#নিশিপদ্ম
Explore tagged Tumblr posts
Text
ফুলের এত দাম! সোনা ফেল! বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুল চিনে নিন
শেনজেন নংকে অর্কিড- ৮ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর বিজ্ঞানীদের একটি দল শেনজেন নংকে অর্কিড তৈরি করেছে। এই ফুলের দাম ২০০,০০০ ডলারেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ১.৬৫ কোটি টাকা। ভারতের কোথাও এটি পাবেন না। তবে, আপনি ১৬৬০০০০০ টাকা দিয়ে অনলাইনেও অর্ডার করতে পারেন। Source link
View On WordPress
#Austin Juliet Rose#Expensive Flowers#Gold Of Kinabalu Orchid#Kadupul Flower#Saffron Crocus#Shenzhen Nongke Orchid#কোটি টাকা দামের ফুল#টিউলিপ#নিশিপদ্ম
0 notes
Text
নিশিপদ্ম- শ্রী প্রবোধকুমার সান্যাল বাংলা ছোটগল্প সংগ্রহ বই পিডিএফ
নিশিপদ্ম- শ্রী প্রবোধকুমার সান্যাল বাংলা ছোটগল্প সংগ্রহ বই পিডিএফ
নিশিপদ্ম- শ্রী প্রবোধকুমার সান্যাল বাংলা ছোটগল্প সংগ্রহ বই পিডিএফ ফাইল ডিজিটাল বইয়ের নাম- ‘নিশিপদ্ম’ লেখক- শ্রী প্রবোধকুমার সান্যাল ধরন- বাংলা ছোটগল্প এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৮০ ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৬এমবি জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট এটি ছোটগল্প সংকলিত বাংলা বই, এতে মোট আটটি অসাধারণ গল্প রয়েছে। নীচে প্রতিটি গল্পের নাম এবং গল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরন দেওয়া হল। ‘নিশিপদ্ম‘ এক চরিত্রহীন নারীর কল্পকামনা ও…
View On WordPress
0 notes
Text
উত্তমজেঠুর মতো কেউ আগামী ১৩৭ বছরেও আসবে না
উত্তমজেঠুর মতো কেউ আগামী ১৩৭ বছরেও আসবে না #স্মৃতিচারণা
এমন সব মানুষ-প্রসঙ্গ আর জীবনের চোরা দিক যা নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়৷ নিয়মিতভাবে এখন বলছেন গৌতম ভট্টাচার্যকে৷ আজকের বিষয়: উত্তমকুমার৷
সেই সকালটা এত বছর পরেও এমন হুবহু মনে করতে পারি যেন আমার মোবাইলে কেউ ভিডিও করে তুলে রেখেছিল! আমি আর মা বসে কথা বলছি৷ হঠাত্ একটা ফোন এল৷ মা ফোন ধরে বললেন, সে কী, সে কী! ফোনটা ছেড়ে চুপ করে বসে রইলেন৷ আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না যে কী হয়েছে৷ মা এবার আমাকে কাছে ডাকলেন৷ ধরা গলায় বললেন, “বুম্বা শোন, মাথার উপর থেকে বটগাছটা চলে গেল৷ তোর উত্তমজেঠু আর নেই৷”
কত বয়স হবে তখন আমার? আঠারো-উনিশ৷ একেবারে ছোট তো নই৷ কিন্তু শোনামাত্র কেমন অসহায় বোধ করতে শুরু করি৷ ইন্ডাস্ট্রিতে তত দিনে আমার স্ট্রাগল শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ‘বিশ্বজিতের ছেলে’ হয়ে পরিচিত সমাজে ঘুরঘুর করা৷ আর ‘বুম্বা’ হয়ে নিজের জন্য জমি জোগাড় করা–দুটোর তফাত যে কী ভয়ানক সেই অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে৷ সেই আগ্নেয়গিরির হলকার মধ্যে একমাত্র স্নেহছায়া উত্তমজেঠু৷ যিনি আমাকে নিয়ে ‘সাহেব’ করবেন ঠিক করে ফেলেছেন৷ কাস্টিংও ঠিক৷ আমি আর সোমা৷ সৌমিত্রকাকুও আছে৷ সৌমিত্রকাকুর ফিল্মে ডাবল রোল৷ বিরাট একটা সম্ভাবনার মুখ খুলব খুলব করছে৷ তার মধ্যে এ কী খবর?
