#''এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম''
Explore tagged Tumblr posts
Text
আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ । বাঙ্গালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহারাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গ��ন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন । আজ ৭ই মার্চ স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যার সেই ঐতিহাসিক ভাষণ এর ফলে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে। ''এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম''
#''এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম''#7March#Bongobondhu#SmartBangladesh#digitalbangladesh
0 notes
Text
প্রিয় দেশবাসী, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক দিনটিকে আমরা সবাই গর্ব ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি । এই দিনে, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি তাদের স্বাধীনতার জন্য একটি অবিস্মরণীয় শপথ গ্রহণ করেছিলো । তার অমর বাণী 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' আমাদের চেতনায় অমীয় দীপ্তি জ্বালিয়ে তোলে । আসুন, আমরা সেই অমিত সাহস এবং আত্মত্যাগের চেতনা নিয়ে এগিয়ে চলি দেশ গড়ার কাজে । এই মহান দিনে, www.veomix.com আপনাদের জানাচ্ছে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত শুভেচ্ছা । আমাদের সকল সেবা ও পণ্যের ওপর চলছে বিশেষ মূল্য ছাড়, যা প্রতিফলিত করবে সেই সংগ্রামের মাহাত্ম্য । আমাদের সেবা এবং পণ্যগুলো প্রতিদিন আপনাদের জীবনে আনুক আরও সুখ এবং স্বাচ্ছন্��্য । আপনার প্রিয়জনদের সাথে এই বিশেষ ছাড় উপভোগ করুন এবং শেয়ার করুন স্বাধীনতার আনন্দ । ভিজিট করুন www.veomix.com এবং দেখে নিন আমাদের স্পেশাল অফারগুলো । আসুন আমরা সবাই মিলে এই মহান দিনটিকে সম্মান জানাই, আমাদের কাজে এবং আমাদের প্রত্যেকের জীবনে । মহান ৭ই মার্চের শুভেচ্ছা রইলো।
৭ইমার্চ #বঙ্গবন্ধু #স্বাধীনতারসংগ্রাম #শ্রদ্ধা #মুক্তিরসংগ্রাম #স্বাধীনতা #বিশেষমূল্যছাড় #veomix #সোনারবাংলা #সংগ্রাম #শহীদ #বীরশ্রেষ্ঠ
0 notes
Text
🇧🇩বাঙালি জাতির মুক্তির বিবেচনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ গুলোর অন্যতম ভাষণ বলা হয়। এই ভাষণে কে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলা হয়। এই ভাষণের মূল বক্তব্য,, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
#7march2024 #৭মার্চ #স্বাধীনতা #বঙ্গবন্ধু #শেখমজিবুররহমান #সংগ্রাম #আইটিভ্যানিলা
0 notes
Photo
আজ ১ ডিসেম্বর। শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয় এ মাসেই। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে ১৬ ডিসেম্বর। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করে অর্জিত এ বিজয় আনন্দ ও গৌরবের। একই সঙ্গে প্রিয়জন হারানো শোকের। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ডাক দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঐতিহাসিক সেই ভাষণে উদ্দীপ্ত বাঙালি জাতি সেদিন দৃঢ় শপথ নিয়েছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের। ২৫ মার্চের নির্মম নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তারা রুখে দাঁড়িয়েছিল শোষণের বিরুদ্ধে। এক সাগর রক্ত, ৩০ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বীর বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল ১৬ ডিসেম্বর। তবে এ মাসের প্রতিটি দিনই ছিল ঘটনাবহুল। স্বাধীনতাকামী বাঙালির হৃদয়ে বৈজয়ন্তী উড়িয়ে এসেছিল সেই সোনাঝরা গৌরবের দিনগুলো। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাঙালি বীর সন্তানদের সঙ্গে যুদ্ধে একের পর এক পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর জল, স্থল ও আকাশপথে সাঁড়াশি অভিযানের মুখে ক্রমাগত পরাজিত হতে থাকে তারা। হয়ে পড়ে দিশেহারা। ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশ��ত নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ভেতরে গেরিলা আক্রমণ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে সেনাবাহিনী আরও ভয়াবহভাবে নিরীহ জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বুড়িগঙ্গা নদীর অপর পারে জিঞ্জিরায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একদিনেই হত্যা করা হয় ৮৭ জনকে। বাঙালির জন্মভূমি শত্রুমুক্ত করার লড়াইকে আড়ালে রাখতে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে বেতারে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খ��ন। কিন্তু সেদিন তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই বাঙালিকে বিজয় অর্জন থেকে পিছিয়ে দিতে পারেনি। মাতৃভূমিকে হানাদারমুক্ত করতে তারা মরণপণ লড়াই চালিয়ে যান। প্রাণ বাঁচাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বীর বাঙালির কাছে আত্মসমর্পণের পথ খুঁজতে থাকে। বাংলাদেশ দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেই রেসকোর্স ময়দা (at National Memorial) https://www.instagram.com/p/ClniXyNNTmD/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
Text
তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আছে বলেই, আমাদের নেতৃত্ব আছে : খাদ্যমন্ত্রী
তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আছে বলেই, আমাদের নেতৃত্ব আছে : খাদ্যমন্ত্রী। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আছে বলেই, আমাদের নেতৃত্ব আছে। আর তাই তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আমি শ্রদ্ধা জানাই, সম্মান জানাই। সর্ব প্রথম তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। তার কি অপরাধ ছিল? যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ডাক দিয়েছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আছে বলেই, আমাদের নেতৃত্ব আছে। আর তাই তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আমি শ্রদ্ধা জানাই, সম্মান জানাই। সর্ব প্রথম তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। তার কি অপরাধ ছিল? যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ডাক দিয়েছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম,…
View On WordPress
0 notes
Photo
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম.... কতটা সাহসী হলে বৈরী শাসকদের বিরুদ্ধে খোলা মঞ্চে লাখো মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলতে পারেন! কতটা আত্মপ্রত্যয়ী হলে সকলকে তিনি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখাতে পারেন! সেই তার হাত ধরেই তো আমরা স্বতন্ত্র একটি পতাকা পেয়েছি, যা পৃথিবীর বুকে দ্বিতীয়টি নেই। আজ জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি রইলো শ্রদ্ধাঞ্জলি। https://www.instagram.com/p/ChQCbwHvwg2/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
Text
শোকবহ আগস্ট
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত ডাক দিলেন ৭ ই মার্চ । রেসকোর্স ময়দানে। বললেন-আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, এদেশের মানুষের অধিকার চাই। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্র্মা, স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পর সারা বাঙলায় ছড়িয়ে পড়ল স্বাধীনতার তরঙ্গ। জেগে উঠল বাংলাদেশ। কিন্তু এই সময়…
View On WordPress
0 notes
Text
মহাভারতের পাদপীঠে হিমালয়
জন্মের পর থেকে নিজের উচ্চতা কে অনুচ্চ ভেবে
একবারই কুর্নিশ করেছিল
সে মহামানবের ঈশ্বরীয় বজ্রনিনাদ শুনে -
"এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা"।
স্তম্ভিত প্রকম্পিত হয়েছিল আরো বেশি বিস্মিত হয়েছিল
শব্দতরঙ্গের গতি প্রবাহ হিমালয় ছেড়েই সেদিন -
মুক্তিবেগ প্রাপ্ত হয়ে ছুটে চলেছিল উৎসের দিকে।
মহাকাশের সমস্ত গতিপথ ক্ষণিকের জন্য
যার যার ক্ষেত্রে সবকিছুই যেন প্রস্তুত হয়েই ছিল
নির্বিঘ্নে এ বাণী স্রষ্টার দরবারে পৌঁছাবে বলে।
অদ্ভুত অলৌকিকতা ঘটেছিল সেদিন
মহারহস্যের অসীম ক্ষমতাধর ব্ল্যাকহোলের ঘূর্ণিগতি
শূন্যতা প্রাপ্ত হয়ে প্রবেশ পথে কপাট বন্ধ করে দিয়েছিল,
যা পূর্বে ঘটেনি কোন দিন।
সকল দৈব মেসেঞ্জার স্রষ্টার অব্যক্ত অজানা-
রহস্যময়ী ক্ষমতার ব্যতিক্রমী প্রদর্শন,
তাদের কর্মজীবনে দেখেনি কখনও এমন
এটাই ছিল প্রথম দেখা অনন্য মাত্রার ভিন্নতা দরশন।
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া - facebook.com/jahangirsarkerbd instagram.com/ppm_jahangirsarker pinterest.com/ppm_jahangirsarker linkedin.com/in/jahangir-sarker-b61a84210/ jahangirsarker.com
0 notes
Text
🇧🇩independent Bangladesh||স্বাধীন বাংলাদেশ🇧🇩
An unknown #Major #Zia's declaration of independence of #Bangladesh, Major Zia declared himself as the first interim president of Bangladesh, the war of independence of Bangladesh, emergence of independent Bangladesh and relevant information!.||একজন অখ্যাত #মেজর #জিয়ার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, মেজর জিয়ার নিজেকে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী #রাষ্ট্রপতি হিসেবে #ঘোষণা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ, #স্বাধীন #বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও প্রাসঙ্গিক তথ্য!
