Tumgik
#আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আবার শুরু করে
wing-news · 3 years
Text
দুই বছর শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইটেন, করোনা ভাইরাস চালু হতে শুরু করে বন্ধ
দুই বছর শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইটেন, করোনা ভাইরাস চালু হতে শুরু করে বন্ধ
কোভিড-19 প্রতিরোধের প্রতিরোধের জন্য লগি পাবন্দের কারণ থেকে দুই বছর পর পর থেকে ভারত থেকে অনুসূত্রে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তার জন্য রবিবার থেকে আবার শুরু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নাগর বিমান মন্ত্রি ज्योतिरादित्य सिंधिया ने बहुत महत्वपूर्ण दिन करार किया। ভারত থেকে অনু তালিকাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিরাপত্তা নিরাপত্তা 23 মার্চ 2020 থেকেও বন্ধ ছিল। কোভিড ভাইরাসের প্রথম ধারার সঙ্গে এই আটকা…
View On WordPress
0 notes
paathok · 4 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/114721
করোনায় বিপর্যস্ত সার্কভুক্ত দেশগুলো: সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতের, তৃতীয় বাংলাদেশ
.
করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত সার্কভুক্ত দেশগুলো। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল ও আফগানিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৮৮২ জন। এসব দেশে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মারা গেছেন কমপক্ষে ৬১ হাজার ৩৯৭ জন। সব দেশেই ঘটেছে সংক্রমণ। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভারতের। ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৫০১ জন। মারা গেছেন কমপক্ষে ৫০ হাজার ৯৯ জন। আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে ভাল অবস্থায় আছে শ্রীলঙ্কা।
সেখানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৮৯০ জন। মারা গেছেন মাত্র ১১ জন। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৮ হাজার ৭১৭ জন। মারা গেছেন ৬ হাজার ১৬৮ জন। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভয়াবহতার দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এখানে শনিবারের তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৭৪ হাজার ৫২৫ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৬২৫ জন। ভারতে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১০০০। এ অবস্থায় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বেশির ভাগ দেশেই লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো দেশে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন করা হচ্ছে।
আজ রোববার ভারতে নতুন সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৪৮৯। মারা গেছেন ৯৪৪ জন। পাকিস্তানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬১। মারা গেছেন ৬১৬৬ জন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সেখানকার সিন্ধু প্রদেশে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৯০৪ জন। ওদিকে, নেপাল সরকার ১০ই আগস্ট জেলা ও সাব-জেলা পর্যায়ের কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন আরোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। সেখানে বেশির ভাগ রেস্তোরাঁ, হোটেল এখন খোলা থাকলেও সিনেমা হল, সেলুন এবং স্পা বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া তথা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে নেপালে। ৫ই জানুয়ারি চীন থেকে ফেরা এক ব্যক্তির দেহে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২৩ শে জানুয়ারি। ২রা জুলাই দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশে কমপক্ষে একজন করে করোনা রোগী শ���াক্ত হয়। লকডাউন আরোপ করে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। কোয়ারেন্টিন কারফিউ জারি করে শ্রীলঙ্কা। দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে ভারত ও নেপাল। আন্তর্জাতিক সফরের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম কঠোরতা অবলম্বন করে কিছু দেশ। কিছু দেশ তাদের সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। স্থগিত করে দেয় বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের দিক দিয়ে চীনকে টপকে যায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। মধ্য মে’তে চীনকে এ হিসাবে টপকে যায় প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে ভারত। এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পাকিস্তান চীনকে টপকে যায়। ১৩ই জুন চীনকে টপকে তৃতীয় দেশ হয় বাংলাদেশ। আবার ১০ই জুন সক্রিয় সংক্রমণের চেয়ে প্রথম সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায় ভারতে। এ ঘটনা ৩রা জুলাই ঘটে পাকিস্তানে। আর ১২ই জুলাই একই ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে।
সার্কভুক্ত দেশগুলো করোনা মহামারিতে সহযোগিতামুলক পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন প্রস্তাব করেন। তিনি এক কোটি ডলারের একটি তহবিল গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এতে সাড়া দেয় শ্রীলঙ্কা। তারা ১১ই এপ্রিল ঘোষণা দেয় যে, সার্ক কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি ফান্ডে ৫০ লাখ ডলার দেবে। পাকিস্তান ৩০ লাখ ডলার, বাংলাদেশ ১৫ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়। আফগানিস্তান ও নেপাল ১০ লাখ ডলার করে দিতে রাজি হয়। অন্যদিকে মালদ্বীপ দুই লাখ ডলার এবং ভুটান এক লাখ ডলার দিকে সম্মত হয়।
