#একজনের
Explore tagged Tumblr posts
soniakhatun8358 · 8 months ago
Text
"সাফল্যের মত ব্যর্থতাও এক একজনের কাছে এক এক রকম। কিন্তু ইতিবাচক মনোভাব থাকলে যে কোনও ব্যর্থতা হতে পারে নতুন একটি শিক্ষা। যে শিক্ষা আবার নতুন স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করার অনুপ্রেরণা দেয়”–( ক্লিমেন্ট স্টোন)
সকলের উচিত ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া।...❤️‍🩹
#Careerdevelopment
#inspiration
#dream
#everyone
#thamblr
4 notes · View notes
myladytara · 9 months ago
Text
একজনের সাথে প্রেমে ছিলাম।
গভীর প্রেম, উথালপাতাল প্রেম। মনে হত তাকে ছাড়া চলবেই না।
তারপর একদিন সে হাত ছেড়ে গেলো। আমার কাকুতি মিনতি কিছুতেই তার বাধ সাধলো না। সে চলেই গেলো৷
আমি দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ভাবলাম, কী কমতি ছিলো আমার ? কী ছিলো না যা তাকে আমি দিতে পারতাম না ?
তারপর একদিন, ভোরবেলা উঠে বুঝলাম, আমার প্রেমটাই সব না। সে যদি আমায় চাইতো, আমাকেই চাইতো, যে চায় না, তাকে হাজার কাকুতি মিনতি করে আটকে রাখতে পারব না৷
ঠিক সেদিনই বুঝলাম, ভুল মানুষে ভালোবাসার পাত্র উজাড় করে অন্তঃসারশূন্য হয়ে গেছি। আমার আর কাউকে প্রেম দিতে ইচ্ছে করে না।
আজ এতদিন পর,তাকে ছাড়াও আমি ঠিক বেঁচে আছি, সুন্দরভাবে বেঁচে আছি।
যুক্তি তো সকল জানিই, তাও কখনো খুব ভোরে, গাঢ় সন্ধ্যায়, অঝোর বারিধারায়, মনে হয় একবার দুয়ারে গিয়ে কড়া নেড়ে বলি, কেন ভালোবাসলে না আমায় ? কেন যে প্রেমটুকু পেতাম, তা দিলে না ? কেন কেবল অশ্রুজল দিয়ে গেলে ? সবটা দিলে, জীবনটা অন্যরকম হতে পারত.....
©Amrin Afroz
5 notes · View notes
realhumanbean · 10 months ago
Text
Tumblr media
"মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্যে।"
আমি আগে বিশ্বাস করতাম "A woman's highest form of loving is motherly love", কিন্তু অপেক্ষা পড়ার পর খেয়াল করে দেখলাম 'motherly love' এর উপরে সবসময়-ই অন্য কিছু ছিল। বাবা ছাড়া তো মা হয় না।
বইটা পড়তে কষ্ট হলো। কষ্টের কাহিনীর জন্য না, বাস্তবিকতাটা কঠিনভাবে সত্য ছিল। সুরাইয়ার উপর যতবার রাগ হওয়ার কথা ছিল,ততবারই মায়া চলে আসছিল। সুরাইয়া একজন মা। কিন্তু সুরাইয়া মা এর থেকে বেশি ছিল হাসানুজ্জামানের স্ত্রী। তার বেদনার কারণ ছিল। ত��ে বেদনাটা সে একান্ত নিজের করে রাখতে পারেনি। আমার মনে হয় সব ট্রাজেডি একই যোগসূত্রে বাধা। শুধু মানুষ আর পরিণতি হয় ভিন্ন। ভাগ্য ক্রমে একজনের পরিণতি হয় খারাপ,একজনের ভালো। আর কিছু বলতে গেলে নিজের জীবনি বলতে হতে পারে।
অপেক্ষা ছাড়া জীবন আসলেই স্থির। যার অপেক্ষায় আছি তাকে পেয়ে যাওয়ার পর কি হয়? ভাবতে একটু ভয় লাগে বটেই।
বইটা পড়তে দেখে অনেক মানুষ বলেছিল এটা তাদের খুব প্রিয় বই। এখন আমিও তাদের একজন।
6 notes · View notes
bhola24 · 1 year ago
Text
তারিখ, 25/11/2023,ঘটনা, গত সোমবার
শিরোনাম ,সড়কে ২ অটোরিকশা যাত্রী নিহত, বাসে আগুন
