#আহত-৫
Explore tagged Tumblr posts
Text
বাসের পিছনে ধাক্কা, খুলনা এডিশনাল এসপিসহ ৫ পুলিশ আহত
টপ নিউজ ডেক্স: খুলনা (সার্কেল) এডিশনাল এসপি মো. হামিদুর রহমানসহ আহত হয়েছেন ৫ পুলিশ সদস্য বাসের পিছনে ধাক্কা লেগে। রোববার রাত ৯টার দিকে ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের উপজেলার ঝাটুকদা এলাকায় ঘটে এ দুর্ঘটনা। গুরুতর আহত ৩ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। খুলনার এডিশনাল এসপি (সার্কেল) মো. হামিদুর রহমান, একজন এসআই এবং ড্রাইভারসহ ৩ জন কনস্টেবল ঢাকা থেকে খুলনা…
View On WordPress
0 notes
Text
পরিচ্ছন্নজীবন চাই।
নীচের লেখাটা পড়ার আগে আপনার মা-বাবা অথবা সন্তানের চেহারা মোবারকের দিকে ৫ মিনিট নেক দৃষ্টিতে একাগ্রচিত্তে তাকিয়ে থাকুন। যদি তাদের কেউ কাছে নাও থাকে অন্তরদৃষ্টি দিয়ে দেখার চেষ্টা করুন। ভাবুন দুনিয়াতে কোথা থেকে এসেছেন আর কোথায় গিয়ে পৌঁছাবেন! আর ভাবুন আমরা কি আমাদের দায়িত্বগুলো ঠিকভাবে পালন করতে পারছি কিনা।
এবারে আসি মূল লেখায়, যার শিরোনাম হতে পারে, #পরিচ্ছন্ন_জীবন_চাই।
যারা বিভিন্ন নেশায় বুদ হয়ে আছেন তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা। কিন্তু সবাই পড়ুন। সময় নিয়ে পড়ুন দয়া করে।
"""""""""""""""""""""""""""""''''''''''''"""'"'''''''''''''''''"""''
কি একটা জীবন! নেশার জীবন! এটা কোন জীবন হতে পারে না। আহারে জীবন! জাহান্নামের খড়্গ মাথার উপর ঝুলিয়ে দিয়ে দুনিয়ার জীবনটা বরবাদ করতে পারিনা আমরা।
এ বিষয়ে আমি কেন কথা বলছি? জ্বি সেটা ভালোবাসার কারনেই বলা দরকার। তাই বলছি। ভালোবাসা ছাড়া জীবনের কোন দাম নেই। ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়ে যাওয়া পাগলটাকে আরো বেশি ভালোবাসা দরকার। ওরা যে স্তরের চিন্তা করে আমরা হয়তো তার ধারে কাছেও নেই। মানুষের মন বোঝার চেষ্টা প্রতিটা সুস্থ মানুষেরই করা উচিত।
যখন দেখি কাছের মানুষেরা নেশার কারণে অকালে ঝড়�� যাচ্ছে। জীবন যাপন করছে উচ্ছৃঙখল ভাবে, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় জীবন ও সংসারগুলো। সেখানে কিছু বলাটা নিজের দায়িত্বের মধ্যেই পরে।
সবাই মিলে আমরাই পারি সুন্দর একটা পৃথিবী গড়ে তুলতে। বেহেস্তের প্রকৃত স্বাদ আমরা দুনিয়াতেই ভোগ করতে পারি যদি একটা পরিচ্ছন্ন জীবনের পথে পা বাড়াই। অথচ এসব করে নরকের জীবন বেছে নিচ্ছি। সাথে অর্থ, সময় আর মেধা সবকিছুই ধ্বংস হচ্ছে।
সৃষ্টিকর্তা সর্বত্রই বিরাজমান। আমাদের এই অসীম যাত্রায় দুনিয়া ছোট্ট একটা স্টেশন মাত্র। এই দুনিয়াতেই জান্নাত আর নরকের নমুনা রয়েছে। দুনিয়ার কর্ম কান্ডের উপরেই নির্ধারিত হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, পরকালে সুখ না অশান্তি?
