#দেশ বাংলা
Explore tagged Tumblr posts
Text
প্রফেসর মোঃ আবদুল বাতেন, অধ্যক্ষ, কে সি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজI সাবেক অধ্যক্ষ, মির্জাপুর ও বরিশাল ক্যাডেট কলেজ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে দক্ষিণখানে ১০-তলা বিশিষ্ট নিজস্ব ভবনে গড়ে ওঠা একটি আধুনিকমানের ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম কে সি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার যা মানুষকে আলোকিত করে, সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে এবং একটি সুন্দর সমাজ, রাষ্ট্র তথা একটি সুন্দর বিশ্ব গঠনে অনন্য ভূমিকা রাখে। এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণখানে বসবাসরত বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী জনাব মোঃ ��সরু চৌধুরী (সিআইপি) ২০১৪ সালে উত্তরার সন্নিকটে দক্ষিণখানে কে সি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।দক্ষিণখান এলাকা ঢাকা মহানগরীর বর্ধিষ্ণু অংশ হলেও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছায়নি। ঢাকার উত্তরা ও নিকটবর্তী এলাকার সব নামি-দামী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বিমানবন্দর-টংগী রেল লাইনের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। এ প্রেক্ষাপটে রেল লাইনের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত কে সি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এতদঞ্চলে তথা সারা বাংলাদেশে শিক্ষা বিস্তারে এবং আলোকিত মানুষ তৈরিতে অনন্য অবদান রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।কে সি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভার্সনে পাঠদানের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সকল ছাত্র ছাত্রীকে ইংরেজি ও সহশিক্ষা কার্যত্রমে পারদর্শী করে গড়ে তোলার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয় যাতে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশ-বিদেশে যে-কোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং প্রয়োজনে নিজেদেরকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে।প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অভিভাবকসহ শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
0 notes
Text
কিছু সময় আগে।
আমি এবং সমুদ্র পাশে।
দীঘা বা দিঘা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত। দীঘাতে একটি অগভীর বেলাভূমি আছে যেখানে প্রায় ৭ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট ঢেউ বালুকাভূমিতে আছড়ে পড়তে দেখা যায়। এখানে ঝাউ গাছের সৌন্দর্যায়ন চোখে পড়ে; যা ভূমিক্ষয়রোধেও সমান সাহায্য করে।
দীঘার প্রকৃত নাম বীরকুল যা অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে আবিষ্কৃত হয়। ভাইসরয় ওয়ারেন হেস্টিংসের লেখা একটি চিঠিতে এটিকে 'প্রাচ্যের ব্রাইটন' বলে উল্লিখিত দেখা যায়। ১৯২৩ সালে জন ফ্র্যাঙ্ক স্নেইথ নামে এক ব্রিটিশ ভ্রমণকারী এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দীঘায় বসবাস শুরু করেন। তার লেখালেখির ফলে দীঘা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। ভারতের স্বাধীনতার পর এখানে পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি করতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়কে উৎসাহ দেন।
দেশ
ভারত
রাজ্য
পশ্চিমবঙ্গ
জেলা
পূর্ব মেদিনীপুর
সরকার
• শাসক
দীঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ
উচ্চতা
৬ মিটার (২০ ফুট)
ভাষা
• সরকারি
বাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চল
ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
#maitypallab #fbpost2024 #viralreelschallenge #top #highlightseveryone #sad #story #Digha #EastMidnapore
0 notes
Text
বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
চলুন দেখে নেই বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর :
(১) বাংলাদেশ এশিয়ার কোন অঞ্চলে অবস্থিত? উত্তর : দক্ষিণ এশিয়া
(২) বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস- উত্তর : ২৬ মার্চ
(৩) বিজয় দিবস পালিত হয়- উত্তর : ১৬ ডিসেম্বর
( ৪) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামের ডিজাইনার কে উত্তর : এএনএ সাহা
(৫) বাংলাদেশের রণ সংগীতের রচয়িতা কে ? উত্তর : নজরুল ইসলাম
(৬) সেন্টমার্টিন দ্বীপের অপর নাম কি ? উত্তর : নারিকেল জিনজিরা
(৭) বাংলা ভাষাকে দেশের দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে কোন দেশ? উত্তর : সিয়েরা লিয়ন
(৮) বাংলাদেশের সংবিধানে মোট কয়টি তফসিল আছে? উত্তর : ৭টি
(৯) বাংলাদেশের সংবিধান রচ��া কমিটির সদস্য নিচের কত জন ছিলেন? উত্তর : ৩৪ জন
(��০) বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য কে? উত্তর : বেগম রাজিয়া বানু
বিস্তারিত দেখুন : বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
0 notes
Video
youtube
বাংলা টাইপোগ্রাফি I Bangla Typography I সবার দেশ বাংলাদেশ I With a Wacom...
