#করণীয়
Explore tagged Tumblr posts
Text
শীতকালে লোহার খুঁটির সাথে জিহবা আটকে যাওয়ার কারণ ও সমাধান
শীতকালে অনেকেই মজা করে বা অজান্তেই লোহার খুঁটির সাথে জিহবা লাগিয়ে দেন, যা বিপজ্জনক হতে পারে। তবে এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণগুলো অনেকেই জানেন না। এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো কিভাবে জিহবা লোহার সাথে আটকে যায়, এর পেছনের কারণ এবং এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।
শীতকালে লোহার খুঁটির সাথে জিহবা আটকে যাওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ
শীতকালে বাতাস শুষ্ক এবং ঠান্ডা থাকে, আর লোহার খুঁটি খুব দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। যখন আপনি আপনার গরম এবং আর্দ্র জিহবা ঠান্ডা মেটালের সাথে স্পর্শ করেন, তখন আপনার জিহবায় থাকা লালা দ্রুত জমে যায়। এর কারণ হলো লোহার খুঁটি এত দ্রুত আপনার জিহবা থেকে তাপ শুষে নেয় যে আপনার শরীর সেই তাপ পুনরায় সরবরাহ করতে পারে না।
জিহবার লালা দ্রুত বরফে পরিণত হয়, যার ফলে জিহবা মেটালের সাথে আটকে যায়। এটি শুধু অস্বস্তিকর নয়, বরং যদি সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আপনার জিহবা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জিহবা আটকে গেলে কীভাবে মুক্তি পাবেন?
জিহবা যদি লোহার খুঁটির সাথে আটকে যায়, তবে প্যানিক করবেন না। এক্ষেত্রে সহজ একটি সমাধান হলো গরম পানি বা অন্য কোনো তরল ব্যবহার করা। গরম পানির সাহায্যে খুঁটি এবং জিহবার মাঝখানে থাকা জমাট লালা ধীরে ধীরে গলে যায় এবং আপনি সহজেই জিহবা মুক্ত করতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, বেশি গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এতে আপনার জিহবা পুড়ে যেতে পারে।
লোহার খুঁটির সাথে জিহবা আটকে যাওয়া প্রতিরোধ করার উপায়
১. সতর্ক থাকা: শীতকালে কখনোই লোহার কোনো বস্তুতে জিহবা লাগাবেন না। এমনকি মজা করেও নয়।
২. বাচ্চাদের বোঝানো: বাচ্চাদের মধ্যে এটি নিয়ে কৌতূহল থাকতে পারে। তাদেরকে এই বিপদের বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
৩. লোহার বস্তু এড়িয়ে চলা: শীতকালে বাইরের লোহার বস্তু যেমন খুঁটি, রেলিং ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো দ্রুত ঠান্ডা হয় এবং তাপ শোষণের ক্ষমতা বেশি থাকে।
উপসংহার
শীতকালে লোহার খুঁটির সাথে জিহবা আটকে যাওয়া একটি বিপজ্জনক ঘটনা। এটি ঘটে প্রধানত তখনই যখন আপনার গরম আর্দ্র জিহবা ঠান্ডা লোহার সাথে স্পর্শ করে এবং লোহা দ্রুত তাপ শুষে নেওয়ার ফলে আপনার জিহবার লালা জমে যায়। এই পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। তবে যদি এমনটি ঘটে, তাহলে হাল্কা গরম পানি বা তরল ব্যবহার করে ধীরে ধীরে বরফ গলিয়ে নিতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত থেকে দ্রুত এবং সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণই আপনাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে।
আরও দেখুনঃ কোনো অ্যাকোয়ারিয়ামেই হোয়াইট শার্ক নেই কেনো?
