#মহররম মাসের ফজিলত
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আশুরা কি
আশুরা (আরবি: عَاشُورَاء, ʿĀshūrāʾ, [ʕaːʃuːˈraːʔ]) হলো ইসলাম ধর্মে একটি স্মরণীয় দিবস। এটি প্রতি বছর ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের ১০ তারিখে ঘটে।
আশুরা সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে
What is said in the hadith about Ashura
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের দশম দিন আশুরা নামে পরিচিত। কোরআন-হাদিসে এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আশুরার দিনেরও আলাদা সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে।
মুসলমানদের নিকট দিনটি বেশ আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এ দিনে রোজা রাখার কথা বর্ণিত হয়েছে। মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত হাদিসগুলো পর্যালোচনা করলে আমাদের সামনে বেশ কিছু শিক্ষণীয় দিক ফুটে ওঠে। প্রথমে মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত দুটি হাদিস উল্লেখ করা হলো।
প্রথম হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) হিজরত করে মদিনায় এলেন এবং তিনি মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। তাদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এটা সেই দিন—যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে মুক্তি দিয়েছেন এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে ডুবিয়ে মেরেছেন। তাঁর সম্মানার্থে আমরা রোজা রাখি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমরা তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী।
’ এরপর তিনি এ দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৪৮) 
দ্বিতীয় হাদিস : রুবাইয়ি বিনতে মুআউয়িজ ইবনে আফরা (রা.) বলেন, আশুরার সকালে রাসুল (সা.) আনসারদের সকল পল্লীতে এই নির্দেশ দিলেন, যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি, সে যেন দিনের বাকি অংশ না খেয়ে থাকে, আর যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় সকাল শুরু করেছে সে যেন রোজা পূর্ণ করে। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৬০)
নবী-রাসুলের কাহিনিকে গুরুত্ব দেওয়া : নবী-রাসুলদের শরিয়ত ভিন্ন ভিন্ন হলেও তাঁদের দ্বিন ও দাওয়াতের মূল হলো তাওহিদ বা একত্মবাদ। সব নবী-রাসুলের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের অন্যতম রোকন। উল্লিখিত হাদিসে রাসুল (সা.) মুসা (আ.)-এর মুক্তি পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা আদায় করা : আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাদেরকে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাসুল (সা.) রোজা রাখাকে বৈধতা দিয়েছেন এবং সাহাবাদের রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহ কোনো নিয়ামত দান করলে বান্দার উচিত সে নিয়ামতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
শিরকের ভয়াবহতা : শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ। আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেও শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না। এই শিরকের কারণে আল্লাহ তাআলা ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
অত্যাচারীর পতন : বনি ইসরাইলের ওপর ফেরাউনের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের বর্ণনা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ ফেরাউনকে ধ্বংস করার মাধ্যমে বনি ইসরাইলকে মুক্তি দেন। এ থেকে বোঝা যায়, অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।
বাচ্চাদের খেলনা দেওয়া : হাদিসে বলা হয়েছে, বড়রা মহররমের রোজা রাখত, ছোটদের রোজা রাখতে উৎসাহিত করত। তাদের খেলনা দিয়ে রোজার কথা ভুলিয়ে রাখা হতো। এ থেকে বোঝা যায় ছোটদের খেলনা দেওয়া বৈধ।
ছোটদের রোজায় অভ্যস্ত করা : ছোটরা অনুকরণপ্রিয়। অল্প বয়সে তাদের যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা তাদের মনে গেঁথে যাবে। এ জন্য তাদের ছোট থেকেই ইবাদতের প্রতি অভ্যস্ত করানো উচিত।
বিধর্মীদের অনুসরণ না করা : আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুটি রোজা রাখা। কেননা ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তাদের বৈসাদৃশ্যের জন্য দুটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২১৫৪)
আশুরার রোজার ফজিলত। (The rosary of Ashura) ||
youtube
আশুরা কী এবং এর তাৎপর্যের কারণ | 
https://www.youtube.com/watch?v=vsJtirr_xwU
আশুরার সঠিক ইতিহাস 
https://www.youtube.com/watch?v=YUPS20uVKHg
 
আশুরা সম্পর্কে
About Ashura
What Is Said In The Hadith About Ashura
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আশুরা কি
আশুরা (আরবি: عَاشُورَاء, ʿĀshūrāʾ, [ʕaːʃuːˈraːʔ]) হলো ইসলাম ধর্মে একটি স্মরণীয় দিবস। এটি প্রতি বছর ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের ১০ তারিখে ঘটে।
আশুরা সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে
What is said in the hadith about Ashura
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের দশম দিন আশুরা নামে পরিচিত। কোরআন-হাদিসে এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আশুরার দিনেরও আলাদা সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে।
মুসলমানদের নিকট দিনটি বেশ আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এ দিনে রোজা রাখার কথা বর্ণিত হয়েছে। মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত হাদিসগুলো পর্যালোচনা করলে আমাদের সামনে বেশ কিছু শিক্ষণীয় দিক ফুটে ওঠে। প্রথমে মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত দুটি হাদিস উল্লেখ করা হলো।
