#এসবি��ই
Explore tagged Tumblr posts
paathok · 4 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/127477
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পিকে হালদারকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে দুদক: হাইকোর্ট
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পিকে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠি পৌঁছানোর আগেই পিকে হালদার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে আদালতে তথ্য দেয় এসবির ইমিগ্রেশন শাখা।
বৃহস্পতিবার পিকে হালদারকাণ্ডে জড়িত আনান কেমিকেল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত চিঠি ১৩ ঘণ্টা পর ইমিগ্রেশনে পাঠিয়ে পিকে হালদারকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে দুদক।
শুনানিকালে আদালত ইন্টারনেটের যুগে চিঠি পাঠাতে এত সময় ব্যয় হওয়ার কড়া সমালোচনাও করেন।
শুনানিতে আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্��ী।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পিকে হালদার বেনাপোল দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে কানাডায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন পিকে হালদার।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিলেন পিকে হালদারের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে। তখন আদালত জানতে চান পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও তিনি কীভাবে পালিয়ে যান। একইসঙ্গে পিকে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকাও দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।
পরে গত ১ মার্চ ইমিগ্রেশন পুলিশ হাইকোর্টকে জানায়, যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে দেশত্যাগ করেছেন পিকে হালদার। ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পিকে হালদার যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন- দুদক সেই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশেষ শাখার (এসবি) সদর দপ্তরকে চিঠি দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানোর জন্য। এসবি সদর দপ্তর দুদকের ওই চিঠি হাতে পায় ২৩ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টায়। ওইদিন বিকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে ইমিগ্রেশন পুলিশের সব শাখায় চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে চিঠি পাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগেই পিকে হালদার বেনাপোল দিয়ে দেশত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় দেড়শ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা তদন্তে রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আর্থিক খাত থেকে আত্মীয়স্বজন চক্রের মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার কারিগর পিকে হালদারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অফিসিয়াল তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। দুদক ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে।
এ ছাড়া দুদকের ক্যাসিনো দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট তালিকায় লিজিং কোম্পানি ও আর্থিক খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারে জড়িত পিকে হালদারের নামও রয়েছে। ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতায় তার বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা লোপাট করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান বলে গত বছরের শুরুতে খবর আসে। এর পর আইএলএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে তাকে অপসারণের পাশাপাশি তার সম্পত্তি জব্দ করা হয়।
পিকে হালদার পালিয়ে যাওয়ার পরই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে মামলা করে।
দুদকের এ মামলার মুখে নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৯ অক্টোবর ��াইকোর্টে আবেদন করে আইএলএফএসএল জানায়, আত্মসাৎ করা অর্থফেরত দিতে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আদালতের আশ্রয়ে পিকে হালদার দেশে ফিরতে চাইছেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড (আইএলএফএসএল)।
এ আবেদন গ্রহণ করে ২১ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেন, পিকে হালদার বিমান থেকে দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তিনি যাতে ‘নিরাপদে’ দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সে জন্য পুলিশ প্রধান, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন আদালত।
কিন্তু ২৪ অক্টোবর জানা গেল পিকে হালদার দেশে ফিরছেন না। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) আইনজীবী ই-মেইল করে অ্যাটর্নি জেনারেলেরে কার্যালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে পিকে হালদারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তার আইনজীবীরা।
পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তায় আবেদন করে দুদক। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে করা সব মামলার নথি চায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।
এরপর গত ২ ডিসেম্বর পিকে হালদারকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের জন্য পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত।
পরে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, পিকে হালদারকে গ্রেফতারে রেডঅ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।
0 notes
thebangladeshtoday · 7 years ago
Photo
Tumblr media
গাড়ির চাকা ঘুরলেই দিতে হয় চাঁদা! টিবিটি বিনোদন: গাড়ির চাকা ঘুরলেই দিতে হয় চাঁদা। আর এই চাঁদাবাজির আখড়ায় পরিণত হয়েছে ঢাকার বাস টার্��িনাল ও প্রধান প্রবেশপথগুলো। নামে-বেনামে আদা�� করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এই অসৎ কাজে মালিক সমিতি, শ্রমিক সমিতি, ওয়ে বিল, স্থানীয় মাস্তানরাতো আছেই-সেইসঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্যরাও। ফলে বাড়তি টাকার মাশুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ছোট-বড় ভেদে একেক পরিবহনে চাঁদার পরিমাণ একেক রকম। এই চাঁদা দিতে গিয়ে পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের যেমন নাভিশ্বাস উঠছে। ঠিক তেমনি এই বাড়তি টাকা তোলে আনতে সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়তই হয়রানি করছে গাড়ির চালক ও হেলপাররা। এমনকি বাড়তি ভাড়া আদায় করতে গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। সরজমিনে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল হতে না হতেই চাঁদাবাজরা তৎপর হয়ে উঠেছে। এদের হাত থেকে রেহায় পায় না ছোট-বড় কোনো পরিবহনই। ৭ ও ৮ নম্বর রুটের লক্কড়-ঝক্কড় লোকাল বাস থেকেও আদায় করা হচ্ছে দৈনিক ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। এছাড়া ওয়েবিলের নামে প্রভাবশালী বাস কোম্পানিগুলো প্রতিদিন বাস প্রতি নিচ্ছে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা। কিন্তু কেন এত টাকার বিল। কোথায় জমা হয় এ বিপুল পরিমাণ টাকা? অনুসন্ধানে নামে সংবাদ দল। হাতে আসে চাঁদা তোলার খসড়া তালিকা। সে তালিকায় দেখা যায় শুকতারা, ভিলেজ, পদ্মা ও যাত্রীসেবা, এনএনবি, এসবি লিংক, এই পাঁচটি বাস সার্ভিস থেকেই মাসে আদায় করা হচ্ছে ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া নগরীর অভ্যন্তরে চলাচল করা বাসগুলোকে ওয়ে বিলের পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনগুলোকে আলাদা চাঁদা দিতে হয়। আছে সে তালিকাও। সব মিলে গাবতলির পাঁচটি ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী বাস কোম্পানিগুলোকে প্রতিমাসে প্রায় কোটি টাকা চাঁদা দিতে হয়। এর সঙ্গে ট্রাক, লেগুনা ও চারটি টার্মিনালের চাঁদার হিসেব যোগ করলে অংকটি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। গাবতলী বাস টার্মিনাল কমিটির সেক্রেটারি মো. আক্তার হোসেন জানান, প্রতিদিন সব বাস থেকে চাঁদা উঠানো হয় না। কিছু কিছু বাস থেকে উঠানো হয়। কিন্তু কেন এই চাঁদা তোলা হচ্ছে বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারেননি তিনি। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হওয়া ২০১৫ সালের দৃশ্য আর বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে পার্থক্য নেই বললেই চলে। বেপরোয়া এসব চাঁদাবাজির কারণে নিজের মুনাফা ঠিক রাখতে মালিকরা নিচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া। পরিবহন খাতে এখন অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর প্রমাণ মেলে আ��নশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও যখন প্রকাশ্যে এমন টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। বিআরটিএ পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মো. মাহবুব-ই রাব্বানী জানান, পরিবহন খাতের এসব অনিয়ম দেখার দায়িত্ব পুলিশের। এছাড়া গাবতলীতে রাতের লাঠিয়াল বাহিনীর দৌরাত্ম আছে আগের মতোই। মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে চাঁদাবাজি।
0 notes