Tumgik
#হাড় গঠনে
seoasraful · 1 year
Text
এপ্রিকট-খাওয়ার-উপকারিতা:
বাংলায় এপ্রিকটকে বলা হয় খুবানি। এই কমলা-হলুদ ফলটি  আশ্চর্যজনক কারণ এটি এত পুষ্টিকর। এটি মূলত চীনে তৈরি। এটি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়। এপ্রিকট মিষ্টি, সামান্য টক এবং সুস্বাদু। ক্যালোরি এবং চর্বি কম হলেও এটি ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। এতে প্রোটিন, ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ই এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই ছোট, মোটা ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি যেনে নেওয়া যাক। এপ্রিকটের ব্যবহার 
Tumblr media
👉 রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্যকর চিনির মাত্রা বজায় রেখে আপনার শরীরকে পুষ্টি জোগায় এমন খাবার বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এপ্রিকটে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই সহায়ক কারণ এতে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি কম থাকে। 
👉 দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: আজকাল শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই চশমা পরেন। যদিও খুব কম লোকই এটিকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে, তাদের বেশিরভাগেরই দৃষ্টি সমস্যা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন এ-এর মতো উপাদানের অভাব থাকে। আরও পড়ুন: তিসি বীজের ১০ টি বিশেষ উপকারিতা যা আমাদের প্রতিদিন খাওয়া উচিত বয়স সম্পর্কিত চোখের রোগ। আবার এর ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। 
👉 হজম শক্তি শক্তিশালী করে: বাঙালিদের জন্য সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা কঠিন। এই কারণে এটি প্রায়শই হজমের সমস্যার ক্ষেত্রে পরা হয়। সাধারণ এপ্রিকট আপনাকে এই ধরনের ঝামেলা থেকে বাঁচাবে। এর ফাইবার সমৃদ্ধতা আপনার হজমকে সহজ করবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপাও দূর করবে। 
👉 লিভারকে রক্ষা করুন: লিভার মানবদেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি হেপাটাইটিসের কারণ হতে পারে, যা লিভারের ক্ষতি করতে পারে। এপ্রিকট ফ্যাটি লিভার রোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, এটি লিভারের পুনর্জন্ম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। 
👉 এপ্রিকট (Apricot) ওজন কমাতে সাহায্য করে: অতিরিক্ত ওজন অনেক শারীরিক রোগের দিকে নিয়ে যায়। স্থূল ব্যক্তিরাও মানসিক চাপ বা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। তাই সুস্বাস্থ্য এবং মানসিক শান্তি উভয়ের জন্যই ওজন কমানো প্রয়োজন। এপ্রিকট খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ, খাবারের আকাঙ্ক্ষার প্রবণতা হ্রাস পায়, যা আপনার ওজন কমানোর যাত্রাকে অনেক সহজ করে তোলে। 
👉 অ্যানিমিয়া বা অ্যানিমিয়া: এপ্রিকটে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। আয়রন হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং রক্তের গুণমান উন্নত করে। 
👉 হাড় গঠনে সাহায্য করে: বয়সের সাথে সাথে হাড়ের ক্ষয়ের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। জয়েন্টের সমস্যা থেকে যায়। এর প্রধান কারণ ক্যালসিয়ামের অভাব। এপ্রিকট ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। পটাসিয়াম হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়ামের সঠিক শোষণে অবদান রাখে। এপ্রিকটেও এই পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি আপনার হাড়ের গঠনকে শক্তিশালী করবে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করবে। 
👉 শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষা: অনেকেই হাঁপানি বা হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভোগেন। সর্দি-কাশি বা ফ্লুর মতো সমস্যাও রয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ফ্ল্যাভোনয়েডগুলি হাঁপানির উন্নতি করতে পারে। এপ্রিকটে উপস্থিত ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই প্রক্রিয়াটি  ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সর্দি-কাশি এবং ফ্লুর মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। আবার, এপ্রিকটে থাকা বিটা-ক্যারোটিন জ্বর নিরাময়ে সাহায্য করে। 
👉 গর্ভাবস্থায় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করুন: মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় পুষ্টির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাই এ সময় পুষ্টিকর খাবার যোগ করা প্রয়োজন। এপ্রিকট খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। গর্ভাবস্থায় তামা এবং লোহা দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই বরই সম্পর্কে সুস্বাদু কি? 
👉 ত্বকের যত্নে: আমাদের ত্বক প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিবেশগত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিবেগুনি রশ্মি, রোদে পোড়া, মেলানিনের অভাব ইত্যাদির কারণে ত্বকের ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই। ভালো খাবারের মাধ্যমে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 
👉 অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার আপনার ত্বককে রক্ষা করতে পারে। এপ্রিকটে রয়েছে ভিটামিন ই এবং সি, যা সুস্থ ত্বকের জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন সি ইউভি-প্ররোচিত ত্বকের প্রদাহ এবং অন্যান্য ক্ষতি কমায়। ভিটামিন ত্বককে কোলাজেন তৈরি করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, যা আপনার ত্বক থেকে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। Apricot Benefits এই আশ্চর্যজনক ফলটি আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এবং এর অবিশ্বাস্য উপকারিতা কাটুন। 
✅ ভালো খান, সুস্থ থাকুন, আবরার_ফ্যাশন_এ্যাপারেলস এর সাথে থাকুন।
1 note · View note
sayantan1 · 1 year
Video
youtube
কাঁচা বাদামের উপকারিতা #shorts #viral #shortsfeed #trending #shortvideo #viralvideo #heltech4u #tips কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ হাড় গঠনে ও মাংসপেশি মজবুত রাখে, ব্রেইনের কার্যক্ষমতা উন্নত করে, ক্যানসার প্রতিরোধ ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা বাদামে থাকে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। বন্ধুরা, ভিডিও টা ভালো লাগলে Like, Comments, Share and Subscribe করে দিও..... ----------------------------------------------------- #কাঁচা_বাদামের_উপকারিতা #benefitsofrawalmonds #beauty #rawnuts #viralshorts #youtubeshorts #ytshorts Like | Share | Subscribe * Subscribe Now On YouTube- https://bit.ly/2PHOhWW * Follow Now On Facebook- https://ift.tt/OEv2x36 Related Tags: সকালে খালি পেটে কাঁচা বাদাম খাওয়ার পরিণতি জানেন কি? কাঁচা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়, নিয়ম ও উপকারিতা সকালে খালি পেটে কাঁচা বাদাম খেলে কি পরিণতি হতে পারে/কাঁচা বাদাম কেন খাবেন/কাঁচা বাদামের উপকারিতা কেবল ৪ দিন বাদামের সাথে ১ টি জিনিস খান যৌবন শক্তি দ্বিগুণ হবে! শরীরের শক্তি হবে ২০ বছরের যুবকের মতোন কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা | বাদাম বাদাম দাদা কাচা বাদাম | Kacha Badam | Health Tips সকালে খালি পেটে কাঁচা বাদাম খাওয়ার পরিণতি জানেন কি? কাঁচা বাদাম কেন খাবেন? কাঁচা বাদামের উপকারিতা Vocal: Sayantan Roy Thanks. Heltech4u [email protected] General Disclaimer: THIS IS FOR OUR EDUCATIONAL PURPOSE PLEASE CONSULT YOUR DOCTOR BEFORE APPLYING ANY REMEDIES.; All the video content published on our channel is our own creativity for information only. We are NOT licensed medical practitioners so always consult professionals in case you need them. Copyright Disclaimer: Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational, or personal use tips the balance in favor of fair use. by Heltech4U
0 notes
ikpmart · 2 years
Text
শোল মাছ
স্বাদুপানির অত্যন্ত সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় একটি মাছ হলো শোল মাছ। বাজারে এর চাহিদা অনেক থাকলেও এটি বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর চাহিদা অনেক থাকায় বাজারে এই মাছ চওড়া মূল্যে বিক্রি করা হয়।‌ শোল মাছ চেনার উপায় হলো- এর দেহের সামনের অংশ প্রায় চোঙাকৃতির এবং পেছনের দিক থেকে কিছুটা চাপা বা চ্যাপ্টা ধরনের হয়ে থাকে। এই মাছের মাথা দেখতে অনেকটা সাপের মত হয়ে থাকে। এছাড়াও একটি পূর্ণাঙ্গ শোল মাছ দেখতে অনেকটা ঘন বাদামি রঙের হয়ে থাকে এবং এর সারা গায়ে কালো, ডোরা কাটা দাগ থাকে। শোল মাছের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে রয়েছে- ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক ইত্যাদি। নিয়মিত এই মাছ খেলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, শরীরের হাড় ও মাংসপেশি গঠনে সহায়তা করে, কোষ্টকাঠিন্য দূর করে থাকে ইত্যাদি। শোল মাছ দিয়ে রান্না করা যায় সাধারণত ঝোল, ভুনা, শোল মাছের তরকারি ইত্যাদি। বর্তমানে আমরা নিয়ে এলাম সুলভ মূল্যে তাজা তাজা শোল মাছ। শোল মাছ পেতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ "IKP Mart" এর সাথে।
Tumblr media
0 notes
kidzymart · 3 years
Photo
Tumblr media
ক্যালসিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত
#Deelac_Milk_Podwer যা আপনার শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, মজবুত দাঁত ও হাড় গঠনে সহায়তা করবে, স্বাস্থ্যকর এই দুধ সহজেই পেয়ে যাবেন kidzymart.com থেকে।
#Deelac_Milk_Podwer
#DeelacMilk
#Deelac
#Aptamil
#kidzy_Mart
#shopping
#Omicron
#Keep_your_baby
#baby_care
#Safe_from
#Stay_Home
#Stay_Safe
1 note · View note
citynewsdhaka · 3 years
Text
শরীর গঠনে প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভিটামিন ডি।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। এমতাবস্থায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজন।
ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ বাড়ায়। এ ছাড়া দাঁত ও হাড় গঠনেও সাহায্য করে। আর কিছু রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ভিটামিন।
গুরুত্বপূর্ণ এ ভিটামিন পাওয়া যায় খাবার থেকে। আবার প্রাকৃতিকভাবেও পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি-এর বড় উৎস সূর্যের আলো। সকালের রোদ থেকে যে ভিটামিন ডি আসে, সেটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এর বাইরেও সকালের রোদ পোহানোর আরও কিছু সুবিধা আছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় :
