#আকর
Explore tagged Tumblr posts
Video
youtube
অধরা আলো নাচে গানে স্টুডিও মাতিয়ে দিলো । জীবন আমার নষ্ট হইলো । নতুন আকর...
#youtube#অধরা আলো নাচে গানে স্টুডিও মাতিয়ে দিলো । জীবন আমার নষ্ট হইলো । নতুন আকর্ষন । Jibon Amar Nosto Hoilo https://www.youtube.com/w
0 notes
Link
0 notes
Text
প্রতিটি নারীর যৌনাঙ্গের আকার হয় আলাদা, রইল যৌনাঙ্গ নিয়ে অজানা কিছু তথ্য| unknown facts about woman genital | Lifestyle
প্রতিটি নারীর যৌনাঙ্গের আকার হয় আলাদা, রইল যৌনাঙ্গ নিয়ে অজানা কিছু তথ্য| unknown facts about woman genital | Lifestyle
যৌনাঙ্গ নিয়ে এই বিযয়গুলো অনেকেই জানেন না–
#কলকাতা: নারী যৌনাঙ্গ নিয়ে কৌতূহল কোন পুরুষের নেই ? রইল যৌনাঙ্গ নিয়ে অজানা কিছু তথ্য। অনেকের মনে হতে পারে যোনীমুখ এবং যোনীনালী এক, কিন্তু তা ভুল। যোনীনালী হল লিঙ্গ সঞ্চালন এবং সন্তান
View On WordPress
#facts#genital#Lifestyle#unknown#unknown facts about woman#woman#woman private parts#অজন#আকর#আলদ#কছ#তথয#নয#নরর#পরতট#যনঙগ#যনঙগর#রইল#হয়
0 notes
Text
লে লাদাখ ট্রিপ প্রথম পর্ব
প্রথম পর্ব:
খুব বেশী দিন আগের কথা নয় মাত্র দু বছর আগে আমরা মানে আমি ,আমার স্বামী অনিন্দ্য, আমাদের ছেলে রিভু আর আমার ৭৮ বছর বয়স ই শশুর মশাই আমাদের স্বপ্নের ট্রিপ করেছিলাম লে লাদাখ ট্রিপ।অনেক দিনের চিন্তা ভাবনা ,অনেক ভয় ভীতি নিয়েই ২৫শে জুন সকালের ফ্লাইটে দিল্লী আর দিল্লী থেকে দুপুর ১২ টার ফ্লাইটে ২.৩০ নাগাদ শ্রীনগর এয়ারপোর্টে এসে নেমেছিলাম।শ্রীনগর এয়ারপোর্টের চারিদিকে বন্দুকহাতে আর্মি দেখে মনে মনে বেশ ভয় পেয়ে ছিলাম।কিন্তু এয়ারপোর্টের বাইরে এসে প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখে সব ভয় পালিয়ে গেলো।ডাল লেকের কাছেই একটা হোটেল আগে থেকেই বুক করা ছিল। তাই বাইরে এসেই একটা গাড়ি নিয়ে হোটেলের দিকে রওনা দিয়েছিলাম।হোটেল এর কাছাকাছি পৌঁছে দুর থেকে ডাল লেক দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম । এই অল্প পথে
শ্রীনগর এর সৌন্দর্য্য দেখে আমি অভিভূত কিন্তু তখন ও বুঝি নি সৌন্দর্য্য এর আকর লুকিয়ে আছে কাশ্মীর এর কোনে কোনে।সেদিন শুধু ডাল লেকের পাশে বসেই কাটিয়ে দিয়েছিলাম। পরবর্তী চারদিনের সাইট সীনের জন্য একটা গাড়ি বুক করতে শ্রীনগর এ জম্মু কাশ্মীর টুরিস্ট অফিসে গিয়েছিলাম।জম্মু কাশ্মীর টুরিস্ট অফিস টি যে কোনো বড় হোটেলের থেকে কম কিছু নয়।অপূর্ব কাঠের কারুকার্য ময় বিশাল বড় অফিস। টুরিস্ট অফিসের বাইরে বন্দুক ধারী আর্মি।গাড়ির ব্যাপার টা ঠিক করে বাইরে এসে পায়ে পায়ে আর্মি এর কাছে গেলাম কথা বলতে।গিয়ে বুজলাম উনি বাঙালি। বললেন দুদিন পরেই অমরনাথ যাত্রা শুরু হবে তাই এত সিকিউরিটি।ভয় পাবার মত কিছু নয়।সংবাদ মাধ্যম যা বলে ততটা খারাপ অবস্থা নয়,সঙ্গে সব সময় আইডি কার্ড থাকলে কোনো প্রবলেম হবে না।পরের দিন সকালে বেরোলাম পেহেলগাও এর দিকে।কি সুন্দর পেহেলগাও।সঙ্গে কলকল রবে বয়ে চলা উচ্ছল লিডার নদী।সেদিন চন্দনবারিতে অমরনাথ যাত্রী ছাড়া অন্য টুরিস্ট দের শেষ যেতে দিয়েছিল কারণ ২৭ শে জুন থেকে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়েছিল। অমরনাথ না যেতে পারলেও অমরনাথ যাত্রার ব্যাবস্থা দেখে এসেছিলাম। আরু ভিলেজে এর অপরূপ সৌন্দর্য্য সঙ্গে আপেলের মত লাল গাল ছোটো ছোটো কাশ্মীরের মেয়ে গুলো কোনো দিন ভুলতে পারব না। বেতাব ভ্যালি র সবুজ মনোময় রূপ আর পাশে উচ্ছল লিডার দেখে আমরা সত্যিই অবাক হযেছিলাম। গুল মার্গ, সোন মার্গ,শ্রীনগর বিভিন্ন মোগল গার্ডেন যেমন শালিমার বাগ,চশমিশাহি,ডাল লেক,মানস বল,উরাল লেক সৌন্দর্য্যে একে অপরকে টেক্কা দেবে।
ডাল লেকেযে শিকারা করে ঘুরতে বেড়িয়ে লেকের মার্কেটে কেনাকাটা শুরু করলাম সেদিন হঠাৎ প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হলো। দোকানের সবাই যতক্ষণ না ঝড় বৃষ্টি থামলো কিছুতেই আমাদের বের হতে দেয়নি।ওদের চিন্তিত মুখ দেখে মনে হয় ছিল আপন জনের মধ্যেই আছি।সে দিন কোনো কারণে প্রকৃতি রুষ্ট ছিল তাই অনেক রাতে বৃষ্টি থামলে ঝড় থামেনি।তাই শেষ পর্যন্ত দোকানের এক কর্মচারী যে শিকাড়া চালাতে ওস্তাদ সে নিজে শিকাড়া চালিয়ে হোটেলের সামনের রাস্তাই তুলে দিয়ে গিয়েছিল।এমন মানবিক ব্যাবহার কি কোনো দিন ভোলা যায়।৫দিন পর আমাদের যাত্রা শুরু হয় লে এর দিকে। শ্রীনগর থেকেই একটা গাড়ি নিয়ে ছিলাম লে যাবার জন্য। সকালে বেড়িয়ে বিকালের দিকে কার্গিল পৌঁছে ছিলাম।সেদিন রাত্রি যাপন কার্গিল এ। কার্গিলের ওয়ার museum দেখে চোখ জলে ভিজে গিয়েছিলো।কত মায়ের কোল খালি করা সন্তানদের স্মৃতি তে তৈরি এই ওয়ার museum। শ্রীনগর থেকে কার্গিল এর রাস্তার সৌন্দর্য্য লিখে বর্ণনা করা অসম্ভব।চোখ জুড়ানো সবুজ সঙ্গে সিন্ধু নদী আর নাম না জানা বরফাচ্ছাদিত পর্বত।একদিকে পর্বত মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে আর একদিকে খাদ দিয়ে প্রবাহমান সিন্ধু নদী মাঝখান দিয়ে চকচকে কালো পিচের রাস্তা।পাহাড়ি রাস্তা এত ভালো খুব কম দেখা যায়।
কার্গিল থেকে পরের দিন সকালে যাত্রা শুরু লে এর দিকে।কার্গিল ছাড়তে ই প্রকৃতি গেলো পুরো পাল্টে।কোথাও সবুজের লেশ মাত্র নেই ,শুধু রুক্ষ পর্বত।কিন্তু রুক্ষ পর্বত গুলো কে যেনো তুলি দিয়ে রং ছড়িয়ে দিয়েছে।এক একটা পর্বত এর গায়ে বাতাস নানা রকম আলপনা এঁকে দিয়েছে।সত্যি বলতে কি এই সৌন্দর্য্য লিখে বর্ণনা করা যায় না,চোখে দেখে মনের ক্যানভাস এ ভরে রাখতে হয়।লে এর দিকে যেতে যেতে পথে দেখে ছিলাম লামারুরু বৌদ্ধ গুম ফা। লামারুরু খুব প্রাচীন গুমফা।যেকোনো বৌদ্ধ গুমফা য় গেলো আমার কেনো জানি না শ্রদ্ধা আর ভয় দুটোই একসঙ্গে মনে জাগে।এই ক্ষেত্রে ও তাই হলো।বৌদ্ধ গুমফা গুলোর পরিবেশ কেমন যেনো গা ছমছমে ব্যাপার থাকে।পথে আর দেখেছিলাম পাথর সাহেব গুরুদুয়ার।পুরো গুরু দুয়ারাটাই আর্মি এর লোকজন পরিচালনা করে।এখানে প্রতিদিন কত লোকজন যে খায় তার হিসাব নেই।আর্মি এর লোকেরা বিশ্বাস করেন পাথর সাহিব শত্রুর হাত থেকে ওনাদের রক্ষা করেন।এখানে গরম চা বিস্কুট আর হালুয়া খেয়ে পথ যাত্রার ক্লান্তি দুর হয়।বিকালের দিকে আমরা আমাদের গন্তব্য লে তে এসে পৌঁছেছিলাম। পথে ম্যাগনেটিক হিল দেখেছিলাম।
