#bdfashionmodel
Explore tagged Tumblr posts
Text
ছেলেদের চুলের যত্ন
সকালে ঘুম থেকে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত ত্বক ও শরীরের নিয়মিত যত্ন নিচ্ছেন। নিয়মিত খাচ্ছেন, এক্সারসাইজ করছেন, এক কথায় নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য যা যা করা দরকার সব করছেন। এসবই করছেন কারণ আপনি নিজেকে ইয়াংগার লুকিং দেখাতে চান। এতকিছুর পর যদি চুল সুন্দর না থাকে তাহলে কি কোনো লাভ হবে বলুন তো? স্মার্ট গ্রুমিং এর জন্য ছেলেদেরও হেয়ার কেয়ার করা জরুরি। কিন্তু ছেলেদের চুলের যত্ন নিতে কী কী করা উচিত এ বিষয়ে কনফিউজড? আজকের আর্টিকেলে এ বিষয়েই জানাবো বিস্তারিত।
চুলের ধরন বুঝুন আগে
চুলের যত্ন নেয়ার আগে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার চুলের ধরন কী। এটা বুঝতে পারলেই হেয়ার কেয়ার অনেকটাই ইজি হয়ে যায়। আপনার কি অয়েলি, ড্রাই, ফ্রিজি নাকি ফ্ল্যাট হেয়ার? ধরন বুঝতে পারলে কোন চুলের জন্য কী ধরনের প্রোডাক্ট জরুরি সেটাও বুঝতে পারবেন সহজেই। প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে কী কী ইনগ্রেডিয়েন্ট রয়েছে সেটা ভালো করে পড়ে নিবেন। কিছু প্রোডাক্ট আছে যেগুল��তে হার্শ কেমিক্যাল থাকে বলে চুল দ্রুত ড্যামেজ হয়ে যায়। তাই ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে তৈরি প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে চুল হেলদি ও ড্যামেজ ফ্রি থাকবে। সেই সাথে আরও কিছু পয়েন্ট আছে যেগুলো ছেলেদের চুলের যত্ন নেয়ার জন্য জেনে রাখা জরুরি।
ছেলেদের চুলের যত্ন নেয়ার জন্য টিপস
১) স্ক্যাল্প ক্লিন রাখুন
স্ক্যাল্প ক্লিন থাকা মানে হেলদি স্ক্যাল্প। যদি নিয়মিত স্ক্যাল্প পরিষ্কার না করা হয় তাহলে ব্যাকটেরিয়া বাড়বে ও ইনফ্ল্যামেশন হবে, যা ফলিকলে নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলবে। সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পাওয়ার জন্য স্ক্যাল্প হেলদি রাখা জরুরি। তিন ধরনের স্ক্যাল্প কন্ডিশন রয়েছে- অয়েলি, ড্রাই ও নরমাল। প্রতিটির জন্য হেয়ার কেয়ার রুটিন আলাদা।
অয়েলি স্ক্যাল্প – যদি কোনো প্রোডাক্টের ব্যবহার ছাড়াই স্ক্যাল্প গ্রিজি হতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সেটা অয়েলি স্ক্যাল্প। এ ধরনের স্ক্যাল্পে সিবাম বেশি প্রোডিউস হয় বলে গ্রিজি হয়ে যায়। ওভারওয়াশ করলে, ভুল হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে এ সমস্যা হতে পারে। তাই এ ধরনের স্ক্যাল্প যাদের, তাদের ওভারওয়াশ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অয়েলি স্ক্যাল্পের জন্য ফর্মুলেটেড প্রোডাক্ট ইউজ করতে হবে।
ড্রাই স্ক্যাল্প – ফ্লেকি হেয়ার আর ইচি স্ক্যাল্প হলে বুঝতে হবে আপনার স্ক্যাল্প ড্রাই। এ ধরনের স্ক্যাল্প ময়েশ্চার দ্রুত হারিয়ে ফেলে, যার কারণে ড্রাই হয়ে যায়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস, স্ট্রেস এসব কিছুর কারণে এই সমস্যা হতে পারে। মেডিকেটেড শ্যাম্পু, ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু, চুল কম ধোয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা, স্ট্রেস লেভেল কন্ট্রোল করা – এসবই সমাধান ড্রাই স্ক্যাল্পের হাত থেকে রেহাই পেতে চাইলে।
নরমাল স্ক্যাল্প – যদি হেয়ার শাইনি হয় এবং কোনো স্প্লিট এন্ড না থাকে, তাহলে আপনার স্ক্যাল্প নরমাল। এ ধরনের স্ক্যাল্পে ফ্লেকস, রেডনেস, ইরিটেশন হয় না। নরমাল স্ক্যাল্প মেইনটেইন করতে হলে হেয়ার টাইপ অনুযায়ী ন্যাচারাল হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস ব্যবহার করতে হবে।
২) ন্যাচারাল ও জেন��টল শ্যাম্পু ইউজ করুন
