#স্বামী হত্যা
Explore tagged Tumblr posts
Text
শ্রীপুরে গভীর রাতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রীপুরে গভীর রাতে স্ত্রী ও আত্নীয় স্বজন সহ শশুরবাড়ি এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে নামার পর, স্ত্রী মাহমুদা আক্তারকে উত্যক্ত করে কয়েকজন কিশোর । প্রতিবাদ করায় স্বামী হাসিবুল হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা । হাসিবুল ইসলাম শ্রীপুর উপজেলার মসজিদ মোড় এলাকায় শশুর বাড়িতে থেকে একটা ফার্মেসী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন । হাসিবুল ইসলাম আব্দুল হাই এর ছেলে ।…
0 notes
Text
দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন
সিলেটের গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন ওই স্ত্রী, এমনটিও দাবি করছেন স্থানীয়রা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি ��িশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের। এ…
0 notes
Link
স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু ও
0 notes
Text
1 note
·
View note
Link
0 notes
Text
রূপগঞ্জে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পলাতক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শিংলাবো গ্রামের গৃহবধূ হাফসা আক্তার কাকলীকে(২৭) গত ১১ জানুয়ারি রাতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা(৩২) পিটিয়ে তার স্ত্রী কাকলীকে হত্যা করে। রূপগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের লাভড়াপাড়া গ্রামের ইসমাঈল মিয়া মামুনের মেয়ে কাকলীর সঙ্গে ছয় বছর আগে শিংলাবো গ্রামের…
View On WordPress
0 notes
Text
রাজশাহীর বাগমারায় দেবরের হাতে ভাবী খুন
আপেল মাহমুদ রাঙা, বাগমারা প্রতিনিধি: ভাতিজাকে বাঁচাতে গিয়ে দেবর জয়নাল আবেদীনের হাতে ��ুন হন ভাবী জাহানারা বেগম (৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরসিংহপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু হানিফ বাদী হয়ে ৫ জনের নামে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাগমারা থানার…
View On WordPress
0 notes
Text
চান্দিনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা, স্বামী স্ত্রী গ্রেফতার
মির্জা সাগর, কুমিল্লা : কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায় ছাড়াগাও এলাকা স্বামীর সাথে মিলে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করে প্রেমিকা ও তার স্বামী। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক স্বামী শুক্কুর আলী ও স্ত্রী ফাতেমা আকতারকে গ্রেফতার করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান। নিহত আরিফ…
View On WordPress
0 notes
Text
মিশরের সৌন্দর্যের রানী ক্লিওপেট���রার বিস্ময়কর ইতিহাস | History Of Queen Cleopatra
সূচনা
মিশরীয় ইতিহাস, ঐতিহাসিক রাণী বা ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের তালিকা, এরকম অনেক তথ্য উপাত্ত জোগাড় করতে গেলে যেই নামটা বারবার সামনে চলে আসবে, সেইটা হচ্ছে রাণী ক্লিওপেট্রার নাম। ইতিহাসে তার মতো রাণীর উদাহরণ যেমন নেই, তেমনি নেই তার মতো চৌকস, বুদ্ধিমতী নারীর উদাহরণও। হাজার বছর আগের এতো এতো রাজা মহারাজার মাঝে রাণী ক্লিওপেট্রার নাম আজও বেঁচে আছে, তার মানে এই যে রাজত্বকালীন সময়ে তিনি এমন কিছু কাজই করেছেন, যা তাকে করেছে ইতিহাসের পাতায় অমর। কিন্তু কি সেই কাজ? ক্লিওপেট্রার ইতিহাসই বা কি? আজ বলবো ক্লিওপেট্রার আদ্যোপান্ত নিয়ে।
ক্লিওপেট্রার জাতীয়তা
��হুবছর ধরেই মানুষের ধারণা ছিলো, মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রার জাতীয়তাও মিশরীয়ই হবে। কিন্তু ২০২৩ সালে পিংকেট স্মিথ প্রযোজিত ডকুসিরিজ ‘ক্লিওপেট্রা’ তে রাণী ক্লিওপেট্রাকে একজন কালো চামড়ার নারী হিসেবে দেখানো হয়। আর এই ডকুসিরিজ প্রকাশ হওয়ার পর সারাবিশ্বে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়, কারন ক্লিওপেট্রা কখনই কালো ছিলেন না।