এখানে গাড়ি স্টার্ট বন্ধ করে রাখলেও ম্যাগনেট গাড়িকে টেনে নিয়ে যায়, তাই গাড়ি এমনি চলতে থাকে। জীবনে অনেক কিছু কেনো ঘটে তার উত্তর পায়া যায় না কিন্তু যে অভিজ্ঞতা হয় তা সারা জীবনের সঞ্চয়।শ্রীনগর থেকে লে এর রাস্তায় এত বৈচিত্র্য,এত সৌন্দর্য্য যে লম্বা পাহাড়ী রাস্তার ক্লান্তি অনুভব করি নি। বয়স্ক শ্বশুড় শারিরীক কষ্ট ভুলে গিয়েছিল প্রকৃতির সৌন্দর্য্য দেখে।প্রথম দর্শনে যে কোনো বড় শহরের সঙ্গে লে শহরের খুব একটা পার্থক্য দেখি নি।দু দিন এর দীর্ঘ পথ যাত্রার ধকল লে তে আমাদের গন্তব্যে এসে যেন মনে পড়ে গেলো আমরা ক্লান্ত।লে তে আমাদের ট্রিপ টা ছিল ইউথ হোস্টেল অ্যাসোসিয়েশন ওফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে।লে এর ইউথ হোস্টেল এর থাকার ব্যাবস্থা বেশ ভালো।কম খরচে লে ভ্রমণ করতে চাইলে এদের সঙ্গে যাওয়া খুব ভালো। সেদিন রুম পাবার পর ফ্রেস হলে আমাদের টিফিন আর গরম চা খাবার পর একটু আশপাশে হাঁটাহাঁটি করেছিলাম নিজেদের বেশি উচ্চতর আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে।সন্ধ্যে বেলায় আমাদের একটা আলাপ পরিচয় এর জন্য এক সঙ্গে ইউথ হোস্টেলের লনে জড়ো হয়েছিলাম।পরের দিন থেকে আমাদের লে ট্রিপ শুরু তাই প্রোগাম টা জানা আর নিজেদের মধ্যে পরিচিত হওয়া দরকার ছিল।আমরা চারজন ছাড়া গুজরাট থেকে ৪ টে কাপল, মুথুরা থেকে ১টা কাপল আর তাদের মা, মহারাষ্ট্র থেকে ১টা কাপল এবং একা একটি মহিলা,পুনে থেকে মা ছেলে। মোট ২০ জনের টিম ,মিনি ইন্ডিয়া।সব থেকে বয়স্ক আমার শ্বশুড় আর সব থেকে ছোট আমার ছেলে। নাচ গান করে সবাই খুব হইচই করে ডিনার খাবার পর ৯টার মধ্যে শুয়ে পড়তে হলো।কারণ পরের দিন থেকেই লে এবং তার চারপাশে ��র্শণীয় স্থান দেখা শুরু হবে।
2 notes
·
View notes
Text
সমাজতত্ত্ব, নৃ-বিজ্ঞানে আবদুল হক চৌধুরী ওবায়দুল করিম
মানুষের জীবদ্দশায় তার বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হয় না। মৃত্যুর পর? একথাও নির্দ্বিধায় বলা যাবে? মরহুম আবদুল হক চৌধুরী চট্টগ্রামের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, সমাজ-গবেষক তাঁর জীবদ্দশায় শেষকালে তাঁর মন ও মেধার পরিচিতি লাভ করে, একালের বিদগ্ধজনেরা, সেকি সম্পূর্ণ, বস্তুনিষ্ঠ? ১৯৯৪ সালের ২৬ অক্টোবর তাঁর মৃত্যুর পর পালাক্রমে ফি বছর সংবাদের ক্রোড়পত্র��� আর আলোচনায় গবেষক চৌধুরীর কর্মবহুল জীবন ও সৃষ্টির উপর থাকে গভীর আলোচনা। তাঁর আসন পোক্ত হয়েছে ঐতিহাসিক হিসেবে। সমাজ-গবেষক হিসেবে তো অবশ্যই। মরহুম চৌধুরীর প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি সম্ভবত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগ থেকেই শুরু। ১৯৭৫-৭৬ সালে সমাজতত্ত্ব বিভাগের পাঠ্যসূচিতে জনাব চৌধুরীর “চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতি” বইটির রেফারেন্স হিসেবে স্বীকৃতিদানের মধ্য দিয়েই তাঁর বিশাল প্রতিভার দ্বারোদ্ঘাটন হয়। জনাব আবদুল হক চৌধুরী ইতোমধ্যেই ইতিহাসবিদ ও গবেষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
দেশের বিদগ্ধ পন্ডিতেরা এ বিষয়ে লিখেছেনও প্রচুর। কিন্তু যে সমাজতত্ত্বের স্বীকৃতি থেকে তাঁর কর্মবহুল জীবনের আলোচনা, সেখানে গবেষক ও ইতিহাসবিদ হিসেবে আলোচিত হলেও সমাজতত্ত্বে তাঁর অবদান ও এ বিষয়ে তাঁর পান্ডিত্য একেবারেই অনুদ্���াটিত থেকেছে। জনাব চৌধুরীর এক ছেলে জনাব মঞ্জুর-উল-আমিন চৌধুরী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও (এক্ষণ এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন) কেন যে তাঁর কাছ থেকে জনাব চৌধুরীর সমাজতত্ত্বে অবদান অনুদ্ঘাটিত থাকলো এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা ছাড়া অতিরিক্ত বলবার কিছু নেই। এ ছোট্ট নিবন্ধে জনাব আবদুল হক চৌধুরীর “সমাজতত্ত্ব ও নৃ-তত্ত্বে” অবদান খুবই সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হলো।
বিষয় হিসেবে সমাজতত্ত্বের উদ্ভাবন ও বিকাশে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের খুব কম সংখ্যকই মূলত সমাজতত্ত্বের ছাত্র ছিলেন। তো সমাজতত্ত্বের ছাত্র না হয়ে সমাজতত্ত্বের বিকাশে অবদান রাখেন কি করে? প্রশ্নটার উত্তর একেবারেই সহজ। বিজ্ঞানের সমস্ত আবিষ্কারগুলোই কি ঐ বিষয়ের বিদ্বজ্জনেরা করেছেন? নিশ্চয়ই না। তো তেমনটি সমাজতত্ত্বের পেছনেও বহাল ছিলো।
সমাজতত্ত্বকে আজকাল আর বিষয় হিসেবে দেখা হয়না। এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গি। যে কোন ঘটনার পেছনের কারণ হিসেবে সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কারণ বহাল থাকবেই। সে-সব কারণের ঐ উপাদানগুলোর বন্তুনিষ্ঠ আলোচনাই হলো সমাজতত্ত্ব। এ জন্যে বিজ্ঞানের সমাজতত্ত্ব আছে। সামাজিক-অর্থনৈতিক বিবর্তনের একটা সময়েই কেবলমাত্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা নিরুপিত হয়েছে। এজন্যে বিজ্ঞানের আর প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার জন্য নির্দিষ্ট সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থার অস্তিত্ব থাকা দরকার। ইতিহাস রাজা-বাদশাহ্র পালাবদলের কাহিনীমাত্র নয়। বিপুল জনগোষ্ঠীর উৎপাদন, বন্টন, বিশ্বাস, আচার অনুষ্ঠান ইত্যাদির পরিবর্তনের আলোচনা ও ইতিহাস। সমাজতত্ত্ব ও নৃ-বিজ্ঞান ঐ সকল উপাদনের অস্তিত্বমান থাকা বা পরিবর্তনের কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় করে। সুতরাং এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান যাঁরই থাকছে সমাজতত্ত্বে তাঁকে স্ব��কৃতি দেয়ার সম্ভাবনাও আছে। সমাজতত্ত্ব ও নৃ-বিজ্ঞানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিষয়টা বিশাল। কোন সমাজ আর অর্থনীতির একটা ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক আওতা থাকে। একটা নির্দিষ্ট সমাজের একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকে। ভৌগোলিকভাবে যতই দূরবতর্ী হতে থাকে সেই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের প্রান্তবতর্ী অঞ্চলে পার্শ্ববতর্ী সংস্কৃতি ও সমাজের প্রভাবটা ক্রমে ক্রমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যদি আরব হয় তবে, এর দূরবতর্ী অঞ্চলের (যেমন ইন্দোনেশিয়া বা ফিলিপাইন্স) সংস্কৃতি কেন্দ্র থেকে ভিন্নমাত্রার হয়ে থাকে। পার্শ্ববতর্ী অঞ্চলের সংস্কৃতির প্রভাবেই এমন হয়ে থাকে। কোন জাতিগোষ্ঠীরই অবিমিশ্র সংস্কৃতি নেই।
এ ধারণা অষ্টাদশ শতাব্দীর খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকেরা নৃ-বিজ্ঞানের উদ্ভাবনের একটা বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। সমাজতাত্ত্বিক ভক্সহল ডেবরেইন “কালচার এন্ড হিস্টোরি” গ্রন্থে ছোট ছোট প্রান্তবতর্ী সমাজের সাংস্কৃতিক বিবর্তনকে সামাজিক পরিবর্তনেরও ঐক্যের বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক সামাজিক পরিমন্ডলের প্রান্তবতর্ী অঞ্চল হলো চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী। এই ব্যাপক সাংস্কৃতিক প্রান্তগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসটা একটু ভিন্নমাত্রার। চট্টগ্রামের প্রান্ত, মঙ্গোল নরগোষ্ঠী ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ারও সাংস্কৃতিক প্রান্ত।
চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান-মুসলমান শাসকদের দিল্লি দখলের আগে থেকেও মুসলিম সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের অংশ হয়েছিলো। ভারতবর্ষের সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তনের অগ্রগামী এসব প্রান্তের অঞ্চলে এশীয় উৎপাদন ব্যবস্থায় পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থারও সূচনা হয়েছিলো সবচেয়ে আগে এবং এই কারণে প্রান্ত হিসেবে সমাজতত্ত্বে, চট্টগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা একটি সমাজতাত্ত্বিক আকর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এজন্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমাজতাত্ত্বিক হতে হবে এমন নয়। এ বিষয়ে জনাব আবদুল হক চৌধুরীর “চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতি” একটি মূল্যবান পাথেয়। সমাজতাত্ত্বিকের বস্তুনিষ্ঠতা এ বইতে এতই প্রবলভাবে উপস্থিত যে, লেখক-গবেষকের পরিচয় না জানলে এটা কোন সমাজতাত্ত্বিকেরই লেখা বলে ভ্রম হতে পারে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সমাজতাত্ত্বিক প্রফেসর এ. কে. নাজমুল করিম এ বইয়ের ভূমিকায় বলেছিলেন, প্রথমেই বলা প্রয়োজন যে, লেখক তাঁর আলোচনা কোন বিশেষজ্ঞ দৃষ্টিকোণ হতে করেননি। কিংবা ঐ ধরণের কোন শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ তিনি গ্রহণ করে কাজে অগ্রসর হননি। তাঁর অনুসন্ধিৎসু মনই এসব তথ্যাদি সংগ্রহের পেছনে তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছে। সামাজিক তথ্য সংগ্রহের জন্য যে বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতি বা প্রশিক্ষনের প্রয়োজন, তা ছাড়াই তিনি যে অধিকারী একথা তার দৃষ্টি ভঙ্গির স্বচ্ছ দৃষ্টি ও নিরপেক্ষতা দেখিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছতাই প্রমাণ করে। সামাজিক, ব্যক্তিগত বা ধমর্ীয় কোন সংস্কার দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে, যতদূর সম্ভব নিজ বিচারবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হয়ে তিনি তথ্যসমূহ সংগ্রহ ও মূল্যায়নের প্রয়াস পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ না থাকাতে যে বিশ্লেষণ একটি পরিপূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক পযার্লোচনা হতে পারত, তা হয়নি। তবে তথ্যের এ ধরণের সমাবেশ ভবিষ্যৎ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের প্রভূত সহায়ক হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। গ্রন্থের প্রথমে তিনি চট্টগ্রামের ইতিহাস সংক্ষেপে কিছু বর্ণনা করেছেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাসও স্থানে স্থানে আলোচিত হয়েছে। সমাজতত্ত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাকে সবার্ধিক আকর্ষণ করেছে তার আলোচ্য চট্টগ্রামের ‘সামাজিক কৌলীন্য প্রথা’। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক কারণে যুগের পর যুগ ধরে নানা মানবস্রোত এসে চট্টগ্রামে বসবাস করার ফলে চট্টগ্রামের সামাজিক কাঠামো ও স্তর বিভাগে যে জটিলতার সৃজন হয়েছে তার এক মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ জনাব চৌধুরীর আলোচনায় আমরা দেখতে পাই। এ ধরণের আলোচনায় পক্ষপাতিত্ব বা নিজ কৌলীন্যবোধ অনেক সময়েই বিচারবুদ্ধিকে আড়ষ্ট করে ফেলে। কিন্তু আনন্দের বিষয় যে, তাঁর লেখাতেই আমি সর্বপ্রথম একটি গ্রহণীয় চিত্র পেয়েছি।
তবে আমি বলব যে, তাঁর সংগৃহীত তথ্যসমূহের ভিত্তিতে সরেজমিন প্রত্যক্ষ ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে চট্টগ্রামের প্রাচীন সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক পরিপূর্ণ গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন। চট্টগ্রামবাসীদের ভাষার বৈশিষ্ট্য, আচার-অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য এবং জাতিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বহিরাগতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে পারে না। তবুও এ সমাজ মূলত বাঙালি সমাজেরই অংশ বিশেষ, তাই এ সমাজকে পরিপূর্ণভাবে বোঝার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। সেজন্য সমাজতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক বিচারের মাধ্যমে তথ্যসমূহের বিশ্লেষণ আবশ্যক। জনাব আবদুল হক চৌধুরী নিজ প্রচেষ্টাতেই সেদিকে অগ্রসর হয়েছেন। আমি ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের কতর্ৃপক্ষকে এ বিষয়ে অগ্রসর হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। দীর্ঘ এ উদ্বৃতি উল্লেখের কারণ দুটো। এক. বাংলাদেশে সমাজতত্ত্বের পথিকৃৎ ড. করিমের তাঁর অবদানের স্বীকৃতি এবং একে ভিত্তিভূমি বিবেচনা করে সমাজতাত্ত্বিক ও নৃবিজ্ঞানীদের কাছে প্রত্যক্ষণ, পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ায় এ বিষয়কে আরো তথ্যবহুল করে তোলবার আবেদন এবং দুই বিষয় হিসেবে সমাজতত্ত্বের সাহিত্যে তাঁর অন্তভূক্তির সুপারিশ। সমাজতত্ত্বের সৃজনকালে কে সমাজতাত্ত্বিক বা কে সমাজতাত্ত্বিক নন এ নিয়ে বিতর্ক ছিল। কার্ল মাস্র্ককে দীর্ঘকাল সমাজতাত্ত্বিক হিসেবেই বিবেচনা করা হতো না। ইবনে খালদুন তো দীর্ঘকাল অজ্ঞাতই ছিলেন। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, বিষয় হিসেবে সমাজতাত্ত্বিক সৃজন ও বিকাশে-বিস্ময়ী সমাজতাত্ত্বিক নয়, অন্য বিষয়ের বিজ্ঞরাই একে প্রাণ দিয়েছেন।
বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক প্রান্ত সমাজের ও ভৌগোলিক অবস্থানের সমাজতাত্ত্বিক বর্ণনা সম্ভবত তাঁর লেখাতেই সবচেয়ে বেশি দৃষ্ট। শুধু তাই নয়, বাংলা ও বাঙালির প্রান্ত ভূমি সিলেটকে নিয়েও তিনি ‘সিলেটের ইতিহাস প্রসঙ্গ’ রচনা করেছেন। সিলেট মূলতঃ অসম ও বাংলা সংস্কৃতির মেলবন্ধনের গ্রন্থিস্থল। সমাজতত্ত্বে অংংরসরষধঃরড়হ, অফধঢ়ঃধঃরড়হ শব্দগুলোর ব্যাপক প্রয়োগ কিন্তু প্রান্ত সমাজগুলোতেই বেশ দেখা যায়। জনাব আবদুল হক চৌধুরীর এ মাইক্রোস্কোপিক পর্যবেক্ষণকে সমাজতাত্ত্বিকরা নিজেদের সম্পদরাজির ভান্ডার হিসেবে ব্যবহার করলে দেশ ও দশের লাভ। রুশ সমাজচিন্তাবিদ জর্জ প্লেখানভ তাঁর গড়হরংঃ ঠরব িড়ভ ঐরংঃড়ৎু তে সামাজিক-অর্থনৈতিক বিবর্তনে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের প্রভাবের বর্ণনা করেন। সামাজিক-অর্থনৈতিক বিকাশের একটি উল্লস্ফন হিসেবে ব্যক্তিত্বের ভূমিকাকে দীর্ঘকাল উপেক্ষা করা হয়েছে। সামাজিক পরিবর্তনে ব্যক্তিত্বের ভূমিকাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গবেষণা করেন প্লেখানভ। এবং কোন জাতির বা গোষ্ঠীর সামাজিক পরিবর্তনে মাত্রাভেদে এদের প্রভাব বর্ণনা করেন। চট্টগ্রামের চরিত্রাভিধান রচনায় মূলত চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ধারণাকে সামনে নিয়ে সমাজতাত্ত্বিক না হয়ে সমাজতত্ত্বের প্রয়োজনীয় কাজগুলোকে স্পষ্ট করেছেন তিনি আমাদের সামনে।
এক্ষণে সমাজতাত্ত্বিকদের একটা দায়িত্ব হতে পারে কালভেদে বিশেষ ব্যক্তিদের চট্টগ্রামে আচার-অনুষ্ঠানের পরিবর্তনের দিকটা ব্যাখ্যা করা। কোন জাতি বা গোত্রের সামাজিক পরিবর্তনে যেমন বিশেষ ব্যক্তিত্বের একটা বিশাল ভূমিকা থাকে তেমনি একাডেমিক অঙ্গনে বিশেষ ব্যক্তিত্বের ভূমিকার বিষয় হয়ে ওঠে আধুনিক। বাংলাদেশের সামজতত্ত্ব আর নৃবিজ্ঞানচচার্য় ব্যাপৃত গোষ্ঠী এ বিষয়ে জনাব চৌধুরীর অবদানকে এগিয়ে নিযে যাবার চেষ্টা করলে দেশে ও দশের মঙ্গল হবে।
Powered by Journey Diary.