0 notes
Text
ডাচ বাংলা ���্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা বিস্তারিত।
ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড কতটা জরুরী সেটা আমরা সকলেই জানি। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সার ও প্রবাসীদের জন্য ক্রেডিট কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের পোস্টটা আমরা আলোচনা করব কিভাবে ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে এবং ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা গুলো কি কি।
ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:
অবশ্যই ডাচ বাংলা ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
সেলারি/ জব সার্টিফিকেট/ Utility bill সার্টিফিকেট অর্থাৎ, পে-স্লিপ।
আপনার ব্যাংকের লাস্ট ৬ মাসের স্টেটমেন্ট।
ল্যাব প্রিন্ট করা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে E-TIN প্রয়োজন হবে।
অফিস/জব আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে।
Tax Return copy এবং
এন আই ডি কার্ড থাকতে হবে।
ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা জানার পর, এবার ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ডের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে যেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো:
ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অফারটি হলো। প্রথম বছর কার্ডের বাৎসরিক চার্জ ১০০% ফ্রি।
Hidden কোন চার্জ বা ফি নেই।
ক্রেডিট কার্ড থেকে ডেবিট কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার করার সুবিধা।
বাংলাদেশের সব জায়গায় ATM booth facility
আপনার রিওয়ার্ড পয়েন্ট 8.000 হলে বাৎসরিক চার্জ 100% ফ্রিতে পাবেন এবং 7.500 পয়েন্ট হলে সাপ্লিমেন্টারি কার্ড 100% ফ্রিতে পাবেন।
এখানে আপনি যতবার কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করবেন তত বেশি পয়েন্ট পাবেন।
বিকাশ, রকেট বা নগদে Add money ফ্রি সুবিধা।
আপনি সর্বোচ্চ 50 দিন পর্যন্ত সময় পাবেন ইন্টারেস্ট অর্থাৎ, ‘Free period’ পরিশোধ করতে এবং সর্বনিম্ন ২০ দিন।
তাছাড়াও আপনি 1% ফান্ড ট্রান্সফার ফ্রি করতে পারবেন।
Nexus pay অ্যাপসের মাধ্যমে সারাদেশ জুড়ে 21.000+ মার্চেন্টস পয়েন্ট ‘QR’ কোর্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন।
ইন্টারন্যাশনাল কার্ড ব্যবহার করে দেশে কিংবা বিদেশে কেনাকাটা করতে পারবেন।
BOGO Buy 1 Get 1/2/3 অফারে আপনি বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ��াবার খেতে পারবেন।
বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে যেকোন দেশীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যেকোন সময় লেনদেন করতে পারবেন। আর ডুয়েল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে দেশ বা বিদেশে যেকোন স্থানে লেনদেন সুবিধা পাবেন। বিস্তারিত
1 note
·
View note
Text
কোটা ৫৬ (১৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ)
ডিজিটালের দেশ গড়তে
নয়- তো বই খাতা
স্কুল কলেজ লেখাপড়া
আর লাগেনা দাদা।!
ভোট চুরিতে এমপি মন্রী
কোটায় পাবে ঘোড়া হাতী-
প্রশ্ন ফাঁসেই মানুষ হবে জাতী।
দাদা বউদি Smart হবে
তাই- তো সবাই জানি।
বন্ধ ঘরে অন্ধ হয়ে
জাতী এবার করবে পড়াশুনা।
আজব রাজার গজব দেখুন
একি! গভীর রাতে Versity তে
হায়নাদের গুলি....।
কোমলমতি প্রাণ ঝড়িয়ে
জীবন নিয়ে শাসন চলে,
কি ভয়ানক রীতিনীতি দেশে?
অবিরত রক্ত ঝড়ায়
সরকারী ঢাকঢোলে,
সাহস কত বীর বাঙ্গালীর বুকে খঁত
রক্তে ভেজা বুলেট গাঁথা
আমার ভাইয়ের ছটফটিয়ে মরা।
গর্জে উঠ শ্লোগান তোল
প্রতিবাদী কন্ঠ রুঢ় করে।
হাত উঁচিয়ে মশাঁল এবার
জ্বালাও রাজপথে।
প্রশ্ন ফাঁসের একি দশা
দূর্নীতিতে পাহাড় সমান
অট্টালিকা গড়া।
দেশটা কার ও বাবার টাকায়
হয়নি সেদিন কেনা
রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করে
জীবন দিয়ে বিজয়ীরা
স্বাধীন করেন ভুমি।
প্রতিদানে চায়নি কিছু
দেশের মানুষ সবাই মিলে
মুক্তি পাব শুধু।
সমান সমান সবাই পাবে
সকল জনগণে
বঞ্চিত কেউ থাকবে না আর
আমার মায়ের দেশে।
তবে কেন রক্ত মাখা
লাশের মিছিল
ফিরলো বাংলাদেশে।
যাদুর শহর ঢাকা শহর
যেমনি নাচাও তুমি!
