#শরীরে রোজার প্রভাব
Explore tagged Tumblr posts
Text
"রোজা রাখলে শরীরে কী ঘটে?"
"আপনি জানেন কি? রোজা রাখলে আমাদের শরীরে অবাক করা পরিবর্তন ঘটে!" "প্রথম ৮ ঘণ্টায় খাবার হজম হয়, আর শরীর শক্তির জন্য গ্লুকোজ ব্যবহার করে।" "তারপর? শরীর চর্বি পোড়াতে শুরু করে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে!" "তবে সাবধান! ৩-৭ দিনে শরীর পানিশূন্য হতে পারে, তাই ইফতারে বেশি পানি পান করুন।" "৮-১৫ দিনে শরীর সম্পূর্ণভাবে রোজার সঙ্গে মানিয়ে নেয়, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে!" "৩০ দিনে শরীর হয়ে ওঠে অনেক বেশি বিশুদ্ধ, স্মৃতিশক্তি বাড়ে, আর মন হয় প্রশান্ত।"
"রোজা শুধু আত্মশুদ্ধি নয়, এটি শরীরের জন্যও অসাধারণ উপকারী!"
"রোজা রাখলে শরীরে কী ঘটে?" বিস্��ারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
#রোজারউপকারিতা #রমজান২০২৫ #ইসলামিকভিডিও #রমজানেরগুরুত্ব #FastingBenefits #IslamicShorts
0 notes
Text
এক মাস রোজা রাখলে শরীরে যেসব পরিবর্তন হয়
এক মাস রোজা রাখলে শরীরে যেসব পরিবর্তন হয়
এক মাস রোজা রাখলে শরীরে যেসব পরিবর্তন হয় নিম্নে তা আলোচনা করা হলো। প্রথম কয়েকদিন সবচেয়ে কষ্টকর অভিজ্ঞতা হয় রোজাদার মানুষদের কেননা শেষ বার খাবার খাওয়ার পর আট ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু মানুষের শরীরে সেই অর্থে উপোস বা রোজার প্রভাব পড়ে না। আমরা যে খাবার খাই, পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত আট ঘন্টা সময় নেয় শরীর। যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে যায়, তখন…

View On WordPress
0 notes
Photo

somoy logo লাইভ টিভি ভিডিও অনুষ্ঠান বুলেটিন menu ksrm odhikarnews স্বাস্থ্য উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের ক্ষতিকর প্রভাব সময় সংবাদ fb tw gp ln somoy উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া সবসময়ই খারাপ। তবে মানসিক চাপে থেকে এ ধরণের খাবার খেলে সাধারণ সময়ের তুলনায় ওজন বেশি বেড়ে যায়। গবেষকদের মতে, মানসিক চাপ বা উৎকণ্ঠায় থাকলে এমনিতে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে এর সঙ্গে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে মানসিক চাপমুক্ত একজনের চেয়ে তার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ১০ গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলছেন, ইনসুলিন বাড়ার ফলে শুধু শরীরই আক্রান্ত হয় না এতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপরও প্রভাব ফেলে। এ কারণে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে বিভিন্ন ধরণের ব্যায়াম, কর্মক্ষম থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। somoy উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের ক্ষতিকর প্রভাব somoy হেপাটাইটিস থেকে রক্ষা পেতে করণীয় somoy লিভারের চর্বি দূর করতে… somoy ওষুধের অভাবে বাড়ছে মাতৃমৃত্যু হার somoy খালি পেটে লিচু হতে পারে মৃত্যুর কারণ somoy মাইগ্রেনের ফলে কী ঘটে আরও সংবাদ somoy হাসপাতালে রোগীদের পচা-বাসি খাবার দেয়ার অভিযোগ somoy মেয়েকে বাঁচাতে দিনমজুর বাবার আবেদন somoy ইফতারের পর শরীরের ক্লান্তি দূর করবেন যেভাবে somoy ইফতারের পর যে কারণে ক্লান্ত হয় শরীর somoy অতিরিক্ত ধনে পাতার শারীরিক ক্ষতি somoy নারকেল তেলের উপকারিতা somoy রোজাদার বাচ্চারা কী খাবে? somoy ডাক্তার-নার্সদের বেপোরোয়া আচরণে অতিষ্ঠ পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীরা somoy নিরোগ থাকতে ইফতারে পান করুন লেবুর শরবত somoy খাদ্যে ভেজাল থাকলে শরীরে যে ক্ষতি