#স্বামী হত্যা
Explore tagged Tumblr posts
Text
স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রাজবাড়ীতে বিউটি বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যায় দায়ে স্বামী মো. লতিফ কাজীকে (৩৯) মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দ সিরাজ জিন্নাত এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত লতিফ কাজী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বার্থা গ্রামের মৃত মতিয়ার কাজীর ছেলে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে মো. লতিফ কাজীর সঙ্গে তার…
#all bangla newspaper#Bangaldesh News#Bangla News#Bangla News Paper#Bangladeshi News Online#bd news#Bengali#Bengali News#daily news#Dhaka Bangladeshi News#j#jago#Jagonews#jagonews24#latest news#online news paper#Online News Portal#Todays news#অনলাইন#অর্থনীতি#আইন-আদালত#আজকের আয়োজন#আজকের আলোচিত ছবি#আজকের খবর#আন্তর্জাতিক#আবহাওয়া#ইউনিকোড কনভার্টার#ইসলাম#কৃষি ও প্রকৃতি#ক্যাম্পাস
0 notes
Text
শ্রীপুরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা পরিবারের দাবি হত্যা
হাজ্বী��আসাদুজ্জামান স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কেওয়া পশ্চিম খন্ড মোঃ সুরুজ মিয়ার মেয়ে আকলিমা আক্তার শিমু (২১) নির্যাতনের শিকার হয়ে শ্বশুর বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনার বিষয়ে পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে তার স্বামী নির্যাতন করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে। গত চার বছর পূর্বে…
0 notes
Text
দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন
সিলেটের গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন ওই স্ত্রী, এমনটিও দাবি করছেন স্থানীয়রা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের। এ…
0 notes
Link
স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু ও
0 notes
Text
1 note
·
View note
Link
0 notes
Text
রূপগঞ্জে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পলাতক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শিংলাবো গ্রামের গৃহবধূ হাফসা আক্তার কাকলীকে(২৭) গত ১১ জানুয়ারি রাতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা(৩২) পিটিয়ে তার স্ত্রী কাকলীকে হত্যা করে। রূপগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, রূপগঞ্জের ভুলতা ��উনিয়নের লাভড়াপাড়া গ্রামের ইসমাঈল মিয়া মামুনের মেয়ে কাকলীর সঙ্গে ছয় বছর আগে শিংলাবো গ্রামের…
View On WordPress
0 notes
Text
রাজশাহীর বাগমারায় দেবরের হাতে ভাবী খুন
আপেল মাহমুদ রাঙা, বাগমারা প্রতিনিধি: ভাতিজাকে বাঁচাতে গিয়ে দেবর জয়নাল আবেদীনের হাতে খুন হন ভাবী জাহানারা বেগম (৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরসিংহপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু হানিফ বাদী হয়ে ৫ জনের নামে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাগমারা থানার…
View On WordPress
0 notes
Text
চান্দিনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা, স্বামী স্ত্রী গ্রেফতার
