#৯৭
Explore tagged Tumblr posts
mhcabir · 2 years ago
Video
youtube
The Impact of Artificial Intelligence on Digital Marketing in Bangla | A...
ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন (আইডিসি) 2021 সালে পূর্বাভাস দিয়েছে যে, কোম্পানিগুলি অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই মার্কেটিং-এ - প্রায় 342 বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে।স্পেন্ডেক্স এর তথ্য মতে যেসকল কম্পানি ‍এআই এর মাধ্যমে মার্কেটিং করে তারা অন্যদের থেকে সাকসেস রেইট ১৭১ পার্সেন্ট এগিয়ে আছে। 84% মার্কেটাররা বিশ্বাস করেন যে AI ব্যবহার করে রিয়েল টাইমে মার্কেটিং ফাংশন উন্নত করা যায়।সিম্পলিলার্ণ এর তথ্যমতে ২০২৫ সাল নাগাদ অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বিশ্বব্যাপি মার্কেট ১৯০.৬১ বিলিয়ন ডলারে পৌছাবে এবং এটির annual growth rate হবে 36.62 percent.2030 সালের মধ্যে, অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিশ্বের জিডিপিতে 15.7 ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে, যেটি বৈশ্বিক জিডিপির ১৪ শতাংশ। Forecasts এর তথ্যমতে সারাবিশ্বে ২০২৪ সালের মধ্যে AI ভিত্তিক ভয়ের এ্যাসিস্ট্যান্ট এর সংখ্যা ৮.৪ বিলিয়নে পৌছাবে। MIT থেকে অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি পরিসংখ্যান দেখায় যে 75 শতাংশ শীর্ষ কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে AI তাদের প্রতিষ্ঠানকে বৃদ্ধি পেতে এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সাফল্য অর্জন করতে সহযোগিতা করছে।TechJury article এর তথ্যমতে 35% কোম্পানি বর্তমানে AI ব্যবহার করছে এবং 42% কোম্পানি ভবিষ্যতে এর বাস্তবায়নের জন্য AI নিয়ে কাজ করছে। ৯১.৫ শতাংশ লিডিং কম্পানিগুলো AI এর উপর জোর দিচ্ছে। শুধু তাই নয় গ্রাহকদের কাছ থেকে আগের চেয়ে ২৫ পার্সেন্ট বেশি সন্তুষ্টি অর্জিত হয় AI ব্যবহারের ফলে। Comptia এর তথ্যমতে ৯৭ শতাংশ মোবাইলে AI ভয়েস এ্যাসিস্ট্যান্স ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 4 বিলিয়নেরও বেশি ডিভাইসে ইতিমধ্যে AI-চালিত ভয়েস এ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করে40% লোক প্রতিদিন অন্তত একবার ভয়েস অনুসন্ধান ফাংশন ব্যবহার করে থাকে। AI টেকনোলজি, রিপ্লেসমেন্টের প্রত্যাশার চেয়েও 12 মিলিয়ন বেশি চাকরি তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে । শুধু তাই নয়, 2025 সালের মধ্যে AI প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং ডেপোলাপমেন্টের জন্য বিশ্বব্যপি 97 মিলিয়ন বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। সেক্টরভিত্তিক এআই বিশেষজ্ঞ প্রয়োজনীয়তার হারঃTechnology: 17%Financial Services: 15%Healthcare: 9%Education: 8%Government/Public Sector: 6%Telecomm: 5%Manufacturing 4%Retail: 4%Media: 3%Energy: 3%Defense/Security: 3%Other: 22%Assalamu Alykum…আশাকরি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমি Mozammel Hoque Chowdhury। A Google Certified Digital Marketing Expert.সবাইকে আমাদের Facebook Page এ আবারও স্বাগতম, যেখানে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বিশ্বের সাম্প্রতিক ট্রেন্ড এবং আপডেট নিয়ে আলোচনা করি। আজকের বিষয় হল  - ডিজিটাল মার্কেটিং এ অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর প্রভাব এবং গুরুত্ব। অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বা AI, সর্বত্র ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য গেম চেইঞ্জিং একটি বিষয়। চ্যাটবট থেকে শুরু করে পারসোনলাইজড এড পর্যন্ত, AI আমাদের টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর এবং তাদের সাথে যুক্ত হওয়ার উপায়ে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।AI ডিজিটাল মার্কেটিং রূপান্তরিত করার উপায়গুলিকে দেখে নেওয়া যাক:পারসোনালাইজড কন্টেন্ট: এআই অ্যালগরিদমগুলি ব্যবহারকারীর আচরণ থেকে ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে এবং পারসোনালাইজড কন্টেন্ট তৈরি করতে পারে, যার ফলে গ্রাহকের সাথে আপনার engagement and conversions বৃদ্ধি পায়।চ্যাটবট: এআই-চালিত চ্যাটবটগুলি মানুষের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন ছাড়াই তাত্ক্ষণিক গ্রাহক সহায়তার পাশাপাশি 24/7 সাপোর্ট প্রদান করতে পারে।Predictive বিশ্লেষণ: এআই ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে এবং গ্রাহকদের আচরণের পূর্বাভাস দিতে পারে, মার্কেটারদের আরও সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।ভয়েস অনুসন্ধান: সিরি এবং অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের উত্থানের সাথে, AI ভয়েস সার্চের জন্য কন্টেন্টকে অপ্টিমাইজ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।বিজ্ঞাপন টার্গেটিং: এআই অ্যালগরিদমগুলি ব্যবহারকারীর ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে এমন highly targeted বিজ্ঞাপনগুলি সরবরাহ করতে পারে যার ফলে বিক্রি বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেরে যায়।অটোমেশন: AI রুটিন কাজগুলিকে স্বয়ংক্রিয় করতে পারে, High level strategy এবং সৃজনশীলতার উপর ফোকাস করার জন্য মার্কেটারদের মুক্ত করে অটোমেশন সিস্টেম চালুকরে।অবশেষে বলতে চাই….ডিজিটাল মার্কেটিং-এ AI-এর প্রভাব অপরিসীম এবং সুদূরপ্রসারী। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার উন্নতি থেকে শুরু করে ROI বাড়ানো পর্যন্ত, AI আমরা যেভাবে ব্যবসা করি তা পরিবর্তন করছে। ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে, বক্ররেখা থেকে এগিয়ে থাকার জন্য এবং আমাদের ক্লায়েন্টদের ফলাফল সরবরাহ করার জন্য এই পরিবর্তনগুলিতে অবগত থাকা এবং মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
