#ঢাকায় আগুন
Explore tagged Tumblr posts
pnpc · 1 year ago
Text
Tumblr media
১৪ বছরে রাজধানীতে যত ভয়াবহ অগ্নি ট্র্যাজেডি। পুরান ঢাকার নিমতলী, চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফআর টাওয়ারের পর এবার রাজধানীর অগ্নি-ট্রাজেডির খাতায় যুক্ত হলো বেইলি রোড। গত ১৪ বছরে ঘটে যাওয়া এ চারটি ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের। অন্যদিকে মগবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১২ জনের। এছাড়া বঙ্গবাজার, নিউমার্কেটসহ গত কয়েক বছরে ঢাকায় বেশ কয়েকটি বড় অগ্নি-দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর প্রতিবার আগুন লাগার পর নড়েচড়ে বসে সরকার। আশ্বাস দেওয়া হয়, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু দৃশ্যপটে খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায় না।
0 notes
radiotodaynews24 · 1 year ago
Text
ছোট্ট ইয়াসিনকে বুকে জড়িয়েই পুড়ে মারা গেলেন পপি
Tumblr media
নেত্রকোনা সদরের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন একই পরিবারের সদস্য ও স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান তাদের পাঁচজন। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন। আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাদের। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। 
0 notes
ppmjahangirsarker · 3 years ago
Text
৬ ই ��ার্চের বেতার ভাষণে ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করলে, বাঙালির দৈব আস্থার প্রতীক হাজার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য ৭ই মার্চ সেই মাহেন্দ্রক্ষন যেন অপেক্ষাতেই ছিল। রেসকোর্স ময়দানে লাখো লাখো জনতার সমাবেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রীক কৌশল বর্ণনা করে যে ঐতিহাসিক ভাষণ সেদিন বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন,সেটি সার্বিক অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণারই মন্ত্রপাঠ।
" আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ......... আর যদি একটি গুলি চলে, আর যদি আমার মানুষদের হত্যা করা হয়- তোমাদের কাছে অনুরোধ রইলো প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গ��়ে তোল।.....প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলুন এবং আমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকুন।রক্ত যখন দিয়েছি,রক্ত আরও দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা।"
৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রবলতা গভীরভাবে অনুধাবনের জন্য কিছু একাডেমিক আলোচনা দেখে নেয়া আবশ্যক।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর রচনাসমগ্রে 'পিতাকে ফিরে পেলাম' প্রবন্ধে অসহযোগ আন্দোলনে বাঙালির অদম্য সাহস এর একটি বর্ণনা দেন এভাবে যে-."... এরই একটা পর্যায়ে আলোচনার জন্য ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসে।.. .... ঢাকায় প্রেসিডেন্ট হাউসে (বর্তমান হেয়ার রোডে অবস্থিত সুগন্ধা বাড়িটি) বাবুর্চি রান্না বন্ধ করে দিয়েছে।কারণ,অসহযোগ আন্দোলন।তাই কেউ পাকিস্তানিদের জন্য রান্না করবে না ।রান্না করা গরম খাবার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়লে প্রেসিডেন্ট হাউস থেকে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ফোন আসে।কারণ প্রেসিডেন্ট রান্না করা খাবার পাচ্ছেন না।আর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ছাড়া তারা রান্নাও করবে না।....২৫শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইয়াহিয়া প্রশাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায় । বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অভিন্ন সত্তা এবং বাংলার অবিসংবাদিত নেতা।..... একদিকে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি,অপরদিকে অসহযোগ আন্দোলন সফল করে পাকিস্তানি মিলিটারি শাসকদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন 'বাঙালি জাতিকে আর কোনদিন দাবায়া রাখতে পারবা না ।' পারে নাই, বাঙালি নেতার এই ভবিষ্যৎ বাণীকে বাংলার মানুষ সত্য বলে প্রমাণ করেছে, বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।"