মির্জা সাগর, কুমিল্লা : কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায় ছাড়াগাও এলাকা স্বামীর সাথে মিলে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করে প্রেমিকা ও তার স্বামী। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক স্বামী শুক্কুর আলী ও স্ত্রী ফাতেমা আকতারকে গ্রেফতার করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান। নিহত আরিফ…
View On WordPress
0 notes
Text
মিশরের সৌন্দর্যের রানী ক্লিওপেট্রার বিস্ময়কর ইতিহাস | History Of Queen Cleopatra
সূচনা
মিশরীয় ইতিহাস, ঐতিহাসিক রাণী বা ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর�� নারীদের তালিকা, এরকম অনেক তথ্য উপাত্ত জোগাড় করতে গেলে যেই নামটা বারবার সামনে চলে আসবে, সেইটা হচ্ছে রাণী ক্লিওপেট্রার নাম। ইতিহাসে তার মতো রাণীর উদাহরণ যেমন নেই, তেমনি নেই তার মতো চৌকস, বুদ্ধিমতী নারীর উদাহরণও। হাজার বছর আগের এতো এতো রাজা মহারাজার মাঝে রাণী ক্লিওপেট্রার নাম আজও বেঁচে আছে, তার মানে এই যে রাজত্বকালীন সময়ে তিনি এমন কিছু কাজই করেছেন, যা তাকে করেছে ইতিহাসের পাতায় অমর। কিন্তু কি সেই কাজ? ক্লিওপেট্রার ইতিহাসই বা কি? আজ বলবো ক্লিওপেট্রার আদ্যোপান্ত নিয়ে।
ক্লিওপেট্রার জাতীয়তা
বহুবছর ধরেই মানুষের ধারণা ছিলো, মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রার জাতীয়তাও মিশরীয়ই হবে। কিন্তু ২০২৩ সালে পিংকেট স্মিথ প্রযোজিত ডকুসিরিজ ‘ক্লিওপেট্রা’ তে রাণী ক্লিওপেট্রাকে একজন কালো চামড়ার নারী হিসেবে দেখানো হয়। আর এই ডকুসিরিজ প্রকাশ হওয়ার পর সারাবিশ্বে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়, কারন ক্লিওপেট্রা কখনই কালো ছিলেন না।
তাহলে তার জাতীয়তা কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লিওপেট্রা পুরোপুরি মিশরীয়দের মতো মধ্যপ্রদেশীয়ও ছিলেন না। তার পূর্বপুরুষদের ব্যাপারে জানতে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিওপেট্রার আদিনিবাস সুদূর গ্রীসে। ইতিহাসের পাথা ঘেটে দেখা গেছে, ক্লিওপেট্রার পরিবারে ইরানীয়ান এবং পার্সিয়ান জীনের অস্তিত্ব থাকলেও, আফ্রিকান কোনও পারিবারিক অস্তিত্ব কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি। তাই ক্লিওপেট্রা পার্সিয়ান, নাকি গ্রীক, নাকি মিশরীয়, তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। তবে তিনি কালো ছিলেন কিনা, তা নিয়ে কোনও তর্কের অবস্থা নেই।
ক্লিওপেট্রার ভাই তার স্বামী
শুনলে খুবই বিদঘুটে লাগলেও, ক্লিওপেট্রা তার ছোট ভাই টলমি দ্যা থার্টিনকে বিয়ে করেন। তৎকালীন মিশরীয় রাজ্যপরিবারে পারিবারিক শিকর ঠিক রাখার জন্য রাজার ছেলে-মেয়েদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করার নিয়ম চালু ছিলো। সেই নিয়ম থেকেই ১৮ বছর বয়সী ক্লিওপেট্রা তার ১০ বছর বয়সী ভাইকে বিয়ে করেন। তবে এই বিয়ের পরপরই ক্লিওপেট্রাকে মিশর ছাড়তে হয় রাজনৈতিক কুটচালের জন্য।
