Tumgik
owaisalqarni99-blog · 5 years
Text
Tumblr media
ইসলামে পশুপাখিদের অধিকার
লেখকঃ মুহাম্মদ ওয়াইস
মানবাধিকার নিয়ে লেখালেখি হয়েছে ঢের, পশুপাখিদের অধিকার নিয়ে লেখালেখি হয়েছে কত? একদল তো নিরামিষভোজী, পশুপাখিদের গোশত খাওয়াটাই নিজেদের জন্য হারাম করে নিয়েছে। কিন্তু দুধ অার ডিম খেয়ে ভালই মজা পায়। তারা হয়তবা জানে না মহানায়ক হিটলার কিন্তু নিরামিষভোজীই ছিলে।⁽¹⁾ অারেকদল তো রীতিমত অাদাজল খেয়ে নেমেছে ইসলামের ওপর ছুরি চালাতে। ছুরি ভোঁতা হয়েছে, ভেঙে গিয়েছে, ইসলামের কিছুই হয় নি। অত্যাচারী, খুনি অার অমানবিক অপবাদ দিয়ে কোনই লাভ হয় নি। বলা হয়ে থাকে, ১৮২৪ সালে ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটি প্রাণীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পর সভ্য দুনিয়া পশুপাখিদের অধিকার দিতে শিখেছে।⁽²⁾ তবে কথাটি অামি অারেকটু ঘুরিয়ে বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বলতে হবে, অমুসলিম দুনিয়া পশুপাখিদের অধিকার দিতে শিখেছে ১৮২৪ সাল থেকে অার মুসলিমরা পশুপাখিদের অধিকার দিয়ে অাসছে সেই ১৪৫০ বছর অাগ থেকেই। ইসলামই পৃথিবীর একমাত্র ধর্মবিশ্বাস যা মানবাধিকারের পাশাপাশি অন্য প্রাণীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে পরিপূর্ণ ভাবে। কুরঅানে বলা হয়েছে, "অামি তোমাকে প্রেরণ করেছি সমস্ত সৃষ্টিজগতের রহমতরূপে।⁽³⁾ ইসলাম পূর্বকালে পশুপাখিদের করুণার যোগ্য বলেই মনে করা হত না। তাদের ব্যবহার করত যথেচ্ছভাবে। কোন ব্যাক্তি মারা গেলে তার মালিকানাধীন পশুগুলো তার কবরের উপর বেধে রাখা হত, অার এ অবস্থায় পিপাসায় কাতর হয়ে পশুগুলো মারা যেত।⁽⁴⁾ কখনো কখনো এমনিতেই পশুপাখিদের তীরের লক্ষ্যস্থল বানিয়ে হত্যা করত। কারণে অকারণে পশুপাখিদের জবাই করত এবং এটাকে তারা গর্বের বিষয় মনে করত। যখনই ইচ্ছা জাগত জীবন্ত পশুর অঙ্গ কেটে নিয়ে ভোগ করত।⁽⁵⁾ কি নির্মম অার অমানবিক ছিল সে সময়? সেই অমানবিক, নির্মম অার অজ্ঞতার যুগে জন্ম নিয়ে মহামানব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছেন বারবার। অপমানিত হয়েছেন, লাঞ্চিত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, সাথীহারা হয়েছেন, ভিটেহারা হয়েছেন, কিন্তু দমে যান নি। শত সহস্র বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে, শত কষ্ট অার যন্ত্রণার গ্লানি বুকে বেঁধে সামনের দিকে এগিয়েছেন বীরদর্পে, সফলও হয়েছেন। ঘোষণা দিয়েছেন, " যে ব্যাক্তি কোন জন্তুকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে হত্যা করবে সে অভিশপ্ত"⁽⁶⁾" যে জীবন্ত পশুর গোশত খায়, সে মরা খায়"⁽⁷⁾ তার ওপর অাল্লাহর অভিশাপ। "যে চড়ুই পাখি কিংবা তার চেয়ে ছোট প্রাণীকে অনধিকার জবাই করবে, অাল্লাহ তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন" চড়ুই পাখি এ ব্যাপারে অাল্লাহকে অভিযোগ করবে।