#করও
Explore tagged Tumblr posts
Text
আকাশবাণী মালোৰাবা ১.০.২
দশচক্র হইতে রহিত হইবার জন্য দশনাম গুণকৃত্তন করও। দ্বারে দ্বারে নগরে নগরে দেশে বিদেশে দশাবতার শ্রীশ্রী কাল্কির জয়ধ্বণী তোলও| #বন্দেমালোৰাবায়ং ত্রিগুণাতীত! ‘মালোবাবা” ওঁ মালোবাবায়ং নমঃ !!১০৮!! “এষা ব্রাহ্মী স্থিতিঃ পার্থ নৈনং প্রাপ্য বিমুহ্যতি। স্থিত্বাস্যামন্তকালেহপি ব্রহ্মনির্ব্বাণমৃচ্ছতি।।” …গীতা. ২/৭২। এষা, ব্রাহ্মী, স্থিতিঃ, পার্থ, ন, এনাম্, প্রাপ্য, বিমুহ্যতি,স্থিত্বা, অস্যাম্, অন্তকালে,…
View On WordPress
0 notes
Text
সলম (রহ) থক বরণত তন বলন : রসলললহ (সললললহ আলইহ ওয় সললম) বলছন : তমদর করও সতর যদ মসজদ যওয়র অনমত চয় তব স যন তক নষধ ন কর সনন আন-নসয় হদসর মন সহহ হদস #DailyHadith Al Mu'min
সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : তোমাদের কারও স্ত্রী যদি মসজিদে যাওয়ার অনুমতি চায়, তবে সে যেন তাকে নিষেধ না করে। সুনানে আন-নাসায়ী, ৭০৬ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস #DailyHadith Al Mu'min April 07, 2023 at 09:30PM
0 notes
Text
কারও মৃত্যুর জন্য প্রেমিকা বা প্রাক্তন প্রমিকাকে কাঠগড়ায় তোলা অনুচিত, সুশান্তের মৃত্যুতে সোনম | Critisising Girl Friend or Ex girl friend on someones death is unacceptable says Sonam Kapoor | bollywood
কারও মৃত্যুর জন্য প্রেমিকা বা প্রাক্তন প্রমিকাকে কাঠগড়ায় তোলা অনুচিত, সুশান্তের মৃত্যুতে সোনম | Critisising Girl Friend or Ex girl friend on someones death is unacceptable says Sonam Kapoor | bollywood
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে যেভাবে তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে আতশ কাঁচের তলায় নিয়ে এসেছেন নেটিজেনরা, সেটারই সম্ভবত প্র��িবাদ করেছেন সোনম৷
#মুম্বই: স্পষ্ট কথা বলতে তিনি ভালবাসেন৷ সোজা সাপটা কথা বলে অনেক সময় বিতর্কের মুখেও পড়েছেন৷ কিন্তু সোনাম তেমনই৷ নিজের মতামত দিতে কখনও পিছপা হন না৷ এবং সেভাবেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যকে নিয়ে যেভাবে…
View On WordPress
#bollywood#Critisising#death#friend#girl#Kapoor#someones#Sonam#Sushant Singh Rajput Dead#Sushant Singh Rajput Rhea Chakraborty#Sushant Singh Rajput Sonam Kapoor#Unacceptable#অনচত#কঠগডয়#করও#জনয#তল#পরকতন#পরমক#পরমকক#ব#মতযত#মতযর#সনম#সশনতর
0 notes
Link
1 note
·
View note
Text
কবি মোহাম্মদ ইরফানুল হক এর সমস্ত "উক্তি ও কথা"
Kobi Mohammad Irfanul Hoque "Ukti O kotha" Kobi Irfan - "কবি ইরফান"
কিছু অসমাপ্ত কবিতা হয়।
খুবই....চিরন্তন সত্যি।
১/ তারিখঃ ০৮/০৭/২০২২
সুন্দর ভাবে ��েঁচে থাকার স্বপ্ন,
প্রত্যাশী দের জন্য' অনেকটা কষ্টের হয়।
২/ তারিখঃ ০১/০৭/২০২২
আমি শিক্ষিতদের চাইতে জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে চলতে/কথা বলতে পছন্দ করি।💕🥀🌹
৩/ তারিখঃ ০৫/০৬/২০২২
সত্য বলিয়াছ তুমি, তবে তা সত্য নয়!
মিথ্যা বলিয়াছে, মন্ত্রী মশাই, ই'হা সত্য হয়।
তবে কথাটা আন্তরিক নয়, তবে তা বাস্তবিক সত্য হয়।
হোকনা সেটা ছোট বা বড় তবে তাহ সত্য।
___বাস্তবিক সত্য-০.২
৪/ তারিখঃ ১৫/০৬/২০২০
তোমাদের কাজকে ঘিরে, পুরো জাতি ধ্বংসের পথে।
ধ্বংস কাউ কে উদ্দেশ্য করে হয় না!
হয়ে যায় যখন কিছু'ই করার থাকে না! মেনে নিতে হয় এটাই বাস্তবতা
৫/ তারিখঃ ০৮/০৬/২০২২
।
কবি কখনো বেকার কিছু, নাহি ভাবে। সবই হবে কবিতার অংশ হিসেবে।
৬/ তারিখঃ ০৮/০৭/২০২২
হাজারো মানুষের ভিড়ে যখন একা মনে হয়!
তাহার থেকে বড় একা আর কিছুই নয়।
৭/ তারিখঃ ০৮/০৭/২০২২
মহিমান্বিত রব তোমায় দিয়েছেন সব
তার পরে-ও বলো; ভালো নেই আমি বুকে কষ্টের পাহাড়খনি!
8/ তারিখঃ ৩০/০৬/২০২২
ঠান্ডা আবহাওয়া যেমনই হৃদ জুড়ে। তেমনি মুগ্ধ করে, আর মস্তিষ্ক পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে।
৯/ তারিখঃ ১৩/০৬/২০২২
অতীত'কে ভুলে যাও
বর্তমান'কে সুন্দর করও
ভবিষ্যত সুন্দর হয়ে যাবে।
যদি'তা ভাগ্যে তোমার থাকে।
১০/ তারিখঃ ১৫/০৬/২০২২
সময়ের সাথে বদলে যায়...
