#Akhtaruzzaman Chowdhury Babu
Explore tagged Tumblr posts
brandmythdigital · 3 months ago
Text
The help of Anisuzzaman Chowdhury For Everyone
Anisuzzaman Chowdhury Rony has done a lot for his society and is thinking of doing a lot in the future. The only goal and objective of Mr. Anisuzzaman Chowdhury Rony are to help the people of his society to improve society. His father, Mr. Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, was a man who constantly extended his helping hand for the betterment of our country. 
Father’s ideal makes him a significant personality. Being a business owner of several companies, he opened opportunities for Bangladeshi people. His continuous hard work in the business industry marked a massive milestone in the economic development area. Furthermore, his work proved to provide benefits for all people. 
Anisuzzaman Chowdhury Rony was born in Chittagong, Bangladesh. That's why he feels connected to his district people. After gaining massive success in life, he never forgets his village and its people. Mr. Anisuzzaman Chowdhury Rony is still thinking about making his Chittagong district more developed in front of the whole of Bangladesh. From time to time, he has successfully implemented some of his plans. 
He helped with his best to overcome the poverty and unemployment in his district. He gave his district people many opportunities. Furthermore, he constantly donates to multiple organizations. He made his contribution to Mother and Child Hospital in Chittagong. He contributed with required medical equipment and gave some donations to deprived patients. 
Mr. Anisuzzaman Chowdhury Rony has been able to win the love of everyone for his unique qualities. He jumped first in any danger to society. He always devotes himself to the service of the people and his country. In the Corona epidemic, he has donated a lot to the underprivileged hospitals that have benefited everyone. Even he helped to buy some medical equipment for the corona ward. Our youth have many things to learn from Mr. Anisuzzaman Chowdhury Ronys deeds. 
0 notes
Text
5 of the great politician of Bangladesh Awamileague who is died
১.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (তিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন। মাতা সা��়েরা খাতুন। এই দম্পতির চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে মুজিব ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী;তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের।
১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। ৯ বছর বয়সে ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন তিনি। এখানে ৫ বছর শিক্ষা জীবন শেষ করে ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন মুজিব। চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি কছিলেন তিনি। এ কারণে ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ পর্যন্ত চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেন নি। ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৪ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৪৬ সালে বি.এ পাশ করেন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা ত্যাগ করে ঢাকা আগমন অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে "ল" ক্লাশে ভর্তি হন।
১৯৩৮ সালে ১৮ বছর বয়সে বেগম ফজিলাতুন্নেছার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন শেখ মুজিবুর রহমান। তাদের ২ মেয়ে- শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তিন ছেলে- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।
অল্পবয়স থেকেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে থাকে। ১৯৪০ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। কট্টরপন্থী এই সংগঠন ছেড়ে ১৯৪৩ সালে যোগ দেন উদারপন্থী ও প্রগতিশীল সংগঠন বেঙ্গল মুসলিম লীগে। এখানেই সান্নিধ্যে আসেন হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর। ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারি 'পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ' গঠন করেন। তিনিই ছিলেন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । পঞ্চাশের দশক তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের কাল। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন দূরদর্শীতা এক রাজনৈতিক নেতা। এসময় শেখ মুজিব “মুসলিম লীগ” ছেড়ে দেন এবং হোসেন সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানীর সাথে মিলে গঠন করেন “আওয়ামী মুসলিম লীগ”। তিনি দলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কৃষি মন্ত্রী হন মুজিব। ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৬৩ সালে হোসেন সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান।
ভাষা আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালে ভাষার প্রশ্নে তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম প্রতিবাদ এবং ছাত্র ধর্মঘট শুরু হয় যা চূড়ান্ত রূপ নেয় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে। যার ফলসূতিতে বাঙালি জাতি আজ বাংলা ভাষায় কথা বলছেন।
Tumblr media
৬ দফা:
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনেই শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ছয় ৬ দাবী পেশ করেন যাতে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসনের পরিপূর্ণ রূপরেখা উল্লেখিত হয়েছিল। শেখ মুজিব এই দাবিকে "আমাদের বাঁচার দাবি" শিরোনামে প্রচার করেছিলেন। এ দাবি আদায়ে শে��� মুজিবের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল।
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উত্থাপিত হয় ১১ দফা দাবি যার মধ্যে ৬ দফার সবগুলো দফায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। লাখো মানুষের এই জমায়েতে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় এবং শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। তার অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এ সরকারের অধীনে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী এবং শুরু হয় পাকিস্তানের প্রতিহত করার পালা।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। মুজিবের নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতির এই জাগরণে ভীত ইয়াহিয়া খান সামরিক আ���ন জারি করেন, নিষিদ্ধ করেন আওয়ামী লীগকে এবং শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এরপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চরাতের অন্ধকারে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনারা; শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।অশীতিপর বৃদ্ধ থেকে কোলের শিশু- কেউ রক্ষা পায়না পাক হায়েনাদের নারকীয়তা থেকে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাক বাহিনী কতৃক ধানমন্ডিস্থ স্বীয় বাসভবন থেকে পাকিস্থান সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর, ৩০ লক্ষ বাঙ্গালীর প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে আসে বিজয়। ১৬ ডিসেম্বর সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেখান থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেখানেই বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামের নতুন একটি দেশ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা হত্যা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেই সময়ে দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। সদ্য স্বাধীন হওয়া বাঙালি জাতির জীবনে এক অপূরণীয় ক্ষতি নিয়ে আসে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড। দেশে তৈরি হয় রাজনৈতিক শূণ্যতা, ব্যাহত হয় গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ধারা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালি জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনো পূরণীয় নয়।
