#তিরমিজি
Explore tagged Tumblr posts
Text
#দাঁড়িয়ে পানি পান করাকে অনেকে খারাপ মনে করে। কিন্তু দাঁড়িয়ে পানি পান করা সবসময়ই জায়েজ।।#আয়শা (রাঃ) বলেন#আমি রাসূল (সা.)-কে দাঁড়িয়ে ও বসে পানি পান করতে#খালি পায়ে ও জুতা পরিহিত অবস্থায় সালাত আদায় করতে এবং সালাত শেষে তাঁর ডান দিক থেকে ও বাম দিক থেকে#(সুনানে আন-নাসায়ী:১৩৬১)#কাবশা (রাঃ) বলেন#রাসূল (সা.) আমার ঘরে আসলেন#তিনি দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় একটি ঝুলন্ত মশকের মুখ হতে পানি পান করলেন। আমি পরে উঠে গিয়ে মশকের মুখে#(তিরমিজি:১৮৯২#ইবনে মাজাহ:৩৪২৩; মিশকাত:৪২৮১)#কূফা মসজিদের ফটকে ‘আলী (রাঃ)-এর নিকট পানি আনা হলে তিনি দাঁড়িয়ে তা পান করলেন। এরপর তিনি বললেনঃ লো#অথচ আমি নবী (সা.)-কে দেখেছি#তোমরা আমাকে যেমনভাবে পান করতে দেখলে তিনিও তেমনি করেছেন।#(বুখারী:৫৬১৫)#ইবনু উমার (রাঃ) বলেন#রাসূল (সা.)-এর যামানায় আমরা হাঁটতে হাঁটতে খাবার খেতাম এবং দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় পানি পান করতাম।#(তিরমিজি:১৮৮০#মিশকাত:৪২৭৫)#এছাড়া সহিহ মুসলিমের দাড়িয়ে পানি পান নিষেধ মর্মে হাদিসগুলো অনেকের মতেই মানসুখ কারণ এর বিপরীতে#শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ.) বলেন#الشرب قاعدًا أفضل والشرب قائمًا لا بأس به، والحديث الذي فيه الاستقاء منسوخ#“(পানি) বসে পান করা উত্তম। দাঁড়িয়ে পান করায় কোনও অসুবিধা নেই। আর যে হাদিসে বমি করার কথা এসেছে তা#আল্লাহু 'আলাম#vedio waz
0 notes
Text
ইসলামী শরীয়তে পর্দার গুরুত্ব ও বিধান
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং নৈতিক জীবনে সুশৃঙ্খলা ও পবিত্রতা নিশ্চিত করার জন্য নির্দিষ্ট বিধান প্রদান করেছে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো পর্দা, যা ইসলামী সমাজের শৃঙ্খলা এবং পবিত্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পর্দা শুধু নারীদের জন্য নয়, বরং পুরুষদের জন্যও প্রযোজ্য। এটি সামাজিক শালীনতা ও সম্মান রক্ষা করার একটি প্রধান উপায়।
পর্দার সংজ্ঞা ও অর্থ পর্দা শব্দটি আরবি "হিজাব" থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো আড়াল বা আবরণ। ইসলামী শরীয়তে পর্দার মানে হল, দৃষ্টির সংযম, শালীন পোশাক পরিধান এবং পরপুরুষ বা পর��ারীর সামনে নিজেকে সংযত রাখা। এটি কেবলমাত্র পোশাকের বিধান নয়, বরং এটি জীবনের অন্যান্য দিকেও প্রযোজ্য, যেমন চলাফেরা, কথা বলার ভঙ্গি এবং সামাজিক আচার-আচরণ।
পর্দার গুরুত্ব ও প্রমাণ ইসলামে পর্দার বিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি কুরআন ও হাদিসে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
"হে নবী! মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। এতে তাদের জন্যই পবিত্রতা রয়েছে।" (সূরা নূর: ৩০)
এখানে আল্লাহ পুরুষদের জন্য প্রথমে দৃষ্টির সংযমের নির্দেশ দিয়েছেন, পরে লজ্জাস্থানের হেফাজতের কথা বলেছেন। এটি স্পষ্ট করে দেয় যে, পর্দার প্রথম ধাপ হলো দৃষ্টিকে সংযত রাখা।
নারীদের পর্দার বিধানও কুরআনে বিস্তারিতভাবে বর্ণিত:
"আর মুমিন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে এবং তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।" (সূরা নূর: ৩১)
এ আয়াতে নারীদের জন্য পর্দার বিধান সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, যেখানে পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ না করার এবং শালীন পোশাক পরিধান করার কথা বলা হয়েছে।
হাদিস দ্বারা পর্দার বিধান রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"একজন নারী যখন বের হয়, তখন শয়তান তার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।" (তিরমিজি: ১১৭৩)
এটি প্রমাণ করে যে, নারীর পর্দা কেবল পোশাকের সাথে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তার চলাফেরা, কথাবার্তা এবং সামাজিক আচরণের উপরও ইসলাম নির্দেশনা প্রদান করেছে।
পুরুষদের জন্য পর্দার বিধান ইসলামে পর্দা শুধুমাত্র নারীদের জন্য নয়, পুরুষদের জন্যও প্রযোজ্য। পুরুষদের জন্য পর্দার বিধানও রয়েছে, যেমন:
১. দৃষ্টির সংযম – পুরুষদেরও দৃষ্টি অবনত রাখা আবশ্যক। ২. শালীন পোশাক পরিধান – পুরুষদের এমন পোশাক পরিধান করতে হবে যা তাদের লজ্জাস্থান ঢেকে রাখে। ৩. অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকা – পুরুষদের অশ্লীলতা ও ফিতনা থেকে দূরে থাকতে হবে।
পর্দার উপকারিতা ১. নৈতিকতা বজায় থাকে – পর্দা মানুষকে অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখে। ২. সমাজে শৃঙ্খলা বজায় থাকে – পর্দা সমাজে বিশৃঙ্খলা কমাতে সাহায্য করে। ৩. নারীদের সম্মান বৃদ্ধি পায় – পর্দা নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করে। ৪. পরিবার সুরক্ষিত থাকে – পর্দা পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক কমায়। ৫. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয় – পর্দা পালন করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয় এবং জান্নাতের পথ সুগম হয়।
উপসংহার পর্দার বিধান ব্যক্তিগত, সামাজিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য। এটি সমাজকে বিশুদ্ধ ও শৃঙ্খলিত রাখে, নারীদের সম্মান বৃদ্ধি করে এবং একটি সুষ্ঠু পরিবেশ গঠন করে। পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য পর্দা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি উপায়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পর্দার বিধান মেনে চলার তাওফিক দিন, আমিন।
0 notes
Video
youtube
এই সূরা পাঠ করিলে, কোরআনের এক-চতুর্থাংশ পাঠের সমান সওয়াব হবে। (তিরমিজি: ...
