Tumgik
hamzaranju · 2 years
Photo
Tumblr media
Alhamdulilah (at We Love Prophet Muhammad ﷺ) https://www.instagram.com/p/Ce5iqqhv1BM/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
hamzaranju · 3 years
Text
আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদাতের জন্য। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না।’
যিনি পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করেন তিনিই মুমিন। মুমিনদের কিছু বৈশিষ্ট্য আল্লাহ তায়ালা কোরআনে জানিয়ে দিয়েছেন। নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো:
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা সূরা মুমিনুনে ইরশাদ করেন।
# মুমিনরা সফলকাম হয়ে গেছে
# যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত
# যারা অনর্থক কথাবার্তায় নির্লিপ্ত
# যারা জাকাত দান করে থাকে
# যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে
# তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না
# অতঃপর কেউ এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমা লঙ্ঘনকারী হবে
# এবং যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুঁশিয়ার থাকে
# যারা তাদের নামাজসমূহের খবর রাখে
# তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে
# তারা শীতল ছায়াময় উদ্যানে চিরকাল থাকবে।
উপরের আয়াতগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে যাবতীয় প্রকার আল্লাহর হক ও বান্দার হক এবং এতদসংশ্লিষ্ট সব বিধিবিধান প্রবিষ্ট হয়ে গেছে। যে ব্যক্তি এসব গুণে গুণান্বিত হয়ে যায় এবং এতে অটল থাকে, সে কামেল মুমিন এবং ইহকাল ও পরকালের সাফল্যের হকদার!
এছাড়াও কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় মুমিনের বৈশিষ্ট্য আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেছেন। সেগুলো তুলে ধরা হলো।
১) প্রকৃত ঈমানদার তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমান এনেছে এবং এ ব্যাপারে পরে আর কোন সন্দেহ পোষণ করেনি। তারপর প্রাণ ও অর্থ-সম্পদ দিয়ে জিহাদ করেছে। তারাই সত্যবাদী। -(সূরা আল হুজুরাতঃ ১৫)
২) প্রকৃত ঈমানদার তো তারাই, আল্লাহকে স্মরণ করা হলে যাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে। আর আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পড়া হয়, তাদের বিশ্বাস বেড়ে যায় এবং তারা নিজেদের রবের ওপর ভরসা করে। তারা নামায কায়েম করে এবং যা কিছু আমি তাদেরকে দ���য়েছি তা থেকে (আমার পথে) খরচ করে। এ ধরনের লোকেরাই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্য তাদের রবের (আল্লাহর) কাছে রয়েছে বিরাট মর্যাদা, ভুল-ত্রুটির ক্ষমা ও উত্তম রিযিক। - (সূরা আল আনফালঃ ২-৪)
৩) মু’মিনদের কাজই হচ্ছে, যখন তাদেরকে আল্লাহ ও রসূলের দিকে ডাকা হয়, যাতে রসূল তাদের মোকদ্দমার ফায়সালা করেন, তখন তারা বলেন, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। এ ধরনের লোকেরাই সফলকাম হবে। -(সূরা আন্ নূরঃ ৫১)
৪) তারাই এ ধরনের লোক যারা (এ নবীর দাওয়াত) গ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর স্মরণে তাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়। -(সূরা আর্ রাদঃ ২৮ )
৫) মু’মিনরা যেন ঈমানদারদের বাদ দিয়ে কখনো কাফেরদেরকে নিজেদের পৃষ্ঠপোষক, বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে গ্রহণ না করে। যে এমনটি করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে হ্যাঁ, তাদের জুলুম থেকে আত্মরক্ষার জন্য তোমরা যদি বাহ্যত এ নীতি অবলম্বন করো তাহলে তা মাফ করে দেয়া হবে। কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের সত্ত্বার ভয় দেখাচ্ছেন আর তোমাদের তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে। - (সূরা আলে-ইমরানঃ ২৮ )
৬) মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই। অতএব তোমাদের ভাইদের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করে দাও। আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবানী করা হবে। -( সূরা আল-হুজুরাতঃ ১০ )
৭) মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, এরা সবাই পরস্পরের বন্ধু ও সহযোগী। এরা ভাল কাজের হুকুম দেয় এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে, নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে। এরা এমন লোক যাদের ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হবেই। অবশ্যই আল্লাহ সবার ওপর পরাক্রমশালী এবং জ্ঞানী ও বিজ্ঞ। -(সূরা আতত তাওবাঃ ৭১)