সকালের রোদ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সকালে রোদ পোহালে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
হাড় গঠন :
হাড় গঠনের অন্যতম উপাদান হলো ভিটামিন ডি। এর অভাব হলে শিশুদের হাড় গঠন সঠিকভাবে হয় না। পাশাপাশি আর্থারিস, অস্টিওপোরোসিস, ফ্র্যাকচারের মতো রোগগুলোর ঝুঁকি দেখা দেয়।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে :
একটা বয়সে এসে দৃষ্টিশক্তি অনেকটা কমে আসে। ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ফলে এ ঘটনাটি ঘটে। ভিটামিন ডি-৩ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে কাজ করে। এ কারণে বয়স্কদের উচিত প্রতিদিন সকালে অন্তত ১৫ মিনিট রোদ পোহানো।
শরীরের বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে :
সকালের রোদ শরীরের বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে দারুণ কার্যকর। দেহকে সুস্থ ও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে বিপাক ক্রিয়া।
এক গবেষণায় দেখা যায়, সকালের রোদের সঙ্গে আসা অতি বেগুনি রশ্মি স্থুলতা কমাতে সহায়তা করে। ভিটামিন ডির অভাবগ্রস্ত ব্যক্তির শরীরে স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে চর্বি বেশি থাকে। তাই স্থুল ব্যক্তি দৈনিক ১৫ মিনিট সকালের রোদে হাঁটলে ত্বকে জমে থাকা নাইট্রিক অক্সাইডের দহন হয়। এতে চর্বি কমতে শুরু করে।
পরিমিত ঘুম :
গবেষকেরা দেখেছেন, সকালের রোদে হাঁটার অভ্যাস করলে ঘুমের সমস্যা হয় না। যারা সকালে রোদের মধ্যে হাঁটেন, তাদের ঘুমচক্র স্বাভাবিক থাকে।
এ ছাড়াও সকালের রোদে আরও যেসব উপকার রয়েছে—
•সূর্যের আলো গায়ে লাগলে মানুষের অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাসসহ কিছু অংশ ভিটামিন ডির সাহায্যে মন চনমনে রাখতে সাহায্য করে।
•দাঁতের এনামেল ভঙ্গুর হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে রোদ বা ভিটামিন ডি।
•অতিরিক্ত রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি।
•নিয়মি শরীরে রোদ লাগালে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি শরীরে ১০ শতাংশ বাড়লে ক্যানসার থেকে বাঁচার সম্ভাবনা ৪ শতাংশ বেড়ে যায়।
•স্মৃতিভ্রংশ ও অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। যাদের বাতের যন্ত্রণা আছে, তাদের জন্যও রোদে যাওয়া খুবই জরুরি।
•হার্টের অসুখ, এমনকী স্নায়ুর সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে নিয়মিত রোদে গেলে। এ ছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
•ভিটামিন ডি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। অনেকেই হাড় শক্ত করার জন্য ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। কিন্তু যথেষ্ট ভিটামিন ডি শরীরে না থাকলে এই ক্যালসিয়াম খুব একটা কাজে আসে না। ফলে হাড় হয়ে ওঠে নরম এবং ভঙ্গুর।
•পুরুষদের লিঙ্গ উত্থান ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ডির জুড়ি নেই। যেসব পুরুষের যৌনজীবনের এই সমস্যাটা দেখা যায়, তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অভাবও দেখা যায় প্রায়ই। সুতরাং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত রোদে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন।
0 notes
coachhironmoy · 4 years
Photo
Tumblr media
😋খাবারে স্বাদ বাড়ানোর জন্য আমরা মশলা ব্যবহার করলেও প্রতিটি মশলারই কিন্তু রয়েছে নিজস্ব কিছু গুনাগুন যা আমাদের শরীর কে রক্ষা করে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ থেকে ।যেমনঃ হৃদরোগের উন্নতিতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতে, ওজন হ্রাস, হাড়কে শক্তিশালীকরণ, রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা, ঠান্ডা কাটানো, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, এবং হরমোনের সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্যও ভাল । 🍱মশলা কি? মশলা হলো বিভিন্ন উদ্ভিদের বীজ, শিকড়, ফল, বাকল, এবং অন্যান্য অংশ থেকে তৈরি উপাদান যা সাধারনত খাবারের রং পরিবর্তন, স্বাদ বৃদ্ধিতে ও খাবার সংরক্ষণে ব্যবহার কর হয়। ক্যালরির পরিমান খুবই কম থাকায় মসলার কোন পার্শ্ব প্রতি��্রিয়াও নেই। মশলাতে রয়েছে প্রোটিন এবং বিভিন্ন জৈবযৌগ। স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতির জন্য যা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনের ব্যবহৃত সব মশলার স্বাস্থ্য গুনাগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনঃ ✅হলুদ➖ হলুদ এমন একটি মশলা যেটি আমরা প্রায় প্রতিদিনই ব্যবহার করে থাকি। এটি এন্টি-প্রদাহর জন্য খুবই উপকারী।ত্বকের যত্ন এবং ঋতুস্রাব স্বাভাবিক ও সহজ করে দেয়ার ক্ষেত্রে হলুদের গুরুত্ব অপরিসীম।এছাড়া এটি দেহকে সক্রিয় করে ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ✅আদা➖ আদা সাধারনত হজমে সাহায্য করে । এছাড়াও আদা এমন একটি মশলা যা শ্বাস প্রশ্বাসের অবস্থার উন্নতি, ক্ষুধা বৃদ্ধি, ও ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ভুমিকা রাখে। ✅রসুন➖ রসুনের গুনাবলি অনেক ।খাবারকে সুস্বাদু করতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। এটি ঠান্ডা-কাশি, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি হৃদরোগীদের ক্ষেত্রেও ভালো উপকারী। ✅জিরা➖ জিরা অত্যন্ত উপকারী একটি মশলা উপাদান।এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি প্রদাহ।তাছারাও জিরা শুক্রানু বৃদ্ধি, হাড় শক্তিশালী, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং রক্তের কোষ বৃদ্ধি করে।নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রেও জিরার তুলনা নেই। ✅মরিচ➖ বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা দূ্‌র, মরিচ প্রস্রাব বৃদ্ধি, সাইনোসিস পরিষ্কার,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও মরিচের রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। ✅এলাচ➖ এলাচ হজমে সাহায্য করে, রক্তচাপ কমায়, বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়। প্রস্রাবের পরিমান বাড়ায়। এছাড়াও এলাচে রয়েছে ভিটামিন সি, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিনের মতো ভিটামিন ও খনিজ। ✅দারুচিনি➖ ব্যথা কমানো, প্রদাহ দূর করা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে এবংহৃদরোগের উন্নতির জন্য দারুচিনি খুবই কার্যকর।এছাড়াও এটি বুদ্ধির বিকাশে, শক্তিশালী হাড় গঠনে, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চোখের উন্নতিতে সাহায্য করে। 👇👇👇 (at West Bengal) https://www.instagram.com/p/B_pRRsCDnVZ/?igshid=1bth03jhbflps
0 notes
gethealthy18-blog · 5 years
Text
কলার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Banana Benefits, Uses and Side Effects in Bengali
New Post has been published on http://healingawerness.com/getting-healthy/getting-healthy-women/%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%ac/
কলার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Banana Benefits, Uses and Side Effects in Bengali
কলার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Banana Benefits, Uses and Side Effects in Bengali StyleCraze Hyderabd040-395603080 January 21, 2020
‘সর্ব ঘটে কাঁঠালি কলা’ এই প্রবাদ বাক্যটি আমাদের মধ্যে সকলেরই প্রায় জানা। আমাদের জীবনে কলার ভূমিকা কিন্তু ঠিক এতটাই, যতটা প্রবাদ বাক্যে মজা করে বলা হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য রক্ষায় হোক কিংবা ত্বক ও চুলের যত্নে, প্রত্যেক ক্ষেত্রে কলার ভূমিকা অনস্ব��কার্য। এমনকি আমাদের রোজকার জীবনের অধিক ব্যবহৃত ফল গুলির মধ্যে অন্যতম হল কলা। কলার অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেগুলি খানিকটা জানলেও অনেকটাই হয়তো আমাদের অজানা। তাই আজ জেনে নিন আপনার হাতের কাছে থাকা সহজলভ্য এই ফলটি সম্পর্কে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। মূলত কলা মুসাসেই গোত্রীয় ফলের অন্তর্গত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল মুসাঅচুমিনটা কোল। সব ধর্মের এবং গোষ্ঠীর মানুষের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হলো কলা। হিন্দিতে একে কেলা বলা হয়। কন্নারে বেল হান্নু বলা হয়। এটি মূলত সবুজ এবং হলুদ দুই বর্ণের হয়ে থাকে। কাঁচা কলা সবুজ বর্ণ ধারণ করে এবং পাকা কলা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে চাষ করা হয়ে থাকে। মূলত এটি নরম প্রজাতির হয়। বিশ্বের খাদ্য ফসল গুলির মধ্যে আর্থিক মূল্যের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয় এই ফলটি। কলা সরাসরি খাওয়ার পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি দিয়ে রান্নাও করা হয়ে থাকে। এমনকি কোথাও কোথাও রান্নায় আলুর প্রতিস্থাপন হিসেবেও এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। (১)
Table Of Contents
কলার উপকারিতা – Benefits of Banana in Bengali
আসুন জেনে নিন আপনার হাতের কাছে থাকা ফলটির উপকারিতা গুলি। কলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ার এটি সব বয়সীদের মধ্যে ব্যবহারযোগ্য। এছাড়াও কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও কলা হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। একটি কলার মধ্যে রয়েছে 467 মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, 1 মিলিগ্রাম সোডিয়াম। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা ভিটামিন b6 রক্তাল্পতা এবং করোনারি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলার মধ্যে থাকা ফাইবার জাতীয় উপাদানগুলি হজমের উন্নতি ঘটিয়ে শরীরের ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর কাজ করে। দৈনন্দিন কলা গ্রহণ করলে শরীরে রক্ত শর্করার উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি কোলন স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে। কলা হল ম্যাগনেসিয়াম এর উৎকৃষ্ট উৎস, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে উচ্চস্তরের ট্রাইপটোফোন। যা ডিপ্রেশন কমিয়ে মানসিক সুস্থতা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি6 শরীরের সঠিক ঘুম হতে এবং অনিদ্রাভাব কমাতে সহায়তা করে। এরকম ভাবে বিভিন্ন উপায়ে কলা আমাদের উপকৃত করে থাকে।
স্বাস্থ্যের জন্য কলার উপকারিতা – Health Benefits of Banana in Bengali
আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আসুন জেনে নিন কিভাবে কলার সঠিক ব্যবহার করে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।
হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার উপকারিতা :
হাভার্ড মেডিকেল স্কুলের একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, পটাশিয়ামের পরিমাণ শরীরে যথাযথ না থাকলে সেক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কলা যেহেতু পটাশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল তাই এটি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কলার পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখতে হবে। হৃদযন্ত্র মূলত তার সংকোচন-প্রসারণের ওপর শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে আর এই সংকোচন এবং প্রসারণ অনেকাংশে পটাশিয়াম এর উপর নির্ভর করে। হাই পোকাসিয়াম স্তর,  হাইপোকলিমিয়া  নামক দুটি উপাদানের কারণে হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে তার হৃদস্পন্দন সম্পন্ন করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দৈনিক একটি করে কলা খেলে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা কম থাকে। এছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান কম করে দৈনিক ব্যায়াম করলে এক্ষেত্রে সুস্থ থাকা যায়। হার্টের সুরক্ষায় থাকা পটাশিয়ামের বিভিন্ন উপাদান গুলিকে কলা সমৃদ্ধ করে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে। সে ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্র বন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর হৃদয়ের জন্য দৈনিক একটি কলা খাওয়া প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি অবশ্যই আপনার শরীরের প্রয়োজন কতটা তা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সেই মতো দৈনিক গ্রহণ করবেন। কেননা অত্যধিক পটাশিয়াম গ্রহণের ফলে আবার হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে চাইলে দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ কলা গ্রহণ করতে হবে এবং তার সাথে একটি সুস্থ জীবন পালন করতে হবে। কলার মধ্যে থাকা সোডিয়াম হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। (২)
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা :
কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও কলা রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। মূলত কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় উপাদান গুলি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি এটি শরীরের রক্তচাপ কেও নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। ন্যাশনাল হার্ট, ফুসফুস এবং রক্ত ইনস্টিটিউট এর মতে শরীরে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য কলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। তবে এটি গ্রহণের আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তারপর এটি গ্রহণ করবেন। কেননা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দিনে দুটি কলা খেলে রক্তচাপ ১০ শতাংশের বেশি কমে যেতে হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শরীরের বর্তমান পরিস্থিতি বুঝে এটি গ্রহণ করতে হবে।
হজমের সমাধানে কলার ব্যবহার :
কলা অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা যেহেতু ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাদ্য তাই এটি হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে থাকে। এছাড়াও পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম অন্ত্রের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার ফলে হজমের প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। কলা নিজে যেমন তাড়াতাড়ি হজম হতে পারে, তেমনি অন্য খাবার কেও তাড়াতাড়ি হজম করতে পারে। কেননা কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। যা শরীরের ভিতরে থাকা খাদ্য উপাদান কে সঠিকভাবে হজমে সহায়তা করে। এছাড়া একটি কলাতেই পেট ভরে যাওয়ার মত মনে হয়। যার ফলে অধিক খাওয়া থেকেও এটি দূরে রাখতে সহায়তা করে। এটি দ্রুত দ্রবণীয় হওয়ায় অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর থেকে চর্বি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান কে শোষণ করে নিতে সহায়তা করে। কলা  ফ্রুকটলিগোস্যাকচারাইড এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে শরীর স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও পাকা কলা হজমজনিত সমস্যা গুলি নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা মূলত প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি পাকস্থলীর এসিড কমাতে এবং আলসার চিকিৎসা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা উপাদানগু��ি পেটের ভিতরে অতিরিক্ত মেদ জমা থেকে শরীরকে দূরে রাখে। এছাড়া এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। কাঁচা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কলায় প্রাকৃতিক অ্যাসিড কম থাকে, তাই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এবং পাকা কলা শরীরের হজমে সহায়তা করে। তবে কাঁচা কলা যদি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলত ডায়েরিয়ার চিকিৎসায় কাঁচা কলার ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়া খাদ্যকে দ্রুত হজম করতে চাইলে পাকা কলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। (৩)
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার ব্যবহার :
কলা ভিটামিন বি6 সমৃদ্ধ উপাদান হওয়ায় এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা খাদ্যতালিকায় ভিটামিন b6 সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করেন তাদের মস্তিষ্ক অন্যান্যদের তুলনায় বেশ প্রখর হয় এবং এরা ভালো পারফরম্যান্স করে থাকে। কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ গুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া কলা মস্তিষ্কের কোষগুলির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। যেহেতু আমাদের মস্তিষ্ক গ্লুকোজ সংরক্ষণ করতে পারে না, সেহেতু কলা দৈনিক এটি সরবরাহ করে থাকে। কলায় যেহেতু ফাইবার রয়েছে তাই এতে শর্করা ধীরে ধীরে রক্তপ্রবাহকে প্রবাহিত করে এবং শরীরে ধীরে ধীরে কলা গ্লুকোজ সরবরাহ করে থাকে। কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম মস্তিষ্কের কোষগুলোয় অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও এটি ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ উপাদান হওয়ায় মৃগী এবং পারকিনসন রোগের সমস্যায় সমাধান করে। কলার মধ্যে থাকা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন স্ট্রেস রিলিফ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি হতাশা এবং মস্তিষ্কের যে কোন ধরনের সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত কলা খেলে মস্তিষ্কের শক্তি এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি তার ঘনত্ব বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম বৃদ্ধ বয়সে স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও মেনোপজাল পরবর্তী মহিলাদের ক্ষেত্রে কলা খাওয়া স্ট্রোকের সম্ভাবনা ১২ শতাংশ কমাতে সহায়তা করে। মূলত যে সমস্ত ব্যক্তিরা কম পটাশিয়াম গ্রহণ করেন তাদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কেননা পটাশিয়াম কম গ্রহণ করলে সেটি হঠাৎ রক্তপাত এর ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। (৪)
হাড়ের গঠনে কলার উপকারিতা :
ন্যাশনাল অস্টিওপরোসিস ফাউন্ডেশনের মতে, কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাঁড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা পটাসিয়ামের অন্যতম উৎস যা হাড়ের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান প্রদান করে থাকে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গুলি শরীরে ক্ষার তৈরি করতে  সহায়তা করে। এছাড়াও দেখা গিয়েছে যখন কোন অ্যাসিড যুক্ত উপাদান শরীরে তৈরি হয় তখন হাড়গুলি দূর্বল হবার সম্ভাবনা থাকে, যার ফলে হাড় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হতে পারে। তাই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গুলি এই ক্ষার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে শরীরে ক্যালসিয়ামের ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হয়। বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে পটাশিয়াম গ্রহণ আবশ্যক। কেননা বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী পটাশিয়াম গ্রহণের ফলে অস্টিওপোরোসিস এর সমস্যা কম হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে খাদ্যতালিকায় পটাশিয়াম এর অন্যতম উৎস হিসাবে একটি কলা রাখলে সে ক্ষেত্রে এটি শরীরের হাড় কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। (৫)
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা :
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কলা। কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন উপাদান হওয়ায় এটি দৈনিক গ্রহণ করা আবশ্যক। কেননা কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা কে দ্রুত বাড়াতে সহায়তা করে। আর কলাতে প্রচুর শর্করা রয়েছে। মূলত 93% ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট থেকে পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে। তবে কলাতে শর্করা থাকার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ব্লাড সুগার কে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি খুব বেশি ক্ষতিকর নয়, কেননা সবুজ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ। এটি শরীরে ফাইবার এর মত কাজ করে রক্তে শর্করার মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও এটি শরীরের পরিপাক ব্যবস্থাকে উন্নত করে রক্তে শর্করার স্পাইক গুলো কে নিয়ন্ত্রণ করে। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি সিক্স ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কলা প্রতিদিন গ্রহণের ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকাকালীন অবস্থায় কলা খেলে সে ক্ষেত্রে শরীরে ফ্রুক্টোজ এর পরিমাণ কম থাকে। (৬)
 ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণে কলার উপকারিতা :