0 notes
Text
youtube
সৃষ্টিকর্তার সর্বাধিক পছন্দনীয় স্থান মসজিদ। সব মসজিদে নামাজের ফজিলত এক হলেও মাত্র চারটিতে আলাদা। প্রথম আছে বাইতুল্লাহ, দ্বিতীয় মসদিতে নববী, তৃতীয় বায়তুল মুকাদ্দাস আর চতুর্থ হলো মসজিদে কুবা। রাসুল সা. মদিনায় হিজরতের পথে প্রথম এ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন তাই এটিই ইসলামের প্রথম মসজিদ। এখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলে একটি ওমরাহ সোয়াব পাওয়া যায়। আজ আমরা দেখবো মসজিদে কুবার ইতিহাস। আশা করছি আপাদের সাথেই পাবো। মদিনার জিয়ারার জন্য যে গাড়ী নিবেন সে গাড়ীই আপনাকে নিয়ে যাবে ইসলামের প্রথম কিবলায়। মসজিদে কুবা মদিনা শরিফের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। মসজিদে নববী থেকে এর দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। 'কুবা' কূপের নাম অনুযায়ই এ মসজিদের নাম করন হয়েছে। রাসুল সা. মদিনায় হিজরতের প্রথম দিন কুবায় অবস্থানকালে এর ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি নিজেই এ মসজিদের নির্মাণকাজে সাহাবাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার অবস্থান করে মসজিদের কাজ এগিয়ে নেন এবং এখানেই নামাজ আদায় করেন। নবুওয়তের পর এটাই প্রথম মসজিদ, যার ভিত্তি তাকওয়ার ওপর স্থাপিত হয়। অতঃপর জুমার দিন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করেন। ইবনে আবি খাইসামা উল্লেখ করেন যে 'রাসুল সা. এর ভিত্তি স্থাপন করেন, তখন কিবলার দিকের প্রথম পাথরটি স্বহস্তে স্থাপন করেন। অতঃপর হজরত আবু বকর (রা.) একটি পাথর স্থাপন করেন। তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে হজরত উমর (রা.) পাথর স্থাপন করেন। এরপর সবাই যৌথভাবে নির্মাণকাজ শুরু করেন। মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়ের ফজিলত : মসজিদে কুবায় নামাজের ফজিলতের কথা অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। যেমন- হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. অশ্বারোহণ করে কিংবা হেঁটে মসজিদে কুবায় আগমন করতেন এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। অন্য এক হাদিসে রয়েছে, প্রতি শনিবারে রাসুল (সা.) কুবায় আগমন করতেন। বুখারি-মুসলিম. আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে, মসজিদে কুবায় নামাজ আদায় করার সওয়াব একটি ওমরাহর সমপরিমাণ। (তিরমিজি) Facebook Page: https://www.facebook.com/saydulislame... Email: [email protected]
Saydul Islam Sayed,Traveller Sayed,Travel,পৃথিবীর প্রথম মসজিদ,যেখানে দু-রাকাত নাম একটি ওমরার সমান,Mosjid E Kuba,masjid quba,masjid,masjid e quba,masjid qubah,masjid al quba,quba masjid,masjid quba madinah,masjid quba ki,masjide quba,madina masijid quba,masjide kuba,masjid quba madina,মসজিদে কুবা,কুবা মসজিদ,মসজিদে কুবার ফজিলত,মসজিদে কুবা মদিনা,মসজীদে কুবা,মসজিদ আল কুবা,মসজিদে কুবা কোথায় অবস্থিত,ইসলামের প্রথম মসজিদ,মসজিদে কুবা’র ইতিহাস,মসজিদ
0 notes
Text
একটি হাদিসে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ চোখের ব্যভিচার হলো দেখা, কানের ব্যভিচার শোনা, জিহ্বার ব্যভিচার বলা, হাতের ব্যভিচার ধরা, পায়ের ব্যভিচার হাঁটা, মন কামনা করে আর লজ্জাস্থান তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে । (সহিহ মুসলিম: ২৬৫৭)
ইসলাম একান্ত প্রয়োজন ছাড়া পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলাকে নিষিদ্ধ করেছে । এ জন্য পুরুষ-মহিলা সবাইকে চরিত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হইও না। এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ । (সুরা বনি ইসরাইল: ৩২)
অবিবাহিত নারী-পুরুষের ব্যভিচারের শাস্তির বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ বলেন, ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়কে ১০০ ঘা করে বেত্রাঘাত কর। (সুরা নুর: ২)
আর পরকীয়া তথা বিবাহিত নারী-পুরুষের অশ্লীল কাজের শাস্তি হিসেবে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে ইসলামী শরিয়ত।
উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ তোমরা আমার নিকট থেকে বিধানটি সংগ্রহ করে নাও । তোমরা আমার নিকট থেকে বিধানটি সংগ্রহ করে নাও । আল্লাহ বিবাহিত নারী-পুরুষের অশ্লীল কাজের শাস্তি হিসেবে একটি ব্যবস্থা দিয়েছেন । অবিবাহিত যুবক-যুবতীর শাস্তি হচ্ছে, ১০০টি বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তর । আর বিবাহিত পুরুষ ও মহিলার শাস্তি হচ্ছে, ১০০টি বেত্রাঘাত ও রজম তথা পাথর মেরে হত্যা করা । (সহিহ মুসলিম: ১৬৯০; আবু দাউদ: ৪৪১৫, ৪৪১৬; তিরমিজি: ১৪৩৪; ইবন মাজাহ: ২৫৯৮)
ব্যভিচারী নারী-পুরুষের মধ্যে একজন বিবাহিত ও অন্যজন অবিবাহিত হলে বিবাহিতের রজম তথা পাথরের আঘাতে হত্যা করতে হবে এবং অবিবাহিতকে ১০০টি বেত্রাঘাত করতে হবে ।
শুধু তাই নয়, পরকালে শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে খালেস অন্তরে তাওবা করতে হবে। আখেরীনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারীর অবস্থা এমন, যেন তার কোনো গুনাহ নেই । (ইবনে মাজাহ: ৪২৫০; শুআবুল ঈমান: ৭১৯৬, সহিহুত তারগিব: ৩১৪৫)
