#নজরে
Explore tagged Tumblr posts
projapotimusichd · 9 months ago
Video
youtube
টিকটক ভাইরাল গান। ডিজে মুন্নি সরকার।। আমারে রাখিও তোমার মায়ার নজরে । DJ...
0 notes
projapotistudiohd · 1 year ago
Video
youtube
শিরিন সরকার | আমারে রাখিও তোমার মায়ার নজরে | বাউল গান | বিচ্ছেদ গান | A...
0 notes
choppedphilosopherharmony · 8 months ago
Text
Tumblr media
শেষরাত থেকে জ্বলতে থাকা একটা চিতার আগুন ক্লান্তিতে প্রায় নিভুনিভু হয়ে এসে , প্রায় মরে আসা নদীটার বুকে মুখ ডুবিয়ে দিল যেই, অমনি আঁধারমেশা রুগ্ন নদীটা যেন টিমটিমিয়ে জ্বলে উঠলো এক লহমায়। আশ্বিনের শীতশীত একাকী কাশবনের গোলকধাঁধায় পথ হারিয়ে ঘুরে বেড়ায় ডানাভাঙা বক। মৃদু হাওয়ায় উড়ো খইয়ের দল ভেসে ভেসে দিগন্তে বলাকার দলে ভিড়ে যায় চুপিচুপি । ছড়ানো আতপের গন্ধে চড়ুইয়ের ভিড় জমে, খুঁটে খায় মৃত্যুচিহ্ন। কোন এক নাম না জানা মন্দিরের অস্ফুট গম্ভীর ঘন্টাধ্বনি আদিজন্মের অস্পষ্ট স্মৃতির মত ঝাপটায় পিদিমের আলো নিভিয়ে, দস্যি ছেলের মত পিলসুজটি উল্টে অপরাজিতার বনে দোল দিয়ে চলে যায়। সেই মৃত্যুগন্ধী ছায়াজল কিছু বেওয়ারীশ রাঙাফুলের লালিমায় মুখ রাঙিয়ে সেই জীর্ণ আলোটাকে বুকে নিয়ে অচিনের রাস্তায় রওনা দেয়। ঢেউ এর ঠেলায় একটা ছেঁড়া শিউলির মালা উদ্বাস্তুর মত নদীর পারের বালিতে এসে আটকে যায় । যদ্দুর চোখ যায় আমি চেয়ে থাকি। এক সময়ে আর সেই আলো নজরে আসে না, বেইমান রাঙাফুলেরাও দিগন্তে গা ঢাকা দেয় ঠিক । আর সেই সময়েই ভাদ্র শেষের তুলসীতলার মলিন সাঁঝবাতিটির মত একটা সূর্য, বিধবার সিঁথির শেষ সিঁদুরের রেশটির মত সেই আলো আঁজলা করে বুকে তুলে নেয় সবার চোখ এড়িয়ে । সেই আদিম জ্যোৎস্নার মত নরম আলোয় দেখতে পাই কচি কলাপাতার উপর দিশেহারা তর্পণের প্রদীপ তিরতির কাঁপতে কাঁপতে বয়ে চলে যাচ্ছে বহু দূরে। মা বলে, আরো দূরে ভাসতে ভাসতে সেই আবহমান প্রদীপেরা নাকি ভিনগাঁয়ের জোনাকি হয়ে যায়।
আমার বিশ্বাস হয় নাকো মোটে।
ছবি : masaan
পুরোনো লেখা
26 notes · View notes
tahminamili · 2 years ago
Text
আমি শূন্য!
দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছি থরে থরে সাজানো কবর।আমার শেষ ঠিকানা ও যে হবে সে গহ্বর।দেখে মুগ্ধ হবো কি ভয় পাবো ভাবনায় মন মশগুল।নজরে এলো কবরে সাজানো হরেক রকমের ফুল।আমি হাসলাম একটু করে সবার চোখ ফা��কি দিয়ে।আমার পরে এমন কে আছে ভাববে আমায় নিয়ে।আছে আসলে অনেকে তবে ফুল যে কে ভালোবাসে।জীবনে আমার সবটা যেন কলাপাতার ভেলায় ভাসে।মাটির মানুষ আমি এক সময় মাটিতেই যাবো মিশে।কেউ মনে রাখবে কি না তাতে কিইবা যায়…
Tumblr media
View On WordPress
2 notes · View notes
mrmwithacupofcoffee · 2 years ago
Text
খোঁজ
চোখ নীল, অনেকটা লম্বা হবে, একদম ফর্সা না হলুদ ফর্সাই শিওর, নাকটা চোখা, চুলগুলো কোঁকড়া খুব বেশি লম্বা না আবার বাবড়িও হতে পারে, একদম স্পষ্ট ভাসি, গলার স্বর সুদৃঢ় চেনেন কি তাকে?
- আপনি কি চুপ করবেন! এইভাবে মানুষকে কেউ চেনে না! বিরক্ত করা বন্ধ করুন!
আর কত! চাকরির প্রথমদিনটাতেই জল গড়ার উপক্রোম!
- আচ্ছা, ভাই যাইতে দেন। চুপ করেন নয়তো
-  নয়তো কি? আরে যাইতে দিব মানে! দেখেছেন মহিলাকে তখন থেকে কি কাহিনী লাগিয়েছে।
একই কথা বার-বার, বার-বার। এই নিয়ে পাঁচ বার হলো! ভেবেছিলাম মাথায় সমস্যা এখন তো দেখছি ফাইজলামি লাগিয়েছে। 
সিকিউরিটিকেও জানিয়েছি তবে যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে! 
