#গ্যাস্ট্রিক এর সমাধান
Explore tagged Tumblr posts
Text
পেট ফাঁপা দূর করতে ১৬টি খাবারের সাহায্য!
পেট ফাঁপা দূর করতে ১৬টি খাবারের সাহায্য!
পেট ফাঁপা আমাদের খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে খাদ্য তালিকা উনিশ থেকে বিশ হলেই আমরা গ্যাসের অস্থিরতায় ভুগতে থাকি। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে এবং হজমে সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় যার কারণেই পেট ফেঁপে থাকে। কখনো কখনো এর সঙ্গে পেটে ব্যথাও থাকতে পারে। এই সমস্যার নিরাময়ে ওষুধ না খেয়ে শুরুতে ঘরোয়া কিছু সমাধান গ্রহণ করাই ভালো। আসুন জেনে নেই কী কী উপায়ে পেট ফাঁপা থেকে…

View On WordPress
0 notes
Text
কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো, কলা একটি মিষ্টি ফল , কলাতে মিষ্টি থাকলেও শরীরের সুগার বানায় না ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন , কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম পাওয়া যায় , পটাশিয়াম মূলত আমাদের শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে
তাই যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত একটি করে কলা খান
শরীর দুর্বলতা থাকলে কি খাবেন
আপনার যদি শরীর দুর্বলতা থাকে তাহলে প্রতিদিন একটি করে কলা খান দেখবেন শরীরের দুর্বলতা কমে গেছে এবং আপনি প্রচুর পরিমাণ এনার্জি পাবেন
কলা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে
কারণ কলাতে রয়েছে ফাইবার এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে
আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে কলা খেতে পারেন
কলাতে পটাশিয়াম এর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম দেহের হারকে অনেক মজবুত করে
কলা খাওয়ার উপকারিতা
তাই আপনার হারকে মজবুত করতে কলা খান
এতক্ষণ আমরা কলার ওপকারিতা সম্পর্কে জানলাম
এখন আমরা কলাগাছের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানব
কলা গাছের উপকারিতা
নিয়মিত ��লার থর খেলে যারা এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভোগেন তাদের এই সমস্যার সমাধান পাবেন
এর পাশাপাশি চর্বি নিঃসরণ পেটে ব্যথা
পেট জ্বালাপোড়া করা করলে কলার থোর খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়
কলাপাতার উপকারিতা
কলাপাতা হজম শক্তি বাড়ায় , যাদের হজম শক্তি একদম দুর্বল তারা কলা পাতার রস বেটে খেতে পারেন এতে করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে , এর পাশাপাশি চর্মরোগ রক্তস্বল্পতা আমাশা কলাপাতা রস যাদুর মত কাজ করে
কলার মোচার উপকারিতা
কলার মোচা দেহ গঠনের কাজে সাহায্য করে , কারণ কলার মোচায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন এটি দেহ গঠনের কাজে সাহায্য করে।
কলার কাণ্ডের উপকারিতা
কলার কান্ডে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন B6 এবং পটাসিয়াম আছে, ভিটামিন B6 এবং পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কলার অপকারিতা
আমরা এতক্ষণ কলার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম তবে কলাতে অপকারিতা বেশি একটা নেই তারপরও বলে রাখি যে কলা খালি পেটে খাবেন না অন্য কিছু খাওয়ার পরে কলা খাবেন!
0 notes
Text
কিভাবে সুস্থ থাকবেন এবং জীবনকে উপভোেগ করবেন তার কিছু ঘরােয়া টিপস | How to stay healthy and enjoy life
নমস্কার দর্শক বন্ধুরা Bangla Health Solution ওয়েবসাইটে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে সুস্থ থাকবেন এবং জীবনকে উপভোেগ করবেন তার কিছু ঘরােয়া টিপস
how to stay healthy and enjoy life
healthy living
১। শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে ভােরে ওঠার অভ্যাস করুন। বেরিয়ে পড়ুন খােলা আকাশের নিচে, প্রকৃতির কাছাকাছি। ভােরের মনােরম বাতাসে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও হয়ে উঠবে তরতাজা।
২। ছাদে বা খােলা মাঠে দাঁড়িয়ে যতদূর দৃষ্টি যায় ততদূর একদৃষ্টে ৩/৪ মিনিট তাকিয়ে থাকুন। | সবুজ মাঠ বা সবুজ গাছের দিকে তাকিয়ে থাকুন। চোখ ভাল থাকবে। ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমােত যাবার পূর্বে পরিষ্কার ঠান্ডা পানির ঝাপটা দেবেন এতে করে চোখের দৃষ্টি ঠিক থাকবে এবং চোখ দুটিও উজ্জ্বল থাকবে। প্রতিদিন গােসলের পূর্বে পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখে তেল দিন। এতে দৃষ্টি উজ্জ্বল হবে।
৩। ভােরে প্রাতঃভ্রমণে বেরােনাের পূর্বে ভেজানাে কাঁচা ছােলা খেলে হৃদরােগ এবং উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা এড়ানাে যায়।
৪। আটার ভূষিতে অল্প আটা মিশিয়ে চাপাটি তৈরি করে প্রতিদিন একটি করে খান এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। এভাবে এই চাপাটি ভেঁড়স কিংবা পেপে সেদ্ধ দিয়ে অন্ততপক্ষে ১৫ দিন খেলে তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হবে।
৫। সকালে অন্তত একদিন খালিপেটে ত্রিফলা (আমলকি, হরিতকি, বহেড়া), চিরতা অথবা নিম গাছের ছাল ভেজানাে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে লিভার ভাল থাকবে।
৬। ভােরে ঘুম থেকে জেগে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করলে ভেতরের সব গ্লানি দূর হয়ে যাবে। ভাত খাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা ��রে পানি পান করবেন। পানি পান করার সময় ঢক ঢক করে পান না করে আস্তে আস্তে পান করুন।
৭। বৃদি কোনও কারণে হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তবে আয়নার সামনে পাড়িয়ে নিজের রাগ রাগ চেহারার দিকে মিনিট খানেক তাকিয়ে থাকুন এতে করে উত্তেজনা কমে যাবে।
৮। মাসে একদিন হালকা শাক সবৃজি, ফলের রস কিংবা বাড়িতে পাতা দই এর খােল খেলে শরীর ঝরঝরে থাকবে। সেদিন কোনও রকম ভারী খাবার (ভাত/রুটি) খাবেন না। এছাড়া যদি সপ্তাহে একদিন নিরামিষ খাবার, পর্যাপ্ত ফল এবং টক দই খেতে পারেন তবে সুস্বাস্থ্য অর্জন করতে পারবেন। সেই সাথে শরীর থেকে অবাঞ্চিত মেদও ঝরে যাবে।
৯। মলমূত্র ত্যাগ করার সময় দাঁতে দাঁত চেপে রাখলে দাঁত মজবুত হয়। এছাড়া পাঁত ব্রাশ করার পরে আঙ্গুল দিয়ে মাড়ি মসেজ করলেও দাঁত ঝকঝকে থাকে।
১০। শীতের শেষে বাজারে প্রচুর পরিমাণে কাচা আমলকি পাবেন, তখন প্রতিদিন একটি করে কাঁচা আমলকি খাবেন। চা আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি' থাকে যা চোখ, চুল ও পাতকে ভাল রাখবে, পেটের গ্যাসকে সারিয়ে তুলে ত্বকে আনিবে এক উজ্জ্বল।
১১। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর বাসনে বসে চুল আঁচড়ান। এতে করে চুল পড়া রােধ হবে এবং চুল সহজে পাবে না।
১২। ভাত খাওয়ার পূর্বে প্রতিদিন কিছু রসুন খাবেন। এতে করে বাত হবেএবং চুলও পড়বে না।'
রােগ নিরাময়ে শরীর চর্চা
শরীরের স্বাভাবিক সৌন্দর্য আপনাকে যে মর্যাদা দান করবে, ভাল পােষাৰ কখনও তা পারবে না। সুন্দর কোনও বন্য প্রাণীর পােষাকের দরকার পড়ে না তবুও ওরা সুন্দর। এবং এটিই তাদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য। বছর দশেক পূর্বেও আমরা দৈহিক সৌন্দর্য নিয়ে ততটা সচেতন ছিলাম না, আজ হয়েছি। আপে আমরা নাক, চোখ এবং মুখ নিয়েই শুধু মাথা ঘামাতাম । আজ টিকলাে নাকের চাইতেও মানুষকে সুন্দর করে তার সুন্দর শরীর । পাতলা ঠোটের চেয়েও মানুষকে সুন্দর করে তােলে তার চটপটে দ্রুত হাঁটাচলা । | আমাদের শরীর অনেকটা ব্যাংকের মতো। ব্যাংকে যদি আমরা টাকা জমিয়েই রাৰি কিন্তু খরচ না করি, তবে বছর শেষে সুদে আসলে দ্বিগুণ হবে। ঠিক সেরকম ভাবে আমরা যদি কায়িক পরিশ্রম না করে শুধু খেয়েই যাই তবে শরীরে বাড়তি মেদ জমে যাবে।
মেদ কেন জমে ?
