#১৫ এইচআইভি
Explore tagged Tumblr posts
Photo
স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রোহিঙ্গারা, ১৫ এইচআইভি রোগী শনাক্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের অমানবিক নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার থেকে প্রাণে বাঁচলেও; অপুষ্টিসহ নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। রাখাইনে নৃশংসতার স্বাক্ষী এই শিশুদের অনেকেই ভুগছে, মানসিক সমস্যায়। আবার বিস্ফোরণেও জখম হয়েছে অনেকে। রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ, পুষ্টিহীনতা, চর্ম রোগ, কান পঁচা রোগ, যক্ষা, সর্দি- কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি সংক্রামক নানান রোগ সহ দিন দিন দীর্ঘতর হচ্ছে এইচআইভি রোগীর তালিকাও। আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের মধ্যে দেড় লাখের বেশি শিশু রয়েছে। এক্ষেত্রে বেশি সমস্যায় নবজাতকরা। তাদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠাও এখন শঙ্কার মুখে। যারা এখন অবস্থান করছে, টেকনাফ, উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে। মা-বাবা, ভাই-বোনের লাশ ফেলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশু আনাছ মিয়া উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে দাদা-দাদির সাথে বসবাস করছে। সে এখনো স্বজন হারানোর বেদনায় মানসিক ভারসাম্যহীন প্রায়। এরকম অসংখ্যা স্বজন হারানো শিশু-কিশোরের স্থান রয়েছে ক্যাম্প গুলোতে। আনাছ মিয়ার মতে, সরকারি-বেসরকারি ভাবে যতই ত্রাণ পায় না কেন, স্বজন হারানোর যন্ত্রণা ভুলতে পারছে না কোন ভাবে। সামনের দিনগুলো কিভাবে কাটবে সেই শঙ্কার পাশাপাশি, নানা রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে বেশিরভাগ শিশু। কারণ দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে গিয়ে তারা আক্রান্ত হয়েছে বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খাবারের কষ্ট আর চিকিৎসা সেবার সংকটতো ছিলোই। বিএসএমএমইউ’র ৫০ জনের চিকিৎসক দল নিয়ে দুই ব্যাপী ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার উদ্বোধনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ডা: কামরুল হাসান বলেন, আমরা জানি মিয়ানমার এইচআইভি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। সে জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। ১৮-২০ হাজার গর্ভবতী রোহিঙ্গা নারীর মধ্যে এপর্যন্ত ৩৫৩ জন ডেলিভারীর কথাও তিনি বলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিএসএমএমইউ ফ্রি-মেডিক্যাল টীমের প্রতিনিধির দলের সদস্য প্রফেসর ডা: একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, দুইদিনে প্রায় ২ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। ফাঙ্গাল (দাউদ) ও ডায়রিয়া জনিত সমস্যাটা প্রকট। সে জন্য তাদের স্বাস্থ্যজনিত শিক্ষা দেওয়া উচিত। তাছাড়া অনেকে ওষুধ নিয়ে গেলেও যথাযথ ভাবে সেবন করছে কিনা সন্দেহ তাঁর। দ্রুত সঠিক রোগ নির্ণয় পূর্বক চিকিৎসার জন্য ভালো স্থাপনা দরকার বলেও তিনি মনে করেন। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: আবদু সালাম বলেন, নানা রোগের পাশাপাশি এ পর্যন্ত ১৫ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আশার আলো নামে একটি সংস্থা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আলাদা ইউনিটে তাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে । কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: শাহীন আব্��ুর রহমান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের ০.৮% এইচআইভি শনাক্ত হতে পারে। দিন দিন এইচআইভি রোগীর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। এ পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দেয়ার পূর্বে একজন এইচআইভি রোগী মারা গেছে। ১৫ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হলেও শনিবার পর্যন্ত ৯জন এইচআইভি রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে স্ক্যানিং করে চিকিৎসা সেবা দেয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বালুখালী ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা: মো: আলম বলেন, রোহিঙ্গারা শতভাগই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তার মধ্যে শিশুগুলো চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। তাছাড়া নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোহিঙ্গারা। তিনি আরো বলেন, বালুখালী ক্যাম্পে প্রতিদিন ৬-৭শ রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। ক্যাম্পে দায়িত্বরত ডা: দীপায়ন বলেন, ক্যাম্প গুলোতে যতই মেডিকেল টীম কাজ করুক না কেন, সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে মাত্র। তাই জটিল ও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীদের আলাদা করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন। একই অভিমত ব্যক্ত করেন উখিয়ার থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত বেসরকারি মেডিকেল টীমের সদস্য নুরুল আবছার। তার মতে, সরবরাহকৃত ওষুধ সেবনে অনিয়মের কারণে রোগ ব্যধি ছড়িয়ে পড়ছে।
