#৪২ শিশুর
Explore tagged Tumblr posts
womeneye · 1 year ago
Link
নাটোরে সদর হাসপাতাল থেকে নার্সের ছদ্মবেশে চুরি করে নিয়ে যাওয়া কন্যা
0 notes
fahimscanvas · 4 years ago
Text
বেলি গানেসঃ ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত ব্লাক উইডোর গল্প
বেলি গানেসের নেশা ছিলো বিয়ে করা এবং তারপর তার স্বামীদের হত্যা করা। তৎকালীন মিডিয়া তাকে লেডি ব্লুবার্ড উপাধি দিয়েছিলো। নিজের ১৫ জন স্বামী এবং সন্তান সহ তার মার্ডার এর সংখ্যা ছিলো ৪০ এরও বেশি।
বেলি গানেসের জন্ম নরওয়েতে। ২৩ বছর বয়সে তিনি ভাগ্য ফেরাতে আমেরিকাতে আসেন।১৮৯৩ তে তিনি প্রথম বিয়ে করেন ম্যাড সোরসানকে।স্বামী স্ত্রী দুইজন মিলে একটা কনফেকশনারি চালাতেন।ক্যারোলিন, এক্সেল, মার্টল আর লুসি নাভে তাদের চার ছেলে মেয়ে ছিলো। জেনি নামের একটা পালিত মেয়েও ছিলো।
হঠাৎ করেই তাদের দুই ছেলে মেয়ে মারা যান। পেটের তীব্র প্রদাহে তাদের মৃত্যু হয় বলে মনে হলেও আসলে এটাই ছিলো বেলি গানেসের প্রথম হত্যা। নিজের সন্তানদের দিয়েই শুরু করেছিলেন তিনি, যাতে সন্তানদের নামে থাকা লাইফ ইনস্যুরেনস এর টাকা তুলতে পারেন।
এরপর স্বামী স্ত্রী মিলে পরিকল্পনা করে একদিন নিজেদের কনফেকশনারি পুড়িয়ে দিলেন।দুজনের লক্ষ্যই ছিলো ইনস্যুরেনস এর টাকা মেরে দেওয়া। কিন্তু বেলি গানেসের উদ্দেশ্য ছিলো কিছুটা আলাদা।
যেদিন ম্যাড শোরসান ইনস্যুরেনস এর টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে আসেন, সেদিনই রহস্যজনকভাবে তার মৃত্যু হয়। ডাক্তাররা মৃতদেহে একটা রাসায়নিকের উপস্থিতি পেলেও সেটাকে ততটা গুরুত্ব দেননি। বরং মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাককে দায়ী করেছিলেন।
ডাক্তার একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝতে পারতেন, শোরসান, এবং তার দুই সন্তানের শরীরেই আসলে স্ট্রিকনাইন নামের একটা রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়েছিলো। অত্যন্ত বিষাক্ত, বর্ণহীন এই বিষ দিয়েই বেলি গানেস তার স্বামী এবং সন্তানদের হত্যা করেছিলেন।
বাকি তিন সন্তানকে নিয়ে তিনি এরপর চলে যান ইন্ডিয়ানাতে। সেখানে ৪২ একরের একটা ফার্ম কিনে নেন। না, শান্তিতে বসবাস করার জন্য তিনি এই ফার্ম কিনেননি। বরং এই ফার্মই পরে পরিচিতি পেয়েছিলো দ্য ডেথ গার্ডেন হিসেবে। এই বাগান বাড়িতেই তিনি তার বেশিরভাগ খুনগুলো করেছিলেন।
ফার্ম কিনেই তিনি তার ফার্মের একাংশ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন, এবং ইনস্যুরেনস থেকে আরো টাকা আদায় করেন।
১৯০২ এর পহেলা এপ্রিল তিনি পিটার গানেসকে বিয়ে করেন। বিয়ে বললে অবশ্য ভুল হবে। বরং বলা উচিত, এপ্রিল ফুলের দিন তিনি আরো একটা শিকার জোগাড় করেন।
তার নতুন স্বামীর দুটো মেয়ে ছিলো। বিয়ের কিছুদিন পরেই ছোট মেয়েটিরর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। বাবা পিটার গানেস সন্দেহ করেছিলেন যে কিছু একটা গড়বড় আছে। তখন তিনি তার বড় মেয়ে সোয়ানহিল্ডকে আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়ে দেন। এই একমাত্র মেয়েটিই বেলি গানেসের হাত থেকে বাঁচতে পেরেছিলো।
গানেসের দ্বিতীয় স্বামী মারা যান ১৯০৩ এ। বলা হয়েছিলো রান্নাঘরের জাঁতাকল মাথায় পড়ে তিনি মারা গেছেন। কিন্তু, গানেসের আগের পক্ষের মেয়ে জেনি খুনটা দেখে ফেলেছিলো। সে তার বান্ধবীকে বলেছিলো, আমার মা বাবাকে জাঁতাকল দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
পোস্ট মর্টেমের সময় আবারও মৃতের শরীরে স্ট্রিকনাইনের সন্ধান পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, প্রথমে বিষ প্রয়োগ করে পরে দুর্ঘটনার ঘটনা সাজানো হয়েছিলো। কিংবা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যও বিষ প্রয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে।
অবশ্য স্বামীর মৃত্যুর পর বেলি গানেস হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করেন। এবং তার এ আহাজারি দেখে কেউই আসলে সন্দেহ করতে পারেনি যে পিটারের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো না। স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পরেই বেলি ইনস্যুরেনস এর টাকা তুলে ফেলেন। এবং স্বামীর মৃত্যুর ছয়মস পর তিনি এক পুত্র সন্তানের মা হন। ছেলেটির নাম রাখেন ফিলিপ গানেস।
এরপর বেলি গানেস আর বিয়ে করেন��ি। বরং তিনি শুরু করেন তার নতুন "ব্যবসা"। তিনি পত্রিকায় বিয়ের বিজ্ঞাপন দিতেন। বিজ্ঞাপনে শর্ত থাকতো, বিয়েতে আগ্রহী পুরুষকে অবশ্যই তার সেভিংস এর টাকা নগদ নিয়ে কনে দেখতে কনের "বাড়িতে" আসতে হবে। পৃথিবীতে প্রেমকাতর পুরুষের চেয়ে বোকা বোধহয় অার কেউ নেই। এই বিজ্ঞাপন দেখে অনেক পুরুষই টাকাটুকা নিয়ে বেলির ফার্ম হাউসে যেতেন, বাট আর কখনও ফিরে আসতেন না। লম্বা, দুইশো পাউন্ড ওজনের দানবীয় শরীরের বেলি যেকোনো পুরুষকেই সহজেই ধরাশায়ী করে ফেলতে পারতেন। জন মু, হেনরি গারহোল্ট, ওলফ সেভেনহার্ড, ওল বি বাডসবার্গ, ওলাফ লাইন্ডব্লুম, আন্দ্রে হেগেলিন সবাই ছিলেন সেই শিকারের তালিকায়। আরো অনেক মানুষই বেলির হাতে খুন হয়েছিলেন, যাদের সঠিক পরিচয় জানা যায় নি।
তবে এদের মধ্যে থেকে আন্দ্রে হেগেলিন এর ভাই তার ভাইয়ের খোঁজ নিতে শুরু করেন এবং আন্দ্রে হেগেলিন এর অন্তর্ধান নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। বেলি গানেসের বিপদের দিন ঘনিয়ে আসতে শুরু করে। তিনি কি সেটা বুঝ���ে পেরেছিলেন আগেই?