⁽⁸⁾ অাল্লাহ সকল প্রাণীদের ওপর দয়া করাকে তোমাদের ওপর বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন।⁽⁹⁾ যে পশুপাখিদের পানি খাওয়ার ব্যাবস্থা করবে অাল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন। ⁽¹⁰⁾ জন্তু জানোয়ারদের মধ্য লড়াই বাধাতে নিষেধ করেছেন।⁽¹¹⁾ বিনা প্রয়োজনে পশুপাখি জবাই করাকে একটি জগণ্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।⁽¹²⁾ হুদহুদ, মৌমাছি, পিপড়া, ব্যাঙ এবং বিড়ালকে হত্যা করতে বিশেষভাবে নিষেধ করেছেন।⁽¹³⁾ পশুপাখি জবাইয়ের সময় সুন্দর পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলেছেন।⁽¹⁴⁾ তাদের অযথা কষ্ট দিতে নিষেধ করেছেন। তাদের দ্বারা অপ্রয়োজনীয় কাজ নিতে নিষেধ করেছে।⁽¹⁵⁾ দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলেছেন, একবার এক ব্যাক্তি একটি ষাড়ের পিঠে সওয়ার হলে, ষাড়টি ঐ ব্যাক্তিকে ঘাড় ফিরিয়ে যেন বলছিল, অাল্লাহ অামাকে এ কাজের জন্য সৃষ্টি করেনি, অামাকে সৃষ্টি করেছে কৃষি কাজের জন্য।⁽¹⁶⁾ অারো বলেছেন, " এক অতি ইবাদাতগুজার রমনীকে শুধু এ কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, সে একটি বিড়াল বেঁধে রেখেছিল অার বিড়ালটা এ অবস্থায় মারা যায়।⁽¹⁷⁾ অারেক দুশ্চরিত্রা নারীকে এ জন্য ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, সে একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করিয়েছিল।⁽¹⁸⁾ একবার সফরকালীন সময়ে জনৈক সাহাবী এমন এক জায়গায় অাগুন জ্বালাল যেখানে পিপড়া ছিল। দয়ার নবী বললেন, অাগুন নিভাও,অাগুন নিভাও,অাগুন নিভাও।⁽¹⁹⁾ একদা ভুলক্রমে সাহাবীরা পিপড়ার বাসায় অাগুন দেয়, মায়ার নবী তাদের তিরস্কার করে বললেন, অাগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া অাল্লাহর জন্য খাস। অন্য কারো জন্য তা বৈধ নয়।⁽²⁰⁾ একবার এক সাহাবী দুটি পাখির ছানা ধরে নিয়ে অাসলো। অার তাদের মা মাথার উপর ঘুরপাক খাচ্ছিল। রহমতের নবী বললেন, কে এই পাখিটিকে অস্থির করে তুলেছে? তাদের ছেড়ে দাও, ছেড়ে দাও,
ছেড়ে দাও।⁽²¹⁾ সওয়ারীর পিঠকে মিম্বর বানাতে নিষেধ করেছেন অর্থাৎ অযথা তাদের পিঠে সওয়ার হতে নিষেধ করেছেন।⁽²²⁾ শস্যশ্যামল মওসুমে সফর করার সময় তাদের বিচরণের সুযোগ দিতে বলেছেন।⁽²³⁾একবার শীর্ণকায় একটি উট দেখে সাহাবীদের বললেন, এই বোবা জানোয়ারদের সাথে ভাল অাচরণ কর। পালন করলে ভালমত পালন কর, ভক্ষণ করলে ভালমত ভক্ষণ কর।⁽²⁴⁾ জনৈক অানসারীকে শুধু এ জন্য তিরস্কার করেছিলেন যে, সে তার উটকে পুরোপুরি খাবার দিত না।⁽²⁵⁾ অারো অনেক কথাই বলা যায় ইসলামে পশুপাখিদের অধিকার নিয়ে। লেখার কলেবর বৃদ্ধির ভয়ে এখানেই ছেড়ে দিলাম। শেষমেষ প্রশ্ন জাগে, এই শিক্ষাই যদি হয় অমানবিক, অত্যাচারী অার খুনির শিক্ষা। তাহলে মানবিক অার নিরাপত্তার শিক্ষা কোনটি?🇧🇩https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=150667949170752&id=100026826426061
