#ইসলামের বাণী
Explore tagged Tumblr posts
Text
ইসলামে আধ্যাত্মিকতা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়?
ইসলামে আধ্যাত্মিকতা মানে হলো আত্মা ও মনকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা। ইসলামিক আধ্যাত্মিকতা সেই অনুশীলন যেখানে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশাবলী পালন করে নিজের ভেতরের আধ্যাত্মিক চেতনা জাগ্রত করে তোলে। আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি করতে হলে, কিছু বিশেষ চর্চার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং ইবাদতে একনিষ্ঠতা আনতে হয়।
১. কুরআন অধ্যয়ন করা
কুরআন আল্লাহর বাণী এবং এটিই মানুষের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ গাইড। প্রতিদিন কিছু সময় কুরআন পড়া এবং এর অর্থ বোঝার চেষ্টা করলে আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি পায়। কুরআনের শিক্ষার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর নির্দেশিকা এবং তাঁর রহমত সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারে। আমাদের Madrasatu Nuurul Ilm -এ আপনি অনলাইনে কুরআন শিক্ষা পেতে পারেন যা আধ্যাত্মিকতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২. নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেয়া
নামাজ হচ্ছে মুমিনের জন্য আল্লাহর সাথে সরাসরি যোগাযোগের একটি মাধ্যম। যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করে, তারা আধ্যাত্মিকতার পথে দ্রুত অগ্রসর হয়। ইখলাস সহকারে নামাজ আদায় করলে মনের মধ্যে আল্লাহর ভালোবাসা আরও দৃঢ় হয়। আমাদের বিশেষ নামাজ শিক্ষার কোর্স রয়েছে, যা আপনাকে সঠিকভাবে নামাজ শিখতে সহায়তা করবে।
৩. তাসবীহ ও জিকির
আল্লাহর স্মরণে প্রতিনিয়ত জিকির করা আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। জিকির মানুষের হৃদয়কে আল্লাহর দিকে মনোযোগী করে তোলে এবং দুনিয়ার চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। আপনি আমাদের অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণ করে কিভাবে সঠিকভাবে জিকির করতে হয় তা শিখতে পারবেন।
৪. দোয়া ও ইস্তিগফার করা
দোয়া হলো আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করা এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাওয়া। প্রতিদিনের দোয়া ও ইস্তিগফার আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়, কারণ এর মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছে পাপ থেকে মুক্তি এবং রহমত চায়। Madrasatu Nurull Ilm-এর মাধ্যমে আপনি দোয়া ও ইস্তিগফারের সঠিক পদ্ধতি শিখে নিতে পারেন।
৫. ইসলামের জ্ঞান অ��্জন করা
ইসলামের শিক্ষায় আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধির গুরুত্ব অনেক। ইসলামিক জ্ঞান মানুষকে আল্লাহর নৈকট্যে নিয়ে যায় এবং জীবনের প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। আমাদের Madrasatu Nurull Ilm-এ আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ইসলামিক কোর্সের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, যা আপনার আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
৬. সিয়াম (রোজা) রাখা
রোজা একজন মুসলিমের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির একটি মহান মাধ্যম। রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ হলেও, বছরের অন্য সময়েও নফল রোজা রাখা আধ্যাত্মিকতাকে বৃদ্ধি করে। রোজা মানুষকে দুনিয়াবি আকর্ষণ থেকে মুক্ত করে আখিরাতের প্রতি মনোযোগী করে তোলে।
আমাদের সেবা
Madrasatu Nurull Ilm একটি অনলাইন ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে আপনি বিভিন্ন ইসলামিক বিষয় শিখতে পারবেন, যা আপনার আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। আমাদের অনলাইন মাদ্রাসায় বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারেন। কুরআন শিক্ষা থেকে শুরু করে হাদিস, ফিকহ, এবং আখলাকের ওপর বিভিন্ন কোর্স আমাদের এখানে রয়েছে। আমাদের সেবার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, আপনি যেকোনো সময় এবং যেকোনো স্থান থেকে আমাদের ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন।
আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং ইসলামিক শিক্ষা প্রাপ্তির জন্য আজই যোগ দিন এবং আল্লাহর পথে চলার সঠিক দিকনির্দেশনা পান।
উপসংহার
আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যা ধৈর্য এবং একনিষ্ঠ চর্চার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। ইসলামিক অনুশীলন যেমন কুরআন শিক্ষা, নামাজ, দোয়া, এবং জিকির আপনাকে আধ্যাত্মিকতায় উন্নীত করবে। আপনি Madrasatu Nurull Ilm-এর বিভিন্ন ইসলামিক কোর্সে যোগ দিয়ে আপনার আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
0 notes
Text
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
#allahswt#tawheed#দ্যমেসেজসিনেমারবিষয়#'সত্য ইলাহ'একমাত্রআল্লাহ#একটিইবার্তা'লাইলাহাইল্লাল্লাহ'#TrueGod'isonlyAllah#OneMessage'LaIlahaIllAllah'#দ্যমেসেজ#দ্যমেসেজমুভি#TheMessageMovie#THEMESSAGE#TheMessage#Movie#বার্তা#রিসালাত#রিসালাহ#message#Resalat#Youtube
0 notes
Text
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্�� যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
#allahswt#whoisallah#allah'snature#tawhid#দ্যমেসেজসিনেমারবিষয়#'সত্য ইলাহ'একমাত্রআল্লাহ#একটিইবার্তা'লাইলাহাইল্লাল্লাহ'#TrueGod'isonlyAllah#OneMessage'LaIlahaIllAllah'#দ্যমেসেজ#দ্যমেসেজমুভি#TheMessageMovie#THEMESSAGE#TheMessage#Movie#বার্তা#রিসালাত#রিসালাহ#message#Resalat#Youtube
0 notes
Text
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
#tawheed#দ্যমেসেজসিনেমারবিষয়#'সত্য ইলাহ'একমাত্রআল্লাহ#একটিইবার্তা'লাইলাহাইল্লাল্লাহ'#TrueGod'isonlyAllah#OneMessage'LaIlahaIllAllah'#দ্যমেসেজ#দ্যমেসেজমুভি#TheMessageMovie#THEMESSAGE#TheMessage#Movie#বার্তা#রিসালাত#রিসালাহ#message#Resalat#tawhid#Youtube
0 notes
Text
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প���রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
#allahswt#tawheed#tawhid#allah'snature#দ্যমেসেজসিনেমারবিষয়#'সত্য ইলাহ'একমাত্রআল্লাহ#একটিইবার্তা'লাইলাহাইল্লাল্লাহ'#TrueGod'isonlyAllah#OneMessage'LaIlahaIllAllah'#দ্যমেসেজ#দ্যমেসেজমুভি#TheMessageMovie#THEMESSAGE#TheMessage#Movie#বার্তা#রিসালাত#রিসালাহ#message#Resalat#Youtube
0 notes
Text
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লাইলাহাইল্লাল্লাহ'
#দ্যমেসেজসিনেমারবিষয়#'সত্য ইলাহ'একমাত্রআল্লাহ#একটিইবার্তা'লাইলাহাইল্লাল্লাহ'#TrueGod'isonlyAllah#OneMessage'LaIlahaIllAllah'#দ্যমেসেজ#দ্যমেসেজমুভি#TheMessageMovie#THEMESSAGE#TheMessage#Movie#বার্তা#রিসালাত#রিসালাহ#message#Resalat#Youtube
0 notes
Text
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়���হ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ'একমাত্রআল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
#tawheed#allahswt#'সত্য ইলাহ'একমাত্রআল্লাহ#একটিইবার্তা'লাইলাহাইল্লাল্লাহ'#TrueGod'isonlyAllah#OneMessage'LaIlahaIllAllah'#দ্যমেসেজ#দ্যমেসেজমুভি#TheMessageMovie#THEMESSAGE#TheMessage#Movie#বার্তা#রিসালাত#রিসালাহ#message#Resalat#Youtube
0 notes
Text
youtube
সূরা আন-নাসর Ayah: 1 إِذَا جَآءَ نَصۡرُ ٱللَّهِ وَٱلۡفَتۡحُ যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় [১] ১১০- সূরা আন-নাসর ৩ আয়াত, মক্কী [১] আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, যখন এ সূরা নাযিল হলো ত��ন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লেন এবং বললেন, “মক্কা বিজয়ের পর আর কোনো হিজরত নেই।” [মুস্তাদরাকে হাকিম ২/২৫৭] এ সূরায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত নিকটবর্তী হওয়ার ইঙ্গিত আছে। এক বর্ণনায় আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা উবায়দুল্লাহ্ ইবন উতবাকে প্রশ্ন করে বলেন, কোন পূর্ণাঙ্গ সূরা সবশেষে নাযিল হয়েছে? উবায়দুল্লাহ্ বলেন, আমি বললাম: ‘ইযা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ’। তিনি বললেন, সত্য বলেছ। [মুসলিম ৩০২৪] ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, সূরা আন-নাসর বিদায় হজে অবতীর্ণ হয়েছে। এরপর اَلْيَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ [সূরা