স্বাধীনতার ঘোষণাঃ রুম নাম্বার ১০৩
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য, প্রমান ও ছবি দেয়া হল। যার ভেতর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রধান বন্ধু ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধি'ও আছেন। আছেন সাক্ষীগোপাল ও রাজসাক্ষী বৃন্দ।
একজন মেজর দা��্ভিক স্বরে REVOLT করে বসেন। বদলে যায় পুরো দৃশ্যপট। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি ঘোষণা করেনঃ
“I, Major Ziaur Rahman, Provisional President and Commander-in-Chief of Liberation Army do hereby proclaim independence of Bangladesh and appeal for joining our liberation struggle, Bangladesh is independent. We have waged war for liberation with whatever we have. We will have to fight and liberate the country from the occupation of the Pakistan Army. Inshallah, victory is ours.”
শেখ মুজিবর রহমানের ডেভিড ফ্রষ্টকে দেয়া সাক্ষাতকারঃ
১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারীঃ ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রষ্টকে নিউনিয়র্কের এন ডবিউ টিভির জন্য এক সাক্ষাতকার দেন। ঐ সাক্ষাতকারের সাথে মার্চের ভাষন সম্পর্কে তার মধ্যকার আলাপচারিতা তুলে ধরা হলোঃ
ফ্রস্টঃ আপনার কি ইচ্ছা ছিলো যে, তখন ৭ মার্চ আপনি স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষনা দেবেন।
শেখ মুজিবঃ আমি জানতাম এর পরিণতি কি হবে এবং সভায় আমি ঘোষনা করি যে এবারের সংগ্রাম মুক্তির এবং শৃঙ্খল মোচন এবং স্বাধীনতার।
ফ্রষ্টঃ আপনি যদি বলতেন আজ আমি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ঘোষনা করছি,তো কি ঘটতে পারতো।
শেখ মুজিবঃ বিশেষ করে ঐ দিনটিতে এটা করতে চাইনি। কেননা বিশ্বকে তাদের এই বলার সুযোগ দিতে চায়নি যে মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন এবং আঘাত হানা ছাড়া আমাদের আর কোন বিকল্প ছিলো না। আমি চাইছিলাম তারাই আগে আঘাত হানুক এবং জনগন তা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলো।
শেখ মুজিবর রহমানের স্বাক্ষর।
বাংলা নামের দেশঃ
কোটেশনটা 'বাংলা নামের দেশ' গ্রন্থ থেকে নেয়া।সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফখরুদ্দিন, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, ইন্ডিয়া- এর বয়ানে লেখা হয়েছেঃ
"মুজিব গ্রেফতার। সর্বত্র সঙ্ঘশক্তি প্রায় তছনছ। এই শূন্য অবস্থাকে ভরাট করে তোলার জন্যে মেজর জিয়া চট্টগ্রাম রেডিও থেকে অস্থায়ী সরকার ঘোষণা করলেন। তার প্রধান তিনি নিজেই।"
এখন কথা হল অসংখ্য বই, পত্রিকাতে তো জিয়ার ঐ ঘটনার কথা এসেছে। আসলেই কি সেটারে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিয়া লাগবে নাকি? না তা দেবার দরকার নেই। তবে জাতীয় শীর্ষ নেতৃত্ব'র স্বাক্ষর কে নিশ্চিয় গুরুত্ব দিতে হবে। তাই তা?
