#ল্যাপটপ আমদানি
Explore tagged Tumblr posts
Text
বিদেশ থেকে ল্যাপটপ,ট্যাবলেট আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, কী করবে Apple, HP, Dell? প্রভাব বাজারেও
নয়াদিল্লি: বিদেশ থেকে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট আমদানিতে লাগাম টেনে ধরল কেন্দ্রীয় সরকার। যে কেউ চাইলেই আর বিদেশ থেকে ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট আনাতে পারবেন না। বিদেশি পণ্য আমদানির লাইসেন্স রয়েছে যাঁদের, একমাত্র তাঁরাই আমদানি করতে পারবেন (Electronics Import)। দেশীয় সংস্থার তৈরি ল্যাপটপ, ট্য়াবলেটের উৎপাদন এবং বিক্রিতে জোর দিতেই এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। এখন থেকেই চালু হল এই নয়া নিয়ম। (Laptops…
View On WordPress
#ABP Ananda#Breaking News#Electronics Import#Electronics Products#Laptops Import#Local for Vocal#make in india#News#Tablet Import#ট্যাবলেট আমদানি#দেশীয় পণ্য#বিদেশি পণ্য#ল্যাপটপ আমদানি
0 notes
Text
Apple, HP, Dell And Others Ask Govt To Delay Laptop Import Restrictions: All Details - News18
১ নভেম্বরের পর লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার এবং সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্র আমদানি করতে দেওয়া হবে না। রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু নেতৃস্থানীয় বৈশ্বিক প্লেয়ার সহ প্রায় 44 টি কোম্পানি হার্ডওয়্যারের জন্য প্রোডাকশন-লিঙ্��ড ইনসেন্টিভ (PLI) 2.0 স্কিমের অধীনে ইনসেনটিভের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। এইচপি, অ্যাপল এবং ডেলের মতো শীর্ষ ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স সংস্থাগুলি পিসি, ল্যাপটপ এবং…
View On WordPress
0 notes
Text
লেখাপড়ার পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ড্রপ শিপিং ও রিসেলার হয়ে অনেকে ইনকাম করে খুব ভাল অবস্থানে চলে গিয়েছে। যারা ফ্যামিলিকে আর্থিক ভাবে একটু সার্পোট দিতে চান! তাদের জন্য 'কমদামে ডট কম' হতে পারে একটি বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম।
সেজন্য এখন কি শেখা উচিত? যেটা শিখে ভবিষ্যতে মোটামুটি ঘরে বসে সহজে আয় করতে পারবেন? আসুন জেনে নেই
ড্রপ শিপিং কি?
উত্তরঃ পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে সরাসরি কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়ার নামই ড্রপ শিপিং। ড্রপ শিপিংয়ের মাধ্যমে একজন পার্টনারের সাহায্যে (যেমন 'কমদামে ডট কম' এর মাধ্যমে অর্ডার পেয়ে) সহজেই আপনার পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব।
ড্���পশিপিং হল একটি খুচরা বা পাইকারি ব্যবসায়িক পদ্ধতি যেখানে বিক্রেতা বা ড্রপ শিপার পণ্যগুলি স্টকে রাখেন না। তিনি কেবল পণ্যের ডেটা আমদানি করেন, অর্ডার নেন এবং সরাসরি তৃতীয় পক্ষ থেকে আইটেমটি ক্রয় করেন যা পরে শেষ গ্রাহকের কাছে পণ্যটি সরবরাহ করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
এটি এমন একটি উপায় বা মাধ্যম, যার দ্বারা আমরা যেকোনো অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট, অনলাইন স্টোরের ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বা ��য়েবসাইট এ অনলাইন সেবা বিষয়ক যেকোনো প্যাকেজ ইত্যাদি নিজের ��য়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা Group বা ইউটিউব চ্যানেলে ঐ কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে প্রোমোট করে সরাসরি কমিশন ভিত্তিতে ঐ কোম্পানি থেকে একটা সিস্টেমে ইনকাম করা।
ব্যবসা বা কাজ করার জন্য কী কী প্রয়োজন?
আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
আপনার অবশ্যই ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন থাকতে হবে।
আপনার ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন।
একটু বিনিয়োগ করার জন্য আপনার টাকা থাকা দরকার।
আপনার মধ্যে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকতে হবে।
ধৈর্যের পাশাপাশি আপনার মধ্যে কিছু করার প্রবল ইচ্ছা থাকতে হবে।
1 note
·
View note
Text
ল্যাপটপ-প্রিন্টারের দাম বাড়ছে
২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণায় আমদানি করা ল্যাপটপে ১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফলে ল্যাপটপের দাম বাড়বে। দাম বাড়বে প্রিন্টার, কার্ট্রিজ, টোনার ও ডাটা প্রসেসিং যন্ত্রেরও। এগুলোর ওপরও ১৫ শতাংশ করে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৯ জুন) তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে মূসক (ভ্যাট) অব্যাহতি…
View On WordPress
0 notes
Photo
দেশীয় আইসিটি পণ্যের সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট ও আয়কর অব্যাহতির দাবি প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বা সংযোজনকৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। সেইসঙ্গে তারা দীর্ঘমেয়াদে ট্যাক্স হলিডে চেয়েছেন। তাদের মতে, ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে আমদানি পণ্যের সঙ্গে শুরুতেই পেরে উঠবে না স্থানীয় উদ্যোক্তারা। আর দীর্ঘমেয়াদে আয়কর অব্যাহতি পেলে ওই টাকা পূনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে এই শিল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তাদের মতে, প্রস্তাবিত কর কাঠামো বহাল থাকলে দেশে মোবাইল ফোন শিল্প গড়ে উঠবে না এবং সরকারের ভিশন ২০২১ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা ব্যাহত হবে। উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বা সংযোজনকৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনে সরবরাহ পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো সরবরাহ ভ্যাট নেই। এ অবস্থায় কম্পিউটার এন্ড মোবাইল ম্যানুফ্যাকচা��ার্স এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (প্রস্তাবিত) সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি, উদীয়মান এ শিল্পে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে ১৫ বছরের জন্য আয়কর অব্যাহতির সুবিধা ঘোষণারও দাবি জানিয়েছে এসোসিয়েশনটি। এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম রেজোয়ান আলম জানান, বাংলাদেশে আইসিটি পণ্য বিশেষত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসব পণ্যের আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ বা কাঁচামাল আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণের পাশাপাশি ভ্যাট প্রত্যাহারের করা হয়েছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে সম্পূর্ণ তৈরি ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, রয়েছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। কিন্তু, দেশে তৈরি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে সরবরাহ পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে এনবিআর। অন্যদিকে, সম্পূর্ণ তৈরি আমদানিকৃত এসব ডিজিটাল পণ্যকে সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এ ধরনের শুল্ক ও কর নীতি স্থানীয় আইসিটি শিল্পের বিকাশে বড় বাঁধা বলে মনে করেন তিনি। দেরিতে হলেও এখাতে নজর দিয়েছে বলে এ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তবে তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট খাতের সুষ্ঠু বিকাশে সরকারকে আরো বিনিয়োগ বান্ধব প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা দিতে হবে। তাছাড়া এক্ষেত্রে এখনো কোনো ধরনের নীতিমালা ঘোষণা করেনি সরকার। এ সেক্টরের স্ট্যান্ডার্ড বা মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়েও কোনো দিক নির্দেশনা নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ বিষয়ে লক্ষ্যনীয় কোনো প্রস্তুতিও নেই। ওই এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ফাহিম রশিদ জানান, ভারতে মোবাইল ফোন আমদানির উপর ১৭.