#আফ্রিকার ৩ দেশে
Explore tagged Tumblr posts
Text
শতাধিক জঙ্গি নিহত আফ্রিকার তিন দেশে
নিউজনাউ ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার তিন দেশ নাইজেরিয়া, নাইজার ও ক্যামেরুনে যৌথ সামরিক বাহিনীর অভিযানে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে। এই জঙ্গিদের সবাই বোকো হারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পশ্চিম আফ্রিকা শাখা ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্সের (আইএসডব্লিউএপি) সদস্য। পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে বোকো হারাম ও আইএসডব্লিউএপির দৌরাত্ম অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় গত বছর থেকে…
View On WordPress
0 notes
Photo
“বেশ কয়েকদিন ধরে তোকে দেখছিনা কেন? ক্লাসেও আসিস না! কি হইছে?” কাফির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো তাহমিদ। “দেখবি কি করে! আমার যে জ্বর যাচ্ছে সেটা ত খেয়াল রাখিস না” কিছুটা রেগেই উত্তর দিলো কাফি। “জ্বর! কি বলিস! কবে থেকে? তুইও ত কিছু জানালি না। ডাক্তার দেখাইছিস?” এক নিশ্বাসে সবগুলো প্রশ্ন করে বসলো তাহমিদ। “না, ডাক্তার দেখাইনি। জ্বর হুট করে আসে যায়। আর মাথা আর ঘাড় ব্যথা। লাইটের আলো চোখে পড়লে ত আরো মাথা ব্যথা বেড়ে যায়” বিষন্ন কণ্ঠে জানালো কাফি।
শুনে কিছুক্ষণ চুপ দুইজন। খানিকবাদে তাহমিদ বললো, “চিন্তা করিস না। শুনে মনে হচ্ছে মাইগ্রেন এর সমস্যা। আমারো লাইটের আলোতে মাথা ব্যথা হয় মাঝে মধ্যে। আর জ্বর ত সিজন পরিবর্তন হওয়ায় সবারই হচ্ছে। জ্বরের ওষুধ আজকেই কিনে নিয়ে যাবি।” তাতে নিরবে সায় জানালো কাফিও।
এতোক্ষণ আমরা দুইজন বন্ধুর মধ্যকার একটি অতি সাধারণ কথোপকথন পড়লাম। উপরের ঘটনাটি আমাদের সাথে হলে হয়তো আমরাও ঠিক এভাবেই জ্বরের জন্য নাপা জাতীয় ওষুধ খাওয়ার কথা বন্ধুকে বলতাম। কিন্তু এই জ্বর ও তীব্র মাথা ব্যথা হতে পারতো আরো অনেক সমস্যার লক্ষণ। তেমনি একটি সমস্যা নিয়ে আজ আমরা জানবো।
মানুষের মস্তিষ্ক তিনটি সুরক্ষা স্তর দ্বারা আবৃত- ড্যুরা স্তর, অ্যরাকনয়েড স্তর ও পিআ স্তর। এই তিনটি সুরক্ষা স্তরকে একত্রে বলা হয় মেনিনজেস যা আমাদের সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডকে ঢেকে রাখে। আর এই মেনিনজেসে কোনো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে ব্যথা হলে তখন সেটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে মেনিনজাইটিস(মেডিকেলের ভাষায় কোনো শব্দের শেষে itis দ্বারা প্রদাহ বোঝায়)। মেনিনজাইটিস এর অস্তিত্ব মিলে প্রাচীন ইতিহাসেই। হিপোক্রিটাস তার কাজের মাঝে এর বিবরণ দিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হয়। এমনকি ইবনে সিনাও এই মেনিনজাইটিস সম্পর্কে জানতো যদিও তখন এই সমস্যাকে বলা হত ‘ড্রপসি’। থমাস উইলসের বিবরণ থেকে ১৬৬১ সালে জ্বরসহ মেনিনজাইটিস সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলে।১৭৬৮ সালে যক্ষার জীবাণু সংক্রমিত মেনিনজাইটিস এর বিবরণ মিলে স্যার রবার্ট হুইট একটি রিপোর্টে।গেস্পার্ড ভিয়োসসে, এলিসা নর্থ, আন্দ্রে মেথ্যিও সহ আরো বেশকয়েকজন তখন জেনেভা, ইউরোপ ও আমেরিকাতে এর বর্ণনা দেয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে মানুষ বিস্তারিত জানতে পারে।১৮৮২ সালে রাশিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী ভ্লাদিমির কার্ণিগ ও ১৯০৯ সালে পোল্যান্ডের বিজ্ঞানী জোসেফ ব্রডযিন্সকি মেনিনজাইটিসের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেয়।
জেনেভাতে ১৮০৫ সালে ও আফ্রিকাতে ১৮৪০ সালে সর্বপ্রথম এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ১৯০৫ থেকে ১৯০৮ সালের মাঝে এটি নাইজেরিয়াতে ভয়ানক আকার ধারণ করে, মারা যায় অনেক মানুষ। তখন মানুষ মেনিনজাইটিস সম্পর্কে না জানলেও এখন বিজ্ঞানের আধুনিকতায় মেনিনজাইটিস আজ আর অজানা নয়। মেনিনজাইটিক সমস্যায় প্রথম দিকে ফ্লু বা সর্দিকাশির মতো সাধারণ জ্বরের উপসর্গ থাকে। দুই বছরের বেশি বয়সীদের পরে আরো যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়- (১)হঠাৎ তীব্র জ্বর হয়।প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, যা সাধারণ মাথা ব্যথার মতো নয়। (২)ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, এদিক-ওদিক নাড়ানো কঠিন হয়। (৩)প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগী জ্বরে অজ্ঞান হয়ে যায়।সাথে খিঁচুনি দেখা দেয়। (৪)ঘুম-ঘুম ভাব হয়, হাঁটতে অসুবিধা হয়। (৫)আলোর দিকে তাকাতে তীব্র অস্বস্তি বোধ (৬)কানের মধ্যে সংক্রমণের ফলে ঘা ও বধিরতা সৃষ্টি হয়। (৭)হাত-পা অবশ হয়, নাড়ানো যায় না। (৮) দৃষ্টিভ্রম হয়, একই বস্তু একাধিক দেখা যায়। (৯) কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।
মেনিনজাইটিসে মস্তিষ্কের সমস্যা ছাড়াও শরীরের অন্যান্য স্থানেও সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন—ফুসফুসে ঘা হওয়া ও শ্বাসকষ্ট হওয়া, সেফটিসেমিয়ার কারণে গিঁটে গিঁটে ব্যথা হওয়া, অনুচক্রিকা রক্ত উপাদান কমার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত ঝরা।
নবজাতকের শি��ুর ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো- ভীষণ জ্বর থাকে, ঘাড় ও শরীর শক্ত হয়ে আসা, অনবরত কান্না, দুর্বল হয়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ঘুম-ঘুম ভাব, শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, বমি করা, মাথার তালুর নরম জায়গা ফুলে ওঠা, অজ্ঞান হওয়া ইত্যাদি।
মেনিনজাইটিসের কারণঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিসের কারণ হল বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস। তাছাড়া বিভিন্ন পরজীবীও এর জন্য দায়ী। ক)ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস: বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী। সদ্যজাত থেকে শুরু করে ৩ মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে প্রধানত গ্রুপ-বি স্ট্রেপটেকক্কি ও লিস্টেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিস হয়ে থাকে।পরিণত শিশুদের মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে শতকরা ৮০ ভাগ ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের কারণ নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস ও স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস ইত্যাদি। পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনেসিস জনিত মেনিনজাইটিসের হার অনেক বেশি।
খ) ভাইরাল মেনিনজাইটিস: ভাইরাস জনিত মেনিনজাইটিস ব্যাকটেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিসের চাইতে তুলনামূলক ভাবে কম বিপদজনক। ভাইরাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু এন্টেরোভাইরাস। এর বাইরেও কিছু ভাইরাস এই রোগের সৃষ্টি করে যা মশার মাধ্যমে একজনের কাছ থেকে অন্য জনে ছড়াতে পারে। যেসব ভাইরাস দিয়ে ভাইরাল মেনিনজাইটিস হয় তাদের মধ্যে আছে- মাস্পস ভাইরাস, হার্পিস ভাইরাস, মিসেলস ভাইরাস, ইনফ্লুয়েন্সা ভাইরাস, চিকেনপক্স ভাইরাস, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, বিভিন্ন আরবোভাইরাস ইত্যাদি।
ঘ)ফাংগাল মেনিনজাইটিস: ফাঙ্গাস বা ছত্রাক দিয়েও মেনিনজাইটিস হতে পারে। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু ক্রিপটোকক্কাস নিউফরমান্স। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রকোপ আফ্রিকা মহাদেশে সবচাইতে বেশি এবং তা ২০-২৫% এইডস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর কারণ। অন্য যেসব ফাংগাস মেনিনজাইটিস ঘটায় সেগুলো হলো হিস্টোপ্লাজমা ক্যাপসুলাটাম, কক্কিডায়োআইডেস ইমিটিস, ব্লাস্টোমাইসেস ডার্মাটাইটিস, ক্যানডিডা স্পেসিস প্রভৃতি।
ঘ) প্যারাসাইটিক মেনিনজাইটিস: এই ধরনের মেনিনজাইটিসের প্রধান প্রধান জীবাণু অ্যানজিওস্ট্রনজাইলাস ক্যানটোনেসিস, গ্যান্থোসটোমা স্পিনিজেরাম, সিস্টোসোমা প্রভৃতি। এটি সাধারণত খাদ্য, পানি ও মাটির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এই মেনিনজাইটিস যে কারো হতে পারে, তবে যাদের কানে ,গলা বা নাকে অথবা সাইনাসে ইনফেকশন থাকে তাদের বেশি হয়। এর কারণ এ ধরণের ইনফেকশন সাধারণত যে ধরণের জীবাণু দিয়ে হয়, সেগুলো মেনিনজাইটিসও করতে পারে।
জীবাণুর বাইরেও কিছু কারণে মেনিনজাইটিস হতে পারে যার মধ্যে ক্যান্সারের বিস্তৃতি, কিছু বিশেষ ওষুধ সেবন (পেইনকিলার জাতীয় ওষুধ, ইমিউনোগ্লোবিন, অ্যান্ট���বায়োটিক), কানেকটিভ টিস্যু ডিজঅর্ডার উল্লেখযোগ্য।
যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিস অতি অল্প সময়ের মাঝে শরীরে লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে হয়ে, তবে দীর্ঘমেয়াদি মেনিনজাইটিসও হতে পারে। তাই বলা হয় মেনিনজাইটিস দুই ধরনের- অ্যাকিউট মেনিনজাইটিস যা জীবাণু প্রবেশের দুই সপ্তাহের মধ্যে হয় এবং ক্রনিক মেনিনজাইটিস যা জীবাণু শরীরে প্রবেশের চার সপ্তাহ বা তার বেশি সময় পরে প্রকাশ পায়।
তীব্র মাথা ব্যথার কারণঃ মেনিনজাইটিসে যে মারাত্মক প্রদাহ হয় তার কারণ ব্যাকটেরিয়ার সরাসরি আক্রমণ নয় বরং ব্যাকটেরিয়ার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অনুপ্রবেশের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেমের প্রতিরোধের চেষ্টা। মস্তিষ্ক ব্যাকটেরিয়া কোষের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেম বেশি পরিমাণ সাইটোকাইন ও হরমোন জাতীয় পদার্থ নিঃসরণ করে, এতে করে ব্লাড ব্রেইন রেরিয়ার দুর্ভেদ্য থেকে ভেদ্য হয়ে উঠে এবং রক্তনালী থেকে তরল নির্গত হয়ে মস্তিষ্ক ফুলে উঠে। এমতাবস্থায় বেশি বেশি শ্বেত রক্ত কণিকা সেরেব্রো স্পাইনাল ফ্লুইডে প্রবেশ করে, চাপ বৃদ্ধি পায় এবং প্রদাহ আরও তীব্রতর হয়ে উঠে।
চিকিৎসাঃ রোগীর মেরুদণ্ডের ভেতর থাকা কশেরুকা থেকে সিএসএফ (এক ধরনের তরল পদার্থ, যা মস্তিষ্ক ও কশেরুকার ভেতর থাকে) বের করে তা পরীক্ষা করা হয়। সিএসএফে কোষসংখ্যা, প্রোটিন, গ্লুকোজের পরিমাণ এবং সিএসএফের গ্রাম স্টেইন, কালচার পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়। সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তের কালচার এবং সিবিসি ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। রোগ নির্ণয়ের আগে শুধু লক্ষণ দেখেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে, কারণ দ্রুত চিকিৎসা না শুরু করলে জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে। ভাইরাসঘটিত মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেও ভালো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা না নিলেও চলে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, যথেষ্ট পানি ও তরল পান, জ্বর ও মাথা ব্যথার জন্য ওষুধ সেবন করলেই চলে। ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিসে বহু ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে। তবে রোগাক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ও উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা প্রয়োজন। মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ মেনিনজাইটিস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বা টিকা আছে। আবার শিশু বয়সে আরো কিছু টিকা নিলে পরোক্ষভাবে তা মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ করতে পারে। এগুলো হচ্ছে- MMR(এমএমআর বা মিসেলস-মাম্পস-রুবেলা), চিকেনপক্স, এইচআইবি বা হিব, নিউমোনিয়ার টিকা ইত্যাদি। ১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বাচ্চাদের জন্য নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি’র টিকা অর্ন্তভুক্ত করেছে, কারণ এই জীবাণু ইনফ্লুয়েঞ্জার পাশাপাশি মেনিনজাইটিস সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লি��-১৩৫ এবং ওয়াই মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্য্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তোলে যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে। এখানে লক্ষ্য করা যেতে পারে যে, যে সব দেশে মেনিনগোকক্কাস গ্রুপ-সি এর ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে মেনিনজাইটিসের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে।
বাংলাদেশেও মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্যকর ও মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন বাজারে প্রচলিত আছে যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা দেয়।সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি-এর টিকা শিশুদের বিনা মূল্যে প্রদান করছে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই-এর সুবিধা:
১। শরীরে মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ২। ২ বছর বয়স থেকে ব্যবহার করা যায়। ৩। একবার ব্যবহার করলে পরবর্তীতে আর দিতে হয় না।
মেনিনজাইটিস এখন সহজে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার মাধ্যমে কাটিয়ে উঠা যায় বলে একে অবহেলা করার কোনো সু্যোগ নেই। ১৯৯১-২০১০ সালে আফ্রিকার দেশগুলোতে মেনিনজাইটিস আক্রান্ত প্রায় ১০লাখ রোগীর মাঝে মারা যায় প্রায় ১লাখ। কেবলমাত্র ২০০৯ সালেই ৮০হাজার আফ্রিকান এই মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও মারা যায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ। আফ্রিকাতে ২০১৩ সালে এই রোগে আক্রান্ত ১২৪৬৪টি রোগীর মাঝে মারা যায় ১১৩১ জন এবং ২০১৪ সালে ১৪৩১৭ জনের মাঝে মারা যায় ১৩০৪জন।[তথ্যসূত্রঃ Global Health Obserbatory(GHO) Data] আমেরিকাতেও প্রতিবছর প্রায় ৪০০০ মানুষ ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও প্রায় ৫০০জনের অধিক মানুষ মারা যায়। নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় প্রায় ৬০০০ জন ও মেনিনগোকক্কাল মেনিনজাইটিসে ২৬০০জন।(তথ্যসূত্রঃ Statistics of Meningitis, Florida Hospital)
মেনিনজাইটিস এমন একটি রোগ যা ভয়াবহ অাকার ধারণ করলে চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পাওয়া যায়। তাই মেনিনজাইটিসের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময়ে টিকা নেয়ার মাধ্যমে নিজেকে, নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি তৈরি করতে হবে জনসচেতনতাও।
1 note
·
View note
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/147726
মৌসুমী ঝড়ে আফ্রিকার ৩ দেশে নিহত ৭০
.