7 notes · View notes
basicpart · 19 days ago
Text
ডেঙ্গুতে আরও ৪ প্রাণহানি, হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি ৪৪৪
মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩৬ জন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জান��নো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৪ জন হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৭ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন…
0 notes
quransunnahdawah · 30 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
‌‌‌কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগ�� বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফ���রেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের ��ন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসম���হ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 30 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
‌‌‌কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায�� আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
0 notes
ilyforallahswt · 30 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
‌‌‌কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে ���ুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
0 notes
myreligionislam · 30 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
‌‌‌কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, ��য়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
0 notes
allahisourrabb · 30 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
‌‌‌কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝ���্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
0 notes
mylordisallah · 30 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
‌‌‌কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোন�� কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
0 notes
banglavisiononline · 1 month ago
Link
অগ্রহায়ণের শুরুতেই তাপমাত্রা পারদ নামতে শুরু ক
0 notes
seeupdate · 3 months ago
Text
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৩ বছর বা তার বেশি চান ৪৭ শতাংশ ভোটার
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৩ বছর বা তার বেশি চান ৪৭ শতাংশ ভোটার
দেশের ৯৭ শতাংশ ভোটার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থাশীল। এই সরকারের মেয়াদ তিন বছর বা তার বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। আর ৫৩ শতাংশ মনে করেন, এই সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত।
বেসরকারি নর্��সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড, আরো দেখুন:
Tumblr media
0 notes
seeupdate1 · 3 months ago
Text
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৩ বছর বা তার বেশি চান ৪৭ শতাংশ ভোটার
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৩ বছর বা তার বেশি চান ৪৭ শতাংশ ভোটার
দেশের ৯৭ শতাংশ ভোটার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থাশীল। এই সরকারের মেয়াদ তিন বছর বা তার বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। আর ৫৩ শতাংশ মনে করেন, এই সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত।
বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড, আরো দেখুন:
Tumblr media
0 notes
mirajsujonbd · 7 months ago
Text
এবার ঈদের ছুটিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতুতে তিন কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার তিনশ টাকার টোল আদায় হয়েছে। ঈদের ছুটিতে মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে টোল আদায়। আজ শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছন। এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১২ জুন) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
youtube
youtube
youtube
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ জাহান্নামীদের মধ্যে যার ওপর সবচেয়ে হালকা শাস্তি প্রয়োগ করা হয়েছে তাকে বলবেন, তুমি যদি সব কিছুর মালিক হয়ে যাও তবে তুমি কি তা মুক্তিপণ হিসেবে দেবে? সে বলবে, হ্যাঁ। তিনি বলবেন, আমি তোমার কাছে এর চেয়ে কম চেয়েছিলাম। যখন তুমি আদমের ঔরসে ছিলে—(তা হলো) আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে অংশীদার করবে না; কিন্তু তুমি আমার সঙ্গে অংশীদার না করে ক্ষান্ত হওনি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫৫৭)
শিরকমুক্ত ঈমান কেন প্রয়োজন?
