Don't wanna be here? Send us removal request.
Text
ষোলোতেই যেভাবে উদ্যোক্তা ফাহিম (Fahim)
খুব অল্প বয়সে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন ফাহিম সালেহ। বাংলাদেশে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। নাইজেরিয়া, কলম্বিয়াতেও বিভিন্ন উদ্যোগে বিনিয়োগ করেছেন। ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে নিজের বাসায় এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ফাহিম সালেহ। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৩ বছর। এত অল্প বয়সে যিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন, ব্যবসা সম্পর্কে তাঁর ভাবনা কী ছিল? ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর মিডিয়াম ডটকমে প্রকাশিত একটি ব্লগে উদ্যোক্তাদের জন্য চারটি পরামর্শ দিয়েছিলেন ফাহিম সালেহ।
১৬ বছর বয়সে একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপার হিসেবে আমার যাত্রা শুরু। এটিই আমাকে নিয়ে যায় উদ্যোক্তাদের দুনিয়ায়। তখন থেকে আমি বড় বড় উদ্যোগ নিয়েছি। যেমন অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়েছি, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্যোক্তাদের তহবিল দেয় এবং বেড়ে উঠতে সহায়তা করে। এই পথচলায় আমি অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু হাইস্কুলে পড়ার সময় আমার কৌশলগত চিন্তাধারার যে ভিত গড়ে উঠেছিল, সেটিই আমাকে পরে মিলিয়ন ডলার আয় করতে সহায়তা করেছে। আপনার বয়স হতে পারে ১৬ বা ৬১, তাতে কিছু আসে যায় না। আমি মনে করি প্রত্যেক উদ্যোক্তার চারটি কাজ করা উচিত।
1.কম গুরুত্বের কাজ বাইরে থেকে করিয়ে নেওয়া
ফ্রিল্যান্সাররা হতে পারেন আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তাঁরা আপনার সময় ও টাকা, দুটোই বাঁচান, যা একজন উদ্যোক্তার জন্য মূল্যবান। ১৬ বছর বয়সে আমি এমন বেশ কয়েকটা সাইট চালাতাম, যেগুলো থেকে ব্যবহারকারীরা ছবি নামাতে পারতেন। এই সামান্য কাজ করতে গিয়ে আমার এত বেশি সময় চলে যেত যে আমি নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার, নতুন সাইট চালু কিংবা ব্যবসাকে আরও বড় করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রমগুলো করতে পারছিলাম না। অতএব আমি ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করতে শুরু করলাম। দেখলাম, এখানে ফ্রিল্যান্সারদের বিশাল এক দল আছে, যারা সাশ্রয়ী মূ্ল্যে ভার্চ্যুয়ালি আপনার চাহিদামতো কাজ করে দিতে পারে।
এখনকার দিনে তো মানসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সার পাওয়া আরও সহজ। বিশাল বড় ফ্রিল্যান্সারদের বাজার গড়ে উঠেছে। আপনি আপনার চাহিদার কথা জানাবেন। যাঁরা আগ্রহী, তাঁরাও বলবেন কত টাকার বিনিময়ে তাঁরা কাজটা করতে পারবেন। আপওয়ার্ক এবং এই ধরনের অন্যান্য সাইটে (মার্কেটপ্লেস) ফ্রিল্যান্সারদের কাজের পর্যালোচনা থাকে। সেগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে ওই ফ্রিল্যান্সার তাঁর কাজে কতটা দক্ষ। এটা ঠিক, আমি যেসব ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দিতাম, তাঁদের তৈরি করতে অনেক সময় চলে যেত। দিন শেষে এটা সব সময় সার্থক হতো। ভিনদেশে বসা এক ফ্রিল্যান্সারকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ ডলার দিয়ে, তাঁদের কাজটা বোঝাতে এক ঘণ্টা সময় ব্যয় করে আমার যে সময় বাঁচত, সে সময়ে আমি আরও অনেক কাজ এগিয়ে রাখতে পারতাম।
2. মানুষের কাছে যান এবং সাহায্য চান
কত মানুষ যে একেবারে অচেনা একজনের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়াতে আগ্রহী, জেনে বিস্মিত হবেন। ১৬ বছর বয়সে আমার মাথায় দারুণ একটা ওয়েবসাইটের ভাবনা এসেছিল। কিন্তু হোস্টিংয়ের টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না। বাবার কাছে টাকা চাওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না। তাই আমি বিভিন্ন অনলাইন বিজনেস ফোরামে ঢুঁ মারতে শুরু করলাম। দেখিই না ভাগ্য পরীক্ষা করে, কী হয়!