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি দেশে উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় ‘আনা’র আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। উ���্ধারকারী বাহিনী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার চেষ্টা করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার উষ্ণমন্ডলীয় ঝড় আনা মাদাগাস্কারে আঘাত হানে। পরে এটি মোজাম্বিক ও মালাবিতে আঘাত হানে। ঝড়ের কারণে দেশগুলোতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তিনটি দেশের উদ্ধারকারী বাহিনী ও কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করছে। এএফপি বলছে, মাদাগাস্কারে ৪১ জন, মোজাম্বিকে ১৮ জন ও মালাবিতে ১১ জন নিহত হয়েছেন। উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় আনা আঘাত হেনেছে জিম্বাবুয়েতেও। তবে সেখানে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় আনার আঘাতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি দেশেরই হাজার হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে নদীগুলো পানি বেড়ে যাওয়ায় ব্রিজও ধসে পড়েছে। মাদাগাস্কারে এক লাখ ১০ হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। রাজধানী আন্তানানারিভোতে স্কুল ও ব্যায়মাগারগুলোকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
পরিবারের ১০ সদস্যকে নিয়ে একটি ব্যায়মাগারে আশ্রয় নিয়েছেন বার্থিন রাজাফিয়ারিসোয়া। তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো নিয়ে এসেছি।
মোজাম্বিকের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে ১০ হাজারের মতো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আনার আঘাতে। এতে কয়েক ডজন ও হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
মোজাম্বিকের আবহাওয়া অধিদপ্তর শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারত মহাসাগরে আরেকটি ঝড় তৈরি হতে পারে। মার্চ পর্যন্ত দেশটিতে ছয়টি উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় আঘাত হানতে পারে। মালাবিতে সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
চলতি সপ্তাহে মালাবির বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে দেশটির ইলেকট্রিক গ্রিডের অনেক অংশই ধ্বংস দিয়েছে। সূত্র : এএফপি
0 notes
Text
আফগানিস্তানে রয়েছে, কোবাল্ট, লিথিয়াম এবং রেয়ার আর্থ ম্যাটেরিয়াল। আফগানিস্তানের এই খনিজ গুলোর ভ্যালু ১ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার হিসেব করা হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে তেল সোনা বা রুপার চেয়েও এই খনিজ গুলো মুল্যবান কারণ গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে ক্লিন এনার্জির দিকে যে রুপান্তর তার কেন্দ্রে আছে এই খনিজ গুলো। আগামী দুই দশকে বিশ্বের অনেক দেশে তেল পরিচালিত গাড়ি বাতিল হয়ে যাবে যার জায়গায় স্থান নেবে ব্যাটারি পরিচালিত গাড়ি। ল্যাপটপ, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে অফ গ্রিড এনার্জিতে ব্যবহৃত এই ব্যাটারির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লিথিয়াম। আফগানিস্থানে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিথিয়ামের মজুদ পাওয়া গেছে। কিছু দিন আগে পেন্টাগনের একটি রিপোর্টে আফগানিস্থানকে, লিথিয়ামের সৌদি আরব বলে উল্লেখ করে হয়েছে।
এই অবস্থায় আফগানিস্থানের তালেবান শাসকেরা শুধুমাত্র পপি চাষের উপর নির্ভরশীল না থেকে, এই খনিজ গুলো উত্তোলন করতে চাইবে। তালেবান ২.০ শারিয়া আইনে চালাক আর সালাফ মানুক, তাদের অর্থ প্রয়োজন হবে। আফগানিস্থান এই মুহূর্তে লিটারিলি তেমন কিছু উৎপাদন করে না। ��ম্পূর্ণ ত্রানের উপরে নির্ভরশীল এই দেশের, বাৎসরিক ৬ বিলিয়ন ডলার আমদানির বিপরীতে রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলারেরও কম।
ইতিমধ্যে আমেরিকা আফগানিস্তানের ১০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ব্লক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএমএফ আফগানিস্তানের প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার এসডিআর ব্লক করেছে।
এই অবস্থায় তালেবান শাসকদের অর্থ প্রয়োজন হবে। এই অর্থ দিতে পারবে, শুধু মাত্র চায়না। তার মানে আফগানিস্তান ব্রিটিশ, সোভিয়েত, আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ কাটিয়ে এবার পৃথিবীর সবচেয়ে ধূর্ত চৈনিক সমাজতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদের অধীনে পড়তে যাচ্ছে। আর চাইনা কি জিনিস তা হাড়ে হাড়ে জানে আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী পাকিস্তান, ভারত আর আফ্রিকার কিছু দেশ।
✍ রেজাউল মাণিক
0 notes
Text
সূর্যগ্রহণ চলছে, দেশের কোথায় কখন দেখা যাবে?
দেশে আজ রবিবার (২১ জুন) আংশিক সূর্যগ্রহণ হচ্ছে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
দেশে আজ রবিবার (২১ জুন) আংশিক সূর্যগ্রহণ হচ্ছে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। মূল বা বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে আফ্রিকার কঙ্গো শহরের ইম্পফোন্ডো ও রোমা শহর, ভারতের যোশীমঠ শহর এবং ফিলিপাইনের সামার ও মিন্দানাও দ্বীপ থেকে।
ঢাকার স্থানীয় সময় দুপুর ১১টা ২৩ মিনিট ৩ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুপুর ১টা ১২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ…
View On WordPress
0 notes
Text
ফারাও শাসনে মিশরীয় সভ্যতার উত্থান ও বিকাশ (১ম ভাগ)
ফারাও এবং কুশাইট শাসন
প্রাচীন মিশরের মানচিত্র মিশরীয় সভ্যতা পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম সভ্যতা। বিশ্বের দীর্ঘতম আফ্রিকার নীল নদের অববাহিকায় এ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ভিক্টোরিয়া হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে দশটি দেশ পার হয়ে সর্বশেষে মিশর অতিক্রম করে নীল নদ ভূমধ্যসাগরে পতিত হয়। মিশরের মধ্য দিয়ে এ নদের প্রবাহকে কেন্দ্র করে প্রাচীন মিশরকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। সে সময়ে ভুমধ্যসাগরের নিকটবর্তী মিশরের উত্তরাঞ্চলকে ‘নিম্নস্থ মিশর’ ও দক্ষিণাঞ্চলকে ‘ঊর্ধ্বস্থ মিশর’নামে ভিন্ন ভিন্ন শাসকদের আওতাধীন ছিল। মিশরীয় সভ্যতার প্রথম বিখ্যাত রাজা, ঊর্ধ্বস্থ মিশরের রাজা নারমের (বা মেনেজ) দুই মিশরকে একত্রিত করে সমগ্র মিশরে একটি শক্তিশালী রাজ্য গড়ে তোলেন। রাজা নারমের ধারণা করা হয়, নারমেরের আগে ঐ অঞ্চলের রাজাদের নাম ছিল স্করপিয়ন বা ‘কাঁকড়াবিছা’। এ ধারণাকে কেন্দ্র করে ‘দ্য স্করপিয়ন কিং’ (২০০২), ‘দ্য স্করপিয়ন কিং ২: রাইজ অভ অ্যা ওয়ারিওর’ (২০০৮) এবং ‘দ্য স্করপিয়ন কিং ৩: ব্যাটেল ফর রিডেম্পশন’ (২০১২), ‘দ্য স্করপিয়ন কিং ৪: কোয়েস্ট ফর পাওয়ার’ (২০১৫), ‘দ্য স্করপিয়ন কিং: বুক অভ সোলস’ (২০১৮) নামে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। হায়ারোগ্লিফিক্স মিশরীয় ফারাও নারমেরের রাজত্বকালে প্রাচীন মিশরীয়দের আরেক বিষ্ময়কর আবিস্কার তাদের চিত্রভিত্তিক বর্ণমালা- হায়ারোগ্লিফিক্স। মিশরীয় রাজ দরবারের যে সব ব্যক্তিরা হায়ারোগ্ল���ফিক্সের মাধ্যমে রাজাদেশ বা অন্যান্য বিষয়াবলী লিপিবদ্ধ করতো তাদেরকে স্ক্রাইব বা দপ্তরি বলা হতো। মিশরীয় স্ক্রাইব এখানে একটি বিষয় জেনে নেয়া ভালো। চীনাদের পিকটোগ্রাম লিখন পদ্ধতি ‘ওরাকল বোন স্ক্রিপ্ট’ এর সাথে সুমেরীয়দের কিউনিফর্ম ও মিশরীয়দের হায়ারোগ্লিফ্লিকসের পার্থক্য এই যে, চীনারা ছবি শব্দ বা বাক্য বোঝাতো। অন্যদিকে, কিউনিফর্মে বিভিন্ন রেখাচিত্র ও হায়ারোগ্লিফ্লিকসে ছবি দিয়ে বর্ণ বোঝাতো। হায়ারোগ্লিফিক্স পাঠ বর্ণমালার সৃষ্টির ক্ষেত্রে মিশরীয়দের যেমন বিশেষ অবদান ছিল, তেমনি তারা পেপিরাস নামের লেখার উপযোগী এই চমৎকার উপাদান আবিস্কার করে। পেপিরাস এক ধরণের কাগজ। মিশরের জলাভূমিতে পেপিরাস নামে নলখাগড়া জাতীয় এক ধরণের গাছ পাওয়া যেত। সেই গাছ কেটে প্রাপ্ত খোলকে পাথর চাপা দিয়ে রোদে শুকানো হতো। শুকানো খোলগুলো পাথরের চাপে সোজা হয়ে লেখার উপযোগী হতো। পরবর্তীতে এ খোলাগুলোকে জোড়া দিয়ে রোল আকারে সংরক্ষণ করা হতো। এভাবে তৈরী লেখা বা চিত্রকলার উপযোগী মাধ্যমকে পেপিরাস বলা হয়। ভাষা শিক্ষা সফটওয়ার হিসেবে ‘রোসেটা স্টোন’ নামটি বেশ পরিচিত। রোসেটা স্টোন মূলতঃ প্রাচীন মিশরের একটি বড় পাথর ফলক বা শিলালিপির ভাঙা অংশ। এটি ব্রিটিশ মিউজিয়ামের সবচেয়ে বিখ্যাত বস্তুগুলোর মধ্যে একটি। এ পাথরে খোদাই করে হায়ারোগ্লিফিকস, ডেমোটিক (প্রাচীন মিশরীয়দের সাধারণ ‘জনগণের ভাষা’) এবং গ্রিক – এই তিন ধরনের লিপিতে ১৩ বছর বয়সী পঞ্চম টলেমি এর রাজ্যাভিষেকের উপলক্ষ্যে পুরোহিত পরিষদের সম্মতিসূচক ফরমান লিপিবদ্ধ করা হয়। মিশরীয় পুরাতত্ত্বে রোসেটা স্টোনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটা আবিস্কৃত হবার পূর্বে কেউ মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিকস পড়তে জানতো না। যেহেতু