ডায়েরিয়ার চিকিৎসায় ইলেক্ট্রোলাইট প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে কলা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কলা মূলত পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া পটাশিয়াম প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে থাকে। ডায়েরিয়ার সমস্যা দেখা দিলে একটি কলা খেলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এক গ্লাস জলে এক চিমটি লবণ যোগ করে খেলে এটি শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া সোডিয়াম এবং ক্লোরাইড প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে থাকে। ডায়েরিয়া থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য একটি নির্দিষ্ট ডায়েট তৈরি করা হয়েছে, একে ব্র্যাট ডায়েট বলা হয়। কলা আপেল এবং টোস্ট দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। এটি মূলত শিশুদের জন্য অধিক কার্যকরী। এই ডায়েটে শরীরের দ্বারা উৎপাদিত মলের পরিমাণ হ্রাস করে পেটে কিছুটা স্বস্তি দেয় এই ডায়েটে প্রোটিন ফাইবার এবং ফ্যাট কম হওয়ায় এটি একটি সুষম খাদ্য। এছাড়াও এটি ডায়েরিয়া পরবর্তী অবস্থায় শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণে সহায়তা করে। ডায়েরিয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এটি খেলে ডায়েরিয়ার উপশমে সহায়তা করবে। (৭)
হ্যাংওভার কাটাতে কলার ব্যবহার :
পরিমাণের তুলনায় খানিকটা বেশি অ্যালকোহল পান করলেই তার পরবর্তী সময়ে হ্যাংওভার ভাবটা অনেকের মধ্যে থেকেই যায়। এমনকি সেটা রাত পেরিয়ে পরের দিন পর্যন্ত থেকে যায়। তবে এই হ্যাংওভার কাটাতে আপনার হাতের কাছেই রয়েছে কলা। কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হ্যাংওভার কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা পটাশিয়াম এমন এক ধরনের খনিজ অ্যালকোহল গ্রহণের পরে নষ্ট হয়ে যায় এবং ডিহাইড্রেশন ঘটায়। তাই কলা এবং মধু দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করে খাওয়া গেলে খুব শীঘ্রই হ্যাংওভার থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। কারণ কলা স্নায়ুগুলোকে শান্ত করে এবং মধু শরীরে চিনির পরিপ���রক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি এতে দুধ দেওয়া যেতে পারে তাহলে তা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন বি১ এবং বি৬ হলো এমন দুটি উপাদান যা হ্যাংওভারের লক্ষণগুলোকে কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা গ্লুকোজ এবং ইলেকট্রোলাইট গুলি হ্যাংওভার এর চিকিৎসা করতে সহায়তা করে। (৮)
রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণে কলার ব্যবহার :
বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো রক্তাল্পতা। মূলত গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয়, তখন ফলিক অ্যাসিডের আদর্শ ডোজ দিয়ে এর চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। পুষ্টিকর খাবার গুলিতে পাওয়া ভিটামিন এর পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যরক্ষায় রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করা আবশ্যক। সেকারণে কলার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। কলাতে থাকা ভিটামিন সি এর যথাযথ সহায়তা করে এবং এটি রক্তস্বল্পতার সাথে লড়াই করে। এছাড়া ভিটামিন বি টুয়েলভ রক্তাল্পতার চিকিৎসা করতে সহায়তা করে। যদিও ভিটামিন বি টুয়েলভ খুব বেশি মাত্রায় কলার মধ্যে নেই, তবে এটি ভিটামিনের সঠিক সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা তামা ও আয়রন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। (৯)
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে কলার উপকারিতা :
কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপকে কমাতে সহায়তা করে। তাই এটি যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা শর্করা সমৃদ্ধ একটি ফল হওয়ায় এটি মানসিক চাপকে শিথিল করতে পারে এবং স্নায়ুকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে। কলার মধ্যে রয়েছে ডোপামিন নামের এক ধরনের রাসায়নিক, যা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রশান্ত করে চাপ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি6 যে কোন ধরনের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই অত্যধিক মানসিক চাপ কিংবা স্ট্রেস দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে দৈনিক একটা করে কলা খাওয়া উচিত কিংবা হঠাৎ করে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে তখন কলা খেলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। (১০)
শক্তি বাড়াতে কলার উপকারিতা :
কলা হল অ্যামিনো এসিড সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক শর্করা এবং অন্যান্য খনিজ সমৃদ্ধ একটি খাদ্য উপাদান। যা শরীরের শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে থাকে। উপাদানগুলি ধীরে ধীরে রক্ত সরবরাহ কে সঠিক ভাবে প্রেরণ করে থাকে। এছাড়াও এটি শরীর থেকে খারাপ উপাদান বের করে দিতে সহায়তা করে। কলার মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ব্যায়ামের পরে খেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এগুলিকে যথাযথ পূরণ করতে এবং জল ধরে রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দুটিমাত্র কলা 90 মিনিটের কঠোর পরিশ্রমের মতন শক্তি দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলা যেকোনো ধরনের উচ্চশক্তিসম্পন্ন পানীয়র সমান উপকারী হতে পারে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাথলিটরা ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদান গুলি শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। (১১)
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার ব্যবহার :
শরীরের পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে কলা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি চোখে ছানি পড়ার যে ছত্রাকের সৃষ্টি হয় তা কমাতে সহায়তা করে। মূলত কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ চোখ এবং কর্নিয়ায় সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। যাতে কোনো রকমে বাইরের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা চোখ আক্রান্ত হতে না পারে।
মাসিকের যন্ত্রণা কমাতে কলার উপকারিতা :
বর্তমান স্ট্রেসফুল জীবনের অন্যতম একটি সমস্যা হল মাসিকের যন্ত্রণা। বলা যায় ৯০ শতাংশ মহিলাই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে দৈনিক একটি করে কলা খেলে এই সমস্যার উপশম হতে পারে। কেননা কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ গুলো পিরিয়ডের সময় জরায়ুর পেশীগুলোকে শক্তি প্রদান করে এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও তলপেটে ব্যথা হয় সেগুলো কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন b6 পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া মতো সমস্যাগুলো সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। (১২)
মশার কামড়ের যন্ত্রণা কমাতে কলার ব্যবহার :
মশার কামড়ে নাজেহাল অবস্থা!  একনাগাড়ে চুলকে চুলকে গায়ের চামড়া উঠে যাচ্ছে?  কিন্তু আপনি জানেন কি আপনার হাতে কাছে থাকা কলা হতে পারে এর মোক্ষম ওষুধ। কলার খোসার ব্যবহারেই এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কলার খোসার মধ্যে থাকা শর্করা জাতীয় উপাদান মশার কামড়ের জায়গা থেকে জীবাণু সরিয়ে দিতে সহায়তা করে। যার ফলে মশার কামড় আক্রান্ত স্থানটি কলার খোসা দিয়ে ঘষলে সেখান থেকে মশার কামড় জনিত প্রদাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে আক্রান্ত স্থানটিতে কলার খোসা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একবার ডেটল দিয়ে মুছে নেবেন। তাতে ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়ে যাবে।
ইমিউনিটি বাঁচাতে কলার উপকারিতা :
ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গিয়েছি কলার মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদান গুলি কিভাবে আমাদের শরীর চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কলার মধ্যে রয়েছে এমন এক ধরনের উপাদান, যা রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার সময় কোষগুলিকে তাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে উন্নত করে তোলে। পাশাপাশি কলার মধ্যে থাকা এনজাইমগুলো আয়রন কে সঠিকভাবে হজমে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে আয়রনটা যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি সর্বকালের গুরুত্বপূর্ণ শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। এর পাশাপাশি ভিটামিন শরীর থেকে যেকোনো ধরনের রোগ জীবাণু ধ্বংস করতে এবং রক্তকণিকাকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা ফোলেট অন্যতম একটি পুষ্টিকর উপাদান, যা প্রোটিনকে শরীরে যথাযথ গ্রহণে সহায়তা করে। কলার মধ্যে থাকা লেক্টিন নামক অপর একটি উপাদান শরীরকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। এটি শরীরের কোষগুলোকে ভাইরাস আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। যাতে শরীরে মারাত্মক কোনো ভাইরাস আক্রমণ করতে না পারে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়ামও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। যার ফলে দৈনিক গ্রহণের ফলে এ ধরনের সমস্যা গুলো দূর হয়। এর পাশাপাশি কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়ামও শরীরকে যথাযথ শক্তি জুগিয়ে শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
মর্নিং সিকনেস সমস্যায় কলার ব্যবহার :
গর্ভবতী মহিলাদের অন্যতম একটি সমস্যা হল মর্নিং সিকনেস। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে সকাল বেলা বমি ভাব কিংবা বমি হতে দেখা যায়। এই সমস্যার ক্ষেত্রে কোন ওষুধ ব্যবহার না করে দৈনিক একটি করে কলা খেয��ে এটিকে নির্মূল করতে পারেন। কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম মর্নিং সিকনেস সমস্যাকে কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরকে সুস্থ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।
মেজাজ সঠিক রাখতে কলার ব্যবহার :
কাজের চাপ হোক কিংবা জীবনের চাপ, মেজাজ যেকোনো সময় বিগড়ে যেতেই পারে। দীর্ঘদিন ধরে একনাগাড়ে এক কাজ চলতে থাকার ফলে একটা সময় মানুষের বিরক্তি ভাব এসে যায়। একে নির্মূল করা যাবে দৈনিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে। যে কারণে চিকিৎসকেরা দৈনিক খাদ্য তালিকা একটি কলা রাখার কথা বলেছেন। কলার মধ্যে থাকা শর্করা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে। যার ফলে এটি মেজাজ সতেজ রাখতে সহায়তা করে এবং এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি6 যেকোনো ধরনের চাপ এবং উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়। কলা ট্রিপটোফেন এর অন্যতম একটি উৎস, যা সেরোটোনিনের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। সুখ হরমোন নামে পরিচিত এই হরমোন নিঃসরণ এর ফলে হাসি খুশি এবং আনন্দিত থাকা যায়। ভিটামিন বি গ্রহণের ফলে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এবং এই সমস্ত ভিটামিন এ পরিপূর্ণ হবার এটি অন্যতম একটি সুষম খাদ্য। কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম মস্তিষ্কের নিউরন গুলিতে সুগঠিত রাখতে সহায়তা করে। যার ফলে যেকোনো ধরনের সমস্যা থেকে মস্তিষ্ককে বাইরে রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলাতে থাকা সেরোটোনিন মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন কে ত্বরান্বিত করে। যার ফলে মেজাজ সুস্থ রাখতে সহায়তা হয়। (১৩)