বার বার মহিলা ভেতরে আসে কিভাবে!
- আপনি এবার সিন ক্রিয়েট করছেন, স্যার জানলে কিন্তুু!
এবার প্রদীপ চুপ মেরে গেলো। তবে মহিলা থেকে চোখই সরছে না।
প্রাই সব নতুন স্টাফকেই জিঙ্গেস করে ছাড়ছে। তবে সকলেই চুপ! কি অদ্ভুত!
- স্যার, ডেকেছিলেন?
- হুম, বসো।
- আজকে প্রথম দিন, কেমন যাচ্ছে?
প্রদীপ হেঁসে,
- জ্বি, স্যার ভালই। তবে,
এই বলতেই প্রদীপ চুপ মেরে গেলো।
- তবে কি, ম্যানেজার সাহেব?
  ওই মহিলা!
প্রদীপ আতকে উঠলো, যেন মুখের কথা কেড়ে নিয়েছে স্যার। তবে উচ্চ মহলে এই সামান্য বিষয় কিভাবে নজরে নিল!
এই বুঝি সেই উচ্চ মহলের কোনার চোখ! বড় মানুষের তুচ্ছ গুন!
প্রদীপ যেন কোন রকমে হাসি চেঁপে রাখলো।
স্যার বলে উঠলো, 
- ওই মহিলা এর পর থেকে এলে চুপ করে তার কথা শুনো। জবাবে হ্যাঁ, না তে শুধু মাথা নাড়াবে।
এর বেশি কিছু করার প্র���োজন নেই আপাতত।
তুমি এখন আসতে পারো।
প্রদীপ কিছুই বুঝতে পারলো না। যেন বোবাকে কথা বলা শেখানো হলো! বাকহীন হয়ে রুম থেকে বেড়ি���ে এলো প্রদীপ।
সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। সবাই যেন প্রদীপকে এড়িয়ে যাচ্ছে। বাঁকা চোখে তাকিয়েও যেন নজর এড়ালো সকলে।
প্রদীপ সিটে গিয়ে বসলো। কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে পলকহীন ভাবে।
এমন সময় ডেস্কে কি যেন আছড়ে পড়লো।
- কি! ডাক পড়সিলো?
- ৫ ডিসেম্বর, ২০২২
- মোনালিসা মিতু।
3 notes · View notes
maroonpaper · 2 years ago
Text
মরক্কোর জাতীয়তাবাদি আন্দোলন ও সুলতান মুহাম্মাদ
Tumblr media
মরক্কো উত্তর আফ্রিকার একটি স্বাধীন ও আরব রাষ্ট্র। এর রাজধানী রাবাত। পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল জুড়ে এবং উত্তরে ভূমধ্য সাগরের জিব্রাল্টার প্রনালী পর্যন্ত বিস্তৃত। মরক্কোর পূর্বে আলজেরিয়া, উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও স্পেন এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। এর দক্ষিণে পশ্চিম সাহারা অবস্থিত।
মরক্কো রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন
মরক্কোর গোড়াপত্তনের ইতিহাস বলে যে, কথা প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে হোমিনিডরা তথা বর্তমান মানুষদের পূর্বসূরীরা কমপক্ষে ৪০০,০০০ বছর আগে এই অঞ্চলে ��াস করত। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম ও ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে মরোক্কোর উপকূলে ফিনিশীয় উপনিবেশ স্থাপনের আগে প্রায় দুই হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলে স্থানীয় বার্বাররা বসবাস করত। এটাই মরক্কোর সভ্যতার প্রথম নথিভুক্ত ইতিহাস।
খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে নগর-রাষ্ট্র কার্থজের আওতায় মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলও চলে আসে। তারা খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেছিল। এই সময়ে স্থানীয় শাসকরা উপকূল থেকে ভেতরের দিকের অঞ্চলে শাসন পরিচালনা করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে চল্লিশ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যখন এই অঞ্চল রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, স্থানীয় বার্বার রাজারাই এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এটি জার্মানীয় ভান্ডালদের দখলদারিত্বের শিকার হয়েছিল। কিন্তু বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ষষ্ঠ শতাব্দীতে মরক্কোকে পুনরুদ্ধার করে।
খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর গোড়ার দিকে  এই অঞ্চলটি মুসলমানরা বিজয় করেছিল, তবে ৭৪০ সালের বার্বার বিদ্রোহের পরে উমাইয়া খিলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়  । অর্ধ শতাব্দী পরেই ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ইদ্রিস রাজবংশই প্রথম মরোক্কো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে এটি একাধিক স্বাধীন রাজবংশ, আলমোরাভিড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরক্কো মাগরেব এবং মুসলিম স্পেনে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
একাদশ  এবং দ্বাদশ শতাব্দীতে আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে মরক্কো শীর্ষে পৌঁছেছিল। সাদি রাজবংশ ১৫৪৯ থেকে ১৬৫৯ সাল পর্যন্ত দেশ শাসন করেছিল, তারপরে  ১৬৬৭ সাল থেকে আলাওয়িরা মরক্কোর শাসক রাজবংশ ছিল।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ক্রমবিকাশ
