#শ্বেতী রোগের কারণ
Explore tagged Tumblr posts
dmharunkhan · 5 years ago
Video
শ্বেতী রোগের হোমিও চিকিৎসা | vitiligo treatment in homeopathy | ধবল রোগে...
1 note · View note
shafiqmiah · 5 years ago
Text
শ্বেতী রোগ কি? এ রোগের কারণ ও চিকিৎসা কি?
শ্বেতী রোগ কি? এ রোগের কারণ ও চিকিৎসা কি?
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা কি? শ্বেতী রোগের কারণ:
আমাদের রং যে কালো এটা তৈরি করার জন্য শরীরে মেলানোসাইট নামে একটি কোষ আছে, এই কোষ গুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তখন ওই রং কোষগুলোকে চিনতে পারে না। মনে।
করে সে বাইরের কেউ। তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাগুলো একে ধ্বংস করে দেয়। তখন ঐ জায়গায় ট�� তৈরি করতে পারে না কোষগুলো।
ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যায়।
শ্বেতী রোগ কোন…
View On WordPress
0 notes
kalerdhara24 · 5 years ago
Text
শ্বেতী রোগ হওয়ার কারণ জানুন
শ্বেতী রোগ হওয়ার কারণ জানুন
শ্বেতী বা ধবল রোগ নিয়ে আমাদের সমাজে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত আছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ রোগ আসলে কেন হয়, সেটা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। যদিও এ রোগের বিজ্ঞানসম্মত কিছু কারণ আছে-চলুন জেনে নেই-
শ্বেতী বা ধবল কী:
শ্বেতী বা ধবল রোগকে ইংরেজিতে লিউকোডারমা বা ভিটিলিগো বলা হয়।লিউকোডারমা নামকরণের পেছনে রয়েছে সুন্দর একটি বৈজ্ঞানিক কারণ।তা হলো-লিউকোডারমা শব্দটি ল্যাটিন শব্দ যা দুটি শব্দ সহযোগে…
View On WordPress
0 notes
get-tips-bd · 5 years ago
Text
শ্বেতী রোগ কি- এ রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন
শ্বেতী রোগ কি- এ রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা কি? শ্বেতী রোগের কারণ:
আমাদের রং যে কালো এটা তৈরি করার জন্য শরীরে মেলানোসাইট নামে একটি কোষ আছে, এই কোষ গুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তখন ওই রং কোষগুলোকে চিনতে পারে না।
মনে করে সে বাইরের কেউ। তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাগুলো একে ধ্বংস করে দেয়। তখন ঐ জায়গায় টং তৈরি করতে পারে না কোষগুলো।
ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যায়।
শ্বেতী রোগ কোন…
View On WordPress
0 notes
gethealthy18-blog · 5 years ago
Text
গোল মরিচের উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Black Pepper Benefits, Uses and Side Effects in Bengali
New Post has been published on http://healingawerness.com/getting-healthy/getting-healthy-women/%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac/
গোল মরিচের উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Black Pepper Benefits, Uses and Side Effects in Bengali
গোল মরিচের উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Black Pepper Benefits, Uses and Side Effects in Bengali StyleCraze Hyderabd040-395603080 October 16, 2019
গোল মরিচ যেমন সুস্বাদু, তেমন উপকারী। ভারতের বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলে ও এশিয়ার দক্ষিণ দেশগুলিতে এই গোল মরিচ সব থেকে বেশি চাষ করা হয়। ভারতের কেরালা রাজ্যে যে পরিমাণ গোল মরিচ চাষ করা হয়, সেখান থেকে প্রথিবীর বিভিন্�� অঞ্চলে এই গোল মরিচ রপ্তানি পর্যন্ত করা হয়ে থাকে।
গোল মরিচ কী? – What is Black Pepper
গোল মরিচের বৈজ্ঞানিক নাম হল পিপার নিগ্রাম, একটি ভরপুর পুষ্টিতে ভরা ঝাঁঝালো ও শুকনো ফল যা সাধারণত মশলা হিসেবে প্রতিটি রান্নাঘরে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি গাছ থেকে চাষ করা হয় যার মধ্যে এক রকমের ফুল থেকে গোল মরিচের সৃষ্টি হয়। গোল মরিচ সাধারণত তিন প্রকারের হয়- কালো, সবুজ ও সাদা গোল মরিচ। আজকের এই নিবন্ধে আমরা আপনাকে গোল মরিচ ও তার নানারকমের উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।
গোল মরিচের উপকারিতা – Benefits of Black Pepper in Bengali
এক আউন্স গোল মরিচে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে, আয়রন ও ফাইবার যা ভীষণ ভাবে উপকারী (১)। এছাড়া এই গোল মরিচ থেকে তৈরী হয় নানা রকমের সুগন্ধি তেল যা এরোমা থেরাপি, শরীরের পেশিতে মালিশ, আর্থ্রাইটিসের ফোলাভাব ও হজমের জন্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। গোল মরিচে রয়েছে এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল, এন্টি অক্সিডেন্ট, রোগ প্রতিরোধক ও জ্বর নাশ করার ক্ষমতা। যেসব মানুষের ঘন ঘন ধূমপান করার বদভ্যেস থাকে, তাদের জন্যে গোল মরিচ হল একটি অনবদ্য চিকিৎসার ঔষধি। আসুন বিস্তারিত ভাবে দেখে নেওয়া যাক, গোল মরিচের নানারকম উপকারিতা।
স্বাস্থ্যের জন্য গোল মরিচের উপকারিতা – Health Benefits of Black Pepper in Bengali
স্বাস্থ্যের জন্যে গোল মরিচের উপকারিতা প্রচুর। আগেই বলা হয়েছে, গোল মরিচে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট ও এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান যা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হজম ও মস্তিরকের স্বাস্থ্যের জন্যে খুব ভাল।
হজমের জন্যে গোল মরিচ: Digestion
হজমের জন্যে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় এনজাইম বা হরমোনের প্রয়োজন হয়, তা গোল মরিচের দ্বারা ভালোভাবে তৈরী করা যায়। খাওয়ার সময় গোল মরিচ খেলে তা প্যানক্রিয়াস ও লিভারের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্যে খাদ্যগুলিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভেঙে এনজাইম দ্বারা হজম  করতে সাহায্য করে (২)। এছাড়া গোল মরিচের বিভিন্ন উপাদান পেটের গ্যাস রোধ করতে সাহায্য করে। তাই এখন থেকে রান্নায় লঙ্কার গুঁড়ো ব্যবহার করার বদলে গোল মরিচ ব্যবহার করার অভ্যেস করুন। পেটে জ্বালাভাব ও ব্যাথা কমাতেও গোল মরিচের উপকারিতা অনবদ্য।
সর্দি কাশি ও ঠান্ডা লাগার জন্যে গোল মরিচ: Cold and Cough
Shutterstock
প্রাচীন বৈজ্ঞানিক ও ঔষধিক শাস্ত্রে গোল মরিচকে এক বিশেষ স্থান দেওয়া হয়। সর্দি কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার ক্ষেত্রে এই গোল মরিচ দারুণ কাজ দেয়। ২ চামচ গোল মরিচের গুঁড়োর সাথে এক চামচ মধু এক কাপ গরম জলে মিশিয়ে পান করলে তা সর্দি ও  নাক বন্ধের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। এটি দিনে ৩ বার পান করুন।
যাদের এস্থেমা বা সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও গোল মরিচ বেশ কাজ দেয় (৩)। শ্বাস কষ্ট ও কাশির ক্ষেত্রে এই গোল মরিচ বিশেষভাবে উপকারী।
ক্যান্সারের জন্যে গোল মরিচ: Cancer
ক্যান্সারের বিরুধ্যে সুরক্ষা প্রদান করতে গোল মরিচের জুড়ি মেলা ভার (৪)। শরীরে সেলিনিয়াম, কারকিউমিন, বেটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন বি শোষণ করতে গোল মরিচ বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। এগুলি ক্যান্সার রোধকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
কোলন ক্যান্সারের বিরুধ্যে গোল মরিচ রেকটামে চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রোস্ট্রেট ক্যান্সারের জন্যেও এই গোল মরিচ বিশেষভাবে উপকারী (৫)। ক্যান্সারের জন্যে যেসব ডোক্টাক্সেল বা কেমো থেরাপির ওষুধ ব্যবহৃত হয়, সেগুলির অনেকগুলিই গোল মরিচের সাহায্যে তৈরী হয় (৬)।
দাঁত ও মুখের জন্যে গোল মরিচ: Oral Health
কিছু কিছু টুথপেস্টে গোল মরিচ ব্যবহার করা হয় কারণ এটি দাঁতে ব্যাথা ও মুখের জন্যে খুব উপকারী। গোল মরিচের এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান দাঁত ও মুখের জন্যে  বিশেষভাবে উপকারী।
মাড়ির সমস্যা হলে বা ফুলে গেলে এক চিমটি নুনের সাথে একটুখানি গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে মাড়িতে হালকা করে মালিশ করুন। অবশ্যই ভাল ফল পাবেন। তবে এটি করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
ওজন কমাতে গোল মরিচ: Weight Loss
মোটা হয়ে যাওয়া বা ওজন বেড়ে যাওয়া রোধ করতে গোল মরিচ খুব উপকারী ভূমিকা নেয়। শরীরে যেই সমস্ত কোষগুলি মেদ সৃষ্টি করে, গোল মরিচ সেগুলির বিরুধ্যে কাজ করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে (৭)।
ওজন কমানোর জন্যে আপনি যেই খাদ্য তালিকা অনুসরণ করেন, সেখানে অবশ্যই গোল মরিচ যোগ করুন। যেকোনো সুস্বাদু খাদ্যকে অন্য কোনো মশলাপাতি দিয়ে ম্যারিনেট না করে, লেবু ও গোল মরিচ ব্যবহার করুন কারণ এতে রয়েছে মাত্র ৮ ক্যালোরি।
গ্যাসের জন্যে গোল মরিচ: Gas
গ্যাসের সমস্যায় ভুগলে গোল মরিচ দারুণ উপকার প্রদান করে কারণ এতে রয়েছে কিছু উপাদান যা পেট ফেঁপে থাকা বা টক ঢেকুর থেকে নিমেষেই মুক্তি দেয়। গ্যাস হলে এক কাপ গরম জলে এক চামচ গোল মরিচ মিশিয়ে সেটি পান করুন, ফল অবশ্যই পাবেন
খিদে বাড়াতে গোল মরিচ: Increase Appetite
আগেই বলা হয়েছে যে গোল মরিচ হজমের ক্ষেত্রে প্রবল সাহায্য করে। এর ফলে আপনার  ক্ষুধাভাব স্বাভাবিক হয়ে আসে ও আপনার খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যাবে। ফলে অল্প খেলেই যে পেটে জ্বালাভাব, ভার, বা অন্যান্য হজমের সমস্যা হয়ে থাকে, সেগুলি কেটে যায়। এর জন্যে রোজ খাওয়ার পাতে যেকোনো খাদ্যের সাথে বা ফলের সাথে এক চিমটি করে গোল মরিচ যোগ করে খাওয়ার অভ্যেস করুন।
মানসিক চাপ বা বিষন্নতা কমাতে গোল মরিচ: Stress/Depression
Shutterstock