আমি মনে করি মেদ জমার প্রধান কারণ আলস্য ও নিষ্ক্রিয়তা। প্রতি দু'বছর অন্তর আমাদের শরীরের মেটাবলিক রেট কমতে থাকে। তাই আমরা ২০ বছর বয়সে যে খাবার খাই ২৬ বছর বয়সেও যদি সে খাবার খ���য়ে থাকি তখনই আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যাবে।
মেদ মা কি কোনও ধরনের অসুস্থতা ? মেদ জমা তখনই অসুস্থতায় রূপ নেৰে যখন পুরুষদের দেহের ওজন তার স্বাভাবিক ওজনের চাইতে ২০ শতাংশ বেশি হবে এবং মেয়েদের ২৫ শতাংশ বেশি হবে।
শরীরের মেদ বৃদ্ধিতে করণীয় মেদ বৃদ্ধি পেলে আপনাকে খাদ্যের পরিমাণ কমাতে হবে নতুবা কায়িক পরিশ্রম বাড়াতে হবে।
মেদ বৃদ্ধিতে খাওয়া দাওয়ায় বিশেষ ভূমিকা আমাদের একটি বিশেষ প্রস্তাব আছে যখন তখন আমরা হুটহাট করে এটা সেটা মুখে দিয়ে ফেলি। এটি অনুচিত। আমাদের এ স্বভাব ত্যাগ করতে হবে। যদি কখনও অসময়ে খিদে পায় তবে মুড়ি, ছােলা কিংবা শশা ও টমেটোর সালাদ খেয়ে নিন।
ভাজাভুজি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না। দুপুরের খাবারের চেয়ে রাতে হালকা খাবার খাবেন। রাত আটটার মধ্যেই রাতের খাবার শেষ করুন। কারণ রাতের দিকে আমাদের শরীরের মেটাবলিক রেট কমে যায়।
যার ফলে ক্যালরির পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং শরীরে মেদ জমে যায়। রাতে যদি খাবার খেতে দেরী হয় তবে গ্যাস্ট্রিক সহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য প্রতি রাতে খাবার পরে ১৫/২০ মিনিট হাঁটুন। বাইরে হটার ব্যবস্থা না থাকলে ঘরেই পায়চারি করুন।
টেনশন কি
কোনও মা হয়তাে জানালা দিয়ে দেখছেন যে, তার ছেলে গাছে উঠছে তখন তার মানে মাতৃসুল একটি উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এই উদ্বেপই হচ্ছে টেনশনের প্রাথমিক অবস্থা। এই উদ্বেগ থেকেই টেনশনের জন্য। সব উদ্বেগের পরিণতি।
কিন্তু টেনশন নয়। ধরুন কোনও ঘটনা হয়তাে ঘটতে পারে আবার নাও ঘটতে পারে। মা যখন দেখতে পাবেন যে, ছেলে গাছে উঠতে উঠতে মগডালে উঠে গিয়েছে তখনই সেই উদ্বেগ টেনশনে পরিণত হয়। সব ধরনের টেনশনের জন্য হয় 'ভয়' থেকে।
যেমন ধরুন পঞ্চাশজন লােকের সামনে দাঁড়িয়ে আপনাকে জীবনের প্রথমবার অভিনয় করতে হচ্ছে, তখনই আপনার ভেতরে টেনশনের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সবই ভয়ভীতির অন্যরূপ। আরও যদি গম্ভীরভাবে দেখতে যান তবে দেখবেন- একটি অহংবােধ এই জাতির জনক। | '
আপনি অহংকারী তাই আপনি টেনশনে ভুগে থাকেন' এ কথা বনি আপনি। কাউকে বলতে যান তবে দেখা যাবে, সে অত্যন্ত অবাক হয়ে যাবে। কিন্তু টেনশনের গভীর কারণ এটিই । আমরা যে সমালোচনা করি তা কিন্তু এই অহংবােধ থেকেই। আমরা অন্যকে নিজের চাইতে কাজে কর্মে কিংবা চিন্তা ধারায় খাটো কিংবা অপটু ভেবে থাকি। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে, 'প্রতিটি মানুষই নিজেকে অন্যের চাইতে উৎকৃষ্ট ভাবতে ভালবাসে এবং বিশ্বাসও করে।'
��্রতিটি মানুষের মনেই এমন একটি বােধ কাজ করে যে, 'আমি বুঝি পৃথিবীর সৰ বিষয় জেনে ফেলেছি। কিংবা আমি যা করছি বা ভাবছি সেটি বুঝি শুদ্ধ আর অন্যরা যা ভাবছে সবই বুঝি ভুল। মানুষ যদি চুরিও করে থাকে, তবে সে অবচেতন মনে নিজের পক্ষেই রায় দিয়ে বলে, 'অভাব ছিল বিধায় চুরি করেছি।"
আৰাৱ যে ক্ষেত্রে নিজের চাইতে ভাল কাজ কেউ করে থাকে এবং সে সেটি করতে পারছে না সে ক্ষেত্রে যে হতাশা বা হীনমন্যতা জণ নেয় তাও কিন্তু এই অহংবােধ থেকেই। নাম, যশ, প্রতিষ্ঠা, ঈর্ষা, ক্রোধ ইত্যাদির জনক যেমনঅহংবােধ ভীতির জনকও তেমনি অহংবােধ। আমরা প্রতিটি কাজেই স্বীকৃতি আশা করে থাকি।
যেক্ষেত্রে এই স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠে না, তখনই এই টেনশনের জন্ম নেয়। অভিনয়ের সময় আপনার মুখে কথা আটকে গেলে আপনার মনের মধ্যে যে ভাবনার সৃষ্টি হয়, সে ভাবনা থেকে কষ্ট এবং কষ্ট থেকেই টেনশন।
কারা বেশি টেনশনে ভােগেন
সব মানুষই কম বেশি টেনশনে ভুগে থাকেন। আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি থেকে আরম্ভ করে আত্মবিশ্বাসহীন ব্যক্তি জীবনে ব্যর্থ মানুষ থেকে শুরু করে সফল ব্যক্তিটি পর্যন্ত কখনও না কখনও টেনশনে গে থাকেন। কেউ অল্প কেউ বা বেশি টেনশন করে থাকেন। মনস্তাত্ত্বিকদের মতে যারা অমিশুক প্রকৃতির, অত্যন্ত ছােটখাটো সমস্যা যাদেরকে ভােগায়, অল্পতেই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন, নিজের ওপরে আস্থা কম, যারা স্বপ্ন বিলাসী, প্রতিযােগিতামূলক মনােভাব সম্পন্ন এবং স্বার্থপর লােক- এরাই বেশি টেনশন করে থাকেন। যাদের নিজের ওপর আস্থা নেই টেনশন করলে এরা মানসিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়েন। যাৱা। দুশ্চিন্তাৰন তারা টেনশন করলে আরও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এবং যিনি স্বপ্ন বিলাসী তিনি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আরও বেশি স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরেন। এতে করে সমস্যা তো কমেই না বরং বেড়ে চলে।
টেনশন মুক্তির কয়েকটি উপায় কি করে মানসিক চাপ এড়াবেন তার জন্য এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করুন। মানসিক চাপমুক্ত জীবন পালন করা কারও পক্ষেই খুব একটা সম্ভবপর হয়ে ওঠে। না। উচ্চ মানসিক চাপ এখন অতি সাধারণ ঘটনা।
নিয়ে বাস্তবসম্মত কয়েকটি পন্থা উল্লেখ করা হলো যার মাধ্যমে আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।
১। পথে যাকে পাবেন তার সাথেই দ্বন্দে জড়িয়ে পঞ্চবেন না। আপনি যদি কারও সাথে যােগাযােগ রাখেন তবে আসলেই কম মানসিক চাপ বােধ করবেন। এবং ভারমুক্ত থাকবেন।
২। ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাস রপ্ত করুন। দ্রুত কথা বলা মানসিক চাপের ইঙ্গিতই তুলে ধরে। আপনি যদি শান্ত ভঙ্গিতে কথা বলে থাকেন এবং
থাফুর্ত ভাবে কথা বলেন, তবে আপনার শ্বাস প্রশ্বাস নিম্ন পতিসম্পন্ন হবে। এবং আপনিও কম উওেজিত হবেন।
৩। দেহের উত্তেজনা দূর হলে মনের উত্তেজনাও দূর হয়ে পড়ে। এজন্য হালকা ভাবে পায়চারি করুন। দেহের উত্তেজনা তা��়াবার জন্য দেহের পেশীগুলােকে শিথিল রাখুন, দেহে নিস্পৃহ ভাব আনুন।
৪। সব কিছুতে গতি সঞ্চার করুন। যদি আপনার হাতে অনেক কাজ করার কাক থাকে তবে প্রথমে একটি কাজে মনােনিবেশ করুন। আবার কিছুক্ষণ পর অন্যটিতে মনযােগ দিন। পরবর্তীতে আবার প্রথমটিতে ফিরে আসুন। এতে করে আপনি কাজ করার প্রতি যে ভীতিজনক অবস্থার সৃষ্টি হবে তা কাটাতে পারবেন এবং নতুন উদ্যম ও গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
৫। চা, কফি ইত্যাদি বার বার খাবেন না। দু'কাপ কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন আপনার হৃদযন্ত্রের কম্পনকে প্রতি মিনিটে ১৬ বার বৃদ্ধি করবে এবং সেই সাথে আপনি আরও উদ্বিগ্ন ও খিটখিটে হবেন।
৬। টেনশন হলে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ না হয়ে প্রথমেই টেনশনের মূল কারণ খুঁজে বের করুন। এবং, কারণটির সঠিক মূল্যায়ন করুন। এজন্য আপনি বিষয়টিকে একতরফা ভাবে না দেখে তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টি দিয়ে ব্যাপারটিকে পুরােপুরি দেখুন। এতে করে নিজের অবস্থানটা বুঝতে পারা যায় এবং সমস্যার সমাধান করা যায়।
৭। যখনই টেনশন হবে তখনই চিন্তাকে অন্যখাতে বইয়ে দিন। দীর্ঘসময় একই বিষয় নিয়ে চিন্তা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এক্ষেত্রে নামতা পড়তে পারেন কিংবা ১০০ থেকে ১ পর্যন্ত উল্টো দিকে শুনতে পারেন।
৮। হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতে পারেন। অন্যের সাথে এই আলােচনা কম আনুষ্ঠানিক মনে হবে এবং পরস্পর দৃষ্টি সংযােগ কম হওয়ার জন্য ক্ষতি উদ্বেগ ও মানসিক চাপ সৃষ্টি হবে না।
৯। দিন শুরুর সাথে সাথেই কাজ আরম্ভ করবেন। কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ বন্ধ রেখে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়ে দিন শুরু করুন এতে করে বাড়তি সময় বাঁচিয়ে সামান্য আগেই অফিস ছাড়তে পারবেন। | ১০। যখনই আপনি মানসিক চাপ বােধ করবেন তখনই শরীর চর্চার জন্য কিছুটা বিরতি গ্রহণ করুন।
১১। যখনই আপনার মন বিদ্রোহ করবে তখনই দৃষ্টি অন্য ঘটনার দিকে নিবন্ধ করুন। যা আপনার মনযােগ আকর্ষণ করবে। কিংবা এমন কিছু দেখা কিংবা শােনায় মনােনিবেশ করুন যা আপনার মনটাকে ভুলিয়ে রাখবে। 'দুপরি ঐ ধরনের ঘটনায় কখনই মনােনিবেশ করতে যাবেন না বা টেনশন বাড়াবে।
১২। খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন যেমন- কম্পিউটার গেম, একা একা কোনও খেলা অথবা শব্দ হেয়ালী ইত্যাদি। যখন আপনি শব্দ গঠনে হিমশিম খাবেন তখন মানসিক চাপের কথা চিন্তাই করতে পারবেন না।
১৩। টেনশন তাড়াতাড়ি কমিয়ে ফেলার সহজ উপায় হচ্ছে এমন কোনও ব্যক্তির কাছে আপনার সমস্যাটি বলুন যিনি সহৃদয়, সহানুভূতিসম্পন্ন এবং আপনাকে ভাল পরামর্শ দেবার ক্ষমতা রাখে। এতে করে আপনার মনের কষ্ট উপশম না হলেও অধিকাংশ সমস্যাটিকে অন্য আলােয় দেখতে পারবেন। এ ধরনের সমস্যায় আপনার ��দি কোনও ভুল থেকে থাকে তবে ঐ ব্যক্তি আপনার সামনে তা তুলে ধরতে পারবেন।
১৪। কোনও সমস্যায় পড়লে তা নিয়ে একা না ভেবে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করলে সমাধানের চুলে একাধিক সমাধানের পথ উন্মোচিত হবে।
১৫। যখন আপনার প্রাণ প্রাচুর্য খুব উন্নত থাকে, তখন সবচাইতে বিরক্তিকর কাজগুলাে করুন এবং যখন দিনের শেষে নিম্নমাত্রার উদ্দীপনা বােধ করবেন ঐ সময়টাতে শিল্প চর্চা করুন।
১৬। আপনার ঘরবাড়ি যদি জঞ্জালে পরিণত হয়, তখন আপনি নিয়ন্ত্রণহীনতা বােধ করেন। তাই সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্নভাবে চলে নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখুন।
১৭। অন্যের ওপর দোষ দেবেন না। নিজেকে নির্দোষ ভেবে অন্যের ওপর দোষ চাপানােটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এটি মস্ত ভুল। কারণ জীবনটা আপনার। তাই জীবনের সমস্ত ব���যর্থতার দায়িত্বও আপনার।
১৮। বিপর্যয় মুহূর্তে অকথ্য গালিগালাজ না করাই শ্রেয়। ওসব আপনার সমস্যা সমাধানে কোনও ভূমিকা রাখবে না।
১৯। কিছু সময়ের জন্য কাজকর্ম এড়িয়ে চলুন। বাড়ি ফিরে এসে টেলিভিশন দেখলে আপনার ওপরে বােঝর ওপর শাকের আঁটি'র মতাে চাপ আরও বাড়বে। ঐ সময়টা পরিবার পরিজনদের সাথে কাটান অথবা গান শুনুন।
২০। দীর্ঘ সময় ধরে নানা ঘটনা কল্পনায় ঠাঁই দেবেন না। ভাবতে থাকুন আপনি যা ভাবছেন তা সত্য নয় ওগুলো কল্পনা মাত্র।
২১। সমালােচনার ভয়ে অনেকের মনে টেনশনের জন্ম হয়। মনে করুন যিনি আপনার সমালােচনা করছেন তিনি আপনার কাজের সমালােচনা করছেন ব্যক্তি আপনাকে নয়। যিনি আপনার সমালােচনা করছেন তিনি সঠিক নাও হতে পারেন। ভাবুন সমালোচনা থেকেই আপনি আপনার কাজের পদ্ধতি এবং নিক্সের সম্পর্কে চিন্তা করতে পারছেন।
২২। নিয়মিত ভাবে শরীর চর্চা করুন। মনে রাখবেন সুস্থ দেহেই সু মনের
২৩। এ পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত এমন কোনও ব্যক্তি অনুগ্রহণ করেননি যিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অপরাজিত থেকেছেন। আপনি যদি বুদ্ধি, বিবেক, নীতি এবং মনের জোর দিয়ে লড়াই করেন তবে পরাজয় আপনার মনকে গ্লানিতে ভরে তুলবে না। পরাজয় যেমন কাম্য নয় তেমন পরাজয় অপমানজনকও নয়। এ সাবলীল দৃষ্টিভঙ্গিটুকু আপনাকে টেনশনের হাত থেকে মুক্তি দেবে। কেন পারব না এই মনােভাব থাকা ভাল কিন্তু বার বার চেষ্টার পরও যদি না পারেন তবে হতাশ হবার কারণ নেই। আমি পারি তবে সব কাজ পারি এটি আপনার দাক্ষিকতারই প্রকাশভঙ্গি। আপনি মনে রাখবেন অনেক
বিখ্যাত ক্ষমতাবান ব্যক্তিই অনেক ব্যাপারে অপদার্থ। আপনাকেই যে সুপারম্যান হতে হবে এমন কোনও কথা নেই।
২৪। স্বপ��ন দেখুন একটু আধটু, তবে পা যেন মাটিতেই থাকে আকাশে না উড়ে। টেনশন যখন খুব বেশি হবে তখন মাঝে মধ্যে জীবন থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে নিজেকে এসকেপিস্ট ভেবে ফেলার কারণ নেই। প্রকৃতির কাছাকাছি ঘুরে আসুন। প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা এবং প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়ানােটা সুস্থ সুন্দর মন ও শরীরের চবিকাঠি।
২৫। পূর্ব পরিকল্পিত হক অনুযায়ী কাজ করুন, ঘুমােতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনীয় খুম মাত্রাতিরিক্ত হতাশা, আবেগ এবং মানসিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
২৬। মনের শান্তি অর্জনের একমাত্র শক্তিশালী উপায় হলাে জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া। এটি করা যায় সমাজ সেবায় আত্মনিয়ােগের মাধ্যমে। | ২৭। সব সময়ে নিজেকে নিয়ে ভাববেন না, এতে করে টেনশন বেড়ে যায়। নিজের থেকে মন সরিয়ে অন্য কালে কিংবা অন্যের কাজে মন দিন। নিজের ভালবাসা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিন। | ২৮। নিজেকে একজন অতি সাধারণ মানুষ ভাবুন। দোষ টি আপনারও হতে পারে। সব সময় মনে করবেন না যে, আপনি সাধু। বুঝতে চেষ্টা করুন যে, কোনও সংকট সৃষ্টিতে হয়তাে আপনারও ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে।