২.জিল্লুর রহমান
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি 'জিল্লুর রহমান" ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মেহের আলী মিঞা ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও তৎকালীন ময়মনসিংহ লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলাবোর্ডের সদস্য।
জিল্লুর রহমান ময়মনসিংহ জেলা শহরে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৯৪৫ সালে ভৈরব কেবি হাইস্কুল থেকে তিনি মেট্রিক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ­ ঐতিহাসিক আমতলায় ১৯৫২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এক ছাত্র সমাবেশেজিল্লুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সেখানেই ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারিতে ফজলুল হক ও ঢাকা হলের পুকুর পাড়ে যে ১১ জন নেতার নেতৃত্বে ২১ ফেব্রুয়ারির ১৪৪ ধারা ভঙ্গেরসিদ্��ান্ত নেয়া হয়, সেখানে জিল্লুর রহমান অন্যতম নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৫৩ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অপরাধে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন এবং একই সঙ্গে তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রী কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু প্রবল আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রী ফিরিয়ে দেয়।
তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ষাটের দশকে তিনি ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৪৬ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র থাকাকালে সিলেটে গণভোটের কাজকরার সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন।১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণআন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।
মোঃ জিল্লুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি মুজিবনগর সরকার পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং জয় বাংলা পত্রিকার প্রকাশনারসঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় দখলদার পাকিস্তান সরকার তাঁরসংসদ সদস্য পদ বাতিল করে ২০ বছর কারাদ- প্রদান ও তাঁর সকলসম্পত্তি বাজেয়াফত করে।
১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণয়নে অংশ নেন। ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি মহান জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরী আইন জারির পর ওই বছরের ১৬ জুলাই রাতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে দল পরিচালনা করেন। দীর্ঘ ১১ মাস শেখ হাসিনার জেলজীবন এবং চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৬ মাস দেশের বাইরে অবস্থানকালেভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান দলকে ঐক্যবদ্ধরাখেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল অবদান রাখেন এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অবিস্মরণীয় বিজয় লাভ করে। এই নির্বাচনে তিনি ৬ষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পূর্ব পর্যন্ততিনি নবম জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালেজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জনাব জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগের প্রথম সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে ��াতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর প্রায় চার বছর মোঃ জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য থাকাকালে মোঃ জিল্লুর রহমান আবারও কারাবরণ করেন। ১৯৯২ এবং ১৯৯৭ সালে দলীয় কাউন্সিলে জিল্লুর রহমান পর পর দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী বিশিষ্ট নারী নেত্রী বেগম আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর নারকীয় গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে দু’দিন পর মৃত্যুবরণ করেন। জিল্লুর রহমান ছিলেন এক পুত্র এবং দুই কন্যার জনক।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করলে জিল্লুর রহমান সংসদ উপনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন।এর পর তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন ।
দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মহান এই মানুষ টি ১০ ই মার্চ, ২০১৩ তারিখে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনি ও মূত্রপ্রদাহে আক্রান্তজনিত কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন তিনি। ২০ ই মার্চ, ২০১৩ তারিখে তাঁর দেহাবসান ঘটে। সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহবুব উজ জামান স্থানীয় সময় ৬:৪৭ ঘটিকায় জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পূর্বেই ১৪ মার্চ, ২০১৩ তারিখে জাতীয় সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
৩.সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বাংলাদেশের মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যখন আব্দুল জলিল গ্রেপ্তার হন, তখন সৈয়দ আশরাফুল আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তার ছেলে সৈয়দ আশরাফ ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী। তিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এর পূর্বে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে আশরাফুলের পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছিল। পিতার মৃত্যুর পর সৈয়দ আশরাফুল যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং লন্ডনের হ্যামলেট টাওয়ারে বসবাস শুরু করেন।লন্ডনে বসবাস কালে তিনি বাংলা কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। সে সময় তিনি লন্ডনস্থ বাংলাদেশ যুব লীগের সদস্য ছিলেন। আশরাফুল সাহেব ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ইয়ুথ অর্গানাইজেশন (এফবি��য়াইইউ) এর শিক্ষা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৯৬ সালে আশরাফুল সাহেব দেশে ফিরে আসেন এবং জুন ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি ২০০১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠিত হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পুনরায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
২০১৫ সালের ৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করেন। এক মাস এক সপ্তাহ দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকার পর ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নিজের অধীনে রাখা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।
ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দ আশরাফুল ব্রিটিশ ভারতীয় শীলা ঠাকুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শীলা লন্ডনে শিক্ষকতা করতেন। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে (রীমা ঠাকুর), যে লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন।সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন শেখ হাসিনার দুঃসময়ের সহযাত্রী, একজন নির্ভরযোগ্য ও আস্থাভাজন মানুষ।ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী (২০০৭) আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে জিল্লুর রহমানের (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি) সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি দলের হাল ধরেছিলেন। দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়নের যে খেলা তখন চলেছিল, তার বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন তিনি।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি ২০১৮ সালে ১৮ই সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। এই অসুস্থতা নিয়েই ২০১৯ সালের ৩রা জানুয়ারি রাতে (বৃহস্পতিবার) না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি দেশে না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন দল ও জোটের নেতৃবৃন্দ।
৪.সৈয়দ নজরুল ইসলাম
১৯২৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার যমোদল দামপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম যিনি ছিলেন মুজিবনগরের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
Tumblr media
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে এমএ (ইতিহাস) এবং ১৯৫৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৬-৪৭ সালে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মুসলিম ছাত্রলীগের সম্পাদক নির্বাচিত হন।
ভাষা আন্দোলন কালে গঠিত সর্বদলীয় অ্যাকশন কমিটির সদস্য হিসেবে ভাষা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কর বিভাগে অফিসার পদ লাভ করেন। ১৯৫১ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি ময়মনসিংহে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত ���ন। এরপর ১৯৬৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং তারপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত উক্ত পদে সমাসীন ছিলেন।
১৯৬৬ সাল থেকে ৬-দফা আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে আইয়ুব সরকার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবসহবহুসংখ্যক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্কটময় সময়ে (১৯৬৬-৬৯) সৈয়দ নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন কমিটি’ নামে একটি সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করে এবং এর অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী গণ-আন্দোলনে (জানুয়ারি-মার্চ, ১৯৬৯) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিরসনের লক্ষ্যে রাওয়াল পিন্ডিতে সরকারের সাথে বিরোধী দলগুলোর গোলটেবিল বৈঠকে(২৬ ফেব্রুয়ারি, ১০-১৩ মার্চ, ১৯৬৯) তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৭ নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি গণপরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের উপনেতা নির্বাচিত হন।১৯৭১-এর অসহযোগ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইয়াহিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে (১৯ মার্চ, ১৯৭১) সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সঙ্গী। ২৫ মার্চ (১৯৭১) শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারগঠিত হয়। নবগঠিত এই সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় তার অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।
স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের নতুনমন্ত্রি পরিষদে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্য��্ত তিনিএ দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনে তিনি নিরলস কাজ করেছেন। ১৯৭২সালে তিনি আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির উপনেতা নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালে সাধারণ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২৮ নির্বাচনী এলাকাথেকে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদে দলের উপনেতা নির্বাচিতহন। তিনি শিল্পমন্ত্রী থাকা কালীন শিল্প-কারখানা জাতীয়করণ করাহয়। ১৯৭৫ সালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি হন।ওই বছর বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি এর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য কর্তৃক সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হন। এরপর দেশে সামরিক আইন জারি করা হয় এবং খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রপতি হয়ে পুরোনো সহকর্মীদের কয়েকজনকে তার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ চার নেতা (তাজউদ্দিন আহমদ,এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান) উক্ত মন্ত্রিসভায় যোগদানে অস্বীকৃতি জানালে ২৩ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মহান এই নেতাকে পরে বনানী গোরস্তানে সমাহিত করা হয়।
৫.আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু
একজন আদর্শ জনপ্রিয় রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণমানুষের অতি কাছের মানুষ জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ১৯৪৫ সালের পহেলা মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আনোয়ারা হাইলধর গ্রামে। ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই ছোট্ট ছেলেটি যে একদিন গরিবের সাথী হবে এবং বাংলা কে করে তুলবে গর্বিত তা কেউ কল্পনাও করেনি তখন।
আইনজীবী এবং তার পাশাপাশি নিজের অঞ্চলের জমিদার ছিলেন তার পিতার নুরুজ্জামান চৌধুরী, তার মাতার নাম খোরশেদা বেগম, যিনি ছিলেন একজন গৃহিনী। ধনী পরিবারের সন্তান মোঃ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ছোট থেকেই সুশিক্ষায় বড় হয়েছেন। তার বাবা-মা যথেষ্ট আদব কায়দা শিখিয়ে বড় করেছিলেন তাকে।
পড়ালেখা জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, তাই চৌধুরী বাবু উচ্চমানের শিক্ষা অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী একজন ছাত্র। ১৯৫৮ সালে তিনি পটিয়া হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ঐ বছরই ঢাকার সুপ্রতিষ্ঠিত নটরডেম কলেজে ভর্তি হন।  পড়ালেখার প্রতি তার আগ্রহ ছিলো বিধায় ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে পড়ার সময় তিনি বৃত্তি পেয়েছিলেন এতে তিনি আমেরিকার ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। তারপরে তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে বিজসেন এডমিনিষ্ট্রেশনে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে ��াওয়ায় ভালো মতো পড়ালেখা শেষ করে গর্বের সাথে ওখান থেকে এসোসিয়েট ডিগ্রি নিয়ে নিজের মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বর মাস এ।
তিনি ব্যক্তি জীবনে ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক।
তিনি বাংলাদেশের সনামধন্য শিল্পপতি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর উপজেলার মরহুম আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দ্বিতীয় কন্যা "নুর নাহার জামান" এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। একজন আদর্শ বাবা এবং স্বামী হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করেছিলেন।