তাহলে তার জাতীয়তা কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লিওপেট্রা পুরোপুরি মিশরীয়দের মতো মধ্যপ্রদেশীয়ও ছিলেন না। তার পূর্বপুরুষদের ব্যাপারে জানতে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিওপেট্রার আদিনিবাস সুদূর গ্রীসে। ইতিহাসের পাথা ঘেটে দেখা গেছে, ক্লিওপেট্রার পরিবারে ইরানীয়ান এবং পার্সিয়ান জীনের অস্তিত্ব থাকলেও, আফ্রিকান কোনও পারিবারিক অস্তিত্ব কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি। তাই ক্লিওপেট্রা পার্সিয়ান, নাকি গ্রীক, নাকি মিশরীয়, তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। তবে তিনি কালো ছিলেন কিনা, তা নিয়ে কোনও তর্কের অবস্থা নেই।
ক্লিওপেট্রার ভাই তার স্বামী
শুনলে খুবই বিদঘুটে লাগলেও, ক্লিওপেট্রা তার ছোট ভাই টলমি দ্যা থার্টিনকে বিয়ে করেন। তৎকালীন মিশরীয় রাজ্যপরিবারে পারিবারিক শিকর ঠিক রাখার জন্য রাজার ছেলে-মেয়েদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করার নিয়ম চালু ছিলো। সেই নিয়ম থেকেই ১৮ বছর বয়সী ক্লিওপেট্রা তার ১০ বছর বয়সী ভাইকে বিয়ে করেন। তবে এই বিয়ের পরপরই ক্লিওপেট্রাকে মিশর ছাড়তে হয় রাজনৈতিক কুটচালের জন্য।
ক্লিওপেট্রা এবং টলমি দ্যা থার্টিনকে যৌথভাবে রাজ্য পরিচালনার অধিকার দেয়া হলেও, টলমির উজির এবং তার পরামর্শকদের কুটচালে ক্লিওপেট্রাকে তিন বছর মিশরের বাইরে থাকতে হয়। তবে এই তিন বছরে ক্লিওপেট্রা রোমের সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন, আর তাকে নিয়ে মিশরে পৌছান। রোম সম্রাট সিজারের ক্ষমতা সম্পর্কে সবাই জানতেন বলেই, ক্লিওপেট্রার সাথে কেও আর ঝামেলা করতে রাজি হয়নি। বন্ধুত্বপূর্ণ সিজার ক্লিওপেট্রাকে আবারও মিশরের যৌথ রাজ্য পরিচালকের পদে বসান এবং সেইসাথে নিশ্চিত করেন যাতে এই অধিকারের আবার কোনও হেরফের না হয়।
ক্লিওপেট্রার দেবী খেতাব
ক্লিওপেট্রা মিশরের মানুষের মাঝে তার প্রভাব বিস্তার করার জন্য ঘোষণা করেছিলেন, তিনি জাদু ও সিংহাসনের রাণী, দেবী আইসিস।
তৎকালীন মিশরে দেবী আইসিস অনেক বড় এক নাম ছিলো। সুতরাং ক্লিওপেট্রা যখন নিজেকে আইসিস বলে পরিচয় দেয়, অনেকেই সাথে সাথে সেই ঘোষণাকে গ্রহন করেছিলো। কেউ কেউ এই ঘোষণাকে এতটাই সত্যি ভে��ে নিয়েছিলো যে, ক্লিওপেট্রার জীবনের অনেক ঘটনার সাথেই তারা দেবী আইসিস এর জীবনীর মিল খুজে পেতে শুরু করেন। ক্লিওপেট্রার চার সন্তানের সবচেয়ে ছোট সন্তানকে অনেকেই সূর্যদেবতা হোরাস মনে করতে থাকে, কারন হোরাস দেবী আইসিস এর ছেলে ছিলেন।
ক্লিওপেট্রার প্রেম
ক্লিওপেট্রা যখন রোমের সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সাথে দেখা করতে যান, তখন টলমি সৈন্যরা তাকে আটকানোর ব্যবস্থা করে রেখেছিলো। কিন্তু তাদের চোখে ধুলো দিয়ে ক্লিওপেট্রা এক অদ্ভুত পদ্ধতি অবলম্বন করেন জুলিয়াস সিজার পর্যন্ত পৌছানোর জন্য।
তিনি নিজেকে একটি বড় কার্পেট দিয়ে মুড়িয়ে ফেলেন এবং একজন ব্যক্তিকে দিয়ে সেই মোড়ানো কার্পেট বহন করিয়ে জুলিয়াস সিজারের ব্যক্তিগত ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। যখন কার্পেট সরিয়ে লাস্যময়ী ক্লিওপেট্রা বের হয়ে আসেন, তখন তাকে প্রথম দেখাতেই পছন্দ করে ফেলেন জুলিয়ান সিজার।
মিশরে ক্লিওপেট্রার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার পরেও জুলিয়াস সিজার এবং ক্লিওপেট্রার সম্পর্ক বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। জুলিয়াস সিজার ক্লিওপেট্রাকে এতোটাই পছন্দ করতেন, তিনি ক্লিওপেট্রার একটি স্বর্ণমূর্তী তার ভেনাস জেনেট্রিক্স মন্দিরে প্রতিস্থাপন করেন। ক্লিওপেট্রা জুলিয়াস সিজারের সম্পর্কের ফল হিসেবে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়, যার নাম দেয়া হয় সিসারিয়ান।
কিন্তু রোমে জুলিয়াস সিজারকে যখন হত্যা করা হয়, ক্লিওপেট্রার ক্ষমতা এবং মিশরের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ে। সেখান থেকে পরিত্রাণ পেতে ক্লিওপেট্রা আশ্রয় নেন রোমের আরেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এন্থনির বাহুডোরে। ধীরে ধীরে এন্থনি এবং ক্লিওপেট্রার প্রেম হারিয়ে দেয় গল্পকেও। তাদের ভালোবাসার ফসল হিসেবে ক্লিওপেট্রা জন্ম দেন তিন সন্তানের। বিখ্যাত এই প্রেমগাথা নিয়ে কালজয়ী লেখক উইলিয়াম শেক্সপিয়ার লিখে গেছেন তার জনপ্রিয় নাটিকাও।