হয় somoy ডায়াবেটিস রোগীরা রোজায় কী খাবেন, কী খাবেন না somoy রমজানে ডায়বেটিস রোগীদের করণীয় somoy ছোট্ট রুমীকে বাঁচাতে অসহায় বাবার আকুতি somoy রোজায় ফ্যাটিলিভার ও গ্যাসট্রিক রোগীদের ডায়েট somoy কেমন হবে রোজার ডায়েট somoy আমাদের ইফতার ও পুষ্টি somoy ঢাকায় তিন হাসপাতালে পানির হাহাকার somoy ১৪ মাস বেতন পান না ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী somoy বিয়ের আগেই থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষার জরুরি somoy জেনে নিন রোজার পুষ্টি উপকারিতা somoy রোজায় কী খাবেন কিডনি রোগীরা somoy রোজায় কেমন হবে ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট somoy সেহরি ও ইফতারে কী খাবেন, কী খাবেন না somoy ঘাস দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত ব্রয়লার মুরগী উৎপাদনে দারুণ সাফল্য somoy রোজার দিনে গরমে সুস্থ থাকতে সেহরিতে মনে রাখুন ৮টি বিষয় somoy ‘ডিজিটাল রূপান্তরে বদলে যাবে স্বাস্থ্যখাত’ somoy রোগীর উপসর্গ শনাক্ত করবে রাডার somoy রাজধা��ীতে হাঁটা প্রতিযোগিতা somoy রাজধানীতে ক্যান্সার সেবা সম্মেলন অনুষ্ঠিত somoy মাত্র ১০০ টাকায় চিকিৎসাসেবা দেন ডা. রওশন আরা somoy খালি পেটে কফি আর নয়! somoy গয়না পরলে আটকে যাবে সন্তানধারণ! (ভিডিও) somoy শুধুমাত্র হলুদ খেয়ে ক্যান্সার নিরাময় এই নারীর somoy গরমে পেটের অসুখ থেকে বাঁচাবে ‘ফাইভ এফ’ somoy রক্তশূন্যতা? বুঝবেন যেভাবে somoy ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে বড় চ্যালেঞ্জ ৩ পার্বত্য জেলা somoy তেলাপিয়া মাছের চামড়ায় পোড়া ক্ষতের চিকিৎসা somoy সমস্যা জর্জরিত কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা বঞ্চিত কিশোরগঞ্জবাসী somoy মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০১৯ somoy লিভার সুস্থ রাখতে যে কাজগুলো করবেন somoy ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমলকী somoy নিয়মিত না খেয়ে ঘুমানোর যত ক্ষতি somoy যেসব কাজ মস্তিষ্কের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে somoy তরমুজের যত গুণাগুণ সকল সংবাদ বাংলার সময় বাণিজ্য সময় বিনোদনের সময় খেলার সময় আন্তর্জাতিক সময় মহানগর সময় অন্যান্য সময় তথ্য প্রযুক্তির সময় রাশিফল লাইফস্টাইল ভ্রমণ প্রবাসে সময় সাক্ষাৎকার মুক্তকথা বাণিজ্য মেলা রসুই ঘর বিশ্বকাপ গ্যালারি বইমেলা উত্তাল মার্চ সিটি নির্বাচন শেয়ার বাজার জাতীয় বাজেট বিপিএল শিক্ষা সময় ভোটের হাওয়া স্বাস্থ্য ধর্ম চাকরি পশ্চিমবঙ্গ বিশ্বকাপের সময় সংবাদ প্রতিনিধি বিশ্বকাপ সংবাদ Contact Address Nasir Trade Centre, Level-9, 89, Bir Uttam CR Dutta Road, Dhaka 1205, Bangladesh Email: [email protected] fb tw gp yt © Somoy Media Limited http://bit.ly/2MpWWPg
0 notes
Photo

New Post has been published on https://paathok.news/73412
ডায়াবেটিস থাকলে রোজা রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন
.
রমজান মাস শুরু হয়েছে। মুসলমানদের কাছে অবশ্য পালনীয় রোজা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখাও জরুরি। কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ম মেনে ও সময় মতো খাবার খেতে হয়। সেইসঙ্গে দিনের বিভিন্ন সময় তাদের ওষুধ নেয়ার দরকার হয়। ফলে সেহরি এবং ইফতারের মধ্যে দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার প্রভাব পড়তে পারে তাদের শরীরে। বাড়তে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
রমজান মাসে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির রোজা রাখার ক্ষেত্রে কী কী করণীয়?
