#দাঙ্গা
Explore tagged Tumblr posts
Text
"বাবরি মসজিদ থেকে রামমন্দির " ১৫২৮-২০২৪: বাবরি মসজিদ থেকে রামমন্দির! এক নজরে ৪৯৬ বছরের ইতিহাস এবং বিতর্ক১৫২৮-২০২৪: বাবরি মসজিদ থেকে রামমন্দির! এক নজরে ৪৯৬ বছরের ইতিহাস এবং বিতর্ক
১৫২৮-২০২৪: বাবরি মসজিদ থেকে রামমন্দির! এক নজরে ৪৯৬ বছরের ইতিহাস এবং বিতর্ক অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি হওয়ার ৪৯১ বছর পরে শীর্ষ আদালতের বিচারকেরা জানান, হিন্দুদের বিশ্বাসের ‘রামজন্মভূমি’তে মন্দিরই হবে। আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক। কলকাতাশেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২১ বছরের পর বছর ধরে আইনি লড়াই। দীর্ঘ লড়াই নিয়ে রাজনৈতিক জট। এ সব কাটিয়ে অবশেষে সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। সোমবার…
View On WordPress
#নরেন্দ্র মোদি#বাবরি মসজিদ#ভারতীয় মুসলিম#মুঘল মসজিদ ধ্বংস#মুসলিম নির্যাতন#রামমন্দির#হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা
0 notes
Text
লংমার্চে অংশ নিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
লংমার্চে যোগ দিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে জড়ো হচ্ছে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চ করবে বিএনপি তিন গঠন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেন ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের…
0 notes
Link
সনাতন ধর্মের নাম ভাঙিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা ও
0 notes
Text
ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পদযাত্রা
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রতিবাদী পদযাত্রা করবে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এসময় স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। রোববার সকাল ১০টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে এ কর্মসূচি শুরু হবে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সকল…
0 notes
Text
ইসকনের সমালোচনা মানে সনাতন হিন্দুধর্মের বিরোধিতা নয়
প্রকাশ : আমাদেরসময়ডট কম
৩১ অক্টোবর, ২০১৯।
ফরহাদ মজহার : আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ’ বা ইসকন (International Society for Krishna Consciousness) এবং বাংলাদেশে তাদের তৎপরতা সম্পর্কে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান যে ধর্মই হোক, সচেতন নাগরিক মাত্রই বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক বিরোধ চান না। তাদের অনেকের ধারণা, ইসকনের তৎপরতা এক ধরনের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরি করছে। উৎকণ্ঠা সে কারণেই।
জানা যায়, ইসকন এই দেশের সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি নয়, তাদের প্রতিনিধিত্বশীল স্থানীয় কোনো ধর্ম প্রতিষ্ঠানও নয়। বিশেষত তাদের আন্তর্জাতিক ‘করপোরেট অপারেশান’কে মহামতি শ্রী চৈতন্যের জাতপাতবিরোধী সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলন এবং প্রেমধর্মের প্রতিনিধি রূপে গণ্য করা এক প্রকার বিভ্রান্তি ও ভুল। একালে ‘প্রেমধর্ম’ কায়েম করার অর্থ- সবার আগে প্রেমশূন্য পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং ভোগবাদকে চ্যালেঞ্জ করা। ইসকন তাদের ভক্তদের নিরামিষাশী ও মিতাচারী হওয়ার উপদেশ দিলেও বিশাল বিশাল মন্দির স্থাপনের মধ্য দিয়ে যে বার্তা দিয়ে থাকে, সেটা দৃশ্যমান ভোগবাদী সংস্কৃতির বার্তা। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় প্রভুপাদের স্বর্ণ প্রাসাদ বা ‘নব বৃন্দাবন’ এর একটি দৃষ্টিকটু নজির। ‘নব বৃন্দাবন’ বা স্বর্ণ প্রাসাদের প্রতিযোগিতা রাজরাজড়াদের সামন্তক্ষমতা প্রদর্শনের সাথে তুলনীয়। ভার্জিনিয়ায় ইসকনের ‘নব বৃন্দাবন’কে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের তাজমহলের সাথে তুলনা করা হয়। চৈতন্যের ধর্মভাবে হৃদয়ের বৃন্দাবনকে বৃহৎ ও বিশাল করাই ছিল লক্ষ্য। বাইরের লোক দেখানো, চোখ ধাঁধিয়ে দেয়া ধর্মমন্দির দিয়ে মানুষ তৈরি হয় না, আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য হয়। ইসকনের সমালোচনা, পর্যালোচনা এবং তাদের কার্যক্রমের বিরোধিতা সনাতন হিন্দুধর্মের বিরোধিতা নয়; বরং বাংলার ঐতিহ্যবাহী ধর্ম ও ভাবের বিকৃতি রোধের জন্যই তা দরকারি।
ইসকন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। ষাট থেকে সত্তর দশকব্যাপী পাশ্চাত্যের তরুণদের গভীর আধ্যাত্মিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে ‘হরে কৃষ্ণ মুভমেন্ট’ হিসেবে এর শুরু। ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে গড়ে উঠলেও পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের মধ্য দিয়ে পৃথিবীব্যাপী একটি ‘কাল্ট’ হিসাবেই ইসকন পরিচিতি লাভ করেছে। অর্থ, প্রতিপত্তি ও ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই আন্তর্জাতিক ক্ষমতা ও আধিপত্যের প্রতিযোগিতায় ইসকন নির্ধারক ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যেন আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক রাজনীতির উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্যই ইসকনের পর্যালোচনা জরুরি। সাম্প্রতিককালে দিনাজপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ভোলায় স্থানীয় জনগণের সাথে ইসকনের বিরোধ ও সংঘর্ষ প্রমাণ করে, বাংলাদেশে তারা মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সম্প্রদায়গত বিরোধ, সংঘাত ও দাঙ্গা তৈরির জন্য তৎপর।