ফেব্রুয়ারি ১৯০৮ ।বেলির ফার্মহাউজে আবারও আগুন জ্বলে উঠলো। ফার্মহাউজ পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। উদ্ধারকারীরা গানেসের বাকি তিন সন্তানের লাশ পেলেন। তাদের খুন করা হয়েছিলো। পাশে আরেকটা মাথাবিহীন লাশ পড়ে ছিলো। তবে ওটা গানেসের লাশ ছিলো না। বেলি গানেস দীর্ঘদেহী ছিলেন, অন্যদিকে গলাকাটা লাশটা ছিলো ক্ষীন দেহের।
তবুও উদ্ধারকারীরা নিশ্চিত হতে চাইলেন। শুরু হলো মাথার খোঁজে বাগানবাড়ি খোঁড়া । না, মাথা পাওয়ার যায়নি। তবে, একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করলো একের পর এক কঙ্কাল। শুধু সেই বাগানবাড়ি থেকেই বারোজনের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়, যারা পুলিশের খাতায় এতদিন নিখোঁজ ছিলেন। কঙ্কালগুলোর মধ্যে কিছু শিশুর কঙ্কালও ছিলো।
বেলি গানেসের আসলে কী হয়েছিলো, সেটা এখনও অমীমাংসিতই থেকে গেছে। তবে, তার বাড়িতে আগুন দেওয়ার অপরাধে রে ল্যাম্ফার নামের এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রে ল্যাম্ফারকে সম্ভবত বেলি গানেসই ভাড়া করেছিলেন, তার ফার্ম হাউজে আগুন দেওয়ার জন্য। শুধুমাত্র আগুন দেওয়ার অপরাধটা ল্যাম্ফার স্বীকার করেছিলেন কিন্তু তার দাবি ছিলো খুনের কোনো ঘটনার কথাই তিনি জানতেন না। এবং ল্যাম্ফার কখনওই বেলি গানেসের মৃত্যুর কথা বিশ্বাস করেননি। বেলি গানেসের ফার্মহাউজে আগুন লাগার কিছুদিন আগেই বেলি তার বেশিরভাগই টাকা পয়সা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছিলেন।
কাজেই, মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নটা হলো, বেলি গানেস কি আসলেই টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন? নাকি মুন্ডুহীন ঐ লাশটা বেলিরই ছিলো?
জেলে মৃত্যুবরণ করার ঠিক আগে রে ল্যাম্ফার এই সত্যটা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। পুরোটাই ছিলো বেলি গানেসের প্ল্যান। মুন্ডুহীন লাশ রেখে তিনি আসলে নিজের মিথ্যা মৃত্যু সাজাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মৃতদেহের সাথে তার দৈত্যাকার দেহের কোনো মিল ছিলো না।
কিন্তু এই সত্যটা আসলে কোন কাজেই আসেনি। বেলি গানেসের আর কোনো সন্ধান কখনওই পাওয়া যায়নি। এমনকী তার মৃত্যু সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
তবে ১৯৩১ সালে এস্টার কার্লসন নামের এক মহিলা লস অ্যাঞ্জেলসে বিচারাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার বিরুদ্ধে এক লোককে বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগ ছিলো। কার্লসনের চেহারা এবং শারীরিক গঠনের সাথে বেলি গানেসের একটা মিল পাওয়া যায়। তারা প্রায় একই বয়সেরই ছিলেন। আবার কার্লসনের একটা ছবি পাওয়া যায় তার তিনটা সন্তানের সাথে। এটাও বেলি গানেসের সাথে মিলে যায়। তবে এরপরও এটা অনিশ্চিত। এবং নিশ্চিত করে আসলে কিছুই বলা যায় না।
সেই বাগানবাড়িতে পাওয়া লাশের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছিলো ২০০৮ সালে। কিন্তু স্যাম্পলটা ব্যবহার উপযোগী ছিলো না। কাজেই, শেষ পর্যন্ত বেলি গানেসের এই রহস্যটা অমীমাংসিতই থেকে গেলো। যার সমাধান আজও হয়নি।
এখন প্রশ্ন হলো, বেলি গানেস কেন এমন হয়েছিলেন? কোনো মানুষই আসলে অপরাধী হয়ে জন্মান না। এই অপরাধের পেছনের মনস্তত্ত্ব কী? একটা আইরিশ টিভি ডকুমেন্টারিতে বর্ণনা পাওয়া যায় এমন,নিজ দেশে থাকার সময় বেলি গানেস উনিশ বছর বয়সে প্রেগনেন্ট অবস্থায় বারে নাচতে গিয়েছিলেন। সেখানে একজন বড়লোকের ছেলে তার পেটে লাথি মারেন, এবং এতে তার গর্ভপাত হয়ে গিয়েছিলো। এর কিছুদিন পরেই ঐ বড়লোকপুত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এবং ঐ সময় থেকেই বেলি গানেসের আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। পরবর্তীতে আমেরিকায় এসে তিনি পরিণত হন ইতিহাসের অন্যতম কুখ্যাত এবং নিষ্ঠুর সিরিয়াল কিলারে।
অর্থের অন্তহীন লোভ মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়, তার একটা উদাহরণ আমরা বেলি গানেসের উদাহরণ থেকে পাই। এমনকী নিজের সন্তানদের হত্যা করে ইনস্যুরেনস বাগিয়ে নেওয়াটা তার কাছে ছিলো শুধুই একটা খেলা। যে ভয়ঙ্কর খেলার গল্প পড়ে মানুষ আজও শিহরিত হয়। যে সত্যি গল্প বেলি গানেসকে বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকর একজন মানুষ হিসেবে কুখ্যাতি এনে দিয়েছে।