দ্রুত রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলাম ভবানীপুর৷ যেতে যেতেও ভাবছি আর মাথাটা শুকিয়ে গোটা শরীর ঝিমঝিম করছে৷ উত্তমজেঠু নেই৷ আমার গোটা সংসার তো ছায়াহীন হয়ে গেল৷ মাত্র ক’দিন আগেও তো সুপুরুষ মানুষটা আমার পিঠে হাত দিয়ে বলেছে, “কোনও চিন্তা করিস না৷ তুই তো আমাদের ঘরের ছেলে৷” সত্যি তো ঘরের ছেলে৷ আমরা দু’টো পরিবার এমনভাবে ছিলাম যেন একই বাড়ির৷ আমার বাবা ছিলেন বুড়োজেঠু মানে তরুণকুমারের অভিন্নহৃদয় বন্ধু৷
বাবা তত দিনে বোম্বাইয়ের একজন টপ স্টার৷ আমরা হাঁ করে দেখতাম ওখানে ওঁকে নিয়ে কী মাতামাতি৷ অথচ কলকাতা এলেই বাবা যেন অন্যরকম আবরণে নিজেকে মুড়ে ফেলতেন৷ বোম্বাইয়ের পোশাক কখনও এখানে ইউজ করতে দেখিনি৷ আলাদা ওয়ার্ডরোব ছিল এখানে৷ আর কলকাতা এলে উনি কখনও বোম্বাইয়ের টপ স্টার নন৷ টালিগঞ্জের টপ স্টারের ছোট ভাই! আজও কেউ যদি আমার শান্ত সৌম্য বাবাকে খেপিয়ে দেওয়ার শর্ট কাট রাস্তা জানতে চায় আমি বলতে পারি৷ জাস্ট গিয়ে ওঁর সামনে উত্তমকুমারের নিন্দা করে আসুন৷ আমি শিওর এই বয়সেও উত্তেজিত তো হবেনই৷ হাতটাতও চলতে পারে৷
আমাদের আজকের টালিগঞ্জের কল্পনা করতে পারবে না কী বন্ধুত্ব আর হাসিঠাট্টার পরিবেশে যে প্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক-নায়িকারা এনজয় করতেন৷ বাবা প্রতিবার একটা রয়্যাল স্যালুটের বোতল নিয়ে আসতেন৷ রয়্যাল স্যালুট আজ মাহাত্ম্য খোয়াতে পারে৷ তখন ক্রেজ ছিল৷ ছোট একটা ঘরে গিয়ে বাবা, উত্তমজেঠু, বুড়োজেঠু, উৎপল দত্ত এঁরা বসতেন৷ থাকতেন সৌমিত্রকাকু৷ কিন্তু বোতলটা খোলার অধিকার ছিল উত্তমজেঠুর৷ আমার বাবার কাছে উনি শুধু স্নেহশীল দাদা ছিলেন না৷ ছিলেন অঘোষিত ক্যাপ্টেন৷
ভবানীপুরে যখন পৌঁছলাম লোকে লোকারণ্য৷ কোথায় গৌরী জেঠিমা? দেখার চেষ্টা করছি৷ বেণু আন্টি যেমন ছোটবেলা থেকে আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ৷ গৌরী জেঠিমাও তাই৷ আমার যখন পৈতে হয়, তিন দিন দণ্ডিঘরে থাকতে হয়েছিল৷ তখন জেঠিমা এসে আমাকে প্রণাম করে যান৷ আমি তো অবাক৷ উনি মাথায় হাত বুলিয়ে বলে ছিলেন, বাবা ব্রাহ্মণকে প্রণাম করতে হয়৷ ওঁর ড্রেসটা আজও মনে আছে৷ পা থেকে মাথা অবধি গয়না৷
লরিতে তোলা উত্তমজেঠুর বডির কাছে পৌঁছচ্ছি আর এক একটা ফ্রেম যেন ঝলক দিয়ে যাচ্ছে৷ তখনও ভাবতে পারছি না এই সেদিন সেই বিখ্যাত হাসি দেখলাম৷ জেঠুর আদর পেলাম৷ সেই মানুষটা কী করে এভাবে চলে যেতে পারে?