ভোলায় সম্প্রতি পুলিশের ��ুলিতে চারজন শহিদ ও কয়েকশ’ মানুষ আহত হওয়ার আগে ইসকন সংগঠনটিকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষ হয়েছিল। এলাকায় আগে থেকেই ক্ষোভ জারি ছিল জনমনে। ইসকনের সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বন্দ্বের সাথে ভোলায় পুলিশের গুলি চালানোর সম্পর্ক আছে কি না তার নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি। ইসকন মন্দিরকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাংলাদেশে নতুন নয়। অনেক আগে থেকেই তা ঘটছে। ভোলার ঘটনার আগে দিনাজপুরে এবং সিলেটে ইসকন ও স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে হানাহানি ঘটেছে। ��ট্টগ্রামে স্কুলের ছাত্রদের প্রসাদ বিতরণ করে ‘হরে কৃষ্ণ’ বলানোর ভিডিও ভাইরাল হবার পর ইসকন বাংলাদেশে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, ইসকনের তৎপরতা নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ ও আপত্তিকে গ্রাহ্য করা হয়নি। বরং সব সময়ই এটাকে দেখা হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠের অসহনশীলতা এবং সাম্প্রদায়িক প্রতিক্রিয়া হিসেবে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ বেড়েছে। তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে প্রশাসনের অদক্ষতা প্রকট। তদুপরি, সঙ্কটের গভীরতা না বোঝার কারণে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইসকনের বিরুদ্ধে স্থানীয় অধিবাসীদের প্রধান অভিযোগ কী, এবং বিরোধ সৃষ্টির দৃশ্যমান প্রধান কারণই বা কী? সেটা হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ‘মন্দির দখল’ এবং স্থানীয় অধিবাসীদের ‘জমি দখলে’র অভিযোগ। কিন্তু সরকারিভাবে এর তদন্ত হচ্ছে না। এতে মনে করা যায়, ইসকন বাংলাদেশের সরকার ও প্রশাসনিক পর্যায়ে শক্তিশালী। সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ পুলিশ ও প্রশাসনের অনেকেই ইসকনের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায়। আবরার ফাহাদকে হত্যায় অভিযুক্ত এক ছাত্র এবং তাদের পরিবারও ইসকনের সদস্য বলে গণমাধ্যম জানিয়েছে। বাংলাদেশে যে বিপুল সংখ্যক ইসকন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিম্বা ইসকনের বলে দাবি করা হচ্ছে, সেখানে জমি বা মন্দিরগুলো কিভাবে তাদের মন্দিরে রূপান্তরিত হলো, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। অনেক মন্দিরেরই স্থানীয় ইতিহাস আছে। আমাদের অনুমান, প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই।
১৯৬৬ সালে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ মার্কিন দেশে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ‘ইসকন’। একটি বিদেশি ধর্ম সংগঠন বাংলাদেশে এতগুলো মন্দির প্রতিষ্ঠা করে ফেলল, যা তারা ভারতের পশ্চিম বাংলা, বিহার কিম্বা উড়িষ্যাতেও পারেনি। ইসকনের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে যতটা না, তার চেয়ে অনেক বেশি বাংলাদেশে। এটা খুবই বিস্ময়ের বৈকি! বাংলাদেশ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা কী আসলে সেটা তদন্ত করা সরকার ও প্রশাসনের উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে এই সংগঠনটি ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান’ হিসাবে নিজেকে দাবি করলেও সব সময়ই ‘কাল্ট’ হিসাবে পরিচিত হয়েছে। এ ছাড়া ইসকনের বিরুদ্ধে ‘ব্রেইনওয়াশিং’এবং ‘শিশু ও নারী নির্যাতনে’র অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে হয়েছে মামলাও। এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইসকনের আদর্শিক দিক। এই বিশেষ আন্তর্জাতিক ‘হরে কৃষ্ণ মুভমেন্ট’ গৌড়ীয় বৈষ্ণব চিন্তার প্রতিনিধিত্ব করে কি না, সে সম্পর্কে বাংলাভাষী ও বাঙালিদের পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার। ��িস্ময়কর হচ্ছে, সাধারণ ভাবে ধর্মের প্রতি অনীহা ও বিদ্বেষের কারণে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলায় এই বিষয়ে আলোচনা একদম অনুপস্থিত বলা যায়। কিন্তু ‘অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ থাকে না’। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, ইসকন ‘হরে কৃষ্ণ’ কীর্তনের জায়গায় ‘জয় শ্রীরাম’ কীর্তনও তাদের কীর্তনাঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করছে।
ধর্ম ব্যাখ্যা, ধর্মচর্চা ও আধ্যাত্মিক সাধনার অধিকার সবারই আছে, ইসকনেরও রয়েছে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব বাংলাভাষী ও বাঙালিদের জন্যই, পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের কালে আন্তর্জাতিক নব্য ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে ‘ইসকন’ কেন ও কিভাবে গড়ে উঠল, সেটা সঠিকভাবে বোঝা এবং তার বিচার জরুরি। বিশেষত বাঙালি হিন্দু ও বাঙালি মুসলমানের পারস্পরিক বোঝাবুঝির জায়গা উপেক্ষা করা অনুচিত। এটা এড়িয়ে যাওয়া উভয়ের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে।
শ্রীল প্রভুপাদ ১৯৭৭ সালে মারা গেছেন। এরপরে ইসকন যে রূপে বিবর্তিত হয়েছে, এর সাথে তার আদি কল্পের মিল আছে কি না, তা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষত দুটো বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ। একটি অভিযোগ, সংগঠনটি গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের চেয়েও বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দা তৎপরতা এবং সাম্প্রতিককালে ইসরায়েল ও ভারতীয় গোয়েন্দা তৎপরতার আদর্শ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। উপমহাদেশে হিন্দুত্ববাদের উত্থান এবং ভারত ও ইসরায়েলের গভীর সামরিক, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সম্বন্ধ ও সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে ইসকন বাংলাদেশে তাদের এহেন তৎপরতার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম কি না, সেই তর্ক উঠেছে।
ইসকন-এ ‘প্রভু’দের নাম পরিবর্তন করবার রীতির ফলে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড বা আসল পরিচয় লুকিয়ে রাখা সহজ। যেমন, ইসকনের প্রভাবশালী নেতা জয়াদ্বৈত স্বামীর আসল নাম ‘জে ইসরায়েল’ (Jay Israel), তার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি রাজ্যে একটি ইহুদি পরিবারে। ইসকনের নীতিনির্ধারণে ও পরিচালনার ক্ষেত্রে আরেকজন অতিশয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হচ্ছেন রাধানাথ স্বামী। তার আসল নাম রিচার্ড স্লাভিন (Richard Slavin)। তিনিও পারিবারিক সূত্রে ইহুদি। তার মা ইডেল ও জেরাল্ড স্লাভিন। তারা রাশিয়া, রুমানিয়া, পোলান্ড ও লিথুয়ানিয়া থেকে যেসব ইহুদি পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে রিফিউজি হিসেবে এসেছেন, তাদেরই সন্তান। ভারতে ও বাংলাদেশে স্কুলের বাচ্চাদের দুপুরের খাবার পরিবেশনার কর্মসূচি রিচার্ড স্লাভিনের পরিকল্পনা। স্লাভিন ইসকনের কার্যকলাপ বোম্বাইয়ে বসে পরিচালনা করেন। চট্টগ্রামে স্কুলের বাচ্চাদের ‘প্রসাদ’ খাইয়ে ‘হরে কৃষ্ণ’ বলিয়ে নেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ফলে ইসকন বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে।
