#ধর্মীয় বিদ্বেষ
Explore tagged Tumblr posts
Text
ইসলামোফোবিয়া
ইসলামোফোবিয়া সম্পর্কে আগে থেকে জানার ইচ্ছা ছিলো ,ছোট মানুষ হিসেবে একটু আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। ভুল হলে ধরিয়া দেবেন।
ইসলামোফোবিয়া, অর্থাৎ ইসলামের প্রতি অযৌক্তিক ভয় বা ঘৃণা, আজকের বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যদিও ইসলাম একটি শান্তি ও সহনশীলতার ধর্ম, তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি ভুল ধারণা, ধর্মীয় বিদ্বেষ, এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার কারণে ইসলামোফোবিয়া ক্রমবর্ধমান হয়েছে। এই সমস্যার শিকড় ও পরিণতি নিয়ে আলোচনা করা অপরিহার্য, যাতে আমরা এটির প্রকৃত বাস্তবতা এবং এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের পথটি বুঝতে পারি।
ইসলামোফোবিয়ার উৎপত্তি জটিল এবং বহুমাত্রিক। প্রথমত, এটি প্রধানত ধর্মীয় বৈষম্য এবং অজ্ঞতা থেকে জন্ম নেয়। বহু মানুষ ইসলাম এবং মুসলিম সংস্কৃতি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন না, যা থেকে বিভিন্ন ভুল ধারণা তৈরি হয়। এই অজ্ঞতা ও ভুল ধারণা ��ুলি গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যম দ্বারা আরও প্রশ্রয় পায়, যেখানে ইসলামের বিকৃত চিত্র উপস্থাপন করা হয়।সব চেয়ে আমাদের রাসূল
হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ﷺ) উপর বেশি আঘাত আনা হয় বেশি। তার পবিত্র চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা ইসলাম বিদ্দেষীরা অথচ আলহামদুল্লিলাহ অনেক নাস্তিক তার সম্পর্ক জানার পর ইসলাম আর ছায়া তলে
আশ্রয় নিয়েছে। যদি আমরা জাকির নায়ক এর একটা বিতর্ক প্রোগ্রামে জানতে পারি অনেক ইসলাম দশমন কুরআন ভুল নিয়ে বিতর্ক করতে এসে বার্থ হইসে
পরে ইসলাম গ্রহন করে ।
দ্বিতীয়ত, কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণও ইসলামোফোবিয়ার জন্য দায়ী। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে, যেখানে অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং কর্মসংস্থান সংকট রয়েছে, সেখানকার লোকজন অভিবাসী মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে পারে। তারা মনে করে যে মুসলিমরা তাদের কাজ এবং সামাজিক সুবিধা নিয়ে নিচ্ছে, যা একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ধারণা।
ইসলামোফোবিয়ার প্রভাব
ইসলামোফোবিয়ার প্রভাব ব্যাপক এবং বহুমুখী। এটি শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরেই নয়, বরং সামগ্রিক সমাজেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রথমত, এটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য এবং সহিংসতা বাড়িয়ে তোলে। মুসলিমরা প্রায়ই সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক হয়ে পড়ে, যা তাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
তৃতীয়ত, ইসলামোফোবিয়া সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে। এটি মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করে এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। যখন একটি সমাজ বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে একই চোখে দেখতে ব্যর্থ হয়, তখন সেই সমাজে শান্তি এবং সামাজিক সংহতির অভাব দেখা দেয়।
এটি বৈশ্বিক শান্তি এবং নিরাপত্তার উপরেও প্রভাব ফেলে। ইসলামোফোবিয়া শুধুমাত্র এক দেশের সমস্যা নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বিভিন্ন দেশে এটি ক্রমবর্ধমান হওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ইসলামোফোবিয়া সামরিক হস্তক্ষেপ এবং সংঘর্ষের কারণও হতে পারে, যা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি স্বরূপ।
ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলায় করণীয়
ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গণমাধ্যম এবং শিক্ষার মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত বার্তা এবং এর শান্তিপূর্ণ সংস্কৃতির প্রচার করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় বৈচিত্র্য এবং আন্তঃধর্মীয় বোঝাপড়া নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, যাতে তরুণ প্রজন্ম ইসলামোফোবিয়া থেকে মুক্ত থাকে। এতে আলিম সমাজ কে দায়িত্ব নিতে হবে।
ইসলাম নিয়ে দশমনরা যে ভিত্তিহিন তত্ব।তবে আলহামদুল্লিলাহ মুশফিক মিনার ও আ��িফ আজাদ তারা এই মহান দাযিত্ব কাঁধে নিয়াসে। আল্লাহ তাদের সহায় হোক। তবে বড়ো বড়ো আলিমদের এই দায়ীত্ব নেওয়া উচিত। সীরাত পাঠ করার উপর গুরত্ত দিতে হবে। সীরাত সম্পর্কে জ্ঞান রাখলে ইসলামফোবিয়া আমাদের কোনো কিছু করতে পারবে না । প্রয়োজনে অনেক বই লিখতে হবে এই বিষয় নিয়ে।
আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং সরকারগুলোকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্ম মানুষের অধিকার একটা দেশ অনেক ধর্ম এর মানুষ বাস করবে কিন্তু এটা বাগ স্বাধীনতা বলবে এটা ঠিক নয়। তাহলে জাতিসংঘকে একটি দাঙ্গা সামলানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতিসংঘের মত সংস্থাগুলি বিশ্বজুড়ে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার করতে পারে এবং বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোকে এ ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।
ইসলামোফোবিয়া একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা যা বিশ্বজুড়ে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সামাজিক সংহতির জন্য একটি বড় হুমকি। এটি মোকাবিলার জন্য আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অজ্ঞতা এবং বিদ্বেষ দূর করার জন্য শিক্ষার প্রসার, সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং সহমর্মিতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরি। সমাজের প্রতিটি স্তরে, ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র, সবাইকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রামে যুক্ত হতে হবে। শুধু তাই নয়, আন্তঃধর্মীয় বোঝাপড়া এবং সংলাপের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর এবং সহনশীল সমাজ গড়ে তুলতে পারি, যেখানে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিতে সহাবস্থান করতে পারে।
0 notes
Text
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ
তাওহীদের সংজ্ঞা কী? তাওহীদ কত দিক (অংশ)?