যে মানুষ ব্যভিচারে অভ্যস্ত হয় সে ধীরে ধীরে ঈমান ও আমল থেকে বঞ্চিত হতে থাকে । মানবতার নবী মুহাম্মদ ﷺ বলেনঃ কোনো মানুষ যখন ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন তার ভেতর থেকে ঈমান বেড়িয়ে যায় এবং এটি তার মা��ার ওপর মেঘখণ্ডের মতো ভাসতে থাকে । এরপর সে যখন তাওবা করে, তখন ঈমান আবার তার কাছে ফিরে আসে । (আবু দাউদ: ৪৬৯০)। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ব্যভিচার পরকীয়া থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন, আমিন ।
0 notes
Text
Massage by Mizanur Rahman Azhari
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন- ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে আমিন বলে, তখন আসমানের ফেরেশতারাও ‘আমিন’ বলেন। উভয়ের আমিন একই সময়ে হলে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (সহিহ বুখারি: ৭৮১)।
একনিষ্ঠ মনে দুআ করলে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। কারণ, তিনি বড়োই দয়ালু ও লজ্জাশীল। বান্দা যখন কাতর হৃদয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তখন তিনি বান্দাকে খালি হাতে ফেরাতে লজ্জাবোধ করেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ (সূরা মুমিন: ৬০)
তিনি তার চাচাতো ভাই আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:)-এর জন্য দুআ করেছিলেন- ‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে কুরআনের জ্ঞান দান করুন।’ (সহিহ বুখারি: ৭৫)।
‘হে আমাদের রব! আমাদের দুনিয়ায় কল্যাণ দিন, আখিরাতে কল্যাণ দিন এবং জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।’ (সূরা বাকারা: ২০১)।
করা উত্তম, এতে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রিয়নবি (ﷺ) বলেন- ‘আল্লাহ খুব লজ্জাশীল। বান্দা যখন হাত তুলে দুআ করে, তখন আল্লাহ তার হাত দুটোকে খালি অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে লজ্জা বোধ করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৪৮৮)।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘হে ঈমানদারগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অপর সম্প্রদায়কে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম।’ কোনো নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রুপ না করে; হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়েও উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নামে ডাকা কতই না নিকৃষ্ট! আর যারা তওবা করে না, তারাই তো জালিম।’ (সূরা হুজুরাত: ১১)।
বিশ্বনবী (ﷺ) বলেন- ‘যে লোক কোনো মুসলিমের দোষ-ক্রটি লুকিয়ে রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ক্রটি লুকিয়ে রাখবেন। (সহিহ মুসলিম: ৬৭৪৬)
‘আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তোমাদের বংশ ও আভিজাত্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না। তোমাদের মধ্যে যে অধিক আল্লাহভীরু, সে-ই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদার অধিকারী। (সহিহ বুখারি: ৪৬৮৯)।
হে আল্লাহ! আবু জাহেল কিংবা উমর (রা:)বনুল খাত্তাব—এই দুজনের মধ্যে যে তোমার নিকট অধিক প্রি��়, তার মাধ্যমে তুমি ইসলামকে শক্ত ও মজবুত করো এবং মর্যাদা দান করো।’ (জামে আত-তিরমিজি: ৩৬৮১)
একজন মুনাফিকের চেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার দুনিয়ায় আর কেউ নেই। মুনাফিক মানেই দ্বিমুখী চরিত্রের বর্ণচোরা লোক। প্রতারক শ্রেণির এই লোকগুলো সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের ঘোরতর শত্রু।
‘মুনাফিক’ আরবি শব্দ। ইংরেজিতে বলে Hypocrite। উৎপত্তিগতভাবে মুনাফিক শব্দটি ‘আন-নিফাক' শব্দ হতে এসেছে। আন-নিফাক শব্দটি এসেছে ‘নাফাকা’ শব্দ হতে। নাফাকা শব্দের বাংলা অর্থ সুরঙ্গ (Tunnel) সাধারণত প্রত্যেক সুরঙ্গের দুই প্রান্তে দুটি মুখ থাকে। তেমনই মুনাফিকও হলো দুই মুখওয়ালা বা দ্বিমুখী নীতিওয়ালা ব্যক্তি (Two Faced Personality) মুনাফিকরা দুই দলের কাছে গিয়ে দুই রকম কথা বলে। দুই দলের কাছে দুই রকম চেহারা নিয়ে হাজির হয়। যখন যার কাছে যায়, তখন তার পক্ষে কথা বলে।
‘নিশ্চিত জেনে রেখ, মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে এবং তোমরা তাদের জন্য কাউকে সাহায্যকারী হিসেবে পাবে না।'’(সূরা নিসা: ১৪৫)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন— ‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনে, তা-ই বলে বেড়ায়।’ (সহিহ মুসলিম: ০৫ )
অপ্রয়োজনে কসম করা কথায় কথায়, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে শপথ করা বা কসম কাটা মুনাফিকদের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন— ‘তারা নিজেদের শপথকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।' (সূরা মুনাফিকুন: ০২)
তারপর সেই নামাজিদের জন্য ধ্বংস, যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে গাফিলতি করে, যারা লোক দেখানো কা�� করে। (সূরা মাউন: ৪-৬)