জে ইসরায়েল ও রিচার্ড স্লাভিন দুইজনই ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে ইসকনের নীতিনির্ধারণী কাজে জড়িত। স্লাভিন ��সকনের গভর্নিং বডি সদস্য এবং একজন দীক্ষাগুরু। অন্যদের আসল পরিচয় জানলে ইসকনের পরিচালনা কমিশন আসলে কারা চালায়, তা বোঝা যাবে। এই তথ্য জোগাড় করা সরকারেরই দায়িত্ব।
সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিবর্তনটা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর দ্রুত ঘটেছে। ভক্তদের মধ্যে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ তর্কের বিষয় হচ্ছে, সামগ্রিকভাবে সংগঠনটিতে ‘ইথনিক’, বিশেষভাবে ইহুদি প্রভাব বেড়েছে কি বাড়েনি- সে প্রসঙ্গ। এ অবস্থায় শ্রীল প্রভুপাদের ধর্মচিন্তার ধারণা থেকে ইসকন ‘বিচ্যুত’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভক্তদের মধ্যে ইহুদি প্রভাবের একটা নামও আছে : ‘জেবিডি’ (Jewish Background Devotee)। বাংলাদেশের ইসলামপন্থীরা যখন ইসকনকে একটি ‘ইহুদি’ সংগঠন বলে দাবি করেন ও জায়নিস্ট তৎপরতা প্রতিরোধের কথা বলেন, তখন তারা আসলে ইসকনের বিপুলসংখ্যক কৃষ্ণভক্তের অভিযোগেরই প্রতিধ্বনি করেন। একে নিছক ইহুদিবিদ্বেষ হিসেবে গণ্য করার কারণ নেই।
ইসকনের সাথে যুক্ত আন্তরিক রাধাকৃষ্ণভক্তকুল আমাদের আপত্তির বিষয় নন। তাদের সঙ্গে সম্প্রীতি চর্চা করা জরুরি। আশা করি, তারাও আমাদের এই উৎকণ্ঠাকে আন্তরিকভাবেই বিবেচনা করবেন।
0 notes
Text
একজন নোবেল প্রাইজ বিজেতা রাষ্ট্রদ্রোহীদেরকে ভয় পায়। তার কোন প্রয়োজন নেই রাষ্ট্রদ্রোহীদের ঠ্যাঙানোর অথবা মারামারি করার। সে নিরাপদে নিজের বাড়িতে যায়, এবং নিরাপদে থাকতে চায়। অপরাধীরা বুঝে গেছে নোবেল প্রাইজ বিজেতা তাদের সঙ্গে পারবেনা। একজন নোবেল প্রাইজ বিজেতা কোন একটি দেশের অথবা রাষ্ট্রের সরকারকে এক ফু দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারে।
রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার ঘুষখোরের অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধী যার প্রমাণ রয়েছে, দুর্নীতির অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধী এবং তার প্রমাণ রয়েছে। প্রত্যেকটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসারেরা দায়বদ্ধতা সহ অপরাধের অপরাধে অভিযুক্ত এবং অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার কারণে তাদের মৃত্যুদণ্ড হয়ে গেছে।
সাংবিধানিক আইনি প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অফিসারেরা এবং কর্মচারীরা বিচার বোঝেনা। একটি রাষ্ট্রে কিভাবে বিচার প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় সেটা বোঝে না।
রাষ্ট্র বাংলাদেশের লর্ড রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিচার পরিচালনা করে এবং বিচার করেন।
মিলিটারি ডিসিপ্লিন এর মিলিটারিরা তাদের নিজস্ব নিয়মে এবং ডিসিপ্লিনে তারা বিচার করেন।
সাংবিধানিক আইনি প্রতিষ্ঠান গুলো সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন।
নোবেল প্রাইজ বিজেতা ডক্টর ইউনুস অভিযোগ করেছেন এবং তার প্রতিটি অভিযোগ একশতভাগ আমলে নেওয়ার যোগ্য, রাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।। প্রায় সকল রকমের অপরাধ দ্বারা প্রতিষ্ঠানের অফিসার এবং কর্মচারীরা অপরাধ করতে থাকে যার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এক কথায় বলতে বোঝা যায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। বিশেষ ক্ষেত্রে এবং সকল ক্ষেত্রেই এ ধরনের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে বসে অপরাধ করে রাষ্ট্রদ্রোহী হয়, অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে অপরাধে যোগ দেয়,, শুধুমাত্র টাকার জন্য,, এবং এই সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং তাদের প্রতিটি পরিবারের সদস্যরাও যোগ দিয়েছে। অর্থাৎ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ঘোষণাই দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধগ্রস্ত, এই ধরনের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধগ্রস্ত ঘোষণা দ্বারা প্রতিষ্ঠান যখন চলতে থাকে তখন তা জনস্বার্থ বিরোধী হয়।
রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্র যখন কথা বলবে এবং কথা বলতে থাকবে তখন তাদেরকে রা��়োটার/Rioter/দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করবে।
যেকোনো পরিমাণ অর্থের চুক্তিতে এ ধরনের রায়োটার/Rioter/দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী সন্ত্রাসীদের গণহত্যা করা হবে। এটি একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ম হয়, দাঙ্গা হাঙ্গামা কারী সন্ত্রাসীদেরকে পুড়িয়ে মারা হয় অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হয়, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
#লর্ড 🇧🇩 #রাষ্ট্রবাংলাদেশ
0 notes
Text
ইসলামোফোবিয়া
ইসলামোফোবিয়া সম্পর্কে আগে থেকে জানার ইচ্ছা ছিলো ,ছোট মানুষ হিসেবে একটু আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। ভুল হলে ধরিয়া দেবেন।
ইসলামোফোবিয়া, অর্থাৎ ইসলামের প্রতি অযৌক্তিক ভয় বা ঘৃণা, আজকের বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা হিসেবে আবির্��ূত হয়েছে। যদিও ইসলাম একটি শান্তি ও সহনশীলতার ধর্ম, তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি ভুল ধারণা, ধর্মীয় বিদ্বেষ, এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার কারণে ইসলামোফোবিয়া ক্রমবর্ধমান হয়েছে। এই সমস্যার শিকড় ও পরিণতি নিয়ে আলোচনা করা অপরিহার্য, যাতে আমরা এটির প্রকৃত বাস্তবতা এবং এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের পথটি বুঝতে পারি।