ক্লিওপেট্রা এবং টলমি দ্যা থার্টিনকে যৌথভাবে রাজ্য পরিচালনার অধিকার দেয়া হলেও, টলমির উজির এবং তার পরামর্শকদের কুটচালে ক্লিওপেট্রাকে তিন বছর মিশরের বাইরে থাকতে হয়। তবে এই তিন বছরে ক্লিওপেট্রা রোমের সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন, আর তাকে নিয়ে মিশরে পৌছান। রোম সম্রাট সিজারের ক্ষমতা সম্পর্কে সবাই জানতেন বলেই, ক্লিওপেট্রার সাথে কেও আর ��ামেলা করতে রাজি হয়নি। বন্ধুত্বপূর্ণ সিজার ক্লিওপেট্রাকে আবারও মিশরের যৌথ রাজ্য পরিচালকের পদে বসান এবং সেইসাথে নিশ্চিত করেন যাতে এই অধিকারের আবার কোনও হেরফের না হয়।
ক্লিওপেট্রার দেবী খেতাব
ক্লিওপেট্রা মিশরের মানুষের মাঝে তার প্রভাব বিস্তার করার জন্য ঘোষণা করেছিলেন, তিনি জাদু ও সিংহাসনের রাণী, দেবী আইসিস।
তৎকালীন মিশরে দেবী আইসিস অনেক বড় এক নাম ছিলো। সুতরাং ক্লিওপেট্রা যখন নিজেকে আইসিস বলে পরিচয় দেয়, অনেকেই সাথে সাথে সেই ঘোষণাকে গ্রহন করেছিলো। কেউ কেউ এই ঘোষণাকে এতটাই সত্যি ভেবে নিয়েছিলো যে, ক্লিওপেট্রার জীবনের অনেক ঘটনার সাথেই তারা দেবী আইসিস এর জীবনীর মিল খুজে পেতে শুরু করেন। ক্লিওপেট্রার চার সন্তানের সবচেয়ে ছোট সন্তানকে অনেকেই সূর্যদেবতা হোরাস মনে করতে থাকে, কারন হোরাস দেবী আইসিস এর ছেলে ছিলেন।
ক্লিওপেট্রার প্রেম
ক্লিওপেট্রা যখন রোমের সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সাথে দেখা করতে যান, তখন টলমি সৈন্যরা তাকে আটকানোর ব্যবস্থা করে রেখেছিলো। কিন্তু তাদের চোখে ধুলো দিয়ে ক্লিওপেট্রা এক অদ্ভুত পদ্ধতি অবলম্বন করেন জুলিয়াস সিজার পর্যন্ত পৌছানোর জন্য।
তিনি নিজেকে একটি বড় কার্পেট দিয়ে মুড়িয়ে ফেলেন এবং একজন ব্যক্তিকে দিয়ে সেই মোড়ানো কার্পেট বহন করিয়ে জুলিয়াস সিজারের ব্যক্তিগত ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। যখন কার্পেট সরিয়ে লাস্যময়ী ক্লিওপেট্রা বের হয়ে আসেন, তখন তাকে প্রথম দেখাতেই পছন্দ করে ফেলেন জুলিয়া�� সিজার।
মিশরে ক্লিওপেট্রার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার পরেও জুলিয়াস সিজার এবং ক্লিওপেট্রার সম্পর্ক বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। জুলিয়াস সিজার ক্লিওপেট্রাকে এতোটাই পছন্দ করতেন, তিনি ক্লিওপেট্রার একটি স্বর্ণমূর্তী তার ভেনাস জেনেট্রিক্স মন্দিরে প্রতিস্থাপন করেন। ক্লিওপেট্রা জুলিয়াস সিজারের সম্পর্কের ফল হিসেবে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়, যার নাম দেয়া হয় সিসারিয়ান।
কিন্তু রোমে জুলিয়াস সিজারকে যখন হত্যা করা হয়, ক্লিওপেট্রার ক্ষমতা এবং মিশরের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ে। সেখান থেকে পরিত্রাণ পেতে ক্লিওপেট্রা আশ্রয় নেন রোমের আরেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এন্থনির বাহুডোরে। ধীরে ধীরে এন্থনি এবং ক্লিওপেট্রার প্রেম হারিয়ে দেয় গল্পকেও। তাদের ভালোবাসার ফসল হিসেবে ক্লিওপেট্রা জন্ম দেন তিন সন্তানের। বিখ্যাত এই প্রেমগাথা নিয়ে কালজয়ী লেখক উইলিয়াম শেক্সপিয়ার লিখে গেছেন তার জনপ্রিয় নাটিকাও।
ক্লিওপেট্রার নৌবাহিনী
মার্ক অ্যান্টনি এবং ক্লিওপেট্রা শেষ পর্যন্ত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে রোমে মার্ক এন্থনির বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়ে যায়। এন্থনিকে একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে ঘোষণা প্রদান করা হয়, যা পরবর্তীতে দুইপক��ষের সম্পর্ক ক্রমেই খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। শেষপর্যন্ত ৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমান সিনেটের প্রভাবশালী অক্টাভিয়ান মার্ক এন্থনির সাথে যুদ্ধের ঘোষণাও দিয়ে বসেন।
