ছলিটারি থাইরয়েড নডিউল (ঘ) থাইরয়েডাইটিজ (ঙ) থাইরয়েড গ্লান্ড ছাড়া অন্য কোনো উৎসের কারণে থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য (চ) টিএসএইচ ইনডিউজ (ছ) থাইরয়েড ক্যান্সার (প্রধানত ফলিকুলার ক্যান্সার)।
লক্ষণ
ক)    গয়টার যা সমস্ত গ্লান্ডে ছড়ানো সমভাবে বিস্তৃত (উরভঁংব মড়রঃবৎ) গোটা আকৃতির ডিফিউজ এবং গোটা গোটা আকৃতিবিশিষ্ট গয়টার (ঘড়ফঁষধৎ মড়রঃবৎ) যাতে স্টেথোস্কোপ দিয়ে বিশেষ ধরনের শব্দ (ইৎঁরঃ) শোনা যেতেও পারে বা নাও যেতে পারে।
খ) পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা : খাওয়ার রুচি স্বাভাবিক বা বেড়ে যাওয়ার পরও ওজন কমে যাওয়া, ঘন ঘন পায়খানা হওয়া, খাওয়ার অরুচি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
গ) হার্ট ও ফুসফুসীয় সমস্যা : বুক ধড়ফড় ,    হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া,    অ্যাট্রিয়ার ফিব্রিলেশন , হার্ট ফেইলিওর, এনজাইনা বা বুক ব্যথা।
ঘ) স্নায়ু ও মাংসপেশির সমস্যা: অবসন্নতা বা নার্ভাসনেস, উত্তেজনা, আবেগ প্রবণতা, সাইকোসিস বা মানসিক বিষাদগ্রস্থতা; হাত পা কাঁপা, মাংসপেশি ও চক্ষুপেশির দুর্বলতা, রিফ্লেক্স বেড়ে যাওয়া (এক ধরনের স্নায়ু রোগের পরীক্ষা)।
ঙ) ত্বকের সমস্যা: ঘাম বেড়ে যাওয়া, চুলকানি, হাতের তালু লাল হওয়া, শ্বেতী, আঙ্গুলের ক্লাবিং (হাতের আঙ্গুলগুলোর মাথা ড্রাম স্টিকের মতো হয়ে যায়), প্রিটিভিয়াল মিক্সিডিমা  অর্থাৎ পায়ের সামনের অংশ হতে পাতা পর্যন্ত ত্বক মোটা বা নডিউলার গোলাপী বা বাদাম বর্ণের হয়।
চ) প্রজননতন্ত্রের সমস্যা: অল্পরজস্রাব বা মাসিক বন্ধ হওয়া, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নষ্ট হওয়া,  যৌনক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।
ছ) চোখের সমস্যা: এক্সোপথালমোস  অর্থাৎ চক্ষুগোলক বড় হয়ে সামনের দিকে বের হওয়া, লিড রিট্রেকশন, লিড ল্যাগ বা চোখের পাতা পেছনে চলে যায়, চোখ লাল হওয়া, পানি পড়া, চোখের কর্নিয়ায় ঘা হওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া অর্থাৎ কোনো জিনিস দুটি দেখা।
জ) অন্যান্য সমস্যা: গরম সহ্য করতে না পারা, অবসন্নতা, দুর্��লতা, লিম্ফএডিনোপ্যাথি বা লসিকাগ্রন্থিসমূহ বড় হওয়া, অস্থিক্ষয় হওয়া।
হাইপোথাইরয়েডিজম
লক্ষণ :
ক) সাধারণ লক্ষণসমূহ: ১) অবসাদগ্রস্ততা, ঘুম ঘুমভাব; ২) ওজন বৃদ্ধি; ৩) ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পারা; ৪) গলার স্বরের কোমলতা কমে যাওয়া এবং অনেকটা ভারী বা কর্কশ শোনানো। ৫) গলগণ্ড নিয়ে প্রকাশ করতে পারে।
খ) হার্ট ও ফুসফুসীর সমস্যা: ১) হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা অনুভব করা অথবা হার্ট ফেইলর  হতে পারে। ২) হৃদযন্ত্রের আবরণে  অথবা ফুসফুসের আবরণে পানি জমা।
গ) স্নায়ু ও মাংসপেশীর সমস্যা: ১) মাংসপেশীতে ব্যথা বা শক্ত চাপ অনুভব করা; ২) স্নায়ু ও মাংসপেশী নির্ভর রিফ্লেক্স  কমে যাওয়া; ৩) বধিরও হতে পারে; ৪) বিষণœতা ও মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা; ৫) মাংসপেশীর টান কমে যাওয়া।
ঘ) চর্ম বা ত্বকের সমস্যা: ১) শুষ্ক, খসখসে ও ব্যাঙের ত্বকের মতো হয়ে যাওয়া; ২) ভিটিলিগো  নামক এক ধরনের শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হওয়া; ৩) চর্মে মিক্সিডিমা নামক এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া।
ঙ) প্রজননতন্ত্রে সমস্যা: ১) মাসিকের সময় বেশি রক্তপাত হওয়া; ২) বাচ্চা হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হওয়া ৩) প্রজননে অক্ষমতা ।
চ) পরিপপাকতন্ত্রের সমস্যা: ১) পায়খানা শক্ত হওয়া ; ২) পেটে পানি জমতে পারে ।
