Tumgik
#জয়ন্ত
mamuncse · 6 days
Link
0 notes
dailycomillanews · 11 days
Text
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে কিশোর শ্রী জয়ন্ত নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ধনতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলি করে শ্রী জয়ন্ত নামে (১৫) এক বাংলাদেশি কিশোরকে হত্যা করেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ধনতলা সীমান্তের ৩৯৩ নং পিলার-সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহত কিশোরের মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে বলে জানান স্বজনরা। নিহত জয়ন্ত লাহীড়ি ধানতলা ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের মহাদেবের ছেলে।
0 notes
24x7newsbengal · 8 months
Link
0 notes
kobitautsov-blog · 10 months
Text
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
নটেগাছের গল্প নটে গাছটি মুড়িয়ে গেলেই কি গল্প শেষ? তারপর গল্পকে যে নদীতে ভাসিয়ে দিলেন সুখের ভেলায় বা বিস্তীর্ণ মাঠের বিশালে অথবা কুসুমগন্ধ বাগিচার সাদা বিছানায় মহাসুখ ও ইতিটানার অছিলায় কথা শেষ। এইসব সরল গল্পের চেনা বাঁক আর কতদিন ছেলে ভোলানোর ছলে সীমাহীন ব্যর্থতার ক্ষতে লিউকোপ্লাস্ট চেটাবে ? স্বপ্নকে দেন বাস্তবের তিক্ততা দীপ্তবোধ ছবির অনুজ্জ্বল কালোসাদা উদাসীন আঙুলে গভীর মায়া লেখা হোক কাঠঠোকরার…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
alibaba1xk · 1 year
Text
উইকো এবং রোটাস্প্রে জুন মাসে ITMA মিলানে প্রদর্শন করবে৷
Weko এবং RotaSpray, টেক্সটাইল ডাইং, ফিনিশিং, লেপ এবং আর্দ্রতা ব্যবস্থাপনার জন্য রটার স্প্রে ন্যূনতম অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমগুলির নেতৃস্থানীয় নির্মাতারা 8-14 জুন, 2023-এর মধ্যে হল 14, স্ট্যান্ড B103-এ ইতালির মিলানের ITMA-তে প্রদর্শন করবে৷ “বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল শিল্প COVID-19 প্রভাব এবং জল, শক্তি এবং রাসায়নিকের অত্যন্ত টেকসই ব্যবহার এবং সেইসাথে প্রচুর খরচের চাপে ভুগছে,” বলেছেন জয়ন্ত সান্যাল,…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
naanik · 2 years
Text
Project 12: Script Writing
Course Code and Name: MSJ11333 Writing for Film and Television
Name of the Project: Rajlokkhi Cinema Hall (Film Script)
Project Date: Fall 2019
Project Description: Students were required to submit a script for a short film, feature film, or television series as part of this course. We've submitted a screenplay for a feature film. This was a group project represented as the course's final project.
In this project, we all brainstorm with different story ideas together. Then we took a plot. Finally, we developed the story and written the full script. But we were instructed that each of us should write Climax part separately of this story for the final submission.
Project Justification: Students were expected to learn how to write a script for film and television as part of this project. It was group project and we choose this story because we think there are some unseen stories in the lives of the villagers that remain unnoticed.
Project
The Entire Group Project-
 রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল
চরিত্রসমূহঃ
*মজনু মিয়া- রাজলক্ষ্মী সিনেমা হলের ম্যানেজার
*চেয়ারম্যান- রাজলক্ষ্মী সিনেমা হলের মালিক
*গনি মিয়া- গঞ্জের চায়ের দোকানদার
*জয়ন্ত- রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল দেখাশুনার কাজ করে
*শফিক আহমেদ- দারোগা
*ছামছু-কনস্টেবল
*ডাক্তার
*শেফালি-শ্যাম বর্ণের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে
*গোবিন্দ্রচন্দ্র-কলেজ শিক্ষক
EXT. গ্রামের রাস্তা – সকাল - দিন
শীতের সকাল। কুয়াশা আবৃত সূর্য। মজনু মিয়ার বয়স চল্লিশ। হ্যাংলা পাতলা মানুষ। মাথায় চুলের ছিটে ফোটাও নেই। সাইকেল চালাচ্ছেন আর নিজে নিজে কথা বলছেন।
মজনু
অক্টোবর মাসের শুরুর দিক জন্যে এহনো হাড় কাঁপানো শীত পড়ে নাই। বছরের সাথে পাল্লা দিয়া মনে হয় শীত বারতাছে। এই যে ২০০১ সালে আইসাও মানুষ আগের চাইতে মোটা মোটা কাপড় পইরাও শীত দমাইতে পারে না। দূর কি সব মাথার মইধ্যে ঘুরপাক খাইতেছে। গরিবের আবার শীত কি গরম কি! বাইচা আছি এইডাই তো একখান রহস্য।
CUT
EXT. বিবিরগঞ্জে প্রবেশের মুখ- সকাল – দিন ১
রাস্তার পাশে একটি বুড়ো আম গাছ। কাছাকাছি আসতেই সাইকেলের চেইন পড়ে যায়। সাইকেল থামিয়ে চেইন তুলছে আর নিজের সাথে কথা বলছেন।
মজনু
এইডা কোনো কাম হইলো। সাইকেলের চেইন পইড়া যাওনের আর টাইম পাইলো না। গঞ্জে ঢুকনের সাথেই পড়োন লাগে।
চেইন তুলে আবার সাইকেলে প্যাডের দিয়ে কিছু দূর যেতেই দেখে বুড়ো আম গাছটায় একটি লাশ ঝুলে আছে। সে ভয় পায়। আতংকিত হয়ে সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়িয়ে যায়। গাছের দিকে তাকিয়ে সে নিজে নিজে কথা বলে।
মজনু
(আতংকিত ও ভীত হয়ে)
ও আল্লাহ গো! ওই বুইড়া আম গাছে অইডা কি ঝুইলা আছে।
CUT
EXT. বট গাছের নিচে- সকাল  
গাছের শিকড় গুলো মাটি ফুলে ফেটে কয়েক হাত লম্বা হয়ে বিস্তৃত হয়ে আছে। ঝুলন্ত লাশটির দুই পা ও হাত দিয়ে টুপ টুপ করে রক্ত পড়ে মাতিতে কেবল জমাট বাধতে শুরু করেছে। লাশের চোখ দুইটি উপড়ে ফেলা। আস্তে আস্তে গাছটিকে ঘিরে ছোটো খাটো একটা জটলা বেঁধে গেছে। সময়ের সাথে জটলা ক্রমশই বাড়ছে। উত্তেজিত মানুষ পরস্পরের সাথে বিড়বিড় করেই চলেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের গাড়ি চলে আসে। গাড়ি থেকে মোটা করে পঞ্চাশ বছরের একজন দারোগা শফিক আহমেদ নেমে আসেন। তাকে দেখে উত্তেজিত জনতা চুপ হয়ে যায়।
শফিক আহমেদ
(এদিক সেদিক তাকিয়ে জোর গলায়)
এখানে মজনু মিয়া কে?
“মজনু মিয়া”
(ভীত ও আতংকিত হয়ে এক হাত তুলে)
জে আমি হুজুর।
শফিক আহমেদ
এতো সকালে তুমি এখানে কি করছিলে?
মজনু মিয়া
(একটু সামনে এগিয়ে হাত কচলাতে কচলাতে)
আজ্ঞে হুজুর আমি ওই সামনের সিনেমা হলের ম্যানেজার। প্রত্যেকদিন সকাল সকাল হলে যাই। আজকেও হলে আসোনের সময় এইখানে আইসা আমার সাইকেলডার চেইন পইড়া যায় আর তখনই দেহি আমাগো চেয়ারম্যান সাব।
শফিক আহমেদ
এই সিনেমা হল টা চেয়ারম্যান সাহেবের না?
মজনু মিয়া
(কাঁদতে কাঁদতে)
-জে হুজুর।
শফিক আহমেদ
চেয়ারম্যান সাহেব কি রাতে এখানেই থাকতেন?
মজনু মিয়া
(চোখ মুছতে মুছতে)
জে না হুজুর। তয় মাঝে মধ্যে থাকতেন। কাল রাইতে তো একবার আইসা হিসাব নিয়াই আবার চইলা গেছিলো।
রাতে কেউ পাহারায় থাকে না?
মজনু মিয়া
জে হুজুর। জয়ন্ত থাকে।
শফিক আহমেদ
সে কোথায়?