ওজন হ্রাস করতে কলার উপকারিতা :
শুনে হয়তো অবাক হচ্ছেন, যে ওজন হ্রাস করবে কলা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। কলা যথাযথভাবে খেলে ওজন হ্রাস করা সম্ভব হয়। কলার মধ্যে থাকা ফাইবার জাতীয় উপাদানগুলি ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। এছাড়া এর মধ্যে থাকা স্টার্চ জাতীয় উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ওজন হ্রাসের জন্য অন্যতম একটি খাদ্য কলা, কারণ এটি শরীরের অতিরিক্ত চিনি কে শরীরে ফ্যাট হিসাবে জমতে দেয় না। ওজন হ্রাসের জন্য সকালে খালি পেটে একটি করে কলা খেতে পারেন। এটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখতে সহায়তা করে। কার্বোহাইড্রেট এর অন্যতম উৎস হওয়ার এটি আপনি প্রাতরাশের জন্য রাখতেই পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণ কলা খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। (১৪)
দাঁত সাদা করতে কলার ব্যবহার :
অত্যধিক ধূমপান কিংবা তামাক গ্রহণের ফলে দাঁতের রং পাল্টে যাওয়া এ কোনো নতুন ব্যাপার নয়। তবে দাঁতের রং সাদা করতে ব্যবহার করুন কলা। এটি যেকোনো ধরনের কড়া দাগ কে কমাতে সহায়তা করে। কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি দাঁতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দাঁতের উপরে পড়া কালো দাগ কমাতে সহায়তা করে। (১৫)
অনিদ্রা কাটাতে কলার ব্যবহার :
ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না, এই সমস্যায় নাজেহাল বালক থেকে বৃদ্ধ। কারো পড়ার চাপ, কারোর কাজের চাপ কিংবা কারোর পারিবারিক চিন্তা। তবে এবার আর চিন্তা নেই রোজ খাদ্যতালিকায় একটি করে কলা রাখুন এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুকে শিথিল করতে এবং ঘুমাতে সহায়তা করে। কলার মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান ঘুমের ওষুধের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যে সমস্ত রোগীরা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের ট্রিপটোফ্যান এর ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা মেলাটোনিন অনিদ্রার চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। (১৬)
পেটের আলসার চিকিৎসায় কলার ব্যবহার :
খাবারের সমস্যার ফলে কিংবা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে পেটে আলসার দেখা দিতে পারে। এছাড়াও শরীরের ভেতরে অম্বলের সমস্যা বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ হলে সে ক্ষেত্রে আলসারের মত সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে এই সমস্যা থেকে নিরাময় পেতে দৈনিক একটি করে কলা গ্রহণ করুন। কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি শরীরের অভ্যন্তরীণ অ্যাসিড নিঃসরণে বাধা দেয় যার ফলে আলসারের মতো সমস্যা কম থাকে। কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম শরীরকে ভেতর থেকে জীবাণুমুক্ত করে তোলে। যার ফলে শরীর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়। এছাড়া পাকা কলা হজমজনিত সমস্যা গুলি নিরাময়ে সহায়তা করে।
ত্বকের জন্য কলার উপকারিতা – Skin Benefits of Banana in Bengali
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যরক্ষায় কলার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এবার জেনে নিন ত্বক পরিচর্যায় কিভাবে কলার ব্যবহার করে ত্বককে সুন্দর করে তুলবেন।
ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে কলার ব্যবহার :
যে কোন ধরণের ত্বকের জন্য অন্যতম প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে পরিচিত কলা। কলাতে উপস্থিত ভিটামিন এ ত্বকের হারানো আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করে এবং নিস্তেজ ত্বককে সতেজ করে তুলতে, শুষ্কতা নিরাময় করতে সহায়তা করে। কলার সাহায্যে তাকে তৎক্ষণাৎ উজ্জ্বল করা সম্ভব হয়।
১) শুষ্ক এবং নিস্তেজ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে তোলার জন্য একটি পাকা কলা চটকে নিয়ে মুখে লাগান।
২) চোখের চারপাশ বাদ দিয়ে কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) তখনই দেখতে পাবেন ত্বক নরম এবং কোমল হয়ে উঠেছে।
৪) এছাড়া এই প্যাকে প্রয়োজনে মধু যোগ করতে পারেন।
৫) কলা এবং মধুর প্যাক ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে।
৬) উজ্জ্বল এবং দীপ্তিময় ত্বক পেতে অন্যতম একটি প্যাক হলো পাকা কলা।
৭) তার সাথে এক টেবিল চামচ দই এবং 1 চা চামচ ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে নিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে রাখুন।
৮) এবং 30 মিনিট পর ধুয়ে নিন। এটা দেখবেন এক নিমিষেই ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে কলার ব্যবহার :
কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে ত্বকের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে। যে কারণে কুচকে যাওয়া, বুড়িয়ে যাওয়া ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে ত্বককে তরুণ রাখে।
১) ভিটামিন এ এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ অ্যান্টি-এজিং মাক্স তৈরীর ক্ষেত্রে একটি অ্যাভোকাডো এবং একটি কলা ভাল করে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন।
২) এবার এটি কুড়ি মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখুন।
৩) তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৪) এতে ত্বক উজ্জ্বল এবং টানটান হয়ে উঠবে।
৫) কলার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলি এবং এভোকাডোর মধ্যে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের ফ্রিরেডিকেল গুলির সাথে লড়াই করে ত্বকের ক্ষতি নিরাময় করে।
৬) এছাড়াও অর্ধেক কলা নিয়ে তার সাথে 1 চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেললে একটি সতেজ ত্বক উপহার পাবেন।
ত্বকের জেল্লা বাড়াতে কলার ব্যবহার :
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বককে আর্দ্র এবং কোমল রাখতে সহায়তা করে। তাই কলার সাহায্যে আপনি এই সমস্ত প্যাকগুলি ব্যবহার করে আপনার হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরিয়ে আনতে পারেন।
১) অর্ধেক পাকা কলা নিয়ে তার মধ্যে এক টেবিল চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়ো এবং 1 চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
২) এবার এটি পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে কুড়ি থেকে 25 মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) এবং তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অন্যতম একটি উপকারী ফেসপ্যাক।
৪) এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সহায়তা করবে।
৫) শুষ্ক ত্বকের জন্য অন্যতম একটি প্যাক হলো একটি পাকা কলার মধ্যে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
৬) এবার এই মিশ্রণটি পরিষ্কার মুখে রেখে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৭) এরপর ধুয়ে ফেলুন।
৮) এটি ত্বক থেকে দাগ ছোপ কমাবে এবং ত্বককে জেল্লাদার করে তুলবে।
৯) কলার সাথে দুধ ব্যবহার করেও ত্বককে জেল্লাদার করে তুলতে পারেন।
১০) কলাটি ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে তারমধ্যে দুধ মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল যোগ করুন।
১১) এবার এই মিশ্রণটি মুখে ঘাড়ে কুড়ি মিনিট রেখে দিন।
১২) তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।
ত্বকের মৃতকোষ অপসারণে কলার ভূমিকা :
ত্বককে সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে সপ্তাহে অন্তত দু’বার এক্সফোলিয়েশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলা দিয়ে তৈরি স্ক্রাব দিয়ে ত্বকের এক্সফোলিয়েশন করতে পারেন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান হওয়ায় ত্বকের ওপর দিয়ে মৃত কোষগুলি অপসারণের পাশাপাশি ত্বককে বাড়তি উজ্জ্বলতা দিয়ে থাকে। বাড়িতেই তৈরি করে নিন কলার স্ক্রাব।
১) একটি কলা নিয়ে ভালো করে ম্যাস করে নিন।
২) এর মধ্যে এক টেবিল চামচ চিনি যোগ করুন।
৩) এবার এটি ভালো করে মিশিয়ে ত্বকের ওপর বৃত্তাকারভাবে ঘষে নিন।
৪) এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে এবং চিনির দানা গুলো শরীরের মৃত কোষ গুলিকে সরাতে সহায়তা করবে।
৫) একটি পাকা কলা তার মধ্যে 2 টেবিল চামচ ওটস, 1 টেবিল চামচ মধু এবং দুধ যোগ করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
৬) এবার এটি মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট রেখে দিন।
৭) তারপর ভেজা হাতে মুখে ঘষে ঘষে তুলুন।
৮) এটি ত্বককে মসৃণ করে তুলবে।
৯) এছাড়া কলা দিয়ে বডি স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে, দুটি কলা, চার-পাঁচটি স্ট্রবেরি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং এর মধ্যে 3 টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন।
১০) স্নান করার সময় সারা শরীরে ব্যবহার করুন।
ব্রণ কমাতে কলার উপকারিতা :
ব্রণ আমাদের সকলেরই অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তবে এটি নিরাময়ে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
১) কলার খোসার একটি ছোট টুকরো কেটে নিন।
২) এবার কলার খোসার ভেতরের অংশ আলতো করে ঘষুন এবং তারপর 5 মিনিটের জন্য তা রেখে দিন।
৩) এবার এটি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪) সপ্তাহে 3 দিন এটি ব্যবহার করুন। এক সপ্তাহেই তফাৎটা বুঝতে পারবেন।
চুলকানি দূর করতে কলার ব্যবহার :
অ্যালার্জির কারণে কিংবা পোকামাকড় কামড়ানোর ফলে চুলকানির সমস্যা গুলো দূর করার জন্য অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো কলা। এটি এলার্জি যুক্ত ত্বকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এইরকম জায়গায় কলার খোসা ভেতরের দিকটা ভালো করে ঘষে নিন। এতে স্বস্তি পাবেন।
১) এছাড়াও সোরিয়াসিস রোগের চিকিৎসার জন্য কলার খোসা টি আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন।