উত্তর: তাওহীদের সব অংশর সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা হলো: পরিপূর্ণ গুণের সমন্বয়ে রবের একত্বতা সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান, বিশ্বাস, স্বীকৃতি ও ঈমান এবং এতে রবকে একক হিসেবে মানা, এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁর পূর্ণতায় কোনো উপমা নেই, তিনি সমস্ত বান্দার জন্য ইলাহ ও মা‘বুদ (ইবাদতের একমাত্র যোগ্য), অতঃপর সব ধরণের ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাঁকে একক রাখা (কাউকে শরীক না করা)।
তাহলে উপরোক্ত সংজ্ঞায় তাওহীদের তিন অংশই শামিল করেছে। তা হলো:
প্রথমত: তাওহীদুর রুবুবিয়্যাত: রবকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, পরিচালনাকারী ও লালন পালনকারী হিসেবে স্বীকার করা।
দ্বিতীয়ত: তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত: আল্লাহ নিজের জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন বা তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন এবং কোনো সাদৃশ্য ও উপমা ব্যতীত, বিকৃতি ও পরিবর্তন ব্যতিরেকে যেসব গুণাবলী এগুলোর ওপর প্রমাণ করে সে গুলো আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা।
তৃতীয়ত: তাওহীদুল ইবাদাত: সব ধরণের ইবাদাতের জন্য আল্লাহকে এক ও একক করা এবং তাঁর সাথে শির্ক না করে ইবাদতে একনিষ্ঠ থাকা। অতঃএব, তাওহীদের উপরোক্ত প্রকারসমূহ সম্পূর্ণরূপে ধারণ না করলে ও এ গুলোকে প্রতিষ্ঠা না করলে বান্দা মুয়াহহিদ তথা একত্ববাদী হতে পারবে না।
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ জানলে
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
আকিদা কাকে বলে?
আকিদা ( আরবি: العقيدة–আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
মানহাজ কাকে বলে?
মানহাজ (منهج) আরবি শব্দ যার অর্থ পদ্ধতি, পথ বা মতবাদ, ইসলামে আকীদা পোষণ ও আমল পালন করার পদ্ধতিগত কৌশলকে মানহাজ বলা হয়।
সহীহ আকিদা ও মানহাজ কী?
আকিদাহ বলতে সালাফীদের বিশ্বাসকে বোঝায়, মানহাজ বলতে বোঝায় কীভাবে এই বিশ্বাসগুলো প্রয়োগ করা হয়। মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানীকে, যখন এই দুটি উপাদানের মধ্যে গুরুত্ব এবং পার্থক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে "আকিদাহ মানহাজের চেয়ে বেশি নির্দিষ্ট"।
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বো��� ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে ���াদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
আমলের আগে তাওহীদের শিক্ষা জরুরী কেন ?
https://www.youtube.com/watch?v=cAQ4foLq3nM
তাওহীদের আলোচনা
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
তাওহীদ আকিদা মানহাজ
#allahswt#তাওহীদ#আকিদা#মানহাজ#Tawheed#Aqeedah#Manhaj#Aqeedah and Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#Youtube
0 notes
Text
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ
তাওহীদের সংজ্ঞা কী? তাওহীদ কত দিক (অংশ)?
উত্তর: তাওহীদের সব অংশর সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা হলো: পরিপূর্ণ গুণের সমন্বয়ে রবের একত্বতা সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান, বিশ্বাস, স্বীকৃতি ও ঈমান এবং এতে রবকে একক হিসেবে মানা, এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁর পূর্ণতায় কোনো উপমা নেই, তিনি সমস্ত বান্দার জন্য ইলাহ ও মা‘বুদ (ইবাদতের একমাত্র যোগ্য), অতঃপর সব ধরণের ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাঁকে একক রাখা (কাউকে শরীক না করা)।
তাহলে উপরোক্ত সংজ্ঞায় তাওহীদের তিন অংশই শামিল করেছে। তা হলো:
প্রথমত: তাওহীদুর রুবুবিয়্যাত: রবকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, পরিচালনাকারী ও লালন পালনকারী হিসেবে স্বীকার করা।
দ্বিতীয়ত: তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত: আল্লাহ নিজের জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন বা তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন এবং কোনো সাদৃশ্য ও উপমা ব্যতীত, বিকৃতি ও পরিবর্তন ব্যতিরেকে যেসব গুণাবলী এগুলোর ওপর প্রমাণ করে সে গুলো আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা।
তৃতীয়ত: তাওহীদুল ইবাদাত: সব ধরণের ইবাদাতের জন্য আল্লাহকে এক ও একক করা এবং তাঁর সাথে শির্ক না করে ইবাদতে একনিষ্ঠ থাকা। অতঃএব, তাওহীদের উপরোক্ত প্রকারসমূহ সম্পূর্ণরূপে ধারণ না করলে ও এ গুলোকে প্রতিষ্ঠা না করলে বান্দা মুয়াহহিদ তথা একত্ববাদী হতে পারবে না।
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ জানলে
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
আকিদা কাকে বলে?
আকিদা ( আরবি: العقيدة–আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
মানহাজ কাকে বলে?
মানহাজ (منهج) আরবি শব্দ যার অর্থ পদ্ধতি, পথ বা মতবাদ, ইসলামে আকীদা পোষণ ও আমল পালন করার পদ্ধতিগত কৌশলকে মানহাজ বলা হয়।
সহীহ আকিদা ও মানহাজ কী?
আকিদাহ বলতে সালাফীদের বিশ্বাসকে বোঝায়, মানহাজ বলতে বোঝায় কীভাবে এই বিশ্বাসগুলো প্রয়োগ করা হয়। মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানীকে, যখন এই দুটি উপাদানের মধ্যে গুরুত্ব এবং পার্থক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে "আকিদাহ মানহাজের চেয়ে বেশি নির্দিষ্ট"।
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
আমলের আগে তাওহীদের শিক্ষা জরুরী কেন ?
https://www.youtube.com/watch?v=cAQ4foLq3nM
তাওহীদের আলোচনা
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
তাওহীদ আকিদা মানহাজ
#allahswt#allah'snature#তাওহীদ#আকিদা#মানহাজ#Tawheed#Aqeedah#Manhaj#Aqeedah and Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#tawhid#Youtube
0 notes
Text
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ
তাওহীদের সংজ্ঞা কী? তাওহীদ কত দিক (অংশ)?
উত্তর: তাওহীদের সব অংশর সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা হলো: পরিপূর্ণ গুণের সমন্বয়ে রবের একত্বতা সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান, বিশ্বাস, স্বীকৃতি ও ঈমান এবং এতে রবকে একক হিসেবে মানা, এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁর পূর্ণতায় কোনো উপমা নেই, তিনি সমস্ত বান্দার জন্য ইলাহ ও মা‘বুদ (ইবাদতের একমাত্র যোগ্য), অতঃপর সব ধরণের ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাঁকে একক রাখা (কাউকে শরীক না করা)।
তাহলে উপরোক্ত সংজ্ঞায় তাওহীদের তিন অংশই শামিল করেছে। তা হলো:
প্রথমত: তাওহীদুর রুবুবিয়্যাত: রবকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, পরিচালনাকারী ও লালন পালনকারী হিসেবে স্বীকার করা।
দ্বিতীয়ত: তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত: আল্লাহ নিজের জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন বা তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন এবং কোনো সাদৃশ্য ও উপমা ব্যতীত, বিকৃতি ও পরিবর্তন ব্যতিরেকে যেসব গুণাবলী এগুলোর ওপর প্রমাণ করে সে গুলো আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা।
তৃতীয়ত: তাওহীদুল ইবাদাত: সব ধরণের ইবাদাতের জন্য আল্লাহকে এক ও একক করা এবং তাঁর সাথে শির্ক না করে ইবাদতে একনিষ্ঠ থাকা। অতঃএব, তাওহীদের উপরোক্ত প্রকারসমূহ সম্পূর্ণরূপে ধারণ না করলে ও এ গুলোকে প্রতিষ্ঠা না করলে বান্দা মুয়াহহিদ তথা একত্ববাদী হতে পারবে না।
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ জানলে
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
আকিদা কাকে বলে?