লেখাগুলোতে একই জিনিষ ভিন্ন তিনটি লিপিতে লেখা হয়েছে, এবং গবেষকগণ প্রাচীন গ্রিক পড়তে জানতেন, তাই রোসেটা স্টোন হায়ারোগ্লিফ পাঠোদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ সূত্রে পরিণত হয়। রোসেটা স্টোন নিম্নস্থ মিশরের মেমফেস, ঊর্ধ্বস্থ মিশরের থিবজ (বর্তমানে লুকশর) এবং হর্ন অভ আফ্রিকা অঞ্চলের পান্ট ছিল প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার বিখ্যাত কয়েকটি স্থান। মিশরের প্রাচীনতম পিরামিডগুলি মেমফিসের গিজা ও সাক্কারায় আবিষ্কৃত হয়েছে। ‘ভ্যালি অভ দ্য কিংস’ ও ‘ভ্যালি অভ দ্য কুইনস’এর জন্য থিবজ বিখ্যাত। এ সকল উপত্যকায় ফারাও ও তাঁদের স্ত্রীদের সমাহিত করা হতো। পান্ট অঞ্চল সোনা ও হাতির দাঁতের জন্য বিশেষ বিখ্যাত ছিল বলে মিশরীয়দের সাথে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য চলতো। প্রাচীন মিশরীয়রা বহুশ্বরবাদী ছিল। তাদের সকল দেবী-দেবীর উৎপত্তি হয়েছে ‘নান’ দেবতা থেকে। তারা যে সব দেব-দেবীর পূজা করতো তাদের মধ্যে আমুন, আনুবিস, আইসিস, হোরাস, মাত, ওসিরিস, রা, সেথ ও সেখমেট উল্লেখযোগ্য। আমুন সৃষ্টির দেবতা, আনুবিস মৃতের জগতের অধিকর্তা; আইসিস শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় দেবী, ওসিরিসের পত্নী এবং হোরাসের মা; হোরাস আকাশ, সূর্য, রাজত্ব, প্রতিরক্ষা এবং সুস্থতার দেবতা; মাত সত্য, ভারসাম্য, আদেশ, আইন, নৈতিকতা ও সুবিচার এর দেবী; ওসিরিস পরকালের ব���চারক, শস্য ও পুনর্জন্মের দেবতা; রা মধ্যদিনের সূর্য দেবতা; সেখমেট যুদ্ধের দেবী এবং সেথ ছিল বিশৃঙ্খলা, মরুভূমি ও নৃসংশতার দেবতা। মিশরীয় দেব-দেবীর পরিবার চিকিৎসা বিদ্যায় এখনও প্রতিরক্ষা এবং সুস্থতার দেবতা হোরাসের উপস্থিতি রয়েছে। ডাক্তারের যে কোন পেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্রের দিকে তাকালে Rx শব্দ যুগল আমাদের চোখে পড়ে। এই Rx-এর R এর অর্থ ‘রেসিপি’ (recipe)। আদেশসূচক বাক্যের ক্রিয়া হিসেবে ‘রেসিপি’ বা R বোঝায় ‘এটা লও’ (take this)। ব্যবহারিক অর্থে Rx এখন ‘পেসক্রিপশন’ বা সাধারণ অর্থে ‘ঔষধ’ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। Rx-এর সাথে প্রাচীন মিশরের একটি গল্প মিশে আছে। সেটা হলো ‘হোরাস’ দেবতার চোখ। গ্রামে-গঞ্জে তাবিজ যেভাবে প্রতিরক্ষা কবজ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তেমনি প্রাচীন মিশরীয়দের প্রতিরক্ষা কবজ ছিল ‘হরুসের চোখ’। চোখের এই প্রতীকটি কালক্রমে Rx রূপ ধারণ করেছে বলে অনেকে মনে করেন। মিশরীয় দেবতা বিশেষ করে হোরাসকে আশ্রয় করে নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের নাম ‘গডস অভ ইজিপ্ট’ (২০১৬)। Rx প্রতীক প্রাচীন মিশরীয় রাজাদেরকে ফারাও বলা হতো। ফারাওরা নিজেদেরকে কখনো ঈশ্বর, কখনো ঈশ্বরের প্রতিনিধি দাবী করতেন। ফারাওদের মধ্যে জোসার, স্নেফ্রু, খুফু, জেডেফ্রে, খাফ্রে, সবেকসেফেরু, ১ম আহমোসিস, হ্যাতশেপসুট, আকনাথুন (৪র্থ আহমুনহোথেপ) ও তাঁর স্ত্রী নেফারতিতি, তুতানখামুন এবং র্যামসিজ দ্য গ্রেট (২য় র্যামসিজ) এর নাম উল্লেখযোগ্য। মিশরের ফারাওদের ইতিহাস কয়েকটি রাজবংশে বিভক্ত। থিনিস নামের কোন এক শহরকে কেন্দ্র করে রাজা নারমের যে ফারাও রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে সেটি প্রথম বংশ। খ্রি.পূ. ৩০ শতকে এ বংশের সমাপ্তি ঘটে। থিনিসেই দ্বিতীয় বংশ (২৮৯০–২৬৮৬ খ্রি.পূ.) ও মেমফিস শহরে তৃতীয় ফারাও বংশ (২৬৮৬–২৬১৩ খ্রি.পূ.) গড়ে ওঠে। তবে তৃতীয় বংশের ফারাও জোসার বাদে এই দুই রাজবংশের মধ্যে বিখ্যাত কোন শাসকের নাম পাওয়া যায় না। ফারাও জোসারফারাও খাফ্রেফারাও খুফুফারাও জেডেফ্রেফারাও স্নেফ্রু স্নেফ্রু, খুফু, জেডেফ্রে, খাফ্রে- এই চার ফারাও মেমফিস শহরে গড়ে ওঠা চতুর্থ বংশের (২৬১৩–২৪৯৪ খ্রি.পূ.) ফারাও। এরা সবাই পিরামিড তৈরির জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরনো মিশরের পিরামিড। চতুর্থ রাজবংশের ফারাওগণ পিরামিড হলো এক প্রকার জ্যামিতিক আকৃতি বা গঠন যার বাইরের তলগুলো ত্রিভূজাকার এবং যারা শীর্ষে একটি বিন্দুতে মিলিত হয়। বিভিন্ন ফারাওরা বিভিন্ন সময়ে তাদের সমাধিক���ষেত্র হিসেবে এ সব পিরামিড নির্মাণ করে। খুফুর পিরামিড মিশরে ছোটবড় ৭৫টি পিরামিড আছে। স্থপতি ইমহোটেপের নির্দেশনায় ফারাও জোসার সবচেয়ে পুরনো পিরামিডটি নির্মাণ করে। ফারাও স্নেফ্রু নির্মাণ করে ‘অবনত পিরামিড’ ও ‘লাল পিরামিড’। সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষনীয় গিজা'র পিরামিডটি নির্মাণ করে ফারাও খুফু। তাই এটা খুফু'র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। মিশরের মতো সুউচ্চ না হলেও অন্যান্য কয়েকটি দেশে বিভিন্ন ধরণের ছোট-বড় পিরামিড বা পিরামিড সদৃশ স্থাপনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়, যেমন- ইরাক, সুদান, নাইজেরিয়া, গ্রিস, স্পেন, চীন, ইটালি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও পেরু। পিরামিডের মতো মিশরীয় সভ্যতার আরেক নিদর্শনের নাম গিজার প্রকাণ্ড স্ফিংস। স্ফিংস একটি দোআঁশলা পৌরাণিক প্রাণি যার সিংহাকৃতির শরীরের উপরে মানব মাথা বসানো। মিশরের মতো গ্রীক পুরাণেও স্ফিংসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মিশরীয় স্ফিংক্সগুলো সাধারণত পুরুষ আকৃতির কিন্তু গ্রীক পুরাণের স্ফিংসরা নারী-আকৃতির হয়। বিভিন্ন পুরাণে স্ফিংক্স বা স্ফিংক্স সদৃশ কাল্পনিক প্রাণিকে মন্দির কিংবা সমতুল্য কোন অঞ্চলের প্রবেশদ্বারের প্রহরীস্বরূপ বর্ণনা করা হয়। ফারাও জেডেফ্রে বা ফারাও খাফ্রে গিজার প্রকাণ্ড স্ফিংসটি নির্মাণ করে বলে মনে করা হয়। গিজার স্ফিংস চতুর্থ বংশের পরবর্তী আটশো বছরে মেমফিস শহরকে কেন্দ্র করে পঞ্চম থেকে অষ্টম বংশ, হেরাক্লিওপলিস ম্যাগনা শহরে নবম ও দশম এবং থিবজ শহরে একাদশ ও দ্বাদশ, ইচতাওয়ায়ি শহরে ত্রয়োদশ এবং এভারিস শহরে চতুর্দশ ফারাও বংশ গড়ে ওঠে। এদের মধ্যে দ্বাদশ রাজবংশের চার আমেনেমহাত ও তিন সেনুসরেত ফারাওরাও পিরামিড নির্মাণ করে। এছাড়া আর কোন রাজবংশের তেমন উল্লেযোগ্য কোন কীর্তি পাওয়া যায় না। দ্বাদশ রাজবংশের ফারাওগণ প্রাচীন মিশরে পুরুষদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন নারী ফারাও ছিল। প্রথম নারী ফারাও ছিলো দ্বাদশ বংশের ফারাও সবেকনেফেরু। দ্বিতীয় নারী অষ্ট��দশ বংশের ফারাও হ্যাতশেপসুট পান্টের সাথে মিশরের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার করেন। মিশরে নারী শাসকদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে দীর্ঘ সময় মিশর শাসন করেছিলেন। ফারাও হ্যাতশেপসুটফারাও সবেকনেফেরু খ্রিস্টপূর্ব সতের শতকের মাঝামাঝি সময়ে হাইকসস (‘পরদেশি শাসক’) নামের এক যাযাবর জাতি প্রাচীন মিশরীয় ফারাওদের রাজত্বকালের বিচ্ছেদ ঘটায়। হাইকসসরা ছিল পশ্চিম এশিয়ার সেমেটিক যাযাবর। নীলনদের ব-দ্বীপের অ্যাভারিস নগর হাইকসস জাতিগোষ্ঠীর রাজধানী ছিল বলে ধারণা করা হয়। এদের কাছ থেকে মিশরীয়রা ব্রোঞ্জ, নতুন অস্ত্র এবং ঘোড়াটানা রথের ব্যবহার শিখেছিল। (ধারাবাহিকভাবে পৃথিবীর গল্প চলবে) পর্ব-০১: পৃথিবীর গল্প: চীনা রূপকথা ও লোককাহিনী- উদ্ভব, সংস্��ৃতি ও সভ্যতা পর্ব-০২: পৃথিবীর গল্প: চার সভ্যতার লীলাভূমি মেসোপটেমিয়া (সুমেরীয়-আকেদীয়-গুটি-সুমেরীয়) পর্ব-০৩: পৃথিবীর গল্প: চীনে এগারো শত বছরের শাসনে দুই রাজবংশ (শিয়া ও শাং রাজবংশ) পর্ব-০৪: পৃথিবীর গল্প: চার সভ্যতার লীলাভূমি মেসোপটেমিয়া (আসেরীয়া-ব্যাবিলনিয়া-হিটাইট-ক্যাসাইট-নব্য আসেরীয়া- নব্য ব্যবিলনীয়া) Read the full article
0 notes
Text
তিন মাস পর প্রতিদিন না খেয়ে মরবে ৩ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
তিন মাস পর প্রতিদিন না খেয়ে মরবে ৩ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
গেল বছরের শেষের দিক থেকেই পঙ্গপালের হানায় পৃথিবীর ১০ শতাংশ মানুষ চরম খাদ্য সংকটে পড়বে বলে হুঁশিয়ার করেছিল জাতিসংঘ। এ বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির গোটা বিশ্ব। লকডাউনের কারণে কয়েক গুণ বেড়ে���ে খাদ্য সঙ্কট। আগামী দুই তিন মাস পর পৃথিবীতে প্রতিদিন অন্তত ৩ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের।
আফ্রিকার ৬টি দেশে পঙ্গপালের হানায় ২ কোটি মানুষ খাদ্য সঙ্কটে রয়েছেন। আফ্রিকা,…
View On WordPress
0 notes
Text
৮০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে মরিশাস
৮০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে মরিশাস
পোশাক কারখানায় আন্দোলন ও ভাঙচুর করার অভিযোগে ৮০ জন বাংলাদেশি কর্মীকে ফেরত পাঠাচ্ছ��� পূর্ব আফ্রিকার দেশ মরিশাস। ইতোমধ্যে ১৫ জনকে দেশে পাঠানো হয়। পর্যায়ক্��মে বাকিদেরও পাঠানো হবে।
মরিশাসের স্থানীয় ফায়ারমাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানে বেশকিছু দাবি নিয়ে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই আন্দোলন করে বাংলাদেশের কিছু কর্মী।
জানা গেছে, প্রায় ২ হাজার কর্মী এই গার্মেন্টসে কাজ…
View On WordPress
0 notes
Text
জানি কি মেনিনজাইটিস সম্পর্কে?