২৯। আপনার বাড়ির আশে পাশেই অনেক ছিন্নমূল মানুষ বাস করে থাকে। যারা নিত্য বিপদের সাথে লড়াই করছে, কিন্তু বিপদে মুষড়ে পড়ছে না। ওরা কিন্তু মানুষ। মনে রাখবেন, জগতের সবচেয়ে দুঃখী ব্যক্তিটি আপনি নন, বিপদ যাদের নিত্যসঙ্গি তারা যদি বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারে আপনি কেন পারবেন না। আপনার সাময়িক ব্যর্থতার অর্থ আপনার পুরাে জীবনের ব্যর্থতা নয়।
আশা করছি পোস্টটিতে দেওয়া তথ্যগুলি আপনাদের ভালো
লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করুন এবং আপনাদের মতামত কমেন্ট সেকশনে লিখে জানান পরবর্তী পোস্ট সবার আগে দেখার জন্য Bangla Health Solution WebSiteটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ধন্যবাদ
via Blogger https://ift.tt/2SJIrH9
0 notes
Text
কলার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Banana Benefits, Uses and Side Effects in Bengali
New Post has been published on http://healingawerness.com/getting-healthy/getting-healthy-women/%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%ac/
কলার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Banana Benefits, Uses and Side Effects in Bengali
কলার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Banana Benefits, Uses and Side Effects in Bengali StyleCraze Hyderabd040-395603080 January 21, 2020
‘সর্ব ঘটে কাঁঠালি কলা’ এই প্রবাদ বাক্যটি আমাদের মধ্যে সকলেরই প্রায় জানা। আমাদের জীবনে কলার ভূমিকা কিন্তু ঠিক এতটাই, যতটা প্রবাদ বাক্যে মজা করে বলা হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য রক্ষায় হোক কিংবা ত্বক ও চুলের যত্নে, প্রত্যেক ক্ষেত্রে কলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এমনকি আমাদের রোজকার জীবনের অধিক ব্যবহৃত ফল গুলির মধ্যে অন্যতম হল কলা। কলার অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেগুলি খানিকটা জানলেও অনেকটাই হয়তো আমাদের অজানা। তাই আজ জেনে নিন আপনার হাতের কাছে থাকা সহজলভ্য এই ফলটি সম্পর্কে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। মূলত কলা মুসাসেই গোত্রীয় ফলের অন্তর্গত। ��র বৈজ্ঞানিক নাম হল মুসাঅচুমিনটা কোল। সব ধর্মের এবং গোষ্ঠীর মানুষের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হলো কলা। হিন্দিতে একে কেলা বলা হয়। কন্নারে বেল হান্নু বলা হয়। এটি মূলত সবুজ এবং হলুদ দুই বর্ণের হয়ে থাকে। কাঁচা কলা সবুজ বর্ণ ধারণ করে এবং পাকা কলা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে চাষ করা হয়ে থাকে। মূলত এটি নরম প্রজাতির হয়। বিশ্বের খাদ্য ফসল গুলির মধ্যে আর্থিক মূল্যের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয় এই ফলটি। কলা সরাসরি খাওয়ার পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি দিয়ে রান্নাও করা হয়ে থাকে। এমনকি কোথাও কোথাও রান্নায় আলুর প্রতিস্থাপন হিসেবেও এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। (১)
Table Of Contents
কলার উপকারিতা – Benefits of Banana in Bengali
আসুন জেনে নিন আপনার হাতের কাছে থাকা ফলটির উপকারিতা গুলি। কলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপ��দান এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ার এটি সব বয়সীদের মধ্যে ব্যবহারযোগ্য। এছাড়াও কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও কলা হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। একটি কলার মধ্যে রয়েছে 467 মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, 1 মিলিগ্রাম সোডিয়াম। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা ভিটামিন b6 রক্তাল্পতা এবং করোনারি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলার মধ্যে থাকা ফাইবার জাতীয় উপাদানগুলি হজমের উন্নতি ঘটিয়ে শরীরের ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর কাজ করে। দৈনন্দিন কলা গ্রহণ করলে শরীরে রক্ত শর্করার উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি কোলন স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে। কলা হল ম্যাগনেসিয়াম এর উৎকৃষ্ট উৎস, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে উচ্চস্তরের ট্রাইপটোফোন। যা ডিপ্রেশন কমিয়ে মানসিক সুস্থতা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি6 শরীরের সঠিক ঘুম হতে এবং অনিদ্রাভাব কমাতে সহায়তা করে। এরকম ভাবে বিভিন্ন উপায়ে কলা আমাদের উপকৃত করে থাকে।
স্বাস্থ্যের জন্য কলার উপকারিতা – Health Benefits of Banana in Bengali
আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আসুন জেনে নিন কিভাবে কলার সঠিক ব্যবহার করে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।
হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার উপকারিতা :
হাভার্ড মেডিকেল স্কুলের একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, পটাশিয়ামের পরিমাণ শরীরে যথাযথ না থাকলে সেক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কলা যেহেতু পটাশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল তাই এটি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কলার পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখতে হবে। হৃদযন্ত্র মূলত তার সংকোচন-প্রসারণের ওপর শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে আর এই সংকোচন এবং প্রসারণ অনেকাংশে পটাশিয়াম এর উপর নির্ভর করে। হাই পোকাসিয়াম স্তর, হাইপোকলিমিয়া নামক দুটি উপাদানের কারণে হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে তার হৃদস্পন্দন সম্পন্ন করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দৈনিক একটি করে কলা খেলে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা কম থাকে। এছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান কম করে দৈনিক ব্যায়াম করলে এক্ষেত্রে সুস্থ থাকা যায়। হার্টের সুরক্ষায় থাকা পটাশিয়ামের বিভিন্ন উপাদান গুলিকে কলা সমৃদ্ধ করে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে। সে ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্র বন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর হৃদয়ের জন্য দৈনিক একটি কলা খাওয়া প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি অবশ্যই আপনার শরীরের প্রয়োজন কতটা তা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সেই মতো দৈনিক গ্রহণ করবেন। কেননা অত্যধিক পটাশিয়াম গ্রহণের ফলে আবার হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে চাইলে দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ কলা গ্রহণ করতে হবে এবং তার সাথে একটি সুস্থ জীবন পালন করতে হবে। কলার মধ্যে থাকা সোডিয়াম হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। (২)
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা :
কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও কলা রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। মূলত কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় উপাদান গুলি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি এটি শরীরের রক্তচাপ কেও নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। ন্যাশনাল হার্ট, ফুসফুস এবং রক্ত ইনস্টিটিউট এর মতে শরীরে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য কলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। তবে এটি গ্রহণের আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তারপর এটি গ্রহণ করবেন। কেননা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দিনে দুটি কলা খেলে রক্তচাপ ১০ শতাংশের বেশি কমে যেতে হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শরীরের বর্তমান পরিস্থিতি বুঝে এটি গ্রহণ করতে হবে।
হজমের সমাধানে কলার ব্যবহার :
কলা অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা যেহেতু ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাদ্য তাই এটি হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে থাকে। এছাড়াও পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম অন্ত্রের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার ফলে হজমের প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। কলা নিজে যেমন তাড়াতাড়ি হজম হতে পারে, তেমনি অন্য খাবার কেও তাড়াতাড়ি হজম করতে পারে। কেননা কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। যা শরীরের ভিতরে থাকা খাদ্য উপাদান কে সঠিকভাবে হজমে সহায়তা করে। এছাড়া একটি কলাতেই পেট ভরে যাওয়ার মত মনে হয়। যার ফলে অধিক খাওয়া থেকেও এটি দূরে রাখতে সহায়তা করে। এটি দ্রুত দ্রবণীয় হওয়ায় অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর থেকে চর্বি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান কে শোষণ করে নিতে সহায়তা করে। কলা ফ্রুকটলিগোস্যাকচারাইড এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুল���কে ধ্বংস করে শরীর স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও পাকা কলা হজমজনিত সমস্যা গুলি নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা মূলত প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি পাকস্থলীর এসিড কমাতে এবং আলসার চিকিৎসা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি পেটের ভিতরে অতিরিক্ত মেদ জমা থেকে শরীরকে দূরে রাখে। এছাড়া এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। কাঁচা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কলায় প্রাকৃতিক অ্যাসিড কম থাকে, তাই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এবং পাকা কলা শরীরের হজমে সহায়তা করে। তবে কাঁচা কলা যদি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলত ডায়েরিয়ার চিকিৎসায় কাঁচা কলার ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়া খাদ্যকে দ্রুত হজম করতে চাইলে পাকা কলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। (৩)
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার ব্যবহার :
কলা ভিটামিন বি6 সমৃদ্ধ উপাদান হওয়ায় এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা খাদ্যতালিকায় ভিটামিন b6 সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করেন তাদের মস্তিষ্ক অন্যান্যদের তুলনায় বেশ প্রখর হয় এবং এরা ভালো পারফরম্যান্স করে থাকে। কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ গুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া কলা মস্তিষ্কের কোষগুলির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। যেহেতু আমাদের মস্তিষ্ক গ্লুকোজ সংরক্ষণ করতে পারে না, সেহেতু কলা দৈনিক এটি সরবরাহ করে থাকে। কলায় যেহেতু ফাইবার রয়েছে তাই এতে শর্করা ধীরে ধীরে রক্তপ্রবাহকে প্রবাহিত করে এবং শরীরে ধীরে ধীরে কলা গ্লুকোজ সরবরাহ করে থাকে। কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম মস্তিষ্কের কোষগুলোয় অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও এটি ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ উপাদান হওয়ায় মৃগী এবং পারকিনসন রোগের সমস্যায় সমাধান করে। কলার মধ্যে থাকা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন স্ট্রেস রিলিফ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি হতাশা এবং মস্তিষ্কের যে কোন ধরনের সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত কলা খেলে মস্তিষ্কের শক্তি এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি তার ঘনত্ব বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম বৃদ্ধ বয়সে স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও মেনোপজাল পরবর্তী মহিলাদের ক্ষেত্রে কলা খাওয়া স্ট্রোকের সম্ভাবনা ১২ শতাংশ কমাতে সহায়তা করে। মূলত যে সমস্ত ব্যক্তিরা কম পটাশিয়াম গ্রহণ করেন তাদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কেননা পটাশিয়াম কম গ্রহণ করলে সেটি হঠাৎ রক্তপাত এর ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। (৪)
হাড়ের গঠনে কলার উপকারিতা :