বাংলাদেশে মার্চে বিস্তার শুরু হয় করোনা ভাইরাসের। ৭ই মার্চ আইইডিসিআর দেশে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করে। ২৯ শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার মোট পরীক্ষা চালায় ১০৯৫ জনের নমুনা। তাতে মোট ৪৮ জন করোনা শনাক্ত হন। সুস্থ হন ১৫ জন। মারা যান ৫ জন। ২২ শে মার্চ বাংলাদেশে ২৬ শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত শাটডাউন ঘোষণা করে। এর পর থেকে প্রতিদিনই সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সংখ্যা। এখনও এখানে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। তবে সীমিত পরিসরে খুলেছে অন্য সব প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস।
ভুটানে ৬ই মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি মার্কিন একজন ৭৬ বছর বয়সী পুরুষ। তিনি ভারত হয়ে ভুটানে সফর করছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন এমন প্রায় ৯০ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। দু’সপ্তাহের জন্য বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করে ভুটান। ২০ শে মার্চ মার্কিন ওই পর্যটকের ৫৯ বছর বয়সী সঙ্গীর দেহে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। ২২শে মার্চ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগায়েল ওয়াংচুক জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এতে তিনি স্থল সীমান্তগুলো বন্ধ করেন দেয়ার ঘোষণা দেন। ২৪ শে মার্চ ভারতের সঙ্গে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ভুটান সরকার। ২৫ শে মার্চ দেশে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বৃটেন ফেরত একজন ছাত্রের শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়।
শুধু সার্ক বা দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, সারা এশিয়ায় এখন সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে। এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের স্থানে চলে আসে ভারত। ১৯ শে মে এই সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। ৩রা জুন দুই লাখ ছাড়িয়ে যায়। ১৭ই জুলাই তা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে মুম্বই, দিল্লি, আহমেদাবাদ, চেন্নাই, পুনে ও কলকাতায়। ২৪ শে মে পর্যন্ত লক্ষদ্বীপ সেখানকার একমাত্র অঞ্চল, যেখানে করোনা সংক্রমণ ঘটেনি। ভারতের সুস্থতার শতকরা হার ২৩ শে জুলাই ছিল ৬৩.১৮ ভাগ। ২২ শে মার্চ ভারতে ১৪ ঘণ্টার জন্য পালন করা হয় স্বেচ্ছায় জন-কারফিউ। ২৪ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন। এতে ভারতের ১৩০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। ১৪ই এপ্রিল লকডাউন বৃদ্ধি করা হয় ৩রা মে পর্যন্ত। তা আবার দুই সপ্তাহের জন্য ১৭ই মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ভারতে একটিমাত্র প্রদেশ মিজোরামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০-এর নিচে।
মালদ্বীপে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৭ই মার্চ। সেখানকার কুরেদু রিসোর্ট এন্ড স্পা’তে সময় কাটিয়ে ইতালিয়ান একজন পর্যটক ফিরলে তার দেহে করোনা ধরা পড়ে। দেশটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক এজেন্সি ওই রিসোর্টের দু’জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পান। এরপর থেকে ওই হোটেল লকডাউন করা হয়। এতে আটকা পড়েন বেশ কয়েকজন পর্যটক। ১১ই মার্চ কুরেদু, ভিলামেন্দু, বাতালা এবং কুরামাথি দ্বীপকে অস্থায়ী কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। ১২ই মার্চ কোভিড-১৯ নিয়ে জন স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে মালদ্বীপ। ২৭ শে মার্চ সেখানে প্রথম স্বদেশীয় এক ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি বৃটেন থেকে দেশে ফিরেছিলেন।
চীনের উহান থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুতে ফেরার পর নেপালি একজন শিক্ষার্থীর দেহে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। এটাই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম করোনা সংক্রমণ। দ্বিতীয় আক্রান্ত শনাক্ত হয় ২৩ শে মার্চ। ১৪ই মে পর্যন্ত নেপালে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪৯। বন্ধ করে দেয়া হয় চীন ও ভারতের সঙ্গে সব সীমান্ত। সাময়িক স্থগিত করা হয় সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠিানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় স্কুল কলেজ। দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয় ২৪ শে মার্চ। তা শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৮ই মে। ‘ভিজিট নেপাল ইয়ার ২০২০’ বিষয়ক কর্মকান্ডের আন্তর্জাতিক প্রোমোশনাল কর্মকান্ড বাতিল করে নেপাল। করোনা ভাইরাসের কারণে সেখানে বিদেশি কর্মক্ষেত্র, পর্যটন, উৎপাদন, নির্মাণ এবং বাণিজ্য- সবই আক্রান্ত হয়েছে। এর মারাত্মক ক্ষতিকর একটি প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে।
