#ইসলামী চিকিৎসা
Explore tagged Tumblr posts
healthplanbd · 17 days ago
Text
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল রাজশাহী অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি হাসপাতাল, যা উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবা ও রোগ নির্ণয়ের জন্য পরিচিত। আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণের সমন্বয়ে এই হাসপাতালটি বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদান করে থাকে�� সেবাসমূহ: আউটডোর ও ইনডোর সেবা: বহির্বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা: অভিজ্ঞ…
0 notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহ�� নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহ���গুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে। ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১) জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য। দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে। পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০) তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে। কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০) অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০) ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১) রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭) তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪) সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়। জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s https://www.youtube.com/watch?v=WR0tCQ_UmcU https://www.youtube.com/watch?v=Chqy8tp5e0w https://www.youtube.com/watch?v=gUZf5zu7Fic https://www.youtube.com/watch?v=s4O-oPPUPDc https://www.youtube.com/watch?v=ahL41l4R_i0&t=126s https://www.youtube.com/watch?v=ayK3KMCWDfo&t=34s https://www.youtube.com/watch?v=biYiQw1-lP4 https://www.youtube.com/watch?v=xYDj6RoDIbA https://www.youtube.com/watch?v=xYDj6RoDIbA https://www.youtube.com/watch?v=2R3E25VFj3Q
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
0 notes
ilyforallahswt · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
0 notes
myreligionislam · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্ব���নি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
0 notes
allahisourrabb · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩���)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
0 notes
mylordisallah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
0 notes
banglavisiononline · 3 months ago
Link
বন্যা দুর্গত জেলা ফেনীতে বানের পানি নেমে যা
0 notes
johirryhan087 · 5 months ago
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল।
ইসলামে বিড়াল একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। ইসলামের বিভিন্ন হাদিস এবং ঐতিহ্যে বিড়ালের প্রতি সদয় আচরণের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই ব্লগে আমরা ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, যার মধ্যে থাকবে বিড়ালের প্রতি মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর আচরণ, হাদিস, এবং ইসলামী আইন অনুযায়ী বিড়ালের যত্নের নির্দেশনা।
#### বিড়ালের প্রতি মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর আচরণ
মহানবী মুহাম্মদ (সা.) বিড়ালের প্রতি অত্যন্ত সদয় ছিলেন এবং এটি ইসলামী ঐতিহ্যে সুপরিচিত। একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা হলো, একদিন মহানবী (সা.) নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং তার জামার এক পাশে একটি বিড়াল ঘুমাচ্ছিল। তিনি বিড়ালটিকে বিরক্ত না করে জামার সেই অংশটি কেটে ফেলে দিলেন এবং নামাজে চলে গেলেন। এই ঘটনা তার বিড়ালের প্রতি সদয় এবং সহানুভূতিশীল আচরণের একটি উদাহরণ।
#### হাদিসে বিড়াল
ইসলামের বিভিন্ন হাদিসে বিড়ালের প্রতি সদয় আচরণের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। নিচে কিছু প্রধান হাদিস উল্লেখ করা হলো:
1. **আবু হুরায়রা (রা.) এর ঘটনা**: আবু হুরায়রা (রা.) ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাহাবী, যিনি বিড়ালের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য পরিচিত ছিলেন। তার নামের অর্থই হচ্ছে "বিড়ালের পিতা"। তিনি বিড়ালের প্রতি সদয় আচরণের উদাহরণ স্থাপন করেছেন, যা ইসলামী ঐতিহ্যে গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে।
2. **হাদিসে নবী (সা.) এর নির্দেশনা**: মহানবী (সা.) বলেছেন, "একজন মহিলাকে জাহান্নামে পাঠানো হয়েছে কারণ সে একটি বিড়ালকে আটকে রেখেছিল এবং তাকে খেতে বা পান করতে দেয়নি।" এই হাদিসে বিড়ালের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের পরিণতির কথা বলা হয়েছে।
#### ইসলামী আইন অনুযায়ী বিড়ালের যত্ন
ইসলামে বিড়ালের যত্ন এবং তাদের সাথে সদয় আচরণ করা বাধ্যতামূলক। নিচে কিছু প্রধান নির্দেশনা উল্লেখ করা হলো:
1. **খাদ্য এবং পানীয়**: বিড়ালকে পর্যাপ্ত খাদ্য এবং পানীয় সরবরাহ করা উচিত। তাদের ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত রাখা ইসলামে অনুমোদিত নয়।
2. **পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা**: বিড়ালের লোম এবং শরীর পরিষ্কার রাখা উচিত। তাদের স্বাস্থ্য এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
3. **আশ্রয়**: বিড়ালের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক আশ্রয় প্রদান করা উচিত, যেখানে তারা আরাম করতে পারে এবং নিরাপদে থাকতে পারে।
4. **চিকিৎসা**: যদি বিড়াল অসুস্থ হয়, তাহলে তাদের সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা উচিত। এটি তাদের সুস্থতা এবং কল্যাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
#### বিড়ালের প্রতি সদয় আচরণের গুরুত্ব
ইসলামে সকল প্রাণীর প্রতি সদয় আচরণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিড়ালের প্রতি সদয় আচরণ কেবল একটি দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি পুণ্যের কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। মহানবী (সা.) এর উদাহরণ এবং হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিড়ালের প্রতি সদয় আচরণের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি এবং আমাদের নিজস্ব মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটাতে পারি।