ন্যাশনাল অস্টিওপরোসিস ফাউন্ডেশনের মতে, কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাঁড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা পটাসিয়ামের অন্যতম উৎস যা হাড়ের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান প্রদান করে থাকে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গুলি শরীরে ক্ষার তৈরি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও দেখা গিয়েছে যখন কোন অ্যাসিড যুক্ত উপাদান শরীরে তৈরি হয় তখন হাড়গুলি দূর্বল হবার সম্ভাবনা থাকে, যার ফলে হাড় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হতে পারে। তাই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গুলি এই ক্ষার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে শরীরে ক্যালসিয়ামের ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হয়। বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে পটাশিয়াম গ্রহণ আবশ্যক। কেননা বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী পটাশিয়াম গ্রহণের ফলে অস্টিওপোরোসিস এর সমস্যা কম হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে খাদ্যতালিকায় পটাশিয়াম এর অন্যতম উৎস হিসাবে একটি কলা রাখলে সে ক্ষেত্রে এটি শরীরের হাড় কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। (৫)
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা :
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কলা। কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন উপাদান হওয়ায় এটি দৈনিক গ্রহণ করা আবশ্যক। কেননা কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা কে দ্রুত বাড়াতে সহায়তা করে। আর কলাতে প্রচুর শর্করা রয়েছে। মূলত 93% ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট থেকে পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে। তবে কলাতে শর্করা থাকার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ব্লাড সুগার কে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি খুব বেশি ক্ষতিকর নয়, কেননা সবুজ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ। এটি শরীরে ফাইবার এর মত কাজ করে রক্তে শর্করার মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও এটি শরীরের পরিপাক ব্যবস্থাকে উন্নত করে রক্তে শর্করার স্পাইক গুলো কে নিয়ন্ত্রণ করে। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি সিক্স ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কলা প্রতিদিন গ্রহণের ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকাকালীন অবস্থায় কলা খেলে সে ক্ষেত্রে শরীরে ফ্রুক্টোজ এর পরিমাণ কম থাকে। (৬)
ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণে কলার উপকারিতা :
ডায়েরিয়ার চিকিৎসায় ইলেক্ট্রোলাইট প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে কলা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কলা মূলত পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া পটাশিয়াম প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে থাকে। ডায়েরিয়ার সমস্যা দেখা দিলে একটি কলা খেলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এক গ্লাস জলে এক চিমটি লবণ যোগ করে খেলে এটি শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া সোডিয়াম এবং ক্লোরাইড প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে থাকে। ডায়েরিয়া থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য একটি নির্দিষ্ট ডায়েট তৈরি করা হয়েছে, একে ব্র্যাট ডায়েট বলা হয়। কলা আপেল এবং টোস্ট দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। এটি মূলত শিশুদের জন্য অধিক কার্যকরী। এই ডায়েটে শরীরের দ্বারা উৎপাদিত মলের পরিমাণ হ্রাস করে পেটে কিছুটা স্বস্তি দেয় এই ডায়েটে প্রোটিন ফাইবার এবং ফ্যাট কম হওয়ায় এটি একটি সুষম খাদ্য। এছাড়াও এটি ডায়েরিয়া পরবর্তী অবস্থায় শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণে সহায়তা করে। ডায়েরিয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এটি খেলে ডায়েরিয়ার উপশমে সহায়তা করবে। (৭)
হ্যাংওভার কাটাতে কলার ব্যবহার :
পরিমাণের তুলনায় খানিকটা বেশি অ্যালকোহল পান করলেই তার পরবর্তী সময়ে হ্যাংওভার ভাবটা অনেকের মধ্যে থেকেই যায়। এমনকি সেটা রাত পেরিয়ে পরের দিন পর্যন্ত থেকে যায়। তবে এই হ্যাংওভার কাটাতে আপনার হাতের কাছেই রয়েছে কলা। কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ��্যাংওভার কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা পটাশিয়াম এমন এক ধরনের খনিজ অ্যালকোহল গ্রহণের পরে নষ্ট হয়ে যায় এবং ডিহাইড্রেশন ঘটায়। তাই কলা এবং মধু দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করে খাওয়া গেলে খুব শীঘ্রই হ্যাংওভার থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। কারণ কলা স্নায়ুগুলোকে শান্ত করে এবং মধু শরীরে চিনির পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি এতে দুধ দেওয়া যেতে পারে তাহলে তা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন বি১ এবং বি৬ হলো এমন দুটি উপাদান যা হ্যাংওভারের লক্ষণগুলোকে কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা গ্লুকোজ এবং ইলেকট্রোলাইট গুলি হ্যাংওভার এর চিকিৎসা করতে সহায়তা করে। (৮)
রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণে কলার ব্যবহার :
বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো রক্তাল্পতা। মূলত গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয়, তখন ফলিক অ্যাসিডের আদর্শ ডোজ দিয়ে এর চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। পুষ্টিকর খাবার গুলিতে পাওয়া ভিটামিন এর পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যরক্ষায় রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করা আবশ্যক। সেকারণে কলার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। কলাতে থাকা ভিটামিন সি এর যথাযথ সহায়তা করে এবং এটি রক্তস্বল্পতার সাথে লড়াই করে। এছাড়া ভিটামিন বি টুয়েলভ রক্তাল্পতার চিকিৎসা করতে সহায়তা করে। যদিও ভিটামিন বি টুয়েলভ খুব বেশি মাত্রায় কলার মধ্যে নেই, তবে এটি ভিটামিনের সঠিক সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা তামা ও আয়রন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ���াকে। (৯)
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে কলার উপকারিতা :
কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপকে কমাতে সহায়তা করে। তাই এটি যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা শর্করা সমৃদ্ধ একটি ফল হওয়ায় এটি মানসিক চাপকে শিথিল করতে পারে এবং স্নায়ুকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে। কলার মধ্যে রয়েছে ডোপামিন নামের এক ধরনের রাসায়নিক, যা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রশান্ত করে চাপ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি6 যে কোন ধরনের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই অত্যধিক মানসিক চাপ কিংবা স্ট্রেস দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে দৈনিক একটা করে কলা খাওয়া উচিত কিংবা হঠাৎ করে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে তখন কলা খেলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। (১০)
শক্তি বাড়াতে কলার উপকারিতা :
কলা হল অ্যামিনো এসিড সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক শর্করা এবং অন্যান্য খনিজ সমৃদ্ধ একটি খাদ্য উপাদান। যা শরীরের শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে থাকে। উপাদানগুলি ধীরে ধীরে রক্ত সরবরাহ কে সঠিক ভাবে প্রেরণ করে থাকে। এছাড়াও এটি শরীর থেকে খারাপ উপাদান বের করে দিতে সহায়তা করে। কলার মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ব্যায়ামের পরে খেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এগুলিকে যথাযথ পূরণ করতে এবং জল ধরে রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দুটিমাত্র কলা 90 মিনিটের কঠোর পরিশ্রমের মতন শক্তি দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলা যেকোনো ধরনের উচ্চশক্তিসম্পন্ন পানীয়র সমান উপকারী হ��ে পারে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাথলিটরা ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদান গুলি শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। (১১)
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার ব্যবহার :
শরীরের পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে কলা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি চোখে ছানি পড়ার যে ছত্রাকের সৃষ্টি হয় তা কমাতে সহায়তা করে। মূলত কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ চোখ এবং কর্নিয়ায় সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। যাতে কোনো রকমে বাইরের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা চোখ আক্রান্ত হতে না পারে।
মাসিকের যন্ত্রণা কমাতে কলার উপকারিতা :
বর্তমান স্ট্রেসফুল জীবনের অন্যতম একটি সমস্যা হল মাসিকের যন্ত্রণা। বলা যায় ৯০ শতাংশ মহিলাই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে দৈনিক একটি করে কলা খেলে এই সমস্যার উপশম হতে পারে। কেননা কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ গুলো পিরিয়ডের সময় জরায়ুর পেশীগুলোকে শক্তি প্রদান করে এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও তলপেটে ব্যথা হয় সেগুলো কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন b6 পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া মতো সমস্যাগুলো সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। (১২)
মশার কামড়ের যন্ত্রণা কমাতে কলার ব্যবহার :
মশার কামড়ে নাজেহাল অবস্থা! একনাগাড়ে চুলকে চুলকে গায়ের চামড়া উঠে যাচ্ছে? কিন্তু আপনি জানেন কি আপনার হাতে কাছে থাকা কলা হতে পারে এর মোক্ষম ওষুধ। কলার খোসার ব্যবহারেই এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কলার খোসার মধ্যে থাকা শর্করা জাতীয় উপাদান মশার কামড়ের জায়গা থেকে জীবাণু সরিয়ে দিতে সহায়তা করে। যার ফলে মশার কামড় আক্রান্ত স্থানটি কলার খোসা দিয়ে ঘষলে সেখান থেকে মশার কামড় জনিত প্রদাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে আক্রান্ত স্থানটিতে কলার খোসা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একবার ডেটল দিয়ে মুছে নেবেন। তাতে ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়ে যাবে।
ইমিউনিটি বাঁচাতে কলার উপকারিতা :
ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গিয়েছি কলার মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদান গুলি কিভাবে আমাদের শরীর চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কলার মধ্যে রয়েছে এমন এক ধরনের উপাদান, যা রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার সময় কোষগুলিকে তাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে উন্নত করে তোলে। পাশাপাশি কলার মধ্যে থাকা এনজাইমগুলো আয়রন কে সঠিকভাবে হজমে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে আয়রনটা যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি সর্বকালের গুরুত্বপূর্ণ শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। এর পাশাপাশি ভিটামিন শরীর থেকে যেকোনো ধরনের রোগ জীবাণু ধ্বংস করতে এবং রক্তকণিকাকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা ফোলেট অন্যতম একটি পুষ্টিকর উপাদান, যা প্রোটিনকে শরীরে যথাযথ গ্রহণে সহায়তা করে। কলার মধ্যে থাকা লেক্টিন নামক অপর একটি উপাদান শরীরকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। এটি শরীরের কোষগুলোকে ভাইরাস আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। যাতে শরীরে ��ারাত্মক কোনো ভাইরাস আক্রমণ করতে না পারে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়ামও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। যার ফলে দৈনিক গ্রহণের ফলে এ ধরনের সমস্যা গুলো দূর হয়। এর পাশাপাশি কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়ামও শরীরকে যথাযথ শক্তি জুগিয়ে শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
মর্নিং সিকনেস সমস্যায় কলার ব্যবহার :
গর্ভবতী মহিলাদের অন্যতম একটি সমস্যা হল মর্নিং সিকনেস। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে সকাল বেলা বমি ভাব কিংবা বমি হতে দেখা যায়। এই সমস্যার ক্ষেত্রে কোন ওষুধ ব্যবহার না করে দৈনিক একটি করে কলা খেয়ে এটিকে নির্মূল করতে পারেন। কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম মর্নিং সিকনেস সমস্যাকে কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরকে সুস্থ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।
মেজাজ সঠিক রাখতে কলার ব্যবহার :