অর্থাৎ, নামাজে অলসতা করা হলো মুনাফিকদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এজন্য যেকোনো মূল্যে নামাজে অলসতা থেকে দূরে থাকতে হবে।
‘কিন্তু তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকো; অথচ আখিরাত উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।’ (সূরা আ'লা: ১৬-১৭)
সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা: তাওয়াক্কুল মানে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করা। একজন বিশ্বাসী পুরুষ কিংবা নারী যেকোনো ভালো ও কল্যাণকর বিষয় অর্জনের জন্য সকল ব্যাপারে নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে। ফলাফলের জন্য আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করবে, তাঁর প্রতি আস্থা ও দৃঢ় ইয়াকিন রাখবে—এটাই তাওয়াক্কু���। সে সর্বদা বিশ্বাস রাখবে, আল্লাহ তায়ালা যা লিখে রেখেছেন, ফলাফল তা-ই হবে। আর তাতেই রয়েছে চূড়ান্ত সফলতা ও কল্যাণ। এটাই তাওয়াক্কুলের মূলকথা।
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। (সূরা তালাক: ০৩)
অন্যের প্রাচুর্যের দিকে তাকালে কখনোই মানসিক প্রশান্তি পাওয়া সম্ভব না। মনের শান্তি পেতে হলে আমাদের যা আছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। একবার নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, কত নিয়ামত আল্লাহ আপনার মাঝে দিয়েছেন! এই নিয়ামতগুলোকে অনুভব করুন। এতে অন্তরে প্রশান্তির সুবাতাস বইবে; থেমে যাবে নৈরাশ্যের বৈরী হাওয়া।
রাগ ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে: রাগ আপনার ব্যাপারে জনমনে একটা নেগেটিভ ধারণা তৈরি করে; যা আপনার ব্যক্তিত্ব বা ইমেজকে নষ্ট করে। প্রত্যেক মানুষই চায়, সবার কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকুক। লোকজন তাকে ভালোবাসুক, তার কাছে আসুক, তার ব্যাপারে একটা পজেটিভ ধারণা রাখুক। কিন্তু যখনই মানুষ দেখবে যে আপনি বদমেজাজি, অল্পতে চটে যান, তখন আর কাউকে কাছে পাবেন না। সবাই আপনাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবে।
'মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই তর্কপ্রিয়।' (সূরা কাহাফ: ৫৪)
কুরআন সব সময় উত্তম মানবীয় আচরণকে (Good Human Behavior) প্রোমোট করে। রেগে গেলে বিশ্বাসীদের কী ধরনের রিঅ্যাক্ট করা উচিত, সেটার বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন— ‘যখন তারা রেগে যায়, তখন (সাথে সাথে) তারা ক্ষমা করে ব্যাপারটা ছেড়ে দেয়।' (সূরা আশ-শুরা: ৩৭)
হাদিসে বর্ণিত আছে— ‘একবার বিশ্বনবি (ﷺ) সাহাবিদের সঙ্গে বসা ছিলেন। তখন তাঁদের সামনে দিয়ে একজন ব্যক্তির লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিশ্বনবি (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁকে দেখে সাহাবিরাও দাঁড়িয়ে গেলেন। সাহাবিরা বুঝতে পারলেন, লাশটি একজন ইহুদির। তাঁরা রাসূল (ﷺ)-কে বললেন—“���টা তো একটা ইহুদির লাশ (অর্থাৎ আপনি ইহুদি লাশের সম্মানার্থে দাঁড়ালেন!)” রাসূল (ﷺ) বললেন-“সে কি একজন মানুষ নয়?'' (সহিহ বুখারি: ১৩১২)
কুরআনে আল্লাহ তায়ালা নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন—'রব্বুল আলামিন' অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর রব। পবিত্র কুরআনের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন— ‘জিকরুল্লিল আলামিন' অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশবাণী। বিশ্বনবি (ﷺ)-এর পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন—'রহমাতাল্লিল আলামিন' অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ। কোথাও বলেননি যে, এই কুরআন কিংবা ইসলাম কেবল মুমিনদের কিংবা মুত্তাকিদের জন্য; বরং সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্যই। তাই এটা বিশ্বজনীন ধর্ম।
'আল্লাহ কারোর ওপর তার সামর্থ্যের অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা চাপান না।' (সূরা বাকারা: ২৮৬)
আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল বলেছেন— ‘দ্বীনের বিধিবিধান অত্যন্ত সহজ-সরল। কিন্তু যে ব্যক্তি দ্বীনের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করবে, সে পরাজিত হবে। তাই সবার উচিত, সঠিকভাবে দৃঢ়তার সাথে ইসলামের নির্দে��িত পথ অবলম্বন করা, বাড়াবাড়ি এড়িয়ে চলে ধীর-স্থিরভাবে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা, আল্লাহর রহমত ও করুণার আশা পোষণ করা, সকাল-বিকেল ও শেষরাতে নফল ইবাদত দ্বারা অধিক নৈকট্য লাভ করা এবং উন্নতির পথে সাহায্য গ্রহণ করা। (সহিহ বুখারি: ৩৫)
অন্য হাদিসে আনাস (রা:) হতে বর্ণিত- রাসূল (ﷺ) বলেন-তোমরা সহজপন্থা অবলম্বন করো, কঠিনপন্থা অবলম্বন করো না। মানুষকে দ্বীনের সুসংবাদ দাও, দেশ থেকে ভাগিয়ে দিও না। (সহিহ বুখারী: ৬৯)
কুরআনের প্রথম নাজিলকত আয়াতের প্রথম শব্দ হলো—'ইকরা' বা পড়ো। অর্থাৎ জ্ঞান অন্বেষণের নির্দেশনা দিয়েই কুরআনের যাত্রা শুরু হয়েছে।
মহান আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন- ‘আপনি বলুন, যারা জ্ঞানী এবং যারা জ্ঞানী নয়, তারা কি কখনো সমান হতে পারে?' (সূরা জুমার: ০৯)