আপনার সেই আকাশ চোয়া চিন্তা, ভাবনা।
১১/ তারিখঃ ২২/০৬/২০২২ ইংরেজি
বাস্তবিক সত্য সমূহ গায়ে লাগে. অনেকটাই অনেকটাই কাটা যুক্ত; তবে তাহ সত্য।
১২/ তারিখঃ ২২/০৬/২০২২ ইংরেজি
।
কিছু কথা আছে যা আন্তরিক নয়...তবে বাস্তবিক হয়।
হোকনা সেটা ছোট বা বড়, তবে তাহা সত্য।
সত্য বলিবে তুমি' গায়ে লাগবে তার।
তাহা'ই প্রমাণ করে; সত্য বলি আছো যাহ্।
কিছু কথা বাস্তবিক, তবে আন্তরিক নয়।
___"বাস্তবিক সত্য-০.১"
১৩/ তারিখঃ 06/06/2022
।
লুটে খাবে আমাদের তারা, চেয়ে চেয়ে দেখব আমরা।
পরে গিয়ে বলবো" সেত খেয়ে দিলো, আমাদের অর্থায়ন।
টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলো, কোন এক "দেশ নয়ন"।
এই ভাবেই হবে- হয়তো আমাদের উন্নয়ন।
১৪/ তারিখঃ ১০/০৭/২০২২
।
আমি এমন একজন ব্যাক্তি;
যার নাই কোন শক্তি।
রব আমায় যাহা দিয়াছে,
তাতেই আমি সন্তুষ্টি।
🌹🥀আলহামদুলিল্লাহ🥀🌹
১৫/ তারিখঃ ১২/০৭/২��২২
কারোই প্রকাশ্য নম্রতা দেখে তার সম্পর্কে এমনটা ��া ভাবা উত্তম। যেমন; হয়তো তার তেমন পাওয়ার (ক্ষমতা) নেই অথবা সে খুব সহজ সরল, নম্র, ভদ্র।
সহজ সরল, নম্র, ভদ্রতার আড়ালে লুকাইত থাকে মারাত্মক হিংস্রতা। সঠিক সময়ে তাহ প্রকাশিত হবে কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে। কিছুই করার থাকবেনা আফসোস ব্যতিত
১৬/ তারিখঃ ১৭/১৫/০৭/২০২২
আমরা যতই বড় বড় কথা লিখি ততো বড় নাই।
আমরা যতই ক্ষমতা দেখাই, কিন্তু ততো ক্ষমতার অধিকারীও আমরা নই।
▪️যদি হতাম তাহলে, আমাদের সকল ইচ্ছাকৃত কাজে বিজয় অর্জন আমরাই করতাম।
▫️মানে আমাদের বুঝতে হবে আমরা যতই ক্ষমতা দেখাই। সেই সকল ক্ষমতা আমাদের নয়। আমরা কিছু সময় তা ব্যাবহার করছি একটি সময়ে তাও আমাদের থেকে বিদায় নেবেন। আমরা শুন্য হয়ে যাবে।
🔻সময় থাকতে ক্ষমতার অপব্যবহার পরিহার করুন। সময় সবসময় এক হয়না! সময় পরিবর্তিত হয়।
১৮/ তারিখঃ ১৭/০৭/২০২২
আপনি চিন্তিত হবেন না! যখনি কোন কষ্টের সম্মুখীন হোন।
হতে পারে সেই কষ্টের মাধ্যমে আপনার জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আল্লাহ জানেন আপনার জন্য কোনটি ভালো কোনটা খারাপ। হয়তো কিছু সময় অথবা, দীর্ঘ সময় আপনাকে কষ্ট পেতে হবে। তবে চিন্তা করবে না এরপরে আপনি সুখ পাবেন/ সুখী হতে পারবেন।
১৯/ তারিখঃ ১৭/০৭/২০২২
হতাশা কখনো আপনাকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে না! নিজের ভিতরে মনোবল রাখুন। নিজেকে বলুন আমার জন্য আল্লাহ আছে।
তিনি যা জানেন তা কেউই জানি না! বা কল্পনাও করতে পারবো না। এতে রয়েছে আল্লাহ সুন্দর পরিকল্পনা যা হয়তো এ মূহুর্তে আমি বুঝতে সক্ষম নয়ই।
কিন্তু আল্লাহর পরিকল্পনাই সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ।
২০/ তারিখঃ ১৭/০৭/২০২২
আপনি অনেক ভাই ও বোনদের দেখবেন তারা বলে;
আল্লাহ কেন আমাকে এত কষ্ট দেন? আমিতো কোনো অন্যায় করিনি, আমি তো কখনো কারো খারাপ চাইনি; তারপরও কেন আমার সাথে এমনটা ঘটে। আমিতো সদাসর্বদা সকলের জন্য ভালো ও কল্যাণ কামনা করি!?.
আমারা বারবার একটা কথা ভুলে যাই;
আল্লাহ তাকে বেশি পরীক্ষা করেন যাকে আল্লাহ তা'য়ালা পছন্দ করেন। তো আপনাকে আল্লাহ তা'য়ালা পছন্দ করেন এজন্য আপনাকে পরীক্ষা করেন। আপনি যদি আল্লাহর সকল পরিক্ষা উত্তির্ন বা বিজয়ী হতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার জন্য সুখ রয়েছে।
২১/ তারিখঃ ১৫/০৭/২০২২
আপনার ঘরে নারী থাকার পরে-ও আপনি অন্য নারীকে বিরক্ত করেন।
এর মানে হয়; আপনার ঘরে যদি নারী না থাকতো, তাহলে আপনি সেই সকল নারীকে ধর্ষণ করতেন।
__খারাপ পুরুষদের প্রদান হচ্ছে, ঐ সকল পুরুষ যারা নারীদেরকে উত্তপ্ত করে।
0 notes
Text
শিব যোগ বারোমাস্যী দেহতত্ত্ব! 'মহাবেদ'
শিব যোগ বারোমাস্যী দেহতত্ত্ব! ‘মহাবেদ’
শিব যোগ ৭’ম দিবস মহাবেদ’ মহাজ্ঞান-বিজ্ঞান দেহতত্ত্ব! ‘মনুষ্যধর্ম্মঃ জাগরণের জন্য। #বন্দে্মালোবাবায়ং ================================== শিবযোগ বারোমাস্যি দেহতত্ত্ব ঞ্জান-বিঞ্জান ================================== ওঁ মালোবাবায়ং নমঃ !!১০৮!! বার যপ করিয়া শিবযোগ করও। মানব জীবনে মনুষ্যধর্ম্ম রক্ষা করিয়া গৃহস্থ্য সংসার জীবনে উন্নতি করও।। বৈবসৎ কালের বৈশাখ মাসে শিবযোগ যদি করও ভাই। মানব জীবন তোমার…
View On WordPress
0 notes
Text
চাল আমদানি ঠেকাতে দ্বিগুণ হলো শুল্ক
চাল আমদানি ঠেকাতে দ্বিগুণ হলো শুল্ক
চাল আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক-কর বাড়িয়েছে সরকার। ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে তা ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর চাল আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ অগ্রিম করও আরোপ করা হয়েছে। তবে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এনবিআরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দশ মাসে প্রায় তিন…
View On WordPress
0 notes
Link
আপনারা সবাই এই টেষ্ট টা করে ফেলুন আমি ও করছি। শিখে রাখলে যে কোন সময় যে করও উপকারে আসবে বা উপকার করতে পারবেন।এবং বেশি বেশি শেয়ার করুন এই সময়ে মানুষের জন্য খুবই উপকারি ভিডিও
0 notes
Photo
নতুন বাজেটে ব্যাংক ‘ডাকাতদের’ বিশেষ সুবিধা, তোপের মুখে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে গত ৭ জুন ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট এটি। যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। যদিও এই বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় রয়েছে অর্থনীতিবিদদের। কারণ, বিগত ৫ বছরের কোনো বাজেটই বাস্তবায়ন হয়নি। অপরদিকে এই বাজেটে ব্যাংক লুটেরাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সংসদে কার্যকর কোনো বিরোধী দল না থাকলেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে অর্থমন্ত্রীকে। এছাড়া টিআইবি, এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন সংগঠন ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা ব্যাংক মালিকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে করণীয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সাথে বিশৃঙ্খল ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে আইএমএফ-ও পরামর্শ দিয়েছে। এক নজরে বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। দেশের ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। বাজেটে ব্যয় মেটাতে সরকারি অনুদানসহ আয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। মোট ঘাটতি ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে (এডিপি) ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা ধরা হয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। সরকারের অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা থেকে ঋণ ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা আছে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। পরিবহন