মানসিক চাপ বা বিষন্নতা দূর করতে গোল মরিচ দারুণ একটি ওষধির কাজ করে। গোল মরিচ থেকে কিছু বিশেষ এসেনশিয়াল অয়েল বা সুগন্ধি তেল তৈরী হয় যা শরীরে মালিশ করলে সারাদিনের ক্লান্তিভাব কেটে যায়। এমনকি, মাথায় গোল মরিচের তেল মালিশ করলেও মাথা ধরা ও চাপ কমে যায় ও খুব ভাল ঘুম হয়। এছাড়া, বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনতেও গোল মরিচ বিশেষ ভাবে সাহায্য করে (৮)।
ডায়াবেটিস কমাতে গোল মরিচ: Diabetes/ Blood Sugar
গোল মরিচে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোসের উচ্চ পরিমাণ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত  হয়েছে যে গোল মরিচ তেলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান ২ রকমের এনজাইম সৃষ্টি করে যা স্টার্চকে গ্লুকোসে পরিণত করতে সাহায্য করে। এর ফলে ডায়াবেটিসের প্রবণতা অনেক কমে আসে।
ডায়াবেটিসের জন্যে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রকমের ঔষধ যেমন মেটফরমিন শরীরে দীর্ঘদিন প্রবেশ করতে করতে কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। গোল মরিচ এই সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সহজেই কমিয়ে আনে ও ধীরে ধীরে আপনার মেটফরমিন নেওয়ার  প্রয়োজনও ফুরিয়ে আসে (৯)।
বাত বা আর্থ্রাইটিসের জন্যে গোল মরিচ: Joint Pain/ Arthritis
গোল মরিচ থেকে তৈরী তেল বাতের ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিসের জন্যে বেশ উপকারী। অনেক আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ চিকিৎসায় গোল মরিচ থেকে তৈরী তেল দিয়ে আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা মালিশ করে ঠিক করা হয়। এছাড়া গোল মরিচে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই ভাল।
সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে: Fights Infection
গোল মরিচের এন্টিব্যাক্টিরিয়াল উপাদান শরীরের যে কোনো রকমের সংক্রমণের বিরুধ্যে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। একটি দক্ষিণ আফ্রিকান পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে গোল মরিচে থাকা পিপারাইন শরীরে যেকোনো জীবাণুর বিরুধ্যে লড়াই করে, বিশেষ করে যখন সেই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে প্রজনন শুরু করে। এর ফলে আপনি নানারকমের অসুখ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন (১০)।
এন্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে: Antioxidant
সুস্বাস্থ্যের জন্যে এন্টি অক্সিডেন্ট খুবই প্রয়োজন এবং গোল মরিচে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ  এন্টি অক্সিডেন্ট (১১) যা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া সারাদিন যারা অত্যাধিক কাজের চাপের মধ্যে থেকে মানসিকভাবে ক্লান্ত থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে গোল মরিচ একটি অনবদ্য ঔষধির কাজ করে (১২)।
এছাড়া বিশ্বের নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে অন্য যে কোনো এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাদ্যের তুলনায়, গোল মরিচে থাকা এন্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ সব থেকে বেশি। এতে আছে উচ্চ পরিমাণ ফেনোলিক উপাদান যা স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই প্রয়োজনীয়। এগুলি ক্যান্সারের বিরুধ্যেও লড়াই করতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যে গোল মরিচ: Brain Health
Shutterstock
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যেও গোল মরিচের উপকারিতা প্রবল। গোল মরিচে থাকা পিপারেন  একটি এনজাইম তৈরী করে যা মস্তিষ্কের নিউরো ট্রান্সমিটারকে ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করে। এই এনজাইম মেলাটোনিনকে নিয়ন্রণ করতেও সাহায্য করে যা মানুষের ঘুমের চক্রকে শান্তভাবে মানিয়ে চলে।
পার্কিনসন্স রোগের জন্যেও গোল মরিচের উপকারিতা আছে। গোল মরিচের দ্বারা তৈরী হওয়া ডোপামাইন সু-চিন্তা ও খুশি থাকার হরমোন সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। এর ফলে বিষন্নতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নিয়মিত গোল মরিচ খাওয়ার ফলে আলজাইমার হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে আসে। এটি স্নায়ুকে শান্ত করে ও দ্রুত কোষের মৃত্যু হওয়াকে রোধ করে (১৩)।
ধূমপান ছাড়াতে গোল মরিচ: Quit Smoking
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে গোল মরিচ ধূমপানের মত নেশা ছাড়াতে খুব সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে গোল মরিচ দিয়ে ফোটানো জলের ভাপ নিলে ধূমপানের নেশা ধীরে ধীরে চলে যায় (১৪)।
ত্বকের জন্য গোল মরিচের উপকারিতা – Skin Benefits of Black Pepper in Bengali
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি গোল মরিচের উপকারিতা ত্বকের জন্যেও নানা রকম ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ত্বকের জন্যে গোল মরিচের উপকারিতাগুলো কি কি:
বার্ধক্যের ছাপ কমাতে গোল মরিচ: Fights Wrinkles
গোল মরিচে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বকের দাগ, ছোপ বা কুঁচকোনো ভাব অনায়াসে কেটে যায়। ভাল ফল পেতে হলে প্রতিদিন নিজের খাদ্য তালিকায় অল্প করে গোল মরিচ যোগ করুন। এছাড়া এক চামচ মধু বা হলুদের সাথে গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন দুবার করে লাগানোর অভ্যেস করুন। তাতে আরো দ্রুত ফল পাবেন।
ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে: Exfoliates the Skin
গোল মরিচ ত্বকের জন্যে স্ক্রাবারের কাজ করে। এর ফলে ত্বকের সমস্ত মৃত কোষ ঝরে যায় ও ত্বক আরো কোমল ও মোলায়েম হয়ে যায়। এই স্ক্রাবার বানাতে হলে এক চামচ গোটা গোল মরিচ ভালো করে গুঁড়ো  করে ৩ চামচ দইয়ের সাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দারুণ ফল পাবেন।
এই প্যাকটি ত্বকের বিষাক্ত ধুলো, ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে মোলায়েম করে তার ঔজ্জ্বল্য ফুটিয়ে তুলবে। এছাড়া এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় ও প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি বাড়তে থাকে। এটি এন্টি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল যা ব্রণ আটকায়।
শ্বেতী দূর করে: Cures Vitiligo
��্বেতী হলে ত্বকের আসল রং বা পিগমেন্ট নষ্ট হয়ে কিছু কিছু অংশে সাদা বা কালো ছোপ পড়ে যায়। যদিও এর জন্যে নানা রকমের ওষুধ পাওয়া যায় তবে এগুলি ব্যবহার করলে ত্বক ভীষণভাবে রুক্ষ হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে, গোল মরিচ বিশেষভাবে সাহায্য করে। এটি শুধুমাত্র সুরক্ষিত নয়, এটি রীতিমত কেমিকেল মুক্ত।
চুলের জন্য গোল মরিচের উপকারিতা – Hair Benefits of Black Pepper in Bengali
গোল মরিচের উপকারিতা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও ত্বকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর উপকারিতা চুলের ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে দেখা যায়। বিস্তারিতভাবে দেখে নেওয়া যাক:
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে: Revitalizes Hair
নতুন চুল গজাতে গোল মরিচের ভূমিকা আছে। একটি গোটা লেবুর রস বের করে এক চামচ গোল মরিচের গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়া ২ চামচ মধুর সাথে এক চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়েও স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। এতে চুল গজায় ও চুলের সিঁথি ভরাট হয়।
খুশকি দূর করে: Dandruff
Shutterstock
চুলে খুশকির সমস্যা রোধ করতে গোল মরিচ বিশেষভাবে সাহায্য করে। এক চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো এক বাটি দইয়ের সাথে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ভালো  করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ভালো করে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এতে ড্যানড্রফ ধীরে ধীরে কমে আসবে। তবে অতিরিক্ত এই প্যাকটি  ব্যবহার করবেন না, এতে স্ক্যাপে জ্বালাভাব ও অস্বস্তি হতে পারে।
গোল মরিচের পুষ্টিগত মান – Black Pepper Nutritional Value in Bengali
পুষ্টি পুষ্টিগত মান শতাংশ শক্তি ২৫৫ কিলো ক্যালোরি ১৩% কার্বোহাইড্রেট ৬৪.৮১ গ্রাম ৪৯% প্রোটিন ১০.৯৫ গ্রাম ১৯.৫% ফ্যাট ৩.২৬ গ্রাম ১১% কোলেস্টরল ০ মিলিগ্রাম ০% ফাইবার ২৬.৫ গ্রাম ৬৯% ভিটামিন কোলিন ১১.৩ মিলিগ্রাম ২% ফলিক এসিড ১০ এমসিজি ২.৫% নিয়াসিন ১.১৪২ মিলিগ্রাম ৭% পাইরোডক্সিন ০.৩৪০ মিলিগ্রাম ২৬% রিবোফ্ল্যাবিন ০.২৪০ মিলিগ্রাম ১৮% থায়ামিন ০.১০৯ মিলিগ্রাম ৯% ভিটামিন এ ২৯৯ আই ইউ ১০% ভিটামিন সি ২১ মিলিগ্রাম ৩৫% ভিটামিন ইঁ ৪.৫৬ মিলিগ্রাম ৩০% ভিটামিন কে ১৬৩.৭ এমসিজি ১৩৬% ইলেক্ট্রোলাইট সোডিয়াম ৪৪ মিলিগ্রাম ৩% পটাসিয়াম ১২৫৯ মিলিগ্রাম ২৭% মিনারেল ক্যালসিয়াম ৪৩৭ মিলিগ্রাম ৪৪% পেট্রল ১.১২৭ মিলিগ্রাম ১২২% আয়রন ২৮.৮৬ মিলিগ্রাম ৩৬০% ম্যাগনেসিয়াম ১৯৪ মিলিগ্রাম ৪৮.৫ % ম্যাঙ্গানিজ ৬.৬২৫ মিলিগ্রাম ২৪৪.৫% ফসফরাস ১৭৩ মিলিগ্রাম ২৫% জিঙ্ক ১.৪২ মিলিগ্রাম ১৩% ফাইট নিউট্রিয়েন্ট বিটা ক্যারোটিন ১৫৬ এমসিজি — আল্ফ়া ক্যারোটিন ০ এমসিজি — বিটা ক্যারোটিন জান্ঠামিন ৪৮ এমসিজি — লিউটিন জান্ঠামিন ২০৫ এমসিজি — লাইকোপিন ৬ এমসিজি —      
গোল মরিচের ব্যবহার – How to Use Black Pepper in Bengali
Shutterstock
গোল মরিচ গোটা অথবা গুঁড়ো যে কোনো অবস্থায় ব্যবহার করা যায়। তবে বাজার থেকে কেনার সময় গুঁড়ো গোল মরিচ না কিনে গোটা গোল মরিচ কেনাই ভাল, কারণ গোটা মরিচের স্বাধ, গন্ধ ও গুণ অনেক বেশি। এছাড়া গোটা গোল মরিচ গুঁড়ো করা সুবিধা। আপনি নানারকমের রান্নায়  বা ফলে গোল মরিচ ব্যবহার করতে পারেন। এতে এর স্বাধ ও গন্ধ আরো বেশি ফুটে ওঠে।