প্রথম হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) হিজরত করে মদিনায় এলেন এবং তিনি মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। তাদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এটা সেই দিন—যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে মুক্তি দিয়েছেন এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে ডুবিয়ে মেরেছেন। তাঁর সম্মানার্থে আমরা রোজা রাখি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমরা তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী।
’ এরপর তিনি এ দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৪৮) 
দ্বিতীয় হাদিস : রুবাইয়ি বিনতে মুআউয়িজ ইবনে আফরা (রা.) বলেন, আশুরার সকালে রাসুল (সা.) আনসারদের সকল পল্লীতে এই নির্দেশ দিলেন, যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি, সে যেন দিনের বাকি অংশ না খেয়ে থাকে, আর যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় সকাল শুরু করেছে সে যেন রোজা পূর্ণ করে। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৬০)
নবী-রাসুলের কাহিনিকে গুরুত্ব দেওয়া : নবী-রাসুলদের শরিয়ত ভিন্ন ভিন্ন হলেও তাঁদের দ্বিন ও দাওয়াতের মূল হলো তাওহিদ বা একত্মবাদ। সব নবী-রাসুলের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের অন্যতম রোকন। উল্লিখিত হাদিসে রাসুল (সা.) মুসা (আ.)-এর মুক্তি পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা আদায় করা : আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাদেরকে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাসুল (সা.) রোজা রাখাকে বৈধতা দিয়েছেন এবং সাহাবাদের রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহ কোনো নিয়ামত দান করলে বান্দার উচিত সে নিয়ামতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
শিরকের ভয়াবহতা : শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ। আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেও শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না। এই শিরকের কারণে আল্লাহ তাআলা ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
অত্যাচারীর পতন : বনি ইসরাইলের ওপর ফেরাউনের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের বর্ণনা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ ফেরাউনকে ধ্বংস করার মাধ্যমে বনি ইসরাইলকে মুক্তি দেন। এ থেকে বোঝা যায়, অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।
বাচ্চাদের খেলনা দেওয়া : হাদিসে বলা হয়েছে, বড়রা মহররমের রোজা রাখত, ছোটদের রোজা রাখতে উৎসাহিত করত। তাদের খেলনা দিয়ে রোজার কথা ভুলিয়ে রাখা হতো। এ থেকে বোঝা যায় ��োটদের খেলনা দেওয়া বৈধ।
ছোটদের রোজায় অভ্যস্ত করা : ছোটরা অনুকরণপ্রিয়। অল্প বয়সে তাদের যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা তাদের মনে গেঁথে যাবে। এ জন্য তাদের ছোট থেকেই ইবাদতের প্রতি অভ্যস্ত করানো উচিত।
বিধর্মীদের অনুসরণ না করা : আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুটি রোজা রাখা। কেননা ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তাদের বৈসাদৃশ্যের জন্য দুটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২১৫৪)
আশুরার রোজার ফজিলত। (The rosary of Ashura) ||
youtube
আশুরা কী এবং এর তাৎপর্যের কারণ | 
https://www.youtube.com/watch?v=vsJtirr_xwU
আশুরার সঠিক ইতিহাস 
https://www.youtube.com/watch?v=YUPS20uVKHg
 
আশুরা সম্পর্কে
About Ashura
What Is Said In The Hadith About Ashura
0 notes
ilyforallahswt · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আশুরা কি
আশুরা (আরবি: عَاشُورَاء, ʿĀshūrāʾ, [ʕaːʃuːˈraːʔ]) হলো ইসলাম ধর্মে একটি স্মরণীয় দিবস। এটি প্রতি বছর ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের ১০ তারিখে ঘটে।
আশুরা সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে
What is said in the hadith about Ashura
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের দশম দিন আশুরা নামে পরিচিত। কোরআন-হাদিসে এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আশুরার দিনেরও আলাদা সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে।
মুসলমানদের নিকট দিনটি বেশ আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এ দিনে রোজা রাখার কথা বর্ণিত হয়েছে। মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত হাদিসগুলো পর্যালোচনা করলে আমাদের সামনে বেশ কিছু শিক্ষণীয় দিক ফুটে ওঠে। প্রথমে মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত দুটি হাদিস উল্লেখ করা হলো।
প্রথম হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) হিজরত করে মদিনায় এলেন এবং তিনি মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। তাদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এটা সেই দিন—যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে মুক্তি দিয়েছেন এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে ডুবিয়ে মেরেছেন। তাঁর সম্মানার্থে আমরা রোজা রাখি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমরা তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী।
’ এরপর তিনি এ দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৪৮) 
দ্বিতীয় হাদিস : রুবাইয়ি বিনতে মুআউয়িজ ইবনে আফরা (রা.) বলেন, আশুরার সকালে রাসুল (সা.) আনসারদের সকল পল্লীতে এই নির্দেশ দিলেন, যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি, সে যেন দিনের বাকি অংশ না খেয়ে থাকে, আর যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় সকাল শুরু করেছে সে যেন রোজা পূর্ণ করে। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৬০)