মজনু মিয়া
(একজন ছেলে দিকে দেখিয়ে দিয়ে)
জয়ন্ত! ওই যে হুজুর। ওই জয়ন্ত এইদিকে আয় হুজুর ডাকে।
শফিক আহমেদ
(জয়ন্তের দিকে তাকিয়ে)
আচ্ছা মজনু মিয়া পড়ে ওকে নিয়ে একটু থানায় আসবেন। আরও কিছু ইনফর্মেশন নিতে হবে আমার।
(মজনু মিয়ার দিকে মাথা ঘুরিয়ে)
আর তুমি চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়ির লোকদের খবর দাও।
দারোগা সাহেব কনস্টেবলকে লাশ নামানোর ইশারা দিলেন। কনেস্টেবল ছামছু মিয়া ও আশে পাশে কিছু মানুষ ধরা ধরি করে লাশ নামালেন। নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন।
CUT
INT & EXT. - গুণীর চায়ের দোকান- সকাল – দিন
জয়ন্ত এই গঞ্জের সব থেকে প্রবীণ মানুষ গুণীর দোকানে বসে চা পান করছে। আরো দুইজন মধ্য বয়স্ক লোক চায়ের দোকানে বসে চা সিগারেট খাচ্ছেন।
গুণী
(জয়ন্তের দিকে মাথা ঘুরিয়ে)
আজকেও কি হল খুলবা বাবা জয়ন্ত?
জয়ন্ত
(চায়ে চুমুক দিয়ে)
-নাদাদাআজআরখুলমুনা।
গুণী
(চা বানাতে বানাতে)
কেডা যে এই কামডা করলো। মনে হয় কারো সাথে জন্মের শত্রুতা আছিলো। না হলে কেউ এমনে মারে ভগবান! তয় মানুষ টা বেজায় ভন্ড আছিলো। এই যে তগো রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল এই টা যুদ্ধের সময় এক হিন্দু পরিবারের আছিলো। বাড়ির মালিক পল্লব ঠাকুর ভারতে পালানোরও সময় পায় নাই। এই চেয়ারম্যান পল্লব ঠাকুর আর তার বউরে মিলিটারি গো হাতে তুইলা দিছিলো।
জয়ন্তের চা শেষ হয়ে গেছে। সিগারেটের নেশা তাকে টানছে তার ছোট্ট ঘরটিতে। জয়ন্ত চায়ের কাপ রেখে উঠে দাঁড়ায়। টাকা দিয়ে বেরিয়ে আসতে ধরবে এমন সময় দোকানে বসে থাকা একজন কথা বলে উঠলেন।
বসে থাকা লোক
(হাসি হাসি মুখে)
কি গো জয়ন্ত দা হলে কি ছবি চলতাছে?
জয়ন্ত
(যেতে যেতে)
রুবেলের ভণ্ড। তয় আজ আর ছবি চলবো না। আজ হল বন্ধ।
CUT
INT. - পুলিশ স্টেশন- দুপর – দিন 
শফিক সাহেব পাইচারি করছেন। আচমকা কনস্টেবল ছামছুর প্রবেশে করেন।
ছামছু
স্যার, ডাক্তার সাহেব আইছেন ময়না তদন্তের রিপোর্ট লইয়া। আয়তে কমু?
শফিক সাহেব
(রাগ হয়ে)
ছামছু! তোমাকে কতবার বলেছি আমার সামনে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে। যাও ডাক্তার সাহেব কে পাঠায় দাও।
ছামছু মিয়া দুঃখিত বলে মাথা নিচু করে দারোগা বাবুর ঘর প্রস্থান করলেন। কয়েক মিনিট পরেই ডাক্তার বাবু কিছু কাগজ হাতে ঘরে প্রবেশ করলেন।
শফিক সাহেব
(হাত দিয়ে সামনের চেয়ার দেখিয়ে দিয়ে)
আসুন ডাক্তার বাবু বসুন। তা ময়না তদন্তে কি কি পেলেন এবার বুঝিয়ে বলুন তো মশাই?
ডাক্তার বাবু
(হাতের কাগজ গুলো এগিয়ে দিয়ে)
দেখুন দারোগা বাবু। আপনি তো আগেই দেখেছেন খুনি লাশের জিব্বহা কেটে ফেলেছে, চোখ দুটো উপরে ফেলেছে। তবে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো ভিক্টিম জীবিত থাকা অবস্থায় তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়। যাতে চিৎকার করতে না পারে তাই আগে তার জিব্বা কেটে ফেলা হয়। এরপর হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়। এমনকি তার গোপনাঙ্গও কেটে ফেলা। সর্বশেষ তাকে লাইলোনের দড়ি দিয়ে বুড়ো গাছে ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
শফিক সাহেব কাগজ হাতে দেখতে দেখতে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন।
শফিক সাহেব
(জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে)
এরকম নৃশংস হত্যা আমি আমার চাকুরি জীবনের ত্রিশ বছরে একটিও দেখি নি। কয়টার নাগাদ খুনটা হতে পারে কিছু আন্দাজ করতে পেরেছেন?
ডাক্তার
নির্দিষ্ট করে তো বলতে পারবো না তবে লাশের ব্লেডিং কন্ডিশন দেখে অনুমান করা যায় ঘণ্টা ছয় সাতেক আগে।তো ঠিক আছে দারোগা সাহেব আমি তাহলে আসি।
শফিক সাহেব
(দাক্তারের দিকে তাকিয়ে)
হ্যাঁ সেরকমইহবে। আপনি এখন আসুন।
দারোগা বাবু জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। সিগারেট জ্বালিয়েছেন।
CUT
EXT. গুণীর চায়ের দোকান- সকাল – দিন
মজনু মিয়া বিড়বিড় করে আপন মনে কথা বলছেন আর সাইকেল চালিয়ে সিনেমা হলের দিকে যাচ্ছেন।
��জনু মিয়া
এক সপ্তাহর লাহান হইয়া গেলো এখনো খুনির কোনো হদিস বাহির করতে পাইলো না। আর বড় লোক গো মনে হয় দিলের মইধ্যে ভালোবাসাও কম তাহে। এই যে চেয়ারম্যান সাব তার পোলারে কি না ভালোবাসতো। যহন যা চাইত তাই দিতো। আর এহন বাপ টা মইরা গেছে টাও এই পোলার মনে কোনো কষ্ট নাই। মনের আয়েশে ঘুইরা বেরায়তেছে। যাত্রা দেইখা বেরায়তেছে। আবার এক সপ্তাহ যাইতে না যাইতেই হল চালু করবার কয়। কি যানি বাপু এই মোটা মাথায় এতো শত হিসাব ঢোকে না।
 CUT
INT. – রাজলক্ষ্মী সিনেমা হলের চিলেকোঠা- বিকেল – দিন
জয়ন্ত তার ঘরের ছোট্ট আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখছে। তার ঘরের একটা শোবার খাট, একটা টেবিল, কাপড় টাঙ্গানোর জন্য ঘরের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত একটি দড়ি এবং সিনেমা হলের অব্যবহার্য কিছু জিনিসপত্র। মজনু মিয়া দরজা ধাক্কা দিয়ে জয়ন্তের ঘরে ঢুকলেন।
মজনু
(কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে)
আর কত নিজেরে দেখবি? তুই এমনেই নায়কের লাহান। আমাগো রাজলক্ষ্মী সিনেমা হলের নায়ক।
জয়ন্ত
(ফিরে তাকিয়ে হাসি মুখে)
কি যে বলেন না চাচা। আসলে একলা মানুষ তো তাই মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি যাতে আর একলা না লাগে। যখন আয়নার সামনে দাড়াই তখন মনে হয় আমার আশে পাশে অনেক গুলো অস্তিত্ব এসে ভীর করেছে তখন আর একলা লাগে না।
মজনু মিয়া
(খাটের উপরে বসে)
গ্রামের পোলা হইয়াও তুই কি সন্দর কইরা কথা কস রে জয়ন্ত। মনডা ভইরা যায়। যাই হোক এখন আধ্যাত্মিক কথা বাদ দিয়া কামের কথা শোন। সপ্তাহ হইয়া গেলো এখন তো হলে একখান ছবি চালান লাগে। কিন্তু ছবির যে অবস্থা! তয় কি ছবি চালাবি কিছু ভাবছিস?
জয়ন্ত
হ্যাঁচাচা। সামনেরশুক্রবারেছুটিরঘণ্টাচালারেকেমনহয়বলতো?
মজনু
(জয়ন্তের দিকে তাকিয়ে)
পুরান ছবি পাবলিক খাইবো?
জয়ন্ত
আমারমনেহয়মানুষআসবে। এখনকারঅশ্লিরছবিরথেকেঢেরভালো।
মজনু
ঠিক আছে। কাল তাইলে গঞ্জে কিছু পোস্টার আর গ্রামের দিকে মাইকিং কইরা আছিস।
কথা শেষ করতে করতে মজনু মিয়া বেরিয়ে গেলেন। জয়ন্ত তার ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে একটি মোমবাতি জ্বালালেন। মোমবাতি হাতে আবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে দেখতে থাকে জয়ন্ত। আর বিড়বিড় করে গান গাইছেন।
একদিন ছুটি হবে
অনেক দূরে যাবো
নীল আকাশে,সবুজ ঘাসে
খুশিতে হারাবো।
CUT
EXT. – বিবিরগঞ্জ কলেজ গেট- সকাল – দিন 
আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছে জয়ন্ত। কুয়াশার কারনে এখনও সূর্য পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না। চাচার কথায় গতকাল রাতেই বানিয়ে রাখা পোস্টার ও নিজের বানানো আঠার বালতি নিয়ে হাঁটছে। হলের সামনে ও গুণীর দোকান পোস্টার লাগিয়ে বুড়ো গাছটির কাছে গেলেন জয়ন্ত। গতবার বুড়ো গাছের গায়ে লাগানো পোস্টার টা কুয়াশায় ভিজে অনেকটা অংশ খোসে পড়েছে। জয়ন্ত একবার সেদিকে তাকিয়ে মুখ ফিরে নিয়েছে। সামনের মোড়ে কলেজ গেটের দিকে এগুতে শুরু করলো সে।
হাটতে হাটতে কলেজের গেটে পৌঁছে গেছে সে। কলেজের দেয়ালের পুরনো পোস্টার গুলো তুলে নতুন পোস্টার লাগাতে শুরু করেছে। এমতবস্থায় একজন মেয়ের কণ্ঠ শুনতে পায় জায়ন্ত। জয়ন্ত পিছন ফিরে তাকায়।
শেফালী
(হেসে হেসে)
আজকাল তো দেখাই যায় না। তা মশাই এর ছুটি কবে হবে?