ইসলামোফোবিয়ার উৎপত্তি জটিল এবং বহুমাত্রিক। প্রথমত, এটি প্রধানত ধর্মীয় বৈষম্য এবং অজ্ঞতা থেকে জন্ম নেয়। বহু মানুষ ইসলাম এবং মুসলিম সংস্কৃতি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন না, যা থেকে বিভিন্ন ভুল ধারণা তৈরি হয়। এই অজ্ঞতা ও ভুল ধারণা গুলি গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যম দ্বারা আরও প্রশ্রয় পায়, যেখানে ইসলামের বিকৃত চিত্র উপস্থাপন করা হয়।সব চেয়ে আমাদের রাসূল
হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ﷺ) উপর বেশি আঘাত আনা হয় বেশি। তার পবিত্র চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা ইসলাম বিদ্দেষীরা অথচ আলহামদুল্লিলাহ অনেক নাস্তিক তার সম্পর্ক জানার পর ইসলাম আর ছায়া তলে
আশ্রয় নিয়েছে। যদি আমরা জাকির নায়ক এর একটা বিতর্ক প্রোগ্রামে জানতে পারি অনেক ইসলাম দশমন কুরআন ভুল নিয়ে বিতর্ক করতে এসে বার্থ হইসে
পরে ইসলাম গ্রহন করে ।
দ্বিতীয়ত, কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণও ইসলামোফোবিয়ার জন্য দায়ী। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে, যেখানে অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং কর্মসংস্থান সংকট রয়েছে, সেখানকার লোকজন অভিবাসী মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে পারে। তারা মনে করে যে মুসলিমরা তাদের কাজ এবং সামাজিক সুবিধা নিয়ে নিচ্ছে, যা একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ধারণা।
ইসলামোফোবিয়ার প্রভাব
ইসলামোফোবিয়ার প্রভাব ব্যাপক এবং বহুমুখী। এটি শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরেই নয়, বরং সামগ্রিক সমাজেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রথমত, এটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য এবং সহিংসতা বাড়িয়ে তোলে। মুসলিমরা প্রায়ই সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক হয়ে পড়ে, যা তাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
তৃতীয়ত, ইসলামোফোবিয়া সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে। এটি মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করে এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। যখন একটি সমাজ বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে একই চোখে দেখতে ব্যর্থ হয়, তখন সেই সমাজে শান্তি এবং সামাজিক সংহতির অভাব দেখা দেয়।
এটি বৈশ্বিক শান্তি এবং নিরাপত্তার উপরেও প্রভাব ফেলে। ইসলামোফোবিয়া শুধুমাত্র এক দেশের সমস্যা নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বিভিন্ন দেশে এটি ক্রমবর্ধমান হওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক স��্পর্ক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ইসলামোফোবিয়া সামরিক হস্তক্ষেপ এবং সংঘর্ষের কারণও হতে পারে, যা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি স্বরূপ।
ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলায় করণীয়
ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গণমাধ্যম এবং শিক্ষার মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত বার্তা এবং এর শান্তিপূর্ণ সংস্কৃতির প্রচার করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় বৈচিত্র্য এবং আন্তঃধর্মীয় বোঝাপড়া নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, যাতে তরুণ প্রজন্ম ইসলামোফোবিয়া থেকে মুক্ত থাকে। এতে আলিম সমাজ কে দায়িত্ব নিতে হবে।
ইসলাম নিয়ে দশমনরা যে ভিত্তিহিন তত্ব।তবে আলহামদুল্লিলাহ মুশফিক মিনার ও আরিফ আজাদ তারা এই মহান দাযিত্ব কাঁধে নিয়াসে। আল্লাহ তাদের সহায় হোক। তবে বড়ো বড়ো আলিমদের এই দায়ীত্ব নেওয়া উচিত। সীরাত পাঠ করার উপর গুরত্ত দিতে হবে। সীরাত সম্পর্কে জ্ঞান রাখলে ইসলামফোবিয়া আমাদের কোনো কিছু করতে পারবে না । প্রয়োজনে অনেক বই লিখতে হবে এই বিষয় নিয়ে।
আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং সরকারগুলোকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্ম মানুষের অধিকার একটা দেশ অনেক ধর্ম এর মানুষ বাস করবে কিন্তু এটা বাগ স্বাধীনতা বলবে এটা ঠিক নয়। তাহলে জাতিসংঘকে একটি দাঙ্গা সামলানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতিসংঘের মত সংস্থাগুলি বিশ্বজুড়ে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার করতে পারে এবং বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোকে এ ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।
ইসলামোফোবিয়া একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা যা বিশ্বজুড়ে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সামাজিক সংহতির জন্য একটি বড় হুমকি। এটি মোকাবিলার জন্য আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অজ্ঞতা এবং বিদ্বেষ দূর করার জন্য শিক্ষার প্রসার, সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং সহমর্মিতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরি। সমাজের প্রতিটি স্তরে, ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র, সবাইকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রামে যুক্ত হতে হবে। শুধু তাই নয়, আন্তঃধর্মীয় বোঝাপড়া এবং সংলাপের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর এবং সহনশীল সমাজ গড়ে তুলতে পারি, যেখানে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিতে সহাবস্থান করতে পারে।
0 notes
Text
"এই সব দাঙ্গায় যারা মরে, তাদের নিরানব্বই ভাগ মানুষই গরিব, অসহায়, দুর্বল মানুষ। তাদের জীবনে ধর্মের তেমন কোনও ভূমিকাই নেই, জীবিকার তাড়নাতেই তারা অস্থির। একজন মুসলমান ডিমওয়ালা হিন্দুপ্রধান বাজারে এসেছিল নিতান্তই পেটের দায়ে, যারা তার কাছ থেকে ডিম কেনে তারাই তাকে হত্যা করল অকারণে। তাতে কোন ধর্মের কী সুরাহা হল? ওই বয়সে, ওরকম একটি দৃশ্য দেখে, ধর্মের প্রতি আমার দারুণ অভক্তি জন্মে যায়। যারা ওই ডিমওয়ালাকে অকারণে মারল, যারা দূরে দাঁড়িয়ে সেই হত্যা দৃশ্য প্রত্যক্ষ করল অথবা বাঁধা দিল না, তারা যদি হিন্দু হয়, আমি তাহলে সেই হিন্দু হতে চাই না। চুলোয় যাক ধর্ম!"