২) এবং প্রতিদিন 10 থেকে 15 মিনিটের জন্য একবার ব্যবহার করুন।
৩) আপনার ওষুধের ব্যবহারের পাশাপাশি এটি করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এটি ব্যবহার করবেন।
চোখের ফোলা ভাব কমাতে কলার ব্যবহার :
একনাগাড়ে কম্পিউটারে কাজ করলে কিংবা সঠিকভাবে ঘুম না হলে কিংবা চোখ খুব বেশি ঘষলে চোখের তলায় ফোলা ভাব দেখা দেয়। কলার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলি চোখের নিচের রক্তনালী গুলিকে স্বস্তি প্রদান করে চোখের ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে।
১) এর ফলে আপনাকে যা করতে হবে একটি কলার অর্ধেক অংশ নিয়ে চোখের ফোলা ভাব এর উপর পুরু করে লাগিয়ে রাখতে হবে।
২) এরপর পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করে তা ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩) কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম চোখের নিচের ফোলা ভাব কমাতে এবং সেই জায়গাটাকে ঠান্ডা ভাব দিতে সহায়তা করে।
পায়ের যত্নে কলার ব্যবহার :
দীর্ঘ সময় ধরে খালিপায়ে হাঁটাচলা করলে কিংবা হঠাৎ মরসুমের পরিবর্তন হলে সেক্ষেত্রে ফাটা গোড়ালির সমস্যা দেখা যেতে পারে। ফাটা গোড়ালির চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কলা।
১) দুটি পাকা কলা নিয়ে সেটাকে ভালো করে মিশিয়ে পরিষ্কার পায়ে লাগিয়ে রাখুন।
২) এবং 10 মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) 10 মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪) শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধ করে এবং ফাটা গোড়ালির সমস্যা দূর করে পায়ের ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে তা কোমল করে তোলে।
সৌন্দর্যের ঘুম নিন কলার ব্যবহার করে :
ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গিয়েছি অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করতে কলার ব্যবহার অনস্বীকার্য। তাই কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে নিজের ত্বককে চনমনে করে তুলতে একটা বিউটি স্লিপ আবশ্যিক। সে ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত চাপ থাকে কিংবা স্ট্রেস থাকে সকালে উঠে একটা কলা খেয়ে নিন। তাহলে সারাটাদিন চাপমুক্ত থাকবেন। এর পাশাপাশি কাজের ফাঁকে 5 থেকে 10 মিনিটের একটা ছোট্ট বিশ্রাম নিয়ে নিন। এতে আপনি আরো চনমনে হয়ে উঠবেন। এতে আপনার ত্বক উজ্জল হয়ে উঠবে।
চুলের জন্য কলার উপকারিতা – Hair Benefits of Banana in Bengali
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য এবং ত্বকের যত্নে কলার ভূমিকা সম্পর্কে আমরা জেনে নিয়েছি। এবার জেনে নিন চুলের যত্নে কিভাবে কলা ব্যবহার করতে পারবেন। (১৭)
চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার উপকারিতা :
কলার মধ্যে থাকা ফলিক অ্যাসিড চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি চুলে আর্দ্রতা প্রদান করে। যার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায় না। কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম চুলকে প্রাকৃতিক ভাবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। কলা দিয়ে চুলের পরিচর্যার জন্য অনেকগুলো প্যাক রয়��ছে জেনে নিন সেগুলো।
নরম চুলের জন্য :
১) নরম চুল পেতে গেলে একটি পাকা কলার সাথে এভোক্যাডো নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
২) এবার এই মিশ্রণটিতে নারকেলের দুধ যোগ করুন।
৩) এবার এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে 15 থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪) তারপর হারবাল কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
চকচকে চুলের জন্য :
১) চকচকে চুল পেতে গেলে একটি কলার খোসা এবং অলিভ অয়েল এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
২) এই মিশ্রণটি আপনার চুলে লাগিয়ে 15 মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) তারপর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তা দিয়ে চুল ধুয়ে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
স্ট্রং চুলের জন্য  :
১) পাকা কলা এবং দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
২) এবার এই মসৃণ পেস্টটি মাথায় লাগিয়ে 15 থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩)  তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৪) এটি সপ্তাহে দুদিন করুন। চুল মজবুত হবে।
৫) যারা শুষ্ক চুলের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি। একটি পাকা কলার সাথে 3 চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
৬) এবার এই মিশ্রণটি চুলটা ভেজা অবস্থায় লাগিয়ে নিন।
৭) এবার 15 থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৮) তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য :
১) একটি কলা এবং তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল নিয়ে মিক্সারে ভালো করে পিষে নিন।
২) এবার এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে 15 থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং সি চুলকে আর্দ্রতা প্রদান করে নরম এবং উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করবে।
তবে এগুলো ব্যবহার করার পর অবশ্যই মনে রাখবেন, চুল ধোয়ার পরে যাতে চুলে কোনরকম কলার টুকরো বা অংশ আটকে না থাকে
এতে চুল চ্যাটচ্যাটে ধরনের হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এগুলি চুলে খুব বেশি শুকোতে দেবেন না। কিছুক্ষণ লাগিয়ে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। না হলে এগুলি চুলে আটকে থাকতে পারে এবং চুল কে রুক্ষ করে তুলতে পারে।
কলার পুষ্টিগত মান – Banana (Kela) Nutritional Value in Bengali
পুষ্টি পুষ্টিগত মান % শক্তি  ৯০ কিলো ক্যালোরি  ৪.৫% কার্বোহাইড্রেট  ২২.৮৪ গ্রাম  ১৮% প্রোটিন  ১.০৯ গ্রাম  ২% ফ্যাট  ০.৩৩ গ্রাম  ১% ফাইবার  ২.৬০ গ্রাম  ৭% ভিটামিন ফোলেট  ২০ µg ৫% নিয়াসিন  ০.৬৬৫ মিলিগ্রাম  ৪% প্যান্টোথেনিক এসিড  ০.৩৩৪ গ্রাম  ৭% পাইরোডক্সিন  ০.৩৭৬ মিলিগ্রাম  ২৮% রিবোফ্ল্যাবিন  ০.০৭৩ গ্রাম  ৫% থিয়ামিন  ০.০৩১ মিলিরাম  ২% ভিটামিন এ  ৬৪ IU ২% ভিটামিন সি  ৮.৭ মিলগ্রাম  ১৫% ভিটামিন ই  ০.১০ মিলিগ্রাম  ১% ভিটামিন কে  ০.৫ µg ১% ইলেক্ট্রোলাইট সোডিয়াম  ১ মিলিগ্রাম  ১% পটাসিয়াম  ৩৫৮ মিলিগ্রাম  ৮% মিনারেল ক্যালসিয়াম  ৫ মিলিগ্রাম  ০.৫% কোপার  ০.০৭৮ মিলিগ্রাম  ৮% আয়রন  ০.২৬ মিলিগ্রাম  ২% ম্যাগনেসিয়াম  ২৭ মিলিগ্রাম  ৭% ম্যাঙ্গানিজ  ০.২৭০ মিলিগ্রাম  ১৩% ফসফরাস  ২২মিলিগ্রাম  ৩% সেলেনিয়াম  ১.০ µg ২% জিঙ্ক  ০.১৫ mg ১% ফাইট নিউট্রিয়েন্ট আল্ফ়া ক্যারোটিন  ২৫ µg — বিটা ক্যারোটিন  ২৬ µg — লিউটিন জিজানথিন  ২২ µg —
কলার ব্যবহার – How to Use Banana in Bengali
ইতিমধ্যেই কলার গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকটাই জেনে নিয়েছি। এবার কলা কিভাবে, কত পরিমাণ, কখন খাওয়া উচিত সেগুলো আমরা জেনে নি। মূলত কলা সরাসরি খাওয়ার পাশাপাশি রান্না করে অনেকাংশে খাওয়া যেতে পারে। জেনে নিন কিভাবে সেটি ব্যবহার করবেন।
১) প্রাতরাশ এ ব্যবহার করুন দুটি বড় বড় কলা, এক কাপ বাদাম দুধ, চিনাবাদাম, কোকো পাউডার, ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে একটি স্মুদি বানিয়ে নিন।
২) কলা এবং অ্যাভোকাডো দিয়ে স্মুদি। একটা কলা, একটা এভোকাডো, এক কাপ দই, বাদাম দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স, মধু এবং বরফের টুকরো দিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে প্রাতরাশে খান।
সঠিক কলা বাছাই করে সেটা অনেকদিন পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখার উপায়
কলা কেনার সময় মাথায় রাখবেন সেগুলি যাতে খুব বেশি শক্ত কিংবা খুব বেশি নরম না হয়। যে কলার গায়ে বাদামী রংয়ের হালকা দাগ রয়েছে সেগুলি ব্যবহার করুন। কেননা সে গুলি খাওয়ার জন্য উপযুক্ত। অথবা যদি রান্না করতে চান সে ক্ষেত্রে সবুজ রংয়ের কাঁচা কলা ব্যবহার করে নিতে পারেন। সেটাও অনেকদিন ভালো থাকবে এবং ভাল করে রান্না করে খেতে পারবেন। কলা যদি অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখতে চান সে ক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রায় রাখুন। সরাসরি সূর্যের তাপের কাছাকাছি কিংবা রেফ্রিজারেটরে কখনোই রাখবেন না। আর কলা অন্যান্য ফলের থেকে আলাদা রাখবেন। সম্ভব হলে ঘরের মধ্যে দড়ি টাঙ্গিয়ে সেখানে কলা ঝুলিয়ে রাখুন, এতে তা অনেক দিন স্থায়ী হবে।
কলার ক্ষতিকর দিক – Side Effects of Banana in Bengali
ইতিমধ্যেই আমরা কলার গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিয়েছি। তবে এবার জেনে নিন কলার ক্ষতিকর দিকগুলো। কোন জিনিসই অতিরিক্ত ব্যবহার ঠিক নয়। এক্ষেত্রে কলাও তার ব্যতিক্রম নয়। জেনে নিন কলার ক্ষতিকর দিকগুলি :
১) কলার মধ্যে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে। তাই এটি কখনোই দিনে দুটির বেশি খাবেন না।
২) গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করবেন।
৩) কলা গাছের পাতা, কান্ড সবকিছুই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু কোনোরকম  এলার্জিরসমিস্যা থাকলে দেখে  নেবেন কলা গাছের কোন বিশেষ অংশ আপনার খাওয়া উচিত নয়।
৪) কলার মধ্যে উচ্চমাত্রায় অ্যামিনো এসিড থাকায় এটি অধিকগ্রহণের ফলে রক্তনালীতে প্রভাব পড়তে পারে। যার ফলে মাথাব্যথার সৃষ্টি হয় এবং এর মধ্যে ট্রিপটোফ্যান থাকায় এটি বেশি পরি���াণে খাবার ফলে বেশি ঘুম পাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
৫) কলা শর্করা সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় এটি খাওয়ার পর ঠিকভাবে মুখ না ধুলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।
৬) পটাশিয়ামের অধিগ্রহণের ফলে হাইপারক্যালেমিয়া রোগ দেখা দিতে পারে। যার ফলে পেশির দুর্বলতা কিংবা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা হতে পারে। তাই দৈনিক অল্প পরিমাণে কলা খেতে হবে।
৭) অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণ খান।
৮)  যদি কারো কিডনির সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে তাদের কলা খাওয়ার পরিমান করিয়ে দেওয়া উচিত। কেননা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে তা কিডনির ব্যথা সৃষ্টি করতে পারেন।
তাহলে ইতিমধ্যেই জেনে নিয়েছেন কলার গুনাগুন গুলি। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? এগুলি মেনে চলুন এবং নিজে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন এবং ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য রক্ষায় ত্বক পরিচর্যায় কলার ব্যবহার গুলো জেনে নিয়েছেন সেগুলি মেনে চলুন।
The following two tabs change content below.
