#বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন
Explore tagged Tumblr posts
Text
ফারুক খানসহ জাল মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের আ. লীগের কমিটিতে পদায়ন না করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
ফারুক খানসহ জাল মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের আ. লীগের কমিটিতে পদায়ন না করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর ২২তম জাতীয় সম্মেলন পরবর্তী কমিটিতে ফারুক খানসহ জাল মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের সংগঠনে পদায়ন না করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, কেন্দ্রীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, কেন্দ্রীয় কমিটির…
View On WordPress
0 notes
Text
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শীর্ষ পদ পেতে চলছে নেতাদের দৌড়ঝাঁপ
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০ম সম্মেলন আজ
জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আজ। আজ ৬ ডিসেম্বর(২০২২) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। ১৯৪৮…
View On WordPress
0 notes
Text
জাতীয় পতাকা ও পায়রা উড়িয়ে মহিলা আ.লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পতাকা ও পায়রা উড়িয়ে মহিলা আ.লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজ রাজশাহী ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল তিনটার কিছু আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে জাতীয় পতাকা ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর সভামঞ্চে বসেন তিনি। সম্মেলনতে ঘিরে সংগঠনটির হাজার হাজার নারী নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তাদের পদচারণায়…
View On WordPress
0 notes
Text
রাজশাহীতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১-এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
রাজশাহীতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১-এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
টপ নিউজ ডেস্কঃ রাজশাহীতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটির আয়োজনে মহানগরীর বোয়ালিয়া, মতিহার, রাজপাড়া, শাহ মখদুম ও চন্দ্রিমা থানা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর আলুপট্টি মোড়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান…
View On WordPress
0 notes
Text
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টারঃ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে অনলাইন,…
View On WordPress
0 notes
Text
ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে বয়স নিয়ে ধোঁয়াশা
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে শতাধিক পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী। এদের মধ্যে অনেকের ছাত্রত্ব শেষ আবার কারও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বয়স শেষ। যদিও বিভিন্ন সম্মেলনে গঠনতন্ত্রের বাইরে দুই এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
0 notes
Text
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন সেতুমন্ত্রী
নিউজনাউ ডেস্ক: নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং এর উদ্বোধনের মাধ্যমে জনগণের স্বপ্নপূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার সকালে রাজধানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই…
View On WordPress
0 notes
Text
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন ওবায়দুল কাদের
বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে জনগণের স্বপ্ন পূরণ করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে…
View On WordPress
0 notes
Text
সিরাজগঞ্জ পৌর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
সিরাজগঞ্জ পৌর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
সেলিম রেজা : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিরাজগঞ্জ পৌর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৬ ফেব্রয়ারী) সকাল ১১টায় শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকার উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব দানিউল হক মোল্লা পরিচালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক সিরাজগঞ্জ জেলা…
View On WordPress
0 notes
Text
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন আ'লীগের ২ নং ওয়ার্ড শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলন
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন আ’লীগের ২ নং ওয়ার্ড শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলন
খলিল সাভার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ অক্টোবর শুক্রবার বাদ আছর রাজফুলবাড়িয়ার মোহাম্মদ আলী ইয়াকুব আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এই ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।উদ্বোধন করেন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাফ হোসেন বেপারীর।সভাপতিত্ব করেন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জগদীশ চন্দ্র ধর তুলসী। প্রধান…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/134323
শেখ হাসিনা যতদিন আছে, ততদিন ক্ষমতায় আছি: হানিফ
.