যুগ যুগান্তে বজ্র কন্ঠে
আওয়াজ উঠেছে ভেসে
৫২ তে ভাষার তরে
জাতীর গর্ব প্রাণের বিজয়
জীবন দিয়ে নেয়া।
মোদের গরব মোদের আশা
আ মরি বাংলা ভাষা।
জয় করেছেন যারা
মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে
করেনি তো দ্বিধা।
অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন
নত হয়নি জাতী
যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে
জয় করেছেন মাটি।
শান্তিপ্রিয় প্রিয় বীর ছেলেরা
মানবে না তো বাধা
অন্যায়কে রুখে দেব।
শক্ত হাতে দেশটা আবার
জয় করিবো গণতন্ত্র দিয়ে।
RAM'SNews&politics.
1 note
·
View note
Text
Massage by Mizanur Rahman Azhari
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন- ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে আমিন বলে, তখন আসমানের ফেরেশতারাও ‘আমিন’ বলেন। উভয়ের আমিন একই সময়ে হলে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (সহিহ বুখারি: ৭৮১)।
একনিষ্ঠ মনে দুআ করলে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। কারণ, তিনি বড়োই দয়ালু ও লজ্জাশ��ল। বান্দা যখন কাতর হৃদয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তখন ত���নি বান্দাকে খালি হাতে ফেরাতে লজ্জাবোধ করেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ (সূরা মুমিন: ৬০)
তিনি তার চাচাতো ভাই আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:)-এর জন্য দুআ করেছিলেন- ‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে কুরআনের জ্ঞান দান করুন।’ (সহিহ বুখারি: ৭৫)।
‘হে আমাদের রব! আমাদের দুনিয়ায় কল্যাণ দিন, আখিরাতে কল্যাণ দিন এবং জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।’ (সূরা বাকারা: ২০১)।
করা উত্তম, এতে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রিয়নবি (ﷺ) বলেন- ‘আল্লাহ খুব লজ্জাশীল। বান্দা যখন হাত তুলে দুআ করে, তখন আল্লাহ তার হাত দুটোকে খালি অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে লজ্জা বোধ করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৪৮৮)।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘হে ঈমানদারগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অপর সম্প্রদায়কে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম।’ কোনো নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রুপ না করে; হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়েও উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নামে ডাকা কতই না নিকৃষ্ট! আর যারা তওবা করে না, তারাই তো জালিম।’ (সূরা হুজুরাত: ১১)।
বিশ্বনবী (ﷺ) বলেন- ‘যে লোক কোনো মুসলিমের দোষ-ক্রটি লুকিয়ে রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ক্রটি লুকিয়ে রাখবেন। (সহিহ মুসলিম: ৬৭৪৬)
‘আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তোমাদের বংশ ও আভিজাত্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না। তোমাদের মধ্যে যে অধিক আল্লাহভীরু, সে-ই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদার অধিকারী। (সহিহ বুখারি: ৪৬৮৯)।
হে আল্লাহ! আবু জাহেল কিংবা উমর (রা:)বনুল খাত্তাব—এই দুজনের মধ্যে যে তোমার নিকট অধিক প্রিয়, তার মাধ্যমে তুমি ইসলামকে শক্ত ও মজবুত করো এবং মর্যাদা দান করো।’ (জামে আত-তিরমিজি: ৩৬৮১)
একজন মুনাফিকের চেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার দুনিয়ায় আর কেউ নেই। মুনাফিক মানেই দ্বিমুখী চরিত্রের বর্ণচোরা লোক। প্রতারক শ্রেণির এই লোকগুলো সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের ঘোরতর শত্রু।