বাংলা নামের দেশঃ এটি এমন একটি বই যার সত্যতার স্বীকৃতি দিয়েছে�� স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী।
২৫ মার্চ ১৯৭২ঃ স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, “বাংলা নামের দেশ গ্রন্থে সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, সংগ্রামের আগের ও পরের ইতিহাস, ধারাবাহিক রচনা, আলোক চিত্রমালা চমৎকার ভাবে সাজানো হয়েছে। বইটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ন দলিল"।
এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর মুখবন্ধ কে যথাযোগ্য সম্মান জানাবেন কি না।
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ভাষ্যঃ ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র নির্মিত হবার পর দিন ১১ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এ সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে যে ভাষণ দেন, তা আমাদের দেখা দরকার।
তাজউদ্দিন বলেনঃ
“লড়াইরত আমাদের বাহিনীর চমৎকার সাফল্য এবং প্রতিদিন তাদের শক্তির সঙ্গে জনবলের বৃদ্ধি এবং দখলীকৃত অস্ত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে, যা মেজর জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে প্রথম ঘোষিত হয় তারা সক্ষম হয়েছে পূর্ণাঙ্গ অপারেশনাল বেস প্রতিষ্ঠা করতে, যেখান থেকে মুক্তাঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ জেড ফোর্সের যুদ্ধকে তুলনা করেন স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধের সঙ্গে। "চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের সমর পরিচালনার ভার পড়েছে মেজর জিয়াউর রহমানের উপর। নৌ, স্থল ও বিমান বাহিনীর আক্রমণের মুখে চট্টগ্রামে যে প্রতিরোধ ব্যূহ গড়ে উঠেছে তা স্বাধীনতার ইতিহাসে স্ট্যালিনগ্রাডের পাশে স্থান পাবে।"
স্বাধীনতা ঘোষণা প্রসঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদ বলেনঃ "এই প্রাথমিক বিজয়ের সাথে সাথে মেজর জিয়াউর ���হমান একটি পরিচালনা কেন্দ্র গড়ে তোলেন এবং সেখান থেকে আপনারা শুনতে পান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কণ্ঠস্বর"
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের রাজনৈতিক সচিব মইদুল হাসান তরফদারের গ্রন্থ থেকেঃ
"মেজর জিয়ার ঘোষণা এবং বিদ্রোহী ইউনিটগুলির মধ্যে বেতার যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হবার ফলে এই সব স্থানীয় ও খন্ড বিদ্রোহ দ্রুত সংহত হতে শুরু করে। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত হবার বিষয়টি এদের জন্য মুখ্যত ছিল অপরিকল্পিত, স্বতঃস্ফূর্ত এবং উপস্থিত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এই যুদ্ধের রাজনৈতিক উপাদান সম্পর্কে এদের অধিকাংশের জ্ঞানও ছিল সীমিত। তবু বিদ্রোহ ঘোষণার সাথে সাথে পাকিস্তানী বাহিনী সীমান্ত পর্যন্ত এমনভাবে এদের তাড়া করে নিয়ে যায় যে এদের জন্য পাকিস্তানে ফিরে আসার পথ সম্পূর্ণ রুদ্ধ হয়। হয় ‘কোর্ট মার্শাল’ নতুবা স্ব��ধীনতা - এই দু’টি ছাড়া অপর সকল পথই তাদের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে।"
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ভাষ্যমতেঃ
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন। গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মুক্তিসংগ্রামের প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন। গ্রেফতারের পর তার পরোক্ষ নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। তিনি দেশ ও স্বাধীনতার জনক, এটা ঐতিহাসিক সত্য; কিন্তু তিনি স্বাধীনতার ঘোষক নন। সামরিক বাহিনী থেকে তত্কালীন মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। রেডিওতে তার ঘোষণাই প্রচারিত হয়েছিল। জিয়ার কণ্ঠ মানুষের মন ছুঁয়েছিল। তার কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেই মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জিয়া নিজেও ২৭শ’ সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ শুরু করেন।”
(প্রসংগত কাদের সিদ্দীকী শেখ মুজিব হত্যার পর প্রথম ও একমাত্র বিদ্রোহী)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ডঃ ওয়াজেদ মিয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেনঃ
"তিনি ও শেখ হাসিনা দু’জনে রেডিওতে জিয়ার সেই ঘোষণা শুনেছেন মালিবাগে বসে। যুদ্ধের গোটা ন’মাস ওই ঘোষণাই ছিলো একমাত্র নির্দেশ, যা স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে বার বার ধ্বণিত হয়েছে। এর পরের ন’মাস কেবল দেশ হানাদার মুক্ত করার লড়াই, এ লড়াইয়ে যোদ্ধাদের তালিকায় যুক্ত হয় ছাত্র-যুবা-কৃষক- শ্রমজীবি-কর্মজীবি মানুষ। এ সময়ে জিয়া দু’টি সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। জেড ফোর্স সৃষ্টি করলেন যা বর্তমানে কুমিল্লার ৩৩ পদাতিক ডিভিশন; একে একে বাহাদুরাবাদ যুদ্ধ, কামালপুরের যুদ্ধ, সিলেটের যুদ্ধ, নোয়াখালীর যুদ্ধ, চিলমারীর যুদ্ধ, সালুটিকর বিমানবন্দর যুদ্ধ, জকিগঞ্জ যুদ্ধ সহ অসংখ্য যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন জিয়া।"
ইন্দিরা গান্ধীর ভাষ্যঃ
পাকিস্তানের কারাগারে আটক শেখ মুজিবর রহমানকে পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে হত্যার উদ্যোগ নিলে প্রধানমন্ত্রী গান্ধী মুজিবের পক্ষে জনসমর্থন সৃষ্টির লক্ষ্যে পৃথিবীর কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ রাজধানী সফরকালে ৬ নভেম্বর, ১৯৭১ তারিখে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় বলেনঃ
The cry for independence arose after Sheikh Mujib was arrested and not before. He himself, so far as I know, has not ask for independence even now.
(Ref. Bangladesh documents vol-II, page 275 Ministry of external affairs, Govt of India-1972)
INDEPENDENT BANGLADESH PROCLAIMED!
The beginning of the history of an Independent & Sovereign Bangladesh was made when Major Ziaur Rahman, an Officer of the 8th battalion of the EBR(East Bengal Regiment) at Chittagong, on 26th March 1971. shortly after the military crack-down, made an electrifying broadcast on
“Swadhin Bangla Betar Kendra” announcing the establishment of an Independent Bangladesh!
Chapter-03; Page-93; Official 1971 War History;
History Devision, Ministry Of Deffence, India.
Indian রাষ্ট্রপতি রেড্ডির ভাষ্যঃ
২৭ ডিসেম্বর 1977 রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান ভারতে গেলে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডি বলেনঃ
"একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা দানকারী হিসেবে আপনার মর্যাদা এরই মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত।"
Brigadier (Retd) Zahir Alam Khan এর লেখা "THE WAY IT Was:
বইয়ে আরো সূচারূভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেফতারের পর কিভাবে কখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষনা করলেন (পৃষ্ঠা-১১)
Gurmeet Karwal ও V. K. Shrivastava রচিত “Defenders of the Dawn: A Panorama of Eastern Command
গ্রন্থে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের হুবহু তথ্য পাওয়া যায় বইটির ৯০ পৃষ্ঠায়।
“An overwhelming response to the call for a general strike on 01 March 1971 brought the eastern wing to a standstill. Lieutenant General Sahabzada Yakub Khan, the Martial Law Administrator, imposed a curfew but was soon obliged to order troops back to the barracks as Mujib cautioned him of dire consequences. The incident gave a clear indication of Mujib’s firm hold on the people of East Pakistan. This hold was further substantiated when the Chief Justice of East Pakistan High Court declined to administer the oath of office to the newly appointed Governor and Martial Law Administrator, Lieutenant General Tikka Khan, on 07 March 1971. Soon civil disobedience crept into other organs of the state, notably the police and the East Pakistan Rifles. Consequently, while President Yahya Khan held a series of discussions with Sheikh Mujib in Dacca, 16 Pakistan Infantry Division was already being inducted there by air. Yahya Khan left Daca abruptly on 25 March 1971 and Tikka Khan let loose his reign of terror the same night. The next day, while the whereabouts of Mujib remained unknown, Major Ziaur Rahman announced the formation of the Provisional Government of Bangladesh over Radio Chittagong. Driven out by military atrocities, the initial trickle of East Pakistani refugees into India soon turned into a spate. In due course their number was to cross the ten million mark – each with his own account of the unimaginable brutalities inflicted mercilessly by the Pakistan Army.