আকিদা ( আরবি: العقيدة–আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
মানহাজ কাকে বলে?
মানহাজ (منهج) আরবি শব্দ যার অর্থ পদ্ধতি, পথ বা মতবাদ, ইসলামে আকীদা পোষণ ও আমল পালন করার পদ্ধতিগত কৌশলকে মানহাজ বলা হয়।
সহীহ আকিদা ও মানহাজ কী?
আকিদাহ বলতে সালাফীদের বিশ্বাসকে বোঝায়, মানহাজ বলতে বোঝায় কীভাবে এই বিশ্বাসগুলো প্রয়োগ করা হয়। মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানীকে, যখন এই দুটি উপাদানের মধ্যে গুরুত্ব এবং পার্থক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে "আকিদাহ মানহাজের চেয়ে বেশি নির্দিষ্ট"।
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
আমলের আগে তাওহীদের শিক্ষা জরুরী কেন ?
https://www.youtube.com/watch?v=cAQ4foLq3nM
তাওহীদের আলোচনা
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
তাওহীদ আকিদা মানহাজ
#tawheed#tawhid#তাওহীদ#আকিদা#মানহাজ#Tawheed#Aqeedah#Manhaj#Aqeedah and Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#Youtube
0 notes
Text
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ
তাওহীদের সংজ্ঞা কী? তাওহীদ কত দিক (অংশ)?
উত্তর: তাওহীদের সব অংশর সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা হলো: পরিপূর্ণ গুণের সমন্বয়ে রবের একত্বতা সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান, বিশ্বাস, স্বীকৃতি ও ঈমান এবং এতে রবকে একক হিসেবে মানা, এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁর পূর্ণতায় কোনো উপমা নেই, তিনি সমস্ত বান্দার জন্য ইলাহ ও মা‘বুদ (ইবাদতের একমাত্র যোগ্য), অতঃপর সব ধরণের ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাঁকে একক রাখা (কাউকে শরীক না করা)।
তাহলে উপরোক্ত সংজ্ঞায় তাওহীদের তিন অংশই শামিল করেছে। তা হলো:
প্রথমত: তাওহীদুর রুবুবিয়্যাত: রবকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, পরিচালনাকারী ও লালন পালনকারী হিসেবে স্বীকার করা।
দ্বিতীয়ত: তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত: আল্লাহ নিজের জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন বা তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন এবং কোনো সাদৃশ্য ও উপমা ব্যতীত, বিকৃতি ও পরিবর্তন ব্যতিরেকে যেসব গুণাবলী এগুলোর ওপর প্রমাণ করে সে গুলো আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা।
তৃতীয়ত: তাওহীদুল ইবাদাত: সব ধরণের ইবাদাতের জন্য আল্লাহকে এক ও একক করা এবং তাঁর সাথে শির্ক না করে ইবাদতে একনিষ্ঠ থাকা। অতঃএব, তাওহীদের উপরোক্ত প্রকারসমূহ সম্পূর্ণরূপে ধারণ না করলে ও এ গুলোকে প্রতিষ্ঠা না করলে বান্দা মুয়াহহিদ তথা একত্ববাদী হতে পারবে না।
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ জানলে
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
আকিদা কাকে বলে?
আকিদা ( আরবি: العقيدة–আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
মানহাজ কাকে বলে?
মানহাজ (منهج) আরবি শব্দ যার অর্থ পদ্ধতি, পথ বা মতবাদ, ইসলামে আকীদা পোষণ ও আমল পালন করার পদ্ধতিগত কৌশলকে মানহাজ বলা হয়।
সহীহ আকিদা ও মানহাজ কী?
আকিদাহ বলতে সালাফীদের বিশ্বাসকে বোঝায়, মানহাজ বলতে বোঝায় কীভাবে এই বিশ্বাসগুলো প্রয়োগ করা হয়। মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানীকে, যখন এই দুটি উপাদানের মধ্যে গুরুত্ব এবং পার্থক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে "আকিদাহ মানহাজের চেয়ে বেশি নির্দিষ্ট"।
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্���ত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
আমলের আগে তাওহীদের শিক্ষা জরুরী কেন ?
https://www.youtube.com/watch?v=cAQ4foLq3nM
তাওহীদের আলোচনা
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
তাওহীদ আকিদা মানহাজ
#tawheed#tawhid#তাওহীদ#আকিদা#মানহাজ#Tawheed#Aqeedah#Manhaj#Aqeedah and Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#Youtube
0 notes
Text
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ
তাওহীদের সংজ্ঞা কী? তাওহীদ কত দিক (অংশ)?
উত্তর: তাওহীদের সব অংশর সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা হলো: পরিপূর্ণ গুণের সমন্বয়ে রবের একত্বতা সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান, বিশ্বাস, স্বীকৃতি ও ঈমান এবং এতে রবকে একক হিসেবে মানা, এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁর পূর্ণতায় কোনো উপমা নেই, তিনি সমস্ত বান্দার জন্য ইলাহ ও মা‘বুদ (ইবাদতের একমাত্র যোগ্য), অতঃপর সব ধরণের ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাঁকে একক রাখা (কাউকে শরীক না করা)।
তাহলে উপরোক্ত সংজ্ঞায় তাওহীদের তিন অংশই শামিল করেছে। তা হলো:
প্রথমত: তাওহীদুর রুবুবিয়্যাত: রবকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, পরিচালনাকারী ও লালন পালনকারী হিসেবে স্বীকার করা।
দ্বিতীয়ত: তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত: আল্লাহ নিজের জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন বা তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন এবং কোনো সাদৃশ্য ও উপমা ব্যতীত, বিকৃতি ও পরিবর্তন ব্যতিরেকে যেসব গুণাবলী এগুলোর ওপর প্রমাণ করে সে গুলো আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা।
তৃতীয়ত: তাওহীদুল ইবাদাত: সব ধরণের ইবাদাতের জন্য আল্লাহকে এক ও একক করা এবং তাঁর সাথে শির্ক না করে ইবাদতে একনিষ্ঠ থাকা। অতঃএব, তাওহীদের উপরোক্ত প্রকারসমূহ সম্পূর্ণরূপে ধারণ না করলে ও এ গুলোকে প্রতিষ্ঠা না করলে বান্দা মুয়াহহিদ তথা একত্ববাদী হতে পারবে না।
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ জানলে
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
আকিদা কাকে বলে?