Follow on Facebook
Tumblr media
1 note · View note
tatkhonik-blog · 7 years ago
Text
হাসপাতালে একের পর এক ৪২ শিশুর মৃত্যু
হাসপাতালে একের পর এক ৪২ শিশুর মৃত্যু
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে একটি হাসপাতালে গত দুদিনে ৪২টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
গোরখপুরের এই হাসপাতালেই কয়েক সপ্তাহ আগে ৫ দিনের ব্যবধানে ১০০’র বেশী শিশু মারা গিয়েছিল।
সেই সময়ে অভিযোগ উঠেছিল, হাসপাতালের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলেই ওই মৃত্যু হয়েছিল।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ এই গোরখপুর শহর থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন।
বিআরডি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. পি কে…
View On WordPress
0 notes
bd-news-corner · 3 years ago
Text
আগের টেস্টের অপূর্ণতা এই টেস্টে ঘুচিয়ে দিচ্ছেন ল্যাথাম
আগের টেস্টের অপূর্ণতা এই টেস্টে ঘুচিয়ে দিচ্ছেন ল্যাথাম
গ্যালারিতে বসা স্ত্রী ও নবজাতক শিশুর দিকে ব্যাট বাড়ালেন তিনি। বাকি পঞ্চাশ রান তুলে নেন তিনি। আজ সারাদিন যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে মনে হচ্ছে টম ল্যাথাম আগের টেস্টে ১ ও ১৪ রানে আউট হওয়াকে ‘ব্যক্তিগত অপমান’ হিসেবে নিয়েছেন। এটা স্বাভাবিক হতে পারে। কারণ ক্যারিয়ার গড় ৪২ হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ল্যাথামের গড় ৯০! ১২টি সেঞ্চুরির মধ্যে ৩টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ের ব্যর্থতা তাকে…
View On WordPress
0 notes
preetifoundation · 3 years ago
Photo
Tumblr media
জন্মের, ২৪ ঘন্টা, ২-৩ দিন, ৭-১৪ দিন এবং ৪২ দিনের মধ্যে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবশ্যই করতে হবে!মনে রাখবেন, #করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।#EveryChildALIVE
0 notes
paathok · 3 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/134868
চন্দনাইশে মিথ্যা অপবাদে বয়স্ক দম্পতিকে নির্যাতনের মামলা নিয়ে পুলিশের লুকোচুরি
.
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মিথ্যা চুরির অপবাদে বয়স্ক দম্পতিকে নির্যাতনের মামলা নিয়ে লুকোচুরির খেলার অভিযোগ উঠেছে চন্দনাইশ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
গত ৬ জুন সংঘঠিত ঘটনায় পুলিশকে নিয়মিত মামলা রেকর্ড করতে কোর্ট নির্দেশ দিলেও গত পাঁচ দিনেও মামলার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি চন্দনাইশ থানা পুলিশ। উল্টো মামলার বাদীসহ ভিকটিমের পরিবারকে মামলা আপোষ মিমাংসা করতে নানাভাবে হুমকি ধমকিসহ চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে।  মামলার অভিযুক্ত আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রান ভয়ে এলাকায়ও যেতে পারছেনা ভিকটিমের পরিবার।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদী ভিকটিম হামিদা আকতারের ভাই ফারুক ইকবাল টিপু।
আরও খবর: চন্দনাইশে চুরির অপবাদ দিয়ে বয়স্ক দম্পতিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চাচাত ভাইরা মেজবানি অনুষ্ঠানে কাজ করার কথা বলে গত ১৬ জুন তাঁর বোন হাদিা আকতার ও ভগ্নিপতি আবদুল হাকিমকে শহর থেকে চন্দনাইশে চাচাতভাই গোলাম আজাদ শিশুর ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খানের স্বর্নের চেইন চুরির অভিযোগ আনা হয় । ভিকটিম দম্পতি স্বর্ণের চেইন চুরির বিষয় অস্বীকার করলে দুজনকে বাড়ীর দ্বিতীয় তলার আলাদা দুটি কক্ষে নিয়ে পি��মোড়া বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় চাচাত ভাই গোলাম আজাদ শিশু, মিজানুর রহমান, কে এম ইলিয়াছ প্রকাশ ফিরোজ, চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খান মিলে বৈদ্যুতিক পাইপ, লোহার রড, ও লাটি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগিরা পর দিন ১৭ জুন চন্দনাইশ থানায় মামলা করতে গেলে অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ দুদিন ঘুরানোর পরও মামলা নেয়নি।
.