1 note
·
View note
Photo
কালিমা শাহাদাত সত্য সাক্ষ্য
ইসলাম হলো সত্যকে গ্রহণ করা এবং অসত্যকে পরিহার, পরিত্যাগ বা বর্জন করা। ইমান বা বিশ্বাসের মূল কথা হলো কালিমা। কালিমা শাহাদাত হলো ইমান ও ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম ভিত্তি। কালিমা অর্থ শব্দ, বাণী বা বাক্য; শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য দেওয়া। কালিমা শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য বাণী। কালিমা শাহাদাত ফারসিতে হয় ‘কালেমায়ে শাহাদাত’; মূল আরবিতে হবে ‘কালেমাহ শাহাদাত’ বা ‘আল কালিমাতুশ শাহাদাত’।
কালিমা শাহাদাতে এই ঘোষণাই দেওয়া হয়, ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু; ওয়া আশহাদু আ��্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ অর্থাৎ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নাই, তিনি এক ও একক, তাঁর কোনো শরিক বা অংশীদার নাই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তায়ালার অতি প্রিয় খাস বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসুল।’
মহান আল্লাহ তায়ালা হলেন পরম সত্য বা মহাসত্য। এই সত্যের সাক্ষ্যই হলো ইমান বা ইমানের দাবি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব প্রিয় নবী আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মহাসত্যবাদী ও পরম বিশ্বাসী বা বিশ্বস্ত ব্যক্তি। তাঁর সত্য নবুয়ত ও রিসালাতের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ও নিঃশর্ত সাক্ষ্য প্রদান ইমানেরই অংশ। তাঁর প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা হলো ইমান। তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণ হলো ইসলাম।
সাক্ষ্য দেওয়ার পূর্বশর্ত হলো প্রত্যক্ষ করা বা স্বচক্ষে অবলোকন করা বা দেখা। মহান আল্লাহ তায়ালা এমনই পরম সত্য, যা দৃশ্যমান হওয়া দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট; তাই এটি প্রত্যক্ষকারীদের অপেক্ষা রাখে না। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সততা ও সত্যবাদিতা জগৎ–খ্যাত ও প্রশ্নাতীত। যারা তাঁর জানের দুশমন ও প্রাণের শত্রু ছিল, তারাও তাঁর সত্যতা ও বিশ্বস্ততার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এ বিষয় দুটি উদ্ধৃত হয়েছে এভাবে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মালিকুল হাক্কুল মুবিন, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ছদিকুল ওয়াদিল আমিন।’ অর্থাৎ ‘এক আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মাবুদ নেই, তিনি শাসকঅধিপতি, তিনিই সুস্পষ্ট ও পরম সত্য; হজরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর প্রেরিত রাসুল, চরম সত্যবাদী, ওয়াদা ও অঙ্গীকার রক্ষাকারী এবং পরম বিশ্বস্ত ও অতি বিশ্বাসী। (আল মুফরাদাত, বুখারি)। সব নবী ও রাসুল সত্যবাদী ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা কোরআন কারিমে বলেন, ‘আপনি এই গ্রন্থে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর বিষয় আলোচনা করুন, নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী।’ (সুরা-১৯ [৪৪] মারিয়াম, রুকু: ৩, আয়াত: ৪১, পারা: ১৬)।ইসলামের শিক্ষাসমূহের প্রধান তিনটি শিক্ষা হলো: সত্যতা, পবিত্রতা ও প্রেম। আল্লাহ তায়ালাকে পেতে হলে তাঁর প্রতি প্রেম থাকতে হবে; তাঁর প্রিয়তম মানুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসা থাকতে হবে, থাকতে হবে পূর্ণ আনুগত্য; এটাই হলো প্রেম। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র, তিনি ‘সুব্বুহুন কুদ্দুস’ তথা পরম পবিত্র; তাঁর প্রিয় হাবিব হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বদা পবিত্র জীবন যাপন করেছেন। তাই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রেমিক হতে হলে তাকে পবিত্র জীবন যাপন করতে হবে; এটাই হলো পবিত্রতা। ইমান ও ইসলামের ��ন্য যেহেতু জীবনের পবিত্রতা শর্ত, তাই বিশ্বাসী মোমিন বান্দাকে সদা সত্যাশ্রয়ী হতে হয়; এটাই হলো সত্যতা। আশেক ও মাশুকের মাঝে আড়াল থাকে না, সুতরাং এখানে মিথ্যার অনুপ্রবেশের সুযোগই থাকে না। মিথ্যার ধূম্রজাল হলো বেড়া বা আড়াল; মিথ্যা যেখানে আসে সেখানে প্রেম থাকে না।সত্যতা মানুষকে সব কলুষ ও কালিমা থেকে পবিত্র করে, পবিত্রতা মানুষের
মাঝে প্রেমভাব জাগ্রত করে; শুদ্ধাচারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে, শুদ্ধাচার বা পবিত্রতা মানুষকে সত্যতা বা পরম সত্যে উপনীত করে।
সত্য সাক্ষ্যদানের মাধ্যমেই মোমিনের ইমানের সূচনা হয়; তাই মোমিন ব্যক্তির সারা জীবন এই সত্যকে আঁকড়ে ধরে রাখতে হয়; এ যে তার ইমান, তার বিশ্বাস। বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা বা বিশ্বাসঘাতকতা আত্মপ্রবঞ্চনার শামিল।
সত্য ব্যতীত মানুষ মোমিন হয় না; মুসলমান কখনো অসত্য বলে না। ইসলামে সব সময় সত্য বলা ও সত্য সাক্ষ্য দেওয়া ফরজ ইবাদত ও জরুরি কর্তব্য বলে পরিগণিত। এই সত্যতা মনোজগতে, চিন্তাচেতনায়, কল্পনায় ও পরিকল্পনায়। এই সত্যতা মুখের ভাষায়। এই সত্যতা যাবতীয় কর্মকাণ্ডে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। সত্যতা বা সততা প্রতিটি কদমে বা পদক্ষেপে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি ছোঁয়া বা স্পর্শে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি দৃষ্টি–পলক বা ভ্রু-কুঞ্চনে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি ধ্বনিতে, প্রতিটি শব্দে ও প্রতিটি বাক্যে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি শ্রবণে ও অনুভবে।
অসত্য ভাষণ, মিথ্যা বিবৃতি, মিথ্যা অভিযোগ, মিথ্যা সাক্ষ্য সমাজকে কলুষিত করে। এর দ্বারা ন্যায়বিচার বা সুশাসনের বিলুপ্তি ঘটে। সৎশাসনের অভাবে সমাজে অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, অনাচার বেড়ে গিয়ে অরাজকতার সৃষ্টি হয়।সত্যের বিপরীত হলো মিথ্যা বা অসত্য। মিথ্যা বলা হারাম ও চরম পাপকার্য। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘মিথ্যা পাপের জননী।’ (বুখারি শরিফ)। ‘সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।’ কারণ, মানুষ যখন হারাম বা পাপকার্য সংঘটন করে, তখন তার ইমান বা বিশ্বাস তার সঙ্গে সক্রিয় থাকে না। তখন তার ইমান বা বিশ্বাস তার থেকে আলাদা হয়ে শূন্যে ঝুলতে থাকে; যতক্ষণ পর্যন্ত সে ওই মিথ্যায় বা পাপে লিপ্ত থাকে। (বুখারি শরিফ ও মুসলিম শরিফ)। পুনরায় তওবা করে অনুতপ্ত হয়ে মিথ্যা ও পাপ বর্জনের দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করলেই ইমান আবার তার কাছে ফিরে আসে। (ফাতাওয়া আলমগিরি)।
মিথ্যার পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা জগতে ভ্রমণ করো ও দেখো, মিথ্যাবাদীদের কী পরিণতি হয়েছিল!’ (সুরা-৩ [৮৯] আলে ইমরান, রুকু: ১৪, আয়াত: ১৩৭, পারা: ৪)।
রোজ কিয়ামতে হাশরের ময়দানে বিচারের সময় মানুষ নিজের প্রতি সাক্ষ্য দেবে। যারা ইহজগতে ��িথ্যা বলে অভ্যস্ত তারা পরকালে মিথ্যা; তারা নিষ্পাপ পবিত্রাত্মা ফেরেশতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলবে। তখন মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের জবান বন্ধ করে দিয়ে তাদের পাপ সম্পাদনকারী অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাক্ষ্য নেবেন। ‘আজ আমি তাদের মুখে সিলমোহর করে দেব; তাদের হস্তসমূহ আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পাগুলো সাক্ষ্য দেবে, যা তারা (মিথ্যা-পাপ) অর্জন করেছিল। (সুরা-৩৬ [৪১] ইয়াছিন, রুকু: ৪, আয়াত: ৬৫, পারা: ২৩)। এমতাবস্থায় গত্যন্তর না দেখে কিছু লোক সত্য স্বীকার করবে (যদিও সেদিন তা কোনো কাজে আসবে না)।
