Don't wanna be here? Send us removal request.
Text
0 notes
Text
কোন নারীর সাথে সহবাস করা বেশি আনন্দদায়ক? সহবাস করার সর্বোত্তম সময়
কোন নারীর সাথে সহবাস করা বেশি আনন্দদায়ক? সহবাস করার সর্বোত্তম সময়
Contents Of Table hide
1 স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সর্বোত্তম সময়
2 কোন নারীর সাথে যৌনমিলন আনন্দদায়ক?
3 সহবাসের পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয়ে নির্দেশনা
4 সহবাসের উত্তম পদ্ধতি
5 সহবাসের নিকৃষ্ট পদ্ধতি
6 উপসংহার:
আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে ইসলামিক পন্থায় সহবাসের সর্বোত্তম সময় এবং কখন কিভাবে সহবাস করবেন। তো চলুন- শুরু করা যাক আশা করছি আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়বেন।
স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সর্বোত্তম সময়
স্বামী-স্ত্রী মিলনের সর্বোত্তম সময় হলো খাবার হজম হওয়ার পর। যখন শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ থাকে। খুব গরমও না আবার খুব ঠাণ্ডাও না। খুব শুকনো না আবার খুব ভেজাও না। সম্পূর্ণ পেট ভরাও না, আবার একদম খালিও না। তবে ভরা পেটে স্ত্রীর সাথে সহবাস করার ক্ষতির তুলনায় খালি পেটে ক্ষতি অনেক বেশি। অনুরূপ অধিক আর্দ্র অবস্থায় সহবাসের ক্ষতি অধিক শুষ্ক অবস্থায় সহবাসের তুলনায় বেশি। অধিক গরম অবস্থায় সহবাসের ক্ষতি অধিক ঠাণ্ডা অবস্থায় সহবাসের তুলনায় কম। উপযুক্ত সময় হলো, যখন সহবাসের ইচ্ছা হয় এবং পুরুষাঙ্গ কোনো কষ্ট ছাড়াই সহজে উত্তেজিত হয়। এ জন্য কোনো দৃশ্যের চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন হয় না। আর বারবার স্ত্রীকে দেখারও প্রয়োজন হয় না । এটাও সমুচিত সময় না যে, অযথা যৌনমিলনের ইচ্ছাকে উত্তেজিত করে নিজেকে প্রয়োজন ছাড়াই বাধ্য করবে। যখন বীর্য বেশি হবে, পুরুষাঙ্গ নিজে নিজেই উত্তোলিত হবে । যখন সম্পূর্ণ উত্তেজিত হবে, তখন মিলন করবে।
কোন নারীর সাথে যৌনমিলন আনন্দদায়ক?
এমন বৃদ্ধা ও অপ্রাপ্তবয়সী নারীর সাথে সহবাস করবে না যাদের যৌন উত্তেজনা নেই। অসুস্থ, বদসুরত ও অপছন্দনীয় নারীর সাথে সহবাস করার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এই সহবাস কার্যকরী কোনো ফলাফল আনয়ন করে না। যারা মনে করে, বিবাহিত নারীদের সাথে সহবাস করা কুমারী নারীর সাথে সহবাসের চেয়ে বেশি উপকারী ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তাদের অনুমান ও গবেষণার ভিত্তি সঠিক নয়। বিজ্ঞ গবেষকগণের মতামতের পরিপন্থি। বিজ্ঞান ও ইসলাম সমর্থিত নয়। কুমারী নারীর সাথে সহবাসের স্বতন্ত্র বিশেষত্ব রয়েছে। কুমারী নারী এবং পুরুষ পরস্পর মিলনে তাদের মাঝে গভীর ভালোবাসা তৈরি হয়। কুমারী নারীর অন্তর পুরুষের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকে। তাদের ভালোবাসার মাঝে অন্য কারও প্রতিবন্ধকতা থাকে না। বিবাহিত নারীর বিষয়টি এমন নয়। এজন্যই রাসু�� (সা.) হযরত জাবের রাযি.-কে বলেছিলেন, কেন তুম�� কুমারী নারীকে বিয়ে করলে না।
মহান রাব্বুল আলামিন জান্নাতে যে সকল নারীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে দেবেন, তারা হবে আনতনয়না। ইতোপূর্বে কেউ তাদের স্পর্শ করেনি। জান্নাতিরাই হবে তাদের প্রথম পুরুষ। একবার হযরত আয়েশা রাযি. রাসুল থেকে জানতে চেয়ে বললেন, যদি আপনি এমন কোনো গাছের পাশ দিয়ে যান যাতে উট চড়ানো হয়েছিল, অতঃপর আপনি এমন কোনো গাছের পাশ দিয়ে যান যাতে উট চড়ানো হয়নি। তাহলে আপনি আপনার উট কোথায় চড়াবেন? রাসুল বললেন, যেখানে চড়ানো হয়নি সেখানে। এই দৃষ্টান্তে হযরত আয়েশা রাযি. বোঝাতে চেয়েছেন, যে নারীকে কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি আমিই হচ্ছি সেই নারী। পছন্দনীয় নারীর সাথে যৌনমিলনে বেশি বীর্য নির্গত হলেও শরীর দুর��বল কম হয়। বিপরীতে বীর্য কম নির্গত হলেও অপছন্দনীয় ও ঘৃণিত নারীর সাথে সহবাসের পর শরীর খুব বেশি দুর্বল হয়ে যায়। আর হায়েজা (ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড হওয়া) নারীর সাথে সহবাস করা তো রুচি ও শরিয়ত উভয় পরিপন্থি। শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সমস্ত স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা এর থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।