নবী-রাসুলের কাহিনিকে গুরুত্ব দেওয়া : নবী-রাসুলদের শরিয়ত ভিন্ন ভিন্ন হলেও তাঁদের দ্বিন ও দাওয়াতের মূল হলো তাওহিদ বা একত্মবাদ। সব নবী-রাসুলের প্র���ি ঈমান আনা ঈমানের অন্যতম রোকন। উল্লিখিত হাদিসে রাসুল (সা.) মুসা (আ.)-এর মুক্তি পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা আদায় করা : আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাদেরকে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাসুল (সা.) রোজা রাখাকে বৈধতা দিয়েছেন এবং সাহাবাদের রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহ কোনো নিয়ামত দান করলে বান্দার উচিত সে নিয়ামতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
শিরকের ভয়াবহতা : শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ। আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেও শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না। এই শিরকের কারণে আল্লাহ তাআলা ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
অত্যাচারীর পতন : বনি ইসরাইলের ওপর ফেরাউনের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের বর্ণনা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ ফেরাউনকে ধ্বংস করার মাধ্যমে বনি ইসরাইলকে মুক্তি দেন। এ থেকে বোঝা যায়, অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।
বাচ্চাদের খেলনা দেওয়া : হাদিসে বলা হয়েছে, বড়রা মহররমের রোজা রাখত, ছোটদের রোজা রাখতে উৎসাহিত করত। তাদের খেলনা দিয়ে রোজার কথা ভুলিয়ে রাখা হতো। এ থেকে বোঝা যায় ছোটদের খেলনা দেওয়া বৈধ।
ছোটদের রোজায় অভ্যস্ত করা : ছোটরা অনুকরণপ্রিয়। অল্প বয়সে তাদের যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা তাদের মনে গেঁথে যাবে। এ জন্য তাদের ছোট থেকেই ইবাদতের প্রতি অভ্যস্ত করানো উচিত।
বিধর্মীদের অনুসরণ না করা : আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুটি রোজা রাখা। কেননা ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তাদের বৈসাদৃশ্যের জন্য দুটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২১৫৪)
আশুরার রোজার ফজিলত। (The rosary of Ashura) ||
youtube
আশুরা কী এবং এর তাৎপর্যের কারণ | 
https://www.youtube.com/watch?v=vsJtirr_xwU
আশুরার সঠিক ইতিহাস 
https://www.youtube.com/watch?v=YUPS20uVKHg
 
আশুরা সম্পর্কে
About Ashura
What Is Said In The Hadith About Ashura
0 notes
myreligionislam · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আশুরা কি
আশুরা (আরবি: عَاشُورَاء, ʿĀshūrāʾ, [ʕaːʃuːˈraːʔ]) হলো ইসলাম ধর্মে একটি স্মরণীয় দিবস। এটি প্রতি বছর ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের ১০ তারিখে ঘটে।
আশুরা সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে
What is said in the hadith about Ashura
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের দশম দিন আশুরা নামে পরিচিত। কোরআন-হাদিসে এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আশুরার দিনেরও আলাদা সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে।
মুসলমানদের নিকট দিনটি বেশ আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এ দিনে রোজা রাখার কথা বর্ণিত হয়েছে। মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত হাদিসগুলো পর্যালোচনা করলে আমাদের সামনে বেশ কিছু শিক্ষণীয় দিক ফুটে ওঠে। প্রথমে মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত দুটি হাদিস উল্লেখ করা হলো।
প্রথম হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাস��ল (সা.) হিজরত করে মদিনায় এলেন এবং তিনি মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। তাদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এটা সেই দিন—যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে মুক্তি দিয়েছেন এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে ডুবিয়ে মেরেছেন। তাঁর সম্মানার্থে আমরা রোজা রাখি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমরা তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী।
’ এরপর তিনি এ দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৪৮) 
দ্বিতীয় হাদিস : রুবাইয়ি বিনতে মুআউয়িজ ইবনে আফরা (রা.) বলেন, আশুরার সকালে রাসুল (সা.) আনসারদের সকল পল্লীতে এই নির্দেশ দিলেন, যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি, সে যেন দিনের বাকি অংশ না খেয়ে থাকে, আর যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় সকাল শুরু করেছে সে যেন রোজা পূর্ণ করে। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৬০)
নবী-রাসুলের কাহিনিকে গুরুত্ব দেওয়া : নবী-রাসুলদের শরিয়ত ভিন্ন ভিন্ন হলেও তাঁদের দ্বিন ও দাওয়াতের মূল হলো তাওহিদ বা একত্মবাদ। সব নবী-রাসুলের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের অন্যতম রোকন। উল্লিখিত হাদিসে রাসুল (সা.) মুসা (আ.)-এর মুক্তি পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা আদায় করা : আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাদেরকে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাসুল (সা.) রোজা রাখাকে বৈধতা দিয়েছেন এবং সাহাবাদের রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহ কোনো নিয়ামত দান করলে বান্দার উচিত সে নিয়ামতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
শিরকের ভয়াবহতা : শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ। আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেও শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না। এই শিরকের কারণে আল্লাহ তাআলা ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
অত্যাচারীর পতন : বনি ইসরাইলের ওপর ফেরাউনের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের বর্ণনা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ ফেরাউনকে ধ্বংস করার মাধ্যমে বনি ইসরাইলকে মুক্তি দেন। এ থেকে বোঝা যায়, অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।
