Don't wanna be here? Send us removal request.
Text
How would the Saiyidul-Aayaad Shareef be observed?
Many asks, “How would the Saiyidul-Aayaad shareef meant the Eid-e-Milad Habeebullah Swallallahu Alaihi wa Sallam be observed? Almighty Allah Pak Himself directs the way of observing the ‘Saiyidul-Aayaad Shareef’ meant the best Eid in an honor of the Biladatee Shaan of Hudur Pak Swallallahu Alaihi wa Sallam.
Allah Pak declares in the sacred Quran Shareef, “O, my Habeeb Noor-e-Mujassam Habeebullah Swallallahu Alaihi wa Sallam! Indeed, We have sent you as a witness and a bringer of good tidings and a warner. So that you [Ummah] may bring Iman (believe) in Allah and His Habeeb, honor Him and render the service with acclamation of Noor-e-Mujassam Habeebullah Swallallahu Alaihi wa Sallam all the time like morning to evening.
‘Rendering service (Tu’wajjiruhu) for our Habeeb Swallallahu Alaihi wa Sallam’, ‘Tu’waqqiruhu Twajim-Taqreem that means to Honor’, ‘Sana-Sifa’t of Tu’Sabbihu that means to praise’ are the Mubarak orders according to the above-mentioned sacred verse. ‘Falyafrahu’ means Saiyidul Aaiyad Shareef is the best Eid, Eid-e-Milad Habeebullah Swallallahu Alaihi wa Sallam would be celebrated being fully Mesdak (Loyal) to the honored verse.
The Imam of this Ages, exclusive aimed place of Allah, Mujaddid-e-Azam, Hadrat Imamul Umam Alaihis Salam have issued the endless Mahfil of Saiyidul-Aayaad Shareef at Rajarbagh Darbar Shareef in the purpose of rendering service, Ta’zeem-Taqreem means the Mubarak Honor and Mubarak Praising of Noor-e-Mujassam Habeebullah Hudur Pak Swallallahu Alaihi wa Sallam.
All the Muslims of the world should come in touch of Hadrat Imamul Umam Alaihis Salam and come to Rajarbagh shareef to express the Falyafrahu means the Mubarak Happiness all the time through the way of Haqqiqee of Saiyidul-Aayaad Shareef.
Because Allah Pak declares, “You keep in touch with them who do Jikir (remember) for the satisfaction of Allah and you shouldn’t abandon them being fascinated to the worldly attractions. Don’t follow them who are abstained from my Jikir (remember), who is followed by his evil inclination and whose deeds are against the honored Sharia’t. Ref: Sacred Surah Kahaf shareef: Sacred verse shareef-28
1 note
·
View note
Text
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক النبى اولى بالـمؤمنين من انفسهم وازواجه امهاتهم অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মু’মিনদের প্রাণ হতেও অধিকতর নিকবর্তী আছেন অথবা মু’মিনগণ উনাদের নিজেদের অভিভাবক এবং উনার পবিত্র আযওয়াজুম মুত্বাহহারাত আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারা হচ্ছেন মু’মিনগণের সম্মানিতা মাতা। (পবিত্র সূরাতুল আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- وَمَا كَانَ لَكُمْ أَن تُؤْذُوْا رَسُولَ اللّـهِ وَلَا ان تَنكِحُوا ازْوَاجَهُ مِن بَعْدِهِ ابَدًا ۚ إِنَّ ذلِكُمْ كَانَ عِندَ اللّـهِ عَظِيمًا অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রসূল উনাকে কষ্ট দেয়া এবং উনার সম্মানিত আযওয়াজুম মুত্বাহহারাত আলাইহিন্নাস সালামগণ উনাদেরকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য কখনোই বৈধ নয়। মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট এটা গুরুতর অপরাধ। (পবিত্র আহযাব শরীফ:পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৩) উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ওহাবী দেওবন্দীদের মুরুব্বী মুফতী শফী তার ‘মায়ারিফুল কুরআনে’ লিখেছে, “এরূপ বলাও অবান্তর নয় যে, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রওযা শরীফে পবিত্র হায়াত মুবারকে (জীবিত) রয়েছেন। উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ কোনো জীবিত স্বামীর আড়াল হয়ে যাওয়ার অনুরূপ। এজন্যই উনার ত্যাজ্য সম্পত্তি বণ্টন করা হয়নি এবং এর ভিত্তিতেই উনার আহলিয়াগণ উনারা অন্যান্য নারীদের মতো নন।” হযরত কাজী ছানাউল্লাহ পানি পথি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার তাফসীরে মাযহারী নামক কিতাবে লিখেছেন – بل حياة الانبياء عليهم السلام اقوى منهم واشد ظهور اثارها فى الخارج حتى لا يجوز النكاح ازواج النبى صلى الله عليه وسلم بخلاف الشهداء. অর্থ: বরং হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র হায়াত মুবারক শহীদগণ উনাদের হায়াত মুবারক হতেও বহু বেশি শক্তিশালী এবং অত্যধিক তড়িৎ গতিতে প্রকাশিত হওয়াতে শ্রেষ্ঠতর। আর এ কারণেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আযওয়াজুম মুত্বাহহারাত আলাইহিন্নাস সালামগণ উনাদেরকে বিবাহ করা জায়িয নেই। পক্ষান্তরে শহীদগণ উনাদের আহলিয়াগণকে বিবাহ করা জায়িয রয়েছে। (তাফসীরে মাযহারী ১৫২, যিকরে জামীল ৪২পৃ:) এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে- لا عدة لانه صلى الله عليه وسلم حى فى قبره وكذالك سائر الانبياء. অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আযওয়াজুম মুত্বাহহারাত আলাইহিন্নাস সালামগণ অর্থাৎ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উপর কোন ইদ্দত নেই। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ন্যায় অন্যান্য হযরত ��বী আলাইহিমুস সালাম উনারাও উনাদের রওজা মুবারকে যিন্দা আছেন। (শরহুশ শিফা ১ম খ- ১৫২ পৃষ্ঠা) পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে – قالت ام الـمؤمنين حضرت عائشة الصديقة عليها السلام كنت ادخل بيتى الذى فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم وانى واضع ثوبى واقول انما هو زوجى وابى فلما دفن حضرت عمر الفاروق عليه السلام معهم فوالله ما دخلته الا وانا مشدودة على ثيابى حياء من حضرت عمر الفاروق عليه السلام অর্থ : সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার হুজরা শরীফে প্রবেশ করতে পর্দার প্রস্তুতি নিতাম না, যেহেতু সেখানে শুধু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আমার পিতা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম উনারা দুজন অবস্থানরত ছিলেন। আর উনারা আমার মাহরাম হওয়ায় পর্দার কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু যখন সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম উনাকে আমার হুজরা শরীফে দাফন মুবারক করা হলো, তখন থেকে আমি উনাকে লজ্জা করতঃ খাছ শর’য়ী পর্দা ব্যতীত তথায় গমন করতাম না। কারণ সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন গাইরে মাহরাম। (মিশকাত শরীফ-১৫৪ পৃ.) অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার আক্বীদা মুবারক ছিল এই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনারা উনাদের পবিত্র রওযা শরীফে শুধু যিন্দাই নন বরং উনারা সবকিছু দেখেন। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে- عن حضرت ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه قال ان الله تعالى حرم على الارض ان تأكل اجساد الانبياء فنبى الله حى يرزق অর্থ : হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই
মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জিসিম মুবারক যমীনের উপর ভক্ষণ করা হারাম করেছেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা জীবিত ও রিযিকপ্রাপ্ত। (ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ, জালাউল আফহাম ৬৩ পৃ:) পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে – قال حضرت فضل بن عباس رضى الله تعالى عنه اذا رأيت شفتيه يتحرك فادنيت اذنى عندها. فسمعت وهو يقول اللهم اغفر لامتى فاخبر تهم بهذا بشفقته على امته অর্থ: হযরত ফযল বিন আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র রওযা শরীফে তাশরীফ মুবারক নিলেন, তখন আমি শেষ বারের মত পবিত্র চেহারা মুবারক যিয়ারত করত: দেখতে পেলাম যে, উনার পবিত্র ঠোট মুবারক নড়ছে, তখন আমি আমার কর্ণ পবিত্র ঠোট মুবারকের নিকটস্থ করে শুনতে পেলাম যে, তিনি ইরশাদ মুবারক করছেন, ইয়া আল্লাহ পাক! আমার ��ম্মতদেরকে ক্ষমা করুন। আ��ি উম্মতের প্রতি দয়ালু। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুভ সংবাদ উপস্থিত সবাইকে শুনিয়েছি। (মাদারিজুন্নাবুওয়াত ২য় খ-, ৪৪২ পৃ.) এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখার পরও পবিত্র ঠোট মুবারকের কম্পন ছাবিত হলো। আর কম্পন মুবারক দেয়া “হায়াত” মুবারক ব্যতীত সম্ভব নয়। সুলত্বানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে যামান আল্লামা হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন- قالت ام الـمؤمنين حضرت عائشة الصديقة عليها السلام لما مرض ابى اوصى ان يوتى به قبر النبى صلى الله عليه وسلم ويستأذن له ويقال هذا ابو بكر الصديق عليه السلام يدفن عندك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم فان اذن لكم فادفنون وان لم يؤذن لكم فاذهبوا بى الى البقيع فاتى به الى الباب فقيل هذا ابو بكر الصديق عليه السلام قد اشتهى ان يدفن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد اوصانا فان اذن لنا دخلنا وان لم يؤذن لنا انصرفنا فنودينا ادخلوا وكرامة سمعنا كلاما ولم نر احدا. وقال حضرت على كرمه الله وجهه عليه السلام فى رواية اخرى رأيت الباب قد فتح فسمعت قائلا يقول ادخلوا الحبيب الى حبيبه فان الحبيب الى الحبيب مشتاق. অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যখন আমার পিতা অসুস্থ হয়ে যান, তখন তিনি ওসিয়ত করলেন যে আমার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর আমাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা মুবারকের নিকটে নিয়ে গিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করতঃ একথা বলবেন যে, “ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাই��ি ওয়া সাল্লাম। এই যে, হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে সমাধিস্থ হওয়ার ইচ্ছুক। আর তিনি আমাদেরকে অসিয়ত মুবারক করেছেন যে, যদি আপনি আমাদেরকে অনুমতি মুবারক দান করেন তবে আমরা প্রবেশ করবো। নতুবা আমরা ফিরে যাবো। এরূপ করার পর আমাদেরকে শুনানো হলো যে, আপনারা উনাকে প্রবেশ করিয়ে দিন অর্থাৎ দাফন মুবারক করুন। আমরা এ পবিত্র কালাম শরীফ শুনলাম কিন্তু কাউকে আর দেখলাম না। অন্য এক রিওয়ায়েতে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমি দেখলাম দরজা মুবারক এমনিভাবেই খুলে গেছে। আর আমি একথা বলতে শুনলাম যে, বন্ধুকে বন্ধুর সঙ্গে মিলিয়ে দিন। একথা নিশ্চিত যে, বন্ধু বন্ধুর সঙ্গে মিলনের আশিক্ব হন। সুবহানাল্লাহ! (আল খাছাইছুল কুবরা ২য়, খ-, ২৮২ পৃষ্ঠা) উপরোল্লিখিত রিওয়ায়েত দ্বারা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহি ওয়া সালাম উনার বিশ্বাস স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হলো যে, তিনি অসিয়ত মুবারক করেছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আালাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে গিয়ে আরয করার পর যে হুকুম মুবারক হবে তার উপর আমল করবেন। وقال حضرت سعيد بن الـمسيب رضى الله تعالى عنه وما يأتى وقت صلوة الا سمعت الاذان من القبر الشريف. অর্থ: হযরত সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়াব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আইয়ামে হাররার দিনগুলোর অবস্থা বর্ণনা করেন যে, এমন কোন নামাযের ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়নি, যে ওয়াক্তে আমি ��বিত্র রওযা মুবারক হতে আযানের ধ্বনি শুনিনি। (আলহাভী ২৬৬, যিকরে জামীল ৪৭ পৃ:) وقال حضرت زبير بن بقاء رضى الله تعالى عنه فى اخبار الـمدينة لم ازل اسمع الاذان والاقامة من قبر رسول الله صلى الله عليه وسلم ايام حرة حتى عاد الناس. অর্থ: হযরত যুবাইর ইবনে বাক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি আইয়্যামে হাররার সময় পবিত্র মদীনা শরীফে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা মুবারক থেকে আযান ও ইক্বামতের ধ্বনি অনবরত শ্রবণ করতে থাকি যতক্ষণ না জনগণ প্রত্যাবর্তন করেছে। (মিশকাত শরীফ) নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, আপনার নিকটবর্তী, দূরবর্তী এবং পরবর্তীতে আগন্তুকদের পবিত্র দুরূদ শরীফসমূহের অবস্থা কি হবে? তদুত্তরে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- اسمع صلوة اهل محبتى واعرفهم অর্থ: আমার সঙ্গে মুহব্বত ধারণকারীদের পবিত্র দূরূদ শরীফ আমি স্বংয় নিজে শুনি এবং আমি তাদের পরিচয় পাই। সুবহানাল্লাহ! (দালাইলুল খায়রাত, মাতালিউল মুসাররাত) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন – فِي رِوَايَةِ الْحَنَفِيِّ قَالَ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُه، অর্থ : “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র রওযা মুবারকের নিকটে এসে আমার প্রতি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে আমি অবশ্যই উনার পবিত্র দরূদ শরীফ শুনতে পাই।” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ/৮৭) অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে – اصحابى اخواتى صلوا على فى كل يوم الاثنين والجمعة فانى اسمع صلوتكم بلا واسطة. অর্থ : “হে আমার ছাহাবীগণ, হে আমার উম্মতগণ! আপনারা আমার প্রতি প্রত্যেক ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার ও ইয়াওমুল জুমুয়া বা শুক্রবার পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করুন। নিশ্চয়ই আপনাদের সেই পবিত্র দরূদ শরীফ আমি বিনা মধ্যস্থতায় শুনতে পাই।” (মিশকাত শরীফ) উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে – سمعته سمعا حقيقيا بلا واسطة. অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন), আমি হাক্বীক্বীভাবে বিনা মধ্যস্থতায় তা শুনতে পাই।” (মিরকাত শরীফ ২য় খন্ড, ৩৪৭ পৃষ্ঠা) কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে – ان النبى صلى الله عليه وسلم فى قبره حى অর্থ : “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রওযা মুবারকে জীবিত অবস্থায়ই আছেন।” (মিরকাত শরীফ ২য় খন্ড ২২৩ পৃষ্ঠা) উপরোক্ত বর্ণনায় এটাই প্রমাণিত হলো যে, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রওযা মুবারকে স্বীয় উম্মতের দরূদ ও সালাম শুনতে পান। যদি তিনি হায়াতুন্ নবী না-ই হন তবে কি করে তা শুনতে পান? অবশ্যই তিনি হায়াতুন্ নবী। قال حضرت ابراهيم بن شيبان رضى الله تعالى عنه حججت فجئت المدينة فتقدمت الى القبر الشريف فسلمت على رسول الله صلى الله عليه وسلم فسمعت. من داخل الحجرة يقول وعليك السلام. অর্থ: হযরত ইবরাহীম বিন শায়বান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি পবিত্র হজ্জ শেষে পবিত্র মদীনা মুনাওয়ারায় হাজির হলাম। তারপর পবিত্র রওযা মুবারকের নিকটস্থ হয়ে সালাম শরীফ পেশ করলাম। তখন পবিত্র রওযা শরীফ উ��ার ভিতর থেকে “ওয়া আলাইকাস সালাম উনার ধ্বনি শ্রবণ করলাম। (আল কাউলুল বাদী’) ليس من عبد يصلى على الابلغنى صوته حيث كان قلنا وبعد وفاتك قال وبعد وفاتى ان الله عزوجل حرم على الارض ان تأكل اجساد الانبياء. অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর দুনিয়ার যে কোন স্থান থেকে পবিত্র দূরূদ শরীফ পাঠ করুক আমি তার দুরূদ শরীফের আওয়াজ শুনতে পাই। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আরয করলেন আপনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরেও কি শুনতে পাবেন? তদুত্তরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ ফরমান, হ্যাঁ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরও। কারণ একথা নিশ্চিত যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যমীনের উপর হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র শরীর মুবারক ভক্ষণ করা হারাম করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (জালাউল আফহাম, হুজ্জাতুল্লাহিল আলামীন) এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবারে দূরূদ শরীফ পৌঁছে থাকে বলে ছাবিত হলো। এতে দূরবর্তী এবং নিকটবর্তীর কোন বাধ্যবাধকতা নেই এবং কাউকে পরিচয় করার শর্তও নেই। বরং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শ্রবণ করা প্রমাণিত হয়েছে যাতে হায়াতুন নবী উনার সঙ্গে সঙ্গে উনার চরম উচ্চমানের শ্রবণ শক্তির সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে। روى حضرت ام المؤمنين عائشة الصديقة عليها السلام انها كانت تسمع صوت الوتد والمسمار يضرب فى بعض الدور المطنبة لمسجد رسول الله صلى الله عليه وسلم فترسل اليهم لا تؤذوا رسول الله صلى الله عليه وسلم. মহাসম্মানীত সুন্নত মুবারক প্রচার Sacred Sunnat mubarok promotion, [07.09.21 17:24] [In reply to সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ তথ্য কেন্দ্র] অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি মসজিদে নববী শরীফ উনার সংলগ্ন ঘরসমূহ হতে পেরেকের শব্দ শুনলে মিস্ত্রীর নিকট পয়গাম পাঠিয়ে দিতেন যে, এরকম শব্দ
করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দিবেন না। (শিফাউস সিক্বাম- ১৫৫ পৃষ্ঠা) অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার আক্বীদা মুবারক ছিল এই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রওযা শরীফে শুধু যিন্দাই নন বরং তিনি সবকিছুই দেখেন এবং অনুভব করেন যা উনার হায়াতুন নবী হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ। সুবহানাল্লাহ! হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্মন্ধে একটি ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা অলিকুল শিরোমণি হযরত শায়খ সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রিফায়ী রহমতুল্লাহি তিনি যখন ৫৫৫ হিজরীতে পবিত্র বাইতুল্লা��� শরীফ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে তাশরীফ নিয়ে যান তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের জন্যও তাশরীফ নেন। পবিত্র রওযা শরীফ উনার নিকটে পৌঁছে তিনি উচ্চেস্বরে বললেন, “আসসালামু আলাইকা ইয়া জাদ্দী।” সাথে সাথে পবিত্র রওযা শরীফ থেকে আওয়াজ মুবারক আসলো- “ওয়া আলাইকুমুস সালাম ইয়া ওলাদী।” এ মুবারক আওয়াজ শুনে উনার উপর তন্দ্রাভাব এসে গেল। তিনি ব্যতীত যত লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন সবাই এ পবিত্র আওয়াজ মুবারক শুনতে পান। ��িছুক্ষণ পর তিনি দু’টি কাছীদা শরীফ পাঠ করলেন যার অনুবাদ এই- “বিচ্ছেদ এবং দূরত্বের অবস্থায় স্বীয় রূহকে দস্তবুছীর মর্যাদা লাভের জন্য পবিত্র রওযা মুবারকে প্রেরণ করতাম। বর্তমানে প্রকৃত প্রস্তাবে যখন আমার পবিত্র দীদার মুবারক নছীব হয়েছে। তাই দয়া বিতরণে আপনার পবিত্র দস্ত মুবারক দান করুন। তাহলে উহাতে চুম্বন করে সম্মানিত হবো।” সুবহানাল্লাহ! তৎক্ষণাৎ রওযায়ে আত্বহার শরীফ থেকে পবিত্র হাত মুবারক নূর চমকিয়ে বের হলে তিনি উহাতে চুম্বন দিলেন তখন রওযায়ে আক্বদাস উনার পার্শ্বে প্রায় ৯০,০০০ নব্বই হাজার আশিক্বানে জামালে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরানী হাত মুবারক উনার পবিত্র যিয়ারত মুবারক দ্বারা মর্যাদাবান হলেন তন্মেধ্যে গাউছুল আ’যম বড়পীর হযরত শায়েখ আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমুতল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত শায়েখ আদভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক হুসাইনী ওয়াসিতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের ন্যায় মহান বুযুর্গানে দ্বীন উনারা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাকে এত প্রচুর পরিমাণ উলামায়ে কিরাম বর্ণনা করেছেন যে, তাতে ভুল ভ্রান্তি হওয়ার কোন অবকাশ নেই। (বুরহানুল মুয়াইয়্যাদের অনুবাদ বুনইয়ানুল মুশাইয়্যাদ ৩৫পৃ, আরকানে ইসলাম ৩২৬ পৃ:) উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত ঘটনা দ্বারা চাক্ষুষভাবে হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমাণিত হলো। কারণ পবিত্র রওযা শরীফ হতে উচ্চস্বরে সালাম উনার জবাব দেয়া এবং পবিত্র হাত মুবারক বের করে দেয়া পবিত্র হায়াত মুবারকে থাকার পূর্ণ নিদর্শন, পবিত্র হায়াত মুবারকে না হলে সালামের জবাব দেয়া এবং পবিত্র হাত মুবারক বের করা সম্ভব নয়। সুন্নতি সামগ্রী সংগ্রহ করুনঃ https://sunnat.info সরাসরি আজিমুশ শান ৬৩দিনব্যাপী মাহফিল শুনতে ভিজিট করুনঃ http://al-hikmah.net/
1 note
·
View note
Text
What is Sayidul Aaiyad Shareef?
The Answer:
‘Saiyid’ means the best and Aaiyad is the plural form of Eid that means Happiness. And the word ‘Shareef’ means the honored or respected. So, the word ‘Saiyidul Aaiyad shareef’ means the ‘Saiyid of Eid’ or the best Eid. Celebrating the best Eid or expressing the Mubarak happiness on the occasion of the Biladatee Shaan Mubarak (Birth) or the appearance in world of Habeebullah Swallallahu Alaihi wa Sallam is called ‘Saiyidul Aaiyad shareef’. It is known as ‘Saiyide Eid-e-Azam’, ‘Saiyide Eid-e-Akbar’, the most sacred Eid-e-Milade Habeebullah Swallallahu Alaihi wa Sallam.
1 note
·
View note
Text
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ পালন করেছেন।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা সর্বশ্রেষ্ট ঈদ,ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা কখনোই বিদয়াত বা নতুন বিষয় নই, যারা বিদয়াত বলে, তারা তাদের জিহালতের কারনেই বলে থাকে। মূলত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার ঈদে মীলাদে (হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করেছেন। উনার পবিত্র বিলাদত শরীফের বার হচ্ছে ইয়াওমুল ইছনাইন বা সোমবার। এই দিনে শুকরিয়া আদায় করে তিনি রোজা রাখতেন। অর্থাৎ মীলাদে হাবীবী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করেছেন। عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ قَتَادَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ بِـهٰذَا الْـحَدِيْثِ زَادَ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَرَاَيْتَ صَوْمَ يَوْمِ الْاِثْنَيْنِ وَيَوْمِ الْـخَمِيْسِ قَالَ فِيْهِ وُلِدْتُّ وَفِيْهِ اُنْزِلَ عَلَىَّ الْقُرْاٰنُ. অর্থ : “হযরত আবূ ক্বাতাদা আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়াওমুল ইছলাইনিল আযীম শরীফ ও ইয়াওমুল খ¦মীস রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, এদিন (ইয়াওমুল ইছলাইনিল আযীম শরীফ) আমি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি, আর এদিনই আমার উপর ওহী মুবারক বা পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৮০৭, আবূ দাঊদ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৪২৮, সুনানে কুবরা লি বায়হাক্বী শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ৮২১৭, ইবনে খুজাইমা শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২১১৭, মুস��াদে আবি আওয়ানা : হাদীছ শরীফ নং ২৯২৬, মুসনাদে আহমদ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২২৬০৩) অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার থেকে জানা যায় যে, পবিত্র সোমবার শরীফ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক ও আনুষ্ঠানিকভাবে নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ লাভের দিন। এই দিনে রোযা রাখার ইঙ্গিত অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে। এর থেকেও প্রমাণিত হয় যে, বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন এবং বরকতী বিশেষ দিন সমূহের দিন খুশি প্রকাশ করা বা তা পালন করতে হবে। কারন স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার আগমনের বারে শুকরিয়া আদায় করে রোজা রাখতেন। হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন উপলক্ষে নিজেই নিজের আগমন দিবস পালন করেছেন।
1 note
·
View note
Text
উম্মুল উমাম- উনার শানে কিছু কথা!