বাবা তো তখন আমাদের সঙ্গে নেই৷ বোম্বাইতে৷ মা-র সদ্য মালাইচাকি অপারেশন হয়েছে৷ বেড রেস্ট৷ ওঁর আসার উপায় নেই৷ আমি এসেছি আমাদের পরিবারের প্রতিনিধি হয়ে৷ কিন্তু সামনে যা ঘটছে তা তো ফিল্মের চেয়েও বেশি৷ পাগলের মতো মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ছে লরির সামনে৷ যেখান দিয়ে বডি যাচ্ছে আশেপাশের সব বাড়ির জানালা খোলা৷ মহিলারা বাইরে৷ মানুষ কাঁদছে, দৌড়চ্ছে, মালা ছুড়ছে৷ লরিতে ততক্ষণে আমি উঠে গিয়েছি৷ দেখলাম বডির উপর ছাতা ধরছে সবাই৷ মৃত মানুষটারও যেন রোদ্দুর না লাগে৷ সম্মোহিতের মতো দেখে যাচ্ছিলাম৷ পুরো কলকাতা শহরের হার্ট যেন এই একটা লোকের মৃত্যু এফোঁড় ওফোঁড় করে দিয়েছে৷ ধন্য এমন স্টারডম৷ বারবার ড্যাডির কথাগুলো মনে হচ্ছিল৷
ড্যাডি বলতেন, “শুধু আমি সম্মান করি না রে, পুরো বোম্বাই ইন্ডাস্ট্রি ওই লোকটাকে কুর্নিশ করে বুঝলি? রাজেশ খান্না আমার সামনে বসে ‘নিশিপদ্ম’-র এক-একটা সিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেছে আর ‘অমর প্রেম’-এ কপি করেছে৷” তখনই এটা শোনা যে দু’টো সিন আছে যেগুলো রাজেশ নাকি বারবার চালিয়ে দেখতেন৷ একটা যেখানে উত্তমজেঠু দেশলাইয়ের কাঠিটা ঘোরাচ্ছেন৷ আর একবার সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে ডাকা–পুষ্প, ও পুষ্প৷
সংবাদ প্রতিদিনের কফিহাউসের জন্য লেখাটা ভাবতে গিয়ে হিসেব করলাম সাঁইত্রিশ বছর হয়ে গেল সেই ভয়ঙ্কর দুপুরটার৷ কেউ বলবে? কেউ বলবে উত্তমকুমার নেই? আজও তাঁর মৃত্যুদিনে কাগজগুলো স্পেশাল ইস্যু করে৷ চ্যানেলে চ্যানেলে প্রোগ্রাম হয়৷ মৃত্যুদিনে যা রুটিন, জন্মদিনেও তাই৷ পৃথিবীতে আর কোনও অভিনেতা আছে, কোনও স্টার আছে যে সে চলে যাওয়ার সাঁইত্রিশ বছর বাদেও সমানভাবে আলোচিত হয়? আজও বাঙালি তাঁর মৃত্যুদিন-জন্মদিনে সমান উদ্বেল৷
আমার মতে শুধু স্টারডম এর কারণ হতে ��ারে না৷ এটা তখনই সম্ভব যদি মানুষটা তার শিল্পের মাধ্যমে পরিবারের একজন হয়ে উঠতে পারে৷ আমার ছেলে মিশুক হয়তো উত্তমকুমারের সিনেমা বসে দেখে না৷ কিন্তু উত্তমজেঠুর নামটা শুনে বড় হয়েছে৷ প্রত্যেক বাঙালি পরিবারেই উত্তমকুমার আজও একজন অদৃশ্য সদস্য৷ ‘মহানায়ক’ সিরিয়ালটা করতে গিয়ে উত্তমজেঠুর উপর আরও বেশি করে স্টাডি করতে হয়েছিল৷ বেশ কিছু হোমওয়ার্ক করেছিলাম৷ একটা কথা ভেবে খুব আশ্চর্য লাগত৷ মানুষটার উপর দিয়ে এত ঝড় জল গিয়েছে৷ অথচ ক্যামেরায় তা ধরা পড়েনি৷ কিছু কিছু ঘটনার ছোটবেলায় আমিও সাক্ষী৷ সেগুলো না-ই বা বললাম৷ অনেক চর্চা সেসব ঘটনা নিয়ে হয়েছে৷
আমার এই বয়সে এসে যেটা ভাবলে রোমাঞ্চিত লাগে তা হল, চেহারায় ব্যক্তিগত জীবন ছাপ ফেলতে না পারার একটাই সহজ ব্যাখ্যা৷ মানুষটা তার মানে ধর্ম মেনে তাঁর কাজটা করত৷ যখন কেউ নিজের পেশাকে ধর্ম আরাধনার মতো নিতে পারে সে একটা অন্য স্তরেই উন্নীত হয়ে যায়৷ তখন সংসার ধর্ম সব কিছুই তার কাছে মূল ব্যাপারটাকে ঘিরে ঘটতে থাকা নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ে যায়৷
উত্তমজেঠুর আরও একটা গুণ ছিল নায়কের ক্যারেক্টরের বাইরেও সব সময় নায়কোচিত থাকা৷ উনি মারা যেতে শুধু আমার মাথার উপর থেকে বটগাছ উধাও হয়ে যায়নি৷ অনেকেরই জীবনে আকাশ ভেঙে পড়েছে৷ কত টেকনিশিয়ানকে যে উনি সাহায্য করতেন তার কোনও ইয়ত্তা নেই৷ প্রকৃত অর্থে ইন্ডাস্ট্রির দয়ালু অভিভাবক ছিলেন উনি৷ প্রায় প্রতিদিন কাউকে না কাউকে সাহায্য করতেন৷ একটাই শর্ত থাকত, সেই উপকারের কথা বাইরে বলা যাবে না৷ আমার ফিল্ম কেরিয়ারে এমন মানুষ আর দেখিনি৷ সাধারণ মেক আপ আর্টিস্টকে প্রোডিউসার বানিয়ে উনি তাঁর ছবি করে দিয়েছিলেন৷ একবার কোনও সিনিয়র অভিনেতা ওঁকে অপমান করেছিলেন৷ পরবর্তীকালে সেই অভিনেতা যখন বিপন্ন আর স্টুডিওতে কাজ চাইতে এসেছেন, তখন উত্তমজেঠু তাঁ��ে ফেরাননি৷ বদলা নেওয়া-টেওয়ার মানসিকতাই ওঁর ছিল না৷ এই ঘটনাটা আমরা ‘অটোগ্রাফ’ করার সময় রেখেছিলাম৷ আজ আবার মনে পড়ে গেল৷ এটাও মনে হল, হ্যাঁ মহানায়ক একেই বলা উচিত!