সহবাসের পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয়ে নির্দেশনা
সহবাসের উত্তম পদ্ধতি
যৌনমিলনে সবচেয়ে উত্তম নিয়ম ও পদ্ধতি হলো, পুরুষ নারীর উপরে থাকবে। হাসি-মজা ও চুমু খাওয়ার পর চিৎ করে তার সাথে সহবাস করবে। এজন্যই নারীকে বিছানা বলা হয়েছে। রাসুল বলেন, সন্তান শয্যাশায়ীর। এখানে নারীকে বিছানার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এতে নারীর উপর পুরুষের পূর্ণ ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রমাণিত । তারা তোমাদের পোশাকস্বরূপ এবং তোমরা তাদের পোশাকস্বরূপ। উপরোক্ত পদ্ধতিতে যৌনমিলনের দ্বারাই পরস্পরের জন্য পোশাকস্বরূপ বলা চলে। কেননা পুরুষের বিছানা তার জন্য পোশাক। অনুরূপ নারীর চাদর তার জন্য পোশাক।
সারকথা, সহবাসের উপযুক্ত পদ্ধতিটি এ আয়াত থেকেই নেওয়া। এই পদ্ধতিতে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের জন্য পোশাক হওয়ার সর্বোত্তম উপমা। উল্লিখিত আয়াতে কারিমার আরেকটি পর্যালোচনা হলো, যৌনমিলনের সময় স্ত্রী কখনো কখনো স্বামীর শরীরের সাথে একেবারে লেগে যায়, যাকে স্ত্রী- স্বামীর জন্য পোশাকস্বরূপ বলা যায়। বিষয়টি কবি
অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, إِذَا مَا الضَّجِيعُ ثَنَى جِيدَهَا ، تَثَنَّتْ فَكَانَتْ عَلَيْهِ لِبَاسًا
শোয়ার সময় প্রিয়া তার কোমল ঘাড় ঘুরিয়ে আমাকে এমনভাবে জড়িয়ে ধরে, যেন সে আমার পোশাক।
সহবাসের নিকৃষ্ট পদ্ধতি
সহবাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পদ্ধতি হলো, মহিলা পুরুষের উপরে থাকে এবং পুরুষ পেছন থেকে সহবাস করে। এটি প্রকৃতি বিরোধী সহবাস পদ্ধতি। এতে নানারকমের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, ১. বীর্য বের হতে কষ্ট ��য়। ২. অনেক সময় বিশেষ অঙ্গে বীর্য আটকে থাকে। ৩. আবদ্ধ থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে বিভিন্ন প্রকারের রোগ জন্মায়। ৪. আবার অনেক ক্ষেত্রে মহিলার লজ্জাস্থান থেকে ক্ষতিকারক আর্দ্রতা পুরুষের বিশেষ অঙ্গের দিকে নেমে আসে। ৫. অনুরূপ মহিলার বাচ্চা জন্মের জন্য পুরুষের নির্দেশনায় নারীকে ‘ক্রিয়া সম্পাদনকৃতা’ বলা হয়েছে। এখন উপরে রেসে বিলম্বিত হয়। এছাড়াও যৌনমিলনের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ও শরিয়তের নির্দেশনায় নারীকে ‘ ক্রিয়া সম্পাদনারকৃতা’ বলা হয়েছে। এখন উপরের রেখে কাজ করার ক্ষেত্রে তাকে কেমন যেন কর্তা সাব্যস্ত করা হলো।। শরিয়ত উভয়ের পরিপন্থি। আর আহলে-কিতাবরা তাদের স্ত্রীদের পার্শ্বদেশ দিয়ে সহবাস করতো। তারা বলতো এটি মহিলাদের জন্য খুবই আরামদ ও আনন্দদায়ক। কুরাইশ ও আনসাররা পেছনের দিক দিয়ে সহবাস কর পছন্দ করতো। তাদের এই অভ্যাস নিয়ে ইহুদি ধর্মের অনুসারীরা সমালোচন করে। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারিমে আয়াত অবতীর্ণ করেন আল্লাহ তাআলা বলেন,
نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ. তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত। তাই যেদিক দিয়ে ইচ্ছে তাতে প্রবেশ করো।
উপসংহার:
সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম গ্রন্থদ্বয়ে হযরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাহি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইহুদি ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করতো, পেছনে দিক থেকে সহবাস করলে সন্তান টেরা হয়। তাদের জবাবে আল্লাহ তাআল এই আয়াত নাজিল করেন, তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র। যেদিক দিয়ে ইচ্ছে তাতে প্রবেশ করো। সহিহ মুসলিম গ্রন্থের হাদিসে আরও কিছু আলোচনা রয়েছে, যদি ইচ্ছে করে। সামনের দিক থেকে আসবে। ইচ্ছা করলে অন্যভাবেও আসতে পারবে। তবে মনে রাখবে অস্বাভাবিকভাবে এবং প্রকৃতি বিরুদ্ধভাবে আসা অবশ্যই পরিত্যাগ করবে। কেননা এতে ক্ষেতের উপমা সঠিক হবে না।
আরো জানুন:
1 note
·
View note