আল-মায়িদাহ ৩] আয়াত অবতীর্ণ হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাত্র আশি দিন জীবিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের যখন মাত্র পঞ্চাশ দিন বাকি ছিল, তখন কালালাহ্ সংক্রান্ত [সূরা আন-নিসা ১৭৬] আয়াত অবতীর্ণ হয়। অতঃপর পঁয়ত্রিশ দিন বাকী থাকার সময় لَقَدْ جَآءَكُمْ رَسُوْلٌ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ عَزِيْزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْ مِنِيْنَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ আয়াত অবতীর্ণ হয় এবং একুশ দিন বাকি থাকার সময় وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ۖ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ [সূরা আল-বাকারাহ ২৮১] আয়াত অবতীর্ণ হয়। [১] এ ব্যাপারে প্রায় সকলেই একমত যে, এখানে বিজয় বলে মক্কা বিজয় বোঝানো হয়েছে। [মুয়াসসার, ইবন কাসীর] আর বিজয় মানে কোনো একটি সাধারণ যুদ্ধে বিজয় নয়। বরং এর মানে হচ্ছে এমন একটি চুড়ান্ত বিজয় যার পরে ইসলামের সাথে সংঘর্ষ করার মতো আর কোনো শক্তির অস্তিত্ব দেশের বুকে থাকবে না এবং একথাও সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, বর্তমানে আরবে এ দীনটিই প্রাধান্য বিস্তার করবে। [দেখুন, আদ্ওয়াউল বায়ান] Ayah: 2 وَرَأَيۡتَ ٱلنَّاسَ يَدۡخُلُونَ فِي دِينِ ٱللَّهِ أَفۡوَاجٗا আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখবেন [১] [১] অর্থাৎ লোকদের একজন দু’জন করে ইসলাম গ্ৰহণ করার যুগ শেষ হয়ে যাবে। তখন এমন এক যুগের সূচনা হবে যখন এ��টি গোত্রের সবাই এবং এক একটি বড় বড় এলাকার সমস্ত অধিবাসী কোনো প্রকার যুদ্ধ-বিগ্রহ ও চাপ প্রয়োগ ছাড়াই স্বতস্ফুৰ্তভাবে মুসলিম হয়ে যেতে থাকবে। মক্কা বিজয়ের পূর্বে এমন লোকদের সংখ্যাও প্রচুর ছিল, যারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেসালত ও ইসলামের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত বিশ্বাসের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। কিন্তু কুরাইশদের ভয়ে অথবা অন্য কোনো কারণে তারা ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত ছিল। মক্কাবিজয় তাদের সেই বাধা দূর করে দেয়। সেমতে তারা দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করতে শুরু করে। সাধারণ আরবরাও এমনিভাবে দলে দলে ইসলামে দাখিল হয়। আমর ইবন সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “মক্কা বিজয়ের পরে প্রতিটি গোত্রই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে ঈমান আনার ব্যাপারে প্ৰতিযোগিতা শুরু করে। মক্কা বিজয়ের আগে এ সমস্ত গোত্রগুলো ঈমান আনার ব্যাপারে দ্বিধা করত। তারা বলত, তার ও তার গোত্রের অবস্থা পর্যবেক্ষণ কর। যদি সে তার গোত্রের উপর জয়লাভ করতে পারে তবে সে নবী হিসেবে বিবেচিত হবে।” [বুখারী ৪৩০২] [বাগাভী] Ayah: 3 فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَٱسۡتَغۡفِرۡهُۚ إِنَّهُۥ كَانَ تَوَّابَۢا তখন আপনি আপনার রবের প্ৰশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী [১]। [১] একাধিক হাদীস ও সাহাবীর উক্তিতে আছে যে, এ সূরায় রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত নিকটবর্তী হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত আছে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আমাকে বদরী সাহাবীগণের সাথে তার কাছে প্রবেশাধিকার দিয়েছিলেন। তারা এটাকে মনে-প্ৰাণে মেনে নিতে পারছিলেন না। তারা বলেই ফেলল, একে আবার আমাদের সাথে কেন? আমাদের কাছে তার সমবয়সী সন্তান-সন্ততি রয়েছে। তখন উমর বললেন, তোমরা তো জান সে কোথেকে এসেছে। তারপর একদিন তিনি তাদের মজলিসে তাকে ডেকে পাঠালেন। আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি আমাকে তাদের মাঝে ডেকে আমাকে তাদের সাথে রাখার ব্যাপারটি স্পষ্ট করারই ইচ্ছা পোষণ করেছেন। অতঃপর উমর বললেন, তোমরা মহান আল্লাহর বাণী, “ইযা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ” সম্পর্কে কী বল? তাদের কেউ বলল, আমাদের বিজয় লাভ হলে যেন আমরা আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর কাছে ক্ষমা চাই তা-ই বলা হয়েছে। আবার তাদের অনেকেই কিছু না বলে চুপ ছিল। তখন তিনি আমাকে বললেন, হে ইবন আব্বাস! তুমি কি অনুরুপ বল?