হাদিসে উল্লেখ আছে—আনাস হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন ‘প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।' (ইবনে মাজাহ: ২২৪ )
আনাস (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন— ‘যে লোক জ্ঞানার্জন করার জন্য বের হয়, ফিরে না আসা পর্যন্ত সে আল্লাহর রাস্তায় আছে বলে গণ্য হয়।' (সহিহ আত-তারগিব: ৮৮)
পৃথিবীর মাঝে অশান্তি সৃষ্টি করা ইসলাম কখনো পছন্দ করে না; বরং কেউ অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইলে ইসলাম তাকে বাধা দেয়। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন— 'তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করো না। আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।' (সূরা কাসাস:
পৃথিবীর বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে কারও অধিকার নেই সেখানে পুনরায় অশান্তি সৃষ্টি করার। কুরআনে স্পষ্টভাবে নিষেধ আছে- 'দুনিয়ায় সুস্থ পরিবেশ বহাল করার পর আর সেখানে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।' (সূরা আ'রাফ: ৫৬)
‘আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবি (ﷺ) বললেন—তোমরা সহজ পথে থাকো এবং মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো।' (সহিহ বুখারি: ৩৯)
এজন্য ছেলেমেয়ে যা হোক না কেন, মনে করতে হবে-এ��েই আপনার জন্য কল্যাণ রয়েছে। তাই সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘(আল্লাহ) যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র-কন্যা উভয়ই দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। তিনি সবকিছু জানেন এবং সবকিছু করতে সক্ষম।' (সূরা শুরা ৪৯-৫০)
‘‘আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার ব্যাপারে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাঁকে গর্ভে ধারণ করে। দুই বছর পর্যন্ত তাকে দুধ পান করায়। সুতরাং আমার ও তোমার পিতা-মাতার শুকরিয়া আদায় করো। আমার কাছেই তোমাদের ফিরে আসতে হবে।” (সূরা লুকমান: ১৪)
"যে পিতা তার সন্তানের দুধ পানের সময়কাল পূর্ণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে মায়েরা পুরো দুই বছর নিজেদের সন্তানদের দুধ পান করাবে।' (সূরা বাকারা: ২৩৩)
তাঁর কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন- ‘যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।' (সহিহ বুখারি: ৫৯৯৭)
আল্লাহ সুবহানাহু ওরা তায়ালা বলেন- হে বনি আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিচ্ছদ গ্রহণ করো। (সূরা আ'রাফ ৭: ৩১)।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- 'নামাজ শেষ হয়ে গেলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহের সন্ধান করবে।' (সূরা জুমুআহ ৬২:১০
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন— 'এবং তাকে এমন স্থান থেকে তিনি রিজিক দান করবেন, যা সে ধারণাও করে না। আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার (কর্ম সম্পাদনের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। নিশ্চিতভাবে জেনে রেখ, আল্লাহ তার কাজ পূরণ করে থাকেন। আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য একটা মাত্রা ঠিক করে রেখেছেন।' (সূরা তালাক: ০৩)
রাসূল (ﷺ) বলেন- 'তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং উত্তম পন্থায় জীবিকা অন্বেষণ করো। যা হালাল, তা-ই গ্রহণ করো এবং যা হারাম, তা বর্জন করো।' (ইবনে মাজাহ: ২১৪৪)
মৃত্যু! একটি অনিবার্য বাস্তবতা। হঠাৎ এসে চমকে দিয়ে সব স্থবির করে দেয়। এ পৃথিবীর কাউকে আল্লাহ তায়ালা অমরত্ব দান করেননি। তাই প্রতিটি প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হয়। নশ্বর এ মহাবিশ্বে তিনি একাই কেবল অবিনশ্বর।
0 notes
Text
দ্বীন অর্জনের গুরুত্ব ও সাহাবীদের প্রচেষ্টা ~
কাসীর ইবনু কায়স (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবূ দারদা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) -এর সঙ্গে দামেশকের মসজিদে বসা ছিলাম। তখন তার নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবূ দারদা! আমি একটি হাদীসের জন্য সুদূর মদীনাতুর রাসূল থেকে এসেছি। জানতে পারলাম, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেন। এ ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে আমি আসিনি। আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার পরিবর্তে তাকে জান্নাতের পথসমূহের মধ্যে কোনো একটি পথে পৌঁছে দেন।
ফিরিশতারা জ্ঞান অন্বেষণ���ারীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও দু’আ প্রার্থনা করে, এমন কি পানির গভীরে বসবাসকারী মাছও। আবেদ (সাধারণ ইবাদাতগুজারী) ব্যক্তির উপর ’আলিমের ফাযীলাত হলো যেমন সমস্ত তারকার উপর পূর্ণিমার চাঁদের মর্যাদা। জ্ঞানীরা হলেন নবীদের উত্তরসুরি। নবীগণ কোনো দীনার বা দিরহাম মীরাসরূপে রেখে যান না; তারা উত্তরাধিকার সূত্রে রেখে যান শুধু ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ অংশ গ্রহণ করেছে..!!