ভোলার ইলিশায় ব্যারিস্টারের কাচারি এলাকায় বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় স্থানীয়রা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে আরও তিনটি গাড়ি,ভোলা সদর উপজেলায় বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ২ অটোরিকশা যাত্রী নিহত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। দুর্ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের ব্যারিস্টারের কাচারি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।ভোলা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, ভোলা বাস মালিক সমিতির একটি ‘ডাইরেক্ট বাস’ চরফ্যাশন থেকে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে যাচ্ছিল। ইলিশা ব্যারিস্টারের কাচারি এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।ঘটনাস্থলেই সদর উপজেলা চর সিতারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম জসিমসহ দুই জন নিহত হন। নিহত অপর একজনের নাম পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। অটোরিকশাটিতে আরও চারজন যাত্রী ছিল। তারাও আহত হন। তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।এদের মধ্যে দুই জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন আবুল কালাম বাচ্চু ও তামান্না। তামান্নার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত অন্য দুই জনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ক্ষুব্ধ জনতা এই ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর করা হয় আরও তিনটি বাস। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে বাসের আগুন নেভায়।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা এগিয়ে আসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও ভোলা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোঃ জুয়েল রানা, জেলা প্রতিনিধি-1 ভোলা মোবাইল, 01760313828 email, ID [email protected]
ঘটনাস্থান,সোমবার, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের ব্যারিস্টারের কাচারি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
Tumblr media
2 notes · View notes
word-child · 2 years ago
Text
বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
কিছু পছন্দের জিনিসগুলো আসলে কারো সাথেই শেয়ার করা উচিত না। একান্ত নিজের জন্য রেখে দেয়া উচিত।
মনে করেন, জিনিসটা এমন কারো সাথে শেয়ার করলেন, যে আপনাকে ছেড়ে চলে গেলো, এখন ওই জিনিসটা দেখলে তখন তার কথা মনে পড়বে, ওই জিনিসটাই আর ভাল্লাগবে না।
যেমন কোন জায়গা বা রেস্টুরেন্ট।
~ আজকে জয়া এই মতবাদ দিল
কিন্তু আমি আমার সব প্রিয় গান একজনের সাথে শেয়ার করে ফেলেছি। সে হয়তো কখনো সেগুলো শুনেও দেখবে না।
শুধু শুধু মানুষটার জন্য বেকার খাটনি করি রোজ। কেউ করতে বলে নাই এসব। তবুও মনের অজান্তে তার কথা ভাবতে ভাবতে নিজের এই ফালতু গান জমানোর কাজ করেই ফেলি। আটকাতে পারি না নিজেকে।
3 notes · View notes
dailycomillanews · 11 days ago
Text
২ ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
বাবা তার দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর পল্লবীতে। এ ঘটনার পর ঘাতক বাবাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে নিহত ছেলেদের নাম পাওয়া যায়নি। তবে তাদের একজনের বয়স আনুমানিক ৭ বছর ও আরেকজনের বয়স ৩ বছর। আর ঘাতক বাবার নাম মো. আহাদ (৪০)। পল্লবী থানার এসআই মাজেদুল এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লাশ…