একমাত্র সত্য সাক্ষ্য ও ন্যায় বিধানই পারে সমাজে দেশে বা রাষ্ট্রে শাস্তি বজায় রাখতে ও শৃঙ্খলা আনতে। আল্লাহ ন্যায়বান, তিনি ন্যায়বিচার করবেন।
প্রতিটি হারাম কর্ম ও হারাম বস্তু কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ। মিথ্যা হলো পাপের আকর বা মহাপাপ। স্বেচ্ছায় অভ্যাসে প্রকাশ্যে কবিরা গুনাহ করলে এবং তা থেকে খাঁটি তাওবা না করলে তাকে ফাসিক বলা হয়। ফাসিক অর্থ গুনাহগার বা পাপাচারী; ইসলামি আদালতে ফাসিকের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সে কালিমা শাহাদাতের সাক্ষ্য ভঙ্গ করেছে। সুতরাং মোমিনের উচিত মৃত্যু পর্যন্ত সারা জীবন কালিমা শাহাদাতের সাক্ষ্যের ওপর দৃঢ় অবিচল থেকে স্বীয় ইমান ও ইসলাম রক্ষা করা।
মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী: যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি,
#Shahada#Declaration of Faith#1st Pillar of Islam#Kalema Shahadat#Way to Zannah#সত্য সাক্ষ্য#Islam#Muslim#Kalema#How to be muslim
1 note
·
View note
Photo
#jorpukuria_barura #dr_neyamat #জোড়পুকুরিয়া_বরুড়া #Neyamat #নেয়ামত - নিয়তির রসাতল II নেয়ামত ভূঁইয়া তোমার লীলা রহস্য যতই দেখাও আমি কিন্তু আর কিচ্ছু চাইব না, এই তোমাকে সাফ সাফ বলে দিলুম বনমালী! নিজের কব্জির জোরেই নিজে চালাব কায়কারবার কিংবা গৃহস্থালি। চেয়ে যদি না পাই; তখন বলো, ‘নিজেকে পাবার যোগ্য করে তোল, আত্মার গুপ্তধনের ��াণ্ডার বিশ্বাসের চাবি দিয়ে খোল’। যোগ্যতর হয়েও যখন সিকে ছিঁড়তে দেখি না, তখন বলো, ‘চাওয়ায় ভুল ছিল, তরিকায় গলদ ছিল,পন্থায় বিচ্যুতি ছিল, মন্ত্র উচ্চারণে সূক্ষ্ম ত্রুটি ছিল, বিশ্বাসে ফাটল ছিল, আচার পালনে দোষের আকর ছিল’। এখন আমার কাছে টিপকলের পানির মত সব ফকফকা; তোমাদের ওসব ওজর অজুহাত ঠুনকো বাহানা, ধাক্কা খেয়ে খেয়ে ফেরেবির সব ফ্যারকা আমার ঠিকঠাক হয়ে গ্যাছে জানা। কায়দা করে ফায়দা লোটার মতলবে যমের অরুচি, মন্ত্রে মন্ত্রে ষড়যন্ত্রের বীজ-বোনা কূটের নিকুচি। চেয়ে কোন লাভ নেই, হাত গলে কোনদিন পড়তে দেখি না ফুটো কানাকড়ি, কেবল চাওয়ার চোয়াল ভাঙ্গে চাতুরির তাগড়াই হাতুড়ি। চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার কুস্তি লড়ে আমি আর হাবার মতো ঘাম ঝরাবোনা; আষাঢ়ের পানির সোঁতে খোঁট থেকে ফসকে পড়ে যাওয়া বিড়ি; আবার তুলে এনে ওতে আর আগুন ধরাবো না। পাকা মাল্লা মাঝির মাথায় বাজ পড়ুক; আমি চাইনা,ওরা আমার ভাঙ্গা নায়ের হাল ধরুক। আমি তাদের কাছে পাতবো না হাত; আমি দেখব কোথায় সাগরের ঢেউয়ের কুন্ডুলির খাত। আমার দু’ বাহুই হবে আমার নায়ের হাল-বৈঠা, আমার নাও ডোবাবে, কার আছে এমন বুকের পাটা? জেনে রাখো, নাও ডোবালেও আমি ক্ষান্ত হবো না; ঢোক ঢোক জল গিলে তোমার লীলার আশায় মাথায় হাত দিয়ে নির্বোধের মতো বসে থাকবো না। বুকের ছাতি উঁচিয়ে আমি সাঁতরে পাড়ি দেব অথৈ সায়রের ফণাতোলা উত্তাল জল, আমি দেখে আসতে চাই- কোন অচিন মুলুকে আছে আমার নিয়তির অন্তিম রসাতল। -- #jorpukuria_barura #dr_neyamat #জোড়পুকুরিয়া_বরুড়া #Neyamat #নেয়ামত #banglakobita #bengalikobita #poetryofneyamat #বাংলাকবিতা #Dr_NeyamatUllahBhuiyan #ড_নেয়ামতউল্যাভূঁইয়া #poetrybyneyamat #নেয়ামতভূঁইয়ারকবিতা #কবিতা #poetryofneyamat #neyamat_poetry #bengalipoetry #বাংলাকবিতা #গীতিকবিতা #jorpukuria_barura #dr_neyamat #জোড়পুকুরিয়া_বরুড়া #Neyamat #নেয়ামত https://www.instagram.com/p/CegrnO7hKNP/?igshid=NGJjMDIxMWI=
#jorpukuria_barura#dr_neyamat#জ#neyamat#ন#banglakobita#bengalikobita#poetryofneyamat#ব#dr_neyamatullahbhuiyan#ড_ন#poetrybyneyamat#কব#neyamat_poetry#bengalipoetry#গ
0 notes
Text
জন্মভূমি কবিতার মূলভাব ব্যাখ্যা কর
জন্মভূমি কবিতার মূলভাব ব্যাখ্যা কর
বাংলা প্রশ্ন অনুসন্ধান যদি এমন হয়ে থাকে জন্মভূমি কবিতার মূলভাব ব্যাখ্যা কর তবে এখানে এ সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। জন্মভূমি কবিতার মূলভাব ব্যাখ্যা জন্মভূমি গীতবাণীতে কবিতায় জন্মভূমির প্রতি কবির মমত্ববােধ ও গভীর দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে। জন্মভূমিকে ভালােবাসতে পেরেই কবি তাঁর জীবনের সার্থকতা অনুভব করেন। কবির জন্মভূমি অজস্র ধনরত্নের আকর কি না, তাতে তার কিছু আসে যায় না। কারণ, তিনি এই মাতৃভূমির স্নেহছায়ায়…
View On WordPress
0 notes
Video
Kristi | Sobar Ami Chhatro | সবার আমি ছাত্র | Sunirmal Basu | Sourish | Promotion 𝐅𝐮𝐥𝐥 𝐕𝐢𝐝𝐞𝐨 ⬇️ https://youtu.be/9ERh2Muph9g ✨🌟🌠🌟✨🌟🌠🌟✨🌟🌠🌟✨🌟 ★���[ᴘʀᴏᴍᴏᴛɪᴏɴ]彡★ ¤ (¯´☆✭.¸_)¤ 𝙆𝙧𝙞ষ্টি : 𝘼 𝘾𝙧𝙚𝙖𝙩𝙞𝙫𝙚 𝙀𝙛𝙛𝙤𝙧𝙩 ¤(_¸.✭☆´¯) ¤ ▌│█║▌║▌║ 𝕻𝖗𝖔𝖏𝖊𝖈𝖙_36 ║▌║▌║█│▌ কবিতা : সবার আমি ছাত্র কলমে : সুনির্মল বসু কণ্ঠে : সৌরিশ হাইত শব্দ গ্রহণ : ব্যক্তিগত প্রচ্ছদ , সম্পাদনা ও পরিচালনা : অর্ক ©️ 𝕮𝖔𝖓𝖈𝖆𝖛𝖊 𝕮𝖗𝖊𝖆𝖙𝖎𝖛𝖊 𝕮𝖆𝖓𝖛𝖆𝖘 ░F░o░l░l░o░w░ ░u░s░ 🅱🅰🅽🅳 🅻🅰🅱 : https://www.bandlab.com/kristi_040517 🅵🅰🅲🅴🅱🅾🅾🅺 : https://www.facebook.com/concavecreativecanvas 🅸🅽🆂🆃🅰🅶🆁🅰🅼 : https://www.instagram.com/concavecreativecanvas 🆃🆆🅸🆃🆃🅴🆁 : https://twitter.com/concave_cc?s=08 🆁🅴🆅🅴🆁🅱 🅽🅰🆃🅸🅾🅽 : https://www.reverbnation.com/kristi_acreativeeffort 🆂🅾🆄🅽🅳 🅲🅻🅾🆄🅳 : https://soundcloud.com/kristi-a-creative-effort 🆈🅾🆄🆃🆄🅱🅴 : https://www.youtube.com/c/ConcaveCreativeCanvas 🆆🆁🅸🆃🅲🅾 : https://www.writco.in/user/Kristi 🅿🆁🅰🆃🅸🅻🅸🅿🅸 : https://english.pratilipi.com/user/99lm2816gq ⭐⭐⭐⭐⭐⭐ 'Sobar Ami Chhatro', written by Sunirmal Basu is a very famous poem for children that depicts our mother nature as the best teacher. ⭐⭐⭐⭐⭐⭐ সবার আমি ছাত্র সুনির্মল বসু =================== আকাশ আমায় শিক্ষা দিল উদার হতে ভাই রে, কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাই রে। পাহাড় শিখায় তাহার সমান- হই যেন ভাই মৌন-মহান, খোলা মাঠের উপদেশে- দিল-খোলা হই তাই রে। সূর্য আমায় মন্ত্রণা দেয় আপন তেজে জ্বলতে, চাঁদ শিখাল হাসতে মেদুর, মধুর কথা বলতে। ইঙ্গিতে তার শিখায় সাগর- অন্তর হোক রত্ন-আকর; নদীর কাছে শিক্ষা পেলাম আপন বেগে চলতে। মাটির কাছে সহিষ্ণুতা পেলাম আমি শিক্ষা, আপন কাজে কঠোর হতে পাষান দিল দীক্ষা। ঝরনা তাহার সহজ তানে, গান জাগাল আমার প্রাণে; শ্যাম বনানী সরসতা আমায় দিল ভিক্ষা। বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র। এই পৃথিবীর বিরাট খাতায়, পাঠ্য যেসব পাতায় পাতায় শিখছি সে সব কৌতূহলে, সন্দেহ নেই মাত্র। ⭐⭐⭐⭐⭐⭐ #concavecreativecanvas #kristiacreativeeffort #worldstudentsday #apjabdulkalam #birthdayofapjabdulkalam #bengalipoem #childliterature #poemforrecitation #poemoftheday #sobaramichhatro #sunirmalbasu #recitation #bengalipoetry #birthdayofapjabdulkalam https://www.instagram.com/reel/CVDa1Vppfme/?utm_medium=tumblr
#concavecreativecanvas#kristiacreativeeffort#worldstudentsday#apjabdulkalam#birthdayofapjabdulkalam#bengalipoem#childliterature#poemforrecitation#poemoftheday#sobaramichhatro#sunirmalbasu#recitation#bengalipoetry
0 notes
Text
Book Fair 2022: ২১তম করিমগঞ্জ বইমেলার আজকের উদ্বোধন