[তিরমিজি, আবু দাউদ ]
0 notes
Text
ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত
বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম হাতিয়ার।
আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদাপূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ। বিয়ে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো— তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জীবনসঙ্গিনী, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। ’ (সুরা রুম, আয়াত :২১)
ইসলামে বিয়ের যাবতীয় নিয়ম-কানুন এবং বিধান-শর্ত ও আনুসাঙ্গিক বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
ইসলামে বিয়ের রুকন বা মৌলিক ভিত্তি
এক. বর-কনে উভয়ে বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হওয়া। দুই. ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি হচ্ছে বরের কাছে মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা। যেমন, ‘আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম’ অথবা এ ধরনের অন্য কোনভাবে প্রস্তাব পেশ করা। তিন: কবুল বা গ্রহণ করা: এটি বর বা তার প্রতিনিধির সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন, ‘আমি কবুল বা গ্রহণ করলাম’ ইত্যাদি।
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্ত (১) বর-কনে উভয়কে গ্রহণযোগ্যভাবে নি��্দিষ্ট করে নেয়া। (২) বর-কনে একে অন্যের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘স্বামীহারা নারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা)-কে তার সিদ্ধান্ত ছাড়া (অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে তাকে বলে তার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব? তিনি বললেন, চুপ করে (লজ্জার দরুন) থাকাটাই তার সম্মতি। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৪৭৪১)
(৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও। ’ (সুরা নুর, ২৪:৩২)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১০২১)
(৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই। ’ (সহিহ জামে, হাদিস নং : ৭৫৫৮)
সাক্ষী এমন দুইজন পুরুষ (স্বাধীন) সাক্ষী বা একজন পুরুষ (স্বাধীন) ও দুইজন মহিলা সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ-দুররুল মুখতার-৩/৯; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)
বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করাও জরুরি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ১০৭২)
কনের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্ত ১. সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া। ২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। ৩. দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া। ৪.অভিভাবক কনের ধর্মানুসারী হওয়া। সুতরাং কোনো অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না।
৫. ন্যায়পরায়ণ হওয়া। অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক ‘আদালত’কে (ধর্মভীরুতা) যথেষ্ট বলেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলেও চলবে।
৬.পুরুষ হওয়া। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘এক নারী অন্য নারীকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা নারী নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৭৮২; সহিহ জামে : ৭২৯৮)
৭. বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের ‘কুফু’ বা সমতা ও অন্যান্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করতে পারার যোগ্যতাবান হওয়া। ফিকাহবিদরা অভিভাবকদের ধারা নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং কাছের অভিভাবক থাকতে দূরের অভিভাবকের অভিভাবকত্ব ��্রহণযোগ্য নয়। কাছের অভিভাবক না থাকলে দূরের অভিভাবক গ্রহণযোগ্য হবে।
#ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত#সুস্থ মস্তি��্ক#প্রিয় নবী (সা.)#বর-কনের#সাক্ষী#বিয়ের আকদ#অভিভাবক#কবুল
0 notes
Text
মহানবী (সা.) যেভাবে দোয়া করতেন। আনাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি যত দিন পর্যন্ত আমার কাছে দোয়া করতে থাকবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, আমি তত দিন তোমার গুনাহ মাফ করতে থাকব, তুমি যাই করে থাক আমি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করব না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশের উচ্চতা পর্যন্তও পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তবু আমি তোমাকে ক্ষমা করব, আমি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করব না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে আসো এবং আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করে থাকো, তা হলে আমিও সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪০)
0 notes
Text
সুরা মুলক রাতে ঘুমানোর আগে পড়ার কারণ
সুরা মুলক একটি স্বতন্ত্র সুরা। এটি আল–কোরআনের ৬৭ নম্বর সুরা। এ সুরা পাঠে অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে যার মধ্যে ৩০টি আয়াত রয়েছে, যা তার পাঠকারী ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটি হলো ‘তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)’।’ (সুনানে আত-তিরমিজি ২৮৯১)। প্রতি রাতে সুরা মুলক তিলাওয়াত করা সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ‘আলিফ লাম…
View On WordPress
0 notes
Text
ফিতনা, নজদ, রিয়াদ, ওহাবী, সালাফী, গুরুত্বপূর্ণ হাদীস, বে-ঈমানী আমলদারী আলেম,
নজদী-কথিত সালাফী-আহলে হাদীস-ওহাবী বুখারী, মুসলিম,আবু দাউদ,নাসাই তিরমিজি,ইবনে মাজাহ শরীফেরএই গুরুত্বপূর্ণ হাদিস গুলো কাদের উপর প্রয়োগ হবে।حَدَّثَنَا أَبُوْ الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبُوْ سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا سَعِيْدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقْسِمُ قِسْمًا أَتَاهُ…
View On WordPress
0 notes
Text
💞#স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
স্ত্রী হচ্ছে আদরের জিনিস, তাকে গালি দেবেন না, তাকে খারাপ বলবেন না, কখনও বলতে যাবেন না তুমি দেখতে কালো/ঠোঁটটা বেশি মোটা/শারীরিক গটন নিয়ে খোটা দিবেন না।
কখনও রান্নার ভুল ধরবেন না, একটু লবন কম হলেই বলবেন, যা তোর রান্না খারাপ, কোনোদিন ভালো খাবার পেলাম না।
এটা রাসূল (সাঃ) এর সুন্নত। সবসময় প্রশংসা করুন, গালি দেবেন না, গালমন্দ করবেন না।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন সে আপনাকে নিয়ে ঈর্ষান্বিত হয়। কারণ সে অন্য সমস্ত মানুষকে রেখে শুধুমাত্র আপনাকেই বেঁছে নিয়েছে।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন তার কিছু দোষ ত্রুটি আপনাকে বিরক্ত করে। কারণ, আপনারও অনেক কিছু দোষ ত্রুটি রয়েছে।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন তার রান্না খারাপ হয়। কারণ, সে ভালো রান্নার চেষ্টা করেছে।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন সকাল বেলায় তকে উষ্কখুষ্ক দেখায়। কারণ, সে আবার আপনারই জন্য সাজগোজ করবে।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন সে আপনাকে সন্তানের লেখাপড়ায় সাহায্য করতে বলে। কারণ সে চায় আপনাকে সংসারের অংশ হিসেবে পেতে।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন সে জানতে চায় তাকে মোটা লাগছে কিনা। কারণ আপনার মতামত তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, এজন্য তাকে বলুন সে সুন্দর।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন তাকে সুন্দর দেখায়। কারণ সে আপনারই, তাই প্রশংসা করুন।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন সে তৈরি হতে দীর্ঘ সময় পার করে দেয়। কারণ সে চায় তাকে আপনার চোখে সবচেয়ে সুন্দর লাগুক।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন সে এমন কোনো উপহার দেয় যা আপনার পছন্দ হয়নি। কারণ সে আপনাকে খুশি করতে চায়, তাই তাকে বলুন, ঠিক এমন উপহারই আপনার প্রয়োজন ছিল।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন তার মধ্যে কোন বদ অভ্যাস গড়ে ওঠে। কারণ আপনারও এমন অনেক বদঅভ্যাস রয়েছে, প্রজ্ঞা আর কোমলতার সাথে তার সেই বদ অভ্যাস পরিবর্তন করানোর সময় এখনো আপনার আছে।
💞স্ত্রীকে ভালোবাসুনঃ
যখন সে অকারণেই কাঁদে। তাকে বলুন সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি তো তোমার সাথেই আছি।
আপনি বেশি বেশি বলুন,
"আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি"।
তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।
(বুখারী ৩৩৩১, মুসলিম ৪৭)।
তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম
যে তার স্ত্রী'র কাছে উত্তম (তিরমিজি
0 notes
Text
তাকওয়া কি? কিভাবে তাকওয়া অর্জন করবেন?