0 notes
banglavisiononline · 28 days ago
Link
নড়াইলে গরুচোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা
0 notes
shakilpathshala · 2 months ago
Text
কত্তো তাড়াতাড়ি সব কিছু
আচ্ছা তোমারে যখন গুলি করলো সন্ত্রাসীরা তখন তোমার কেমন লাগাসিলো? তুমি আমগো সবসময় সাবধান কইরা রাখতা। ভাই আগে এইডা কও তুমি ওইদিন ১০ নাম্বার কেন গেলা? তোমার না শহিদ মিনার যাওয়ার কথা ছিলো? মুসা তোমারে ফোন দিলো সময় ও তো কইলা তোমার শরীর ভালো না তাইলে কেন গেলা আমগো রাইক্ষা? এক ঘন্টা অপেক্ষা করলেই তো আমরা একসাথে যাইতে পারতাম ওইদিন আন্দোলনে। তুমি একাই গেলা গা! !!! ঠিক আছে মাইন্না নিলাম গেসো। কিন্তু তুমি আহত হইছো এইডা ভাই মাইন্নাই নিতে পারতাসিলাম না। তুমি এতো সাবধান মানুষ কেমনে আহত হও? আমি মাক্সু নুনি আর মুসা ১ ঘন্টা পর ১০ নাম্বার জামু ঠিক কইরা আমি মাক্সু পড়াইতে গেসি।ওইদিন মাক্সু প্রথম কোটা আন্দোলনে যাইতো। ২০ মিনিট পর মুসা আমারে ফোন দিয়া কইলো যে,
শাকিল ভাই আহত হইসে!!!!!!! আমি ভাবলাম আগের বারের মত তোমার হয়তো হাতে বা পায়ে আঘাত লাগসে। আমরা যামু তোমারে নিয়া আসতে। রিকাশায় উইঠা শুনি তোমারে কুর্মিটোলা নিয়া গেসে। রিকশা থেকে নেমে দাড়াই আর রাব্বি ভাইয়ের সাথে দেখা হয়। রাব্বি ভাই বললো তোমার নাকি একটা গুলিও লাগসে গায়ে । সত্যি ভাই বিশাস করো আমি মাক্সু মুসা একজন আর একজনের দিকে তাকাইলাম। ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হওয়া শুরু করলো আমগো। রাস্তায় অনেক বাধা বিপত্তি ঠেইল্লা গেলাম কুর্মিটোলা, তোমারে জরুরী বিভাগে শুয়ানো দেখলাম মাথায় বেন্ডেজ বাধা। ওই অবস্থায় তোমারে দেইক্ষা আমরা সবাই কান্না কাটি শুরু করলাম। পাশ থেকে রফিক স্যার আর ইয়াসিন ভাই আইসা বললো তোমারে অন্য হাস্পাতালে নিতে বলসে ডাক্তার। অবস্থা নাকি অনেক সিরিয়াস। মাথায় গুলি লাগসে তোমার। কি করমু আমরা কেউ বুঝতে পারছি না। অবশেষে হাসপাতাল থেকে একটা এম্বুলেন্স এ করে তোমারে বের করবো, এমন সময় তোফা স্যার হাজির। এম্বুলেন্সে স্যার উঠেই ইয়াসিন ভাইয়াকে হালকা করে এক্টু বকা দিলো কেনো তোমরা ১০ নাম্বার গেসো এইটা নিয়া। তারপর নিউরো সাইন্স হাসপাতালে তোমার একটার পর একটা খারাপ খবর! তোফা স্যার মিশু স্যার রিংকু স্যার সবার কান্নার শব্দে আমার রাতের ঘুম নাই হইয়া গেলো। রাতে খালি ভাবতাম তুমি সুস্থ হইলে আগে কি জিগামু?আরো ভাবতাম তুমি যদি মাথায় আঘাত লাগায় আমগো না চিনো কি কি কমু তোমার সাথে। কেমনে মনে করামু সব!! সাগুফতায় পিলারের উপর বইসা তুমি আমি রাব্বি ভাই কত্ত আলাপই না করসি। কোনোদিন রাব্বি ভাই আর তুমি ঢাকা আর বরিশাল কোনটা বেশি আপডেট সেই নিয়া তুমুল তর্ক। রাব্বি ভাই কইলো বরিশাল নাকি বেশি আপডেট এইডা নিয়া আমি আর তুমি হাসতে হাসতে বইসা পরলাম। ওইদিন ও আমি পড়ায়া বাসায় আসার সময় ইয়াসিন ভাই তুমি রাব্বি ভাই আড্ডা মারতাসো দেইক্ষা কাছে গেলেই তুমি হাসি দিয়া কইলা ওই তুই একা ঘুরতাসোস কেন? লাল চা খাবি? আমি ছেবলার মত হাসি দিয়া কইলাম ভাই পড়ায়া বাসায় যাই ঘুরি না। তারপর বটতলায় আইসা লাল চা খাইলাম আর দেশের পরিস্থিতি নিয়া নানা আলাপ। তোমার রুমের সেই টেকা ভরা ব্যাংক টা নিয়া কত্তো জিজ্ঞাসা ছিলো আমার। না জানি কত্তো টাকা রাখসো ওইটায়। বৃষ্টি আপুর দেওয়া মালাটা পইরা যখন নিয়া নিতে চাইলাম তুমি কইলা দেশের অবস্থা ঠিক হইলে একটা কিন্না দিবা । তোমার পাতালপুরী রুমডায় কত্তো কিছু ছিলো।