নানা বাঁধা-বিপত্তি, রক্তক্ষয়য়ী সংগ্রামের বিনিময়ে ১৯৫৬ সালের ২ মার্চ মরক্কো ফ্রান্সের থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। এ স্বাধীনতা আন্দোলনে পঞ্চম মুহাম্মদ ও ইশতিকলাল দলের ভূমিকা অবিস্মরনীয়। বিশেষ আফ্রিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। মরক্কোর এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে বুঝতে হলে আগে আমাদেরকে মরক্কোতে উপনিবেশবাদের সাথে পরিচত হতে হবে।
ভৌগলিকভাবে ইউরোপের সাথে আফ্রিকার বিভাজন হয়েছে জিব্রাল্টার প্রণালীর মাধ্যমে। মাত্র কয়েক কিলোমিটার ব্যবধানে এই মহাদেশ দুটির অবস্থানের কারণে ১৭ শতক থেকেই আলমোরাভ���ড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরোক্কোকে উত্তরে স্প্যানিশ আক্রমণ এবং পশ্চিমদিকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আগ্রাসনের সাথে মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ইউরোপে শিল্পায়নের ��োয়া এলে তাদের লোলুপ দৃষ্টি প্রতিবেশিদের ওপর পড়তে শুরু করে। শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে ইউরোপ উত্তর-পশ্চিম আফ্রিয়ায় নিজেদের উপনিবেশ স্থাপনের পায়তারা শুরু করে। এদিক থেকে স্পেন ও ফ্রান্স দুটি দেশেরই ভৌগলিকভাবে নিকটতম প্রতিবেশি মরক্কো নজরে পড়ে। দুটি দেশেরই উপনিবেশ স্থাপনের এক সম্ভাবনাময় আদর্শ অঞ্চল হয়ে ওঠে মরক্কো।
উপনিবেশবাদের গোড়াপত্তন
সাদি রাজবংশের পতনের সময় রাজনৈতিক বিভাজন এবং সংঘাতের পরে আলাউই সুলতান আল-রশিদ, ১৬৬০ এর দশকের শেষের দিকে পুনরায় মরক্কোকে একত্রিত করেছিলেন। স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতার বিরুদ্ধে ইসমাইল ইবনে শরীফ একটি একক রাষ্ট্র গঠন শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে স্প্যানিশ, ইংরেজদের অতর্কিত হামলা, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার রিফিয়ান আর্মি ইংরেজদের কাছ থেকে ট্যাঙ্গিয়ার দখল পুনরুদ্ধার করেছিল এবং ১৬৮৯  সালে স্প্যানিশদের লারাচে থেকে  তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পর্তুগিজরাও ১৭৬৯ সালে মরোক্কোতে তাদের শেষ অঞ্চল মাজাগাও ত্যাগ করে। তবে এই প্রতিরোধ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি।মরক্কোর স্বাধীনতা বেহাত হয় স্প্যানিশদের  বিরুদ্ধে ‘মেলিলার অবরোধ’ ১৭৭৫ সালে পরাজয়ের মাধ্যমে।
এই সময়ে আটলান্টিক সাগরে আমেরিকান জাহাজগুলো হর-হামেশাই বার্বার জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হতো। মরক্কোর তৃতীয় সুলতান মোহাম্মাদ আমেরিকান জাহাজগুলোকে বার্বার দস্যুদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রদান করেন। ১৭৮৬ সালেই আমেরিকা-মরক্কো বন্ধুত্ব চুক্তি সাক্ষরিত হয়। সেই থেকে আমেরিকা ও মরক্কো একে অপরের দিকে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।
মরক্কোর প্রতিবেশী আলজেরিয়ায় আগেই ফ্রান্স উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। সেই সুবাদে তারা মরক্কোতে খুব কাছ থেকেই নজর রাখছিল। ১৮৩০ সালের শুরুর দিকে সর্ব প্রথম ফ্রান্স মরক্কো দখলের পায়তারা শুরু করে। একই সময়ে স্পেনের সাথে মরক্কোর দীর্ঘদিনের কোন্দল ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দেয়া শুরু করে। ১৮৬০ সালে সেউতা ছিটমহল নিয়ে বিরোধের কারণে স্পেন মরক্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে সেউতাসহ আরো একটি ছিটমহল দখল করে নেয় স্পেন। কার্যত ১৮৮৪ সালে মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনই উপনিবেশ গড়ে তোলে। ফ্রান্সই সর্বপ্রথম উপনিবেশ করার পায়তারা করলেও, এক্ষেত্রে স্পেনই প্রথম সফল হয়।
১৯০৪ সাল থেকে ফ্রান্স ও স্পেন মরক্কোতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। হাজার হাজার ইউরোপীয় মরক্কোতে অনুপ্রবেশ করে জমাজমি কেনা শুরু করে। শিল্পোন্নয়ের নামে তারা বিভিন্ন দ্বীপ, খনিতে প্রভাব খাটানো শুরু করে। তাদের এহেন কাজকর্মে সুবিধার জন্য ফ্রান্সকে চাপ দেয়া শুরু করে মরক্কোকে বাগে আনতে। ফ্রান্স মরক্কোকে বাগে রাখতে ফ্রান্স-মরক্কো সহযোগিতামূলক কার্যক্��ম শুরু করতে সক্ষম হয়। পরবর্তিতে তারা বিভিন্নভাবে মরক্কোর ওপর প্রভাব বিস্তার শুরু করে।
মরক্কোতে ফ্রান্সের এহেন প্রভাব বিস্তারে যুক্তরাজ্য সম্মতি ছিল। তবে মরক্কোর পুরনো মিত্র আমেরিকা এসময় মরক্কোকে কূটনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করে।
১৯০৫ সালে পরাশক্তি গুলোর মাঝে একটি সংকট দেখা দেয়। ১৯১১ সালে ‘আপাদির সংকট’ ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মাঝে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