ট্যাগস: শীতকালে লোহার খুঁটি, জিহবা আটকে যাওয়া, শীতকালের বিপদ, লোহার সাথে জিহবা আটকে গেলে করণীয়, শীতকালে জিহবা বিপদ, ঠান্ডা মেটাল, লোহার তাপ শোষণ, শীতকালে লোহার খুঁটি বিপদ, লোহার সাথে জিহবা, জিহবার লালা জমাট, শীতকালে লোহার বিপদ, জিহবা আটকে গেলে করণীয়, ঠান্ডা তাপ শোষণ, শীতকালে বাচ্চাদের বিপদ, জিহবার লালা, শীতকালের সচেতনতা, লোহার খুঁটি এবং জিহবা, শীতকালে নিরাপত্তা, ঠান্ডা মেটাল বিপদ, গরম পানি দ্বারা মুক্তি
#শীতকালে লোহার খুঁটি#জিহবা আটকে যাওয়া#শীতকালের বিপদ#লোহার সাথে জিহবা আটকে গেলে করণীয়#শীতকালে জিহবা বিপদ#ঠান্ডা মেটাল#লোহার তাপ শোষণ#শীতকালে লোহার খুঁটি বিপদ#লোহার সাথে জিহবা#জিহবার লালা জমাট#শীতকালে লোহার বিপদ#জিহবা আটকে গেলে করণীয়#ঠান্ডা তাপ শোষণ#শীতকালে বাচ্চাদের বিপদ#জিহবার লালা#শীতকালের সচেতনতা#লোহার খুঁটি এবং জিহবা#শীতকালে নিরাপত্তা#ঠান্ডা মেটাল বিপদ#গরম পানি দ্বারা মুক্তি
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদক�� করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো ��িষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এ�� যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাত���র দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন��তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার ��াশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কা���ণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
#ToDo#বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়#What to do in case of Danger and Calamity#Danger#Calamity#Youtube
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ��াদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
youtube
বাচ্চার পজিশন উল্টো হলে করণীয় | বাচ্চার পজিশন ঠিক করার উপায় | গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া
👍 সিরিয়াল ও তথ্যের জন্য : 01325-881520, 0189-0089754 👍
বাচ্চার পজিশন ঠিক করার উপায় গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া বেশি হলে করণীয় গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কম হলে করণীয় গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া বোঝার উপায় গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নড়াচড়া না করলে করনীয় গর্ভাবস্থায় কখন বাচ্চার নড়াচড়া গর্ভাবস্থায় বাচ্চা বেশি নড়াচড়া ১৭ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া ৩৬ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া বাচ্চার পজিশন বোঝার উপায় ৮ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার পজিশন বাচ্চার পজিশন উল্টো হলে করনীয়
#বাচ্চার পজিশন ঠিক করার উপায়#গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া#গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া বেশি হলে করণীয়#গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কম হলে করণীয়#গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ#গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া বোঝার উপায়#গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নড়াচড়া না করলে করনীয়#গর্ভাবস্থায় কখন বাচ্চার নড়াচড়া#গর্ভাবস্থায় বাচ্চা বেশি নড়াচড়া#১৭ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া#৩৬ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া#Youtube
0 notes
Text
নবজাতক জন্মের পর করণীয় কি কি ? নবজাতকের নাভির যত্ন ? নবজাতকের গোসলের নিয়ম ?
পোস্ট সামারীঃ
কত দিনের বাচ্চাকে নবজাতক বলা হয় ?
বাচ্চা জন্মের পর হতে ২৮ দিন পর্যন্ত বয়সী শিশুকে নবজাতক বলা হয়। এ সময় মা ও ছোট বাচ্চা দুজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ নবজাতককে নিরাপদ রাখার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো বিকল্প নেই। ওর নাজুক নমনীয় দেহ অতিশয় সহজেই বিভিন্ন রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ৷
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
বাচ্চা জন্মের পরপরই কি করা উচিত ? নবজাতক জন্মের পর করণীয় ?
বাচ্চা জন্মের এক ঘণ্টা শিশুর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সময়টা শিশুর জন্য ‘গোল্ডেন ওয়ান আওয়ার’। নবজাতক জম্মের পরে ১ম ও একমাত্র কাজ হলো মায়ের দুধ (শালদুধ) খাওয়ানো। শালদুধ শিশুর জন্য প্রথম টিকা হিসে��ে কাজ করে। তার সাথে শিশুকে নানারকম রোগ থেকে রক্ষা করে। শালদুধ পরিমাণে কম হলেও শিশুর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি জোগায়। শালদুধ খাওয়ালে শিশুর রাতকানা, জন্ডিস ও অন্যান্য রোগ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। শালদুধ খাওয়ালে মা ও ছোট্ট শিশু উভয়েই সুস্থ থাকে। শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো বলতে বোঝায় শিশুকে পূরণ ছয় মাস শুধুমাত্র বুকের দুধই পান করানো।
আরও জানুনঃ সর্বজনীন পেনশন পেতে থাকবে কোন হয়রানি, চালু হবে মুঠো ফোন অ্যাপ ? সর্বজনীন পেনশন ফান্ডের টাকা বিনিয়োগ হবে লাভজনক খাতে ?