ও যোগাযোগে বরাদ��দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ পেয়েছে বেশি শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত-১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রস্তাবিত অনুন্নয়ন বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৪ কোটি টাকা। অনুন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সরকারের সুদ পরিশোধে ১৮ শতাংশ। চলতি বাজেটে যা ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ পেয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত- ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে চলতি বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ কিছুটা বেশি ছিল, ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া বরাদ্দ কিছুটা কমেছে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বাজেটে আছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। পেনশন অবসর ভাতায় ��রাদ্দ রাখা হয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে-কমছে বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও দাম বাড়ছে এনার্জি ড্রিংক, সব ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী, সানস্ক্রিন, সানগ্লাস, আফটার শেভ লোশন, সিরামিক বাথটাব, ফিলামেন ল্যাম্প, পলিথিন, ১ হাজার থেকে ১৬শ স্কয়ার ফিট ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ফি। কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে- কৃষিজমির রেজিস্ট্রেশন ফি, রড, সিমেন্ট, হাইব্রিড মোটরকার, ক্যানসারের ওষুধ, টায়ার-টিউব তৈরির কাচামাল, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ। ব্যাংক মালিকদের জন্য বাড়তি সুবিধা বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের আরও বড় সুবিধা দিতে যাচ্ছে সরকার। তাদের বেশি মুনাফার জন্য ব্যাংকের করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ব্যাংকের পাশাপাশি বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করও একই হারে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংক পরিচালকরা যখন যা চাইছেন, তাই পাচ্ছেনÑ এমন রীতি চালু হচ্ছে মনে করেন ব্যাংক খাত বিশেষজ্ঞরা। ব্যাংক মালিকদের চাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারকে বেশ কিছু নীতিনির্ধারণী পরিবর্তন আনতে হয়েছে ইতিপূর্বে। পরিবর্তন আনতে হয়েছে আইনেও। সুদের হার কমানোর আশ্বাসে ব্যাংক মালিকদের চাপে এসব সুবিধা দেওয়া হলেও কমেনি সুদ হার। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা কার্যকর হলে বাড়বে ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফা। এতে ব্যাংকের পরিচালকরা আগের চেয়ে বেশি মুনাফার ভাগ পাবেন। সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া নয়টি নতুন ব্যাংক। কারণ এসব ব্যাংক এখনো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। মুনাফা ভাগাভাগি করে নেবেন পরিচালকরা। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ৪০ শতাংশ থেকে কমে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ৪০ শতাংশ হবে। ব্যাংক লুটপাটে তোপের মুখে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কার্যকর কোনো বিরোধী দল নেই। তারপরও ব্যাংক লুটপাটকারী, ঋণের আড়ালে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বাজেটে লুটেরাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবে সংসদে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে অর্থমন্ত্রীকে। সরকারে ও বিরোধী দলের দ্বৈত ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির অব্যাহত সমালোচনার মুখে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত ১২ জুন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার শুরুর দিনে সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। এর আগের দুদিনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায়ও সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর ছিলেন। সংসদে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় জাসদের নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকে টাকা দিয়েছেন, একবার করের ছাড়, একবার ভর্তুকি দিচ্ছেন। একটা সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিবার এ রকম করে ব্যাংককে রক্ষা করা যাবে। কিন্তু অর্থনীতি রক্ষা হবে না।’ জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় ডাব খেতাম, রস খেতাম। তখন বলত চুরি করেছি। আর এখন হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হচ্ছে, অথচ লুট বলা যাবে না। ব্যাংক কাদের টাকা দিচ্ছে? রাষ্ট্র ব্যাংক লুটকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। কেন জবাবদিহি করা হচ্ছে না? কেন এভাবে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে? লুট করেন, লুট করার সুযোগ দিচ্ছেন। শাস্তি না দিয়ে টাকা দিয়েছেন। আবারও একই অবস্থা হবে।’ একই দলের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, ‘ব্যাংক খাতে কর্পোরেট কর আড়াই ভাগ কমানো হয়েছে। কিন্তু অন্য কর্পোরেট খাতে ৪০ শতাংশ রেখে দিয়েছেন। যে খাত ভালো করছে, সেখানে কর কমালেন না। যে খাতে লুটপাট হচ্ছে, কমালেন সেখানে!’ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার বলেন, ‘এতবড় বাজেট বক্তৃতায় বিচার বিভাগ নিয়ে দুটি কথা বলা হয়েছে। এই বাজেট ব্যুরোক্রেটিক বাজেট। যখন এ ধরনের বাজেট হয়, তখন বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এত বেশি বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে, যে কারণে ব্যয় বেড়ে গেছে। উন্নয়নে বরাদ্দ কমছে। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার, নাকি গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের সরকার?’ এর আগে ১০ জুন সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় এমপিরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা ব্যাংক লুট ও অর্থপাচারকারীদের ধরতে না পারা এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে ব্যর্থ হওয়াকে অর্থমন্ত্রীর অদক্ষতার বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেছেন। সেই সাথে ব্যাংক মালিকদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমপিরা। এদিন শুরুতেই অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ। এরপর তার সঙ্গে সুর মেলান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (সম্প্রতি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয়া) রুস্তুম আলী ফরাজী। অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রুস্তুম আলী ফরাজী বলেছেন, ‘কিছু মানুষ ব্যাংকিং খাতে লুটপাট করবে, এটা হতে পারে না। ঋণ খেলাপি হবে, অর্থ পাচার করবে এই ঋণ খেলাপি অর্থ পাচারকারীদের আপনি (অর্থমন্ত্রী) ধরেন।’ রুস্তুম আলী ফরাজী আরও বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা রাখলে পাচার হবে, মানুষ এই আতঙ্কে আছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ খেলাপিরা টাকা দেশেও রাখে না, বিদেশে পাচার করে। এরা ব্যাংকের কিছু আর রাখবে না।’ প্রশাসনে অনিয়ম চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বেতন বাড়ানো হলো তারপরেও কর্মকর্তারা ঘুষ খায়। তারা বেতন নিলে ঘুষ বন্ধ করতে হবে। আর ঘুষ নিলে বেতন বন্ধ করতে হবে।’ কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, ‘সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে লুটপাটকারী ব্যাংক মালিকরা দেশে থাকবে না, তাদের ��ুঁজেও পাবেন না। তারা বিদেশে পালিয়ে যাবে, ইতিমধ্যে ভিসা লাগিয়ে ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে যে লুটপাট হয়েছে, সেটিকে ভারতের সোমনাথ মন্দিরের লুটপাটের সঙ্গে তুলনা করা যায়। তখন সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করে ২০ বিলিয়ন ডলার লুটপাট করা হয়েছিল। আর বাংলাদেশে ব্যাংক লুটপাটের আগ পর্যন্ত এতো বড় লুটপাটের ঘটনা আর ঘটেনি।’ অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘ব্যাংক খেলাপি কারা? এটা কি আপনি (অর্থমন্ত্রী) জানেন না? কেন তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন না? এরা ২৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে, এই সমস্ত ভুয়া বাজেট দিয়ে কাজ হবে না। এই বাজেটের মধ্যে কিছু নেই। আপনি ধনিকে খুশি, গরিবকে নিঃস্ব আর ব্যাংক ডাকাতদের উৎসাহিত করেছেন এই বাজেটের মাধ্যমে। কিন্তু ব্যাংক মালিকরা আপনাদের ভো�� দেবে না। ভোটের মালিক সাধারণ মানুষ।’ প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিক্রিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হওয়াকে ‘ব্যাংক ডাকাতি’ বলে অভিহিত করে এই ডাকাতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। এদিকে ব্যাংক ব্যবসায়ীদের চাপে করপোরেট কর হার কমানোর সিদ্ধান্ত অনিয়ম উসকে দেবে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডি। অপরদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়াও বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনীতিবিদ প্রস্তাবিত বাজেটের নানাদিক নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। এটিকে নির্বাচনী ‘ঘুষ বাজেট’ বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। ‘ব্যাংক ডাকাতদের’ শাস্তি চায় এফবিসিসিআই : এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, ‘একশ্রেণির লোক আছেন, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাংকের টাকা তছরুপ করেছেন, ব্যাংকের টাকা ডাকাতি করেছেন। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যারা ব্যবসা করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকের সহায়ক ভূমিকা দেখতে চাই।’ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গত ৯ জুন মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের পর্যালোচনা তুলে ধরতে গিয়ে সংগঠনটির সভাপতি এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি ব্যাংক লুটপাটের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন। ব্যাংক খাতকে আরও অনৈতিক সুবিধা দেয়া হয়েছে : নৈরাজ্য বন্ধ না করে ব্যাংক ব্যবসায়ীদের চাপে করপোরেট করহার কমানোর সিদ্ধান্ত অনিয়ম উসকে দেবে বলে মনে করে সিপিডি। গত ৮ জুন ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা পেশকালে বেসরকারি গবেষণা সংস্থাটি এ মন্তব্য করে। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরে রাখা কঠিন। ব্যাংক খাত সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় টিআইবির উদ্বেগ : উন্নয়ন পরিকল্পনার সঠিক তদা��কি ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নে নজরদারি বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কৌশলগত পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে টিআইবি। গত ১০ জুন এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেছেন। বাজেটে সরকারি আয় বৃদ্ধিতে বর্ধিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আরোপের প্রস্তাবের প্রভাব এবং সংকটাপন্ন ও অনিয়মে জর্জরিত ব্যাংক খাত সংস্কারে প্রতিশ্রুত উদ্যোগ না থাকায় বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি। একই সঙ্গে বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত লোকসানি খাতের ঘাটতি পূরণে জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি অব্যাহত রাখা ও বিশেষ কৌশলে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা-টিআইবি। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে ব্যাংকে কর কমানোর কোনো যুক্তি নেই : প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, ব্যাংকের মুনাফার ওপর করপোরেট কর কমানোর কোনো অর্থনৈতিক যুক্তি নেই। এটি বড়লোকদের পক্ষে গেছে। ব্যাংক মালিকরা ধনী লোক, তাদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রশ্ন হলো, এই বাজেট অর্জিত হবে কি না। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি বড়জোর ১৬-১৭ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু রাজস্ব প্রবৃদ্ধি কিছুতেই ৩০-৩২ শতাংশ হবে না। ব্যাংক খাতে করপোরেট হার কমানোর ফলে এই খাতে বড় অঙ্কের কর কমবে। একই অবস্থা শুল্ক খাতেও। কর নীতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে বাড়বে না, বরং কমতে পারে। আর ৩০ শতাংশের মতো রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা মনে করেন, এবারের বাজেটে সেবা খাতের সংস্কারে কিছু কথা বলা হয়েছে। যেমন সড়ক নিরাপত্তা, শহর এলাকায় যানবাহন সমস্যা, পেনশন ইত্যাদি। বাজেটে এসব সম্পর্কে আইডিয়া (ধারণা) দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো উদ্যোগের কথা বলা হয়নি। এই বাজেট থেকে সাধারণ মানুষের বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, বাজারমূল্য কেমন হবে। চালে ২৮ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। চালের দাম যাতে বেশি পড়ে না যায়, সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে হয়তো উৎপাদকের কিছুটা উপকার হবে। কিন্তু যারা বাজার থেকে চাল কিনে খান, তাদের খুব বেশি সুবিধা হবে না। এই উদ্যোগের সঙ্গে ভোক্তা ও উৎপাদকের স্বার্থের দ্বন্দ্ব আছে বলেও মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। বাজেটে ‘নির্বাচনী ঘুষ বরাদ্দ’ ১৮ হাজার কোটি টাকা : পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন পক্ষকে খুশি করতে চেয়েছেন। কিন্তু এই খুশি করতে গিয়ে, ঝুঁকি না নিতে গিয়ে গভীরতর ঝুঁকিগুলো