৮) এ মুমিন পুরুষ ও নারীকে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদেরকে তিনি এমন বাগান দান করবেন যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহমান হবে এবং তারা তার মধ্যে চিরকাল বাস করবে। এসব চির সবুজ বাগানে তাদের জন্য থাকবে বাসগৃহ এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে। এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য।- (আত তাওবাঃ ৭২)
৯) সুসংবাদ দাও তাদেরকে যারা ঈমান এনেছে (তোমার প্রতি) যে, তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে বিরাট অনুগ্রহ। -(আল-আহযাবঃ ৪৭)
১০) আমি তোমার পূর্বে রসূলদেরকে তাদের সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাই এবং তারা তাদের কাছে আসে উজ্জ্বল নিদর্শনাবলী নিয়ে। তারপর যারা অপরাধ করে তাদের থেকে আমি প্রতিশোধ নিই আর মুমিনদেরকে সাহায্য করা ছিল আমার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। -(সূরা-আররূমঃ ৪৭)
১১) মনমরা হয়ো না, দুঃখ করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো। -(সূরা-আলে ইমরানঃ ১৩৯)
১২) হে ঈমান গ্রহণকারীগণ, তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো তাহলে আল্লাহও তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা সুদৃঢ় করে দেবেন। (সূরা -মুহাম্মদঃ ৭)
১৩) যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের সাহায্যকারী ও সহায়। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর মধ্যে নিয়ে আসেন। আর যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করে তাদের সাহায্যকারী ও সহায় হচ্ছে তাগুত। সে তাদের আলোক থেকে অন্ধকারের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। এরা আগুনের অধিবাসী। সেখানে থাকবে এরা চিরকালের জন্য। -(সূরা আল-বাকারাহঃ ২৫৭)
১৪) পুরুষ বা নারী যে-ই সৎকাজ করবে, সে যদি মু’মিন হয়, তাহলে তাকে আমি দুনিয়ায় পবিত্র-পরিচ্ছন্ন জীবন দান করবো এবং (আখেরাতে) তাদের প্রতিদান দেবো তাদের সর্বোত্তম কাজ অনুসারে।-(সূরা আন্ন নহলঃ ৯৭)
১৫) আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনবে ও সৎকাজ করবে তাদেরকে তিনি পৃথিবীতে ঠিক তেমনিভাবে খিলাফত দান করবেন যেমন তাদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকদেরকে দান করেছিলেন, তাদের জন্য তাদের দ্বীনকে মজবুত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করে দেবেন, যাকে আল্লাহ তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের (বর্তমান) ভয়-ভীতির অবস্থাকে নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা শুধু আমার বন্দেগী করুক এবং আমার সাথে কাউকে যেন শরীক না করে। আর যারা এরপর কুফরী করবে তারাই ফাসেক। (সূরা আন্ নূরঃ ৫৫)
১৬) নিঃসন্দেহে যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে শীঘ্রই রহমান তাদের জন্য অন্তরে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেবেন। (সূরা মারয়ামঃ ৯৬)
১৭) ঈমানদারদেরকে আল্লাহ একটি শাশ্বত বাণীর ভিত্তিতে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় স্থানে প্রতিষ্ঠা দান করেন। আর জালেমদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন। আল্লাহ যা চান তাই করেন।-(সূরা ইবরাহীমঃ ২৭)
১৮) তবে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাত, যেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এ হচ্ছে আল্লাহর অকাট্য প্রতিশ্রুতি এবং তিনি পরাক্রমশালী ও জ্ঞানময়।-(সূরা-লোকমানঃ৮-9)
২০) লোকেরা বললোঃ তোমাদের বিরুদ্ধে বিরাট সেনা সমাবেশ ঘটেছে। তাদেরকে ভয় করো, তা শুনে তাদের ঈমান আরো বেড়ে গেছে এবং তারা জবাবে বলেছেঃ আমাদের জন্য আল্লাহ যথেষ্ট এবং তিনি সবচেয়ে ভালো কার্য উদ্ধারকারী। -(আলে ইমরানঃ ১৭৩)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে প্রকৃত মুমিন হওয়ার তৌফিক দান করুক। আমীন।
Tumblr media
https://www.facebook.com/hamzaranjuhttps://www.pexels.com/@hamza-ranju-88960687
0 notes
hamzaranju · 3 years
Text
Subhanallah, fresh photos of Jumuah prayers from Al-Aqsa! 📸🕌
Allahu akbar, the celebration of victory! 🇵🇸
This view, of Muslims standing together in organized lines shoulder to shoulder in front of their Creator, is what every evil opressor around the world fears! 😨
Don't underestimate this victory and think it is small. History teaches us that small victories are what leads to bigger ones! 💪
What did our brothers and sisters from Al-Aqsa and Ghazza achieve, together with the Muslim Ummah (you) around the world? ✌
1- They exposed the occupiers all around the world and weakened their media lobby and propaganda! 🖥📺📡🛰
2- They made several Western countries such as Ireland 🇮🇪, Norway 🇳🇴, and others boycott the occupiers products and companies.