পাঞ্চজন্য রায়, করিমগঞ্জ (অস��) : শুরু হল করিমগঞ্জ বই মেলা৷ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাকাডেমিক পুরষ্কার শাকুর মজিদ৷ বলেন, আড়াই বছর আগে জ্ঞানের সূচনা হয়েছিল৷ তখন পাথরে বা গাছের চামড়া বা পাতায় লিখে রাখা হতো৷ পরবর্তীতে মিশরে কাগজ আবিস্কার হয় আর কাগজের ব্যবহার হতে থাকে৷ বই হচ্ছে জ্ঞানের আকর, যা থেকে আমরা সাধারনত তথ্য সংগ্রহ করে থাকি৷ বইমেলা ও বই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে৷ আগামী প্রজন্ম বই ব্যবহার করবে কি না সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, একটি ২৫ বছরে যুবকরা যেখানে ই-বুকের সাহায্য নিচ্ছে, সেখানে বয়স ৫২ হলে তারা কি বইয়ের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে? মৃন্ময় রায়ের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায় বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, বই না থাকলে আমাদের শিল্প সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হবে৷ তাই বই পড়াকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরী৷ বক্তব্য রাখেন জেলাশাসক মৃদুল যাদব, পদ্মশ্রী ডা. রবি কান্নান, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, সুব্রত দেব সহ অন্যরা৷ বইমেলা কমিটির সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী মেলা আয়োজনে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান৷ গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার প্রবীর ভট্টাচার্য৷ Read the full article
0 notes
Text
ঢাকার কয়েকটি জায়গায় ছোট আকারে রেড জোন ঘোষণা করে ছুটি আসছে
ঢাকার কয়েকটি জায়গায় ছোট আকারে রেড জোন ঘোষণা করে ছুটি আসছে
[ad_1] ঢাকা, ২৪ জুন- করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় ঝুঁকিতে থাকা ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি জায়গায় ছোট আকারে রেড জোন ঘোষণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এসব জায়গায় ছুটি ঘোষণা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৪ জুন) প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। গত ২১ জুন মধ্যরাতে ১০ জেলার ২৭টি এলাকা ও পরের দিন ২২ জুন ��� জেলার ১২ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সেখানে সাধারণ…
View On WordPress
0 notes
Text
জেলায় জেলায় বৃষ্টি, ভয়াবহ আকার নিচ্ছে বজ্রপাত, কী করবেন কী করবেন না জানুন|Rain hit Kokkata with heavy thunderstorm know Dos and Donts | kolkata
জেলায় জেলায় বৃষ্টি, ভয়াবহ আকার নিচ্ছে বজ্রপাত, কী করবেন কী করবেন না জানুন|Rain hit Kokkata with heavy thunderstorm know Dos and Donts | kolkata
CNN name, logo and all associated elements ® and © 2016 Cable News Network LP, LLLP. A Time Warner Company. All rights reserved. CNN and the CNN logo are registered marks of Cable News Network, LP LLLP, displayed with permission. Use of the CNN name and/or logo on or as part of NEWS18.com does not derogate from the intellectual property rights of Cable News Network in respect of them. ©…
View On WordPress
#Donts#dos#heavy#hit#Kokkata#Kolkata#Thunderstorm#আকর#ক#করবন#জননRain#জলয়#ন#নচছ#বজরপত#বজ্রপাত সহ বৃষ্টি. Rain hit Kokkata#বষট#বাজ পড়লে কী করবেন কী করবেন না#ভয়বহ
0 notes
Photo
জনপ্রতিনিধির ডায়েরি
রেহানা বেগম রানু
নেতৃত্ব জন্মায়, সামাজিক সম্পর্ক থেকে। নেতৃত্ব, দল,গোষ্ঠী,সম্প্রদায়, সমাজের অপরিহার্য শর্ত। খাদ্য সংগ্রহ বা উৎপাদন কোনট���ই নেতৃত্ব ছাড়া হয়না। সমাজের অনুষঙ্গী সমস্ত দল, সংগঠনে নেতৃত্ব থাকে। পরিবারে পিতা বা মাতা, স্কুল- কলেজে প্রধান শিক্ষক বা প্রিন্সিপ্যাল, সরকারে প্রধান মন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি ইত্যাদি।আধুনিক জাতি-রাষ্ট্র, বিপুল জনগোষ্ঠীর সমাবেশ যেখানে স্তরায়িত প্রশাসনের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর প্রাত্যহিক জীবন পরিচালিত হয়। আর নেতৃত্ব এখানে অপরিহার্য। প্রাচীন কালে ও ক্ল্যান বা গোষ্ঠীর সংঘবদ্ধতার জন্য নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল। নেতৃত্বহীন সমাজ কখনোই ছিলনা বরং বলা যায় , সমাজ আর সভ্যতার বিকাশ নেতৃত্ব ছাড়া হয় না।
নেতৃত্বের বড় গুন মেধা ও মোটিভেট করবার সামর্থ্য। সাথে অবশ্যই ধৈর্য্য, অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা বোধ থাকা ইত্যাদি আচরণগত বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। তবে সামাজিক পরিবর্তনের সাথে নেতৃত্বের ধারণা ও পাল্টায়। রাজতন্ত্রে নেতৃত্ব আদেশমূলক। গণতন্ত্রে তা হয় প্রতিনিধিত্বশীল। ফলে প্রতিনিধিত্বশীল সমাজে নেতৃত্বকে, বহু গুনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হয়। বিশেষ করে,জনমতের তোয়াক্কা করা ও জনগণকে মোটিভেট করবার যোগ্যতা থাকা। প্রানিদেহ যেমন লক্ষ কোষের সমস্টি, সমাজদেহ ও তাই। স্তরায়ন ভিত্তিক প্রশাসন হচ্ছে এমনই কোষ। এই প্রশাসনের দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য চাই দক্ষ নেতৃত্ব। আর প্রতিনিধিত্বের সমাজে জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে গড়ে উঠে নেতৃত্ব। এমনই এক নেতৃত্বের নাম রেহানা বেগম রানু।
প্রত্যেক মানুষেরই আবেগ, অনুভূতি আর চিন্তার কাঠামোর সৃষ্টি একেবারেই সম্পূর্ণ নিজস্ব। এগুলোর গঠন,সমাজের প্রেক্ষাপট তথা সামাজিক সম্পর্কের দ্বারা নির্ধারিত। বলে থাকি, রবীন্দ্রনাথ এখন জন্ম নিলে, ‘গোরা‘, ‘ ঘরে বাইরে‘ লিখতে পারতেন না , কারণ সেই সামাজিক প্রেক্ষাপট এখন আর নেই। হয়তো আরো মহৎ কিছু লিখতেন কিন্তু উল্লিখিত উপন্যাস লিখতে পারতেন না। মানুষের জন্ম-মৃত্যু, কোন ব্যক্তির তিরোধানে এজন্যই উল্লেখ করা হয়। তো আমাদের, জনপ্রতিনিধির, আবেগ, অনুভূতি বা অভিজ্ঞতার বর্ণনা অবশ্যই সামাজিক সম্পর্ক থেকে উঠে আসবে। মানুষের চিন্তা, অভিজ্ঞতা যেমন, সামাজিক সম্পর্কজাত, ঠিক আবার সামাজিক সম্পর্কের আদল দিতে ব্যক্তির ��েতৃত্ব, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভূমিকাও উল্লেখ্য।
সব মানুষেরই সামাজিক পরিচিতি আছে। এবং পরিচিতি দেয়ার সাথে সাথে ঐ ব্যক্তিকে, সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।সমাজবিজ্ঞানে একে রোল বা ভূমিকা বলা হয়। তো জনপ্রতিনিধি রেহানা বেগম রানু ও মা, সন্তান ও গৃহিণী। তাঁর সব পরিচিতির ভূমিকা পালনের সাথে সাথে, জনপ্রতিনিধি হিসেবেও ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। একজন সাধারণ গৃহিণী থেকে জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠা ও তাঁর বিরুদ্ধ প্রতিবেশ সম্পর্কে জানান দেয়া, সামাজিক অবস্থানকে নির্দেশ করে,যা সামাজিক গবেষণায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়। বলা হয়" মানুষের সামাজিক অস্তিত্ব তাঁর সামাজিক চেতনাকে নির্মাণ করে, আবার সামাজিক চেতনা ও সামাজিক অস্তিত্ব কে প্রভাবান্বিত করে। লেখিকা রেহানার, মা, গৃহিণী থেকে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠার ও তার বর্ণনায় সামাজিক পরিস্থিতির চিত্রায়নটা প্রকাশিত হয়। লেখিকার নিজের অনুভূতি, ক্ষোভ,দুঃখ ,অভিজ্ঞতা সমাজ থেকে পাওয়া। সামাজিক সম্পর্কের বাইরে থাকলে, এসব অনুভূতি বা চেতনা মানুষের থাকেনা। রেহানা বেগম রানুর ও তাই।তিনি সামাজিক পরিচিতিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন,তাঁর অন্যদের মোটিভেট করবার ক্ষমতা দিয়ে। তবে নেতৃত্বের অধিকারী যাঁরা, তাঁরা মানবিক ও নেতৃত্বের গুণাবলীর জন্য লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠেন। জনপ্রতিনিধি,সামাজিক যোগাযোগের সফল প্রযোগের ফলেই জনপ্রতিনিধি হন। তাঁর যোগাযোগ উলম্বী(Vertical) ও সমান্তরাল(Horizontal)। এর অর্থ সামাজিক স্তরায়িত সমাজের সকল পেশা ও স্তরের মানুষের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন ও তাঁদের আকাঙ্খার বাস্তবায়নের অংশীদার হওয়া। এছাড়া নারীদের অধস্তন অবস্থা থেকে মুক্তির প্রচেষ্টা ও উদ্বুদ্ধকরণের বিষয়তো আছেই। দিনকালের ঘটনা যা আমরা অবলোকন করি, তার লেখায় বর্ণনই তো ডায়েরি। ডায়েরি শুধু নিজের জীবনের ঘটনার বর্ণনাই নয়, তা প্রজন্মকে মোটিভেট করবার উপায় ও বটে। সার্থকভাবে কাজটি তিনি করতে পেরেছেন।