চুলের জন্য সব সময় এমন প্রোডাক্ট ইউজ করুন যেগুলো ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে তৈরি এবং জেন্টলি ক্লিন করা যায়। হার্শ কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু অ্যাভয়েড করতে হবে। এমন শ্যাম্পু বেছে নিন যেগুলোতে পেট্রোকেমিক্যাল, সালফেট, প্যারাবেন বা সিলিকন নেই।
৩) প্রতিদিন শ্যাম্পু করবেন না
ছেলেদের চুলের যত্ন নেয়া ঠিক ততটাই জরুরি যতটা মেয়েদের চুলের জন্য যত্ন নেয়া হয়। আর এটা ভেবেই অনেকে প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। স্ক্যাল্পে ন্যাচারাল অয়েল আছে যার কারণে চুল নারিশড থাকে, প্রোটেক্টেড ও হেলদি থাকে। বারবার শ্যাম্পু করলে এই অয়েল চলে যায়, যার কারণে চুল দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই ১/২ দিন পরপর চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৪) কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
ছেলেদের চুলের যত্ন নেয়ার জন্য আবার কন্ডিশনার লাগে নাকি? মেয়েদের চুল লম্বা বলে শুধু তারাই এটা ইউজ করে। – এমনটা কি আপনিও ভাবছেন? তাহলে ভুল ভাবছেন। কারণ ছেলে বা মেয়ে সবার চুলই নারিশড রাখার জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। সঠিক কন্ডিশনার ব্যবহারে স্ক্যাল্প ও হেয়ার নারিশড থাকে, হেয়ার গ্রোথ প্রমোট করে, হেয়ার কিউটিকল প্রোটেক্টেড থাকে ও স্ট্রেন্থ হয়, হেয়ার হেলথ ম্যাক্সিমাইজ করে। সবচেয়ে বড় কথা, চুল ময়েশ্চারাইজড থাকে, স্ট্রং থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে শাইনি হয়।
৫) প্রোপার গ্রুমিং করুন
শেষ কবে চুল কাটিয়েছিলেন? যদি এটা লম্বা সময়ের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে দেরি না করে চুল ছেঁটে ফেলুন। হেলদি চুলের জন্য এটাও খুব ইম্পরট্যান্ট। কতটুকু চুল বড় রাখতে চান বা কোন হেয়ারস্টাইল চাচ্ছেন সেটা হেয়ার স্যালনে যেয়ে জানালে ওরা ট্রিম করে দেবে। সূর্যরশ্মি, ধুলোবালি, প্রতিদিনের নানা ব্যস্ততায় বাইরে থাকার কারণে ছেলেদের চুলের বেশ ক্ষতি হয়। আর এগুলোর কারণে হেয়ার স্ট্র্যান্ড দুর্বল হয়ে যায়, স্প্লিট এন্ড বেড়ে যায় এবং হেয়ার ড্যামেজ হয়।
৬) সচেতন হোন
অনেকেই হেয়ার কেয়ার করতে যেয়ে বেশ রাফ, টাফ আর কেয়ারলেস হয়ে যান। রাফলি হেয়ার ওয়াশ করেন, স্টাইল করতে যেয়েও চুলের ক্ষতি করেন। চুল ভালো রাখতে হলে এসব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাই হেয়ার কেয়ারে মানতে হবে কিছু নিয়ম।
চুল শুকানোর সময় তাওয়েল দিয়ে জোরে জোরে রাব করা যাবে না। এতে স্ট্র্যান্ড দুর্বল হয়ে যায়, যা ছেলেদের চুলের জন্য ক্ষতিকর।
গোসলের সময় বেশি গরম পানি ব্যবহার করবেন না। হাই টেম্পারেচারে চুলের ন্যাচারাল অয়েল ওয়াশ হয়ে যায়।
এক্সট্রা হট হেয়ার ড্রায়ার হেয়ার কেয়ার রুটিন থেকে বাদ দিন। লং টার্ম চলতে থাকলে হাই টেম্পারেচারের কারণে চুল ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়।
চুলে জট লাগলে বা চুল জোরে জোরে টানলে স্ক্যাল্পে ইরিটেশন ফিল হয় এবং ধীরে ধীরে চুল পাতলা হয়ে যেতে থাকে, আর এ কারণে চুল ঝরে পড়তে থাকে।
৭) নিয়মিত চুল ধুয়ে নিন
স্ক্যাল্পে অয়েল, ডার্ট জমা হয়ে ইরিটেশন বাড়াতে পারে, গ্রিজিনেস, ইচিং ও ফ্লেকিং হয়। তাই নিয়মিত চুল ধোয়া জরুরি। প্রতিদিন গোসল ও সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে স্ক্যাল্প ও হেয়ার দুইই ভালো থাকবে।
৮) স্টাইলিং প্রোডাক্ট কম ব্যবহার করুন
মেন’স হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্টের মধ্যে হেয়ার জেল, ওয়্যাক্স, এমনকি হেয়ার স্প্রেও থাকে। এগুলোর কোনোটাই ব্যবহার করাতে নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল দেখতে আনন্যাচারাল ও হেভি লাগে। তাই অল্প পরিমাণ ব্যবহার করাই ভালো। এক্সেস হয়ে গেলে চুলের স্টাইল করতে যেয়ে ক্ষতিটাই বেশি হবে।