পর ভুক্তভোগিরা চট্টগ্রাম আদালতে জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদার কোর্টে সিআর মামলা(১৯৪/২০২১) দায়ের করেন। বিচারক বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে হিসেবে নথিভুক্ত করতে চন্দনাইশ থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও বিগত পাঁচ দিনেও পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেনি। উল্টো মামলার আসামীদের সাথে আতাঁত করে মামলার বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি ধমকিসহ চাপ প্রয়োগ করতে অব্যাহত রেখেছে। পুলিশের এমন পক্ষপাত মুলক আচরনে এ ঘটনার ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত ভিকটিমের পরিবার। পাশাপাশি জীবনেরর নিরাপত্তা নিয়েও আশংকায় রয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, প্রকৃত পক্ষে স্বর্ণ চুরির কোন ঘটনা না ঘটলেও নিছক পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই তাঁর চাচাত ভাইরা এ ঘটনা ঘঠিয়েছে। এলাকায় নিজেদের পৈত্রিক সম্পদ আত্মসাৎ করার মানসেই চুরির অপবাদ দিয়ে পুরো পরিবারকে এলাকা ছাড়া করতেই এমন মিথ্যা বানোয়াট কল্প কাহিনী সাজিয়েছে। ফারুক ইকবাল টিপু বলেন, পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন না করে উল্টো অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে ভিকটিমের পরিবারকে নানাভাবে নাজেহাল করছে। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। এসময় ভিকটিম হামিদা আকতার, আবদুল হাকিম, বোন নাজমুন আকতার, ফারজানা আকতারসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এক দিন একরাত আটকে রেখে বয়স্ক এ দম্পতিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর ভিকটিম হামিদা আকতারের শরীরের পছন ধরেছে। অনেকটা পঙ্গুত্বের দিকে এগুচ্ছে তার শারিরীক অবস্থা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতরর জখম নিয়ে বর্তমানে বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি। একই অবস্থা হামিদার স্বামী অপর ভিকটিম আবদুল হাকিমেরও।
.
উল্লেখ্য গত ১৬ জুন চাচীর মেজবানি অনুষ্ঠানে কাজ করার কথা বলে শহর থেকে ডেকে নিয়ে পরে চুরির অপবাদ দিয়ে হামিদা হাকিম দম্পতিকে আটকে রেখে বিভৎস নির্যাতন তাদের চাচাত ভাইরা। এসময় অভিযুক্ত চাচাত ভাই গোলাম আজাদ শিশু, মিজানুর রহমান, কে এম ইলিয়াছ প্রকাশ ফিরোজ, চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খানসহ মিলে বৈদ্যুতিক পাইপ, লোহার রড, ও লাটি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ছাড়া প্লাস দিয়ে ভিকটিম হামিদা আক্তারের পায়ের আঙ্গুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়। নির্যাতনের শিকার হামিদা আকতার বলেন চুরির বিষয়ে অস্বীকার করলেও তারা তার শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্নস্থানে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পিটিয়ে জখমসহ ইলেকট্রিক সর্ট দেয়। অন্যরুমে তাঁর স্বামী আবদুল হাকিম (৬০)কেও একই কায়দায় নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে হামিদা আকতারকে জোর পূর্বক নেশা জাতীয় টেবলেট খাওয়ানোর পর শিকারোক্তি আদায়ের প্রচেষ্টা করা হয়। এসময় নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অপরাধ না করেও স্বর্নের চেইন চুরির বিষয়ে স্ট্যাম্পে শিকারোক্তিমুলক অঙ্গিকার দেন এ দম্পতি। পরে ভিকটিমের ভাই টিপু সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় একদিন পর এ দম্পতিকে উদ্ধার করে নির্যাতনের শিকার হামিদা আক্তার (৪২) ও আবদুল হাকিম (৬০ কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করান।
সংবাদ সম্মেলনে টিপু বলেন, যদি তাদের স্বর্ণ চুরি হয়ে থাকে তাহলে তারা থানায় মামলা করতে পারেন। কিন্তু কোন প্রকার আইনের আশ্রয় না নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এভাবে নির্যাতন করা ঘটনার বিচার দাবী করেন। এদিকে এ ব্যপারে অভিযুক্ত কে. এম ইলিয়াছ মিয়া প্রকাশ ফিরোজ বলেন, স্বর্ণ চুরির ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতেই এ দম্পতি ও তাদের আত্মীয়রা মিলে নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদেরকে কোন প্রকার মারধর করা হয়নি। স্বর্ন চুরির বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। কোর্টের নির্দেশনা পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