#১৫ এইচআইভ��#১৫ এইচআইভি রোগী শনাক্ত#রোগী শনাক্ত#রোহিঙ্গারা#স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে#স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রোহিঙ্গারা
0 notes
Text
একে একে আট স্বামী বদলের পর জানা গেল স্ত্রী এইডস আক্রান্ত
একে একে আট স্বামী বদলের পর জানা গেল স্ত্রী এইডস আক্রান্ত
স্বামী বদলই যেন তার পেশা। বিয়ে করে সংসার করতেন বড়জোর ১০ থেকে ১৫ দিন। তারপর সুযোগ বুঝে অর্থকড়ি নিয়ে সোজা উধাও হয়ে যেতেন। কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবার অন্য পুরুষ, অন্য বিয়ে, নতুন সংসার। এভাবে গত চার বছরে আটজন স্বামীর ঘর করেছেন ভারতের এক নারী। প্রতারণার দায়ে স্থানীয় পুলিশের হাতে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। এরপর শারীরিক পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, ওই নারী এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত। ওই মহিলার বাড়ি ভারতের…
View On WordPress
0 notes
Photo
যৌনকর্মীদের জন্য ‘গরুর ট্যাবলেট’! জানেন কেমন রয়েছে যৌনকর্মীরা? বাংলাদেশে অনেক সময় প্রতারণার শিকার হয়ে যৌনপল্লীতে হাজির হন মেয়েরা৷তাদের মধ্যে অনেকেই নাবালিকা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অতি দরিদ্র্য পরিবারের সদস্যরা কখনও কখনও অর্থের লোভে মেয়েদের বিক্রি করে দেন। এমনটাই জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদস্থা। পাশাপাশি ভালোবাসার ফাঁদে পা দিয়ে কিংবা বিদেশ নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখিয়েও মেয়েদের যৌনপল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে তাদের কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় জানলে শিউড়ে উঠতে হয়। যৌনকর্মীদের জন্য ‘গরুর ট্যাবলেট’ বাংলাদেশের ফরিদপুরের সরকার অনুমোদিত যৌনপল্লীতে কান পাতলেই শোনা যায়, পল্লীর মালিক নতুন আসা যৌনকর্মীদের স্টেরয়েড ট্যাবলেট সেবনে বাধ্য করেন, যা সাধারণত গরুকে খাওয়ানো হয়৷ গরুর স্বাস্থ্য বাড়াতে ব্যবহার করা এই ট্যাবলেট মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর৷ নাবালিকাদের জন্য ‘ইনজেকশন’ বাংলাদেশের একাধিক যৌনপল্লীর মালিকরা নাবালিকাদের, বিশেষ করে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের স্বাস্থ্য ভালো করতে বিশেষ ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার করেন। অধিকাংশ যৌনকর্মী ‘স্টেরয়েড আসক্ত’ আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার সমীক্ষার ভিত্তিতে ২০১০ সালে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রায় নব্বই শতাংশ যৌনকর্মী ওরাডেক্সন বা অন্যান্য স্টেরয়েড ট্যাবলেট নিয়মিত গ্রহণ করে৷ তাদের গড় বয়স ১৫-৩৫ বছর৷ বাংলাদেশে দু’লাখের মতো যৌনকর্মী রয়েছে বলে অনুমান। আশার কথা একটাই। স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচার চালাচ্ছে কয়েকটি সংস্থা৷তাদের মত, ওরাডেক্সন গ্রহণ করার পর শুরুতে মেয়েদের শরীরে চর্বির পরিমাণ বাড়তে থাকে৷ কিন্তু এটি নিয়মিত সেবন করলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চামড়ায় ক্ষতের মত মারাত্মক বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়৷ এইচআইভি সংক্রমণ বাংলাদেশে যৌনকর্মীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের খবর মাঝে মধ্যেই নানা পত্রিকায় প্রকাশ হয়৷ তবে ঠিক কতজন যৌনকর্মী এইচআইভি আক্রান্ত তার কোনও হিসেব পাওয়া যায়নি৷ অনেক সময় নিরোধ ব্যবহারে খদ্দেরের অনীহা যৌনকর্মীদের মধ্যে রোগ ছড়ায়। ‘নাবালিকা’ যৌনকর্মী বাংলাদেশের যৌনপল্লীগুলোতে নাবালিকা মেয়েদের জোর করে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে৷ সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া পতিতালয়েই প্রায় ন’শো যৌনকর্মীর বাস৷ যার মধ্যে নাবালিকা কর্মীর সংখ্যা ৫০ -এর বেশি৷
0 notes
Text
এইডসের ঝুঁকিতে কক্সবাজার!
New Post has been published on https://badwipbarta.com/2017/10/21/%e0%a6%8f%e0%a6%87%e0%a6%a1%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9d%e0%a7%81%e0%a6%81%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0/
এইডসের ঝুঁকিতে কক্সবাজার!