থেকে গেল। প্রস্তাবিত বাজেটকে জনতুষ্টিমূলক বলতে পারি। নির্বাচনের বছরে এটা কাম্যও বটে। বাজেটে মাদ্রাসা ও স্কুলের সংস্কারে ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটা মোট বাজেটের ৪ শতাংশ। এই বরাদ্দ মূলত এমপিদের জন্য। এটা একধরনের ‘নির্বাচনী ঘুষ’। এখানে তদারকির বিষয়টি এমপিদের হাতে। আমাদের দেশে এ ধরনের প্রকল্পে কী হয়, তা আমরা ভালো করে জানি। সাবেক এই উপদেষ্টা আরও বলেছেন, ‘অর্থমন্ত্রী অস্বস্তির সঙ্গে একটি স্বীকারোক্তি করেছেন। গত ৫-৬ বছর ধরে বাজেটের প্রায় ২০ শতাংশ অবাস্তবায়িত থেকে যাচ্ছে। গত বছর ২১ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়নি। এই ধারাবাহিকতা যদি থাকে, তাহলে প্রস্তাবিত বাজেট আসলে ৩ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকার। বড় আকারের বাজেট করে কতটা লাভ হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’ হোসেন জিল্লুরের মতে, ‘এই অবাস্তবায়নের জন্য তিন ধরনের দক্ষতার সংকট রয়ে গেছে। প্রথমটি, প্রকল্প প্রণয়নের দক্ষতার সংকট। দ্বিতীয়টি, ব্যয়ের দক্ষতার সংকট। তৃতীয়টি, বাস্তবায়নে অদক্ষতা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার কমছে। এর কারণ হলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এই জন্য যে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি দরকার, তা নেই প্রস্তাবিত বাজেটে।’ ব্যাংক মালিকরা যা চাইছেন তাই পাচ্ছেন : ‘প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবারের মতো এবারও ব্যয়ের মাত্রা অনেক বেশি এবং সরকারের আয়ের সাফল্য কম। বাজেটের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জনের সম্ভাবনাও কম। এককথায়, এই বাজেট বাস্তবায়ন ও রাজস্ব আদায় অসম্ভব ব্যাপার।’ এমনটাই মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংক মালিকরা যা চাইছেন, তা-ই পাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘একমাত্র ব্যাংক খাতের জন্যই কর আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছে। এটা কোনোভাবেই জনবান্ধব নয়। এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় কমবে, খাতেরও কোনো উন্নতি হবে না।’ ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ৩ সুপারিশ আইএমএফের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তিনটি পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এগুলো হচ্ছে- শক্তিশালী প্রবিধান, কঠোর নজরদারি ও সুশাসন নিশ্চিত করা। সংস্থাটি জানিয়েছে, শৃঙ্খলা না থাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ভালো পারফরম্যান্স করতে পারছে না। বরং অব্যাহতভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। গত মার্চে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার আর্টিকেল ফোর মিশন সম্পন্ন করে আইএমএফ। সেই মিশনের সার্বিক পর্যবেক্ষণ নিয়ে গত ৮ জুন সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করেছে আইএমএফ। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও অস্থিরতার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। আইএমএফের প্রতি��েদনে ব্যাংক খাত ছাড়াও সরকারের রাজস্বনীতি, অর্থনীতির বিভিন্ন শক্তিশালী দিক এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আইএমএফ মিশনের প্রধান ডাইসাকু কিহারা বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করছে আইএমএফ। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও অস্থিরতার ঝুঁকি রয়েছে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একই ��রিবারের দু’জনের পরিবর্তে চারজন সদস্য এবং ব্যাংক পরি��ালকদের মেয়াদ ৬ বছর থেকে বাড়িয়ে ৯ বছর করা হয়েছে, যা সুশাসনের ক্ষেত্রে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এ ছাড়া নতুন ব্যাংক দেওয়ার উদ্যোগে আপত্তি জানিয়েছে আইএমএফ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণের হার ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশই খেলাপি। ভোটের আগেই বাড়ছে মধ্যবিত্তের ব্যয় প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে আয় বৃদ্ধির জন্য নেওয়া পদক্ষেপের কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণি চাপে পড়বে। ৫টি মৌলিক চাহিদার ৩টিতেই কোনো না কোনোভাবে কর বাড়ানো হয়েছে। বিরূপ প্রভাব এরই মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে চালের পাইকারি বাজারে। বাজেট উত্থাপনের দু’দিনের মাথায় চট্টগ্রাম বন্দরে পাইকারি বাজারে চাল কেজিতে ২-৩ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এসব চাল শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়েই ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু বাজেটে ২৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় নির্বাচনের বছরে চালের দাম বৃদ্ধি সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৪৫ টাকার নিচে কোনো চাল মিলছে না। মান ভেদে ৭০ টাকা পর্যন্ত প্রতিকেজি সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে দেশে। বিশ্লেষকরা বলছে, পুরো বাজেটে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করে বেশি জোর দেয়া হয়েছে। যা ভোক্তা শ্রেণির ব্যয় বাড়াবে। বাজেটে তুলনামূলকভাবে উচ্চ আয়ের মানুষকে সুবিধা দেয়া হয়েছে। এসব কারণে ভোটের আগেই প্রায় ৩ কোটি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। এ ধরনের পদক্ষেপ অর্থনীতির সাম্যনীতির পরিপন্থি বলছেন অর্থনীতিবিদরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, রাজনৈতিক অর্থনীতির প্রভাবে এবারের বাজেটে মধ্যবিত্তরা চাপে পড়বে। ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনের টাকা সংগ্রহের জন্য সম্পদশালীদের গুরুত্ব দেন। এ জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে তাদেরকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন দেবপ্রিয়। কিন্তু বিকাশমান শিক্ষিত মধ্যবিত্তের ভূমিকাকে এখনও মূল্যায়ন করেন না। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে অর্থনীতির সুষ্ঠু বিকাশ এবং শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নসহ সমাজে কাক্সিক্ষত ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না। অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, যাদের দৈনিক আয় ১০ থেকে ৪০ ডলারের মধ্যে, তারাই মধ্যবিত্ত। তবে আর্থিক সক্ষমতার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, সামাজিক মর্যাদা, মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক সুযোগ-সুবিধাকেও মানদ-ে আনতে হবে। ওই বিবেচনায় বাংলাদেশে মধ্যবিত্তের সংখ্যা ৩ কোটির মতো। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিবছরের বাজেটেই আয় বাড়াতে হয়। আর এ আয়ের বড় অংশ দেশের ভেতর থেকেই সংগ্রহ করা হয়। ফলে বাজেটের কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। এ বছরও বাজেটের আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তদের ��ার্গেট করা হয়েছে। এ কারণে ব্যক্তি শ্রেণির ন্যূনতম করসীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সিপিডির পর্যালোচনায় বলা হয়, বাড়তি কর যা আসবে তার ২৯ শতাংশ আসবে প্রত্যক্ষ কর থেকে। ভ্যাট বা পরোক্ষ কর থেকে আসবে ৩৫ শতাংশ। এর মানে মধ্যবিত্ত, নি¤œবিত্ত ও সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়াবে। (সাপ্তাহকি শীর্ষকাগজে ২৫ জুন ২০১৮ প্রকাশিত)