আকিদা ( আরবি: العقيدة–আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
মানহাজ কাকে বলে?
মানহাজ (منهج) আরবি শব্দ যার অর্থ পদ্ধতি, পথ বা মতবাদ, ইসলামে আকীদা পোষণ ও আমল পালন করার পদ্ধতিগত কৌশলকে মানহাজ বলা হয়।
সহীহ আকিদা ও মানহাজ কী?
আকিদাহ বলতে সালাফীদের বিশ্বাসকে বোঝায়, মানহাজ বলতে বোঝায় কীভাবে এই বিশ্বাসগুলো প্রয়োগ করা হয়। মুহাম্মদ নাসির��দ্দীন আল-আলবানীকে, যখন এই দুটি উপাদানের মধ্যে গুরুত্ব এবং পার্থক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে "আকিদাহ মানহাজের চেয়ে বেশি নির্দিষ্ট"।
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
আমলের আগে তাওহীদের শিক্ষা জরুরী কেন ?
https://www.youtube.com/watch?v=cAQ4foLq3nM
তাওহীদের আলোচনা
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
তাওহীদ আকিদা মানহাজ
#তাওহীদ#আকিদা#মানহাজ#Tawheed#Aqeedah#Manhaj#Aqeedah and Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#tawhid#asmawassifat#allah'sdefinition#allah'snature#Youtube
0 notes
Text
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ
তাওহীদের সংজ্ঞা কী? তাওহীদ কত দিক (অংশ)?
উত্তর: তাওহীদের সব অংশর সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা হলো: পরিপূর্ণ গুণের সমন্বয়ে রবের একত্বতা সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান, বিশ্বাস, স্বীকৃতি ও ঈমান এবং এতে রবকে একক হিসেবে মানা, এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁর পূর্ণতায় কোনো উপমা নেই, তিনি সমস্ত বান্দার জন্য ইলাহ ও মা‘বুদ (ইবাদতের একমাত্র যোগ্য), অতঃপর সব ধরণের ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাঁকে একক রাখা (কাউকে শরীক না করা)।
তাহলে উপরোক্ত সংজ্ঞায় তাওহীদের তিন অংশই শামিল করেছে। তা হলো:
প্রথমত: তাওহীদুর রুবুবিয়্যাত: রবকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, পরিচালনাকারী ও লালন পালনকারী হিসেবে স্বীকার করা।
দ্বিতীয়ত: তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত: আল্লাহ নিজের জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন বা তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন এবং কোনো সাদৃশ্য ও উপমা ব্যতীত, বিকৃতি ও পরিবর্তন ব্যতিরেকে যেসব গুণাবলী এগুলোর ওপর প্রমাণ করে সে গুলো আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা।
তৃতীয়ত: তাওহীদুল ইবাদাত: সব ধরণের ইবাদাতের জন্য আল্লাহকে এক ও একক করা এবং তাঁর সাথে শির্ক না করে ইবাদতে একনিষ্ঠ থাকা। অতঃএব, তাওহীদের উপরোক্ত প্রকারসমূহ সম্পূর্ণরূপে ধারণ না করলে ও এ গুলোকে প্রতিষ্ঠা না করলে বান্দা মুয়াহহিদ তথা একত্ববাদী হতে পারবে না।
তাওহীদ. আকিদা. মানহাজ জানলে
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
আকিদা কাকে বলে?
আকিদা ( আরবি: العقيدة–আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
মানহাজ কাকে বলে?
মানহাজ (منهج) আরবি শব্দ যার অর্থ পদ্ধতি, পথ বা মতবাদ, ইসলামে আকীদা পোষণ ও আমল পালন করার পদ্ধতিগত কৌশলকে মানহাজ বলা হয়।
সহীহ আকিদা ও মানহাজ কী?
আকিদাহ বলতে সালাফীদের বিশ্বাসকে বোঝায়, মানহাজ বলতে বোঝায় কীভাবে এই বিশ্বাসগুলো প্রয়োগ করা হয়। মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানীকে, যখন এই দুটি উপাদানের মধ্যে গুরুত্ব এবং পার্থক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে "আকিদাহ মানহাজের চেয়ে বেশি নির্দিষ্ট"।
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
আমলের আগে তাওহীদের শিক্ষা জরুরী কেন ?
https://www.youtube.com/watch?v=cAQ4foLq3nM
তাওহীদের আলোচনা
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
তাওহীদ আকিদা মানহাজ
#তাওহীদ#আকিদা#মানহাজ#Tawheed#Aqeedah#Manhaj#Aqeedah and Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#Youtube
0 notes
Photo
🟢🟩🔴🟠🟡⚪⚫🟣🟪⬛🟫🟨🟧🟥🟦🔵 সম্মিলিত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশেষত ধর্মীয় ইস্যুতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত আমেরিকা কম্যুনিজম ও কম্যুনিস্ট সোভিয়েতের বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক খেলাটা খেলেছিল ; সেই একই রাজনৈতিক খেলাটাই এবার রাশিয়া পাল্টা খেলতে চায় আমেরিকা ও ইউরোপের বিরুদ্ধে ।সেই সময় আমেরিকা, সোভিয়েত ও কম্যুনিস্টদের নাস্তিক বানিয়েছিল ও পুরো মুসলিম বিশ্বের প্রিয় বড়ভাই হয়ে উঠেছিল । সেই সময় আমেরিকা মুসলিম বিশ্বের কাছ থেকে প্রচুর সমর্থনও পেয়েছিল এবং এর ফলে আমেরিকা ১৯৯০-এর দশকে মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে। তারপর ধীরে ধীরে কম্যুনিজম বিলুপ্ত হয়ে গেল ; বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কারণে পশ্চিমের উদারপন্থী বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি (western liberal world view) একবিংশ শতাব্দীর নব্য- ধর্মে পরিণত হয়েছে এবং অজ্ঞেয়বাদ, সমকামিতা, নারীবা���, নারীমুক্তি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি পশ্চিমাদের ক্রমাগত পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যা বিশ্বের সর্বাধিক মানুষের উপর বিশাল নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এখন রাশিয়া ও চীন একত্রে আমেরিকা ও ইউরোপের এই মারাত্মক সামাজিক ফাটল ও অনৈতিক মতবাদ , ধর্মীয় বিদ্বেষ ও রাজনৈতিক দুর্বলতা ধরে ফেলছে।