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছে, ততদিন ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতায় থেকে সংগঠন দুর্বল বা সবল বুঝা যাচ্ছে না। যার কারণে সংগঠনের দিকে সবার নজর একটু কম। যার ফলে অনেক জেলায় দেখেছি ১৫ ও ২০ বছর হয়ে গেছে, কমিটির কোনও পরিবর্তন নেই। সংগঠনের যে কার্যপদ্ধতি সেটাও কোন রকমে চলছে।
রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, প্রতি তিন বছর পর পর সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংগঠনকে শক্তিশালী করা। যারা কর্মঠ ও যোগ্য তাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা এবং দুর্বল বা কাজ করতে যাদের আগ্রহ নেই, তাদের ধীরে ধীরে পিছনের কাতারে নিয়ে যাওয়া।
সম্মেলন যদি না হয় তাহলে যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ থাকে না। চট্টগ্রামে বহু নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেওয়ার মতো, কিন্তু আপনাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা বা নিষ্ক্রিয়তার কারণে মূল্যায়ন হচ্ছে না। প্রতি তিন বছর পর পর সম্মেলন হলে যোগ্য নেতৃত্ব চলে আসবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ মাহমুদ আল স্বপন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রমুখ।
0 notes
Text
কেন্দ্রীয় পদ ছেড়ে ঢাবির পদ পেতে ইচ্ছুক এক ঝাঁক নেতা
#ঢাবি #ছাত্রলীগ #সম্মেলন
জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুপার ইউনিট হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বহুল প্রত্যাশিত সম্মেলন আজ ৩ ডিসেম্বর(২০২২) বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ…
View On WordPress
0 notes
Text
রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ২১ নভেম্বর
রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ২১ নভেম্বর
নিউজ রাজশাহী ডেস্কঃ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগগের সম্মেলনের সময় ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২১ নভেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন…
View On WordPress
0 notes
Text
তানোরে চলছে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
তানোরে চলছে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলায় চলছে তানোর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সকালে প্রেসিডিয়ামের সদস্য ও রাসিক মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. কামাল হোসেন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও তানোর-গোদাগাড়ি, রাজশাহী-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত…
View On WordPress
0 notes
Text
চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মোঃ ইসরাফিল হোসেনঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৩৫ থেকে ৪০ দিনের ডিজেলের রিজার্ভ আছে। ব্যাংকে তিন মাসের ডলার রিজার্ভ থাকলে সেই দেশকে স্থিতিশীল দেশ বলা হয়। সেখানে বাংলাদেশের ৯ মাসের ডলারের রিজার্ভ নেত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংকে রেখেছেন। সাম্প্রতিকালে বিশ্ব বাজারে ত���লের দাম বেড়েছে।…
View On WordPress
0 notes
Text
5 of the great politician of Bangladesh Awamileague who is died
১.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (তিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন। মাতা সায়েরা খাতুন। এই দম্পতির চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে মুজিব ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী;তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের।
১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। ৯ বছর বয়সে ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন তিনি। এখানে ৫ বছর শিক্ষা জীবন শেষ করে ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন মুজিব। চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি কছিলেন তিনি। এ কারণে ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ পর্যন্ত চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেন নি। ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৪ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৪৬ সালে বি.এ পাশ করেন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা ত্যাগ করে ঢাকা আগমন অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে "ল" ক্লাশে ভর্তি হন।
১৯৩৮ সালে ১৮ বছর বয়সে বেগম ফজিলাতুন্নেছার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন শেখ মুজিবুর রহমান। তাদের ২ মেয়ে- শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তিন ছেলে- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।
অল্পবয়স থেকেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভা�� প্রকাশ ঘটতে থাকে। ১৯৪০ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। কট্টরপন্থী এই সংগঠন ছেড়ে ১৯৪৩ সালে যোগ দেন উদারপন্থী ও প্রগতিশীল সংগঠন বেঙ্গল মুসলিম লীগে। এখানেই সান্নিধ্যে আসেন হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর। ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারি 'পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ' গঠন করেন। তিনিই ছিলেন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । পঞ্চাশের দশক তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের কাল। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন দূরদর্শীতা এক রাজনৈতিক নেতা। এসময় শেখ মুজিব “মুসলিম লীগ” ছেড়ে দেন এবং হোসেন সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানীর সাথে মিলে গঠন করেন “আওয়ামী মুসলিম লীগ”। তিনি দলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কৃষি মন্ত্রী হন মুজিব। ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৬৩ সালে হোসেন সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান।