পাকিস্তানেও করোনা অবস্থা ভয়াবহ। ভারত, রাশিয়া, ইরান, সৌদি আরবের পর এশিয়ায় সংক্রমণের দিক দিয়ে পাকিস্তান ৫ম স্থানে উঠে আসে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান হয়ে ��ঠে দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে থাকে ভারত। পাকিস্তানে মৃত্যুর হার শতকরা ২.১৪ ভাগ, যা এশিয়ার অন্যান্য স্থানের মতোই। ১০ই আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানে মোট করোনা সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় দুই লাখ ৮৭ হাজার মানুষ। করোনায় ওই তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ২৩০০০ মানুষ। ৯ই মে পর্যন্ত পাকিস্তান ছিল দেশজুড়ে লকডাউনের অধীনে। ১লা এপ্রিলে এই লকডাউন ঘোষণা করে তা দুই দফা বৃদ্ধি করা হয়। করাচিতে আক্রান্ত হয়েছেন রেকর্ড ৮৯০০০ মানুষ। দেশে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এই করাচিতে। ওদিকে ১১ই আগস্ট পর্যন্ত আরেকটি বড় শহর লাহোরে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮০০০ মানুষ। ইসলামাবাদ ক্যাপিট্যাল টেরিটোরি এবং পেশোয়ার ডিস্ট্রিক্টে আক্রান্ত হয়েছেন ১০০০০ মানুষ। করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৬৬ হাজার মানুষ।
৬ই জুলাই নাগাদ শ্রীলঙ্কায় করোনায় আক্রান্ত হন ২০৭৬ জন। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। ১লা আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি আগমন সেখানে নিষিদ্ধ করা হয়। করোনার কারণে সরকার সব রকম পাবলিক ইভেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয় সব স্কুল। সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে শ্রীলঙ্কা অনেক ভাল অবস্থানে আছে। দীর্ঘ সময় সেখানে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে। কিন্তু তারা এতে আক্রান্তের সংখ্যাকে সীমিত রাখতে সক্ষম হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় করোনায় মৃত্যুর হার শতকরা ০.৫ ভাগের কাছাকাছি।
0 notes
kabirbd · 4 years
Text
বিমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক বিমান পুনরায় চালু করে
বিমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক বিমান পুনরায় চালু করে
মার্চ মাসে কোভিড -১৯ শুরু হওয়ার পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস চার মাসের স্থগিতাদেশের পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক বিমান পরিবহণ কার্যক্রম আবার শুরু করেছে।
বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খোন্দোকার বলেছেন, জাতীয় পতাকাবাহী বিমানটি দুবাইয়ের একটি ফ্লাইট দিয়ে অপারেশনটি পুনরায় শুরু করে যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা :35 টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা করেছিল বিমানের…
View On WordPress
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
‘মিডিয়ার মেয়ে’ বলে বিমানবন্দরে হেনস্তার স্বীকার সাফা কবির কিছুদিন আগে নাটকের শুটিংয়ের জন্য থাইল্যান্ড পাড়ি জমান মডেল ও অভিনেত্রী সাফা কবির। শুটিং শেষে গতকাল বুধবার বিকেলের ফ্লাইটে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের একদল নিরাপত্তারক্ষীর হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে। সেসময় তিনি একাই ছিলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে সাফা কবির জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার ফ্লাইটে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যায় ঢাকাতে পৌঁছান। সেসময় বিমানবন্দরের কাস্টমস অতিক্রম করার সময় একদল সাদা পোশাকধারী নিরাপত্তাকর্মী তাকে তিনটি লাগেজসহ থামান। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা সাফা কবিরকে ‘মিডিয়ার মেয়ে’ বলে কটূক্তি শুরু করেন। একপর্যায়ে তার তিনটি লাগেজ তল্লাশিও করতে চান। নিরাপত্তারক্ষীরা পুরুষ হওয়ায় লাগেজ চেক করতে সাফা কবির আপত্তি করেন। সাফা কবির নারী নিরাপত্তারক্ষীদের মাধ্যমে তার লাগেজ চেক করতে অনুরোধ করলে তারা সে বিষয়টি আমলে না নিয়ে সাফাকে নিয়ে নানা বাজে মন্তব্য করতে শুরু করেন। সাফা বলেন, ‘নারী হিসেবে আমার একটা প্রাইভেসি আছে। তাই কোনো নারী নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে আমার লাগেজ তল্লাশি করাতে আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু সাদা পোশাকধারী ওই নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন, মিডিয়ার মেয়ের আবার প্রাইভেসি কীসের? এভাবে কথা কাটাকাটি চলে প্রায় ৩০ মিনিট। একপর্যায়ে একজন নারী নিরাপত্তারক্ষী এগিয়ে এসে আমার লাগেজ তল্লাশি করেন।’ সাফা বলেন, ‘তল্লাশি করে অবৈধ কিছু পেয়ে আটকাতে না পেরে আমার বহন করে আনা জিনিসের ট্যাক্স দাবি করে বসেন তারা। কিন্তু আমার কাছে ট্যাক্স দেয়ার মতো কোনো পণ্য ছিল না। পরে আইনিভাবে আটকাতে না পেরে ছেড়ে দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার তিনটি লাগেজে পোশাক ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী ছিল। নিরাপত্তার নামে আমি হেনস্তার শিকার হয়েছি। নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে সাহায্য না করে বরং চরম অপমান করেছেন। এভাবে হেনস্তা করার সময় আশপাশের অনেক মানুষ জড়ো হয় এবং সেগুলো তারা ভিডিও করেছে। এটা আমার জন্য মানিহানিকর। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ যোগ করে আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে একজন মেয়ে হিসেবে আমি চরম অপদস্থ হয়েছি। মিডিয়ার মেয়ে বলে ওই নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে বাজেভাবে অপমান করেছেন। শিল্পী তো দূরের কথা, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি যথার্থ মূল্যায়ন পাইনি। আমার মতো একজন শিল্পী��� যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন কীভাবে হেনস্তা হয় ধারণা করা যায়?’ এ বিষয়ে তদন্ত করে ওইসব নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সাফা কবির।
0 notes
sylhetnews-blog · 7 years
Text
সিকৃবির প্রথম সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু
http://www.surmatimes.com/?p=71498 নিজস্ব প্রতিবেদক::    সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আনন্দ-উচ্ছ্বাসে চলছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা ৪০মিনিটের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন মাঠে স্থাপিত মঞ্চে সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাবর্তন বক্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্চুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান উপস্থিত রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব জানান, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভেটেনারি, এনিমেল ও বায়ো-মেডিক্যাল সায়েন্সের ১৯তম ব্যাচ পর্যন্ত, কৃষি-অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষার ৪র্থ ব্যাচ এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরির দ্বিতীয় ব্যাচের প্রকাশিত ফলাফলে স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি সম্পন্নকারী ১৩৬৫ জন যোগ দিচ্ছেন। কৃষি শিক্ষা প্রসারের জন্য ২০০৬ সালে বিলুপ্ত সিলেট ভেটেরনারি কলেজকে অনুষদে রূপান্তর করে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতে তিনটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে ছয়টি অনুষদ চালু হয়। বিকেল ৩ টা ৩২ মিনিটের দিকে তিনি মঞ্চে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এর আগে দুপুর ২ টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৬০১) যোগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিকেল ৫ টায় বিমানযোগে আবার ঢাকায় ফিরে যাবার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতির।িনি:: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আনন্দ-উচ্ছ্বাসে চলছে। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা ৪০মিনিটের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন মাঠে স্থাপিত মঞ্চে সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাবর্তন বক্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্চুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান উপস্থিত রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব জানান, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভেটেনারি, এনিমেল ও বায়ো-মেডিক্যাল সায়েন্সের ১৯তম ব্যাচ পর্যন্ত, কৃষি-অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষার ৪র্থ ব্যাচ এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরির দ্বিতীয় ব্যাচের প্রকাশিত ফলাফলে স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি সম্পন্নকারী ১৩৬৫ জন যোগ দিচ্ছেন। কৃষি শিক্ষা প্রসারের জন্য ২০০৬ সালে বিলুপ্ত সিলেট ভেটেরনারি কলেজকে অনুষদে রূপান্তর করে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতে তিনটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে ছয়টি অনুষদ চালু হয়। বিকেল ৩ টা ৩২ মিনিটের দিকে তিনি মঞ্চে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এর আগে দুপুর ২ টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৬০১) যোগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিকেল ৫ টায় বিমানযোগে আবার ঢাকায় ফিরে যাবার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতির।
0 notes
wing-news · 3 years
Text
১৮ মাস পর আইজিআই-এর টার্মিনাল-১ থেকে বিমান চলাচল শুরু, যাত্রীদের ভিড়
১৮ মাস পর আইজিআই-এর টার্মিনাল-১ থেকে বিমান চলাচল শুরু, যাত্রীদের ভিড়
দিল্লি বিমানবন্দর: করোনা মহামারীর কারণে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ বন্ধ থাকার ১৮ মাস পর আজ অর্থাৎ রবিবার আবার চালু করা হয়েছে। দয়া করে বলুন যে করোনা ভাইরাসের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ এবং টার্মিনাল-২ থেকে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এখন করোনা থেকে স্বস্তি। একই সময়ে, করোনার প্রভাব কমতে দেখে 25 মে দিল্লি বিমানবন্দর টার্মিনাল-3 খুলে দেওয়া হয়েছিল।…
View On WordPress
0 notes
paathok · 5 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/105459
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার উড়বে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ
.