জয়ন্ত
(শেফালীর দিকে তাকিয়ে)
যেদিন ঘামের টাকায় মোটা পেটে পড়বে না আলতো ছোঁয়া,
বইয়ের পাতায় আঁকবে না হায়নার আঁচড়,
ঈশ্বর বিশেষায়িত মুখ গুলোয় থাকবে না মেকির অভিশাপ,
কিংবা ধামিক শকুনেরা আকাশে মেলবে না ডানা,
সেদি হবে আমর ছুটি।
শেফালী
(যেতে যেতে)
হয়েছে আর কবিতা আওড়াতে হবে না। শুক্রবারে ভাইকে নিয়ে আসবো ছবি দেখতে। এখন গেলাম। ক্লাস আছে।
শেফালী কলেজ মাঠ পেরিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস রুমে ঢোকা অবধি তাকিয়ে আছে জয়ন্ত। তারপর আবার দেয়ালে পোস্টার লাগাতে মনোনিবেশ করে।
 CUT
INT. – বিবিরগঞ্জ কলেজ গেট- সকাল – দিন
শফিক আহমেদ ফোনে অফিসের চেয়ারে বসে ফোনে কথা বলছেন আর বা হাত দিয়ে কপাল ঘষছেন।
শফিক আহমেদ
জী স্যার আমারা সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কয়েকজন আমাদের সন্ধেহের তালিকায় আছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা অপরাধিকে পেয়ে যাবো স্যার।
শফিক সাহেব ফোন রেখে দুই হাত মুখের উপর দিয়ে বসে আছেন। কিছুখন পর একটা সিগারেট ধরালেন। উঠে দাঁড়িয়ে সামের আলমারিতে রাখা প্রাপ্ত এবিডেন্স গুলো নেড়েচেড়ে দেখছেন। বুড়ো গাছ টার আশে পাশে দড়ি, কিছু দূরে চেয়ারম্যান সাহেবের একটা রক্ত মাখা জুতো ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় নি। ছামছু মিয়াকে গাড়ি বের করতে বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায় শফিক সাহেব���
CUT
EXT. – বিবিরগঞ্জ কলেজ গেট- সকাল – দিন
শনিবার সকালে এক শিক্ষার্থীর চিৎকারে কলেজের বাথরুমের কাছে দৌড়ে আসে সবাই। একটা লাশ বাথরুমের মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। কেউ মাথাতা থেতলে দিয়েছে। পা এবং হাতে ফিনকি দিয়ে রক্ত গড়িয়ে জমাট বেধেছে। লাশের পাশেই কলেজে ঘণ্টা টি পড়ে আছে। ঘণ্টায় রক্তের ছোপ ছোপ দাগ।
 
INT. – সিনেমা হলের চিলেকোঠা
জয়ন্ত চিলেকোঠার দরজায় বসে আছে। হাস্যজ্জল মুখ ও ডান হাতে রক্ত মাখা চাকু। তার সামনে একটি বিড়াল পড়ে আছে। বিড়ালের নিচ থেকে মেঝে রক্তে ভিজে আছে
CUT
INT. – পুলিশ স্টেশন
শফিক সাহেব চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন এবং টেবিলের উপরে রাখা পেপার ওয়েট নাড়ছেন। কনস্টেবল ছামছু মিয়া প্রবেশ করলেন। 
ছামছু
স্যার, বিবিরগঞ্জ কলেজের লাশটা কলেজের ইংরেজি মাস্টার মিজান চৌধুরীর। এইটারও জিব্বা কাইটা ফেলাইছে। চোখ দুইটাও উপড়ায় ফেলাইছে। ভালাই হইছে লোকডা বজ্জাত আছিলো!
শফিক সাহেব নড়েচড়ে বসে একটা সিগারেট ধরালেন।
শফিক
ছামচু গাড়ি বের করো।
ছামছু মাথা চুলকাতে চুলকাতে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। শফিক সাহেব সিগারেট টানতে টানতে টেবিলের উপরে রাখা টুপিটা নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান।
CUT
INT. – বিবিরগঞ্জ কলেজের প্রিন্সিপ্যালের ঘর
বিবিরগঞ্জ কলেজের প্রিন্সিপ্যাল পারভিন বেগম চশমা খুলে মুশতে শুরু করলেন। বয়স ৫০। শফিক সাহেব প্রিন্সিপ্যালের সামনে চেয়ারে বসে চায়ে চুমুক দিচ্ছেন।
শফিক
মিজান চৌধুরী মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন?
পারভিন
মেধাবী তবে বদ মেজাজি। বাচ্চা-কাচ্চা নেই। স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে বিধায় কলেজের কোয়াটারে একা থাকতেন।
শফিক
তার নামে কখনো অভিযোগ এসেছিলো?
পারভিন
(চশমা চোখে দিতে দিতে)
কয়েকদিন আগে একটি মেয়ের চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে ক্লাসরুমের বাইরে নিয়ে এসে দাড় করিয়ে রেখেছিলেন। এছাড়া কলেজের কেয়ারটেকার সাথে মাঝে মাঝেই শুনি চিল্লা পাল্লা করেন।
শফিক সাহেব পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে পারভিন বেগমের দিকে তাকিয়েই প্যাকেটটা পুনরায় পকেটে রাখলেন।
শফিক
মেয়েটিকে ও কলেজের কেয়ারটেকার কে ডাকুন।
পারভিন বেগম কানে ফোন তুলে নাম্বার চাপলেন।
পারভিন
শেফালীকে ও কেয়ারটেকারকে বলো আমার রুমে আসতে।
শফিক সাহেব উঠে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন।
পারভিন
মেয়েটি বেশ চঞ্চল ও একরোখা। শুনেছি ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে সামনের সপ্তাহে।
শেফালী ইতস্তত করে রুমে প্রবেশ করে। পিছে পিছে কেয়ারটেকারও। তার বয়স ৪৫। শফিক সাহেব চেয়ার টেনে নিয়ে বসে পড়লেন।
শফিক
মিজান স্যার কেমন মানুষ ছিলেন?
শেফালি
(ইতস্তত করে)
ভালো।
শফিক
সেদিন কি শুধু চুলেই হাত দিয়েছিলো নাকি গায়েও?
শেফালী কোনো উত্তর না দিয়ে মাথা নিচু করে হাত কচলাতে থাকে।
শফিক
তোমার হাতে কি?
শেফালী
“নতুন বউ” সিনেমার পোস্টার
শফিক
কোথায় পেলে?
শেফালী
সিনেমা হলের জয়ন্ত দিয়েছে।
শফিক
(কেয়ারটেকারের দিকে তাকিয়ে)
কাল রাতে কোথায় ছিলে?
কেয়ারটেকার
না মানে স্যারের মদ আনতে গেছিলাম সাহেব।
শফিক
ছামছু, একে গাড়িতে তুলো। আর শেফালী তুমি এখন আসো।
ছামছু টানতে টানতে কেয়ারটেকার কে রুম থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে।
কেয়ারটেকার
সাহেব আমি কিছু করি নাই। আমি নির্দোষ। সাহেব!