ক্লিওপেট্রার নৌবাহিনী
মার্ক অ্যান্টনি এবং ক্লিওপেট্রা শেষ পর্যন্ত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে রোমে মার্ক এন্থনির বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়ে যায়। এন্থনিকে একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে ঘোষণা প্রদান করা হয়, যা পরবর্তীতে দুইপক্ষের সম্পর্ক ক্রমেই খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। শেষপর্যন্ত ৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমান সিনেটের প্রভাবশালী অক্টাভিয়ান মার্ক এন্থনির সাথে যুদ্ধের ঘোষণাও দিয়ে বসেন।
জবাবে মার্ক এন্থনি ক্লিউপেট্রার নৌবাহিনী নিয়ে অক্টাভিয়ানের সাথে নৌযুদ্ধে শামিল হয়, যেই যুদ্ধে ক্লিউপেট্রা নিজেই তার নৌবাহিনীকে পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে অক্টাভিয়ানের নৌবাহিনী শক্তি, সামর্থ এবং আকারে এন্থনি-ক্লিউপেট্রা বাহিনীর চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকায় যুদ্ধে এন্থনি-ক্লিওপেট্রার হার মেনে নিতে হয়। এই যুদ্ধে জয়লাভের পর অক্টাভিয়ান নিজেকে প্রিন্স উপাধী দিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং রোমের অধীনে থাকা বা��ি এলাকার ক্ষমতাও তার হাতে চলে আসে। আর সেই বাকি এলাকার মধ্যে ক্লিউপেট্রার মিশরও অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
ক্লিওপেট্রার মৃত্যু
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাজনৈতিক লড়াই শেষে যখন এন্থনি এবং ক্লিওপেট্রার বিদায়ঘন্টা বেজে যায়, তখন দুজনই সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা রোমের হাতে জীবন বিলিয়ে না দিয়ে, নিজেরাই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লিওপেট্রা একধরণের বিষাক্ত সাপের কামড় স্বেচ্ছায় গ্রহন করেন মারা যাওয়ার জন্য। আবার অনেকে মনে করেন, ক্লিওপেট্রা সুঁই এর মাথায় বিষাক্ত শাপের বিষ মাখিয়ে তা নিজের শরীরে এমনভাবে প্রবেশ করান, যা দেখে মনে হবে যে তিনি শাপের কামড়ে মারা গেছেন।
তবে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে যেমন অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে, তেমনি রয়েছে তার কবর নিয়েও রহস্য। হাজার বছর পার হয়ে গেলেও, আজও ক্লিওপেট্রার কবরস্থান খুজে বের করা যায়নি। মিশরীয় সাম্রাজ্যের নিয়মানুসারে যদি ক্লিওপেট্রার দাফনকাজ করা হয়ে থাকে, তাহলে তার মমি মিশরের বুকে কোথাও না কোথাও খুজে পাওয়ার কথা। তবে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা আজও সেই মমি বা ক্লিওপেট্রার কবর, কোনটারই কোনও হদিস করতে পারেনি।
ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্য
ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে কথা হলেই মনের অজান���তেই তার সৌন্দর্যের কথা সামনে চলে আসে। কিন্তু বাস্তবে তিনি কতটা সুন্দরী ছিলেন?
এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সত্যিকার অর্থে নেই। তবে ইতিহাসের দুই মহাক্ষমতাশীল পুরুষকে বশ করার পর অনুমান করা যায়, ক্লিওপেট্রা এক লাস্যময়ী নারীই ছিলেন। রোমান ইতিহাসবিদ ক্যাসিয়াস ডিও ক্লিওপেট্রা সম্পর্কে লিখেছিলেন, ক্লিওপেট্রা সৌন্দর্যের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছিলেন। সৌন্দর্যের নতুন নাম ক্লিওপেট্রা।
আবার আরেক গ্রীক ইতিহাসবিদ লিখেছেন যে তার সৌন্দর্য এতটাও অসাধারণ কিছু ছিল না যে লোকেরা তাকে দেখে থমকে দাঁড়াবে। তবে এই উক্তিগুলোর একটাও ক্লিওপেট্রার জীবদ্দশায় লেখা হয়নি, এই উক্তিগুলোর কোনোটিকেই বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আর বিশ্বাস করবেনই বা কিভাবে? একজন মানুষের মৃত্যুর ২০০ বছর পরে তার রুপের বর্ণনা লেখা হলে, তা কি বিশ্বাস করা যায়?