রানুর জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠার শুরুটা চমৎকার। গান গেয়ে নমিনেশন! গুনধারীর গুনবিচার গানে শুরু হলেও পরিচিতির শেষ অধ্যায়ে দেখি জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠায়। না এতেও কি শেষ? ।রাজনীতির দোলাচল বড়ই অদ্ভুত। রেহানা বেগম রানুর বর্ণনায় তা পরিস্ফুটিত।বিশেষ করে সংরক্ষিত মহিলা আসনে, তাঁর নমিনেশনক কেন্দ্র করে।
জনপ্রতিনিধি হয়েও ,জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া, ইত্যাদির বর্ণনা আছে তাঁর ডায়েরিতে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তাঁর ভূমিকার বর্ণনাও আছে।
জনপ্রতিনিধিত্বের জন্য রাজনীতিতে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। একজন আইনজ্ঞ ও শিক্ষিত মহিলা ��িসেবে, রাজনীতির ভেতরের ও বাইরের প্রতিপার্শ্বের বর্ণনা, যা রাজনীতির বাইরের দর্শকদের অজানা তা ও ,নির্দ্বিধায় বর্ণনা করেছেন, রানু। একজন মহিলার , জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠা যে এক বিশাল সংগ্রাম, আত্মত্যাগ আর তিতিক্ষার ব্যাপার,তা হয়তো জানা হতোনা এই লেখনীর প্রকাশ না পেলে। রাজনীতির অ আ ক খ, শুধু আদর্শ নয়, ব্যক্তি সংঘাত, ও সংগ্রামের যে একটা চিত্র আছে তা ও বোধে আসে, রানুর এই ডায়েরি পাঠে। আর হ্যাঁ,আমরা যাঁরা, পাঠক ও জনগণ, তাঁদের রাজনীতির গ্রীনরুমের ঘটনাবলীও জানা হতে পারে এই ডায়েরি পাঠে।
তাঁর 'জনপ্রতিনিধির ডায়েরি'তে লেখন আছে ৬২টি ।ডায়েরি কোন গল্প লেখন নয়। ফলে বর্ণনা বা লেখনের বিস্তৃতি, সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। মাত্র ২৬৪ পৃষ্ঠার বইতে এই লেখাগুলো যথেষ্ট। 'শুরুর কথায়' রয়েছে লেখনীর অবয়ব নির্মাণের পটভূমি।ছবি, কোন লেখাকে প্রমাণসিদ্ধ করবার জন্য দলিল অথবা স্মৃতি বা ইতিহাসের উৎস নির্মাণে প্রয়োজন। রেহানা বেগম রানু,এই কাজটি করেছেন যথাযথভাবে।১৯৭ পৃষ্ঠা থেকে শেষ পৃষ্ঠা অব্দি, ছবির সংকলন আছে, যা ডায়েরিতে বলা কথার চেয়েও মজবুত ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে। প্রচ্ছদ খড়িমাটি'র।খড়িমাটির, অন্যান্য প্রকাশনার প্রচ্ছদের মত এইটি ও দৃষ্টিনন্দন। মুদ্রণে, নিউগ্রাফ প্রিন্টার্স।বইয়ের ছাপা, বেশ সুন্দর।কাগজের মান ও ভালো। প্রকাশনায়,বর্ণনা প্রকাশন।পরিবেশনায় খড়িমাটি। গ্রন্থস্বত্ব, লেখিকা রেহানা বেগম রানু'র।বইটি লেখিকা, জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে উৎসর্গ করেছেন।টাকায় ডায়েরির মূল্য, ৳৫১০/ মাত্র। মার্কিন মুদ্রায় $ ৭ মাত্র। ISBN কোড নাম্বার আছে তবে বইয়ের শেষে দেয়া বারকোড স্ক্যান করে চীনা ভাষায় কিছু লেখা দৃষ্টিতে আসলেও তা যে বইয়ের সাথে যোগ নেই তা বোঝা যায়। কারণ,বারকোড মূলত বইয়ের তথ্য ধারণ করে।প্রকাশক কে এই বিষয়টি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখতে হবে। বইয়ের জ্যাকেটের প্রথমে,ভূমি বোর্ডের সচিব ও চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান এর ছোট্ট একটি পরিচিতির লেখনী আছে, লেখিকা রেহানা বেগম রানু কে নিয়ে,ডায়েরির লেখিকা কে জানতে যা সাহায্য করবে।জ্যাকেটের শেষে ,ডায়েরি রচয়িতার পরিচিতির মাত্রাকে বিস্তৃত করে। এমন পাঠ, নির্দিষ্ট কালের উপাদেয় স্বাক্ষী হয়ে থাকে। কাল বা সময়, রেহানা বেগম রানূর এই লেখাকে ইতিহাসের আকর হিসেবে দেখুক, এই কাম্য।
ওবায়দুল করিম
২০শে জুলাই,২০২১
Powered by Journey Diary.
0 notes
Link
সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। যা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কর্ম ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে গ্রাহকদের আকর
0 notes
Photo
নিয়তির রসাতল II নেয়ামত ভূঁইয়া তোমার লীলা রহস্য যতই দেখাও আমি কিন্তু আর কিচ্ছু চাইব না, এই তোমাকে সাফ সাফ বলে দিলুম বনমালী! নিজের কব্জির জোরেই নিজে চালাব কায়কারবার কিংবা গৃহস্থালি। চেয়ে যদি না পাই; তখন বলো, ‘নিজেকে পাবার যোগ্য করে তোল, আত্মার গুপ্তধনের ভাণ্ডার বিশ্বাসের চাবি দিয়ে খোল’। যোগ্যতর হয়েও যখন সিকে ছিঁড়তে দেখি না, তখন বলো, ‘চাওয়ায় ভুল ছিল, তরিকায় গলদ ছিল,পন্থায় বিচ্যুতি ছিল, মন্ত্র উচ্চারণে সূক্ষ্ম ত্রুটি ছিল, বিশ্বাসে ফাটল ছিল, আচার পালনে দোষের আকর ছিল’। এখন আমার কাছে টিপকলের পানির মত সব ফকফকা; তোমাদের ওসব ওজর অজুহাত ঠুনকো বাহানা, ধাক্কা খেয়ে খেয়ে ফেরেবির সব ফ্যারকা আমার ঠিকঠাক হয়ে গ্যাছে জানা। কায়দা করে ফায়দা লোটার মতলবে যমের অরুচি, মন্ত্রে মন্ত্রে ষড়যন্ত্রের বীজ-বোনা কূটের নিকুচি। চেয়ে কোন লাভ নেই, হাত গলে কোনদিন পড়তে দেখি না ফুটো কানাকড়ি, কেবল চাওয়ার চোয়াল ভাঙ্গে চাতুরির তাগড়াই হাতুড়ি। চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার কুস্তি লড়ে আমি আর হাবার মতো ঘাম ঝরাবোনা; আষাঢ়ের পানির সোঁতে খোঁট থেকে ফসকে পড়ে যাওয়া বিড়ি আবার তুলে এনে ওতে আর আগুন ধরাবো না। পাকা মাল্লা মাঝির মাথায় বাজ পড়ুক; আমি চাইনা,ওরা আমার ভাঙ্গা নায়ের হাল ধরুক। আমি তাদের কাছে পাতবো না হাত; আমি দেখব কোথায় সাগরের ঢেউয়ের কুন্ডুলির খাত। আমার দু’ বাহুই হবে আমার নায়ের হাল-বৈঠা, আমার নাও ডোবাবে, কার আছে এমন বুকের পাটা? জেনে রাখো, নাও ডোবালেও আমি ক্ষান্ত হবো না; ঢোক ঢোক জল গিলে তোমার লীলার আশায় মাথায় হাত দিয়ে নির্বোধের মতো বসে থাকবো না। বুকের ছাতি উঁচিয়ে আমি সাঁতরে পাড়ি দেব অথৈ সায়রের ফণাতোলা উত্তাল জল, আমি দেখে আসতে চাই- কোন অচিন মুলুকে আছে আমার নিয়তির অন্তিম রসাতল। - https://www.instagram.com/p/CaelbYhB6O_/?utm_medium=tumblr
0 notes
Link
কালিমা শাহাদাত সত্য সাক্ষ্য
ইসলাম হলো সত্যকে গ্রহণ করা এবং অসত্যকে পরিহার, পরিত্যাগ বা বর্জন করা। ইমান বা বিশ্বাসের মূল কথা হলো কালিমা। কালিমা শাহাদাত হলো ইমান ও ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম ভিত্তি। কালিমা অর্থ শব্দ, বাণী বা বাক্য; শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য দেওয়া। কালিমা শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য বাণী। কালিমা শাহাদাত ফারসিতে হয় ‘কালেমায়ে শাহাদাত’; মূল আরবিতে হবে ‘কালেমাহ শাহাদাত’ বা ‘আল কালিমাতুশ শাহাদাত’।
কালিমা শাহাদাতে এই ঘোষণাই দেওয়া হয়, ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু; ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ অর্থাৎ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নাই, তিনি এক ও একক, তাঁর কোনো শরিক বা অংশীদার নাই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তায়ালার অতি প্রিয় খাস বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসুল।’