CUT
INT. – সিনেমা হল
পর্দায় “নতুন বউ” সিনেমা চলছে। হলের মাঝে একা এক চেয়ারে বসে জয়ন্ত সিনেমা দেখছে।
CUT
INT. – শেফালীর বাসর ঘর
শেফালী বউয়ের সাঝে ডেসিন টেবিলের সামনে বসে আয়নায় তাকিয়ে আছে। একে একে কানের দুল, গলার হাড় ও চুড়ি খুলে টেবিলের উপরে রাখে। উঠে বিসানার দিকে এগুতে থাকে।
CUT
INT. – ওয়াশ রুম- মধ্যরাত
শেফালী আয়নায় সামনে তাকিয়ে আছে। হাত দিয়ে কপালের হালকা মুছে যাওয়া টিপ আরো মোছার চেষ্টা করে বেসিন ছেঁড়ে দেয়। মুখে পানির ঝাপ্টা দিতে থাকে। আচমকা আয়নায় একটা ছায়ামূর্তি দেখেই ঘুরে দাঁড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে একটি হাত শেফালীর গলায় চাকু চালিয়ে দেয়। শেফালী ছায়া মূর্তির ধরতে ধরতে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। ছায়া মূর্তিটি ট্যাপ জোরে ছেঁড়ে দিয়ে ওয়াশ রুম থেকে বিরিয়ে যায়।
CUT
INT. – ওয়াশ রুম - সকাল
শফিক সাহেব ওয়াশ রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছেন। শেফালী লাশ টা ওয়াশ রুমের মেঝেতে সাদা হয়ে ফুলে উঠেছে।
ছামছু
(পিছন থেকে)
স্যার, খুনি বহুত সেয়ানা। ট্যাপের পানি ছাইড়া দিয়া গেছিলো। কোনো প্রমাণ পাওন যায় নাই।
 শফিক সাহেব সিগারেট ফেলতে গিয়ে ওয়াশ রুমের বাইরে জুতার ছাপ দেখতে পান দেখতে পান।
CUT
INT. – পুলিশ স্টেশন
শফিক সাহেব হোয়াইট বোর্ডে গত তিন সপ্তাহে খুন হওয়া ভিক্টিমদের নাম লিখে রেখেছেন। সেগুলোর দিকেই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। ছামছু রুমে প্রবেশ করে।
ছামছু
(খাম এগিয়ে দিয়ে)
আমাদের ফটোগ্রাফার মাত্র দিয়ে গেলেন।
শফিক সাহেব আলমারি থেকে আগের ছবি গুলোও বের করে নেড়েচেড়ে দেখছেন। দুইটি ছবি হাতে নিয়ে তিনি আচমকা থমকে গেলেন। ছবি দুইটিই জুতার ছাপ। একটি চেয়ারম্যান হত্যার সময় আর একটি শেফালী। যা দেখতে একই মতো। তিনি তিনটি খুনের সব গুলো ছবি বোর্ডে লাগিয়ে দেখতে লাগলেন। ছবির কমন এলিমেন্ট ও হত্যার সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো হোয়াইট বোর্ডে লিখতে শুরু করলেন। চেয়ারম্যানের নামের পাশে লিখলেন- দড়ি, জুতার ছাপ এবং মজনু মিয়া, চেয়ারম্যানের ছেলে, জয়ন্ত। মিজান মাস্টারের নামের পাশে লিখলেন- ঘণ্টা এবং শেফালী, কেয়ারটেকার। শেফালীর নামের পাশে লিখলেন- জুতার ছাপ এবং স্বামী। শফিক সাহেব চেয়ারে হেলান দিয়ে সিগারেট ধরালেন। ছবি গুলোর দিকে তাকিয়ে সিগারেট টানছেন। আচমকা টেবিলে কিল দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।
ফ্ল্যাশব্যাক- INT. - বিবিরগঞ্জ কলেজের প্রিন্সিপ্যালের ঘর
প্রিন্সিপ্যাল ও শফিক সাহেব চেয়ারে বসে আছেন।
শফিক
তোমার হাতে কি?
শেফালী
“নতুন বউ” সিনেমার পোস্টার
INT. – পুলিশ স্টেশন
শফিক চেয়ারম্যান হত্যার একটা ছবিতে যেখানে বুড়ো গাছের গায়ে লাগানো সিনেমার পোস্টার কুয়াশায় ভিজে অর্ধেক ঝুলে আছে সেখানে লাল কালি দিয়ে দাগ দিলেন। হোয়াইট বোর্ডে চেয়ারম্যানের পাশে লিখলেন- পোস্টার, সিনেমা (ভন্ড) এবং শেফালীর নামের পাশে লিখলেন- পোস্টার, সিনেমা (নতুন বউ)। 
শফিক
ছামছু? ছামছু?
ছামছু দৌড়ে রুমে প্রবেশ করে।
শফিক
চেয়ারম্যান যেদিন খুন হন সেদিন কি সিনেমা হলে কোনো সিনেমা চলেছে?
ছামছু
না স্যার। তয় তার আগের দিন আমি গেছিলাম “ভণ্ড” সিনেমা দেখতে। 
শফিক
সেদিন কি বার ছিলো?
ছামছু
শুক্রবার
শফিক
আর চেয়ারম্যানের লাশ পাওয়া যায় শনিবার। শেফালীর লাশ পাওয়া গেলো গতকাল শনিবার। শুক্রবার সিনেমা চলেছে “নতুন বউ”।
শফিক সাহেব বোর্ডে খুনের নামের পাশে বার গুলো লিখছেন।
ছামছু
হায় আল্লাহ! স্যার, মিজান মাস্টারের লাশও পাওয়া গেছিলো শনিবার।
শফিক
খোঁজ নাও তার আগের দিন কি সিনেমা হয়েছিলো আর স্পটের আশে পাশে কোনো পোস্টার ছিলো কি না?
INT. – রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল
মজনু মিয়া ক্যাশ কাউন্টারে বসে রেজিস্টার খাতায় হিসেব করছেন। শফিক সাহেব ক্যাশ কাউন্টারের সামনে এসে দাঁড়ালেন। পিছে পিছে ছামছু।
শফিক
কেমন আছেন মজনু মিয়া?
CUT
INT. – পুলিশ স্টেশন।
অন্ধকার ঘর। একটা ১০০ পাওয়ারের লাল বাল্ব জ্বলছে। চেয়ারে মজনু মিয়া বসে আছে। শফিক সাহেব টেবিলের উপরে পা তুলে বসে সিগারেট টানছেন। চেয়ার থেকে উঠে মজনুর গালে একটা সজোরে থাপ্পর মারলেন।
শফিক
চেয়ারম্যান কে কেন খুন করেছিস?
মজনু
আমি খুন করি নাই স্যার
শফিক
শেফালিকে কেন মারলি?
মজনু
আমি কিছু জানি না স্যার
শফিক
তাহলে তোর পায়ের জুতার সাথে এই দুইটা খুনের জুতার ছাপ মিলে যায় কিভাবে?
মজনু
স্যার, এগুলা জুতা তো হলের প্রজেকশন রুমে ছিলো। আমার জুতা ছিঁড়ে গেছে জন্য দুই দিন হলো এগুলা পড়তেছি।
শফিক
প্রজেকশন রুমের দায়িত্বে কে থাকে?
মজনু
জয়ন্ত
শফিক
ছামছু? জয়ন্তকে থানায় নিয়ে আয়।
মজনু
স্যার মজনু তো ৩দিন আগে ছুটি নিয়া শহরে গেছে।
শফিক সাহেব সজোরে আবার একটা থাপ্পড় হাকিয়ে সিগারেট ধরালেন। চেয়ার টেনে মজনু মিয়ার সামনে বসলেন। সিগারেট টা মজনু মিয়ার গায়ের পাশ দিয়ে নিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করলেন।
শফিক
জয়ন্তর বাড়ি কই? পরিবারে কে কে আছে? ঝেড়ে কাশ।
মজনু
(ঢেকুর গিলতে গিলতে)
জয়ন্তের মা ওর জন্মের সময়ই মইরা যায়। আর বাপ রণজিৎ কুমার আছিলো গরিব গোয়ালা। আমি একবার দুধ আনতে অগো পাড়ায় গেছিলাম।
CUT
EXT. - গ্রামের মসজিদের উঠান- রাত- ফ্লাশব্যাক
রণজিৎ হাতে মশাল নিয়ে মসজিদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের ভেতর থেকে চেয়ারম্যান ও ইমাম বেরিয়ে আসে। রণজিৎ উত্তেজিত হয়ে ইমামের দিকে তেড়ে আসে। চেয়ারম্যান রণজিৎ কে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু রণজিৎ চেয়ারম্যানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ইমাম কে মশাল দিয়ে আঘাত করে। ইমাম চিৎকার করে উঠে। মসজিদ ও আশপাশ থেকে লোক জড়ো হতে থাকে। রণজিৎ কে সকলে আটকায়। চেয়ারম্যান ও ইমাম কানাকানি করে। ইমাম চিৎকার করে উঠে।
ইমাম
এই মালাউনের বাচ্চা মসজিদে আগুন দিতে চাইছিল। বাধা দিতেই আমারে মারছে। চেয়ারম্যান সাব নিজেই তো দেখছেন। এখন আপনারাই বিচার করেন মিয়ারা।
গ্রামের সকলে রনজিতকে তার বাড়ির সামনে নিয়ে যায়। বাড়ির উঠনে ঘরের বারান্দার সাথে বেঁধে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় গ্রামবাসী। ১২ বছরের জয়ন্ত গাছের আড়াল থেকে সব দেখে আর কাপতে থাকে। মজনু মিয়া এমতবস্থায় জয়ন্তকে ওখান থেকে পালিয়ে নিয়ে যায়।
INT. – পুলিশ স্টেশন – রাত
শফিক সাহেব টেবিলে থাবা দিয়ে মাথার চুল টানছেন। ছামছু এক দৃষ্টিতে মজনু মিয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন। মজনু মিয়া মাথা নিচু করে হাপাচ্ছেন। তার ঠোঁটের কোণ বেঁয়ে রক্ত পড়ছে।
মজনু
পানি
ছামছু রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
শফিক
প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে জয়ন্ত চেয়ারম্যানকে খুন করতে পারে।
মজনু
জয়ন্ত শেফালীর মধ্যে ভাব আছিলো স্যার। মাঝে মধ্যেই সিনেমা হলে আইতো।
শফিক
ইংরেজি মাস্টার শেফালীকে উত্তক্ত করায় জয়ন্ত তাকে খুন করে থাকলে শেফালীকে কে এবং কেন খুন করলো?