নিজের দেশের প্রতি ছিলো আলাদা এক টান। যার ফলে তিনি মাধ্যমিক এ পড়াকালীন সময়েই ১৯৫৮ সালে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এই থেকে শুরু হয়েছিলো তার রাজনৈতিক জীবন। তিনি তার যৌবনকাল থেকেই রাজনীতিকে ভালোবাসতেন। তার পড়ালেখা শেষ করে বড় ভাইয়ের সাথে ব্যবসা করতে করতে তিনি আবারো যুক্ত হয়ে যান রাজনীতি তেই। কারণ মনেট টান তো আর কমেনা। যে যেই জিনিসে নেশাভূক্তি ভাগ্য তাকে সেই জিনিসেই টেনে নিয়ে আসে। তাই তিনি ১৯৬৭ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগ এ। এরপর থেকে শুরু হয় স্থায়ীভাবে "আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু"র রাজনৈতিক পথচলা।
১৯৭০ সালে "আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু" সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিম পটিয়া এবং আনোয়ারা থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই ছিলো তার রাজনৈতিক যাত্রার শুরু। তাছাড়া এর আগে তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বাধীনতার পরেও তিনি হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং থানা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনি তার পদের দায়িত্ব বেশ ভালোভাবে পরিচালনা করেছিলেন।
তিনি ছিলেন ১৯৭১ সাল এর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। যখন মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে অসহযোগ আন্দোলন চলছিলো তখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী সংগ্রাম কমিটির কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন তার পাথরঘাটাস্থ জুপিটার হাউজ থেকে। আখতারুজ্জামান এর নিজ বাসকেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ সব জায়গায় পাঠানো হয় স্বাধীনতার ঘোষণা। জাতির পিতা এবং জাতির নেতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রাম এ আসার পরে আখতারুজ্জামান এর জুপিটার হাউজ থেকে তা সাইক্লোস্টাইল করে প্রচার করা হয়। 
এছাড়া বিশ্বের মানুষের সাথে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি বিলেত এ পাড়ি দেন এবং সফর করেন ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চল গুলোতে। তিনি সর্বপ্রথম লন্ডনে যান। সেখান থেকে বিচ��রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে আমেরিকায় চলে যান আখতারুজ্জামান।
তিনি ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই পরিপেক্ষিতেই আখতারুজ্জামান চৌধুরী ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ গণ পরিষদের সদস্য হন এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে বেশ ভালো ভূমিকা রাখেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম সংস্কারকারী ছিলেন। 
১৯৭৫ সালে হত্যা করা হয় বাংলার মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। তখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ ��ক্ষা করেন এবং পরবর্তীতে দলের পুনরুজ্জীবন ও পুনর্গঠনে সাহসী ভূমিকা পালন করেন।
তিনি তার যোগ্যতা এবং দক্ষতার কারণে ১৯৯১ সাল এবং ২০০৯ সালে আবারো জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার পাশাপাশি আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
তার সবচেয়ে বড় অবদান হলো আজকের "ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক ", অনেকে এটাকে UCB ব্যাংক ও বলে থাকে। বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকিং সেক্টর প্রতিষ্ঠায় তিনি পথিকৃতের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তিনি দেশে দ্বিতীয় প্রাইভেট ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) এর উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
২০১২ সাল এর ৪ ই নভেম্বর  সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনিজনিত জটিলতার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহসী এবং আদর্শ এই নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
বাঙালির সম্মান, গৌরব, মূল্যবোধ ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতে যে সকল রাজনীতিবিদ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম থাকবেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
0 notes
akhtaruzzamanbabu · 4 years ago
Text
Popular Political Leader In Bangladesh
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu was a renowned politician of Bangladesh Awami League. He was also elected as a parliament member from the Chittagong-12 constituency 3 times . Let’s know a touch details about this versatile and legendary leader of Bangladesh.
Tumblr media
Early Life of Akhtaruzzaman Chowdhury
He was born on 1st May 1945 in Chittagong and also spent most of his life there. there's not much info about him, though one among his early entry into politics are often mentioned. In 1970, he was elected as Provincial Assembly for Bangladesh from Anwara-West Patia.
He was also involved in political activities under the Bangladesh Chatra League, and he features a remarkable contribution to many student movements in his time. one among his early political achievement is that he was the author organizing “Swadhin Bangla Betar Kendra” in Chittagong during our liberation war.
Tumblr media
Political lifetime of Akhtaruzzaman Chowdhury
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu was a benevolent man who devoted himself to the betterment of the people of Bangladesh. His legacy always inspires people to idolize him, and lots of people still believe him as their idol. the extent of experience and diplomacy he holds was astonishing. He was doing good for the people till his death.
He was always trying to assist deprived and poor people because it had been his responsibility as a social or politician . Nothing matters when it involves setting an example of a far better person in order that anyone can follow with trust.
He was a recognizable insurgent and facilitator of Bangladesh’s independence fight. As a insurgent , his contribution to the country is usually remarkable and thought of bravery. He was also a faithful member of the Bangladesh Awami League.
After 1975, when the system was displaced and therefore the party was broken, he worked hard to arrange the party expertly and knowledge . In 1977, he had made his thanks to be elected because the president of the South Chittagong Awami League and hold the position till his death.
Tumblr media
Contribution in Banking Finance of Bangladesh
He has also performed a pioneering role within the banking sector of Bangladesh. UCBL – United full service bank Limited is one among his outstanding achievements of Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, was founding chairman. Till his death, he has served his powerful hold on the bank to enhance the country’s financial growth.
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu wasn't only an official but also an enlightened man everyone loves and respects. it had been the name behind the smile of poor people. He was a hero to his people and an admirable character for his family and his social life.
His social life was so simple that a lot of people found him as general people walking on the road with none protection only for his people’s love. His social life above politics that’s why he always loved to be recognized as a caseworker instead of an official .