অনেকে সোজাসাপ্টা বলে দিল, ‘তোমার জন্য শুভকামনা।’ কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে আমি ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন বসানোর বিনিময়ে দুটি হোস্টিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে গেলাম। অতএব বাস্তবিকভাবেই আমি আমার প্রথম ডোমেইন ও ওয়েবসাইট চালু করেছিলাম বিনা মূল্যে। আমার পরামর্শ হলো, হোক মার্কিন গায়িকা বেয়ন্স, কোনো এক বিখ্যাত খেলোয়াড় কিংবা প্রযুক্তি দুনিয়ার কোনো একজন বড় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাহায্যের জন্য কারও কাছে যেতে ভয় পাবেন না। হয়তো ইতিবাচক সাড়া দিয়ে তাঁরা আপনাকে অবাক করে দেবেন।
3. সমমনা মানুষকে পাশে রাখুন
সঠিক অনুপ্রেরণা ও সহায়ককর্মী খুঁজে পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে ওয়েবসাইট ডেভেলপারদের যেসব ক্ষেত্র আছে, ১৬ বছর বয়সে আমি সেসব জায়গায় বিচরণ করতে শুরু করি। বিভিন্ন ফোরামে অনেকের সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক হলো। জানলাম, কীভাবে শুধু ওয়েবসাইট বানিয়েই মাসে ১০ হাজার ডলার আয় করা যায়।
আমি একেবারেই তরুণ ছিলাম। অনলাইনে লোকে যেহেতু আমার বয়স দেখতে পাচ্ছে না, এটা একটা সুবিধা ছিল। আমি নিশ্চিত, তাঁরা যদি জানতেন যে আমি স্রেফ একজন টিনএজার, তাঁরা আমার কথার এত গুরুত্ব দিত না।
এখন আমি মুখোমুখি বসে ব্যবসা করতে পছন্দ করি। কখনো কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলে কিংবা রাতের খাবার খেতে খেতে সরাসরি কথা বললে দ্রুত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। চোখে চোখ রাখা কিংবা অভিব্যক্তির প্রকাশ পরস্পর বিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
4. ভাবমূর্তি গড়ার পেছনে বিনিয়োগ
লোকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটাই সব—বিশেষ করে যখন আপনি একটা ব্যবসা দা��ড় করাবেন। বর্তমান সময়ে সাশ্রয়ী প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে একটা দুর্দান্ত ব্র্যান্ড বা ভাবমূর্তি গড়ে তোলার সক্ষমতা যে কারও আছে। এ কারণেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের বড় ক্লায়েন্ট বা বিনিয়োগকারী পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ১৬ বছর বয়সেই আমি চেয়েছিলাম, আমার ব্যবসাটা যেন দেখতে নিখাদ হয়। তাই আমি ভিনদেশি পেশাদার ওয়েব ডিজাইনারদের কাজ দিয়েছিলাম, কারণ এই পদ্ধতিটা সাশ্রয়ী ছিল। আমাদের একটা ঝকঝকে, মানসম্মত ওয়েবসাইট ছিল, যা বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে একটা ভালো ভাবমূর্তি তৈরি করেছে। এমনকি লোকে ফোন করে আমাদের সেলস ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলতে চাইত। অথচ বাস্তবতা হলো, এই বিরাট কর্মযজ্ঞের পেছনে ছিল স্রেফ দুজন, আমি আর আমার সমবয়সী ব্যবসায়িক অংশীদার কাইল।
ব্যবসার ভাবমূর্তি গড়ে তোলার আরও হাজারো উপায় আছে। আপনি ১০ ডলারে একটা ডোমেইন (ওয়েবসাইটের ঠিকানা) কিনে অল্প কিছু ডলারের বিনিময়ে সেই ডোমেইনের জন্য একটা ই–মেইল ঠিকানাও কিনে নিতে পারেন। আর আজকাল তো স্কোয়ারেস্পেস বা উইক্সের মতো ওয়েবসাইট হোস্টিং মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো ডেভেলপার ছাড়াই সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
সঠিক মানসিকতা, কীভাবে কী করতে হয়, সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা এবং মৌলিক বিষয়গুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা থাকলে যে কেউ যেকোনো বয়সে একটা সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন। এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করা মোটেই অবাস্তব নয়।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মো. সাইফুল্লাহ
