Don't wanna be here? Send us removal request.
Text
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না :স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আরো পড়ুন : https://ajkerlink.blogspot.com/2024/11/blog-post_89.html
0 notes
Text
ট্রেনের ধাক্কায় আহত টিকটক করা কিশোরের অবস্থা উন্নতির দিকে
https://ajkerlink.blogspot.com/2024/10/blog-post_29.html
ট্রেনের ধাক্কায় আহত টিকটক করা কিশোরের অবস্থা উন্নতির দিকে
রংপুর: সম্প্রতি টিকটক ভিডিও করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হওয়া কিশোর লিখন (১৪) বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল রাতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিখনের অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে।
ডা. সাব্বির, রংপুর মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের এক কর্মকর্তা, জানান, তাদের ডিপার্টমেন্টের সকলেই সার্বক্ষণিক লিখনের দিকে খেয়াল রাখছেন এবং তার দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন।
লিখনের মর্মান্তিক এই ঘটনাটি সবাইকে নাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও করতে গিয়ে যেন আর কেউ এরকম দুর্ঘটনার শিকার না হন, সেই বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সচেতনতা বার্���া
এই দুর্ঘটনা আমাদের আরেকবার মনে করিয়ে দিল যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও করতে গিয়ে নিরাপত্তার কথা ভুলে যাওয়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সবাইকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
0 notes
Text
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন: একটি ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দু

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনটি শুধুমাত্র একটি পরিবহন কেন্দ্র নয়, বরং নরসিংদী জেলার সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং অর্থনীতির সঙ্গে গভ��রভাবে সংযুক্ত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। এই লেখায় আমরা নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস, গুরুত্ব এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য তুলে ধরব।
ইতিহাস :
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ১৯৫০ এর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম এর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে এই স্টেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রথম দিকে স্টেশনটি ছোট আকারে নির্মিত হলেও, সময়ের সাথে যাত্রীদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে স্টেশনটিতে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়। স্বাধীনতার পর এটি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং সরকার রেলপথ উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, যার সুফল আজও মানুষ পাচ্ছে।
বর্তমান অবস্থা :
বর্তমানে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ পরিচালিত হচ্ছে। স্টেশনে যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার, খাবারের দোকান এবং টয়লেটের মতো বেসিক সুবিধা আছে। এছাড়াও ট্রেনের সঠিক সময় জানার জন্য ডিসপ্লে বোর্ড এবং যাত্রীদের সুবিধার্থে তথ্য কেন্দ্র রয়েছে। যাত্রীর সংখ্যা এবং স্টেশনের কার্যক্রম বাড়ায়, সরকার সম্প্রতি স্টেশনটির আরও উন্নতির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
নরসিংদী স্টেশনের গুরুত্ব :
নরসিংদী স্টেশনটির গুরুত্ব কিছু দিক থেকে অনস্বীকার্য:
আঞ্চলিক সংযোগ: ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নগরীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে এই স্টেশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থনৈতিক প্রভাব: নরসিংদী জেলার ব্যবসা এবং কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য এই স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে।
পর্যটন: কাছাকাছি অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে যা দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়। ফলে পর্যটকরাও এই স্টেশনটি ব্যবহার করে সুবিধা পান।
সুবিধাসমূহ :
১. প্রশস্ত প্ল্যাটফর্ম ২. উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৩. বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা ৪. বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা
সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কিছু সমস্যাও রয়ে গেছে:
১. যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামাগারের অভাব। ২. ট্রেনের সময়সূচি অনুসারে কাজ না হওয়ার কারণে অসুবিধা হয়। ৩. পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীর অভাব, যা নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :
বাংলাদেশ সরকার এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নরসিংদী স্টেশনের ��ন্নতির জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আধুনিক স্থাপনা, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং যাত্রীদের জন্য আরও ভাল সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা। একটি উন্নত এবং আন্তর্জাতিক মানের স্টেশন তৈরির জন্য স্টেশনটি উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