বদ্বীপবার্তা ডেস্ক: ১৩ বছরের কিশোরী পারভীন সুলতানা (ছদ্মনাম)। ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাবাকে হত্যা করে মিয়ানমার সৈন্যরা। এরপর রাখাইনের নাইসাপ্রু থেকে চাচা-চাচীর সাথে পালিয়ে এসে উখিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিছুদিন পর এইডস আক্রান্ত হয়ে তার মা মারা যায়। এরপর পারভীনেরও শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। পরীক্ষার পর জানা যায় সে-ও এইচআইভি পজিটিভ। এরপর থেকে কক্সবাজারের বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ‘আশার আলো সোসাইটি’তে চিকিৎসাধীন পারভীন।
একান্ত আলাপে পারভীন জানায়, তার বাবা শামসুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। পারভীনের জন্মের আগে বাবার কাছ থেকে এইচআইভি’র জীবাণু ছড়ায় মা রহিমা আক্তারের শরীরে। ২০১২ সালে মিয়ানমার সহিংসতার সময় তারা প্রথম দফায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সে সময় কিছুদিন রহিমা ‘আশার আলো সোসাইটি’তে চিকিৎসা নিয়ে আবার মিয়ানমারে ফিরে যান। এরপর ২০১৬’র অক্টোবরের সহিংসতায় বাবাকে হত্যা করা হলে তারা আবার পালিয়ে আসে। কিছুদিন পর মা-ও এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয় পারভীন।
আশার আলো সোসাইটিতে পারভীনের বাসস্থান হিসেবে এখনো উল্লেখ আছে উখিয়ার ওই ভাড়া বাড়ি। তবে অনুসন্ধানে মিলেছে ভিন্ন তথ্য। কক্সবাজার শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে ভাইকে নিয়ে থাকে পারভীন। আর জীবন চালাতে ইতোমধ্যে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়েছে সে। শরীর কেমন- জানতে চাইলে পারভীন বলে, ‘মাথা ঘোরায়, খানা খেতে পারি না, গা কাঁপে। ভয় ভয় লাগে।’
একই কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আরেকজন এইডস রোগী ৪৫ বছরের মো. সুলতান (ছদ্মনাম)। ২২ বছর আগে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের রামুতে আসেন। এর মাঝে পাকিস্তান হয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে এইচআইভি’র জীবাণু নিয়ে বাংলাদেশে আসেন।
কিশোরী পারভীন কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক সুলতানের মতো যেসব রোহিঙ্গা আগে থেকেই বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এদের অনেকের শরীরেই এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া গেছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এর আগেও মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন সময়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস রোগী পাওয়া গেছে। আর নতুন করে যারা পালিয়ে আসছেন তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন নারী ও ১১ জন পুরুষ। ইতোমধ্যে এইডস আক্রান্ত মরিয়ম বেগম (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শানীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রতিবেশী মিয়ানমারে প্রতি ১ হাজার জনে ৮ জনের এইচআইভি পজিটিভ বলে ধরা হয়। সেই হিসেবে বাংলাদেশে যে পরিমাণ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে তাদের মধ্যে অন্তত ৪ হাজার এইডস রোগী থাকতে পারে। তবে এই সংখ্যা কিছুটা কমবেশি হতে পারে বলে তিনি জানান ।
জানা গেছে, ২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে ১৬৭ জন এইডস রোগী পাওয়া গেছে। ৫৪ জনই রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা কক্সবাজার, চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউএনএইডসের সর্বশেষ তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার এইচআইভি-এইডস রোগের দিক থেকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। দেশটিতে আড়াই লাখের বেশি এইডস রোগী আছে। মোট জনসংখ্যার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দশমিক ৮ ভাগ এইডস আক্রান্ত। সেখানে ইনজেকশন সিরিঞ্জের মাধ্যমে এইডস সংক্রমিত হয়েছে ২৩ ভাগ আক্রান্তের শরীরে, নারী যৌনকর্মীদের মধ্যে ৬ দশমিক ৩ ভাগ এবং সমকামীদের মধ্যে ৬ দশমিক ৬ ভাগ এইডস আক্রান্ত। এছাড়া রাখাইন প্রদেশে প্রচুর প্রবাসী বিদেশ থেকে এইডস এর জীবাণু বহন করেন। তাদের মাধ্যমে তাদের স্ত্রী এবং সন্তানের শরীরেও এইডস ছড়িয়ে পড়ে।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তাদের মধ্যে ২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার মেডিক্যাল টিম। এদের মধ্যে প্রাণঘাতী হাম, পোলিওসহ এইডস রোগীর সন্ধানও পাওয়া গেছে।
টেকনাফ-উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কাজ করছেন এমন বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, রোহিঙ্গারা একেবারেই স্বাস্থ্য সচেতন নয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এইডস রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগও উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে টেকনাফ ও উখিয়ায় এইচআইভি পরীক্ষার জন্য দুটি ল্যাবরেটরিও স্থাপন করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা শিবিরের অন্যান্য দিকের ব্যস্ততায় এইচআইভি পরীক্ষা দ্রুতগতিতে করা যাচ্ছে না। দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রিত স্থানে রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে না পারলে পুরো চট্টগ্রাম এমনকি দেশের অন্য প্রান্তেও এই রোগ ছড়াতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
টেকনাফ সরকারি কলেজের প্রভাষক আবু তাহের বলেন, আগে থেকে আসা এবং নতুন করে আসা রোহিঙ্গা কিশোরী ও তরুণীদের অনেকে যৌনকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া আইন করেও রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়দের বিয়ে বন্ধ করা যায়নি। আবার অনেক রোহিঙ্গা পরিবার প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কক্সবাজার, চট্টগ্রামের দিকেও ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সচেতন বা অবচেতনভাবে এ সব রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে এইডস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। ইত্তেফাক