হাইপোথাইরয়েডিজম হলে শিশুদের বেলায় অবর্ধনজনিত রোগ বা ক্রিটিনিজম হবে এবং উঠতি বয়স্কদের বা প্রাপ্তবয়স্কদের মিক্সিডিমা হয়। ক্রিটিনিজমের ল���্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেকযোগ্য হলো মাংসপেশি ও হাড় এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বর্ধন না হওয়া। এর ফলে শিশু বেঁটে হয়, বোকা বা বুদ্ধিহীন হয়ে থাকে। জিহ্বা বড় হবে ও মুখ থেকে বেরিয়ে আসে এবং নাভির হার্নিয়া হয়। হাইপোথাইরয়েডিজম হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে অটোইমিউন ধ্বংসপ্রাপ্ত, ওষুধ, টিএসএইচ স্বল্পতা, গর্ভাবস্থায় মায়ের থাইরয়েড হরমোন স্বল্পতা ইত্যাদি।
থাইরয়েড গ্লান্ডের প্রদাহ
থাইরয়েডাইটিস বা থাইরয়েড গ্লান্ডের প্রদাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অটোইমিউন বা হাশিমোটোস থাইরয়ডাইটিস, সাব একুইট বা গ্রানুলোমেটাস থাইরয়ডাইটিস, সাব একুইট লিম্ফোসাইটিক বা ব্যথাবিহীন থাইরয়ডাইটিস। এসব প্রদাহ সাধারণত ক্রনিক এবং এর ফলে থাইরয়েড গ্লান্ড বড় হয়ে যায় এবং  থাইরয়েড গ্লান্ডের কোষ ও কলা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এর সঙ্গে হাইপার বা হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
গলগণ্ড গলগণ্ড বা ঘ্যাগ বা গয়টার থাইরয়েড গ্লান্ড বড় হওয়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত আয়োডিনের ঘাটতির কারণে এ রোগ হয়। এটা স্বাভাবিক একক গোটাকৃতি অনেক গোটার সমন্বয়কৃত হতে পারে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো মাল্টিনডুলার গয়টার থেকে পরে ক্যান্সার হতে পারে। এছাড়া ঘ্যাগ হলে বিশেষত মেয়েদের শ্রীবৃদ্ধি বা কসমেটিক সমস্যা হতে পারে। যদিও বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী আয়োডাইজড লবণ খাওয়ার প্রবণতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তথাপি এখনো ��িশ্বের বহু অনুন্নত, স্বল্পন্নোত দেশে ঘ্যাগের প্রকোপ অনেক বেশি। বাংলাদেশের কতগুলো স্থান যেমন- উত্তরবঙ্গ এবং পাহাড়ি এলাকায় ঘ্যাগ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
থাইরয়েড থাইরয়েডের ক্যান্সারের মধ্যে সবচেয়ে প্রধান ক্যান্সার হলো প্যাপিলারি কার্সিনোমা । এটা বিশেষত ৪০ বছরের নিচের মেয়েদের বেশি হয়। এ ছাড়া ফলিকুলার  ক্যান্সার, মেডুলারি ক্যান্সার এবং এনাপ্লাস্টিক ক্যান্সার হতে পারে। তবে এগুলোর প্রকোপ প্যাপিলারি থেকে অনেক কম। প্যাপিলারি ক্যান্সার রোগ নির্ণয় হলে রোগী সঠিক চিকিৎসা যেমন- সার্জারি ও ওষুধ সহযোগে বহুদিন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে ও বাঁচতে পারে। থাইরয়েড ক্যান্সার হওয়ার কারণসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বংশগত, জেনেটিক মিউটেশন, রেডিয়েশন, মাল্টিনডুলার গয়টার এবং হাশিমোটাস থাইরয়ডাইটিস।
থাইরয়েড নডুলের গুরুত্ব রোগী থাইরয়েড নডুল বা থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ে এলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটা ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ (ক্যান্সার) কোনো রোগ না, অন্য কোনো বেনাইন বা চিকিৎসাযোগ্য রোগ-তা আলাদা করা। তবে আশার কথা, বেশির ভাগ থাইরয়েড নডুলই বেনাইন বা ভালো চিকিৎসাযোগ্য কোনো রোগের কারণে সৃষ্ট এবং স্বাভাবিকভাবে থাইরয়েড গ্রন্থের বেনাইন ও ক্যান্সারের আনুপাতিক হার হলো ১০:১। তবে যেকোনো থাইরয়েড নডুল হলে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
১) একটি নডুল হলে তা ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ কোনো রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যদি অনেক নডুল বা মাল্টিনডুলার হয় তাহলে বেনাইন বা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২) অল্পবয়সীদের নতুন তৈরি হলে তা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা নির্দেশ করে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়।