৯৭ শতাংশ শুল্কারোপ রয়েছে। কাঁচামাল আমদানির উপর গড় শুল্কহার দুই শতাংশেরও কম! তারা এ শিল্পের জন্য পরিকল্পিতভাবে ৩০ বছরের ট্যাক্স হলিডে ঘোষণা করেছে। ভিয়েতনামের কথা বলাই বাহুল্য। একসময়ের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি বিনিয়োগ এবং পর্যাপ্ত শিল্পোদ্যোগের মাধ্যমে এগিয়েছে অনেক দূর। মোবাইল ফোন ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুয়েপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) করেও তারা আয় করছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। অন্যদিকে বাংলাদেশে এ ধরনের শিল্পে বিনিয়োগ করলে আমাদের ৩৫ শতাংশ হারে করপোরেট ট্যাক্স দিতে হবে। তাহলে আমরা দাঁড়াব কীভাবে। এ শিল্প সুরক্ষা পাবে কীভাবে। তিনি এক্ষেত্রে ভারতের মতো ট্যাক্স হলিডে দাবি করেছেন। খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বে জটিল প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের মতো আইসিটি শিল্প। উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন অতী সূক্ষ্ম এবং সংবেদনশীল যন্ত্রাংশ, দক্ষ জনবল এবং নিঁখুত মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা- এই তিনটি মূল ভিত্তির উপরে এ শিল্প প্রতিষ্ঠিত। দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের সাম্প্রতিক অগ্রগতি��ে আরো গতি সঞ্চার করতে দেশেই ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন শিল্প স্থাপণের মতো সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশীয় উদ্যোক্তা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারি নীতি সহায়তার আশ্বাস পেয়ে ইতোমধ্যে কারখানার অবকাঠামো নির্মাণ, যন্ত্রপাতি স্থাপন, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ স্থাপনসহ বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন করেছেন। এখন শুধু অপেক্ষা পুরো দমে কারখানা চালু করার। কিন্তু, তাদের এ মহৎ উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের পথে বড় বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে সরবরাহ পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট। উদ্যোক্তারা জানান, দেশীয় আইসিটি শিল্পের বিকাশে প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, তা থেকে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতেন। কিন্তু, আমাদনিকৃত আইসিটি পণ্যেকে সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাটমুক্ত রাখা হয়েছে; অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট রাখা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। তারা এ শিল্পে বিনিয়োগ করার যে পরিকল্পনা করছিলেন তা আলোর মুখ দেখছে না বলে মনে করা হচ্ছে। তারা জানান, দেশের উদীয়মান এ খাতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি, প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এ শিল্প। এতে করে, শুরুর দিকে দেশীয় আইসিটি উৎপাদন বা সংযোজন শিল্পে নিয়োজিত কর্মীবাহিনীর প্রোডাকটিভিটি হবে তুলনামূলক কম। আবার, প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত বিদেশী কোম্পানির তুলনায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনে উপচয়ও বেশি থাকবে। অর্থাৎ, চীনের প্রতিষ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে একটি ব্যাচ উৎপাদনের সময় যদি ১ শতাংশ পণ্য নষ্ট হয়, সদ্য উৎপাদনে আসা দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সমপরিমান পণ্য উৎপাদনে ৭ থেকে ৮ শতাংশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে, প্রাথমিক পর্যায়ে দেশীয় প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত বা সংযোজনকৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের উৎপাদন খরচ বেশি পড়বে। তাদের মতে, এ অবস্থায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানের আইসিটি পণ্য বাজারে সরবরাহের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ, অন্যদিকে সরবরাহ পর্যায়ে আমদানিকৃত পণ্যকে ভ্যাটমুক্ত রাখায় শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়বে স্থানীয় উৎপাদন। হুমকিতে পড়বে এ খাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিশাল বিনিয়োগ। এসোসিয়েশনের মতে, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি। এদের বেশির ভাগই ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন মোবাইলের মাধ্যমে। মোবাইল ফোন ও এর এক্সেসরিজের বাৎসরিক প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে বাংলাদেশে। যার পুরোটাই বর্তমানে আমদানি নির্ভর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি হলে লাভবান হবে সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং জনগণ। কারণ বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। রপ্তানি আয় বাড়বে। ব্যাপক কর্মসংস্থান ও দক্ষ জনবল তৈরি হবে। আনুষঙ্গিক ব্যাকওয়ার্ড শিল্প গড়ে উঠবে। গড়ে উঠবে সফটওয়্যঅর শিল্পের বিশাল বাজার। সর্বোপরি ফোন ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে পাবেন উন্নত মানের ���মেইড ইন বাংলাদেশ’ হ্যান্ডসেট।
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/24994
এ বাজেট উন্নয়ন সহায়ক বাজেট-চিটাগাং চেম্বার সভাপতি
মাহবুবুল আলম।