আর তুমি কত্তো গোছানো ছিলা তোমার রুমে গেলে বুঝা জাইতো। ডিব্বা ভরা মুড়ি আর পটাটা বিস্কুট এর কথা না বললেই না। তোমার রুমে গেলেই আমার চোখ দুইডা খালি ওই সাদা ডিব্বার দিকে যাইতো। কতোবার তোমারে গলা ফাটায়া চিল্লায়া ডাইক্কা গেইট খুলাইসি নুনি আমি তোমার রুমে আড্ডা মারার জন্য। আরো কত্তো স্মৃতি আছে তোমার সাথে। আমি নুনি মাক্সু এইগুলাই সব আলোচনা করতাম আর কেম্নে পেচাল পাইরা তোমারে সব মনে করামু আমরা এই দায়িত্ব নিসিলাম। প্রতিদিন হাসপাতালে যাইতাম আর তোমার কি আপডেট একটু পর পর জিজ্ঞাসা কইরা রাব্বি ভাইয়ের মাথা খারাপ কইরা দিতাম। কিন্তু তোমার কোনো আপডেট নাই! টানা ৪ দিন বেঁচে থাকার জন্য কত রকম যুদ্ধই না করলা তুমি। অনেক লড়াই করসো। কিন্তু শেষ ভর��া হইলো না।
দেশ কিন্তু তোমার রক্তে স্বাধীন হইসে ভাই♥ তুমি আমাদের শহিদ শাকিল ভাই। তোমারে এত্তো ভালোবাসি আগে কখনও বুঝি নাই। তুমি সব সময় আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবা। আমরা তোমারে ভুলবো না কোনোদিন।
লিখেছে আমার বান্ধবী মীম।
Tumblr media
0 notes
gitaacharaninbengali · 3 months ago
Text
47. বিভ্রান্তি এড়ান
আমাদের জীবনের স্বাভাবিক গতিপথে, যখন আমরা একই বিষয়ে পরস্পরবিরোধী মতামত শুনি তখন আমরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি – সেটা খবর, দৃষ্টিভঙ্গি, অন্যদের অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বাস হোক। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে আমরা তখনই সমত্বযোগ লাভ করব যখন বিভিন্ন মতামত শোনা সত্ত্বেও বুদ্ধি সমাধিস্থ হয়ে অচল, স্থির হবে (2.53)।
এই শ্লোকের সর্বোত্তম রূপক হল একটি বৃক্ষ যার উপরের অংশটি দৃশ্যমান এবং নীচের অংশটি একটি অদৃশ্য মূল পদ্ধতি দ্বারা আবৃত। উপরের অংশ বাতাসের শক্তির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন অনুপাতে বিঘ্নিত হয়, অন্যদিকে মূল পদ্ধতি এগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না। উপরের অংশটি বাহ্যিক শক্তির সাথে দোদুল্যমান থাকলেও ভিতরের অংশটি সমাধিতে স্থির থাকে এবং স্থিতিশীলতার পাশাপাশি পুষ্টি প্রদানের দায়িত্ব পালন করে। এটা বৃক্ষের জন্য যোগ ছাড়া আর কিছুই নয়, যেখানে বাইরের অংশ দোদুল্যমান এবং ভেতরের অংশটি গতিহীন থাকে।
অজ্ঞান পর্যায়ে, আমাদের একটি দোদুল্যমান বুদ্ধি রয়েছে যা বাহ্যিক উদ্দীপনায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্পন্দিত হয়। এই কম্পনগুলি উদ্দীপ্ত মেজাজ এবং তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া আকারে বাইরের বিশ্বের কাছে দৃশ্যমান। এটি একজনের জীবন এবং পরিবারের সদস্যদের এবং কর্মক্ষেত্রকে দুর্বিষহ করে তোলে। কিছু মানুষ জীবন থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে পরবর্তী স্তরে পৌঁছায় এবং একটি আচ্ছাদিত মুখ উপস্থাপন করার জন্য এই কম্পনগুলিকে দমন করার জন্য নিজেদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়। এই অবস্থায়, এই কম্পনগুলি ভিতরে উপস্থিত থাকে, তবে কেউ একটি সাহসী বা মনোরম মুখ উপস্থাপন করতে শেখে, যা দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে।