উত্তমজেঠুকে ঘিরে কন্ট্রোভার্সি তো কম হয়নি৷ এত রূপবান একজন মানুষ৷ তা-ও এত সাকসেসফুল৷ সুন্দরীদের তো আকর্ষিত হওয়ারই কথা৷ কিন্তু আমার মনে হয় না সেগুলো বাঙালি জীবনের শেষ মূল্যায়নে কোনও ছাপ ফেলতে পেরেছে বলে৷ উঠে আসার রাস্তায় সমালোচনা, ব্যর্থতা, গুঞ্জন কোনও কিছুই তো ওঁকে ছাড়েনি৷ শুরুর দিককার পরপর ছবি ফ্লপ হচ্ছিল বলে লোকে ঠাট্টা করত, এই যে ফ্লপ মাস্টার জেনারেল যাচ্ছে৷ কত রকম অপমান৷ গলা নিয়ে কটাক্ষ করত৷ বলত নায়ক হবে এই সরু গলা নিয়ে৷ কেউ বলত এটা নায়কের চাউনি হল? এ তো লক্ষ্মীট্যারা৷
পরবর্তীকালে কী অসম্ভব অধ্যবসায়ে উত্তমজেঠু এই সব ক’টা নেগেটিভকেই পজিটিভ করে নিয়েছিলেন৷ যাঁকে লক্ষ্মীট্যারা বলে বিদ্রূপ করা হত, তাঁর শুধু চাউনিটাই আইকনিক হয়ে গেল৷ কীভাবে নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে নিয়ে গেছেন ভাবা যায় না৷ একটা সময় প্রেমিক৷ একটা সময় ট্র্যাজিক৷ আবার তারই মধ্যে ‘বিচারক’-এর মতো একটা ফিল্ম করেছিলেন যেখানে ওঁর রোলটা অ্যান্টি-হিরোর৷
উনি আমাদের মতো নায়কদের কাছে দৃষ্টান্ত বললে কম বলা হয়৷ দৃষ্টান্ত এমন কেউ যাঁকে মেধায়-চেষ্টায় ছোঁয়া যায়৷ সমকক্ষ হওয়া যায়৷ উত্তমকুমারকে ছোঁয়া যাবে কী করে? তিনি তো স্বয়ং টেক্সট বই! তাঁর দিকে সম্ভ্রমে তাকানোই যায়৷ ছোঁয়ার চেষ্টা পাগল ছাড়া কেউ করবে না৷ মৃত্যুদিনের সবে তো সাঁইত্রিশ বছর হল৷ আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে বলে এই আবেগ চলতেই থাকবে বাঙালি জীবনে৷ আমরা চলে যাব সময়ের সঙ্গে৷ পরের পরের জেনারেশনও হারিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে৷ কিন্তু আজ থেকে ১৩৭ বছর পরেও ২৪ জুলাই দিনটায় বাঙালির শোকার্ত হওয়া থামবে না! অনেক বড় স্টার নিশ্চয়ই আসবে-যাবে৷ উত্তমজেঠুর মতো কাউকে ১৩৭ বছরেও পাওয়া যাবে না৷
Topic: Uttam Kumar. Interview with Prosenjit Chatterjee - Bengali Actor.
https://en.wikipedia.org/wiki/Uttam_Kumar
https://en.wikipedia.org/wiki/Prosenjit_Chatterjee
0 notes
Text
অগ্নীশ্বর উত্তমকুমার ও অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/uttamkumar-39-death-anniversary/
অগ্নীশ্বর উত্তমকুমার ও অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়
উত্তমকুমারের সঙ্গে পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের সখ্য মহানায়কের স্টুডিয়োর প্রথম দিন থেকেই। ওঁদের নিয়ে লিখছেন গোপাল দাস।
একজন বাংলা সিনেমার ম্যাটিনি আইডল মহানায়ক উত্তমকুমার, অন্যজন বহু জনপ্রিয় ভাল ছবির নির্মাতা চিত্রপরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, বাংলা চলচ্চিত্র মহলে যিনি ঢুলুদা নামেই বেশি পরিচিত। দু’জনের বয়সের ব্যবধান মাত্র সাত বছর। উত্তমবাবু প্রয়াত হন মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই। আর দীর্ঘায়ু অরবিন্দবাবু শতবর্ষ ছোঁয়ার তিন বছর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তে চলে যান। প্রয়াণের প্রায় ৪০ বছর পরেও উত্তমকুমারের জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাঁটা পড়েনি। আর অরবিন্দবাবুকে বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষ কতটা ভালবাসেন তার প্রমাণ পাওয়া গেল গত মাসে তাঁর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে নন্দন প্রেক্ষাগৃহে উপছে পড়া ভিড়ে। আজ মহানায়কের প্রয়াণবার্ষিকীতে এই দুই বিশিষ্ট মানুষকে নিয়ে আপনাদের সঙ্গে একটু আড্ডা দেওয়া যাক। উত্তমকুমারের বাবা ছিলেন মেট্রো সিনেমা হলের কর্মী। বাবার এনে দেওয়া পাসে তিনি আর ঢুলুদা সিনেমা দেখে বেরিয়ে রাতের গড়ের মাঠে বসে ভবিষ্যতের জাল বুনতেন। পোর্ট কমিশনার্সে চাকরি করা উত্তমকুমারের (তখন তাঁর নাম অরুণ) চোখে তখন অসিতবরণের মতো নায়ক হওয়ার