বাচ্চাদের খেলনা দেওয়া : হাদিসে বলা হয়েছে, বড়রা মহররমের রোজা রাখত, ছোটদের রোজা রাখতে উৎসাহিত করত। তাদের খেলনা দিয়ে রোজার কথা ভুলিয়ে রাখা হতো। এ থেকে বোঝা যায় ছোটদের খেলনা দেওয়া বৈধ।
ছোটদের রোজায় অভ্যস্ত করা : ছোটরা অনুকরণপ্রিয়। অল্প বয়সে তাদের যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা তাদের মনে গেঁথে যাবে। এ জন্য তাদের ছোট থেকেই ইবাদতের প্রতি অভ্যস্ত করানো উচিত।
বিধর্মীদের অনুসরণ না করা : আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুটি রোজা রাখা। কেননা ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তাদের বৈসাদৃশ্যের জন্য দুটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২১৫৪)
আশুরার রোজার ফজিলত। (The rosary of Ashura) ||
youtube
আশুরা কী এবং এর তাৎপর্যের কারণ | 
https://www.youtube.com/watch?v=vsJtirr_xwU
আশুরার সঠিক ইতিহাস 
https://www.youtube.com/watch?v=YUPS20uVKHg
 
আশুরা সম্পর্কে
About Ashura
What Is Said In The Hadith About Ashura
0 notes
allahisourrabb · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আশুরা কি
আশুরা (আরবি: عَاشُورَاء, ʿĀshūrāʾ, [ʕaːʃuːˈraːʔ]) হলো ইসলাম ধর্মে একটি স্মরণীয় দিবস। এটি প্রতি বছর ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের ১০ তারিখে ঘটে।
আশুরা সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে
What is said in the hadith about Ashura
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের দশম দিন আশুরা নামে পরিচিত। কোরআন-হাদিসে এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আশুরার দিনেরও আলাদা সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে।
মুসলমানদের নিকট দিনটি বেশ আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এ দিনে রোজা রাখার কথা বর্ণিত হয়েছে। মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত হাদিসগুলো পর্যালোচনা করলে আমাদের সামনে বেশ কিছু শিক্ষণীয় দিক ফুটে ওঠে। প্রথমে মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত দুটি হাদিস উল্লেখ করা হলো।
প্রথম হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) হিজরত করে মদিনায় এলেন এবং তিনি মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। তাদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এটা সেই দিন—যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে মুক্তি দিয়েছেন এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে ডুবিয়ে মেরেছেন। তাঁর সম্মানার্থে আমরা রোজা রাখি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমরা তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী।
’ এরপর তিনি এ দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৪৮) 
দ্বিতীয় হাদিস : রুবাইয়ি বিনতে মুআউয়িজ ইবনে আফরা (রা.) বলেন, আশুরার সকালে রাসুল (সা.) আনসারদের সকল পল্লীতে এই নির্দেশ দিলেন, যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি, সে যেন দিনের বাকি অংশ না খেয়ে থাকে, আর যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় সকাল শুরু করেছে সে যেন রোজা পূর্ণ করে। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৬০)
নবী-রাসুলের কাহিনিকে গুরুত্ব দেওয়া : নবী-রাসুলদের শরিয়ত ভিন্ন ভিন্ন হলেও তাঁদের দ্বিন ও দাওয়াতের মূল হলো তাওহিদ বা একত্মবাদ। সব নবী-রাসুলের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের অন্যতম রোকন। উল্লিখিত হাদিসে রাসুল (সা.) মুসা (আ.)-এর মুক্তি পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা আদায় করা : আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাদেরকে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাসুল (সা.) রোজা রাখাকে বৈধতা দিয়েছেন এবং সাহাবাদের রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহ কোনো নিয়ামত দান করলে বান্দার উচিত সে নিয়ামতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
শিরকের ভয়াবহতা : শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ। আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেও শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না। এই শিরকের কারণে আল্লাহ তাআলা ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
অত্যাচারীর পতন : বনি ইসরাইলের ওপর ফেরাউনের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের বর্ণনা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ ফেরাউনকে ধ্বংস করার মাধ্যমে বনি ইসরাইলকে মুক্তি দেন। এ থেকে বোঝা যায়, অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।
বাচ্চাদের খেলনা দেওয়া : হাদিসে বলা হয়েছে, বড়রা মহররমের রোজা রাখত, ছোটদের রোজা রাখতে উৎসাহিত করত। তাদের খেলনা দিয়ে রোজার কথা ভুলিয়ে রাখা হতো। এ থেকে বোঝা যায় ছোটদের খেলনা দেওয়া বৈধ।
ছোটদের রোজায় অভ্যস্ত করা : ছোটরা অনুকরণপ্রিয়। অল্প বয়সে তাদের যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা তাদের মনে গেঁথে যাবে। এ জন্য তাদের ছোট থেকেই ইবাদতের প্রতি অভ্যস্ত করানো উচিত।
বিধর্মীদের অনুসরণ না করা : আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুটি রোজা রাখা। কেননা ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তাদের বৈসাদৃশ্যের জন্য দুটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২১৫৪)
আশুরার রোজার ফজিলত। (The rosary of Ashura) ||
youtube
আশুরা কী এবং এর তাৎপর্যের কারণ | 
https://www.youtube.com/watch?v=vsJtirr_xwU
আশুরার সঠিক ইতিহাস 
https://www.youtube.com/watch?v=YUPS20uVKHg
 
আশুরা সম্পর্কে
About Ashura
What Is Said In The Hadith About Ashura
0 notes
mylordisallah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আশুরা কি