এখন ��র্ম, ধর্মীয় মূল্যবোধ , পারিবারিক মূল্যবোধ, সামাজিক নৈতিকতা, সামাজিক শৃঙ্খলা, প্রাচ্যের নৈতিকতাবোধ ইত্যাদির অনেক গুরুত্ব রাশিয়ার কাছে। ফলে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে পুতিনভক্তের অভাব নাই। ১৯৮০ এর দশকের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে রাশিয়া এবং সম্মিলিত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিগুলির মধ্যে এই আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক- অর্থনৈতিক ও সামরিক সংঘর্ষকে বর্তমান বিশ্বের একটি আমূল পরিবর্তন বলা যেতে পারে। রাশিয়ার পুতিন এবং চীনের শি জিনপিং কি পারবে মুসলিম বিশ্বকে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তি অর্থাৎ ইউরোপ ও আমেরিকার বিরুদ্ধে একত্রিত করতে? পারবে কি এই সম্মিলিত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিকে অনৈতিক সামাজিক বিশৃঙ্খলা ছড়ানো ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকে পরিণত করতে ? এবং পারবে কি তথাকথিত পশ্চিমা উদার বিশ্বব্যবস্থাকে চিরতরে পরাজিত করতে ? ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করে এবং অনৈতিক সামাজিক ব্যাধি সৃষ্টি করে এমন কোনো মতবাদ অতীতে পৃথিবীতে টিকেনি,বর্তমান ও ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে না।অবিশ্বাস্য মনে হলেও অতি দ্রুতই সম্মিলিত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তির বিরুদ্ধে এই নতুন ধর্মীয় অনুশাসনের যুদ্ধের জয় হবে ; এটি হয় পুতিন এবং শি জিনপিংয়ের হাতে ঘটবে, নয়তো অন্য কোনো নতুন পরাশক্তির মাধ্যমে ঘটবে! || সাকু স্বপন || https://www.instagram.com/p/CjMBqOTBvma/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
Text
🟢🟩🔴🟠🟡⚪⚫🟣🟪⬛🟫🟨🟧🟥🟦🔵
সম্মিলিত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশেষত ধর্মীয় ইস্যুতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত আমেরিকা কম্যুনিজম ও কম্যুনিস্ট সোভিয়েতের বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক খেলাটা খেলেছিল ; সেই একই রাজনৈতিক খেলাটাই এবার রাশিয়া পাল্টা খেলতে চায় আমেরিকা ও ইউরোপের বিরুদ্ধে ।সেই সময় আমেরিকা, সোভিয়েত ও কম্যুনিস্টদের নাস্তিক বানিয়েছিল ও পুরো মুসলিম বিশ্বের প্রিয় বড়ভাই হয়ে উঠেছিল । সেই সময় আমেরিকা মুসলিম বিশ্বের কাছ থেকে প্রচুর সমর্থনও পেয়েছিল এবং এর ফলে আমেরিকা ১৯৯০-এর দশকে মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে। তারপর ধীরে ধীরে কম্যুনিজম বিলুপ্ত হয়ে গেল ; বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কারণে পশ্চিমের উদারপন্থী বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি (western liberal world view) একবিংশ শতাব্দীর নব্য- ধর্মে পরিণত হয়েছে এবং অজ্ঞেয়বাদ, সমকামিতা, নারীবাদ, নারীমুক্তি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি পশ্চিমাদের ক্রমাগত পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যা বিশ্বের সর্বাধিক মানুষের উপর বিশাল নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এখন রাশিয়া ও চীন একত্রে আমেরিকা ও ইউরোপের এই মারাত্মক সামাজিক ফাটল ও অনৈতিক মতবাদ , ধর্মীয় বিদ্বেষ ও রাজনৈতিক দুর্বলতা ধরে ফেলছে।এখন ধর্ম, ধর্মীয় মূল্যবোধ , পারিবারিক মূল্যবোধ, সামাজিক নৈতিকতা, সামাজিক শৃঙ্খলা, প্রাচ্যের নৈতিকতাবোধ ইত্যাদির অনেক গুরুত্ব রাশিয়ার কাছে। ফলে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে পুতিনভক্তের অভাব নাই। ১৯৮০ এর দশকের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে রাশিয়া এবং সম্মিলিত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিগুলির মধ্যে এই আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক- অর্থনৈতিক ও সামরিক সংঘর্ষকে বর্তমান বিশ্বের একটি আমূল পরিবর্তন বলা যেতে পারে। রাশিয়ার পুতিন এবং চীনের শি জিনপিং কি পারবে মুসলিম বিশ্বকে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তি অর্থাৎ ইউরোপ ও আমেরিকার বিরুদ্ধে একত্রিত করতে? পারবে কি এই সম্মিলিত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিকে অনৈতিক সামাজিক বিশৃঙ্খলা ছড়ানো ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকে পরিণত করতে ? এবং পারবে কি তথাকথিত পশ্চিমা উদার বিশ্বব্যবস্থাকে চিরতরে পরাজিত করতে ?
ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করে এবং অনৈতিক সামাজিক ব্যাধি সৃষ্টি করে এমন কোনো মতবাদ অতীতে পৃথিবীতে টিকেনি,বর্তমান ও ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে না।অবিশ্বাস্য মনে হলেও অতি দ্রুতই সম্মিলিত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তির বিরুদ্ধে এই নতুন ধর্মীয় অনুশাসনের যুদ্ধের জয় হবে ; এটি হয় পুতিন এবং শি জিনপিংয়ের হাতে ঘটবে, নয়তো অন্য কোনো নতুন পরাশক্তির মাধ্যমে ঘটবে!