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। অগণিত ছলাত ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি প্রিয়তম রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি। আমরা জানি যে, মু’মিনগণের একমাত্র লক্ষ্যই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে নিজ আমল-আখলাক্ব, সীরত-সুরত, মুয়ামালাত-মুয়াশারাত অর্থাৎ সকল বিষয় দিয়েই সন্তুষ্ট করার কোশেশ করা। তাই যত বাধা বিপত্তি আসুক আর যুগের যত ফেতনাই থাকুক, সেই লক্ষ্যের উপর দৃঢ়চিত্ত থেকেই বিশুদ্ধ আক্বীদার সাথে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশিত ও দেখানো পথে জীবন পরিচালনা করতে হবে। এর ব্যতিক্রম আর কোনো পথ নেই। আখেরী যুগ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “এমন এক সময় আস���ে যখন মুসলমানদের জ��্য ঈমান রক্ষা করা জ্বলন্ত কয়লা হাতের মধ্যে রাখার ন্যায় কঠিন হবে।” [তিরমিযী শরীফ] এই হাদীছ শরীফ থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, এ যুগে ঈমান রক্ষা করা কতটা কঠিন! যদি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত এবং উনার নবী ও রসূল যিনি আমাদের প্রাণপ্রিয় আক্বা, মাওলা, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবত-কুরবত না থাকে এবং উনাদের নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালনা করা না হয়। তাহলে এ কঠিন অবস্থায় আমাদের করণীয় কি? এ অবস্থায় মুসলমানদের ঈমান ও আমল হিফাযতের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা স্বরূপ অপর একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন – আমি তোমাদের মাঝে দুটি বিষয় রেখে যাচ্ছি, যতক্ষণ পর্যন্ত সেগুলোকে আঁকড়ে ধরে রাখবে ততক্ষণ পথভ্রষ্ট হবে না। এক. মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব মুবারক, দুই. পবিত্র সুন্নাহ শরীফ তথা পবিত্র হাদীছ শরীফ। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ সঠিক ও শুদ্ধ ভাবে জানা, বোঝা ও আমলে আনার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি একজন হক্কানী রব্বানী আলিম উনার সাহচর্যে অবস্থান করাকে পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই আবশ্যক করেছেন। [সূত্র: সূরা কাহাফ শরীফ-২৮] নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রথম দিকে নারী-পুরুষ সকলকে সরাসরি তা’লীম দিলেও পর্দার বিধান নাযিলের পর থেকে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই মহিলাদেরকে দ্বীনি তা’লীম দিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতা ইসলামী হুকুমতের স্বর্ণযুগে অব্যাহত থাকলেও পরবর্তীতে এ আদর্শ থেকে মুসলিম উম্মাহ দূরে সরে যাওয়ায় মহিলাদের মাঝে দ্বীনি তা’লীম-তালক্বীনের গুরুত্ব ক্রমশই হ্রাস পেয়েছে। অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে – প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলার জন্য দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করা ফরয। [ইবনে মাজাহ শরীফ] এখানে স্মর্তব্য; মহিলাদের দ্বীন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে ইলম অর্জন করতে হলে অবশ্যই একজন প্রকৃত মহিলা আলিমা বা ফক্বীহা উনার দ্বারস্থ হতে হবে। একজন মহিলা কোনো পুরুষ আলিমের কাছে গিয়ে তাদের সর্ববিষয়ে দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। কারণ পুরুষ-মহিলা উভয়ের জন্যই পর্দা করা ফরয। এ কারণেই সকল যুগে মহিলাগণের মাঝেও একজন লক্ষ্যস্থল মহিলা ওলীআল্লাহ থাকেন যিনি তাদেরকে তা’লীম তরবিয়ত দান করেন। যদিও ইতিহাসে এ বিষয়ে আলোচনা অপ্রতুল, তবে আমাদের এই আলোচনাটি মূলত সেই বিষয়টির উপর ভিত্তি করেই। সর্ব যুগের মত বর্তমান যামানায়ও একজন লক্ষ্যস্থল মহিলা ওলীআল্লাহ আছেন। উনাকে চেনার কিছু সহজ উপায় হচ্ছে, তিনি প্রগাঢ় ইলমে শরীয়ত �� মা’রিফতের অধিকারিণী হওয়ার সাথে সাথে পরিপূর্ণভাবে শরীয়তের অনুসারী হবেন এবং সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম ভাবে পবিত্র সুন্নত মেনে চলবেন। উনার যামানার মহিলাগণ উনার সাহচর্যে এসে হিদায়েতের নূরে আলোকিত হবেন। এমনই এক ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার আলোচনা এখানে এসেছে, যিনি যামানার লক্ষ্যস্থল মহিলা ওলীআল্লাহ বলে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি পরিপূর্ণভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস অনুযায়ী চলে থাকেন ও বলে থাকেন। তিনি সর্ববিষয়ে পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ করে থাকেন। তিনি ফারূক্বী মাক্বামে অধিষ্ঠিত অর্থাৎ হক্ব-নাহক্বের সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী, তিনি ছিদ্দীক্বা তথা চরম সত্যবাদী। তিনি সমস্ত কিছু দলীল দিয়েই প্রমাণ করেন, তিনি দলীল দিয়েই দলীল খন্ডন করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন আমাদের মহিয়সী মাতা, ত্বহিরাহ্, ত্বইয়্যিবাহ্, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল
উমাম আলাইহাস সালাম উনার প্রথম পরিচয় হচ্ছে তিনি বর্তমান যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার যাওজাতুম মুকাররমা*। তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার খাছ ক্বায়িম মাক্বাম হিসেবে মহিলাদের জন্য এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম আল্লাহওয়ালা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উনার নেককার পরহেযগার বুযুর্গ পিতা-মাতা উভয়ের দিক হতেই উত্তরাধিকারসূত্রে ইলমে ফিক্বাহ-এর সকল শাখায় অগাধ জ্ঞানের অধিকারিণী হন। উনার সম্মানিত পিতা মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ রুকনুদ্দীন আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন এ উপমহাদেশের নাহু ছরফের মশহুর ইমাম ও মুয়াল্লিম এবং পাশাপাশি আরবী ছরফ সম্পর্কিত বিভিন্ন কিতাবাদির বিজ্ঞ লেখক হিসেবেও সকলের মাঝে সুপরিচিত ও মান্যবর একজন ব্যক্তিত্ব। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিতা আম্মা, তিনি একজন আলিমা, মুয়াল্লিমা, ক্বারীয়া এবং দ্বীনের ফক্বীহা ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি শৈশবকাল হতেই পারিবারিক ভাবে দ্বীনি ইলমের আবহে বেড়ে উঠেন। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট হতে ইলমে তাসাউফে কামালত হাছিল করেন; পাশাপাশি ইলমে ফিক্বাহ সহ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, আরবী, উর্দূ, ফার্সী ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের ইলমের পূর্ণতায় পৌঁছেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পবিত্র কুরআন শরীফের তরজমা-তাফসীর এবং তৎসংশ্লিষ্ট গবেষণা করে আসছেন। তিনি সেই ১৪১৩ হিজরী থেকে মহিলাদেরকে দ্বীনি তা’লীম-তালক্বীন দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ১৪২১ হিজরী থেকে সারা দেশের মহিলাদের মাঝে দ্বীনি শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা’লীমি সফর করেন। তিনি মহিলাদেরকে সঠিক দ্বীনি শিক্ষা দানের লক্ষ্যে ১৪১৮ হিজরীর শাওয়াল মাসে রা��ধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র রাজারবাগে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এই মাদরাসায় ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফ শিক্ষার সাথে সাথে অন্যান্য সাধারণ শিক্ষা যেমন: আরবী, বাংলা, অংক, বিজ্ঞান, উর্দূ, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়ের সমন্বিত শিক্ষাক্রমের কারণে এটি নিঃসন্দেহে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। মূলতঃ তিনি চান হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম এবং হযরত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদর্শে মহিলা জাতিকে উজ্জীবিত করতে। এই লক্ষ্যকে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে দিতে উনার অক্লান্ত পরিশ্রম। যার কারণে আমরা দেখতে পাই তিনি বছরের পর বছর ধরে প্রতিদিনই সুস্থতা-অসুস্থতা, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় যে কোনও হালতেই মহিলাদেরকে উনার নূরানী ছোহবত ও নছীহত মুবারক হাদিয়া করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! আমরা বিশ্বাস করি যে, তিনি এ যামানায় নিতান্তই মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে এক রহমত স্বরূপ এসেছেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি প্রতিদিন মহিলাদের উদ্দেশ্যে যে তা’লীম দিয়ে থাকেন তা সাধারণত উনার প্রতিষ্ঠিত মুহম্মদিয়া বালিকা মাদরাসার সম্মানিত দরসগাহেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যে তা’লীম সকল স্তরের সকল বয়সের মহিলাদের জন্য উন্মুক্ত। তিনি উনার নিয়মিত নছীহত মুবারকে দেশ-জাতি ও সমসাময়িক থেকে শুরু করে মানুষের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সমস্ত বিষয়েই আলোকপাত করে থাকেন। সময়ের প্রেক্ষাপটে এক এক করে তিনি সবই আলোচনা করে যাচ্ছেন। উনার সে সমস্ত মহামূল্যবান নছীহত মুবারক থেকেই বিশেষ বিশেষ অংশ বিভিন্ন পর্ব অথবা সঙ্কখিপ্ত পোস্ট আকারে এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। আশা করি এর সবটুকুই আমাদের সবার ইহকালের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরকালের পাথেয় হয়ে থাকবে। নিশ্চয়ই এ ওয়েবসাইট সকল হক্ব অন্বেষণকারীর জ্ঞান ও বিশ্বাসের অজানা অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক উন্মোচন করে তাতে আলো জ্বেলে দিতে সক্ষম। মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যেন আমাদের সবাইকে এ নছীহত মুবারক সমূহ উপলব্ধি করার যোগ্যতা দান করেন। (আমীন)
0 notes
Text
কুরবানী যোগ্য পশু গৃহপালিত হতে হবে বন্য পশু দ্বারা কুরবানী দেয়া নাজায়িয :
ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে পবিত্র কুরবানী উনার জন্য পশুকে গৃহপালিত হওয়ার শর্ত বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- لِكُلّ اُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا لِّيَذْكُرُوا اسْمَ اللهِ عَلٰى مَا رَزَقَهُمْ مِّنْ بَـهِيْمَةِ الْاَنْعَامِ ۗ অর্থ : “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য পবিত্র কুরবানী এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত করেছি, যেনো তারা ওই নির্দিষ্ট গৃহপালিত পশুগুলির উপর (যবেহ করার সময়) মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক উচ্চারণ করে যা তিনি তাদেরকে রিযিক হিসেবে দান করেছেন। (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪) অর্থাৎ পবিত্র কুরবানী উনার পশু গৃহপালিত হতে হবে। আর এ ব্যাপারে ফিক্বহের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে- وَلَا يَـجُوْزُ فِى الْاَضَاحَىِّ شَيْئٌ مِنَ الْوَحْشِىِّ لِاَنَّ وُجُوْبَـهَا عُرِفَ بِاشَّرْعِ وَالشَّرْعُ لَـمْ يَرُدُّ بِالْاِيْـجَابِ اِلَّا فِى الْـمُسْتَأْنِسِ. অর্থ : “কুরবানীর প্রাণীর বিধান হলো, পশু গৃহপালিত হতে হবে। বন্য বা জংলী প্রাণী গ্রহণযোগ্য নয়।” (বাদায়েউস সানায়ে ৪র্থ খ- ২০৫ পৃষ্ঠা, ফতওয়ায়ে আলমগীরী ৫ম খ- ৩৪৩ পৃষ্ঠা) এমনকি বন্য পশু যদি পোষও মানে তারপরও উক্ত বন্য পশু দ্বারা কুরবানী করা জায়িয হবে না। এ ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে- وَاِنْ ضُحِىَ بِظَبْيَةٍ وَحْشِيَةٍ اَنَسَتْ اَوْ بِبَقَرَةٍ وَحْشِيَةٍ اَنَسَتْ لَـمْ تَـجُزْ. অর্থ : “বন্য হরিণ বা গয়াল যদি কারো পোষ মানে তারপরও এরূপ পশু দ্বারা কুরবানী জায়িয হবে না।” (ফতওয়ায়ে শামী ৫ম খ- ৩৪৩ পৃষ্ঠা) কিন্তু গৃহপালিত পশু যদি বন্য আচরণ করে তারপরও উক্ত গৃহপালিত পশু দ্বারা কুরবানী জায়িয। যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে- نَدَّتِ الْاَهْلِيَةُ تَوَحَشَّتْ فَرَمَاهَا عَنِ الْاَضْحِيَّةِ جَازَ. অর্থ : “যদি গৃহপালিত পশু পালায়ন করে এবং তার মধ্যে বন্য আচরণ প্র��াশ পায়, তারপরও উক্ত পশু দ্বারা কুরবানী শুদ্ধ হবে।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ৫ম খ- ৩৪৩ পৃষ্ঠা) পশুটি গৃহপালিত বা জংলী তা চেনার জন্য সহজ পন্থা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে- فَاِنْ كَانَ مُتَوَلِدًا مِّنَ الْوَحْشِىِّ وَالْاِنْسِىِّ فَالْعِبْرَةُ لِلْاُمِّ অর্থ : “আর যদি গৃহপালিত ও বন্য পশুর সংমিশ্রণে বাচ্চার জন্ম হয় তাহলে মায়ের দিক প্রাধান্য পাবে। কারণ পশুর নছব বা বংশ পরিচিতি হলো মায়ের দ্বারা।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ৫ম খ- ৩৪৩ পৃষ্ঠা, ফতওয়ায়ে শামী ৯ম খ- ৫৩৪ পৃষ্ঠা, বাদায়েউস সানায়ে ৪র্থ খ- ২০৫ পৃষ্ঠা) অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে- فَاِنْ كَانَتْ اَهْلِيَةٌ تَـجُوْزُ وَاِلَّا فَلَا حَتّٰى لَوْ كَانَتِ الْبَقَرَةُ وَحْشِيَةٌ وَالثَّوْرُ اَهْلِيَةٌ لَـمْ تَـجُزْ. অর্থ : “গৃহপালিত হলে কুরবানী শুদ্ধ বা জায়িয হবে। আর যদি গৃহপালিত না হয় তা দ্বারা কুরবানী করা জায়িয হবে না। তা বন্য গরু, মহিষ, ছাগল, বকরী, ভেড়া ইত্যাদি যাই হোক না কেন।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ৫ম খ- ৩৪৩ পৃষ্ঠা, ফতওয়ায়ে শামী ৯ম খ- ৫৩৪ পৃষ্ঠা, বাদায়েউস সানায়ে ৪র্থ খ- ২০৫ পৃষ্ঠা)
0 notes
Text
কুরবানীর পশুর রক্তের বিনিময়ে গুনাহখ্বতা ক্ষমা করা হবে :
কুরবানীদাতা উনার ফযীলত
কুরবানীর পশুর রক্তের বিনিময়ে গুনাহখ্বতা ক্ষমা করা হবে :
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিনে বান্দার পবিত্র কুরবানী উনার পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক তার গুণাহ মাফ করে দেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এ ব্যাপারে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي سَعِيدٍ الْـخُدْرِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ قُومِيْ اِلٰى اُضْحِيَّتِكِ فَاشْهَدِيْهَا فَاِنَّ لَكِ بِاَوَّلِ قَطْرَةٍ تَقْطُرُ مِنْ دَمِهَا اَنْ يُغْفَرَ لَكِ مَا سَلَفَ مِنْ ذُنُوْبِكِ فَقَالَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذَا لَنَا اَهْلَ الْبَيْتِ خَاصَّةً اَوْ لَنَا وَلِلْمُسْلِمِينَ عَامَّةً؟ قَالَ لَا بَلْ لَنَا وَلِلْمُسْلِمِينَ عَامَّةً.