১. রোজার আগেই ডায়াবেটিক পরীক্ষা: রোজা শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ঠিক করে নিতে হবে ডায়াবেটিক রোগীদের। স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী তাদের রোজা পালন করা উচিত হবে কিনা বা কিভাবে করতে পারবেন, তা নিয়ে চিকিৎসক পরামর্শ দেবেন।
২. হাইপোর জন্য বিশেষ প্রস্তুতি: দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের সুগার অতিরিক্ত কমে গিয়ে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। তখন প্রচুর ঘাম হয়, বুক ধড়ফড় করে।
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, এরকম পরিস্থিতি দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে শরবত বা ব মিষ্টি জাতীয় কিছু মুখে দিতে হবে। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য তখনি রোজা ভেঙ্গে ফেলার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন। না হলে মৃত্যু ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে। এজন্য সব সময়ে সঙ্গে মিষ্টি চকলেট বহন করার পরার্মশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৩. সকালের খাবার ইফতারে আর রাতের খাবার সেহরিতে: রোজায় ডায়াবেটিক রোগীদের খাবারের ক্ষেত্রে সহজ পরামর্শ হলো, আপনি সকালে যে খাবারটি খেতেন, সেটা খাবেন সন্ধ্যায় আর রাতে যে খাবারটি খেতেন, সেটা খাবেন সেহরিতে। দুপুরের খাবার রাতে খেতে পারেন।
আমাদের দেশে ইফতারিতে যে ভাজাপোড়া খাওয়ার চল রয়েছে সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। ইফতারে দই চিড়া, রুটি বা সবজি, ১/২ টা খেজুর, ফলমূল খেলে শরীরের জন্য ভালো।
রাতের খাবারের ক্ষেত্রে ভাতের বদলে আটার তৈরি খাবার বা রুটি খেতে পারলে তা শরীরের জন্য ভালো, যেহেতু এটি দীর্ঘসময় নিয়ে হজম হয়ে থাকে। খাবার খেতে হবে সেহরির সময় শেষ হওয়ার কিছু আগে।
৪. ফলের শরবত বা ডাবের পানি: চিনি বা বাজারের বিভিন্ন ধরণের শরবত বাদ দিয়ে বরং ডাবের পানি বা ফলের শরবত ইফতারিতে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
সেহরিতে ভারি খাবারের পরিবর্তে যতটা বেশি সম্ভব তরল পান করতে হবে। ইফতারির পর থেকে সেহরি পর্যন্ত যতটা বেশি সম্ভব পানি পান করতে হবে।
৫. ব্যায়াম: যে সকল ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকেন, রোজার রাখার সময় তাদের নিয়মের কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে।
0 notes
Text
আপনি যখন রোজা রাখেন তখন কী ঘটে আপনার শরীরে?
আপনি যখন রোজা রাখেন তখন কী ঘটে আপনার শরীরে?
মুসলিমরা সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থাকেন রোজার সময়। এতে দেহের ওপর কী প্রভাব পড়ে? প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলমান রোজা রাখেন সূর্যোদোয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থেকে।
গত কয়েক বছর ধরে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে রোজা পড়েছে গ্রীষ্মকালে। ফলে এসব দেশের মুসলিমদের রোজা রাখতে হচ্ছে গরমের মধ্যে অনেক দীর্ঘসময় ধরে। কিন্তু মুসলিমরা যে একমাস ধরে রোজা রাখেন, সেটা তাদের শরীরে কী…
View On WordPress
0 notes
Text
রোজার গুরুত্ব, ফজিলত, শারীরিক, মানসিক উপকারিতা
রোজা কি বা রোজা বলতে কি বুঝায়?
রোজা ফারসি শব্দ যার আরবি অভিধানিক অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সিয়ামের বাংলা অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে সওম হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা।
কোর-আনের দৃষ্টিতে রোজার গুরত্ব : ২য় হিজরী শাবান মাসে মদীনায় রোজা ফরজ সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয় “হে ঈমানদারগণ !…
View On WordPress
0 notes
Text
চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ: রোজা হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। রোজা শব্দটি ফারসি। এর আরবি পরিভাষা হচ্ছে সওম, বহুবচনে বলা হয় সিয়াম। সওম অর্থ বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা। পরিভাষায় সওম হলো আল্লাহর সন্তুটি কামনায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহকারে পানাহার থেকে বিরত থাকা।
সময়ের আবর্তে আরবি সনের এগারোটি মাস অতিক্রম করে আমাদের কাছে হাজির হয়েছে রহমাতের ঝর্ণাধারা রমজানুল মুবারক। বহু প্রতীক্ষিত বস্তু যখন সুন্দর উপস্থাপনায় কারো কাছে উপস্থিত হয় তখন আর আনন্দের কোন সীমা থাকে না। তেমনি, চাতক পাখির ন্যায় দীর্ঘ এগারোটি মাস প্রতীক্ষার পর মুসলমানদের কাছে যখন মাহে রমজানুল মুবারক উপস্থিত হয় তখন প্রবাহিত হতে থাকে রহমাতের ঝর্ণাধারা। খুলে দেয়া হয় ক্ষমার দুয়ার। খুলে দেয়া হয় জান্নাত। আকাশের দরজা। বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজা। কবর আযাব। শয়তানকে করা হয় শিকলবন্দ���। পবিত্র করে তোলা হয় মানুষকে। পাপ থেকে করা হয় মুক্ত। ধনীরা আদায় করতে থাকে গরিবের হক। আদায় করতে থাকে যাকাত। আদায় করে ফিতরা। পাপীরা তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসে সত্যের দুয়ারে। ধনী-গরিব, শত্রু-মিত্র দাঁড়িয়ে যায় একই কাতারে। শুরু হয় শান্তি, সৌহার্দ্যরে অপরূপ লীলা ও রহমাতের ঝর্ণাধারা।