ইসলামে **তাকওয়া** একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ, যা একজন মুসলমানকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত কর���। তাকওয়া অর্থ আল্লাহর ভয় ও তাঁর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য। এটি এমন এক গুণ, যা মানুষকে পাপ থেকে রক্ষা করে এবং সৎপথে চলার অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাকওয়া চর্চা করা অত্যন্ত জরুরি।
তাকওয়া কী?
তাকওয়া** আরবি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে **সতর্ক থাকা, আত্মরক্ষা করা ও আল্লাহকে ভয় করা**। ইসলামি পরিভাষায়, তাকওয়া হল **আল্লাহর আদেশ মেনে চলা এবং তাঁর নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানীয় সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকি।
অর্থাৎ, তাকওয়া মানুষকে আল্লাহর কাছে মর্যাদাশীল করে তোলে।
তাকওয়া অর্জনের গুরুত্ব
তাকওয়া ইসলামের মৌলিক গুণগুলোর মধ্যে একটি, যা মানুষের জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর কিছু উপকারিতা হলো—
মহান আল্লাহ বলেন—
যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক প্রদান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।
কিভাবে তাকওয়া অর্জন করবেন?
তাকওয়া অর্জন করতে হলে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলতে হবে।
১. আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করা
তাকওয়া অর্জনের প্রথম ধাপ হলো **আল্লাহর ভয়কে অন্তরে জাগ্রত করা**। যে ব্যক্তি জানে যে আল্লাহ তার প্রতিটি কাজ দেখছেন, সে কখনো গুনাহের দিকে যাবে না।
২. কুরআন ও হাদিস অনুসরণ করা
কুরআন ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ মেনে চললে তাকওয়া বৃদ্ধি পায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন—
আমি তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিকে সর্বাধিক সম্মানিত মনে করি, যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়াবান। (বুখারি)
৩. হারাম থেকে বেঁচে থাকা
শয়তান আমাদের বিভিন্নভাবে গুনাহের দিকে ধাবিত করে। তাই আমাদের উচিত—
৪. নামাজ ও ইব��দত বৃদ্ধি করা
তাকওয়া অর্জনের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা, নফল নামাজ পড়া ও অন্যান্য ইবাদতে মনোযোগী হওয়া জরুরি।
৫. আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ধৈর্য চর্চা করা
তাকওয়া চর্চার অন্যতম মাধ্যম হলো—নিজের প্রবৃত্তিকে সংযত করা এবং ধৈর্য ধরা। আল্লাহ বলেন—
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন।
তাকওয়া ও গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়
যেকোনো ব্যক্তিই গুনাহের সম্মুখীন হতে পারে। কিন্তু মুত্তাকী ব্যক্তি গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করে এবং ভুল করলে আল্লাহর কাছে তওবা করে।
তওবার গুরুত্ব
একজন মুত্তাকী কখনোই নিজেকে নিষ্পাপ মনে করে না, বরং ভুল করলে অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। রাসুল (সা.) বলেন—
“সকল আদম সন্তানের ভুল হয়, আর উত্তম ভুলকারী সেই ব্যক্তি যে তওবা করে। (তিরমিজি)
তাই আমাদের উচিত নিয়মিত তওবা করা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা।
উপসংহার
তাকওয়া অর্জন করা মানে শুধু নামাজ-রোজা করা নয়, বরং **আল্লাহর আদেশ পালন করা ও নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা**। একজন মুত্তাকী ব্যক্তি তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর স্মরণে থাকে এবং পাপ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। তাই আমাদেরও উচিত সত্যিকারের মুত্তাকী হওয়ার চেষ্টা করা, যাতে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করতে পারি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রকৃত মুত্তাকী বানানোর তৌফিক দান করুন, আমিন!