Tumblr media
His Contribution to Social Improvement
He has done many charitable works in his area and built many faculties and madrasahs for better education. His ethics was almost being an honest person , and he always worked towards his ethics. His friends are very proud to call him their friend because he always helped them when nobody answered their call.
This great martyr died in Singapore on 4th November 2012, and he was 67 years old when he died. Bangladesh has lost a star from the sky that nobody can take his place or the love he had earned for his good work. Pray for him once you do and remember this great political and social legend.
2 notes · View notes
Link
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu is not just a name, it is an ideal. He was an ideal popular politician. Bir Muktijoddha is one of the organizers of Muktijoddha. The closest people to the masses were the absolute friends of the poor miserable hardworking people. The whole of Chittagong and the politics of Bangladesh was illuminated by his light.
1 note · View note
akzaman125 · 4 years ago
Photo
Tumblr media
Official accused of storming bank in Bangladesh
 A stalwart of Bangladesh's ruling party, who is also the principal accused in a high-profile murder case, is alleged to have forcibly taken control of a bank five years after he was ousted from its board on charges of defalcation and irregularities.
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, the industry and commerce secretary of the Awami League and a close confidant of the prime minister, Hasina Wajed, yesterday declared himself the new chairman of the United Commercial Bank Limited (UCBL), a leading private sector bank.
Mr Babu insisted that the bank's directors had resigned voluntarily. But the former chairman, Zafar Ahmed Chowdhury, speaking from a hideout, told Ittefaq newspaper that the directors were forced to submit their resignations at gunpoint after being assaulted by hired thugs.
According to eyewitnesses, some 40 armed men led by Mr Babu stormed the bank's headquarters in Dhaka on Thursday and forced their way into the boardroom, where the directors were meeting. Police ignored directors' pleas for protection, according to the ex-chairman, Mr Chowdhury.
 The bizarre episode has further eroded public confidence in the banking sector. "The incident has dealt a serious blow to Bangladesh's efforts to integrate into the global economy at a time when we're gradually restoring our credibility in the financial world," said Wahiduddin Mahmud, professor of economics at Dhaka university.
Mr Babu was the principal accused in a sensational murder case six years ago when a business rival and fellow UCBL director, Humayun Zahir, was killed. To escape arrest, he fled to the United States, returning home after the Awami League came to power in 1996. He is on bail.
The judge in the murder trial shocked observers early this month by referring the case to a higher court instead of delivering judgment.
1 note · View note
akzaman123 · 4 years ago
Photo
Tumblr media
Official accused of storming bank in Bangladesh
 A stalwart of Bangladesh's ruling party, who is also the principal accused in a high-profile murder case, is alleged to have forcibly taken control of a bank five years after he was ousted from its board on charges of defalcation and irregularities.
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, the industry and commerce secretary of the Awami League and a close confidant of the prime minister, Hasina Wajed, yesterday declared himself the new chairman of the United Commercial Bank Limited (UCBL), a leading private sector bank.
Mr Babu insisted that the bank's directors had resigned voluntarily. But the former chairman, Zafar Ahmed Chowdhury, speaking from a hideout, told Ittefaq newspaper that the directors were forced to submit their resignations at gunpoint after being assaulted by hired thugs.
According to eyewitnesses, some 40 armed men led by Mr Babu stormed the bank's headquarters in Dhaka on Thursday and forced their way into the boardroom, where the directors were meeting. Police ignored directors' pleas for protection, according to the ex-chairman, Mr Chowdhury.
 The bizarre episode has further eroded public confidence in the banking sector. "The incident has dealt a serious blow to Bangladesh's efforts to integrate into the global economy at a time when we're gradually restoring our credibility in the financial world," said Wahiduddin Mahmud, professor of economics at Dhaka university.
Mr Babu was the principal accused in a sensational murder case six years ago when a business rival and fellow UCBL director, Humayun Zahir, was killed. To escape arrest, he fled to the United States, returning home after the Awami League came to power in 1996. He is on bail.
The judge in the murder trial shocked observers early this month by referring the case to a higher court instead of delivering judgment.
1 note · View note
akzaman121 · 4 years ago
Photo
Tumblr media
Official accused of storming bank in Bangladesh
 A stalwart of Bangladesh's ruling party, who is also the principal accused in a high-profile murder case, is alleged to have forcibly taken control of a bank five years after he was ousted from its board on charges of defalcation and irregularities.
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, the industry and commerce secretary of the Awami League and a close confidant of the prime minister, Hasina Wajed, yesterday declared himself the new chairman of the United Commercial Bank Limited (UCBL), a leading private sector bank.
Mr Babu insisted that the bank's directors had resigned voluntarily. But the former chairman, Zafar Ahmed Chowdhury, speaking from a hideout, told Ittefaq newspaper that the directors were forced to submit their resignations at gunpoint after being assaulted by hired thugs.
According to eyewitnesses, some 40 armed men led by Mr Babu stormed the bank's headquarters in Dhaka on Thursday and forced their way into the boardroom, where the directors were meeting. Police ignored directors' pleas for protection, according to the ex-chairman, Mr Chowdhury.
 The bizarre episode has further eroded public confidence in the banking sector. "The incident has dealt a serious blow to Bangladesh's efforts to integrate into the global economy at a time when we're gradually restoring our credibility in the financial world," said Wahiduddin Mahmud, professor of economics at Dhaka university.