ভাষা আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালে ভাষার প্রশ্নে তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম প্রতিবাদ এবং ছাত্র ধর্মঘট শুরু হয় যা চূড়ান্ত রূপ নেয় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে। যার ফলসূতিতে বাঙালি জাতি আজ বাংলা ভাষায় কথা বলছেন।
৬ দফা:
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনেই শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ছয় ৬ দাবী পেশ করেন যা��ে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসনের পরিপূর্ণ রূপরে��া উল্লেখিত হয়েছিল। শেখ মুজিব এই দাবিকে "আমাদের বাঁচার দাবি" শিরোনামে প্রচার করেছিলেন। এ দাবি আদায়ে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল।
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উত্থাপিত হয় ১১ দফা দাবি যার মধ্যে ৬ দফার সবগুলো দফায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। লাখো মানুষের এই জমায়েতে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় এবং শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। তার অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এ সরকারের অধীনে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী এবং শুরু হয় পাকিস্তানের প্রতিহত করার পালা।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। মুজিবের নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতির এই জাগরণে ভীত ইয়াহিয়া খান সামরিক আইন জারি করেন, নিষিদ্ধ করেন আওয়ামী লীগকে এবং শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এরপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চরাতের অন্ধকারে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনারা; শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।অশীতিপর বৃদ্ধ থেকে কোলের শিশু- কেউ রক্ষা পায়না পাক হায়েনাদের নারকীয়তা থেকে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাক বাহিনী কতৃক ধানমন্ডিস্থ স্বীয় বাসভবন থেকে পাকিস্থান সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর, ৩০ লক্ষ বাঙ্গালীর প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে আসে বিজয়। ১৬ ডিসেম্বর সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেখান থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেখানেই বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামের নতুন একটি দেশ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা হত্যা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেই সময়ে দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। সদ্য স্বাধীন হওয়া বাঙালি জাতির জীবনে এক অপূরণীয় ক্ষতি নিয়ে আসে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড। দেশে তৈরি হয় রাজনৈতিক শূণ্যতা, ��্যাহত হয় গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ধারা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালি জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনো পূরণীয় নয়।
২.জিল্লুর রহমান
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি 'জিল্লুর রহমান" ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মেহের আলী মিঞা ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও তৎকালীন ময়মনসিংহ লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলাবোর্ডের সদস্য।
জিল্লুর রহমান ময়মনসিংহ জেলা শহরে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৯৪৫ সালে ভৈরব কেবি হাইস্কুল থেকে তিনি মেট্রিক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আমতলায় ১৯৫২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এক ছাত্র সমাবেশেজিল্লুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সেখানেই ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারিতে ফজলুল হক ও ঢাকা হলের পুকুর পাড়ে যে ১১ জন নেতার নেতৃত্বে ২১ ফেব্রুয়ারির ১৪৪ ধারা ভঙ্গেরসিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেখানে জিল্লুর রহমান অন্যতম নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৫৩ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অপরাধে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন এবং একই সঙ্গে তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রী কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু প্রবল আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রী ফিরিয়ে দেয়।
তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ষাটের দশকে তিনি ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৪৬ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র থাকাকালে সিলেটে গণভোটের কাজকরার সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন।১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণআন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।