জন্মের পর নবজাতককে কোমল কাপড় দিয়ে পরিষ্কারভাবে করে নিতে হবে। গরমের সময় শিশুকে মোটা কোনো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা সমীচীন নয়। তাতে ছোট্ট শিশু অস্থির হয়ে যেতে পারে। শিশুকে পাতলা কোমল কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখলেই চলবে।
নবজাতককে প্রথম কখন গোসল করানো হয় বা নবজাতকের গোসলের নিয়ম ?
শিশুর জম্মের তিন দিনের মধ্যে নবজাতককে স্নান করানো যাবে না। নবজাতকের স্বাভাবিক ওজন হলো ২.৫ কেজি। এই ওজনের চেয়ে কম বা কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পরে নবজাতককে মধু বা চিনির পানি খাওয়ানো সঠিক নয়। বাচ্চা জন্মের পর মাকে বেশি করে পানি খেতে হবে। এ ব্যতীত ফেমেলির স্বাভাবিক খাদ্য মাকে খেতে দিতে হবে।
আরও জানুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এবং গর্ভবতী মায়ের খাবার ?
জন্মের পর হতে ২৮ দিন পর্যন্ত
বিস্তারিত জেনে নিন।
#নবজাতক জন্মের পর করণীয়#নবজাতকের নাভির যত্ন#নবজাতকের গোসলের নিয়ম#নবজাতকের পায়খানা#নবজাতককে প্রথম কখন গোসল করানো হয় বা নবজাতকের গোসলের নিয়ম ?#নবজাতকের পায়খানা বা নবজাতকের পায়খানা কেমন হয়?#নবজাতক জন্মের পর করণীয় ?
0 notes
Video
youtube
সন্তান জন্মের পর করণীয় ৩টি কাজ | Alamgir Hossain | হুবহু আমির হামজা New...
0 notes
Text
#ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ#স্বাস্থ্যকর খাবার#মাথা ব্যাথা কি#মাথা ব্যাথা হলে করণীয়#মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
0 notes
Text
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন ব��পদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের স���্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
youtube
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
#বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়#To be done in cooperation with the flood victims#বন্যার্তদেরসহযোগিতা#floodvictims#Youtube
0 notes
Text
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
youtube
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
#বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়#To be done in cooperation with the flood victims#বন্যার্তদেরসহযোগিতা#floodvictims#Youtube
0 notes
Text
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া ম��নুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
youtube
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
#বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়#To be done in cooperation with the flood victims#বন্যার্তদেরসহযোগিতা#floodvictims#Youtube
0 notes
Text
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
youtube
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
বন্যার্তদেরসহযোগিতা
floodvictims
#বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়#To be done in cooperation with the flood victims#বন্যার্তদেরসহযোগিতা#floodvictims#Youtube
0 notes
Text
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো ঈমানি দায়িত্ব
বন্যায় প্লাবিত হয়ে আছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেক জায়গায় পানিবাহিত রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এতটাই বিপদসঙ্কুল যে, চোখে না দেখলে মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা বোঝা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
এ ধরনের পরিস্থিতিতে মুসলিম হিসেবে আমাদের ওপর অনেক দায়িত্ব বর্তায়। কোনো পরিবারে কেউ অসুস্থ বা উপার্জনহীন হয়ে পড়লে যেমন অন্যদের ওপর সেবা-শুশ্রূষা ও দুস্থের প্রয়োজন পূরণের দায়িত্ব বর্তায়- তেমনি গোটা মানবজাতি, বিশেষত গোটা মুসলিমসমাজ এক পরিবারের মতো।
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই মুমিনরা একে অন্যের ভাই। (সূরা হুজরাত, আয়াত ১০) বন্যার্ত বিপদগ্রস্তরাও আমাদেরই ভাই। তাদের কথা ভাবলে কষ্টে বুক ফেটে যায়। তাই আমরা যারা সামর্থ্যবান আছি, আমাদের জন্য একান্ত কর্তব্য হলো বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, যে অর্থ তোমরা উপার্জন করেছ এবং যা কিছু আমি জমিন থেকে তোমাদের জন্য বের করে দিয়েছি, তা থেকে উত্কৃষ্ট অংশ আল্লাহর পথে ব্যয় করো। তার পথে ব্যয় করার জন্য তোমরা সবচেয়ে খারাপ জিনিস বাছাই করার চেষ্টা করো না...’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৭)