জে এন দীক্ষিতঃ
বাংলাদেশে প্রথম ডেপুটি হাইকমিশনার যিনি ইন্ডিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। Liberation And Beyond: Indo-Bangladesh Relations,(Dhaka, UPL, 1999) বইটিতে তিনি বলেন:
“চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টেরকমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান স্বল্পকালীন পরিসরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র দখল করেন এবং সেই কেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণায় তিনি বাংলার সকল সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাকিস্তান বাহিনীকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতার হওয়ার আগে রেকর্ড করা তাঁর ঘোষণার পূর্বেই জিয়াউর রহমানের ঘোষণা প্রচারিত হয় ("Infact, Ziaur Rahman's broadcast came a little earlier than Mujib's Broadcast."-Ibid)।’’
ভাষা সৈনিক অলি আহাদের গ্রন্থ থেকেঃ
"কিন্তু জিয়া কেনো সেনাবিদ্রোহ ও স্বাধীনতা ঘোষণা করতে গেলেন? তিনি তো কোনো রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, এমনকি কর্নেল ওসমানীর মত নির্বাচিত প্রতিনিধিও ছিলেন না। স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য তার কাছে কোনো রাজনৈতিক ম্যান্ডেট ছিল না। একজন রাজনীতিক যখন তখন ইচ্ছামত বলতে পারেন, করতে পারেন; কিন্তু একজন সৈনিক তা পারে না। তার হাতে থাকে মারনাস্ত্র- তা হয় শত্রু মরবে, নয়তো নিজেই। সেখানে বিদ্রোহ মানে তো নির্ঘাত মৃত্যুদন্ড। জানবাজি রাখা এ বিদ্রোহ করতে জিয়ার ওপরে কোনো কতৃপক্ষের হুকুম বা নির্দেশনাও ছিল না। নির্বাচনে বিজয়ী দলের (আওয়ামীলীগের) প্রধান আটক, বড় ছোট নেতা সবাই নির্দেশমত পলাতক, এমনকি চট্টগ্রামের সেনা বিদ্রোহের সংবাদটিও রেডিও ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে তাদের কাছে পৌছানো যায়নি। এরূপ দুঃসহ পরিস্থিতিতে, একজন সৈনিক হয়ে জিয়া “স্বাধীনতা ঘোষণা”র মত বিপদময় কঠিন রাজনৈতিক কাজটি করতে গেলেন, কেনো এবং কোন সাহসে? সে মুল্যায়ন বা প্রশ্নটি আজ পর্যন্ত কেউ মিলিয়ে দেখেন নি। এমনকি যুদ্ধ চলাকালেও আওয়ামীলীগের নেতারা আশা করত, পশ্চিমের সাথে আপোষরফা হয়ে যাবে, এবং ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।"
(সূত্র : জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫)
হিস্টোরি অফ ফ্রিডম মূভমেন্ট ইন বাংলাদেশঃ (প্রকাশকাল-১৯৭৪), লেখকঃ জ্যোতি সেন গুপ্ত; সুবিখ্যাত ভারতীয় বংশোদভূত সাংবাদিক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের উপর রচিত সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যসম্বলিত বই এটি। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তিন�� একাধারে ছিলেন - ১) ফরেন করেসপন্ডেন্ট, প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) ২) স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট "টাইমস অফ ইন্ডিয়া।"
৩) স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট "দি ইকোনমিক টাইমস।" সেই বইয়ে চাক্ষুস সাক্ষীর বর্ণণায় উল্লেখ আছে জিয়ার ঘোষণা।
Witness To Surrender: সিদ্দিক সালিকের বহুল প্রচলিত গ্রন্থ থেকেঃ
The rebels initially had all the success. They effectively blocked the route of the Comilla column by blowing up the Subapur bridge near Feni. They also controlled major parts of Chittagong cantonment and the city. The only islands of government authority there were the 20 Baluch areas and the naval base. Major Ziaur Rehman,¹ the second-in-command of 8 East Bengal, assumed command of the rebels in Chittagong in the absence of Brigadier Mozumdar (who had been tactfully taken to Dacca a few days earlier). While the government troops clung to the radio station, in order to guard the building, Major Zia took control of the transmitters separately located on Kaptai Road and used the available equipment to broadcast the declaration of independence of BanglaDesh. Nothing could be done to turn the tables unless reinforcements arrived in Chittagong.
মেজর জেনারেল (অবঃ) শফিউল্লাহ রচিত BANGLADESH AT WAR:
পৃষ্টা ৪৪-৪৫ এ স্বাধীনতার ঘোষনা সম্পর্কে যা বলেন
"All the troops then took an oath of allegiance to Bangladesh. The oath was administered by Zia at 1600 hrs on March 26. Thereafter, he distributed 350 soldiers of East Bengal Regiment and about 200 troops of East Pakistan Rifles to various task forces under command of an officer each. These task forces were meant for the city. The whole city of Chittagong was divided into various sectors and each sector was given to a task force. After having made these arrangements, Zia made his first announcement on the radio on March 26. In this announcement apart from saying that they were fighting against the Pakistan army he also declared himself as the head of the state. This, of course, could have been the result of tension and confusion of the moment. As the battalion began to gather strength, in the afternoon of March 27, Zia made another announcement from the Shawadhin Bangla Betar Kendra established at Kalurghat."
বর্তমান আওয়ামীনেতা কে এম সফিউল্লাহ তার বইয়ে স্পষ্টই বলেছেন, জিয়া ২৬শে মার্চ প্রথম ঘোষণাটি দেন এবং নিজেকে রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে ২৭শে মার্চ জিয়া কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আরেকটি ঘোষণা দেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ এই ২৭শে মার্চের ঘোষণাটার কথা বলে এবং ২৬শে মার্চ প্রথম ঘোষণাটি সম্পূর্ণ চেপে যায়।
How Pakistan Got Divided গ্রন্থের লেখক খোদ রাও ফরমান আলী। ত���নি লেখেনঃ
They are all isolated. No road communication exists between them. Chittagong under rebel control. Every Bengall unit had revolted. Major Ziaur Rahman had killed his Commanding Officer Colonel Janjua and declared Independence for BanglaDesh with himself as..
আওয়ামীলীগ নেতা এমএ মোহাইমেনঃ
স্বাধীনতার দাবী নয়, পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রমাণের জন্যই শেখ মুজিব পাক-বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এ সম্পর্কে সাবেক আওয়ামী লীগ এম.পি. মরহুম এম.এ. মোহাইমেন তার ঢাকা আগরতলা-মুজিব নগর গ্রন্থে লিখেছেন, "শেখ সাহেবের এভাবে সেদিন রাতে ধরা দেয়াকে আমি কোনদিন মনের সঙ্গে যুক্তি দিয়ে খাপ খাওয়াতে পারিনি। অন্যেরা যে যাই বলুক, আমার নিজের ধারণা আওয়ামী লীগের নেতারা তাজউদ্দীন সাহেবের নেতৃত্বে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করে এভাবে দেশ স্বাধীন করবে, এটা তিনি ভাবতে পারেননি। তার ধারণা ছিল অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাকবাহিনী অবস্থা আয়ত্ত্বে নিয়ে আসতে পারবে। এছাড়া তার এ ধারণাও ছিল যে, আগরতলা মামলার সময় তাকে যেভাবে দেশের মানুষ আন্দোলন করে জেল থেকে বের করে এনেছিল, সেভাবে দু'তিন বছর পরে তুমুল আন্দোলনের ফলে পাকিস্তান সরকার তাকে মুক্তি দিয়ে তার হাতে অর্পণ করতে বাধ্য হবে।"
Tragedy Of Errors: East Pakistan Crisis 1968-1971ঃ গ্রন্থে লেঃ জেনারেল কামাল মতিনুদ্দিন লেখেনঃ
Major Zia-ur-Rahman was the first Bengali officer to declare the independence of Bangladesh. A day after the Pakistan army commenced their operation to disarm the Bengali units, Zia made an announcement in the early hours of March 26, on radio. Chittagong in which he declared himself as the president of Bangladesh and said that he was fighting against the Pakistan army. At 2.30 p.m On March 27, he made a second announcement from the Swadhin Bangla Betar Kendra. A clandestine radio station which he had established at Kalurghat near Cox's Bazaar.