তাহলে কি উত্তর? ইহকালে আর পরকালে শান্তির জন্য আপনারা নেশা করতে পারেন না, পারেন না আপন মানুষগুলোকে দিনের পর দিন কষ্ট দিয়ে আহত করতে। জীবন একটাই, এটা ধ্বংস হলে ২য় বার দুনিয়াতে ফেরৎ আসার কোন সুযোগ নেই। নেই পরকালেও শান্তির নিশ্চয়তা। তাই জীবনটা সুন্দর-সাবলীল, পরিপক্ক ও পরিচ্ছন্ন হওয়া বেশি জরুরী।
প্রতিরাতে বৃদ্ধ মা যখন আপনার ফেরার অপেক্ষায় থাকে, যখন আপনার স্ত্রী এক বুক জ্বালা নিয়ে না খেয়ে চোখের জলে বালিশ ভেজায়, একবারের জন্যও হৃদয়ে আঘাত করেনা তাদের কষ্টগুলো আপনাকে? আপনার যাচ্ছে-তাই চলাফেরার কারণে কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন আপনার স্ত্রী তার হিসেব রেখেছেন কখনো? নেশা করেই বাসায় গিয়ে অসংলগ্ন আচরণ কোন স্ত্রী-ই মেনে নিতে পারে না। পারে না কোন মমতাময়ী মা মেনে নিতে। শুধু ডুকরে কাঁদে দিনের পর দিন।
যে স্ত্রী লোক আপনার ঘর করছে, ভেবে নেবেন তার অসীম ধৈর্য রয়েছে অথবা যাওয়ার কোন রাস্তা নেই অথবা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে ঘর করছে আপনার। ওটা কোন জীবন নয়, এর চেয়ে নির্বাসনের জীবনও ভালো।
আবার কোন মা-ই পারে না অসুস্থ সন্তানকে রেখে নির্বাসিত হতে। আপনাকে একা ফেলে রেখে কোথায় যাবে? শুধু অপেক্ষায় থাকে, কবে পরিচ্ছন্ন জীবন ফিরে পাবে আদরের ধন।
সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন একবারও, ওদের মনটা কতটা ছোট হয়ে থাকে? ওরা আপনার দিকে ভয়ে তাকায় না। আপনার নেশাগ্রস্ত রক্তচক্ষু দেখে ওদেরও ঘৃণা হয়। ওদের নিষ্পাপ চেহারার দিকে বেশি নয় ৫টা মিনিট একাগ্রচিত্তে তাকিয়ে থাকুন, পারবেন না আর নেশা করতে। যে ভবিষ্যৎ সন্তানের মাঝে দেখতে পাচ্ছেন তা তিলে তিলে আপনিই নষ্ট করে দিচ্ছেন।
যে মা ১০ মাস ১০ দিন নিজের গর্ভে ধারণ করে আপনাকে এতটা বছর ল���লন করেছেন, তার পবিত্র মুখখানার দিকে তাকিয়ে ভেবে দেখবেন, নেশা করে মায়ের হক নষ্ট করছেন আপনি। যেখানে পিতামাতার দিকে নেক দৃষ্টিতে একবার তাকালে হজ্জের দোয়া কবুল হয়ে যায়। সেখানে নেশার জন্য সংসারে অশান্তি করি কিভাবে আমরা?
ভাববেন আর ভাববেন, নিজের কথা ভাববেন, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, বন্ধু-বান্ধব, কাছের মানুষ সকলের কথা ভাববেন। দেখবেন আপনি নেশা করতে পারবেন না। নেশার কথা মনেও আসবে না আর।
অকালে নিজে মরে যাবেন না প্লিজ, আর অকালে আপনজনদেরকেও মেরে ফেলবেন না। এ জীবনে চাইলেই যা ইচ্ছা তাই করে ফেলা যায় না। শিখুন কিভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। নিয়ন্ত্রণই পরিচ্ছন্ন জীবনের চাবিকাঠি।
নিজের জন্য না হলেও আপনাকে ঘিরে যারা বেঁচে আছে, আপনাকে নিয়ে যারা স্বপ্ন দেখে, আপনার হাসিমুখটা এক নজর দেখার জন্য যে রমনী বছরের পর বছর ধৈর্য ধরে দরজার আড়ালে অপেক্ষা করছে, যে সন্তানেরা আপনার বুকে তাদের জীবনের অবলম্বন খুঁজে বেড়ায়, স্বপ্ন দেখে একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে; তাদের জন্য হলেও বেঁচে থাকুন। প্রকৃত শান্তিটা পরিবারের মাঝেই পাওয়া যায়। পরিবারকে বঞ্চিত করা চরম অন্যায় কাজ।
কি ফায়দা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে? নেশা করতে গিয়ে কূলহারা বিহঙ্গের মতো জীবন ধারণ করে একাকীত্ত্বের দহনে পুড়ে ছাড়খার হওয়ার কোন মানে নেই।
7 notes
·
View notes
Text
শ্রীপুরে বন বিভাগের উদ্ধার অভিযান চলাকালে অ্যাসিল্যান্ডসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছে
নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে উপজেলার কাফিলাতলি এবং পরে ইজ্জতপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শেষের দিকে স্থানীয়রা ভেকুর ড্রাইভারের উপর মুহুর্মুহু ইট পাটকেল ছোঁড়া শুরু করে। এ সময় দুইজন ভেকু চালক, একজন বনকর্মী, স্থানীয় ২ জন,অ্যাসিল্যান্ড শ্রীপুর এবং উপজেলা প্রশাসনের ৫ জনসহ মোট ১০ জন আহত হয়। ইজ্জতপুর বাজারের রেলগেইটের পশ্চিম পাশে…
0 notes
Link
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ট্রেন-অটোরিকশার সংঘ
0 notes
Text
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুজন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাকশিমুল ইউপির কালিকাপুর রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। #কমললয় #টরনর #ধককয় #অটরকশর #৫ #যতর #নহত
0 notes
Text
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তাদের অবস্থাও গুরুতর। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তিদের নামপরিচয় পাওয়া…
0 notes
Text
অভ্যুত্থানে হতাহতদের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ প্রত্যেকের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। একজনও বাদ যাবেন না। সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই কর্মকাণ্ডে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা পাওয়ারও চেষ্টা চলছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ…
View On WordPress
0 notes
Text
ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৫
ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের মল্লিকপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোর চারটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর কোতোয়ালি থানাধীন মল্লিকপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর কোতোয়ালি থানাধীন মল্লিকপুর এলাকায়…
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে ন��ই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে ��শস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩) (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার 'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যা��ে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফে��েছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০) (৩৭) দৈনিক চাশ্তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam?
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা ||
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়ে���ে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ?
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
#ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?#শহীদকারা?#Who are martyrs in the eyes of Islam?#শহীদ#martyrs#Shaheed#Martyr#Youtube
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহ���দের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩) (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার 'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০) (৩৭) দৈনিক চাশ্তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam?
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা ||
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ?
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
#ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?#শহীদকারা?#Who are martyrs in the eyes of Islam?#শহীদ#martyrs#Shaheed#Martyr#Youtube
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দা��� থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩) (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার 'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০) (৩৭) দৈনিক চাশ্তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam?
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা ||
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ?
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
#ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?#শহীদকারা?#Who are martyrs in the eyes of Islam?#শহীদ#martyrs#Shaheed#Martyr#Youtube
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩) (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার 'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০) (৩৭) দৈনিক চাশ্তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam?
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা ||
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ?
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
#ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?#শহীদকারা?#Who are martyrs in the eyes of Islam?#শহীদ#martyrs#Shaheed#Martyr#Youtube
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/১৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩) (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার 'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃ��্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০) (৩৭) দৈনিক চাশ্তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam?
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা ||
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ?
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
#ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?#শহীদকারা?#Who are martyrs in the eyes of Islam?#শহীদ#martyrs#Shaheed#Martyr#Youtube
0 notes
Link
ঢাকার কেরানীগঞ্জের রামেরকান্দা এলাকায় ঘ
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
Who are martyrs in the eyes of Islam?
শহিদ (আরবি: شهيد šahīd, বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; স্ত্রীবাচক: শাহিদা) শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারো সাধ্যে নেই। মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদত কামনা করেছেন।
শাহাদাত পিয়াসী নবীর উম্মত হিসেবে মুসলমান মাত্রই শাহাদাতের আশা করা ও এ জন্য নিম্নোক্ত দোয়া করা উচিত।
'আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক।' অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসীব করো।
শহীদ কারা?
সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়।
অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে শহীদি মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন সব মৃত ব্যক্তিকেও শহীদ হিসেবে গণ্য করেছেন, যাদের মৃত্যুকে সাধারণত 'অপমৃত্যু' মনে করা হয় (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত শহীদ আর অন্যান্য শহীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য থাকবে।
নিম্নে উভয় প্রকার শহীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।
হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ হওয়ার শর্ত
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন দেওয়ার দিক বিবেচনায় শহীদ দুই প্রকার।
১. হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ। যিনি দুনিয়া-আখেরাত উভয় বিচারে শহীদ। তাকে গোসল করানো হয় না। কাফন দেওয়া হয় না।
বরং যে কাপড়ে সে শহীদ হয়েছে, সে কাপড়েই জানাজা পড়ে দাফন করা হয়।
২. হুকমি বা বিধানগত শহীদ। যিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ মুতাবেক পরকালে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে তার ওপর প্রথম প্রকার শহীদের বিধান জারী হবে না। অর্থাৎ, সাধারণ মৃত ব্যক্তির মতো তাঁকেও গোসল-কাফন ইত্যাদি দেওয়া হবে।
নিম্নোক্ত শর্তাবলী পাওয়া গেলে তাকে হাকিকি বা প্রকৃত শহীদ গণ্য করা হবে।
(ক) মুসলমান হওয়া (খ) প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া (গ) গোসল ফরজ হয়, এমন নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া (ঘ) বে-কসুর নিহত হওয়া (ঙ) মুসলমান বা জিম্মীর হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়াও শর্ত। আর যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কাফিরের হাতে অথবা ইসলামী খিলাফতের বিদ্রোহী ডাকাতের হাতে নিহত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত শর্ত নয়। (চ) এমনভাবে নিহত হওয়া যার শাস্তি স্বরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান আরোপিত হয়। (ছ) আহত হওয়ার পর কোন রূপ চিকিৎসা ও জীবন ধারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়াদী যেমনঃ খানা-পিনা ঘুমানো ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়া। হুঁশ অবস্থায় তার ওপর এক ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত না হওয়া। পদদলিত হওয়ার আশংকা না থাকলে হুশ অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে তাঁকে উঠিয়ে না আনা।
হুকমি বা বিধানগত শহীদ কারা?
(১) এমন নিহত ব্যক্তি যার মধ্যে প্রথম প্রকার শহীদের শর্তাবলীর কোনো একটি পাওয়া যায়নি। (রদ্দুল মুহতার-২/২৫২) (২) কাফির, বিদ্রোহী বা ডাকাতের ওপর কৃত আক্রমণ উল্টে এসে আক্রমণকারীকেই আঘাত করেছে এবং এ আঘাতেই আক্রমণকারী নিহত হয়েছে। (বুখারি-৩/১০২৭ পৃ: হা: ৪১৯৬) (৩) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানারক্ষী, ডিউটিকালীন যার স্বাভাবিক মুত্যু হয়েছে। (মুসলিম-৩/১৫২০ পৃ: হা: ১৯১৩)
(৪) আল্লাহর পথে শাহাদত লাভের প্রার্থনাকারী, কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু তার সে বাসনা পূর্ণ করেনি। (মুসলিম-৩/১৫১পৃ: হা: ১৯০৯) (৫) জালিমের সঙ্গে অথবা নিজ পরিবার হেফাজতের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণকারী। (আহমদ-১/১৯০পৃ: হা: ১৬৫৭) (৬) নিজের জান-মাল ছাড়িয়ে আনা বা রক্ষা করার লড়াইয়ে নিহত ব্যক্তি। (আহমদ-১/১৮৭ পৃ: ১৬৩৩) (৭) মজলুম রাজবন্দী। বন্দীদশাই যার মৃত্যুর কারণ। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৪পৃ:) (৮) নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনকারী। যার এ অবস্থায় মৃত্যু এসে গেছে।
(৯) মহামারীতে মৃত্যুবরণকরী। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারী চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩) (১০) ডায়রিয়ায় বা পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি শরিফ-১/���৬২ পৃ. হা:৬৫৩) (১১) নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারী। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪) (১২) ذات الجنب অর্থাৎ, প্লুরিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিও শহীদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬ পৃ. হা: ২৮০৩) (১৩) মৃগী রোগে বা বাহন হতে পড়ে মৃত্যুবরণকারী। (মুসতাদরাকে হাকেম-৩/৯০৯ পৃ. হা: ২৪১৬) (১৪) জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)