কলম্বিয়ান প্রখ্যাত সাংবাদিক এ. এল খতিব তাঁর 'হু কিলড শেখ মুজিব' গবেষণাগ্রন্থে 'রাজনীতির কবি' প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভুট্টো সাহেবের উক্তি তুলে ধরেছেন। ভুট্টো বলেন - "তখন সারাবাংলা পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল।তারা একজন নায়ক খুঁজছিল,পরিস্থিতি মুজিবকে নায়কের ভূমিকায় বাছাই করেছিল। তিনি একটি ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ঘটনায় পরিণত হয়েছিলেন সংগ্রামের আগুন জালানো ব্যক্তি হিসেবে। মুজিব সবসময়ই ছিলেন জনগণের মহান নেতা,মুজিব সৃষ্টি হয়েছিলেন পূর্ববর্তী দুটি সরকারের আমলে করা উপর্যুপরি ভুল এবং ভ্রান্ত হিসেবের কারণে।" খতিব সাহেব আরো বলেন "পরিস্থিতির কারণেই কেবল একজন মানুষ জাতির ��ায়কে পরিণত হন না। মুজিবের সৎসাহস ছিল অতুলনীয় এবং তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।" তিনি উল্লেখ করেন ১৯৭১ সালের ৫ই এপ্রিল নিউজউইক পত্রিকায় ছাপা হয়, 'গতমাসে মুজিব যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, তখন তার সমালোচকরা বলেছিলেন যে,তিনি এমন করছেন কেবল তাঁর চরমপন্থী সমর্থকদের চাপে পড়ে, তিনি শুধু একটি বিশাল জনতার ঢেউয়ের উপরে চরতে চাইছিলেন, যাতে তিনি এর নিচে চাপা পড়ে না যান। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাঙালি জাতির সংগ্রামী নেতা হিসেবে মুজিবের উঠে আসাটা ছিল তাঁর সমগ্র জীবনে জাতীয়তাবাদের জাতীয়তাবাদের পক্ষে লড়াই করার যৌক্তিক ফলাফল। মুজিব একটি জনতার ঢলের চূড়ায় বসে থাকলেও তিনি ঐ জায়গায় দুর্ঘটনাবশত যান নি।'(চলবে)
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া -
facebook.com/jahangirsarkerbd
instagram.com/ppm_jahangirsarker
pinterest.com/ppm_jahangirsarker
linkedin.com/in/jahangir-sarker-b61a84210/
jahangirsarker.com
Tumblr media
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 3 years ago
Text
না পারা
রিমা, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সেই ছোট। ছোটবেলা থেকে মেজো ভাইয়ের চোখের মনি। বড় ভাই সেতো সম্মানীয় ব্যক্তি, তাকে প্রচন্ড ভয় রিমার।
ইন্টার শেষ করে ঢাকায় এসেছে অনার্সে ভর্তি হতে। রিমাকে রেখে য���তে মেজো ভাইয়ের কলিজা যেন খান খান হয়ে যায়। তবে বোনের সব ইচ্ছা পুরন করতে ভাই সবেতেই রাজি। তিন বছরের বড় সায়েফ বাবা মার থেকেও বেশি দেখাশোনা করে আসছে বোন রিমার।
অনার্স থার্ড ইয়ারে রিমা। হঠাৎ করেই বিয়ে করে ফেলেছে রিমা! বাবা-মা ভাই সকলেই জানতো রিলেশন এর ব্যাপারে। তবে হঠাৎ করেই না বলে বিয়েটা কেন? বাড়ি থেকে তো সবটাই মেনে নিত।
- ভাই, কি করছিস? ফ্রি আছিস?
- ��রে হ্যাঁ, বল না কি বলবি।
- ভাই, আমি তো বিয়ে করে ফেলেছি!
- রিমা! এ কি শুনালি?
অনেকটা কথা হল ভাইয়ের সাথে, মায়ের সাথে। সকলের প্রচন্ড আপত্তি। সারারাত ভাই ট্রেনিং করিয়েছে। যখন তিনদিন টানা কষ্টের পর একটুখানি শুয়ে আছে বোন শোনালো বিয়ে করেছে!
আপত্তি বিয়েতে নয়, তবে লুকিয়ে কেন?
যাইহোক কয়েক দিন কেটেছে। বনের নানারকম আপত্তিকর ব্যবহার শর্তেও ভাই নিজের মনকে মানাতে পারলোনা। শেষ অব্দি মেনো নিল সবটাই।
বোনের সংসার ঠিকঠাকই চলছে এর মধ্যে উঠল ঝড়! সেই যে বড় ভাই, তার স্ত্রী! রটিয়ে দিল রিমার তো আমার ভাইয়ের সাথে প্রেম, বাচ্চা পর্যন্ত মারিয়েছে!
এই কথা কি আর চেপে থাকে? রিমা সংসারে লাগলো আগুন!
বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে তালাক দিল। মেজ ভাই চেয়েও বোনজামাই কে কিছু বোঝাতে পারল না।
রিমা সবকিছুর মাঝে নিজেকে নিঃস্ব ভাবছে।
- ভাই, আর বোধহয় পারলাম না। খেয়াল রাখিস নিজের!
- ১২ এপ্রিল, ২০২২
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
topnews24online · 3 years ago
Text
নয়া আতঙ্ক গ্যাস বিস্ফোরণ
নয়া আতঙ্ক গ্যাস বিস্ফোরণ
টপ নিউজ ডেস্কঃ আতঙ্কের নগরী ঢাকায় আগুনে কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য মানুষের জীবন। যার বেশির ভাগ আবাসিক এলাকায় সংঘটিত হওয়া আগুন। চলতি বছর রাজধানীতে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে গত সোমবার রাতে রাজধানীর বংশালে আলু বাজারের একটি বাসায় গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণে চার শিশুসহ দগ্ধ ও আহত হয়েছেন ১০ জন। ওইদিন রাত দেড়টার দিকে আলুবাজার বড় মসজিদের পাশে একটি চারতলা বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
paathok · 3 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/142176
মামলা খেয়ে নিজের বাইকে আগুন দিলেন আরেক রাইড শেয়ারিং বাইকার
.
ট্রাফিক পুলিশ জরিমানা করার করায় নিজের বাইকে আগুন দিয়েছেন ক্ষুব্দ আরেক রাইড শেয়ারিং বাইকার। এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো এমন ঘটনা ঘটলো।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পলাশী মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মোর্শেদ বলেন, ইলিয়াস মিয়া (৩০) নামে একজন চালক ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করলে একজন সার্জেন্ট তাকে জরিমানা করায় রাগে সে বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
জরিমানা হওয়ার পর, তিনি পলাশী থেকে কাটাবনে যান এবং দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের এর দিকে তার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেন।
ওসি আরও জানান, এর আগে তাকে দুবার জরিমানা করা হয়েছিল।
এম এম মোর্শেদ জানান,ঘটনার পর পুলিশের একটি দল ইলিয়াসের সাথে কথা বলার জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি বলেন, লোকটি এক মাস আগে ঢাকায় এসেছে এবং করোনার সময় ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে রাইড শেয়ারিংয়ে চাকরি নিয়েছে।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বাড্ডা এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মামলা করার চেষ্টা করার পর বাইকার শওকত আলী তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
0 notes
dailynobobarta · 5 years ago
Text
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মদিন আজ
New Post has been published on https://is.gd/z0va3y
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মদিন আজ
একজন মহান শিক্ষক; স্বপ্ন দেখাতে পারেন হাজারো শিক্ষার্থীর জীবনে। গড়ে উঠার সময়টাতে যিনি সবার সামনে থাকেন আলোর মশাল নিয়ে। মানুষ গড়ার এমনই একজন কারিগর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ১৯৩৯ সালের ২৫ জুলাই কলকাতার পার্ক সার্কাসে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার অন্তর্গত কামারগাতি গ্রামে। ছেলেবেলা থেকেই তিনি শিক্ষক হবার স্বপ্ন লালন করতেন। পাবনা জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে মাধ্যমিকের পাট চুকিয়ে বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৬০ সালেই তাঁর শিক্ষকতা জীবনের শুরু হয়। বাবা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন শিক্ষক। বাবা যখন মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ, তখন ২২ বছর বয়সী ��বু সায়ীদ শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন সেই কলেজেই। পরবর্ত���তে তিনি কিছুকাল সিলেট মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সালের পহেলা এপ্রিল তিনি রাজশাহী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে সরকারি চাকুরিজীবন শুরু করেন। সেখানে পাঁচ মাস শিক্ষকতা করার পর তিনি ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে যোগ দেন (বর্তমানে ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ)। এই কলেজে তিনি দু’ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র তেইশ। এরপর তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলেজ ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রনে সেখানে যোগদান করেন। ঢাকা কলেজেই তিনি তাঁর শিক্ষকতা জীবনের স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করেন। সে সময় ঢাকা কলেজ ছিল দেশসেরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলনস্থল। অধ্যাপক আবু সায়ীদ যখন ঢাকা কলেজে যোগ দেন তখন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কথাসাহিত্যিক ও গদ্য লেখক শওকত ওসমান ৷ ঢাকা কলেজের শিক্ষকতা জীবন তিনি অত্যন্ত উপভোগ করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ঢাকা কলেজে প্রাণবন্ত, সপ্রতিভ, উজ্জ্বল ছাত্রদের পড়ানোর তৃপ্তি, শিক্ষক-জীবনের অনির্বচনীয়তম আস্বাদ ছেড়ে তিনি যেতে চাননি৷ তাঁর মতে, “বাংলা বিভাগে যোগদান করাটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো ছাত্রদের ছেড়ে সবচেয়ে খারাপ ছাত্রদের পড়াতে যাওয়ার মত মনে হয়েছে”৷ অধ্যাপক আবু সায়ীদ কখনোই ক্লাসে রোলকল করতেন না। রোলকলকে তার কাছে মনে হতো সময়ের অপব্যয়৷ তাই বছরের পয়লা ক্লসেই ঘোষণা করে দিতেন রোলকল না করার৷ তিনি তার জীবনীর উল্লেখযোগ্য স্মৃতি (২য় অনুচ্ছেদে) বলেন, “অনিচ্ছুক হৃদয়কে ক্লাশে জোর করে বসিয়ে রেখে কী করব? আমার চ্যালেঞ্জ ছিল এক ধাপ বেশি: কেবল শিক্ষক হওয়া নয়, সব ছাত্রের হৃদয়ের কাছে পৌঁছানো, সব ছাত্রের হৃদয়কে আপ্লুত করা”৷ ক্লাশের সেরা ছাত্রটাকে পড়ানোর চেষ্টা করার চেয়ে তিনি পড়াতে চেষ্টা করতেন ক্লাশের সবচেয়ে বোকা ছাত্রটাকে৷ সারাক্ষণ তাকেই বোঝাবার চেষ্টা করতেন, কেননা তার বোঝা মানে ক্লাসের বাকি সবার বোঝা। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সমাজসংস্কারক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি মূলত একজন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক। ষাট দশকের একজন প্রতিশ্রুতিময় কবি হিসেবেও পরিচিত তিনি। সমালোচক এবং সাহিত্য সম্পাদক হিসাবেও তিনি রেখেছেন অনবদ্য অবদান। ১৯৭০ দশকে টিভি উপস্থাপক হিসাবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি আলোকিত মানুষ তৈরির কাজে নিয়োজ��ত ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’। জন্মের পর থেকেই তিনি দেখেছেন তাঁর ঘরভর্তি বই। সেখানে তাঁর বাবা নিমগ্ন থাকতেন পড়াশোনা নিয়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পড়ার প্রতি একটা ঝোঁক সৃষ্টিতে বিষয়টি নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। তাঁর বাবা সবসময় তাঁকে বলতেন, “নলেজ ইজ পাওয়ার।” সংগঠক হিসেবে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ অনন্য। তিনি সংগঠিত হয়ে কাজ করাকে ক্রিয়েটিভিটি বলে মনে করেন। বাংলাভিশন চ্যানেলের আয়োজনে ‘আলোকিত জন’ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে তিনি কথা বলেন। তাঁর মতে, গান,কবিতা কিংবা অন্যান্য সৃষ্টির মতো এটিও একটি সৃষ্টি। শুধু নিজে বাঁচা, নিজের উন্নতি করা কিংবা নিজে বড় হওয়ার চিন্তা করাটাকে তিনি স্থুল ও অকর্ষিত ব্যাপার বলে মনে করেন তিনি। সেখান থেকেই একত্রিত হয়ে কাজ করার একটা ভাবনা কাজ করে তাঁর ভেতর। প্রাসঙ্গিকভাবেই উঠে আসে দেশপ্রেমের কথা। ‘প্লেটোর রিপাবলিক’ গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমের কথা বলেন��� তিনি উল্লেখ করেন, আমি যা করছি, তা শ্রেষ্ঠভাবে করার নামই দেশপ্রেম। “অর্থাৎ, আমি যদি কবি হই তাহলে শ্রেষ্ঠতম কবিতা লেখা উচিত। কিংবা যদি মুচি হই তাহলে শ্রেষ্ঠতম জুতা বানানোই হবে দেশপ্রেমের প্রকাশ।“ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সবচেয়ে বড় কাজগুলোর একটি হল, ‘বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা। আলোকিত মানুষ চাই শ্লোগানে এই প্রতিষ্ঠানটির পথচলা। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাধারার পূর্ণ প্রকাশ ঘটে। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে আগুন রয়েছে। সেই আগুনকে বাড়ানো সম্ভব আরেকটি আগুনের দ্বারা। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের একটি উদ্ধৃতি দেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে। এ জীবন পুণ্য কর দহন-দানে॥ বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রকেও তিনি মনে করেন পরশমণি। অধ্যাপক আবু সায়ীদ বলেন, মানুষ যদি আকাশ দেখতে চায়, তাহলে ছাদে গিয়েই দেখা উচিত। কারণ, তাতে আকাশের পূর্ণরূপ দেখা যায়। জানালা দিয়ে কিংবা অন্য উপায়ে দেখতে গেলে তাতে অপূর্ণতা থাকে। তাই তিনি বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রকে এমন একটি খোলা জায়গার সাথে তুলনা করেন। জাতিগতভাবে আমরা বেশ কর্মবিমুখ এবং অলস। আর যদি বয়সের ছাপ পড়ে যায় তাহলে যেন বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষাও কমে আসে। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একে বলেন কোনরকম বেঁচে থাকা। তিনি সবসময় বলেন শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে। আর কাজ থাকলে মানুষ ব্যস্ত থাকবে। তাতে অযথা কাজ কিংবা অযথা কথা বলার প্রবণতা কমে আসবে। একই সাথে দীর্ঘদিন পর্যন্ত কাজ করার ক্ষমতা ও মানসিক শক্তি ধরে রাখা সম্ভব। ১৯৬২ সালে তিনি রাজশাহী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং সে�� সাথে সরকারি চাকুরিজীবনের শুরু হয়। তার পাঁচ মাস পর তিনি ঢাকায় ইন্��ারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে যোগ দেন। এখানে তিনি দু’বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। এর পর পরই তিনি ঢাকা কলেজে যোগ দেন। ত্রিশ বছর সেখানে শিক্ষকতা করেন তিনি। তাঁর ভাষায় শিক্ষকতা জীবনের সবচেয়ে ভালো সময়টা তিনি ঢাকা কলেজে কাটিয়েছেন। অধ্যাপক আবু সায়ীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকা কলেজ ছেড়ে তিনি যাননি। তিনি ক্লাশে কখনো রোলকল করতেন না। বিষয়টিকে তিনি সময়ের অপব্যয় বলে মনে করতেন। তিনি বলেন, “অনিচ্ছুক হৃদয়কে ক্লাশে জোর করে বসিয়ে রেখে কী করব? আমার চ্যালেঞ্জ ছিল এক ধাপ বেশি: কেবল শিক্ষক হওয়া নয়, সব ছাত্রের হৃদয়ের কাছে পৌঁছানো, সব ছাত্রের হৃদয়কে আপ্লুত করা” ষাটের দশকে তিনি সাহিত্য আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। সাহিত্য পত্রিকা ‘কন্ঠস্বর’ সম্পাদনার মধ্যদিয়ে তিনি নবীন সাহিত্যিকদের আরো উৎসাহিত করেন। এসময় কিছুকাল টেলিভিশনে উপস্থাপনার সাথেও জড়িত ছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাকে ‘একুশে পদক’ দেয়া হয়। এছাড়া তিনি রামোন ম্যাগসেসে পুরষ্কার, বাংলা একাডেমি পুরষ্কার ও বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন থেকে পালমোকন-১৭ সম্মাননা লাভ করেন। অধ্যাপক আবু সায়ীদের কাছে শিক্ষকতাই সবচেয়ে মহৎ পেশা। তবে তিনি আক্ষেপ করেছেন, “ যে শিক্ষক আমি হতে পারলে সবচেয়ে খুশি হতাম, সেটা হয়তো আমি হয়ে উঠতে পারিনি। তিনি মনে করেন, শিক্ষক যতটা না বেশি জ্ঞান দান করেন, তার চেয়ে বেশি প্রাণ জাগান।’’ তরুণ বয়সে তিনি কবিতা ও কল্পকাহিনী লিখতেন। অধ্যাপক সায়ীদ বহু প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা লিখেছেন। প্রবন্ধ সংগঠন ও বাঙালি। উল্লেখযোগ্য বই আমার আশাবাদ আমার বোকা শৈশব আমার উপস্থাপক জীবন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র এবং আমি পুরস্কার: আমাদের এই পথনির্দেশক অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পুরস্কার হলো, ১৯৭৭ সালে পেয়েছেন ‘জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার’ , ১৯৯৮ সালে পেয়েছেন মাহবুব উল্লাহ ট্রাস্ট পুরস্কার; ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন রোটারি সিড পুরস্কার; ২০০০ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ বুক ক্লাব পুরস্কার। ২০০৫ সালে একুশে পদক পান। ২০০৪ সালে তিনি র‌্যামন মাগাসেসে পুরস্কার অর্জন করেন এবং ২০১২ সলে বাংলা একাডেমী পুরষ্কারে ভূষিত হন।
0 notes
doinikchoturdik · 6 years ago
Text
ভোলায় শিশু ওঝার অপচিকিৎসায় মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে গৃহবধু - আটক ২
ভোলায় শিশু ওঝার অপচিকিৎসায় মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে গৃহবধু – আটক ২
ভোলা প্রতিনিধি : ভোলায় এক ওঝার অপচিকিৎসায় প্রাণ যেতে বসেছে জোসনা বেগম নামের ৪৫ বছর বয়সী এক গৃহবধুর। জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরসিন মেখে ঝাড়-ফুকের সময় আগুন লেগে শরীরের প্রায় ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ ওই গৃহবধুকে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ভোলা সদর থানার ওসি মো. ছগির মিঞা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জড়িত অন্যদের আটকে…
View On WordPress
0 notes
eibangladesh-blog · 6 years ago
Text
এবার গুলশানে আগুন!! পুড়ল ডিএনসিসি বাজারের ২২১ টি দোকান!!
এবার গুলশানে আগুন!! পুড়ল ডিএনসিসি বাজারের ২২১ টি দোকান!!
রাজধানীর বনানীতে ভয়াবহ আগুনে ২৫ জন নিহতের ঘটনার মাত্র দুদিন পর ঢাকায় ফের বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
শনিবার গুলশান ১ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাঁচাবাজারে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বাজারের ২২১টি দোকানের সবগুলোই।
ফায়ার সার্ভিসের প্রায় আড়াই ঘণ্টার প্রাণান্তকর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা খুরশীদ…
View On WordPress
0 notes
onewsbd · 6 years ago
Text
পুরান ঢাকায় গড়ে মাসে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
পুরান ঢাকায় গড়ে মাসে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
এক বছরে পুরান ঢাকায় আগুনের ঘটনা ৮৯টি। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এরমধ্যে মাসে গড়ে একটি করে আগুন লেগেছে প্লাস্টিক কারখানায়। এলাকাবাসী বলছেন, বাড়ি মালিকদের অতি লোভই পুরান ঢাকাকে করে তুলেছে বোমার গুদাম। রাসায়নিক না সরানো পর্যন্ত অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
��কবাজারের চুড়িহাট্টি মোড়। মুহুর্তেই পুড়ে ছাই কর্মচঞ্চল কতগুলো প্রাণ। ভয়াবহতার সাক্ষী–কয়লা হয়ে যাওয়া যানবাহন আর বিধ্বস্ত…
View On WordPress
0 notes
awesome-shasanaz-sathi-us · 6 years ago
Video
youtube
ঢাকায় বাসচাপায় ২ পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু, অবরোধ ভাঙচুর আগুন !! bangla news
0 notes
gnews71 · 7 years ago
Photo
Tumblr media
সৌদিতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ১৪১ বাংলাদেশি হাজী নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনার ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ। গত ১২ মার্চ ওই দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ১৪১ বাংলাদেশি যাত্রী। আজ (মঙ্গলবার) মদিনা থেকে ঢাকায় আসার পথে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (এ ৩৩০-২০০) যান্ত্রিক ক্রটির কারণে জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। বিমানটিতে মোট ১৫১ জন আরোহীর মধ্যে ১৪১ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। বিমানটিতে ছিলেন ফেনী জেলার বাকিবিল্লাহ মাছুম (বাকি মাছুম)। বাংলাদেশ থেকে তিনি ওমরা পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। তিনি ওমরা পালনকারী একটি কাফেলার প্রধান ছিলেন। বিমান থেকে নামার পর সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে তিনি একটি স্ট্যাস্টাস দিয়েছ্নে। স্ট্যাস্টাসে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লিখেন, ‘জিবনে বেঁচে থাকার অাশা ছেড়ে দিয়েছিলাম, আল্লাহ অামাকেসহ ১৫১ জন হাজী সাহেবকে বহনকারী সউদি (সৌদি) এয়ারলাইন্সের মদিনা থেকে ছেড়ে অাসা সকল যাত্রীকে তার খুদরতের ছায়া দিয়ে হেফাজত করেছেন *আলহামদুলিল্লাহ*। মদিনা থেকে ১২-৩০ মিনিটে প্রথমে ঢাকার উদ্দেশে বিমান যাত্রা করে, কিছুদূর যাওয়ার পর এসি খারাপ হয়ে যায়, পরে অামাদেরকে বিমান থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর ৫-২০ মিনিটে অাবারও যাত্রা শুরু করে।’ তিনি আরও লিখেন, ‘এরপর ৪ ঘণ্টা এদিক সেদিক গুরাগুরি (ঘুরাঘুরি) করে জেদ্দা এয়ারপোর্টের পাশে অবতরণ করার সাথে সাথে সামনের দুইটা চাকা বাষট (বিস্ফোরণ) হয়ে অাগুন ধরে যায়, অামরা কোন মতে লাফ দিয়ে নিচে নেমে যাই, এ রকম দুর্ঘটনায় বাঁচার কোন চান্স ছিল না, আল্লাহ অলোকিকভাবে (অলৌকিকভাবে) অামাদেরকে নতুন জীবন দিয়েছেন। সবাই অামার জন্য দোয়া করবেন যেন নতুন জীবনটা আল্লার রাস্তায় কাটিয়ে দিতে পারি, **অামিন***।’ বর্তমানে তারা জেদ্দা হোটেলে অবস্থান করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সৌদি এয়ারলাইন্স এক টুইট ব��র্তায় জানিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মদীনা থেকে ঢাকাগামী সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এ সময় বিমানটি সামনের চাকায় আগুন ধরে গিয়েছিল। এতে বিমানটির সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।
0 notes
paathok · 5 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/108251
টেকনাফে পঙ্গপালের মতো ফসল খেকো পোকা হানা
.
কক্সবাজারে টেকনাফে পঙ্গপালের মতো ফসল খেকো পোকার সন্ধান পেয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। দেখতে ফড়িং এর মতো এসব পোকা দল বেধে গাছের পাতা ও ডালে বসে একের পর এক পাতা খেয়ে ফেলছে। এতে উদ্বেগ ও আতংক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
কৃষি কর্মকতারা জানান, পোকাগুলোর সঙ্গে ঘাসফড়িংয়ের মিল রয়েছে। তবে আকারে সেগুলো কিছুটা ছোট। তবে এর প্রজাতি জানা যায়নি। দেশে আগে এমন পোকা কখনো দেখা যায়নি। তবে অল্প সময়ে একটি বড় গাছের পাতা নিমিষেই নি:শেষ করে দেয় এই পোকা।
.
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী গ্রামেে এক বাড়ির বাগানে লতাপাতা, আগাছা থেকে শুরু করে শুকনো পাতা, কাঁচাপাতা ও গাছের শাখা-প্রশাখায় সারি সারি পোকা। কোথাও গাছের শাখা আছে পাতা নেই। আবার কোথাও পোকায় খাওয়ার মত ছিদ্রযুক্ত পাতা। একটি গাছের নিচে রয়েছে কিছু ছাই। যাতে আগুন জ্বালিয়ে পোকা দমনের চেষ্টা করেও কাজ হয়নি।
কক্সবাজারের কৃষি কর্মকর্তারা জানান, কিছু পোকা সংগ্রহ করে ঢাকায় কৃষি অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় এবং বঙ্গ���ন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞান বিভাগে গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে। গবেষণার পর পোকাটি পঙ্গপালের কোন প্রজাতি কিনা জানা যাবে। জীবানুনাশক কীট দিয়ে পোকাটি বিনাশ সম্ভব বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।
.