জবাবে মার্ক এন্থনি ক্লিউপেট্রার নৌবাহিনী নিয়ে অক্টাভিয়ানের সাথে নৌযুদ্ধে শামিল হয়, যেই যুদ্ধে ক্লিউপেট্রা নিজেই তার নৌবাহিনীকে পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে অক্টাভিয়ানের নৌবাহিনী শক্তি, সামর্থ এবং আকারে এন্থনি-ক্লিউপেট্রা বাহিনীর চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকায় যুদ্ধে এন্থনি-ক্লিওপেট্রার হার মেনে নিতে হয়। এই যুদ্ধে জয়লাভের পর অক্টাভিয়ান নিজেকে প্রিন্স উপাধী দিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং রোমের অধীনে থাকা বাকি এলাকার ক্ষমতাও তার হাতে চলে আসে। আর সেই বাকি এলাকার মধ্যে ক্লিউপেট্রার মিশরও অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
ক্লিওপেট্রার মৃত্যু
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাজনৈতিক লড়াই শেষে যখন এন্থনি এবং ক্লিওপেট্রার বিদায়ঘন্টা বেজে যায়, তখন দুজনই সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা রোমের হাতে জীবন বিলিয়ে না দিয়ে, নিজেরাই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লিওপেট্রা একধরণের বিষাক্ত সাপের কামড় স্বেচ্ছায় গ্রহন করেন মারা যাওয়ার জন্য। আবার অনেকে মনে করেন, ক্লিওপেট্রা সুঁই এর মাথায় বিষাক্ত শাপের বিষ মাখিয়ে তা নিজের শরীরে এমনভাবে প্রবেশ করান, যা দেখে মনে হবে যে তিনি শাপের কামড়ে মারা গেছেন।
তবে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে যেমন অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে, তেমনি রয়েছে তার কবর নিয়েও রহস্য। হাজার বছর পার হয়ে গেলেও, আজও ক্লিওপেট্রার কবরস্থান খুজে বের করা যায়নি। মিশরীয় সাম্রাজ্যের নিয়মানুসারে যদি ক্লিওপেট্রার দাফনকাজ করা হয়ে থাকে, তাহলে তার মমি মিশরের বুকে কোথাও না কোথাও খুজে পাওয়ার কথা। তবে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা আজও সেই মমি বা ক্লিওপেট্রার কবর, কোনটারই কোনও হদিস করতে পারেনি।
ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্য
ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে কথা হলেই মনের অজান্তেই তার সৌন্দর্যের কথা সামনে চলে আসে। কিন্তু বাস্তবে তিনি কতটা সুন্দরী ছিলেন?
এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সত্যিকার অর্থে নেই। তবে ইতিহাসের দুই মহাক্ষমতাশীল পুরুষকে বশ করার পর অনুমান করা যায়, ক্লিওপেট্রা এক লাস্যময়ী নারীই ছিলেন। রোমান ইতিহাসবিদ ক্যাসিয়াস ডিও ক্লিওপেট্রা সম্পর্কে লিখেছিলেন, ক্লিওপেট্রা সৌন্দর্যের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছিলেন। সৌন্দর্যের নতুন নাম ক্লিওপেট্রা।
আবার আরেক গ্রীক ইতিহাসবিদ লিখেছেন যে তার সৌন্দর্য এতটাও অসাধারণ কিছু ছিল না যে লোকেরা তাকে দেখে থমকে দাঁড়াবে। তবে এই উক্তিগুলোর একটাও ক্লিওপেট্রার জীবদ্দশায় লেখা হয়নি, এই উক্তিগুলোর কোনোটিকেই বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আর বিশ্বাস করবেনই বা কিভাবে? একজন মানুষের মৃত্যুর ২০০ বছর পরে তার রুপের বর্ণনা লেখা হলে, তা কি বিশ্বাস করা যায়?