|| সাকু স্বপন ||
0 notes
Text
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে উপেক্ষিত মৃত্যুঞ্জয়ী বিপ্লবী শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র
অভিজিৎ হাজরা, আমতা, হাওড়া :- বিপ্লব তার প্রথম সারির সন্তানদের গ্ৰাস করে নেয়, এরকমই একটি আপ্ত বাক্য শোনা যায়।তা অতি নিমর্মভাবেই হয়ে থাকে। তবুও ইতিহাসের পাতায় তাঁদের নাম লেখা থাকে না। শুধু কিছু মানুষের স্মৃতিতে তাঁরা বেঁচে থাকেন।আর এই বিস্মৃতির মধ্য দিয়েই তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটুকু হয়তো বা পেয়ে থাকেন।এমনই এক বিস্মৃত প্রায় - বীর - বিপ্লবী হলেন , হাওড়ার আমতা থানার অন্তর্গত রসপুর নামক এক স্বল্পক্ষ্যাত গ্ৰামের শ্রীশচন্দ্র(হাবু) মিত্র। শুধু একটি স্মৃতি ফলক আর আগাছা আবৃত জম্মভিটাটুকু ছাড়া তাঁর বিশেষ কিছু স্মৃতি চিহ্ন আজ আর অবশিষ্ট নেই। ইতিহাসের পাতায় এই অমর বিপ্লবীকে সেভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় নি।এটি আমাদের অপরাধ।যে জাতি তার ইতিহাসের মহান স্রস্টাদের ব্যাপারে বিস্মৃত হয়, সে জাতি কখন ও তার সত্তার প্রতি সুবিচার করতে পারে না। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র 'পথের দাবি ' তে সব্যসাচী এক জায়গায় বলেছেন,'আমার সামনে দু'টি পথমাত্র খোলা আছে।এক 'মৃত্যু' , দ্বিতীয় ' ভারতের স্বাধীনতা ' । স্বাধীনতা আন্দোলনে বিপ্লবী দলের মধ্যে বিশেষ ভাবে সক্রিয় ছিলেন ব্যারিস্টার পি, মিত্র -র ' অনুশীলন সমিতি ' , যতীন মুখোপাধ্যায় ( বাঘা যতীন) -র নেতৃত্বে ' যুগান্তর দল ', বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায় -র নেতৃত্বাধীন ' আত্নোন্নতি সমিতি ', এবং ঢাকার হেমচন্দ্র ঘোষ প্রতিষ্ঠিত 'মুক্তি সংঘ'' (পরে বি ভি নামে ক্ষ্যাত)। ১৯১৪ সালে জুলাই মাসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।৪ ঠা আগস্ট ব্রিটেন যুদ্ধ ঘোষণা করল জার্মানির বিরুদ্ধে।বিপ্লবী দলগুলি তৎপর হয়ে উঠল। ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত আয়োজন চলিতে থাকে।সৈন্যদের ব্যারাকে ইংরাজ বিদ্বেষ ছড়াইতে থাকে।। বাংলা দেশ ও বিপ্লবী দল গুলি সচেষ্ট হন। পুরাতন বিপ্লবীদের স্মৃতি বর্তমানদের প্রত্যেকের হৃদয় মন্দিরে সত্যকার স্থান লাভ করিবে এবং মন্দিরের ললাটে সোনার অক্ষরে লিখিত থাকবে। পুরাতন যুগের কর্ম -পদ্ধতি নব পরিকল্পিত পর্যায়ের কর্মধারায় গণ - বিপ্লবকে সুষ্ঠ, সবল ও সার্থক করিয়া তুলিবে।শ্রীশচন্দ্র মিত্র ওরফে 'হাবু ' -র দুঃসাহসের প্রতি শ্রদ্ধা না করিয়া কেহ পারে না। সেই পূণ্য স্মৃতি আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন গঠনে সহায়তা করিয়াছে করিবে। পরিতাপের বিষয় 'হাবু ' মিত্র -র আত্নত্যাগ সরকারি ভাবে যেমন উপেক্ষিত তেমনি হাওড়া জেলা প্রশাসন, স্থানীয় আমতা প্রশাসন থেকেও উপেক্ষিত থেকে গেছে বলে রসপুর গ্ৰামের বাসিন্দাদের অভিযোগ। ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দ হইতে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত যে সকল বাঙালি যুবক বিপ্লবী সমিতি ও সশস্ত্র বিপ্লব আন্দোলন করেন তাহা দিগের মধ্যে শ্রীশচন্দ্র ওরফে 'হাবু' মিত্র - র নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। হাওড়া জেলার আমতা থানার রসপুর গ্ৰাম নিবাসী জমিদার শরৎচন্দ্র মিত্র ও সরোজিনী দেবীর ৩টি কন্যা ও ২ টি পুত্র ছিল।জ্যোষ্ঠ পুত্র শ্রীশচন্দ্র ওরফে 'হাবু ' রসপুর গ্ৰামে জম্মগ্ৰহণ করেন ১৮৯০ মতান্তরে ১৮৮৭ সালে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ২৬ শে আগষ্ট দিনটি একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন।১৯১৪ সালের ২৬ শে আগষ্ট রডা অস্ত্র কোম্পানির অস্ত্র লুঠ হয়। এধরনের অস্ত্র লুন্ঠনের ক্ষেত্রে এটি প্রথম প্রয়াস ও প্রায় সফল প্রয়াস।রডা কোম্পানির অস্ত্র লুন্ঠনের পরিকল্পনা ও অস্ত্র লুন্ঠনের মূল নায়ক ছিলেন হাওড়া জেলার আমতা থানার রসপুর গ্ৰামের শ্রীশচন্দ্র ওরফে 'হাবু' মিত্র। লুন্ঠিত হয়েছিল ৫০ টি মাউজার পিস্তল,৫০ টি অতিরিক্ত স্প্রিং এবং ৫০ টি পিস্তলের খাপ - যার ��াহায্যে ঐ পিস্তল গুলিকে রাইফেলের মত করে ব্যবহার করা যায়, আর ৫০ রাউন্ড কার্তুজ। রডা অস্ত্র লুন্ঠনের পর শ্রীশচন্দ্র ওরফে ' হাবু ' মিত্র আর ঘরে ফেরেনি। পুলিশের গুলিতে অথবা অন্য কোন ভাবে তিনি নিঃসন্দেহে মারা পরেছিলেন।এই নিহত হওয়া কি স্বাধীনতার জন্য হওয়া নয়? স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র লুন্ঠন করে বিপ্লবীদের হাতে পৌঁছে দিয়ে সাময়িক অন্তরালে থাকা অবস্থায় চিরঅবলুপ্তি , অজানার রাজ্যে মহাপ্রস্থান ,এতো স্বাধীনতার জন্যই জীবন উৎসর্গ।'হাবু ' আসলে ভারতের সেই স্বাধীনতা আনতে চিরকালের জন্য নিরুদ্দেশে গেছেন - যে স্বাধীনতা উচ্চ - নীচ ভেদাভেদ থেকে মুক্ত,যে স্বাধীনতা ধর্মীয় হানাহানি থেকে মুক্ত,মে স্বাধীনতা ক্ষমতার দুর্বৃত্তায়ন থেকে মুক্ত,যে স্বাধীনতা স্বজন পোষন লুটেরাদের হাত থেকে মুক্ত।পরমাকাঙ্খিত সেই স্বাধীনতার সন্ধানেই রহনা দিয়েছেন 'হাবু ' মিত্র।এ যাত্রা হারিয়ে যাওয়া নয়,এ হল স্বপ্নের সন্ধানে রহনা দেওয়া। স্বাধীনতার পুজারী শ্রীশচন্দ্র ওরফে 'হাবু' মিত্র দেশে স্বাধীনতার বিপ্লবের জন্য অস্ত্র -শস্ত্র সংগ্ৰহ করেছিলেন।বাংলায় বিপ্লবী বিভিন্ন দলের মিলন ক্ষেত্র প্রস্তুত হল।ওই সময় বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায় সকল বিপ্লবী দলকে বৈঠকে আহ্বান জানালেন। সেই বৈঠকে যতীন মুখোপাধ্যায় ( বাঘা যতীন) , বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায় বিপ্লবী দলের নেতা নির্বাচিত হলেন। তাঁরা সক্রিয় সশস্ত্র বিপ্লবের আন্দোলন ঘোষণা করলেন। বিপ্লবী দলের কাজ শুরু হল। কলকাতার গার্ডেন রীচে বার্ণ কোম্পানির মিল - এ ১৮ হাজার টাকা যাচ্ছিল,তা লুঠ হল।বেলেঘাটা র চালের গুদামে ২০ হাজার টাকা লুঠ হয়। বিপ্লবী দল উত্তর কলকাতার হেদুয়ার মোড়ে সরকারি গুপ্ত বিভাগের পুলিশ কর্মচারী সুরেন বন্দোপাধ্যায়কে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ ইন্সপেক্টর মধুসূদন ভট্টাচার্য কে মেডিক্যাল কলেজের সামনে পুলি লেনের কাছে গুলি করে মারে।