আজ ১জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম এটিকে উন্নয়ন সহায়ক বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন-ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি এবং অবচয়ন বিবেচনাপূর্বক এ সীমা বৃদ্ধি করা উচিত। একইভাবে মহিলা এবং ৬৫ উর্ধ্ব করদাতাদের ক্ষেত্রেও করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করা উচিত। চেম্বার ও ব্যবসায়ীদের বারংবার দাবীর পরও ১৫% ভ্যাট হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আমরা আবারও এ হার পুনর্বিবেচনা করে ১০-১২% করার দাবী জানাচ্ছি।
মাহবুবুল আলম বলেন, চেম্বারের দাবীর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট নিরসনে লালখান বাজার হতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কি.মি. দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোর ডাবল লাইন উন্নীতকরণ এবং দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন সম্প্রসারণকে স্বাগত জানিয়েছেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসন, চট্টগ্রাম-ঢাকা ও বৃহত্তর চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আরো গতিশীল হবে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভ্যাট অব্যাহতির সীমা ৩০ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৬ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে টার্ণওভার করের সীমা ৮০ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে ১ কোটি ৫০ লক্ষ নির্ধারণ করা হলেও সেক্ষেত্রে করের হার ৩% থেকে বৃদ্ধি করে ৪% করা হয়েছে। টার্ণওভারের সুবিধা যাতে ব্যবসায়ীরা পায় সে লক্ষ্যে করহার আগের মত ৩% নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।
আগের ন্যায় মৌলিক খাদ্য যেমনঃ চাল, ডাল, চিনি, মাছ, মাংস, শাক-সবজি, দুধ, লবণ ইত্যাদিসহ প্রায় ৫৪৯ টি পণ্যের উপর ভ্যাট অব্যাহিত বহাল রাখা হয়েছে। একই সাথে ৯৩ ধরণের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, গণপরিবহন সেবা, জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপর ভ্যাট অব্যাহতি, কৃষি, গবাদি পশু, মৎস্য চাষসহ সংশ্লিষ্ট ৪০৪টি ক্ষেত্রে এবং ধাতব্য, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি ইতিবাচক।
১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮০০ টাকা করা হয়েছে যা সাধারণ মানুষকে ব্যাংকে আমানত রাখার ক্ষেত্রে নিরুৎসা���িত করতে পারে। তাই পূর্বের ন্যায় ৫০০ টাকা বহাল রাখার আহবান জানাচ্ছি।
পামওয়েল ও সয়াবিন উৎপাদন এবং এলপিজি সিলিন্ডারের ভ্যাট অব্যাহতি ৩০ জুন ২০১৯ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে যা প্রশংসার দাবীদার। শিল্প কারখানা নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিতে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা স্থাপনে প্রয়োজনীয় পণ্যে ৫% এর অতিরিক্ত সকল শুল্ক কর মওকূফ করা হয়েছে। আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে সারা দেশের ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে উরমরঃধষ অফফৎবংংধনষব ঝুংঃবস এ আনার প্রস্তাব করা হয়েছে যা তথ্য প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
ভ্যাট আহরণের সুবিধার্থে ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার ব্যবহারের জন্য বলা হলেও এক্ষেত্রে এখনো যথাযথ অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে ভ্যাট কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা প্রণোদনা ও পুরস্কার নীতিমালার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক সময় করদাতাদের উপর হয়রানীর মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে যা প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে।
কৃষি খাতে প্রধান উপকরণ সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শুল্কহার ০ (শূন্য) করা হয়েছে এবং চাল আমদানিতে সর্বোচ্চ শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে যাতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পায়। মৎস্য পোল্ট্রি ও ডেইরী খাতে খাদ্য সামগ্রী ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতি বহাল রাখার পাশাপাশি কতিপয় পণ্যে প্রণোদনা প্রস্তাব করা হয়েছে। কৃষি খাতে ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরীর লক্ষ্যে উপকরণ আমদানিতে ১% আমদানি শুল্কসহ সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। চামড়া শিল্পে বাসবার ট্রাংকিং সিস্টেম এবং ইলেক্ট্রনিক প্যানেলকে মূলধনী যন্ত্রপাতির রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়েছে। একই ধরণের সুবিধা সব ধরণের শিল্পের ক্ষেত্রে দেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