গোল মরিচ সংরক্ষণ করার জন্যে একটি শুকনো মুখ বন্ধ করা কাঁচের শিশিতে রাখুন যাতে কোনোভাবেই সেটি জলের ছোঁয়া লেগে ভিজে না যায়। গোটা গোল মরিচ আপনি এভাবে দীর্ঘদিন রাখতে পারবেন, কিন্তু গুঁড়ো করা গোল মরিচ ৩ মাস পর্যন্ত রাখতে পারবেন। গোল মরিচ যদিও ফ্রিজেও রাখা যায়, কিন্তু এতে এর স্বাধ ও গন্ধ একটু পাল্টে যেতে পারে। গোল মরিচ ব্যবহার করার সময় কতগুলি বিষয় খেয়াল প্রয়োজন:
গোল মরিচ বিশেষ করে রান্নায় ব���যবহার করার সময় একটু বেশি দেবেন যাতে এর স্বাদ ফুটে ওঠে ও স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হয়।
গোল মরিচ গুঁড়ো করার সময় ভালো করে পিষে নেবেন, কারণ ভালো করে না পিষলে সেটি যখন মুখে পড়ে, তা বেশ ঝাল লাগতে পারে। ফলে কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফল বা শরবতে এক চিমটি করে গোল মরিচ ছড়িয়ে দিলে তা আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে ওঠে।
কালো বা লিকার চায়ের মধ্যে দু ফোটা লেবুর রস, এক চামচ মধু ও এক চিমটি গোল মরিচ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যেস করুন। এতে দারুণ শারীরিক উপকারিতা পাওয়া যায়।
গোল মরিচের অপকারিতা – Side Effects of Black Pepper in Bengali
যদিও গোল মরিচে নানারকমের উপকারিতা আছে, কিন্তু যেকোনো খাদ্যের মত গোল মরিচেরও  কিছু কিছু অপকারিতা রয়েছে। এটা খুবই  স্বাভাবিক, যে কোনো জিনিসই অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া ঠিক নয়। তাই, গোল মরিচও অতিরিক্ত খেলে কিছু কিছু সমস্যা দেখা  দিতে পারে। আসুন বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক:
১. চোখ লাল হওয়া
গোল মরিচ চোখের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। কোনোভাবে যদি ভুল করে চোখে গোল মরিচ ঢুকে যায়, তাহলে চোখ লাল হয়ে খ���ব জ্বালা করতে পারে।
২. স্তন্যপান করানোর সময় বা গর্ভাবস্থার সময় ক্ষতিকর
গর্ভাবস্থার সময় বা স্তন্যপান করানোর সময় আপনি যদি সামান্য গোল মরিচ খেয়ে থাকেন, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই উপকারী, কিন্তু বেশি খেলে তা নানারকমের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি, এটি গর্ভপাতেরও কারণ হতে পারে।
৩. পেট গরম হওয়া
অতিরিক্ত গোল মরিচ খেলে পেট গরম হতে পারে যার ফলে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই প্রতিদিন একদন অল্প পরিমাণ গোল মরিচ খান যাতে কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না দেখা যায়।
তবে যাই হোক, সাবধানে খেলে ও ব্যবহার করলে গোল মরিচের মত উপকারিতা খুব কম খাদ্যেই পাওয়া যায়। তার ওপর যখন এটি এতখানি সুস্বাদু ও আপনার খাদ্যে আলাদা একটি মাত্রা এনে দেয়, তাহলে আর দেরি কিসের? এখন থেকে প্রতিদিন এটি অল্প করে খাওয়ার অভ্যেস করুন ও এর বিবিধ উপকারিতা ভোগ করুন।
আমাদের এই পোস্ট ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই জানান কমেন্টের মাধ্যমে। আপনার কাছে যদি গোল মরিচ সম্পর্কে আরো কোনো তথ্য থাকে, সেটিও জানান আমাদের।
The following two tabs change content below.
Latest posts by StyleCraze (see all)
গোল মরিচের উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Black Pepper Benefits, Uses and Side Effects in Bengali – October 16, 2019
ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ এবং কমানোর উপায় – Diabetes Symptoms and Home Remedies in Bengali – October 16, 2019
জ্বর কমানোর উপায় : জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া উপায়: Fever Home Remedies in Bengali – August 2, 2019
রসুনের উপকারিতা, ব্যবহার এবং অপকারিতা – Garlic (Lahsun) Benefits and Side Effects in Bengali – August 2, 2019
মেথির উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Fenugreek Seeds (Methi) Benefits, Uses and Side Effects in Bengal – August 1, 2019
StyleCraze
Source: https://www.stylecraze.com/bengali/gol-moricher-upokarita-byabohaar-khotikor-dik-in-bengali/
0 notes
healthepisode112 · 6 years ago
Video
youtube
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও প্রতিকার || হেলথ এপিসোড || health episode
0 notes
paathok · 7 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/49082
ধবল বা শ্বেতী রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
Tumblr media
চামড়া সাদা বা কালো যাই হোক, ত্বক বা চামড়ার স্বাভাবিক রং যখন থাকে না এবং ত্বকের একটি অস্বাভাবিক রং দেখতে পাই, তখন তাকে শ্বেতী বা ধবল রোগী বলা হয়।
ত্বকে মেলানোসাইট নামে এক ধরনের কোষ আছে যা মেলানিন নামক একটি রং উৎপাদন করে এবং এই মেলানিনের কারণেই আমরা ত্বকের স্বাভাবিক রংটি দেখতে পাই। এই মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে কিংবা মরে গেলে মেলানিন নামক রং উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে।
যাদের ডায়বেটিস আছে কিংবা থাইরয়েডের রোগ থাইরোডাইটিস আছে তাদের শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। বিশেষ এক জাতের রক্তশুন্যতা থেকেও এই রোগটি হতে পারে। শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে বা প্রাণঘাতী রোগ নয়।
শ্বেতী রোগ নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক বিরূপ ধারণা ও কুসংস্কার রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই রোগের নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানতে পারেননি। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।
শ্বেতী রোগের কারণ: এটি কোন বিপজ্জনক রোগ নয়। শ্বেতীরোগের নির্দিষ্ট কোন কারণ এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে নিম্নলিখিত কারনে এ রোগ হতে পারেঃ
বংশগত কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে এই রোগ হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েক প্রজন্ম পরেও এ রোগ হতে দেখা যায়। প্রসাধনী সামগ্রীতে ব্যবহৃত ক্যামিক্যাল বা সিন্থেটিক জাতীয় জিনিস থেকে এলার্জিক প্রতিক্রিয়ায় শ্বেতী হতে পারে।
চশমার ফ্রেম বেশি আঁটসাঁট হলে তা থেকে নাকের দু’পাশে বা কানের কাছে সাদা হতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলে হতে পারে। রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়া অথবা মানসিক চাপ থেকে হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে কপালে পড়ার সিন্থেটিক টিপ থেকেও শ্বেতীর শুরু হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে প্লাস্টিক বা রাবারের জুতা, ঘড়ি প্রভৃতি ব্যবহারের ফলেও শ্বেতী বা অন্যান্য চামড়ার সমস্যা হতে পারে।
লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ: শ্বেতী বা ধবল রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে সহজেই এই রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। যেমন- ত্বকের উপর সাদা দাগ পড়বে, অল্প বয়সে মাথার চুল, চোখের পাপড়ি, ভ্রু অথবা দাড়ি সাদা বা ধূসর হয়ে যাবে, মুখের ভিতরের কলাগুলো বর্ণহীন হবে অথবা চোখের ভিতরের অংশে রংয়ের পরিবর্তন হলে বা রংহীন হলে ধরে নিতে হবে ঐ ব্যক্তি ধবল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
চিকিৎসা: শ্বেতী রোগের চিকিৎসা অনেক সময়সাপেক্ষ আবার পুরোপুরি নাও সারতে পারে। সাধারণভাবে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়। শ্বেতীর চিকিৎসায় সেরে উঠার জন্য রোগীকে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগী নিজে নিজেই সেরে যেতে পারে।
সঠিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। সবার ক্ষেত্রে সব চিকিৎসা পদ্ধতি একরকম ফল দেয় না। চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করার ক্ষেত্রে রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তি দেখে নির্ধারণ করা হয়। শ্বেতী চিকিৎসার জন্য যে সব ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
করণীয়: কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ থাকলে দূর করতে হবে। দুধ, ছানা, মাখন, স্নেহজাতীয়, ফলের রস ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য বেশি বেশি খাবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ভালো।
টাইট ফিটিং, যা ত্বকে দাগ দিতে, মত স্থিতিস্থাপক অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে যা ত্বক রক্তসংবহন সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রারম্ভিক, চুলকানি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। কোন আঘাত নতুন প্যাচ বৃদ্ধি দিতে হবে। প্লাস্টিক ও রাবার পরিধান এড়িয়ে চলা উচিত। প্লাস্টিক অলঙ্কার, ত্বকে কোন স্টিকার এড়িয়ে চলা উচিত।
0 notes