বাড়ির মালিক সোহেল সিকদার জানান, আম গাছের অবস্থা দেখতে গিয়ে কয়েকদিন ধরে তিনি দেখেন শত শত পোকা। আম গাছ, তেরশল গাছসহ অন্য বেশকটি গাছের পাতা খেয়ে ফেলছে।
দিন দিন পোকার সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি পাখাও দেখা যাচ্ছে। এসব পোকা দেখতে পঙ্গপালের মতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, পোকার ছবি দেখার পর কক্সবাজার জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছিল। পঙ্গপালের পাখা থাকে এবং সহজে উড়তে পারে। এটির তেমন পাখা দেখা যায়নি, তবে এদিক ওদিক লাফাতে পারে। যেহেতু কাঁচাপাতা খেয়ে ফেলছে তাই এটি ক্ষতিকর পোকা।
এদিকে টেকনাফের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, পোকার ছবি দেখে আমরাও ধারণা করেছিলাম পঙ্গপাল। পরে কক্সবাজার অফিস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে এগুলো পঙ্গপাল নয়। পঙ্গপালের পাখা থাকে ও সহজে উড়তে পারে। এটির তেমন পাখা দেখা যায়নি। এগুলো লাফাতে পাড়ে, উড়তে পারে না। তবে যেহেতু কাঁচা পাতা খেয়ে ফেলছে, এ পোকা নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর। এ ধরনের পোকার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এখন অনেকটা কমে গেছে।
0 notes
dailycomillanews · 7 years ago
Text
ইউ এস বাংলা বিধ্বস্ত, ৫০ জন নিহত হবার খবর
ইউ এস বাংলা বিধ্বস্ত, ৫০ জন নিহত হবার খবর
নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম অন ইন্ডিয়া।
গণমাধ্যমটি আরো প্রকাশ করে, উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে। নেপাল সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়।
ঢাকায় ইউএস বাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দুপুর ১২টা…
View On WordPress
0 notes
digantablr-blog · 7 years ago
Text
হিটলার বলেছিলেন, আমি কিছু ইহুদিদের ছেড়ে দিলাম, যাতে করে বিশ্বের মানুষ আমাকে খারাপ না বলে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি মো. সৈয়দ রেজাউর করিম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ট্রাম্পকে সবাই পাগল বলেন। আসলে তিনি পাগল নন। ঠান্ডা মাথার খুনি তিনি। জেরুজালেমকে ইহুদিদের রাজধানী ঘোষণা করার মাধ্যমে ট্রাম্প মুসলমানদের বুকে আগুন জ্বালিয়েছেন। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে যুদ্ধ লাগিয়ে পৃথিবী থেকে মুসলমান নিধন করা। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রতিবাদে সোমবার সকালে ঢাকায়…
View On WordPress
0 notes
ruposhibangla-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
হিন্দুদের ক্ষতিপূরণ দেবে বাংলাদেশ: সুষমা স্বরাজ ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের রংপুরে সাম্প্রদায়িক হামলায় যেসব হিন্দু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে আশ্বস্ত করেছে। এক টুইট বার্তায় সুষমা স্বরাজ জানান, এ বিষয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনারের কাছ থেকে তারা বিস্তারিত প্রতিবেদন পেয়েছেন। আক্রান্ত হিন্দুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। গত শুক্রবার রংপুরের এক হিন্দু যুবক তার ফেসবুকে ইসলামের নবী মোহাম্মদকে ব্যাঙ্গ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন- এই অভিযোগে স্থানীয় মুসুল্লিরা গঙ্গাচড়ায় একটি হিন্দু গ্রামে হামলা চালায়। এসময় তারা কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে এসময় একজন নিহত হন। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার টুইট বার্তায় আরো বলেছেন, বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ ঢাকায় তাদের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে জানিয়েছেন, হামলায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বাড়িঘর পুননির্মাণে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তিনি জানান, হিন্দুদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। এর আগেও বাংলাদেশে যখন হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে তখন সুষমা স্বরাজ তার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। কুমিল্লার নাসিরনগরে হিন্দুদের হামলার পরেও প্রায় একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তিনি। সেসময় সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন, "আমরা আশা করবো বাংলাদেশ সরকার সেদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা দেবে।" ভারতের আরেক প্রতিবেশি রাষ্ট্র মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বর্মী সেনা বাহিনীর হামলার ব্যাপারে ভারত এখনও পর্যন্ত কিছু বলেনি। বাংলাদেশের চাপে পড়ে সম্প্রতি দিল্লি শুধু বলেছে, মিয়ানমারে দু'পক্ষকেই সংযম দেখাতে হবে। ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের ঘোষিত নীতি হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে সংখ্যালঘু হিন্দু খৃস্টান বৌদ্ধ যারাই ভারতে পালিয়ে আসবে তাদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই তালিকায় মুসলমানদের নাম নেই। একারণে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনস�� ভারতেও অনেকে বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, সরকারের এই অবস্থান ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী। *News Searching By BBC Bangla*
0 notes