করোনা পরিস্থিতি উন্নতি সাপেক্ষে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ার পর আবার ফ্লাইট অপারেশন শুরু করবে রিজেন্ট এয়ারওয়েজে।
সোমবার রাতে (২৩ মার্চ) সংবাদপত্রে দয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। এতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড ১৯ (করোনাভাইরাস) প্রাদুর্ভাবের চলমান সংকটের কথা বিবেচনা করে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ রবিবার (২২ মার্চ) থেকে সব ধরনের ফ্লাইট অপারেশন (আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ) সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনার বিস্তার যতই ছড়িয়েছে ততই বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে। দেশ সমুহে প্রবেশাধিকারে কড়াকড়ি হওয়ায় বিভিন্ন বিমান সংস্থা অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের সব কার্যক্রম স্থগিত করে, যা বিশ্বব্যাপী এভিয়েশন শিল্প এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত এবং স্বনামধন্য বেসরকারি এয়ারলাইন্স হিসেবে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ শেষ পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিলো, যদিও তা বাকি একমাত্র আন্তর্জাতিক রুট সিঙ্গাপুর কর্তৃক আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় পর্যটন রুট কক্সবাজারেও ফ্লাইট পরিচালনার চেষ্টা অব্যাহত ছিলো। কিন্তু তা করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে পর্যটকদেরকে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনার কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সত্ত্বেও গত ৮ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুট যেমন কাতার, ভারত, ওমান, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ সীমিত পরিসরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে গেছে। সবশেষ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট RX785 গত ২০ মার্চ স্থানীয় সময় রাত ১১.৩৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় অবতরণ করে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ রুটে ২১ মার্চ বেলা ১ টা ৫০ মিনিটে আমাদের সর্বশেষ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট RX742 কক্সবাজার থেকে ঢাকায় অবতরণ করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিকতায় দ্রুত কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়ে রিজেন্টের সিইও বলেন, “এই সঙ্কটের সময়ে, পরবর্তী সপ্তাহ বা মাসগুলোতে এভিয়েশন শিল্পের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি, স্বাভাবিক অবস্থার ওপর আমরা সার্বক্ষনিক নজর রাখব। সে হিসেবে আমরা নিজেদের কার্যক্রম আবারও পুরোদমে চালু করতে উদ্যেগী হব, বিমান ভ্রমনের উপরে যাত্রী আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ তার ফ্লাইট পরিচালনা তথা বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।” নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষেণ করবে।”
0 notes
gnews71 · 7 years
Photo
Tumblr media