ক্লিওপেট্রার আদলে নির্মিত কোনও মূর্তি বা ছবি আজও কোথাও খুজে পায়নি গবেষকরা। তবে পুরানো আমলের মুদ্রায় আদলে ছবি দেয়া থাকতো এবং সেই ছবি দেখে অন্তত ক্লিওপেট্রাকে সৌন্দর্যের আধার কেন যেন বলা যায় না। মুদ্রার উপর থাকা তার ছবিতে দেখা যায় ক্লিওপেট্রার পুরুষালি চেহারা আর লম্বা নাকের চিত্র। তবে এইটাও মাথায় রাখতে হবে যে মুদ্রার উপরে থাকা চিত্র অতীতে রাজনৈতিক কারণেও ব্যবহার করা হতো, যাতে করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছানো যায়। ক্লিওপেট্রার পুরুষ বৈশিষ্ট্যগুলি দেওয়ার উদ্দেশ্য হতে পারে একজন নারী শাসককে সাধারণ জনগনের কাছে প্রভাবশালী করা।
ক্লিওপেট্রার রূপ নিয়ে তর্কবিতর্ক যাই করি না কেন, তার বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসের নিয়ে যেমন কোনও প্রশ্ন নেই, ঠিক তেমনি জুলিয়াস সিজার এবং মার্ক এন্থনির মতো প্রভাবশালী দুই পুরুষকে যে তিনি তার রুপের জাদুতে বশ করেছিলেন, তা নিয়েও কোনও সন্দেহ নেই।
ক্লিওপেট্রার কবর
মিসরের স্বর্ণযুগের রাণী ক্লিওপেট্রার কোনও মূর্তী অথবা ছবি যেমন খুজে পাওয়া যায়নি, ঠিক তেমনি খুজে পাওয়া যায়নি তার কবরও। কিন্তু মিসরের ইতিহাস অনুযায়ী, ক্লিওপেট্রার কবর অন্যান্য ফারাওদের মতোই হওয়ার কথা। অন্য সবার হদিস পাওয়া গেলেও, ক্লিওপেট্রার হদিস আজও খুজে পায়নি কোনও গবেষক কিংবা উৎসুক কোনও অভিযাত্রী।
ক্লিওপেট্রার শেষ ইচ্ছা ছিলো তার কবর যেন তার ভালোবাসার মানুষ এন্থনির সাথেই দেয়া হয়। তাই অনেকেই ধারণা করেন, ক্লিওপেট্রার কবর অন্য ফারাওদের মতো মিশরে না, হয়েছিলো আলেক্সান্দ্রিয়ার পাশের এক শহর তাপোশিরিশে।
তাপোশিরিশে ২০০৮ সাল থেকেই গবেষকেরা ক্লিওপেট্রার কবরের সন্ধান শুরু করেন। ২০১৯ সালে ক্লিওপেট্রার কবর খুজে না পাওয়া গেলেও, গবেষক মার্টিনেজ জানান যে তারা এখানে ক্লিওপেট্রার চেহারা লাগানো মুদ্রা এবং ১০ টি মামি খুজে পেয়েছেন। তবে এই দশটি মামির একটিও ক্লিওপেট্রার নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে, কারন ক্লিওপেট্রা তার স্বামী মার্ক এন্থনির সাথে কবরে যেতে চেয়েছিলেন।
এদিকে গ্রীক নিয়মানুসারে মার্ক এন্থনির কবর না দিয়ে তাকে সৎকার করানোর কথা। তাই মার্ক এন্থনি এবং ক্লিওপেট্রা যে একসাথে কবরে শুয়েছিলেন, তার স্পষ্ট নথিপত্রও নেই। কিন্তু এই তথ্য আছে যে অক্টাভিয়ান ক্লিওপেট্রার এই একসাথে কবরে শোয়ার অনুরোধ গ্রহন করেছিলেন। সেক্ষেত্রে ক্লিওপেট্রার কবরে মার্ক এন্থনিকে খুজে না পাওয়া গেলেও, তার ছাই ভরা পাত্র অবশ্যই ক্লিওপেট্রার মামির পাশে থাকবে।
বিজ্ঞানী এবং গবেষকেরা আজও তাদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। হয়তো খুব শীঘ্রই ক্লিওপেট্রার মমি খুজে পাওয়া যাবে।
বর্তমান সময়ে ক্লিওপেট্রা
ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ক্লিওপেট্রার প্রতি আগ্রহ আজও কমেনি। বিভিন্ন সিনেমা, টেলিভিশন শো অথবা হালের ভিডিও গেমসেও ক্লিওপেট্রাকে দেখতে পাওয়া যায় মাঝেমধ্যেই। ১৯৬৩ সালে ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে নির্মিত হলিউডের সিনেমাটি তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা হিসেবে পরিচিতি পায়। এমনকি বক্স অফিসেও এই সিনেমা অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখায়।
তবে ক্লিওপেট্রার চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেইলর ইহুদি হওয়ায় তৎকালীন মুসলিম দেশগুলোতে এই সিনেমা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরবর্তীতে অবশ্য এইসব দেশেও এই সিনেমা দেখানোর অনুমতি পাওয়া যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্লিওপেট্রার জীবনী নিয়ে নেটফ্লিক্স একটি মিথ্যা প্রচারমূলক ডকুমেন্টারি তৈরি করে, যেখানে ক্লিওপেট্রাকে কালো চামড়ার নারী এবং সর্বক্ষমতার অধিকারী রাণী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। এখানে এও দেখানো হয় যে ক্লিওপেট্রার জন্যই জুলিয়াস সিজার এবং এন্থনি ক্ষমতাবান হতে পেরেছিলেন। এই ডকুমেন্টারি নিয়ে মিশর অফিসিয়ালি ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং এই ডকুমেন্টারির জন্য নেটফ্লিক্সের নামে মামলা পর্যন্ত করা হয়।