প্রচুর সম্ভাবনাময় ঔষধ শিল্পের রপ্তানি আরো বিকশিত করার লক্ষ্যে কাঁচামালে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে দেশীয় সিরামিক শিল্প সুরক্ষায় তৈরী সিরামিক আমদানিতে উচ্চ সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশীয় ব্যাটারী চাহিদা পূরণ ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল আমদানি শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে দেশীয় উৎপাদনকারীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে তৈরীকৃত সোলার প্যানেল আমদানি শুল্ক ৫-১০% বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, আইপ্যাড ইত্যাদি উৎপাদন ও সংযোজনে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। জুয়েলারী শিল্পের জন্য যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে যা এ শিল্পের বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সামগ্রিকভাবে বাজেট উন্নয়নমূখী তবে ভ্যাট হার হ্রাস করা না হলে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্��িং হবে বলে আমরা মনে করি।
0 notes
Photo
ছিনতাইয়ের হাজারো ফাঁদ ওঁৎ পেতে আছে ওরা। ছদ্মবেশে। চারপাশে। নানা কৌশলে। সুযোগ বুঝে ছোঁ মারছে। হামলে পড়ছে। মুহূর্তেই ছিনিয়ে নিচ্ছে সবকিছু। নানা অভিনব কৌশল ছিনতাইকারীদের। হাজারো ফাঁদ পেতে বসে আছে তারা। রাস্তায় পথচারী কিংবা গাড়িতে যাত্রীরা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন ঘটছে ছিনতাইয়ের বিচিত্র ঘটনা। অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে নিচ্ছে টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন সেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। মায়ের কোল থেকে শিশু, বরের কাছ থেকে কনে কিংবা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। কখনো একা ও সংঘবদ্ধভাবে সক্রিয় ছিনতাইকারীরা। মধ্যরাত থেকে দিনদুপুর । প্রতিদিন রাজধানীতে নানাভাবে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিভাগীয় শহর কিংবা মহানগরী বা জেলা থেকে উপজেলা, পৌর শহরেও হচ্ছে ছিনতাই। মুহূর্তেই ছিনতাই হচ্ছে মানুষের সহায় সম্বল। সেই সঙ্গে ছিনতাই হচ্ছে মুখের হাসি। পরিবারের আনন্দ। এমনকি বেপরোয়া ছিনতাইকারীদের নির্মমতায় যাচ্ছে প্রাণ। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখানোর নামে আড়ালে রয়ে যাচ্ছে ছিনতাইয়ের প্রকৃত চিত্র। প্রতিদিনই রাজধানীর কোথাও না কোথাও একাধিক ছিনতাইয়ের খবর এলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হিসাবে, ২০১৬ সালে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের মামলা বা ঘটনা মাত্র ১৩২টি। এ হিসাবে প্রতিদিন ঘটছে একটি মাত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা। গত বছর রমনা থানায় মাত্র ৫টি ছিনতাই মামলা হয়েছে। শাহবাগ থানায় আরো কম। ওই বছরের ১৩২ মামলার প্রায় সবই হাতে-নাতে ধরা পড়া বা আসামি ও মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে ছিনতাইকারী শনাক্ত না হওয়া বা মালামাল উদ্ধার না হওয়ার ঘটনায় মামলার পরিবর্তে হারানো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করছে পুলিশ। তাছাড়া ক্ষতির শিকার হলেও অনেকে আইনি ঝামেলা থেকে বাঁচতে থানায়ও যান না। ফলে এতে ছিনতাই প্রতিরোধ বা প্রতিকারের চেয়ে সাধারণ মানুষের ঝুঁকি এবং ভোগান্তি বাড়ছে। ডিএমপির (মিডিয়া) অতিক্তি উপকমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মানবজমিনকে বলেন, ছিনতাইয়ের যেমন নানা কৌশল আছে, তেমনি পুলিশও বিভিন্ন কৌশলে তাদের ধরছে। গোপন সংবাদ, গোয়েন্দা তৎপরতা, মোবাইল টিম, হাতেনাতে, চেকপোস্টসহ বিভিন্নভাবে ছিনতাইকারীদের ধরা হচ্ছে। তবে এখন ছিনতাই আগের চেয়ে কমে গেছে। মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সব ঘটনার আলোকে মামলা করা যায় না। কোনো কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা সত্য হলেও সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে পুলিশ ঘটনাটি সত্য বলে উল্লেখ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। মানবজমিন���র অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বিচিত্র ধরনের ছিনতাই। সহজ উপায়ে অবৈধভাবে মুহূর্তের মধ্যে লাভবান হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। পিন থেকে প্লেন। বাদ যাচ্ছে না কিছুই। প্র্রতিদিন টাকা-পয়সা ছিনতাইয়ের বহু ঘটনা ঘটছে। নারীর গলার স্বর্ণের হার, কানের দুল, হাতের চুড়ি, আঙুলের আংটি ছিনতাইও নিত্যদিনের বিষয়। এতে কেবল নারীর কানই ছিঁড়ছে না; চুড়ি ও আংটির সঙ্গে গেছে হাতের কবজি ও আঙল। হচ্ছে রক্তাক্ত। অবশ্য সিটিগোল্ড বা ইমিটেশনের অলংকারে মাঝে মাঝে ছিনতাইকারীরাও বোকা বনছে। ছিনতাই হচ্ছে পকেটের মানিব্যাগ। সেই সঙ্গে যাচ্ছে ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংকের চেক, আইডি কার্ডও। যাচ্ছে মূল্যবান কাগজপত্র কিংবা তথ্য। কথা বলতে বলতেই হাওয়া হচ্ছে হাতের মোবাইল সেট। ছিনতাই হচ্ছে ল্যাপটপ। হাতের ব্যাগের সঙ্গে হারাচ্ছে প্রয়োজনীয় দলিল, পাসপোর্ট-ভিসা, কাপড়-চোপড়সহ অনেক কিছু। সে পাসপোর্ট-ভিসা ছিনতাইকারীর কোনো কাজে না এলেও তাদের কাছে অকাজের কিন্তু মালিকের কাছে মূল্যবান সেই জিনিস ফেরত দেয়ার মতো হৃদয়বান নয় তারা। নারীর ভ্যানিটি ব্যাগের সঙ্গে টাকা ও মোবাইলের পাশাপাশি খোয়া যাচ্ছে প্রসাধনীও। ছিনতাই হচ্ছে লাখ থেকে কোটি টাকার মাদক। আদালতপাড়ায় প্রতিপক্ষ ছিনিয়ে নিচ্ছে মূল্যবান দলিল ও কাগজপত্র। চালক ও মালিককে জিম্মি করে ছিনতাই হচ্ছে গাড়ি। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, বাস, ট্রাক, পিকআপ, কভার্ডভ্যান। রং-রূপ পরিবর্তন করে কিংবা পার্টস হয়ে তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কোনো না কোনো দেশে প্রতিবছরই ঘটছে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাও। মাঝে মাঝে মাসের শুরুতে কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ছিনতাই হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও যেখানে প্রায় সময় ব্যাংক কর্মকর্তা ছিনতাইয়ের কবলে পড়তো, সেখানে এখন বেশি শিকার হচ্ছে বিকাশ এজেন্টরা। ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশুও ছিনতাই হচ্ছে। নারীও যেন ছিনতাইয়ের পণ্য। ছিনতাই হওয়া শিশুদের অধিকাংশই কন্যাশিশু। বরের কাছ থেকে কনে। প্রেমিকের কাছ থেকে প্রেমিকা। হাসপাতালে মায়ের কোল থেকে ছিনতাই ও চুরি হচ্ছে সন্তান। ছিনতাই হচ্ছে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য। পণ্যবাহী কভার্ডভ্যান ও ট্রাক। নির্ধারিত দিনে জমা দিতে না দিয়ে সশস্ত্র মহড়ায় ছিনতাই হচ্ছে উন্নয়ন কাজের টেন্ডা��। প্রত্মতাত্ত্বিক জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে পাচার করা হচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়। ছিনতাই প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে। পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে আসামি। ছিনতাই হচ্ছে তাদের অস্ত্রও। এখনো থামেনি নির্বাচনে ভোট, ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স ছিনতাই। গত ইউপি নির্বাচনে বহু ইউনিয়নে ভোটবাক্স ছিনতাইয়ের ��টনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের কৌশলও বহু বিচিত্র। অভিনব। দুঃসাহসিক ও কাপুরুষোচিত। প্রতারণা আর নির্মমতায় ন্যক্কারজনক। সাধারণ বা নানা ছদ্মবেশে হচ্ছে এসব ছিনতাই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন বা পাশের ছদ্মবেশী পথচারী রূপ নিচ্ছে ছিনতাইকারীতে। ছোঁ মারছে পাশের জনকে লক্ষ্য করে। পথচারী বা যাত্রী কিংবা পরিচিত বা স্বজনের ছদ্মবেশ মুহূর্তে খসে পড়লেও করার নেই কিছুই। ততক্ষণে সব নিয়ে পগারপার। পায়ে হেঁটে ও গাড়িতে চড়ে নানাভাবে হচ্ছে তা। রাজধানী ও নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় পায়ে হাঁটা ছিনতাইকারীদের টার্গেটে পড়ছেন পথচারীরা। শিকার হচ্ছেন চলন্ত ও যানজটে আটকে পড়া গাড়ির যাত্রীরা। পায়ে হেঁটেই টার্গেটের পিছু নিচ্ছে তারা। সুবিধা মতো স্থানে সুযোগ বুঝেই টান দিচ্ছে পথচারী বা যাত্রীদের হাতের ব্যাগ, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন। নারীদের কানের দুল ও গলার হার ধরে টান মারছে। রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে থাকা যাত্রীরা ছিটকে পড়ে আহত হচ্ছেন। বরণ করছে পঙ্গুত্ব। ঘটছে প্রাণহানিও। অটোরিকশার লোহার বেষ্টনীও কাজে আসছে না। চলন্ত ও যানজটে আটকা পড়া অটোরিকশার পেছনে ঝুলে ছাদ ও পাশের বেষ্টনীর রেক্সিন ছুরি দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে জিনিসপত্র। সেসব সুযোগ করতে না পারলে নিরিবিলি কোনো স্থানে পৌঁছানোর পর তারা হিংস্র হয়ে উঠছে। বের করছে ব্লেড, ক্ষুর, ছুরি, পিস্তল ও খেলনা পিস্তল। আক্রমণ করে বসছে। ছুরিকাঘাত করছে। গুলি করে ছিনিয়ে নিচ্ছে। তারা মলম, মরিচের গুঁড়াসহ বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থও ব্যবহার করছে। ছুড়ে মারছে বা লেপটে দিচ্ছে চোখে মুখে। সঙ্গে থাকা সবকিছু নিয়ে সটকে পড়ছে। এছাড়া দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারীচক্র গাড়ি নিয়ে তৎপর রাজধানীর বহু এলাকায়। পথচারী ও অন্য গাড়িকে টার্গেট বা ধাওয়া করে ছুরি ও পিস্তল ঠেকিয়ে ছিনিয়ে নিচ্ছে। রাজধানীর গুলিস্তান, ধানমন্ডি, কাওরানবাজার, শাহবাগ, পল্টন, কাকরাইলসহ অন্তত শতাধিক পয়েন্টে এভাবে ছিনতাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আর নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য বাবার কাছ থেকে গাড়ি নিয়ে রাতের বেলায় গুলশান, উত্তরা, বারিধারা ও ধানমন্ডিতে ছিনতাইয়ে নামছে ধনীর দুলালরা। নানা কৌশলে ছিনতাই করছে বিচ্ছিন্ন ও সংঘবদ্ধচক্র। এক কৌশলে কাজ না হলে নিচ্ছে ভিন্ন কৌশল। এক বা একাধিক শিকার হাত ফসকে গেলেও জনবহুল নগরীতে অসহায় শিকারের কোনো অভাব নেই। রাস্তাঘাটে নিরপরাধকে অপরাধী বানানোর কৌশল। গায়ে ধাক্কা, পায়ে পা মাড়ানো, হোঁচট খাওয়ার ভান করে কাছে আসছে। অহেতুক ঝগড়া বাধাচ্ছে। নানা ছুঁতোয় ক্রুদ্ধ হয়ে উঠছে। সেক্ষেত্রে কয়েকজনের ছিনতাইকারী দল ভাগ হয়ে আগে পরে অনুসরণ করছে পথচারীদের। তাদের মধ্যে নানা বয়সী ছিনতাইরীদের দায়িত্বও পৃথক। থাকছে দাড়ি-গোঁফসহ পাজামা-পাঞ্জাবি পরা বয়স্ক লোক। সেই ‘মুরুব্বি’ বিচার বা সমঝোতার নামে সহজতর করে ছিনতাই। ওই দলের অধিকাংশই যে