কাজের চাপ হোক কিংবা জীবনের চাপ, মেজাজ যেকোনো সময় বিগড়ে যেতেই পারে। দীর্ঘদিন ধরে একনাগাড়ে এক কাজ চলতে থাকার ফলে একটা সময় মানুষের বিরক্তি ভাব এসে যায়। একে নির্মূল করা যাবে দৈনিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে। যে কারণে চিকিৎসকেরা দৈনিক খাদ্য তালিকা একটি কলা রাখার কথা বলেছেন। কলার মধ্যে থাকা শর্করা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে। যার ফলে এটি মেজাজ সতেজ রাখতে সহায়তা করে এবং এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি6 যেকোনো ধরনের চাপ এবং উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়। কলা ট্রিপটোফেন এর অন্যতম একটি উৎস, যা সেরোটোনিনের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। সুখ হরমোন নামে পরিচিত এই হরমোন নিঃসরণ এর ফলে হাসি খুশি এবং আনন্দিত থাকা যায়। ভিটামিন বি গ্রহণের ফলে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এবং এই সমস্ত ভিটামিন এ পরিপূর্ণ হবার এটি অন্যতম একটি সুষম খাদ্য। কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম মস্তিষ্কের নিউরন গুলিতে সুগঠিত রাখতে সহায়তা করে। যার ফলে যেকোনো ধরনের সমস্যা থেকে মস্তিষ্ককে বাইরে রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা ��িয়েছে, কলাতে থাকা সেরোটোনিন মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন কে ত্বরান্বিত করে। যার ফলে মেজাজ সুস্থ রাখতে সহায়তা হয়। (১৩)
ওজন হ্রাস করতে কলার উপকারিতা :
শুনে হয়তো অবাক হচ্ছেন, যে ওজন হ্রাস করবে কলা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। কলা যথাযথভাবে খেলে ওজন হ্রাস করা সম্ভব হয়। কলার মধ্যে থাকা ফাইবার জাতীয় উপাদানগুলি ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। এছাড়া এর মধ্যে থাকা স্টার্চ জাতীয় উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ওজন হ্রাসের জন্য অন্যতম একটি খাদ্য কলা, কারণ এটি শরীরের অতিরিক্ত চিনি কে শরীরে ফ্যাট হিসাবে জমতে দেয় না। ওজন হ্রাসের জন্য সকালে খালি পেটে একটি করে কলা খেতে পারেন। এটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখতে সহায়তা করে। কার্বোহাইড্রেট এর অন্যতম উৎস হওয়ার এটি আপনি প্রাতরাশের জন্য রাখতেই পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণ কলা খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। (১৪)
দাঁত সাদা করতে কলার ব্যবহার :
অত্যধিক ধূমপান কিংবা তামাক গ্রহণের ফলে দাঁতের রং পাল্টে যাওয়া এ কোনো নতুন ব্যাপার নয়। তবে দাঁতের রং সাদা করতে ব্যবহার করুন ��লা। এটি যেকোনো ধরনের কড়া দাগ কে কমাতে সহায়তা করে। কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি দাঁতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দাঁতের উপরে পড়া কালো দাগ কমাতে সহায়তা করে। (১৫)
অনিদ্রা কাটাতে কলার ব্যবহার :
ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না, এই সমস্যায় নাজেহাল বালক থেকে বৃদ্ধ। কারো পড়ার চাপ, কারোর কাজের চাপ কিংবা কারোর পারিবারিক চিন্তা। তবে এবার আর চিন্তা নেই রোজ খাদ্যতালিকায় একটি করে কলা রাখুন এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুকে শিথিল করতে এবং ঘুমাতে সহায়তা করে। কলার মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান ঘুমের ওষুধের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যে সমস্ত রোগীরা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের ট্রিপটোফ্যান এর ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা মেলাটোনিন অনিদ্রার চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। (১৬)
পেটের আলসার চিকিৎসায় কলার ব্যবহার :
খাবারের সমস্যার ফলে কিংবা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে পেটে আলসার দেখা দিতে পারে। এছাড়াও শরীরের ভেতরে অম্বলের সমস্যা বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ হলে সে ক্ষেত্রে আলসারের মত সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে এই সমস্যা থেকে নিরাময় পেতে দৈনিক একটি করে কলা গ্রহণ করুন। কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি শরীরের অভ্যন্তরীণ অ্যাসিড নিঃসরণে বাধা দেয় যার ফলে আলসারের মতো সমস্যা কম থাকে। কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম শরীরকে ভেতর থেকে জীবাণুমুক্ত করে তোলে। যার ফলে শরীর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়। এছাড়া পাকা কলা হজমজনিত সমস্যা গুলি নিরাময়ে সহায়তা করে।
ত্বকের জন্য কলার উপকারিতা – Skin Benefits of Banana in Bengali
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যরক্ষায় কলার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এবার জেনে নিন ত্বক পরিচর্যায় কিভাবে কলার ব্যবহার করে ত্বককে সুন্দর করে তুলবেন।
ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে কলার ব্যবহার :
যে কোন ধরণের ত্বকের জন্য অন্যতম প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে পরিচিত কলা। কলাতে উপস্থিত ভিটামিন এ ত্বকের হারানো আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করে এবং নিস্তেজ ত্বককে সতেজ করে তুলতে, শুষ্কতা নিরাময় করতে সহায়তা করে। কলার সাহায্যে তাকে তৎক্ষণাৎ উজ্জ্বল করা সম্ভব হয়।
১) শুষ্ক এবং নিস্তেজ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে তোলার জন্য একটি পাকা কলা চটকে নিয়ে মুখে লাগান।
২) চোখের চারপাশ বাদ দিয়ে কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) তখনই দেখতে পাবেন ত্বক নরম এবং কোমল হয়ে উঠেছে।
৪) এছাড়া এই প্যাকে প্রয়োজনে মধু যোগ করতে পারেন।
৫) কলা এবং মধুর প্যাক ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে।
৬) উজ্জ্বল এবং দীপ্তিময় ত্বক পেতে অন্যতম একটি প্যাক হলো পাকা কলা।
৭) তার সাথে এক টেবিল চামচ দই এবং 1 চা চামচ ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে নিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে রাখুন।
৮) এবং 30 মিনিট পর ধুয়ে নিন। এটা দেখবেন এক নিমিষেই ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে কলার ব্যবহার :
কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে ত্বকের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে। যে কারণে কুচকে যাওয়া, বুড়িয়ে যাওয়া ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে ত্বককে তরুণ রাখে।
১) ভিটামিন এ এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ অ্যান্টি-এজিং মাক্স তৈরীর ক্ষেত্রে একটি অ্যাভোকাডো এবং একটি কলা ভাল করে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন।
২) এবার এটি কুড়ি মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখুন।
৩) তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৪) এতে ত্বক উজ্জ্বল এবং টানটান হয়ে উঠবে।
৫) কলার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলি এবং এভোকাডোর মধ্যে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের ফ্রিরেডিকেল গুলির সাথে লড়াই করে ত্বকের ক্ষতি নিরাময় করে।
৬) এছাড়াও অর্ধেক কলা নিয়ে তার সাথে 1 চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেললে একটি সতেজ ত্বক উপহার পাবেন।
ত্বকের জেল্লা বাড়াতে কলার ব্যবহার :
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বককে আর্দ্র এবং কোমল রাখতে সহায়তা করে। তাই কলার সাহায্যে আপনি এই সমস্ত প্যাকগুলি ব্যবহার করে আপনার হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরিয়ে আনতে পারেন।
১) অর্ধেক পাকা কলা নিয়ে তার মধ্যে এক টেবিল চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়ো এবং 1 চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
২) এবার এটি পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে কুড়ি থেকে 25 মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) এবং তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অন্যতম একটি উপকারী ফেসপ্যাক।
৪) এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সহায়তা করবে।
৫) শুষ্ক ত্বকের জন্য অন্যতম একটি প্যাক হলো একটি পাকা কলার মধ্যে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
৬) এবার এই মিশ্রণটি পরিষ্কার মুখে রেখে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৭) এরপর ধুয়ে ফেলুন।
৮) এটি ত্বক থেকে দাগ ছোপ কমাবে এবং ত্বককে জেল্লাদার করে তুলবে।
৯) কলার সাথে দুধ ব্যবহার করেও ত্বককে জেল্লাদার করে তুলতে পারেন।
১০) কলাটি ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে তারমধ্যে দুধ মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল যোগ করুন।
১১) এবার এই মিশ্রণটি মুখে ঘাড়ে কুড়ি মিনিট রেখে দিন।
১২) তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।
ত্বকের মৃতকোষ অপসারণে কলার ভূমিকা :
ত্বককে সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে সপ্তাহে অন্তত দু’বার এক্সফোলিয়েশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলা দিয়ে তৈরি স্ক্রাব দিয়ে ত্বকের এক্সফোলিয়েশন করতে পারেন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান হওয়ায় ত্বকের ওপর দিয়ে মৃত কোষগুলি অপসারণের পাশাপাশি ত্বককে বাড়তি উজ্জ্বলতা দিয়ে থাকে। বাড়িতেই তৈরি করে নিন কলার স্ক্রাব।
১) একটি কলা নিয়ে ভালো করে ম্যাস করে নিন।
২) এর মধ্যে এক টেবিল চামচ চিনি যোগ করুন।
৩) এবার এটি ভালো করে মিশিয়ে ত্বকের ওপর বৃত্তাকারভাবে ঘষে নিন।
৪) এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে এবং চিনির দানা গুলো শরীরের মৃত কোষ গুলিকে সরাতে সহায়তা করবে।
৫) একটি পাকা কলা তার মধ্যে 2 টেবিল চামচ ওটস, 1 টেবিল চামচ মধু এবং দুধ যোগ করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
৬) এবার এটি মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট রেখে দিন।
৭) তারপর ভেজা হাতে মুখে ঘষে ঘষে তুলুন।
৮) এটি ত্বককে মসৃণ করে তুলবে।
৯) এছাড়া কলা দিয়ে বডি স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারে��� সে ক্ষেত্রে, দুটি কলা, চার-পাঁচটি স্ট্রবেরি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং এর মধ্যে 3 টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন।
১০) স্নান করার সময় সারা শরীরে ব্যবহার করুন।
ব্রণ কমাতে কলার উপকারিতা :
ব্রণ আমাদের সকলেরই অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তবে এটি নিরাময়ে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
১) কলার খোসার একটি ছোট টুকরো কেটে নিন।
২) এবার কলার খোসার ভেতরের অংশ আলতো করে ঘষুন এবং তারপর 5 মিনিটের জন্য তা রেখে দিন।
৩) এবার এটি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪) সপ্তাহে 3 দিন এটি ব্যবহার করুন। এক সপ্তাহেই তফাৎটা বুঝতে পারবেন।
চুলকানি দূর করতে কলার ব্যবহার :
অ্যালার্জির কারণে কিংবা পোকামাকড় কামড়ানোর ফলে চুলকানির সমস্যা গুলো দূর করার জন্য অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো কলা। এটি এলার্জি যুক্ত ত্বকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এইরকম জায়গায় কলার খোসা ভেতরের দিকটা ভালো করে ঘষে নিন। এতে স্বস্তি পাবেন।
১) এছাড়াও সোরিয়াসিস রোগের চিকিৎসার জন্য কলার খোসা টি আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন।
২) এবং প্রতিদিন 10 থেকে 15 মিনিটের জন্য একবার ব্যবহার করুন।
৩) আপনার ওষুধের ব্যবহারের পাশাপাশি এটি করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এটি ব্যবহার করবেন।
চোখের ফোলা ভাব কমাতে কলার ব্যবহার :
একনাগাড়ে কম্পিউটারে কাজ করলে কিংবা সঠিকভাবে ঘুম না হলে কিংবা চোখ খুব বেশি ঘষলে চোখের তলায় ফোলা ভাব দেখা দেয়। কলার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলি চোখের নিচের রক্তনালী গুলিকে স্বস্তি প্রদান করে চোখের ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে।
১) এর ফলে আপনাকে যা করতে হবে একটি কলার অর্ধেক অংশ নিয়ে চোখের ফোলা ভাব এর উপর পুরু করে লাগিয়ে রাখতে হবে।
২) এরপর পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করে তা ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩) কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম চোখের নিচের ফোলা ভাব কমাতে এবং সেই জায়গাটাকে ঠান্ডা ভাব দিতে সহায়তা করে।
পায়ের যত্নে কলার ব্যবহার :
দীর্ঘ সময় ধরে খালিপায়ে হাঁটাচলা করলে কিংবা হঠাৎ মরসুমের পরিবর্তন হলে সেক্ষেত্রে ফাটা গোড়ালির সমস্যা দেখা যেতে পারে। ফাটা গোড়ালির চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কলা।
১) দুটি পাকা কলা নিয়ে সেটাকে ভালো করে মিশিয়ে পরিষ্কার পায়ে লাগিয়ে রাখুন।