হ্যাশট্যাগস: #নরসিংদী_রেলওয়ে_স্টেশন #বাংলাদেশ_রেলওয়ে #নরসিংদী #ঐতিহ্য #বাংলাদেশ_পর্যটন #রেলওয়ে #বাংলাদেশ
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন নরসিংদী জেলার জন্য একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু পরিবহন কেন্দ্র নয় বরং এই অঞ্চলের মানুষের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে।
0 notes
Text
কুকুর বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল সিএনজি, প্রাণ হারালেন বৃদ্ধা
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ঘটেছে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। উপজেলার ঘোড়াশালে, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ময়ূরী বেগম (৭৫) নামে এক বৃদ্ধা নারী। তিনি ঘোড়াশাল রেলওয়ে স্টেশনের বস্তিতে বসবাস করতেন এবং ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকাবাসী শোকাহত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঁচজন নারী যাত্রী নিয়ে ঘোড়াশালের ঘোড়া চত্বর থেকে পাঁচদোনার দিকে যাচ্ছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি কুকুর দ্রুতগতিতে অটোরিকশার সামনে চলে আসে। চালক কুকুরটিকে বাঁচাতে তৎক্ষণাৎ ব্রেক কষেন, যার ফলে সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। কুকুরটি বেঁচে গেলেও অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে মারা ��ান চালকের পাশে বসা ময়ূরী বেগম। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
দুর্ঘটনা�� খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে জড়ো হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় ময়ূরী বেগমের মরদেহ সিএনজির নিচ থেকে বের করে আনা হয়। এরপর তাঁর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। এদিকে, আহত সিএনজিচালককে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পলাশ থানার উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম। তিনি নিহত ময়ূরী বেগমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দেন এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন। উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম বলেন, “কুকুর বাঁচাতে গিয়ে সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়, ফলে একজন বৃদ্ধা নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, রাস্তা পারাপারের সময় এমন পরিস্থিতি এড়াতে চালকদের আরও সতর্ক থাকা উচিত।
0 notes
Text
নতুন করে ফিরছে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ ‘সিআইডি’। ১৯৯৮ সালে প্রথম প্রচার শুরু হওয়া এই গোয়েন্দাভিত্তিক শোটি টানা ২০ বছর ধরে দর্শকদের মন জয় করেছে। সিরিজটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এসিপি প্রদ্যুমান, ইন্সপেক্টর অভিজিৎ, দয়া, এবং ডা. শোলাঙ্কির রহস্য উদঘাটনের দক্ষতার জন্য। প্রতিটি পর্বে নতুন একটি কেস নিয়ে আসে সিআইডির দল, যেখানে খুন, অপহরণ, এবং অন্যান্য জটিল অপরাধের রহস্য উন্মোচন করে তারা। শেষবার ২০১৮ সালে সম্প্রচারিত হলেও এখনো ইউটিউবের পুরোনো পর্বগুলো দর্শকরা উপভোগ করে চলেছেন।
অবশেষে ছয় বছর পর, সিআইডি আবার নতুনভাবে ফিরছে দর্শকদের সামনে। আগের মতোই, শিবাজি সাতাম (এসিপি প্রদ্যুমান), আদিত্য শ্রীবাস্তব (সিনিয়র ইন্সপেক্টর অভিজিৎ), এবং দয়ানন্দ শেঠি (সিনিয়র ইন্সপেক্টর দয়া) মূল চরিত্রে থাকছেন। তবে, প্রিয় চরিত্র ফেডরিক্স হিসেবে দীনেশ ফাডনিশ আর ফিরে আসছেন না। গত বছর, ৫ ডিসেম্বর, তার অকাল প্রয়াণের কারণে এই সিরিজে তার অনুপস্থিতি অনুভূত হবে।
নতুন সিজনে পুরোনো পরিচিত মুখগুলোর পাশাপাশি নতুন কিছু চরিত্র যোগ করা হয়েছে, যারা সিআইডি টিমের সাথে কাজ করবে। গল্পের ধাঁচও কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে বর্তমান সময়ের অপরাধের ধরন এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। আধুনিকীকরণের ছোঁয়ায় এই সিরিজে আরও উত্তেজনা ও রহস্যময়তার প্রত্যাশা করছে দর্শকরা।
সিআইডি একটি সময়কাল অতিক্রম করেছে যেখানে এটি শুধু একটি টেলিভিশন শো নয়, বরং একটি সংবেদনশীল স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দর্শকদের আশা, নতুন সিজন আগের মতোই তাদের প্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের সেই পুরোনো স্বাদ ও উত্তেজনা ফিরিয়ে আনবে। #CIDReturns #ACPPradyumanIsBack
#NewCIDEpisodes #DetectiveSeries
#IndianCrimeShow #CIDReboot
#SixYearsLater #MysteryUnfolds
#ClassicReturns #CIDFans https://ajkerlink.blogspot.com/2024/10/blog-post_27.html
0 notes
Text
অবিভক্ত বাংলার ১ম মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মদিন আজ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মদিন: বাংলার গর্বিত সন্তান ও তাঁর ছেলেবেলার অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প
আজ ২৬শে অক্টোবর, এক মহামানবের জন্মদিন। তিনি বাংলার অমূল্য সম্পদ, সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার প্রতীক, এবং বাংলার ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় নেতা – শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। ১৮৭৩ সালের এই দিনে, অবিভক্ত বাংলার বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার সাতুরিয়া গ্রামে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম, ন্যায়বোধ এবং মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসার মাধ্যমে তিনি শুধু বাংলার মাটি নয়, পুরো উপমহাদেশেই একজন গর্বিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