Mr Babu was the principal accused in a sensational murder case six years ago when a business rival and fellow UCBL director, Humayun Zahir, was killed. To escape arrest, he fled to the United States, returning home after the Awami League came to power in 1996. He is on bail.
The judge in the murder trial shocked observers early this month by referring the case to a higher court instead of delivering judgment.
1 note · View note
akzaman117 · 4 years ago
Photo
Tumblr media
Official accused of storming bank in Bangladesh
 A stalwart of Bangladesh's ruling party, who is also the principal accused in a high-profile murder case, is alleged to have forcibly taken control of a bank five years after he was ousted from its board on charges of defalcation and irregularities.
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, the industry and commerce secretary of the Awami League and a close confidant of the prime minister, Hasina Wajed, yesterday declared himself the new chairman of the United Commercial Bank Limited (UCBL), a leading private sector bank.
Mr Babu insisted that the bank's directors had resigned voluntarily. But the former chairman, Zafar Ahmed Chowdhury, speaking from a hideout, told Ittefaq newspaper that the directors were forced to submit their resignations at gunpoint after being assaulted by hired thugs.
According to eyewitnesses, some 40 armed men led by Mr Babu stormed the bank's headquarters in Dhaka on Thursday and forced their way into the boardroom, where the directors were meeting. Police ignored directors' pleas for protection, according to the ex-chairman, Mr Chowdhury.
 The bizarre episode has further eroded public confidence in the banking sector. "The incident has dealt a serious blow to Bangladesh's efforts to integrate into the global economy at a time when we're gradually restoring our credibility in the financial world," said Wahiduddin Mahmud, professor of economics at Dhaka university.
Mr Babu was the principal accused in a sensational murder case six years ago when a business rival and fellow UCBL director, Humayun Zahir, was killed. To escape arrest, he fled to the United States, returning home after the Awami League came to power in 1996. He is on bail.
The judge in the murder trial shocked observers early this month by referring the case to a higher court instead of delivering judgment.
1 note · View note
brandmythdigital · 3 months ago
Text
Honesty And Mr. Akhtaruzzaman Chowdhury Babu 
There are good people in our world as well as bad people. You know very well that five fingers are never equal. So you can't call all the people in the world bad or all the people good. But today we will not talk about bad people. Today we are going to talk about good people. What do you think should be the first and foremost qualities behind being a good person? 
Can you tell The first and foremost virtue of becoming a good person is to be honest and to always walk in the path of honesty. You see how easily a person can do the rest of the work if it is not true. If a person does not have honesty in his mind, then all his deeds are mixed with lies. And in all words there must be a lie. 
So if you are an honest person then you should never mix with any bad person and never give shelter to the bad one. An honest person can never do such a thing. Those who can do such deeds can never be an honest person and can always walk in the path of honesty.
One such person in our society was Mr. Akhtaruzzaman Chowdhury Babu whose example of honesty is still given to everyone. He has done many good deeds in his life for his society, country and nation. Mr. Akhtaruzzaman Chowdhury Babu has done so much for us because he was honest and transparent. Because he was an honest man, he was always able to walk the path of honesty.
Mr. Akhtaruzzaman Chowdhury Babu was in the field of politics. But many of you may think that finding someone honest in the field of politics is the same as looking for a needle in a cotton ball. In fact, I agree with you, but in the case of Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, it is completely different and surprising. 
Mr. Akhtaruzzaman Chowdhury Babu has always supported the truth even after being in politics and has always been with the truth. He did exactly what he said with his mouth for his society and country. Because Mr. Akhtaruzzaman Chowdhury Babu was an honest man, almost everyone in Bangladesh, young and old, loves Mr. Akhtaruzzaman Chowdhury Babu wholeheartedly.
0 notes
Text
1
আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জীবনের বেশ বড় অংশ কেটেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্যে। যার ফলশ্রুতিতে তাদের জীবনাদর্শ ও মতাদর্শে ছিল প্রচুর মিল। তিনি ছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার খুব কাছের মানুষ।রাজনীতির প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিটি ছিলো অত্যন্ত শিক্ষনীয় একটি বিষয়। রাজনীতির অর্থ যে কতটা মহৎ ও পবিত্র হতে পারে তিনিই আমাদের তা জানিয়েছেন। তাঁর নিকট রাজনীতির অর্থই অসীম মহৎ ছিলো। তাঁর নিকট রাজনীতির অর্থ নিছক রাজত্ব করা নয় বরং জনস্বার্থ উদ্ধার ও জনকল্যানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধন করাই ছিলো রাজনীতির মূল অর্থ।
0 notes
akzaman115 · 4 years ago
Photo
Tumblr media
Official accused of storming bank in Bangladesh
 A stalwart of Bangladesh's ruling party, who is also the principal accused in a high-profile murder case, is alleged to have forcibly taken control of a bank five years after he was ousted from its board on charges of defalcation and irregularities.
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, the industry and commerce secretary of the Awami League and a close confidant of the prime minister, Hasina Wajed, yesterday declared himself the new chairman of the United Commercial Bank Limited (UCBL), a leading private sector bank.
Mr Babu insisted that the bank's directors had resigned voluntarily. But the former chairman, Zafar Ahmed Chowdhury, speaking from a hideout, told Ittefaq newspaper that the directors were forced to submit their resignations at gunpoint after being assaulted by hired thugs.
According to eyewitnesses, some 40 armed men led by Mr Babu stormed the bank's headquarters in Dhaka on Thursday and forced their way into the boardroom, where the directors were meeting. Police ignored directors' pleas for protection, according to the ex-chairman, Mr Chowdhury.