0 notes
shahalam2 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
মেয়ে শিশুর ৫২৮টি ইসলামিক নামঃ অর্থ সহ শেয়ার ক‌রে সংগ্র‌হে রাখুন ১.আফরা=অর্থ =সাদা ২.সাইয়ারা=অর্থ =তারকা ৩.আফিয়া =অর্থ =পুণ্যবতী ৪.মাহমুদা =অর্থ =প্রশংসিতা ৫.রায়হানা =অর্থ =সুগন্ধি ফুল ৬.রাশীদা =অর্থ =বিদুষী ৭.রামিসা =অর্থ =নিরাপদ ৮.রাইসা =অর্থ = রাণী ৯.রাফিয়া=অর্থ = উন্নত ১০.নুসরাত =অর্থ = সাহায্য ১১.নিশাত =অর্থ =আনন্দ ১২.নাঈমাহ =অর্থ =সুখি জীবন যাপনকারীনী ১৩.নাফীসা =অর্থ =মূল্যবান ১৪.মাসূমা =অর্থ =নিষ্পাপ ১৫.মালিহা =অর্থ =রুপসী ১৬.হাসিনা =অর্থ =সুন্দরি ১৭.হাবীবা =অর্থ =প্রিয়া ১৮.ফারিহা =অর্থ =সুখি ১৯.দীবা =অর্থ = সোনালী ২০.বিলকিস =অর্থ =রাণী ২১.আনিকা =অর্থ =রুপসী ২২.তাবিয়া =অর্থ =অনুগত ২৩.তাবাসসুম =অর্থ = মুসকি হাসি ২৪.তাসনিয়া =অর্থ = প্রশংসিত ২৫.তাহসীনা =অর্থ = উত্তম ২৬.তাহিয়্যাহ =অর্থ = শুভেচ্ছা ২৭.তোহফা =অর্থ = উপহার ২৮.তাখমীনা =অর্থ = অনুমান ২৯.তাযকিয়া =অর্থ = পবিত্রতা ৩০.তাসলিমা =অর্থ = সর্ম্পণ ৩১.তাসমিয়া =অর্থ = নামকরণ ৩২.তাসনীম =অর্থ = বেহেশতের ঝর্ণা ৩৩.তাসফিয়া =অর্থ = পবিত্রতা ৩৪.তাসকীনা =অর্থ = সান্ত্বনা ৩৫.তাসমীম =অর্থ = দৃঢ়তা ৩৬.তাশবীহ =অর্থ = উপমা ৩৭.তাকিয়া শুদ্ধ চরিত্র ৩৮.তাকমিলা =অর্থ = পরি��ূর্ণ ৩৯.তামান্না =অর্থ = ইচ্ছা ৪০.তামজীদা =অর্থ = মহিমা কীর্তন ৪১.তাহযীব =অর্থ = সভ্যতা ৪২.তাওবা =অর্থ = অনুতাপ ৪৩.তানজীম =অর্থ = সুবিন্যস্ত ৪৪.তাহিরা =অর্থ = পবিত্র ৪৫.তবিয়া =অর্থ = প্রকৃতি ৪৬.তরিকা =অর্থ = রিতি-নীতি ৪৭.তাইয়্যিবা =অর্থ = পবিত্র ৪৮.তহুরা =অর্থ = পবিত্রা ৪৯.তুরফা =অর্থ = বিরল বস্তু ৫০.তাহামিনা =অর্থ = মূল্যবান মেয়ে শিশুর ইসলামিক নাম click to collapse contents ৫১.তাহমিনা =অর্থ = বিরত থাকা ৫২.তানমীর ক্রোধ প্রকাশ করা ৫৩.ফরিদা =অর্থ = অনুপম ৫৪.ফাতেহা =অর্থ = আরম্ভ ৫৫.ফাজেলা =অর্থ = বিদুষী ৫৬.ফাতেমা =অর্থ = নিষ্পাপ ৫৭.ফারাহ =অর্থ = আনন্দ ৫৮.ফারহানা =অর্থ = আনন্দিতা ৫৯.ফারহাত =অর্থ = আনন্দ ৬০.ফেরদাউস বেহেশতের নাম ৬১.ফসিহা =অর্থ = চারুবাক ৬২.ফাওযীয়া =অর্থ = বিজয়িনী ৬৩.ফারজানা =অর্থ = জ্ঞানী ৬৪.পারভীন =অর্থ = দীপ্তিময় তারা ৬৫.ফিরোজা =অর্থ = মূল্যবান পাথর ৬৬.ফজিলাতুন =অর্থ = অনুগ্রহ কারিনী ৬৭.ফাহমীদা =অর্থ = বুদ্ধিমতী ৬৮.ফাবিহা বুশরা =অর্থ = অত্যন্ত ভাল শুভ নিদর্শন ৬৯.মোবাশশিরা =অর্থ =সুসংবাদ বাহী ৭০.মাজেদা =অর্থ = সম্মানিয়া ৭১.মাদেহা =অর্থ = প্রশংসা ৭২.মারিয়া =অর্থ = শুভ্র ৭৩.মাবশূ রাহ =অর্থ = অত্যাধিক সম্পদ শালীনী, ৭৪.মুতাহাররিফাত =অর্থ = অনাগ্রহী ৭৫.মুতাহাসসিনাহ =অর্থ = উন্নত ৭৬.মুতাদায়্যিনাত =অর্থ = বিশ্বস্ত ধার্মিক মহিলা, ৭৭ https://www.instagram.com/p/BtlPiqOBuIS/?utm_source=ig_tumblr_share&igshid=5yw03ygeqxyl
0 notes
kalerkhobor · 4 years ago
Text
চাচীর ঘরের ড্রামে শিশুর লাশ!
চাচীর ঘরের ড্রামে শিশুর লাশ!
বিয়ানীবাজারে আপন চাচীর ঘরের চালের ড্রাম থেকে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সুমা বেগম (৪২) ও নাহিদ আহমদ (২৩)। 
জানা যায়, নিহত শিশু উত্তর আকাখাজানা গ্রামের খছরু মিয়ার ছেলে। ওই শিশু রবিবার সকাল ৬টা থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে এদিন বিকালে খছরু মিয়ার ছোটভাই…
View On WordPress
0 notes
checkpostbd · 4 years ago
Text
চাচীর ঘরের ড্রামে শিশুর লাশ!
বিয়ানীবাজারে আপন চাচীর ঘরের চালের ড্রাম থেকে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিয়ানীবাজারে আপন চাচীর ঘরের চালের ড্রাম থেকে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সুমা বেগম (৪২) ও নাহিদ আহমদ (২৩)। 
জানা যায়, নিহত শিশু উত্তর আকাখাজানা গ্রামের খছরু মিয়ার ছেলে। ওই শিশু রবিবার সকাল ৬টা থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে এদিন বিকালে খছরু মিয়ার ছোটভাই…
View On WordPress
0 notes
paathok · 3 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/134581
চন্দনাইশে চুরির অপবাদ দিয়ে বয়স্ক দম্পতিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
.