“বেশ কয়েকদিন ধরে তোকে দেখছিনা কেন? ক্লাসেও আসিস না! কি হইছে?” কাফির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো তাহমিদ। “দেখবি কি করে! আমার যে জ্বর যাচ্ছে সেটা ত খেয়াল রাখিস না” কিছুটা রেগেই উত্তর দিলো কাফি। “জ্বর! কি বলিস! কবে থেকে? তুইও ত কিছু জানালি না। ডাক্তার দেখাইছিস?” এক নিশ্বাসে সবগুলো প্রশ্ন করে বসলো তাহমিদ। “না, ডাক্তার দেখাইনি। জ্বর হুট করে আসে যায়। আর মাথা আর ঘাড় ব্যথা। লাইটের আলো চোখে পড়লে ত আরো মাথা ব্যথা বেড়ে যায়” বিষন্ন কণ্ঠে জানালো কাফি।
শুনে কিছুক্ষণ চুপ দুইজন। খানিকবাদে তাহমিদ বললো, “চিন্তা করিস না। শুনে মনে হচ্ছে মাইগ্রেন এর সমস্যা। আমারো লাইটের আলোতে মাথা ব্যথা হয় মাঝে মধ্যে। আর জ্বর ত সিজন পরিবর্তন হওয়ায় সবারই হচ্ছে। জ্বরের ওষুধ আজকেই কিনে নিয়ে যাবি।” তাতে নিরবে সায় জানালো কাফিও।
এতোক্ষণ আমরা দুইজন বন্ধুর মধ্যকার একটি অতি সাধারণ কথোপকথন পড়লাম। উপরের ঘটনাটি আমাদের সাথে হলে হয়তো আমরাও ঠিক এভাবেই জ্বরের জন্য নাপা জাতীয় ওষুধ খাওয়ার কথা বন্ধুকে বলতাম। কিন্তু এই জ্বর ও তীব্র মাথা ব্যথা হতে পারতো আরো অনেক সমস্যার লক্ষণ। তেমনি একটি সমস্যা নিয়ে আজ আমরা জানবো।
মানুষের মস্তিষ্ক তিনটি সুরক্ষা স্তর দ্বারা আবৃত- ড্যুরা স্তর, অ্যরাকনয়েড স্তর ও পিআ স্তর। এই তিনটি সুরক্ষা স্তরকে একত্রে বলা হয় মেনিনজেস যা আমাদের সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডকে ঢেকে রাখে। আর এই মেনিনজেসে কোনো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে ব্যথা হলে তখন সেটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে মেনিনজাইটিস(মেডিকেলের ভাষায় কোনো শব্দের শেষে itis দ্বারা প্রদাহ বোঝায়)। মেনিনজাইটিস এর অস্তিত্ব মিলে প্রাচীন ইতিহাসেই। হিপোক্রিটাস তার কাজের মাঝে এর বিবরণ দিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হয়। এমনকি ইবনে সিনাও এই মেনিনজাইটিস সম্পর্কে জানতো যদিও তখন এই সমস্যাকে বলা হত ‘ড্রপসি’। থমাস উইলসের বিবরণ থেকে ১৬৬১ সালে জ্বরসহ মেনিনজাইটিস সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলে।১৭৬৮ সালে যক্ষার জীবাণু সংক্রমিত মেনিনজাইটিস এর বিবরণ মিলে স্যার রবার্ট হুইট একটি রিপোর্টে।গেস্পার্ড ভিয়োসসে, এলিসা নর্থ, আন্দ্রে মেথ্যিও সহ আরো বেশকয়েকজন তখন জেনেভা, ইউরোপ ও আমেরিকাতে এর বর্ণনা দেয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে মানুষ বিস্তারিত জানতে পারে।১৮৮২ সালে রাশিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী ভ্লাদিমির কার্ণিগ ও ১৯০৯ সালে পোল্যান্ডের বিজ্ঞানী জোসেফ ব্রডযিন্সকি মেনিনজাইটিসের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেয়।
জেনেভাতে ১৮০৫ সালে ও আফ্রিকাতে ১৮৪০ সালে সর্বপ্রথম এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ১৯০৫ থেকে ১৯০৮ সালের মাঝে এটি নাইজেরিয়াতে ভয়ানক আকার ধারণ করে, মারা যায় অনেক মানুষ। তখন মানুষ মেনিনজাইটিস সম্পর্কে না জানলেও এখন বিজ্ঞানের আধুনিকতায় মেনিনজাইটিস আজ আর অজানা নয়। মেনিনজাইটিক সমস্যায় প্রথম দিকে ফ্লু বা সর্দিকাশির মতো সাধারণ জ্বরের উপসর্গ থাকে। দুই বছরের বেশি বয়সীদের পরে আরো যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়- (১)হঠাৎ তীব্র জ্বর হয়।প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, যা সাধারণ মাথা ব্যথার মতো নয়। (২)ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, এদিক-ওদিক নাড়ানো কঠিন হয়। (৩)প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগী জ্বরে অজ্ঞান হয়ে যায়।সাথে খিঁচুনি দেখা দেয়। (৪)ঘুম-ঘুম ভাব হয়, হাঁটতে অসুবিধা হয়। (৫)আলোর দিকে তাকাতে তীব্র অস্বস্তি বোধ (৬)কানের মধ্যে সংক্রমণের ফলে ঘা ও বধিরতা সৃষ্টি হয়। (৭)হাত-পা অবশ হয়, নাড়ানো যায় না। (৮) দৃষ্টিভ্রম হয়, একই বস্তু একাধিক দেখা যায়। (৯) কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।
মেনিনজাইটিসে মস্তিষ্কের সমস্যা ছাড়াও শরীরের অন্যান্য স্থানেও সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন—ফুসফুসে ঘা হওয়া ও শ্বাসকষ্ট হওয়া, সেফটিসেমিয়ার কারণে গিঁটে গিঁটে ব্যথা হওয়া, অনুচক্রিকা রক্ত উপাদান কমার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত ঝরা।
নবজাতকের শিশুর ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো- ভীষণ জ্বর থাকে, ঘাড় ও শরীর শক্ত হয়ে আসা, অনবরত কান্না, দুর্বল হয়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ঘুম-ঘুম ভাব, শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, বমি করা, মাথার তালুর নরম জায়গা ফুলে ওঠা, অজ্ঞান হওয়া ইত্যাদি।
মেনিনজাইটিসের কারণঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিসের কারণ হল বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস। তাছাড়া বিভিন্ন পরজীবীও এর জন্য দায়ী। ক)ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস: বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী। সদ্যজাত থেকে শুরু করে ৩ মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে প্রধানত গ্রুপ-বি স্ট্রেপটেকক্কি ও লিস্টেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিস হয়ে থাকে।পরিণত শিশুদের মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে শতকরা ৮০ ভাগ ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের কারণ নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস ও স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস ইত্যাদি। পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনেসিস জনিত মেনিনজাইটিসের হার অনেক বেশি।
খ) ভাইরাল মেনিনজাইটিস: ভাইরাস জনিত মেনিনজাইটিস ব্যাকটেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিসের চাইতে তুলনামূলক ভাবে কম বিপদজনক। ভাইরাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু এন্টের���ভাইরাস। এর বাইরেও কিছু ভাইরাস এই রোগের সৃষ্টি করে যা মশার মাধ্যমে একজনের কাছ থেকে অন্য জনে ছড়াতে পারে। যেসব ভাইরাস দিয়ে ভাইরাল মেনিনজাইটিস হয় তাদের মধ্যে আছে- মাস্পস ভাইরাস, হার্পিস ভাইরাস, মিসেলস ভাইরাস, ইনফ্লুয়েন্সা ভাইরাস, চিকেনপক্স ভাইরাস, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, বিভিন্ন আরবোভাইরাস ইত্যাদি।
ঘ)ফাংগাল মেনিনজাইটিস: ফাঙ্গাস বা ছত্রাক দিয়েও মেনিনজাইটিস হতে পারে। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু ক্রিপটোকক্কাস নিউফরমান্স। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রকোপ আফ্রিকা মহাদেশে সবচাইতে বেশি এবং তা ২০-২৫% এইডস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর কারণ। অন্য যেসব ফাংগাস মেনিনজাইটিস ঘটায় সেগুলো হলো হিস্টোপ্লাজমা ক্যাপসুলাটাম, কক্কিডায়োআইডেস ইমিটিস, ব্লাস্টোমাইসেস ডার্মাটাইটিস, ক্যানডিডা স্পেসিস প্রভৃতি।
ঘ) প্যারাসাইটিক মেনিনজাইটিস: এই ধরনের মেনিনজাইটিসের প্রধান প্রধান জীবাণু অ্যানজিওস্ট্রনজাইলাস ক্যানটোনেসিস, গ্যান্থোসটোমা স্পিনিজেরাম, সিস্টোসোমা প্রভৃতি। এটি সাধারণত খাদ্য, পানি ও মাটির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এই মেনিনজাইটিস যে কারো হতে পারে, তবে যাদের কানে ,গলা বা নাকে অথবা সাইনাসে ইনফেকশন থাকে তাদের বেশি হয়। এর কারণ এ ধরণের ইনফেকশন সাধারণত যে ধরণের জীবাণু দিয়ে হয়, সেগুলো মেনিনজাইটিসও করতে পারে।
জীবাণুর বাইরেও কিছু কারণে মেনিনজাইটিস হতে পারে যার মধ্যে ক্যান্সারের বিস্তৃতি, কিছু বিশেষ ওষুধ সেবন (পেইনকিলার জাতীয় ওষুধ, ইমিউনোগ্লোবিন, অ্যান্টিবায়োটিক), কানেকটিভ টিস্যু ডিজঅর্ডার উল্লেখযোগ্য।
যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিস অতি অল্প সময়ের মাঝে শরীরে লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে হয়ে, তবে দীর্ঘমেয়াদি মেনিনজাইটিসও হতে পারে। তাই বলা হয় মেনিনজাইটিস দুই ধরনের- অ্যাকিউট মেনিনজাইটিস যা জীবাণু প্রবেশের দুই সপ্তাহের মধ্যে হয় এবং ক্রনিক মেনিনজাইটিস যা জীবাণু শরীরে প্রবেশের চার সপ্তাহ বা তার বেশি সময় পরে প্রকাশ পায়।
তীব্র মাথা ব্যথার কারণঃ মেনিনজাইটিসে যে মারাত্মক প্রদাহ হয় তার কারণ ব্যাকটেরিয়ার সরাসরি আক্রমণ নয় বরং ব্যাকটেরিয়ার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অনুপ্রবেশের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেমের প্রতিরোধের চেষ্টা। মস্তিষ্ক ব্যাকটেরিয়া কোষের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেম বেশি পরিমাণ সাইটোকাইন ও হরমোন জাতীয় পদার্থ নিঃসরণ করে, এতে করে ব্লাড ব্রেইন রেরিয়ার দুর্ভেদ্য থেকে ভেদ্য হয়ে উঠে এবং রক্তনালী থেকে তরল নির্গত হয়ে মস্তিষ্ক ফুলে উঠে। এমতাবস্থায় বেশি বেশি শ্বেত রক্ত কণিকা সেরেব্রো স্পাইনাল ফ্লুইডে প্রবেশ করে, চাপ বৃদ্ধি পায় এবং প্রদাহ আরও তীব্রতর হয়ে উঠে।
চিকিৎসাঃ রোগীর মেরুদণ্ডের ভেতর থাকা কশেরুকা থেকে সিএসএফ (এক ধরনের তরল পদার্থ, যা মস্তিষ্ক ও কশেরুকার ভেতর থাকে) বের করে তা পরীক্ষা করা হয়। সিএসএফে কোষসংখ্যা, প্রোটিন, গ্লুকোজের পরিমাণ এবং সিএসএফের গ্রাম স্টেইন, কালচার পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়। সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তের কালচার এবং সিবিসি ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। রোগ নির্ণয়ের আগে শুধু লক্ষণ দেখেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে, কারণ দ্রুত চিকিৎসা না শুরু করলে জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে। ভাইরাসঘটিত মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেও ভালো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা না নিলেও চলে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, যথেষ্ট পানি ও তরল পান, জ্বর ও মাথা ব্যথার জন্য ওষুধ সেবন করলেই চলে। ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিসে বহু ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে। তবে রোগাক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ও উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা প্রয়োজন। মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ মেনিনজাইটিস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বা টিকা আছে। আবার শিশু বয়সে আরো কিছু টিকা নিলে পরোক্ষভাবে তা মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ করতে পারে। এগুলো হচ্ছে- MMR(এমএমআর বা মিসেলস-মাম্পস-রুবেলা), চিকেনপক্স, এইচআইবি বা হিব, নিউমোনিয়ার টিকা ইত্যাদি। ১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বাচ্চাদের জন্য নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি’র টিকা অর্ন্তভুক্ত করেছে, কারণ এই জীবাণু ইনফ্লুয়েঞ্জার পাশাপাশি মেনিনজাইটিস সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্য্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তোলে যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে। এখানে লক্ষ্য করা যেতে পারে যে, যে সব দেশে মেনিনগোকক্কাস গ্রুপ-সি এর ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে মেনিনজাইটিসের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে।
বাংলাদেশেও মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্যকর ও মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন বাজারে প্রচলিত আছে যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা দেয়।সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি-এর টিকা শিশুদের বিনা মূল্যে প্রদান করছে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই-এর সুবিধা:
১। শরীরে মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ২। ২ বছর বয়স থেকে ব্যবহার করা যায়। ৩। একবার ব্যবহার করলে পরবর্তীতে আর দিতে হয় না।
মেনিনজাইটিস এখন সহজে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার মাধ্যমে কাটিয়ে উঠা যায় বলে একে অবহেলা করার কোনো সু্যোগ নেই। ১৯৯১-২০১০ সালে আফ্রিকার দেশগুলোতে মেনিনজাইটিস আক্রান্ত প্রায় ১০লাখ রোগীর মাঝে মারা যায় প্রায় ১লাখ। কেবলমাত্র ২০০৯ সালেই ৮০হাজার আফ্রিকান এই মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও মারা যায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ। আফ্রিকাতে ২০১৩ সালে এই রোগে আক্রান্ত ১২৪৬৪টি রোগীর মাঝে মারা যায় ১১৩১ জন এবং ২০১৪ সালে ১৪৩১৭ জনের মাঝে মারা যায় ১৩০৪জন।[তথ্যসূত্রঃ Global Health Obserbatory(GHO) Data] আমেরিকাতেও প্রতিবছর প্রায় ৪০০০ মানুষ ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও প্রায় ৫০০জনের অধিক মানুষ মারা যায়। নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় প্রায় ৬০০০ জন ও মেনিনগোকক্কাল মেনিনজাইটিসে ২৬০০জন।(তথ্যসূত্রঃ Statistics of Meningitis, Florida Hospital)
মেনিনজাইটিস এমন একটি রোগ যা ভয়াবহ অাকার ধারণ করলে চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পাওয়া যায়। তাই মেনিনজাইটিসের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময়ে টিকা নেয়ার মাধ্যমে নিজেকে, নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি তৈরি করতে হবে জনসচেতনতাও।
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/135296
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে বাংলাদেশিসহ নিখোঁজ ৪৩
.
উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ার উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া ওই নৌকার অন্য আরও ৮৪ আরোহীকে উদ্ধার করেছে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী।
আজ শনিবার ( ৩ জুলাই) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিউনিশিয়া রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, ডুবে যাওয়া ওই নৌকায় বাংলাদেশ, মিসর, সুদান এবং ইরিত্রিয়ার নাগরিকরা ছিলেন। তারা লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার সময় নৌকাটি ডুবে যায়।
এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট আরও জানিয়েছে, লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জুওয়ারা উপকূল থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাটি যাত্রা শুরু করেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে তিউনিশিয়া উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী বেশ কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে, গত রবিবার লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ভেঙে যায়। পরে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী ওই নৌকা থেকে ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। এ সময় নৌকাটিতে অন্য দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ পাওয়া যায়। নৌকাটি থেকে উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বাংলাদেশ, মিসর, ইরিত্রিয়া, আইভরিকোস্ট, মালি, নাইজেরিয়া, সিরিয়া এবং তিউনিসিয়ার নাগরিক বলে জানিয়েছিল তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া গত ২৪ জুন ভূমধ্যসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ২৬৪ জনই বাংলাদেশি। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধপথে ইউরোপে যাওয়ার সময় ওইদিন তাদের উদ্ধারের তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
গত দুই বছরে লিবিয়া থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গি স্লিম গত মাসের শেষের দিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, তিউনিশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আবাসগুলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ রয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমানোর অন্যতম পথ হয়ে উঠেছে ইতালি। তবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইতালি হয়ে ইউরোপ যাত্রার চেষ্টা প্রায়ই ব্যর্থ হয়। চলতি বছরে ইতালি হয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপ যাত্রার পরিমাণ আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার ৮০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছেন, যাদের বেশিরভাগই সংঘাত এবং দারিদ্র থেকে বাঁচতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু গত বছরের একই সময়ে ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পৌঁছানোর এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ হাজার ৭০০ বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
0 notes
Video
youtube
বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে ৩ মাসের জন্য ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ক্যান্ডিসকে নিয়ে ব্রিটিশ মূলুকেই থাকবেন ওয়ার্নার। যেন প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সহধর্মিনীর পাশে থাকতে পারেন। ওয়ার্নার-ক্যান্ডিসের সংসারে রয়েছে দুই মেয়ে। তারাও তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপের দেশে থাকবে। গেল বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেংকারিতে জড়িয়ে ১ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন ওয়ার্নার। এসময় প্রতিটি মুহূর্ত তার পাশে ছিলেন ক্যান্ডিস। ওই সময় তিনি বলেন, ওয়ার্নার অসাধারণ ক্রিকেটার। এর চেয়েও ভালো বাবা। মেয়েরা তাকে বলতে অজ্ঞান। সদ্য নির্বাসন কাটিয়ে মূলধারার ক্রিকেটে ফিরেছেন ওয়ার্নার। ফিরেই রয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে। আইপিএলে ছুটিয়েছেন রানের ফোয়ারা। এবার বিশ্বমঞ্চ মাতাতে চান ওয়ার্নার। শিরোপা ধরে রাখতে চান তিনি। এটি হয়তো শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে তার। সময়টা ভালো গেলে, মাঠের স্বস্তির সঙ্গে বাইরেও দারুণ প্রাপ্তি হবে অজি ওপেনারের। কারণ মেয়েদের নিয়ে সময় কাটাতে ভালোবাসেন বাঁহাতি বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। by World Wide News
0 notes
Photo
ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে স্থায়ী বসবাস, প্রতারণা ব্যবসা বা ফুটবলের সূত্র ধরে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের লোকজন ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। নির্ধারিত ভিসার মেয়াদ শেষ হলে পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে হয়ে যান অবৈধ। এরপর দীর্ঘমেয়াদে দেশে বসবাস করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তারা। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে এদেশের মানুষের সঙ্গে গড়ে তোলেন সখ্যতা। এরপর তাদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। বুধবার (২৮ নবেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বসবাসরত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ১৪ জন নাগরিককে আটক করেছে র্যাব-১। এরপর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন অপকর্মের কথা বেরিয়ে আসে। আটকদের মধ্যে নাইজেরিয়ার ৭ জন, উগান্ডার ২, ক্যামেরুনের ১, কঙ্গোর ১, লাইবেরিয়ার ১, তানজানিয়ার ১ এবং মোজাম্বিকের ১ নাগরিক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আ���োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম। তিনি বলেন, এই নাগরিকরা মূলত ফুটবল খেলা ও বিভিন্ন ব্যবসার নামে বাংলাদেশে আসেন ট্যুরিস্ট ভিসায়। ৩-৬ মাস পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও একেকজন ২-১০ বছর ধরে বাংলাদেশে রয়ে গেছেন। তারা ১০-১২ জন করে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। এদের আটকের সময় ২৯টি মোবাইল সেট, ২টি ল্যাপটপ, নগদ ১ লাখ ৫৮৫ টাকা, ১ হাজার ১৩ ডলার ও বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকটি চেক উদ্ধার করা হয়। চেকের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলেই তাদের বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য বেরিয়ে আসে বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা। র্যাবের বরাতে জানা যায়, আটকরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। তারা নিজেদের আফগানিস্তানে যুদ্ধরত সৈনিক বা জাতিসংঘের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে বন্ধুর জন্য দামি উপহার পাঠাবেন বলে প্রলোভন দেন। কয়েকদিন পর এ চক্রেরই বাংলাদেশি সদস্যরা ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে ফোন দিয়ে কাস্টমস বা ডাক বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। ট্যাক্স ফি বা অবৈধ জিনিসের কথা বলে উপহার ছাড়ের জন্য বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এছাড়া, কখনো কখনো সাদা কাগজে রাসায়নিক মিশিয়ে ডলার তৈরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এ চক্র। র্যাব-১ এর অধিনায়ক আরো বলেন, এ চক্রটি প্রতিমাসে ৩০-৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এদেরকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে কয়েকজন বাংলাদেশি সহায়তা করেন। সেসব বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। র্যাব কর্মকর্তা বলেন, এ চক্রের মূল হোতা হিসেবে মার্ক নামে নাইজেরীয় এক নাগরিককে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি, আমরা খবর পেয়েছি তিনি দেশ ছেড়েছেন। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
0 notes
Photo
“ধনীদের শহর” সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ধনী বসবাস করেন, সেরকম শীর্ষস্থানীয় ১০টি দেশের অর্ধেকই উন্নয়নশীল দেশের শহর। আর এসব দেশে সামাজিক বৈষম্য সবচেয়ে বেশি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বে সম্পদের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে যারা ১০০ কোটি ডলার বা তার চেয়েও বেশি পরিমাণ অর্থের মালিক, তাদের সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৪ জন। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৯ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন যা কীনা যৌথভাবে জার্মানি ও জাপানের মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপির চেয়েও বেশি। হংকংয়ের অধিকাংশ মানুষই লি কা শিংয়ের কথা জানেন। নব্বই বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী বিশ্বের ২৩তম ধনী ব্যক্তি। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৮শ কোটি ডলার। লি কা শিংয়ের যেসব ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে আছে পরিবহন থেকে শুরু করে আর্থিক সেবা এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্ব��লানী সরবরাহের মতো নানা ধরনের সার্ভিসও। কিন্তু বহুজাতিক আর্থিক পরামর্শ দানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল্থ এক্স সম্প্রতি বিশ্বের শত কোটিপতিদের ওপর একটি গবেষণা চালিয়েছে। তারা বলছেন, কা শিং ই হংকংয়ের একমাত্র শত কোটিপতি নন। তার মতো আরও অনেকেই আছেন। ওয়ার্ল্ড আল্ট্রা ওয়েলথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে হংকং বিশ্বের এমন একটি দেশ যেখানে নিউ ইয়র্কের পরেই সবচেয়ে বেশি ধনী লোকের বসবাস। বর্তমানে এই শহরে থাকেন মোট ৯৩ জন বিলিওনিয়ার বা শত কোটিপতি যা ২০১৬ সালের তুলনায় ২১ জন বেশি। শত কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে সমাজে তার কী ধরনের প্রভাব পড়ছে সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। একটি পক্ষ জোর দিচ্ছে এর ফলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের আয়ের বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার নৈতিকতার দিকটির ওপর। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা অক্সফাম তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, এই বৈষম্য দূর করতে হলে অতি-বিত্তশালী লোকদের আয়ের ওপর আরো বেশি করে কর ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। কিন্তু আরেকটি পক্ষ বলছে, এই শত কোটিপতিরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে এজেন্টের মতো ভূমিকা রাখছেন। অন্তত তাদের কেউ কেউ। বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ক্যারোলিন ফ্রয়েন্ড ২০১৬ সালে একটি বই লিখেছেন ‘ধনী ব্যক্তি: গরিব দেশ’ নামে। বিবিসিকে তিনি বলেন, সব ধনী ব্যক্তিকে একই চোখে দেখলে হবে না। একটা প্রবণতা আছে যে বিত্তশালীরা সম্পদের অপব্যবহার করে থাকেন। নানাভাবেই সম্পদ গড়ে তোলা যায়। আর সেই সম্পদ কী ধরনের তার ওপরেও নির্ভর করে সমাজে তার কী প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরো বলেন, যেসব ধনকুবের নিজের চেষ্টায় ধনী হয়েছেন, যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, তাদের কাছ থেকে অন্যরা লাভবান হয়ে থাকেন। কিন্তু যারা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ব্যক্তি মালিকানার মাধ্যমে ধনী হয়েছেন তাদের মাধ্যমে সমাজে খুব একটা উপকার আসে না। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা সংক্রান্ত ম্যাগাজিন ফোর্বস বলছে, এই শত কোটিপতিরা এখন বিশ্বের ৭২টি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। চীন, ভারত এবং হং কং-এ তাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে। এশিয়ার বিলিওনিয়ার ক্লাবে সদস্য সংখ্যা ৭৮৪। উত্তর অ্যামেরিকায় ৭২৭। এই প্রথম এশিয়ায় শত কোটিপতির সংখ্যা উত্তর আমেরিকার শত কোটিপতির সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, চীনে ২০১৬ সালে মাত্র এক শতাংশ মানুষের কাছে যতো সম্পদ ছিল তার পরিমাণ দেশটির মোট সম্পদের এক তৃতীয়াংশ। আর ২৫ শতাংশ দরিদ্র মানুষের কাছে ছিল মাত্র ১ শতাংশ সম্পদ��� আফ্রিকাতে ধনী ব্যক্তির সংখ্যা বর্তমানে ৪৪। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৯ হাজার ৩শ কোটি ডলার। বলা হচ্ছে, এসব ধনী ব্যক্তি যদি নিজেরা একটি দেশ গঠন করেন তাহলে তাদের দেশের জিডিপি হবে আফ্রিকার ৫৪টি দেশের তালিকার আট নম্বরে। তাদের মাথাপিছু আয় ২১১ কোটি ডলার। কিন্তু আফ্রিকায় সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয় ২০১৭ সালে ছিল ১ হাজার ৮২৫ ডলার। ভারতেও বিত্তশালীদের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়েছে। নব্বই- এর দশকের মাঝামাঝি ফোর্বসে ধনীদের তালিকায় মাত্র দু’জন ছিলেন ভারতীয়। কিন্তু ২০১৬ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে ২৮ কোটিরও বেশি মানুষ বাস করে দারিদ্রসীমার নিচে। অর্থনীতিবিদ ফ্রয়েন্ড বলছেন, যেসব দেশের খুব বেশি সম্পদ নেই সেসব দেশে বিত্তশালী ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, যারা কঠোর পরিশ্রম করে অল্প অর্থ উপার্জন করেন, তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু দরিদ্র দেশে ধনী মানুষ ও ধনী কোম্পানির সংখ্যা বাড়লে সেটা ভালো অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে জীবন-মানও উন্নত হয়। ফ্রয়েন্ড দেখিয়েছেন, চীনের নির্মাণ শিল্পে বড় বড় কোম্পানি গড়ে ওঠার কারণে শ্রমিকদের গড় মজুরি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তিনগুণ বেড়েছে। এসব কোম্পানিতে কাজ করছে প্রচুর মানুষ।
0 notes
Text
ফারাও শাসনে মিশরীয় সভ্যতার উত্থান ও বিকাশ (১ম ভাগ)
ফারাও এবং কুশাইট শাসন
প্রাচীন মিশরের মানচিত্র মিশরীয় সভ্যতা পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম সভ্যতা। বিশ্বের দীর্ঘতম আফ্রিকার নীল নদের অববাহিকায় এ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ভিক্টোরিয়া হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে দশটি দেশ পার হয়ে সর্বশেষে মিশর অতিক্রম করে নীল নদ ভূমধ্যসাগরে পতিত হয়। মিশরের মধ্য দিয়ে এ নদের প্রবাহকে কেন্দ্র করে প্রাচীন মিশরকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। সে সময়ে ভুমধ্যসাগরের নিকটবর্তী মিশরের উত্তরাঞ্চলকে ‘নিম্নস্থ মিশর’ ও দক্ষিণাঞ্চলকে ‘ঊর্ধ্বস্থ মিশর’নামে ভিন্ন ভিন্ন শাসকদের আওতাধীন ছিল। মিশরীয় সভ্যতার প্রথম বিখ্যাত রাজা, ঊর্ধ্বস্থ মিশরের রাজা নারমের (বা মেনেজ) দুই মিশরকে একত্রিত করে সমগ্র মিশরে একটি শক্তিশালী রাজ্য গড়ে তোলেন। রাজা নারমের ধারণা করা হয়, নারমেরের আগে ঐ অঞ্চলের রাজাদের নাম ছিল স্করপিয়ন বা ‘কাঁকড়াবিছা’। এ ধারণাকে কেন্দ্র করে ‘দ্য স্করপিয়ন কিং’ (২০০২), ‘দ্য স্করপিয়ন কিং ২: রাইজ অভ অ্যা ওয়ারিওর’ (২০০৮) এবং ‘দ্য স্করপিয়ন কিং ৩: ব্যাটেল ফর রিডেম্পশন’ (২০১২), ‘দ্য স্করপিয়ন কিং ৪: কোয়েস্ট ফর পাওয়ার’ (২০১৫), ‘দ্য স্করপিয়ন কিং: বুক অভ সোলস’ (২০১৮) নামে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। হায়ারোগ্লিফিক্স মিশরীয় ফারাও নারমেরের রাজত্বকালে প্রাচীন মিশরীয়দের আরেক বিষ্ময়কর আবিস্কার তাদের চিত্রভিত্তিক বর্ণমালা- হায়ারোগ্লিফিক্স। মিশরীয় রাজ দরবারের যে সব ব্যক্তিরা হায়ারোগ্লিফিক্সের মাধ্যমে রাজাদেশ বা অন্যান্য বিষয়াবলী লিপিবদ্ধ করতো তাদেরকে স্ক্রাইব বা দপ্তরি বলা হতো। মিশরীয় স্ক্রাইব এখানে একটি বিষয় জেনে নেয়া ভালো। চীনাদের পিকটোগ্রাম লিখন পদ্ধতি ‘ওরাকল বোন স্ক্রিপ্ট’ এর সাথে সুমেরীয়দের কিউনিফর্ম ও মিশরীয়দের হায়ারোগ্লিফ্লিকসের পার্থক্য এই যে, চীনারা ছবি শব্দ বা বাক্য বোঝাতো। অন্যদিকে, কিউনিফর্মে বিভিন্ন রেখাচিত্র ও হায়ারোগ্লিফ্লিকসে ছবি দিয়ে বর্ণ বোঝাতো। হায়ারোগ্লিফিক্স পাঠ বর্ণমালার সৃষ্টির ক্ষেত্রে মিশরীয়দের যেমন বিশেষ অবদান ছিল, তেমনি তারা পেপিরাস নামের লেখার উপযোগী এই চমৎকার উপাদান আবিস্কার করে। পেপিরাস এক ধরণের কাগজ। মিশরের জলাভূমিতে পেপিরাস নামে নলখাগড়া জাতীয় এক ধরণের গাছ পাওয়া যেত। সেই গাছ কেটে প্রাপ্ত খোলকে পাথর চাপা দিয়ে রোদে শুকানো হতো। শুকানো খোলগুলো পাথরের চাপে সোজা হয়ে লেখার উপযোগী হতো। পরবর্তীতে এ খোলাগুলোকে জোড়া দিয়ে রোল আকারে সংরক্ষণ করা হতো। এভাবে তৈরী লেখা বা চিত্রকলার উপযোগী মাধ্যমকে পেপিরাস বলা হয়। ভাষা শিক্ষা সফটওয়ার হিসেবে ‘রোসেটা স্টোন’ নামটি বেশ পরিচিত। রোসেটা স্টোন মূলতঃ প্রাচীন মিশরের একটি বড় পাথর ফলক বা শিলালিপির ভাঙা অংশ। এটি ব্রিটিশ মিউজিয়ামের সবচেয়ে বিখ্যাত বস্তুগুলোর মধ্যে একটি। এ পাথরে খোদাই করে হায়ারোগ্লিফিকস, ডেমোটিক (প্রাচীন মিশরীয়দের সাধারণ ‘জনগণের ভাষা’) এবং গ্রিক – এই তিন ধরনের লিপিতে ১৩ বছর বয়সী পঞ্চম টলেমি এর রাজ্যাভিষেকের উপলক্ষ্যে পুরোহিত পরিষদের সম্মতিসূচক ফরমান লিপিবদ্ধ করা হয়। মিশরীয় পুরাতত্ত্বে রোসেটা স্টোনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটা আবিস্কৃত হবার পূর্বে কেউ মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিকস পড়তে জানতো না। যেহেতু লেখাগুলোতে একই জিনিষ ভিন্ন তিনটি লিপিতে লেখা হয়েছে, এবং গবেষকগণ প্রাচীন গ্রিক পড়তে জানতেন, তাই রোসেটা স্টোন হায়ারোগ্লিফ পাঠোদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ সূত্রে পরিণত হয়। রোসেটা স্টোন নিম্নস্থ মিশরের মেমফেস, ঊর্ধ্বস্থ মিশরের থিবজ (বর্তমানে লুকশর) এবং হর্ন অভ আফ্রিকা অঞ্চলের পান্ট ছিল প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার বিখ্যাত কয়েকটি স্থান। মিশরের প্রাচীনতম পিরামিডগুলি মেমফিসের গিজা ও সাক্কারায় আবিষ্কৃত হয়েছে। ‘ভ্যালি অভ দ্য কিংস’ ও ‘ভ্যালি অভ দ্য কুইনস’এর জন্য থিবজ বিখ্যাত। এ সকল উপত্যকায় ফারাও ও তাঁদের স্ত্রীদের সমাহিত করা হতো। পান্ট অঞ্চল সোনা ও হাতির দাঁতের জন্য বিশেষ বিখ্যাত ছিল বলে মিশরীয়দের সাথে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য চলতো। প্রাচীন মিশরীয়রা বহুশ্বরবাদী ছিল। তাদের সকল দেবী-দেবীর উৎপত্তি হয়েছে ‘নান’ দেবতা থেকে। তারা যে সব দেব-দেবীর পূজা করতো তাদের মধ্যে আমুন, আনুবিস, আইসিস, হোরাস, মাত, ওসিরিস, রা, সেথ ও সেখমেট উল্লেখযোগ্য। আমুন সৃষ্টির দেবতা, আনুবিস মৃতের জগতের অধিকর্তা; আইসিস শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় দেবী, ওসিরিসের পত্নী এবং হোরাসের মা; হোরাস আকাশ, সূর্য, রাজত্ব, প্রতিরক্ষা এবং সুস্থতার দেবতা; মাত সত্য, ভারসাম্য, আদেশ, আইন, নৈতিকতা ও সুবিচার এর দেবী; ওসিরিস পরকালের বিচারক, শস্য ও পুনর্জন্মের দেবতা; রা মধ্যদিনের সূর্য দেবতা; সেখমেট যুদ্ধের দেবী এবং সেথ ছিল বিশৃঙ্খলা, মরুভূমি ও নৃসংশতার দেবতা। মিশরীয় দেব-দেবীর পরিবার চিকিৎসা বিদ্যায় এখনও প্রতিরক্ষা এবং সুস্থতার দেবতা হোরাসের উপস্থিতি রয়েছে। ডাক্তারের যে কোন পেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্রের দিকে তাকালে Rx শব্দ যুগল আমাদের চোখে পড়ে। এই Rx-এর R এর অর্থ ‘রেসিপি’ (recipe)। আদেশসূচক বাক্যের ক্রিয়া হিসেবে ‘রেসিপি’ বা R বোঝায় ‘এটা লও’ (take this)। ব্যবহারিক অর্থে Rx এখন ‘পেসক্রিপশন’ বা সাধারণ অর্থে ‘ঔষধ’ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। Rx-এর সাথে প্রাচীন মিশরের একটি গল্প মিশে আছে। সেটা হলো ‘হোরাস’ দেবতার চোখ। গ্রামে-গঞ্জে তাবিজ যেভাবে প্রতিরক্ষা কবজ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তেমনি প্রাচীন মিশরীয়দের প্রতিরক্ষা কবজ ছিল ‘হরুসের চোখ’। চোখের এই প্রতীকটি কালক্রমে Rx রূপ ধারণ করেছে বলে অনেকে মনে করেন। মিশরীয় দেবতা বিশেষ করে হোরাসকে আশ্রয় করে নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের নাম ‘গডস অভ ইজিপ্ট’ (২০১৬)। Rx প্রতীক প্রাচীন মিশরীয় রাজাদেরকে ফারাও বলা হতো। ফারাওরা নিজেদেরকে কখনো ঈশ্বর, কখনো ঈশ্বরের প্রতিনিধি দাবী করতেন। ফারাওদের মধ্যে জোসার, স্নেফ্রু, খুফু, জেডেফ্রে, খাফ্রে, সবেকসেফেরু, ১ম আহমোসিস, হ্যাতশেপসুট, আকনাথুন (৪র্থ আহমুনহোথেপ) ও তাঁর স্ত্রী নেফারতিতি, তুতানখামুন এবং র্যামসিজ দ্য গ্রেট (২য় র্যামসিজ) এর নাম উল্লেখযোগ্য। মিশরের ফারাওদের ইতিহাস কয়েকটি রাজবংশে বিভক্ত। থিনিস নামের কোন এক শহরকে কেন্দ্র করে রাজা নারমের যে ফারাও রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে সেটি প্রথম বংশ। খ্রি.পূ. ৩০ শতকে এ বংশের সমাপ্তি ঘটে। থিনিসেই দ্বিতীয় বংশ (২৮৯০–২৬৮৬ খ্রি.পূ.) ও মেমফিস শহরে তৃতীয় ফারাও বংশ (২৬৮৬–২৬১৩ খ্রি.