bartatv-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা শ্বেতী রোগ একসময় ‘সাদা কুষ্ঠ’ নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কুষ্ঠ রোগের সাথে শ্বেতীর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং নিরাময়যোগ্য একটি রোগ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই রোগে আক্রান্ত লোকজন মারাত্মক মানসিক-সামাজিক সমস্যায় ভোগে। এমনকি পারিবারিক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও দাম্পত্য জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টির ঘটনাও ঘটতে দেখা যায় শ্বেতী রোগ পশ্চিমা দেশগুলোতে সুনির্দিষ্ট জাতীয় নীতিমালা ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার মাধ্যমে এই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এসব দেশে শ্বেতী রোগের আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি রয়েছে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা। কিন্তু আমাদের দেশে শ্বেতী রোগের ডায়াগনোসিস ও ব্যবস্থাপনায় একটি মারাত্মক বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাংলাদেশে বর্তমানে শ্বেতীর চিকিৎসা কয়েকভাবেই করা হয়ে থাকে এবং এগুলো হলো- ক) স্বপ্নপ্রাপ্ত চিকিৎসা : আমাদের দেশের বেশির ভাগ রোগীই এই চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী। এ ব্যবস্থায় বিভিন্ন গাছ-গাছড়ার উপাদানে তৈরি ওষুধ বা বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফলে অবশ্য গায়ে ফোস্কা পড়া, আলসারসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমনকি কখনো কখনো শ্বেতীর স্থানটি পর্দা (স্কোর) পড়ে আরো বেশি আকার ধারণ করে। খ) কবিরাজি চিকিৎসা : আমাদের দেশে এই চিকিৎসাপদ্ধতি শ্বেতী রোগের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। বিভিন্ন ধরনের খাবার ও গায়ে লাগানো হারবাল ওষুধ এই চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই চিকিৎসায় সাফল্য সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না এবং প্রায়ই হতাশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখা যায়। গ) হোমিও চিকিৎসা : খুব সস্তা বা স্বল্প ব্যয়ে এই চিকিৎসাকে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে দাবি করা হলেও বাস্তবে এ ক্ষেত্রে সাফল্য এখনো ধারাবাহিকতাহীন। ঘ) আধুনিক চিকিৎসা : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ কোনো একক বা একাধিক ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও ফলাফল ধারাবাহিকতাহীন এবং ব্যর্থতার ভাগই বেশি। ফলে এই রোগ থেকে নিরাময়ের ব্যাপারে রোগীরা চূড়ান্তভাবে হতাশ হয়ে পড়েন। বর্তমানে চিকিৎসক, রোগী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, শ্বেতী রোগ নিরাময়যোগ্য কোনো রোগ নয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা এই রোগের চিকিৎসায় ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। শ্বেতী রোগের সংজ্ঞা : একজন মানুষের জন্মের পর কোনো জ্ঞাত কারণ ছাড়াই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যাওয়াকেই শ্বেতী রোগ বলা হয়। শ্বেতী রোগের সাথে লিউকোডামার পার্থক্য রয়েছে। কারণ লিউকোডার্মার চিকিৎসা পর্যায়ে এটি শতকরা একশ ভাগ নিরাময়যোগ্য। এখানে উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, কারো শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে ঘা শুকানোর এক পর্যায়ে স্থানটি সাদা হয়ে যায়। এটাকে বলা হয় লিউকোডার্মা যা খুব সহজে নিরাময়যোগ্য। এই রোগের কারণ জানা থাকায় সহজেই এর চিকিৎসা করা যায়। শ্বেতী রোগের কারণ : শ্বেতী রোগের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়ে থাকে যে, একাধিক কারণে এই রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত প্রবণতাও এ রোগের সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের শ্বেতী : ১. ফোকাল শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতী রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত শরীরের এক বা দুটি স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যায়। মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ এ ধরনের রোগী পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগীর ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, রোগটি আপনাআপনিই সেরে যায়। এ ধরনের শ্বেতীর চিকিৎসার ফল খুবই ভালো। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং ৬০ ভাগ রোগীই সম্পূর্ণ নিরাময় লাভ করে। এমনকি আমাদের দেশীয় একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সংখ্যা ৮০ ভাগ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য কয়েক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এর চিকিৎসা করা যেতে পারে। ২. সেগমেন্টাল শ্বেতী : সাধারণত : এ ধরনের শ্বেতী শরীরের একটি অংশে দেখা যায়। আমাদের দেশে মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে ৩ শতাংশ এই শ্রেণীর রোগী পাওয়া যায়। প্রকৃতিগতভাবে এটি স্থিতিশীল কিন্তু আপনাআপনিই সেরে যাওয়ার কোনো প্রবণতা এ ধরনের শ্বেতী রোগের মধ্যে দেখা যায় না। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৬৫ শতাংশের মধ্যে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৪০ ভাগ। আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এ ধরনের শ্বেতী রোগের নিরাময়ের হার ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। রোগ নিরাময়ে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্লাফটিংয়ের জন্য এ ধরনের রোগী বিশেষ উপযুক্ত। ৩. এক্রোফেসিয়াল শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতী রোগীর হাত-পায়ের উপরে নিচে দু’দিকে, আঙ্গুলের ডগা, কব্জি, কনুই, অ্যাংকেল, হাঁটু, ঠোঁট, চোখের চার পাশে, মুখ ও যৌনাঙ্গে সাদা দাগের সৃষ্টি হয়। মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত এ ধরনের রোগী দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে এটি স্থিতিশীল ধরনের হলেও অনেক সময় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এটা শরীরের ব্যাপক অংশে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের চিকিৎসায় এ ধরনের রোগীর প্রতি ওষুধ প্রয়োগের পর কাক্সিক্ষত ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় খুবই ধীরে। এই হার ৫০ শতাংশ এবং রোগ নিরাময়ের হার মাত্র ৩০ শতাংশ। তবে বিরাজমান বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বিতভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাময়ের হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এই শ্রেণীর শ্বেতী নিরাময়ে কয়েক বছর চিকিৎসা লেগে যেতে পারে। অবে অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অল্প কিছু স্থানে এটি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে বিধায় স্কিন গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা করা যায়। তবে এটা করতে হবে অত্যন্ত দক্ষ সার্জনের মাধ্যমে। ৪. ভালগারিস শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতীতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বুক, পেট, পিঠ, ঘাড়, মাথা ইত্যাদি স্থানে ব্যাপকভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়ে এবং এটা অস্থিতিশীল প্রকৃতির। কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই রোগের উন্নতি বা অবনতি ঘটতে পারে। শ্বেতী রোগে আক্রান্ত মোট রোগীর ৬০ শতাংশই এ ধরনের রোগী। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৫০ শতাংশ। তবে আমাদের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয়ে নিরাময়ের হার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। রোগ নিরাময়ে কয়েক বছর সময় লাগে। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে স্কিন গ্রাফটিং প্রযোজ্য নয়। ৫. ইউনিভার্সালিজ শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতীতে আক্রান্তদের সাড়া শরীর (মাথা থেকে পা পর্যন্ত) এমনকি শরীরের লোম পর্যন্ত সাদা হয়ে যায়। তবে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা খুবই কম। যা মোট শ্বেতী রোগীর ২ শতাংশের বেশি হবে না। এটা স্থিতিশীল প্রকৃতির হলেও কখনো কখনো রোগীর মুখমণ্ডল, অঙ্গ-প্রতঙ্গ, কনুই ও হাঁটুতে রোগের কিছুটা ভালো হওয়ার আভাস দেখা যায়। এ ধরনের রোগীরা থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা আজ পর্যন্ত এ ধরনের শ্বেতী রোগের নিরাময়ের কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারেননি। আধুনিক চিকিৎসা : এ কথা অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, এ রোগের চিকিৎসা কোনো একক প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি সর্বজনীনভাবে কার্যকর নয়। চিকিৎসায় সাফল্য লাভের জন্য একাধিকক্রমে এক বা একাধিক পদ্ধতির প্রয়োগ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেদিক থেকে বলতে গেলে আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতি ও নীতিমালা, ফোকাল, সেগমেন্টাল এক্রোফেসিয়ার ও ভালগারিস শ্বেতী রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসায় একটি ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এটি একটা নিরাপদ, সহজ, ব্যয় সাশ্রয়ী ও ব্যবহার অনুকূল পদ্ধতি যাতে ৮০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল দেখা যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার মোটামুটি ৭০ শতাংশ। বর্তমানে আমাদের দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা সমূহ : ১. লোকাল হেলিওথেরাপি : এটি একটি অত্যধিক প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ফলাফল পরিবর্তনশীল। মিশ্রিত বা অমিশ্রিত সোরালেন ওষুধের প্রলেপ শ্বেতীর স্থানে লাগিয়ে রোদে বসে থাকতে হয় কয়েক মিনিট থেকে অনেক সময় ধরে। রোদ লাগানোর পর ঐ ওষুধ না ধুয়েই ওভাবেই রাখা হয় এবং দিনের অবশিষ্ট সময় রোদে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয় না। এ ধরনের চিকিৎসায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় যা রোগীর মন ভ���ঙে যায় ও ভয় পায়। পরে তারা চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। ফলে রোগ নিরাময় হয় না। ২. সিস্টেমিক হেলিওথেরাপি : এটিও একটি অতি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ফলাফল