0 notes
Link
কভব diet পরবরতন ন করও ওজন বড়ন সমভব Weight Gain Tips in BANGLA Weight Gain Tips on HOW TO GAIN WEIGHT AND MUSCLE Motivational Video in BANGLA Hindi version of this video: https://youtu.be/gmFyjTLzqt4 English version of this video: Coming Soon Myfitnesspal App link : https://goo.gl/VDiiao If you want to gain weight then it is very important that you do it right. Binging on soda and donuts may help you gain weight but it can destroy your health at the same time. If you are underweight then you want to gain a balanced amount of muscle mass and subcutaneous fat not a bunch of unhealthy belly fat. There are plenty of normal weight people who get type 2 diabetes heart disease and other health problems often associated with obesity. Therefore it is absolutely essential that you still eat healthy foods and live an overall healthy lifestyle. Here are 6 tips to gain weight: 1. Don't drink water before meals. 2. Eat more often 3. Drink milk 4. Use bigger plates 5. Add cream to your coffee 6. Get quality sleep. Our Bengali Channel : youtube.com/jibonsomossarsomadhan Our Hindi Channel : youtube.com/solutionforlifeproblems Our English Channel : youtube.com/sandeepmaheshwarifan Join us on facebook: http://ift.tt/2oM2ioF Follow us on twitter: https://twitter.com/SlutnForLifePrb Video Credits : Animation Liton Saha Script Suman Saha Translation Suman Saha Voiceover Suman Saha Uploading Suman Saha Publishing Suman Saha
0 notes
Text
আগামী বছর থেকে মালদার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল
মালদা, ৮ নভেম্বর: আগামী বছরে শহরের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল। এদিন এখবর শোনালেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহারঞ্জন ঘোষ। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৫৫ কোটি টাকা দিয়েছেন এই জল প্রকল্পের জন্য। ইতিমধ্যেই নিমাসর���ই এলাকায় মহানন্দা নদীতে ইনটেক পয়েন্ট তৈরি হয়ে গেছে। ৬টি ওয়ারহেড রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া কোতোয়ালিতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজও শেষ। আগামী বছরের শুরু থেকেই মালদা শহরে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। তবে তিনি আরও জানান, বাড়িতে পানীয় জলে পেতে গেলে শহরবাসীকে কিছু করও দিতে হবে। তবে সেই করের মাত্রা এখনও ঠিক হয়নি। (এনএ) Read the full article
#৫৫ কোটি টাকা#আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল#ইংরেজবাজার পৌরসভা#ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট#মহানন্দা নদী#মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী
0 notes
Photo
ফেতুল্লাহ গুলেনকে যেকোনো সময় তুরস্কে হস্তান্তর তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় নেপথ্য নায়ক হিসেবে অভিযুক্ত তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার নির্জন প্রাসাদে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি তাকে হস্তান্তরের অপেক্ষায় আছে যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের আইনমন্ত্রী আব্দুল্লামিত গুল বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে উৎখাত চেষ্টায় অভিযুক্ত নেপথ্য নায়ক যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ফেতুল্লাহ গুলেনকে হস্তান্তরের জন্য সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে। এখন আমরা তাকে ফিরে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। খবর বার্তা সংস্থা আনাদলু'র। রবিবার রাজধানী ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন, হস্তান্তরের জন্য কোনো প্রমাণের ঘাটতি নেই। সব প্রক্রিয়াও আমরা সম্পন্ন করেছি। যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের আইনানুযায়ী সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে। এর আগে ফেতুল্লাহ গুলেনকে হস্তান্তরের প্রস্তাব করে বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টে কল��্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ ’-এর সিনিয়র ফেলো আব্রাহাম আর ওয়াঙ্গারের ‘ফেতুল্লাহ গুলেনকে তুরস্কে ফিরিয়ে দেয়ার এখনই সময়’ শিরোনামে লেখা নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। গত বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে উৎখাত চেষ্টার নেপথ্যে ফেতুল্লাহ ও তার সমর্থকরা মূল ভূমিকা রাখে বলে অভিযোগ করে দেশটি। তুরস্কে ফেতুল্লাহর বিশাল সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে, যাদের ‘ফেতুল্লাহ টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন ’ (ফেতো)-এর সদস্য মনে করা হয়। প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বমিডিয়া ফেতুল্লাহ গুলেনের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। আব্রাহাম বলেন, গুলেনের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। এতে তার কূটনৈতিক চক্রান্তের সব তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি হাজার হাজার ডলার পেয়েছেন, যা দিয়ে তার বিশাল নেটওয়ার্ক সক্রিয় রেখেছেন। এসব অর্থের করও ফাঁকি দেয়া হয়েছে, যা তদন্তাধীন। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে উৎখাতের চেষ্টা করে ফেতুল্লাহর সমর্থকরা। ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানে ২৫০ সামরিক-বেসামরিক লোক নিহত হন। আহত হন প্রায় ২২০০ জন। তুরস্কের অভিযোগ, অভ্যুত্থান চেষ্টার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ফেতুল্লাহ গুলেন ও তার প্রতিষ্ঠিত ফেতো নেটওয়ার্ক। ওই ঘটনার পর তুরস্কের একটি আদালত গুলেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। *News Searching By Bd Pratidin*
0 notes
Text
ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে চোখ তুলে তাকানোর শক্তি কারও নেই: সর্বদল বৈঠকে মোদি