যতীন্দ্র মুখোপাধ্যায় (বাঘা যতীন) বালেশ্বরে গেলেন রডা কোম্পানির লুঠের অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে জার্মান থেকে প্রেরিত জাহাজের অস্ত্র -শস্ত্র নামাতে।১৯১৫ সালের ৯ ই সেপ্টেম্বরে বালেশ্বরের বুড়ি বালামের তীরে যতীন মুখোপাধ্যায় (বাঘা যতীন) ও তাঁর দুর্ধর্ষ সতীর্থবৃন্দ মাউজার পিস্তল নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে ৮ ই ডিসেম্বর রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করলেন বিনয় বসু, দীনেশ গুপ্ত,বাদল গুপ্ত ওই অলিন্দ যুদ্ধে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা ও ওই লুন্ঠিত হওয়া রডা কোম্পানির মাউজার পিস্তল।১৯৩২ সালে ২৯ অক্টোবর বিম দাশগুপ্ত ক্লাইভ স্ট্রিটের গিলওর্স হাউসে ঢুকে ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ভিলিয়ার্স -কে ও ওই লুন্ঠিত হওয়া মাউজার পিস্তল দিয়ে গুলি করেন ।রডা অস্ত্র লুন্ঠনের একটি মাউজার পিস্তল ব্যবহার করতেন রাসবিহারী বসু। তিনি যখন জাপানে যান তখন পিস্তলটি শচীন্দ্রনাথ সান্যালকে দেন।শচীন্দ্রনাথ সান্যাল পরবর্তী সময়ে ওই পিস্তলটি স্বাধীনতা সংগ্ৰামী গিরিজা বাবুকে তা দেন।রডা কোম্পানির অস্ত্র লুন্ঠনের পর অনুষ্ঠিত ৫৪ টি নরহত্যা ও তার চেষ্টায় মাউজার পিস্তল ব্যবহৃত হয়েছিল। সেই অস্ত্র লুন্ঠনের অন্যতম নায়ক শ্রীশচন্দ্র ওরফে ' হাবু ' মিত্র এর জন্য বিন্দুমাত্র কৃতিত্ব পান নি। মানুষ জানেই না এত বড় একটি ঘটনার কৃতিত্ব আসলে কার । পরিতাপের বিষয় শ্রীশচন্দ্র ওরফে ' হাবু ' মিত্র - আত্নত্যাগ সরকারি ভাবে যেমন উপেক্ষিত তেমনি হাওড়া জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন থেকে ও উপেক্ষিত থেকে গেছেন। স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক - শিক্ষিকা,ছাত্র-ছাত্রীদের ও কাছে শ্রীশচন্দ্র ওরফে ' হাবু ' মিত্র উপেক্ষিত ও অবহেলিত থেকে গেছেন। স্বাধীনতা লাভের পর শ্রীশচন্দ্র ওরফে ' হাবু ' মিত্রের পৈতৃক ভূমির উপর তাঁর স্মৃতিতে তদানীন্তন ইউনিয়ন বোর্ডের সহায়তায় গ্ৰামবাসীবৃন্দ একটি বেদী নির্মাণ করেছিলেন। এতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তারাপদ প্রামাণিক। বর্তমানে সেই বেদীর কোনো ও অস্তিত্বই নেই।বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ , বাস্তুভিটা ও দখল হয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর স্বাধীনতা সংগ্ৰামীদের ইতিহাস লেখার সময় আমতা থানার সোমেশ্বর গ্ৰামের আর এক স্বাধীনতা সংগ্ৰামী ভোলানাথ মাল লক্ষ্য করলেন যে শ্রীশচন্দ্র ওরফে ' হাবু ' মিত্র -র নাম লিখিত হলেও তাঁর জম্মস্থান বহুবাজার এবং ওখানকার ছেলে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আমতা থানার রসপুর গ্ৰামে জম্মগ্ৰহণ করেছেন এবং এখানকার ছেলে তা স্বীকৃতি দেবার জন্য ভোলানাথ মাল ৪ /৪ /১৯৪৮ সালে আত্নোন্নতি সমিতির নেতা বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায় কে রসপুর গ্ৰামে নিয়ে আসেন এবং শ্রীশচন্দ্র ওরফে ' হাবু ' মিত্র কে রসপুরের ছেলে বলে ঘোষণা করেন।সে সময় যে স্মৃতি রক্ষা কমিটি করেন তার সভাপতি ছিলেন ভোলানাথ মাল এবং সম্পাদক ছিলেন নীরদ বরণ দে। পরবর্তী সময়ে ৪/৪/১৯৫৬ তারিখে আরও এক বিপ্লবী যিনি চট্রগ্ৰাম বিপ্লবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মহেন্দ্র নাথ চৌধুরী রসপুর গ্ৰামে আসেন এবং এ সম্বন্ধে এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন।সে সময় সভার আহ্বায়ক ছিলেন পাঁচু গোপাল রায়।শ্রীশচন্দ্র ওরফে ' হাবু ' মিত্র -র বাড়ির কাছে যে স্মৃতি মঞ্চ তৈরি হয়েছিল সেই স্মৃতি মঞ্চের উদ্ধোধক ছিলেন বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায়।পরে ১৯৮৩ সালে রসপুর পিপলস্ লাইব্রেরীর সামনে নির্মিত শ্রীশচন্দ্র ওরফে ' হাবু ' মিত্র -র স্মৃতি মঞ্চের উদ্ধোধক ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্ৰামী দুঃখ হরণ ঠাকুর চক্রবর্তী।এটি তৈরী হয় সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টায়। পিপলস্ লাইব্রেরী ও শ্রীশচন্দ্র ( হাবু) মিত্র স্মৃতি রক্ষা সমিতি এর রক্ষনাবেক্ষণ করে। ইউনিয়ন বোর্ডের কোনো ও ভূমিকা নেই।
১৯৮৩ সালে রসপুর পিপলস্ লাইব্রেরীর উদ্যোগে গঠিত হয় বিপ্লবী শ্রীশ চন্দ্র (হাবু) মিত্র স্মৃতি রক্ষা সমিতি।ওই বছর ২৬ শে আগষ্ট রডা অস্ত্র লুন্ঠনের ৭০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রসপুর পিপলস্ লাইব্রেরীর পাশে শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করে বিপ্লবী শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র স্মৃতি রক্ষা সমিতি।যা এখন সংস্কারের প্রয়োজন। সেই সময়েই পি ডব্লু ডি রাস্তার রামকৃষ্ণ কাঁড়ার এর বাড়ির নামার সামনে থেকে শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র -র বাড়ি যাওয়ার রাস্তার নামকরণ করা হয় ' শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র সরণী ' । দামোদর নদের বাঁধের পাশে ওই স্মরণ বেদিতে তাঁর জম্ম তারিখ উল্লেখ করা যায় নি। কলকাতার মলঙ্গা লেনে তিনজন স্বাধীনতা সংগ্ৰামীর স্মৃতি মঞ্চ আছে। সেখানে অনুকূল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, হরিদাস দত্তর মূর্তির সঙ্গে তাঁদের জম্ম -মৃত্যু তারিখের উল্লেখ আছে।শ্রীশচন্দ্র (হাবু) -র স্মৃতি ফলক থাকলেও তাঁর কোনো স্ট্যাচ��� নেই, নেই জম্ম - মৃত্যুর তারিখ।কারণ তাঁর সঠিক জম্ম - মৃত্যুর তারিখ যেমন পাওয়া যায় নি, তেমনি পাওয়া যায় নি তাঁর কোনো ছবি। কয়েক বছর পর পি ডব্লু ডি রাস্তা টি পাকা রাস্তা করার সময় 'শ্রীশচন্দ্র( হাবু) মিত্র স্মৃতি সরণী ' ফলক টি তুলে দেওয়া হয়।এর কোনো ও প্রতিবাদ করেন নি তৎকালীন রসপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলের (কংগ্রেস) নেতা জয়ন্ত পল্ল্যে।২০১১ সালে রাজ্যে শাসন ক্ষমতা পরিবর্তন হয়।২০১৩ সালে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে রসপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসে।উপ - প্রধান হন জয়ন্ত পল্ল্যে।