স্বপ্ন আর অরবিন্দবাবু তখন বিমল রায়ের মতো পরিচালক হওয়ার জন্য স্টুডিয়ো পাড়ায় ঘাম ঝরাচ্ছেন। অবশেষে উত্তম সুযোগ পেলেন ১৯৪৮ সালে নীতিন বসুর ‘দৃষ্টিদান’ ছবিতে অসিতবরণের ছোটবেলার রোলে। আর অরবি��্দবাবুর স্বাধীনভাবে প্রথম ছবি করার সুযোগ এল ১৯৫৯ সালে এম পি স্টুডিয়োর ব্যানারে ‘কিছুক্ষণ’। অরবিন্দবাবু ভেবেছিলেন উত্তমকে নেবেন নায়ক হিসাবে। কিন্তু এম পি স্টুডিয়োর কর্ণধার মুরলীধর চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শে উত্তমকে না-নিয়ে অসীমকুমারকে নায়ক করলেন। মুরলীধরবাবু বলেছিলেন অরবিন্দবাবুকে, তোমার প্রথম ছবি। যদি হিট হয়, সমস্ত ক্রেডিট যাবে উত্তমের দিকে। ফ্লপ হলে লোকে বলবে তোমার ডিসক্রেডিট। বড়দা বনফুলের (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়) লেখা গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবি অসাধারণ সাফল্য লাভ করেছিল এবং রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য মনোনীতও হয়েছিল। এরপর অনেকটা সময়, অনেক কঠিন লড়াই পার হয়ে উত্তমকুমার বাংলা ছবির জনপ্রিয়তম নায়ক, নায়ক থেকে মহানায়ক। আর ততদিনে অরবিন্দবাবুও অনেকগুলো হিট ছবির সফল প��িচালকের আসনে নিজিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৭০ সালে প্রথম দু’জনে একসঙ্গে কাজ করলেন ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে। এই ছবিতেই প্রথম উত্তমকে নায়কের ইমেজ থেকে বার করে ক্যারেক্টার রোলে হাজির করলেন অরবিন্দবাবু। গানে, গল্পে, অভিনয়ে ছবি সুপারহিট। রজত জয়ন্তী পার করেছিল এই ছবিটি। ছবিতে গান গেয়ে মান্না দে এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপর একে একে হল ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’ এবং সর্বশেষ ‘অগ্নীশ্বর’। সবক’টি ছবিতেই উত্তমকুমারের ক্যারেক্টার রোল যা আজও দর্শককে মুগ্ধ করে। ‘অগ্নীশ্বর’ উত্তম অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা ছবি। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের কাছেই শোনা, ‘উত্তম ‘অগ্নীশ্বর’-এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছিলেন। একদিন তো সারাদিন ধরে একটি শটের জন্য ��িনি শুটিং করেছিলেন। কিছুতেই শট তাঁর মনোমতো হচ্ছিল না। তারপর রাত্রিবেলা শট দিয়ে সন্তুষ্ট হলেন। শুটিং প্যাক-আপ করেছিলেন। আমি বলেছিলাম, আজ হচ্ছে না কাল দেবে। উত্তম বলেছিল, ‘না ঢুলুদা আজই শট শেষ করে তারপর বেরোবো স্টুডিয়ো থেকে।’ এতটাই সিরিয়াস ছিল। এই আন্তরিকতা পাওয়া খুব দুষ্কর। তার ওপর সেদিন ছিল ওর জন্মদিন। ওসব ভুলে গেছিল। ‘অগ্নীশ্বর’-এ খুব ভাল কাজ করেছিল। মনেই হয়নি ও ডাক্তার নয়।’ এবার না-হওয়া তিনটি ছবির কথা বলে শেষ করি। ‘পিতাপুত্র’ ছবিতে নায়কের জন্য উত্তমের কথাই ভেবেছিলেন অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু উত্তম ডেট দিতে না পেরে নিজেই স্বরূপ দত্তর নাম সাজেসট করেন। ‘মন্ত্রমুগ্ধ’ ছবির জন্য উত্তমের নাম ঠিক হল। স্ক্রিপ্ট পড়ার দিন নায়ক আসতে পারলেন না, কোনও খবরও দিলেন না। প্রযোজক ক্ষুণ্ণ হয়ে পরিচালককে বললেন, আপনি অন্য কাউকে নিন, আমি আপনাকে দেখে ছবি করতে এসেছি, উত্তমবাবুকে দেখে নয়। এই সম্মানের মর্যাদা দিতে অরবিন্দবাবু সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে নিলেন নায়কের চরিত্রে। এই ঘটনার প্রভাবে দু’জনের সম্পর্ক কোনও দিন খারাপ হয়নি। এমনও হয়েছে বিজয়ার পর রাস্তায় প্রিয় ঢুলুদাকে দেখে উত্তমকুমার গাড়ি থেকে নেমে এসে পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছেন। সমরেশ বসুর ‘নাটের গুরু’ গল্পটা উত্তম-সুচিত্রাকে নায়ক-নায়িকা করে ছবি করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অরবিন্দবাবু। কিন্ত উত্তমকুমারের অকাল প্রয়াণে তা থেমে যায়। উত্তমকুমারের অকালে চলে যাওয়াটা তাঁর অন্যতম গুণমুগ্ধ অরবিন্দবাবুকে খুব মর্মাহত করেছিল। বলতেন, উত্তমের মাপের অভিনেতা সারা পৃথিবীতে খুব কম এসেছে। দু’জনকে নিয়ে আরও অনেক কথা বলা যায়, সেসব গল্প আবার কোনও দিন হবে।