0 notes
Photo
হাম ও এইডসে আক্রান্ত রোহিঙ্গা রোগী শনাক্ত আহত ও অসুস্থ রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৪ জনকে শনাক্ত করা গেছে, যারা সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত। হাম, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস বি ও সি এমনকি এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত রোগীও পেয়েছেন চিকিৎসকেরা। এসব রোগী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। কক্সবাজার সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আক্রান্ত রোগীদের সবাই গত ২৫ আগস্টের পর সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। শনাক্ত হওয়া ১৪ রোহিঙ্গার মধ্যে হামে আক্রান্ত ৩ শিশু উখিয়ায়, হেপাটাইটিস বি ও সিতে আক্রান্ত ৫ জন টেকনাফে এবং এইচআইভি শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি কক্সবাজারে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত ৫ জন টেকনাফ ও কক্সবাজারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন মো. আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, বেশির ভাগ রোহিঙ্গা শিশু অপুষ্টির শিকার। তাদের অনেকে হাম, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। টেকনাফ ও উখিয়ার সব রোহিঙ্গা শিশুকে হাম ও পোলিও টিকা দেওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার (আজ) থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। টেকনাফের ৫০ শয্যার হাসপাতালে গতকাল ৬০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের অর্ধেকের বেশি রোহিঙ্গা। ভর্তি হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩ জন যক্ষ্মা ও ৫ জন জন্ডিসের ��োগী পাওয়া গেছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গারা চিকিৎসাসেবা পায় না বললেই চলে। বিশেষ করে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম সেখানে খুবই নাজুক। রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে হাম, ম্যালেরিয়াসহ নানা রোগের ঝুঁকি রয়েছে। হাম, যক্ষ্মার মতো রোগ বাতাসে কফ ও কাশির মাধ্যমে দ্রুত ছড়ায়। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে রোহিঙ্গা শিশুরা টিকার আওতার বাইরে থেকে যেতে পারে। তাই একটি নির্দিষ্ট এলাকায় তাদের রেখে টিকা দেওয়া না গেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে, যা টেকনাফ ও উখিয়ার সব মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত এই হাসপাতালে ১১২ রোহিঙ্গা রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ জন গুলিবিদ্ধ ও আগুনে পোড়া। বাকিদের কেউ পেট ও বুকে ব্যথা, জ্বরসহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছে। এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে আসা দুই রোহিঙ্গা রোগী মারা গেছে। তাদের একজন গুলিবিদ্ধ ছিল। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছে ২৬ জন। গতকাল হাসপাতালে রোহিঙ্গা রোগী ছিল ৮৪ জন। ১১ সেপ্টেম্বর শাহানা নামের ৪০ দিনের একটি শিশু জ্বর নিয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। ১৫ দিন আগে শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে সীমান্ত পার হয়। তারা টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামের শেরশাহ কলোনির এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠে প্রথমে। শিশুটির বাবা মো. হারুন বলেন, মিয়ানমারের মংগদুর বাড়িতে ধাত্রীর হাতে তাঁর মেয়ের জন্ম হয়। এখন পর্যন্ত কোনো টিকা দেওয়া হয়নি শিশুটিকে। পোলিও, যক্ষ্মা ও হামের মতো সংক্রমণ রোগের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা এইচআইভি/এইডস ঝুঁকিতে রয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানান। তাঁরা বলেন, মিয়ানমারে বাংলাদেশের চেয়ে এইচআইভি-আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে অরক্ষিত যৌনাচার রয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা নারীদের অনেকে যৌন হয়রানির শিকার। এই জনগোষ্ঠী চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত। চট্টগ্রাম বিভাগে এইচআইভি-আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তা দেয় বেসরকারি সংস্থা আশার আলো সোসাইটি। সোসাইটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের অধীনে এখন এইচআইভি-আক্রান্ত ৫০৮ জন রোগী রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ জন রোহিঙ্গা বলে জানান সোসাইটির বিভাগীয় সমন্বয়ক হাফিজ আহমেদ। তিনি বলেন, আক্রান্ত রোহিঙ্গারা কয়েক বছর আগে এসেছে। সর্বশেষ বুধবার কক্সবাজারে একজন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে এইডস-আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে টেকনাফ অঞ্চলের রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানান এইডস রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এখন যে হারে রোহিঙ্গারা আসছে, তাদের একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে রাখা জরুরি। কারণ, মিয়ানমারে এইডস রোগী অনেক বেশি। এদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে বান্��রবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকার দুটি ইউনিয়নেও বিশেষ টিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন অংশুই প্রু মারমা। তিনি বলেন, ঘুনধুম এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা আসছে। সেখানে অনেক রোহিঙ্গা রয়েছে। তাই ওই এলাকায় কক্সবাজারের মতো ১৫ বছরের নিচের সব শিশুর জন্য টিকা কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করবেন তাঁরা।
0 notes
Photo