ক্লিওপেট্রার আদলে নির্মিত কোনও মূর্তি বা ছবি আজও কোথাও খুজে পায়নি গবেষকরা। তবে পুরানো আমলের মুদ্রায় আদলে ছবি দেয়া থাকতো এবং সেই ছবি দেখে অন্তত ক্লিওপেট্রাকে সৌন্দর্যের আধার কেন যেন বলা যায় না। মুদ্রার উপর থাকা তার ছবিতে দেখা যায় ক্লিওপেট্রার পুরুষালি চেহারা আর লম্বা নাকের চিত্র। তবে এইটাও মাথায় রাখতে হবে যে মুদ্রার উপরে থাকা চিত্র অতীতে রাজনৈতিক কারণেও ব্যবহার করা হতো, যাতে করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছানো যায়। ক্লিওপেট্রার পুরুষ বৈশিষ্ট্যগুলি দেওয়ার উদ্দেশ্য হতে পারে একজন নারী শাসককে সাধারণ জনগনের কাছে প্রভাবশালী করা।
ক্লিওপেট্রার রূপ নিয়ে তর্কবিতর্ক যাই করি না কেন, তার বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসের নিয়ে যেমন কোনও প্রশ্ন নেই, ঠিক তেমনি জুলিয়াস সিজার এবং মার্ক এন্থনির মতো প্রভাবশালী দুই পুরুষকে যে তিনি তার রুপের জাদুতে বশ করেছিলেন, তা নিয়েও কোনও সন্দেহ নেই।
ক্লিওপেট্রার কবর
মিসরের স্বর্ণযুগের রাণী ক্লিওপেট্রার কোনও মূর্তী অথবা ছবি যেমন খুজে পাওয়া যায়নি, ঠিক তেমনি খুজে পাওয়া যায়নি তার কবরও। কিন্তু মিসরের ইতিহাস অনুযায়ী, ক্লিওপেট্রার কবর অন্যান্য ফারাওদের মতোই হওয়ার কথা। অন্য সবার হদিস পাওয়া গেলেও, ক্লিওপেট্রার হদিস আজও খুজে পায়নি কোনও গবেষক কিংবা উৎসুক কোনও অভিযাত্রী।
ক্লিওপেট্রার শেষ ইচ্ছা ছিলো তার কবর যেন তার ভালোবাসার মানুষ এন্থনির সাথেই দেয়া হয়। তাই অনেকেই ধারণা করেন, ক্লিওপেট্রার কবর অন্য ফারাওদের মতো মিশরে না, হয়েছিলো আলেক্সান্দ্রিয়ার পাশের এক শহর তাপোশিরিশে।
তাপোশিরিশে ২০০৮ সাল থেকেই গবেষকেরা ক্লিওপেট্রার কবরের সন্ধান শুরু করেন। ২০১৯ সালে ক্লিওপেট্রার কবর খুজে না পাওয়া গেলেও, গবেষক মার্টিনেজ জানান যে তারা এখানে ক্লিওপেট্রার চেহারা লাগানো মুদ্রা এবং ১০ টি মামি খুজে পেয়েছেন। তবে এই দশটি মামির একটিও ক্লিওপেট্রার নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে, কারন ক্লিওপেট্রা তার স্বামী মার্ক এন্থনির সাথে কবরে যেতে চেয়েছিলেন।
এদিকে গ্রীক নিয়মানুসারে মার্ক এন্থনির কবর না দিয়ে তাকে সৎকার করানোর কথা। তাই মার্ক এন্থনি এবং ক্লিওপেট্রা যে একসাথে কবরে শুয়েছিলেন, তার স্পষ্ট নথিপত্রও নেই। কিন্তু এই তথ্য আছে যে অক্টাভিয়ান ক্লিওপেট্রার এই একসাথে কবরে শোয়ার অনুরোধ গ্রহন করেছিলেন। সেক্ষেত্রে ক্লিওপেট্রার কবরে মার্ক এন্থনিকে খুজে না পাওয়া গেলেও, তার ছাই ভরা পাত্র অবশ্যই ক্লিওপেট্রার মামির পাশে থাকবে।
বিজ্ঞানী এবং গবেষকেরা আজও তাদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। হয়তো খুব শীঘ্রই ক্লিওপেট্রার মমি খুজে পাওয়া যাবে।
বর্তমান সময়ে ক্লিওপেট্রা
ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ক্লিওপেট্রার প্রতি আগ্রহ আজও কমেনি। বিভিন্ন সিনেমা, টেলিভিশন শো অথবা হালের ভিডিও গেমসেও ক্লিওপেট্রাকে দেখতে পাওয়া যায় মাঝেমধ্যেই। ১৯৬৩ সালে ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে নির্মিত হলিউডের সিনেমাটি তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা হিসেবে পরিচিতি পায়। এমনকি বক্স অফিসেও এই সিনেমা অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখায়।