পরিবর্তনশীল। প্রতিদিনই চিকিৎসা নিতে হয় এবং অনেক সময় ধরে রোদে থাকতে হয়। এই চিকিৎসায় শ্বেতী দাগ ছাড়াও সারা শরীর ওষুধের প্রভাবে আসে। এই চিকিৎসায় দিনের বাকি সময় রোদে না যাবার বা এড়িয়ে চলার কোনো নির্দেশনাও দেয়া হয় না। বরং চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে রোগের অযাচিত কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। ৩. লোকাল পুভা : রাজধানী ঢাকায় মাত্র দুটি কেন্দ্রে ও চিটাগাং এ দু/একটি কেন্দ্র রয়েছে। এটা সকলের জন্য খুব সহজসাধ্য চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রভাব এখনো পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি। ৪. সিস্টেমিক পুভা : রাজধানী ঢাকায় মাত্র দুটি কেন্দ্রে ও চিটাগাং এ দু/একটি কেন্দ্রে এ ধরনের চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। সব ধরনের রোগী অর্থাৎ সকলের জন্য এই চিকিৎসা সুবিধা ��হজলভ্য নয়। এই পদ্ধতি খুব ব্যাপকভাবে প্রয়োগও হয় না। এই পদ্ধতির প্রায়োগিক ফলাফল এখনো জানা যায়নি। ৫. টপিক্যাল স্টেরয়েড : এটি একটি অতি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি এককভাবে বা একাধিক থেরাপি অংশ হিসেবে এটি চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হয়। প্রতিদিন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই চিকিৎসা নিতে হয় এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। ফলাফল পরিবর্তনশীল এবং ধারাবাহিকতাহীন। ৬. সিস্টেমিক স্টেরয়েড : সম্মিলিত থেরাপির অংশ হিসেবে এই চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণত : অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য দৈনিক একবার (টেবলেট) বা মাসে একবার (ইনজেকশন) এই চিকিৎসা নিতে হয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ফলাফল পরিবর্তনশীল ও ধারাবাহিকতাহীন। ৭। অন্যান্য পদ্ধতি : - এসিটি এইচ ষ প্লাসেন্টাল এক্সট্রাক্ট - লেভামিসল ষ লবণ মিশ্রিত পানিতে গোসল - কোলটার - ক্ষতিকর বস্তু (রাসায়নিক/গাছগাছরা) ব্যবহার। এই সকল চিকিৎসা পদ্ধতি আজকাল খুব কমই ব্যবহৃত হয়। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ এ ধরনের চিকিৎসায় সাফল্য পাবার দাবি করলেও সার্বিকভাবে এর কার্যকারিতা এখনো জানা যায়নি। ৮. ভিটামিন : কেবলমাত্র রিবোফ্লেভিন বা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অথবা সম্মিলিত থেরাপির একটি উপাদান হিসেবে এই ওষুধ ব্যবহার হয়। এ ধরনের চিকিৎসার ফলাফল বা সাফল্য তেমন উৎসাহব্যঞ্জক নয়। এই চিকিৎসায় ভিটামিন সি ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল এবং খাবার রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে।
0 notes
banglalifestyletips · 7 years ago
Video
youtube
ত্বকে মেলানোসাইট নামে এক ধরনের কোষ আছে যা মেলানিন নামক একটি রং উৎপাদন করে এবং এই মেলানিনের কারনেই আমরা ত্বকের স্বাভাবিক রংটি দেখতে পাই। এই মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে কিংবা মরে গেলে মেলানিন নামক রং উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে। চামড়া সাদা বা কালো যাই হোক, ত্বক বা চামড়ার স্বাভাবিক এই রং যখন থাকে না এবং ত্বকের একটি অস্বাভাবিক রং দেখতে পাই, তখন তাকে শ্বেতী বা ধবল রোগী বলা হয়। যাদের ডায়বেটিস আছে কিংবা থাইরয়েডের রোগ থাইরোডাইটিস আছে তাদের শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। বিশেষ এক জাতের রক্তশুন্যতা থেকেও এই রোগটি হতে পারে। শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে বা প্রানঘাতী রোগ নয়। শ্বেতী রোগের ফলে ত্বকের উপর সাদা দাগ দেখা যায়। শ্বেতী রোগ শরীরের অল্প কিছু অংশে হতে পারে, শরীরের বাম অথবা ডান যে কোন একদিকে হতে পারে আবার শরীরের অধিকাংশ স্থানেও হতে পারে।
শ্বেতী রোগ যে কারোই হতে পারে। সাধারণত শরীরের যেসব অঙ্গ খোলা অবস্থায় থাকে সেসব অঙ্গে শ্বেতী দেখা যায়। এই রোগকে গ্রামাঞ্চলে ধবল রোগ বা শ্বেতকুষ্ঠ রোগও বলা হয়ে থাকে। শ্বেতী রোগ নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক বিরুপ ধারনা ও কুসংস্কার রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই রোগের নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানতে পারেননি। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।
অনেকেই শ্বেতী রোগ এবং কুষ্ঠ রোগ একই মনে করেন। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। শ্বেতী বা ধবল রোগ মোটেও ছোঁয়াচে রোগ নয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার সাহায্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে যায়।
শ্বেতী রোগের কারণ এটি কোন বিপজ্জনক রোগ নয়। শ্বেতীরোগের নির্দিষ্ট কোন কারণ এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে নিম্নলিখিত কারনে এ রোগ হতে পারেঃ বংশগত কারনে কারো কারো ক্ষেত্রে এই রোগ হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েক প্রজন্ম পরেও এ রোগ হতে দেখা যায়। প্রসাধনী সামগ্রীতে ব্যবহৃত ক্যামিক্যাল বা সিন্থেটিক জাতীয় জিনিস থেকে এলার্জিক প্রতিক্রি���়ায় শ্বেতী হতে পারে। চশমার ফ্রেম বেশি আঁটসাঁট হলে তা থেকে নাকের দু’পাশে বা কানের কাছে সাদা হতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলে হতে পারে। রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়া অথবা মানসিক চাপ থেকে হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে কপালে পড়ার সিন্থেটিক টিপ থেকেও শ্বেতীর শুরু হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে প্লাস্টিক বা রাবারের জুতা, ঘড়ি প্রভৃতি ব্যবহারের ফলেও শ্বেতী বা অন্যান্য চামড়ার সমস্যা হতে পারে।
লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ শ্বেতী বা ধবল রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে সহজেই এই রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। যেমন- ত্বকের উপর সাদা দাগ পড়বে, অল্প বয়সে মাথার চুল, চোখের পাপড়ি, ভ্রু অথবা দাড়ি সাদা বা ধূসর হয়ে যাবে, মুখের ভিতরের কলাগুলো বর্ণহীন হবে অথবা চোখের ভিতরের ��ংশে রংয়ের পরিবর্তন হলে বা রংহীণ হলে ধরে নিতে হবে ঐ ব্যক্তি ধবল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা চিকিৎসক রোগের ইতিহাস এবং বংশের রোগের ইতিহাস জেনে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়াই শুধু রোগের লক্ষণ দেখে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। আবার চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে ত্বকের বায়োপসি, রক্তের পরীক্ষা কিংবা চোখের পরীক্ষা করাতে পারেন।
চিকিৎসা শ্বেতী রোগের চিকিৎসা অনেক সময়সাপেক্ষ আবার পুরোপুরি নাও সারতে পারে। সাধারণভাবে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়। শ্বেতীর চিকিৎসায় সেরে উঠার জন্য রোগীকে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগী নিজে নিজেই সেরে যেতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, ওষুধ বা থেরাপি গ্রহন করতে হবে। সবার ক্ষেত্রে সব চিকিৎসা পদ্ধতি একরকম ফল দেয় না। চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করার ক্ষেত্রে রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তি দেখে নির্ধারণ করা হয়। আবার প্রয়োজনে ত্বক প্রতিস্থাপন করা যায়। শ্বেতী চিকিৎসার জন্য যে সব ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
শ্বেতী বা ধবল রোগ কি? এ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা ওষুধ হিসেবে সাধারনত মুখে খাবার স্টেরয়েড ট্যাবলেট, রিভফ্লাভিন ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন মাত্রার টেক্রলিমাস অথবা পাইমেক্রলিমাস মলম, করটিকো স্টেরয়েড জাতীয় মলম, কেলসিপট্রিন মলম ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ফটোথেরাপি বা লেজার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ন্যেরোবেন্ড আলট্রাভায়োলেট-বি, পুভা, লেজার চিকিৎসা ইত্যাদি এককভাবে বা অন্যান্য চিকিৎসার সাথে প্রয়োগ করা হতে পারে। আবার দুই বৎসর বা তার বেশি সময় ধরে চিকিৎসা করেও কাজ না হলে কিংবা সাদা দাগ স্থির থাকলে, এরূপ ক্ষেত্রে কসমেটিক সার্জারি করা যায়। বিভিন্ন রকমের সার্জিক্যাল চিকিৎসা আছে যেমন- ইপিডার্মাল গ্রাফটিং, অটোলগাস মিনিগ্রাফ্ট, ট্রান্সপ্লানটেশন অব কালচার্ড অর নন কালচার্ড মেলানোসাইট ইত্যাদি।
শ্বেতী রোগের ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে শ্বেতী রোগের ফলে শুধু স্কিনের স্বাভাবিক বর্ণ নষ্ট হয় কিন্তু এতে স্বাস্থ্যের অন্য কোন ক্ষতি হয়না। এই রোগে মৃত্যুঝুঁকিও নেই। তবে রোগী সাধারণভাবে রোদ বা আগুনের তাপ সহ্য করতে পারে না। এ রোগ হলে প্রথমে ছোট ছোট সাদা দাগ দেখা যায় এবং পরবর্তীতে দাগগুলো মিলে বৃহদাকার ধারণ করে। কখনো কখনো মায়ের গর্ভ থেকেও শিশু এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। সমাজে এ রোগ নিয়ে অনেক ভুল ধারনা এবং কুসংস্কার প্রচলিত আছে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই এ রোগে রোগীকে প্রচন্ড মানসিক সমস্যায় পড়তে হয়।
0 notes
banglalog · 7 years ago
Video
youtube