মহান আল্লাহ তায়ালা হলেন পরম সত্য বা মহাসত্য। এই সত্যের সাক্ষ্যই হলো ইমান বা ইমানের দাবি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব প্রিয় নবী আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মহাসত্যবাদী ও পরম বিশ্বাসী বা বিশ্বস্ত ব্যক্তি। তাঁর সত্য নবুয়ত ও রিসালাতের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ও নিঃশর্ত সাক্ষ্য প্রদান ইমানেরই অংশ। তাঁর প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা হলো ইমান। তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণ হলো ইসলাম।
সাক্ষ্য দেওয়ার পূর্বশর্ত হলো প্রত্যক্ষ করা বা স্বচক্ষে অবলোকন করা বা দেখা। মহান আল্লাহ তায়ালা এমনই পরম সত্য, যা দৃশ্যমান হওয়া দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট; তাই এটি প্রত্যক্ষকারীদের অপেক্ষা রাখে না। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সততা ও সত্যবাদিতা জগৎ–খ্যাত ও প্রশ্নাতীত। যারা তাঁর জানের দুশমন ও প্রাণের শত্রু ছিল, তারাও তাঁর সত্যতা ও বিশ্বস্ততার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এ বিষয় দুটি উদ্ধৃত হয়েছে এভাবে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মালিকুল হাক্কুল মুবিন, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ছদিকুল ওয়াদিল আমিন।’ অর্থাৎ ‘এক আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মাবুদ নেই, তিনি শাসকঅধিপতি, তিনিই সুস্পষ্ট ও পরম সত্য; হজরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর প্রেরিত রাসুল, চরম সত্যবাদী, ওয়াদা ও অঙ্গীকার রক্ষাকারী এবং পরম বিশ্বস্ত ও অতি বিশ্বাসী। (আল মুফরাদাত, বুখারি)। সব নবী ও রাসুল সত্যবাদী ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা কোরআন কারিমে বলেন, ‘আপনি এই গ্রন্থে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর বিষয় আলোচনা করুন, নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী।’ (সুরা-১৯ [৪৪] মারিয়াম, রুকু: ৩, আয়াত: ৪১, পারা: ১৬)।ইসলামের শিক্ষাসমূহের প্রধান তিনটি শিক্ষা হলো: সত্যতা, পবিত্রতা ও প্রেম। আল্লাহ তায়ালাকে পেতে হলে তাঁর প্রতি প্রেম থাকতে হবে; তাঁর প্রিয়তম মানুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসা থাকতে হবে, থাকতে হবে পূর্ণ আনুগত্য; এটাই হলো প্রেম। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র, তিনি ‘সুব্বুহুন কুদ্দুস’ তথা পরম পবিত্র; তাঁর প্রিয় হাবিব হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বদা পবিত্র জীবন যাপন করেছেন। তাই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রেমিক হতে হলে তাকে পবিত্র জীবন যাপন করতে হবে; এটাই হলো পবিত্রতা। ইমান ও ইসলামের জন্য যেহেতু জীবনের পবিত্রতা শর্ত, তাই বিশ্বাসী মোমিন বান্দাকে সদা সত্যাশ্রয়ী হতে হয়; এটাই হলো সত্যতা। আশেক ও মাশুকের মাঝে আড়াল থাকে না, সুতরাং এখানে মিথ্যার অনুপ্রবেশের সুযোগই থাকে না। মিথ্যার ধূম্রজাল হলো বেড়া বা আড়াল; মিথ্যা যেখানে আসে সেখানে প্রেম থাকে না।সত্যতা মানুষকে সব কলুষ ও কালিমা থেকে পবিত্র করে, পবিত্রতা মানুষের
মাঝে প্রেমভাব জাগ্রত করে; শুদ্ধাচারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে, শুদ্ধাচার বা পবিত্রতা মানুষকে সত্যতা বা পরম সত্যে উপনীত করে।
সত্য সাক্ষ্যদানের মাধ্যমেই মোমিনের ইমানের সূচনা হয়; তাই মোমিন ব্যক্তির সারা জীবন এই সত্যকে ��ঁকড়ে ধরে রাখতে হয়; এ যে তার ইমান, তার বিশ্বাস। বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা বা বিশ্বাসঘাতকতা আত্মপ্রবঞ্চনার শামিল।
সত্য ব্যতীত মানুষ মোমিন হয় না; মুসলমান কখনো অসত্য বলে না। ইসলামে সব সময় সত্য বলা ও সত্য সাক্ষ্য দেওয়া ফরজ ইবাদত ও জরুরি কর্তব্য বলে পরিগণিত। এই সত্যতা মনোজগতে, চিন্তাচেতনায়, কল্পনায় ও পরিকল্পনায়। এই সত্যতা মুখের ভাষায়। এই সত্যতা যাবতীয় কর্মকাণ্ডে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। সত্যতা বা সততা প্রতিটি কদমে বা পদক্ষেপে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি ছোঁয়া বা স্পর্শে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি দৃষ্টি–পলক বা ভ্রু-কুঞ্চনে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি ধ্বনিতে, প্রতিটি শব্দে ও প্রতিটি বাক্যে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি শ্রবণে ও অনুভবে।
অসত্য ভাষণ, মিথ্যা বিবৃতি, মিথ্যা অভিযোগ, মিথ্যা সাক্ষ্য সমাজকে কলুষিত করে। এর দ্বারা ন্যায়বিচার বা সুশাসনের বিলুপ্তি ঘটে। সৎশাসনের অভাবে সমাজে অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, অনাচার বেড়ে গিয়ে অরাজকতার সৃষ্টি হয়।সত্যের বিপরীত হলো মিথ্যা বা অসত্য। মিথ্যা বলা হারাম ও চরম পাপকার্য। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘মিথ্যা পাপের জননী।’ (বুখারি শরিফ)। ‘সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।’ কারণ, মানুষ যখন হারাম বা পাপকার্য সংঘটন করে, তখন তার ইমান বা বিশ্বাস তার সঙ্গে সক্রিয় থাকে না। তখন তার ইমান বা বিশ্বাস তার থেকে আলাদা হয়ে শূন্যে ঝুলতে থাকে; যতক্ষণ পর্যন্ত সে ওই মিথ্যায় বা পাপে লিপ্ত থাকে। (বুখারি শরিফ ও মুসলিম শরিফ)। পুনরায় তওবা করে অনুতপ্ত হয়ে মিথ্যা ও পাপ বর্জনের দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করলেই ইমান আবার তার কাছে ফিরে আসে। (ফাতাওয়া আলমগিরি)।
মিথ্যার পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা জগতে ভ্রমণ করো ও দেখো, মিথ্যাবাদীদের কী পরিণতি হয়েছিল!’ (সুরা-৩ [৮৯] আলে ইমরান, রুকু: ১৪, আয়াত: ১৩৭, পারা: ৪)।
রোজ কিয়ামতে হাশরের ময়দানে বিচারের সময় মানুষ নিজের প্রতি সাক্ষ্য দেবে। যারা ইহজগতে মিথ্যা বলে অভ্যস্ত তারা পরকালে মিথ্যা; তারা নিষ্পাপ পবিত্রাত্মা ফেরেশতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলবে। তখন মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের জবান বন্ধ করে দিয়ে তাদের পাপ সম্পাদনকারী অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাক্ষ্য নেবেন। ‘আজ আমি তাদের মুখে সিলমোহর করে দেব; তাদের হস্তসমূহ আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পাগুলো সাক্ষ্য দেবে, যা তারা (মিথ্যা-পাপ) অর্জন করেছিল। (সুরা-৩৬ [৪১] ইয়াছিন, রুকু: ৪, আয়াত: ৬৫, পারা: ২৩)। এমতাবস্থায় গত্যন্তর না দেখে কিছু লোক সত্য স্বীকার করবে (যদিও সেদিন তা কোনো কাজে আসবে না)।
একমাত্র সত্য সাক্ষ্য ও ন্যায় বিধানই পারে সমাজে দেশে বা রাষ্ট্রে শাস্তি বজায় রাখতে ও শৃঙ্খলা আনতে। আল্লাহ ন্যায়বান, তিনি ন্যায়বিচার করবেন।
প্রতিটি হারাম কর্ম ও হারাম বস্তু কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ। মিথ্যা হলো পাপের আকর বা মহাপাপ। স্বেচ্ছায় অভ্যাসে প্রকাশ্যে কবিরা গুনাহ করলে এবং তা থেকে খাঁটি তাওবা না করলে তাকে ফাসিক বলা হয়। ফাসিক অর্থ গুনাহগার বা পাপাচারী; ইসলামি আদালতে ফাসিকের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সে কালিমা শাহাদাতের সাক্ষ্য ভঙ্গ করেছে। সুতরাং মোমিনের উচিত মৃত্যু পর্যন্ত সারা জীবন কালিমা শাহাদাতের সাক্ষ্যের ওপর দৃঢ় অবিচল থেকে স্বীয় ইমান ও ইসলাম রক্ষা করা।
মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী: যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি,
0 notes