রিকশাচালকদের জন্য শোক দিবস উপলক্ষে মেডিক্যাল চেকআপ কর্মসূচি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী রিকশাচালকদের মেডিক্যাল চেকআপ, ব্লাড গ্রুপ টেস্ট ও এইচআইভি সচেতনতা নিয়ে কর্মসূচির আয়োজন করে Do Something Exceptional(ডিএসই)। মঙ্গলবার এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১০০ রিকশাচালকের রক্ত পরীক্ষা, সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং এইচআইভি সম্পর্কে কার্যকরী জ্ঞান প্রদান করা হয়। পলাশীর মোড় থেকে শুরু করে টিএসসি হয়ে ফুলার রোড পর্যন্ত ব্যাপ্তি ছিল এই কর্মসূচির। ডিএসই’র চেয়ারম্যান ইমন খান বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এই দিনে নতুন কিছু করবার ইচ্ছা থেকেই তাদের এই কার্যক্রম। তিনি বলেন, শুধু ১৫ আগস্ট নয়, যদি সম্ভব হয় বছরের প্রতি মাসে শহরের নানা প্রান্তে রিকশাচালকদের জন্য বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পিং এর আয়োজন করতে আগ্রহী আমরা। সমাজের সবস্তরে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক জেবিন ইসলাম জানান, মূলত তৃণমূল পর্যায়ে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই আয়োজন বলে। /আরটিভি নিউজ
0 notes
Text
এইচআইভি প্রতিরোধে নারীদের জন্য নতুন রিং
এইচআইভি প্রতিরোধে নারীদের জন্য নতুন রিং
অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের এক পরীক্ষায় তারা সফল হয়েছেন। আমেরিকায় অল্প বয়সী মেয়েদের মধ্যে এই পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে। সারা বিশ্বে যতো নারী এই ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয় তাদের পাঁচ ভাগের এক ভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ২৪। আফ্রিকায় সাহারা মরুভূমির আশেপাশের দেশগুলোতে প্রতিদিন এক হাজারের মতো নারী এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরীক্ষায় মেয়েরা তাদের যোনিতে…
View On WordPress
0 notes
Text
এইচআইভি প্রতিরো���ে নারীদের জন্য নতুন রিং
এসপিবি.এন নিউজ – অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের এক পরীক্ষায় তারা সফল হয়েছেন।আমেরিকায় অল্প বয়সী মেয়েদের মধ্যে এই পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে। সারা বিশ্বে যতো নারী এই ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয় তাদের পাঁচ ভাগের এক ভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ২৪।আফ্রিকায় সাহারা মরুভূমির আশেপাশের দেশগুলোতে প্রতিদিন এক হাজারের মতো নারী এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরীক্ষায় […]
0 notes
Text
এবার এইডস প্রতিরোধে এলো নারীদের যৌনাঙ্গের রিং
এবার এইডস প্রতিরোধে এলো নারীদের যৌনাঙ্গের রিং
এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের একটি পরীক্ষায় সফলতা এসেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণীদের মধ্যে পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে। সারা বিশ্বে যত নারী এইডস ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হন, তাদের পাঁচ ভাগের এক ভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। আফ্রিকায় সাহারা মরুভূমির আশপাশের দেশগুলোতে প্রতিদিন এক হাজারের মতো নারী এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। নতুন এই পরীক্ষায় মেয়েরা তাদের যোনিতে…
View On WordPress
0 notes
Photo
ওরাল সেক্সে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে গনোরিয়া ! শারীরিক সংসর্গের সময় ওরাল সেক্স (যৌনক্রিয়ার ক্ষেত্রে মৌখিক স্পর্শ বা মুখমেহন) করলে ভয়ংকর মাত্রায় গনোরিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর সাম্প্রতিক সময়ে জন্মনিরোধক (কনডম) ব্যবহারে অনীহা বাড়ায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডব্লিউএইচও সতর্ক করেছে, এভাবে যদি কারও গনোরিয়া রোগটি হয়ে যায়, তাহলে এ সময়ে তা নিরাময় করা অনেক কঠিন। কিছু ক্ষেত্রে তা অসম্ভবও বটে। ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌনতার মাধ্যমে ছড়ানো এই রোগের সংক্রমণ শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিরোধ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই রোগ নিরাময়ে কার্যকরী নতুন ওষুধ খুব বেশি নেই। এ কারণে বিষয়টি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সারা বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ যৌনতার মাধ্যমে সংক্রমণজনিত এ রোগে আক্রান্ত হয়। আর এর কারণে কেউ বন্ধ্যাও হয়ে যেতে পারে। ৭৭টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও বলছে, গনোরিয়া ভয়াবহভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ থিওডোরা উয়ি বলেন, জাপান, ফ্রান্স ও স্পেনে কমপক্ষে তিনটি ঘটনা পাওয়া গেছে, যেখানে গনোরিয়া রোগটি পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। থিওডোরা উয়ি বলেন, ‘গনোরিয়ার জীবাণু খুবই স্মার্ট। এর চিকিৎসায় যতবার নতুন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন, ততবারই তা ওই অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিরোধ করতে পারে। আরও চিন্তার বিষয় হলো, এই রোগটি দরিদ্র দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। সেখানে এই রোগের জীবাণু ওষুধকে কতটা প্রতিরোধ করতে পারে, তা জানাটা দুরূহ।