পানি গ্লাস হাতে নিয়ে ছামছু রুমে প্রবেশ করে।
ছামছু
(পানির গ্লাস মজনুর দিকে এগিয়ে দিয়ে)
ওই মিয়া শুক্রবার ছাড়া তোমাগো হলে তো যাওইনই যায় না। খালি মাইয়া নাচ্চাইন্না ছবি দেহাও।
শফিক
কি বললে ছামছু?
ছামছু
থুক্কু স্যার ভুল হইছে।
শফিক(চমকে উঠে)
শুক্রবার! ছামছু গাড়ি বের করো। আর মজনু কেও সাথে নাও।
শফিক সাহেব টেবিলে রাখা সিগারেটের প্যাকেট টা তুলে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।
 CUT
INT. – চিলেকোঠা রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল- রাত
শফিক সাহেব মজনু মিয়ারকে দরজার দিকে ইশারা দিলেন।
মজনু
স্যার এই ঘরের চাবি জয়ন্তর লগেই থাকে।
শফিক সাহেব এবার ছামছুর দিকে ইশারা দিতেই ছামছু তার ঘাড়ের বন্দুক দিয়ে সজোরে দরাজার তালায় তিনবার আঘাত করলেন। তালা ভেঙ্গে একে একে শফিক সাহেব, ছামছু ও মজনু ঘরে প্রবেশ করেন। ঢুকেই তিনজনই তীব্র গন্ধে নাকে হাত দিলেন। ছামছু ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিয়ে ঘরের কোণায় খুঁজছে কিছু মরেছে কি না। শফিক সাহেব খাটের নিচে নিচু হতেই আবার সরে আসে। ছামছু খাটের নিচে নিচু হয়েই চিৎকার করে উঠে।
ছামছু
হায় আল্লাহ এইডা কি?
মজনু
এইডা তো জয়ন্তর বিলাই টা। কিডা মাইরা ফেলাইছে।
ছামছু মরা বিড়াল টা কাপড় দিয়ে ধরে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। শফিক সাহেব ঘুরে ঘুরে ঘরটা দেখতে থাকে। ট্রাংক পাশে লাইলনের দড়ি দেখতে পান।
শফিক
তা “হলে” শুক্রবার ছাড়া কি ছবি চালাও মজনু।
মজনু
(হাত কচলাতে কচলাতে)
না মানে স্যার। আজকাল মানুষ নাচ গান ছাড়া ছবি দেখবার চায় না। তাই একটু...
শফিক
তাহলে শুক্রবারে যে ভালো ছবি চালাও তখন মানুষ হয়?
শফিক সাহেব ছামছু কে ঘরের কোণে রাখা ট্রাংকের দিকে ইশারা করলেন।
মজনু
ওই স্যার লোক তেমন না হইলেও জয়ন্তই এই দিন হলে বইসাই দেহে।
ছামছু ট্রাংক খুলতেই শফিক সাহেব কিছু পোস্টার দেখতে পান। শফিক সাহেব পোস্টার গুলো উল্টে পাল্টে দেখছেন।
শফিক
লালসালু সিনেমার পোস্টার!
শফিক সাহেব ঘরের দেয়ালে লাগানো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরালেন।
শফিক(V.O)
‘চেয়ারম্যান-ভন্ড’; ইংরেজি মাস্তার-‘ছুটির ঘণ্টা’; শেফালী- ‘নতুন বউ’; লালসালু- ‘ইমাম’ নয়তো?
শফিক সাহেব সিগারেট টা আয়নায় নেভালেন।
শফিক(মজনুর দিকে তাকিয়ে)
যে ইমামের কারণের জয়ন্তদের বাড়ি পুরিয়ে দেয়া হয় সেই ইমামের বাড়ি এখান থেকে কত দূরে?
মজনু
পাশের গ্রামেই। এক ঘণ্টার পথ।
CUT
INT. – পুলিশ স্টেশন – রাত
শফিক সাহেব টেবিলে থাবা দিয়ে মাথার চুল টানছেন। ছামছু এক দৃষ্টিতে মজনু মিয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন। মজনু মিয়া মাথা নিচু করে হাপাচ্ছেন। তার ঠোঁটের কোণ বেঁয়ে রক্ত পড়ছে।
মজনু
পানি
ছামছু রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
শফিক
প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে জয়ন্ত চেয়ারম্যানকে খুন করতে পারে। কিন্তু এখন অবধি শক্ত কোনো প্রমাণ আমাদের হাতে নেই।
মজনু
জয়ন্ত শেফালীর মধ্যে ভাব আছিলো স্যার। মাঝে মধ্যেই সিনেমা হলে আইতো।
শফিক
ইংরেজি মাস্টার শেফালীকে উত্তক্ত করায় জয়ন্ত তাকে খুন করে থাকলে শেফালীকে কে এবং কেন খুন করলো?
পানি গ্লাস হাতে নিয়ে ছামছু রুমে প্রবেশ করে।
ছামছু
(পানির গ্লাস মজনুর দিকে এগিয়ে দিয়ে)
ওই মিয়া শুক্রবার ছাড়া তোমাগো হলে তো যাওইনই যায় না। খালি মাইয়া নাচ্চাইন্না ছবি দেহাও।
শফিক(চমকে উঠে)
কি বললে ছামছু?
ছামছু
থুক্কু স্যার ভুল হইছে।
শফিক
শুক্রবার! ছামছু গাড়ি বের করো। আর মজনু কেও সাথে নাও।
শফিক সাহেব টেবিলে রাখা সিগারেটের প্যাকেট টা তুলে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।
 CUT
INT. – চিলেকোঠা রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল- রাত
শফিক সাহেব মজনু মিয়ারকে দরজার দিকে ইশারা দিলেন।
মজনু
স্যার এই ঘরের চাবি জয়ন্তর লগেই থাকে।
শফিক সাহেব এবার ছামছুর দিকে ইশারা দিতেই ছামছু তার ঘাড়ের বন্দুক দিয়ে সজোরে দরজার তালায় তিনবার আঘাত করলেন। তালা ভেঙ্গে একে একে শফিক সাহেব, ছামছু ও মজনু ঘরে প্রবেশ করেন। ঢুকেই তিনজনই তীব্র গন্ধে নাকে হাত দিলেন। ছামছু ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিয়ে ঘরের কোণায় খুঁজছে কিছু মরেছে কি না। শফিক সাহেব খাটের নিচে নিচু হতেই আবার সরে আসে। ছামছু খাটের নিচে নিচু হয়েই চিৎকার করে উঠে।
ছামছু
হায় আল্লাহ এইডা কি?
মজনু
এইডা তো জয়ন্তর বিলাই টা। কিডা মাইরা ফেলাইছে।
ছামছু মরা বিড়াল টা কাপড় দিয়ে ধরে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। শফিক সাহেব ঘুরে ঘুরে ঘরটা দেখতে থাকে। ট্রাংক পাশে লাইলনের দড়ি দেখতে পান।
শফিক
 লাইলন! (বিড়বিড় করে)। তা “হলে” শুক্রবার ছাড়া আর কি কি ছবি চালাও মজনু মিয়া।
মজনু
(হাত কচলাতে কচলাতে)
না মানে স্যার। আজকাল মানুষ নাচ গান ছাড়া ছবি দেখবার চায় না। তাই একটু...
শফিক
তাহলে শুক্রবারে যে ভালো ছবি চালাও তখন মানুষ দেখে?
শফিক সাহেব ছামছু কে ঘরের কোণে রাখা ট্রাংকের দিকে ইশারা করলেন।
মজনু
লোক তেমন না হইলেও জয়ন্তই এই দিন হলে বইসাই দেহে।
ছামছু ট্রাংক খুলতেই শফিক সাহেব কিছু পোস্টার দেখতে পান। শফিক সাহেব পোস্টার গুলো উল্টে পাল্টে দেখছেন।
শফিক
লালসালু সিনেমার পোস্টার!
শফিক সাহেব ঘরের দেয়ালে লাগানো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরালেন।
শফিক(V.O)
‘চেয়ারম্যান-ভন্ড’; ইংরেজি মাস্তার-‘ছুটির ঘণ্টা’; শেফালী- ‘নতুন বউ’; লালসালু- ‘ইমাম’ নয়তো?
শফিক সাহেব সিগারেট টা আয়নায় নেভালেন।
শফিক(মজনুর দিকে তাকিয়ে)
যে ইমামের কারণের জয়ন্তদের বাড়ি পুরিয়ে দেয়া হয় সেই ইমামের বাড়ি এখান থেকে কত দূরে?
মজনু
পাশের গ্রামেই। এক ঘণ্টার পথ।
CUT
INT. – ইমামের বাড়ি – রাত
শফিক সাহেব, ছামছু ও মজনু একে একে গাড়ি থেকে নামলেন। ছামছু বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিতেই একজন মহিলা দরজা খুলে দিলেন।
ছামছু
ইমাম সাহেব বাড়িতে আছেন?