৩) পুরুষদের নডুল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি মহিলাদের নডুলের তুলনায়।
৪) অতীতে কোনো রেডিয়েশন নেওয়ার ইতিহাস থাকলে ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি নির্দেশ করে।
৫) রেডিও-আয়োডিন আপটেক টেস্ট করলে যেসব নডুল বেশি আপটেক করে (যাকে হট নডুল বলে), সেগুলো সাধারণত বেনাইন বা ভালো নডুল হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু যে নডুল কম বা কোনো আপটেক করে না (যাকে কোল্ড নডুল বলে) এগুলো ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি হয়।
৬) মাল্টিনডুলার গয়টার বহুদিন ধরে থাকলে এবং চিকিৎসা না করলে পরে ম্যালিগন্যান্ট খারাপ হতে পারে। থাইরয়েড সমস্যা যদিও খুব সাধারণ তবুও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। মনে রাখা দরকার থাইরয়েড হরমোনের অভাবে শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি হয় না এবং এজন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া ও রেডিয়েশন থেকে মুক্ত থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মেয়েদের থাইরয়েড সমস্যা বেশি হওয়ার কারণ থাইরয়েড অসুখ মহিলাদের বেশি হয় ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে, পুরুষের তুলনায় যা প্রায় ৭-৮ গুণ। গবেষণায় দেখা যায়, মহিলাদের রক্তে এ সময় অ্যান্টি থাইরয়েড অ্যান্টিবডি বেড়ে যায়। যা থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। বিভিন্ন অটোইমউন ডিজিজ যেমন রিউমাটয়েড আর্থাইটিস, হাসিমোটোস ডিজিজ, লুপাস ডায়াবেটিস এগুলো জেনেটিক ��ারণে মহিলাদের বেশি হয়। থাইরয়েডের অসুখও একই কারণে হয় বলে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন। ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন স্ত্রী হরমোনেরও কিন্তু ভূমিকা আছে এ ব্যাপারে।
রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ক) রক্তে হরমোনের উপস্থিতি কম বেশি বুঝতে থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করাতে হয়।
খ) তেজস্ক্রিয় আয়োডিন ১৩১ রোগীকে খাইয়ে বা ইনজেকশন করে দেখা হয় থাইরয়েড গ্রন্থি কি পরিমাণে তা গ্রহণ করেছে। গ) টেকনিশিয়ান ৯৯  রোগীর শরীরে ইনজেকশন করার পর ক্যামেরায় থাইরয়েডের স্ক্যান করা হয়। ঘ) সুঁচ ফুটিয়ে থাইরয়েড গ্লান্ড থেকে রস সংগ্রহ করে তার মধ্যে কি ধরনের কোষ রয়েছে তা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে খুঁজে দেখা হয়।
চিকিৎসা যথাসময়ে যথাযথ রোগ নির্ণয় ও সময়োপযোগী সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে থাইরয়েডের রোগ হতে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ সম্ভব। সাধারণ গয়টার বা গলগণ্ড সাধারণত আয়োডিনের অভাবে হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হলো দৈনন্দিন খাবারের সাথে বেশি পরিমাণে আয়োডিনযুক্ত খাদ্য (শাকসবজি, ফলমূল এবং সামুদ্রিক মাছ) এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ (আয়োডাইজড সল্ট) খাওয়া। এছাড়া বাজারে বিক্রয়কৃত সাধারণ আয়োডিন ক্যাপসুলও সেবন করা যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম- এ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে তা না হলে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি কমে যায়। থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ বেড়ে গেলে অর্থাৎ হাইপারথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে এন্টিথাইরয়েড এজেন্ট নিউমারকাজল ট্যাবলেট সঙ্গে প্রপানলজাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। উপরোক্ত ওষুধে কাজ না হলে রেডিও আয়োডিন থেরাপি গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে বলে রাখা বাঞ্চনীয়,  সিম্পল গয়টার, টক্সিক গয়টার, নিউপ্লাস্টিক গয়টার, ইনফÍামেটরি গয়টার ইত্যাদি নানা শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। তন্মধ্যে মাল্টিনডুলার টক্সিক গয়টার এর ক্ষেত্রে সরাসরি রেডিও আয়োডিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। সাধারণত কম বয়সীদের ক্ষেত্রে (৪০ এর নিচে) খুব বেশি প্রয়োজন না হলে রেডিও আয়োডিন থেরাপি গ্রহণ না করাই ভালো। প্রসূতি এবং দুগ্ধদাত্রী মায়েদের ক্ষেত্রে রেডিও আয়োডিন থেরাপি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে খুব জরুরি প্রয়োজনে অল্প ডোজে এন্টিথাইরয়েড এজেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিজমের সাথে এক্সোপথালমোস থাকলে ভাইরুটিক্স ১% মিথাইল সেলুলোজ দ্রবণ এবং প্রটেকটিভ গ্লাস ব্যবহার করা প্রয়োজন। হাইপো বা হাইপার থাইরয়েডের সাথে বড় গয়টার (গলগণ্ড) থাকলে কসমেটিক কারণে অপারেশন করে ফেলা ভালো।
কম হরমোনের চিকিৎসা রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্ন। তবে অধিকাংশ রোগীই ভোগেন হাইপোথারিয়েডিজম অর্থাৎ তাদের থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে কম পরিমাণ থাইরয়েড হরমোন থাইরক্সিন নিঃসৃত হয়। এই ঘাটতি পূরণ করার ��ন্য ডাক্তাররা তাদের থাইরক্সিন ট্যাবলেট খাবার পরামর্শ দেন। প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীকে ১০০ থেকে ২০০ মাইক্রোগ্রাম থাইরক্সিন দেওয়া হয়।
ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সারাজীবন ওষুধ খেতে হবে কি-না তা রোগের ধরনের ওপর নির্ভরশীল। যার থাইরক্সিন ঘাটতি সামান্য, উপসর্গও কম তার সারাজীবন ওষুধ খাবার প্রশ্নই ওঠে না। ৬ মাস- ২ বছরেই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। অনেক ওষুধ ছাড়াও সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু যার একেবারেই থাইরক্সিন নিঃসরণ হয় না বা কোনো কারণে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডটাকেই কেটে বাদ দিতে হয়েছে তাদের সারাজীবন ওষুধ না খেয়ে উপায় নেই।
ওষুধ খাওয়া হঠাৎ বন্ধ করা সম্পর্কিত বিষয় ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যেতে পারে। তবে নিজের ইচ্ছায় ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে অল্পদিনের মধ্যেই রোগটা ভয়ঙ্করভাবে ফিরে আসবে। জীবন সংশয় হতে পারে।
ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ওষুধের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ শরীরে স্বাভাবিকভাবে যেটুকু থাইরক্সিন হরমোন থাকা দরকার সেটি নেই বলেই তো বাইরে থেকে তা গ্রহণ করতে হয়। এক কথায় ঘাটতি পূরণ। সারাজীবন খেলেও কোনো অসুবিধা হয় না।
রক্ত পরীক্ষা চিকিৎসা চলাকালীন বছরে অন্তত একবার রক্তে থাইরক্সিন বা ঞ৪ এবং ঞঝঐ পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
চিকিৎসা চলাকালীন ঋতুস্রাব অনিয়ম সম্পর্কিত বিষয় থাইরক্সিন হরমোন সাধারণত শরীরের অন্য হরমোনের ওপর কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। কাজেই ঋতুস্রাবে এজন্য অনিয়মিত হবার কথা নয়। সুস্থতা ঠিকমতো চিকিৎসা চালালে শতকরা একশ জনই সুস্ততা পেতে পারেন। মায়েরা সন্তানকে স্তন পান করাতে পারেন। কারণ মায়ের দুধে এতো কম পরিমাণ হরমোন নিঃসরণ হয় যা শিশুর সামান্যতম ক্ষতিও করতে পারে না।
থাইরয়েড ক্যান্সারে করণীয় থাইরয়েড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রথমত প্রয়োজন অপারেশন করে থাইরয়েড গ্রন্থি ফেলে দেয়অ (ঘবধৎ ঃড়ঃধষ ঃযুৎড়রফবপঃড়সু) এবং আশপাশের লিম্ফ নডুল বড় থাকলে সেটিও অপারেশন করে ফেলে দেয়া। তারপর রেডিও আয়োডিন থেরাপি গ্রহণ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর রেডিও আইসোটোপ স্ক্যান করে দেখা প্রয়োজন পুনরায় ক্যান্সার হলো কিনা বা অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়ল কিনা।