২০২৩ সালে এসেও মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে তরুণ সমাজে এই আগ্রহই বলে দেয়, ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ক্ষমতাবান নারী, যিনি তার রাজ্য ও অধিকারের জন্য নিজেকে দেবীর মর্যাদায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তাকে নিয়ে হয়তো আজীবনই চলবে এই গুণগান।
youtube
1 note
·
View note
Text
স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় মেঘনা রানী (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী নির্মল চন্দ্র রায়কে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ১০ টা�� দিকে উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের বুড়িরহাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্মল চন্দ্র রায় আঠিয়াবাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকার পুলেন চন্দ্র রায়ের ছেলে। এর আগে, একইদিন সকাল ৭টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে মেঘনা রানীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন…
View On WordPress
0 notes
Text
ঝালকাঠি ইকোপার্কে স্ত্রীকে হত্যার পরে স্বামীর থানায় আত্মসমর্পণ।
ঝালকাঠিতে পরকিয়া প্রেমের জেরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়ে থানায় আত্মসমর্পন করেছে স্বামী আলী ইমাম খান অনু (৩০)। সোমবার সকাল ১০টার দিকে প্রস্তাবিত ইকোপার্কে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। সে শহরের ইছানীল (৭নং ওয়ার্ড) এলাকার দিদার হোসেন খান’র পুত্র ও জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি। নিহত সায়মা পারভিন (২০) এ বছর মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সে সদর উপজেলার নৈকাঠি এলাকার…
View On WordPress
0 notes
Text
শ্রীপুরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা পরিবারের দাবি হত্যা
হাজ্বীঃআসাদুজ্জামান স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কেওয়া পশ্চিম খন্ড মোঃ সুরুজ মিয়ার মেয়ে আকলিমা আক্তার শিমু (২১) নির্যাতনের শিকার হয়ে শ্বশুর বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনার বিষয়ে পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে তার স্বামী নির্যাতন করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে। গত চার বছর পূর্বে…
0 notes
Link
সীতাকুণ্ডে গৃহবধূ সায়মা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্বামী দিদার আলম আদালতে দায় স্বীকার ক
0 notes
Link
নোয়াখালীর মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনি থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ
0 notes
Link
মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযো
0 notes
Text
#বিরিয়ানি_ও_মুঘল
মানবসভ্যতার ইতিহাস একদিনের নয়, হাজার হাজার বছরের জানা অজানা সময়ের পটভূমিতে এই ইতিহাস রচনা হয়েছে।
এই ইতিহাসের গতিপথে নানান সভ্যতার উত্থান যেমন হয়েছে, তেমন নানান সভ্যতার পতনও হয়েছে, যা কিছু আমরা জানি আর অনেক কিছুই জানিনা।
পৃথিবীর আধুনিক ইতিহাসের একদম শুরুতেই ভারতে সভ্যতার উত্থান হয়েছিল। ভারতের এই সভ্যতার অগ্রগতির পথে ভারত সাক্ষী থেকেছে বৃহৎ বৃহৎ সভ্যতার উত্থান ও পতন কিন্তু ভারত তার নিজের জায়গায় সেই আদি থেকে বর্তমানে অবিচলই আছে।
এনুবিশ, ওডিন, জিউস, এপেলোর মতো মহান শক্তিশালী ভগবানের উত্থান পতন আজও কৈলাশের চূড়াতে বসে দেখে যাচ্ছেন মহাদেব।
কেন দেখে যাচ্ছে? কারণ আমাদের সংস্কৃতির ভিত্তি এতটাই দৃঢ়ভাবে আমাদের রক্ষা করে যাচ্ছে।বাহুবলের থেকে সংস্কৃতির দৃঢ়তা নিজের অস্তিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর।
প্রত্যেক সভ্যতায় ভালো সময় ও খারাপ সময় আসে। তেমন ভারতেও এসেছি, যা মধ্যযুগ থেকে শুরু হয়।ইসলামীক শাসনে হত্যা, ধর্মান্তরিতকরণ হলেও, আমাদের সংস্কৃতির মৃত্যু তেমনভাবে হয়নি, যা ইসলামীক পরবর্তী সময় সুন্দর ভাবে সংগঠিত হয়েছি।