ত্বকে মেলানোসাইট নামে এক ধরনের কোষ আছে যা মেলানিন নামক একটি রং উৎপাদন করে এবং এই মেলানিনের কারনেই আমরা ত্বকের স্বাভাবিক রংটি দেখতে পাই। এই মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে কিংবা মরে গেলে মেলানিন নামক রং উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে। চামড়া সাদা বা কালো যাই হোক, ত্বক বা চামড়ার স্বাভাবিক এই রং যখন থাকে না এবং ত্বকের একটি অস্বাভাবিক রং দেখতে পাই, তখন তাকে শ্বেতী বা ধবল রোগী বলা হয়। যাদের ডায়বেটিস আছে কিংবা থাইরয়েডের রোগ থাইরোডাইটিস আছে তাদের শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। বিশেষ এক জাতের রক্তশুন্যতা থেকেও এই রোগটি হতে পারে। শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে বা প্রানঘাতী রোগ নয়। শ্বেতী রোগের ফলে ত্বকের উপর সাদা দাগ দেখা যায়। শ্বেতী রোগ শরীরের অল্প কিছু অংশে হতে পারে, শরীরের বাম অথবা ডান যে কোন একদিকে হতে পারে আবার শরীরের অধিকাংশ স্থানেও হতে পারে।
শ্বেতী রোগ যে কারোই হতে পারে। সাধারণত শরীরের যেসব অঙ্গ খোলা অবস্থায় থাকে সেসব অঙ্গে শ্বেতী দেখা যায়। এই রোগকে গ্রামাঞ্চলে ধবল রোগ বা শ্বেতকুষ্ঠ রোগও বলা হয়ে থাকে। শ্বেতী রোগ নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক বিরুপ ধারনা ও কুসংস্কার রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই রোগের নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানতে পারেননি। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।
অনেকেই শ্বেতী রোগ এবং কুষ্ঠ রোগ একই মনে করেন। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। শ্বেতী বা ধবল রোগ মোটেও ছোঁয়াচে রোগ নয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার সাহায্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে যায়।
শ্বেতী রোগের কারণ এটি কোন বিপজ্জনক রোগ নয়। শ্বেতীরোগের নির্দিষ্ট কোন কারণ এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে নিম্নলিখিত কারনে এ রোগ হতে পারেঃ বংশগত কারনে কারো কারো ক্ষেত্রে এই রোগ হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েক প্রজন্ম পরেও এ রোগ হতে দেখা যায়। প্রসাধনী সামগ্রীতে ব্যবহৃত ক্যামিক্যাল বা সিন্থেটিক জাতীয় জিনিস থেকে এলার্জিক প্রতিক্রিয়ায় শ্বেতী হতে পারে। চশমার ফ্রেম বেশি আঁটসাঁট হলে তা থেকে নাকের দু’পাশে বা কানের কাছে সাদা হতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলে হতে পারে। রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়া অথবা মানসিক চাপ থেকে হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে কপালে পড়ার সিন্থেটিক টিপ থেকেও শ্বেতীর শুরু হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে প্লাস্টিক বা রাবারের জুতা, ঘড়ি প্রভৃতি ব্যবহারের ফলেও শ্বেতী বা অন্যান্য চামড়ার সমস্যা হতে পারে।
লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ শ্বেতী বা ধবল রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে সহজেই এই রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। যেমন- ত্বকের উপর সাদা দাগ পড়বে, অল্প বয়সে মাথার চুল, চোখের পাপড়ি, ভ্রু অথবা দাড়ি সাদা বা ধূসর হয়ে যাবে, মুখের ভিতরের কলাগুলো বর্ণহীন হবে অথবা চোখের ভিতরের অংশে রংয়ের পরিবর্তন হলে বা রংহীণ হলে ধরে নিতে হবে ঐ ব্যক্তি ধবল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা চিকিৎসক রোগের ইতিহাস এবং বংশের রোগের ইতিহাস জেনে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়াই শুধু রোগের লক্ষণ দেখে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। আবার চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে ত্বকের বায়োপসি, রক্তের পরীক্ষা কিংবা চোখের পরীক্ষা করাতে পারেন।
চিকিৎসা শ্বেতী রোগের চিকিৎসা অনেক সময়সাপেক্ষ আবার পুরোপুরি নাও সারতে পারে। সাধারণভাবে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়। শ্বেতীর চিকিৎসায় সেরে উঠার জন্য রোগীকে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগী নিজে নিজেই সেরে যেতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, ওষুধ বা থেরাপি গ্রহন করতে হবে। সবার ক্ষেত্রে সব চিকিৎসা পদ্ধতি একরকম ফল দেয় না। চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করার ক্ষেত্রে রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তি দেখে নির্ধারণ করা হয়। আবার প্রয়োজনে ত্বক প্রতিস্থাপন করা যায়। শ্বেতী চিকিৎসার জন্য যে সব ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
শ্বেতী বা ধবল রোগ কি? এ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা ওষুধ হিসেবে সাধারনত মুখে খাবার স্টেরয়েড ট্যাবলেট, রিভফ্লাভিন ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন মাত্রার টেক্রলিমাস অথবা পাইমেক্রলিমাস মলম, করটিকো স্টেরয়েড জাতীয় মলম, কেলসিপট্রিন মলম ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ফটোথেরাপি বা লেজার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ন্যেরোবেন্ড আলট্রাভায়োলেট-বি, পুভা, লেজার চিকিৎসা ইত্যাদি এককভাবে বা অন্যান্য চিকিৎসার সাথে প্রয়োগ করা হতে পারে। আবার দুই বৎসর বা তার বেশি সময় ধরে চিকিৎসা করেও কাজ না হলে কিংবা সাদা দাগ স্থির থাকলে, এরূপ ক্ষেত্রে কসমেটিক সার্জারি করা যায়। বিভিন্ন রকমের সার্জিক্যাল চিকিৎসা আছে যেমন- ইপিডার্মাল গ্রাফটিং, অটোলগাস মিনিগ্রাফ্ট, ট্রান্সপ্লানটেশন অব কালচার্ড অর নন কালচার্ড মেলানোসাইট ইত্যাদি।
শ্বেতী রোগের ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে শ্বেতী রোগের ফলে শুধু স্কিনের স্বাভাবিক বর্ণ নষ্ট হয় কিন্তু এতে স্বাস্থ্যের অন্য কোন ক্ষতি হয়না। এই রোগে মৃত্যুঝুঁকিও নেই। তবে রোগী সাধারণভাবে রোদ বা আগুনের তাপ সহ্য করতে পারে না। এ রোগ হলে প্রথমে ছোট ছোট সাদা দাগ দেখা যায় এবং পরবর্তীতে দাগগুলো মিলে বৃহদাকার ধারণ করে। কখনো কখনো মায়ের গর্ভ থেকেও শিশু এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। সমাজে এ রোগ নিয়ে অনেক ভুল ধারনা এবং কুসংস্কার প্রচলিত আছে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই এ রোগে রোগীকে প্রচন্ড মানসিক সমস্যায় পড়তে হয়।
0 notes
paathok · 7 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/34020
থাইরয়েড হরমোনের রোগ
Tumblr media
শরীরের অন্যতম প্রধান নালিবিহীন গ্রন্থি তথা এন্ডোক্রাইন গ্লান্ড হচ্ছে থাইরয়েড গ্রন্থি যা সাধারণত গলার সামনের অংশে অবস্থিত । স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক লোকের থাইরয়েড গ্লান্ড শরীরের প্রধান বিপাকীয় হরমোন তৈরিকারী গ্লান্ড। থাইরয়েড গ্লান্ড থেকে নিঃসৃত প্রধান হরমোনগুলো হচ্ছে ঞ৩ ও  ঞ৪ । থাইরয়েড হরমোনের অন্যতম কাজ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন কোষে, কলায় শর্করা এবং স্নেহজাতীয় খাদ্যের তৈরি বাড়িয়ে দেওয়া। এসব ক্রিয়ার ফলাফল হচ্ছে শরীরের বিপাকীয় হার বা বি এম আর বাড়ানো। থাইরয়েড হরমোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে স্নায়ুর পরিপক্বতা। এজন্য গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতায় গর্ভের বাচ্চা বোকা হয় এবং বুদ্ধিদীপ্ত হয় না। বিভিন্ন উদ্দীপনা যেমন, যৌবনপ্রাপ্তি, গর্ভাবস্থা, শরীরবৃত্তীয় কোনো চাপ ইত্যাদি কারণে থাইরয়েড গ্লান্ডের আকারগত বা কার্যকারিতায় পরিবর্তন হতে পারে।
থাইরয়েড গ্রন্থির রোগগুলোকে মোটামুটি পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়:
ক) থাইরয়েড গ্লান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতা বা হাইপারথাইরয়েডিজম খ) থাইরয়েড গ্লান্ডের কম কার্যকারিতা বা হাইপোথায়রয়েডিজম গ) গলগণ্ড রোগ বা ঘ্যাগ ঘ) থাইরয়েড গ্লান্ডের প্রদাহ বা থাইরয়েডাইটিস ঙ) থাইরয়েড গ্লান্ডের ক্যান্সার
হাইপারথাইরয়েডিজমের কারণ
(ক) গ্রেভস ডিজিজ (এক ধরনের অটোইমিউন প্রসেস); (খ) মাল্টিনডিউলার গয়টার; (গ) অটোনমাসলি ফ্যাংশনিং ছলিটারি থাইরয়েড নডিউল (ঘ) থাইরয়েডাইটিজ (ঙ) থাইরয়েড গ্লান্ড ছাড়া অন্য কোনো উৎসের কারণে থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য (চ) টিএসএইচ ইনডিউজ (ছ) থাইরয়েড ক্যান্সার (প্রধানত ফলিকুলার ক্যান্সার)।
লক্ষণ
ক)    গয়টার যা সমস্ত গ্লান্ডে ছড়ানো সমভাবে বিস্তৃত (উরভঁংব মড়রঃবৎ) গোটা আকৃতির ডিফিউজ এবং গোটা গোটা আকৃতিবিশিষ্ট গয়টার (ঘড়ফঁষধৎ মড়রঃবৎ) যাতে স্টেথোস্কোপ দিয়ে বিশেষ ধরনের শব্দ (ইৎঁরঃ) শোনা যেতেও পারে বা নাও যেতে পারে।
খ) পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা : খাওয়ার রুচি স্বাভাবিক বা বেড়ে যাওয়ার পরও ওজন কমে যাওয়া, ঘন ঘন পায়খানা হওয়া, খাওয়ার অরুচি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
গ) হার্ট ও ফুসফুসীয় সমস্যা : বুক ধড়ফড় ,    হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া,    অ্যাট্রিয়ার ফিব্রিলেশন , হার্ট ফেইলিওর, এনজাইনা বা বুক ব্যথা।
ঘ) স্নায়ু ও মাংসপেশির সমস্যা: অবসন্নতা বা নার্ভাসনেস, উত্তেজনা, আবেগ প্রবণতা, সাইকোসিস বা মানসিক বিষাদগ্রস্থতা; হাত পা কাঁপা, মাংসপেশি ও চক্ষুপেশির দুর্বলতা, রিফ্লেক্স বেড়ে যাওয়া (এক ধরনের স্নায়ু রোগের পরীক্ষা)।
ঙ) ত্বকের সমস্যা: ঘাম বেড়ে যাওয়া, চুলকানি, হাতের তালু লাল হওয়া, শ্বেতী, আঙ্গুলের ক্লাবিং (হাতের আঙ্গুলগুলোর মাথা ড্রাম স্টিকের মতো হয়ে যায়), প্রিটিভিয়াল মিক্সিডিমা  অর্থাৎ পায়ের সামনের অংশ হতে পাতা পর্যন্ত ত্বক মোটা বা নডিউলার গোলাপী বা বাদাম বর্ণের হয়।
চ) প্রজননতন্ত্রের সমস্যা: অল্পরজস্রাব বা মাসিক বন্ধ হওয়া, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নষ্ট হওয়া,  যৌনক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।