সাধনা, ত্যাগ, সংযম এবং মহান বার্তা নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয় হিজরি সালের নবম মাস মাহে রমজান। এ মাসকে মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহু সিয়াম পালনের মাস হিসেবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এ মাসের প্রতিটি ক্ষণ-অনুক্ষণ মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহু’র খাস রহমতে পরিপূর্ণ। এ মাস এক অসাধারণ মাস। নিঃসন্দেহে এ মাস স্বতন্ত্র ও মাহাত্ম্যের দাবি রাখে।
সমগ্র মুসলিম জাহানে রহমাত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজানের কঠোর সিয়াম সাধনা শুরু হয়। দীর্ঘ এক মাসব্যাপী রমজানের কঠোর পরিশ্রম ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহুর তাকওয়া অর্জন ও এর সামগ্রিক সুফল সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারলে বিশ্বব্যাপী মানবতার শান্তি ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত হবে। রমজানের রোজা সাধনার মাধ্যমে মানুষের অন্তরের রিপুকে মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহুর তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিশ্চিত করা হয়। অন্তরের পশু প্রবৃত্তি তথা নফসে আম্মারাকে বশীভূত করে মানুষ নফসে লাওয়্যামা ও নফসে মুতমাইন্না (সর্বোচ্চ প্রশান্ত আত্মা)-এর পর্যায়ে উপনীত হয়। প্রকৃত রোজাদার তাই এ মাসে আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংশোধনের পর্যায় উপনীত হয়। আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংশোধনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহুর নৈকট্য লাভ করে। আর সত্যিকার সিয়াম সাধনার মাধ্যমে সমাজ থেকে সকল অন্যায়, অনাচার, ব্যভিচার ও সন্ত্রাস দূরীভূত হয়। গোটা ব্যক্তি জীবনে নিরাপদ জীবনযাপনের নিশ্চয়তা লাভ করা যায়। এখন আমরা দেখবো মাহে রমজান সম্পর্কে পবিত্র কুরআন, হাদিস ও আধুনিক বিজ্ঞান কি বলে।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন। মানব জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান। ইসলামের যাবতীয় বিধানের মৌলিক দিকগুলো তাতে বিধৃত আছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহু বলেন, ‘আমি এই কিতাবে কিছুই বাদ দেইনি।’ (সূরা আনয়াম : ৩৮) তাই আমরা যদি পবিত্র আল কুরআনে রোজা সংক্রান্ত আয়াতগুলো পর্যবেক্ষণ করি তবে দেখতে পাব, রোজা ও তৎসংশ্লিষ্ট অধিকাংশ বিধি-বিধান এবং আদব-কায়দা এতে বর্ণিত রয়েছে। এখানে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত রোজা ও তৎসংশ্লিষ্ট কিছু আয়াত নিম্মে আলোচনা@ করা হলো���
“হে মু’মিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়ছিলো তোমাদের পূর্বপবর্তীদের উপর। যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার।” (সূরা বাকারা : ১৮৩)
“এ রোজা নির্দিষ্ট কয়েক দিনের। তোমাদের মধ্যে কেউ রোগাক্রান্ত হলে অথবা সফরে থাকলে এ সংখ্যা পূরণ করে নিতে হবে অন্য সময়। আর এ রোজা যাদের জন্য অতিশয় কষ্টকর, তাদের এর পরিবর্তে ফিদ্্য়া দিতে হবে এবং একজন মিসকিনকে খানা খাওয়াতে হবে। যদি কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেক কাজ করে, তা হবে তার জন্য কল্যাণকর। আর রোজা পালন করা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।” (সূরা বাকারা : ১৮৪)
“রমজান মাস, এ মাসেই নাযিল করা হয়েছে আল কুরআন যা মানুষের জন্য হিদায়েত ও উজ্জ্বল বিবরণদায়ক স্পষ্ট নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের মীমাংসাকারী, অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, তাকে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে। তবে রোগাক্রান্ত হলে অথবা সফরে থাকলে এ সংখ্যা অন্য সময় পূরণ করবে। আল্লাহ চান তোমাদের জন্য যা সহজ, আর তিনি চান না তোমাদের জন্য যা কষ্টকর, যেন তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর। তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার জন্য এবং যেন তোমরা শুকর করতে পার।” (সূরা বাকারা : ১৮৫)
“আর যখন আমার বান্দা আমার সম্বন্ধে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে তবে আমি তো কাছেই আছি। আমি মঞ্জুর করি আবেদনকারীর আবেদন যখন আমার কাছে আবেদন করে। তাদের উচিত আমার বিধান মেনে চলা আর আমার প্রতি ঈমান আনা। আশা যে, তারা সুপথ লাভ করতে পারবে।” (সূরা বাকারা ঃ ১৮৬)
“তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে রোজার রাত্রীতে স্বীয় স্ত্রীদের সঙ্গে প্রবৃত্ত হওয়া। তারা তোমাদের পোশাক আর তোমরা তাদের পোশাক। আল্লাহ জানেন, তোমরা তো অবিচার করেছিলে নিজেদের প্রতি। তারপর তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হলেন এবং তোমাদের মাফ করে দিলেন। অতএব এখন থেকে তোমরা তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পার এবং কামনা কর তা, যা আল্লাহ লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন তোমাদের জন্য আর তোমরা খাও ও পান কর, যতক্ষণ না স্পষ্ট হয়ে যায় তোমাদের কাছে ভোরের সাদা রেখা রাতের কালো রেখা থেকে। তারপর তোমরা পূর্ণ কর সিয়াম রাত পর্যন্ত। আর তোমরা মিলিত হবে না তোমাদের স্ত্রীদের সাথে মাসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায়। এসব আল্লাহর সীমারেখা। অতএব তোমরা এর কাছেও যাবে না। এভাবেই আল্লাহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন তার আয়াতসমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা মুত্তাকী হতে পারে।” (সূরা বাকারা : ১৮৭)
এখন আমরা দেখবো রোজা সম্পর্কে হাদিস কি বলে। রোজা সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস বিভিন্ন কিতাবে পাওয়া যায়। তার কয়েকটি হাদিস সমূদয় পাঠকদের খেদমতে তুলে ধরা হলো -
“হযরত আবু হুরায়রা রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লা�� ইরশাদ করেছেন। যখন রমজান মাস আসে তখন আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, অপর এক বর্ণনায় আছে, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়, শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। অন্য বর্ণনায় আছে, রহমাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়।” (বুখারী ও মুসলিম)
“হযরত সাহ্ল ইবনে সাদ রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে। তন্মেধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়ান। শুধু রোজাদারগণ ব্যতীত ঐ দরজা নিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।” (বুখারী ও মুসলিম)
“হযরত আবু হুরায়রা রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছাওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে তার পূর্বের সমূদয় গুনাহ (সগীরা) মাফ করে দেয়া হবে, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছাওয়াবের আশায় রমজান মাসে রাতে ইবাদাতে কাটাবে তার পূর্বের গুনাহসমূহ মাফ করা হবে এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছাওয়াবের আশায় কদরের রাত ইবাদাতে কাটাবে তার পূর্বকৃত সমূদয় গুনাহ মাফ করা হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
“হযরত আবু হুরায়রা রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমল দশ গুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়ে থাকে। মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহু বলেন, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। কেননা, রোজা একমাত্র আমারই জন্য রাখা হয়, আর আমিই এর প্রতিদান দিব। বান্দা আমারই জন্য নিজের কামনা ও পানাহার পরিহার করে থাকে। রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দ রয়েছে, একটি হলো ইফতারের সময় এবং অপরটি হলো (পরকালে) তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ লাভের সময়। নিশ্চয়ই রোজাদারের মুখের গন্ধ-মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহুর নিকট মিশকের সুগন্ধি থেকেও অধিক সুগন্ধময়। রোজা হলো ঢাল স্বরূপ। সুতরাং যখন তোমাদের কারো রোজার দিন আসে, সে অশ্লীল কথাবার্তা বলবে না এবং গ-গোল করবে না। তাকে যদি কেউ কূট কথা বলে অথবা লড়াই করতে চায় তবে সে যেন বলে আমি একজন রোজাদার।” (বুখারী ও মুসলিম)
“হযরত আবু হুরায়রা রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাত হয় শয়তান ও অবাধ্য জিনসমূহকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়। অতঃপর এর একটি দরজাও খোলা হয় না। এবং জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় অতঃপর এর একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। এক আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকেন, হে পুণ্যের অন্বেষণকারী! সম্মুখে ‘অগ্রসর হর’ আর হে মন্দের অন্বেষণকারী! ‘থেমে যাও’। এ মাসে আল্লাহ তা’আলা অনেককে দোযখের অগ্নি থেকে মুক্তি দেন আর এটা প্রত্যেক রাতেই সংঘটিত হয়ে থাকে।’ (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
‘হযরত আবু হুরায়রা রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নিকট রমজানের বরকতময় মাস এসেছে। এ রোজা মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহু তোমাদের উপর ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়। অবাধ্য জিনসমূহকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহুর রহমাতের জন্য এতে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাস (৮৩ বছর ৪ মাস) অপেক্ষাও শ্রেয়। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে সে প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত হয়েছে।” (আহমাদ ও নাসায়ী)
“হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, রোজা ও কুরআন (কিয়ামতের দিন) বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! আমি তাকে খাদ্য ও কাম প্রবৃত্তি থেকে দিনের বেলা বাধা প্রদান করেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপাশি কবুল কর। কুরআন বলবে, হে পরওয়ারদিগার! আমি তাকে রাতের বেলায় ঘুম থেকে বাধা প্রদান করেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপাশি কবুল কর। তখন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে।” (বায়হাকী ও শুআবুল ঈমান)।
“হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখনই রমজান মাস আসত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম সকল বন্দীদেরকে মুক্ত করে দিতেন এবং সকল সওয়ালকারীকেই দান করতেন।”
“হযরত আবু হুরায়রা রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং তা অনুসারে কার্যকলাপ করা পরিত্যাগ করেনি, তার পানাহার পরিত্যাগ করাতে মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহুর কোন প্রয়োজন নেই।” (বুখারী)।
“হযরত আবু উমামা রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কোন আমলের আদেশ করুন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামা বললেন, তুমি রোজা রাখ। কেননা, এর সমতুল্য কিছু নেই। আমি পুনরায় বললাম, আমাকে কোনো নেক আমলের কথা বলুন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি রোজা রাখ। কেননা, এর সমতুল্য কিছুই নেই।” (মুসনাদে আহম্মদ : হাদিস নং ২৩০৭০; ইবনে হিব্বান : হাদিস নং ৬৫২৩)।
এখন আমরা রোজা সম্পর্কে আধুনিক চিকিৎসক ও বিজ্ঞান যা বলেছেন তা নিয়ে আলোচনা করবো।
অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ বলেন, সর্বক্ষণ আহার সীমাতিরিক্ত ভোজন ও দূষিত খাদ্য খাওয়ায় শরীরে এক প্রকার বিষাক্ত উপকরণ ও উপাদানের সৃষ্টি হয় এবং জৈব বিষ জমা হয়। যার কারণে দেহের নির্বাহী ও কর্মসম্পাদন অঙ্গ প্রতঙ্গগুলো বিষাক্ত উপকরণ ও জৈব বিষ দমনে অক্ষম হয়। ফলে তখন জটিল ও কঠিন রোগের জন্ম হয়। দেহের মধ্যকার এমন বিষাক্ত ও দূষিত উপাদানগুলো অতিদ্রুত নির্মূলকরণের নিমিত্তে পাকস্থলিকে মাঝে মধ্যে খালি করা একান্ত প্রয়োজন। রোজাই এর একমাত্র সহায়ক। যার বিকল্প করা যায় না।
১৯৬০ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. গোলাম মোয়াজ্জেম কর্তৃক মানব শরীরের উপর রোজার প্রভাব শীর্ষক গবেষণামূলক নিবন্ধ অনুযায়ী জানা যায়, রোজা দ্বারা শরীরের ওজন
সামান্য হ্রাস পায় বটে, তবে তা শরীরের কোন ক্ষতি করে না বরং শরীরের মেদ কমাতে রোজা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অপেক্ষা অধিক কার্যকর। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার আলোকে আরও জানা যায়, যারা মনের করেন রোজা রাখলে শূল বেদনার প্রলোপ বৃদ্ধি পায়, তাদের এ ধারণা সঠিক নয় বরং ভোজনের তা বৃদ্ধি পায়।
পাকিস্তানের প্রবীণ প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের নিবন্ধ থেকে জানা যায়, যারা নিয়মিত সিয়াম পালন করে সাধারণত তারা বাতরোগে, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত কম হয়। এছাড়া ডা. ক্লাইভসহ অন্যান্য চিকিৎসা বিজ্ঞানী পর্যন্ত স্বী��ার করেছেন, ইসলামের সিয়াম সাধনার বিধান স্বাস্থ্যসম্মত ও ফলপ্রসূ, আর তাই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার রোগব্যাধি তুলনামূলকভাবে অন্য এলাকার চেয়ে কম দেখা যায়। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম কম খাওয়ার জন্য বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। ক্ষুধা লাগলে খেতে বলেছেন এবং ক্ষুধা না লাগলে খাওয়া বন্ধ করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন যা চিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে দীর্ঘজীবন লাভ করার জন্য খুব বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। এখন আধুনিক বিজ্ঞান ও কিছু অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত উল্লেখ করা হলো।
জার্মানির ডাক্তার ফেডারিক হানেমান (জন্ম ১৭৫৫ মৃত্যু ১৮৮৪) বলেছেন, “রোজার মাধ্যমে মৃগীরোগ, গ্যাস্টিক ও আলসারের চিকিৎসা করা যায়।”
ইটালির বিশ্ববিখ্যাত শিল্পী মাইকেল এংলো ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন। ৯০ বছর বয়স পার হওয়া সত্ত্বেও তিনি কর্মক্ষম ও কর্মঠ ছিলেন। তাকে এর রহস্য সম্পর্কে জানত�� চাইলে বলেন, আমি বহু দিন আগ থেকেই মাঝে মাঝে রোজা রেখে আসছি। আমি প্রত্যেক বছর এক মাস, প্রত্যেক মাসে এক সপ্তাহ রোজা রাখি এবং দিনে তিন বেলার পরিবর্তে দুই বেলা খাবার খাই।
ক্যাব্রিজের ডাক্তার লেখার জিম। তিনি ছিলেন, ফার্মাকোলজি বিশেষজ্ঞ। সব কিছু গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে তার স্বভাব। তিনি রোজাদার ব্যক্তির খালি পেটের খাদ্য নালীর লালা স্টোমক সিক্রেশন সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরী পরীক্ষা করেন। এতে তিনি বুঝতে পারলেন, রোজার মাধ্যমে ফুডপাটি কোলস সেপটিক সম্পূর্ণ আরো দেহের সুস্থতার বাহন। বিশেষত্ব পাকস্থলীর রোগের আরোগ্য গ্যারান্টি।