1 note
·
View note
Text
টোম্যাটোর সঙ্গে বিশেষ সব্জি, শিখে নিন ‘ইমিউনিটি বুস্টিং’ চাটনি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই হবে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। করোনা আবহে বার বার এমন কথাই বলছেন চিকিৎসকরা। এমন একটা খাবার বাড়িতে সহজেই রোজ খাওয়া যেতে পারে যা বানাতে ঝক্কিও নেই। খরচও একদমই কম। তা হল টোম্যাটোর চাটনি। তবে এতে পড়ছে বিশেষ একটি সব্জি। যা সাধারণত চাটনিতে দেওয়া হয় না। নুন ও চিনিও খুব কমই ব্যবহার করা হয়েছে। এতে উপকরণও লাগবে একদম সামান্য। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি। পুষ্টিবিদ সোমা চক্রবর্তী বলেন, টোম্যাটোতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।
ফলে এগুলি মুক্ত মূলকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়াও টোম্যাটোতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। একটি মাঝারি আকারের টোম্যাটোতে থাকে মাত্র ২৫ ক্যালরি। টোম্যাটো ফাইবার সমৃদ্ধ একটি সব্জি। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২, ফোলেট, ক্রোমিয়াম এ সবই থাকে এতে। এই সব্জিতে ক্যারটিনয়েড, লাইকোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে।
এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসগুলি ক্রনিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়়াও এতে রয়েছে পটাসিয়াম। তবে কিডনি বা ইউরিক অ্যাসিডের রোগী হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান টোম্যাটো। চাটনিতে দেওয়া হয়েছে রসুন।অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জি রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে রসুন।রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে রসুন। কমায় রক্তবাহ নালীর উপর রক্তের চা��ও। তাই উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে থাকুক এই সব্জি।
উপকরণ
টোম্যাটো ১টি , রসুন ৫ কোয়া , কাঁচা লঙ্কা ১টি , হাফ চা চামচ সর্ষের তেল , হাফ চা চামচ নুন , হাফ চা চামচ চিনি
প্রণালী: টোম্যাটো, রসুন আর কাঁচালঙ্কা রোস্ট করে নিতে হবে প্রথমে। অর্থাৎ তেল ছাড়াই কড়াইয়ে দিয়ে অল্প সেঁকে নিতে হবে। আঁচ নিভিয়ে তার মধ্যে সর্ষের তেল, নুন চিনি দিয়ে কড়াইয়ে হাতা চেপে চেপে নরম করে নিতে হবে। এই মিশ্রণটিকে এরপর শিলনোড়া বা মিক্সিতে বেটে নিন। তৈরি ইমিউনিটি বুস্টিং চাটনি। ভাত পাতের শেষে কিংবা রুটি-পরোটার সঙ্গী হিসাবে এই চাটনির জুড়ি মেলা ভার। চাইলে পাউরুটির উপর স্প্রেড হিসেবে ব্যবহার করে গোলমরিচ ছড়িয়ে সন্ধ্যার স্ন্যাক্স বা জলখাবারেও মন্দ লাগবে না।
More Update..
0 notes
Text
চীনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে দেশে ১ম ভলান্টিয়ার লি জিমিং
News and media website
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের বাংলাদেশ পর্বে প্রথম ভলান্টিয়ার হচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সোমবার (২০ জুলাই) ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডেপুটি চিফ অফ মিশন হুয়ালং ইয়ান ফেসবুকে জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের বাংলাদেশ পর্বে প্রথম ভলান্টিয়ার হচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
হুয়ালং ইয়ান আরো জানান, তাকে সুযোগ দিলে তিনি দ্বিতীয় ভলান্টিয়ার হতে আগ্রহী। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চীনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের সাতটি হাসপাতালের দুই হাজার ১০০ স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর এই ট্রায়াল হবে। এটা শেষ হতে প্রায় ১৮ মাস সময় লাগবে।
#topreadingnews
More Update...