3- They have exposed the countries whose governments have unfairly supported the occupiers, and put pressure on them to stop the one-sided support! 🇺🇸🇬🇧🇫🇷
4- They educated the public about the media bias and twisting of words, news, and facts! 📖
5- They made a lot of celebrities speak out to their hundreds of millions of followers, such as Michael Moore, Mark Ruffalo, Cristiano Ronaldo, Zayn Malik, Roger Waters, Jon Stewart, Whoopi Goldberg, Trever Noah, Selena Gomez, Morgan Freeman, and many more! (Thank you all for risking your careers!) 📣
6- They have raised awareness about war crimes of the occupiers and their suppression of media coverage in the occupied lands by targeting media buildings with journalists and civilians, stealing lands and homes! 🏚
7- And most importantly, they woke up the youth of this Ummah, who now have a strengthened belief and a sense of duty towards defending the truth, the weak, and our holy sacred lands! ☪️
You were also all part of this by sharing and educating people. Thank you for raising awareness around the world!🙏
This small victory is not the end, it is rather the beginning! We ask Allah to help us together rebuild what was broken, heal the wounds of our siblings, work harder to give them peace, continue to educate ourselves about the history of our holy lands, and make our Ummah stronger against any oppression or plots to spread the true message our Creator. Ameen! 🤲
Update: They just started attacking again! As Allah said "Every time they make an oath, a group of them would break it? Indeed, most of them don't believe! أَوَكُلَّمَا عَاهَدُوا عَهْدًا نَبَذَهُ فَرِيقٌ مِنْهُمْ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لا يُؤْمِنُونَ" (Al-Baqarah 100) but the points above are still valid!
Tumblr media
0 notes
hamzaranju · 3 years
Text
হে হৃদয় সমূহের পরিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখো’। ‘হে অন্তর সমূহের রূপান্তরকারী! আমাদের অন্তর সমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও’।
Tumblr media
0 notes
hamzaranju · 3 years
Text
পৃথিবীর সকল মুমিন মুসলিম সবাই একসাথে একটাই হৃদয়, একটাই শরীর , মন কেবল এক আল্লাহর কাছে নতজানু হবে যতখন শরীরের সাথে মাথা থাকবে।।
আমাদের শিক্ষার জন্য বই দিয়েছে আল্লাহ বইয়ের কথাগুলো আল্লাহর।
আমাদের শিক্ষক হচ্ছে রাসূল محمد সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ইসলাম কে কারু মাথায় চাপিয়ে দেননি।
আল্লাহ মানুষকে ভালো,মন্দ আলাদা করে দেখার জন্য বিবেক দিয়েছেন।
অন্য কাউকে দেননি শুধু মানুষ ও জিন কে দিয়েছেন।
যেমন ইন্টারনেট এটা অমুসলিমদের কবলে তাদের কোনো পাপ পুণ্যের হিসাব নেই । সকল ধরনের কনটেন্ট access পায়।
বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেট অথবা টিভি যাদের পরিচিত । তারা নিজের প্রতিভা কে ভুলে গিয়ে বা নিজের প্রতিভার উপর বিশ্বাস হারিয়ে । অন্যের প্রতিভা নকল করতে ব্যাস্ত।
শেষ রামাদান শেষ কথা মানুষ মানে ভুল করবে আবার ক্ষমা চাইবে।। রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সু্ন্নাত পালন করবে।
সত্য ভালো মানুষের উদাহরন হলো সকল অবস্থায় ফরজ পালন এবং মৌলিক সুন্নাত পালন ।
মুসলিমের কিছু external বাহ্যিক কিছু বৈশিষ্ট্যের
মধ্যে অন্যতম হলো
আল্লাহ এক অদ্বিতীয়
এর সাক্ষ্য দিয়ার অর্থ আমি অন্যায়ের প্রতিবাদে কাউকে ভয় পাই না।।
আল্লাহ সব চেয়ে বড় সম্মানিত।
এবং তার কথা তার আদেশ একই ভাবে সম্মানিত।
আমি তার আদেশের আমল করতে অক্ষম হলেও কখনো বিরুদ্ধে যাবো না। অন্য কে উৎসাহিত করবো।।
বাস্তবতা সাথে চুরান্ত বর্তমান বিশ্বে প্রায় সকল নেতা পবিত্র কোরআন কে স্বিকার করে। কিন্তু আমলে প্রতখ্যান করে বর্জন করে। তাদের কথা মানলে আল্লাহর কথা অমান্য করা হবে।
কোন দিকে যেতে হবে আমি বলবো না। কারন আল্লাহ বিবেক সবাইকে দিয়েছে।।
((যখন লিখতে তখন হয়ে যাচ্ছে words change হয়ে যাচ্ছে ))
Tumblr media
0 notes
hamzaranju · 3 years
Text
তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর উপর নির্ভরশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা মুমিনের অন্যতম গুণও বটে। এ মর্মে আল্লাহ বলেন, إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ إِذَا ذُكِرَ اللهُ وَجِلَتْ قُلُوْبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيْمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ- ‘মুমিনতো তারাই যাদের হৃদয় কম্পিত হয়, যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং তাঁর আয়াত তাদের নিকট তেলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপরেই নির্ভর করে’ (আনফাল ২)। তিনি আরো বলেন, الَّذِينَ آمَنُوْا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ ‘যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকেরই উপর নির্ভর করে’ (নাহল ৯৯; শূরা ৩৬)।
অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেন, الَّذِيْنَ صَبَرُوْا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ ‘যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে’ (নাহল ৪২; আনকাবূত ৫৯)। অন্য আয়াতে তিনি আরো বলেন, وَعَلَى اللهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُوْنَ- ‘মুমিনদের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিৎ’ (ইবরাহীম ১১)। মহান আল্লাহ আরো বলেন, فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللهِ- ‘যখন তুমি কোন কাজের সিদ্ধান্ত কর, তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর’ (আলে ইমরান ১৫৯)। তিনি আরো বলেন, وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللهِ فَهُوَ حَسْبُهُ- ‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আললাহই তার জন্য যথেষ্ট’ (তালাক্ব ৩)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, وَمَا تَوْفِيقِي إِلَّا بِاللهِ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ ‘আল্লাহ ছাড়া আমার কোন ক্ষমতা নেই। আমি তার উপর ভরসা রাখি, আমি তার নিকট ফিরে যাব (হূদ ৮৮)।
উপরোক্ত আয়াত সমূহ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আল্লাহর উপর নির্ভর করা। ইবাদত-বন্দেগী, তাসবীহ-তাহলীল, যিকর-আযকার ইত্যাদির পাশাপাশি ধৈর্য ধারণ করে হালাল-হারাম বেছে চলা আবশ্যক। সেই সাথে পাপকাজ থেকে বেঁচে থেকে তাক্বওয়া ও তাওয়াক্কুল অবলম্বন করতে হবে। অন্তরে আল্লাহভীতি না থাকলে মানুষ যে কোন পাপে লিপ্ত হতে পারে। অপরপক্ষে তাওয়াক্কুল মানুষকে অন্যায় পন্থায় অর্থ উপার্জনের প্রচেষ্টা থেকে বিরত রাখে এবং মানুষকে অনেক বিপদাপদ থেকে রক্ষা করে।
আবু বকর ছিদ্দীক (রাঃ)-কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللهَ مَعَنَا ‘আপনি চিন্তা করবেন না, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সাথে রয়েছেন’ (তওবা ৪০)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, فَلَمَّا تَرَاءَى الْجَمْعَانِ قَالَ أَصْحَابُ مُوسَى إِنَّا لَمُدْرَكُونَ، قَالَ كَلَّا إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ، فَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنِ اضْرِبْ بِعَصَاكَ الْبَحْرَ فَانْفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ ‘তারপর উভয় দল যখন মুখোমুখী হল, তখন মূসার সাথীরা চিৎকার করে বলে উঠল, আমরাতো বন্দী হয়ে গেলাম। মূসা (আঃ) বললেন, কখনো নয়, নিশ্চয়ই আমার সাথে রয়েছেন, আমার প্রতিপালক। তিনি আমাকে পথ দেখাবেন। তখন আল্লাহ বলেন, আমি মূসাকে অহি-র মাধ্যমে বললাম, সাগরের উপর আপনার লাঠি মারুন। সহসা সাগর বিদীর্ণ হল এবং তার প্রতি অংশ এক একটি বিরাট পাহাড়ের আকার ধারণ করল’ (শু‘আরা ৬১-৬৩)। এ আয়াতে বাহ্যিকভাবে তাঁদের বাঁচার কোন পথ ছিল না। কারণ ডানে-বামে পিছনে শত্রুদল। আর সামনে সাগর। এরপরেও মূসা (আঃ) আল্লাহর উপর দৃঢ় ভরসা রেখে বলছেন, কখনো নয়, অসম্ভব হতেই পারে না। ফেরাউন আমাকে ধরতে পারবে না। কারণ নিশ্চয়ই আমার সাথে আমার প্রতিপালক রয়েছেন। তিনি আমাকে বাঁচার পথ দেখাবেন। পবিত্র কুরআনে এসেছে,رَبِّ ابْنِ لِي عِنْدَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِنْ فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ ‘ফেরাউনের স্ত্রী (আছীয়া) বলেন, হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য তোমার জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ কর এবং আমাকে ফেরাউন ও তার কর্ম হতে রক্ষা কর। আর অত্যাচারী লোকদের কবল হতে আমাকে বাঁচাও’ (তাহরীম ১১)।
আল্লাহর উপর তার ভরসা কেমন ছিল এবং তার ঈমানী দৃঢ়তা কতটা মযবুত ছিল, তা এ ঘটনা থেকে সহজেই অনুমেয়। তিনি পৃথিবীতে থেকেই জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণের জন্য আল্লাহর নিকট জোরাল দাবী জানান।
জিবরাঈল (আঃ) যখন মানুষের রূপ ধরে মারিয়ামের কাছে প্রবেশ করলেন, তখন মারিয়াম বললেন, قَالَتْ إِنِّي أَعُوذُ بِالرَّحْمَنِ مِنْكَ إِنْ كُنْتَ تَقِيًّا নিশ্চয়ই আমি রহমানের নিকট তোমার থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। যদি তুমি পরহেজগার হও’ (মারিয়াম ১৮)। এ আয়াতটি মারিয়ামের আল্লাহর উপর ভরসার প্রমাণ বহন করে। তিনি নিজেকে রহমানের সাহায্যে বাঁচাতে চাইলেন।