আশুরা (আরবি: عَاشُورَاء, ʿĀshūrāʾ, [ʕaːʃuːˈraːʔ]) হলো ইসলাম ধর্মে একটি স্মরণীয় দিবস। এটি প্রতি বছর ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের ১০ তারিখে ঘটে।
আশুরা সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে
What is said in the hadith about Ashura
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের দশম দিন আশুরা নামে পরিচিত। কোরআন-হাদিসে এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আশুরার দিনেরও আলাদা সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে।
মুসলমানদের নিকট দিনটি বেশ আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এ দিনে রোজা রাখার কথা বর্ণিত হয়েছে। মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত হাদিসগুলো পর্যালোচনা করলে আমাদের সামনে বেশ কিছু শিক্ষণীয় দিক ফুটে ওঠে। প্রথমে মহররম ও আশুরা সংক্রান্ত দুটি হাদিস উল্লেখ করা হলো।
প্রথম হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) হিজরত করে মদিনায় এলেন এবং তিনি মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। তাদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এটা সেই দিন—যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে মুক্তি দিয়েছেন এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে ডুবিয়ে মেরেছেন। তাঁর সম্মানার্থে আমরা রোজা রাখি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমরা তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী।
’ এরপর তিনি এ দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৪৮) 
দ্বিতীয় হাদিস : রুবাইয়ি বিনতে মুআউয়িজ ইবনে আফরা (রা.) বলেন, আশুরার সকালে রাসুল (সা.) আনসারদের সকল পল্লীতে এই নির্দেশ দিলেন, যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি, সে যেন দিনের বাকি অংশ না খেয়ে থাকে, আর যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় সকাল শুরু করেছে সে যেন রোজা পূর্ণ করে। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৬০)
নবী-রাসুলের কাহিনিকে গুরুত্ব দেওয়া : নবী-রাসুলদের শরিয়ত ভিন্ন ভিন্ন হলেও তাঁদের দ্বিন ও দাওয়াতের মূল হলো তাওহিদ বা একত্মবাদ। সব নবী-রাসুলের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের অন্যতম রোকন। উল্লিখিত হাদিসে রাসুল (সা.) মুসা (আ.)-এর মুক্তি পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা আদায় করা : আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাদেরকে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাসুল (সা.) রোজা রাখাকে বৈধতা দিয়েছেন এবং সাহাবাদের রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহ কোনো নিয়ামত দান করলে বান্দার উচিত সে নিয়ামতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
শিরকের ভয়াবহতা : শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ। আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেও শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না। এই শিরকের কারণে আল্লাহ তাআলা ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
অত্যাচারীর পতন : বনি ইসরাইলের ওপর ফেরাউনের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের বর্ণনা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ ফেরাউনকে ধ্বংস করার মাধ্যমে বনি ইসরাইলকে মুক্তি দেন। এ থেকে বোঝা যায়, অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।
বাচ্চাদের খেলনা দেওয়া : হাদিসে বলা হয়েছে, বড়রা মহররমের রোজা রাখত, ছোটদের রোজা রাখতে উৎসাহিত করত। তাদের খেলনা দিয়ে রোজার কথা ভুলিয়ে রাখা হতো। এ থেকে বোঝা যায় ছোটদের খেলনা দেওয়া বৈধ।
ছোটদের রোজায় অভ্যস্ত করা : ছোটরা অনুকরণপ্রিয়। অল্প বয়সে তাদের যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা তাদের মনে গেঁথে যাবে। এ জন্য তাদের ছোট থেকেই ইবাদতের প্রতি অভ্যস্ত করানো উচিত।
বিধর্মীদের অনুসরণ না করা : আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুটি রোজা রাখা। কেননা ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তাদের বৈসাদৃশ্যের জন্য দুটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২১৫৪)
আশুরার রোজার ফজিলত। (The rosary of Ashura) ||
youtube
আশুরা কী এবং এর তাৎপর্যের কারণ | 
https://www.youtube.com/watch?v=vsJtirr_xwU
আশুরার সঠিক ইতিহাস 
https://www.youtube.com/watch?v=YUPS20uVKHg
 
আশুরা সম্পর্কে
About Ashura
What Is Said In The Hadith About Ashura
0 notes
dailynobobarta · 4 years ago
Text
মহররম মাসের ফজিলত!
New Post has been published on https://is.gd/WOyoFH
মহররম মাসের ফজিলত!
মহররম হিজরি বছরের প্রথম মাস। এ মাসে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রতিটি মুসলমানের একমাত্র চাওয়া-পাওয়া হলো তিনি যেন মুসলিম উম্মাহকে বছরজুড়ে রহমত বরকত ও কল্যাণ দ্বারা ঢেকে দেন। এ মাসে রোজা রাখা বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুমহান আদর্শ। হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী মহররমের ফজিলত তুলে ধরা হলো। আশুরার রোজা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হজরত রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় এসে দেখলেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখছেন। ��খন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমরা তো তাদের অপেক্ষা হজরত মূসা আলাইহিস সালাম এর অনুসরণের অধিক যোগ্য। এরপর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও এদিনে রোজা রাখলেন এবং অন্যদের ও রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। -বোখারি শরিফ, ১ম খ-, পৃ. ২৫৮ :: ৩ টি রোজা ইহুদি ও খ্রিস্টানরা এ দিবসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে রোজা রাখে। তাই অন্য এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহররমের ১০ তারিখের রোজার সঙ্গে ৯ অথবা ১১ তারিখকে মিলিয়ে রোজা রাখতে বলেছেন। একদিন রোজা রাখা মাকরুহ। -ফাতাওয়ায়ে শামী, ৩য় খ-, পৃ. ৩৩৫ :: আশুরার ফজিলত ইমাম বায়হাকী রহ. তাঁর শোআবুল ঈমান গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি খালেছ মনে উদার হস্তে আশুরার দিন দান-খয়রাত করবে, আল্লাহ পাক সারা বছর তার রুজি-রোজগারে বরকত দান করেন। হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আশুরার দিন এবং রমজান মাসে যেভাবে তার সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি, অন্য কোনো সময় দেখিনি’। (বুখারি, মুসলিম) হজরত আবু কাতাদাহ আল-আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আশুরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ইরশাদ করেন, এ রোজার মাধ্যমে বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ হয়। (ইবনে মাজাহ, মুসলিম শরিফ)। নবী করিম সা. ইরশাদ করেন, ‘রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রোজা রাখ। কারণ এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহতায়ালা একটি জাতির তাওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তাওবা কবুল করবেন।’ (জামে তিরমিজি ১/১৫৭)। উপরোল্লিখিত ঘটনা ও হাদিসগুলো পড়লেই বোঝা যায় এ মাস কত গুরুত্বপূর্ণ। আশুরার দিন কত ফজিলত ও বরকতময়। একই সঙ্গে এ মাসের তিনটি রোজার (৯.১০.১১ তারিখে) মধ্যে আল্লাহ কত ফজিলত রেখেছেন। আল্লাহ সবাইকে বিষয়গুলোর ওপর আমল করার তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমীন। মহররম হিজরি বর্ষের প্রথম মাস। নানা কারণে মাসটি অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমাসের ১০ তারিখ হলো পবিত্র আশুরা। এ দিনের সঙ্গে আছে পৃথিবী সূচনালঘ্নের বহু ইতিহাস ও ঘটনাবলি। যে কারণে মহররমকে আরবি মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস ধরা হয়। আসুন জেনে নেই এ মাসে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটনা ঘটেছে। ১) এ মাসে আশুরার দিন তথা ১০ তারিখে হজরত আদম আ. এর তওবা কবুল হয়েছে। বর্ণিত আছে, তিনি দীর্ঘ ৩০০ বছর কান্নার পর আশুরার দিকে তার তওবা কবুল হয়। ২) হজরত নূহ আ. এর জাহাজ মহাপ্লাবন থেকে মুক্তি পায়। প্লাবন শেষে জাহাজটি জুদি পাহাড়ে (বর্তমানে আরারাত পর্বতশ্রেণী) এসে ��্থির হয়। ৩) এ দিনে হজরত মূসা আ. ও বনি ইসরাইল ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্ত হন এবং ফেরাউন ও তার অনুচরবর্গ লোহিত সাগরে নিমজ্জিত হয়। ৪) এ দিনে হজরত ইউনুস আ. মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। ৫) এ দিনে হজরত ঈসা আ. জন্মগ্রহণ করেন এবং এ দিনেই তাকে আকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয়। ৬) আশুরার দিন পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কেরাম আ.ও রোজা রাখতেন। ৭) রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে উম্মতে মুহাম্মদির ওপর আশুরার রোজা ফরজ ছিল। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আশুরার রোজা নফল রোজায় পরিণত হয়। ৮) আরশ, কুরসী, আসমান-জমিন, চন্দ্রসূর্য, তারকা, বেহেশত এ দিনেই সৃষ্টি করা হয়েছে। ৯) এ দিনেই সর্বপ্রথম আসমান থেকে যমিনে বৃষ্টিপাত হয়েছিল। ১০) হযরত ঈসা আ. এ দিনেই পৃথিবীতে এসেছিলেন। এ দিনেই তাকে আসমানে তুলে নেয়া হয়েছিল। ১১) হযরত ইবরাহিম আ. এ দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নমরুদের অগ্নিকু- থেকে তিনি এ দিনেই মুক্তিলাভ করেছিলেন। ১২) এই দিনেই হযরত সোলাইমান আলাইহিস সালাম কে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বাদশাহী দেয়া হয়েছিল। ১৩) এই দিনেই হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম তাঁর চোখের দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিলেন। ১৪) এ দিনেই হযরত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র, বেহেশতি যুবকদের সরদার হযরত ইমাম হোসেইন রা. শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করেন। ইয়া আল্লাহ মহররম মাসের ফজিলতের উসিলায় আমাদের সকলের গুনাহ গুলো মাপ করুন আল্লাহুম্মা আমিন। লেখকঃ হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও গবেষক।
0 notes
amarbanglapost · 8 years ago
Photo
Tumblr media
মহররম মাস একটি ঘটনা বহুল ও তাৎপর্যপূর্ণ মাস। এই মাসের রয়েছে অনেক ইতিহাস ও ঘটনা ও ফজিলত। মহররম মাসের ঘটনা ও ফজিলত জানতে এই অডিও আলচনাটি শুনুন। 
 (via মহররম মাসের ফজিলত ও ইতিহাস by হাফিজুর রহমান | Amar Bangla Post)
0 notes
lalsobujerkotha · 4 years ago
Text
রজব মাসের ফজিলত ও আমল
রজব মাসের ফজিলত ও আমল
শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী : আরবি চান্দ্রবর্ষের সপ্তম মাস হলো রজব। রজব মাসের পূর্ণ নাম হলো ‘আর রজব আল মুরাজজাব’ বা ‘রজবুল মুরাজ্জাব’। ‘রজব’ অর্থ ‘সম্ভ্রান্ত’, ‘প্রাচুর্যময়’, ‘মহান’। ‘মুরাজ্জাব’ অর্থ ‘সম্মানিত’; ‘রজবে মুরাজ্জাব’ অর্থ হলো ‘প্রাচুর্যময় সম্মানিত মাস’। হারাম তথা সম্মানিত ও যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ মাসগুলোর অন্যতম হলো রজব। চারটি মাসকে হারাম মাস হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
Text
বরকতময় মহররমের শিক্ষা
ধর্ম ডেস্ক : হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররম�� ইসলামের তাৎপর্যপূর্ণ মাসগুলোর মধ্যে মহররম অন্যতম। মাসটি মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘মহররম’ শব্দের অর্থ পবিত্র, সম্মানিত। কুরআনে কারীমে এ মাসকে হারাম বা সম্মানিত মাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এ মাসের এক দিকে যেমন রয়েছে ফজিলত, তেমনি অন্য দিকেও রয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। মহররম মাস ফজিলতপূর্ণ বিধায় কুরআনে কারীমে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন,…
View On WordPress
0 notes
bartaprotikkhon · 6 years ago
Text
পবিত্র আশুরার ফজিলত ও আমল
পবিত্র আশুরার ফজিলত ও আমল