— অর্ধেক জীবন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
ভারতের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রত্যক্ষ করার পর সেই প্রেক্ষিতে সুনীলের লেখা।
#random#thoughts#quotes#bibliophile#quote#booklover#books#crazystupidme#সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়#অর্ধেক জীবন
0 notes
Text
১৫ আগস্ট: স্বাধীনতা দিবস বনাম শোক দিবস
১৫ আগস্ট বাংলাদেশের শোক দিবস এবং ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটি উভয় দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন���ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি দেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
অন্যদিকে, ভারতে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লা�� করে। বাংলাদেশের শোক দিবস ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস উভয়ই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, যদিও তাদের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুই দেশের জনগণ এই দিনটিকে নিজ নিজ ইতিহাস এবং অনুভূতির সঙ্গে স্মরণ করে।
১৫ আগস্টের তাৎপর্য
১৫ আগস্ট তারিখটি দুটি দেশের জন্য ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে। বাংলাদেশ এবং ভারত এই দিনটিকে ভিন্নভাবে পালন করে। একদিকে, বাংলাদেশ উদযাপন করে তাদের স্বাধীনতার দিন। অন্যদিকে, ভারত পালন করে শোক দিবস।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
বাংলাদেশের মানুষ ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবেও পালন করে। এই দিনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যুবার্ষিকী। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের অনেক সদস্য নিহত হন। এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে গভীর শোকের দিন।
ভারতে ১৫ আগস্ট হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট, ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায়। এই দিনটি ভারতীয় জাতির জন্য গর্বের দিন।
ভারতবাসী এই দিনটিকে উদযাপন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে। দিল্লির লাল কেল্লায় প্রধান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
১৯৪৭ সালের ঘটনাবলী
১৯৪৭ সাল ছিল ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। এই বছরে উপমহাদেশে ঘটেছিল দুটি বিশাল ঘটনা। একদিকে ভারতের বিভাজন, অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্ম। এই ঘটনাগুলি ভারত ও বাংলাদেশের ইতিহাসে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে।
ভারতের বিভাজন
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজিত হয়। এই বিভাজনের ফলে দুটি নতুন দেশ সৃষ্টি হয়েছিল — ভারত ও পাকিস্তান। এটি ছিল একটি রক্তাক্ত প্রক্রিয়া। মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছিল বিশাল স্থানান্তর।
ভারতের অনেক মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তারা নতুন দেশে আশ্রয় নেয়। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল এই সময়ে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বড় ধরনের দাঙ্গা হয়েছিল।
বিস্তারিত: স্বাধীনতা দিবস বনাম শোক দিবস
0 notes
Text
0 notes
Text
ক্রোধের সূর্য্য
শফিউল বারী রাসেল
পৃথিবীর গায়েতে আজ খুব জ্বর
বেখেয়াল প্রকৃতির পাপে,
আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কার
থার্মোমিটার ফাটে তাপে।
কোটি কোটি তারকারা অভুক্ত যে থাকে আজ
আর বেহায়া শিম্পাঞ্জিরা লুটে যায়রে ভাগ্য তাজ।
বাতাস বেগে পরাজিত বাঘ
চিত্রল হরিনের মটকে ঘাড়,
আয়েশে চিবোয় দু'পাটি দাঁত
শেষ হয় না তবু ক্ষুধা তার।
ক্ষুব্ধ বরফের চোখ গলে ক্রোধেরই সূর্য্য ওঠে
সরলতার খোলশ ভেঙে এক মিছিলেতে জোটে।
আকাশের রাজপথে ধর্মঘট
গ্রহে গ্রহে সিঁদুর দাঙ্গা,
ইথারে ভাসা বেকুব ছবির-
প্র��র্শনী হচ্ছে চাঙ্গা।
বাক্সবন্দি টেবিল ভাঙে জ্ঞাণপাপি ওই বোদ্ধার দল
ন্যাড়া যুক্তি উপস্থাপন, চলে কতো কথার ঢল।
অমাবস্যার আঁধার গিলে খায়
অপূর্ণ পূর্ণিমা ধ'রে,
নির্লোভে চষে বেড়াচ্ছে তাই
অমানবিক মেঘে চ'ড়ে।
সাংঘাতিক ঘুষখোর, প্রতারক রকমের কসাই যারা
স্বার্থের যুদ্ধে সন্মুখ সমরে থাকে যে আজ তারা।
নক্ষত্র লুকায় কালের গর্ভে
যদিও ক্ষনস্থায়ী তা,
দোযখের আলোয় উদ্ভাসিত
বিলুপ্তপ্রায় পৃথিবীটা।
হয়তো পুরো পৃথিবীটা আজ নবরুপ কোমলে
রবে বিবর্তিত মানব এলিয়েনের দখলে।
অনন্ত পাখির ডানাতে আজ
সেই সভ্যতা আমি চাষবো,
ওই মায়া চোখের ময়ূরীতে
আবার ফিরে আসবো।
ঈশানের দোযখ আলো ফের উদ্ভাসিত যে হবেই
প্রকৃতির মাঝে আরেকটা প্রকৃতি গড়ে উঠবেই।
♥️♥️♥️
1 note
·
View note
Text
Clash Over Statue in MP: 19 Held So Far, Situation Peaceful, Say Police - News18