ইউসুফ (আঃ)-এর ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, وَغَلَّقَتِ الْأَبْوَابَ وَقَالَتْ هَيْتَ لَكَ قَالَ مَعَاذَ اللهِ إِنَّهُ رَبِّي أَحْسَنَ مَثْوَايَ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ ‘একদা সে ঘরের দরজা বন্ধ করে বলল, এবার তুমি আস। ইউসুফ বললেন, আমি আল্লাহর নিকট এমন কাজ হতে আশ্রয় চাই। নিশ্চয়ই তিনি আমার মালিক, তিনি আমার উত্তম ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয়ই অপরাধীরা সফল হয় না’ (ইউসুফ ২৩)। এ আয়াত ইউসুফ (আঃ)-এর ঈমানী দৃঢ়তা ও আল্লাহর প্রতি তার নির্ভরতার প্রমাণ।
আল্লাহ ভরসা - ২
হাদীছে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ (حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلُ) قَالَهَا إِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ حِيْنَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ-
আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন ইবরাহীম (আঃ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কর্ম বিধায়ক। একথা ইবরাহীম (আঃ) বলেন, যখন তাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়’ (বুখারী, রিয়াযুছ ছালেহীন, ১ম খন্ড, হা/৭৬)।
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَوَكَّلُوْنَ عَلَى اللهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ لَرُزِقْتُمْ كَمَا يُرْزَقُ الطَّيْرُ تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوْحُ بِطَانًا-
ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযথভাবে ভরসা কর, তাহলে তিনি তোমাদেরকে অনুরূপ রিযিক দান করবেন, যেরূপ পাখিদের দিয়ে থাকেন। তারা ভোরে খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং দিনের শেষে ভরা পেটে ফিরে আসে’ (তিরমিযী, ইবনু মা��াহ, মিশকাত হা/৫০৬৯)। এ হাদীছদ্বয় প্রমাণ করে যে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে মানুষ সকল বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে এবং তাদের রিযিকের ব্যবস্থাও তিনি করে দেন।
عَنْ أَبِى بَكْرٍ رضى الله عنه قَالَ قُلْتُ لِلنَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا فِى الْغَارِ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ نَظَرَ تَحْتَ قَدَمَيْهِ لأَبْصَرَنَا. فَقَالَ مَا ظَنُّكَ يَا أَبَا بَكْرٍ بِاثْنَيْنِ اللهُ ثَالِثُهُمَا.
আবু বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা যখন গর্তে আশ্রয় নিলাম। তখন আমি নবী করীম (ছাঃ)-কে বললাম, যদি কাফেররা তাদের পায়ের নিচের দিকে তাকায়, তাহলে আমাদেরকে দেখে ফেলবে। তিনি বললেন, হে আবু বকর! আপনি কি মনে করেন, তারা দু’জন? আল্লাহ তাদের তৃতীয়জন রয়েছেন’ (বুখারী হা/৩৬৫৩)। এ হাদীছ দ্বারা আমাদের নবীর আল্লাহর উপর ভরসার পরিমাণ অনুমান করা যায়। তিনি একেবারেই নিশ্চিত যে, শত্রু তাঁদেরকে দেখতে পাবে না। অথচ শত্রু তাঁদের মাথার উপরে রয়েছে।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِى سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ، هُمُ الَّذِينَ لاَ يَسْتَرْقُونَ، وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ، وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ.
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতের ৭০ হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। আর এসব লোক তারাই যারা ঝাঁড়ফুঁক করে না। অশুভফল গ্রহণ করে না। যারা আল্লাহর উপর ভরসা করে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৯৫)।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رضى الله عنه قَالَ قَالَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم هَاجَرَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ بِسَارَةَ، فَدَخَلَ بِهَا قَرْيَةً فِيهَا مَلِكٌ مِنَ الْمُلُوكِ، أَوْ جَبَّارٌ مِنَ الْجَبَابِرَةِ، فَقِيلَ دَخَلَ إِبْرَاهِيمُ بِامْرَأَةٍ، هِىَ مِنْ أَحْسَنِ النِّسَاءِ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ، مَنْ هَذِهِ الَّتِى مَعَكَ قَالَ أُخْتِى. ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهَا، فَقَالَ لاَ تُكَذِّبِى حَدِيثِى فَإِنِّى أَخْبَرْتُهُمْ أَنَّكِ أُخْتِى، وَاللهِ إِنْ عَلَى الأَرْضِ مُؤْمِنٌ غَيْرِى وَغَيْرُكِ. فَأَرْسَلَ بِهَا إِلَيْهِ، فَقَامَ إِلَيْهَا، فَقَامَتْ تَوَضَّأُ وَتُصَلِّى فَقَالَتِ اللهُمَّ إِنْ كُنْتُ آمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُولِكَ وَأَحْصَنْتُ فَرْجِى، إِلاَّ عَلَى زَوْجِى فَلاَ تُسَلِّطْ عَلَىَّ الْكَافِرَ. فَغُطَّ حَتَّى رَكَضَ بِرِجْلِهِ. أَوْ فِى الثَّالِثَةِ، فَقَالَ وَاللهِ مَا أَرْسَلْتُمْ إِلَىَّ إِلاَّ شَيْطَانًا، ارْجِعُوهَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ، وَأَعْطُوهَا آجَرَ. فَرَجَعَتْ إِلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَتْ أَشَعَرْتَ أَنَّ اللهَ كَبَتَ الْكَافِرَ وَأَخْدَمَ وَلِيدَةً.