মেজবানি অনুষ্ঠানে কাজ করার কথা বলে শহর থেকে ডেকে নিয়ে পরে চুরির অপবাদ দিয়ে এক দম্পতিকে আটকে রেখে বিভৎস নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
গত (১৬ জুন) সোমবার জেলার চন্দনাইশের মোহাম্মদপুর কাজী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার হামিদা আক্তার (৪২) ও আবদুল হাকিম (৬০) নামে ওই দম্পতি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতনের পর থানায় গেলেও মামলা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির। পরে ভুক্তভোগিরা চট্টগ্রাম আদালতে জ্যুডিমিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদার কোর্টে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট আবদুচ ছাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন বিচারক বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে হিসেবে নথিভুক্ত করতে চন্দনাইশ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে দায়ের করা মামলারন বিবরণে জানা যায়,গত ১২ জুন নির্যাতিত দম্পতির চাচী মৃত্যুবরন করলে তারা সেখানে দাফন কাজে অংশ নেন। দাফন শেষে উক্ত দম্পতি শহরের মির্জাপুল এলাকায় নিজেদের বাসায় চলে আসেন। এরপর ১৬ জুন মামলার অভিযুক্তরা শহরে এসে চাচীর মেজবানি অনুষ্ঠানে কাজ করার কথা বলে নির্যাতিত দম্পতিকে গাড়ীতে করে চন্দনাইশে নিয়ে যান।
.
নির্যাতিতরা জানান,চন্দনাইশে পৌঁছে তাদেরকে চাচীর বাড়ীতে না নিয়ে পাশের চাচাত ভাই গোলাম আজাদ শিশুর ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খানের স্বর্ণের চেইন চুরির অভিযোগ আনা হয়।
ভিকটিম দম্পতি স্বর্ণের চেইন চুরির বিষয় অস্বীকার করলে দুজনকে বাড়ীর দ্বিতীয় তলার আলাদা দুটি কক্ষে নিয়ে পিছমোড়া বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় একদিন এক রাত ধরে নির্যাতন করা হয়। এসময় অভিযুক্ত চাচাত ভাই গোলাম আজাদ শিশু,মিজানুর রহমান, কে এম ইলিয়াছ প্রকাশ ফিরোজ, চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খানসহ মিলে বৈদ্যুতিক পাইপ, লোহার রড ও লাটি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক নির্যাতন চালায়।
এ ছাড়া প্লাস দিয়ে ভিকটিম হামিদা আক্তারের পায়ের আঙ্গুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়। নির্যাতনের শিকার হামিদা আকতার বলেন চুরির বিষয়ে অস্বীকার করলেও তারা তার শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্নস্থানে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পিটিয়ে জখমসহ ইলেকট্রিক সর্ট দেয়। অন্যরুমে তাঁর স্বামী আবদুল হাকিম (৬০)কেও একই কায়দায় নির্যাতন করা হয়।
এক পর্যায়ে হামিদা আকতারকে জোর পূর্বক নেশা জাতীয় টেবলেট খাওয়ানোর পর শিকারোক্তি আদায়ের প্রচেষ্টা করা হয়। এসময় নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অপরাধ না করেও স্বর্ণের চেইন চুরির বিষয়ে স্ট্যাম্পে স্বীকারোক্তিমুলক অঙ্গিকার দেন এ দম্পতি।
এ খবর তাদের ভাই টিপুকে না বলতে ভয় দেখানো হয়। পরে ভিকটিমের ভাই টিপু স���খানে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় একদিন পর এ দম্পতিকে উদ্ধার করেন।
নির্যাতিত আবদুল হাকিম বলেন, এ ঘটনার পর চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। এ ছাড়া অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং কোন প্রকার মামলা না করতে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন,যদি তাদের স্বর্ণ চুরি হয়ে থাকে তাহলে তারা থানায় মামলা করতে পারেন। কিন্তু কোন প্রকার আইনের আশ্রয় না নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদেরকে মিথ্যা কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এভাবে নির্যাতন করা ঘটনার বিচার দাবী করেন।
এদিকে এ ব্যপারে অভিযুক্ত কে,এম ইলিয়াছ মিয়া প্রকাশ ফিরোজ বলেন, স্বর্ণ চুরির ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতেই এ দম্পতি ও তাদের আত্মীয়রা মিলে নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদেরকে কোন প্রকার মারধর করা হয়নি। স্বর্ণ চুরির বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। কোর্টের নির্দেশনা পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
0 notes
mamunur93 · 5 years ago
Text
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: নিখোঁজ ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: নিখোঁজ ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর সদরঘাটে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত দুই শিশুর নাম মেশকাত (১২) ও নুসরাত (৫)। তারা সম্পর্কে ভাই-বোন।
শুক্রবার (২১ জুন) ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে ডিঙি নৌকায় করে ওয়াইজ ঘাট থেকে ডিঙি নৌকায় করে কিশোরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল একই পরিবারের ৫ জন। এ সময় ঘাটে ভিড়ছিল পূবালি-৫ নামের একটি লঞ্চ। এর ঢেউয়ের তোড়ে ঐ নৌকাটি ডুবে যায়।
নৌকাডুবির ঘটনায় পরিবারের বাকি দুই সদস্য বাবুল ফরাজি (৪২),…
View On WordPress
0 notes
lalsobujerkotha · 6 years ago
Text
দেবহাটায় ২ শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা
দেবহাটায় ২ শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা
কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরোঃ দেবহাটায় ২ শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে দেবহাটা থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন ধর্ষিত শিশুর মা দেবহাটা উপজেলার সুশিলগাতী গ্রামের শেখ আবু মুসার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (৪২)। মামলা নং- ০১।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১ টার দিকে বাদীনির ৭ বছরের মেয়ে ও তার দেবরের ৬ বছর বয়সের মেয়ে প্রাইমারী স্কুল থেকে পরীক্ষা শেষে বাড়ি আসলে পাশর্^বর্তী শেখ আবুল হোসেনের…
View On WordPress