আল্লাহর ��ণনায় মাস ১২টি। এ বারোটি মাসের মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত ও মর্যাদাবান। মহররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ। মহররম একটি মহান বরকতময় মাস। হিজরি সনের প্রথম মাস । এটি কুরআনে বর্ণিত ‘আশহুরে হুরুম’ তথা হারামকৃত মাস চতুষ্ঠয়ের অন্যতম।
ভূমণ্ডল ও নভোমণ্ডলের সৃষ্টিকুলের প্রাথমিক বিভাজন-প্রক্রিয়ার সূচনা হয় আশুরায়। হজরত আদম (আ.)-এর সৃষ্টি, স্থিতি, উত্থান ও পৃথিবীতে অবতরণ—সব ঘটনাই ঘটেছিল আশুরায়। হজরত নুহ (আ.)-এর…
View On WordPress
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
যে কারণে আশুরার রোজা রাখবেন মহররম মাস অত্যন্ত সম্মানিত মাস। কুরআনুল কারিমে যে ৪টি মাসকে হারাম মাস বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তার একটি মহররম। তাই এ মাসের ইবাদত-বন্দেগিতে রোজা রাখার গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বেশি। কেননা তা পালনে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা হলো মহররম মাসের রোজা।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ) আশুরার রোজার ফজিলতই মানুষকে এ মাসে রোজা রাখতে বেশি উদ্বুদ্ধ করে। কারণ এ মাসের রোজা রাখার ফজিলত বর্ণনায় হাদিসে এসেছে- হজরত আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি আশা রাখি যে, আশুরার রোজা বিগত এক বছরের গোনাহের কাফ্ফারা হবে।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ) অন্য হাদিসে এসেছে- হজরত কাতাদাহ আল-আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরাফার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আরাফার দিনের রোজা বিগত এক বছর এবং আগামী এক বছরের গোনাহের কাফ্ফারা আর আশুরার রোজা বিগত এক বছরের গোনাহের কাফ্ফারা হবে।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ) হজরত মুসা আলাইহিস সালাম শত্রুর কবল থেকে রক্ষা পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে রোজা রেখেছিলেন এ দিন। যা মদিনার ইয়াহুদিরাও পালন করতেন। সে আশুরার রোজার মর্যাদা সম্পর্কে প্রিয়নবির ঘোষণাটি ছিল এমন- হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় আগমন করে দেখলেন, ইয়াহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কিসের রোজা? তারা বলল, এটা একটা উত্তম দিন। এদিন আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইল জাতিকে তাদের দুশমনের (ফেরাউন) কবল থেকে নাজাত দিয়েছেন। তাই মুসা আলাইহিস সালাম এ দিন রোজা রেখেছিলেন। তখন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের চেয়ে আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর (আদর্শ অনুসরণে) অধিক হকদার। কাজেই তিনি (প্রিয়নবি) নিজেও রোজা রাখলেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও রোজা রাখার আদেশ দিলেন।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ) আশুরার রোজা মর্যাদার বিষয়টি তুলে ধরে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরবর্তী বছর বেঁচে থাকলে যেভাবে রোজা পালন করবেন তার জোর তাগিদ দিয়ে বর্ণনা করেন। ‘ আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি এবং আমাকে আল্লাহ তাআলা বাঁচিয়ে রাখেন, তাহলে আমি অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই মহররমের ৯ ও ১০ তারিখ রোজা রাখব।’ (বুখারি) এখন চলছে মহররম মাস। এ মাসের রোজার নির্দেশ দিয়েছেন সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত এ মাসের ৯ ও ১০ তারিখ রোজা রাখব। যদি কেউ ৯ তারিখ রোজা রাখতেও না পারে তবে ১০ তারিখসহ ১১ তারিখ রোজা পালন করা জরুরি। ��র যদি কেউ শুধু ১০ তারিখও রোজা রাখে তবে সে ব্যক্তিও হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভ করবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মহররমের রোজা পালন করে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশের বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
0 notes
alorpothislam99 · 6 years ago
Video
youtube
মহররমের আশুরার রোজা পালনের নিয়ম মহররম মাসের ১০ তারিখ রোজা রাখার ফজিলত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখ আশুরার দিন **************************************************************** নতুন ভিডিও পেতে এই Channel টি Subscribe করুন:- **************************************************************** �� Ask Me A Question :- https://goo.gl/2627PZ ★ Subscribe Here :- https://www.youtube.com/AlorPothIslam ★★★Follow Us Social Network★★★ ★ Facebook page: https://ift.tt/2kOrGvu ★ Google+ : https://ift.tt/2xDAZ7H ★ Twitters : http://twitter.com/alorpothislam99 ★ Tumblr : https://ift.tt/2kOrHzy ★ Pinterest : https://ift.tt/2xEgZBC ★ Linkedin : https://ift.tt/2kOrI6A ★ Vk : https://ift.tt/2xEO6FC ★ Delicious : https://ift.tt/2kN0xsS ★ Ask.fm : https://ift.tt/2xFjund **************************************************************** আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ -------------------------------------------------------------------------------- *** ভিডিওটি "Alor Poth Islam" ইউটিউব চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই চ্যানেলের জন্য নির্মিত । -------------------------------------------------------------------------------- ***"Alor Poth Islam" ইউটিউব চ্যানেল সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণে পরিচালিত। পবিত্র কুরআনুল কারীম-এ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ "নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতিরেকে কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে হত্যা করল। আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে রক্ষা করল"। ( সূরা মায়েদাহঃ ৩২)। সুতরাং "Alor Poth Islam" কোন প্রকার জঙ্গিবাদ সমর্থন