ভারতীয় ভ���খণ্ডের দিকে চোখ তুলে তাকানোর শক্তি কারও নেই: সর্বদল বৈঠকে মোদি
‘চিন আমাদের সীমান্ত পেরোতে পারেনি। চিন আমাদের কোনও সেনা চৌকিও দখল করতে পারেনি। ২০জন সেনা শহিদ হয়েছেন। কিন্তু যারা ভারত মাতাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল, তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। লাদাখ নিয়ে সর্বদল বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী। ‘জল-স্থল-আকাশপথে দেশ রক্ষায় যা করার, তাই করছে সেনা। ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে চোখ তুলে
View On WordPress
#ABP Ananda#ABP Ananda Live#ABP Live#China killed Indian soldiers#India - China Border Face off#India China border firing#India China Ladakh#Indian soldiers killed#Indo China Conflict#PM Modi Live#করও#চখ#তকনর#তল#দক#নই#বঠক#ভখণডর#ভরতয়#মদ#শকত#সরবদল
0 notes
Photo
সাগর আই লাভ ইউ (পর্ব ১০) আলমারির গল্প হল, আবার স্রোতস্বিনীতে ফিরে আসি। ন্যাপকিনে দিয়ে টেবিলে পড়া কফি মুছে বললাম,‘স্রোতস্বিনী, তোমার কথা ঠিক মতো বুঝতে পারছি না।’ স্রোতস্বিনী বলল,‘না বোঝার মতো তো কিছু বলিনি সাগর। একজনকে কিডন্যাপ করতে হবে। আমি তার জন্য খরচ করব। ভালই খরচ করব। তুমি রাজি আছো কিনা বলো। খুব সহজ একটা প্রস্তাব। এর মধ্যে কোনও জটিলতা নেই।’ আমি নিজেকে সামলে নিয়ে হাসলাম। বললাম,‘সহজ প্রস্তাব! কিডন্যাপ সহজ কাজ? সে যাই হোক, এর জন্য আমাকে কেন দরকার? এই ধরনের কাজ করবার জন্য ভাড়াটে লোক পাওয়া যায়। সুপারি দিলেই পাওয়া যায়। সুপারি কি জানো? কাজের জন্য টাকা। ফেল কড়ি, মাখো তেল। ��োমার এই কাজেরবেলায় ফেল কড়ি করো কিডন্যাপ।’ স্রোতস্বিনী কফির মাগ হাতে তুলে নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে বলল,‘পান, সুপারি, চুন কিছুই দেব না। আমার কোনও ভাড়াটে গুন্ডা দরকার নেই। আমি চাই কাজটা তুমি করো। কোনো ভাড়াটে লোক ছাড়াই করো।’ ভাগ্যিস কফি খাচ্ছিলাম না। খেলে এবার আর শুধু চলকে পড়ত না, বিরাট বিষম খেতে হত। স্রোতস্বিনী কি সেন্সে আছে? ও আমাকে কিডন্যাপার হতে বলছে? স্রোতস্বিনী আমার মনের কথা বুঝতে পারল। বলল,‘ তোমার নিশ্চয় মনে হচ্ছে, আমি সেন্সে নেই, পাগলামি করছি। তাই তো?’ আমি বললাম, ‘এ কথা মনে হওয়া কি খুব অন্যায় স্রোতস্বিনী? আমার কোন গুণ দেখে তোমার মনে হল, কিডন্যাপের কাজে আমি একজন পারদর্শী?’ ‘পারদর্শী নও বলেই আমি তোমাকে চাইছি। প্রফেশনাল ক্রিমিনাল দিয়ে এই কাজ আমি করতে চাই না সাগর। প্রফেশনাল নেওয়ার হাজার সমস্যা। সবথেকে বড় ঝামেলা বাইরের লোক বিষয়টা জেনে যাবে। আমি এটা চাই না। তুমি পারবে কিনা বলো।’ আমি চুপ করে রইলাম। নিজেকে কিডন্যাপার হিসেবে ভাববার চেষ্টা করলাম। খবরের কাগজে তো কতরকম অপহরণের গল্প পড়ি। সিনেমাতেও দেখেছি। আমি সেগুলোর সঙ্গে নিজেকে মেলবার চেষ্টা করলাম। কালো কাচে ঢাকা মস্ত গাড়ি ফস্ করে এসে পাশে দাঁড়াবে। আমি ঝট্ করে গেট খুলে নেমে পড়ব। হাতে থাকবে ক্লোরোফর্ম ভেজানো রুমাল। সেই রুমাল আমি চেপে ধরব নাকে। তারপর পাঁজাকোলা করে তুলে ঢুকিয়ে নেব গাড়িতে। সাঁই করে গাড়ি চলে যাবে। আরও আছে, শুনি বড়লোকেরা মর্নিংওয়াকে বেরিয়ে কিডন্যাপারের পাল্লায় পড়ে। মর্নি শোজ দ্য ডে -এর মতো মর্নিং শোজ দ্য কিডন্যাপিং। আমি কি তাই করব? করতে পারি। ভোরবেলা ময়দানে ঘাপটি দিয়ে থাকব। মোটাসোটা ভুঁড়িওলা, হাতের দশটা আঙুলে হিরের আংটি পরা কাউকে দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ব। আবারা বাড়িতে থেকে কলিংবেল টিপে অপহরণের ঘটনাও কোনও কোনও সিনেমায় দেখেছি। এই ধরনের অপহরণে দরজা খুললেই পেটে রিভলবার ঠেকাতে হয়। নিচু গলায় বলতে হয়,‘স্যার, রাস্তায় গাড়ি রাখা আছে। চলুন আমরা দু’জন গাড়িতে করে ঘুরে আসি। গাড়িতে রবীন্দ্রনাথের গানের ব্যবস্থা আছে। গানের নাম তোমরা যা বলো তাই বলো আমার লাগে না মনে। গায়িকার নাম, শ্রাবণী সেন। গাড়িতে বসে শুনবেন। আসুন স্যার।’ আমাকে কোন ভূমিকায় মানাবে? এবার বেশ থ্রিলড্ লাগছে। ভিতরে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা অনুভব করছি। তার ওপর একটু আগেই স্রোতস্বিনী বুঝিয়ে দিয়েছে, আমাকে সে ‘বাইরের মানুষ’ মনে করে না। এর তো একটা দা�� আছে। স্রোতস্বিনী ভুরু কুঁচকে বলল,‘কী হল? কিছু বলছো না যে, ভয় করছে?’ আমি হেসে বললাম,‘তা খানিকটা তো করছেই। তবে ইন্টারেস্টিংও লাগছে। এই ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট করবার চান্স কি আর কখনও পাব? এবার স্রোতস্বিনী তুমি কি আমাকে ঘটনাটা পুরো বলবে?’ ‘না, আগে তুমি ডিশিসান নাও।’ আমি নিচু গলায় বললান,‘মনে হচ্ছে, ডিশিসন আমি নিয়ে ফেলেছি।’ স্রোতস্বিনী চোখ সরু করে আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইল। বলল,‘এখন ঝোঁকের মাথায় কোনও ডিশিসন নেওয়ার দরকার নেই। তোমাকে ঠিক দু‘দিন সময় দিলাম। টু ডেজ। বুধবার ঠিক এই জায়গায়, এই সময়ে তোমার সঙ্গে দেখা করব। তুমি যদি ইয়েস বলো তখন সবকিছু বলব। টাকা -পয়সার কথা হবে।’ আমি হেসে বললান,‘তোমার কাছ থেকে যদি টাকা না নিই?’ স্রোতস্বিনী একটুও না ভেবে বলল,‘তাহলে কাজ তোমাকে দিয়ে করাব না।’ ‘কাকে কিড্ন্যাপ করতে হবে সেটা কি জানতে পারি?’ স্রোতস্বিনী সহজ গলায় বলল,‘না, তবে এইটুকু বলতে পারি, কিড্ন্যাপ করতে হবে এক ঘন্টার জন্য। ওনলি ফর ওয়ান আওয়ার। মে বি লেস দেন দ্যাট। আরও কম হতে পারে।’ এক ঘন্টার অপহরণ! আমার বিস্ময় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আজ স্রোতস্বিনী একটার পর একটা ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছে। ‘এক ঘন্টার জন্য ধরে আনব! এর মানে কী স্রোতস্বিনী?’ স্রোতস্বিনী বলল,‘মানে খুব সহজ। কিডন্যাপের এক ঘন্টার মধ্যে তাকে মুক্ত করে দেওযা হবে। সে যেখানে খুশি যেতে পারে। ব্যস এর বেশি আজ আর বলব না। আগে তুমি মন স্থির করও সাগর। তোমার মনে যেটুকু দ্বিধা রয়েছে সেটুকু আগে কাটুক।’ স্রোতস্বিনীর কাছ থেকে বেরিয়ে আমি উদ্দেশ্যহীনভাবে এলোমেলো ভাবে হাঁটতে লাগলাম। কলকাতার মতো ব্যস্ত শহরে সবাই ছোটে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে। কাজে যাওয়ার লক্ষ্যে, বাড়ি ফেরবার লক্ষ্যে, বড়লোক হবার লক্ষ্যে, মানুষকে ঠকাবার লক্ষ্যে। কেউ কেউ দান ধ্যানের জন্যও ছোটাছুটি করে, কেউ চলে আনন্দের সন্ধানে। কেউ খোঁজে মৃত্যুকে। এরকম একটা শহরে উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটার মজাই আলাদা। নিজেকে মনে হয়, শহরের সব থেকে সুখী মানুষ। আমার কিছু চাওয়ার নেই। হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম লেকের কাছে। লেকে এখন অনেক আলো। আমি একটা ফাঁকা, তুলনামূলক ভাবে অন্ধকার জায়াগা খুঁজে নিলাম। বেঞ্চে বসলাম গা এলিয়ে। খানিক দূরেই লেকের জল টলমল করছে। চাঁদের আলো এসে পড়েছে। আলো আর জলে গলাগলি, কানাকানি চলছে। আমি মন পেতে তাদের সেই কানাকানি শুনতে লাগলাম। চাঁদের আলো বলছে—জানো একটা মজার ঘটনা ঘটেছে। লেকের জল—তোমার তো সবই