মহাত্ম গান্ধীর ইচ্ছা। মহাত্ম গান্ধীর উপোস থাকার ঘটনা সর্বজনবিদিত। ফিরোজ রাজ লিখিত দাস্তানে গান্ধীতে লেখা রয়েছে। তিনি রোজা রাখা পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন মানুষ খাবার খেয়ে নিজের দেহকে ভারী করে ফেলে। এরকম ভারী অলস দেহ দুনিয়ার কোনো কাজে আসে না। তাই তোমরা যদি তোমাদের দেহ কর্মঠ এবং সবল রাখতে চাও তবে দেহকে কম খাবার দাও। তোমরা উপাস থাকো। সারা দিন জপ তপ করো আর সন্ধ্যায় বকরির দুধ দিয়ে উপবাস ভঙ্গ করো। (দাস্তানে গান্ধী)।
সিগমন্ডনারায়েড মনস্তত্ত্ব বিজ্ঞানীর মন্তব্য। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট মনস্তত্ত্ব বিশারদ। তার আবিষ্কৃত থিওরী মনস্তত্ত্ব ক্ষেত্র পথনির্দেশকের ভূমিকা পালন করে। তিনিও রোজা এবং উপবাসের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন। তিনি বলেন, রোজার মাধ্যমে মস্তিষ্কের এবং মনের যাবতীয় রোগ ভালো হয়। মানুষ শারীরিকভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। কিন্তু রোজাদার ব্যক্তির দেহ ক্র��াগত বায়ুচাপ সহ্য করার যোগ্যতা অর্জন করে। রোজাদার ব্যক্তি খিঁচুনি এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে। এমনকি কঠিন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে এবং এর রোগের সম্মুখীন হওয়া থেকে বিরত থাকে।
আলেকজান্ডার গ্রেট এবং এরিস্টল। উল্লিখিত দু’জনই ছিলেন অধিবাসী। নিজ নিজ ক্ষেত্রে তারা বিশ্বখ্যাত। তারা মাঝে মাঝে ক্ষুধার্ত বা উপবাস থাকাকে দেহের সুস্থতা ও সবলতার জন্য খুবই উপকার বলে মনে করেন।
আলেকজান্ডার গ্রেট বলেন, আমার জীবনে অনেক ব্যতিক্রম ধর্মীয় অভিজ্ঞতা এবং ঘটনা দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, সকাল-সন্ধ্যা যে আহার করে সে রোগমুক্ত। আমি ভারতে এরকম প্রচ- উষ্ণ এলাকা দেখেছি। সেখানে সবুজ গাছপালা পুরে গেছে। কিন্তু সেই তীব্র গরমের মধ্যেও আমি সকালে এবং বিকালে খেয়েছি। সারাদিন কোনো প্রকার পানাহার করিনি। এর ফলে আমি অনুভব করেছি এক নতুন অফুরন্ত প্রাণশক্তি (আলেকজান্ডার গ্রেট, মাহফুজুর রহমান আখর তারী)।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র প্রফেসর’স মোরপান্ড বলেছেন, আমি ইসলাম সম্পর্কে মোটামুটি জানার চেষ্টা করেছি। রোজা অধ্যায় অধ্যয়নের সময় আমি খুবই মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছি। চিন্তা করেছি ইসলাম তার অনুসারীদের জন্য এক মহাফর্মুলা দিয়েছে। ইসলাম যদি তার অনুসারীদেও কোনো বিধান না দিয়ে শুধু রোজা দিত তবুও এর চেয়ে বড় নেয়ামত আর কিছু হত না।
বিষয়টি নিয়ে আমি একটু গভীর চিন্তায় মনোনিবেশ করলাম। তাই বাস্তব অভিজ্ঞতার জন্য আমি মুসলমানদের সাথে রোজা রাখতে শুরু করলাম। দেখলাম রোগ অনেকটাই কমে গেছে। আমি রোজা চালিয়ে গেলাম এতে দেহ আরো উন্নতি পরিবর্তন উপভোগ করলাম। কিছুদিন পর লক্ষ করলাম আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছি। এক মাস পর আমি নিজের মাঝে এক অসাধারণ পরিবর্তন অনুভব করলাম। (রসালানঈ দুনিয়া)।
পাকিস্তানের বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সার্ভে রিপোর্ট। রমজান মাসে নাক, কান, গলার অসুখ কম হয়। জার্মানি, ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম এ সম্পর্কে গবেষণা করার জন্য এক রমাজন মাসে পাকিস্তান আসে। তারা গবেষণাকর্মের জন্য পাকিস্তানের করাচী, লাহোর ও ফয়সালাবাদ শহরকে মনোনীত করেছেন। সার্ভে করার পর তারা যে রিপোর্ট দিলেন তার মূল কথা ছিলো । মুসলমানরা নামাজের জন্য যে অজু করে সেই অজুর কারণে নাক, কান, গলার অসুখ কম হয়। খাদ্য কম খাওয়ার কারণে পাকস্থলী এবং লিভারের অসুখ কম হয়। রোজার কারণে তারা মস্তিষ্ক এবং হৃদরোগের আক্রান্ত কম হয়।
পরিবেশে মহান আল্লাহ তা’আলা জাল্লা শানহু আমাদেরকে সঠিক আকিদা ও আমলের মাধ্যমে জীবন গঠনের তাওফিক এনায়ে�� করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
লেখক,এম এ কামিল,হাদিস,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা,হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
কেন্দ্রীয় প্রবন্ধকার,চট্টগ্রাম হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক কল্যান সোসাইটি
কো-চেয়ারম্যান, হোমিওবিজ্ঞান গবেষনা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ই-মেইল[email protected]
মোবাইল.০১৮২২৮৬৯৩৮৯
via Blogger http://bit.ly/2Ev38Pv
0 notes
Text
রোজায় শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে
রোজায় শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ সিয়াম সাধনার মাস রমজান। বিশ্বজুড়ে রোজা রাখছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দীর্ঘ এক মাস রোজা থাকার কারণে রোজাদারের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। রোজার শুরুর দিনগুলো একটু কষ্টের। সাহরি খাওয়ার অন্তত আট ঘণ্টা পর্যন্ত শরীরে সেই অর্থে রোজার প্রভাব পড়ে না।
আমরা যে খাবার খাই, পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত আট ঘণ্টা সময় নেয় শরীর। যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে…
View On WordPress
0 notes