(১৫) সী সিকনেস বা সমুদ্র দুলুনীতে মাথা ঘুরে বমি করে মৃত্যুবরণকারী। (সুনানে আবূ দাউদ-২/১০পৃ. হা: ২৪৯৩) (১৬) যে ব্যক্তি রোগ শয্যায় চল্লিশবার 'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কন্তু মিনায যালিমীন' পড়ে এবং ওই রোগেই পরপারে পাড়ি জমায়। (১৭) যে দম বদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
(১৮) বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে যার মৃত্যু হয়েছে। (মুসতাদরকুল হাকেম-৩/৯০৯পৃ. হা: ২৪১৬) (১৯) হিংস্রপ্রাণী যাকে ছিড়ে ফেড়ে মেরে ফেলেছে। (মাজমাউয যাওয়াউদ-৫/৩৯০পৃ. হা: ৯৫৫৯) (২০) পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী। (বুখারি-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২১) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২২) বিল্ডিং ধ্বসে বা দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি। (বুখারী-১/১৬২পৃ. হা: ৬৫৩) (২৩) গর্ভবতী মৃত স্ত্রীলোক। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩)
(২৪) সন্তান প্রসবকালে মৃত্যুবরণকারী অথবা প্রসবান্তে নেফাস চলাকালীন মৃত্যুবরণকারীনী। (ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৫) কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীনী। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩/৩৬৬পৃ. হা: ২৮০৩) (২৬) প্রবাসে-পরদেশে মৃত্যুবরণকারী। (ফাতহুল বারী-৬/৫৬পৃ.) (২৭) ইলমে দীন চর্চায় লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)\
(২৮) সওয়াবের আশায় আজান দেয় যে মুআজ্জিন। (আত্তারগিব ওয়াত তারহিব-১/১২৯পৃ. হা: ৩৬৪) (২৯) যে ব্যক্তি বিবি বাচ্চার হক যথাযথ আদায় করে এবং তাদের হালাল খাওয়ায়। (৩০) সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী। (সুনানে তিরমিযী-১/৩৭৭পৃ. হা: ১২১২) (৩১) মুসলমানদের শহরে খাদ্য আমদানীকারক ব্যবসায়ী। (৩২) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারী। যে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মন্দ লোকের সঙ্গেও মন্দ আচরণ করে না।
(৩৩) উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের সময় ও যিনি সুন্নাতের ওপর অটল থাকেন। (মেশকাত-১/৫৫পৃ. হা: ১৭৬) (৩৪) যিনি রাত্রিবেলায় অজু করে শয়ন করেন এবং ওই ঘুমেই তার মৃত্যু এসে যায়। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৫) জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৬) দৈনিক পঁচিশবার এই দোয়া পাঠকারী-'আল্লাহুম্মা বারিক লি ফিল মাওতি ওয়া ফিমা বাদাল মাওতি।' (মেরকাত : ৫/২৭০) (৩৭) দৈনিক চাশ্তের নামাজ আদায়কারী। মাসে তিনদিন রোজা পালনকারী এবং ঘরে-সফরে সর্বদা বেতের নামাজ আদায়কারী। (উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫প.) (৩৮) প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতকারী।
৩৯) দৈনিক একশত বার দুরূদ পাঠকারী। (ত্ববরানী ফিল আওসাতি-৫/২৫২,পৃ.৭২৩৫) (৪০) যে স্ত্রী তার সতীনের প্রতি তার স্বামীর (অন্যায়) ভালোবাসার দুঃখ সয়ে সয়ে মৃত্যুবরণ করে। (ফাতওয়া শামী-২/২৫২, আহকামে মায়্যেত-১০১-১১২)
শহীদ কারা? | Who are the martyrs in Islam?
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা ||
https://www.youtube.com/watch?v=LwD8LbLega4
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গিয়েছে তারা কি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে ?
https://www.youtube.com/watch?v=_3cGXjZuzuc
ইসলামের দৃষ্টিতে কারা শহীদ
https://www.youtube.com/watch?v=EjfbYFWSlTo
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?
শহীদ কারা?
#ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ কারা?#শহীদকারা?#Who are martyrs in the eyes of Islam?#শহীদ#martyrs#Shaheed#Martyr#Youtube
0 notes
Text
সিগারেট না পেয় ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে দোকানিসহ আহত ৫
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সিগারেট না পাওয়ায় দোকানিসহ পাঁচ জনকে ছুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রদল নেতার নাম মারুফ হাসান। তিনি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে দোকানি জামায়াত নেতা ফুলমিয়া (৩৫),…
0 notes