২) এবং 10 মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) 10 মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪) শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধ করে এবং ফাটা গোড়ালির সমস্যা দূর করে পায়ের ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে তা কোমল করে তোলে।
সৌন্দর্যের ঘুম নিন কলার ব্যবহার করে :
ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গিয়েছি অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করতে কলার ব্যবহার অনস্বীকার্য। তাই কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে নিজের ত্বককে চনমনে করে তুলতে একটা বিউটি স্লিপ আবশ্যিক। সে ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত চাপ থাকে কিংবা স্ট্রেস থাকে সকালে উঠে একটা কলা খেয়ে নিন। তাহলে সারাটাদিন চাপমুক্ত থাকবেন। এর পাশাপাশি কাজের ফাঁকে 5 থেকে 10 মিনিটের একটা ছোট্ট বিশ্রাম নিয়ে নিন। এতে আপনি আরো চনমনে হয়ে উঠবেন। এতে আপনার ত্বক উজ্জল হয়ে উঠবে।
চুলের জন্য কলার উপকারিতা – Hair Benefits of Banana in Bengali
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য এবং ত্বকের যত্নে কলার ভূমিকা ��ম্পর্কে আমরা জেনে নিয়েছি। এবার জেনে নিন চুলের যত্নে কিভাবে কলা ব্যবহার করতে পারবেন। (১৭)
চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার উপকারিতা :
কলার মধ্যে থাকা ফলিক অ্যাসিড চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি চুলে আর্দ্রতা প্রদান করে। যার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায় না। কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম চুলকে প্রাকৃতিক ভাবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। কলা দিয়ে চুলের পরিচর্যার জন্য অনেকগুলো প্যাক রয়েছে জেনে নিন সেগুলো।
নরম চুলের জন্য :
১) নরম চুল পেতে গেলে একটি পাকা কলার সাথে এভোক্যাডো নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
২) এবার এই মিশ্রণটিতে নারকেলের দুধ যোগ করুন।
৩) এবার এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে 15 থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪) তারপর হারবাল কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
চকচকে চুলের জন্য :
১) চকচকে চুল পেতে গেলে একটি কলার খোসা এবং অলিভ অয়েল এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
২) এই মিশ্রণটি আপনার চুলে লাগিয়ে 15 মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) তারপর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তা দিয়ে চুল ধুয়ে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
স্ট্রং চুলের জন্য :
১) পাকা কলা এবং দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
২) এবার এই মসৃণ পেস্টটি মাথায় লাগিয়ে 15 থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৪) এটি সপ্তাহে দুদিন করুন। চুল মজবুত হবে।
৫) যারা শুষ্ক চুলের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি। একটি পাকা কলার সাথে 3 চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
৬) এবার এই মিশ্রণটি চুলটা ভেজা অবস্থায় লাগিয়ে নিন।
৭) এবার 15 থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৮) তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য :
১) একটি কলা এবং তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল নিয়ে মিক্সারে ভালো করে পিষে নিন।
২) এবার এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে 15 থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং সি চুলকে আর্দ্রতা প্রদান করে নরম এবং উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করবে।
তবে এগুলো ব্যবহার করার পর অবশ্যই মনে রাখবেন, চুল ধোয়ার পরে যাতে চুলে কোনরকম কলার টুকরো বা অংশ আটকে না থাকে
এতে চুল চ্যাটচ্যাটে ধরনের হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এগুলি চুলে খুব বেশি শুকোতে দেবেন না। কিছুক্ষণ লাগিয়ে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। না হলে এগুলি চুলে আটকে থাকতে পারে এবং চুল কে রুক্ষ করে তুলতে পারে।
কলার পুষ্টিগত মান – Banana (Kela) Nutritional Value in Bengali
পুষ্টি পুষ্টিগত মান % শক্তি ৯০ কিলো ক্যালোরি ৪.৫% কার্বোহাইড্রেট ২২.৮৪ গ্রাম ১৮% প্রোটিন ১.০৯ গ্রাম ২% ফ্যাট ০.৩৩ গ্রাম ১% ফাইবার ২.৬০ গ্রাম ৭% ভিটামিন ফোলেট ২০ µg ৫% নিয়াসিন ০.৬৬৫ মিলিগ্রাম ৪% প্যান্টোথেনিক এসিড ০.৩৩৪ গ্রাম ৭% পাইরোডক্সিন ০.৩৭৬ মিলিগ্রাম ২৮% রিবোফ্ল্যাবিন ০.০৭৩ গ্রাম ৫% থিয়ামিন ০.০৩১ মিলিরাম ২% ভিটামিন এ ৬৪ IU ২% ভিটামিন সি ৮.৭ মিলগ্রাম ১৫% ভিটামিন ই ০.১০ মিলিগ্রাম ১% ভিটামিন কে ০.৫ µg ১% ইলেক্ট্রোলাইট সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম ১% পটাসিয়াম ৩৫৮ মিলিগ্রাম ৮% মিনারেল ��্যালসিয়াম ৫ মিলিগ্রাম ০.৫% কোপার ০.০৭৮ মিলিগ্রাম ৮% আয়রন ০.২৬ মিলিগ্রাম ২% ম্যাগনেসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম ৭% ম্যাঙ্গানিজ ০.২৭০ মিলিগ্রাম ১৩% ফসফরাস ২২মিলিগ্রাম ৩% সেলেনিয়াম ১.০ µg ২% জিঙ্ক ০.১৫ mg ১% ফাইট নিউট্রিয়েন্ট আল্ফ়া ক্যারোটিন ২৫ µg — বিটা ক্যারোটিন ২৬ µg — লিউটিন জিজানথিন ২২ µg —
কলার ব্যবহার – How to Use Banana in Bengali
ইতিমধ্যেই কলার গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকটাই জেনে নিয়েছি। এবার কলা কিভাবে, কত পরিমাণ, কখন খাওয়া উচিত সেগুলো আমরা জেনে নি। মূলত কলা সরাসরি খাওয়ার পাশাপাশি রান্না করে অনেকাংশে খাওয়া যেতে পারে। জেনে নিন কিভাবে সেটি ব্যবহার করবেন।
১) প্রাতরাশ এ ব্যবহার করুন দুটি বড় বড় কলা, এক কাপ বাদাম দুধ, চিনাবাদাম, কোকো পাউডার, ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে একটি স্মুদি বানিয়ে নিন।
২) কলা এবং অ্যাভোকাডো দিয়ে স্মুদি। একটা কলা, একটা এভোকাডো, এক কাপ দই, বাদাম দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স, মধু এবং বরফের টুকরো দিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে প্রাতরাশে খান।
সঠিক কলা বাছাই করে সেটা অনেকদিন পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখার উপায়
কলা কেনার সময় মাথায় রাখবেন সেগুলি যাতে খুব বেশি শক্ত কিংবা খুব বেশি নরম না হয়। যে কলার গায়ে বাদামী রংয়ের হালকা দাগ রয়েছে সেগুলি ব্যবহার করুন। কেননা সে গুলি খাওয়ার জন্য উপযুক্ত। অথবা যদি রান্না করতে চান সে ক্ষেত্রে সবুজ রংয়ের কাঁচা কলা ব্যবহার করে নিতে পারেন। সেটাও অনেকদিন ভালো থাকবে এবং ভাল করে রান্না করে খেতে পারবেন। কলা যদি অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখতে চান সে ক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রায় রাখুন। সরাসরি সূর্যের তাপের কাছাকাছি কিংবা রে��্রিজারেটরে কখনোই রাখবেন না। আর কলা অন্যান্য ফলের থেকে আলাদা রাখবেন। সম্ভব হলে ঘরের মধ্যে দড়ি টাঙ্গিয়ে সেখানে কলা ঝুলিয়ে রাখুন, এতে তা অনেক দিন স্থায়ী হবে।
কলার ক্ষতিকর দিক – Side Effects of Banana in Bengali
ইতিমধ্যেই আমরা কলার গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিয়েছি। তবে এবার জেনে নিন কলার ক্ষতিকর দিকগুলো। কোন জিনিসই অতিরিক্ত ব্যবহার ঠিক নয়। এক্ষেত্রে কলাও তার ব্যতিক্রম নয়। জেনে নিন কলার ক্ষতিকর দিকগুলি :
১) কলার মধ্যে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে। তাই এটি কখনোই দিনে দুটির বেশি খাবেন না।
২) গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করবেন।
৩) কলা গাছের পাতা, কান্ড সবকিছুই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু কোনোরকম এলার্জিরসমিস্যা থাকলে দেখে নেবেন কলা গাছের কোন বিশেষ অংশ আপনার খাওয়া উচিত নয়।
৪) কলার মধ্যে উচ্চমাত্রায় অ্যামিনো এসিড থাকায় এটি অধিকগ্রহণের ফলে রক্তনালীতে প্রভাব পড়তে পারে। যার ফলে মাথাব্যথার সৃষ্টি হয় এবং এর মধ্যে ট্রিপটোফ্যান থাকায় এটি বেশি পরিমাণে খাবার ফলে বেশি ঘুম পাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
৫) কলা শর্করা সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় এটি খাওয়ার পর ঠিকভাবে মুখ না ধুলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।
৬) পটাশিয়ামের অধিগ্রহণের ফলে হাইপারক্যালেমিয়া রোগ দেখা দিতে পারে। যার ফলে পেশির দুর্বলতা কিংবা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা হতে পারে। তাই দৈনিক অল্প পরিমাণে কলা খেতে হবে।
৭) অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণ খান।
৮) যদি কারো কিডনির সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে তাদের কলা খাওয়ার পরিমান করিয়ে দেওয়া উচিত। কেননা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে তা কিডনির ব্যথা সৃষ্টি করতে পারেন।
তাহলে ইতিমধ্যেই জেনে নিয়েছেন কলার গুনাগুন গুলি। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? এগুলি মেনে চলুন এবং নিজে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন এবং ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য রক্ষায় ত্বক পরিচর্যায় কলার ব্যবহার গুলো জেনে নিয়েছেন সেগুলি মেনে চলুন।
The following two tabs change content below.
Latest posts by StyleCraze (see all)
কলার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Banana Benefits, Uses and Side Effects in Bengali – January 21, 2020
থ��নকুনি পাতার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Gotu Kola Benefits and Side Effects in Bengali – January 21, 2020
টমেটোর উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Tomato Benefits, Uses and Side Effects in Bengali – January 21, 2020
নিম পাতার উপকারিতা, ব্যাবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Neem Benefits, Uses and Side Effects in Bengali – January 16, 2020
তুলসী পাতার উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Basil Benefits, Uses and Side Effects in Bengali – January 14, 2020
StyleCraze
Source: https://www.stylecraze.com/bengali/kolar-upokarita-byabohar-khotikor-dik-in-bengali/
0 notes
Video
youtube
ভিডিওটি ভাল লাগলে লাইক করবেন এবং শেয়ার করবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Bangla Health Tips - Fusion Care চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন : ▶ https://goo.gl/dRFLfW আপনি এই চ্যানেল-এ পাবেন ( Bangla health tips / বাংলায় সমাধান) আমাদের জীবন সমস্যার সমাধান : আজকের পর্ব : গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় ভুগছেন? ১০০% কার্যকরি প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিন - Bangla Health Tips ভিডিওটি ভাল লাগলে লাইক করবেন এবং শেয়ার করবেন। আরো নিত্য নতুন আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইভ করে আমাদের সঙ্গে থাকুন । ✅গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় ভুগছেন? ১০০% কার্যকরি প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিন (gastritis problem solution) : গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়তে হয় না এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। কম কিংবা বেশি সবাইকেই এই সমস্যায় পড়তে হয়। খাবারে সামান্য একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয়ে যায় গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক ব্যথা। অনেক সময় অতিরিক্ত অনিয়মে এই সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই সৃষ্টি করে আলসার। তাই শুরুতেই সতর্ক হওয়া জরুরি। জেনে রাখা উচিৎ গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। #fusioncare #গ্যাস্ট্রিক #gastritis_problem_solution #banglahealthtips #health_benefits #health_tips #Health_and_Beauty_Tips #health_tips_for_you #home_remedies Music Info: Serious Documentary by AShamaluev. Music Link: https://youtu.be/PZBx12olpCc DISCLAIMER: THIS IS FOR OUR EDUCATION PURPOSE PLEASE CONSULTS YOUR DOCTOR BEFORE APPLYING ANY REMEDIES. ; All the video content published on our channel is our own creativity for information only. We are NOT a licensed or a medical practitioner so always consult professional in case you need. Viewers are subjected to use these information on their own risk.This channel (Fusion Care) does not take any responsibility for any harm, side-effects, illness or any health or skin care problems caused due to our videos. by Fusion Care
0 notes
Text
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা ও সহজ সমাধান !