পূ.) গড়ে ওঠে। তবে তৃতীয় বংশের ফারাও জোসার বাদে এই দুই রাজবংশের মধ্যে বিখ্যাত কোন শাসকের নাম পাওয়া যায় না। ফারাও জোসারফারাও খাফ্রেফারাও খুফুফারাও জেডেফ্রেফারাও স্নেফ্রু স্নেফ্রু, খুফু, জেডেফ্রে, খাফ্রে- এই চার ফারাও মেমফিস শহরে গড়ে ওঠা চতুর্থ বংশের (২৬১৩–২৪৯৪ খ্রি.পূ.) ফারাও। এরা সবাই পিরামিড তৈরির জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরনো মিশরের পিরামিড। চতুর্থ রাজবংশের ফারাওগণ পিরামিড হলো এক প্রকার জ্যামিতিক আকৃতি বা গঠন যার বাইরের তলগুলো ত্রিভূজাকার এবং যারা শীর্ষে একটি বিন্দুতে মিলিত হয়। বিভিন্ন ফারাওরা বিভিন্ন সময়ে তাদের সমাধিক্ষেত্র হিসেবে এ সব পিরামিড নির্মাণ করে। খুফুর পিরামিড মিশরে ছোটবড় ৭৫টি পিরামিড আছে। স্থপতি ইমহোটেপের নির্দেশনায় ফারাও জোসার সবচেয়ে পুরনো পিরামিডটি নির্মাণ করে। ফারাও স্নেফ্রু নির্মাণ করে ‘অবনত পিরামিড’ ও ‘লাল পিরামিড’। সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষনীয় গিজা'র পিরামিডটি নির্মাণ করে ফারাও খুফু। তাই এটা খুফু'র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। মিশরের মতো সুউচ্চ না হলেও অন্যান্য কয়েকটি দেশে বিভিন্ন ধরণের ছোট-বড় পিরামিড বা পিরামিড সদৃশ স্থাপনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়, যেমন- ইরাক, সুদান, নাইজেরিয়া, গ্রিস, স্পেন, চীন, ইটালি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও পেরু। পিরামিডের মতো মিশরীয় সভ্যতার আরেক নিদর্শনের নাম গিজার প্রকাণ্ড স্ফিংস। স্ফিংস একটি দোআঁশলা পৌরাণিক প্রাণি যার সিংহাকৃতির শরীরের উপরে মানব মাথা বসানো। মিশরের মতো গ্রীক পুরাণেও স্ফিংসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মিশরীয় স্ফিংক্সগুলো সাধারণত পুরুষ আকৃতির কিন্তু গ্রীক পুরাণের স্ফিংসরা নারী-আকৃতির হয়। বিভিন্ন পুরাণে স্ফিংক্স বা স্ফিংক্স সদৃশ কাল্পনিক প্রাণিকে মন্দির কিংবা সমতুল্য কোন অঞ্চলের প্রবেশদ্বারের প্রহরীস্বরূপ বর্ণনা করা হয়। ফারাও জেডেফ্রে বা ফারাও খাফ্রে গিজার প্রকাণ্ড স্ফিংসটি নির্মাণ করে বলে মনে করা হয়। গিজার স্ফিংস চতুর্থ বংশের পরবর্তী আটশো বছরে মেমফিস শহরকে কেন্দ্র করে পঞ্চম থেকে অষ্টম বংশ, হেরাক্লিওপলিস ম্যাগনা শহরে নবম ও দশম এবং থিবজ শহরে একাদশ ও দ্বাদশ, ইচতাওয়ায়ি শহরে ত্রয়োদশ এবং এভারিস শহরে চতুর্দশ ফারাও বংশ গড়ে ওঠে। এদের মধ্যে দ্বাদশ রাজবংশের চার আমেনেমহাত ও তিন সেনুসরেত ফারাওরাও পিরামিড নির্মাণ করে। এছাড়া আর কোন রাজবংশের তেমন উল্লেযোগ্য কোন কীর্তি পাওয়া যায় না। দ্বাদশ রাজবংশের ফারাওগণ প্রাচীন মিশরে পুরুষদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন নারী ফারাও ছিল। প্রথম নারী ফারাও ছিলো দ্বাদশ বংশের ফারাও সবেকনেফেরু। দ্বিতীয় নারী অষ্টাদশ বংশের ফারাও হ্যাতশেপসুট পান্টের সাথে মিশরের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার করেন। মিশরে নারী শাসকদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে দীর্ঘ সময় মিশর শাসন করেছিলেন। ফারাও হ্যাতশেপসুটফারাও সবেকনেফেরু খ্রিস্টপূর্ব সতের শতকের মাঝামাঝি সময়ে হাইকসস (‘পরদেশি শাসক’) নামের এক যাযাবর জাতি প্রাচীন মিশরীয় ফারাওদের রাজত্বকালের বিচ্ছেদ ঘটায়। হাইকসসরা ছিল পশ্চিম এশিয়ার সেমেটিক যাযাবর। নীলনদের ব-দ্বীপের অ্যাভারিস নগর হাইকসস জাতিগোষ্ঠীর রাজধানী ছিল বলে ধারণা করা হয়। এদের কাছ থেকে মিশরীয়রা ব্রোঞ্জ, নতুন অস্ত্র এবং ঘোড়াটানা রথের ব্যবহার শিখেছিল। (ধারাবাহিকভাবে পৃথিবীর গল্প চলবে) পর্ব-০১: পৃথিবীর গল্প: চীনা রূপকথা ও লোককাহিনী- উদ্ভব, সংস্কৃতি ও সভ্যতা পর্ব-০২: পৃথিবীর গল্প: চার সভ্যতার লীলাভূমি মেসোপটেমিয়া (সুমেরীয়-আকেদীয়-গুটি-সুমেরীয়) পর্ব-০৩: পৃথিবীর গল্প: চীনে এগারো শত বছরের শাসনে দুই রাজবংশ (শিয়া ও শাং রাজবংশ) পর্ব-০৪: পৃথিবীর গল্প: চার সভ্যতার লীলাভূমি মেসোপটেমিয়া (আসেরীয়া-ব্যাবিলনিয়া-হিটাইট-ক্যাসাইট-নব্য আসেরীয়া- নব্য ব্যবিলনীয়া) Read the full article
0 notes
Link
🍜 সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর_______________ ১। বাংলাদেশ চা বোর্ড কতৃ�� নিবন্ধনকৃ্ত চা বাগানের সংখ্যা = ১৬৪ টি। ২। বর্তমানে দেশে বেসরকারী মেডিকেল কলেজ = ৭৫ টি, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ৬ টি সহ। ৩। পদ্মা সেতুর একটি খুঁটি থেকে আরেকটি খুঁটির দৈর্ঘ্য = ১৫০ মিটার। ৪। নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা - সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত = মহেশখালী, কক্সবাজার। ৫। ক্ষীরশাপাতি হলো = চাপাইনবাবগঞ্জের উতকৃ্ষ্ট আমের জাত। ৬। বিশ্বের যে কয়টি দেশে বাংলাদেশের পন্য শুল্ক মুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে = ৫২ টি। ৭। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলী বন হচ্ছে = টেংরাগিরি বনাঞ্চল । ৮। বাংলাদেশের তেল, গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানী SOCAR(Sate oil company of the Azarbaijan Republic) যে দেশের = আজারবাইজান। ৯। বর্তমানে দেশে যত ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে = ২৫ ধরনের । ১০। বর্তমানে তুলা আমদানিতে বিশ্বে শীর্ষ দেশ = বাংলাদেশ । ১১। আফ্রিকা মহাদেশের যে স্থানে ভারত সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে = অ্যাসাম্পশন আইল্যান্ড। ১২। যুক্ত্রাজ্যের নারীরা ভোট দেবার অধিকার পায় = ৬ই ফেব্রুয়ারি ১৯১৮ সালে। ১৩। বিশ্বের যতটি দেশে ই-পাস্পোর্ট চালু আছে = ১১৮ টি। ১৪। Mara Salvatrucha বা MS-13 যে দেশের গোপনীয় অপরাধ চক্র = যুক্তরাষ্ট্র । ১৫। শিশু বয়সে যেসব অধিবাসী মা-বাবার সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদের বলা হয়= Dreamers ১৬। কমনওয়েলথের কতটি দেশ সদস্যপদ ত্যাগ করে আবার পুনরায় যোগ দেয় = ৪ টি যথা��� পাকিস্তান, দক্ষিন আফ্রিকা , ফিজি ও গাম্বিয়া। ১৭। ২০১৮ সালের EPA'র প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ দূষিত বায়ূর দেশ হচ্ছে = নেপাল । ১৮। দক্ষিন আফ্রিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট = সিরিল রামাফোসা । ১৯। Polar SilK Road এর প্রস্তাবক যে দেশ = চীন । ২০। 'বঙ্গবন্ধু-১' স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে যে কোম্পানি = SpaceX 🏜বিদ্রঃ-অবশ্য পোষ্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে রাখবেন।লাইক কমেন্ট করে আমাদের সকল রাইটারদের উৎসাহ দিয়ে যাবেন।অল্প করে হলেও ��কটা Thanks দিয়ে যাবেন। #Moniruzzaman__Monir http://ift.tt/2nEgSiH
0 notes
Text
ফেইসবুকের খোলা স্ট্যাটাস
<span data-mce-type="bookmark" style="display: inline-block; width: 0px; overflow: hidden; line-height: 0;" class="mce_SELRES_start"><span data-mce-type="bookmark" style="display: inline-block; width: 0px; overflow: hidden; line-height: 0;" class="mce_SELRES_start"><span data-mce-type="bookmark" style="display: inline-block; width: 0px; overflow: hidden; line-height: 0;" class="mce_SELRES_start"> (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এক
বোধ করি তখন ২০০১ বা ২০০২ সাল। আমি মধুপুর ডিগ্রী কলেজে অধ্যাপনা করি।
কিছু অজানা বিষয় লিখব। আমার জীবন টা ফটোগ্রাফি কীভাবে উলট পালট করে দিয়েছিল, সে নিয়েই লেখা।
আমি ছেলেবেলায় ফটোগ্রাফি করতাম! খুব শখের একটা ��াজ ছিল। বাড়ির কেউ তা পছন্দ করত না। ছেলে'ক্যামেরাম্যান' হয়ে যাবে - এই ভয়ে আমার বাবা আমাকে কোনদিন ক্যামেরা কিনে দেয় নি! আমার হাতে ক্যামেরা দেখলে বাবা কেমন যেন রাগ রাগ নিয়ে তাকাতেন! বাড়ি ফিরলে তাঁর রুমে আমাকে একা ডাকতেন। বলতেন,"তুমি অন্যের ছবি তুলবে কেন? তুমি ক্যামেরাম্যান হবে কেন? তুমি অনেক পড়াশুনা করবে, জাজ - ব্যারিস্টার হবে, তোমার ছবি তোলার জন্য ডজন খানেক ক্যামেরাম্যান দাঁড়িয়ে থাকবে! সাংবাদিকরা ছুটোছূটি করবে। বুঝছ?" আমি বলতাম, "কিন্তু আমার যে ইচ্ছে করে ক্যামেরা ডিরেক্টর হব!" বাবা বলতেন, "গুড, ডিরেক্টর হবে, কিন্তু ক্যামেরাম্যান নয়! তোমার ছবি যখন কেউ তুলে সে ক্যামেরাম্যান আর যার ছবি তুলে সে ডিরেক্টর! তুমি হবা ডিরেক্টর, ক্যামেরাম্যান না! আমি যেন তোমার হাতে ক্যামেরা আর জীবনে না দেখি!"
vimeo
Learn Selenium Webdriver with Java & Earn from Home Anywhere in the World from Babul Nokrek on Vimeo.
Learn Selenium Webdriver with Java & Earn from Home Anywhere in the World is LIFE CHANGING Course Designed, Developed & Instructed by Babul D' Nokrek. Babul D' Nokrek is an IT Instructor at AccentTech (please visit http://www.accenttech.us) in the United States of America. Please contact: https://www.fiverr.com/babulnokrek
বাবার সামনে ক্যামেরা ধরার সাহস আমার আর ছিল না। কিন্তু আমার ছবি তোলা শেখা বন্ধ থাকে নি। আমার বড় মাসি দিনিলা থেকলা নকরেক (প্রথমে স্টাফ নার্স পরে স্কুল টীচার ছিলেন। এখন হলিক্রশ সিস্টার) আমাকে ইয়া��িকা ক্যামেরা কিনে দিয়েছিলেন। তখন ক্যামেরার দাম ছিল ১৬শ টাকা। আশির দশকে ১৬শ টাকা আমাদের হোস্টেল খরচ ৬ মাস চলে যেত! সে বিবেচনায় অনেক টাকা। প্রাইমারী টিচারদের বেতন ছিল ৩০০-৫০০ টাকা। সে বিবেচনায় মাসির ৪-৫ মাসের বেতন!
হাই স্কুলে উঠে লিও দা (লিও গমেজ, দিলীপ হিউবারট গমেজ এঁর ছোট ভাই) কে পাই। উনি ২-৩ বছরে বড়। খুব ভাল ফটোগ্রাফার। তাঁর পেছনে ছুটি ক্যামেরার কাজ কারবার শেখার জন্য। পরবর্তীতে আমাদের টিচার ফিলো ম্রং (মাসি ডাকতাম) এঁর স্বামী নেলসন রেমাকে (মেসো) ছবি তুলার গুরু হিসেবে পাই।
ক্লাশ সেভেনে উঠে মধুপুরের শাপলা স্টুডিও'র মালিক এবং ফটোগ্রাফার হীরা ভাইকে পাই ওস্তাদ হিসেবে। তাঁর অখানে স্টুডিওতে চুপ করে বসে থাকি প্রতি শুক্রবার হোস্টেল পালিয়ে!
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি সোসাইটি'তে ভর্তি হই। পিয়ারো ভাই ছিলেন আমাদের ফটোগ্রাফি'র শিক্ষক। অসম্ভব ভাল ছবি তুলতেন।
আমি কেবল বিএ অনার্স পরীক্ষা দিয়েছি। মেহেরুন্নেসা মহিলা কলেজে-এর প্রিন্সিপাল ইংরেজির প্রভাষক খুঁজছিলেন। তাঁকে আমার ছবি তোলার ওস্তাদ হীরা ভাই জানান, "ভাল টিচার হবে কি না জানি না। ভাল ছেলে, ভাল ছাত্র চাইলে আমি সন্ধান দিতে পারি!"