এইবার ভূমিকা ছেড়ে মূল বিষয়ে আসাযাক। মূল ভারতীয় সমাজে মাংস কিন্তু কোন সময়ে সর্বজন গ্রহণীয় ছিলনা, যারা মাংস খেত তারাও বিভিন্ন নিয়ম, নিষেধ মেনেই নির্দিষ্ট মাংসই খেত।
এক সময় বিরিয়ানি মতো খাদ্যকে যখন ভারতীয়রা ম্লেচ্ছ খাবার হিসাবেই দেখতেন তখন মিশনারী ও বামৈস্লামিকরা এই খাদ্যকে সমাজে প্রবেশ করবার জন্যই বিরিয়ানির সঙ্গে উপনিষদে�� যোগসূত্র স্থাপন করেন আবার তারাই এখন বলছে এই খাবার নাকি তাদের বাবা মুঘলরা ভারতে এনেছে।
দেখাযাক ব্যাপারটা কিরকম। দেখুন আমি মাকু নই সুতরাং আমি নিজের তৈরি ন্যারেটিভে নিজে নাস্তানাবুদ হইনা। আমি এই লেখাতে প্রথমে মাকুদের উপনিষদীয় ন্যারেটিভটা দেবো যাতে প্রমাণ হয় বিরিয়ানি ভারতীয় খাবার, আবার ঐ ন্যারেটিভেরই কাউন্টার দেবো যাতে প্রমাণ হয় মাকুরা অশিক্ষিত, তাহলে মাকুদের হাতে দুটি পথ খোলা থাকবে ১) বিরিয়ানি ভারতীয় খাবার স্বীকার করতে হবে ২) নিজের অশিক্ষিত ও ভারত বিদ্বেষী এটা স্বীকার করে নিতে হবে।
দেখুন বিরিয়ানি একটি উপাদেয় খাদ্য আমাদের সমাজে একথা অস্বীকার করবার উপায় নেই।আমাদের সমাজে বিরিয়ানি একটি সুখাদ্য হিসাবে বিরাট স্থান নিয়ে নিয়েছে,উৎসব অনুষ্ঠানে আমাদের অনেকেরই প্রিয় ও পছন্দসই খাদ্য হল বিরিয়ানি। যদিও এই খাদ্যের মধ্যে কি খাদ্যগুণ লুকিয়ে রয়েছে তা আমার জ্ঞানের বাইরে।
কিন্তু বিরিয়ানি নাম শুনলেই এখনও অনেক হিন্দু এই খাদ্যকে যবন ও ম্লেচ্ছ খাদ্য হিসাবে নাকসেটকায় কারণ যেসব ইতিহাস এই বিরিয়ানি কে নিয়ে জানা যায় তা থেকে এটাই বোঝা যায় বিরিয়ানি নামটি বিদেশি, যা ইরান দেশ থেকে মোঘলদের হাত ধরে ভারতে প্রসিদ্ধি লাভ করে।
কিন্তু আমি যদি বলি এই কথা সত্যি না, বিরিয়ানি খাদ্যের প্রথম পুরুষ এই ভারতেরই এবং এটা কোন ম্লেচ্ছ খাদ্য নয় নামটা ম্লেচ্ছিয় হতে পারে, এই খাদ্যটি ১০০% দেশীয় বৈদান্তিক খাদ্য।আপনার কি আমার কথা বিশ্বাস করবেন? জানি করবেননা, কারণ আমি কোন হরিদাস পাল নয় যে আপনারা আমার কথা বিশ্বাস করবেন।আপনাদের দরকার প্রমাণ, ঠিক আছে আমি সেই প্রমাণটাই দিচ্ছি এবং বিরিয়ানিকে ম্লেছ নামের বদনাম থেকে মুক্ত করি।
বৃহদায়ণ্যক উপনিষদের চতুর্থ ব্রাহ্মণের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য নানাপ্রকার ক্রিয়ার বিধানে এক প্রসঙ্গে ৪২১ নম্বর মন্ত্রে বলেন যে,,,, " অথ য ইচ্ছেৎ পুত্রো মে পণ্ডিতো বিজিগীতঃ সমিতিঙ্গমঃ শুশ্রূষিতাং বাচং ভাষিতা জায়েত সর্বা বেদননুরব্রবীৎ সর্বমায়ুরিয়াদিত�� মাংসৌদনং পচায়িত্বা সপির্ষমন্তম অশ্লীয়াতাম।"
যার সোজা বাংলা এটাই "যে চায় তার পুত্র পণ্ডিত,প্রখ্যাত,সবারপ্রিয় অথচ মিষ্টিভাষী হবে এবং দীর্ঘায়ু হবে,তাহলে স্বামী স্ত্রী উচিৎ মাংসের সঙ্গে অন্নও ঘি মিশিয়ে রান্না করে আহার করা"
এটাই হল আধুনিক বিরিয়ানির ১০০% বৈদান্তিক পূর্বপুরুষ, এই ব্যাপারে কার কার সন্দেহ আছে? যদি না থাকে আমাকে দয়া করে বিরিয়ানি খাওয়ান। 😜
#কাউন্টার।
বৃহদারণ্যক উপনিষদের ৬।৪।১৮ কন্ডিকা নিয়ে একটা শঙ্কা আমাদের সামনে প্রায়শই উঠে। শঙ্কটা এরূপ যে, বিদ্বান পূত্র লাভের জন্য স্বামী স্ত্রী উভয়ে বৃষের মাংস দ্বারা পাককৃত অন্ন আহার করবে। প্রায় সব অনুবাদক এমনটাই অনুবাদ করেছে। অর্থাৎ ইহা দ্বারা সনাতন ধর্মে গোমাংস খাওয়ার বিধান সিদ্ধ এমনটা দাবী করে অপপ্রচারকারীরা। মূলত আমাদের ধর্মের মূল স্রোত হলো বেদ। বেদের জ্ঞান দ্বারাই পরবর্তিতে অনেক শাস্ত্র রচিত হয়েছে। সেই বেদে আমরা গোহত্যার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ পাই। গো হত্যা সমন্ধ্যে বেদ বলছে যে, "মা গাম অনাগাম অদিতিম বধিষ্ট" (ঋগবেদ ৮।১০১।১৫) অর্থাৎনিরপরাধ গাভী এবং ভূমিতূল্য গাভীকে কখনো বধ করো না। শুধু তাই নয় গোহত্যাকারীকে দন্ডের বিধান দিয়ে বেদ বলছে যে -যদি আমাদের গাভীকে হিংসা কর যদি অশ্বকে যদি মনুষ্যকে হিংসা কর তবে তোমাকে সীসক দ্বারা বিদ্ধ করিব। (অথর্ববেদ ১।১৬।৪)।
উপনিষদ বেদের অংশ হওয়ার হেতু উপনিষদে গোমাংস আহারের নির্দেশ কদাপি থাকতে পারে না। আমাদের স্থুল বিচার বিবেচনার জন্যই মূলত এরূপ শঙ্কার উদ্ভব হয়েছে। আসুন বিষয়টি নিয়ে একটু বিস্তারিত বিশ্লেষন করা যাক -
.