0 notes
Photo
প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ডা. নীহার রঞ্জন গুপ্তের জন্মভিটা অবহেলা আর অনাদরে হারিয়ে যেতে বসেছে নড়াইলের কৃতী সন্তান প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ডা. নীহার রঞ্জন গুপ্তের জন্মভিটা অবহেলা আর অনাদরে শেষ চিহ্ন টুকু হারিয়ে যেতে বসেছে। ডা. নীহার রঞ্জন গুপ্তের পৈত্রিক ভিটা দীর্ঘদিন ধরে দখলদারদের কবলে রয়েছে। এখানে সরকারি উদ্যোগে তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় না। বর্তমান প্রজন্ম ভুলতে বসেছে গুণী এই ঔপন্যাসিকের কথা। ১৯১১ সালের ৬ জুন পিতা সত্যরঞ্জন গুপ্তের কর্মস্থল কলকাতায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্মস্থান কলকাতায় হলেও তাঁর পৈত্রিক নিবাস নড়াইলের ইতনা গ্রামে। চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে প্রখ্যাত এই বাঙালি ঔপন্যাসিকের পৈত্রিক বাড়িটি। ডা. নীহার রঞ্জন গুপ্তের শেষ স্মৃতি চিহ্নটুকু পরিনত হয়েছে মাদকসেবিদের আখড়া হিসেবে, আর অবৈধ দখলদার ও ভূমিদস্যুদের কবলে। দাড়িয়ে থাকা জরাজীর্ণ ভবনটি নীরবে কেঁদে কেবল তারই স্বাক্ষ দিচ্ছে। ডা. নীহার রঞ্জন গুপ্তর চাকরিজীবী পিতা বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকালে ১৯৩০ সালে তিনি কোন্ন নগর হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে কৃষ্ণনগর কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই তিনি আই.এস.সি পাস করেন ও কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীর ডাক্তার হিসেবে তিনি যুদ্ধে যোগ দেন। চাকরি জীবনের বাধ্যবাধকতা তাঁর কাছে বিরক্তিকর মনে হওয়ায় তিনি এ চাকরি ত্যাগ করে কলকাতায় ব্যক্তিগতভাবে আবার ডাক্তারী শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কলকাতায় বিশেষ পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। নীহাররঞ্জন গুপ্ত শৈশব থেকে সাহিত্যে হাতেখড়ি হয়ে ছিল। ১৬ বছর বয়সেই তাঁর প্���থম লেখা উপন্যাস ‘রাজকুমারী’ ছাপা হয়। তাঁর লিখিত উপন্যাসের সংখ্যা দুইশতেরও অধিক। তাঁর প্রকাশিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে- ‘মঙ্গলসূত্র’, ‘উর্বশী সন্ধ্যা’, ‘উল্কা’, ‘বহ্নিশিখা’, ‘অজ্ঞাতবাস’, ‘অমৃত পাত্রখানি’, ‘ইস্কাবনের টেক্কা’, ‘অশান্ত ঘূর্ণি’, ‘মধুমতি থেকে ভাগীরতী’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘ঝড়’,‘অপারেশন’, ‘ধূসর গোধূলী’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’, ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’, ‘কালোভ্রমর’, ‘ছিন্নপত্র’, ‘কালোহাত’, ‘ঘুম নেই’, ‘পদাবলী কীর্তন’, ‘লালু ভুলু’, ‘কলঙ্ককথা’, ‘হাসপাতাল’, ‘কজললতা ও কিশোর সাহিত্য সমগ্র উল্লেখযোগ্য। নীহার রঞ্জনের চলি¬শের অধিক উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। এগুলির মধ্যে উলে¬খযোগ্য ‘উল্কা’, ‘বহ্নিশিখা’, ‘উত্তর ফাল্গ–নী’, ‘লালুভুলু’, ‘হাসপাতাল’, ‘মেঘ কালো’, ‘রাতের রজনীগন্ধা’, ‘নিশিপদ্ম’, ‘নূপুর’, ‘ছিন্নপত্র’, ‘বাদশা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘মায়ামৃগ’, ‘কাজললতা’, ‘কন্যাকুমারী’, ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’ প্রভৃতি। তাঁর ��ই চলচ্চিত্রায়িত উপন্যাসগুলি আমাদের চলচ্চিত্র জগৎকে সুসমৃদ্ধ করেছে। অথচ এই গুণী ঔপন্যাসিক আমাদের সাহিত্যের ইতিহাসে এতটা সমুজ্জ্বল থেকেও আমরা তাকে ভুলতে বসেছি। আমাদের প্রজন্ম জানেই না নীহার রঞ্জন গুপ্ত কে ছিলেন। তাই অবিলম্বে তাঁর পৈত্রিক বাড়িটি রক্ষা করে অন্ততপক্ষে তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় সরকারিভাবে পালন করা হোক এ দাবি এলাকাবাসীর।,ডা. নীহার রঞ্জন গুপ্তের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী সরকারিভাবে পালনের চেষ্টা করছি।
