#ভোটের সময়সূচী

[my-column-feature-and-blog]

চাকসু নির্বাচন : নিকট ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা না দূরাশা?

৬ দফা আন্দোলনের উত্তাল বছরে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। একই বছর, ১৯৬৬ সালে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন, অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা এবং নেতৃত্ব বিকাশের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারী সামরিক সরকারবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হিসেবে চাকসু ভবনটি আজ টিকে থাকলেও হারিয়ে গেছে তার পূর্বের গৌরব। বর্তমানে চা পান, আড্ডা, সময়ক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এই ভবনটি। এমনকি করোনাকালে বিবাহের কমিউনিটি সেন্টার হিসেবেও একে ব্যবহার করা হয়েছে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী চাকসু'র কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের কমনরুমের বন্দো��স্ত করা, মনোরঞ্জনের জন্য ইনডোর গেমস ও সংবাদপত্র পাঠের ব্যবস্থা, জার্নাল এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকা প্রকাশ, বিতর্কের আয়োজন ও সামাজিক, রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন এবং জাতীয় অনুষ্ঠান উৎযাপন ইত্যাদি। এছাড়াও হল সংসদগুলোতে চাকসুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী।

পদাধিকারবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চাকসু-এর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সদস্যরা সরাসরি ভোট দিয়ে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং অন্যান্য পদ নির্বাচন করেন। প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে এবং সর্বশেষ ১৯৯০ সালে, মোট ৬ বার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য এই শতাব্দীতে কোন চাকসু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়নি।

যেখানে সকল শিক্ষার্থীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে চাকসুর কার্যকরী কমিটি গঠন করার কথা, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির নির্বাচন হলেও বিগত ২৪ বছর ধরে চাকসুতে কোন নির্বাচন হচ্ছে না। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন।

নতুন চাকসু কমিটি গঠিত না হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হওয়া আজ দূরাশা।

চাকসুর সংবিধান অনুযায়ী এই সংসদ কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী নয় বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিতান্তই নিজের মতামত প্রকাশ ও অধিকার আদায়ের স্থান। চাকসু কমিটির অভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে কোন নতুন নেতৃত্ব উঠে আসছে না। এর বদলে কালের বিবর্তনে এখানে স্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন, যারা নিজেদের মতাদর্শের প্রচার ও প্রসারেই বেশি আগ্রহী। এসব রাজনৈতিক ছাত্র-নেতৃবৃন্দ হলের সিট সংকট, শাটল ট্রেনের সময়সূচী বিপর্যয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত সমস্যা সমাধানে উদাসীন। তাই চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা আজ হারিয়েছে মত প্রকাশের অধিকার, গণতান্ত্রিক সামর্থ্য।

বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চাকসু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৩ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যেও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কিন্তু কার্যকর ক্ষেত্রে এর কোন ফলাফল আজও দৃষ্টিগোচর হয়নি। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা সপ্তম চাকসু নির্বাচন দেখে যেতে পারবে কিনা, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

[wing-news]

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বড় বৈঠক, আজ প্রকাশিত হবে নতুন ভোটার তালিকা

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বড় বৈঠক, আজ প্রকাশিত হবে নতুন ভোটার তালিকা

বিধানসভা নির্বাচন 2022: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামীকাল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১০টি বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও সে আলোচনা শেষ না হওয়ায় এখন বুধবারও এ আলোচনা চলতে পারে।