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাইলটদের বিমান ফ্লাই করতে বাধ্য করা হয় কী পরিস্থিতিতে বিমান চালাতে হয় বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর পাইলটদের? সুযোগ-সুবিধা কেমন? চাকরিতে কতটা সন্তুষ্ট তাঁরা? বিস্তারিত জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত পাইলট সৈয়দ মাহবুব হেলাল৷ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)-র সাবেক সভাপতি গত বছর ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন (ইফাআলপা)-র ‘আজীবন সম্মাননা' পেয়েছেন৷ এশিয়া মহাদেশের প্রথম বৈমানিক হিসেবে এ সম্মাননা পাওয়া সৈয়দ মাহবুব হেলালের এ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো সম্পর্কে অজানা অনেক কথা৷ ►►একজন পাইলটকে বিমান ছাড়ার আগে কী কী বিষয়ে নজর দিতে হয়? ক্যাপ্টেন সৈয়দ মাহবুব হেলাল : একজন বৈমানিককে ফ্লাইট বুঝে নেওয়ার পর কতগুলো দিক অবশ্যই দেখতে হবে৷ তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের সুস্থতা৷ এই সুস্থতার দু'টো দিক আছে৷ একটা শারীরিক ও আরেকটা মানসিক৷ দ্বিতীয়ত হলো, তিনি কত টাইম লিমিটের মধ্যে ফ্লাই করতে যাচ্ছেন এবং কোন এয়ার ফিল্ডে ফ্লাই করতে যাচ্ছেন৷ আরেকটা জিনিস হলো কো-কর্ডিনেশন৷ উনি ক্যাপ্টেন হোন আর ফাষ্ট অফিসারই হোন, দুই জন ক্রু মিলে একটা টিম ওয়ার্ক হয়৷ এখানে দেখতে হবে উনার কী অভিজ্ঞতা আছে৷ আমার সঙ্গে যাওয়ার আগে তিনি আরো কোনো ফ্লাইট করেছেন কিনা৷ তার অভ্যাসগত কোনো সমস্যা আছে কিনা৷ তিনি সব ধরনের রুল মানেন কিনা৷ এই জিনিসগুলোই মূলত ফ্লাই করার আগে আমাদের মাথায় থাকে৷ ►► বিমানে কোনো ত্রুটি আছে কিনা সেটা কারা দেখে? একজন পাইলট যখন একটা ফ্লাইট বুঝে নেন এবং ককপিটে যান, সর্বপ্রথম তাঁর কাছে আসে টেকনিক্যাল লগ বই৷ ওই বইয়ে লেখা থাকে জাহাজে কী কী ত্রুটি আছে, এই ত্রুটিগুলো কিভাবে ঠিক করা হয়েছে, কারা ঠিক করেছেন৷ যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের সবার সেখানে স্বাক্ষর থাকে৷ এগুলো দেখে পাইলট যদি মনে করেন জাহাজটা অ্যাকসেপ্ট করবেন, তাহলে তিনি করতে পারেন৷ অন্যথায় বড় ধরনের কোনো সমস্যা থাকলে পাইলট বলতে পারেন তিনি ফ্লাই করবেন না৷ এই স্বাধীনতা তাঁর আছে৷ তবে হ্যাঁ, ছোটখাট কিছু সমস্যা থাকতে পারে, যেগুলো পরেও ঠিক করা যাবে৷ সেক্ষেত্রে পাইলট ফ্লাইট অ্যাকসেপ্ট করে নিতে পারেন৷ ►► বিমানে কোনো ত্রুটি থাকলেও কি পাইলট ফ্লাই করেন? ইউএস -বাংলার দুর্ঘটনার পর বলা হচ্ছে– এয়ারলাইন্সগুলোর মালিকদের চাপে পড়ে ত্রুটি নিয়েই তাঁরা ফ্লাই করতে বাধ্য হচ্ছেন? সবকিছুই খাতা কলমে থাকে না৷ কিছু বিষয় হিডেন থাকে৷ কিন্তু সেগুলো সত্য৷ বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো যেটা করছে, সেটা মারাত্মক ভয়াবহ৷ যেমন ধরেন, ফ্লাইট ছাড়ার আগে পাইলট দেখছেন আবহাওয়া রাডার নষ্ট হয়ে গেছে৷ তখন ওটা ঠিক করতে বললে মালিকরা বলছেন, তাঁদের এটার স্পেয়ার নেই বা এটা এখন ঠিক করতে গেলে ফ্লাইটের টাইম এলোমেলো হয়ে যাবে৷ তখন পাইলট কিছু বললে তাঁকে চাপ দেয়া হচ্ছে৷ এমনকি উপর থেকে তাঁর কাছে ফোনও যাচ্ছে৷ পাইলটকে যখন তাঁর মতের বিরুদ্ধে ফ্লাইট অ্যাকসেপ্ট করানো হচ্ছে তখনই দেখা যাচ্ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ পাইলটও তখন ওই প্রতিষ্ঠানের ফ্লাইট করার ব্যাপারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না৷ আমি বলবো, তাঁকে বাধ্য করা হয়, যেটা অবৈধ ও অনিরাপদ৷ ►►অনেক সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও পাইলটদের