মোঃ জিল্লুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি মুজিবনগর সরকার পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং জয় বাংলা পত্রিকার প্রকাশনারসঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় দখলদার পাকিস্তান সরকার তাঁরসংসদ সদস্য পদ বাতিল করে ২০ বছর কারাদ- প্রদান ও তাঁর সকলসম্পত্তি বা��েয়াফত করে।
১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণয়নে অংশ নেন। ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি মহান জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরী আইন জারির পর ওই বছরের ১৬ জুলাই রাতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে দল পরিচালনা করেন। দীর্ঘ ১১ মাস শেখ হাসিনার জেলজীবন এবং চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৬ মাস দেশের বাইরে অবস্থানকালেভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান দলকে ঐক্যবদ্ধরাখেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল অবদান রাখেন এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অবিস্মরণীয় বিজয় লাভ করে। এই নির্বাচনে তিনি ৬ষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পূর্ব পর্যন্ততিনি নবম জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালেজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জনাব জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগের প্রথম সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর প্রায় চার বছর মোঃ জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য থাকাকালে মোঃ জিল্লুর রহমান আবারও কারাবরণ করেন। ১৯৯২ এবং ১৯৯৭ সালে দলীয় কাউন্সিলে জিল্লুর রহমান পর পর দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী বিশিষ্ট নারী নেত্রী বেগম আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর নারকীয় গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে দু’দিন পর মৃত্যুবরণ করেন। জিল্লুর রহমান ছিলেন এক পুত্র এবং দুই কন্যার জনক।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করলে জিল্লুর রহমান সংসদ উপনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন।এর পর তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন ।
দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মহান এই মানুষ টি ১০ ই মার্চ, ২০১৩ তারিখে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনি ও মূত্রপ্রদাহে আক্রান্তজনিত কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন তিনি। ২০ ই মার্চ, ২০১৩ তারিখে তাঁর দেহাবসান ঘটে। সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহবুব উজ জামান স্থানীয় সময় ৬:৪৭ ঘটিকায় জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পূর্বেই ১৪ মার্চ, ২০১৩ তারিখে জাতীয় সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
৩.সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারি ��য়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বাংলাদেশের মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যখন আব্দুল জলিল গ্রেপ্তার হন, তখন সৈয়দ আশরাফুল আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তার ছেলে সৈয়দ আশরাফ ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী। তিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এর পূর্বে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে আশরাফুলের পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছিল। পিতার মৃত্যুর পর সৈয়দ আশরাফুল যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং লন্ডনের হ্যামলেট টাওয়ারে বসবাস শুরু করেন।লন্ডনে বসবাস কালে তিনি বাংলা কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। সে সময় তিনি লন্ডনস্থ বাংলাদেশ যুব লীগের সদস্য ছিলেন। আশরাফুল সাহেব ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ইয়ুথ অর্গানাইজেশন (এফবিওয়াইইউ) এর শিক্ষা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৯৬ সালে আশরাফুল সাহেব দেশে ফিরে আসেন এবং জুন ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি ২০০১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠিত হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পুনরায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
২০১৫ সালের ৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করেন। এক মাস এক সপ্তাহ দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকার পর ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নিজের অধীনে রাখা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।
ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দ আশরাফুল ব্রিটিশ ভারতীয় শীলা ঠাকুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শীলা লন্ডনে শিক্ষকতা করতেন। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে (রীমা ঠাকুর), যে লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন।সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন শেখ হাসিনার দুঃসময়ের সহযাত্রী, একজন নির্ভরযোগ্য ও আস্থাভাজন মানুষ।ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী (২০০৭) আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে জিল্লুর রহমানের (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি) সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি দলের হা�� ধরেছিলেন। দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়নের যে খেলা তখন চলেছিল, তার বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন তিনি।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি ২০১৮ সালে ১৮ই সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। এই অসুস্থতা নিয়েই ২০১৯ সালের ৩রা জানুয়ারি রাতে (বৃহস্পতিবার) না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি দেশে না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন দল ও জোটের নেতৃবৃন্দ।