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ইবরাহীম (আঃ) একদা সারাকে সাথে নিয়ে হিজরত করলেন এবং এমন এক জনপদে প্রবেশ করলেন যেখানে এক বাদশাহ ছিল। অথবা এক অত্যাচারী শাসক ছিল। তাকে বলা হল যে, ইবরাহীম নামক এক ব্যক্তি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে পরমা সুন্দরী এক নারীকে নিয়ে আমাদের এখানে প্রবেশ করেছে। সে তখন তাঁর নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করল। হে ইবরাহীম! তোমার সাথে এ নারী কে? তিনি বললেন, সে আমার বোন। অতঃপর তিনি সারার নিকট ফিরে এসে বললেন, তুমি আমার কথায় আমাকে মিথ্যা প্রমাণ কর না। আমি তাদেরকে বলেছি যে, তুমি আমার বোন। আল্লাহর কসম! দুনিয়াতে এখন তুমি আর আমি ছাড়া আর কেউ মুমিন নেই। (সুতরাং আমি ও তুমি দ্বীনি ভাই-বোন)। এরপর ইবরাহীম (আঃ) বাদশাহর নির্দেশে সারাকে বাদশাহর নিকট পাঠিয়ে দিলেন। বাদশাহ তাঁর দিকে অগ্রসর হল। এ সময় সারা ওযূ করে ছালাত আদায়ে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং এ দো‘আ করলেন, اللهُمَّ إِنْ كُنْتُ آمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُولِكَ وَأَحْصَنْتُ فَرْجِي إِلَّا عَلَى زَوْجِي فَلَا تُسَلِّطْ عَلَيَّ هَذَا الْكَافِرَ ‘হে আল্লাহ! যদি আমি তোমার উপর এবং তোমার রাসূল ইবরাহীমের উপর ঈমান এনে থাকি এবং আমার স্বামী ব্যতীত সকল মানুষ হতে আমার লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করে থাকি, তাহলে তুমি এ কাফেরকে আমার উপর জয়ী কর না’। তৎক্ষণাৎ বাদশাহ বেহুঁশ হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে মাটির উপর পায়ের আঘাত করতে লাগল। তখন স��রা বললেন, হে আল্লাহ! এ লোক যদি এভাবে মারা যায়, তাহলে লোকেরা বলবে স্ত্রী লোকটি একে হত্যা করেছে। তখন সে জ্ঞান ফিরে পেল। এরূপ অবস্থা তিনবার ঘটল। তারপর বাদশাহ বলল, আল্লাহর কসম! তোমরাতো আমার নিকট এক শয়তানকে পাঠিয়েছ। একে ইবরাহীমের নিকট ফিরিয়ে দাও এবং তার জন্য হাজেরাকে হাদিয়া স্বরূপ দান কর। সারা ইবরাহীম (আঃ)-এর কাছে ফিরে এসে বললেন, আপনি কি জানেন, আল্লাহ তা‘আলা কাফেরকে লজ্জিত ও নিরাশ করেছেন এবং সে একজন দাসী হাদিয়া হিসাবে দিয়েছে (বুখারী হা/২২১৭)।
0 notes
hamzaranju · 4 years
Text
Tumblr media
(সূরা আল রাদ আয়াত নং ২৬)
আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন রিযক বাড়িয়ে দেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তারা দুনিয়ার জীবন নিয়ে উৎফুল্লতায় আছে, অথচ আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন খুবই নগণ্য।
اَللّٰہُ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ یَقۡدِرُ ؕ وَ فَرِحُوۡا بِالۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ؕ وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا فِی الۡاٰخِرَۃِ اِلَّا مَتَاعٌ ﴿٪۲۶﴾
Allah extends provision for whom He wills and restricts [it]. And they rejoice in the worldly life, while the worldly life is not, compared to the Hereafter, except [brief] enjoyment.