‘মুনাফিক’ আরবি শব্দ। ইংরেজিতে বলে Hypocrite। উৎপত্তিগতভাবে মুনাফিক শব্দটি ‘আন-নিফাক' শব্দ হতে এসেছে। আন-নিফাক শব্দটি এসেছে ‘নাফাকা’ শব্দ হতে। নাফাকা শব্দের বাংলা অর্থ সুরঙ্গ (Tunnel) সাধারণত প্রত্যেক সুরঙ্গের দুই প্রান্তে দুটি মুখ থাকে। তেমনই মুনাফিকও হলো দুই মুখওয়ালা বা দ্বিমুখী নীতিওয়ালা ব্যক্তি (Two Faced Personality) মুনাফিকরা দুই দলের কাছে গিয়ে দুই রকম কথা বলে। দুই দলের কাছে দুই রকম চেহারা নিয়ে হাজির হয়। যখন যার কাছে যায়, তখন তার পক্ষে কথা বলে।
‘নিশ্চিত জেনে রেখ, মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে এবং তোমরা তাদের জন্য কাউকে সাহায্যকারী হিসেবে পাবে না।'’(সূরা নিসা: ১৪৫)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন— ‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনে, তা-ই বলে বেড়ায়।’ (সহিহ মুসলিম: ০৫ )
অপ্রয়োজনে কসম করা কথায় কথায়, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে শপথ করা বা কসম কাটা মুনাফিকদের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন— ‘তারা নিজেদের শপথকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।' (সূরা মুনাফিকুন: ০২)
তারপর সেই নামাজিদের জন্য ধ্বংস, যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে গাফিলতি করে, যারা লোক দেখানো কাজ করে। (সূরা মাউন: ৪-৬)
অর্থাৎ, নামাজে অলসতা করা হলো মুনাফিকদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এজন্য যেকোনো মূল্যে নামাজে অলসতা থেকে দূরে থাকতে হবে।
‘কিন্তু তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকো; অথচ আখিরাত উৎকৃষ্ট ও স্থায়���।’ (সূরা আ'লা: ১৬-১৭)
সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা: তাওয়াক্কুল মানে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করা। একজন বিশ্বাসী পুরুষ কিংবা নারী যেকোনো ভালো ও কল্যাণকর বিষয় অর্জনের জন্য সকল ব্যাপারে নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে। ফলাফলের জন্য আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করবে, তাঁর প্রতি আস্থা ও দৃঢ় ইয়াকিন রাখবে—এটাই তাওয়াক্কুল। সে সর্ব��া বিশ্বাস রাখবে, আল্লাহ তায়ালা যা লিখে রেখেছেন, ফলাফল তা-ই হবে। আর তাতেই রয়েছে চূড়ান্ত সফলতা ও কল্যাণ। এটাই তাওয়াক্কুলের মূলকথা।
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। (সূরা তালাক: ০৩)
অন্যের প্রাচুর্যের দিকে তাকালে কখনোই মানসিক প্রশান্তি পাওয়া সম্ভব না। মনের শান্তি পেতে হলে আমাদের যা আছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। একবার নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, কত নিয়ামত আল্লাহ আপনার মাঝে দিয়েছেন! এই নিয়ামতগুলোকে অনুভব করুন। এতে অন্তরে প্রশান্তির সুবাতাস বইবে; থেমে যাবে নৈরাশ্যের বৈরী হাওয়া।
রাগ ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে: রাগ আপনার ব্যাপারে জনমনে একটা নেগেটিভ ধারণা তৈরি করে; যা আপনার ব্যক্তিত্ব বা ইমেজকে নষ্ট করে। প্রত্যেক মানুষই চায়, সবার কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকুক। লোকজন তাকে ভালোবাসুক, তার কাছে আসুক, তার ব্যাপারে একটা পজেটিভ ধারণা রাখুক। কিন্তু যখনই মানুষ দেখবে যে আপনি বদমেজাজি, অল্পতে চটে যান, তখন আর কাউকে কাছে পাবেন না। সবাই আপনাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবে।
'মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই তর্কপ্রিয়।' (সূরা কাহাফ: ৫৪)
কুরআন সব সময় উত্তম মানবীয় আচরণকে (Good Human Behavior) প্রোমোট করে। রেগে গেলে বিশ্বাসীদের কী ধরনের রিঅ্যাক্ট করা উচিত, সেটার বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন— ‘যখন তারা রেগে যায়, তখন (সাথে সাথে) তারা ক্ষমা করে ব্যাপারটা ছেড়ে দেয়।' (সূরা আশ-শুরা: ৩৭)