তথ্যসূত্রঃ
(1) www.dailynayadiganta.com/onnodiganta/11493/-নিরামিষভোজী-ছিলেন-হিটলার
(2) https://en.m.wikipedia.org/wiki/Royal_Society_for_the_Prevention_of_Cruelty_to_Animals
(3)সূরা অাম্বিয়া, অধ্যায় ২১, অায়াত ১০৭।
(4)সীরাতুন্নবী, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩৪৩।
(5)সীরাতুন্নবী, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩৪৪।
(6)সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৫৭,১৯৫৮।
(7)সহীহ তিরমিজী, হাদীস নং ১৪৮০।
(8)নাসায়ী, হাদীস নং ৪৪৫৯
(9)বুখারী, হাদীস নং ২৪৬৬; মুসলিম,হাদীস নং ২২৪৪
(10)অাবু দাউদ, হাদীস নং ২৫৫০
(11)বুখারী, হাদীস নং ১২৩২; অাবু দাউদ ২৫৬৪
(12)জামে তিরমিজী, হাদীস নং ১৫৬৭
(13)মিশকাত, পৃষ্ঠা নং ৩৬২
(14)মুসলিম,হাদীস নং ১৯৫৫
(15)অাবু দাউদ, হাদীস নং ২৫৬৯
(16)মুসলিম,হাদীস নং ৬৩৩৪
(17)বুখারী, হাদীস নং ৩৩১৮
(18)বুখারী, হাদীস নং ৩৪৬৭
(19)মুসনাদে অাহমদ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৯৬
(20)অাবু দাউদ, হাদীস নং ২৬৭৫
(21) অাবু দাউদ,হাদীস নং ৫৩৫৬
(22) অাবু দাউদ
(23)মুসলিম
(24)অাবু দাউদ,হাদীস নং ২৫৪৮
(25)অাবু দাউদ
সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
0 notes
owaisalqarni99-blog · 5 years
Text
ইসলামে পশুপাখিদের অধিকার
লেখকঃ মুহাম্মদ ওয়াইস
মানবাধিকার নিয়ে লেখালেখি হয়েছে ঢের, পশুপাখিদের অধিকার নিয়ে লেখালেখি হয়েছে কত? একদল তো নিরামিষভোজী, পশুপাখিদের গোশত খাওয়াটাই নিজেদের জন্য হারাম করে নিয়েছে। কিন্তু দুধ অার ডিম খেয়ে ভালই মজা পায়। তারা হয়তবা জানে না মহানায়ক হিটলার কিন্তু নিরামিষভোজীই ছিলে।⁽¹⁾ অারেকদল তো রীতিমত অাদাজল খেয়ে নেমেছে ইসলামের ওপর ছুরি চালাতে। ছুরি ভোঁতা হয়েছে, ভেঙে গিয়েছে, ইসলামের কিছুই হয় নি। অত্যাচারী, খুনি অার অমানবিক অপবাদ দিয়ে কোনই লাভ হয় নি। বলা হয়ে থাকে, ১৮২৪ সালে ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটি প্রাণীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পর সভ্য দুনিয়া পশুপাখিদের অধিকার দিতে শিখেছে।⁽²⁾ তবে কথাটি অামি অারেকটু ঘুরিয়ে বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বলতে হবে, অমুসলিম দুনিয়া পশুপাখিদের অধিকার দিতে শিখেছে ১৮২৪ সাল থেকে অার মুসলিমরা পশুপাখিদের অধিকার দিয়ে অাসছে সেই ১৪৫০ বছর অাগ থেকেই। ইসলামই পৃথিবীর একমাত্র ধর্মবিশ্বাস যা মানবাধিকারের পাশাপাশি অন্য প্রাণীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে পরিপূর্ণ ভাবে। কুরঅানে বলা হয়েছে, "অামি তোমাকে প্রেরণ করেছি সমস্ত সৃষ্টিজগতের রহমতরূপে।