অর্থ : “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম! আপনি আপনার কুরবানী উনার পশুর কাছে চলুন এবং সেখানে (কুরবানী উনার সময়) উপস্থিত থাকুন। নিশ্চয়ই পশুর প্রত্যেক ফোঁটা রক্তের বিনিময়ে আপনার বিগত জীবনের গুণাহখ¦তা ক্ষমা করা হবে। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই কুরবানী উনার ফযীলত কি শুধু আমাদের এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য? নাকি আমাদের জন্য এবং সমস্ত মু’মিন মুসলমান উনাদের জন্য। জাওয়াবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হ্যাঁ, আমাদের জন্য এবং সমস্ত মু’মিন মুসলমান উনাদেরও জন্য।” (হাকিম ৪/২২২, বাযযার ২/৫৯, কাশফুল আসতার ১/৪৫৭)
0 notes
Text
খাসী, বলদ ইত্যাদি দ্বারা পবিত্র কুরবানী করা জায়িয তো অবশ্যই বরং খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত :
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ও ফিক্বাহ্র কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কোন প্রাণীর কোন এক অঙ্গ যেমন- কান, লেজ ইত্যাদির এক তৃতীয়াংশের বেশী নষ্ট হয়ে গেলে তা দ্বারা কুরবানী করা জায়িয নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে যেমন দাঁত অর্ধেকের বেশী যদি থাকে, তাহলে তা দিয়ে কুরবানী করা জায়িয রয়েছে।
এ উছূলের উপর ক্বিয়াস করে কোন কোন আলিম নামধারী মূর্খ ও গুমরাহ লোকেরা বলে থাকে যে, খাসী ও বলদ ইত্যাদি প্রাণী দ্বারা কুরবানী করলে কুরবানী দুরুস্ত হবে না। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ এ ধরণের ক্বিয়াস অশুদ্ধ, নাজায়িয এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধী। কেননা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে খাসী কুরবানী করেছেন। যা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ ذَبَحَ الِنَّبُّى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الذَّبْحِ كَبْشَيْنِ أَقْرَنَيْنِ اَمْلَحَيْنِ مَوْجَوْئَيْنِ.
অর্থ : “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক কুরবানী উনার দিন সাদা-কালো মিশ্রিত রঙ্গের শিং বিশিষ্ট খাসীকৃত দু’টি তরুতাজা দুম্বা কুরবানী করলেন।” (আবূ দাঊদ শরীফ)
কাজেই, এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়, খাসী এবং খাসীকৃত প্রাণী কুরবানী করা জায়িয তো বটেই বরং খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। খাসী করার কারণে প্রাণীর মধ্যে ছূরতান (প্রকাশ্য) যে ত্রুটি বা খুঁত হয়, সেটা শরয়ী ত্রুটি বা খুঁতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
আর এ জন্য ফিক্বহের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
الـخصي افضل من الفحل لانه اطيب لـحما.
অর্থ : “পাঠা ছাগলের তুলনায় খাসী ছাগল কুরবানী করা উত্তম। কেননা, খাসির গোশত তুলনামূলকভাবে উৎকৃষ্ট।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ৫ম খ- ৩৪৫ পৃষ্ঠা)
0 notes
Text
জাল্লালা প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা নাজায়িয :
জাল্লালা প্রাণী দিয়ে কুরবানী করা জায়িয নেই। জাল্লালা প্রাণী বলে ওই প্রাণীকে, যে প্রাণী সদা-সর্বদা মল খেয়ে জীবন ধারণ করে, যার কারণে ঐ সমস্ত পশুর গোশতে দুর্গন্ধ পয়দা হয়। আর যে সমস্ত পশু প্রায় প্রায় মল বা নাজাসাত খেয়ে থাকে, সে সমস্ত পশু দিয়ে কুরবানী করা সম্পর্কে ইখতিয়ার রয়েছে। তবে যারা জায়িয বলেছেন, উনারা বলেছেন- উট হ��ে ৪০ দিন, গরু হলে ��০ দিন, ছাগল হলে ১০ দিন, মোরগ হলে ৩ দিন, চড়ুই পাখি হলে ১ দিন বেঁেধ রেখে ভাল খাদ্য দিয়ে তার গোশতের দুর্গন্ধ দূরীভূত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পর যবেহ করা জায়িয ও তা দ্বারা কুরবানী করাও জায়িয। (সমূহ ফিক্বাহ্র কিতাব)
0 notes
Text
পবিত্র কুরবানী উনার সম্পর্কে মাযহাবী ফায়ছালা
পবিত্র কুরবানী উনার সম্পর্কে শাফিয়ী মাযহাব উনার অভিমত : শাফিয়ী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব নয় বরং সুন্নত।
এ প্রসঙ্গে “নূরুল হিদায়া” কিতাবের ৪র্থ খন্ডের ৫০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اور شافعی رحمۃ اللہ علیہ کے نزدیک سنت ہے.
অর্থ : “আর হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পবিত্র কুরবানী করা সুন্নত।”
অতএব, শাফিয়ী মাযহাব উনার দৃষ্টিতে যেহেতু পবিত্র কুরবানী সুন্নত তাই নিজের পক্ষ থেকে না করে অপরের পক্ষ থেকে করলেও কোন অসুবিধা নেই।
পবিত্র কুরবানী সম্পর্কে মালিকী ও হাম্বলী মাযহাব উনাদের অভিমত : মালিকী ও হাম্বলী মাযহাব উনাদের পবিত্র কুরবানী সম্পর্কিত দু’টি মত কিতাবে উল্লেখ রয়েছে। এক মতে পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব নয়। যেমন এ প্রসঙ্গে “আইনুল হিদায়া” কিতাবের ৪র্থ খন্ডের ২২২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
امام مالک رحمۃ اللہ علیہ وشافعی رحمۃ اللہ علیہ واحمد رحمۃ اللہ علیہ کے نزدیک ... اضحیہ واجب نہیں۰
অর্থ : “হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের নিকট ..... পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব নয়।”
মালিকী ও হাম্বলী মাযহাব উনাদের অপর এক মতে পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব। তবে এক্ষেত্রে উনাদের মূল বক্তব্য হলো, “যদি পরিবারের একাধিক লোকের উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হয়, আর সকলের পক্ষ থেকে একটিমাত্র পবিত্র কুরবানী করে তবে সকলেরই ওয়াজিব আদায় হবে যাবে।” অর্থাৎ প্রত্যেকের আলাদা আলাদা পবিত্র কুরবানী করার প্রয়োজন নেই।
পবিত্র কুরবানী যার উপর ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই করতে হবে- এ সম্পর্কে হানাফী মাযহাব উনার অভিমত : এ প্রসঙ্গে ���বিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ مِـخْنَفِ بْنِ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كُنَّا وُقْوْفًا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ فَسَمِعْتُهُ يَقُوْلُ يَا اَيُّهَا النَّاسُ اِنَّ عَلٰى كُلّ اَهْلِ بَيْتٍ فِىْ كُلّ عَامٍ اُضْحِيَّةُ.
অর্থ : হযরত মিখনাফ ইবনে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা পবিত্র বিদায় হজ্জ মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে পবিত্র আরাফা ময়দানে ছিলাম। এমতাবস্থায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনলাম, হে লোক সকল ! প্রত্যেক পরিবারের পক্ষে প্রত্যেক বছরই একটি করে পবিত্র কুরবানী রয়েছে। (মিশকাত শরীফ)
কাজেই সম্মানিত হানাফী মাযহাব মতে “মালিকে নিছাব” প্রত্যেকের উপর আলাদা আলাদাভাবে পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব। যার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই পবিত্র কুরবানী করতে হবে। যার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ থেকে পবিত্র কুরবানী না করে মৃত বা জীবিত অপরের পক্ষ থেকে পবিত্র কুরবানী করা যাবে না, করলে ছ¦হিবে নিছাব ব্যক্তি ওয়াজিব তরকের গুনাহে গুনাহগার হবে। মূূল ফতওয়া হলো, ছ¦হিবে নিছাব ব্যক্তি তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় করে সে অন্য যে কোন ব্যক্তি সে মৃত হোক বা জীবিত হোক তাদের পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় করতে পারবে। এ ব্যাপারে হানাফী উনাদের দলীল নিম্নরূপ :
এ প্রসঙ্গে “শরহে বিক্বায়া” কিতাবে হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে আরও একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ রয়েছে-
وَاِنَّـمَا (الْاُضْحِيَّةُ) تَـجِبُ لِنَفْسِهٖ لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَ السَّلَامُ مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ وَلَـمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرُبَنَّ مُصَلَّانَا
অর্থ : “কুরবানীদাতার জন্য তার নিজের পক্ষ থেকে বা নিজের নামেই কুরবানী করা ওয়াজিব। কেননা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সামর্থবান হওয়া সত্ত্বেও পবিত্র কুরবানী করবেনা সে যেনো আমাদের ঈদগাহের নিকটেও না আসে।” (ইবনে মাজাহ শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَصَلّ لِرَبّكَ وَانْـحَرْ.