অথ য ইচ্ছেৎ পুত্রো মে পন্ডিতো বিজিগীতঃ সমিতিঙ্গমঃ শুশ্রুষিতাং বাচ্য ভাষিতা জায়েত সর্বাণ বেদাননুববীত সর্বমায়ুরিয়াদিতি মাষৌদনং পাচয়িত্বা সর্পিষ্মন্তমশ্নীয়াতামীশ্বরৌ জনয়িতবা ঔক্ষেণ বার্ষভেণ বা।।
(বৃহঃ উপঃ ৬।৪।১৮)
.
শব্দার্থঃ (অথ যঃ ইচ্ছেত্ পুত্রঃ মে) এবং যে এই ইচ্ছা করে যে আমার পুত্র (পন্ডিতঃ) বিদ্বান (বিজিগীথঃ) প্রসিদ্ধ (সমিতিয় গমঃ) সভায় গমন যোগ্য (শুশ্রুষিতাম বাচম্ ভাষিতা) আদরের সহিত শ্রবণ যোগ্য ভাষনকারী (জায়েত) হবে (সর্বাণ বেদাননুববীত সর্বম্ আয়ু ইয়াত্ ইতি) সমস্ত বেদের জ্ঞাতা পূর্নায়ুর উপভোক্তা হবে তো (মাষৌদনম্) [পাঠভেদ - মাংসৌদম্] মাষের [কলাই বিশেষ] স��থে চাউল (পাচয়িত্বা সর্পিষ্মন্তম্ অশ্নীয়াতাম্ ইশ্বরী জনয়িতবৈঃ) পাক করে ঘৃতের সাথে উভয়ে [স্বামী স্ত্রী] আহার করে তো (অপেক্ষেত পুত্র) পুত্র উৎপন্ন করতে সমর্থ হবে (ঔক্ষেণ বা আর্ষভেণ) ঔক্ষ [বিধি] দ্বারা অথবা ঋষভ [বিধি] দ্বারা।
.
সরলার্থঃ এবং যে এই ইচ্ছা করে যে আমার পুত্র বিদ্বান প্রসিদ্ধ সভায় গমন যোগ্য আদরের সহিত শ্রবণ যোগ্য ভাষনকারী হবে, সমস্ত বেদের জ্ঞাতা পূর্নায়ুর উপভোক্তা হবে তো মাষের [কলাই বিশেষ] সাথে চাউল পাক করে ঘৃতের সাথে উভয়ে [স্বামী স্ত্রী] আহার করে তো পুত্র উৎপন্ন করতে সমর্থ হবে ঔক্ষ [বিধি] দ্বারা অথবা ঋষভ [বিধি] দ্বারা।
.
তাৎপর্যঃ এই কন্ডিকার মধ্যে বর্ণিত পুত্র প্রাপ্তির জন্য বলা হয়েছে যে, মাষের সাথে পাককৃত চাউল বিধির সাথে আহার করা উচিৎ। এই পুত্র এবং পুত্রি উৎপন্ন করার জন্য অপেক্ষিত সাধনের কাজে নেবার শিক্ষাকে সমাপ্ত করে ইহা বলা হয়েছে যে, সব প্রকারে পুত্র কে উৎপন্ন করা আদির কৃত্য ঔক্ষ এবং আর্ষভ বিধি দ্বারা করা উচিৎ।
.
ঔক্ষ বিধিঃ ঔক্ষ শব্দ উক্ষ (সেচনে) ধাতু হতে এসেছে। উক্ষ দ্বারা উক্ষণ এবং উক্ষণের বিশেষন ঔক্ষ। ঔক্ষ বিধি বর্ণনাকারী শাস্ত্রকে ঔক্ষ শাস্ত্র বলে। কোন মিশ্রিত ঔষধি পাক আদি তৈরীতে কোন কোন ঔষধি কি কি মাত্রায় পড়া উচিৎ তাহা বর্ণনাকারী শাস্ত্রের নাম ঔক্ষ শাস্ত্র। অভিপ্রায় এই যে, উপরিউক্ত মাষের অথবা তিলৌদন আদির প্রস্তুতে এই (ঔক্ষ শাস্ত্র) র মর্যাদা কে লক্ষ্য রেখে কাজ করা উচিৎ।
.