ফ্লাই করতে বাধ্য করা হচ্ছে? আমি বলবো, কোম্পানি যদি পাইলটদের মতামতকে গুরুত্ব দেন, তাহলে ঝুঁকি অনেক কমে যাবে৷ আমি এত বছর বিমানে কাজ করেছি, বিমান কর্তৃপক্ষ কখনোই আমাদের এই ধরনের অনৈতিক চাপ দেয়নি৷ এখন যা শুনছি, ডিক্টেটরদের মতো করে তাঁদের পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে৷ তারা পাইলটকে বলছে, তুমি ফ্লাই করতে না চাইলে বাড়ি চলে যাও৷ আমরা কালই বিকল্প পাইলট নিয়ে আসব৷ বাংলাদেশে পাইলটের চাকরি সহজলভ্য না, ফলে তাঁদের অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়৷ কোম্পানির উচিত অনিরাপদ অবস্থায় কোনোভাবেই একটা জাহাজ না পাঠানো৷ এর খেসারত আমরা তো দেখতেই পাচ্ছি৷ ►► বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর অনৈতিক চাপ দেখার জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ আছে? অবশ্যই আছে৷ আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের আন্ডারে প্রতিটি দেশেই এই ব্যবস্থা আছে৷ আমাদের দেশে যেমন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বা সিভিল এভিয়েশন আছে৷ তাদের দেখার দায়িত্ব হলো সরকারি বা বেসরকারি কোনো এয়ারলাইন্স যা ইচ্ছে তাই করার সুযোগ পাবে না৷ সবকিছুই তাদের নিয়ম বা প্রসিডিওরের মধ্যে থেকে করতে হবে৷ এটা করার জন্য চার্জগুলো বেসরকারি এয়ারলাইন্স থেকে তারা নিচ্ছে৷ সিভিল এভিয়েশনের ব্যর্থতা হবে যদি কোনো এয়ারলাইন্স এই ধরনের প্র্যাকটিস করে থাকে, এটা বন্ধ করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সিভিল এভিয়েশনের৷ ►► আপনাদের তো একটা সংগঠন আছে বাপা, তারা কি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে? অবশ্যই তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে৷ এটা তো আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম৷ বাপার ভূমিকার কারণেই তো এতদিন এত ফ্লাইট করার পরও কোনো অসুবিধা হয়নি৷ যাত্রীরাও নিরাপদ বোধ করে৷ পাইলটরাও সুস্থভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে৷ আমি যদিও অনেকদিন আগে বাপা থেকে চলে এসেছি, আমি বলবো, এই মুহুর্তে বাপার একটা বিরাট দায়িত্ব আছে এগুলো নিয়ে কথা বলার৷ এখন তারাই পারবে সরকারের সঙ্গে কথা বলে প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোর সমস্যা তুলে ধরতে৷ কারণ, আরেকটা ডিজাস্টার হয়ে গেলে এভিয়েশন সেক্টরে আমরা অনেক বছর পিছিয়ে যাবো এবং সেটা রিকভার করা আদৌ সম্ভব হবে কিনা আমি জানি না৷ ►► বেসরকারি ��্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে যাঁরা পাইলট হিসেবে আ��ছেন, তাঁরা কি দক্ষতার সঙ্গে বিমান পরিচালনা করছেন? আমি বলবো যে, বাংলাদেশে বেসরকারি ফ্লাইং ক্লাব দুটো বা তিনটে আছে৷ এর মধ্যে দুটোর নাম বেশ ভালোই আছে৷ আর যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে আসছেন, তাঁরা তো ভালোই করছেন৷ আগের থেকে বর্তমানে যাঁরা আসছেন, তাঁরা অনেক ভালো করছেন৷ আমি এটাতে সন্তুষ্ট বলতে পারি৷ ►► একজন পাইলট দিনে কত ঘন্টা ফ্লাই করতে পারেন? এর স্টান্ডার্ডই বা কী? আইকাও থেকে যে নির্দেশনা আছে সেটা অনেকটা লিবারেল৷ অভ্যন্তরীণ রুটে আমাদের পাইলটদের প্রায় প্রতিদিনই ফ্লাই করতে হচ্ছে৷ যেটা সপ্তাহে ৫ বা ৬ দিন৷ আবহাওয়াসহ সবকিছু মিলিয়ে এশিয়াতে সর্বোচ্চ ৬ সেক্টর ফ্লাই করতে পারি৷ তবে কোনো অকারেন্স বা অন্য কোনো কারণে ১১ ঘন্টা