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জয়লাভ করে জয়ন্ত পল্ল্যে উপ - প্রধান হন। কিন্তু তিনি সেই স্মৃতি ফলকের পুনঃ প্রতিষ্ঠার কোনো ও উদ্যোগ নেননি এখন ও পর্যন্ত। আমতা ১ নং ব্লকের দামোদর নদের তীরে বসবাসকারী বেশ কয়েকটি পরিবার প্রতি বছর বন্যার কবলে পড়ে। তাঁরা তখন আশ্রয় নিতে বাধ্য হত স্থানীয় রসপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বেশ কয়েক বছর আগে আমতা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে রসপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফ্লাড রেসকিউ সেন্টার তৈরী হয়েছে। সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ওই রেসকিউ সেন্টার টি " শ্রীশচন্দ্র ( হাবু) মিত্র ফ্লাড রেসকিউ সেন্টার " নামকরণ করা হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় রেসকিউ সেন্টার টি তৈরী করা হলে ও সেন্টার টি স্বাধীনতা সংগ্ৰামী শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র নামকরণ করা হয় নি। শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র স্মৃতি রক্ষা সমিতি -র পক্ষ থেকে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী -কে ৭ দফা দাবি সম্বলিত সনদ পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। দাবি সনদে বলা হয়েছে - ১/ স্বাধীনতা সংগ্ৰামী শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র -র অবদান ছড়িয়ে পড়ুক সারা বাংলা তথা ভারতবর্ষে । সরকারি ভাবে তার প্রস্তুতি নেওয়ার। ২/ সংরক্ষণ করা হোক শ্রীশচন্দ্র( হাবু) মিত্র -র জম্ম ভিটা। ৩/ ঐ জম্ম ভিটায় স্মারক স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ সহ সংগ্ৰহশালা গড়ার। ৪/ রসপুর পিপলস্ লাইব্রেরীর সামনে ১৯৮৩ সালে শ্রীশচন্দ্র( হাবু) মিত্র স্মৃতি রক্ষা সমিতি নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভের সংস্কার। ৫/ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র -র জীবনী ও স্বাধীনতা সংগ্ৰামে তাঁর অবদান। ৬/ পি ডব্লু ডি রাস্তার রামকৃষ্ণ কাঁড়ার এর বাড়ির নামার সামনে থেকে শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র -র বাড়ি যাওয়ার রাস্তার নামকরণ " শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র সরণী" ফলক যেটি ১৯৮৩ সালে বসানো হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে পাকা রাস্তা হওয়ার সময়ে সেই ফলক তুলে দেওয়া হয় - সেই ফলকের পুনঃ প্রতিষ্ঠার। ৭ / আমতা থেকে বালিচক পর্যন্ত দামোদর নদের পূর্ব বাঁধের নাম করণ করা হোক " শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র সরণী " । শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র স্মৃতি রক্ষা সমিতি -র সম্পাদক অসিম কুমার মিত্র জানালেন এই দাবি সনদ উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী কে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে কার্যকরী ভূমিকা গ্ৰহণের জন্য পাঠানো হবে। Read the full article
0 notes
Text
এবার ধর্মযুদ্ধ ও মুসলিম গণহত্যার প্রকাশ্য আহবান হিন্দুত্ববাদী নেতাদের
এবার ধর্মযুদ্ধ ও মুসলিম গণহত্যার প্রকাশ্য আহবান হিন্দুত্ববাদী নেতাদের ভারতে এবার প্রকাশ্যে হিন্দুত্ববাদী নেতারা মুসলিম গণহত্যার প্রকাশ্য আহ্ববান জানিয়েছে। এতদিনের চাপা মুসলিম বিদ্বেষ এখন খোলামেলা ভাবেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে, যার প্রভাব পড়ছে সারা ভারতে। ফলে সর্বত্রই মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের আক্রোশের শিকার হচ্ছে। গত ১৭ই থেকে ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ‘ধর্মীয় সংসদ’…
View On WordPress
0 notes
Text
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
সালাফি আকিদা সম্পর্কে
youtube
সালাফি আকীদা কি?
youtube
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
The Salafi Aqeedah is Pure & Simple
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
#Aqeedah#Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#আকিদা#মানহাজ#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#Youtube
0 notes
Text
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
সালাফি আকিদা সম্পর্কে
youtube
সালাফি আকীদা কি?
youtube
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
The Salafi Aqeedah is Pure & Simple
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
#Aqeedah#Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#আকিদা#মানহাজ#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#Youtube
0 notes
Text
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
সালাফি আকিদা সম্পর্কে
youtube
সালাফি আকীদা কি?
youtube
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
The Salafi Aqeedah is Pure & Simple
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
#Aqeedah#Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#আকিদা#মানহাজ#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#Youtube
0 notes
Text
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
সালাফি আকিদা সম্পর্কে
youtube
সালাফি আকীদা কি?
youtube
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
The Salafi Aqeedah is Pure & Simple
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
#Aqeedah#Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#আকিদা#মানহাজ#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#Youtube
0 notes
Text
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
সালাফি আকিদা সম্পর্কে
youtube
সালাফি আকীদা কি?
youtube
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু?
youtube
The Salafi Aqeedah is Pure & Simple
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
#Aqeedah#Manhaj#SalafiAkidah#Salafi#Akidah#আকিদা#মানহাজ#সালাফি#আক্বীদা#Creed#Aqidah#Belief#SalafiCreed#আকিদাহ#বিশ্বাস#সালাফীআকীদা#Youtube
0 notes