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
“কীভাবে গুনবেন গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া” গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া বা কিক প্রথম যেদিন অন্তঃসত্ত্বা মা টের পান, সেদিনকার অভিজ্ঞতার কোনো তুলনাই হয় না। এই আনন্দময় মুহূর্তের জন্য মা অপেক্ষা করে থাকেন। চিকিৎসকেরা এই নড়াচড়াকে গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতার একটি বড় লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। মাকে তাঁরা তাই বলে দেন যেন সারা দিনের নড়াচড়া ��েয়াল করে রাখা হয়। কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তা চিকিৎসককে দ্রুত জানাতে হবে। ■ সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহে মা প্রথম পেটের ভেতর শিশুর নড়াচড়া টের পেতে শুরু করেন। এ সময় মৃদু কম্পন বা ধাক্কার মতো হবে অনুভূতিটা। ক্রমে মা নড়াচড়া আরও ভালো টের পেতে শুরু করবেন। প্রথম মা অনভিজ্ঞতার কারণে ১৮ সপ্তাহে তা না-ও বুঝতে পারেন। এতে ভয়ের কিছু নেই। ■ একেক শিশুর নড়াচড়ার ধরন একেক ধরনের। শিশু সব সময় নড়তেই থাকবে, তা-ও নয়। যেমন ঘুমের সময়। গর্ভের মধ্যেও শিশু বিশ্রাম নেয় বা ঘুমায়। তবে এই সময় একটানা ৯০ মিনিটের বেশি হওয়ার কথা নয়। মাকে বুঝে নিতে হবে তার শিশুটি কখন কতক্ষণ সাধারণত ঘুমায়। ■ ২৮ থেকে ৩৬ সপ্তাহ গর্ভকালে সবচেয়ে বেশি নড়াচড়া বোঝা যায়। এতে মায়েরা অভ্যস্তও হয়ে পড়েন। সাধারণত খাওয়াদাওয়ার পর নড়াচড়া বেশি বেড়ে যায়। ■ ৩৬ থেকে ৪২ সপ্তাহ গর্ভকালে গর্ভস্থ শিশু আকারে বেশ বড় হয়ে যায় ও তার নড়াচড়ার স্থান যায় কমে। ফলে নড়াচড়ার তীব্রতা কমে যায়। কিন্তু নড়াচড়া কমে না। ■ নড়াচড়া গণনা করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো দুপুরে ভরপেট খেয়ে বাঁ কাতে শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময়। নড়াচড়া গণনার জন্য কাউন্ট টু টেন হচ্ছে সবচেয়ে সহজ ও স্বীকৃত পদ্ধতি। এটা হলো প্রতি দুই ঘণ্টায় বাচ্চা কতবার নড়ে উঠল, তার হিসাব রাখা। ২ ঘণ্টায় অন্তত ১০ বার নড়াচড়া করা স্বাভাবিক। ■ কিছু কিছু কারণে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে বা দীর্ঘ সময় ধরে না-ও নড়তে পারে। এগুলো হলো গর্ভফুল সামনের দিকে থাকা, তীব্র ব্যথানাশক বা ঘুমের ওষুধ খাওয়া, মা অ্যালকোহলে আসক্ত বা ধূমপায়ী হলে, জরায়ুর পানি অতিরিক্ত কমে গেলে, মায়ের যেকোনো জটিল শারীরিক-মানসিক সমস্যা, শিশুর শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। নড়াচড়া হঠাৎ কমে যাওয়া মানে গর্ভস্থ শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। কিক কাউন্ট কমে গেলে মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই গর্ভকালে, বিশেষ করে শেষের দিকে কিক কাউন্ট করা ও যথাযথ সময়ে প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
0 notes
ctgonlinetv-blog · 6 years ago
Photo
Tumblr media
কারাবন্দিদের ঈদ, খাবারে পোলাও-মাংস ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে মানুষের ভিড়। সবাই ভেতরে যাচ্ছেন একে একে। সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক। কারাগারে বন্দি আত্মীয়-স্বজনদের ঈদের আগে একনজর দেখবেন। কেউ কেউ নিয়ে এসেছেন নতুন কাপড়। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সেসব নতুন কাপড় পৌঁছে যাবে কারাগারে বন্ধি থাকা আত্মীয়দের কাছে। কাজী নেয়���মুল করিম নোমান ১৭ বছর ধরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। বন্ধুকে হত্যা মামলায় সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সাজা ভোগ করছেন তিনি। ১৭ বছরে জেলখানার ভেতর পরিবারবিহীন কাটিয়েছেন ৩৪টি ঈদ। ৪২ বছর বয়সী কাজী নেয়ামুল করিম নোমানের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে। পিতার নাম কাজী করিমুল হক। বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাক্ষাতকার কক্ষে  সঙ্গে কথা হয় নোমানের। নোমান জানালেন জেলখানার ভেতরে তার অভিজ্ঞতার কথা। নোমান বলেন, ‘১৭ বছর ধরে কারাগারে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ৩৪টি ঈদ কাটিয়েছি এ কারাগারের ভেতরেই। একসময় খারাপ লাগলেও এখন আর খারাপ লাগে না। কারাগারই এখন আমার একটি পরিবার।’ নোমান বলেন, ‘ঈদে আমরা বন্দিরা নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করি। আমরাও নতুন জামা পড়ি। সবাই একসাথে নামাজ পড়ি। একসাথে খাই। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারার দুঃথ ভুলে যাই।’ নোমান ২০০১ সালে নগরের বাকলিয়া ডিসি রোডে শহীদ হত্যা মামলার একমাত্র আসামি। ২০০৬ সালে মহানগর দায়রা জজ আদালত নোমানকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। নোমান বলেন, ‘তখন বয়স কম ছিল। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয় বন্ধু শহীদের সাথে। সে মারা যায়। কিন্তু আমি তাকে মেরে ফেলতে চাইনি। আমি অনুতপ্ত।’ ১৮৫৩ জন বন্দি ধারণ ক্ষমতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন বন্দি আছেন ৭৪৮৭ জন। পুরুষ আছেন ৭১৪১ জন এবং নারী আছেন ৩৪৬ জন। এসব বন্দিদের জন্য ঈদ উপলক্ষে কারা কর্তৃপক্ষের রয়েছে বিশেষ আয়োজন। কারাগার সূত্র জানায়, কারাবন্দিরা সবাই একসাথে নামাজ পড়বেন কারাগারের ভেতর। তাদের জন্য কারা কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন জামার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, আমরা কারাগারকে সুন্দরভাবে পরিচালনার চেষ্টা করি। এবার ঈদে আমি নিজ উদ্যোগে এবং সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ২৫০টি লুঙ্গি ও ৩৫০টি শাড়ি দিয়েছি। কারাবন্দিরাও যাতে ঈদে অন্তত হাসি-খুশিতে কাটাতে পারে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন কারাবন্দিরা সবাই একসাথে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা। সবাই নতুন