Latest posts by StyleCraze (see all)
কলার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Banana Benefits, Uses and Side Effects in Bengali – January 21, 2020
থানকুনি পাতার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Gotu Kola Benefits and Side Effects in Bengali – January 21, 2020
টমেটোর উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Tomato Benefits, Uses and Side Effects in Bengali – January 21, 2020
নিম পাতার উপকারিতা, ব্যাবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Neem Benefits, Uses and Side Effects in Bengali – January 16, 2020
তুলসী পাতার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Basil Benefits, Uses and Side Effects in Bengali – January 14, 2020
StyleCraze
Source: https://www.stylecraze.com/bengali/kolar-upokarita-byabohar-khotikor-dik-in-bengali/
0 notes
shahedsazia · 5 years
Video
youtube
সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে পাবেন এই ১৩টি উপকারিতা !By #Shahedsazia# খেজুর খাওয়া সুন্নত, কিন্তু এই একটি সুন্নতের পেছনেও যে কতো উপকারিতা আছে সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানি না। রোজা শেষে ইফতারে এটি শুধু ক্লান্তি দূর করে না, বরং শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনেরও জোগান দেয়। ইফতারে খেজুর কেন খাবেন? খেজুরে রয়েছে এমিনো এসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। খেজুর শরীরের এই প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ইফতারে খেজুর খাওয়া উচিত। চলুন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক- কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট খেজুরে কোনও কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না। ফলে আপনি সহজেই খেজুর খাওয়া শুরু করে অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাক��ে পারবেন। প্রোটিন প্রোটিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। খেজুর প্রোটিন সমৃদ্ধ। ফলে পেশী গঠন করতে সহায়তা করে এবং শরীরের জন্য খুব অপরিহার্য প্রোটিন সরবরাহ করে। ভিটামিন খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। যেমন, বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫। এছাড়াও ভিটামিন এ১ এবং সি ভিটামিন পাওয়ার আরও একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে খেজুর। খেজুর দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর। আয়রন আয়রন মানব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খেজুর প্রচুর আয়রন রয়েছে। ফলে এটা হৃৎপিন্ডের কার্যমতা বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিন্ড, তাদের জন্য খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ওষধ। ক্যালসিয়াম ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে। ক্যানসার প্রতিরোধ খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ। এক গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যানসারে ঝুঁকিটাও কম থাকে। খুব সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে খেজুর Abdominal ক্যান্সার রোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে এবং অবাক করা বিষয় হচ্ছে এটি অনেক সময় ওষুধের চেয়েও ভাল কাজ করে। ওজন কমায় মাত্র কয়েকটা খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা। এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। এই কয়েকটা খেজুরই কিন্তু শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ। যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কখনও কখনও ডায়রিয়ার জন্যেও এটা অনেক উপকারী। সংক্রমন যকৃতের সংক্রমনে খেজুর উপকারী। এছাড়া গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি, এবং ঠাণ্ডায় খেজুর উপকরী। খেজুর অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে। রক্তশূন্যতা রোধ করে প্রচুর মিনারেল সঙ্গে আয়রন থাকার কারণে খেজুর রক্তশূন্যতা রোধ করে। তাই যাদের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত খেজুর খেয়ে দেখতে পারেন। কর্মশক্তি বাড়ায় খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা যদি মাত্র ২টি খেজুর খা্ন তবে খুব দ্রুত কেটে যাবে তাদের ক্লান্তি। স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায় খেজুর নানা ভিটামিনে পরিপূর্ণ থাকার কারণে এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি রাখে, সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ছাত্র-ছাত্র��� যারা নিয়মিত খেজুর খায় তাদের পারফরম্যান্স অন্যদের তুলনায় ভাল থাকে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম যা বিভিন্ন ধরণের হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর শরীরের খারাপ ধরণের কোলেস্টেরল কমায় (LDL) এবং ভাল কোলেস্টেরলের (HDL) পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। খেজুর শরীরের এই প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ইফতারে খেজুর খাওয়া উচিত। আর বাকি উপকারিতাগুলো তো জানলেনই, তাই শুধু রমজান মাসেই নয়, আমাদের খেজুর খাওয়া উচিত সারাবছর, প্রতিদিন। Health and fitness is the state of being healthy both, physically and mentally. Regular exercises and balanced diet can improve health and fitness of a person. We can define health as the state of complete mental, physical and social well-being of a person. It is not only the absence of illness, diseases or infirmity. by Shahed Sazia
0 notes
pharmacybd-blog · 6 years
Text
টক দই এর স্বাস্থ্য উপকারিতা - সুস্থতার জন্য প্রতিদিন
টক দই এর স্বাস্থ্য উপকারিতা – সুস্থতার জন্য প্রতিদিন
টক দইয়ে আছে আমিষ, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি। টক দইয়ে থাকে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে দুধের চেয়েও বেশি ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম ও পটাশ আছে। নিয়মিত টক দই খাওয়া শুরু করলে তার ফল পাওয়া যায় তড়িৎ গতিতে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যা হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক।
দই মানব দেহের জন্য কতটা উপকারী চলুন জেনে নেই-
১। দইয়ে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বেশি…
View On WordPress
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
জেনে নিন, খেজুর-কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা! আমাদের কাছে অতি পরিচিত দুটি খাবার খেজুর ও কিসমিস । সেমাই,পায়েস কিংবা ইফতারের প্লেটে কিসমিস ও খেজুর ছাড়া চলেই না। কিন্তু জানেন কি, খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সুস্বাদু খেজুর ও কিসমিসের কিছু গুণাগুণ- ১. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের রোজের ডায়েটে এই ফলটি থাকা অত্যাবশ্যকীয়। ২. অ্যাসিডিটির প্রকোপ কমে : কিসমিসে উপস্থিত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমতে সময় লাগে না। এক কথায় সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে কিসমিসের কোনো বিকল্প হয় না । ৩. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত এই ফলটির পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের ভিতরের এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে । সেই সঙ্গে রাতকানাসহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমাতে সাহয্য করে। ৪. অ্যানিমিয়ার রোগের প্রকোপ কমে : কিসমিসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদনকে বাড়িতে দেয়। ফলে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না। নারীদের মধ্যে যে হারে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, তাতে প্রত্যেকেরই যে কিসমিস খাওয়ার প্রয়োজন বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ৫. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়: খেজুরে ডায়াটারি ফাইবার, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান উপস্থিত। যার ফলে শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিস্কে কোষের ক্ষমতাকে এতটাই বাড়িয়ে তোলে যে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। তাই যদি একটু বেশিই বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে চান, তাহলে প্রতিদিন ২-৩টা করে খেজুড় খেতে ভুলবেন না যেন। ৬. হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় : ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। ৭. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয় : খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজও রয়েছে, ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়। ৮. হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে : কিসমিসে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও বোরন নামক উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অল্প বয়সেই যদি অস্টিওপরোসিস বা অন্য কোনো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে নিয়মিত এক মুঠো করে কিসমিস খেতে ভুলবেন না যেন। ৯. ক্যান্সার দূরে থাকে : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খেলে শরীরে ভিতরের কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাবে ক্যান্সার কোষের জন্মে নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। ১০. ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে : খেজুরে উপস্থিত ভিটামিন সি ও ডি ত্বক টানাটান রাখতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও গায়েব হতে শুরু করে। ফলে ত্বক প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-এজিং প্রপাটিজ, ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। ১১. নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমায় : খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনো ধরনের পেটের রোগই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খেলে শরীরে ভেতরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম, কোলাইটিস ও হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
0 notes
nazmulahmednoyon · 6 years
Text
মেডিসিনে 3D প্রিন্টিংএর ব্যবহার
কোষ বানানো, যা পরবতীতে শরীরের বিভিন্ন ধরণের টিস্যু গঠনে কাজে লাগে
ব্লাড ভেস্সেল বানানো
ত্বক বানানো
হাড় বানানো
হার্ট এবং লিভার মত বিভিন্ন অঙ্গ বানানো
প্রিন্টেড কোষ দিয়ে ক্যান্সার নিয়ে পড়াশুনা
0 notes
bartatv-blog · 6 years
Photo
Tumblr media
ব্যথা বা যন্ত্রণা কমাতে খুব উপকারি টক দই টক দইয়ের অনেক গুণ৷ সুস্থ থাকতে রোজই খাওয়া উচিত টক দই ৷ আর ব্যথা বা যন্ত্রণা কমাতে টক দই খুব উপকারি৷ পা মচকে গেলে বা চোট পেলে বেশিরভাগ সময়ই আমরা বরফ, চুন-হলুদ লাগিয়ে থাকি বা পেইন কিলার খেয়ে নিন৷ তবে ব্যথা কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল খাবার পর এক বাটি টক দই খেয়ে নেওয়া৷ সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনই একটি তথ্য সামনে উঠে এসেছে৷ সেই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে টক দইয়ে উপকারি ব্যাকটেরিয়া ব্যথা বা যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে থাকে৷ দইয়ের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া এন্ডোটক্সিন তৈরি করে৷ অনেক সময় ছোটখাটো কারণে আমাদের ত্বকে ব্রণ, ফুসকুরি লেগেই থাকে৷ প্রতিদিনকার জীবনে চলতে গেলে ছোট খাটো কাঁটা ছেড়া লেগেই থাকে৷ সব সময় ওষুধ না লাগিয়ে দই লাগিয়ে নিতে পারেন৷ এর পাশাপাশি ক্ষতিকর ব্যাক���েরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখে৷ এটি পাকস্থলী জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে৷ তে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে৷