দুনিয়া ও পরকালের সফলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কী? কিসের ভিত্তিতে মানুষের দুনিয়ার কল্যাণ এবং পরকালের সফলতা নির্ভর করে? আল্লাহ তাআলা এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির কথা কুরআনে বার বার উল্লেখ করেছেন।
যে জিনিসের ফলে দুনিয়া ও পরকালের সব কাজের কৃতিত্ব ও কর্মফল নির্ভর করে তা হলো বিশুদ্ধ ঈমান। আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি শুধু পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের মৌখিক স্বীকৃতিই নয় বরং পাশাপাশি সে বিশ্বাসকে কাজে বাস্তবায়ন করা। আর তখনই মানুষ হয়ে ওঠবে বিশুদ্ধ ঈমানের অধিকারী।
এ বিশুদ্ধ ঈমান-ই আল্লাহর কাছে মানুষের সব আমল ও ইবাদত গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রথম ও একমাত্র শর্ত। তাই কাজ যত ভালোই হোক না কেন; আত্মতুষ্টি উপলব্দি করার কোনো সুযোগ নেই। ফলাফল লাভে বিশুদ্ধ ঈমান একান্ত জরুরি। কেননা ঈমানবিহীন কোনো আমল তথা ভালো কাজই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
শিরকমুক্ত ঈমানের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
- ‘যদি কোনো পুরুষ বা নারী ভালো কাজ করে এবং সে ঈমানদার হয়, আমি অবশ্যই তাদেরকে (দুনিয়াতে) পবিত্র জীবন দিয়ে জীবিত রাখবো এবং (আখিরাতে) তাদের ভালো কাজের সর্বোত্তম পুরষ্কার দেব।’ (সুরা সুরা নহল : আয়াত ৯৭)
অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন-
- যদি জনপদের মানুষ ঈমান আনতো এবং আল্লাহকে ভয় করতো তবে আমি তাদের জন্য আকাশমণ্ডলী এবং জমিনের বরকত ও কল্যাণসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা অবিশ্বাস করলো, কাজেই আমি তাদের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দান করলাম।’ (সুরা আরাফ : আয়াত৯৬ )
সুতরাং আল্লাহ তাআলা ঈমানদারকে উপদেশ প্রদান করেন বলেন-
- ‘এবং যে ব্যক্তি পরকালীন জীবনের কল্যাণ চায়, সে জন্য চেষ্টা করে এবং সে বিশ্বাসী বা মুমিন হয়; তবে তাদের চেষ্টা ও কর্ম কবুল করা হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ১৯)
- সময়ে কসম! নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে। তারা ছাড়া, যারা ঈমান আনে এবং ভালোকাজ করে।’ (সুরা আসর : আয়াত ১-৩)
আল্লাহর বন্ধুত্ব ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমও বিশুদ্ধ ঈমান। তাইতো তিনি বিশুদ্ধ ঈমানদারকেই তার বন্ধু হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাদেরকে অভয় দিয়ে বলেন-
- সাবধান! (জেনে রেখো), আল্লাহর বন্ধুদের ভয় নেই, তারা চিন্তাগ্রস্তও হবে না। যারা (বিশুদ্ধ) ঈমান গ্রহণ করেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে। তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালের জীবনে। কখনোই আল্লাহর কথায় কোনো হের-ফের হয় না। আর এটাই মহাসফলতা।’ (৬২-৬৪)
মানুষের জীবন ব্যবস্থায় ইসলাম যেমন স্বচ্ছ ও সত্য তেমনি কুরআনের বাণীও চিরন্তন সত্য। আর মহান আল্লাহর চিরসত্য ঘোষণাতেই বিশুদ্ধ ঈমানের প্রয়োজনীয়তা ওঠে এসেছে। যেখানে এ কথা সুস্পষ্ট যে, ঈমানবিহীন মানুষের সব কর্মই ব্যর্থ।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ ও সফলতায় শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শিরকমুক্ত ঈমান লাভের দোয়া
শিরকমুক্ত ঈমান লাভের এ দোয়াটি ছোট, ছন্দময়, শ্রুতি মধুর এবং অত্যন্ত সহজ একটি ফজিলতপূর্ণ দোয়া। এ দোয়াতে শুধু ঈমানই শিরকমুক্ত থাকবে না। বরং রয়েছে অনেক ফজিলত। সেসব ফজিলত ও দোয়াটি কী?
আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য ও তাঁর প্রশংসায় ভরপুর দোয়াটি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে। হাদিসে পাকে এসেছে- হজরত আবু আইয়্যাশ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে উঠে এ দোয়াটি পড়বে- لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল্ হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
The Value of Faith Without Polytheism
Faith without polytheism
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
youtube
youtube
youtube
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ জাহান্নামীদের মধ্যে যার ওপর সবচেয়ে হালকা শাস্তি প্রয়োগ করা হয়েছে তাকে বলবেন, তুমি যদি সব কিছুর মালিক হয়ে যাও তবে তুমি কি তা মুক্তিপণ হিসেবে দেবে? সে বলবে, হ্যাঁ। তিনি বলবেন, আমি তোমার কাছে এর চেয়ে কম চেয়েছিলাম। যখন তুমি আদমের ঔরসে ছিলে—(তা হলো) আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে অংশীদার করবে না; কিন্তু তুমি আমার সঙ্গে অংশীদার না করে ক্ষান্ত হওনি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫৫৭)
শিরকমুক্ত ঈমান কেন প্রয়োজন?
দুনিয়া ও পরকালের সফলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কী? কিসের ভিত্তিতে মানুষের দুনিয়ার কল্যাণ এবং পরকালের সফলতা নির্ভর করে? আল্লাহ তাআলা এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির কথা কুরআনে বার বার উল্লেখ করেছেন।
যে জিনিসের ফলে দুনিয়া ও পরকালের সব কাজের কৃতিত্ব ও কর্মফল নির্ভর করে তা হলো বিশুদ্ধ ঈমান। আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি শুধু পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের মৌখিক স্বীকৃতিই নয় বরং পাশাপাশি সে বিশ্বাসকে কাজে বাস্তবায়ন করা। আর তখনই মানুষ হয়ে ওঠবে বিশুদ্ধ ঈমানের অধিকারী।
এ বিশুদ্ধ ঈমান-ই আল্লাহর কাছে মানুষের সব আমল ও ইবাদত গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রথম ও একমাত্র শর্ত। তাই কাজ যত ভালোই হোক না কেন; আত্মতুষ্টি উপলব্দি করার কোনো সুযোগ নেই। ফলাফল লাভে বিশুদ্ধ ঈমান একান্ত জরুরি। কেননা ঈমানবিহীন কোনো আমল তথা ভালো কাজই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
শিরকমুক্ত ঈমানের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
- ‘যদি কোনো পুরুষ বা নারী ভালো কাজ করে এবং সে ঈমানদার হয়, আমি অবশ্যই তাদেরকে (দুনিয়াতে) পবিত্র জীবন দিয়ে জীবিত রাখবো এবং (আখিরাতে) তাদের ভালো কাজের সর্বোত্তম পুরষ্কার দেব।’ (সুরা সুরা নহল : আয়াত ৯৭)
অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন-
- যদি জনপদের মানুষ ঈমান আনতো এবং আল্লাহকে ভয় করতো তবে আমি তাদের জন্য আকাশমণ্ডলী এবং জমিনের বরকত ও কল্যাণসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা অবিশ্বাস করলো, কাজেই আমি তাদের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দান করলাম।’ (সুরা আরাফ : আয়াত৯৬ )
সুতরাং আল্লাহ তাআলা ঈমানদারকে উপদেশ প্রদান করেন বলেন-
- ‘এবং যে ব্যক্তি পরকালীন জীবনের কল্যাণ চায়, সে জন্য চেষ্টা করে এবং সে বিশ্বাসী বা মুমিন হয়; তবে তাদের চেষ্টা ও কর্ম কবুল করা হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ১৯)
- সময়ে কসম! নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে। তারা ছাড়া, যারা ঈমান আনে এবং ভালোকাজ করে।’ (সুরা আসর : আয়াত ১-৩)