গর্ভকালীন থাইরয়েডের সমস্যা থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখে আক্রান্ত মহিলা যদি ঠিকভাবে চিকিৎসাধীন থাকেন তা হলে তাঁর গর্ভাবস্থা সামাল দেয়া কঠিন নয়- আমঙ্কাজনকও বলা যায় না। হাইপোথাইরয়েডিজম যে মহিলার আছে তাঁদের চিকিৎসা করা হয় থাইরক্সিন দিয়ে। চিকিৎসাধীন মহিলার সাধারণত বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হয় না বা তাঁদের সদ্যোাজাত শিশুরও জন্মগত অস্বাভাবিকত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণের ভয় থাকে না। গর্ভবতী মহিলার হাইপোথাইরয়েডিজম যদি চিকিৎসা না করা হয় বা ধরা না পড়ে তা হলে সন্তান ধারনে অক্ষমতা আসতে পারে। তাছাড়া অকাল গর্ভপাতও হয়ে যেতে পারে। হাইপার থাইরয়েডিজমের চিকিৎসা করা হয় সাধারণত ��ারবিমাজোলজাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে। এই ওষুধ গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করে না, কিন্তু এটি প্ল্যাসেন্ট বা ফুল অতিক্রম করে শিশুটির মরীরে অস্থায়ী হাইপোথাইরয়েডিজম সৃষ্টি করতে পারে। শিশুটির ক্ষেত্রে এ জন্য অনেক সময় আলাদা চিকিৎসা দরকার হয় না- চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়।
গর্ভবতী মা যদি থাইরয়েডজনিত রোগে আক্রান্ত হয়, তা হলে সে সময় তাঁর ওষুধের মাত্রার কিছু পরিবর্তন দরকার পড়ে এবং থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতার পরীক্ষা প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার করে দেখা বিশেষ জরুরি।
একটি শিশু বাবা বা মা উভয়ের কাছ থেকেই থাইরয়েডের অসুখ সন্মসূত্রে পেতে পারে। ছেলেদের থেকে মেয়েরাই এই রোগ জন্মসূত্রে পায় এবং পরবর্তী প্রজন্মে বর্তানোর প্রবণতাও মেয়েদেরই বেশি। সাধারণভাবে গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড গ্রন্থির আকার বৃদ্ধি পায়। এই বৃদ্ধির ওপর নজর রেখে অর্থাৎ কতটা বাড়ছে তা পরীক্ষা করে থাইরয়েড গ্রন্থির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার।
অনেক সময় গর্ভাবস্থার উপসর্গগুলি থাইরয়েডজনিত উপসর্গগুলিকে ঢেকে দেয়। যেমন- অনেক মহিলাই গর্ভবতী অবস্থায় ক্লান্ত বোধ করেন। এ উপসর্গ কিন্তু হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণেও হতে পারে। আবার অনেক সময় সন্তান সম্ভবা মায়ের গরমে একটা হাঁসফাঁসানির অবস্থা হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এগুলোও কিন্তু হাইপার-থাইরয়েডিজমের উপসর্গ হওয়া সম্ভব। মায়ের হাইপোথাইরয়েডিজম পর্যাপ্ত চিকিৎসা পেলে মায়ের বা সন্তানের কোনও ঝুঁকি থাকার কথা নয়, স্বাভাবিক গতিতেই গর্ভাবস্থা চলতে দেয়া যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, মায়ের হাইপারথাইরয়েডিজম আয়ত্তের বাইরে চলে যাবার উপক্রম হয়, সে ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ মাসের মধ্যে থাইরয়েড গ্রন্থির অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। ডেলিভারির সময় শিশুটির থাইরয়েড স্বাভাবিক, অতিমাত্রায় কার্যকর বা অল্প কার্যকরী এই তিনটির যে কোনো একটি হতে পারে। সেসব ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ শিশুটির চিকিৎসকা শুরু করা হয়। এ কারণে বলা হয়, থাইরয়েডে আক্রান্ত মায়ের ডেলিভারি অবশ্যই কোনো বড় হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠানে হওয়া উচিত যেখানে মা ও শিশুর আধুনিক চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা আছে।