এই শ্লোকে, শ্রীকৃষ্ণ সমাধিতে নিশ্চল চূড়ান্ত অবস্থা সম্পর্কে কথা বলেছেন যেখানে এই কম্পনগুলি এমনকি ভিতরে উপস্থিত নেই। অন্য কথায়, এটি একটি উপলব্ধি যে এই বাহ্যিক কম্পনগুলি অস্থায়ী এবং আত্মার সাথে সনাক্ত করতে যা সমাধিতে নিশ্চল আছে (2.14)।
0 notes
quransunnahdawah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায���: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাক���ে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ��েড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
ilyforallahswt · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্র���াব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
myreligionislam · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেক�� বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
allahisourrabb · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয���। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত���বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
word-child · 2 years ago
Text
বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
প্রতিদিন বিকালের সময়টাতে হলে সবজি বিক্রেতা মেয়েগুলো আসে। রুমে রুমে নক দেয় আর বলে, "আপু, সবজি নিবেন, আপু, সবজি নিবেন?" উত্তর দেই, না লাগবে না। আমি রান্নাবান্না করি না, তাই এসব কেনার প্রয়োজনও নাই। কিন্ত মেয়েগুলোর জন্য খুব খারাপ লাগে। তারা প্রতিদিন এভাবে হলটাতে চক্কর লাগায়ে আর তাদের হতাশ করে ফিরায়ে দেই। যদিও তাদের কাস্টমার আছে, তাও এই ভাবনাটা আসে।
আমার রুমমেট জয়া, অতি দয়াবতী, দরদী। মেয়েগুলোকে ওষুধ কেনার টাকা, পাঁচটা খাতা, পাঁচটা কলম দিছিলো একবার। ওরা খুব মনে রাখছে জয়াকে আর গণ্যমান্যও করে, খোঁজ নেয় যে তাদের জয়া আপু আছে কিনা, বাসার থেকে আসছে কিনা এসব।
এ সপ্তাহে আমার রুমে দুইজন নতুন অতিথি আসছে। কেয়া দুইটা মাছ কিনছে আর একটা ছোট্ট গোল একুরিয়াম। একজনের নাম খেজুর, নিয়ন রঙের, ও প্রথমে আসছে। আরেকটা গতদিন আনছে, কারণ খেজুর খুব একা ফিল করতেছিল। ওর নাম আমি রাখছি, সুজি, সিলভার ব্লু রঙের। সুজি কেয়ার খুব পছন্দ, ঐটা ভেবে নাম দেয়া। সুজিটা সাইজে খেজুরের থেকে বড়। ও একটুও নড়ে-চড়ে না। একদম শান্ত আর এখনো মানায় নিতে পারতেছে না। খাবার দিলে খেজুর টুব করে তিড়িং-বিড়িং করে খেয়ে ফেলে। আর সুজিটা খাবার খাওয়া জিনিসটাই বুঝে উঠতে পারতেছে না, একদম চুপচাপ। শুরুতে খেজুরও এরকম ছিল। কেয়া একে দেখে বলতেছে, "সুজি সাইজে বড়, কিন্তু কিছু বুঝে না, বড়রা যেরকম গাধা হয়, সেরকম হইছে একদম।"
আমার বারান্দার সামনে যে দুইটা পুকুর আছে, তার মধ্যে বা পাশের টাতে আগে ধান চাষ করতো। পুকুরটা খুব পরিষ্কারই ছিল। চিকচিক করতো। আর এখন ইদানিং খুবই ময়লা হয়ে থাকে। দেখতে ভাল্লাগে না। শাপলা, পদ্ম এগুলোও আর ফুটতেছে না। কে যে এইভাবে ময়লা করতেছে, কে জানে!