Photo

পবিত্র মাহে রমজানে ডায়াবেটিস রোগীর রোজা রাখতে খাদ্যাভ্যাসে আনতে হবে পরিবর্তন ডায়াবেটিস আক্রান্তের রোজা রাখা একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, যা তার স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে পুষ্টিমান ঠিক রেখে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলে ও শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামসহ স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালালে ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। রোজা পালনরত অবস্থায় পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে বা ইনসুলিন নিলে রোজার ক্ষতি হবে না। সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘রোজা পালনরত অবস্থায় পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে বা ইনসুলিন নিলে রোজার ক্ষতি হবে না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব তথ্য উঠে আসে। সুস্বাস্থ্য বাংলাদেশের সহযোগিতায় ডিআরইউ এ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম খান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের মধ্যে ৩৬ শতাংশ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ৯-১২ কোটি ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখছেন। ডায়াবেটিস টাইপ-১ ৪৩ শতাংশ ও টাইপ-২ রোগীর ৭৯ শতাংশ রমজান মাসে রোজা রাখছেন।’ তিনি আরও বলেন, মুসলমান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সর্বসম্মতভাবে মতামত দিয়েছেন, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য রোজা রাখা ক্ষতিকর। কুরআন শরীফেও রোগীদের বিশেষ করে যাদের ঝুঁকি রয়েছে তাদের রোজার বিকল্প কিছু (মিসকিনকে খাওয়ানো) করে রেহাই দেয়া হয়েছে। এরপরও ডায়াবেটিস রোগীর রোজা রাখা একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, যা তার স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। রোজা রেখে কম-বেশি ঝুঁকি তৈরি করেন ডায়াবেটিস রোগীরা।’ রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর ঝুঁকি সমূহ খাদ্য গ্রহণে অনেকক্ষণ যাবত বিরতির কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমতে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) থাকে। এতোটাই কমতে থাকে যে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত হতে হয়। টাইপ-১ রোগীদের ক্ষেত্রে ৪.৭ গুণ ও টাইপ-২ রোগীদের ক্ষেত্রে ৭.৫ শতাংশ হাইপোগ্লাইসেমিয়া হবার সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয়ত, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ (হাইপারগ্লাইসেমিয়া) বেড়েও যেতে পারে। এ ঝুঁকি টাইপ-১ এর ক্ষেত্রে বেশি। টাইপ-২ রোগীদের ক্ষেত্রেও রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। রমজান মাসের শেষের দিকে এ প্রভাব পড়তে শুরু করে। তৃতীয়ত, ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস হতে পারে। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ (হাইপারগ্লাইসেমিয়া) বেড়ে যাওয়া বা এর ধারাবাহিকতায় অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হতে পারে। চতুর্থত, দীর্ঘ সময় খাদ্য বিরতির কারণে পনি শূন্যতা ও থ্রম্বোঅ্যাম্বোলিজম দেখা দিতে পারে। গরম ও বেশি আর্দ্র আবহাওয়ায় ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে এমনটি হয়। রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয় এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘যেসব রোগী মাথায় ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই রোজা রাখতে চান তাদের আগে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। ডাক্তারের সঙ্গে রমজানের এক মাস আগেই পরামর্শ নিতে হবে। মানসিক প্রস্তুতি আরও তিন মাস আগে থেকে শুরু করতে হবে।’ রোজা রাখা অবস্থায় দিনে কমপক্ষে তিনবার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা দেখতে হবে। বিশেষ করে দিনের শেষভাগে রক্তের গ্লুকোজ দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইফতারে সহজেই হজম হয় এমন খাবার ও প্রচুর পানি খেতে হবে। সম্ভব হলে ফলের জুস। আর সেহরিতে জটিল শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে যা অনেকক্ষণ শরীরে সক্রিয় থাকে। শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামসহ স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালালে ঝুঁকি কমবে। তবে বেশি ব্যায়াম না করাই ভাল। এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। এটা দেখা দিলে অবশ্যই গ্লুকোজ ও চিনিযুক্ত খাবার খেতে হবে। ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টায় যারা একবার খান তাদের জন্য ইফতারের শুরুতেই, আর যারা একাধিক সময়ে খান তারা সেহেরির আধা ঘণ্টা আগে খাবেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুস্বাস্থ্য বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম ভূইয়া।
0 notes