করেনা। ***এই চ্যানেলে প্রকাশিত বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যসমূহ শুধুমাত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস ভিত্তিক নির্বাচিত। কোন বক্তার ব্যক্তিগত কোন অভিমতের জন্য চ্যানেল কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। ------------------------------------------------------------------------------------------ এই ইউটিউব চ্যানেলটি বিশেষ মতাবলম্বী, রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের আওতাভুক্ত নয়... এখানে প্রাপ্ত সকল ভিডিও এর মৌলিক উদ্দেশ্য ইসলামিক জ্ঞান অর্জন । **************************************************************** হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) ----------------------------------------- ***আশুরার নফল রোজা*** =================== আশুরা অর্থ দশম ও দশমী। ইসলামের ইতিহাসে আশুরা দ্বারা মহররম মাসের ১০ তারিখ বোঝানো হয়। মুজতাহিদ ফকিহগণের মতে, আশুরা রোজার সঙ্গে ৯ তারিখ বা ১১ তারিখ আরও একটি রোজা রাখা সুন্নত। অর্থাৎ দুইটি রোজা রাখতে হবেঃ ৯ ও ১০ / ১০ ও ১১ ====================== LIKE - SHARE - SUBSCRIBE ======================
0 notes
dailynobobarta · 7 years ago
Text
পবিত্র জিলকদ মাসের ফজিলত ও আমল
পবিত্র জিলকদ মাসের ফজিলত ও আমল
পবিত্র জিলকদ হলো আরবি চান্দ্রবছরের একাদশ মাস। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) দ্বিতীয় মাস এবং জিলহজের (হজের মাস) জোড়া মাস। হারাম বা নিষিদ্ধ চার মাসের তৃতীয় মাস হলো এই মাস। হারাম চার মাস হলো মহররম (১ম মাস), রজব (৭ম মাস), জিলকদ (১১তম মাস) ও জিলহজ (১২তম মাস)। হারাম চার মাসের মধ্যে যে তিনটি মাস একসঙ্গে, তার সূচনা মাস হলো জিলকদ মাস। ঈদুল ফিতর (শাওয়াল মাস) ও ঈদুল আজহার (জিলহজ মাস) মাঝামাঝিতে…
View On WordPress
0 notes
amarbanglapost · 8 years ago
Photo
Tumblr media
মহররম মাস একটি ঘটনা বহুল ও তাৎপর্যপূর্ণ মাস। এই মাসের রয়েছে অনেক ইতিহাস ও ঘটনা ও ফজিলত। মহররম মাসের ঘটনা ও ফজিলত জানতে এই অডিও আলোচনাটি শুনুন। 
(via মহররম মাসের ফজিলত ও ইতিহাস by হাফিজুর রহমান | Amar Bangla Post)
0 notes
alorpothislam99 · 6 years ago
Video
youtube
আশুরার রোজার গুরুত্ব মহররম মাসের ১০ তারিখ রোজা রাখার ফজিলত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখ আশুরার দিন **************************************************************** নতুন ভিডিও পেতে এই Channel টি Subscribe করুন:- **************************************************************** ★ Ask Me A Question :- https://goo.gl/2627PZ ★ Subscribe Here :- https://www.youtube.com/AlorPothIslam ★★★Follow Us Social Network★★★ ★ Facebook page: https://ift.tt/2kOrGvu ★ Google+ : https://ift.tt/2xDAZ7H ★ Twitters : http://twitter.com/alorpothislam99 ★ Tumblr : https://ift.tt/2kOrHzy ★ Pinterest : https://ift.tt/2xEgZBC ★ Linkedin : https://ift.tt/2kOrI6A ★ Vk : https://ift.tt/2xEO6FC ★ Delicious : https://ift.tt/2kN0xsS ★ Ask.fm : https://ift.tt/2xFjund **************************************************************** আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ -------------------------------------------------------------------------------- *** ভিডিওটি "Alor Poth Islam" ইউটিউব চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই চ্যানেলের জন্য নির্মিত । -------------------------------------------------------------------------------- ***"Alor Poth Islam" ইউটিউব চ্যানেল সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণে পরিচালিত। পবিত্র কুরআনুল কারীম-এ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ "নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতিরেকে কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে হত্যা করল। আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে রক্ষা করল"। ( সূরা মায়েদাহঃ ৩২)। সুতরাং "Alor Poth Islam" কোন প্রকার জঙ্গিবাদ সমর্থন করেনা। ***এই চ্যানেলে প্রকাশিত বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যসমূহ শুধুমাত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস ভিত্তিক নির্বাচিত। কোন বক্তার ব্যক্তিগত কোন অভিমতের জন্য চ্যানেল কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। ------------------------------------------------------------------------------------------ এই ইউটিউব চ্যানেলটি বিশেষ মতাবলম্বী, রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের আওতাভুক্ত নয়... এখানে প্রাপ্ত সকল ভিডিও এর মৌলিক উদ্দেশ্য ইসলামিক জ্ঞান অর্জন । **************************************************************** হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) ------------------------------------- আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: . “জাহেলিয়াতের (মূর্খতার) যুগে কুরাইশগণ আশুরা‘র রোযা পালন করত। ইসলামের প্রথম যুগে আল্লাহর রাসূল-ও তা পালন করতেন। মদীনায় হিজরতের পরও পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করতে বলেছেন। অতঃপর যখন রামাদানের রোযা ফরজ করা হলো, তখন আশুরা‘র রোযা ত্যাগ করেন। সুতরাং এখন যে চায় পালন করতে পারে, যে চায় ছেড়ে দিতে পারে।” -গ্রন্থঃ সহীহুল বুখারীঃ ( তাও. ২০০২, ই.ফা. ১৮৭৩, আ.প্র. ১৮৬১ ) ***আশুরার নফল রোজা*** =================== আশুরা অর্থ দশম ও দশমী। ইসলামের ইতিহাসে আশুরা দ্বারা মহররম মাসের ১০ তারিখ বোঝানো হয়। মুজতাহিদ ফকিহগণের মতে, আশুরা রোজার সঙ্গে ৯ তারিখ বা ১১ তারিখ আরও একটি রোজা রাখা সুন্নত। অর্থাৎ দুইটি রোজা রাখতে হবেঃ ৯ ও ১০ / ১০ ও ১১ ====================== LIKE - SHARE - SUBSCRIBE ======================
0 notes