হাদিসে বর্ণিত আছে— ‘একবার বিশ্বনবি (ﷺ) সাহাবিদের সঙ্গে বসা ছিলেন। তখন তাঁদের সামনে দিয়ে একজন ব্যক্তির লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিশ্বনবি (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁকে দেখে সাহাবিরাও দাঁড়িয়ে গেলেন। সাহাবিরা বুঝতে পারলেন, লাশটি একজন ইহুদির। তাঁরা রাসূল (ﷺ)-কে বললেন—“এটা তো একটা ইহুদির লাশ (অর্থাৎ আপনি ইহুদি লাশের সম্মানার্থে দাঁড়ালেন!)” রাসূল (ﷺ) বললেন-“সে কি একজন মানুষ নয়?'' (সহিহ বুখারি: ১৩১২)
কুরআনে আল্লাহ তায়ালা নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন—'রব্বুল আলামিন' অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর রব। পবিত্র কুরআনের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন— ‘জিকরুল্লিল আলামিন' অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশবাণী। বিশ্বনবি (ﷺ)-এর পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন—'রহমাতাল্লিল আলামিন' অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ। কোথাও বলেননি যে, এই কুরআন কিংবা ইসলাম কেবল মুমিনদের কিংবা মুত্তাকিদের জন্য; বরং সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্যই। তাই এটা বিশ্বজনীন ধর্ম।
'আল্লাহ কারোর ওপর তার সামর্থ্যের অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা চাপান না।' (সূরা বাকারা: ২৮৬)
আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল বলেছেন— ‘দ্বীনের বিধিবিধান অত্যন্ত সহজ-সরল। কিন্তু যে ব্যক্তি দ্বীনের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করবে, সে পরাজিত হবে। তাই সবার উচিত, সঠিকভাবে দৃঢ়তার সাথে ইসলামের নির্দেশিত পথ অবলম্বন করা, বাড়াবাড়ি এড়িয়ে চলে ধীর-স্থিরভাবে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা, আল্লাহর রহমত ও করুণার আশা পোষণ করা, সকাল-বিকেল ও শেষরাতে নফল ইবাদত দ্বারা অধিক নৈকট্য লাভ করা এবং উন্নতির পথে সাহায্য গ্রহণ করা। (সহিহ বুখারি: ৩৫)
অন্য হাদিসে আনাস (রা:) হতে বর্ণিত- রাসূল (ﷺ) বলেন-তোমরা সহজপন্থা অবলম্বন করো, কঠিনপন্থা অবলম্বন করো না। মানুষকে দ্বীনের সুসংবাদ দাও, দেশ থেকে ভাগিয়ে দিও না। (সহিহ বুখারী: ৬৯)
কুরআনের প্রথম নাজিলকত আয়াতের প্রথম শব্দ হলো—'ইকরা' বা পড়ো। অর্থাৎ জ্ঞান অন্বেষণের নির্দেশনা দিয়েই কুরআনের যাত্রা শুরু হয়ে��ে।
মহান আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন- ‘আপনি বলুন, যারা জ্ঞানী এবং যারা জ্ঞানী নয়, তারা কি কখনো সমান হতে পারে?' (সূরা জুমার: ০৯)
হাদিসে উল্লেখ আছে—আনাস হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন ‘প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।' (ইবনে মাজাহ: ২২৪ )
আনাস (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন— ‘যে লোক জ্ঞানার্জন করার জন্য বের হয়, ফিরে না আসা পর্যন্ত সে আল্লাহর রাস্তায় আছে বলে গণ্য হয়।' (সহিহ আত-তারগিব: ৮৮)
পৃথিবীর মাঝে অশান্তি সৃষ্টি করা ইসলাম কখনো পছন্দ করে না; বরং কেউ অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইলে ইসলাম তাকে বাধা দেয়। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন— 'তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করো না। আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।' (সূরা কাসাস:
পৃথিবীর বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে কারও অধিকার নেই সেখানে পুনরায় অশান্তি সৃষ্টি করার। কুরআনে স্পষ্টভাবে নিষেধ আছে- 'দুনিয়ায় সুস্থ পরিবেশ বহাল করার পর আর সেখানে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।' (সূরা আ'রাফ: ৫৬)
‘আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবি (ﷺ) বললেন—তোমরা সহজ পথে থাকো এবং মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো।' (সহিহ বুখারি: ৩৯)
এজন্য ছেলেমেয়ে যা হোক না কেন, মনে করতে হবে-এতেই আপনার জন্য কল্যাণ রয়েছে। তাই সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘(আল্লাহ) যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র-কন্যা উভয়ই দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। তিনি সবকিছু জানেন এবং সবকিছু করতে সক্ষম।' (সূরা শুরা ৪৯-৫০)