সাকিব স্যার সেদিন উনার শেষ ক্লাস নেয় এই সেমিস্টারের। সবাইকে চা-বিস্কুট খাওয়ায়, আড্ডা হয়, ছবি তোলা হয় গ্যারেজের দিকে। স্যারের বিষয়বস্তু হলো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে, কার কার জীবনে মানুষ আছে। সিলেক্টিভভাবে ধরতেছিল। এরপর কেউ একজন স্যারের জীবনে কেউ আছে কিনা জিজ্ঞেস করে।
স্যার তার কাহিনী বলে। তার স্কুল আর ইউনিভার্সিটি লাইফ তেমন একটা মজার ছিল না। কিন্তু কলেজ লাইফটা তিনি আবার ফেরত পেতে চান। কারণ তখনই মেয়েটার সাথে তার পরিচয় হয়। মেয়েটা আরেক ইউনিয়ন থেকে কলেজে আসতো। একদিন হঠাৎ স্যারকে জিজ্ঞেস করে, "তোমার নাম কি?" স্যার তো থতমত, এমন সুন্দর একটা মেয়ে এভাবে জিজ্ঞেস করবে উনি ভাবেন ই নাই। স্যারের ও তাকে ভালো লেগে যায় মনে মনে। আর মেয়েটাও মনে মনে পছন্দ করে। তবে একসময় মেয়েটা হারায় যায়, তার বিয়ে হয়ে যায়। দুইজন দুইজনকে আর বলতে পারে নাই যে ভালোবাসে। স্যার বলে, "ওর মত মেয়ে আমি আর দেখি নাই। ও সবথেকে আলাদা ছিল, অন্যরকম ছিল আমার চোখে, ওর মত কেউ হবেও না, আর ওর মত কাওকে এমনভাবে দেখতেও পারবো না।" মেয়েটার বিয়ে-বাচ্চা সব হয়ে গেছে। তবুও স্যারের মনে মেয়েটা রয়ে গেছে। এই কথাটা আসলেই সলিড যে, ছেলেরা তাদের প্রথম ভালো লাগা/প্রেম এসব কখনোই ভুলতে পারে না।
এসব শুনতে ভালোও লাগছে আবার খুব খারাপও লাগছে। প্রেম-ঘটিত আর কোন কিছুই আমার মন টানে না। কারণ এসব আমার সাথে কখনোই ঘটবে না। আমি কখনোই কারো প্রেমিকা হতে পারবো না, আমার সেই গুণ নাই। হবেও না।
তাসনিম ওইদিন রাতে বড়ি দিয়ে শিং মাছ রান্না করলো। বড়ি আমার খুবই ভালো লাগে। খেতে বেশ মজা হয়েছিল।
এ সপ্তাহে ডাই��িং এ টোকেন সিস্টেম চালু কর��ে। ২১ টা মেয়ে টাকা ঠিকমত দেয় না আর ১৪-১৫ ব্যাচের কাছ থেকেই ৭৫ হাজার টাকা ডাইনিং মামা পাবেন। তাই তিনি একপ্রকার বাধ্য হয়ে এটা চালু করলেন। আমি আমারটা খাতায় লিখে রাখি, মাস শেষে দিয়ে দেই। ঝামেলাবিহীন।
ঐদিকে নোমান সব কনটেস্টে পার্টিসিপেট করে, রেটিং প্লাসও হয়। তাও কুবরার কাছে মারাটা খায়। মেয়েটা ডিভ ২ কনটেস্ট করে নোমানের থেকে বেশি রেটিং পেয়ে প্রত্যেকবার তাকে টপকায়ে টপ লিস্টে উঠে যায় কেমনে কেমনে জানি। সামনে ওর চুয়েটে কনটেস্ট আছে। এখন নোমান বাসায় গেছে। ও বাসায় গেলে আমি প্রত্যেকবার কিভাবে যেন বুঝে যাই। এটা আমার অলৌকিক ক্ষমতা মনে হয়।