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভূগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি দামি ওষুধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস দিয়ে যদি করা যায় এর নিরাময়, তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করার কি দরকার।
আসুন এরকম কিছু উপাদানের কথা জেনে নিই:
লংঃ- যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন, তবে লং হতে পারে আপনার সঠিক পথ্য। দুইটি লং মুখে নিয়ে চিবাতে থাকুন, যেন রসটা আপনার ভেতরে যায়। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে।
জিরাঃ- এক চা চামচ জিরা নিয়ে ভেজে ফেলুন। এবার এটিকে ��মন ভাবে গুড়া করুন যেন পাউডার না হয়ে যায়, একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এই গুড়াটি একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
গুঁড়ঃ- গুঁড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুঁড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগিদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ।
মাঠাঃ- দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরী মাঠা একসময় আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় ছিল। এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে যদি এর সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া যোগ করেন।
পুদিনা পাতাঃ- পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
বোরহানীঃ- বিয়ে বাড়িতে আমাদের বোরহানী না হলে চলেই না। টক দই, বীট লবণ ইত্যাদি নানা এসিড বিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরী বল��� এটি হজমে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ভারী খাবারের পর একগ্লাস করে খেতে পারলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
তুলসী পাতাঃ- হাজারো গুণে ভরা তুলসী পাতার কথা আপনারা সবাই জানেন। এসিডিটি দূর করতেও এর ভূমিকা অনন্য। যখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে ৫-৬ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে দেখবেন এসিডিটি কমে গেছে। তুলসী পাতা যে প্রতিদিন ব্লেন্ড করে পানি দিয়ে খাবেন, তার এসিডিটি হওয়ার প্রবনতা অনেক কমে যাবে।
আঁদাঃ- আঁদাও এমন একটি ভেষজ উপাদান যা আমাদের অনেক কাজে লাগে। প্রতিবার খাদ্য গ্রহনের আধা ঘন্টা আগে ছোট এক টুকরো আঁদা খেলে দেখবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা গায়েব হয়ে গেছে।
দুধঃ- দুধের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীর এসিড কমাতে সাহায্য করে। রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে খলি পেটে সেই ঠান্ডা দুধটুকু খেলে সারাদিন এসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা যাবে। তবে কারো পেট দুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল, এদের ক্ষেত্রে দুধ খেলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।
ভ্যানিলা আইসক্রিমঃ- আইসক্রিম খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন ভ্যানিলা আইসক্রিম শুধু আমাদের তৃপ্তিই যোগায় না, সাথে এসিডিটি দুর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে!
Continue reading গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা ও সহজ সমাধান ! at Natural Ayurveda LTD – স্বাস্থ্য সেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ.
from গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা ও সহজ সমাধান !
0 notes
Photo

��ুপারেক্স ও এসএএফ’র চামড়া বর্জ্য এবং কেমিক্যালের দুর্গন্ধে অতিষ্ট যশোরের অভয়নগরের জনগণ যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর পাড়ের লক্ষাধিক মানুষের জীবন আজ অতিষ্ঠ সুপারেক্স ও এসএএফ লেদার মিলের বর্জ্য পচা দুর্গন্ধে। নাক টিপে ও দূর্গন্ধ সহ্য করে বহু কষ্টে নদী পার হতে হয় এপারের সাধারণ মানুষের। খুলনার ফুলতলা উপজেলার উত্তরডিহিতে ভৈরব নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে সুপারেক্স লেদার মিল। এই মিলের উত্তর-পূর্ব পাড়ে অভয়নগরের ৪টি ইউনিয়ন ও নড়াইলের বিছালী ইউনিয়ন। অথচ এই মিলের বর্জ্য পচা দূষিত দূষণে বাতাস হয়ে ওঠে বিষাক্ত। এই মিলে চামড়া প্রক্রিয়াজাত এবং বিভিন্ন কাঁচামাল তৈরি করার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার ফলে অনেক বর্জ্য নির্গত হয়। বর্জ্য পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। পচনকৃত বর্জ্য এবং ব্যবহৃত বাসায়নিক পদার্থ সমুহ ভৈরব নদে ড্রেনেজের মাধ্যমে নির্গত করে এবং বাতাসে ছেড়ে দেয় বলে বিশেষ তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়। যার ফলে এর দুর্গন্ধে ভৈরব নদ পেরিয়ে উত্তরে অবস্থিত অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ অতিষ্ট। প্রায় ২-৩ কি.মি. জুড়ে এই দুর্গন্ধ বিস্তৃত হয়। অথচ দুর্গন্ধ বিনষ্টকারী কোনো ক্যামিক্যাল মিল কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করেন না বলে জানা যায়। সুপার ও এসএএফ লেদার মিল থেকে ভৈরব নদের পানিতে চামড়ার লোমসহ অনেক বর্জ্য লক্ষ্য করা গেছে। এই নদের পানি অনেকেই ব্যবহার করে থাকে। নদের পানিতে মাছের বসবাস এবং প্রজননে ব্যাপকভাবে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক মাছ মরতে দেখা গেছে। বড় বড় মাছ পানির উপরে লাফিয়ে উঠতে দেখা গেছে। ঐতিহ্যবাহি ভাটপাড়া বাজারসহ গ্রামবাসী, পাইকপাড়া, ভুগিলহাট এবং অভয়নগর গ্রামের লোকজন বিভিন্ন রোগ যেমন গ্যাস্ট্রিক, হাঁপানি, এ্যাজমা, ব্রংকাইটিজ, চুলকানি পাঁচড়াসহ নানাবিধ চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভাটপাড়া বাজারের একাধিক চিকিৎসক বলেন চামড়ার মিলের বর্জ্যের দুর্গন্ধের কারণে শ্বাসকস্টসহ চর্মরোগীর পরিমান হতাশাজনক হারে বেড়ে চলেছে। দুর্গন্ধ ছড়ানো বন্ধ না হলে এ অ লে এসকল রোগ মহামারী আকারে দেখা দিবে বলে তাদের ধারণা। এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুল যেমন ভাটপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ভাটপাড়া হোপ মডেল একাডেমি, অভয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবংঅভয়নগর পাইলট বিদ্যালয়ের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা দুর্গন্ধে স্কুলে অবস্থান করতে পারছেননা। বাজােেরর দোকানদাররা দুর্গন্ধের কারণে ঠিকমত দোকানদারী করতে পারছেনা। ভৈরব নদের কোল ঘেঁষে ভাটপাড়া পুলিশ তদন্তÍকেন্দ্র অবস্থিত। তারাও ঠিকমত অবস্থান করতে পারছেননা। ��দন্তকেন্দ্রের আইসি ইন্সপেক্টর আব্দুল মান্নান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা খুব বিপদে আছি। দুর্গন্ধে থাকতে পারছিনা। তাছাড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। এর সমাধান না হলেতো এখানে থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে। সুপারেক্স চামড়ার মিলের ঠিক বিপরীতে ভৈরব নদের তীরে ছেলেমেয়েদের আনন্দ দান এবং কাজের ক্লান্তি দুর করতে গড়ে উঠেছে আনন্দ ভুবন ইকোপার্ক। কিন্তু দুর্গন্ধের কারণে সেখানেও লোকজন আসা কমিয়ে দিয়েছে বলে পার্ক কর্তৃপ���্ষ জানান। ভাটপাড়া খেয়াঘাট প্রায় মিল সংলগ্ন। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পার হয়ে দুর দুরান্তে যায়। খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোরসহ অনেক অ লের মানুষ এই ঘাট দিয়ে পার হয়ে তাদের গন্তব্যে যায়। কিন্তু ঘাটে পার হতে গিয়ে দুর্গন্ধ পাওয়ার পর যাত্রীদের কাছে এই ঘাট দিয়ে আর পার হবনা বলতে শোনা যায়। দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে ভৈরব উত্তরের মানুষের মাঝে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। দুর্গন্ধ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া না হলে যে কোনো সময় তারা আন্দোলন শুরু করতে পারে বলে জন প্রতিনিধিসহ সচেতনমহল এ প্রতিবেদককে জানান। শুধু ভৈরব উত্তরের অধিবাসীই নয় এর দুর্গন্ধে মিলের আশপাশের এলাকা উত্তরডিহি, পায়গ্রাম কসবা, জুগ্নিপাশার লোকজনও অতিষ্ট হয়ে উঠছে। এ সম্পর্কে সুপারেক্স লেদার মিলের ম্যানেজার আমীর আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, এটা চামড়া বা চামড়া বর্জ্যের পঁচনের কোনো গন্ধ নয় এটা ক্যামিক্যালের গন্ধ। মিলের মধ্যে কোনো গন্ধ নেই। তবে আমি ইঞ্জিনিয়ারকে বলে দিব আর গন্ধ বের হবে না। সরেজমিনে গেলে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ আহমেদ প্রতিবেদককে বলেন, এ বর্জ্য ও ক্যামিক্যালের দুর্গন্ধ ড্রেনেজের মাধ্যমে নদীতে ছাড়লে নদীর পানি নষ্ট হবে তাই আমরা বিশেষ প্রক্রিয়ায় বায়বীয় ভাবে এটা নিঃসরণের চেষ্টা করি। তবে টিউব পাইপের মাধ্যমে বিশেষ কায়দায় এ দুর্গন্ধ দুর করা সম্ভব। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারকে এর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। যাহাতে স্বাস্থ্যহানিকর দুর্গন্ধ বের না হয় তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মিল কর্তৃপক্ষের কাছে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
0 notes
Photo

আদা চায়ের যত গুণ চা পান করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে মানুষভেদে চায়ের ধরনের ভিন্নতা রয়েছে যেমনকেউ দুধ চা, কেউ রং চা, আবার কেউ লেবু চা বা আদা চা পছন্দ করেন। বিশেষ বরে, আদা চায়ের গুণাগুণ অনেক। যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য আদা চা-ই পারফেক্ট। আদা চায়ের উপকারি গুণের কারণে এর রয়েছে অনেকগুলো স্বাস্থ্যকারী দিক ১. আদা চা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতে এককাপ আদা চা আমাদের শরীরকে গরম করে আর ঠাণ্ডা লাগা এবং সর্দি কাশি থেকে দূরে রাখে। ���. সারাদিনের কর্মব্যস্ততার ক্লান্তি দূর করতে এককাপ ধোঁয়া ওঠা আদা চা আপনার ক্লান্তিকে রাখবে দূরে আর করে তুলবে সতেজ। ৩. বমি বমি ভাব হচ্ছে? এক কাপ আদা চা হতে পারে ভালো সমাধান। কোথাও যাওয়ার আগে কয়েক চুমুক আদা চা খান। উপকার পাবেন। ৪. আদা চা হজমশক্তি বাড়ায়। এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমস্যা দূর করে হজমে সাহায্য করে। ৫. এক কাপ আদা চা শরীরের রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। এতে করে শরীরের নানা অংশে রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৬.শ্বাস নিতে কষ্ট দেখা দিলে এক কাপ আদা চা খেতে পারেন। বেশ উপকারী বন্ধু হিসেবেই কাজ করবে এটি।
0 notes
Photo

গ্যাস্ট্রিক থেকে দূরে থাকার উপায় বাদল আহমেদ গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভুগতে হয় এ সমস্যায়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে অনেকেই অনেক খাবার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু তারপরেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারেন না। গ্যাস্ট্রিকের মূল কারণগুলো হলো এসিডিটি, হজমের সমস্যা, বুক জ্বালা পোড়া করা ইত্যাদি। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথার আরো কিছু কারণ হতে পারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, ফুড পয়জনিং, কিডনিতে পাথর, আলসার ইত্যাদি। দেখুন কিভাবে উপকৃত হবেন --- গ্যাস্ট্রিকের ব্যথায় সাথে সাথে আরাম পেতে চাইলে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে। বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক চা যেমন সবুজ চা, পুদিনা চা, তুলসী চা এগুলো হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করে। তেঁতুল পাতা বাটা এক গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেক ৮ গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে রস খান। তাহলে পেটে গ্যাস জমবে না এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার থেকে মুক্তি মিলবে। যারা আদা সরাসরি খেতে পারেন না তাঁরা রান্নায় বেশি করে আদা ব্যবহার করুন। ডাবের পানি খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং সব খাবার সহজেই হজম হয়ে যায়। তাই সম্ভব হলে প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। আলু বেটে কিংবা ব্লেন্ডারে ব্ল্রেন্ড করে চিপে রস বের করে নিন। এবার এই রস প্রতিবার খাওয়ার আগে খেয়ে নিন। মধু গ্যাস্ট্রিক সারাতে সাহায্য করে। আর হ্যা, তৈলাক্ত খাবার যথাসম্ভব বর্জন করুন। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম থেকে দূরে থাকতে পারবেন। দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরি মাঠা এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে যদি এর সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া যোগ করেন। ENO কিনে রাখুন ঘরে, বেশ কার্যকর l আমার ক্ষেত্রে কোমল পানীয়ও কাজে দেয় l গ্যাস্টিক অনেক সময় বড় রোগের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে তাই প্রথম অবস্থাতেই এর সমাধান চিন্তা করুন। আর প্রাকৃতিক এইসব উপায়েই আপনি করতে পারেন এর প্রতিকার। তবে মনে রাখবেন অসুস্থতায় নিজের যত্নের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শেরও প্রয়োজন আছে
0 notes
Video
youtube
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি দূর করার ঘরোয়া উপায় বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান।