৪.সৈয়দ নজরুল ইসলাম
১৯২৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার যমোদল দামপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম যিনি ছিলেন মুজিবনগরের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে এমএ (ইতিহাস) এবং ১৯৫৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৬-৪৭ সালে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মুসলিম ছাত্রলীগের সম্পাদক নির্বাচিত হন।
ভাষা আন্দোলন কালে গঠিত সর্বদলীয় অ্যাকশন কমিটির সদস্য হিসেবে ভাষা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কর বিভাগে অফিসার পদ লাভ করেন। ১৯৫১ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি ময়মনসিংহে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৬৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং তারপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত উক্ত পদে সমাসীন ছিলেন।
১৯��৬ সাল থেকে ৬-দফা আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে আই���ুব সরকার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবসহবহুসংখ্যক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্কটময় সময়ে (১৯৬৬-৬৯) সৈয়দ নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন কমিটি’ নামে একটি সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করে এবং এর অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী গণ-আন্দোলনে (জানুয়ারি-মার্চ, ১৯৬৯) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিরসনের লক্ষ্যে রাওয়াল পিন্ডিতে সরকারের সাথে বিরোধী দলগুলোর গোলটেবিল বৈঠকে(২৬ ফেব্রুয়ারি, ১০-১৩ মার্চ, ১৯৬৯) তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৭ নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি গণপরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের উপনেতা নির্বাচিত হন।১৯৭১-এর অসহযোগ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইয়াহিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে (১৯ মার্চ, ১৯৭১) সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সঙ্গী। ২৫ মার্চ (১৯৭১) শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারগঠিত হয়। নবগঠিত এই সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় তার অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।
স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের নতুনমন্ত্রি পরিষদে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনিএ দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনে তিনি নিরলস কাজ করেছেন। ১৯৭২সালে তিনি আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির উপনেতা নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালে সাধারণ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২৮ নির্বাচনী এলাকাথেকে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদে দলের উপনেতা নির্বাচিতহন। তিনি শিল্পমন্ত্রী থাকা কালীন শিল্প-কারখানা জাতীয়করণ করাহয়। ১৯৭৫ সালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি হন।ওই বছর বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি এর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য কর্তৃক সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হন। এরপর দেশে সামরিক আইন জারি করা হয় এবং খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রপতি হয়ে পুরোনো সহকর্মীদের কয়েকজনকে তার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ চার নেতা (তাজউদ্দিন আহমদ,এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান) উক্ত মন্ত্রিসভায় যোগদানে অস্বীকৃতি জানালে ২৩ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মহান এই নেতাকে পরে বনানী গোরস্তানে সমাহিত করা হয়।
৫.আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু
একজন আদর্শ জনপ্রিয় রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধ���, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণমানুষের অতি কাছের মানুষ জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ১৯৪৫ সালের পহেলা মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আনোয়ারা হাইলধর গ্রামে। ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই ছোট্ট ছেলেটি যে একদিন গরিবের সাথী হবে এবং বাংলা কে করে তুলবে গর্বিত তা কেউ কল্পনাও করেনি তখন।
আইনজীবী এবং তার পাশাপাশি নিজের অঞ্চলের জমিদার ছিলেন তার পিতার নুরুজ্জামান চৌধুরী, তার মাতার নাম খোরশেদা বেগম, যিনি ছিলেন একজন গৃহিনী। ধনী পরিবারের সন্তান মোঃ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ছোট থেকেই সুশিক্ষায় বড় হয়েছেন। তার বাবা-মা যথেষ্ট আদব কায়দা শিখিয়ে বড় করেছিলেন তাকে।