He announced the independence of Bangladesh on behalf of Sheikh Mujib-ur-Rahman and made himself the provisional commander-in-chief of the Bangladesh liberation army. He informed all his compatriots that personnel of the East Bengal Regiment, East Pakistan Rifles and the police have surrounded the West Pakistani troops and heavy fighting is continuing in several cities. He appealed to all governments to mobilise public opinion against the so-called brutal genocide in Bangladesh.
জুলফিকার আলি ভুট্টো; কুয়েষ্ট ফর পাওয়ার। - দিলিপ মুখার্জিঃ
1) When the crunch came, there was fierce fighting in several cantonments and camps with high casualties on both sides. But enough Bengali officers and soldiers survived to provide valuable leadership to the subsequent freedom struggle. It was a Bengali major, Zia Rahman, who put out on his personal initiative a declaration of independence over Chittagong Radio on the morning of 27 March. This served as a clarion call, drawing in many more soldiers and policemen into the fighting.
2) The second factor Tikka Khan failed to take into account was the deep revulsion that the massive use of force produced in Bengali minds, leading to total alienation of the population. The Bangladesh flag, visible everywhere until 25 March, disappeared from view and was replaced quickly..
#সত্যউন্মোচিতহোক
#wasimiftekhar
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ Altaf Parvez Osman Ahmed Sakib ইমামুল হক (কম্বলচোরা গোলাম মোস্তফা) জুবায়ের, ক্যাপ্টেন নিমো।
এবং ইন্টারনেট
0 notes
Text
স্বাধীনতার ঘোষণাঃ রুম নাম্বার ১০৩
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য, প্রমান ও ছবি দেয়া হল। যার ভেতর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রধান বন্ধু ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধি'ও আছেন। আছেন সাক্ষীগোপাল ও রাজসাক্ষী বৃন্দ।
একজন মেজর দাম্ভিক স্বরে REVOLT করে বসেন। বদলে যায় পুরো দৃশ্যপট। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি ঘোষণা করেনঃ
“I, Major Ziaur Rahman, Provisional President and Commander-in-Chief of Liberation Army do hereby proclaim independence of Bangladesh and appeal for joining our liberation struggle, Bangladesh is independent. We have waged war for liberation with whatever we have. We will have to fight and liberate the country from the occupation of the Pakistan Army. Inshallah, victory is ours.”
শেখ মুজিবর রহমানের ডেভিড ফ্রষ্টকে দেয়া সাক্ষাতকারঃ
১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারীঃ ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রষ্টকে নিউনিয়র্কের এন ডবিউ টিভির জন্য এক সাক্ষাতকার দেন। ঐ সাক্ষাতকারের সাথে মার্চের ভাষন সম্পর্কে তার মধ্যকার আলাপচারিতা তুলে ধরা হলোঃ
ফ্রস্টঃ আপনার কি ইচ্ছা ছিলো যে, তখন ৭ মার্চ আপনি স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষনা দেবেন।
শেখ মুজিবঃ আমি জানতাম এর পরিণতি কি হবে এবং সভায় আমি ঘোষনা করি যে এবারের সংগ্রাম মুক্তির এবং শৃঙ্খল মোচন এবং স্বাধীনতার।
ফ্রষ্টঃ আপনি যদি বলতেন আজ আমি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ঘোষনা করছি,তো কি ঘটতে পারতো।
শেখ মুজিবঃ বিশেষ করে ঐ দিনটিতে এটা করতে চাইনি। কেননা বিশ্বকে তাদের এই বলার সুযোগ দিতে চায়নি যে মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন এবং আঘাত হানা ছাড়া আমাদের আর কোন বিকল্প ছিলো না। আমি চাইছিলাম তারাই আগে আঘাত হানুক এবং জনগন তা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলো।
শেখ মুজিবর রহমানের স্বাক্ষর।
বাংলা নামের দেশঃ
কোটেশনটা 'বাংলা নামের দেশ' গ্রন্থ থেকে নেয়া।সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফখরুদ্দিন, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, ইন্ডিয়া- এর বয়ানে লেখা হয়েছেঃ
"মুজিব গ্রেফতার। সর্বত্র সঙ্ঘশক্তি প্রায় তছনছ। এই শূন্য অবস্থাকে ভরাট করে তোলার জন্যে মেজর জিয়া চট্টগ্রাম রেডিও থেকে অস্থায়ী সরকার ঘোষণা করলেন। তার প্রধান তিনি নিজেই।"
এখন কথা হল অসংখ্য বই, পত্রিকাতে তো জিয়ার ঐ ঘটনার কথা এসেছে। আসলেই কি সেটারে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিয়া লাগবে নাকি? না তা দেবার দরকার নেই। তবে জাতীয় শীর্ষ নেতৃত্ব'র স্বাক্ষর কে নিশ্চিয় গুরুত্ব দিতে হবে। তাই তা?
বাংলা নামের দেশঃ এটি এমন একটি বই যার সত্যতার স্বীকৃতি দিয়েছেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী।
২৫ মার্চ ১৯৭২ঃ স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, “বাংলা নামের দেশ গ্রন্থে সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, সংগ্রামের আগের ও পরের ইতিহাস, ধারাবাহিক রচনা, আলোক চিত্রমালা চমৎকার ভাবে সাজানো হয়েছে। বইটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ন দলিল"।
এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর মুখবন্ধ কে যথাযোগ্য সম্মান জানাবেন কি না।
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ভাষ্যঃ ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র নির্মিত হবার পর দিন ১১ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এ সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে যে ভাষণ দেন, তা আমাদের দেখা দরকার।
তাজউদ্দিন বলেনঃ
“লড়াইরত আমাদের বাহিনীর চমৎকার সাফল্য এবং প্রতিদিন তাদের শক্তির সঙ্গে জনবলের বৃদ্ধি এবং দখলীকৃত অস্ত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে, যা মেজর জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে প্রথম ঘোষিত হয় তারা সক্ষম হয়েছে পূর্ণাঙ্গ অপারেশনাল বেস প্রতিষ্ঠা করতে, যেখান থেকে মুক্তাঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ জেড ফোর্সের যুদ্ধকে তুলনা করেন স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধের সঙ্গে। "চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের সমর পরিচালনার ভার পড়েছে মেজর জিয়াউর রহমানের উপর। নৌ, স্থল ও বিমান বাহিনীর আক্রমণের মুখে চট্টগ্রামে যে প্রতিরোধ ব্যূহ গড়ে উঠেছে তা স্বাধীনতার ইতিহাসে স্ট্যালিনগ্রাডের পাশে স্থান পাবে।"
স্বাধীনতা ঘোষণা প্রসঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদ বলেনঃ "এই প্রাথমিক বিজয়ের সাথে সাথে মেজর জিয়াউর রহমা��� একটি পরিচালনা কেন্দ্র গড়ে তোলেন এবং সেখান থেকে আপনারা শুনতে পান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কণ্ঠস্বর"