তার দলের ছদ্মবেশী ছিনতাইকারী। এছাড়া পূর্বপরিচিত, প্রতিবেশী, আত্মীয়, ঊর্ধ্বতন বা অধস্তন কর্মকর্তা বা কর্মচারী, কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বেশেও আড্ডা জমিয়ে ছিনতাই করছে। রাতে মুখোশ পরেও করছে ছিনতাই। রাজধানীতে সক্রিয় রয়েছে কয়েক ডজন নারী ছিনতাইকারী দল। তাদের অনেকে বোরখা ও হিজাব পরে ছিনতাই করছে। অসহায় পরিবারের বেশে সপরিবারেও ছিনতাই করছে প্রতারকরা। গাড়িতে ফুল বিক্রির নামেও হচ্ছে তা। রাজধানীর শাহবাগে সেভাবে ছিনতাই হচ্ছে। টাকা তোলার নামে ছিনতাই করছে হিজড়ারা। রাতে দেহ ব্যবসার নামে রাস্তার পাশে ঝুপড়ি টানিয়ে গ্রাহক টেনে ঢুকাচ্ছে তাতে। ঝুপড়িতে ঢুকতেই ওঁৎ পেতে থাকা অন্যরা এসে জিম্মি করছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির অসাধু পুলিশ সদস্যরাও। চলছে জিম্মির কাছ থেকে কয়েক দফায় টাকা আদায়। রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, ফার্মগেট, বিজয় সরণিসহ বেশ কিছু এলাকায় এ কায়দায় ছিনতাইয়ের দৃশ্য চোখে পড়েছে। উচ্ছল তরুণদের আড্ডার ছলেও চলছে ছিনতাই। নিরিবিলি স্থান কিংবা রাত ঘনাতেই ব্যস্ততম রাস্তার মোড়ে আড্ডায় মেতে ওঠার ভান করে ছিনতাইয়ের ফাঁদ পাতা হচ্ছে। তরুণদের আড্ডা মনে করে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক বা দু’জন পথচারীকে হঠাৎ তাদের বেষ্টনীর মধ্যে ঢুকিয়ে নিচ্ছে। ভয় দেখিয়ে সবকিছু কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন দিকে সরে পড়ছে। গত ৩রা নভেম্বর রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেল আরোহী তিন ছিনতাইকারী পিছু নেয় রিকশা আরোহী মোর্শেদা মোস্তফার। শাহবাগ থেকে তিনি রওনা দেন। শিল্পকলা একাডেমির কাছে পৌঁছতেই গতিরোধ করে ছিনতাইকারীরা। পিস্তল দেখিয়ে তার ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু সেবার ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। ছিনতাইয়ের শিকার মোর্শেদা মোস্তফা বলেন, তারা পিস্তল দেখাতেই আমি চিৎকার জুড়ে দিই। তাতে পুলিশ ও পথচারীরা এগিয়ে আসতেই তারা মোটরসাইকেল ফেলে পালায়। তবে মাহবুবুল আলম রাতুল নামে একজনকে ধরে ফলে। আর ভ্যানিটি ব্যাগ এবং ৩ হাজার ১০০ টাকাও রক্ষা হয়েছে। এ ঘটনায় রমনা থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্বল্প শিক্ষিত ও সংগঠিত চক্রগুলো আত্মরক্ষা ও বেশি লাভের কৌশল হিসেবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুয়া সদস্য সেজে ছিনতাই করছে। পুলিশ, ডিবি, র্যাব, স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যদের নাম ভাঙ্গিয়েই তাদের ��িনতাই। ওইসব বাহিনীর পোশাক, পিস্তল, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডক্যাফ ব্যবহার করে ধারণ করছে সেই ছদ্মবেশ। সঙ্গে থাকছে ভুয়া ডিসি, এসি, ওসি, হাবিলদার, কনস্টেবলের ফোর্সও। আচার-ব্যবহারে বজায় রাখা হয় চেইন অব কমান্ড। এরপর মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে চড়ে করছে ছিনতাই। রাস্তাঘাটে দেহ তল্লাশি, মাদক রয়েছে, গ্রেপ্তার, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি উল্লেখ করে মানুষকে গাড়িতে তুলে নিয়েই জিম্মি করেছে। ২০১৬ সালের ৯ই এপ্রিল রাজধানীর দোয়েল চত্বরে একই কায়দার ছিনতাইয়ের শিকার হন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মো. আজম উদ্দিন। ডিবি সদস্য পরিচয়ে তল্লাশির নামে কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ৭ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়। অসাধু পুলিশ এবং র্যাব সদস্যরাও অঢেল সম্পদ গড়ার আশায় ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের ছিনতাইয়ের ধরন একই হলেও পরিচয় ভুয়া না হওয়ায় অনেকটা নির্ভার থাকে। তবে পোশাকের নাম ফলক খুলে ফেলা হয়। তাদের অধিকাংশই মাদক তল্লাশির নামে। দু’মাস আগে গত ১৮ই নভেম্বর ভোরে কাওরানবাজার মোড়ে ডিম ব্যবসায়ী আবদুল বাসেরের কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন মোটরসাইকেল আরোহী দুই পুলিশ কনস্টেবল লতিফুজ্জামান ও রাজেকুল খন্দকার। তারা দু’জন ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের (উত্তর) গুলশান জোনে কর্মরত ছিলেন। ডিম ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে এমন ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের। তাতেই শেষ নয়। ছিনতাইসহ অপরাধ প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা পুলিশও পড়ছে ছিনতাইয়ের কবলে। মাঝে মাঝেই পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাই হচ্ছে। ছিনতাই হয় অস্ত্রশস্ত্রও। গত ৫ই জানুয়ারি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মাদক মামলার আসামি শাহাবুদ্দিনকে (৩০) ছিনিয়ে নিয়েছে তার স্বজনরা। তখন চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এর আগে গত বছরের ১৬ই মে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় খুন ও ছিনতাই মামলার আসামি আবদুল হালিমকে ছিনিয়ে