১৯১২ সালে মরক্কোর সুলতান আবদুল হাফিজের সঙ্গে ‘ফেজ চুক্তি’ স্বাক্ষর করে ফ্রান্স। এ চুক্তি অনুযায়ী মরক্কোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। উত্তর উপকূলীয় অঞ্চল, দক্ষিণ- পশ্চিম অঞ্চল ও পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনের দখল প্রতিষ্ঠিত হয় আর বাকি অংশ চলে যায় ফরাসীদের অধীনে। এ চুক্তির মধ্য দিয়েই মরক্কোকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ফরাসি ‘আশ্রিত ভূখণ্ড’ বানানো হয়। এর পরের বছরগুলোতে ফ্রাস সেখানে উপনিবেশ স্থাপন করে বসে। স্পেনীয় অঞ্চলে একজন হাইকমিশনার এবং ফরাসি অঞ্চলে একজন আবাসিক জেনারেল শাসন করতেন।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও গাজী আব্দুল করিম
ফরাসীরা মরক্কোতে তাদের উপনিবেশ কায়েম করে তাদের আশ্রিত অঞ্চল হিসেবে শাসন কার্য পরিচালনা শুরু করে। ফলে জনগণ তাদের ওপর ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হতে থাকে। ১৯১২ সালে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা গাজী আব্দুল করিম উপজাতীদের সঙ্ঘবদ্ধ করে ফরাসী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফেজ নগর পুনরুদ্ধার করে নেয়। ১৯২৬ সালে ফরাসীরা গাজী আব্দুল করিমকে পরাজিত করে এবং নির্বাসনে পাঠায়। ফরাসীরা মরক্কোর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করলেও মরক্কোবাসী বিদেশী আধিপত্যকে কখনোই মেনে নিতে পারেনি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকেই মরক্কোতে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা আব্দুল করিমের নেতৃত্বে প্রগতিশীল জনগণ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে আবার আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনে স্পেনীর উপনিবেশের পতন ঘটে। আব্দুল করিম বিজয়ী হয়ে “বিজা প্রজাতন্ত্র” গঠন করেন। তবে ১৯২৭ সালে স্পেন ও ফ্রান্স জোটবদ্ধ হয়ে আব্দুল করিমকে পরাজিত করে। ফরাসীদের কঠোর দমননীতি মরক্কোবাসীদের ভেতরে পুনরায় জাতীয়তাবাদকে জাগিয়ে তোলে। ১৯৩০ সালে দাহিব নামক এক নির্যাতনমূলক আইন জারি করলে দেশের জনগণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করে।
১৯২০ সালে মরক্কোতে একটি বিদ্রোহ দমন করছে ফরাসী বাহিনী। ছবিঃ বিবিসি
সুলতান মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ(পঞ্চম মুহাম্মদ) জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ফরাসী উৎখাতের সংগ্রাম শুরু করেন। জাতীয়তাবাদী নেতারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জোরেশোরেই সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৩৪ সালে ফরাসী কর্তৃপক্ষের নিকট একটি সংস্কারমূলক প্রস্তাব পেশ করা হয়। ১৯৩৭ সালে এই প্রস্তাবের সাথে আরো কিছু দাবি যুক্ত করা হয়। এসব দাবীর মধ্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান, বিচা�� বিভাগের সংস্কার অন্যতম। স্বাধীনতাকামীরা প্রথমে ন্যাশনাল একশন কমিটি এবং পরবর্তীতে নিউ ইশতিকলাল দলের মাধ্যমে দাবি আদায়ের আন্দোলন শুরু করে। আব্দুল খালেক তোরণের ‘আল ইসলাহ’ এওবং মক্কা আল নাসিরের ‘মরক্কো ইউনিট” দল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে শামিল হলে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এ সময় পঞ্চম মুহাম্মদের প্রচারণায় মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
ইশতিকলাল দল গঠন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক নতুন মাত্রা বেগবান হয়। ১৯৪৩ সালে মরক্কর জাতীয়তাবাদী নেতারা প্রথমবারের মত ইশতিকলাল নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। অনেকগুলো ছোট ছোট দলের সমন্বয়ে গঠিত এ দলটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মরক্কোবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সুলতান নিজেও এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। ফলে নির্বিঘ্নে এ আন্দোলন চলতে থাকে। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দেশের ভেতরে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে এবং কায়রো ও নিউইয়র্কে তাদের বিদেশ অফিস চালু করা হয়।
আরো পড়ুনঃ পশতুনিস্তান সমস্যা ও সমাধান