সর্বশেষ সংষ্করণ: জানুয়ারী 27, 2024, 18:07 IST একজন সরকারী কর্মচারীকে তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার জন্য দাঙ্গা এবং অপরাধমূলক শক্তি ব্যবহার করার জন্য 19 জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। (ছবি: প্রতিনিধি/এএনআই) সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট 19 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি-গ্রামীণ) নীতেশ ভার্গব জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের উজ্জাইন জেলায় একটি মূর্তি নিয়ে সংঘর্ষের…
View On WordPress
0 notes
Link
0 notes
Text
|| বিস্মৃতির অন্তরালে ঢাকেশ্বরী মাতা ||
"ঢাকেশ্বরী জগন্মাতঃ ত্বংখলু ভক্ত বৎসলা। স্বস্থানাৎ স্বাগতা চাত্র স্বলীলয়া স্থিরা ভবঃ।।" - অর্থাৎ "হে জগন্মাতা ঢাকেশ্বরী তুমি স্বয়ং ভক্তবৎসলা, তোমাকে স্বাগত জানাচ্ছি, তুমি কৃপা করে এই স্থানে স্বমহিমায় অবস্থান করো।" - 'কলকাতা' নামটির উদ্ভব যেমন 'কালীক্ষেত্র' থেকে তেমনি 'ঢাকা' নামটিরও উদ্ভব জগৎ-জননী 'ঢাকেশ্বরী' মাতার নাম থেকে। দ্বাদশ শতকে অর্থাৎ আদি মধ্যযুগে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন সেনসম্রাট বল্লাল সেন। পাশাপাশি রাঢ়ের কল্যাণেশ্বরী মন্দির, রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির ও গৌড়ের গৌড়েশ্বরী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।
লক্ষ্যণীয় বিষয়টি হলো সম্পূর্ণ মন্দিরটি চুন বালির গাঁথনিতে নির্মিত - যা তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়! কারণ সেযুগের ভারতীয় স্থাপত্যশিল্পে মর্টার হিসেবে চুন-বালির মিশ্রনের ব্যবহার অজানা ছিলো বলেই মনে করা হয়। অতএব এই স্থাপত্য-নিদর্শনটি নিঃসন্দেহে সমকালীন বঙ্গভূমের সুউন্নত স্থাপত্য-কৌশলেরই ইঙ্গিত বহন করে। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়ে বহুবিধ মতামত থাকলেও সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুসারে মোট দুটি তথ্য উঠে আসে -
/ রাজা আদিসুর তাঁর এক রানীকে বুড়িগঙ্গার অরণ্যে নির্বাসন দিলে সেখানেই রানী জন্ম দেন পুত্র বল্লাল সেনকে। শৈশবকালীন দিনগুলি সেখানেই অতিবাহিত করার সময়ে বালক বল্লাল অরণ্যমধ্যে একটি দুর্গামূর্তি আবিষ্কার করেন। এর থেকে তাঁর মধ্যে বিশ্বাস জন্মায় যে জঙ্গলের যাবতীয় বিপদ-আপদ-দুর্বিপাক থেকে এই দেবীই তাঁকে রক্ষা করছেন। ফলতঃ রাজসিংহাসনে আসীন হলে নৃপতিশ্রেষ্ঠ বল্লাল উক্ত স্থানটির সংস্কারসাধন করে সেখানে একটি মন্দিরের স্থাপনা করেন। অতঃপর সেখানেই তিনি দেবীবিগ্রহটিকে প্রতিষ্ঠা করেন।
/ মহারাজা বিজয় সেনের শূর বংশীয়া মহিষী বিলাসদেবী লাঙ্গলবন্দ থেকে স্নানকার্য সমাধা করে ফেরার পথেই পরবর্তী রাজনরেশ বল্লাল সেনকে প্রসব করেন। পরে নৃপতি বল্লাল স্বপ্নাদেশ পেয়ে ওই স্থান থেকে মাতৃকা মূর্তিটিকে আবিষ্কার করেন এবং স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী দেবীর ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করতে ও তাঁর জন্মস্থানকে মহিমান্বিত করার জন্য সেখানে ওই মন্দিরটির নির্মাণ করান।
মনে করা হয় যে বাংলার সুবেদার থাকাকালীন মুঘল সেনাপতি মানসিংহ মন্দিরটির জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে সেটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেন। সংস্কারের সময় তিনি মন্দির প্রাঙ্গনে চারটি শিবলিঙ্গ ও চারটি শিবমন্দিরও নির্মাণ করেন - যদিও এই ঘটনার কোনো সুনির্দিষ্ট নথিবদ্ধ প্রমাণ পাওয়া যায়না। এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে 'ঢাকা' নামক সমৃদ্ধ জনপদটির উদ্ভব হয়। মা ঢাকেশ্বরী এই শহরের রক্ষাকত্রী, অধিষ্ঠাত্রী - তাঁর নামেই এই শহরের 'ঢাকা' নামকরণটি হয়েছে। তিনি ঢাকা'র ঈশ্বরী, তাই 'ঢাকেশ্বরী।' স্বাভাবিকভাবেই এই ঢাকেশ্বরী নামকরণটির পিছনেও উঠে এসেছে একাধিক কিংবদন্তি; যেমন -
/ দেবাদিদেব মহাদেবের তাণ্ডবনৃত্য থামাতে যখন ত্রিলোকেশ্বর শ্রীবিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্রের সাহায্যে সতীর দেহকে খন্ড-বিখন্ড করছিলেন তখন ৫১টি দেহাংশের মধ্যে সতীর কিরীট বা মুকুটের 'ডাক'(প্রজ্জ্বলিত গহনার অংশবিশেষ)টি ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর যে স্থানে পড়ে সেখানে একটি উপপীঠের জন্ম হয়। সতীর শিরোভূষণের এই 'ডাক' থেকেই 'ঢাকেশ্বরী' নামটির উৎপত্তি।
/ 'অরিরাজ নিঃশঙ্ক শঙ্কর' বল্লাল সেনের স্বপ্নে দর্শিত দেবী মূর্তিটি ছিল গুপ্ত বা আচ্ছাদিত, পরে জঙ্গল থেকেও বিগ্রহটিকে ঢাকা বা আচ্ছাদিত অবস্থায় পাওয়া যায়। যেহেতু দেবীমূর্তিটি ছিল ঢাকা অর্থাৎ সুপ্ত অবস্থাপ্রাপ্ত তাই তাঁর নাম হয় ঢাকেশ্বরী। সহজ কথায়, আবিষ্কারকালীন সময়ে দেবীপ্রতিমাটি ঢাকা অবস্থায় ছিলো বলেই তাঁর 'ঢাকা-ঈশ্বরী' বা 'ঢাকেশ্বরী' নামকরণ হয়।