ছ) চোখের সমস্যা: এক্সোপথালমোস  অর্থাৎ চক্ষুগোলক বড় হয়ে সামনের দিকে বের হওয়া, লিড রিট্রেকশন, লিড ল্যাগ বা চোখের পাতা পেছনে চলে যায়, চোখ লাল হওয়া, পানি পড়া, চোখের কর্নিয়ায় ঘা হওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া অর্থাৎ কোনো জিনিস দুটি দেখা।
জ) অন্যান্য সমস্যা: গরম সহ্য করতে না পারা, অবসন্নতা, দুর্বলতা, লিম্ফএডিনোপ্যাথি বা ��সিকাগ্রন্থিসমূহ বড় হওয়া, অস্থিক্ষয় হওয়া।
হাইপোথাইরয়েডিজম
লক্ষণ :
ক) সাধারণ লক্ষণসমূহ: ১) অবসাদগ্রস্ততা, ঘুম ঘুমভাব; ২) ওজন বৃদ্ধি; ৩) ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পারা; ৪) গলার স্বরের কোমলতা কমে যাওয়া এবং অনেকটা ভারী বা কর্কশ শোনানো। ৫) গলগণ্ড নিয়ে প্রকাশ করতে পারে।
খ) হার্ট ও ফুসফুসীর সমস্যা: ১) হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা অনুভব করা অথবা হার্ট ফেইলর  হতে পারে। ২) হৃদযন্ত্রের আবরণে  অথবা ফুসফুসের আবরণে পানি জমা।
গ) স্নায়ু ও মাংসপেশীর সমস্যা: ১) মাংসপেশীতে ব্যথা বা শক্ত চাপ অনুভব করা; ২) স্নায়ু ও মাংসপেশী নির্ভর রিফ্লেক্স  কমে যাওয়া; ৩) বধিরও হতে পারে; ৪) বিষণœতা ও মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা; ৫) মাংসপেশীর টান কমে যাওয়া।
ঘ) চর্ম বা ত্বকের সমস্যা: ১) শুষ্ক, খসখসে ও ব্যাঙের ত্বকের মতো হয়ে যাওয়া; ২) ভিটিলিগো  নামক এক ধরনের শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হওয়া; ৩) চর্মে মিক্সিডিমা নামক এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া।
ঙ) প্রজননতন্ত্রে সমস্যা: ১) মাসিকের সময় বেশি রক্তপাত হওয়া; ২) বাচ্চা হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হওয়া ৩) প্রজননে অক্ষমতা ।
চ) পরিপপাকতন্ত্রের সমস্যা: ১) পায়খানা শক্ত হওয়া ; ২) পেটে পানি জমতে পারে ।
হাইপোথাইরয়েডিজম হলে শিশুদের বেলায় অবর্ধনজনিত রোগ বা ক্রিটিনিজম হবে এবং উঠতি বয়স্কদের বা প্রাপ্তবয়স্কদের মিক্সিডিমা হয়। ক্রিটিনিজমের লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেকযোগ্য হলো মাংসপেশি ও হাড় এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বর্ধন না হওয়া। এর ফলে শিশু বেঁটে হয়, বোকা বা বুদ্ধিহীন হয়ে থাকে। জিহ্বা বড় হবে ও মুখ থেকে বেরিয়ে আসে এবং নাভির হার্নিয়া হয়। হাইপোথাইরয়েডিজম হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে অটোইমিউন ধ্বংসপ্রাপ্ত, ওষুধ, টিএসএইচ স্বল্পতা, গর্ভাবস্থায় মায়ের থাইরয়েড হরমোন স্বল্পতা ইত্যাদি।
থাইরয়েড গ্লান্ডের প্রদাহ
থাইরয়েডাইটিস বা থাইরয়েড গ্লান্ডের প্রদাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অটোইমিউন বা হাশিমোটোস থাইরয়ডাইটিস, সাব একুইট বা গ্রানুলোমেটাস থাইরয়ডাইটিস, সাব একুইট লিম্ফোসাইটিক বা ব্যথাবিহীন থাইরয়ডাইটিস। এসব প্রদাহ সাধারণত ক্রনিক এবং এর ফলে থাইরয়েড গ্লান্ড বড় হয়ে যায় এবং  থাইরয়েড গ্লান্ডের কোষ ও কলা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এর সঙ্গে হাইপার বা হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
গলগণ্ড গলগণ্ড বা ঘ্যাগ বা গয়টার থাইরয়েড গ্লান্ড বড় হওয়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত আয়োডিনের ঘাটতির কারণে এ রোগ হয়। এটা স্বাভাবিক একক গোটাকৃতি অনেক গোটার সমন্বয়কৃত হতে পারে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো মাল্টিনডুলার গয়টার থেকে পরে ক্যান্সার হতে পারে। এছাড়া ঘ্যাগ হলে বিশেষত মেয়েদের শ্রীবৃদ্ধি বা কসমেটিক সমস্যা হতে পারে। যদিও বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী আয়োডাইজড লবণ খাওয়ার প্রবণতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তথাপি এখনো বিশ্বের বহু অনুন্নত, স্বল্পন্নোত দেশে ঘ্যাগের প্রকোপ অনেক বেশি। বাংলাদেশের কতগুলো স্থান যেমন- উত্তরবঙ্গ এবং পাহাড়ি এলাকায় ঘ্যাগ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
থাইরয়েড থাইরয়েডের ক্যান্সারের মধ্যে সবচেয়ে প্রধান ক্যান্সার হলো প্যাপিলারি কার্সিনোমা । এটা বিশেষত ৪০ বছরের নিচের মেয়েদের বেশি হয়। এ ছাড়া ফলিকুলার  ক্যান্সার, মেডুলারি ক্যান্সার এবং এনাপ্লাস্টিক ক্যান্সার হতে পারে। তবে এগুলোর প্রকোপ প্যাপিলারি থেকে অনেক কম। প্যাপিলারি ক্যান্সার রোগ নির্ণয় হলে রোগী সঠিক চিকিৎসা যেমন- সার্জারি ও ওষুধ সহযোগে বহুদিন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে ও বাঁচতে পারে। থাইরয়েড ক্যান্সার হওয়ার কারণসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বংশগত, জেনেটিক মিউটেশন, রেডিয়েশন, মাল্টিনডুলার গয়টার এবং হাশিমোটাস থাইরয়ডাইটিস।
থাইরয়েড নডুলের গুরুত্ব রোগী থাইরয়েড নডুল বা থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ে এলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটা ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ (ক্যান্সার) কোনো রোগ না, অন্য কোনো বেনাইন বা চিকিৎসাযোগ্য রোগ-তা আলাদা করা। তবে আশার কথা, বেশির ভাগ থাইরয়েড নডুলই বেনাইন বা ভালো চিকিৎসাযোগ্য কোনো রোগের কারণে সৃষ্ট এবং স্বাভাবিকভাবে থাইরয়েড গ্রন্থের বেনাইন ও ক্যান্সারের আনুপাতিক হার হলো ১০:১। তবে যেকোনো থাইরয়েড নডুল হলে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
১) একটি নডুল হলে তা ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ কোনো রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যদি অনেক নডুল বা মাল্টিনডুলার হয় তাহলে বেনাইন বা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২) অল্পবয়সীদের নতুন তৈরি হলে তা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা নির্দেশ করে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়।
৩) পুরুষদের নডুল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি মহিলাদের নডুলের তুলনায়।
৪) অতীতে কোনো রেডিয়েশন নেওয়ার ইতিহাস থাকলে ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি নির্দেশ করে।
৫) রেডিও-আয়োডিন আপটেক টেস্ট করলে যেসব নডুল বেশি আপটেক করে (যাকে হট নডুল বলে), সেগুলো সাধারণত বেনাইন বা ভালো নডুল হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু যে নডুল কম বা কোনো আপটেক করে না (যাকে কোল্ড নডুল বলে) এগুলো ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি হয়।
৬) মাল্টিনডুলার গয়টার বহুদিন ধরে থাকলে এবং চিকিৎসা না করলে পরে ম্যালিগন্যান্ট খারাপ হতে পারে। থাইরয়েড সমস্যা যদিও খুব সাধারণ তবুও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। মনে রাখা দরকার থাইরয়েড হরমোনের অভাবে শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি হয় না এবং এজন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া ও রেডিয়েশন থেকে মুক্ত থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মেয়েদের থাইরয়েড সমস্যা বেশি হওয়ার কারণ থাইরয়েড অসুখ মহিলাদের বেশি হয় ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে, পুরুষের তুলনায় যা প্রায় ৭-৮ গুণ। গবেষণায় দেখা যায়, মহিলাদের রক্তে এ সময় অ্যান্টি থাইরয়েড অ্যান্টিবডি বেড়ে যায়। যা থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। বিভিন্ন অটোইমউন ডিজিজ যেমন রিউমাটয়েড আর্থাইটিস, হাসিমোটোস ডিজিজ, লুপাস ডায়াবেটিস এগুলো জেনেটিক কারণে মহিলাদের বেশি হয়। থাইরয়েডের অসুখও একই কারণে ��য় বলে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন। ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন স্ত্রী হরমোনেরও কিন্তু ভূমিকা আছে এ ব্যাপারে।
রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ক) রক্তে হরমোনের উপস্থিতি কম বেশি বুঝতে থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করাতে হয়।
খ) তেজস্ক্রিয় আয়োডিন ১৩১ রোগীকে খাইয়ে বা ইনজেকশন করে দেখা হয় থাইরয়েড গ্রন্থি কি পরিমাণে তা গ্রহণ করেছে। গ) টেকনিশিয়ান ৯৯  রোগীর শরীরে ইনজেকশন করার পর ক্যামেরায় থাইরয়েডের স্ক্যান করা হয়। ঘ) সুঁচ ফুটিয়ে থাইরয়েড গ্লান্ড থেকে রস সংগ্রহ করে তার মধ্যে কি ধরনের কোষ রয়েছে তা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে খুঁজে দেখা হয়।
চিকিৎসা যথাসময়ে যথাযথ রোগ নির্ণয় ও সময়োপযোগী সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে থাইরয়েডের রোগ হতে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ সম্ভব। সাধারণ গয়টার বা গলগণ্ড সাধারণত আয়োডিনের অভাবে হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হলো দৈনন্দিন খাবারের সাথে বেশি পরিমাণে আয়োডিনযুক্ত খাদ্য (শাকসবজি, ফলমূল এবং সামুদ্রিক মাছ) এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ (আয়োডাইজড সল্ট) খাওয়া। এছাড়া বাজারে বিক্রয়কৃত সাধারণ আয়োডিন ক্যাপসুলও সেবন করা যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম- এ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে তা না হলে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি কমে যায়। থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ বেড়ে গেলে অর্থাৎ হাইপারথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে এন্টিথাইরয়েড এজেন্ট নিউমারকাজল ট্যাবলেট সঙ্গে প্রপানলজাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। উপরোক্ত ওষুধে কাজ না হলে রেডিও আয়োডিন থেরাপি গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে বলে রাখা বাঞ্চনীয়,  সিম্পল গয়টার, টক্সিক গয়টার, নিউপ্লাস্টিক গয়টার, ইনফÍামেটরি গয়টার ইত্যাদি নানা শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। তন্মধ্যে মাল্টিনডুলার টক্সিক গয়টার এর ক্ষেত্রে সরাসরি রেডিও আয়োডিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। সাধারণত কম বয়সীদের ক্ষেত্রে (৪০ এর নিচে) খুব বেশি প্রয়োজন না হলে রেডিও আয়োডিন থেরাপি গ্রহণ না করাই ভালো। প্রসূতি এবং দুগ্ধদাত্রী মায়েদের ক্ষেত্রে রেডিও আয়োডিন থেরাপি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে খুব জরুরি প্রয়োজনে অল্প ডোজে এন্টিথাইরয়েড এজেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিজমের সাথে এক্সোপথালমোস থাকলে ভাইরুটিক্স ১% মিথাইল সেলুলোজ দ্রবণ এবং প্রটেকটিভ গ্লাস ব্যবহার করা প্রয়োজন। হাইপো বা হাইপার থাইরয়েডের সাথে বড় গয়টার (গলগণ্ড) থাকলে কসমেটিক কারণে অপারেশন করে ফেলা ভালো।