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, গনোরিয়ার জীবাণু যৌনাঙ্গ, মলদ্বার এবং গলার ভেতরে সংক্রমণ ঘটায়। এ প্রসঙ্গে থিওডোরা উয়ি বলেন, যখন সাধারণ গলার সংক্রমণ নিরাময়ের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন, তখন তা নেইসেরিয়া প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিলিত হয়। আর এ কারণেই ওই ব্যাকটেরিয়া ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। আর ওরাল সেক্সের মাধ্যমে হওয়া গনোরিয়ার ব্যাকটেরিয়া যদি একই ধরনের পরিবেশ পায়, তাহলে তা ‘সুপার গনোরিয়া’ তৈরি করতে পারে। থিওডোরা উয়ি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী পুরুষদের মধ্যে ফারিনজেল সংক্রমণের মাধ্যমে গনোরিয়া জীবাণু ক্রমশ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। আর জন্মনিরোধক ব্যবহার না করার কারণে এইচআইভি/এইডসসহ এ ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নেইসেরিয়া গনোরিয়া প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেই মানুষের এই গনোরিয়া রোগটি হয়ে থাকে। এটা স্বাভাবিক যৌনতা, ওরাল সেক্স ও পায়ুকামের মাধ্যমে ছড়ায়। এ রোগ হলে যৌনাঙ্গ থেকে সবুজ বা হলুদাভ পুঁজের মতো বের হতে পারে, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া এবং নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্��রণ হতে পারে। আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে প্রায় একজন ও তিন-চতুর্থাংশ নারীদের এবং সমকামী পুরুষদের ক্ষেত্রে এ রোগের লক্ষণ সহজে শনাক্ত করা যায় না। এ রোগ প্রতিরোধ করা না গেলে বন্ধ্যত্ব হয়ে যেতে পারে। আর গর্ভাবস্থায় এ রোগের সংক্রমণ হলে তা শিশুর শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ডব্লিউএইচও বলছে, গনোরিয়ার বিপজ্জনক মাত্রা প্রতিরোধে প্রতিটি দেশে পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে হবে এবং নতুন ওষুধ তৈরিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দ্য গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের সদস্য মনিকা বালাসেগারাম বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। এত ওষুধের মধ্যে মাত্র তিনটি ওষুধ গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। সেগুলো আদৌ কার্যকর হবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ডব্লিউএইচও বলছে, গনোরিয়া রোগ ঠেকাতে যেকোনোভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করতেই হবে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক রিচার্ড স্ট্যাবলার বলেন, গনোরিয়ার জীবাণু এতটাই শক্তিশালী যে গত ১৫ বছরে তিন দফা চিকিৎসাপদ্ধতি বদলাতে হয়েছে। এখন যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটাই শেষ পদ্ধতি। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই পদ্ধতিও বিফল হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বে এখন ওরাল সেক্স করার হার বাড়ছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ-তরুণীদের কাছে এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। যুক্তরাজ্যের প্রথম ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিটিউডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসে (১৯৯০-৯১) বলা হয়েছে, দেশটির ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ ও ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ নারী শারীরিক সংসর্গের সময় সঙ্গীদের সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন। যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয়বার করা ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিটিউডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসে (১৯৯৯-২০০১) বলা হয়েছে, দেশে ওরাল সেক্স করা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছ। ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ ও ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী শারীরিক সংসর্গের সময় সঙ্গীদের সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সার্ভেতে দেখানো হয়েছে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারী-পুরুষদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত।
0 notes
Text
এখন বাড়িতে বসেই 'এইচআইভি' টেস্ট করতে পারবেন এই নতুন 'কিট' দিয়ে
এখন বাড়িতে বসেই ‘এইচআইভি’ টেস্ট করতে পারবেন এই নতুন ‘কিট’ দিয়ে
এখন থেকে বাড়িতে বসেই এইচআইভি টেস্ট করতে পারেন। নতুন একটি টেস্ট কিট ছাড়া হয়েছে লন্ডনে। এর মাধ্যমে আপনি নিজেই পরীক্ষা করে নিতে পারবেন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। ফলাফল পেতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় ব্রিটিশ বাজারে এর বিক্রি শুরু হয়েছে।
‘বায়ো শিওর ইউকে’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এইচআইভি কিট বানিয়েছে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এটা অনেকটা গর্ভধারণ পরীক্ষার কিটের মতো…
View On WordPress
0 notes
Text
এখন বাড়িতে বসেই 'এইচআইভি' টেস্ট করতে পারবেন এই নতুন 'কিট' দিয়ে
এখন বাড়িতে বসেই ‘এইচআইভি’ টেস্ট করতে পারবেন এই নতুন ‘কিট’ দিয়ে
এখন থেকে বাড়িতে বসেই এইচআইভি টেস্ট করতে পারেন। নতুন একটি টেস্ট কিট ছাড়া হয়েছে লন্ডনে। এর মাধ্যমে আপনি নিজেই পরীক্ষা করে নিতে প��রবেন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। ফলাফল পেতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় ব্রিটিশ বাজারে এর বিক্রি শুরু হয়েছে।
‘বায়ো শিওর ইউকে’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এইচআইভি কিট বানিয়েছে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এটা অনেকটা গর্ভধারণ পরীক্ষার কিটের মতো…
View On WordPress
0 notes
Photo
বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের সুগন্ধী কন্ডোম দেবে সরকার? মারণ এইডস প্রতিরোধে রঙিন ও সুগন্ধী কন্ডোম৷ তাও আবার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ এক্কেবারে বিনামূল্যে৷ শুধু তাই নয়, এই রঙ-বেরঙের সুগন্ধী গর্ভনিরোধক বিলি করবে খোদ সরকার৷ দেশে বেড়ে চলা এইচআইভি প্রতিরোধে এমনই দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। সরকার চাইছে ছোটবেলা থেকেই এইচআইভি নিয়ে সতর্ক হোক পড়ুয়ারা। মন্ত্রকের উপলব্ধি, বাজারচলতি কন্ডোমে অনেক ক্ষেত্রে ত্রুটি থেকে যায়৷ আবার দম্পতিদের মধ্যে বাজারচলতি কন্ডোম ব্যবহারে অনীহা দেখা যাচ্ছে৷ এরফলে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা৷ তাই, সরকার স্থির করেছে সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণ বাড়াতে সুগন্ধী রঙ-বেরঙের গর্ভনিরোধক বিলি করবে৷ পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ৬.৪ মিলিয়ন নাগরিক এইচআইভি পজিটিভ শরীরে বহন করছেন৷ তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার হিউম্যান সায়েন্সস রিসার্চ কাউন্সিলের (এইচএসআরসি) এক সমীক্ষায় বলছে, গত কয়েক বছরে ওই দেশে এইচআইভি পজিটিভ আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে৷ তারা পরিসংখ্যান দিচ্ছে, ২০০৮ সালে এই রোগের আক্রান্তের বৃদ্ধির হার ছিল ১০.৬ শতাংশ৷ সেখানে ২০১২ সালে বৃদ্ধির হার হয়েছে ১২.২ শতাংশ৷ ওই দেশের নাগরিকের সংখ্যা ৫০ মিলিয়ন৷ সেখানে ৬.৪ মিলিয়ন নাগরিক বহন করছে এইচআইভি পজিটিভ৷ ২০০৮ সালে ৮৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৬৬ শতাংশ মহিলা এই মারণরোগে বাহক ছিলেন৷ যা ২০১২ সালে গিয়ে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তবে, বর্তমান আক্রান্তের মধ্যে ৭৫ শতাংশ মানুষের এখনও পর্যন্ত ঝুঁকি কম রয়েছে৷ এই সমীক্ষা এখন মাথাব্যথার কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের৷ নানা উপায়ে এই রোগের প্রকোপ কমানোর চেষ্টা কার্যত বিফলে যাচ্ছে৷ ওই সমীক্ষার সূত্র ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের উপলব্ধি, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা এইচআইভি পজিটিভের সবচেয়ে বেশি বাহক৷ এই রোগ-প্রতিরোধে কন্ডোম ব্যবহারে চরম অনীহাকেই মূল দায় বলে মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ তাই, এবার অন্যপথ ধরে এগতে চাই তারা৷ কন্ডোম ব্যবহারে যৌনক্রিয়া করায় ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ তাই চূড়ান্ত হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সুগন্ধী এবং রঙবেরঙের কন্ডোম৷ স্থাস্থ্যকর্তাদের ধারনা, ব্যাপক প্রচার ও সচেতনা শিবিরের মাধ্যমে এই সুগন্ধী কন্ডোমের কথা তুলে ধরা হবে৷ স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিনামূল্যে বিলি করা হবে সুগন্ধী কন্ডোম৷ মনে করা হচ্ছে, গন্ধ এবং নানা রঙের হওয়ার কারণে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কন্ডোমের ব্যবহার বাড়বে৷ স্বাভাবিকভাবেই তাতে কমিয়ে আনা সম্ভব এইচআইভি পজিটিভের বাহকের হার৷
0 notes
Text
ভয়ঙ্কর মাত্রার ব্যাকটেরিয়া ছড়াচ্ছে ‘ওরাল সেক্স’এর কারণে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
New Post has been published on https://badwipbarta.com/2017/07/09/%e0%a6%ad%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0/
ভয়ঙ্কর মাত্রার ব্যাকটেরিয়া ছড়াচ্ছে ‘ওরাল সেক্স’এর কারণে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বদ্বীপ বার্তা ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কনডম ব্যবহারে অনিহার কারণে গনোরিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ছে এবং ‘ওরাল সেক্স’ এর কারণে গনোরিয়ার জীবাণুকে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ভয়ঙ্কর মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে।
সংস্থাটি আরো বলছে, এমন পরিস্থিতিতে কেউ যদি গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয় তাহলে তার চিকিৎসা করাটা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠেছে ‘অসম্ভব’।
ডাব্লিউএইচও’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌন সংসর্গের মাধ্যমে ছড়ানো এই রোগের জীবাণু অ্যান্টোবায়োটিকের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকর নতুন অ্যান্টোবায়োটিক উদ্ভাবনে খুব বেশি সাফল্য এখনও না আসায় পরিস্থিতি আরও বেশি নাজুক হয়ে পড়েছে।
বিশ্বে প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ মানুষ প্রতি বছর এ রোগ সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন, যা অনেকের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানে অক্ষমতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও অন্তত ৭৭টি দেশের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছে, গনোরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠার প্রবণতা কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তিওডোরা উয়ি বলছেন, জাপান, ফ্রান্স ও স্পেনে অন্তত তিনটি ঘটনা পাওয়া গেছে যেখানে গনোরিয়া পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়।
“গনোরিয়ার জীবাণুকে খুবই স্মার্ট বলতে হবে। যতবার আপনি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এর চিকিৎসা করতে চাইবেন, ততবারই তা প্রতিরোধের ক্ষমতা অর্জন করবে।”- বলছেন তিওডোরা উয়ি।
আরও চিন্তার বিষয় হলো, গরিব দেশগুলোতে গনোরিয়া সংক্রমণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে; যেখানে এই জীবাণু কতটা ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে, সেই তথ্য পাওয়া কঠিন।
গলায় সংক্রমণ
গনোরিয়ার জীবাণু সাধারণত যৌনাঙ্গ, মলদ্বার বা গলার ভেতরে সংক্রমণ ঘটায়।
তবে এর মধ্যে গলার সংক্রমণই চিকিৎসকদের কাছে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডা: উয়ি বলছেন, “সাধারণ গলাব্যথার জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলেও তাতে নেইসেরিয়া প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে”
“আর ‘ওরাল সেক্স’ এর মাধ্যমে যদি গনোরিয়ার ব্যাকটেরিয়া অর্থাৎ নেইসেরিয়া গনোরিয়া ওই পরিবেশ পায় তাহলে তা ‘সুপার গনোরিয়া’ তৈরি করতে পারে”।
“যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী পুরুষদের মধ্যে গলবিলের (ফ্যারিংক্স) সংক্রমণের মাধ্যমে গনোরিয়া জীবাণু এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে” জানান ডা: উয়ি।
কনডম ছাড়া যৌন সম্পর্কে জড়ানোর কারণে এইচআইভি এইডস রোগ ছড়োনোর যেমন আশঙ্কা আছে তেমনি একই কারণে গনোরিয়া সংক্রমণের শঙ্কাও রয়েছে।
গনোরিয়া কী?