১৯৫২ সালের ডিসেম্বরে তিউনিশিয়ার শ্রমিক নেতা ফারহাত হাচেদের হত্যা�� প্রতিবাদে কাসাব্লাঙ্কায় ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়; এই ঘটনা মরোক্কোর রাজনৈতিক দল এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি পরিস্থিতি দাড় করায়। দাঙ্গার পরে, ফরাসী সরকার মরোক্কোর কমিউনিস্ট পার্টি ও ইস্তিকলাল পার্টিকে বে-আইনি ও নিষিদ্ধ  ঘোষণা করে এবং দলের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের নির্বাসন ও ষষ্ঠ মুহাম্মদের ক্ষমতায় আরোহন
মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ফরাসীরা কঠোরভাবে দমন করার চেষ্টা করে। আর সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ জাতীয়তাবাদী নেতাদের প্রতি সমর্থণ ও সহানুভূতি জ্ঞাপন এবং বিশেষ ভূমিকার কারণে তিনি ফরাসী সরকারের বিরাগভাজন হন।
মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলনে ভীত ফরাসি সরকার ১৯৫৩ সালের ২০ আগস্ট ঈদ উল আজহায় সুলতান পঞ্চম মোহাম্মদকে সপরিবারে কর্সিয়ায় নির্বাসনে পাঠায়। এসময় ফরাসিরা মোহাম্মদ বেন আরাফাকে কাঠের পুতুল হিসেবে ক্ষমতায় বসায়। সুলতান আরাফা মরক্কোতে ‘ফরাসি সুলতান নামে পরিচিতি পান। ১৯৫৪ সালের জানুয়ারীতে পঞ্চম মোহাম্মদকে মাদাগাস্কারে সরিয়ে নেয় ফরাসি সরকার। এই নির্বাসন ও পুতুল শাসক আরাফার  আগমন মরক্কোর জাতীয়তাবাদী ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। উভয় পক্ষই ফরাসীদের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।  সুলতান মুহাম্মদের ক্যারিশমাটিক নেতৃতে মুগ্ধ মরক্কোবাসী তাকে জাতীয় নেতা হিসেবে গ্রহণ করেন। মরক্কোর স্বাধীনতাকামী জনগণ সুলতান মুহাম্মদের দিকনির্দেশনায় আন্দোলন চালিয়ে যায় তার অনুপস্থিতেই।  
ফরাসীদের দমননীতি
ফরাসীরা পঞ্চম মুহাম্মদকে সরিয়ে ষষ্ঠ মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসালে প্রতিশোধ হিসাবে, মুহাম্মদ জারকতুনি সেই বছরের  ক্রিসমাসে ইউরোপীয় ভিলে নুভেলের কাসাব্লাঙ্কার মার্চে সেন্ট্রালে  বোমা  হামলা করেছিলেন। যাইহোক, ফরাসিদের মদদে ষষ্ঠ মুহাম্মদ ক্ষমতায় এসে এক নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তার এ শাসন ব্যবস্থায় মরক্কোর স্বার্থবিরোধী কতগুলো সুযোগ-সুবিধা ফরাসীদের জন্য প্রণয়ন করা হয়। যেমনঃ
রাজা নিজের ইচ্ছায় দেশ পরিচালনা না করে মরক্কোকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
ভবিষ্যতে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে ফরাসী ও সুলতানি শাসন রক্ষা করবে।
বিচারকদের একই সাথে শাসন ও বিচারের ক্ষমতা প্রদান করা হবে।
শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করবে।
নাগরিক অধিকার প্রদান করা হবে যদিও তখন পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন জারি ছিল।
ফরাসীদের দমননীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতীয়তাবাদি নেতাদের সহায়তা করার জন্য ফরাসী কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরে বিরোধ দেখা দেয়। ফরাসীরা নতুন সুলতানের মাধ্যমে মরক্কোর নাগরিক অধিকার খর্ব করে। স্বাধীনতাকামী নেতারা কারাগারেই বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে মরক্কোর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করলে সুলতান ও ফরাসীরা কঠোর হস্তে আন্দোলন দমন করা শুরু করে। এতে বহুসংখ্যক নাগরিক মারা যায় আন্দোলনে সমর্থন করার দায়ে।
এর দুই বছর পরে, আন্দোলনকারীদের সমর্থন করার অভিযোগে পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতাচ্যুত করার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে সমগ্র দেশে বিক্ষোভ হয়। সুলতানের প্রত্যাবর্তনের জন্য মরোক্কোর ঐক্যবদ্ধ দাবি ওঠে এবং মরক্কোতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার পাশাপাশি আলজেরিয়াতেও পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়। এছাড়াও পুনরায় ফরাসী কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
সুলতান মুহাম্মাদ নির্বাসন থেকে ফিরছেন। ছবিঃ মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ
ইসতিকলাল দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী দলগুলো পুনরায় পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসানোর প্রচেষ্টা চালায়। মরক্কোর স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আন্দোলন পার্শ্ববর্তি লিবিয়া, আলিজেরিয়া, মিশরের জনসাধারনেরও সমর্থণ পায়। তারা পঞ্চম মুহাম্মদের নামে মসজিদে মসজিদে খুৎবা পাঠ করতে শুরু করে। কিন্তু তিনি আশ্রিত সুলতান হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণে অস্বীকার করেন। পরিস্থিতি অনুধাবণ করে শেষ পর্যন্ত উভয় সংকটের মুখোমুখি হয়ে ফরাসি সরকার শর্ত প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফিরে আসার আহবান জানায় এবং পঞ্চম মোহাম্মদকে মরক্কোতে ফিরিয়ে আনে। অবশেষে ১৯৫৫ সালের ১৬ নভেম্বর সুলতান বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরে আসেন। এবং পরের বছর উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয় ��া মরক্কোর স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়।