#Al-Quran#Al Quran Translation#Quran Translations#Translations of Quran#Quran translation in various language#quran Translation in many language#Quran Translations in worlds language#Al Quran Translation in all languages#Translation of Quran in BENGALI#Quran for kids#quran BENGALI Translation#BENGALI translation of quran#النصر#Quran Translation in BENGALI#BENGALI translation Quran#quran in BENGALI translation#Al Quran karim#Quran Majid#Bengali Quran#An nasr#Youtube
1 note
·
View note
Text
ইসলাম হলো সত্যকে গ্রহণ করা এবং অসত্যকে পরিহার, পরিত্যাগ বা বর্জন করা। ইমান বা বিশ্বাসের মূল কথা হলো কালিমা। কালিমা শাহাদাত হলো ইমান ও ইসলা���ের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম ভিত্তি। কালিমা অর্থ শব্দ, বাণী বা বাক্য; শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য দেওয়া। কালিমা শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য বাণী। কালিমা শাহাদাত ফারসিতে হয় ‘কালেমায়ে শাহাদাত’; মূল আরবিতে হবে ‘কালেমাহ শাহাদাত’ বা ‘আল কালিমাতুশ শাহাদাত’।
0 notes
Text
১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যার মূল কারণ মুহম্মদ ও ইসলাম :
#মুসলমানদের যেকোনো আচরণ, সেটা ক্ষুদ্র হোক বা বৃহৎ, তার কারণ জানতে হলে ঢুকতে হবে কোরান-হাদিসে। কোরানকে যদিও বলা হয়, আল্লার বাণী; কিন্তু এই কোরানের কোনো বাণীই মুহম্মদের ইচ্ছা অনিচ্ছার বিরুদ্ধে বা বাইরে নয়। আর হাদিসকে বেশির ভাগ মুসলমান জানে মুহম্মদের বাণী হিসেবে; কিন্তু হাদিস, শুধু মুহম্মদ যা বলে গেছে, তা ই ন��; মুহম্মদ যা করে গেছে সেটা ও।
মুহম্মদ মক্কায় থাকতেই, নবীত্ব লাভের ১০ বছর পর, ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে, মদীনা থেকে খাজরাজ গোত্রের কয়েকজন ইহুদি হজ করার জন্য মক্কায় আসে এবং তারা মুহম্মদের নবীয়ত্বের কথা জানতে পারে। এরা মদীনায় ফিরে গিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা ক'রে, ইহুদিদের তাওরাৎ গ্রন্থে এরকম এক নবীর আবির্ভাবের কথার উল্লেখ আছে ব'লে, তারা মুহম্মদের নবীয়ত্ব সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হয় এবং এর পরের বছর, খাজরাজ গোত্রের ১০ জন এবং আউস গোত্রের ২ জন আবার হজ করতে এসে আল আকাবা নামক স্থানে মুহম্মদের সাথে গোপনে মিলিত হয় এবং ইসলাম গ্রহন করে। এটা "আল আকাবার প্রথম শপথ" নামে পরিচিত। পরের বছর আরো কিছু লোক এসে ইসলাম গ্রহন করে, সেই সাথে তারা এটাও শপথ করে যে, মুহম্মদ যদি মদীনায় যায়, তাহলে তারা মুহম্মদকে সব রকমভাবে সাহায্য করবে এবং তাকে রক্ষা করবে। ইসলামের ইতিহাসে এটা "আল আকাবার দ্বিতীয় শপথ" নামে পরিচিত। এর ফলেই মুহম্মদ, মক্কায় টিকতে না পেরে মদীনায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং একরাতে আবুবকরকে নিয়ে পালিয়ে যায়, যা মুসলমানদের কাছে মহান হিজরত নামে পরিচিত।
এখানে একটা বিষয় বলে রাখি, মুহম্মদের জন্মের বহু আগে থেকেই মক্কার কাবাকে ঘিরে হজ প্রথা প্রচলিত ছিলো; যখন কাবাকে বলা হতো মক্কেশ্বর শিবের মন্দির এবং তার মধ্যে ৩৬০টি দেব-দেবীর মূর্তি ছিলো। তাই হজ, যা বর্তমানে আরবের প্রধান পর্যটন ব্যবসা, তা মুহম্মদের চালু করা নয়।। এখানে আরও একটা বিষয় বলে রাখি, মুহম্মদের মা আমিনা ছিলো মদীনার খাজরাজ গোত্রের মেয়ে, ফলে খাজরাজ গোত্রের লোকদের, আত্মীয়তার সূত্রে, মুহম্মদের প্রতি কিছুটা দুর্বলতা ছিলো।
তো মদীনায় যাওয়ার পর খাজরাজ ও আউস গোত্রের লোকেরা মুহম্মদ ও আবুবকরকে এবং পরে মক্কা থেকে যেসব মুসলমান, মদীনায় আসতে থাকে, তাদেরকে যথা সম্ভব সাহায্য করে ব'লে, এদেরকে সাহায্যকারী বা আরবি ভাষায় বলে আনসার। আর যারা মক্কা থেকে পালিয়ে আসতো তাদের বলে মোহাজের। বাংলাদেশে আনসার-ভিডিপি...see more
0 notes
Text
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
দুর্নীতির ছদ্মাবরণে সম্পদের পাহাড় গড়ার কারিগরের জীবন কখনো কখনো গড়ায় জেলখানায়! অথচ অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে ধরা দেয় না স্বেচ্ছায়, বরং ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়। শান্তির সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেই অপরাধ দমনে কঠোরতম অবস্থান জানান দেয়—‘আল্লাহর বিধান কার্যকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের প্রভাবান্বিত না করে, তোমরা যদি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হও।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২)
ইসলামের সমাজ বাস্তবতায় অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শাস্তির আওতায় নিজেকে সমর্পণ করে ধর্মভীরুতা ও পারলৌকিক মুক্তি প্রত্যাশায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মার্জনা করেন...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৫৩)
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান দোষত্রুটিপূর্ণ ও অপরাধী, আর অপরাধীর মধ্যে ওই সব লোক উত্তম, যারা তাওবা করে।’ (তিরমিজি)
ইসলামের ইতিহাসে এর উদাহরণ আছে—
১. তাবুকের যুদ্ধের সময় তিনজন সাহাবির অনিচ্ছাকৃত ও সাময়িক ভুলের আত্মগ্লানির প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয় সুরা তাওবার কয়েকটি আয়াত।