অর্থ : “আপনার মহান রব তায়ালা উনার উদ্দেশ্যে নামায আদায় করুন এবং কুরবানী করুন।” (পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
উক্ত আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে ক্বাযী মুহম্মদ ছানাউল্লাহ উছমানী পানীপথি মুজাদ্দিদী নকশবন্দী আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত সর্বজনমান্য ও বিশ্বখ্যাত তাফসীরের কিতাব “তাফসীরে মাযহারী” কিতাবের ১০ম খন্ডের ৩৫৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন-
فَعَلٰى هٰذَا يُـثْبَتُ بِهٖ وُجُوْبُ صَلٰوةُ الْعِيْدِ وَالْاُضْحِيَّةُ.
অর্থ : “এই আয়াত শরীফ উনার দ্বারা এটাই ছাবিত হয় যে, ঈদের নামায পড়া এবং পবিত্র কুরবানী করা উভয়টি ওয়াজিব।”
“ফতওয়ায়ে নাওয়াযিল” কিতাবের ২৩৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَيَـجِبُ عَنْ نَفْسِهٖ لِأَنَّهٗ أَصْل بِالْوُجُوْبِ عَلَيْهِ.
অর্থ : “মালিকে নিছাবের জন্য তার নিজের পক্ষ থেকেই বা নিজের নামেই কুরবানী আদায় করা ওয়াজিব। কেননা কুরবানী মূলত তারই উপর ওয়াজিব। অর্থাৎ কুরবানী মূলত যার উপর ওয়াজিব হ��ে, সর্বপ্রথম তার নিজের পক্ষ থেকেই বা নিজের নামেই কুরবানী আদায় করা ওয়াজিব।”
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক বর্ণনা দ্বারা সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, হানাফী মাযহাব মতে যার উপর কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই কুরবানী করতে হবে। হ্যাঁ, কেউ যদি ওছীয়ত বা গইরে ওছীয়তের কারণে মৃত বা অপরের পক্ষ থেকে কুরবানী করতে চায় তবে তাকে পৃথক আরেকটি কুরবানী করতে হবে। এ ব্যাপারে হানাফীদের মজবুত দলীল হচ্ছে-
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَأَيْتُ حَضْرَتْ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَامُ يُضَحّىْ بِكَبْشَيْنِ فَـقُلْتُ لَه مَا هٰذَا فَقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَانِـىْ اَنْ اُضَحّىَ عَنْهُ فَاَنَا اُضَحّىْ عَنْهُ.
অর্থ : “তাবিয়ী হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে দু’টি দুম্বা কুরবানী করতে দেখে উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম ইহা কি? অর্থাৎ দু’টি কেন? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে ওছীয়ত করেছেন, আমি যেনো উনার পক্ষ হতে কুরবানী করি। সুতরাং আমি উনার পক্ষ হতে অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে একটি কুরবানী করছি।” (আর অপরটি আমার পক্ষ থেকে) (আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ)
যদি একটি কুরবানী করলে একাধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে আদায় হতো অর্থাৎ যার উপর ওয়াজিব তার ওয়াজিব সাকিত হয়ে যেত। তাহলে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি দু’টি কুরবানী করলেন কেন? এর দ্বারা কি এটাই প্রমাণিত হয়না যে, যার উপর কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই কুরবানী করতেই হবে। তাছাড়া হানাফী মাযহাবের আরেকটি ফতওয়া হচ্ছে, “দুম্বা, ভেড়া ও ছাগল, একজনের অধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা জায়িয নেই। আর উট, গরু, মহিষ সাতজনের অধিক বক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা জায়িয নেই।” অর্থাৎ ওয়াজিব কুরবানী উনার ক্ষেত্রে একভাগ একজনের পক্ষ থেকেই বা একজনের নামেই কুরবানী করতে হবে। একভাগ বা একটিভাগ একাধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে করা জায়িয নেই। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ النَّـبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَلْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْـجَزُوْرُ عَنْ سَبْعَةٍ.
অর্থ : “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, গরু সাত জনের পক্ষ হতে এবং উট সাত জনের পক্ষ হতে (কুরবানী করতে হবে)।” (মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ)
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক বর্ণনা দ্বারা সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, হানাফী মাযহাব মতে যার উপর কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই কুরবানী করতে হবে। নিজের ওয়াজিব কুরবানী মৃত ব্যক্তি বা অপরের নামে করা অথবা একভাগে একাধিক নাম শরীক করা জায়িয নেই। তবে হাম্বলী ও মালিকী মাযহাব মতে একটি মাত্র কুরবানী একাধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে করলেও সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। ‘ফতওয়ায়ে শামী’ ও ‘ফতওয়ায়ে ক্বাযীখান’ কিতাবে একথাটিই মূলত উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ কারণেই উল্লিখিত ইবারতের পরেই হযরত শারাম্বলালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-
قَالَ اَلشَّرَنَبَلَالِى لٰكِنْ فِى سُقُوْطِ الْاضُحِيَّةِ عَنْهُ تَاَمُّلُ.
অর্থ : “তবে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করলে কুরবানীদাতার ওয়াজিব কুরবানী আদায় হওয়ার ব্যাপারে বা সাকিত হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ, ব্যাখ্যা ও ফিকির রয়েছে।”
অর্থাৎ উপরোক্ত বক্তব্যের দ্বারা তিনি এটাই বুঝিয়েছেন যে, এটা হানাফী মাযহাব উনার মত নয়; বরং হাম্বলী ও মালিকী মাযহাব উনাদের মত। অথচ মাযহাবী ফায়ছালা সম্পর্কে অজ্ঞ হওয়ার কারণেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ‘ফতওয়ায়ে ক্বাযীখান’ ও ‘ফতওয়ায়ে শামী’ কিতাবের উক্ত বক্তব্যের বরাত দিয়ে বলা হয়ে থাকে যে, মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সন্তান কুরবানী করলে তার নিজের উপর ওয়াজিব কুরবানী আদায় হয়ে যাবে।
কাজেই, পবিত্র কুরবানী করা সম্পর্কিত উক্ত বক্তব্য ভুল, অশুদ্ধ ও হানাফী মাযহাব উনার মশহূর ও গ্রহণযোগ্য মতের সম্পূর্ণই খিলাফ। হানাফী মাযহ��ব উনার মশহূর ও গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে, “যে ব্যক্তির উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই পবিত্র কুরবানী করতে হবে। নিজের পক্ষ থেকে পবিত্র কুরবানী না করে মৃত ব্যক্তি বা অপরের পক্ষ থেকে পবিত্র কুরবানী করা যাবেনা।” অর্থাৎ মালিকে নিছাব ব্যক্তি নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় করে, তারপর অন্য যে কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করতে পারবে।
#qurbani
0 notes
Text
গৃহপালিত পশু মধ্যে শুধুমাত্র দুম্বা, ভেড়া, ছাগল, উট, গরু ও মহিষ দ্বারা কুরবানী দেয়া জায়িয :
গৃহপালিত পশু দ্বারা কুরবানী করার বিধান থাকলেও যে কোন গৃহপালিত পশু দ্বারা কুরবানী করলে শুদ্ধ হবে না। বরং ৬ প্রকার গৃহপালিত পশু দ্বারা কুরবানী করতে হবে। এই ৬ প্রকার পশু হচ্ছে দুম্বা, ভেড়া বা মেষ, খাসী বা বকরী, উট, গরু ও মহিষ। এই ছয় প্রকার পশুর নর-মাদী উভয়ই কুরবানী যোগ্য পশু।
দুম্বা কুরবানী : দুম্বা কুরবানীর ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُضَحِّيْ بِكَبْشَيْنِ وَاَنَا اُضَحِّيْ بِكَبْشَيْنِ.
অর্থ : “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্র্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দু’টি দুম্বা কুরবানী করতেন। হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও কুরবানী আদায় করতেন দু’টি দুম্বা দিয়ে।” (বুখারী শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ৫৫৫৩)
মেষ কুরবানী : মেষ কুরবানীর ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْـجُهَنِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَسَمَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْنَا ضَحَايَا فَاَصَابَنِيْ جَذَعٌ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّهُ اَصَابَنِيْ جَذَعٌ فَقَالَ ضَحِّ بِهٖ.