মরক্কোর স্বাধীনতা ঘোষণা
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ ১৯৫৫ সালের শেষের দিকে ফরাসি-মরোক্কোর পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কাঠামোর মধ্যে মরোক্কোর স্বাধীনতা ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের জন্য আলোচনা করতে সফল হন, যা রাজা এবং জনগণের বিপ্লব নামে পরিচিতি লাভ করে। সুলতান এমন পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছিলেন যা মরক্কোকে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সাথে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত করবে। ১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোকে সীমিত পরিসরে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল।
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ প্যারিসে স্বাক্ষরিত ফরাসি-মরোক্কো চুক্তি হয়। ১৯৫৬ সালের ৭ এপ্রিল, ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে মরক্কোস্থত উপনিবেশ ত্যাগ করে। ১৯৫৬ সালের ২৯ শে অক্টোবর ট্যানজিয়ার প্রোটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকীকৃত শহর ট্যানজিয়ার পুনরায় মরক্কোর সাথে সংযুক্ত হয়েছিল।
স্পেন কর্তৃক মরোক্কোর স্বাধীনতার স্বীকৃতি এবং স্প্যানিশ উপনিবেশ বিলুপ্তি পৃথকভাবে আলোচনা করা হয়েছিল এবং ১৯৫৬ সালের এপ্রিলের যৌথ ঘোষণায় চূড়ান্ত করা হয়েছিল। তবে, স্পেনের সাথে এই চুক্তি এবং ১৯৫৮ সালে পৃথক আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু স্প্যানিশ-শাসিত অঞ্চলে মরক্কোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা করা সম্ভব হলেও সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্যান্য স্প্যানিশ উপনিবেশগুলো দাবি করার প্রচেষ্টা  ততটা সফল হয়েছিল।
১৯৫৬ ও ১৯৫৮ সালে সাক্ষরিত ফরাসি-মরোক্কো ও স্প্যানিশ -মরোক্কো চুক্তিগুলোর মাধ্যমে স্পেন ও ফরাসী সৈন্যরা চলে যেতে শুরু করে। এবং শেষ পর্যন্ত স্পেনীয়  ও ফরাসীদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে মরক্কো।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের অবদান
মাত্র সতের বছর বয়সে মরক্কোর সিংহাসনে বসেন সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ। তার বলিষ্ঠ নেতৃতের কারণেরি মরক্কোবাসী স্পেন ও ফরাসীদের দখলদারীত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সক্ষম হয়েছিল। ফরাসীরা মুহাম্মদকে তাদের অনুগত ভৃত্য হিসেবে সিং হাসনে বসালেও তিনি তাদের আনুগত্য মেনে নেননি। যারফলে ফরাসীদের রোষানলে পড়েন এবং নির্যাতিত হন। বিদেশী শাসনে মরক্কোর জনগণ যখন নিষ্পেষিত এবং একজন জাতীয় নেতার অভাব অনুভব করছিল ঠিক তখনই পঞ্চম মুহাম্মদ ক্ষমতায় আসেন এবং দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান এবং স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সফল হন।
স্বাধীনতার কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চম মোহাম্মদ একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের অধীনে একটি আধুনিক সরকারী কাঠামো তৈরি করতে অগ্রসর ���ন  যেখানে সুলতান একটি সক্রিয় রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবেন। তিনি সতর্কভাবে ইস্তিকলালকে তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।তিনি ১৯৫৭ সালের ১১ আগস্ট রাজতন্ত্র গ্রহণ করেন এবং সেই তারিখ থেকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মরক্কো কিংডম’ নামে পরিচিতি লাভ করে। মরক্কোর স্বধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সুলতান মোহাম্মদের অবদান, নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ব���রত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য মরক্কোবাসীর নিকট জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল উত্তর আফ্রিকার ইতিহাসে এক অবিস্মরণিয় অধ্যায়। মরক্কোবাসীরা দীর্ঘ প্রত্যাশিত স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে মহুমুখী ত্যাগতিতিক্ষা ও লড়াইয়ের বিনিময়ে। এ অর্জনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল সুলতাবন পঞ্চম মুহাম্মদের ত্যাগ, সংগ্রাম। ফরাসীদের মনোনীত শাসক হলেও দেশের গণমানুষের জন্য তিনি সব স্বার্থকে তুচ্ছ করে সংগ্রাম করেছেন ফরাসীদের বিরুদ্ধে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে ফরাসীরা পরাজিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে মরক্কো স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মরক্কোর এই সংগ্রাম আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণিয় আদর্শ।