২. বুখারি শরিফে আছে ‘এক ব্যক্তি ১০০ মানুষ খুন করেছিল।
খুনি তারপর আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়। তাই আল্লাহ ওই জঘন্য অপরাধীকেও ক্ষমা করেন।’
৩. বুখারি শরিফের অপর বর্ণনায় আছে ‘মইজ ইবনু মালিক আসলামি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার ওপর জুলুম করেছি...আমি চাই, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন।’
৪. মুসলিম শরিফে আছে, গামিদি গোত্রের এক অনুতপ্ত মহিলা মহান আল্লাহর শাস্তি তার ওপর কার্যকরণের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে ফিরে ফিরে এসেছে।
অবৈধ অঢেল সম্পদ মূল্যহীন
‘রিজিকদাতা’ মহান আল্লাহর ব্যবস্থা ‘রিজকান কারিমা’ (সম্মানজনক জীবিকা) এবং জীবিকা অর্জনের কৌশল ‘হালালান তাইয়্যিবা’ (বৈধ ও পবিত্র)। অথচ কেউ কেউ জীবিকা অর্জনে ‘দুর্নীতি’র মতো পথ-পদ্ধতি বেছে নেয়। পাপ-পতনের মাধ্যম দুর্নীতি; জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হিসেবে যথেষ্ট। এতে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা লঙ্ঘিত হয়—‘অন্যায় অবৈধভাবে তোমরা একে অন্যের ধন-সম্পদ গ্রাস করো না এবং এই লক্ষ্যে তা বিচারকের কাছে উপস্থাপন কোরো না।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৮) মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২০)
দুর্নীতিবাজরা বাঁচার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে ইসলাম ও মুসলমানের অসম্মান করে। ইসলামে ছদ্মবেশী হওয়া ও রূপবিকৃতির অনুমোদন নেই। সুরা বাকারার ৪২ নম্বর আয়াতের নির্দেশনা—‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিয়ো না এবং জেনেবুঝে সত্য গোপন কোরো না।’
সৃষ্টিগত পরিবর্তন ঘটানোর অধিকার মহান আল্লাহ মানুষকে দেননি। ই��শাদ হয়েছে—‘হে মুমিনরা! আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সে সমুদয়কে তোমরা হারাম কোরো না এবং সীমা লঙ্ঘন কোরো না আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮৭)
মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন করা প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের বাণী : ‘শয়তান বলল, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের পথভ্রষ্ট করব—তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ করব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১৯)
ইসলামের দৃষ্টিতে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ, অসৎ পন্থাবলম্বন কবিরা গুনাহ। আর এটি মুনাফিকির লক্ষণ।
দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে
youtube
প্রতারক দুর্নীতিবাজের দুনিয়াবি শাস্তি কি
youtube
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
Corruptors disguise, what Islam says
#দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ#ইসলাম কী বলে#Corruptors disguise#what Islam says#Corruptor#disguise#দুর্নীতিবাজ#ছদ্মবেশ#Youtube
0 notes
Text
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
দুর্নীতির ছদ্মাবরণে সম্পদের পাহাড় গড়ার কারিগরের জীবন কখনো কখনো গড়ায় জেলখানায়! অথচ অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে ধরা দেয় না স্বেচ্ছায়, বরং ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়। শান্তির সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেই অপরাধ দমনে কঠোরতম অবস্থান জানান দেয়—‘আল্লাহর বিধান কার্যকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের প্রভাবান্বিত না করে, তোমরা যদি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হও।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২)
ইসলামের সমাজ বাস্তবতায় অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শাস্তির আওতায় নিজেকে সমর্পণ করে ধর্মভীরুতা ও পারলৌকিক মুক্তি প্রত্যাশায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মার্জনা করেন...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৫৩)
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান দোষত্রুটিপূর্ণ ও অপরাধী, আর অপরাধীর মধ্যে ওই সব লোক উত্তম, যারা তাওবা করে।’ (তিরমিজি)
ইসলামের ইতিহাসে এর উদাহরণ আছে—
১. তাবুকের যুদ্ধের সময় তিনজন সাহাবির অনিচ্ছাকৃত ও সাময়িক ভুলের আত্মগ্লানির প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয় সুরা তাওবার কয়েকটি আয়াত।
২. বুখারি শরিফে আছে ‘এক ব্যক্তি ১০০ মানুষ খুন করেছিল।
খুনি তারপর আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়। তাই আল্লাহ ওই জঘন্য অপরাধীকেও ক্ষমা করেন।’
৩. বুখারি শরিফের অপর বর্ণনায় আছে ‘মইজ ইবনু মালিক আসলামি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার ওপর জুলুম করেছি...আমি চাই, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন।’
৪. মুসলিম শরিফে আছে, গামিদি গোত্রের এক অনুতপ্ত মহিলা মহান আল্লাহর শাস্তি তার ওপর কার্যকরণের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে ফিরে ফিরে এসেছে।
অবৈধ অঢেল সম্পদ মূল্যহীন