মহিলা
উনি তো মসজিদে গেছেন।
শফিক
আপনি কে হন?
মহিলা
আমি উনার স্ত্রী
শফিক
উনি কি রাতে মসজিদেই থাকেন নাকি?
মহিলা
এখন তো বয়স হয়েছে তাই সব সময় রাতে থাকতে পারেন না। তয় মাঝে মঝে যান। কিন্তু আপনারা ক্যান আইছেন?
শফিক
তেমন কিছু না একটু কথা বলতাম। মসজিদ টা কোনদিকে।
মজনু
স্যার আমি চিনি চলেন।
CUT
EXT. – মসজিদের সামনে – রাত
শফিক সাহেব ও মজনু মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। ছামছু এগিয়ে গিয়ে ইমাম সাহেবকে জোরে ডাকলেন।
ছামছু
হুজুর? হুজুর?
দাড়ি টুপি পোড়া একজন লোক মসজিদের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন।
দাঁড়ি-টুপি পড়া লোক
হুজুর নাই
শফিক
(দাঁড়ি-টুপি পড়া লোকটার দিকে তাকিয়ে)
আপনি?
দাঁড়ি-টুপি পড়া লোক
আমি এই গ্রামেরই। ঐযে অইতা আমার ঘর (দূরে কোথাও একটা দেখিয়ে দিয়ে)।  ইমাম সাহেবের অনুপস্থিতে মসজিদ দেখাশুনা করি।
শফিক
ইমাম সাহেব আজকে কখন এসেছিলেন?
দাঁড়ি-টুপি পড়া লোক
(দাঁড়ি নাড়তে নাড়তে)
এশার নামাজ পর বাড়ি গেছেন। বলে গেছেন ফজরের সময় আসবেন।
CUT
EXT.-গাড়ি- রাত
শফিক সাহেব ড্রাইভারের পাশে সামনে সিটে বসে জানালা দিয়ে আনমনে তাকিয়ে আছেন। পিছনে মজনু ও ছামছু।
শফিক
আমি সামনেই নামবো। বাসায় যেতে হবে মাথাটা খুব ধরেছে। তুমি মজনুকে নিয়ে থানায় যাও।
CUT
INT. - শফিক সাহেবের বেড রুম – ভোর
শফিক সাহেব গভীর ঘুমে অচেতন। অনবরত ফোন বেজে চলেছে। ঘুমের মধ্যে হাতড়াতে হাতড়াতে ফোন তুললেন।
শফিক
(ঘুম ঘুম সুরে)
হ্যালো!
ছামছু(V.O)
স্যার, ইমাম খুন!
CUT
EXT. – মসজিদের সামনে – সকাল
মানুষজন জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শফিক সাহেব গাড়ি থেকে নামতেই ছামছু দৌড়ে গেলো।
শফিক
কে খবর দিয়েছে?
ছামছু
কালকের ওই দাঁড়ি- টুপি পড়া মানুষটা ভোরে আইসা কইলো ইমাম সাবের লাশ পাওয়া গেছে। উনার সাথে আইসা দেখি স্যার এই অবস্থা। (জটলার দিকে দেখিয়ে দিয়ে)
শফিক সাহেব ভিড় ঠেলে সামনে গেলেন। একটা বাঁশ ইমামের মলদ্বার দিয়ে ধুঁকিয়ে দাড় করে রাখা। উলঙ্গ ও জননাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। হাতের ও পায়ের রগ কাটা। জিহ্বা কেটে ফেলা হয়েছে। সেই রক্ত গড়িয়ে পুরো শরীরে পড়েছে। বুকে একটা কাগজ লাগানো আর তাতে রক্ত দিয়ে লেখা “ধর্ষকের কোনো ধর্ম নেই”
শফিক
লোকটা কোথায়? (ছামছুর দিকে তাকিয়ে)
ছামছু
এইখানেই তো আছিলো। এখনই তো আমারে এই কাগজ টা দিয়া কইলো আপনারে দিতে। ও ভাই মসজিদ দেখাশুনা করে দাঁড়ি-টুপি পড়া মানুষটা কই গেলো? (এক বৃদ্ধ লোকের দিকে তাকিয়ে)
বৃদ্ধ লোক
কি কও মিয়া এই মসজিদে ইমাম সাব ছাড়া তো কেউ তাকে না।
ছামছু শফিকে সাহেবের দিকে তাকিয়ে আছে। শফিক সাহেব চিরকুট খুলে পড়ছেন। চিরকুটে লেখা
“রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল- রাত ১২ টা।” 
INT. – রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল – রাত
মজনুর পিছে পিছে শফিক সাহেব ও ছামছু হলে প্রবেশ করতে পর্দায় একটা ভিডিও আরাম্ভ হয়ে গেলো। ভিডিওটিতে দাঁড়ি – টুপি পড়া লোকটি হাসছে। তার হাতে চাকু। আর তার পিছনে ইমাম সাহেব উপর হয়ে পড়ে আছে। তার হাত বাধা।
 CUT
INT. – মসজিদ – রাত – (FLASHBACK)
দাঁড়ি–টুপি পড়া লোকটি ইমামকে তুলে বসিয়ে দিয়েছে। ইমাম কাপছে। তার ঠোঁট বেঁয়ে রক্ত পড়ছে।
দাঁড়ি–টুপি পড়া লোক(জয়ন্ত)
চিনতে পারিস নাই? সেই জয়ন্ত। রণজিৎ গোয়ালার ছেলে জয়ন্ত(হাসতে হাসতে)
ইমাম
জয়ন্ত! আমারে বাইন্ধা রাখছো ক্যান বাপ। আমি তোমার বাপের বয়সি।
জয়ন্ত
(হাসতে হাসতে)
সেদিন আমিও তোর ছেলের সমান ছিলাম। সেদিন তুই নরমাংসের ক্ষুধায় বিভোর ছিলি। (চাকু ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে)
ইমাম
মানুষ মারা মহাপাপ বাপ। আমারে ছাইড়া দাও।
জয়ন্ত
(নিজের মুখ দেখিয়ে দিয়ে)
এই মুখে কাপড় ঢুকে দিয়েছিলি যাতে চিৎকার করতে না পা���ি।
বলতে বলতে ইমামের জিহ্বা কেটে দেয় জয়ন্ত। ইমাম গোঙাতে থাকে। মুখ বেঁয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকে।
জয়ন্ত
এই হাত পা গামছা দিয়ে বেঁধে রেখেছিলি যাতে আমি নড়তে না পারি। (হাত পা দেখিয়ে দিয়ে)
বলতে বলতে ইমামের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় জয়ন্ত। ইমাম লুটিয়ে পড়ে। জয়ন্ত গুন গুন করে গান গাইতে থাকে।
জয়ন্ত
“সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবই দেখি তা না না না
জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা!”