সহযোগিতা যখন ধর্মীয় দায়িত্ব:
সমাজের বন্যাকবলিত বা দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা শুধু সামাজিক দায়িত্বই নয় এটা একজন মুসলিমের ধর্মীয় দায়িত্বও বটে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের ধন-সম্পদে আছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।' (সুরা: জারিয়াত, আয়াত:১৯)
রাসুল (সা.) বলে গেছেন, যে ব্যক্তির অতিরিক্ত বাহনজন্তু বা বাহনের খালি জায়গা আছে, সে যেন বাহনহীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে। কোনো ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত পাথেয় থাকে, সে যেন পাথেয়হীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে।
বর্ণনাকারী বলেন, নবীজি এভাবে আরও বহু সম্পদের কথা বলেছেন, তাতে আমাদের মনে হতে লাগল যে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদে আমাদের কোনো অধিকার নেই। (মুসলিম, হাদিস: ৪৪০৯)
এটিই ফিতরাত । এটিই ইসলামের শিক্ষা। দুঃখী মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা, বিপদগ্রস্ত লোকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হল ফিতরাত। এটিই মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃতি। সে-ই প্রকৃত মানুষ, যে অন্য মানুষের দুঃখে দুঃখী হয়। বিপদগ্রস্তের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসে।
তাই দুঃখী-দরদী মানুষের সেবায় সহযোগিতায় এগিয়ে আসা মানুষের ফিতরাত তথা স্বভাবজাত বিষয়।
ইসলাম যেহেতু ‘দ্বীনে ফিতরত’ তথা স্বভাবজাত ধর্ম, তাই মানবতার সর্বোচ্চ শিক্ষা রয়েছে ইসলামে। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানবতার মুক্তির দূত ও রহমাতুল লিল আলামীন।
তিনি নিজে যেমন পরোপকারে সর্বাগ্রে থাকতেন তেমনি মুসলমানদের জন্য রেখে গেছেন কল্যাণকামিতা ও সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধকারী অনেক অমীয় বাণী।
যেমন এক হাদিসে তিনি ইরশাদ করেছেন, দয়া, মায়া ও হৃদ্যতায় মুমিনদেরকে দেখবে এক দেহের মতো। কোনো এক অঙ্গ আক্রান্ত হলে তার সারা শরীর নির্ঘুম ও জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে। (বুখারি, হাদিস ৬০১১)
আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া:
বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধ্যানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আমাদের আল্লাহর দিকে রুজু হওয়াও জরুরি। গুনাহ ও পাপাচার থেকে তওবা করে আল্লাহ তাআলার কাছে বিনীত সমর্পিত হওয়া ঈমানের দাবি।
অন্যের দুঃখ-কষ্ট থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, নিজের ও পরিবার-পরিজনের জন্য আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ প্রার্থনা করাও আমাদের আশু কর্তব্য।
কতভাবেই তো মানুষের জীবনে বিপদ আসতে থাকে। যে কোনো বিপদই কষ্টের। কাজেই আসুন আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিরাপত্তা প্রার্থনা করি আর সাধ্যানুযায়ী আমাদের বিপদগ্রস্ত ভাই-বোনের পাশে দাঁড়াই।
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দিন, আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To Be Done In Cooperation With the Flood Vctims
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উ���্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
youtube
#বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
#To be done in cooperation with the flood victims
#বন্যার্তদেরসহযোগিতা
floodvictims
বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানো ঈমানি ও মানবিক দায়িত্ব।
youtube
youtube
মুমিনের ঈমান যতো শক্ত তার জন্য পরীক্ষা ততোধিক কঠিন
youtube
যেভাবে আমরা ঈমান হারাই -
youtube
কিভাবে বুঝবেন আপনার ঈমান এখনো ঠিক আছে
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To Be Done In Cooperation With the Flood Vctims
#বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়#To Be Done In Cooperation With the Flood Vctims#বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো ঈমানি দায়িত্ব#It is a religious duty to stand by the flood victims#flood#victims#religious#duty#ToDo#Youtube
0 notes