‘রিজিকদাতা’ মহান আল্লাহর ব্যবস্থা ‘রিজকান কারিমা’ (সম্মানজনক জীবিকা) এবং জীবিকা অর্জনের কৌশল ‘হালালান তাইয়্যিবা’ (বৈধ ও পবিত্র)। অথচ কেউ কেউ জীবিকা অর্জনে ‘দুর্নীতি’র মতো পথ-পদ্ধতি বেছে নেয়। পাপ-পতনের মাধ্যম দুর্নীতি; জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হিসেবে যথেষ্ট। এতে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা লঙ্ঘিত হয়—‘অন্যায় অবৈধভাবে তোমরা একে অন্যের ধন-সম্পদ গ্রাস করো না এবং এই লক্ষ্যে তা বিচারকের কাছে উপস্থাপন কোরো না।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৮) মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২০)
দুর্নীতিবাজরা বাঁচার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে ইসলাম ও মুসলমানের অসম্মান করে। ইসলামে ছদ্মবেশী হওয়া ও রূপবিকৃতির অনুমোদন নেই। সুরা বাকারার ৪২ নম্বর আয়াতের নির্দেশনা—‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিয়ো না এবং জেনেবুঝে সত্য গোপন কোরো না।’
সৃষ্টিগত পরিবর্তন ঘটানোর অধিকার মহান আল্লাহ মানুষকে দেননি। ইরশাদ হয়েছে—‘হে মুমিনরা! আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সে সমুদয়কে তোমরা হারাম কোরো না এবং সীমা লঙ্ঘন কোরো না আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮৭)
মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন করা প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের বাণী : ‘শয়তান বলল, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের পথভ্রষ্ট করব—তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ করব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১৯)
ইসলামের দৃষ্টিতে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ, অসৎ পন্থাবলম্বন কবিরা গুনাহ। আর এটি মুনাফিকির লক্ষণ।
দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে
youtube
প্রতারক দুর্নীতিবাজের দুনিয়াবি শাস্তি কি
youtube
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
Corruptors disguise, what Islam says
#দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ#ইসলাম কী বলে#Corruptors disguise#what Islam says#Corruptor#disguise#দুর্নীতিবাজ#ছদ্মবেশ#Youtube
0 notes
Text
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
দুর্নীতির ছদ্মাবরণে সম্পদের পাহাড় গড়ার কারিগরের জীবন কখনো কখনো গড়ায় জেলখানায়! অথচ অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে ধরা দেয় না স্বেচ্ছায়, বরং ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়। শান্তির সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেই অপরাধ দমনে কঠোরতম অবস্থান জানান দেয়—‘আল্লাহর বিধান কার্যকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের প্রভাবান্বিত না করে, তোমরা যদি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হও।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২)
ইসলামের সমাজ বাস্তবতায় অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শাস্তির আওতায় নিজেকে সমর্পণ করে ধর্মভীরুতা ও পারলৌকিক মুক্তি প্রত্যাশায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মার্জনা করেন...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৫৩)
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান দোষত্রুটিপূর্ণ ও অপরাধী, আর অপরাধীর মধ্যে ওই সব লোক উত্তম, যারা তাওবা করে।’ (তিরমিজি)
ইসলামের ইতিহাসে এর উদাহরণ আছে—
১. তাবুকের যুদ্ধের সময় তিনজন সাহাবির অনিচ্ছাকৃত ও সাময়িক ভুলের আত্মগ্লানির প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয় সুরা তাওবার কয়েকটি আয়াত।
২. বুখারি শরিফে আছে ‘এক ব্যক্তি ১০০ মানুষ খুন করেছিল।
খুনি তারপর আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়। তাই আল্লাহ ওই জঘন্য অপরাধীকেও ক্ষমা করেন।’
৩. বুখারি শরিফের অপর বর্ণনায় আছে ‘মইজ ইবনু মালিক আসলামি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার ওপর জুলুম করেছি...আমি চাই, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন।’
৪. মুসলিম শরিফে আছে, গামিদি গোত্রের এক অনুতপ্ত মহিলা মহান আল্লাহর শাস্তি তার ওপর কার্যকরণের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে ফিরে ফিরে এসেছে।
অবৈধ অঢেল সম্পদ মূল্যহীন
‘রিজিকদাতা’ মহান আল্লাহর ব্যবস্থা ‘রিজকান কারিমা’ (সম্মানজনক জীবিকা) এবং জীবিকা অর্জনের কৌশল ‘হালালান তাইয়্যিবা’ (বৈধ ও পবিত্র)। অথচ কেউ কেউ জীবিকা অর্জনে ‘দুর্নীতি’র মতো পথ-পদ্ধতি বেছে নেয়। পাপ-পতনের মাধ্যম দুর্নীতি; জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হিসেবে যথেষ্ট। এতে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা লঙ্ঘিত হয়—‘অন্যায় অবৈধভাবে তোমরা একে অন্যের ধন-সম্পদ গ্রাস করো না এবং এই লক্ষ্যে তা বিচারকের কাছে উপস্থাপন কোরো না।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৮) মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২০)