দীর্ঘসময় যাবৎ খাবারের অনিয়ম এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবারের কারণে অনেককেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তাদের খাবারে সামান্য একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয়ে যায় গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক ব্যথা। অনেক সময় অতিরিক্ত অনিয়মে এই সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই সৃষ্টি করে আলসার। তাই শুরুতেই সতর্ক হওয়া জরুরি। আজ জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক সমস্যার চটজলদি দারুণ কিছু প্রাকৃতিক সমাধান। সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এই সমাধানগুলো দূর করবে সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক এর ৭টি ঘরোয়া ঔষধ সর্ম্পকে যা গ্যাস্ট্রিক/এসিডিটি দূর করবে। যা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির সহজ উপায় বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ ঘরোয়া সমাধান।
১) বেকিং সোডা বেকিং সোডা পেটের অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পেতে সাহায্য করে। ১ গ্লাস পানিতে ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন। ভালো ফলাফল পাবেন।
২) আদা আদার ওষধি গুণ গ্যাসের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া, হজমে সমস্যা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দ্রুত সমাধানে সক্ষম। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদার রস বের করে পান করতে পারেন কিংবা আদা পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করে নিলেও সমস্যার সমাধান হবে।
৩) কাঁচা আলুর রস আলু স্লাইস করে কেটে ওপরে কিছুটা লবণ ছিটিয়ে রেখে দিন পুরো রাত। পরের দিন এই আলুর রস বের করে পান করুন। দিনে ৩ বার আধা কাপ আলুর রস পান করলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
৪) পেয়ারা পাতা ২ কাপ পানিতে পেয়ারা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ১ কাপ পরিমাণে হলে ছেঁকে পান করুন। এতেও বেশ ভালো উপকার হবে।
৫) হলুদের পাতা হলুদের পাতা কুচি করে কেটে প্রতিদিন দুধের সাথে মিশিয়ে পান করে নিন। এতে করে ��েটে ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে।
৬) আপেল সাইডার ভিনেগার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পেতে এর জুড়ি নেই। ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করে ফেলুন।
৭) দারুচিনি দারুচিনি খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে কার্যকরী। দারুচিনি অ্যাসিডিটি সমস্যা কমায়, গ্যাস দূর করে। দারুচিনি প্রদাহ কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও বিশেষভাবে কার্যকরী। ভালো ফলাফল পেতে কফি, দুধ অথবা ওটমিলের সাথে দারুচিনি গুঁড়ো যোগ করে নিন
0 notes
Video
youtube
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি দূর করার ঘরোয়া উপায় বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান।
দীর্ঘসময় যাবৎ খাবারের অনিয়ম এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবারের কারণে অনেককেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তাদের খাবারে সামান্য একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয়ে যায় গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক ব্যথা। অনেক সময় অতিরিক্ত অনিয়মে এই সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই সৃষ্টি করে আলসার। তাই শুরুতেই সতর্ক হওয়া জরুরি। আজ জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক সমস্যার চটজলদি দারুণ কিছু প্রাকৃতিক সমাধান। সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এই সমাধানগুলো দূর করবে সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক এর ৭টি ঘরোয়া ঔষধ সর্ম্পকে যা গ্যাস্ট্রিক/এসিডিটি দূর করবে। যা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির সহজ উপায় বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ ঘরোয়া সমাধান।
১) বেকিং সোডা বেকিং সোডা পেটের অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পেতে সাহায্য করে। ১ গ্লাস পানিতে ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন। ভালো ফলাফল পাবেন।
২) আদা আদার ওষধি গুণ গ্যাসের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া, হজমে সমস্যা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দ্রুত সমাধানে সক্ষম। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদার রস বের করে পান করতে পারেন কিংবা আদা পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করে নিলেও সমস্যার সমাধান হবে।
৩) কাঁচা আলুর রস আলু স্লাইস করে কেটে ওপরে কিছুটা লবণ ছিটিয়ে রেখে দিন পুরো রাত। পরের দিন এই আলুর রস বের করে পান করুন। দিনে ৩ বার আধা কাপ আলুর রস পান করলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
৪) পেয়ারা পাতা ২ কাপ পানিতে পেয়ারা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ১ কাপ পরিমাণে হলে ছেঁকে পান করুন। এতেও বেশ ভালো উপকার হবে।
৫) হলুদের পাতা হলুদের পাতা কুচি করে কেটে প্রতিদিন দুধের সাথে মিশিয়ে পান করে নিন। এতে করে পেটে ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে।
৬) আপেল সাইডার ভিনেগার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পেতে এর জুড়ি নেই। ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করে ফেলুন।
৭) দারুচিনি দারুচিনি খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে কার্যকরী। দারুচিনি অ্যাসিডিটি সমস্যা কমায়, গ্যাস দূর করে। দারুচিনি প্রদাহ কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও বিশেষভাবে কার্যকরী। ভালো ফলাফল পেতে কফি, দুধ অথবা ওটমিলের সাথে দারুচিনি গুঁড়ো যোগ করে নিন
0 notes
Video
youtube
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি দূর করার ঘরোয়া উপায় বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান।
দীর্ঘসময় যাবৎ খাবারের অনিয়ম এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবারের কারণে অনেককেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তাদের খাবারে সামান্য একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয়ে যায় গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক ব্যথা। অনেক সময় অতিরিক্ত অনিয়মে এই সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই সৃষ্টি করে আলসার। তাই শুরুতেই সতর্ক হওয়া জরুরি। আজ জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক সমস্যার চটজলদি দারুণ কিছু প্রাকৃতিক সমাধান। সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এই সমাধানগুলো দূর করবে সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক এর ৭টি ঘরোয়া ঔষধ সর্ম্পকে যা গ্যাস্ট্রিক/এসিডিটি দূর করবে। যা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির সহজ উপায় বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ ঘরোয়া সমাধান।
১) বেকিং সোডা বেকিং সোডা পেটের অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পেতে সাহায্য করে। ১ গ্লাস পানিতে ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন। ভালো ফলাফল পাবেন।
২) আদা আদার ওষধি গুণ গ্যাসের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া, হজমে সমস্যা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দ্রুত সমাধানে সক্ষম। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদার রস বের করে পান করতে পারেন কিংবা আদা পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করে নিলেও সমস্যার সমাধান হবে।
৩) কাঁচা আলুর রস আলু স্লাইস করে কেটে ওপরে কিছুটা লবণ ছিটিয়ে রেখে দিন পুরো রাত। পরের দিন এই আলুর রস বের করে পান করুন। দিনে ৩ বার আধা কাপ আলুর রস পান করলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
৪) পেয়ারা পাতা ২ কাপ পানিতে পেয়ারা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ১ কাপ পরিমাণে হলে ছেঁকে পান করুন। এতেও বেশ ভালো উপকার হবে।
৫) হলুদের পাতা হলুদের পাতা কুচি করে কেটে প্রতিদিন দুধের সাথে মিশিয়ে পান করে নিন। এতে করে পেটে ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে।
৬) আপেল সাইডার ভিনেগার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পেতে এর জুড়ি নেই। ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করে ফেলুন।
৭) দারুচিনি দারুচিনি খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে কার্যকরী। দারুচিনি অ্যাসিডিটি সমস্যা কমায়, গ্যাস দূর করে। দারুচিনি প্রদাহ কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও বিশেষভাবে কার্যকরী। ভালো ফলাফল পেতে কফি, দুধ অথবা ওটমিলের সাথে দারুচিনি গুঁড়ো যোগ করে নিন
0 notes
Text
গ্যাস্ট্রিক কিংবা এসিডিটি সমস্যার প্রকৃতিক কিছু সমাধান
গ্যাস্ট্রিক কিংবা এসিডিটি সমস্যার প্রকৃতিক কিছু সমাধান
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভূগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি দামি ওষুধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস দিয়ে যদি করা যায় এর নিরাময়, তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করার কি দরকার। আসুন এরকম কিছু উপাদানের কথা জেনে নিই।
[health]
লংঃ যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন,…
View On WordPress
0 notes
Text
গ্যাস্ট্রিক কিংবা এসিডিটি সমস্যার প্রকৃতিক কিছু সমাধান
গ্যাস্ট্রিক কিংবা এসিডিটি সমস্যার প্রকৃতিক কিছু সমাধান
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভূগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি দামি ওষুধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস দিয়ে যদি করা যায় এর নিরাময়, ���াহলে বাড়তি টাকা খরচ করার কি দরকার। আসুন এরকম কিছু উপাদানের কথা জেনে নিই।
[health]
লংঃ যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন,…
View On WordPress
0 notes
Video
youtube
ভিডিওটি ভাল লাগলে লাইক করবেন এবং শেয়ার করবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Bangla Health Tips - Fusion Care চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন : ▶ https://goo.gl/dRFLfW আপনি এই চ্যানেল-এ পাবেন ( Bangla health tips / বাংলায় সমাধান) আমাদের জীবন সমস্যার সমাধান : আজকের পর্ব : গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় ভুগছেন? ১০০% কার্যকরি প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিন - Bangla Health Tips ভিডিওটি ভাল লাগলে লাইক করবেন এবং শেয়ার করবেন। আরো নিত্য নতুন আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইভ করে আমাদের সঙ্গে থাকুন । ✅গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় ভুগছেন? ১০০% কার্যকরি প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিন (gastritis problem solution) : গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়তে হয় না এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। কম কিংবা বেশি সবাইকেই এই সমস্যায় পড়তে হয়। খাবারে সামান্য একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয়ে যায় গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক ব্যথা। অনেক সময় অতিরিক্ত অনিয়মে এই সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই সৃষ্টি করে আলসার। তাই শুরুতেই সতর্ক হওয়া জরুরি। জেনে রাখা উচিৎ গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। #fusioncare #গ্যাস্ট্রিক #gastritis_problem_solution #banglahealthtips #health_benefits #health_tips #Health_and_Beauty_Tips #health_tips_for_you #home_remedies Music Info: Serious Documentary by AShamaluev. Music Link: https://youtu.be/PZBx12olpCc DISCLAIMER: THIS IS FOR OUR EDUCATION PURPOSE PLEASE CONSULTS YOUR DOCTOR BEFORE APPLYING ANY REMEDIES. ; All the video content published on our channel is our own creativity for information only. We are NOT a licensed or a medical practitioner so always consult professional in case you need. Viewers are subjected to use these information on their own risk.This channel (Fusion Care) does not take any responsibility for any harm, side-effects, illness or any health or skin care problems caused due to our videos.
0 notes
Text
গ্যাস্ট্রিক কিংবা এসিডিটি সমস্যার প্রকৃতিক কিছু সমাধান
গ্যাস্ট্রিক কিংবা এসিডিটি সমস্যার প্রকৃতিক কিছু সমাধান
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভূগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি দামি ওষুধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস দিয়ে যদি করা যায় এর নিরাময়, তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করার কি দরকার। আসুন এরকম কিছু উপাদানের কথা জেনে নিই।
[health]
লংঃ যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন,…
View On WordPress
0 notes