নেইসেরিয়া গনোরিয়া নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগটি হয়।
সুরক্ষা ছাড়া যৌন সম্পর্ক বা ওরাল ও অ্যানাল সেক্সের কারণে গনোরিয়া ছড়িয়ে যেতে পারে।
এই রোগটির লক্ষণগুলো হলো- যৌনাঙ্গ থেকে হলুদ বা সবুজ রঙের পুঁজের মতো বের হতে পারে, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হতে পারে বা প্রস্রাব বন্ধও হয়ে যেতে পারে৷ নারীদের তলপেটে ব্যথা ও ঋতুস্রাবে জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজন ও নারীদের তিন চতুর্থাংশ এবং সমকামী পুরুষদের ক্ষেত্রে এ রোগের লক্ষণ সহজে শনাক্ত করা যায় না।
আর এই রোগ যদি না সারে তাহলে তা বন্ধ্যাত্বের কারণও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এ রোগ সংক্রমণের শিকার হলে তা শিশুর শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গনোরিয়া রোগটি আরও বিপদজনক হয়ে ওঠা ঠেকানোর জন্য দেশে দেশে পর্যবেক্ষণ জোরদারের পাশাপাশি নতুন ওষুধ তৈরির গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
‘ওরাল সেক্স’ গনোরিয়ার জীবাণুকে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ভয়ঙ্কর মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গ্লোবাল এন্টিবায়োটিক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের কর্মকর্তা ডাক্তার মনিকা বালাসেগারাম বলছেন, “পরিস্থিতি গুরুতর”।
“মাত্র তিনটি ওষুধ গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। সেগুলোর কোনোটি কার্যকর প্রমাণিত হবে কি না, সেই নিশ্চয়তাও নেই”।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে গনোরিয়া ঠেকাতে নতুন ওষুধ তৈরি করতেই হবে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক রিচার্ড স্ট্যাবলার বলছেন, “গনোরিয়ার জীবাণু নতুন এন্টিবায়োটিকেও এত বেশি প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে যে গত ১৫ বছরে তিন দফায় চিকিৎসা পদ্ধতি বদলাতে বাধ্য হয়েছে চিকিৎসকেরা”।
“এখন আমরা যে ওষুধ ব্যবহার করছি এটাই আমাদের শেষ ভরসা। উদ্বেগের বিষয় হল, সেই চিকিৎসাও ব্যর্থ হওয়ার তথ্য আমরা পাচ্ছি।”
‘ওরাল সেক্স’ কি এখন সাধারণ কোনো বিষয় হয়ে উঠেছে?
বিশ্বের মানুষ এখন আগের তুলনায় ‘ওরাল সেক্স’ – এ বেশি অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে -এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় কারণ এ নিয়ে নির্ভরযোগ্য বৈশ্বিক কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই।
তবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে বুঝা যায় যে দেশ দুটোতে এটা খুবই সাধারণ একটা বিষয়। বছরের পর বছর ধরে এমনটা হয়ে আসছে, এমনকি টিন-এজাররাও ‘ওরাল সেক্স’করছে।
যুক্তরাজ্যের মানুষের ‘সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার ও লাইফস্টাইল’ নিয়ে জাতীয় একটি জরিপ চালানো হয় ১৯৯০-৯১ সালের মধ্যে। সেই জরিপে দেখা যায় ৬৯.৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৬৫.৬ শতাংশ নারী প্রতি বছর তার বিপরীত লিঙ্গে কাছ থেকে ‘ওরাল সেক্স’ গ্রহণ করে বা দেয়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাতীয় জরিপে গবেষকরা দেখেছেন, ১৫-২৪ বছর বয়সীদের দুই-তৃতীয়াংশই ‘ওরাল সেক্স’ এ অভ্যস্ত। বিবিসি
0 notes
Text
এখন বাড়িতে বসেই 'এইচআইভি' টেস্ট করতে পারবেন এই নতুন 'কিট' দিয়ে
এখন বাড়িতে বসেই ‘এইচআইভি’ টেস্ট করতে পারবেন এই নতুন ‘কিট’ দিয়ে
এখন থেকে বাড়িতে বসেই এইচআইভি টেস্ট করতে পারেন। নতুন একটি টেস্ট কিট ছাড়া হয়েছে লন্ডনে। এর মাধ্যমে আপনি নিজেই পরীক্ষা করে নিতে পারবেন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। ফলাফল পেতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় ব্রিটিশ বাজারে এর বিক্রি শুরু হয়েছে।
‘বায়ো শিওর ইউকে’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এইচআইভি কিট বানিয়েছে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এটা অনেকটা গর্ভধারণ পরীক্ষার কিটের মতো…
View On WordPress
0 notes
Text
এখন বাড়িতে বসেই 'এইচআইভি' টেস্ট করতে পারবেন এই নতুন 'কিট' দিয়ে
এখন বাড়িতে বসেই ‘এইচআইভি’ টেস্ট করতে পারবেন এই নতুন ‘কিট’ দিয়ে
এখন থেকে বাড়িতে বসেই এইচআইভি টেস্ট করতে পারেন। নতুন একটি টেস্ট কিট ছাড়া হয়েছে লন্ডনে। এর মাধ্যমে আপনি নিজেই পরীক্ষা করে নিতে পারবেন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। ফলাফল পেতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় ব্রিটিশ বাজারে এর বিক্রি শুরু হয়েছে।
‘বায়ো শিওর ইউকে’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এইচআইভি কিট বানিয়েছে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এটা অনেকটা গর্ভধারণ পরীক্ষার কিটের মতো…
View On WordPress
0 notes