আর্ষভ বিধিঃ আর্ষভ - ঋষভ শব্দের বিশেষন। ঋষভ এবং ঋষি শব্দ পর্যায়বাচক। আর্ষভের অর্থ ঋষিকৃত অথবা ঋষিদের বানানো কিছু। ঔক্ষ শাস্ত্রের সাথে এই আর্ষভ শব্দের ভাব এই যে, ঋষিদের বানানো বিধি (পদ্ধতি) র নামই ঔক্ষ শাস্ত্র। অর্থাৎ কোন অনভিজ্ঞর বানানো বিধিকে ঔক্ষ শাস্ত্র বলা হয় না। ঋষিকৃত পদ্ধতিই ঔক্ষ শাস্ত্র।
.
মাষৌদনঃ যা বলা হয়েছিলো মাষৌদনে পাঠ ভেদ রয়েছে, অনেক গ্রন্থে মাংসৌদন। সিবায় মাংস শব্দের এরূপ অর্থ করেছে যে, (মনঃ সীদত্যস্মিন স মাংসঃ) যাহাতে মন প্রসন্ন হয় তাহাই মাংস। নিরুক্তেও মাংস শব্দের অর্থের মনন, সাধক, বুদ্ধিবর্ধক মন কে রুচি দানকারী বস্তুকে বলা হয়েছে। যা ফলের রসালো অংশ, ঘী, মাখন, ক্ষীর আদি পদার্থ (মাংস মাননং বা মানসং বা মনোস্মিনৎসীদতীতি ; নিরুক্ত ৪।৩)। এবং এই দৃষ্টি দ্বারা মাষৌদন কে মাংসৌদন বলা যায়। এই জন্য কোন প্রকরণে গো মাংস অর্থে মাংসের প্রয়োগ যা এই প্রকরনে নেই। এইজন্য যে দশ ঔষধিকে দ্বারা মাষ এবং ঔদন বর্ননার বিধান রয়েছে তাহার নাম স্বয়ং উপনিষদই উল্লেখ করেছে -
(i) ধান্য (ii) যব (iii) তিল (iv) মাষ (v) বাজরা (vi) প্রিয়জু (vii) গোধূম (viii) মসুর (ix) খল্ব (x) থলকুল।
(বৃহঃ উপঃ ৬।৩।১৩)
এখানে একটা বিষয়ে গভীর ভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ যে, এই ঔষধির গণনা করে দেখা যাচ্ছে তিলের পরেই মাষের উল্লেখ রয়েছে। এইজন্য সতেরো কন্ডিকায় তিলৌদন এবং তাহার পরে আঠারো কন্ডিকায় মাষৌদনের উল্লেখ। অন্যথা মাংসের তো এখানে যেমন বলা হলো তার কোন প্রকরনই নেই।
(বেদ এর অমৃত বাণী)
#আলোচনা।
আশাকরি ব্যাপারটা বুঝলেন। এইবার বলি বৈদিক শব্দ বিন্যাস গুলি মূলত চারটি স্তরে বিন্যাস করা হতো। বৈখরী,মধ্যমা, পশ্যন্তি ও পরা।প্রথম স্তরটি বৈখরী হল সাধারণ স্তর বাকি গুলি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। আমার প্রথম বক্তব্য সেই বৈখরীকে নিয়ে,শেষে গুলি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা।
দেখুন আমরা কেউ সাধু ব্যক্তি নয় আমাদের কাজ করতে হবে সমষ্ঠির উদ্দেশ্য তাই এইসব ব্যাখ্যা ব্যাবহারও করতে হবে পরিস্থিতে সাপেক্ষে যাতে সার্বিক বিজয় ঘটে।
দেখুন সধবা থাকতেই সতিত্ব বজায় রাখুন, স্বামী মরবার পরে সতীত্ব দেখিয়ে লাভ নেই। আত্মবিশ্বাস রাখুন নিজের সংস্কৃতির উপর। ন্যারেটিভ লাগবেনা, এমনই অনেক বাস্তব তথ্য পেয়ে যাবেন।
আরেকটা কথা দক্ষিণ আমেরিকার ফসল (পেরুর) আলুকে পর্তুগিজদের দান বলে চালাতে চায় তাদের বলে রাখি বর্বর ইউরোপিয়দের মানবসভ্যতা কোনপ্রকার দান নেই খালি ব্যাবসা ছাড়া আর সভ্যতার ধ্বংস ছাড়া।
মাংস, ঘি মিশ্রিত অন্ন প্রাচীন ভারতের ক্ষত্রিয়দের অন্যতম প্রিয় খাদ্য এটা মনে রাখবেন।
তবে আরেকটা কথা বিরিয়ানি তৈরি যে চাল ও মসলার দরকার হয় তা আরব,ইরান, তুর্কীতে নয় বহু প্রাচীন যুগ থেকেই ভারতেই উৎপাদন হয়।
ধন্যবাদ।
0 notes