হাইপারথাইরয়েডিজমের চিকিৎসাধীন মা অবশ্যই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াবেন। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সর্বদাই মাথায় রাখেন যে ওষুধের সামান্য অংশ বুকের দুধের মধ্য দিয়ে বের হয় কাজেই শিশুটিকে বিশেষভাবে নজরে রাখতে হয়। যদি কোনো ভাবে তার মধ্যে থাইরয়েডের অসুখের সামান্যতম চিহ্নও দেখা যায় তার যথাযথ চিকিৎসা দরকার। যেসব মাকে এলট্রকসিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয় তাঁদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিং- এর কোনো অসুবিধা নেই।
কোনো কোনো মা ডেলিভারির তিন মাস পরে থাইরয়েডের প্রদাহে ভুগতে পারেন- তাকে বলে পোস্ট পারটাম থাইরয়েডাইটিস। প্রথমে একটা অস্থায়ী হাইপারথাইরয়েডিজম হয় তারপর ধীরে ধীরে হাইপোথাইরয়েডিজম। এ ধরনের অসুখেরও যথাযথ চিকিৎসা আছে, তবে রোগের সঠিক ডায়াগনোসিস হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডব��িন্ন উন্নত দেশে, শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর নাভি সংলগ্ন নাড়ি থেকে রক্ত নিয়ে কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা করলে নিশ্চিতভাবে জন্মগত থাইরয়েডের অসুখ ধরা পড়বে।
থাইরয়েড রোগ প্রতিরোধ ক) আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া ও রেডিয়েশন থেকে মুক্ত থাকা, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়। খ) হাইপার, হাইপো বা থাইরয়েড প্রদাহজনিত কোনো লক্ষণ দেখা দিলে শিগগিরই রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া। গ) ঘ্যাগ বা অন্য কোনো কারণে থাইরয়েড বড় হয়ে গেলে বা ক্যান্সার হলে সার্জারির মাধ্যমে কেটে ফেলা। ঘ) যাদের বংশগত থাইরয়েড সমস্যার ইতিহাস আছে তাদের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা। ঙ) কোনো শিশুর বা বয়স্কদের অবর্ধন শারীরিক ও মানসিক, ঠাণ্ডা বা গরম সহ্য করতে না-পারা, বুক ধড়ফড় করা, খাওয়া ও রুচির সঙ্গে ওজন কমা ইত্যাদি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
ডাঃ শাহজাদা সেলিম এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ বারডেম হাসপাতাল, শাহবাগ, ঢাকা
চেম্বার:  হেলথ এণ্ড হোপ হাসপাতাল ১৫২/১-এইচ গ্রীন রোড, পান্থপথ (গ্রীনরোড পান্থপথ ক্রসিং), ঢাকা-১২০৫ ফোনঃ ৯১৪৫৭৮৬,  ০১৬৭৮১৩১২৫২,  ০১৯১৯০০০০২২  
0 notes
tatkhonik-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রোহিঙ্গারা, ১৫ এইচআইভি রোগী শনাক্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের অমানবিক নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার থেকে প্রাণে বাঁচলেও; অপুষ্টিসহ নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। রাখাইনে নৃশংসতার স্বাক্ষী এই শিশুদের অনেকেই ভুগছে, মানসিক সমস্যায়। আবার বিস্ফোরণেও জখম হয়েছে অনেকে। রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ, পুষ্টিহীনতা, চর্ম রোগ, কান পঁচা রোগ, যক্ষা, সর্দি- কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি সংক্রামক নানান রোগ সহ দিন দিন দীর্ঘতর হচ্ছে এইচআইভি রোগীর তালিকাও। আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের মধ্যে দেড় লাখের বেশি শিশু রয়েছে। এক্ষেত্রে বেশি সমস্যায় নবজাতকরা। তাদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠাও এখন শঙ্কার মুখে। যারা এখন অবস্থান করছে, টেকনাফ, উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে। মা-বাবা, ভাই-বোনের লাশ ফেলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশু আনাছ মিয়া উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে দাদা-দাদির সাথে বসবাস করছে। সে এখনো স্বজন হারানোর ব���দনায় মানসিক ভারসাম্যহীন প্রায়। এরকম অসংখ্যা স্বজন হারানো শিশু-কিশোরের স্থান রয়েছে ক্যাম্প গুলোতে। আনাছ মিয়ার মতে, সরকারি-বেসরকারি ভাবে যতই ত্রাণ পায় না কেন, স্বজন হারানোর যন্ত্রণা ভুলতে পারছে না কোন