কম হরমোনের চিকিৎসা রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্ন। তবে অধিকাংশ রোগীই ভোগেন হাইপোথারিয়েডিজম অর্থাৎ তাদের থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে কম পরিমাণ থাইরয়েড হরমোন থাইরক্সিন নিঃসৃত হয়। এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য ডাক্তাররা তাদের থাইরক্সিন ট্যাবলেট ��াবার পরামর্শ দেন। প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীকে ১০০ থেকে ২০০ মাইক্রোগ্রাম থাইরক্সিন দেওয়া হয়।
ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সারাজীবন ওষুধ খেতে হবে কি-না তা রোগের ধরনের ওপর নির্ভরশীল। যার থাইরক্সিন ঘাটতি সামান্য, উপসর্গও কম তার সারাজীবন ওষুধ খাবার প্রশ্নই ওঠে না। ৬ মাস- ২ বছরেই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। অনেক ওষুধ ছাড়াও সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু যার একেবারেই থাইরক্সিন নিঃসরণ হয় না বা কোনো কারণে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডটাকেই কেটে বাদ দিতে হয়েছে তাদের সারাজীবন ওষুধ না খেয়ে উপায় নেই।
ওষুধ খাওয়া হঠাৎ বন্ধ করা সম্পর্কিত বিষয় ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যেতে পারে। তবে নিজের ইচ্ছায় ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে অল্পদিনের মধ্যেই রোগটা ভয়ঙ্করভাবে ফিরে আসবে। জীবন সংশয় হতে পারে।
ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ওষুধের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ শরীরে স্বাভাবিকভাবে যেটুকু থাইরক্সিন হরমোন থাকা দরকার সেটি নেই বলেই তো বাইরে থেকে তা গ্রহণ করতে হয়। এক কথায় ঘাটতি পূরণ। সারাজীবন খেলেও কোনো অসুবিধা হয় না।
রক্ত পরীক্ষা চিকিৎসা চলাকালীন বছরে অন্তত একবার রক্তে থাইরক্সিন বা ঞ৪ এবং ঞঝঐ পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
চিকিৎসা চলাকালীন ঋতুস্রাব অনিয়ম সম্পর্কিত বিষয় থাইরক্সিন হরমোন সাধারণত শরীরের অন্য হরমোনের ওপর কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। কাজেই ঋতুস্রাবে এজন্য অনিয়মিত হবার কথা নয়। সুস্থতা ঠিকমতো চিকিৎসা চালালে শতকরা একশ জনই সুস্ততা পেতে পারেন। মায়েরা সন্তানকে স্তন পান করাতে পারেন। কারণ মায়ের দুধে এতো কম পরিমাণ হরমোন নিঃসরণ হয় যা শিশুর সামান্যতম ক্ষতিও করতে পারে না।
থাইরয়েড ক্যান্সারে করণীয় থাইরয়েড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রথমত প্রয়োজন অপারেশন করে থাইরয়েড গ্রন্থি ফেলে দেয়অ (ঘবধৎ ঃড়ঃধষ ঃযুৎড়রফবপঃড়সু) এবং আশপাশের লিম্ফ নডুল বড় থাকলে সেটিও অপারেশন করে ফেলে দেয়া। তারপর রেডিও আয়োডিন থেরাপি গ্রহণ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর রেডিও আইসোটোপ স্ক্যান করে দেখা প্রয়োজন পুনরায় ক্যান্সার হলো কিনা বা অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়ল কিনা।
গর্ভকালীন থাইরয়েডের সমস্যা থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখে আক্রান্ত মহিলা যদি ঠিকভাবে চিকিৎসাধীন থাকেন তা হলে তাঁর গর্ভাবস্থা সামাল দেয়া কঠিন নয়- আমঙ্কাজনকও বলা যায় না। হাইপোথাইরয়েডিজম যে মহিলার আছে তাঁদের চিকিৎসা করা হয় থাইরক্সিন দিয়ে। চিকিৎসাধীন মহিলার সাধারণত বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হয় না বা তাঁদের সদ্যোাজাত শিশুরও জন্মগত অস্বাভাবিকত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণের ভয় থাকে না। গর্ভবতী মহিলার হাইপোথাইরয়েডিজম যদি চিকিৎসা না করা হয় বা ধরা না পড়ে তা হলে সন্তান ধারনে অক্ষমতা আসতে পারে। তাছাড়া অকাল গর্ভপাতও হয়ে যেতে পারে। হাইপার থাইরয়েডিজমের চিকিৎসা করা হয় সাধারণত কারবিমাজোলজাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে। এই ওষুধ গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করে না, কিন্তু এটি প্ল্যাসেন্ট বা ফুল অতিক্রম করে শিশুটির মরীরে অস্থায়ী হাইপোথাইরয়েডিজম সৃষ্টি করতে পারে। শিশুটির ক্ষেত্রে এ জন্য অনেক সময় আলাদা চিকিৎসা দরকার হয় না- চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়।
গর্ভবতী মা যদি থাইরয়েডজনিত রোগে আক্রান্ত হয়, তা হলে সে সময় তাঁর ওষুধের মাত্রার কিছু পরিবর্তন দরকার পড়ে এবং থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতার পরীক্ষা প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার করে দেখা বিশেষ জরুরি।
একটি শিশু বাবা বা মা উভয়ের কাছ থেকেই থাইরয়েডের অসুখ সন্মসূত্রে পেতে পারে। ছেলেদের থেকে মেয়েরাই এই রোগ জন্মসূত্রে পায় এবং পরবর্তী প্রজন্মে বর্তানোর প্রবণতাও মেয়েদেরই বেশি। সাধারণভাবে গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড গ্রন্থির আকার বৃদ্ধি পায়। এই বৃদ্ধির ওপর নজর রেখে অর্থাৎ কতটা বাড়ছে তা পরীক্ষা করে থাইরয়েড গ্রন্থির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার।
অনেক সময় গর্ভাবস্থার উপসর্গগুলি থাইরয়েডজনিত উপসর্গগুলিকে ঢেকে দেয়। যেমন- অনেক মহিলাই গর্ভবতী অবস্থায় ক্লান্ত বোধ করেন। এ উপসর্গ কিন্তু হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণেও হতে পারে। আবার অনেক সময় সন্তান সম্ভবা মায়ের গরমে একটা হাঁসফাঁসানির অবস্থা হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এগুলোও কিন্তু হাইপার-থাইরয়েডিজমের উপসর্গ হওয়া সম্ভব। মায়ের হাইপোথাইরয়েডিজম পর্যাপ্ত চিকিৎসা পেলে মায়ের বা সন্তানের কোনও ঝুঁকি থাকার কথা নয়, স্বাভাবিক গতিতেই গর্ভাবস্থা চলতে দেয়া যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, মায়ের হাইপারথাইরয়েডিজম আয়ত্তের বাইরে চলে যাবার উপক্রম হয়, সে ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ মাসের মধ্যে থাইরয়েড গ্রন্থির অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। ডেলিভারির সময় শিশুটির থাইরয়েড স্বাভাবিক, অতিমাত্রায় কার্যকর বা অল্প কার্যকরী এই তিনটির যে কোনো একটি হতে পারে। সেসব ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ শিশুটির চিকিৎসকা শুরু করা হয়। এ কারণে বলা হয়, থাইরয়েডে আক্রান্ত মায়ের ডেলিভারি অবশ্যই কোনো বড় হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠানে হওয়া উচিত যেখানে মা ও শিশুর আধুনিক চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা আছে।
হাইপারথাইরয়েডিজমের চিকিৎসাধীন মা অবশ্যই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াবেন। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সর্বদাই মাথায় রাখেন যে ওষুধের সামান্য অংশ বুকের দুধের মধ্য দিয়ে বের হয় কাজেই শিশুটিকে বিশেষভাবে নজরে রাখতে হয়। যদি কোনো ভাবে তার মধ্যে থাইরয়েডের অসুখের সামান্যতম চিহ্নও দেখা যায় তার যথাযথ চিকিৎসা দরকার। যেসব মাকে এলট্রকসিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয় তাঁদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিং- এর কোনো অসুবিধা নেই।
কোনো কোনো মা ডেলিভারির তিন মাস পরে থাইরয়েডের প্রদাহে ভুগতে পারেন- তাকে বলে পোস্ট পারটাম থাইরয়েডাইটিস। প্রথমে একটা অস্থায়ী হাইপারথাইরয়েডিজম হয় তারপর ধীরে ধীরে হাইপোথাইরয়েডিজম। এ ধরনের অসুখেরও যথাযথ চিকিৎসা আছে, তবে রোগের সঠিক ডায়াগনোসিস হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডবভিন্ন উন্নত দেশে, শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর নাভি সংলগ্ন নাড়ি থেকে রক্ত নিয়ে কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা করলে নিশ্চিতভাবে জন্মগত থাইরয়েডের অসুখ ধরা পড়বে।
থাইরয়েড রোগ প্রতিরোধ ক) আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া ও রেডিয়েশন থেকে মুক্ত থাকা, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়। খ) হাইপার, হাইপো বা থাইরয়েড প্রদাহজনিত কোনো লক্ষণ দেখা দিলে শিগগিরই রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া। গ) ঘ্যাগ বা অন্য কোনো কারণে থাইরয়েড বড় হয়ে গেলে বা ক্যান্সার হলে সার্জারির মাধ্যমে কেটে ফেলা। ঘ) যাদের বংশগত থাইরয়েড সমস্যার ইতিহাস আছে তাদের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা। ঙ) কোনো শিশুর বা বয়স্কদের অবর্ধন শারীরিক ও মানসিক, ঠাণ্ডা বা গরম সহ্য করতে না-পারা, বুক ধড়ফড় করা, খাওয়া ও রুচির সঙ্গে ওজন কমা ইত্যাদি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
ডাঃ শাহজাদা সেলিম এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ বারডেম হাসপাতাল, শাহবাগ, ঢাকা
চেম্বার:  হেলথ এণ্ড হোপ হাসপাতাল ১৫২/১-এইচ গ্রীন রোড, পান্থপথ (গ্রীনরোড পান্থপথ ক্রসিং), ঢাকা-১২০৫ ফোনঃ ৯১৪৫৭৮৬,  ০১৬৭৮১৩১২৫২,  ০১৯১৯০০০০২২  
Email: selimshahjada@gmail.com
0 notes