নিয়েছে তার ঘনিষ্ঠরা। পেশাদার ছিনতাইকারীরা হাত সাফাইয়ের এই কাজে অভিজ্ঞ। চক্রগুলোও সংঘবদ্ধ। রাজধানীতে শতাধিক ছিনতাইকারীচক্র রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তারা পুরো নগরীর চষে বেড়াচ্ছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে চড়ে ছিনতাই করছে। মধ্যরাত থেকে দিনদুপুর পর্যন্ত রাজধানীর রাস্তায় ওঁৎ পেতে থাকে তারা। ব্যস্ততম এলাকা, ব্যাংক ও এটিএম বুথ, বীমা, মার্কেট, প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা অবস্থান নেয়। হেঁটে চলা পথচারী বা তাদের যানবাহনের চেয়ে কম গতির গাড়িকে টার্গেট করছে। গতিরোধ করছে টার্গেট গাড়ির। তারপর ছুরিকাঘাত বা গুলি করে কাজ সারছে। শুধু গাড়িতে চড়ে ছিনতাই হচ্ছে না। ছিনতাই হচ্ছে গাড়িও। মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, বাস, ট্রাকের যাত্রীদের আঘাত, অচেতন, এমনকি খুন করে গাড়ি নিয়ে ��ালাচ্ছে ছিনতাইকারীরা। ওয়ার্কশপ বা অন্য কোনো শহরে নিয়ে রূপ বদলে তা বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়। দিনদুপুরে প্রকাশ্যে ফিল্মি কায়দায় হামলা চালিয়ে বিয়ের গাড়িবহর থেকে ছিনতাই হচ্ছে নববধূ। প্রায় আড়াই মাস আগে গত বছরের ৬ই নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি মামলার জেরে মোফাজ্জল নামে এক বখাটে দিনদুপুরে বরের কাছ থেকে কনে ছিনিয়ে নেয়। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে যাওয়ার পথে বর নাদিমের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে কনে সুবর্ণা আক্তারকে ছিনিয়ে নেয়। এর আগে ২০১৩ সালের ৯ই এপ্রিল কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে নববধূ রুমা আক্তারকে ছিনতাই করা হয়। সে হরিয়ারছড়া এলাকার বশরত আলীর মেয়ে। এ সময় বিয়ের আসরে যাওয়া নারীদের স্বর্ণালংকারও লুট করা হয়। আহত হয় ৬ জন। এ ঘটনায় বর নূর মোস্তাফা তখন স্থানীয় থানায় মামলাও করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীতে সহস্রাধিক পেশাদার, বখাটে ও মাদকাসক্ত ছিনতাইকারী সক্রিয় রয়েছে বলে অনুমান রয়েছে। তারা পৃথক ও ঐক্যবদ্ধভাবে ছিনতাই চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্তত শতাধিক ছিনতাইকারী এখন বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছে। ছিনতাইয়ে নানা বয়সের দুর্বৃত্তরা জড়িত। বিচ্ছিন্ন ও সংঘবদ্ধভাবে ছিনতাইকারীরা রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের সব জেলা ও উপজেলা বা পৌরশহরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে মূল্যবান জিনিসপত্র। শিশু, কিশোর, মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধসহ সব বয়সীরা এতে সক্রিয়। পেশাদার ছিনতাইকারীরা যখন যেখানে যে কৌশল সঙ্গত মনে করছে তাই গ্রহণ করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা প্রথমদিকে গুলি ও ছুরির পোচ দেয়ার ভয় দেখায়। তবে নিজেদের ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। সরাসরি গুলি চালায় ও ছুরিকাঘাত করে বসে। এতে প্রাণহানি ঘটছে। আর মাদকাসক্ত ছিনতাইকারীরাও বেপরোয়াভাবে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে বসে। রাজধানীর শাহবাগে দীর্ঘদিন ছিনতাইয়ে জড়িত এক মধ্যবয়সী ছিনতাইকারী নাম প্রকাশ না করে মানবজমিনকে বলেন, যখন যেখানে যে কৌশল তখন সে কৌশল নিই। ছিনতাইকারীরা প্রতিমাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করে। সেখান থেকে সর্দারকে ভাগ দিতে হয়। কিছু পুলিশ সদস্যকেও টাকা দেয়া লাগে। আবার দালালরা একটা ১০ হাজার টাকার মোবাইল কিনে মাত্র ১ হাজার টাকায়। ওই টাকাটা নেশার পেছনে চলে যায়। তবে কেউ কেউ ছিনতাইয়ের অর্থে এখন লাখ বা কোটিপতি বলেও জানায় সে। একাধিক ছিনতাইকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর ব্যস্ততম মোড়গুলোতে প্রায় সময় সক্রিয় ছিনতাইকারীরা। এখন শাহবাগে ছিনতাইয়ে সক্রিয় রয়েছে চিকু, রাসেল, মোস্তফা, পিচ্ছিসহ অন্তত ১০ জন। তাছাড়া ওই এলাকায় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত কুত্তা রুবেলসহ দুজন এখন কারাগারে রয়েছে। ছিনতাইকারীদের কাছে থেকে ভাতা ও কমিশন খায় মাসুদ ও ফারুকসহ কয়েকজন দলনেতা ও দালাল। এছাড়া আল আমিন ও আমিরসহ বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারী পুরো রাজধানীর যেখানে সুব��ধা পায় সেখানেই ছিনতাই করে বলে জানা গেছে। সমপ্রতি ধানমন্ডি থেকে রমনা থানায় বদলি হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান আগের কর্মস্থলে ছিনতাইয়ের বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত করেন। তিনি বলেন, এক মাদকাসক্ত ধনীর দুলালকে তার বৃদ্ধ বাবার হাত থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও দেখেছি। তাছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রুতগতির গাড়ি নিয়ে ছিনতাইকারীরা কম গতির গাড়ি টার্গেট করে ছিনতাই করছে। নতুন নতুন কায়দায় এসব ছিনতাই হচ্ছে।
0 notes