ভাবে। সামনের দিনগুলো কিভাবে কাটবে সেই শঙ্কার পাশাপাশি, নানা রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে বেশিরভাগ শিশু। কারণ দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে গিয়ে তারা আক্রান্ত হয়েছে বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খাবারের কষ্ট আর চিকিৎসা সেবার সংকটতো ছিলোই। বিএসএমএমইউ’র ৫০ জনের চিকিৎসক দল নিয়ে দুই ব্যাপী ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার উদ্বোধনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ডা: কামরুল হাসান বলেন, আমরা জানি মিয়ানমার এইচআইভি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। সে জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। ১৮-২০ হাজার গর্ভবতী রোহিঙ্গা নারীর মধ্যে এপর্যন্ত ৩৫৩ জন ডেলিভারীর কথাও তিনি বলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিএসএমএমইউ ফ্রি-মেডিক্যাল টীমের প্রতিনিধির দলের সদস্য প্রফেসর ডা: একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, দুইদিনে প্রায় ২ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। ফাঙ্গাল (দাউদ) ও ডায়রিয়া জনিত সমস্যাটা প্রকট। সে জন্য তাদের স্বাস্থ্যজনিত শিক্ষা দেওয়া উচিত। তাছাড়া অনেকে ওষুধ নিয়ে গেলেও যথাযথ ভাবে সেবন করছে কিনা সন্দেহ তাঁর। দ্রুত সঠিক রোগ নির্ণয় পূর্বক চিকিৎসার জন্য ভালো স্থাপনা দরকার বলেও তিনি মনে করেন। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: আবদু সালাম বলেন, নানা রোগের পাশাপাশি এ পর্যন্ত ১৫ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আশার আলো নামে একটি সংস্থা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আলাদা ইউনিটে তাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে । কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: শাহীন আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের ০.৮% এইচআইভি শনাক্ত হতে পারে। দিন দিন এইচআইভি রোগীর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। এ পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দেয়ার পূর্বে একজন এইচআইভি রোগী মারা গেছে। ১৫ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হলেও শনিবার পর্যন্ত ৯জন এইচআইভি রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে স্ক্যানিং করে চিকিৎসা সেবা দেয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বালুখালী ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা: মো: আলম বলেন, রোহিঙ্গারা শতভাগই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তার মধ্যে শিশুগুলো চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। তাছাড়া নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোহিঙ্গারা। তিনি আরো বলেন, বালুখালী ক্যাম্পে প্রতিদিন ৬-৭শ রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। ক্যাম্পে দায়িত্বরত ডা: দীপায়ন বলেন, ক্যাম্প গুলোতে যতই মেডিকেল টীম কাজ করুক ��া কেন, সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে মাত্র। তাই জটিল ও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীদের আলাদা করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন। একই অভিমত ব্যক্ত করেন উখিয়ার থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত বেসরকারি মেডিকেল টীমের সদস্য নুরুল আবছার। তার মতে, সরবরাহকৃত ওষুধ সেবনে অনিয়মের কারণে রোগ ব্যধি ছড়িয়ে পড়ছে।
0 notes
health24tv · 3 years ago
Video
চর্ম রোগের ডাক্তার | চর্ম রোগের হোমিও ঔষধ | চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ | Skin Diseases Medicine and Treatment
0 notes