আল্লাহর বন্ধুত্ব ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমও বিশুদ্ধ ঈমান। তাইতো তিনি বিশুদ্ধ ঈমানদারকেই তার বন্ধু হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাদেরকে অভয় দিয়ে বলেন-
- সাবধান! (জেনে রেখো), আল্লাহর বন্ধুদের ভয় নেই, তারা চিন্তাগ্রস্তও হবে না। যারা (বিশুদ্ধ) ঈমান গ্রহণ করেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে। তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালের জীবনে। কখনোই আল্লাহর কথায় কোনো হের-ফের হয় না। আর এটাই মহাসফলতা।’ (৬২-৬৪)
মানুষের জীবন ব্যবস্থায় ইসলাম যেমন স্বচ্ছ ও সত্য তেমনি কুরআনের বাণীও চিরন্তন সত্য। আর মহান আল্লাহর চিরসত্য ঘোষণাতেই বিশুদ্ধ ঈমানের প্রয়োজনীয়তা ওঠে এসেছে। যেখানে এ কথা সুস্পষ্ট যে, ঈমানবিহীন মানুষের সব কর্মই ব্যর্থ।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ ও সফলতায় শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শিরকমুক্ত ঈমান লাভের দোয়া
শিরকমুক্ত ঈমান লাভের এ দোয়াটি ছোট, ছন্দময়, শ্রুতি মধুর এবং অত্যন্ত সহজ একটি ফজিলতপূর্ণ দোয়া। এ দোয়াতে শুধু ঈমানই শিরকমুক্ত থাকবে না। বরং রয়েছে অনেক ফজিলত। সেসব ফজিলত ও দোয়াটি কী?
আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য ও তাঁর প্রশংসায় ভরপুর দোয়াটি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে। হাদিসে পাকে এসেছে- হজরত আবু আইয়্যাশ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে উঠে এ দোয়াটি পড়বে- لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল্ হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
0 notes
ilyforallahswt · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
youtube
youtube
youtube
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ জাহান্নামীদের মধ্যে যার ওপর সবচেয়ে হালকা শাস্তি প্রয়োগ করা হয়েছে তাকে বলবেন, তুমি যদি সব কিছুর মালিক হয়ে যাও তবে তুমি কি তা মুক্তিপণ হিসেবে দেবে? সে বলবে, হ্যাঁ। তিনি বলবেন, আমি তোমার কাছে এর চেয়ে কম চেয়েছিলাম। যখন তুমি আদমের ঔরসে ছিলে—(তা হলো) আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে অংশীদার করবে না; কিন্তু তুমি আমার সঙ্গে অংশীদার না করে ক্ষান্ত হওনি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫৫৭)
শিরকমুক্ত ঈমান কেন প্রয়োজন?
দুনিয়া ও পরকালের সফলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কী? কিসের ভিত্তিতে মানুষের দুনিয়ার কল্যাণ এবং পরকালের সফলতা নির্ভর করে? আল্লাহ তাআলা এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির কথা কুরআনে বার বার উল্লেখ করেছেন।
যে জিনিসের ফলে দুনিয়া ও পরকালের সব কাজের কৃতিত্ব ও কর্মফল নির্ভর করে তা হলো বিশুদ্ধ ঈমান। আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি শুধু পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের মৌখিক স্বীকৃতিই নয় বরং পাশাপাশি সে বিশ্বাসকে কাজে বাস্তবায়ন করা। আর তখনই মানুষ হয়ে ওঠবে বিশুদ্ধ ঈমানের অধিকারী।
এ বিশুদ্ধ ঈমান-ই আল্লাহর কাছে মানুষের সব আমল ও ইবাদত গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রথম ও একমাত্র শর্ত। তাই কাজ যত ভালোই হোক না কেন; আত্মতুষ্টি উপলব্দি করার কোনো সুযোগ নেই। ফলাফল লাভে বিশুদ্ধ ঈমান একান্ত জরুরি। কেননা ঈমানবিহীন কোনো আমল তথা ভালো কাজই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
শিরকমুক্ত ঈমানের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