 The bizarre episode has further eroded public confidence in the banking sector. "The incident has dealt a serious blow to Bangladesh's efforts to integrate into the global economy at a time when we're gradually restoring our credibility in the financial world," said Wahiduddin Mahmud, professor of economics at Dhaka university.
Mr Babu was the principal accused in a sensational murder case six years ago when a business rival and fellow UCBL director, Humayun Zahir, was killed. To escape arrest, he fled to the United States, returning home after the Awami League came to power in 1996. He is on bail.
The judge in the murder trial shocked observers early this month by referring the case to a higher court instead of delivering judgment.
1 note · View note
anisuzzamanchowdhury · 3 years ago
Photo
Tumblr media
Fantastic Facts About Anisuzzaman Chowdhury
Usually, everyone knows that Anisuzzaman Chowdhury is a great businessman in Bangladesh. They also know that he belongs to the Industrial Capital of Bangladesh, the Chattogram (Chittagong District).
But the most crucial matter to know is that Anisuzzaman Chowdhury is the second son of the Akhtaruzzaman Chowdhury Babu. Do you know? Who is Akhtaruzzaman Chowdhury Babu? Let us know about the incredible human being who is the origin of Anisuzzmaan Chowdhury.
0 notes
brandmythdigital · 3 months ago
Text
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu: A Freedom Fighter’s Journey
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu's name resonates deeply in the annals of Bangladeshi history. Known for his business acumen and political prowess, his contributions extend far beyond these domains. Babu was also a dedicated freedom fighter who played a crucial role in the liberation of Bangladesh. His journey from a young man with dreams to a key figure in the country's independence movement is both inspiring and remarkable. Let's take a closer look at the life and legacy of Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, focusing on his journey as a freedom fighter.
Early Life
Humble Beginnings
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu was born in the serene village of Anwara in the Chittagong district. Growing up in a modest household, Babu learned the values of hard work, perseverance, and community spirit early on. These values would later become the cornerstone of his life's work.
Education and Early Influences
Babu's academic journey began at Patia High School, where his leadership qualities started to shine. He pursued higher education at the University of Dhaka, where he studied Economics. During his university years, he was deeply influenced by the political climate and the burgeoning movement for Bangladesh's independence from Pakistan.
The Call to Arms
Rising Tensions
The late 1960s and early 1970s were a period of intense political turmoil in East Pakistan (now Bangladesh). The oppressive regime of West Pakistan had long marginalized the Bengali population, leading to widespread dissatisfaction and unrest. The call for independence grew louder, and Babu found himself at the heart of this movement.
Joining the Struggle
Inspired by the passionate speeches of Sheikh Mujibur Rahman, the leader of the Awami League, Babu decided to join the fight for his country's freedom. He became actively involved in organizing protests and rallies, mobilizing support for the independence movement.
The War of Liberation
The situation reached a boiling point in March 1971, when the Pakistani military launched a brutal crackdown on Dhaka, marking the beginning of the Bangladesh Liberation War. Babu, like many others, took up arms to defend his homeland. He joined the Mukti Bahini (Liberation Army), where he played a pivotal role in coordinating guerrilla warfare against the Pakistani forces.
Contributions to the Liberation War
Strategic Planning
Babu was not just a fighter; he was a strategist. His background in economics and his analytical mind proved invaluable in planning and executing operations. He worked closely with other freedom fighters to devise strategies that would weaken the enemy's stronghold and boost the morale of the Bangladeshi fighters.
Mobilizing Resources
One of Babu's significant contributions was his ability to mobilize resources. He used his business acumen to secure funds, arms, and supplies for the Mukti Bahini. His efforts ensured that the fighters had the necessary equipment and support to sustain their struggle.
Building Alliances
Babu also played a crucial role in building alliances with international supporters of the Bangladeshi cause. He reached out to various organizations and governments, highlighting the atrocities committed by the Pakistani military and garnering global support for Bangladesh's independence.
The Triumph of Independence
Victory and Aftermath
After nine months of intense fighting, Bangladesh emerged victorious on December 16, 1971. The joy and relief of liberation were palpable, and Babu's role in this monumental achievement was widely recognized. He had not only fought bravely on the front lines but also contributed significantly to the strategic and logistical efforts that led to victory.
Recognition and Honors
In the years following independence, Babu was honored for his contributions to the liberation movement. His name became synonymous with bravery and patriotism, and he was celebrated as a hero of the war. His story inspired countless others, and his legacy as a freedom fighter was firmly established.
Post-Independence Contributions
Rebuilding the Nation
With independence achieved, Babu turned his attention to rebuilding the newly formed nation. He realized that economic stability and growth were crucial for Bangladesh's future, and he poured his energy into business and politics to achieve these goals.
Business Ventures
Babu founded the Akhtar Group, which quickly grew into one of Bangladesh's leading conglomerates. His ventures in real estate, manufacturing, and textiles created jobs and spurred economic development. He was a firm believer in corporate social responsibility, and his businesses often contributed to community welfare projects.
Political Career
Babu's political journey continued as he joined the Bangladesh Awami League. He was elected as a Member of Parliament, where he championed policies aimed at economic reform and social justice. His efforts to improve education, healthcare, and infrastructure were particularly noteworthy, and he remained a beloved figure in Bangladeshi politics until his passing.