পর্যন্ত ফ্লাই করা যায়৷ এটা রুটিন না৷ এখানে প্রতিদিন একজন পাইলটকে ১১ ঘন্টা খাটানো যাবে না৷ শারীরিক ও মানসিক দিক বিবেচনা করে অভ্যন্তরীণ রুটে ৪ থেকে ৬ সেক্টর ফ্লাই করাই শ্রেয়৷ একটা ফ্লাইট ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট৷ এটাকে এক সেক্টর বলা হয়৷ ►►ইউএস-বাংলা বিধ্বস্ত হওয়ার পর সামনে এসেছে পাইলটের অবসাদ বা জোর করে ফ্লাই করানোর বিষয়টি৷ এতদিন কেন আপনারা এগুলো বলেননি? আসলে এটা গুরুতর একটা অভিযোগ৷ ভেতরে ভেতরে আমরা জানি যে, বাংলাদেশে এভিয়েশনের যে বাজার, তাতে কোনো পাইলটই চাকরি হারাতে চান না৷ এখন যেটা হচ্ছে, কোনো ফাষ্ট অফিসার যদি বলেন, প্রতিটি যাত্রীর সিটবেল্ট থাকা বাধ্যতামূলক৷ কিন্তু তাঁর ফ্লাইটে কয়েকটি সিটে সিটবেল্ট নেই, তাই তিনি ফ্লাই করবেন না, তাহলে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং পরের দিন নতুন একজন পাইলটকে নিয়ে আসা হচ্ছে৷ এই অনৈতিক কাজের কারণে পাইলটরা ভয় পেয়ে যান৷ এ কারণে তাঁরা এতদিন কিছু বলতে পারেননি৷ আরেকটা জিনিস হলো, সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর মালিকদের ‘আন্ডার হ্যান্ড ডিলিং' আছে৷ ফলে পাইলটরা তাদের ভয় পেতেন এবং কিছু বলতে পারতেন না৷ তাদের কথা না শুনলে সিভিল এভিয়েশন লাইসেন্স নিয়ে আমাদের বিপদে ফেলবে বা কোম্পানি আমাকে কোর্ট কাচারিতে নিয়ে যাবে৷ ►► বাংলাদেশে এখন পাইলটের সংখ্যা কত? এর মধ্যে নারী কতজন? সর্বশেষ হিসেব আমি বলতে পারবো না৷ তবে ভালো খবর হলো, আমাদের বাংলাদেশ বিমানে প্রচুর নারী আসছেন৷ অন্তত ১২ জন নারী পাইলট আছেন৷ ৭৭৭-এর পাইলট হিসেবেও নারীরা আছেন৷ আর বেসরকারিতে সংখ্যাটা বলতে পারব না৷ তবে যেভাবে নারীরা আসছেন, সেটা আশাবাদী হওয়ার মতো৷ তাঁরা দক্ষতার সঙ্গেই ফ্লাই করছেন৷ ►►ইউরোপের কোনো একজন পাইলটের সঙ্গে যদি বাংলাদেশের একজন পাইলটের তুলনা করি, আপনি কী বলবেন? আমি যদি বাংলাদেশ বিমানের কথা বলি, তাহলে বলবো যে, ইউরোপের যে কোনো পাইলটের চেয়ে আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অনেক হাই৷ কাতার ও এমিরেটস এয়ারলাইন্সের পাইলটদের ব্রিফিং দেয়া হয় যে, বাংলাদেশের পাইলটরা ব্র্যান্ড নিউ জাহাজ চালানোর সুযোগ তেমন একটা পান না, পুরনো জাহাজ নিয়েই তাঁরা কত সুন্দর ফ্লাইট করছেন, অথচ তাঁদের দুর্ঘটনার সংখ্যা তোমাদের চেয়ে তাদের অনেক কম৷ ►► ইউএস-বাংলার দুর্ঘটনা কতটা প্রভাব ফেলবে বেসরকারি বিমান পরিচালনায়? আমি বলবো যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের যে ধারা সেটা বাধাগ্রস্থ হতে পারে৷ শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে ইন্ড্রাষ্টি হচ্ছিলো, সেটা বাধাগ্রস্থ হতে পারে৷ যেখানে সকালের ফ্লাইটে একজন যাচ্ছেন, কাজ শেষ করে বিকেলের ফ্লাইটে ফিরে আসছেন৷ এই কাজগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ফ্যাক্টরিগুলো এখানে আর বাড়বে না৷ ইতিমধ্যে অনেক বড় ধরনের যাত্রী সংকট শুরু হয়ে গেছে৷ এখন ভেতরের খবরগুলো পাওয়ার পর যাঁরা সেনসিটিভ তাঁরা আর বেসরকারি এয়ারলাইনে ফ্লাই করতে চাইবেন না৷ এই সংকট কাটাতে বেসরকারি এয়ারলাইনগুলোকে নতুন করে ভাবতে হবে এবং সরকারকেও উদ্যোগ নিতে হবে যে তারা যেন কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ করতে না পারে৷ এভাবেই জনগনের মধ্যে আস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে
0 notes