0 notes
Text
আব মস আল-আশ'আর (র) থক বরণত তন বলন রসলললহ (সললললহ আলইহ ওয় সললম) বলছন আললহ ত'আল পথবর সরবতর হত এক মঠ মট নয আদম (আ)-ক সষট করছন তই আদম-সনতনর মটর বশষটয পরপত হযছ যমন তদর কউ লল কউ সদ কউ কল বরণর আবর কউ ব এসবর মঝমঝ কউ ব নরম ও কমল পরকতর আবর কউ কঠর পরকতর কউ মনদ সবভবর আবর কউ ব ভল চরতরর জম' আত-তরমজ হদসর মন সহহ হদস #DailyHadith
আবূ মূসা আল-আশ'আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা পৃথিবীর সর্বত্র হতে এক মুঠো মাটি নিয়ে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেছেন। তাই আদম-সন্তানরা মাটির বৈশিষ্ট্য প্রাপ্ত হয়েছে। যেমন তাদের কেউ লাল, কেউ সাদা, কেউ কালো বর্ণের আবার কেউ বা এসবের মাঝামাঝি, কেউ বা নরম ও কোমল প্রকৃতির। আবার কেউ কঠোর প্রকৃতির, কেউ মন্দ স্বভাবের, আবার কেউ বা ভালো চরিত্রের। জামে' আত-তিরমিজি, ২৯৫৫ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস #DailyHadith May 11, 2023 at 08:02AM
0 notes
Text
পবিত্র শবে ক্বদর। (২)
হযরত যির ইবনে হুবাইশ (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে, আমি উবাই ইবনে ক্বাব (রা.) কে বললাম, আপনার ভাই 'আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন, সারা বছর যে লোক রাত জেগে ইবাদত বন্দেগি করবে সে পবিত্র ক্বদরের রাত লাভ করবে। উবাই (রা.) বললেন, আল্লাহ তা'আলা আবু আবদুর রহমানকে মাফ করুন। নিশ্চয়ই তিনি জানেন যে, ক্বদরের রাত রমজানের শেষ দশ দিনে এবং তা সাতাশে রমজানের রাতেই। তবু তার এ কথা বলার কারণ হলো লোকেরা যেন (সাতাশ তারিখ) নির্ভর করে বসে না থাকে। তারপর কোনো প্রকার ব্যতিক্রম না করে হযরত উবাই (রা.) কসম করে বলেন, সাতাশের রাত পবিত্র ক্বদরের রাত।' বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আবুল মুনযির, এ কথা আপনি কিসের পরিপ্রেক্ষিতে বলছেন? তিনি বললেন, সেই আলামত বা নিদর্শনের প্রেক্ষিতে, যা রাসুল (সা.) আমাদেরকে জানিয়েছেন। তা হলো, ওই দিন সকালে সূর্য এরূপভাবে উদিত হয় যে তার মাঝে প্রখর রশ্মি থাকে না। (তিরমিজি শরীফ হাদিস নং ৩৩৫১)
লাইলাতুল ক্বদরের মর্যাদা এত বেশি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতটি পাওয়ার জন্য শেষ দশকে আজীবন ইতেকাফ করেছেন।
উম্মতে মুহাম্মদীর উদ্দেশ্যে ��নবীজি (সাঃ) বলেছেন, ‘আমি ক্বদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাযিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তাঁর সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়।’ (মুসলিম শরীফ)
ক্রমশ...
0 notes
Text
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা শুধু যেনা, সমকামিতা, যৌনকর্মকেই হারাম করেন নি, বরং তিনি এরই পাশাপাশি সব ধরনের অশ্লীলতাকেও হারাম করেছেন ।
আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
﴿قُلۡ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ ٱلۡفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَمَا بَطَنَ وَٱلۡإِثۡمَ وَٱلۡبَغۡيَ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّ وَأَن تُشۡرِكُواْ بِٱللَّهِ مَا لَمۡ يُنَزِّلۡ بِهِۦ سُلۡطَٰنٗا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ ٣٣﴾ [الاعراف: ٣٣]
“(হে মুহাম্মাদ) তুমি ঘোষণা করে দাও, নিশ্চয় আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল ধরনের অশ্লীলতা, পাপকর্ম, অন্যায় বিদ্রোহ, আল্লাহ তা‘আলার সাথে কাউকে শরীক করা; যে ব্যাপারে তিনি কোনো দলীল-প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি এবং আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত কিছু বলা”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৩৩]
সমকামিতা ইসলামে হারামই নয় বরং এটি অভিশপ্ত অপরাধ । যে অপরাধের কারণে আল্লাহ তাআলা কাওমে লুত তথা লুত আলাইহিস সালামের অপরাধী জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন । কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা তা তুলে ধরেছেন এভাবে-
وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُم بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِّن الْعَالَمِينَ
‘এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি । যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললো- তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছো, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কে��� করেনি ?’ (সুরা আরাফ : আয়াত- ৮০)
إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِّن دُونِ النِّسَاء بَلْ أَنتُمْ قَوْم�� مُّسْرِفُونَ
‘তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন করো নারীদেরকে ছেড়ে । বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছো ।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৮১)
আল্লাহ তাআলা সমকামিতার ভয়বাহ অন্যায় ও তাদের পরিণতি সম্পর্কে উল্লেখিত আয়াতসমূহে তুলে ধরেছেন । সমকামিতা ইসলামে হারাম ও সবচেয়ে বড় কবিরা গোনাহগুলোর মধ্যে অন্যতম । এমনকি অবৈধ যৌনাচার, জেনা-ব্যভিচারের গোনাহসমূহের চেয়েও মারাত্মক ধ্বংসযোগ্য অপরাধ ।
প্রিয়নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ হাদীসে পাকে সমকামিতার অপরাধে জড়িতদের ব্যাপরে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন । হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-
তোমরা কাউকে লুত সম্প্রদায়ের কাজ (সমকামিতায়) জড়িত দেখলে; যে করে এবং যার সঙ্গে করা হয় উভয়কে হত্যা করো ।’ (তিরমিজি)
মহানবী আহমাদে মুস্তফা মুহাম্মাদ ﷺ বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টি দেবেন না, যে কোনো পুরুষের সঙ্গে পুরুষ অথবা নারীর সাথে নারী সমাকামিতায় লিপ্ত হয় অথবা কোনো নারীর পেছনের রাস্তা দিয়ে সহবাস করে ।’ (তিরমিজি)
ইসলামে সমকামিতা ও স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে যৌনাচার বা সহবাস হারাম তথা সবচেয়ে বড় কবিরা গোনাহ । এ অপরাধে মহান আল্লাহ তাআলা হযরত লুত আলাইহিস সালামের সময়ে শিলা/প্রস্তর বৃষ্টি দিয়ে পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন । আর একই অপরাধে কাউকে দেখলে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বনবী আখেরী রাসুল ﷺ ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা মুসলিম উম্মাহসহ সবাইকে উল্লেখিত অপরাধ দুইটি সমকামিতা ও বিকৃত যৌনাচার থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন । যে বা যারা এই সমকামিতা, পরকিয়ায় লিপ্ত সে বা তারা এই রহমতের মাস রমযানে তাওবা করি, আর এই গুনাহ করবো না । দয়াবান, করুনাময়, ক্ষমাশীল আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করে দিন । ইসলামের সুন্দর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন । আল্লাহর আজাব ও গজব থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন, আমিন ।
শামীম সাঈদী
0 notes