⁽³⁾ ইসলাম পূর্বকালে পশুপাখিদের করুণার যোগ্য বলেই মনে করা হত না। তাদের ব্যবহার করত যথেচ্ছভাবে। কোন ব্যাক্তি মারা গেলে তার মালিকানাধীন পশুগুলো তার কবরের উপর বেধে রাখা হত, অার এ অবস্থায় পিপাসায় কাতর হয়ে পশুগুলো মারা যেত।⁽⁴⁾ কখনো কখনো এমনিতেই পশুপাখিদের তীরের লক্ষ্যস্থল বানিয়ে হত্যা করত। কারণে অকারণে পশুপাখিদের জবাই করত এবং এটাকে তারা গর্বের বিষয় মনে করত। যখনই ইচ্ছা জাগত জীবন্ত পশুর অঙ্গ কেটে নিয়ে ভোগ করত।⁽⁵⁾ কি নির্মম অার অমানবিক ছিল সে সময়? সেই অমানবিক, নির্মম অার অজ্ঞতার যুগে জন্ম নিয়ে মহামানব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছেন বারবার। অপমানিত হয়েছেন, লাঞ্চিত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, সাথীহারা হয়েছেন, ভিটেহারা হয়েছেন, কিন্তু দমে যান নি। শত সহস্র বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে, শত কষ্ট অার যন্ত্রণার গ্লানি বুকে বেঁধে সামনের দিকে এগিয়েছেন বীরদর্পে, সফলও হয়েছেন। ঘোষণা দিয়েছেন, " যে ব্যাক্তি কোন জন্তুকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে হত্যা করবে সে অভিশপ্ত"⁽⁶⁾" যে জীবন্ত পশুর গোশত খায়, সে মরা খায়"⁽⁷⁾ তার ওপর অাল্লাহর অভিশাপ। "যে চড়ুই পাখি কিংবা তার চেয়ে ছোট প্রাণীকে অনধিকার জবাই করবে, অাল্লাহ তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন" চড়ুই পাখি এ ব্যাপারে অাল্লাহকে অভিযোগ করবে।⁽⁸⁾ অাল্লাহ সকল প্রাণীদের ওপর দয়া করাকে তোমাদের ওপর বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন।⁽⁹⁾ যে পশুপাখিদের পানি খাওয়ার ব্যাবস্থা করবে অাল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন। ⁽¹⁰⁾ জন্তু জানোয়ারদের মধ্য লড়াই বাধাতে নিষেধ করেছেন।⁽¹¹⁾ বিনা প্রয়োজনে পশুপাখি জবাই করাকে একটি জগণ্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।⁽¹²⁾ হুদহুদ, মৌমাছি, পিপড়া, ব্যাঙ এবং বিড়ালকে হত্যা করতে বিশেষভাবে নিষেধ করেছেন।⁽¹³⁾ পশুপাখি জবাইয়ের সময় সুন্দর পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলেছেন।⁽¹⁴⁾ তাদের অযথা কষ্ট দিতে নিষেধ করেছেন। তাদের দ্বারা অপ্রয়োজনীয় কাজ নিতে নিষেধ করেছে।⁽¹⁵⁾ দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলেছেন, একবার এক ব্যাক্তি একটি ষাড়ের পিঠে সওয়ার হলে, ষাড়টি ঐ ব্যাক্তিকে ঘাড় ফিরিয়ে যেন বলছিল, অাল্লাহ অামাকে এ কাজের জন্য সৃষ্টি করেনি, অামাকে সৃষ্টি করেছে কৃষি কাজের জন্য।⁽¹⁶⁾ অারো বলেছেন, " এক অতি ইবাদাতগুজার রমনীকে শুধু এ কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, সে একটি বিড়াল বেঁধে রেখেছিল অার বিড়ালটা এ অবস্থায় মারা যায়।⁽¹⁷⁾ অারেক দুশ্চরিত্রা নারীকে এ জন্য ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, সে একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করিয়েছিল।