‘‘আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার ব্যাপারে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাঁকে ��র্ভে ধারণ করে। দুই বছর পর্যন্ত তাকে দুধ পান করায়। সুতরাং আমার ও তোমার পিতা-মাতার শুকরিয়া আদায় করো। আমার কাছেই তোমাদের ফিরে আসতে হবে।” (সূরা লুকমান: ১৪)
"যে পিতা তার সন্তানের দুধ পানের সময়কাল পূর্ণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে মায়েরা পুরো দুই বছর নিজেদের সন্তানদের দুধ পান করাবে।' (সূরা বাকারা: ২৩৩)
তাঁর কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন- ‘যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।' (সহিহ বুখারি: ৫৯৯৭)
আল্লাহ সুবহানাহু ওরা তায়ালা বলেন- হে বনি আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিচ্ছদ গ্রহণ করো। (সূরা আ'রাফ ৭: ৩১)।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- 'নামাজ শেষ হয়ে গেলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহের সন্ধান করবে।' (সূরা জুমুআহ ৬২:১০
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন— 'এবং তাকে এমন স্থান থেকে তিনি রিজিক দান করবেন, যা সে ধারণাও করে না। আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার (কর্ম সম্পাদনের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। নিশ্চিতভাবে জেনে রেখ, আল্লাহ তার কাজ পূরণ করে থাকেন। আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য একটা মাত্রা ঠিক করে রেখেছেন।' (সূরা তালাক: ০৩)
রাসূল (ﷺ) বলেন- 'তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং উত্তম পন্থায় জীবিকা অন্বেষণ করো। যা হালাল, তা-ই গ্রহণ করো এবং যা হারাম, তা বর্জন করো।' (ইবনে মাজাহ: ২১৪৪)
মৃত্যু! একটি অনিবার্য বাস্তবতা। হঠাৎ এসে চমকে দিয়ে সব স্থবির করে দেয়। এ পৃথিবীর কাউকে আল্লাহ তায়ালা অমরত্ব দান করেননি। তাই প্রতিটি প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হয়। নশ্বর এ মহাবিশ্বে তিনি একাই কেবল অবিনশ্বর।
0 notes
Text
🇧🇩 সিলেটি ভাষার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস!🇮🇳
সিলেটি ভাষাকে বাংলা ভাষার আঞ্চলিক রূপ হিসেবে ধারনা করা হলেও আসলে এটি একটি স্বতন্ত্র ভাষা।
বাংলাভাষার মূলরীতির সাথে যথেষ্ঠ পার্থক্য থাকা সিলেটি ভাষা বাংলা ভাষা থেকে আলাদা এবং প্রাচীন স্বয়ংসম্পূর��ণ ভাষা।
সিলেটি ভাষার নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে যাকে সিলেট নাগরী বা প্রাচীন নাগরী বলা হয়।
সিলেটি ভাষায় ৩২টি বর্ণ বা অক্ষর রয়েছে যার মধ্যে স্বরবর্ণ ৫টি (অ, ই, ঈ, উ, ঊ) এবং বাকি ২৭টি ব্যঞ্জন বর্ণ।
গবেষকদের মতে, "সিলেটিরা মূলত বাংলাভাষী নন। সিলেটি জনগোষ্ঠী নিজস্ব ভাষার অধিকারী। বাংলাদেশের মাতৃভাষা বাংলা হলেও সিলেটিদের মাতৃভাষা সিলেটি (ছিলটি) নাগরী বা প্রাচীন নাগরী।
সিলেটি নাগরী একটি বিজ্ঞান সম্মত লিপি এবং যাঁরা তা উদ্ভাবন করেছেন এ লিপি তাদের বিরল প্রতিভার সাক্ষ্য বহন করে"
সিলেটি ভাষার উদ্ভব নিয়ে ভাষা গবেষকদের রয়েছে ভিন্নভিন্ন মত। ভাষা গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল ও অধ্যাপক মুহম্মদ আসাদ্দর আলীর মতে, জটিল সংস্কৃত প্রধান বাংলা বর্ণমালার বিকল্প লিপি হিসেবে সিলেটি নাগরী লিপির উদ্ভাবন হয়েছিল।
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যয় মনে করেন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আসা হজরত শাহজালাল (রঃ) সঙ্গে করে এই ভাষার লিপি নিয়ে আসেন।
কারো কারো মতে আফগান শাসনের সময় এই ভাষার প্রচলন শুরু হয়। তবে অধিকাংশের মতে এই ভাষাটি খ্রিষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে মুসলমানদের হাত ধরে এসেছে। ফ্রান্সের বিখ্যাত ভাষা যাদুঘরে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার উদূতি রয়েছে।