মজার কথা। চাঁদের আলো—অবশ্যই। আমি সবসময় মজায় থাকি, তাই আমার কথাগুলোও মজার। লেকের জল—সেকী, সবসময় মজায় থাকো! তোমার মন খারাপ লাগে না? চাঁদের আলো—লাগাবে না কেন ? অবশ্যই লাগে। অন্য কারও মন খারাপ দেখলেই আমার মন খারাপ হয়ে যায়। তখন আমি মন ভাল করবার মতো নানা কাণ্ড করি। সবার মন ভাল হয়ে যায়, আমারও। লেকের জল—কী রকম সব কাণ্ড? চাঁদের আলো—তোমাকে বলব কেন? লেকের জল—একটা তো শুনি। চাঁদের আলো—আচ্ছা একটা ঘটনা বলছি। কাউকে বলেতে পারবে না। প্রাইভেট ঘটনা। লেকের জল—আচ্ছা বলব না। চাঁদের আলো— দুটো ফুটফুটে ছেলেমেয়ে সিকিম পাহাড়ের বন বাংলোতে গেছে হানিমুনে। দু’দিন ধরে চলছে ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি। যতই হানিমুন হোক সারাদিন ঘরে বন্দি থেকে ছেলেমেয়ে দুটি ক্নান্ত এবং বিরক্ত। আদর, ভালবাসাবাসিরও তো একটা সীমা আছে। এদিকে বাংলোর কেয়ারটেকার, কুক বৃষ্টির কারণে দিয়েছে ডুব। খাওয়া দাওয়ায় পড়েছে টান। লাঞ্চ হয়েছে কেক আর পটোটা চিপসে। বিকেল কফি-পকৌড়া জোটেনি। কেলেঙ্কারি সিচ্যুয়েশন। সন্ধ্যর সময় নতুন বর বউতে লাগল ঝগড়া। এই বর্ষায় জঙ্গলে নিয়ে আসার জন্য মেয়েটি দায়ী করতে লাগল ছেলেটিকে। ছেলেটিও গেল রেগে। সে বেলে, বর্ষাকালে বিয়ে হলে, হানিমুন তো শীতকালে হতে পারে না। যেখানেই যাওয়া হত সেখানেই বৃষ্টি জুটত। তার কোনও দোষ নেই। বৃষ্টি সে নামায়নি। মেয়েটি গেল আরও খেপে। সে বলল, হানিমুন ক’দিন পিছিয়ে দিলে কী ক্ষতি হত? ছেলেটি বলল, আমার সব বন্ধুই বিয়ের দু’দিন পরেই হানিমুনে গেছে। হানিমুন ইউনিভার্সিটির পরীক্ষার ডেট নয় যে ইচ্ছে মতো পিছিয়ে দেওয়া যায়। মেয়েটি রেগে গিয়ে স্বামীকে বলে, তোমার উচিত ছিল, আমার বদলে ওই বন্ধুদের নিয়ে হানিমুনে আসা। ছেলেটি এতে যায় খেপে। বলে, বিয়ে করাটাই তার বিরাট ভুল। এতে রাগারগি তুমুল চেহারা নেয়। ছেলেটি বাংলোর বারান্দায় চলে যায়। ভেজা বেতের চেয়ারে বসে সিগারেট টানতে থাকে। মেয়েটি ঘরে শুয়ে কাঁদতে থাকে। লেকের জল—তারপর? চাঁদের আলো—হানিমুনে উঁকি মারা মোটে উচিত নয়। কিন্তু এমন সুন্দর দুটো ছেলেমেয়ের মন খারাপ দেখে আমারও মন খারাপ হয়ে গেল। এই তো খানিক আগেও ওরা দুজন পাগলের মতো পরস্পরকে আদর করছিল, এখন শুরু হয়েছে কান্নাকাটি। আহারে। তখন আমি অ্যাকশন শুরু করলাম। লেকের জল—কী অ্যাকশন? চাঁদের আলো—বৃষ্টি থামিয়ে, মেঘ কাটিয়ে বেরিয়ে এলাম। ছড়িয়ে পড়লাম, পাহাড়ের চূড়োয়, জঙ্গলের পাতায়, পাহাড়ি পথে। গড়িয়ে গেলাম খাদে, ভেজা পাথরের গায়ে। সেই ছেলে ছুটে এল ঘরে। নববিবাহিতা স্ত্রীকে বলল, চল চল, বাইরে আগুন লেগেছে। চাঁদের আলোর আগুন। কী যে সুন্দর লাগছে! দেখবে চল। বারান্দায় এসে মেয়েটি তার বরকে চুমু খেয়ে বলল, ভাগ্য��স তুমি এখানে এনেছিল। তোমাকে বিয়ে না করলে এই রহস্যময় সৌন্দর্য দেখাই হত না। খানিক পরে দেখি ওরা পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটছে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। মাঝেমাঝে কানে কানে কথা বলছে আর হাসছে। জ্যোৎস্না ভেজা পথ বেয়ে যাচ্ছে নিচের এক গ্রামে। সেখানে নাকি ধোঁয়া ওড়া গরম রুটি আর তরকা মিলবে। এরপরেও মন ভাল হবে না? লেকের জল—তাহলে বলছো বৃষ্টি খারাপ? চাঁদের আলো—মোটেও নয়। বৃষ্টি হয়েছিল বলেই তো আমাকে অত ভাল লেগেছে। লেকের জল আর চাঁদের আলোর কানাকানি শুনতে শুনতে কখন যে বেঞ্চে বসে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হয়তো ঘুমের মধ্যেই ওদের কানাকানি শুনেছি। ঘুম ভাঙল অনেক রাতে। মাথার ওপর চাঁদ ঢলে পড়েছে। ধড়ফড় করে উঠি। চোখ কচলাতে গিয়ে শুনি এক রিনরিনে কণ্ঠস্বর। তাকিয়ে দেখি হাত দুয়েক দূরে একটা মেয়ে বসে আছে। ‘দাদা, একটা বিপদে পড়েছি।’ অন্ধকারে মেয়েটিকে ভাল করে দেখতে পাচ্ছি না। মুখটা অন্ধকারে। শুধু বুঝতে পারলাম, মেয়েটা একটু বেশি রোগা, আর পরেছে সালোয়ার কামিজ। পোশাকের রঙ মনে হচ্ছে কালো। আবার নাও হতে পারে। মেয়েটা মুখে ‘বিপদ’ বললেও, হাবেভাবে শান্ত। গভীর রাতে পার্কে আসা মেয়েরা বেশিরভাগ সময়ে ‘বিপদ’ দিয়ে গল্প শুরু করে। একটা সময় বলবে, আমি কি তাকে বাড়ি পর্যন্ত পৌছে দিতে পারি? বাড়ি কাছেই। বালিগঞ্জ স্টেশনের গায়ে, রেল লাইনের পাশে ঝুপড়িতে। বাড়ি পৌছোনোর পর যদি ইচ্ছে হয়, ঝুপড়িতে আজ রাতটা কাটাতেও পারি। সব ব্যবস্থা আছে। অতি পুরোনো গল্প। এই ধরনের সময় ‘ভাল ছেলে’দের কী করতে তারও নিয়ম আছে। মেয়েটিকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করা এবং এখান থেকে উঠে যাওয়া। আমার নিয়ম মানতে ইচ্ছে করেছে না। এই গভীর রাতে মেয়েটিকে যে ঘরবাড়ি, সংসার ছেড়ে পার্কে এসে বিপদের গল্প ফাঁদতে হচ্ছে তার জন্য আমিও দায়ী। পালিয়ে গিয়ে ‘ভাল ছেলে’ সাজতে পারব, দায় এড়াতে পারব না। ‘দাদা, আপনি কি আমার বিপদের ঘটনাটা একটু শুনবেন?’ গলাটা একটু বেশি রিনরিনে না? মেয়েটি কি গলা বদলে কথা বলছে? আমি সোজা হয়ে বসলাম। অন্ধকার চোখ সয়ে আসছে। আই বল, রেটিনা কম আলোর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে। মেয়েটিকে এবার আরও খানিকটা বেশি দেখতে পাচ্ছি। বয়স বেশি হবে না। ষোল-সতেরো? নাকি আর একটু কম? আমি উদাসীন গলায় বললান, ‘না, শুনব না। আমি আদ্দেক ঘুমিয়েছি, এখন বাকি আদ্দেকটা ঘুমোবো। আমার কাছে কোনও টাকা-পয়সা নেই, আমাকে বিপদের গল্প শুনিয়ে কোনও লাভ দবে না।’ ‘দাদা, আমার টাকা পয়সা লাগবে না।’ ‘বাঃ, শুনে ভাল লাগল। তুমি এখান থেকে চলে গেলে আরও ভাল লাগবে। বেঞ্চে টানটান হয়ে শুয়ে ��ড়তে পারব।’ বনলতা আমার কথায় গা করল না। সে একই রকম শান্ত ভাবে বলল,‘আপনি যদি আমাকে তাড়িয়ে দেন, আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। ওরা হয় আমাকে অত্যাচার করবে, নয় খুন করবে। আমি কোনওরকমে পালিয়ে এসেছি।’ নতুন গল্প। ‘বাড়ি ফেরবার পথ হারিয়ে ফেলছি’ র বদলে খুনের গল্প। বেঁচে থাকবার জন্য মানুষকে কত গল্পই না বানাতে হয়।’ আমি একই রকম নিস্পৃহ গলায় বললাম,‘কে খুন করবে?’ মেয়েটি মুখে ওড়না চাপা দিয়ে কিশোরী ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। চলবে… গত পর্বের লিংক – ৮ম পর্বের লিংক – ৭ম পর্বের লিঙ্ক – ৬ পর্বের লিঙ্ক –
0 notes
Text
বেতন ৪২ হাজার হলেও তার বাড়ির দাম চার কোটি টাকা!
বেতন ৪২ হাজার হলেও তার বাড়ির দাম চার কোটি��টাকা!
পুলিশের চাকরি থেকে মাসিক আয় (বেতন) ৪২ হাজার ৬৬০ টাকা। সেই অনুযায়ী তিনি সরকারকে মাসিক করও পরিশোধ করেন। কিন্তু মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এই
পুলিশ উপপরিদর্শকের আলিশান বাড়ির সন্ধান পেয়ে অবাক হয়েছে। তাঁর রয়েছে একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়িও। সংস্থার প্রতিবেদনে এ পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ির নির্মাণ ব্যয় হিসাব করা হয়েছে প্রায় চার কোটি
টাকা। সরকারের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাটির এই…
View On WordPress
0 notes