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের রাজনৈতিক সচিব মইদুল হাসান তরফদারের গ্রন্থ থেকেঃ
"মেজর জিয়ার ঘোষণা এবং বিদ্রোহী ইউনিটগুলির মধ্যে বেতার যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হবার ফলে এই সব স্থানীয় ও খন্ড বিদ্রোহ দ্রুত সংহত হতে শুরু করে। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত হবার বিষয়টি এদের জন্য মুখ্যত ছিল অপরিকল্পিত, স্বতঃস্ফূর্ত এবং উপস্থিত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এই যুদ্ধের রাজনৈতিক উপাদান সম্পর্কে এদের অধিকাংশের জ্ঞানও ছিল সীমিত। তবু বিদ্রোহ ঘোষণার সাথে সাথে পাকিস্তানী বাহিনী সীমান্ত পর্যন্ত এমনভাবে এদের তাড়া করে নিয়ে যায় যে এদের জন্য পাকিস্তানে ফিরে আসার পথ সম্পূর্ণ রুদ্ধ হয়। হয় ‘কোর্ট মার্শাল’ নতুবা স্বাধীনতা - এই দু’টি ছাড়া অপর সকল পথই তাদের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে।"
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ভাষ্যমতেঃ
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন। গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মুক্তিসংগ্রামের প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন। গ্রেফতারের পর তার পরোক্ষ নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। তিনি দেশ ও স্বাধীনতার জনক, এটা ঐতিহাসিক সত্য; কিন্তু তিনি স্বাধীনতার ঘোষক নন। সামরিক বাহিনী থেকে তত্কালীন মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। রেডিওতে তার ঘোষণাই প্রচারিত হয়েছিল। জিয়ার কণ্ঠ মানুষের মন ছুঁয়েছিল। তার কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেই মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জিয়া নিজেও ২৭শ’ সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ শুরু করেন।”
(প্রসংগত কাদের সিদ্দীকী শেখ মুজিব হত্যার পর প্রথম ও একমাত্র বিদ্রোহী)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ডঃ ওয়াজেদ মিয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেনঃ
"তিনি ও শেখ হাসিনা দু’জনে রেডিওতে জিয়ার সেই ঘোষণা শুনেছেন মালিবাগে বসে। যুদ্ধের গোটা ন’মাস ওই ঘোষণাই ছিলো একমাত্র নির্দেশ, যা স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে বার বার ধ্বণিত হয়েছে। এর পরের ন’মাস কেবল দেশ হানাদার মুক্ত করার লড়াই, এ লড়াইয়ে যোদ্ধাদের তালিকায় যুক্ত হয় ছাত্র-যুবা-কৃষক- শ্রমজীবি-কর্মজীবি মানুষ। এ সময়ে জিয়া দু’টি সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। জেড ফোর্স সৃষ্টি করলেন যা বর্তমানে কুমিল্লার ৩৩ পদাতিক ডিভিশন; একে একে বাহাদুরাবাদ যুদ্ধ, কামালপুরের যুদ্ধ, সিলেটের যুদ্ধ, নোয়াখালীর যুদ্ধ, চিলমারীর যুদ্ধ, সালুটিকর বিমানবন্দর যুদ্ধ, জকিগঞ্জ যুদ্ধ সহ অসংখ্য যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন জিয়া।"
ইন্দিরা গান্ধীর ভাষ্যঃ
পাকিস্তানের কারাগারে আটক শেখ মুজিবর রহমানকে পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে হত্যার উদ্যোগ নিলে প্রধানমন্ত্রী গান্ধী মুজিবের পক্ষে জনসমর্থন সৃষ্টির লক্ষ্যে পৃথিবীর কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ রাজধানী সফরকালে ৬ নভেম্বর, ১৯৭১ তারিখে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় বলেনঃ
The cry for independence arose after Sheikh Mujib was arrested and not before. He himself, so far as I know, has not ask for independence even now.
(Ref. Bangladesh documents vol-II, page 275 Ministry of external affairs, Govt of India-1972)
INDEPENDENT BANGLADESH PROCLAIMED!
The beginning of the history of an Independent & Sovereign Bangladesh was made when Major Ziaur Rahman, an Officer of the 8th battalion of the EBR(East Bengal Regiment) at Chittagong, on 26th March 1971. shortly after the military crack-down, made an electrifying broadcast on
“Swadhin Bangla Betar Kendra” announcing the establishment of an Independent Bangladesh!
Chapter-03; Page-93; Official 1971 War History;
History Devision, Ministry Of Deffence, India.
Indian রাষ্ট্রপতি রেড্ডির ভাষ্যঃ
২৭ ডিসেম্বর 1977 রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান ভারতে গেলে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডি বলেনঃ
"একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা দানকারী হিসেবে আপনার মর্যাদা এরই মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত।"
Brigadier (Retd) Zahir Alam Khan এর লেখা "THE WAY IT Was:
বইয়ে আরো সূচারূভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেফতারের পর কিভাবে কখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষনা করলেন (পৃষ্ঠা-১১)
Gurmeet Karwal ও V. K. Shrivastava রচিত “Defenders of the Dawn: A Panorama of Eastern Command
গ্রন্থে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের হুবহু তথ্য পাওয়া যায় বইটির ৯০ পৃষ্ঠায়।
“An overwhelming response to the call for a general strike on 01 March 1971 brought the eastern wing to a standstill. Lieutenant General Sahabzada Yakub Khan, the Martial Law Administrator, imposed a curfew but was soon obliged to order troops back to the barracks as Mujib cautioned him of dire consequences. The incident gave a clear indication of Mujib’s firm hold on the people of East Pakistan. This hold was further substantiated when the Chief Justice of East Pakistan High Court declined to administer the oath of office to the newly appointed Governor and Martial Law Administrator, Lieutenant General Tikka Khan, on 07 March 1971. Soon civil disobedience crept into other organs of the state, notably the police and the East Pakistan Rifles. Consequently, while President Yahya Khan held a series of discussions with Sheikh Mujib in Dacca, 16 Pakistan Infantry Division was already being inducted there by air. Yahya Khan left Daca abruptly on 25 March 1971 and Tikka Khan let loose his reign of terror the same night. The next day, while the whereabouts of Mujib remained unknown, Major Ziaur Rahman announced the formation of the Provisional Government of Bangladesh over Radio Chittagong. Driven out by military atrocities, the initial trickle of East Pakistani refugees into India soon turned into a spate. In due course their number was to cross the ten million mark – each with his own account of the unimaginable brutalities inflicted mercilessly by the Pakistan Army.