⁽¹⁸⁾ একবার সফরকালীন সময়ে জনৈক সাহাবী এমন এক জায়গায় অাগুন জ্বালাল যেখানে পিপড়া ছিল। দয়ার নবী বললেন, অাগুন নিভাও,অাগুন নিভাও,অাগুন নিভাও।⁽¹⁹⁾ একদা ভুলক্রমে সাহাবীরা পিপড়ার বাসায় অাগুন দেয়, মায়ার নবী তাদের তিরস্কার করে বললেন, অাগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া অাল্লাহর জন্য খাস। অন্য কারো জন্য তা বৈধ নয়।⁽²⁰⁾ একবার এক সাহাবী দুটি পাখির ছানা ধরে নিয়ে অাসলো। অার তাদের মা মাথার উপর ঘুরপাক খাচ্ছিল। রহমতের নবী বললেন, কে এই পাখিটিকে অস্থির করে তুলেছে? তাদের ছেড়ে দাও, ছেড়ে দাও,
ছেড়ে দাও।⁽²¹⁾ সওয়ারীর পিঠকে মিম্বর বানাতে নিষেধ করেছেন অর্থাৎ অযথা তাদের পিঠে সওয়ার হতে নিষেধ করেছেন।⁽²²⁾ শস্যশ্যামল মওসুমে সফর করার সময় তাদের বিচরণের সুযোগ দিতে বলেছেন।⁽²³⁾একবার শীর্ণকায় একটি উট দেখে সাহাবীদের বললেন, এই বোবা জানোয়ারদের সাথে ভাল অাচরণ কর। পালন করলে ভালমত পালন কর, ভক্ষণ করলে ভালমত ভক্ষণ কর।⁽²⁴⁾ জনৈক অানসারীকে শুধু এ জন্য তিরস্কার করেছিলেন যে, সে তার উটকে পুরোপুরি খাবার দিত না।⁽²⁵⁾ অারো অনেক কথাই বলা যায় ইসলামে পশুপাখিদের অধিকার নিয়ে। লেখার কলেবর বৃদ্ধির ভয়ে এখানেই ছেড়ে দিলাম। শেষমেষ প্রশ্ন জাগে, এই শিক্ষাই যদি হয় অমানবিক, অত্যাচারী অার খুনির শিক্ষা। তাহলে মানবিক অার নিরাপত্তার শিক্ষা কোনটি?
তথ্যসূত্রঃ
(1) www.dailynayadiganta.com/onnodiganta/11493/-নিরামিষভোজী-ছিলেন-হিটলার
(2) https://en.m.wikipedia.org/wiki/Royal_Society_for_the_Prevention_of_Cruelty_to_Animals
(3)সূরা অাম্বিয়া, অধ্যায় ২১, অায়াত ১০৭।
(4)সীরাতুন্নবী, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩৪৩।
(5)সীরাতুন্নবী, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩৪৪।
(6)সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৫৭,১৯৫৮।
(7)সহীহ তিরমিজী, হাদীস নং ১৪৮০।
(8)নাসায়ী, হাদীস নং ৪৪৫৯
(9)বুখারী, হাদীস নং ২৪৬৬; মুসলিম,হাদীস নং ২২৪৪
(10)অাবু দাউদ, হাদীস নং ২৫৫০
(11)বুখারী, হাদীস নং ১২৩২; অাবু দাউদ ২৫৬৪
(12)জামে তিরমিজী, হাদীস নং ১৫৬৭
(13)মিশকাত, পৃষ্ঠা নং ৩৬২
(14)মুসলিম,হাদীস নং ১৯৫৫
(15)অাবু দাউদ, হাদীস নং ২৫৬৯
(16)মুসলিম,হাদীস নং ৬৩৩৪
(17)বুখারী, হাদীস নং ৩৩১৮
(18)বুখারী, হাদীস নং ৩৪৬৭
(19)মুসনাদে অাহমদ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৯৬
(20)অাবু দাউদ, হাদীস নং ২৬৭৫
(21) অাবু দাউদ,হাদীস নং ৫৩৫৬
(22) অাবু দাউদ
(23)মুসলিম
(24)অাবু দাউদ,হাদীস নং ২৫৪৮
(25)অাবু দাউদ
সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Tumblr media
0 notes
owaisalqarni99-blog · 5 years
Text
হজজজজজজজজজককককজহবতবেচগচহচহেতজআিআোহচুেচহচিোআহোআওবপবপবকবপগপগপগওতওতওগপগপগ
Tumblr media
1 note · View note