1 note · View note
ahsanulkarim · 9 days ago
Text
0 notes
sagorx · 13 days ago
Text
বলিউড-ঢালিউড সেতুবন্ধন: তরণ আদর্শের নজরে শাকিব খানের 'দরদ'
0 notes
2nd-stagnant-bastard · 13 days ago
Video
youtube
এক নজরে বাংলাদেশী স্বৈরাচার | Dictator in Bangladesh #quotaandolon
0 notes
stuartngbooks · 13 days ago
Video
youtube
এক নজরে বাংলাদেশী স্বৈরাচার | Dictator in Bangladesh #quotaandolon
0 notes
shishucozy · 20 days ago
Text
শিশুকে ডায়াপার পরালেই র‍্যাশ, খেয়াল রাখুন এসব বিষয়ে
শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে নিশ্চিন্তে থাকেন অনেক মা-বাবা। কিন্তু দীর্ঘ সময় এটি পরিয়ে রাখলে যে শিশুর ত্বকে কতটা সমস্যা হয় তা হয়তো জানেন না। অনেকের প্রায় ৩ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। কিন্তু এটি ব্যবহারের সময়, নিয়ম বা পদ্ধতি জানেন না। ফলে শিশুর অস্বস্তি তো হয়ই, পাশাপাশি ত্বকে দেখা দেয় র‍্যাশ, চুলকানির মতো চর্মরোগ। Shishu Cozy - শিশু আরামদায়ক
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুকে ডায়াপার পরানোর ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম জানা উচিত। তাহলে সম্ভাব্য সমস্যা এড়ানো যায়।
ডায়াপার পরানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা
১. ডায়াপার সবসময় পরাতেই হবে এমন ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসুন। এটি সবসময় পরিয়ে রাখার পোশাক নয়। Shishu Cozy - শিশু আরামদায়ক
২. কাছাকাছি কোথাও গেলে কিংবা ঘরে থাকলে শিশুকে ডায়াপার পরাবার দরকার নেই। খুব সমস্যা না থাকলে শিশুকে ডায়াপার ছাড়াই রাখতে ��েষ্টা করুন।
৩. নরম সুতির কাপড়ের ডায়াপার কিনুন। অন্য ধরনের কাপড়ে ঘষা লেগে শিশুর ত্বক লালচে হয়ে যায়। কী ধরনের ডায়াপার আপনার সন্তানের ত্বকের জন্য উপযুক্ত তা শিশু চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।
৪. ভিজে ভিজে ভাব অর্থাৎ লিকেজ হলেই বোঝা যাবে এমন ডায়াপারই কিনুন। ভিজে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে তা বদলে দিন। Shishu Cozy - শিশু আরামদায়ক
৫. ডায়াপার না ভিজলে ঘণ্টা দুই অন্তর ডায়াপার বদলে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
শিশুকে ডায়াপার পরানোর ক্ষেত্রে আরও যে বিষয়গুলো নজরে রাখবেন-
রাতভর ডায়াপার নয়
শিশুকে রাতভর ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। ডায়াপার ছাড়াই ঘুম পাড়ান। প্রয়োজনে অভিভাবকেরা পালা করে রাতভর দায়িত্ব নিন। পুরো রাত ডায়াপার পরিয়ে রাখলে শিশুর ত্বকে র‍্যাশ হবে।
বেশি সময় নয় Shishu Cozy - শিশু আরামদায়ক
অনেক অভিভাবকই ১২-১৪ ঘণ্টা ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। এতে শিশুর ত্বকে ঘষা লেগে র‍্যাশ, অ্যালার্জি হয়। ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যায়, জ্বালা সৃষ্টি হয়।
মলমূত্রের দিকে খেয়াল রাখা
বাচ্চা মলমূত্র ত্যাগ করলে সেই অবস্থায় ডায়াপার পরিয়ে রাখলে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।
ভালো করে গোসল
শিশুকে রোজ ভালো করে গোসল করান। গোসলের পর অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল দিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। এতে র‌্যাশের সম্ভাবনা কমে যায়। Shishu Cozy - শিশু আরামদায়ক
জন্মের ৩ সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ন্যাপকিন র‌্যাশের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই এই সময় ডায়াপার পরাবেন কি না, বা পরালে কী ধরনের ডায়াপার কিনবেন, কতক্ষণ পরাবেন, তা শিশু চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন।
Tumblr media
0 notes
seeupdate1 · 2 months ago
Text
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলা ও ….
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলা ও ….