জে এন দীক্ষিতঃ
বাংলাদেশে প্রথম ডেপুটি হাইকমিশনার যিনি ইন্ডিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। Liberation And Beyond: Indo-Bangladesh Relations,(Dhaka, UPL, 1999) বইটিতে তিনি বলেন:
“চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টেরকমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান স্বল্পকালীন পরিসরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র দখল করেন এবং সেই কেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণায় তিনি বাংলার সকল সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাকিস্তান বাহিনীকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতার হওয়ার আগে রেকর্ড করা তাঁর ঘোষণার পূর্বেই জিয়াউর রহমানের ঘোষণা প্রচারিত হয় ("Infact, Ziaur Rahman's broadcast came a little earlier than Mujib's Broadcast."-Ibid)।’’
ভাষা সৈনিক অলি আহাদের গ্রন্থ থেকেঃ
"কিন্তু জিয়া কেনো সেনাবিদ্রোহ ও স্বাধীনতা ঘোষণা করতে গেলেন? তিনি তো কোনো রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, এমনকি কর্নেল ওসমানীর মত নির্বাচিত প্রতিনিধিও ছিলেন না। স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য তার কাছে কোনো রাজনৈতিক ম্যান্ডেট ছিল না। একজন রাজনীতিক যখন তখন ইচ্ছামত বলতে পারেন, করতে পারেন; কিন্তু একজন সৈনিক তা পারে না। তার হাতে থাকে মারনাস্ত্র- তা হয় শত্রু মরবে, নয়তো নিজেই। সেখানে বিদ্রোহ মানে তো নির্ঘাত মৃত্যুদন্ড। জানবাজি রাখা এ বিদ্রোহ করতে জিয়ার ওপরে কোনো কতৃপক্ষের হুকুম বা নির্দেশনাও ছিল না। নির্বাচনে বিজয়ী দলের (আওয়ামীলীগের) প্রধান আটক, বড় ছোট নেতা সবাই নির্দেশমত পলাতক, এমনকি চট্টগ্রামের সেনা বিদ্রোহের সংবাদটিও রেডিও ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে তাদের কাছে পৌছানো যায়নি। এরূপ দুঃসহ পরিস্থিতিতে, একজন সৈনিক হয়ে জিয়া “স্বাধীনতা ঘোষণা”র মত বিপদময় কঠিন রাজনৈতিক কাজটি করতে গেলেন, কেনো এবং কোন সাহসে? সে মুল্যায়ন বা প্রশ্নটি আজ পর্যন্ত কেউ মিলিয়ে দেখেন নি। এমনকি যুদ্ধ চলাকালেও আওয়ামীলীগের নেতারা আশা করত, পশ্চিমের সাথে আপোষরফা হয়ে যাবে, এবং ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।"
(সূত্র : জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫)
হিস্টোরি অফ ফ্রিডম মূভমেন্ট ইন বাংলাদেশঃ (প্রকাশকাল-১৯৭৪), লেখকঃ জ্যোতি সেন গুপ্ত; সুবিখ্যাত ভারতীয় বংশোদভূত সাংবাদিক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের উপর রচিত সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যসম্বলিত বই এটি। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তিনি একা���ারে ছিলেন - ১) ফরেন করেসপন্ডেন্ট, প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) ২) স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট "টাইমস অফ ইন্ডিয়া।"
৩) স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট "দি ইকোনমিক টাইমস।" সেই বইয়ে চাক্ষুস সাক্ষীর বর্ণণায় উল্লেখ আছে জিয়ার ঘোষণা।
Witness To Surrender: সিদ্দিক সালিকের বহুল প্রচলিত গ্রন্থ থেকেঃ
The rebels initially had all the success. They effectively blocked the route of the Comilla column by blowing up the Subapur bridge near Feni. They also controlled major parts of Chittagong cantonment and the city. The only islands of government authority there were the 20 Baluch areas and the naval base. Major Ziaur Rehman,¹ the second-in-command of 8 East Bengal, assumed command of the rebels in Chittagong in the absence of Brigadier Mozumdar (who had been tactfully taken to Dacca a few days earlier). While the government troops clung to the radio station, in order to guard the building, Major Zia took control of the transmitters separately located on Kaptai Road and used the available equipment to broadcast the declaration of independence of BanglaDesh. Nothing could be done to turn the tables unless reinforcements arrived in Chittagong.
মেজর জেনারেল (অবঃ) শফিউল্লাহ রচিত BANGLADESH AT WAR:
পৃষ্টা ৪৪-৪৫ এ স্বাধীনতার ঘোষনা সম্পর্কে যা বলেন
"All the troops then took an oath of allegiance to Bangladesh. The oath was administered by Zia at 1600 hrs on March 26. Thereafter, he distributed 350 soldiers of East Bengal Regiment and about 200 troops of East Pakistan Rifles to various task forces under command of an officer each. These task forces were meant for the city. The whole city of Chittagong was divided into various sectors and each sector was given to a task force. After having made these arrangements, Zia made his first announcement on the radio on March 26. In this announcement apart from saying that they were fighting against the Pakistan army he also declared himself as the head of the state. This, of course, could have been the result of tension and confusion of the moment. As the battalion began to gather strength, in the afternoon of March 27, Zia made another announcement from the Shawadhin Bangla Betar Kendra established at Kalurghat."
বর্তমান আওয়ামীনেতা কে এম সফিউল্লাহ তার বইয়ে স্পষ্টই বলেছেন, জিয়া ২৬শে মার্চ প্রথম ঘোষণাটি দেন এবং নিজেকে রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে ২৭শে মার্চ জিয়া কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আরেকটি ঘোষণা দেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ এই ২৭শে মার্চের ঘোষণাটার কথা বলে এবং ২৬শে মার্চ প্রথম ঘোষণাটি সম্পূর্ণ চেপে যায়।
How Pakistan Got Divided গ্রন্থের লেখক খোদ রাও ফরমান আলী। তিনি লেখেনঃ
They are all isolated. No road communication exists between them. Chittagong under rebel control. Every Bengall unit had revolted. Major Ziaur Rahman had killed his Commanding Officer Colonel Janjua and declared Independence for BanglaDesh with himself as..
আওয়ামীলীগ নেতা এমএ মোহাইমেনঃ
স্বাধীনতার দাবী নয়, পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রমাণের জন্যই শেখ মুজিব পাক-বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এ সম্পর্কে সাবেক আওয়ামী লীগ এম.পি. মরহুম এম.এ. মোহাইমেন তার ঢাকা আগরতলা-মুজিব নগর গ্রন্থে লিখেছেন, "শেখ সাহেবের এভাবে সেদিন রাতে ধরা দেয়াকে আমি কোনদিন মনের সঙ্গে যুক্তি দিয়ে খাপ খাওয়াতে পারিনি। অন্যেরা যে যাই বলুক, আমার নিজের ধারণা আওয়ামী লীগের নেতারা তাজউদ্দীন সাহেবের নেতৃত্বে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করে এভাবে দেশ স্বাধীন করবে, এটা তিনি ভাবতে পারেননি। তার ধারণা ছিল অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাকবাহিনী অবস্থা আয়ত্ত্বে নিয়ে আসতে পারবে। এছাড়া তার এ ধারণাও ছিল যে, আগরতলা মামলার সময় তাকে যেভাবে দেশের মানুষ আন্দোলন করে জেল থেকে বের করে এনেছিল, সেভাবে দু'তিন বছর পরে তুমুল আন্দোলনের ফলে পাকিস্তান সরকার তাকে মুক্তি দিয়ে তার হাতে অর্পণ করতে বাধ্য হবে।"
Tragedy Of Errors: East Pakistan Crisis 1968-1971ঃ গ্রন্থে লেঃ জেনারেল কামাল মতিনুদ্দিন লেখেনঃ
Major Zia-ur-Rahman was the first Bengali officer to declare the independence of Bangladesh. A day after the Pakistan army commenced their operation to disarm the Bengali units, Zia made an announcement in the early hours of March 26, on radio. Chittagong in which he declared himself as the president of Bangladesh and said that he was fighting against the Pakistan army. At 2.30 p.m On March 27, he made a second announcement from the Swadhin Bangla Betar Kendra. A clandestine radio station which he had established at Kalurghat near Cox's Bazaar.