/ ঢাকেশ্বরী দেবীর ��ূল মন্দির বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হলেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে দেশভাগের পর ১৯৪৮ সাল নাগাদ বিশেষ বিমানে করে মন্দিরের বিগ্রহটিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। কলকাতা শোভাবাজারের ধনবান ব্যবসায়ী দেবেন্দ্রনাথ চৌধুরী মহাশয়ের বাড়িতে ঢাকেশ্বরী মাতা নিত্যপুজা পেতেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি কুমোরটুলিতে একটি মন্দির নির্মাণ করে বিগ্রহটিকে সেখানেই প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরিবারের তরফ থেকে নিয়মিত পূজার্চনার ব্যবস্থাও করে যান।
/ 'কালীক্ষেত্র' কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র কুমোরটুলির দুর্গাচারণ স্ট্রিটে অবস্থিত এই ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দির। দেশভাগ পরবর্তী দাঙ্গার জেরে ঢাকেশ্বরী মাতার বিগ্রহটি ক্ষতিগ্রস্ত হবার সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। এই আশঙ্কায় হরিহর চক্রবর্তী ও রাজেন্দ্রকিশোর তিওয়ারি (মতান্তরে প্রহ্লাদকিশোর তিও���়ারি) নামক দুই ব্যক্তি তাঁদের বিশেষ উদ্যোগে দেবিমূর্তিটিকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন। প্রায় ৮০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এই ঢাকেশ্বরী মাতা কলকাতায় আগমনের পরবর্তী প্রথম দুটি বছর হরচন্দ্র মল্লিক স্ট্রিটের দেবেন্দ্রনাথ চৌধুরীর বাড়িতেই পূজিতা হন। পরবর্তীতে তিনি কুমোরটুলি অঞ্চলে ঢাকেশ্বরী মা'র জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্দির নির্মাণ করে দেন এবং নিত্যসেবার জন্য কিছু দেবোত্তর সম্পত্তিও দান করেন।
/ বলা হয় যে, আজমগড়ের যে তিওয়ারি পরিবারকে মানসিংহ এই মন্দিরের সেবায়েত নিযুক্ত করেছিলেন তাদের বংশধরেরাই পরবর্তীতে কলকাতায় এসে পুনরায় মন্দিরের সেবায়েত নিযুক্ত হন। বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বর্তমানে দেবীর যে বিগ্রহটি রয়েছে সেটি মূল মূর্তির প্রতিরূপ। সিংহবাহিনী মহিষাসুরমর্দিনী মূল দেবী প্রতিমাটির উচ্চতা দেড় ফুটের মতো, যার দুই পাশে অবস্থান করছেন লক্ষ্মী ও সরস্বতী, নিচে কার্তিক ও গণেশ। পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে প্রায় অলংকারহীন অবস্থায় দেবীপ্রতিমাটিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিলো, যার ছবিও কলকাতার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পাওয়া যায়।
/ বিশ শতকের প্রথম দশকে ভাওয়াল পরগনার রাজা শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় মন্দিরটির সংস্কারসাধন করে ২০বিঘা জমি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী খান সেনাদের গোলাগুলিতে মন্দিরটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। পরবর্তীতে যথাযথ সংস্কারকার্যের মাধ্যমে মন্দিরের হৃতসৌন্দর্য পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়। অবশ্য দেশভাগ পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তানে (পরে বাংলাদেশে) সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে দফায় দফায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হারে শোষণ ও নিপীড়ন শুরু হলে মন্দিরের অনেক সেবায়েত ও পুরোহি�� দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন।
/ শুধু তাই নয়, ১৯৪৮ সালের 'ভূমি অধিগ্রহণ আইন', ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ভারত-পাক যুদ্ধ, 'শত্রু সম্পত্তি আইন' (১৯৬৯) প্রভৃতির সাহায্যেও মন্দিরের জমি ও সম্পত্তি মাত্রাতিরিক্তভাবে বেদখল করা হয়। ঢাকেশ্বরী মন্দির বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির হলেও বাংলাদেশের জাতীয় সরকার ও মৌলবাদী শক্তির প্ররোচনায় সেদেশের অন্যান্য হিন্দু মন্দিরগুলির মতো এটিরও স্থাবর সম্পত্তির সিংহভাগই আজ বেহাত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মন্দিরের মোট ২০ বিঘা জমির ১৪ বিঘাই অপহৃত। বিভিন্ন সময়ে এই বেদখলিকৃত জমি পুনরুদ্ধারের দাবি জানানো হলেও সরকারি তরফে এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপই গৃহীত হয়নি। তার ওপরে ১৯৬৯ সালের 'শত্রু সম্পত্তি আইন' (বর্তমানে 'অর্পিত সম্পত্তি আইন') নামক কালা কানুনটির মাধ্যমেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের জমি দখলের পথ প্রশস্ত করা হয়েছে।
/ তবে যাবতীয় সরকারি অসহযোগিতা এবং মৌলবাদী শক্তির মিথ্যা প্ররোচনা ও ক্রমাগত অপচেষ্টা সত্ত্বেও আজও মন্দিরটি সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে বহু বঞ্চনা ও গৌরবের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশের জন্য 'নহবতখানা তোরণ' নামক একটি সিংহদুয়ার রয়েছে। সমগ্র মন্দিরাঙ্গনটি একাধিক সৌধ ও পূজামন্ডপ, কয়েকটি অপ্রধান মন্দির, একটি পান্থশালা, প্রশাসনিক ভবন ও গ্রন্থাগার, কি সুন্দর ফুলের বাগান, বেশ কয়েকটি ঘর ও একটি সুবিশাল দীঘির সমন্বয়ে গঠিত। দীঘিটির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি সুপ্রাচীন বটগাছ অবস্থিত। দীঘির দুপাশ সুন্দরভাবে বাঁধাই করা, দীঘিতে বিভিন্ন প্রজাতির ছোটোবড়ো মাছের উপস্থিতিও রয়েছে, কাছাকাছি কয়েকটি সমাধিও দৃশ্যমান। বিবিধ জাতের ফুলগাছও মন্দিরটির শোভাবর্ধনে সহায়ক হয়েছে।