0 notes
Photo
নড়াইলের চরিত্রখ্যাত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ খ্যাত ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের জন্মবার্ষিকী আজ‘কিরীটি রায়’ চরিত্রখ্যাত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ (৬ জুন)। ১৯১১ সালের ৬ জুন নড়াইলের ইতনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবার নাম সত্যরঞ্জন গুপ্ত ও মায়ের নাম লবঙ্গলতা দেবী। নীহার রঞ্জন গুপ্ত গোয়েন্দা ও রহস্য কাহিনী লেখক হিসেবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি চিকিৎসক হিসেবেও স্বনামধন্য। বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ‘কিরীটি রায়’ এর ¯্রষ্টা হিসেবে উপমহাদেশে স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি। তার পরিবার ছিল বিখ্যাত কবিরাজ বংশীয়। উইকিপিডিয়াসহ (মুক্ত বিশ্বকোষ) বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে নীহার রঞ্জন সম্পর্কে এসব তথ্য পাওয়া যায়। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় রিপোটে, জানা যায়, চাকরিজীবী বাবা সত্যরঞ্জন গুপ্তের বিভিন্ন কর্মস্থলে অবস্থানকালে নীহার রঞ্জন গাইবান্ধা হাইস্কুলসহ বেশ কয়েকটি স্কুলে পড়ালেখা করেন। ১৯৩০ সালে ভারতের কোন্ননগর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন (এসএসসি) পাস করেন। পরবর্তীতে কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে ডাক্তারি পড়ার জন্য কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি বিদ্যায় কৃতকার্য হন। এরপর লন্ডন থেকে চর্মরোগ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রাবস্থায় তার বড় বোন বিষাক্ত পোকার কামড়ে মারা যাওয়ায় এ চিকিৎসার স্বপ্ন দেখেন এবং পরবর্তীতে সফলও হন। কর্মজীবন: ডাক্তারি পাস করে বেশ কিছুদিন নিজস্ব ভাবে প্রাক্টিস করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত হন। তিনি মেজর পদেও উন্নীত হন। চাকুরি সূত্রে চট্টগ্রাম, বার্মা (বর্তমান মায়ানমার), মিশর পর্যন্ত বিভিন্ন রণাঙ্গনে ঘুরে বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করেন। এক সময় চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ব্যক্তিগতভাবে ডাক্তারি শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কলকাতায় বিশেষ পরিচিত হয়ে ওঠেন। ভারত বিভক্তির পর ১৯৪৭ সালে পরিবারসহ স্থায়ী ভাবে কলকাতায় বসবাস করেন। সাহিত্য কর্ম: নীহাররঞ্জন গুপ্তের সাহিত্যে হাতে খড়ি শৈশব থেকেই। একসময় শান্তিনিকেতনে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশীর্বাদ গ্রহণসহ তার স্বাক্ষর বা অটোগ্রাফ সংগ্রহ করেন তিনি। ১৬ মতান্তরে ১৮ বছর বয়সে তার প্রথম উপন্যাস ‘রাজকুমার’ মতান্তরে ‘রাজকুমারী’ প্রকাশিত হয়। নীহার রঞ্জন গুপ্ত পেশায় চিকিৎসক হলেও মানব-মানবীর হৃদয়ের কথা তুলে ধরেছেন সুচারু ভাবে। ‘রহস্য’ উপন্যাস লেখায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। লন্ডনে অবস্থানকালীন সময়ে গোয়েন্দা গল্প রচনায় আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি। ভারতে এসে প্রথম গোয়েন্দা উপন্যাস ‘কালোভ্রমর’ রচনা করেন। এতে গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে ‘কিরীটি রায়’কে সংযোজন করেন, যা বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যে এক অন��দ্য সৃষ্টি। পরবর্তীতে ‘কিরীটি রায়’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে বাঙালি পাঠকমহলে। তিনি