অর্থ : “হযরত উক্ববা বিন আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা পবিত্র কুরবানী উনার পশু বিতরণ করলেন। হযরত উক্ববা বিন আমের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাগে পড়ল ছয় মাসের এক মেষ। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার ভাগে ছয় মাসের মেষ পড়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্র��্যুত্তরে বললেন, এটা দিয়েই আপনি কুরবানী করুন।” (মুসলিম শরীফ, নাসায়ী শরীফ)
উট কুরবানী : উট কুরবানীর ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন-
ثُـمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمَنْحَرِ فَنَحَرَ ثَلاَثًا وَسِتِّينَ بِيَدِهِ ثُـمَّ أَعْطَى عَلِيًّا فَنَحَرَ مَا غَبَرَ وَأَشْرَكَهُ فِى هَدْيِهِ ثُـمَّ أَمَرَ مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ فَجُعِلَتْ فِى قِدْرٍ فَطُبِخَتْ فَأَكَلاَ مِنْ لَـحْمِهَا وَشَرِبَا مِنْ مَرَقِهَا
অর্থ : ‘অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরবানী উনার স্থানে এসে নিজ হাতে ৬৩টি উট নহর করেন আর হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে বাকী উটগুলো নহর করার দায়িত্ব দেন এবং উনাকে উনার কুরবানীর মধ্যে শরীক করে নেন। অতঃপর প্রত্যেকটি উট থেকে এক টুকরা করে গোশত পাতিলে একত্রিত করে রান্না করতে বলেন। অতঃপর উনারা উভয়েই উক্ত গোশত থেকে আহার করেন এবং সুরুয়া পান করেন।” (মুসলিম শরীফ)
গরু কুরবানী : গরু কুরবানীর ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ ذَبَحَ رَسُوْلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ عَائِشَةَ بَقَرَةً يَوْمَ النَّحْرِ.
অর্থ : “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র কুরবানী উনার দিন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পক্ষ হতে গরু কুরবানী করেছেন।” (মুসলিম শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ৩০৮২)
অর্থাৎ কুরবানী যোগ্য পশু হচ্ছে দুম্বা, মেষ, ভেড়া, ছাগল, খাসী, উট, গরু, মহিষ।
#qurbani
0 notes
Text
শরীকে পবিত্র কুরবানী করার বিধান
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ نَـحَرْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامْ الْـحُدَيْبِيَّةِ اَلْبُدْنَةُ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ وَفِى رِوَاَيِةٍ اَلشَّأةُ عَنْ وَاحِدٍ.
অর্থ : “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হুদায়বিয়ার বছরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কুরবানী করলাম উট এবং গরু সাত নামে।” (মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ) অপর এক বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে যে, বকরীতে এক নামে।
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত এক হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَهَلّيْنَ بِالْـحَجّ فَاَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْ نَشْتَرِكَ فِي الْاِبْلِ وَالْبَقَرِ كُلّ سَبْعَةٍ مِنَّا فِيْ بُدْنَةٍ.
অর্থ : “আমরা পবিত্র হজ্জ উনার ইহরাম বেঁধে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বের হলাম। তিনি আমাদেরকে আদেশ মুবারক করলেন, যেন প্রতিটি উট ও গরুতে সাতজন করে শরীক হয়ে কুরবানী করি।” (মুসলিম শরীফ)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْـجَزُوْرُ عَنْ سَبْعَةٍ.
অর্থ : “একটি গরু সাতজনের পক্ষ হতে এবং একটি উট সাত জনের পক্ষ হতে।” (আবূ দাঊদ শরীফ, মুসলিম শরীফ)
অর্থাৎ পবিত্র কুরবানী উনার পশু উট, গরু ও মহিষে সাত নাম এবং দুম্বা, মেষ বা ভেড়া, বকরী, খাসীতে এক নাম ��েয়ার হুকুম মুবারক রয়েছে। গরু, মহিষ, উটে সাত নামের বেশী দিলে কুরবানী জায়িয হবে না। আর সাত নামের কমে কুরবানী করলে জায়িয হবে। আর ছাগল, দুম্বা, ভেড়া এক নামের বেশী নামে কুরবানী করলে কারো কুরবানী জায়িয হবে না। (হিদায়া, কুদূরী)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক উনার খিলাফ বদ আক্বীদা পোষণকারী ব্যক্তিকে শরীক নিয়ে কুরবানী করলে কুরবানী জায়িয হবে না
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক উনার খিলাফ বদ আক্বীদা পোষণকারী অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের খিলাফ আক্বীদা পোষণকারী ব্যক্তিকে শরীক নিয়ে কুরবানী করলে কুরবানী আদায় হবে না।
ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে যে সমস্ত বিষয়গুলো হারাম যেমন- সিনেমা, টেলিভিশন দেখা ও এতে অনুষ্ঠান করা এবং যে কোন প্রাণীর অঙ্কিত ছবি ঘরে রাখা, গণতন্ত্র করা, হরতাল করা, লংমার্চ করা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া, সুদ খাওয়া, ঘুষ খাওয়া, বেপর্দা হওয়া, চন্দ্রমাস আগ-পিছ বা নাসী করা ইত্যাদি সবগুলোই হারাম এবং নাজায়িয। তাই কোন ব্যক্তি যদি হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলে তাহলে ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক সে ব্যক্তির স্ত্রী তালাক হবে, যদি হজ্জ করে থাকে তবে তা বাতিল বলে গণ্য হবে, তার জীবনের সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং সে মুরতাদে পরিণত হবে। অতএব উক্ত ব্যক্তি খালিছ তওবা না করা পর্যন্ত তাকে শরীক করে কুরবানী করলে কুরবানী আদায় হবে না।
#qurbani
0 notes
Text
পবিত্র কুরবানী উনার পশুর বৈশিষ্ট্য
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَصَلّ لِرَبّكَ وَانْـحَرْ ◌
অর্থ : “আপনার মহান রব তায়ালা উনার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কুরবানী করুন।” (পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
এখন কুরবানী করতে হ���ে কুরবানী উনার পশুর কতগুলো বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য রাখতে হয়। পরবর্তি পোস্টে সেগুলো আলোচনা করা হবে ইনশাল্লাহ-
#qurbani
0 notes
Text
যার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ হতেই পবিত্র কুরবানী করতে হবে
সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার মশহূর ও গ্রহণযোগ্য মতে, “যে ব্যক্তির উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই পবিত্র কুরবানী করতে হবে। ছহিবে নিছাবের পক্ষ থেকে পবিত্র কুরবানী না করে মৃত ব্যক্তি বা অপরের পক্ষ থেকে পবিত্র কুরবানী করা যাবে না, করলে ছহিবে নিছাব ব্যক্তি ওয়াজিব তরকের গুনাহে গুনাহগার হবে।
মূূল ফতওয়া হলো, ছহিবে নিছাব ব্যক্তি তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় করে সে অন্য যে কোন ব্যক্তি সে মৃত হোক বা জীবিত হোক তাদের পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় করতে পারবে।” এ সম্পর্কিত সঠিক ফায়ছালা বুঝতে হলে পবিত্র কুরবানী উনার সম্পর্কিত মাযহাবী ফায়ছালা সম্পর্কে অবগত হতে হবে। তাই পর্যায়ক্রমে পবিত্র কুরবানী উনার সম্পর্কিত মাযহাবী ফায়ছালা তুলে ধরা হলো-
0 notes
Text
যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য ছাহিবে নিসাব হওয়া শর্ত। হারাম উপায়ে অর্জিত মাল যেহেতু উপার্জনকারীর নিজস্ব নয়, তাই তার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হবে না। বরং তার জন্য প্রধান ফরয হলো- যাদের থেকে হারাম উপায়ে মালগুলো নেয়া হয়েছে, তাদের এ সকল মাল ফেরত দেয়া। (সমূহ ফিক্বাহর কিতাব)
আর যেহেতু কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে মুক্বীম হওয়া, তাই মুসাফিরের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, যদিও সে মালিকে নিসাব হোক না কেন। কিন্তু যদি সে কুরবানী করে, তবে আদায় হয়ে যাবে।
0 notes
Text
0 notes
Text
সামর্থ থাকার পর পবিত্র কুরবানী না করা অসন্তুষ্টির কারণ
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সামর্থ থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করবেনা সে যেনো আমাদের ঈদগাহের নিকটে না আসে।” (মুসনাদে আহমদ শরীফ)
কাজেই, যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব তাদের উচিত পবিত্র কুরবানী উনার দিন কুরবানী করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক ও নৈকট্য হাছিল করা।
পক্ষান্তরে যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব তারা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না করলে সেটা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অসন্তুষ্টি কারণ হবে।
0 notes