দুর্নীতিবাজরা বাঁচার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে ইসলাম ও মুসলমানের অসম্মান করে। ���সলামে ছদ্মবেশী হওয়া ও রূপবিকৃতির অনুমোদন নেই। সুরা বাকারার ৪২ নম্বর আয়াতের নির্দেশনা—‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিয়ো না এবং জেনেবুঝে সত্য গোপন কোরো না।’
সৃষ্টিগত পরিবর্তন ঘটানোর অধিকার মহান আল্লাহ মানুষকে দেননি। ইরশাদ হয়েছে—‘হে মুমিনরা! আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সে সমুদয়কে তোমরা হারাম কোরো না এবং সীমা লঙ্ঘন কোরো না আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮৭)
মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন করা প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের বাণী : ‘শয়তান বলল, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের পথভ্রষ্ট করব—তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ করব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১৯)
ইসলামের দৃষ্টিতে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ, অসৎ পন্থাবলম্বন কবিরা গুনাহ। আর এটি মুনাফিকির লক্ষণ।
দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে
youtube
প্রতারক দুর্নীতিবাজের দুনিয়াবি শাস্তি কি
youtube
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
Corruptors disguise, what Islam says
#দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ#ইসলাম কী বলে#Corruptors disguise#what Islam says#Corruptor#disguise#দুর্নীতিবাজ#ছদ্মবেশ#Youtube
0 notes
Text
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
দুর্নীতির ছদ্মাবরণে সম্পদের পাহাড় গড়ার কারিগরের জীবন কখনো কখনো গড়ায় জেলখানায়! অথচ অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে ধরা দেয় না স্বেচ্ছায়, বরং ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়। শান্তির সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেই অপরাধ দমনে কঠোরতম অবস্থান জানান দেয়—‘আল্লাহর বিধান কার্যকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের প্রভাবান্বিত না করে, তোমরা যদি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হও।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২)
ইসলামের সমাজ বাস্তবতায় অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শাস্তির আওতায় নিজেকে সমর্পণ করে ধর্মভীরুতা ও পারলৌকিক মুক্তি প্রত্যাশায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মার্জনা করেন...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৫৩)
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান দোষত্রুটিপূর্ণ ও অপরাধী, আর অপরাধীর মধ্যে ওই সব লোক উত্তম, যারা তাওবা করে।’ (তিরমিজি)
ইসলামের ইতিহাসে এর উদাহরণ আছে—
১. তাবুকের যুদ্ধের সময় তিনজন সাহাবির অনিচ্ছাকৃত ও সাময়িক ভুলের আত্মগ্লানির প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয় সুরা তাওবার কয়েকটি আয়াত।
২. ব���খারি শরিফে আছে ‘এক ব্যক্তি ১০০ মানুষ খুন করেছিল।
খুনি তারপর আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়। তাই আল্লাহ ওই জঘন্য অপরাধীকেও ক্ষমা করেন।’
৩. বুখারি শরিফের অপর বর্ণনায় আছে ‘মইজ ইবনু মালিক আসলামি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার ওপর জুলুম করেছি...আমি চাই, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন।’
৪. মুসলিম শরিফে আছে, গামিদি গোত্রের এক অনুতপ্ত মহিলা মহান আল্লাহর শাস্তি তার ওপর কার্যকরণের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে ফিরে ফিরে এসেছে।
অবৈধ অঢেল সম্পদ মূল্যহীন
‘রিজিকদাতা’ মহান আল্লাহর ব্যবস্থা ‘রিজকান কারিমা’ (সম্মানজনক জীবিকা) এবং জীবিকা অর্জনের কৌশল ‘হালালান তাইয়্যিবা’ (বৈধ ও পবিত্র)। অথচ কেউ কেউ জীবিকা অর্জনে ‘দুর্নীতি’র মতো পথ-পদ্ধতি বেছে নেয়। পাপ-পতনের মাধ্যম দুর্নীতি; জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হিসেবে যথেষ্ট। এতে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা লঙ্ঘিত হয়—‘অন্যায় অবৈধভাবে তোমরা একে অন্যের ধন-সম্পদ গ্রাস করো না এবং এই লক্ষ্যে তা বিচারকের কাছে উপস্থাপন কোরো না।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৮) মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২০)
দুর্নীতিবাজরা বাঁচার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে ইসলাম ও মুসলমানের অসম্মান করে। ইসলামে ছদ্মবেশী হওয়া ও রূপবিকৃতির অনুমোদন নেই। সুরা বাকারার ৪২ নম্বর আয়াতের নির্দেশনা—‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিয়ো না এবং জেনেবুঝে সত্য গোপন কোরো না।’
সৃষ্টিগত পরিবর্তন ঘটানোর অধিকার মহান আল্লাহ মানুষকে দেননি। ইরশাদ হয়েছে—‘হে মুমিনরা! আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সে সমুদয়কে তোমরা হারাম কোরো না এবং সীমা লঙ্ঘন কোরো না আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮৭)
মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন করা প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের বাণী : ‘শয়তান বলল, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের পথভ্রষ্ট করব—তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ করব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১৯)