সবার কথাই বললাম। এবার আমার কথা। বাম কানটা নিয়ে খুবই কনফিউশনে আছি। এটার ভিতর আসলেই কিছু ঢুকায়ে ফেলছি কিনা কিছুই বুঝতেছি না। ডিসেম্বর দশের আগেই বাসায় যাওয়া পড়তে পারে, তখন আবার ডাক্তার দেখানো যাবে। আর এমনিতে আরো অলস হচ্ছি দিন দিন। কাপড় ধোঁয়া বাকি, পড়া বাকি, সিপি শেখা বাকি।
সবই বাকি।
এই যা! চড়ুইভাতির কথা লিখতে খেয়ালই ছিল না। জুনিয়ররা খুব সুন্দর আয়োজন করছিলো। আমি অনেকদিন এসব টাইপ খাবার-দাবার খাই না দেখেই যাওয়া। আর চড়ুইভাতির খাবার খুব মজা হয়। যদিও এদেরটা এভারেজ লাগছে। আইটেম ছিল, সাদা ভাত, টমেটোর চাটনি, আলুর ভর্তা, বেগুন ভর্তা, মুরগির ঝাল ফ্রাই, ঘন ডাল মুরগির ঘিলা-কলিজা দিয়ে আর জিরো কোকাকোলা।
শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটা মাঠেই করতে চাচ্ছিলো, কিন্তু পাশে ফুটবল ম্যাচের জন্য মন্দিরের পাশে যাওয়ার পরামর্শ দেন টিচাররা। মাঠে, খোলা আকাশের নিচে বসে বসে মানুষগুলোর কথা শুনতেছিলাম আর তাদের কর্মকাণ্ড দেখতেছিলাম। ভালোই গান-কবিতা-ছবি তোলা হলো। আমার ছবি মোটামোটি সুন্দরই আসছে।
ভাবতেছি, এমন গেট টুগেদার হলে কখনো মিস দিব না। আসলেই অনেক ভালো লাগে যেতে। তখন নিজের অকওয়ার্ডনেস, ইন্ট্রোভার্টনেস কেটে যায় একটু।
আর আপুরা আমাকে বলছে, আমি নাকি অনেক কিছু করতে পারি, অনেক কিছু জানি, টেকনিক্যাল কাজ ভালো পারি আর একটা আপু বলছে, আমি নাকি "ছুপা রুস্ত।"
নাহ, ভালোই লাগছে, একদিনের জন্য এসব প্রশংসা পেয়ে।
2 notes · View notes
dailycomillanews · 19 days ago
Text
কুমিল্লায় বাস-সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে আপন ভাই বোনের মৃত্যু
কুমিল্লার দেবিদ্বারে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুই শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ছগুরা এলাকার কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নিহত একজনের নাম জুনায়েদ (১২) অপরজনের নাম ফাহিমা আক্তার (৯)। নিহতরা ওই ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সন্তান। তারা দু’জনেই ছগুরা এবতেদায়ি মাদ্রাসায় পড়তো। পুলিশ এবং স্থানীয়রা…
0 notes