ইমামকে টানতে টানতে মসজিদের বাইরে নিয়ে যায় জয়ন্ত। ইমামের পাঞ্জাবি পায়জামা খুলে ফেলে।
জয়ন্ত
যৌন ক্ষুধা মেটানোর তাড়নায় ছেলের বয়সি আমাকেও ছাড়িস নাই তুই। আমার বাবা যখন বিচার চাইতে এসেছিলো তোরা ধর্মের দোহাই দিয়ে তাকেও পুড়িয়ে মেরেছিস। তোদের মতো পশুর কারণে মানুষ ধর্মে প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। তোর এই পৃথিবীতে বাঁচার অধিকার নেই।
বলতে বলতে ইমামের জননাঙ্গ কেটে ফেলে জয়ন্ত। ইমাম গোঙাতে থাকে।
INT. – রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল – রাত
ভিডিও শেষ হয়ে যায়। পুরো হল রুম নিস্তব্ধ ও নীরব। শফিক সাহেব একটা সিগারেট জ্বালালেন। মজনু মিয়া মেঝেতে বসে কাঁদছেন। ছামছু চোখ মুছছেন।
CUT
EXT. – নদীর পাড় – ভোর
জয়ন্ত নদীর পারে দাঁড়িয়ে আছে। পাশে পায়ের কাছে দাঁড়ি টুপি পড়ে আছে।
CUT
INT. – অগোছালো ঘর – সকাল (FLASHBACK)
একজন ১২ বছরের ছেলের হাত পা গামছা দিয়ে বাধা। মুখে কাঁপড় ধুঁকিয়ে দেয়া। একটা মধ্যবয়স্ক হাত ছেলেটির প্যান্ট খুলে ফেলে। ছেলেটি গোঙ্গাতে থাকে। তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। 
CUT
INT. – মাদ্রাসার সামনের রাস্তা- দিন
একটি ১২/১৩ বছরের ছেলে মাদ্রাসা থেকে দৌড়ে বেরিয়ে রাস্তা পাড় হয়। রাস্তার এপাশে একজন ঝাল মুড়ি বানাচ্ছেন। ছেলেটি ঝালমুড়ি কিনে কিনে খাচ্ছে। মাদ্রাসার বারান্দা থেকে এক হুজুর দেখে ছেলেটিকে চিৎকার করে ডাকছেন।
হুজুর
এই রহমত
ছেলেটি ঝাল মুড়ির ঠোঙা ফেলে দিয়ে দৌড়ে মাদ্রাসায় ঢুকে যায়। রাস্তায় ঠোঙ্গাটি পড়ে থাকে। তার গায়ে লেখা থাক “ঢাকায় ছাত্র বলাৎকার, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার।”
CUT
My part of Climax-
“রাজলক্ষ্মী সিনেমা হল”
“ACT-3”
INT.- ইমামের কাছারি ঘর, সন্ধ্যা, ফ্ল্যাশব্যাক
ছোট্ট জয়ন্ত ইমামকে দুধ দেবার জন্য দুধের বালতি সমেত ইমামের ঘরে ঢুকে দ্রুততার সাথে দুধের পাতিল নিয়ে, পাতিলে দুধ ঢালতে থাকে। এদিকে ইমাম খাটে শুয়ে তার যৌনাঙ্গে হাত বুলাচ্ছেন। আর নাদুস-নুদুস জয়ন্তের দিকে কামের লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন। জয়ন্ত কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে দুধ দ্রুত ঢালতে গেলে, পাতিল পড়ে অনেকটা দুধ পড়ে যায়। রেগেমেগে ইমাম খাট থেকে উঠে জয়ন্তের কাছে আসতে আসতেই আবার মুহূর্তেই অন্যরুপ ধারণ করে। খুবই নম্রতার সাথে জয়ন্তকে ওখান থেকে উঠিয়ে হাত থেকে পাতিল নিয়ে সরিয়ে রাখে। জয়ন্তকে সরিয়ে খাটে বসায়। তারপর দরজা বন্ধ করে দেয়।
 CUT                  
EXT.- ইমামের কাছারি ঘরের বাইরে উঠান, সন্ধ্যা, ফ্ল্যাশব্যাক
দরজার নিচ দিয়ে ঘরের ভেতর থেকে দুধ বাইরে গড়িয়ে পড়ছে, ঘরের ভেতর থেকে জয়ন্তের গোঙানির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
CUT
INT.- ইমারের কাছারি ঘর, রাত, ফ্ল্যাশব্যাক
ইমাম ও জয়ন্ত দাঁড়িয়ে । ইমাম লুংগি পরা ও জয়ন্ত উলঙ্গ অবস্থায় । জয়ন্তকে হাত, বেত দিয়ে প্রচুর মারছে ইমাম আর বারবার বলতে থাকে ।
ইমাম
কাউরে কইবি না, বল, বল কইতাছি
জয়ন্ত ভয়ে কাদছে, কোন কথা বলেনা । ইমাম রেগেমেগে টেবিল ক্লথের নিচ থেকে ব্লেড বের করে জয়ন্তের হাতে ছোট একটা পোচ দিতে দিতে
ইমাম
কইলে, পরের পোচডা তোর গলাতেই মারুম।
মারধর আর ভয় দেখিয়ে ইমাম জয়ন্তকে ছেড়ে দেয়। জয়ন্ত দুধের বালতি নিয়ে ভয়ার্ত মুখে কাদতে কাদতে বাড়ির পথে রওনা দেয়।
CUT
EXT.- জয়ন্তের বাড়ির উঠান, রাত, ফ্ল্যাশব্যাক
উঠানের বারান্দায় জয়ন্তের বাবা হেলান দিয়ে বসে আছে। চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। হঠাৎই জয়ন্তের গলা শুনে হকচকিয়ে ওঠেন তিনি।
জয়ন্ত
বাবাআ আ আ আ আ আ.....
অন্ধাকারে চিৎকার দিয়ে উঠানের আলোতে আসতে আসতেই জয়ন্ত অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়, হাতের খালি বালতি ছুটে গড়িয়ে পড়ে উঠানে। জয়ন্তের বাবাও ভয়ে চিৎকার করে বলে
জয়ন্তের বাবা
জয়ন্তওওও৷  বাবা, কি হইছে তোর
বলতে বলতে দ্রুত কোলে করে উঠিয়ে ঘরে নিয়ে যেতে থাকে।
CUT
INT.- জয়ন্তদের ঘর,  রাত, ফ্ল্যাশব্যাক
জয়ন্তের বাবা জয়ন্তকে খাটে শুইয়ে দিয়ে পাগলের মতো ঘরে ছোটাছুটি করতে থাকলেন, কি করবেন না করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। নিজেকে সামলে পানি নিতে ঘরের কোণে রাখা কলসির দিকে গেলেন। কলসি থেকে গ্লাসে পানি নিতে গিয়ে অনেকটা পানি ফেলে দিলেন তিনি, সেদিকে কোন খেয়াল নাই। দ্রুত পানি নিয়ে জয়ন্তের চোখে মুখে ছিটাতে লাগলেন। জয়ন্তকে ধরে ঝাকিয়ে, মুখে থাপ্পড় মেরে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। হঠাৎই জয়ন্ত চোখ মেলে তাকায়।
জয়ন্তের বাবা
ভয় পাইছোস?
জয়ন্তের চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি ঝরতে লাগলো। কথা বলার শক্তি পাচ্ছে না সে৷ এতোক্ষণে জয়ন্তের বাবা খেয়াল করলো ছেলের পুরো শরীরে বেতের মারের দাগ, হাতের কাটা যায়গা থেকে রক্ত বেরোচ্ছে, প্যান্ট হালকা রক্তে ভেজা । এতো বিভৎস অবস্থা দেখে জয়ন্তের বাবা ভয়ে ক্রোধে ফুসতে ফুসতে,
জয়ন্তের বাবা
কে?
রক্তাক্ত প্যান্ট খোলার ইশারা দিতে দিতে,
জয়ন্ত
ইইইমাআ ম..
CUT
EXT. গ্রামের রাস্তা, দিন
জয়ন্ত হেটে চলেছে । কাঁধে কালো ব্যাগ । আশেপাশে গ্রামের মাঠ, ঘাট, রাস্তা, মানুষ, গরু, ছাগল, ধানক্ষেত মুগ্ধ চোখে দেখছে । রাস্তা থেকে নেমে ক্ষেতের আইল দিয়ে হেটে হেটে তাদের ভিটাবাড়িতে গিয়ে ওঠে। সবকিছুই আগের মতোই আছে। উঠানে তিনটা বাচ্চা খেলা করছে । বারান্দায় এক ৬০ বছরের বৃদ্ধ বসে আছেন, ছেলেমেয়েদের(নাতি-নাতনি) খেলা দেখছেন। জয়ন্তের চিনতে ভুল হলো না, উনি হারু কাকা । তাদের দু বাড়ি পরে এক ভাংগা বাড়িতে থাকতেন ওনারা । জয়ন্ত কারোদিকে আর না তাকিয়ে, কারো সাথে কথা না বলে হনহনিয়ে ঘরে ঢুকে গেল ।
INT.- জয়ন্তদের ঘর, দিন
ঘরে ঢুকে খুটিয়ে খুটিয়ে সব দেখতে লাগলো, কোনকিছুই আর আগের মতো নেই, সব পালটে গেছে । শুধু ঘরের খাটটা আর ওর মায়ের আয়নাটা( ড্রেসিং টেবিল) পড়ে আছে, অর্ধেক ঘূণেই খেয়ে শেষ করেছে ।
হারু কাকা
কে ? কি চাই?