পড়ালেখা জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, তাই চৌধুরী বাবু উচ্চমানের শিক্ষা অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী একজন ছাত্র। ১৯৫৮ সালে তিনি পটিয়া হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ঐ বছরই ঢাকার সুপ্রতিষ্ঠিত নটরডেম কলেজে ভর্তি হন। পড়ালেখার প্রতি তার আগ্রহ ছিলো বিধায় ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে পড়ার সময় তিনি বৃত্তি পেয়েছিলেন এতে তিনি আমেরিকার ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। তারপরে তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে বিজসেন এডমিনিষ্ট্রেশনে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় ভালো মতো পড়ালেখা শেষ করে গর্বের সাথে ওখান থেকে এসোসিয়েট ডিগ্রি নিয়ে নিজের মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বর মাস এ।
তিনি ব্যক্তি জীবনে ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক।
তিনি বাংলাদেশের সনামধন্য শিল্পপতি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর উপজেলার মরহুম আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দ্বিতীয় কন্যা "নুর নাহার জামান" এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। একজন আদর্শ বাবা এবং স্বামী হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করেছিলেন।
নিজের দেশের প্রতি ছিলো আলাদা এক টান। যার ফলে তিনি মাধ্যমিক এ পড়াকালীন সময়েই ১৯৫৮ সালে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এই থেকে শুরু হয়েছিলো তার রাজনৈতিক জীবন। তিনি তার যৌবনকাল থেকেই রাজনীতিকে ভালোবাসতেন। তার পড়ালেখা শেষ করে বড় ভাইয়ের সাথে ব্যবসা করতে করতে তিনি আবারো যুক্ত হয়ে যান রাজনীতি তেই। কারণ মনেট টান তো আর কমেনা। যে যেই জিনিসে নেশাভূক্তি ভাগ্য তাকে সেই জিনিসেই টেনে নিয়ে আসে। তাই তিনি ১৯৬৭ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগ এ। এরপর থেকে শুরু হয় স্থায়ীভাবে "আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু"র রাজনৈতিক পথচলা।
১৯৭০ সালে "আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু" সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিম পটিয়া এবং আনোয়ারা থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই ছিলো তার রাজনৈতিক যাত্রার শুরু। তাছাড়া এর আগে তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে ���৯৭৫ সাল পর্যন্ত হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বাধীনতার পরেও তিনি হা��লধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং থানা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনি তার পদের দায়িত্ব বেশ ভালোভাবে পরিচালনা করেছিলেন।
তিনি ছিলেন ১৯৭১ সাল এর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। যখন মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে অসহযোগ আন্দোলন চলছিলো তখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী সংগ্রাম কমিটির কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন তার পাথরঘাটাস্থ জুপিটার হাউজ থেকে। আখতারুজ্জামান এর নিজ বাসকেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ সব জায়গায় পাঠানো হয় স্বাধীনতার ঘোষণা। জাতির পিতা এবং জাতির নেতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রাম এ আসার পরে আখতারুজ্জামান এর জুপিটার হাউজ থেকে তা সাইক্লোস্টাইল করে প্রচার করা হয়।
এছাড়া বিশ্বের মানুষের সাথে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি বিলেত এ পাড়ি দেন এবং সফর করেন ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চল গুলোতে। তিনি সর্বপ্রথম লন্ডনে যান। সেখান থেকে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে আমেরিকায় চলে যান আখতারুজ্জামান।
তিনি ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই পরিপেক্ষিতেই আখতারুজ্জামান চৌধুরী ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ গণ পরিষদের সদস্য হন এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে বেশ ভালো ভূমিকা রাখেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম সংস্কারকারী ছিলেন।
১৯৭৫ সালে হত্যা করা হয় বাংলার মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। তখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং পরবর্তীতে দলের পুনরুজ্জীবন ও পুনর্গঠনে সাহসী ভূমিকা পালন করেন।
তিনি তার যোগ্যতা এবং দক্ষতার কারণে ১৯৯১ সাল এবং ২০০৯ সালে আবারো জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার পাশাপাশি আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
তার সবচেয়ে বড় অবদান হলো আজকের "ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক ", অনেকে এটাকে UCB ব্যাংক ও বলে থাকে। বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকিং সেক্টর প্রতিষ্ঠায় তিনি পথিকৃতের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তিনি দেশে দ্বিতীয় প্রাইভেট ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) এর উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
২০১২ সাল এর ৪ ই নভেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনিজনিত জটিলতার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহসী এবং আদর্শ এই নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
বাঙালির সম্মান, গৌরব, মূল্যবোধ ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতে যে সকল রাজনীতিবিদ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম থাকবেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
0 notes