0 notes
Text
সুশান্ত খুন হয়েছেন, প্রমাণ দিতে না পারলে পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন কঙ্গনা
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বার বার গর্জে উঠেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সরব হয়েছেন বলিউডে নেপোটিজম এবং মাফিয়া রাজ নিয়ে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে কঙ্গনা জোর গলায় বলেছেন, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে তিনি যে দাবি করেছেন, তা যদি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন। খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের।
কঙ্গনা বলেন, ‘আমাকে মুম্বই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠিয়েছে। আমি যেহেতু এখন মানালিতে রয়েছি, তাই পুলিশকে অনুরোধ করেছি আমার বক্তব্য নেয়ার জন্যে তারা কাউকে এখানে পাঠিয়ে দেয়। তবে এরপর তাদের পক্ষ থেকে আর যোগাযোগ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা জোর গলায় বলতে পারি, আমি যদি এমন কোনও দাবি করে থাকি যার প্রমাণ পুলিশের সামনে দিতে পারব না, তাহলে আমি পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দেব। বুঝব এই সম্মানের যোগ্য আমি নই। আমি যা যা বলেছি তা পাবলিক ডোমেনেই রয়েছে।
সেখান থেকে সরে আসারও কোনও প্রশ্ন ওঠে না।’ কঙ্গনা বলেন, ‘সুশান্তের এমন মৃত্যু আমাদের নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছেন যারা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন দীর্ঘ সময় ধরে অবসাদে ভোগার কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুশান্ত। কিন্তু ওর মতো ব্রিলিয়ান্ট মানুষ কী করে অবসাদে ভুগতে পারে? আপনারা খেয়াল করে দেখবেন সুশান্ত শেষের দিকে বেশ কিছু সাক্ষাত্কারে বার বার জিজ্ঞাসা করেছেন কেন ইন্ডাস্ট্রি তাকে আপন করে ��িচ্ছে না। নিজেকে এই জগতে লেফ্টওভার ভাবতে শুরু করেছিলেন তিনি। আপনাদের কি মনে হয়, এর কোনও গুরুত্ব নেই। এটা কোনভাবেই আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন। সুশান্ত শুধু একটাই ভুল করে ফেললেন, নোংরা প্ল্যানিংয়ের কাছে হার স্বীকার করে ফেললেন।
#topreadingnews
More Update...
0 notes
Text
ফ্রিল্যান্স চাকরির চাহিদা বাড়ছে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকে পড়ছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সংস্থাগুলো ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেসে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় ও বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ দেওয়ার নীতি দেওয়ায় ফ্রিল্যান্স চাকরির চাহিদা বেড়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির পরে খরচ কমাতে অনেক প্রতিষ্ঠান স্থায়ী কর্মীকে সরিয়ে ফ্রিল্যান্স কর্মীর দিকে ঝুঁকবে। ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রিল্যান্স এবং প্রকল্প ভিত্তিক কাজের গিগ প্ল্যাটফর্ম ফ্লেক্সিং ইট জানিয়েছে গত এপ্রিল মাসে ফ্রিল্যান্স পদে চাকরির জন্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বেড়েছে ৭৫ শতাংশ।
এইচআর টেকনোলজি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পিপলস্ট্রং পূর্বাভাস দিয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আইটি, আইটিইএস, স্টার্টআপ, হসপিটালিটি ও কুইক সার্ভিস রেস্টুরেন্ট, রিটেইল, লজিস্টিকের মতো বিভিন্ন খাতে ২৫-৩০ ভাগ কর্মী ফ্রিল্যান্স পদে রূপান্তরিত হবে। ফ্লেক্সিং ��ইটির প্রধান নির্বাহী চান্দ্রিকা পাসরিচা বলেন, ‘আমাদের প্ল্যাটফর্মে দক্ষ পরামর্শক, বিশেষ কৌশল , প্রযুক্তি ও মার্কেটিং দক্ষতাসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সারের চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে।
‘ আইটি ও আইটিখাত সংযুক্ত বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, ফার্মাসিউটিক্যাল, শিক্ষা, পেশাদার সেবা, পরামর্শকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিংখাতে দক্ষ কর্মীদের আগের চেয়ে এখন বেশি খুঁজতে শুরু করেছে। যেহেতু প্রকল্প ভিত্তিক কাজ করতে হবে তাই কর্মীর খরচ কমানোর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও নির্দিষ্ট প্রকল্প অনুযায়ী দক্ষ কর্মী নিয়োগের সুবিধা হচ্ছে এতে। বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে।
ফ্লেক্সিং ইট কর্তৃক পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের পরে গত ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে এ প্ল্যাটফর্মে দূরে থেকে কাজ করা প্রকল্পের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে পেশাদার ফ্রিল্যান্সার নিবন্ধন ৮৪ শতাংশ বেড়েছে। যার কারণ, সম্ভবত চাকরি হারানোর আশঙ্কা, সংস্থাগুলোতে পরিবর্তন বা পেশাদার কর্মীরা আয়ের অতিরিক্ত উত্স তৈরি করতে চাইছেন।
More Update...