প্রিন্সিপাল একদিন আমার সাথে দেখা করে কথা বললেন! কিন্তু বলেন নি তিনি শিক্ষক দেখতে এসেছেন! পরে ডেকে পাঠালেন। আমারও বয়স কম। ২৩-২৪ হবে হয় ত! মহিলা কলেজের প্রতি একটা টান অনুভব করি! না বলতে পারলাম না। ভাবলাম মাস্টার্স শেষ না করার পূর্ব পর্যন্ত সেখানে খন্ডকালীন অধ্যাপনা করব! কিন্তু সেই যে শুরু করলাম আর শিক্ষকতা ছাড়তে পারি নি!
ফটোগ্রাফি না করলে কী আমার সাথে হীরা ভাইয়ের সাথে দেখা হত? মেহেরুন্নেসা কলেজে পড়ান হতো? অধ্যাপনা করা হত?
হত বলে মনে হয় না। জীবনটা উলট - পালট করে ফেলেছে এই ফটোগ্রাফি আর শিক্ষকতা জীবন। আমি হতে চেয়েছি ভাল পাঠক, ভাল লেখক। ভেবেছিলাম শিক্ষকতা করলে সেটি করার সময় হবে। হয় নি!
যাহোক, ২০০০ সালে মধুপুর ডিগ্রী কলেজে ইংরেজি'র প্রভাষক হিসেবে জয়েন করলাম। মূলত সেখানে প্রফেসার গোলাম ছামদানী স্যার এবং প্রিন্সিপাল হেকমত আলী স্যারের আগ্রহতেই চলে আসা। আমি এই ২ জন মানুষকে আমার পিতার মত পেয়েছি। অধ্যাপক এবং সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনকে পেয়েছি বড় ভাই আর বন্ধুর মত!
vimeo
Learn Selenium Webdriver with Java & Earn from Home Anywhere in the World from Babul Nokrek on Vimeo.
একদিন কলেজের অনিয়ম নিয়ে ছাত্র - ছাত্রীরা ক্লাশের মধ্যে আমার কাছে নালিশ করছিল! আমি তাদের বল��িলাম, "আমি নিজেই থাকি নদীর জলে - ডাঙ্গায় বাঘ আর নদীতে কুমির অবস্থা! জলে থেকে কুমীরের সাথে লড়াই করা বোকামী। তারপরও আমি এটুকু বলতে পারি, বিষয় টি যাতে আর না ঘটে তা আমরা সবাই মিলে দেখব!" (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
Click on any Digital Camera to find thousands of Cameras that you love!
amzn_assoc_placement = "adunit0"; amzn_assoc_search_bar = "true"; amzn_assoc_tracking_id = "nokrekbabul-20"; amzn_assoc_ad_mode = "manual"; amzn_assoc_ad_type = "smart"; amzn_assoc_marketplace = "amazon"; amzn_assoc_region = "US"; amzn_assoc_title = "My Amazon Picks"; amzn_assoc_linkid = "1a9bffb33dc17fc00ccd0f148c38e9dc"; amzn_assoc_asins = "B00G5IX8OQ,B01M0N5KHU,B01IAL1Q8U,B074TTR3BT,B00ENZRP38,B011CM34S4,B075N1KS49,B00POTV2Y0";
তারপর কথা প্রসঙ্গে ওদের বলছিলাম, "আমার একটা ভাল কলেজ করার ইচ্ছে আছে মধুপুরের শাল-অরণ্যের ভেতর। সেখানে খেটে খাওয়া গরীব মানুষের ছেলে - মেয়েরা পড়বে। ওরা অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখবে। দেশ ও পৃথিবীর কল্যাণে কাজ করবে। বলতে পারো একটা ছোট স্বপ্ন! জানি না, হবে কি না। কিন্তু স্বপ্ন দেখি!"
দুই
আজ রনু ফকির নামে একজন ছেলে ফেইসবুকে আমাকে বলছে, "স্যার, আপনার সাথে আমার কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে, সময় হবে?" (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
Click on any Digital Camera to find thousands of Cameras that you love!
অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়েছি ২০১০ সাল থেকেই। কিন্তু শিক্ষকতা ছাড়ি নি! অনলাইনে এখনও ছাত্র পড়াই। চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্ডিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, কানাডা, আফ্রিকা, নাইজেরিয়া এবং আমেরিকার ছাত্রও আছে তালিকায়। এঁদের কেউ কেউ আইটি স্প্যাশালিস্ট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, ব্লগার, লেখক, গায়ক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ইত্যাদি।
vimeo
One of my Professional Blogging Students - RichyOoi from Babul Nokrek on Vimeo.
To contact with Mr. RichyOoi and book him for his services, please click here!
কিছু ক্লাশের ভিডিও দিচ্ছি যেন আমার ছাত্রদের সম্পর্কে একটা আই��িয়া পাওয়া যায়। পৃথিবীর মানুষ কীভাবে নিজেদের আপডেট রাখার জন্য মরিয়া হয়ে মানুষের কাছে ছুটে, টাকা খরচ করে শুধুমাত্র নতুন কিছু শেখার জন্য। কেউ কেউ পেশা পরিবর্তন করতে চান। কাজে নতুনত্ব আনতে চান। কেউ কেউ ২-৪ ঘন্টার ছাত্র হয়ে যান ডিজিটাল বিশ্বে কী ঘটছে সেটুকু খোঁজ নেওয়ার জন্য।
vimeo
Software Testing with Alex, UK - 02 from Babul Nokrek on Vimeo.
Mr. Alex is from the United Kingdom and Engineer By Profession! To watch the video, please use password: BabulAlex123
আমি ব্যক্তিগতভাবে ৬০০শ'র উপরে কোর্স করেছি! তাই আইটি বিশ্ব সম্পর্কে বেশ দখল চলে এসেছে - ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার টেস্টিং প্রসেস, সেলেনিয়াম টেস্ট অটোমেশান, টেস্ট ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল, টেস্ট একজেকিউশান, প্রফেশনাল ব্লগিং, ইন্টারনেট বিজনেস, অনলাইন কনসালট্যান্সি, সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং, টিশার্ট ডিজাইনিং এই বিষয় গুলোতে আমি সারাদিন বক্তব্য দিতে পারি। যারা আমার ইন্টারভিউ নেন, তাঁরা সাধারণত এই প্রশ্ন করেনঃ
- আপনি কয় ঘন্টা ঘুমান? এতগুলো বিষয় কীভাবে শিখলেন? - আগামী ২-৫ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
আমি উত্তরে বলি, ১) আমার যতটুকু না ঘুমালে শরীর খারাপ করে না, ততটুকু ঘুমাই। আর বাকী সময় পড়ি আর লিখি! (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
Click on any Digital Camera to find thousands of Cameras that you love!
২) আগামী ২-৫ বছরে প্রজেক্ট লীড হিসেবে নিজেকে দেখি!
উলটো প্রশ্ন করেন, তাহলে আমাদের বসের কী হবে? আমাদের কী হবে? আপনাকে নিয়ে আমরা কী বিপদে পড়ব?
- আমি বলি, আমাদের প্রজেক্ট লীড তখন কোম্পানির মালিক থাকবেন। আপনারা হয়ে যাবেন সিনিয়র কন্সালট্যান্ট! তাঁরা হাফ ছেড়ে বলেন, জিনিয়স এন্সার!
সেদিন হাতে সময় ছিল না একদম, আফ্রিকান একজন ছাত্র (নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার) অনলাইনে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তবুও বললাম, "তোমার ফোন টা দাও!"
তিন
ফোন দিলাম ...
- হ্যালো স্যার, আমি রনু। আমার কথা মনে আছে? আমি মধুপুর কলেজে আপনার ছাত্র ছিলাম।
- মধুপুর কলেজ? তোমার আর কোন নাম?
- আমি জুবায়ের...
- জুবায়ের ফকির রনু?
- জি স্যার।
আফ্রিকার ছাত্র টিকে বললাম ৩০ মিনিট পর ক্লাশ দেব। ��িনি বললেন, "আপনার প্রয়োজন হলে, আরেকটু সময় নেন!"
vimeo
T-shirt&HoodieDesignStore from Babul Nokrek on Vimeo.
T-shirt Design Class with Ms. Sharlene, Canada who is currently working as a Dental Assistant & Online Business Owner! Password: BabulDNokrek123
চার (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
Click on any Digital Camera to find thousands of Cameras that you love!
রনু ফকির অনেক কথা মনে করিয়ে দিল। কিছুক্ষণের জন্য ২০০০-২০০৩ সালের মধুপুর কলেজে ফিরে গেলাম! অনেক ছাত্র - ছাত্রী, শিক্ষকদের কথা মনে পড়ল। মনে পড়ল ইকো - পার্ক, লড়াই - সংগ্রাম - আন্দোলন, বীর শহীদ চলেশ রিছিল আর শহীদ পীরেন স্নালের কথাও।
vimeo
Software Testing with Mike-02 from Babul Nokrek on Vimeo.
Mr. Mike, a student from Nigeria who is currently working for a multi-national company in Canada! Password: BabulMike123
মিছিলে পুলিশের বৃষ্টির মত গুলি! পীরেন শহীদ হয়ে গেল। মনে পড়ল বীর উৎপল নকরেক এর কথাও, যে মিছিলের সামনে থেকে গুলি খেয়ে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেল। সে আর নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কোনদিন হাটবে না! মনে পড়ল আমার আরেক ছাত্র অন্তর মানখিন এর কথাও, যে মিছিলে গিয়ে তাঁর দাঁত হারিয়েছিল!
vimeo
Online Business Consultation-Nigeria from Babul Nokrek on Vimeo.
Online Business Consultation Class with a Student from Ghana. Password: BabulSteve123
vimeo
Software Testing with Stephen-02 from Babul Nokrek on Vimeo.
Manual Software Testing Class with a Student from Ghana. Password: BabulSteve123
To contact with Mr. Steve and book him for his services, please click here!
ঐ সময় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, মধুপুরের শালবন 'কেটে, সাফ করে নতুন বন' বানাবেন। আমার কিছু বন্ধু, আজিয়া, বাগাছাস, গাসু, আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ এবং আমি তখন এর প্রতিবাদ করি। আন্দোলনে - মিছিলে মধুপুর উত্তাল! আন্দোলন ছাড়তে হবে নতুবা কলেজ ছাড়তে হবে --- এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় আমার উপর। আমি কলেজ অধ্যাপনায় ইস্তফা দিয়ে দিই।
পাঁচ
আমি চুপ ছিলাম ...
রনু বলে গেল ...
- স্যার মনে আছে? আপনার একটা স্বপ্ন ছিল মধুপুর বনে একটা ভাল কলেজ করবেন?
- হু
- এখনও কী সে স্বপ্ন দেখেন?
- হুম! স্বপ্ন কী কখনও মরে?
- কিন্তু আপনি না থাকলে কেমনে হবে? স্যার, চলেন স্যার দেশে ফিরে যাই! কলেজটা হোক। আপনি না থাকলে ...
- তোমরা নিজের স্বপ্ন মনে করে একটা কলেজ খুলে ফেলবা
- আমিও তো দেশের বাইরে।
- কোথায়? কী ...
- আমি সৌদি আরবে। একটা কন্সট্রাকশন ফার্মের ম্যানেজার
- তোমরা অনেকেই এখন দেশের বাইরে। আমরা সবাই মিলে টাকা দিলে একদিন হয়ে যাবে কলেজ ...
- আপনি জানেন আমার কী স্বপ্ন ছিল, স্যার?
- না, কী ছিল জুবায়ের?
- যেদিন আপনি ক্লাশে বললেন, আপনার স্বপ্ন মধুপুর বনের ভেতর গরীব মানুষের জন্য একটা কলেজ করবেন, সেদিন থেকে আমিও সেই কলেজে অধ্যাপনা করার স্বপ্ন দেখতাম!
- আহা! তাই না কি?
- জি স্যার। আমি ম্যানেজমেন্ট - এ অনার্স মাস্টার্স করেছিলাম। আমার মত ছাত্র কী এতদূর আসতে পারতাম যদি একটা স্বপ্ন না দেখতাম? আপনি আমাদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন স্যার ...
- তাই! তাহলে দেশে ফিরে গিয়ে কোন একটা কলেজে পড়াও। আমি খুব খুশি তুমি এতদূর আসতে পেরেছ।
- না স্যার, আমি তো মধুপুর বনের ভেতর গরীব মানুষের জন্য যে কলেজ হবে, সেখানে পড়াবার স্বপ্ন দেখেছি, অন্য কোন কলেজে না ...
ছয় (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
Click on any Digital Camera to find thousands of Cameras that you love!
আহারে ছেলে টা! আমি কী মনের ভুলে এমন আরও কাউকে এমন মিছে স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম? খুব কষ্ট লাগল। কেমন নস্টালজিক হয়ে উঠলাম। খুব লজ্জাও লাগছে, মনে হল।
আমার মনে হল, আমি লজ্জায় একটু লাল হয়ে গেছিলাম। রনু ফকির, তুমি ক্ষমা করে দিও তোমার অযোগ্য এই শিক্ষককে। আমি তোমাকে মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম। ক্ষমা করে দিও।
সাত
যদি আরও কাউকে এমন মিছে স্বপ্ন দেখিয়ে থাকি, তাঁরাও যেনো ভুলে যায়, ক্ষমা করে দেয়।
বাবুল ডি' নকরেক
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
Click on any Digital Camera to find thousands of Cameras that you love!
0 notes