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলা ও নিপীড়নের ধারাবাহিক ঘটনা আবারও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নজরে এসেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলার কারণ হয়েছিল। বিভিন্ন হিন্দু গোষ্ঠী এবং মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে অন্তত 205টি হামলার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। আরো বিস্তারিত দেখুন:
Tumblr media
0 notes
tajmahalgemsworld · 2 months ago
Text
আপনার ভ্রু-র আকৃতি বলে দেবে আপনার স্বভাব কেমন, জেনে নিন কে কেমন মানুষ
নতুন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হলে কিংবা পরিচিত মানুষ কেমন তা জানতে ইচ্ছে হয় সকলেরই। কার মনে কী চলছে, তা জানতে উদগ্রীব থাকেন সকলে। এই কারণে বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটিকে সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে চলি আমরা। তার কথা বলা ভঙ্গি, হাঁটা-চলা সবই পর্যবেক্ষণ করি। এবার কে কেমন জানতে তাঁর ভুরু দেখুন। মানুষ স্বভাব বোঝা যায় তার ভ্রু দেখুন। রইল ১০ ধরনের মানুষের খোঁজ।
সরু আই ভ্রু হয় অনেকে। দেখে মনে হয় যেন কাজল পেনসিল দিয়ে আঁকা হয়েছে। জানা যায়, যাদের এমন সরু ভুরু হয় তাদের আত্মবিশ্বাস নাকি কম থাকে। তাই আপনি যদি এমন ভ্রু-র অধিকারী হন, তাহলে নিজের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিন। যে কোনও কাজে নিজের ওপর আস্থা রাখুন। দেখবেন সব কাজে সফল হবেন।
তির্যক ভ্রু হয় অনেকেরই। শাস্ত্র মতে, যাদের তির্যক ভুরু তাদের কোণা যত কঠিন তত সে আবেগ প্রবণ। এমন মানুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে সতর্ক থাকুন। এরা অল্পেতে আঘাত পেয়ে যায়। সে কারণে এদের মন নিয়ে খেলা করবেন না। এতে নিজেই পরে সমস্যায় পড়বেন।
ইংরেজি এস আকৃতির ভুরু হয় অনেকের। এমন আকৃতির ভ্রু ওয়ালা ��ানুষদের থেকে সাবধান। এরা কিন্তু বড্ড বেশি চুজিং হয়। এমন কোনও মেয়ে প্রেম পড়লে হুট করে তাকে প্রস্তাব দিয়ে বসবেন না। প্রত্যাখ্যান পেতে পারেন। তাই এস আকৃতির ভ্রু আছে এমন মেয়ের সম্পর্কে পুরো পুরি জেনে নিন। তবেই সম্পর্কে জড়ান।
জোড়া ভুরু থাকে অনেকেরই। শাস্ত্র মতে, জোড়া ভুরু যাদের থাকে, তারা উদ্যোগী স্বভাবের মানুষ। এরা নতুন নতুন কাজ করতে ভালোবাসে। সব কাজে এদের উদ্যোগ থাকে। এরা একেবারেই বিশ্রাম দিতে চায় না। চতুর ও সংযমী হন এরা। ফলে চট করে ঠকাতে পারবেন না এমন ভ্রু অধিকারী কিংবা অধিকারিণীকে।
যদি আপনার সঙ্গীর দুটো ভ্রু-র মধ্যে থাকে অনেক খানি দূরত্ব, তাহলে বুঝবেন সে বেশিই আবেগপ্রবণ। এরা অন্যের কথা শুনে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এদের সহজে কেউ ভুল বুঝিয়ে দেয়। এমন মানুষের সঙ্গে মেশার ক্ষেত্রে সাবধান। এদের কাছে কিছু লুকাবেন না। ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে দুজনের মধ্যে।
শাস্ত্র মতে, যাদের দৃঢ় ভ্রু, তারা ভবিষ্যতে সম্মান পান। এরা যে কোনও কাজে সকলের নজরে আসেন। এরা সৌভাগ্যবান হয়ে থাকেন। সে কারণেই সব কাজে সম্মান পান। এমনকি, খ্যাতির শীর্ষে সব সময় থাকেন এই ধরনের মানুষ। এরা অল্প পরিশ্রমেই সফল হন। তাই আপনারও ভ্রু যদি দৃঢ় হয়, তাহলে সব কাজে সম্মান পাবেন।
ছোট মাপের ভ্রু হয় অনেকে। শাস্ত্র মতে, ছোট ভ্রু হলে এরা রাগী হ��। অল্পতেই এদের মাথা গরম হয়ে যায়। নিজের ওপর মোটেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না। এদের থেকে সাবধান। এদের বুঝে শুনে চলুন। এরা মনের দিক থেকে ভালো মানুষ হয়ে থাকেন। তবে, এরা নিজেদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।
ভি শেপের ভ্রু হয় অনেকের। শাস্ত্র মতে, এরা সরল মনের মানুষ হন। এই ধরনের মানুষকে সব ব্যাপারে বিশ্বাস করতে পারেন। এরা কাউকে ঠকায় না। মনের এক মুখে এক এমন নন এরা। এদের সঙ্গে সম্পর্কেও জড়াতে পারেন। এরা সম্পর্কের প্রতি যত্নবান হন।
হালকা ভ্রু হয় অনেকের। ভুরুর লোক ছাড়া ছাড়া থাকে। শাস্ত্র মতে, এরা আদর্শ ও সিদ্ধান্তে অটুট প্রকৃতির মানুষ হন। এদের সিদ্ধান্ত বদল করা খুব কঠিন। এমন মানুষকে অনেকে জেদী ভেবে ভুল করেন। এবার থেকে ভ্রু দেখে বুঝে নিন কে কমন স্বভাবের। সেই বুঝে তার সঙ্গে মেলা মেশা করুন।
হালকা রঙের ভ্রু হয় অনেকে। চুলের থেকে ভ্রু-র রঙ হালকা হলে এদের থেকে সাবধান। শাস্ত্র মতে, এরা কৃপন স্বভাব মানুষ হন। কোনও ক্ষেত্রে মোটেই খরচ করতে চান না। এদের থেকে টাকা বের করা বেশ কঠিন।
0 notes
danzer91 · 2 months ago
Video
youtube
নজরে ৫১ জন। ভয় দেখানোর অভিযোগে চিঠি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি।
0 notes
ahsanulkarim · 16 days ago
Text
0 notes
hasuban091 · 3 months ago
Text
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিয়ে ইদানিং নিউজ করে গু'জব ছড়িয়েছিল 'ভোরের বার্তা ২৪' নামক অনলাইন পত্রিকা । বিষয়টি আমাদের নজরে আসা মাত্র তাদের নিউজ সাইট সা-সপেন্ড করা হলো ।
1 note · View note