তবে ক্লিওপেট্রার চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেইলর ইহুদি হওয়ায় তৎকালীন মুসলিম দেশগুলোতে এই সিনেমা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরবর্তীতে অবশ্য এইসব দেশেও এই সিনেমা দেখানোর অনুমতি ���াওয়া যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্লিওপেট্রার জীবনী নিয়ে নেটফ্লিক্স একটি মিথ্যা প্রচারমূলক ডকুমেন্টারি তৈরি করে, যেখানে ক্লিওপেট্রাকে কালো চামড়ার নারী এবং সর্বক্ষমতার অধিকারী রাণী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। এখানে এও দেখানো হয় যে ক্লিওপেট্রার জন্যই জুলিয়াস সিজার এবং এন্থনি ক্ষমতাবান হতে পেরেছিলেন। এই ডকুমেন্টারি নিয়ে মিশর অফিসিয়ালি ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং এই ডকুমেন্টারির জন্য নেটফ্লিক্সের নামে মামলা পর্যন্ত করা হয়।
২০২৩ সালে এসেও মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে তরুণ সমাজে এই আগ্রহই বলে দেয়, ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ক্ষমতাবান নারী, যিনি তার রাজ্য ও অধিকারের জন্য নিজেকে দেবীর মর্যাদায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তাকে নিয়ে হয়তো আজীবনই চলবে এই গুণগান।
youtube
1 note
·
View note
Text
স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় মেঘনা রানী (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী নির্মল চন্দ্র রায়কে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের বুড়িরহাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্মল চন্দ্র রায় আঠিয়াবাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকার পুলেন চন্দ্র রায়ের ছেলে। এর আগে, একইদিন সকাল ৭টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে মেঘনা রানীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন…
View On WordPress
0 notes
Text
ঝালকাঠি ইকোপার্কে স্ত্রীকে হত্যার পরে স্বামীর থানায় আত্মসমর্পণ।
ঝালকাঠিতে পরকিয়া প্রেমের জেরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়ে থানায় আত্মসমর্পন করেছে স্বামী আলী ইমাম খান অনু (৩০)। সোমবার সকাল ১০টার দিকে প্রস্তাবিত ইকোপার্কে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। সে শহরের ইছানীল (৭নং ওয়ার্ড) এলাকার দিদার হোসেন খান’র পুত্র ও জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি। নিহত সায়মা পারভিন (২০) এ বছর মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সে সদর উপজেলার নৈকাঠি এলাকার…
View On WordPress
0 notes
Text
শ্রীপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীসহ প্রেমিক'কে হত্যা করে স্বামী পলাতক
শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীপুরের শ্রীপুরে পৌর ৭নং ওয়ার্ড চন্নাপাড়া এলাকায় পরকীয়া জেরে স্ত্রীসহ প্রেমিককে হত্যা করে স্বামী পলাতক, ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম বিশ্বাস (৩৬) নামের পরকীয়া’র প্রেমিক। এসময় মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান স্ত্রী তাসলিমা (২৭)। (৪’ই নভেম্বর ২০২৪) সোমবার, সকাল আনুমানিক ১১:ঘটিকার সময় শ্রীপুর পৌর ৭নং ওয়ার্ড কেওয়া চন্নাপাড়া এলাকার…
0 notes
Link
সীতাকুণ্ডে গৃহবধূ সায়মা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্বামী দিদার আলম আদালতে দায় স্বীকার ক
0 notes
Link
নোয়াখালীর মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনি থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ
0 notes
Link
মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযো
0 notes