বাংলা সাহিত্যে রহস্য কাহিনী রচনার ক্ষেত্রে অপ্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ছিলেন। কেবলমাত্র রহস্য উপন্যাস নয়, তার সামাজিক উপন্যাসগুলোও সুখপাঠ্য। যা পাঠক হৃদয় আকৃষ্ট করে এখনো। এ পর্যন্ত অন্তত ৪৫টি উপন্যাসকে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রায়ণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের উপযোগী সাহিত্য পত্রিকা ‘সবুজ সাহিত্য’ এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। উপন্যাসের সংখ্যা: নীহার রঞ্জন গুপ্তের উপন্যাসের সংখ্যা দুইশতেরও বেশি। এর মধ্যে প্রকাশিত উপন্যাসগুলো-‘মঙ্গলসূত্র’, ‘উর্বশী সন্ধ্যা’, ‘উল্কা’, ‘বহ্নিশিখা’, ‘অজ্ঞাতবাস’, ‘অমৃত পাত্রখানি’, ‘ইস্কাবনের টেক্কা’, ‘অশান্ত ঘূর্ণি’, ‘মধুমতি থেকে ভাগীরতী’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘অহল্যাঘুম’, ‘ঝড়’, ‘সেই মরু প্রান্তে’, ‘অপারেশন’, ‘ধূসর গোধূলী’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’, ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’, দকলোভ্রমর, ‘ছিন্নপত্র’, ‘কালোহাত’, ‘ঘুম নেই’, ‘পদাবলী কীর্তন’, ‘লালু ভুলু’, ‘কলঙ্ককথা’, ‘হাসপাতাল’, ‘কজললতা’, ‘অস্থি ভাগীরথী তীরে’, ‘কন্যাকুমারী’, ‘সূর্য তপস্যা’, ‘মায়ামৃগ’, ‘ময়ূর মহল’, ‘বাদশা’, ‘রত্রি নিশীথে’, ‘কনকপ্রদীপ’, ‘মেঘকালো’, ‘কাগজের ফুল’, ‘নিরালাপ্রহর’, ‘রাতের গাড়ী’, ‘কন্যাকেশবতী’, ‘নীলতারা’, ‘নূপুর’, ‘নিশিপদ্ম’, ‘মধুমিতা’, ‘মুখোশ’, ‘রাতের রজনী গন্ধা’ ও ‘কিশোর সাহিত্য সমগ্র’ উল্লেখযোগ্য। চিকিৎসক হিসেবে অতি কর্মচ ল জীবনযাপনের মধ্যেও নীহার রঞ্জন রেখে গেছেন অসংখ্য সাহিত্য সৃষ্টি। যা আপন সত্তার ভাস্কর। নীহার রঞ্জনের অন্তত ৪৫টি উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘উল্কা’, ‘বহ্নিশিখা’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’, ‘লালুভুলু’, ‘হাসপাতাল’, ‘মেঘ কালো’, ‘রাতের রজনীগন্ধা’, ‘নিশিপদ্ম’, ‘নূপুর’, ‘ছিন্নপত্র’, ‘বাদশা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘মায়ামৃগ’, ‘কাজললতা’, ‘কন্যাকুমারী’, ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’ প্রভৃতি। এই চলচ্চিত্রায়িত উপন্যাসগুলো আমাদের চলচ্চিত্র জগতকে সমৃদ্ধ করেছে। তার কালজয়ী উপন্যাস ‘লালুভুলু’ পাঁচটি ভাষায় চিত্রায়িত হয়েছে। ১৯৮৩ সালে উপন্যাসটি বাংলাদেশেও চিত্রায়িত হয় এবং দর্শকদের কাছে প্রশংসা অর্জন করে। নীহার রঞ্জনের অনেক উপন্যাস থিয়েটারে ম স্থ হয়েছে। বিশেষ করে তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘উল্কা’ থিয়েটারের দর্শকদের আকৃষ্ট করে। নীহার রঞ্জন গুপ্ত ১৯৮৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের আপনজন কেউ নেই। পৈত্রিক বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশায় থাকার পর ২০১৭ সালে সংস্কার করা হয়েছে। তার পৈত্রিক ভিটায় রয়েছে দ্বিতল বাড়ি, পুকুরসহ গাছপালা নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাসহ ক্লাবটির সকল সম্মানিত সদস্যবৃন্দ,। বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেও আমাদের দেশে জনপ্রিয় কবি। তাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সরকার সবসময় সচেষ্ট। কিন্তু বরেণ্য ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। আমরা ভুলতে বসেছি নীহার রঞ্জনকে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জানেন না, নীহার রঞ্জন গুপ্ত কে? তিনি কি ছিলেন? এদিকে, ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্��ে ‘মনিকা একাডেমি’র আয়োজনে আগামি ৮ জুন সকালে নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় আলোচনা সভা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
0 notes