0 notes
Text
Top Reading News
ফ্রিল্যান্সিংয়ে দিনে কত ঘণ্টা কাজ করতে হয়?
যাঁরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী, তাঁদের একটি সাধারণ প্রশ্ন থাকে—ফ্রিল্যান্সিংয়ে দিনে কত ঘণ্টা কাজ করতে হয়? দক্ষ ফ্রিল্যান্সারা মনে করেন, আসলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কতক্ষণ কাজ করতে হবে, তার ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। ক্লায়েন্টের সঙ্গে আপনার চুক্তির ওপর তা নির্ভর করবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের ক্ষেত্রে প্রায় সময় আপনাকে রাতে কাজ করতে হতে পারে। তবে মনে রাখা জরুরি, যে কাজই করুন না কেন, তা ভালো করে জেনে-বুঝে তারপর করতে হবে এবং ক্লায়েন্টের সঙ্গে সব সময় ভালো যোগাযোগ রাখতে হবে। আর এই বিষয়গুলো আপনাকে পরবর্তী সময়ে নতুন কাজে অনেক সাহায্য করবে।ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে নানা রকম কাজ রয়েছে। প্রথমেই জানা জরুরি যে ভাসা–ভাসা ধারণা বা দক্ষতা নিয়ে আপওয়ার্ক বা যেকোনো মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ পাওয়ার চিন্তা করলে হতাশ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে একশ্রেণির কাজের সঙ্গে আরেক শ্রেণির কাজের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। তাই সময়ের বিষয়টি কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। কিছু কাজ অল্প সময়ে করা যেতে পারে; আবার দীর্ঘমেয়াদি কাজের সুযোগও রয়েছে। দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন গ্রাফিকস, ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের ��তো কাজ করছেন।এর বাইরে সাধারণ ডেটা এন্ট্রি, কনটেন্ট লেখা থেকে শুরু করে অনুবাদের কাজেও অনেক ফ্রিল্যান্সার যুক্ত রয়েছেন। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার বিশেষ কোনো কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। সেটা হতে পারে কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, স্মার্টফোনের অ্যাপ তৈরি কিংবা এমন অসংখ্য কাজের মধ্যে কোনোটা, যেটাতে আপনি নিজেকে ভালো মনে করেন। মনে রাখা ভালো, আপনি কোনো কাজে দক্ষ না হলে প্রথমে কোনোভাবে কাজ পেয়ে গেলেও বেশি দিন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকতে পারবেন না।এখানে আপনার দক্ষতাই সব। অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে একজন মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। যাঁদের কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ আছে, তাঁরা যথাযথ দক্ষ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং একটু কম বয়সে শুরু করা ভালো, কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি কাজ করতে পারবেন। তবে একাজে যথেষ্ট ধৈর্য থাকতে হবে।
More Update...
0 notes
Text
Top Reading News
Top Reading News
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির কার্যক্রম আগামী ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ভর্তির যাবতীয় তথ্য শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে। রোববার (১৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য জানান। গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর জুনের প্রথম সপ্তাহে একাদশে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সম্মিলিত পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭২ জন শিক্ষার্থী।
১০টি বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন। উত্তীর্ণরাই একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। গত কয়েক বছর ধরে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে। এবারও শিক্ষার্থীদের অনলাইনে (www.xiclassadmission.gov.bd) ভর্তির আবেদন করতে হবে।
একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবেন। তবে একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে তার মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার, কয়েক দফা বাড়ানোর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। অন্যদিকে, ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।
#HscAdmission
#Hscadmissiondate
1 note
·
View note