He announced the independence of Bangladesh on behalf of Sheikh Mujib-ur-Rahman and made himself the provisional commander-in-chief of the Bangladesh liberation army. He informed all his compatriots that personnel of the East Bengal Regiment, East Pakistan Rifles and the police have surrounded the West Pakistani troops and heavy fighting is continuing in several cities. He appealed to all governments to mobilise public opinion against the so-called brutal genocide in Bangladesh.
জুলফিকার আলি ভুট্টো; কুয়েষ্ট ফর পাওয়ার। - দিলিপ মুখার্জিঃ
1) When the crunch came, there was fierce fighting in several cantonments and camps with high casualties on both sides. But enough Bengali officers and soldiers survived to provide valuable leadership to the subsequent freedom struggle. It was a Bengali major, Zia Rahman, who put out on his personal initiative a declaration of independence over Chittagong Radio on the morning of 27 March. This served as a clarion call, drawing in many more soldiers and policemen into the fighting.
2) The second factor Tikka Khan failed to take into account was the deep revulsion that the massive use of force produced in Bengali minds, leading to total alienation of the population. The Bangladesh flag, visible everywhere until 25 March, disappeared from view and was replaced quickly..
#সত্যউন্মোচিতহোক
#wasimiftekhar
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ Altaf Parvez Osman Ahmed Sakib ইমামুল হক (কম্বলচোরা গোলাম মোস্তফা) জুবায়ের, ক্যাপ্টেন নিমো।
1 note
·
View note
Text
কুমেক হাসপাতালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত
কুমেক হাসপাতালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার(৭ই মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মোড়ালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।এ সময় কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মহিউদ্দিন বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রামএবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।’ ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর সৃষ্টি- বাঙালি জাতির…
View On WordPress
0 notes
Text
দি এইডেড হাই স্কুলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
দি এইডেড হাই স্কুলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সোমবার সকালে সিলেট জিন্দাবাজারস্থ দি এইডেড হাই স্কুলের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক মোঃ শমসের আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর প্রতীক অধ্যাক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী।…
View On WordPress
0 notes
Text
দি এইডেড হাইস্কুলে ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা
দি এইডেড হাইস্কুলে ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সোমবার সকালে সিলেট জিন্দাবাজারস্থ দি এইডেড হাই স্কুলের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক মোঃ শমসের আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর প্রতীক অধ্যাক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী।…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/149700
আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
.
আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনতার উদ্দেশে তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম এবং ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) তিনি এ আগুনঝরা ভাষণ দেন। শোষিত বঞ্চিত মানুষের মনের অব্যক্ত কথা যেন বের হয়ে আসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি উচ্চারণ���, প্রতিটি বর্ণে ও শব্দে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি উচ্চারণ ধ্বনিত হতে থাকে লাখো প্রাণে। গগণবিদারী আওয়াজ তুলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমর্থন জানায় উপস্থিত লাখো জনতা। ঐতিহাসিক ওই ভাষণ এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পরিগণিত।
৭ই মার্চের আগের চার-পাঁচ দিনের ঘটনাবলিতে বিক্ষুব্ধ মানুষ ওই দিন নতুন কর্মসূচির অপেক্ষায় ছিল। সকাল থেকেই চার দিক থেকে মানুষের ঢল নামে রেসকোর্স ময়দানে। লাখো মানুষের পদভারে ঢাকা পরিণত হয় উদ্বেলিত এক নগরে। অলিগলি হতে সকাল থেকে দলে দলে মানুষ রাজপথ কাঁপিয়ে রেসকোর্স ময়দানের দিকে আসতে থাকে। ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা’, ‘তোমার দেশ আমার দেশ- বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর- বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ প্রভৃতি স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে আসতে লাগল শোষিত বঞ্চিত জনতা। উত্তাল জনসমুদ্রের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রেসকোর্স ময়দান।
বঙ্গবন্ধু জনসভায় আসতে একটু বিলম্ব করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হবে-কি-হবে না এ নিয়ে তখনো রুদ্ধদ্বার বৈঠক এবং বিতর্ক চলছে নেতৃবৃন্দের মধ্যে। পরে বঙ্গবন্ধু ২২ মিনিট তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম এবং ঐতিহাসিক ভাষণ শুরু করেন এভাবে- `আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সকলে জানেন এবং বোঝেন, আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ অধিকার চায়।… আমি বলেছিলাম, জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কিভাবে আমার গরিবের ওপর, আমার বাংলার মানুষের বুকের ওপর গুলি করা হয়েছে। কিভাবে আমার মায়ের বুক খালি করা হয়েছে। কি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আপনি আসুন, আপনি দেখুন।… ২৫ তারিখ অ্যাসেমব্লি ডেকেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। রক্তে পা দিয়ে শহীদের ওপর পাড়া দিয়ে অ্যাসেমব্লি খোলা চলবে না। সামরিক আইন মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে…। ’
এরপর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের আগের কয়েক দিনের ঘটনাবলি, শাসক শ্রেণীর সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া এবং মুক্তির আকাক্সক্ষায় বাংলাদেশীদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা ��রেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘এরপর যদি একটি গুলি চলে, এরপর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়- তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।… আমি যদি তোমাদের হুকুম দিবার না-ও পারি তোমরা সব বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব। সৈন্যরা, তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো তোমাদের কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু আর তোমরা গুলি করার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। …আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ! এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এদিন বঙ্গবন্ধুই ছিলেন একমাত্র বক্তা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পূর্বে আ স ম আব্দুর রব, নুরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে মাইকে নানা ধরনের স্লোগান দিয়ে উপস্থিত জনতাকে উজ্জীবিত রাখেন।
রাষ্ট্রপতির বাণী : রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ গতকাল এক বাণীতে বলেছেন, বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে যে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন, তার মধ্যেই নিহিত ছিল বাঙালির মুক্তির ডাক। বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল বাঙালির নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসি��া গতকাল এক বাণীতে বলেছেন, গত বছর আমরা এই মহাভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। এ বছর আমরা ভাষা-আন্দোলনের ৭০ বছর এবং মুজিববর্ষ উদযাপন করছি। এমনই এক মাহেন্দ্রক্ষণে আমি গভীর শ্রদ্ধায় প্রথমেই স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোন এবং অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে- যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্বস্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গৌরবের স্মারক। ’৭৫ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত এ দেশে এই ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল, যেমনটা করেছিল পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠীÑ তারাও সেদিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ ভাষণ প্রচার করতে দেয়নি। কিন্তু সত্য সর্বদাই অনিরুদ্ধ। তাই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির এই মহামন্ত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়- বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।
কর্মসূচি : দিবসটি ��থাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দেশজুড়ে মাইকে বাজানো হবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। এ উপলক্ষে সরকারিভাবে ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আজ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এ ছাড়াও এদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করবেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে আওয়ামী লীগের সব শাখা কর্মসূচি গ্রহণ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণ ও পালন করবে।
0 notes
Text
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক…
View On WordPress
0 notes
Text
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ
নিউজনাউ ডেস্ক: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী ��দ্যান) জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে সেদিন বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ প্রায় ১৮…
View On WordPress
0 notes