#অনলাইন মক্তব
Explore tagged Tumblr posts
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
মুসলমানদের প্রতি ব্রাজিল সব সময় ঋণী হয়ে থাকবে! মুহাম্মাদ মিনহাজ উদ্দিন: ব্রাজিলে ২০ কোটি লোকসংখ্যার বেশির ভাগই ক্যাথলিক খ্রিস্টান। তবে অন্য ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি বেশ কিছু মুসলমানও রয়েছে। যার সংখ্যা ১৭ লাখের মতো। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫-৬ শতাংশ। এই গাণিতিক হিসাবে লাতিনের সর্ববৃহৎ এই দেশটিতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা কম মনে হলেও আনন্দের সংবাদ হচ্ছে, ব্রাজিলে মুসলমানের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সাওপাওলোতেই মাসে গড়ে ছয়জন মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে। (সূত্র : ‘আল-মুসলিমুনা ফিল ব্রাজিল, ড. খালিদ রিজক তকিউদ্দিন) ব্রাজিলে ইসলামের আগমন : ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ব্রাজিলে ইসলামের আগমন আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কারের সূচনালগ্ন থেকেই। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের ২২ এপ্রিল বিখ্যাত পর্তুগিজ পরিব্রাজক ও আবিষ্কারক পেড্রো আলভারেস কারব্যাল যখন ব্রাজিল উপকূলে জাহাজ নোঙর করেন, তখন তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু স্বনামধন্য, দক্ষ, কর্মঠ ও পারদর্শী মুসলিম নাবিক ছিলেন। তন্মধ্যে শিহাবুদ্দিন বিন মাজেদ ও মুসা বিন সাতি ��ন্যতম। ইতিহাসের বরাত অনুযায়ী তাঁদের হাত ধরেই ব্রাজিলে ইসলাম ও মুসলমানের আগমন ঘটে। (আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমুন ফিল ব্রাজিল, আল-মুজতামা অনলাইন সংস্করণ-২০১) ব্রাজিলে কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিমদের প্রথম বহর আসে ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে এবং ৪০ বছর পেরোনোর আগেই ১৪ হাজারের বেশি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মুসলমান আফ্রিকা থেকে ব্রাজিলে স্থানান্তরিত হয়। পর্তুগিজরা পরবর্তী সময়ে কয়েক বছরে নিগ্রো মুসলিমদের বেশি হারে নিয়ে আসতে শুরু করে। এমনকি শুধু অ্যাঙ্গোলা থেকেই ছয় লাখ ৪২ হাজার নিগ্রো মুসলিমকে ব্রাজিলে নিয়ে আসা হয়। এ ছাড়া সুদানের বিভিন্ন অঞ্চল ও পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিমদের ব্রাজিলে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব নিগ্রো মুসলমানকে জোরপূর্বক ব্রাজিলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের হাত-পা শিকলে বেঁধে জাহাজের পাটাতনে ফেলে নিয়ে যাওয়া হতো। নির্যাতন-অবহেলা, অনাহারে ও রোগাক্রান্ত হয়ে যেসব মুসলমান মারা যেত, তাদের মাঝপথে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হতো। (সূত্র : ব্রাজিল জা-রাহাল মুসলিমুনা ওয়াকতাশাফুহা কাবলাল বুর্তুগালিয়িন) কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমানদের অবদান : কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমানদের প্রতি ব্রাজিল সব সময় ঋণী হয়ে থাকবে। আখ-চিনি, কফি, তুলা, বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা, এমনকি প্রয়োজনীয় সব ধরনের কৃষি সরঞ্জামাদি তাঁরা আফ্রিকা থেকে ব্রাজিলে নিয়ে এসেছিল। ব্রাজিলের মুসলমানদের বর্তমান অবস্থা : ব্রাজিলের মুসলমানদের জন্য সুদিন আসতে শুরু করে ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে। লেবানন, ফিলিস্তিন, মিসর ও সিরিয়া থেকে মুসলমানরা ব্রাজিল আসতে থাকে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ও লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় এবং ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিল সম্রাট মিসর, লেবানন ও সিরিয়া সফর করার পর থেকে। রাজা দ্বিতীয় পেড্রোর সঙ্গে চুক্তি হয় লেবাননের। লেবানিজরা ব্যবসা করার জন্য আসতে শুরু করে দেশটিতে। দ্বিতীয় মাত্রায় ১৮১৪ ও তৃতীয় মাত্রায় ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে বিপুলসংখ্যক মুসলমান ব্রাজিলে হিজরত করে। গত শতাব্দীতে ও বর্তমানে ব্রাজিলে হিজরতকারী বেশির ভাগ মুসলমান ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। ব্রাজিলের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে মুসলিম ব্যবসায়ীরা। তবে অন্যান্য পেশার সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম—চাকরি, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও খেলাধুলায়ও মুসলমানরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। অন্যদিকে আরব বসন্তের পর গত কয়েক বছরে চার শতাধিক সিরিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকে শতাধিক মুসলিম পরিবার ব্রাজিলে আশ্রয় নিয়েছে। ব্রাজিলে মসজিদ-মাদরাসা : বর্তমানে ব্রাজিলের প্রতিটি শহরেই মসজিদ আছে। ব্রাজিলে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ১৩০টি। ২০০০ সালের তুলনায় মসজিদের সংখ্যা এখন চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার ��ন্য রয়েছে মক্তব-মাদরাসা ও ইসলামিক স্কুল।
0 notes