পথবিবরণী :- বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথবিবরণী আপনারা উইকিপিডিয়াতেই পেয়ে যাবেন; তাই এখানে রইলো কলকাতার শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দিরে যাওয়ার বিস্তারিত পথনির্দেশিকা। শোভাবাজারে নেমে রবীন্দ্র সরণি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কুমোরটুলি সার্বজনীনের পাশেই এই মন্দিরের অবস্থান। এই রাস্তাতেই ডানদিকে পড়ে 'উত্তর কলকাতার গিন্নি' সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দির, তারপর বামদিকের গলি দিয়ে হাঁটলেই পড়বে বহুকাঙ্খিত ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দির। এটির নিকটেই আছে বাগবাজারের শ্রী শ্রী সর্বমঙ্গলা কালীমাতার মন্দির। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত মশাইয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে সম্প্রতি সেখানে পশুবলি বন্ধ হয়ে গেছে, কেবল দুর্গানবমীর দিন আটটি চালকুমড়ো বলি হয়।
/ হাতে সময় থাকলে ��রপরই যাওয়া যেতে পারে নিকটবর্তী বাগবাজারের শ্রী শ্রী সর্বমঙ্গলা কালীমাতার মন্দিরে। এই মন্দিরের পুরোহিত মশাইয়ের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে বর্তমানে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পাঁঠাবলির সংখ্যা কমে গেলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। কালীপুজোয় দীপাবলি অমাবস্যার দিনে একটি পাঁঠা মায়ের উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া হয়, কয়েকটি মানতের পাঁঠাও থাকে, নিকটবর্তী অটোস্ট্যান্ডের অটোচালকরাও একটি পাঁঠাবলি দেন।
/ পরিশেষে একথা বলাই যায় যে বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরের মতো কলকাতার ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দিরও যথেষ্ট ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে। বাঙালির শক্তিপূজার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন ও শক্তিপূজার সংস্কৃতি অবশ্যই বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধতা ও গণসংস্কৃতির সাক্ষ্য বহনকারী। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি ওয়াকিবহাল। তবে কেবলমাত্র জনসচেতনতা নয়, ভারত সরকারের সুচিন্তিত পদক্ষেপ ও সতর্ক হস্তক্ষেপই পারে এই ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান করতে। নচেৎ অন্যান্য হিন্দু মন্দিরগুলির মতো বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দিরও ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন ও অধিগ্রহণের শিকার হতে হতে একসময় কালের করাল গ্রাসে তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে।
/ জাতির ধর্মীয় পরিচয় তার শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে। তার আরাধ্য উপাস্য ও উপাস্যের আরাধনাস্থল তার স্বাতন্ত্র সত্তা, একতা ও আইডেন্টিটিকে ধারণ করে। তাই শুধু ভাষা দিয়ে নয়, ভাষা-ধর্ম-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য-বিশ্বাস প্রভৃতি সবকিছুর সমন্বয়েই একটি জাতির জাতিসত্তা নির্মিত হয়, সেই জাতিসত্তার উপর নির্ভর করেই জাগরিত হয় উক্ত জাতির জাতীয়তাবাদ। শাক্ত হিন্দুর অন্যতম শক্তিপীঠ এই ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দিরকে যথাযথ নিরাপত্তা দান ও রক্ষণাবেক্ষণের দাবি ভারত সরকারের কাছে সুদৃঢ় ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে পেশ করা তাই প্রত্যেক সমাজ-সচেতন ও স্বজাতিপ্রেমী বাঙালির অবশ্যকর্তব্য।
#TheGangaridai
0 notes
Text
দাঙ্গা (Riot) কি ও এর শাস্তি
দণ্ডবিধির ১৪৬ ধারায় দাঙ্গার সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যখন কোন বে-আইনী সমাবেশ দ্বারা বা এর কোন সদস্য দ্বারা এরূপ সমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বল বা হিংস্র পদ্ধতি প্রয়োগ করে, তখন এরূপ সমাবেশের প্রত্যেক সদস্য দাঙ্গার অপরাধে অপরাধী হবে। দাঙ্গা হতে হলে অবশ্যই বে-আইনী সমাবেশ থাকতে হবে। দণ্ডবিধির ১৪১ ধারা অনুসারে, পাঁচ বা পাঁচের অধিক ব্যক্তির সমাবেশ বে-আইনী সমাবেশ বলে গণ্য হবে যদি উক্ত সমাবেশ…
View On WordPress
0 notes
Text
ব্যাঙ্কে প্রথমবার লকার খুলছেন? তাহলে মাথায় রাখতে হবে এই বিষয়গুলি!
ব্যাঙ্কের সতর্কতা:লকার খোলার সময় নিজের ই-মেল আইডি এবং মোবাইল নম্বর ব্যাঙ্ককে দিয়ে রাখতে হবে। যাতে ব্যাঙ্ক এসএমএস অ্যালার্ট পাঠাতে পারে।ব্যাঙ্কের দায় নয়:লকারে রাখা সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেলে তার দায় ব্যাঙ্কের নয়। এছাড়া বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিকম্প, বজ্রপাত, গোষ্ঠী সংঘর্ষ, দাঙ্গা, জঙ্গি হানার মতো পরিস্থিতি অথবা গ্রাহকের নিজের গাফিলতি হলেও ব্যাঙ্ক তার দায় নেবে না। Source link
View On WordPress
0 notes