0 notes
kidzymart · 3 years
Photo
Tumblr media
ক্যালসিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত
#Deelac_Milk_Podwer যা আপনার শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, মজবুত দাঁত ও হাড় গঠনে সহায়তা করবে, স্বাস্থ্যকর এই দুধ সহজেই পেয়ে যাবেন kidzymart.com থেকে।
1 note · View note
hasanmallick97 · 7 years
Photo
Tumblr media
হাড় ক্ষয়ের কারণ ও প্রতিরোধ বিডিলাইভ ডেস্ক: হাড়ের মূল উপাদান আমিষ, কোলাজেন ও ক্যালসিয়াম। প্রাকৃতিক নিয়মেই ৩০ বছরের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব ও পরিমাণ কমতে থাকে, হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হতে থাকে। ৫০ থেকে ৬০ বছরের দিকে হাড় অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সামান্য আঘাতেও বয়স্ক ব্যক্তির মেরুদণ্ড, কটি, পাঁজর ও কবজির হাড় ভেঙে যেতে পারে। হাড়ক্ষয় রোগ কেন হয় - ৪০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব বংশানুক্রমিকভাবে নির্ধারিত হয়। তাই পরিবারে হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে ঝুঁকিটা বেশি। - ২০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব নির্ধারিত হয় জীবনযাত্রার মাধ্যমে। শৈশব থেকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম, খনিজ ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ধুমপান ও মদ্যপান বর্জন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা এবং কর্মক্ষম থাকা হাড়ের সুস্থতার জন্য দরকারি। - পুরুষের তুলনায় নারীদের হাড় ভাঙার প্রবণতা বেশি; বিশেষ করে যারা শারীরিক গঠনে পাতলা ও খাটো। - প্রায় ২০ শতাংশ নারী মেনোপোজের পর মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙার শিকার হন। একবার হাড় ভাঙার পরবর্তী বছরে সাধারণত আরেকটি নতুন হাড় ভাঙে। - থাইরয়েড ও পিটুইটারি গ্রন্থির নানা সমস্যা হাড়ের ক্ষয়কে ত্বরান্বিত করতে পারে। - দীর্ঘদিনের স্টেরয়েড ওষুধ সেবন, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, খাদ্যনালির অস্ত্রোপচার বা রোগ, যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করে। প্রতিরোধ - নিয়মিত ব্যায়ামে হাড়ের শক্তি বাড়ে। এতে হাড়ের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে জয়েন্টগুলো সচল রাখে। শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে হাড়ক্ষয় কমায়। যেমন হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা এবং সব সময় কর্মক্ষম থাকা উচিত। কৈশোরে যথেষ্ট ��ায়িক পরিশ্রম করলে হাড়ের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা বৃদ্ধির ফলে বার্ধক্যে হাড়ের ক্ষয় কম হয়। - নিয়মিত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-জাতীয় খাবার খান। হাড়ের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি। ক্যালসিয়ামের জন্য নিয়মিতভাবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার খান। ভিটামিন ডি-এর ৯০ ভাগ উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। তাই প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন, পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খান। - ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন। কারণ, এতে হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি করে। - অতিরিক্ত ওজন বহন করবেন না। হাড়ের পরিমাণ হ্রাস, হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা নির্ণয় করা যায় বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ওষুধ সেবন করুন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসনকেন্দ্র।
0 notes
shahedsazia · 5 years
Link
সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে পাবেন এই ১৩টি উপকারিতা !By #Shahedsazia# খেজুর খাওয়া সুন্নত, কিন্তু এই একটি সুন্নতের পেছনেও যে কতো উপকারিতা আছে সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানি না। রোজা শেষে ইফতারে এটি শুধু ক্লান্তি দূর করে না, বরং শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনেরও জোগান দেয়। ইফতারে খেজুর কেন খাবেন? খেজুরে রয়েছে এমিনো এসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। খেজুর শরীরের এই প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ইফতারে খেজুর খাওয়া উচিত। চলুন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক- কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট খেজুরে কোনও কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না। ফলে আপনি সহজেই খেজুর খাওয়া শুরু করে অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবেন। প্রোটিন প্রোটিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। খেজুর প্রোটিন সমৃদ্ধ। ফলে পেশী গঠন করতে সহায়তা করে এবং শরীরের জন্য খুব অপরিহার্য প্রোটিন সরবরাহ করে। ভিটামিন খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। যেমন, বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫। এছাড়াও ভিটামিন এ১ এবং সি ভিটামিন পাওয়ার আরও একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে খেজুর। খেজুর দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর। আয়রন আয়রন মানব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খেজুর প্রচুর আয়রন রয়েছে। ফলে এটা হৃৎপিন্ডের কার্যমতা বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিন্ড, তাদের জন্য খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ওষধ। ক্যালসিয়াম ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে। ক্যানসার প্র��িরোধ খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ। এক গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যানসারে ঝুঁকিটাও কম থাকে। খুব সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে খেজুর Abdominal ক্যান্সার রোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে এবং অবাক করা বিষয় হচ্ছে এটি অনেক সময় ওষুধের চেয়েও ভাল কাজ করে। ওজন কমায় মাত্র কয়েকটা খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা। এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। এই কয়েকটা খেজুরই কিন্তু শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ। যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কখনও কখনও ডায়রিয়ার জন্যেও এটা অনেক উপকারী। সংক্রমন যকৃতের সংক্রমনে খেজুর উপকারী। এছাড়া গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি, এবং ঠাণ্ডায় খেজুর উপকরী। খেজুর অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে। রক্তশূন্যতা রোধ করে প্রচুর মিনারেল সঙ্গে আয়রন থাকার কারণে খেজুর রক্তশূন্যতা রোধ করে। তাই যাদের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত খেজুর খেয়ে দেখতে পারেন। কর্মশক্তি বাড়ায় খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা যদি মাত্র ২টি খেজুর খা্ন তবে খুব দ্রুত কেটে যাবে তাদের ক্লান্তি। স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায় খেজুর নানা ভিটামিনে পরিপূর্ণ থাকার কারণে এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি রাখে, সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ছাত্র-ছাত্রী যারা নিয়মিত খেজুর খায় তাদের পারফরম্যান্স অন্যদের তুলনায় ভাল থাকে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম যা বিভিন্ন ধরণের হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর শরীরের খারাপ ধরণের কোলেস্টেরল কমায় (LDL) এবং ভাল কোলেস্টেরলের (HDL) পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। খেজুর শরীরের এই প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ইফতারে খেজুর খাওয়া উচিত। আর বাকি উপকারিতাগুলো তো জানলেনই, তাই শুধু রমজান মাসেই নয়, আমাদের খেজুর খাওয়া উচিত সারাবছর, প্রতিদিন। Health and fitness is the state of being healthy both, physically and mentally. Regular exercises and balanced diet can improve health and fitness of a person. We can define health as the state of complete mental, physical and social well-being of a person. It is not only the absence of illness, diseases or infirmity.
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
গর্ভবতী নারী হিসেবে আপনার যা খাওয়া প্রয়োজন আপনার গর্ভের শিশুটি কোন প্রকার জন্মগত ত্রুটি নিয়ে পৃথিবীতে আসুক, মা হিসেবে আপনি কখনো তা প্রত্যাশা করবেন না। আর সেজন্য গর্ভবতী নারী হিসেবে আপনার প্রয়োজন প্রচুর ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া। আর এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন জার্মানির পুষ্টি সোসাইটির আনট্যে গাল। ফলিক অ্যাসিড বলতে যা বুঝায়- ফলিক অ্যাসিড এক ধরণের ভিটামিন ‘বি’ যা গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যারা গর্ভবতী হতে চান বা মাত্র গর্ভধারণ করেছেন ডাক্তাররা তাদের ফলিক অ্যাসিড বা ফলেট ভিটামিন খেতে বলে থাকেন। যখন থেকে এই জাতীয় খারাব শুরু করা উচিত- সাধারণত অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটি গর্ভধারণের প্রথম তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দেয়। তাই গর্ভবতী হওয়ার একেবারে শুরুতেই ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে অনাগত শিশুর জন্মগত ত্রুটির আশঙ্কা অনেক কমে যায়। গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু জেনে নিন- প্রতিটি গর্ভবতী নারীর খাবারে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব হলে অনাগত শিশুর রক্তস্বল্পতা ও হাড় গঠনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া যথেষ্ট আমিষের অভাবে শিশুর মানসিক প্রতিবন্ধিত্বও দেখা দিতে পারে। তাই হবু মায়ের যথেষ্ট ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। যে দিকে সর্বদা বিশেষ খেয়াল রাখবেন- চিকিৎসকরা মনে করেন, সকালে খালি পেটে ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে কিছু ওষুধও কিন্তু ফলিক অ্যাসিডের গুণ খানিকটা কেড়ে নিতে পারে। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া আলো এবং গরমের কারণেও ফলেটের গুণাগুণ কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়। তাই খাবারের পুষ্টিগুণ পুরোটা পেতে সবজি ও ফল কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ অবস্থায় খাবেন। তাছাড়া শষ্যদানা, দুধ বা দুধের তৈরি খাবার, ডাল, শিম, যে কোনো ধরণের কপি, মটরশুটি, পালংশাক, টমেটো, কমলালেবু বা শিম জাতীয় সবজিতে রয়েছে প্রচুর ফলেট। স্যামন মাছেও পাবেন ফলেট, তবে মাছ ভালোভাবে সিদ্ধ বা ভাজি করে নিতে হবে। টমেটো কিংবা লাল ক্যাপসিকাম- অনেকেই হয়তো জানি না যে সহজে হাতের কাছে পাওয়া ১০০ গ্রাম টমেটোতেই পাওয়া যায় ৩৩ মাইক্রোগ্রাম ফলেট। তবে ১৫০ গ্রাম ওজনের একটি লাল ক্যাপসিকামে কিন্তু রয়েছে ৮৩ মাইক্রোগ্রাম ফলেট। তাছাড়া আম বা কলাতেও যথেষ্ট ফলেট থাকে। তাই এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
0 notes