ইসলামের দৃষ্টিতে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ, অসৎ পন্থাবলম্বন কবিরা গুনাহ। আর এটি মুনাফিকির লক্ষণ।
দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে
youtube
প্রতারক দুর্নীতিবাজের দুনিয়াবি শাস্তি কি
youtube
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
Corruptors disguise, what Islam says
#দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ#ইসলাম কী বলে#Corruptors disguise#what Islam says#Corruptor#disguise#দুর্নীতিবাজ#ছদ্মবেশ#Youtube
0 notes
Text
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
দুর্নীতির ছদ্মাবরণে সম্পদের পাহাড় গড়ার কারিগরের জীবন কখনো কখনো গড়ায় জেলখানায়! অথচ অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে ধরা দেয় না স্বেচ্ছায়, বরং ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়। শান্তির সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেই অপরাধ দমনে কঠোরতম অবস্থান জানান দেয়—‘আল্লাহর বিধান কার্যকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের প্রভাবান্বিত না করে, তোমরা যদি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হও।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২)
ইসলামের সমাজ বাস্তবতায় অপরাধী অনুতপ্ত হয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শাস্তির আওতায় নিজেকে সমর্পণ করে ধর্মভীরুতা ও পারলৌকিক মুক্তি প্রত্যাশায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মার্জনা করেন...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৫৩)
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান দোষত্রুটিপূর্ণ ও অপরাধী, আর অপরাধীর মধ্যে ওই সব লোক উত্তম, যারা তাওবা করে।’ (তিরমিজি)
ইসলামের ইতিহাসে এর উদাহরণ আছে—
১. তাবুকের যুদ্ধের সময় তিনজন সাহাবির অনিচ্ছাকৃত ও সাময়িক ভুলের আত্মগ্লানির প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয় সুরা তাওবার কয়েকটি আয়াত।
২. বুখারি শরিফে আছে ‘এক ব্যক্তি ১০০ মানুষ খুন করেছিল।
খুনি তারপর আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়। তাই আল্লাহ ওই জঘন্য অপরাধীকেও ক্ষমা করেন।’
৩. বুখারি শরিফের অপর বর্ণনায় আছে ‘মইজ ইবনু মালিক আসলামি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার ওপর জুলুম করেছি...আমি চাই, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন।’
৪. মুসলিম শরিফে আছে, গামিদি গোত্রের এক অনুতপ্ত মহিলা মহান আল্লাহর শাস্তি তার ওপর কার্যকরণের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে ফিরে ফিরে এসেছে।
অবৈধ অঢেল সম্পদ মূল্যহীন
‘রিজিকদাতা’ মহান আল্লাহর ব্যবস্থা ‘রিজকান কারিমা’ (সম্মানজনক জীবিকা) এবং জীবিকা অর্জনের কৌশল ‘হালালান তাইয়্যিবা’ (বৈধ ও পবিত্র)। অথচ কেউ কেউ জীবিকা অর্জনে ‘দুর্নীতি’র মতো পথ-পদ্ধতি বেছে নেয়। পাপ-পতনের মাধ্যম দুর্নীতি; জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হিসেবে যথেষ্ট। এতে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা লঙ্ঘিত হয়—‘অন্যায় অবৈধভাবে তোমরা একে অন্যের ধন-সম্পদ গ্রাস করো না এবং এই লক্ষ্যে তা বিচারকের কাছে উপস্থাপন কোরো না।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৮) মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২০)
দুর্নীতিবাজরা বাঁচার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে ইসলাম ও মুসলমানের অসম্মান করে। ইসলামে ছদ্মবেশী হওয়া ও রূপবিকৃতির অনুমোদন নেই। সুরা বাকারার ৪২ নম্বর আয়াতের নির্দেশনা—‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিয়ো না এবং জেনেবুঝে সত্য গোপন কোরো না।’
সৃষ্টিগত পরিবর্তন ঘটানোর অধিকার মহান আল্লাহ মানুষকে দেননি। ইরশাদ হয়েছে—‘হে মুমিনরা! আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সে সমুদয়কে তোমরা হারাম কোরো না এবং সীমা লঙ্ঘন কোরো না আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮৭)
মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন করা প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের বাণী : ‘শয়তান বলল, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের পথভ্রষ্ট করব—তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ করব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১৯)
ইসলামের দৃষ্টিতে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ, অসৎ পন্থাবলম্বন কবিরা গুনাহ। আর এটি মুনাফিকির লক্ষণ।
দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে
youtube
প্রতারক দুর্নীতিবাজের দুনিয়াবি শাস্তি কি
youtube
দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ, ইসলাম কী বলে
Corruptors disguise, what Islam says
#দুর্নীতিবাজদের ছদ্মবেশ ধারণ#ইসলাম কী বলে#Corruptors disguise#what Islam says#Corruptor#disguise#দুর্নীতিবাজ#ছদ্মবেশ#Youtube
0 notes