জামা-কাপড় পড়বেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কারাবন্দিদের অনেকেই নতুন জামা পেয়েছেন। আমরাও ব্যবস্থা করেছি। চেষ্টা করছি তারা যেন ভালো একটি ঈদ উপহার পান। কারাগার মানে বন্দিশালা নয়, শুদ্ধাগার। ইকবাল কবির চৌধুরী জানান, ঈদের দিন সকালে কারাবন্দিদের খাবার হিসেবে থাকবে সেমাই, দুপুরে ভাত, মাছ, আলুর দম, সালাদ এবং রাতে পোলাও ভাত, মাংস, সালাদ, মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাবার। ইকবাল কবির চৌধুরী বলেন, এছাড়া কারাবন্দি অনেকের পরিবার বাসা থেকে ঈদের দিন খাবার নিয়ে আসবেন তাদের জন্য। শুধু ঈদের দিন আমরা বিশেষ অনুমতি দিবো। সমাজের বিত্তবানরা অনুমতি সাপেক্ষে ঈদে কারাবন্দিদের কাপড় দেন। নারী বন্দিদের ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের পরিচর্যায় কারাগারের অভ্যন্তরে কারা কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় অপরাজেয় বাংলাদেশ নামক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে ‘ডে কেয়ার সেন্টার’। কারাগারে মহিলা ওয়ার্ডে মা দের সাথে রয়েছে ০ থেকে ৬ বছর বয়সী ৫৫ জন শিশু। তার মধ্যে ২৬ জন ছেলে এবং ২৯ জন মেয়ে। ডে কেয়ার সেন্টারের কাউন্সিলর জিনাত আরা বেগম  বলেন, ৫৫ জন শিশুর জন্য আমরা নতুন জামার ব্যবস্থা করেছি। তাদের নতুন জুতা সরবরাহ করেছি।
0 notes
checkpostbd · 4 years ago
Text
সিঙ্গাইরে মাদকাসক্তের যৌন নির্যাতনের শিকার ৬ বছরের শিশু
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের চর খালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন ইছহাক একই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। এ ঘটনার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর নানী।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে নাজমুল হোসেন ইছহাক (৪২) নামে এক মাদকাসক্তের যৌন লালসার শিকার হয়েছে ৬ বছরের এক মেয়ে শিশু। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের চর খালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন ইছহাক একই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। এ ঘটনার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর নানী।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার, থানা পুলিশ ও স্থানীয়…
View On WordPress
0 notes
ektibd · 7 years ago
Photo
Tumblr media
ঝিনাইদহ এলজিইডির ৫শ ৪২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ এলজিইডি সারা জেলায় পল্লী সড়ক, স্কুল, হাট বাজার, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি, কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মানে ৫শ ৪২ কোটি ২৮ লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এ সময় জেলাব্যাপী শক্তিশালী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে নির্মান করা হয়েছে ৯৮৪.৭০ কিলোমিটার গ্রামীন সড়ক। নয়নাভিরাম এ সব সড়ক গ্রামীন জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করে শহরের সাথে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করে দিয়েছে। সরকারের রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে ঝিনাইদহ এলজিইডি এ সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ওই অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ঝিনাইদহ জেলায় ৯৮৪.৭০ কিলোমিটার পল্লী সড়ক নির্মানে তারা ব্যায় করেছে চারশ ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বর্তমানে ১৩৫ কিলোমিটার সড়কের নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। সড়ক উন্নয়নকে টেকসই করতে নিয়মিত জেলার সড়কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। ২০০৯-২০১৭ সাল পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলায় মোট ১০৪৭.৩৪ কিঃ মিঃ রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। এ কাজে মোট ১৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া ২৩ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪৮০.৭৫ মিটার সেতু/কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় শতভাগ শিশুর উপস্থিতি নিশ্চিত এবং আনন্দময় শিক্ষা শৈশবের জন্য সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ থেকে ৬৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতির গতিশীল সঞ্চালনে ঝিনাইদহ এলজিইডি ৯ বছরে ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২টি উপজেলা পরিষদ ভবন, ৪ কোটি ৯২ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ৯ কোটি ৭৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যায়ে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউট (বারটান) এর ২টি ভবন ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ঝিনাইদহ জেলায় ৫টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান করা হয়েছে। যাতে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৯টি বীরনিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ এলজিইডির র্নিবাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ আব্দুল মালেক জানান, পল্লী সড়ক শুধু সড়কই নয়। কর্মসংস্থান, জীবিকা ও উন্নততর জীবনেরও অবলম্বন। পল্লী সড়কের হাত ধরেই আসে কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্র��েশগম্যতা, দারিদামুক্তি সর্বোপরি মানবউন্নয়ন। তাই পল্লী সড়ক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রাপ্ত বিষয়। তিনি বলেন, সরকারের রুপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে ঝিনাইদহ জেলায় বিগত নয় বছরে অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আরও অনেক কাজ বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীন আছে। স্থানীয় উন্নয়নের মাধ্যমে জনগনের জীবন মান উন্নয়ন করতে নিবেদিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
0 notes