৯) নিজে নিজে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করবেন না
অনেকেই চুল কালার করতে চান বা কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করাতে চান। স্যালনে না যেয়ে ঘরে বসেই করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। সঠিক প্রসেস ফলো না করার কারণে চুল ড্রাই, ড্যামেজ বা ডাল হয়ে যেতে পারে। তাই একজন ভালো হেয়ার স্টাইলিস্টের পরামর্শ নিয়েই এই কাজগুলো করা উচিত।
১০) স্বাস্থ্যকর খাবার খান
ছেলেদের চুলের যত্ন নেয়ার জন্য শুধু নানা প্রসেস ফলো করে গেলেই হবে না। যদি ইন্টারনালি আপনার বডি হেলদি না থাকে, তাহলে কোনো কিছু করেই রেজাল্ট ভালো আসবে না। এজন্য-
পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। আপনি যদি হাইড্রেটেড থাকেন, তাহলে স্ক্যাল্পও ভালো থাকবে, চুল কম পড়বে।
ভিটামিন ই ও সি যুক্ত খাবার হেয়ার গ্রোথ প্রমোট করে। ভিটামিন ই এমন একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ব্লাড ফ্লো ইমপ্রুভ করে এবং স্ক্যাল্প হেলদি থাকে। ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোডাকশন প্রমোট করে, যা হেলদি হেয়ারের জন্য খুবই ইম্পরট্যান্ট। হেয়ার সেল হেলদি রাখার জন্য বায়োটিনও খুব ভালো কাজ করে। তাই বায়োটিন যুক্ত খাবার যেমন – স্যালমন, অ্যাভোক্যাডো, বাদাম এগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
ছেলেদের চুলের যত্ন নেয়ার জন্য স্ক্যাল্প ও চুলের ধরন বোঝা জরুরি। আশা করি আজকের আর্টিকেলে বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন��� আপনার চুলের ধরন বুঝে চুলের যত্ন নিতে আশা করি সমস্যা হবে না। অথেনটিক সেলফ কেয়ার ও মেকআপ প্রোডাক্টস পেয়ে যাবেন চারদিকে’তে। চারদিকে’র দুটি আউটলেট রয়েছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল ও নারায়ণগঞ্জ এর চাষাড়াতে আল জয়নাল ট্রেড সেন্টারে। ফিজিক্যালি কিনতে চাইলে এই দুটি আউটলেট ঘুরে আসতে পারেন। আর ঘরে বসে প্রোডাক্ট হাতে পেতে চাইলে অর্ডার করতে পারেন চারিদিকে’র ওয়েবসাইট ও অ্যাপে।
মডেল: চন্দন মজুমদার প্রতিবেদন: রিফাত ইসলাম
0 notes
Text
কলকাতায় বুবলী !
সিনেমার শুটিংয়ের কাজে গত ৭ জানুয়ারি কলকাতায় উড়াল দিয়েছেন বুবলী। ইতোমধ্যে কলকাতা পর্বের শুটিং শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুটিং হবে ডুয়ার্সে।
চলতি জানুয়ারির মধ্যেই শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরবেন বুবলী। তারপর জমে থাকা দেশের সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন। এদিকে নির্মাতা রাশেদ রাহা ‘ফ্ল্যাশব্যাক’কে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বলছেন। চিত্রনাট্য এগিয়েছে পাহাড়ের প্রেক্ষাপটের গল্পে।
এতে দেখা যাবে, মঞ্চনাটকের একসময়ের স্বনামধন্য এক অভিনেতা অঞ্জন। বহুদিন হলো সব ছেড়ে অনেকটাই অদৃশ্য তিনি। এখনও অঞ্জন অভিনয় করেন, তবে মঞ্চে কিংবা পর্দায় নয়, বাস্তবে।
বাস্তবের দৃশ্য চলতে চলতে তার অভিনয়ের চিত্রনাট্য লেখা হতে থাকে। এভাবেই হঠাৎ একদিন অঞ্জনের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় ডিকে ও শ্বেতার। ডিকে স্বভাবে ভবঘুরে। আর শ্বেতা তরুণ ফিল্মমেকার। তিনজনের একসঙ্গে চলার কয়েকটি দিন সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়েও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে।
বুবলীকে নির্বাচনের কারণ জানিয়ে নির্মাতা রাশেদ রাহা বলেন, শ্বেতা চরিত্রটির জন্য আমাদের বিবেচনায় অনেকেই ছিল। তবে আমাদের মনে হয়েছে, বুবলী ভালো করবে। সে যথেষ্ট পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল। এখন পর্যন্ত তার যতগুলো দৃশ্য সম্পন্ন হয়েছে, আমরা সন্তুষ্ট ও ভীষণ আশাবাদী।
0 notes