- ‘যদি কোনো পুরুষ বা নারী ভালো কাজ করে এবং সে ঈমানদার হয়, আমি অবশ্যই তাদেরকে (দুনিয়াতে) পবিত্র জীবন দিয়ে জীবিত রাখবো এবং (আখিরাতে) তাদের ভালো কাজের সর্বোত্তম পুরষ্কার দেব।’ (সুরা সুরা নহল : আয়াত ৯৭)
অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন-
- যদি জনপদের মানুষ ঈমান আনতো এবং আল্লাহকে ভয় করতো তবে আমি তাদের জন্য আকাশমণ্ডলী এবং জমিনের বরকত ও কল্যাণসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা অবিশ্বাস করলো, কাজেই আমি তাদের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দান করলাম।’ (সুরা আরাফ : আয়াত৯৬ )
সুতরাং আল্লাহ তাআলা ঈমানদারকে উপদেশ প্রদান করেন বলেন-
- ‘এবং যে ব্যক্তি পরকালীন জীবনের কল্যাণ চায়, সে জন্য চেষ্টা করে এবং সে বিশ্বাসী বা মুমিন হয়; তবে তাদের চেষ্টা ও কর্ম কবুল করা হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ১৯)
- সময়ে কসম! নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে। তারা ছাড়া, যারা ঈমান আনে এবং ভালোকাজ করে।’ (সুরা আসর : আয়াত ১-৩)
আল্লাহর বন্ধুত্ব ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমও বিশুদ্ধ ঈমান। তাইতো তিনি বিশুদ্ধ ঈমানদারকেই তার বন্ধু হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাদেরকে অভয় দিয়ে বলেন-
- সাবধান! (জেনে রেখো), আল্লাহর বন্ধুদের ভয় নেই, তারা চিন্তাগ্রস্তও হবে না। যারা (বিশুদ্ধ) ঈমান গ্রহণ করেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে। তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালের জীবনে। কখনোই আল্লাহর কথায় কোনো হের-ফের হয় না। আর এটাই মহাসফলতা।’ (৬২-৬৪)
মানুষের জীবন ব্যবস্থায় ইসলাম যেমন স্বচ্ছ ও সত্য তেমনি কুরআনের বাণীও চিরন্তন সত্য। আর মহান আল্লাহর চিরসত্য ঘোষণাতেই বিশুদ্ধ ঈমানের প্রয়োজনীয়তা ওঠে এসেছে। যেখানে এ কথা সুস্পষ্ট যে, ঈমানবিহীন মানুষের সব কর্মই ব্যর্থ।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ ও সফলতায় শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শিরকমুক্ত ঈমান লাভের দোয়া
শিরকমুক্ত ঈমান লাভের এ দোয়াটি ছোট, ছন্দময়, শ্রুতি মধুর এবং অত্যন্ত সহজ একটি ফজিলতপূর্ণ দোয়া। এ দোয়াতে শুধু ঈমানই শিরকমুক্ত থাকবে না। বরং রয়েছে অনেক ফজিলত। সেসব ফজিলত ও দোয়াটি কী?
আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য ও তাঁর প্রশংসায় ভরপুর দোয়াটি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে। হাদিসে পাকে এসেছে- হজরত আবু আইয়্যাশ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে উঠে এ দোয়াটি পড়বে- لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল্ হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
0 notes
myreligionislam · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
youtube
youtube
youtube
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ জাহান্নামীদের মধ্যে যার ওপর সবচেয়ে হালকা শাস্তি প্রয়োগ করা হয়েছে তাকে বলবেন, তুমি যদি সব কিছুর মালিক হয়ে যাও তবে তুমি কি তা মুক্তিপণ হিসেবে দেবে? সে বলবে, হ্যাঁ। তিনি বলবেন, আমি তোমার কাছে এর চেয়ে কম চেয়েছিলাম। যখন তুমি আদমের ঔরসে ছিলে—(তা হলো) আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে অংশীদার করবে না; কিন্তু তুমি আমার সঙ্গে অংশীদার না করে ক্ষান্ত হওনি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫৫৭)
শিরকমুক্ত ঈমান কেন প্রয়োজন?