0 notes
hamzaranju · 4 years
Text
(সূরা আল বাকারা আয়াত নং ১৬৮)
হে মানুষ ! তোমরা খাও যমীনে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র [১] খাদ্যবস্তু রয়েছে তা থেকে। আর তোমরা শয়তানের পদাংক [২] অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শক্র।
Tumblr media
0 notes
hamzaranju · 4 years
Photo
Tumblr media
(সূরা মুহাম্মদ ১) যারা ইসলামের বিধান কে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আল্লাহ তাদের সকল কর্ম ব্যর্থ করে দেন। https://www.instagram.com/p/CEQKmqGBwtA/?igshid=ee0gtxnovvqc
0 notes
hamzaranju · 4 years
Photo
Tumblr media
Al-An'am 6:11 قُلْ سِيرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ ثُمَّ ٱنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلْمُكَذِّبِينَ English - Sahih International Say, "Travel through the land; then observe how was the end of the deniers." Bengali - Fozlur Rahman বল, “তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখ, যারা সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছিল তাদের কেমন পরিণতি হয়েছিল।” Bengali - Tafsir Ahsanul Bayaan বল, ‘তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ যারা সত্যকে মিথ্যা বলেছে, তাদের পরিণাম কি হয়েছিল!’ https://www.instagram.com/p/CEPUgGmhDBI/?igshid=u3dlq6i2wng8
0 notes
hamzaranju · 4 years
Photo
Tumblr media
Those who believe and work righteous deeds,- from them shall We blot out all evil (that may be) in them, and We shall reward them according to the best of their deeds,(সূরা আল আনকাবুত ৭) আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে দেব এবং তাদেরকে কর্মের উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দেব। https://www.instagram.com/p/CEMeJyWFuMp/?igshid=282kfqrsv02c
0 notes
hamzaranju · 4 years
Photo
Tumblr media
সূরা আর তওবা তারা আল্লাহর আয়াতকে নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করে ও তারা লোকদেরকে তাঁর পথ হতে নিবৃত্ত করে। নিশ্চয় তারা যা করে থাকে, তা অতি জঘন্য। (at প্রান প্রিয় বাংলাদেশ) https://www.instagram.com/p/CEMJlYHlBt9/?igshid=5a1y7nchpf97
0 notes
hamzaranju · 4 years
Photo
Tumblr media
যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে।(সূরা আত তওবাহ ৯) তারা আল্লাহর আয়াতকে নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করে । এবং তারা লোকদেরকে আল্লাহর পথ হতে গাফেল করে, নিরুতসাহিত করে, সয়তানের পথে ডাকে। নিশ্চয় তারা যা করে থাকে, ���া অতি জঘন্য। https://www.instagram.com/p/CEMJWFTljGx/?igshid=1g5qes1d4lrf9
0 notes
hamzaranju · 4 years
Photo
Tumblr media
 بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। الر تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ (1আলিফ-লা-ম-রা; এগুলো সুস্পষ্ট গ্রন্থের আয়াত। A.L.R. These are the symbols (or Verses) of the perspicuous Book.   إِنَّا أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ (2আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার। We have sent it down as an Arabic Qur'an, in order that ye may learn wisdom.   نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ أَحْسَنَ الْقَصَصِ بِمَا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ هَـذَا الْقُرْآنَ وَإِن كُنتَ مِن قَبْلِهِ لَمِنَ الْغَافِلِينَ (3আমি তোমার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করেছি, যেমতে আমি এ কোরআন তোমার নিকট অবতীর্ণ করেছি। তুমি এর আগে অবশ্যই এ ব্যাপারে অনবহিতদের অন্তর্ভূক্ত ছিলে। We do relate unto thee the most beautiful of stories, in that We reveal to thee this (portion of the) Qur'an: before this, thou too was among those who knew it not.   إِذْ قَالَ يُوسُفُ لِأَبِيهِ يَا أَبتِ إِنِّي رَأَيْتُ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ (4যখন ইউসুফ পিতাকে বললঃ পিতা, আমি স্বপ্নে দেখেছি এগারটি নক্ষত্রকে। সুর্যকে এবং চন্দ্রকে। আমি তাদেরকে আমার উদ্দেশে সেজদা করতে দেখেছি। Behold! Joseph said to his father: "O my father! I did see eleven stars and the sun and the moon: I saw them prostrate themselves to me!"   قَالَ يَا بُنَيَّ لاَ تَقْصُصْ رُؤْيَاكَ عَلَى إِخْوَتِكَ فَيَكِيدُواْ لَكَ كَيْدًا إِنَّ الشَّيْطَانَ لِلإِنسَانِ عَدُوٌّ مُّبِينٌ (5তিনি বললেনঃ বৎস, তোমার ভাইদের সামনে এ স্বপ্ন বর্ণনা করো না। তাহলে তারা তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে। নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য। Said (the father): "My (dear) little son! relate not thy vision to thy brothers, lest they concoct a plot against thee: for Satan is to man an avowed enemy!   وَكَذَلِكَ يَجْتَبِيكَ رَبُّكَ وَيُعَلِّمُكَ مِن تَأْوِيلِ الأَحَادِيثِ وَيُتِمُّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكَ وَعَلَى آلِ يَعْقُوبَ كَمَا أَتَمَّهَا عَلَى أَبَوَيْكَ مِن قَبْلُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَقَ إِنَّ رَبَّكَ عَلِيمٌ حَكِيمٌ (6এমনিভাবে তোমার পালনকর্তা তোমাকে মনোনীত করবেন এবং তোমাকে বাণীসমূহের নিগুঢ় তত্ত্ব শিক্ষা দেবেন এবং পূর্ণ করবেন স্বীয় অনুগ্রহ তোমার প্রতি ও ইয়াকুব পরিবার-পরিজনের প্রতি; যেমন ইতিপূর্বে তোমার পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম ও ইসহাকের প্রতি পূর্ https://www.instagram.com/p/CEMIuValhvu/?igshid=1659388nfqd1z
0 notes
hamzaranju · 4 years
Photo
Tumblr media
যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। https://www.instagram.com/p/CEJjEaoFNf2/?igshid=562lr0mkfg8q
0 notes
hamzaranju · 4 years
Video
instagram
 بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأَنفَالِ قُلِ الأَنفَالُ لِلّهِ وَالرَّسُولِ فَاتَّقُواْ اللّهَ وَأَصْلِحُواْ ذَاتَ بِيْنِكُمْ وَأَطِيعُواْ اللّهَ وَرَسُولَهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ (1আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে, গনীমতের হুকুম। বলে দিন, গণীমতের মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক। They ask thee concerning (things taken as) spoils of war. Say: "(such) spoils are at the disposal of Allah and the Messenger. So fear Allah, and keep straight the relations between yourselves: Obey Allah and His Messenger, if ye do believe."   إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ (2যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। For, Believers are those who, when Allah is mentioned, feel a tremor in their hearts, and when they hear His signs rehearsed, find their faith strengthened, and put (all) their trust in their Lord;   الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ (3সে সমস্ত লোক যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। Who establish regular prayers and spend (freely) out of the gifts We have given them for sustenance:   أُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَّهُمْ دَرَجَاتٌ عِندَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ (4তারাই হল সত্যিকার ঈমানদার! তাদের জন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রুযী। Such in truth are the believers: they have grades of dignity with their Lord, and forgiveness, and generous sustenance:   كَمَا أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِن بَيْتِكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقاً مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ لَكَارِهُونَ (5যেমন করে তোমাকে তোমার পরওয়ারদেগার ঘর থেকে বের করেছেন ন্যায় ও সৎকাজের জন্য, অথচ ঈমানদারদের একটি দল (তাতে) সম্মত ছিল না। Just as thy Lord ordered thee out of thy house in truth, even though a party among the Believers disliked https://www.instagram.com/p/CEI1rq6FxAk/?igshid=dklrgjani42j
0 notes
hamzaranju · 4 years
Photo
Tumblr media
An-Nisa' 4:1 يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُوا۟ رَبَّكُمُ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَٰحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَآءًۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ٱلَّذِى تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلْأَرْحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا English - Sahih International O mankind, fear your Lord, who created you from one soul and created from it its mate and dispersed from both of them many men and women. And fear Allah, through whom you ask one another, and the wombs. Indeed Allah is ever, over you, an Observer. Bengali - Fozlur Rahman হে মানুষ! তোমাদের প্রভুকে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি (আদম) থেকে সৃষ্টি করেছেন; তার থেকে তার সঙ্গিনীকেও সৃষ্টি করেছেন আর ঐ দুজন থেকেই অনেক নর-নারী (সৃষ্টি করে পৃথিবীতে) ছড়িয়ে দিয়েছেন। আল্লাহকে ভয় করো, যার নামে তোমরা একে অপরের কাছে (যার যার পাওনা) চেয়ে থাক। রক্ত-সম্পর্কের ব্যাপারেও সাবধান থেকো। অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। Bengali - Tafsir Ahsanul Bayaan হে মানবসম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে একটি প্রাণ হতে সৃষ্টি করেছেন[১] ও তা হতে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যিনি তাদের দু’জন থেকে বহু নরনারী (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন। সেই আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচ্ঞা কর এবং জ্ঞাতি-বন্ধন ছিন্ন করাকে ভয় কর।[২] নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন। [১] 'একটি প্রাণ' বলতে মানবকুলের পিতা আদম (আঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। আর خَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا এতে مِنْهَا থেকে উক্ত প্রাণ অর্থাৎ, আদম (আঃ)-কেই বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আদম (আঃ) থেকেই তাঁর স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করেন। আদম (আঃ) থেকে হাওয়াকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়, এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হাওয়া পুরুষ অর্থাৎ, আদম (আঃ) থেকে সৃষ্টি হয়েছেন। অর্থাৎ, তাঁর পাঁজরের হাড় থেকে। অপর একটি হাদীসে বলা হয়েছে যে, "নারীদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে উপরের হাড়টি অধিক বাঁকা। যদি তা সোজা করতে যাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তুমি তার দ্বারা উপকৃত হতে চাও, তবে তার মধ্যে বক্রতা অবশিষ্ট থাকা অবস্থাতেই উপকৃত হতে পারবে।" <em>(বুখারী ৩৩৩১, মুসলিম ১৪৬৮নং)</em> উলামাদের কেউ কেউ এই হাদীসের ভিত্তিতে ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত উক্তিকেই সমর্থন করেছেন। কুরআনের শব্দ خَلَقَ مِنْهَا থেকেও এই মতের সমর্থন হয়। অর্থাৎ, মা হাওয়ার সৃষ্টি সেই একটি প্রাণ থেকেই হয়েছে, https://www.instagram.com/p/CEFGdDihoGb/?igshid=yqp4sdsjhwwv
0 notes