### উপসংহার
ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল একটি সম্মানিত এবং প্রিয় প্রাণী। তাদের প্রতি সদয় আচরণ এবং যত্ন নেওয়া ইসলামী ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর উদাহরণ এবং হাদিসের নির্দেশনার মাধ্যমে আমরা বিড়ালের প্রতি আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে পারি এবং তাদের প্রতি সদয় আচরণের মাধ্যমে আমাদের জীবনে পুণ্য ও কল্যাণ অর্জন করতে পারি। ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল সম্পর্কে জানা এবং তাদের প্রতি সদয় আচরণ করা আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
1 note · View note
dailytolper · 2 years ago
Text
আঙুলের অপারেশনে শিশুর মৃত্যু, গোসলের সময় দেখা গেলো পুরো পেটে সেলাই
আঙুলের অপারেশনে শিশুর মৃত্যু, গোসলের সময় দেখা গেলো পুরো পেটে সেলাই
আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম: মাত্র ৯ মাস বয়সে মাইশার (৫) ডান হাতের আঙুল চুলার আগুনে পুড়ে যায়। সে সময় রংপুরে চিকিৎসা করে হাতের ক্ষত ভালো হলেও কুঁকড়ে যায় তিন আঙুল। মেয়ের হাত ভালো হবে— এমন আশা নিয়ে সম্প্রতি ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ডাক্তার মো. আহসান হাবীবের শরণাপন্ন হন মাইশার বাবা মোজাফফর। মাইশার হাত দেখে চিকিৎসক বলেন, ‘অপারেশন করলে স্বাভাবিক হবে’। সে অনুযায়ী গত বুধবার (৩০ নভেম্বর)…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
khutbahs · 3 years ago
Photo
Tumblr media
মানসিক অশান্তির ইসলামী চিকিৎসা
মানসিকঅশান্তিনিরাময় ইসলামে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা নিষিদ্ধ নয়। তাই উন্মাদনাসহ সর্বপ্রকার মানসিক রোগের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। আল্লাহর নিকট দোয়া করার পাশাপাশি ডাক্তারের দেওয়া ঔষধ-পথ্য চালিয়ে যেতে হবে। আমরা যেখানেই যাই, যা-ই করি, সবসময় আমাদের জিহ্বাকে আল্লাহর জিকির তথা কোরআন তেলাাওয়াতের দ্বারা ভিজিয়ে রাখতে হবে।https://www.youtube.com/watch?v=2pQ0hAysKro
0 notes
quransunnahdawah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত ন��ীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয��।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب  অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩)  (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার ‌'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্‌তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও ‍যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০)  (৩৭) দৈনিক চাশ্‌তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠক���রী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam? 
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা || 
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ? 
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
 
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب  অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩)  (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার ‌'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্‌তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও ‍যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০)  (৩৭) দৈনিক চাশ্‌তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam? 
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা || 
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ? 
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
 
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
0 notes
ilyforallahswt · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب  অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩)  (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার ‌'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্‌তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও ‍যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০)  (৩৭) দৈনিক চাশ্‌তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam? 
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা || 
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ? 
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
 
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
0 notes
myreligionislam · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় ���ার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب  অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩)  (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার ‌'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্‌তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও ‍যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০)  (৩৭) দৈনিক চাশ্‌তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam? 
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা || 
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ? 
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
 
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
0 notes
allahisourrabb · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজ���ন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب  অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩)  (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার ‌'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্‌তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও ‍যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০)  (৩৭) দৈনিক চাশ্‌তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam? 
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা || 
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ? 
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
 
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
0 notes