ওওওওও জয়ন্তওও (ভালো করে খেয়াল করে)
জয়ন্ত কিছুটা রেগে হারু কাকার দিকে তাকিয়ে, এদিকে খেয়াল না দিয়ে আবার আয়নায় তাকিয়ে তার ছোটবেলা দেখার চেষ্টা করছে । হারু কাকা ভয়ে আর কিছু বলেনা । কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে জয়ন্ত, চোখ দুটো ছলছল করে ওঠে ওর। দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসে। ছুটে কলতলায় যায়। হারু কাকাও পিছন পিছন যায় । কলতলায় গিয়ে কল চেপে অনেকখানি জল খায়। যেন সে অনেকদিনপর জল খেলো। জল খেয়ে বাড়ির গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো। হঠাত যেন তার সম্বিত ফিরলো, তড়িঘড়ি করে হাতের ঘড়ীর দিকে তাকালো, কোনদিকে না তাকিয়ে জয়ন্ত দ্রুত সেখান থেকে প্রস্থান করলো।
EXT.- মসজিদের পথে, দুপুর
জয়ন্ত একবার আশেপাশে তাকাচ্ছে, একবার হাতের ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে আর দ্রুতবেগে মসজিদের দিকে ছুটে যাচ্ছে। মসজিদটি পাকা, উত্তর দক্ষিণে দুইটা-দুইটা, মোট চারটা গ্রীল দেওয়া জানালা। পূর্বে বড় ক্লপসিবল গেট। ভেতরে প্রায় ১০০ মুসল্লি নামাজ পড়ছে।  জয়ন্ত আশেপাশে আরেকবার তাকিয়ে সময় দেখলো এবং ভেতর ঢুকে গেল। ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে সে ব্যাগ থেকে তালা বের করে  মসজিদের ক্লপসিবল গেট আঁটকে তালা লাগিয়ে দিলো।
INT.- মসজিদের ভেতর, দিন
জুম্মার নামাজ চলছে তখন। প্রথম রাকাতের সিজদাহ থেকে উঠছে মুসল্লিরা। জয়ন্ত এক এক করে পাশ কাটিয়ে ঠেলে সরাতে সরাতে সামনের দিকে যেতে থাকে৷ মুসল্লিদেরও ওকে নামাজ রেখে থামানোর উপায় নেই। অস্বস্তি বোধ করে আবার নামাজে ফিরে যায় মুসল্লিরা । দ্বিতীয় রাকাতের  দুই সিজদাহ শেষে মাথা তুলেছে  সবাই।জয়ন্ত একেবারে ইমামের সামনে চলে গেল, ইমামের সামনে গিয়ে বসে পড়লো। ইমাম হুট করে ভয়ে চমকে উঠলো৷ কিন্তু কথা বলার জো নেই৷ ইমাম জয়ন্তকে চেনার চেষ্টা করছে। জয়ন্ত রক্তিম চোখে তাকিয়ে আছে ইমামের চোখে। ইমাম ভয়ে সালাম ফেরানোর কথাই ভুলে গেছে৷ লোকটাকে চেনা জানার কোন চেষ্টাই করলো না ইমাম৷ তবে তার কাছে সে যে ভয়ংকর দোষী এটা তার চোখে স্পষ্ট। জয়ন্ত হাতের দিকে তাকালো একবার। কাধ থেকে ব্যাগ খুলে সামনে রাখলো৷ মুখোমুখি ইমাম জয়ন্ত মাঝখানে ব্যাগটা। বুকপকেটে রাখা রিমোটটা  হাতে নিলো। আবহাওয়া খারাপ ভেবে ইমামের পেছনের লোকজন সব ছোটাছুটি শুরু করলো, কিন্তু বের হবার উপায় নেই। জয়ন্তের ওদিকে নজর নেই, ওর নজর শুধু ইমামের চোখে আটকে আছে। ইমামের শরীর যেন অসাড় হয়ে গেছে শুধু চোখদুটো ছোটাছুটি করছে, সে এতোক্ষণে হয়তো চিনতে পেরেছে । ইমাম নীরাবতা ভেঙে কিছু একটা বলতে যাবে, তার কথা বলার আগে শরীর নড়ার সাথে সাথেই জয়ন্ত রিমোট চেপে দিলো; মুখে ছিলো তার, তাচ্ছিল্যের মৃদু হাসি।
Learning and outcomes (Self-reflection)
Learned how to write a film script
Learned how to build up the characters.
Learned How to write a story, bedsheet, logline and synopsis.
Learned the act of films.
0 notes
jabed92 · 2 years
Text
0 notes
wing-news · 3 years
Text
এগজিট পোল কে নতিজং এ জয়ন্ত চৌধুরীর বিবৃতি, সর্বে উত্থান প্রশ্ন
এগজিট পোল কে নতিজং এ জয়ন্ত চৌধুরীর বিবৃতি, সর্বে উত্থান প্রশ্ন
View On WordPress
0 notes
asombarta · 3 years
Text
যোৰহাটত সামাজিক অনুষ্ঠান দ্যা ইভেণ্টৰ ব্যতিক্ৰমী পদক্ষেপ
যোৰহাটত সামাজিক অনুষ্ঠান দ্যা ইভেণ্টৰ ব্যতিক্ৰমী পদক্ষেপ
আজি সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘দ্যা ইভেন্ট’ৰ উদ্যোগত বিশিষ্ট সংগীত বোলছবি পৰিচালক জয়ন্ত নাথ, বলীউডৰ বিশিষ্ট শব্দযন্ত্ৰী অমৃত প্ৰীতম দত্ত , অগ্ৰণী খেতিয়ক প্ৰিয়ম বৰা, ধৰ্ম প্ৰাণ মহিলা মীৰা পাঠকৰ লগতে বিশিষ্ট লেখক সাংবাদিক শাংকৱ কৌশিক বৰুৱাদেৱৰ যোৰহাটস্থিত‌ বাসগৃহত ক্ৰমে গীতিকাৰ নুৰুল হকদেৱ ,নগেন বৰা, মুক্তি যোদ্ধা দেৱ প্ৰসাদ দত্তদেৱ সোঁৱৰণত আৰু মিত ভাষৰ শ্ৰেষ্ঠ বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডক্টৰ নগেন…
Tumblr media
View On WordPress
1 note · View note
khabarsamay · 2 years
Link
0 notes
24x7newsbengal · 10 months
Link
0 notes
kobitautsov-blog · 1 year
Text
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
কথাকলি : শীত শীতের করাত মোলায়েম টেনে যায় দাঁড় লালমাটি পাশ ফেরে মেঘের চাতক পাখিরাও ভুলে যায় ভোরের আজান অতরল জেগে আছে শীতঘুমগাছ তোমরা কি জেগে আছো শব্দমজুর? অক্ষরে গাঁথো পদ কোন বিরহীর? পাথরের মধু নেবে বিরহধূসর তবে তুমি রাঢ়ের কবি রুক্ষমাটি তোমার প্রেম চড়াই-ঢালুর নামতা বলে পেরিয়ে যাও বিধবা নালার শোক ছাতাবট জড়ানো রোদে বাগালের বাঁশি এরা সব অণুকৃষ্ণের ক্ষয়িষ্ণু প্রজাতি প্রায় আবরণহীন দেহজ আগুনে যারা লেখে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
topnews24online · 2 years
Text
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নিলেন
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নিলেন
টপ নিউজ ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে তাকে প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়া শপথবাক্য পাঠ করান । এর আগে বুধবার পার্লামেন্টে ভোটের পর রনিল বিক্রমাসিংহে নির্বাচিত হন গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতি । ১৩৪ ভোট পেয়েছেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলাহাপেরুমা ৮২ ভোট পেয়েছেন এবং অনুরা কুমার ৩ ভোট পেয়েছেন । পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
wing-news · 3 years
Text
ভারতীয়দের রিটার্নের অর্থ 'অপারেশন গঙ্গা' নাম কেন? জয়ন্ত চৌধুরী বলে তার পেছনের কারণ
ভারতীয়দের রিটার্নের অর্থ ‘অপারেশন গঙ্গা’ নাম কেন? জয়ন্ত চৌধুরী বলে তার পেছনের কারণ
জাতীয় লোক দল (আরএলডি) সভাপতি জয় চৌধুরী কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (ভাজপা) (ভাজপা) যুদ্ধাপরাধী ইউক্রেনে ফাঁসে ভারতীয়দের নিষ্পত্তির জন্য শক্তির উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য রাজনৈতিক দল বৃহস্পতি কোল লাগিয়া। জয়ন্ত নে জে সমাজবাদী (সমাজবাদী পার্টি) নীত আলোচনায় এক যৌথ রালিকে সংবোধিত বলেছে যে প্রায় তিন দশক আগেও অনেক সংখ্যায় কুওয়াইত ফাঁসে ভারতীয়রা ফিরে এল, কিন্তু সে কোন এক…
View On WordPress
0 notes
paathok · 3 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/149280
নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে: মির্জা ফখরুল
.
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। আমরা আগেই বলেছি, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। আমাদের মাথা ব্যাথা একটি বিষয়ে সেটা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকারটা কার হবে।’
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনকালীন যদি আওয়ামী লীগ সরকারে থাকে তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে নির্বাচন হবে না। কারণ তারা একই কায়দায় নির্বাচন করার চেষ্টা করবে, আর আমরা বসে বসে দেখব। আমরা সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নয়, সার্চ কমিটি নয়, আমাদের একমাত্র দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ফখরুল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের দাবি ছিল, আমরা বাধা দিয়েছিলাম। পরে আমরা সেটা মেনে নিয়েছিলাম যেটা জনগণের একটা আকাঙ্ক্ষা। খালেদা জিয়া কখনই জনগণের বিরুদ্ধে যায়নি তাই এটাকে মেনে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে তিনি সংবিধানে সম্পৃক্ত করেছিলেন। যার অধীনে পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, একটা প্রশ্ন কেউ করেনি। কিন্তু যখন তারা ক্ষমতায় এসে দেখল যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকে তাহলে কিছুতেই ক্ষমতায় যেতে পারবে না, জনগণ তাদের ভোট দিবে না তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার যারা সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে এবং একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন তাদের পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি সত্যিকারের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এমন একটি পার্লামেন্ট সরকার গঠন করা। অথচ আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেখেছি, তারা এই ব্যবস্থাটা ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের একমাত্র কাজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবার জন্য যিনি সারা জীবন লড়াই করছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তাকে মুক্ত করার জন্য, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এতগুলো চ্যানেল নিয়ে সাংবাদিক ভাইরা এখানে আছেন বিশ্বাস করেন, তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। কিছু করতে পারবে না, কিছু লিখতে পারবে না, জিজ্ঞাসা করলে বলেন প্রচণ্ড চাপ আছে। কারণ এই হাউসগুলোর যারা মালিক তারা সবাই সরকারের সুবিধাভোগী।
এছাড়াও আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু প্রমুখ।
0 notes