সেখানে বাংলাদেশের ভাষার বিবরণে উল্লেখ করা আছে যে, "বাংলাদেশে দুটি ভাষা প্রচলিত। এর একটি বাংলা এবং অন্যটি সিলেটি" ।
সিলেটি ভাষা নিয়ে দেশ-বিদেশে চলছে গবেষনা। অনেকেই এই বিষয়ে পিএইচডিও করেছেন। এখন লেখায় সিলেটি ভাষার ব্যবহার না হলেও সৌভাগ্য যে সিলেটের নাগরী লিপির দ্বারা লিখিত প্রায় ১৬০ টি বই সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সিলেটি নাগরি ভাষায় লিখিত বই 'হালত-উন-নবী'
কিন্তু প্রাচীন এই ভাষাটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি এখনো। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় সিলেটি-সিলেটি প্রবাসীরা এই ভাষার স্বীকৃতি চেয়ে আন্দোলন করলেও ১৯৮০ সালের দিকে তা স্থিমিত হয় যায়।
সিলেটি ভাষা শুধু সিলেটেরই মাতৃভাষা নয় ভারতের ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয়ের লোকের মাতৃভাষাও সিলেটি। এটি একটি প্রাচীন ভাষা তাঁতে কোন সন্দেহ নেই।
সিলেটের বাইর�� বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ এবং ভারতের কাছাড়, করিমগঞ্জ এলাকায় সিলেটি নাগরী লিপির প্রচলন ছিল।
একটি জরিপে দেখা গেছে পৃথিবীর ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের মাতৃভাষা সিলেটি। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে পৃথিবীর আরো ৭ লক্ষ মানুষ সিলেটি মাতৃভাষায় কথা বলেন।
সিলেটি ভাষা আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে বিবেচিত হলেও পৃথিবীর বুকে রয়েছে এর আলাদা গ্রহণযোগ্যতা।
আসুন, ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমরা সকলে মিলে সিলেটি ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।
#Sylheti Language#srkshazu#mylove💕#International mother language day#21st February#সিলেটি ভাষা#srkshaju#সিলটি ভাষা#Mother Language Day#আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস#assamese#Kolkata#Bangladesh
0 notes
Text
১০টি মাছের নাম বাংলা
১০টি মাছের নাম বাংলা শীর্ষক আজকের প্রবন্ধে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের বলা হয় মাছে ভাতে বাঙ্গালী। ধনী-গরিব সকলের খাবারের তালিকায় মাছ থাকে। প্রতিদিনের খাবারে মাছ থাকবে না তা হতে পারে না। নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে আমরা ছোট থেকেই মাছের সাথে পরিচিত। আমাদের সকলের তাই কিছু না কিছু মাছের নাম অবশ্যই জানা থাকার কথা। তবে বর্তমানে অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা ডিজিটাল যুগের দোহায় দিয়ে বাজারে না যাওয়ায় তাদের অনেকেই…
View On WordPress
0 notes
Video
youtube
মজার দেশ বাংলা কবিতা | কবি যোগীন্দ্রনাথ সরকার | Mojar Desh bangla Kobita...
0 notes
Text
বঙ্গেশর শিবের মন্দির
দেবাদিদেব মহাদেবকে অনেক পৌরাণিক কথা রয়েছে। এই দুনিয়া সৃষ্টি করেছে স্বয়ং শিব। প্রেম থেকে প্রলয় সবেতেই শিবের মহিমা বিরাজমান।
সাড়া দেশ জুড়েই বহু মন্দির রয়েছে মহাদেবের। আর তারই মধ্যে অন্যতম জাগ্রত শিব হল বঙ্গেশ্বর শিব। হাওড়ায় রয়েছে এই শিবের এক মন্দির। নাম ‘বঙ্গেশ্বর মন্দির’। স্থানীয় বাসিন্দারা এই মন্দিরকে শেট বংশীধর জালান স্মৃতি মন্দির নামেও চেনেন।
বঙ্গেশ্বর শিব , মন্দির , উত্তর হাওড়া , সালকিয়া , বাঁধাঘাট, শিব , মহাদেব , বঙ্গেশর শিবের মন্দির , ধর্মকথা , জিয়ো বাংলা
বিনোদনের খবর , পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি ,
Stay connected and follow us for more content like this ! We are active on Facebook, Instagram and YouTube, where you will find a collection full of inspiring posts. Join our community and embark on a journey of cultural exploration and artistic wonder. Be a part of our vibrant online presence by connecting with us today.