শেরে বাংলার শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষা
এ কে ফজলুল হকের শৈশব ছিল সংগ্রামের, শিক্ষার, এবং ত্যাগের এক বিরল উদাহরণ। তাঁর পিতামাতা, কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ এবং সায়েরা খাতুন, অত্যন্ত ধার্মিক এবং শিক্ষিত ছিলেন। যদিও তাঁ��ের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল সীমিত, তাঁরা তাঁদের সন্তানের জন্য সাধ্যমত শিক্ষা প্রদানের চেষ্টা চালিয়ে যান। ছোটবেলা থেকেই ফজলুল হক ছিলেন মেধাবী ও নিবেদিতপ্রাণ। নিজের পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি প্রতিটি শিক্ষাস্তরে নিজেকে অনন্য হিসেবে প্রমাণ করেন।
ছোটবেলায় ফজলুল হক গ্রাম্য মক্তবে পড়াশোনা শুরু করেন। মক্তবের শিক্ষাগ্রহণ শেষে তিনি ভর্তি হন বরিশাল জিলা স্কুলে। স্কুলে থাকাকালীন সময়েই তাঁর অসাধারণ মেধা এবং মানসিক দৃঢ়তার জন্য শিক্ষকরা তাঁকে অত্যন্ত স্নেহভরে দেখতেন। একান্ত নিঃস্বার্থ, সহজ-সরল এবং সবার প্রতি সমানুভূতির মনোভাব তাঁকে সহপাঠীদের মাঝেও প্রিয় করে তুলেছিল। ১২ বছর বয়সে স্কুল জীবনের সমাপ্তি টেনে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এই শিক্ষাজীবনের অর্জন ও তাঁর কঠোর পরিশ্রম তাঁকে ভবিষ্যতে আইনজীবী এবং সফল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিতে সাহায্য করেছিল।
উচ্চশিক্ষা এবং আ���্মবিশ্বাসের উত্থান
বরিশাল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর ফজলুল হক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং এই শিক্ষাজীবন তাঁর জীবন দর্শনকে আরও সুগভীর করে তোলে। কলকাতার মতো একটি শহরে পড়াশোনা করার সুযোগ তাঁকে বিভিন্ন শ্রেণি ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ দেয় এবং তাঁর মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে।
কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিভার জোরে তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একজন প্রতিভাবান আইনজীবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি যেমন ভালো বক্তৃতা দিতে পারতেন, তেমনি যুক্তির মধ্যে দিয়ে মানুষকে সহজেই আপন করে নিতে পারতেন। আইনপেশায় তাঁর সাফল্য তাঁকে জীবনের পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নিয়ে যায় – বাংলার সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাজনীতিতে প্রবেশ।
শেরে বাংলার রাজনীতিতে প্রবেশ ও “বাংলার বাঘ” উপাধি
এ কে ফজলুল হক কৃষক-শ্রমিক, এবং মেহনতি মানুষের দুরবস্থা দেখে প্রভাবিত হন এবং তাঁদের স্বার্থ রক্ষার জন্য রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯২৯ সালে তিনি “কৃষক প্রজা পার্টি” প্রতিষ্ঠা করেন। এই পার্টির মাধ্যমে তিনি বাংলার কৃষকদের অধিকার, জমি নিয়ে ঝামেলা, এবং অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য অবিরাম লড়াই চালিয়ে যান। তিনি কৃষকদের পক্ষে "হক রিপোর্ট" নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন, যা কৃষকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করেছিল এবং জমির অধিকার স্থায়ী করেছিল।
ফজলুল হকের সাহসী নেতৃত্বের কারণে তিনি "শেরে বাংলা" বা "বাংলার বাঘ" উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৩৭ সালে তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন এবং এই সময়ে বাংলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করেন। তাঁর এই সাহসী নেতৃত্ব, মানুষের প্রতি দায়িত্বশীলতা, এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অবদান তাঁকে বাংলার ইতিহাসে এক অনন্য স্থান এনে দিয়েছে।
শেরে বাংলার ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ
শেরে বাংলার জীবনের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর বিনয়, সাদামাটা জীবনযাপন এবং সাধারণ মানুষের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। রাজনীতিতে থেকেও তিনি কখনো ব্যক্তিগত স্বার্থের পিছনে ছুটেননি, বরং সবসময় সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাঁর বক্তৃতা এবং নেতৃত্ব মানুষকে শক্তি ও প্রেরণা জুগিয়েছে এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছে।
শেরে বাংলার বিশ্বাস ছিল, জাতি যদি শিক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে সুরক্ষিত হয়, তাহলে তাদের আর কেউ দমাতে পারবে না। তাঁর এই আদর্শে প্রভাবিত হয়ে অনেকেই শিক্ষা গ্রহণের প্রতি মনোযোগী হয় এবং আত্মসম্মান অর্জনে সচেষ্ট হয়। বাঙালির জন্য তাঁর ত্যাগ, সংগ্রাম এবং অবদান জাতির ইতিহাসে উজ্জ্বলভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
তাঁর অবদান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা
শেরে বাংলার জন্মদিনে আমরা তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আজও তাঁর আদর্শ এবং সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় কিভাবে মানুষ এবং দেশকে ভালোবেসে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করা যায়। তিনি কেবল বাংলার মাটিতেই নয়, সমগ্র উপমহাদেশে সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
#শেরে_বাংলা #একে_ফজলুল_হক #বাংলার_বাঘ #বাঙালির_গর্ব #কৃষক_প্রজা_পার্টি #বাংলার_নেতা #গণমানুষের_নেতা #বাংলার_ইতিহাস #বাংলার_আদর্শ
1 note
·
View note