দুনিয়া ও পরকালের সফলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কী? কিসের ভিত্তিতে মানুষের দুনিয়ার কল্যাণ এবং পরকালের সফলতা নির্ভর করে? আল্লাহ তাআলা এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির কথা কুরআনে বার বার উল্লেখ করেছেন।
যে জিনিসের ফলে দুনিয়া ও পরকালের সব কাজের কৃতিত্ব ও কর্মফল নির্ভর করে তা হলো বিশুদ্ধ ঈমান। আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি শুধু পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের মৌখিক স্বীকৃতিই নয় বরং পাশাপাশি সে বিশ্বাসকে কাজে বাস্তবায়ন করা। আর তখনই মানুষ হয়ে ওঠবে বিশুদ্ধ ঈমানের অধিকারী।
এ বিশুদ্ধ ঈমান-ই আল্লাহর কাছে মানুষের সব আমল ও ইবাদত গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রথম ও একমাত্র শর্ত। তাই কাজ যত ভালোই হোক না কেন; আত্মতুষ্টি উপলব্দি করার কোনো সুযোগ নেই। ফলাফল লাভে বিশুদ্ধ ঈমান একান্ত জরুরি। কেননা ঈমানবিহীন কোনো আমল তথা ভালো কাজই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
শিরকমুক্ত ঈমানের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
- ‘যদি কোনো পুরুষ বা নারী ভালো কাজ করে এবং সে ঈমানদার হয়, আমি অবশ্যই তাদেরকে (দুনিয়াতে) পবিত্র জীবন দিয়ে জীবিত রাখবো এবং (আখিরাতে) তাদের ভালো কাজের সর্বোত্তম পুরষ্কার দেব।’ (সুরা সুরা নহল : আয়াত ৯৭)
অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন-
- যদি জনপদের মানুষ ঈমান আনতো এবং আল্লাহকে ভয় করতো তবে আমি তাদের জন্য আকাশমণ্ডলী এবং জমিনের বরকত ও কল্যাণসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা অবিশ্বাস করলো, কাজেই আমি তাদের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দান করলাম।’ (সুরা আরাফ : আয়াত৯৬ )
সুতরাং আল্লাহ তাআলা ঈমানদারকে উপদেশ প্রদান করেন বলেন-
- ‘এবং যে ব্যক্তি পরকালীন জীবনের কল্যাণ চায়, সে জন্য চেষ্টা করে এবং সে বিশ্বাসী বা মুমিন হয়; তবে তাদের চেষ্টা ও কর্ম কবুল করা হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ১৯)
- সময়ে কসম! নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে। তারা ছাড়া, যারা ঈমান আনে এবং ভালোকাজ করে।’ (সুরা আসর : আয়াত ১-৩)
আল্লাহর বন্ধুত্ব ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমও বিশুদ্ধ ঈমান। তাইতো তিনি বিশুদ্ধ ঈমানদারকেই তার বন্ধু হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাদেরকে অভয় দিয়ে বলেন-
- সাবধান! (জেনে রেখো), আল্লাহর বন্ধুদের ভয় নেই, তারা চিন্তাগ্রস্তও হবে না। যারা (বিশুদ্ধ) ঈমান গ্রহণ করেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে। তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালের জীবনে। কখনোই আল্লাহর কথায় কোনো হের-ফের হয় না। আর এটাই মহাসফলতা।’ (৬২-৬৪)
মানুষের জীবন ব্যবস্থায় ইসলাম যেমন স্বচ্ছ ও সত্য তেমনি কুরআনের বাণীও চিরন্তন সত্য। আর মহান আল্লাহর চিরসত্য ঘোষণাতেই বিশুদ্ধ ঈমানের প্রয়োজনীয়তা ওঠে এসেছে। যেখানে এ কথা সুস্পষ্ট যে, ঈমানবিহীন মানুষের সব কর্মই ব্যর্থ।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ ও সফলতায় শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শিরকমুক্ত ঈমান লাভের দোয়া
শিরকমুক্ত ঈমান লাভের এ দোয়াটি ছোট, ছন্দময়, শ্রুতি মধুর এবং অত্যন্ত সহজ একটি ফজিলতপূর্ণ দোয়া। এ দোয়াতে শুধু ঈমানই শিরকমুক্ত থাকবে না। বরং রয়েছে অনেক ফজিলত। সেসব ফজিলত ও দোয়াটি কী?
আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য ও তাঁর প্রশংসায় ভরপুর দোয়াটি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে। হাদিসে পাকে এসেছে- হজরত আবু আইয়্যাশ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে উঠে এ দোয়াটি পড়বে- لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল্ হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরকমুক্ত ঈমানের মূল্য
The Value of Faith Without Polytheism
0 notes