Personal Values and Philanthropy
Integrity and Empathy
Throughout his life, Babu was guided by a strong sense of integrity and empathy. He believed in treating others with respect and compassion, values that were evident in both his business dealings and his political career. His ability to connect with people from all walks of life made him a cherished leader.
Philanthropic Efforts
Babu's philanthropy was extensive. He funded schools, hospitals, and community centers, always aiming to uplift the underprivileged. His charitable activities were not limited to financial contributions; he also dedicated his time and resources to mentoring young entrepreneurs and future leaders.
Legacy and Impact
A Lasting Influence
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu's legacy is multifaceted. As a freedom fighter, he played a crucial role in securing Bangladesh's independence. As a businessman, he contributed to the nation's economic growth. As a politician, he worked tirelessly for social justice and development. His life story is a source of inspiration for generations to come.
Continued Relevance
Even after his passing, Babu's influence remains strong. His family and followers continue to uphold his values and work towards the betterment of Bangladesh. The institutions and initiatives he established still thrive, serving as a testament to his enduring vision and dedication.
Honoring a Hero
To honor his memory, various scholarships, foundations, and awards have been named after Babu. These initiatives aim to carry forward his legacy of service, leadership, and philanthropy. They ensure that his contributions are remembered and celebrated for years to come.
Conclusion
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu's journey as a freedom fighter is a remarkable chapter in the history of Bangladesh. His dedication, bravery, and strategic brilliance played a pivotal role in the country's liberation. Beyond the battlefield, his contributions to business, politics, and philanthropy have left an indelible mark on the nation. As we reflect on his life and legacy, we are reminded of the power of resilience, integrity, and a relentless commitment to the greater good. Babu's story is not just a tale of one man's achievements; it is a beacon of hope and inspiration for all who strive to make a difference.
0 notes
Text
Tumblr media
Most Successful Companies of Akhtaruzzaman Chowdhury Babu
Introduction:
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu was an enlightened person who sacrificed himself for the welfare of our country and to uplift the respect, pride, values of our country. He was a prominent politician and social worker who had worked for the Bangladesh Awami League party. He was also a former Member of Parliament representing the Chittagong-12 constituency of the Jatiya Sangsad. Not only in politics but also in the business and industrial sectors, his support for the common people of this country was undeniable. He had also established some organizations, industrial sectors and banks, contributing to the welfare of this country, which will be remembered forever.
The organizer of the Swadhin Bangla Betar Kendra:
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu organized the Swadhin Bangla Betar Kendra which, has become memorable in history for forming a public opinion for the liberation war of 1971 and for providing inspiration to the freedom fighters. Besides, Bangabandhu’s declaration of independence was also read from here. As a result, the general public became aware of the liberation war and, the news of the liberation war reached outside of the country.
Founder of the United Commercial Bank Limited:
Babu founded the United Commercial Bank Limited and made it one of the successful banks in Bangladesh. He had always worked to eliminate the problem of unemployment in Bangladesh. For this reason, he set up this bank with those in mind who want to get rid of their unemployment through some small business such as cottage industries, small factories. Here, all those people were given loans to start a business. He undertook many activities and worked hard to make this bank successful. Now, this bank one of the most successful banks in Bangladesh.
Moreover, manufacturers of other factories and industries:
Not only a politician but also Babu was a successful businessman and an industrialist. He had worked tirelessly for the economic development of this country. He played a pioneering role in establishing the private banking sectors in Bangladesh. Before independence, he set up a factory called Boyle Industry on Batali Road. Later, He built many industries such as Asif Steel Mill, Javed Steel Mill, Asif Synthetic, Panam Vegetable, Afroza Oil Mill, Bengal Synthetic Products etc. He purchased Vanguard Steel Mill and Synthetic Resin Products. Later. He established the Zaman Industrial Group after the Liberation War. He bought a foreign company called Aramit Mill and turned it into a reliable company.
0 notes
akzaman121 · 4 years ago
Text
Official accused of storming bank in Bangladesh
A stalwart of Bangladesh's ruling party, who is also the principal accused in a high-profile murder case, is alleged to have forcibly taken control of a bank five years after he was ousted from its board on charges of defalcation and irregularities.
Akhtaruzzaman Chowdhury Babu, the industry and commerce secretary of the Awami League and a close confidant of the prime minister, Hasina Wajed, yesterday declared himself the new chairman of the United Commercial Bank Limited (UCBL), a leading private sector bank.
Mr Babu insisted that the bank's directors had resigned voluntarily. But the former chairman, Zafar Ahmed Chowdhury, speaking from a hideout, told Ittefaq newspaper that the directors were forced to submit their resignations at gunpoint after being assaulted by hired thugs.
According to eyewitnesses, some 40 armed men led by Mr Babu stormed the bank's headquarters in Dhaka on Thursday and forced their way into the boardroom, where the directors were meeting. Police ignored directors' pleas for protection, according to the ex-chairman, Mr Chowdhury.
 The bizarre episode has further eroded public confidence in the banking sector. "The incident has dealt a serious blow to Bangladesh's efforts to integrate into the global economy at a time when we're gradually restoring our credibility in the financial world," said Wahiduddin Mahmud, professor of economics at Dhaka university.
Mr Babu was the principal accused in a sensational murder case six years ago when a business rival and fellow UCBL director, Humayun Zahir, was killed. To escape arrest, he fled to the United States, returning home after the Awami League came to power in 1996. He is on bail.
The judge in the murder trial shocked observers early this month by referring the case to a higher court instead of delivering judgment.
0 notes