Facebook : https://www.facebook.com/JiyoBangla
Instagram : https://www.instagram.com/jiyobangla/?hl=en
YouTube : https://www.youtube.com/c/JiyoBangla
0 notes
Link
0 notes
Text
‘শতভাগ সাক্ষরতা’: এখনো গেল না আঁধার
আধুনিক এই সময়ে বিশ্বের সামর্থ্যবান প্রায় সব দেশ শতভাগ সাক্ষরতার দিকে যাচ্ছে। এমনকি পূর্ব আফ্রিকার দেশ যে উগান্ডাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রল হয়, সেই দেশটিও সাক্ষরতায় আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তবে এতদিনে আমাদেরও শতভাগ সাক্ষরতা অর্জিত হওয়ার কথা! বাংলা গানের কথা আমরা জানি- ‘হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ’। নিরক্ষর মানুষেরও একই দশা। যাদের অক্ষরজ্ঞান নেই; সত্যিকার অর্থে চোখ থাকার পরও তারা অন্ধ। আমরা ভাষার…
View On WordPress
0 notes
Text
0 notes
Text
বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্বনেতা
শফিউল বারী রাসেল
বঙ্গবন্ধু তুমি আছো
রাখালেরই বটের ছায়ায়,
প্রমত্তা ওই পদ্মা নদীর
সাতরঙ্গা পাল তোলা নৌকায়।
ধানের শীষের ঢেউ খেলানো
মিষ্টি শীতল হিমেল হাওয়ায়,
মাটির চাঙ্গর তোলা চাষীর
ঘামঝড়ানো কাঠ লাঙ্গলটায়।
ছবির মতো দেখতে গাঁয়ের
খড়কুটোর ঝুপড়ি বাড়িটায়,
তিনমাথার মুদি দোকানীর
রুটি-রুজির দাড়িপাল্লায়।
বঙ্গবন্ধু তুমি আছো
টেকনাফ থেকে ��েতুলিয়ায়,
তারুণ্যের দারুণ উচ্ছাসে
জাগ্রত একটা চেতনায়।
অগণিত জনতারই
কন্ঠেরই শোনিত ধারায়,
আবাল বৃদ্ধবনিতারই
মনুষ্যত্বের প্রাগাঢ়তায়।
মুক্তিকামী শান্তিপ্রিয়
মানুষের প্রগাঢ় প্রেরণায়,
বিপ্লবী মনের অনুভবে
পবিত্র এক উন্মাদনায়।
বঙ্গবন্ধু তুমি আছো
রাজপথে মুক্তির মিছিলটায়,
শ্রমিকেরই ঘাম ঝড়ানো
প্রকল্প বা কল-কারখানায়।
দিগন্তজোড়া রঙ্গীণ ফুল
আর ফসলের সবুজ মাঠটায়,
নদীর স্রোতে, নদীতটে
শাপলা বিল আর হাট ও ঘাটটায়।
সবুজ বনের পত্র-পল্লব
শত শাখা ও প্রশাখায়,
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত
আমাদেরই পল্লীবালায়।
বঙ্গবন্ধু তুমি ত্রস্তা
ধরনীর দ্বিধাহীন আশ্রয়,
দূণির্বার এক ক্ষাত্রশক্তি
সাহসী ও নির্ভিক, নির্ভয়।
অদ্বিতীয় এক রুপকার
তুমি যে এ স্বাধীন বাংলার,
দেশ প্রেমেরই মূর্ত প্রতিক
এ দেশ ও জাতির অহংকার।
তুমি তেজস্বী মহাপুরুষ
ব্যথাতুর এই জনতার,
ভয়কে যে জয় করার সাহস
নিগুঢ় বিশ্বাস এবং আস্থার।
বঙ্গবন্ধুই ছিড়েছিলো
পাক প্রেতাত্মার সেই লোলুপ জিভ,
তাই মুজিবুর থেকে তুমি
হয়েছো যে আজ শেখ মুজিব।
তৃণমূলের নেতা থেকে
বাঙ্গালীরই জাতির পিতা,
পেলে বঙ্গবন্ধুর খেতাব
যা দিয়েছে এই জনতা।
সেখান থেকেই বিশ্বনেতা
আহ্ চাট্টিখানি কথা কী,
তুমিই যে হাজার বছরের
বিশ্বেরই শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী।
তুমি এখন বিশ্বজুড়ে
কোটি মানুষের অন্তরে,
লাল সবুজের পাড়া ও গ্রাম
শহর, নগর, হাট বন্দরে।
তুমি আছো বলেইতো আজ
শ্বাশত সব বাণী যে পাই,
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
শ্লোগানে তাই নিজকে হারাই।
বঙ্গবন্ধু তুমি জাতির
অসমাপ্ত একটা অধ্যায়,
তুমি অনবদ্য আখ্যান,
মাথা ন্যুই বিনম্র শ্রদ্ধায়।
1 note
·
View note
Text
একই পাঠ্যক্রমে দ্বিমত তাও নদ নদী নিয়ে!
তৃতীয় শ্রেণির জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ। আমার বাংলা বইয়ে কবি সৈয়দ শামসু�� হকের কবিতায় ১৩শত নদ। আমাদের এই বাংলাদেশ সৈয়দ শামসুল হক সূর্য ওঠার পূর্বদেশ বাংলাদেশ। আমার প্রিয় আপন দেশ বাংলাদেশ! আমাদের এই বাংলাদেশ। কবির দেশ বীরের দেশ আমার দেশ স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ! ধানের দেশ গানের দেশ তেরোশত এ নদীর দেশ বাংলাদেশ! আমার ভাষা বাংলা ভাষা মা শেখালেন মাতৃভাষা মিষ্টি বেশ! মনের ভাষা…
View On WordPress
0 notes